ŷ

Jump to ratings and reviews
Rate this book

চায়ের কাপে সাঁতার

Rate this book
এম� শহরও কি আছ�, যেখানে গেলে জীবন থেকে হারানো সব� ফিরে পাওয়া যায়? কাকেদে� রহস্যময় ভুবন� যা� প্রবেশাধিকার মিলেছে, ওই লোকটাই বা কে? নীরদদে� গ্যারেজে কে� ঘুমিয়� থাকে একটা পরিত্যক্� ডাটসান ব্লুবার্�? � কাহিনী� নামহী� কথ� খুঁজ� ফিরছ� ধাঁধাঁ� উত্তর। সে কি একজন ব্যক্ত�? নাকি অখ্যাত কব� বিনয� মজুমদা�, বেদেকন্য� মিতিয়�, চিরযৌবনা লীলা মজুমদা� অথবা অসী� সরকা� এব� ইল� রহমানেরা তারই এক-একটা সত্ত্ব�? সকলে� অলক্ষ্যে তা� লুকন� গল্পগুলোকে যে নিংড়ে নিচ্ছে প্রত� রাতে, সে� অন্ধ ফকির কানা নেজামই বা কোথা থেকে এল�? রহস্� অভিযান, ফ্যান্টাসি, দার্শনিক জিজ্ঞাসা আর কিছু বিস্মৃ� ইতিহাস মিলেমিশে এই উপন্যা� তৈরি করেছ� এক পৌরাণি� কালো কৌতুকে� জগত।

469 pages, Hardcover

First published February 1, 2023

21 people are currently reading
391 people want to read

About the author

Enamul Reza

5books150followers
ঔপন্যাসি�, গল্পকার। জন্ম ঢাকায়। শৈশব � কৈশো� কেটেছে খুলনায়� বর্তমানে ঢাকা� বসবাস।

প্রকাশিত উপন্যা�: কোলাহল� (২০১৬), চায়ে� কাপে সাঁতার (২০২৩)
গল্পগ্রন্থ: হন্ত্র� (২০২৫)

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
56 (74%)
4 stars
16 (21%)
3 stars
3 (4%)
2 stars
0 (0%)
1 star
0 (0%)
Displaying 1 - 30 of 42 reviews
Profile Image for Harun Ahmed.
1,467 reviews354 followers
October 8, 2024
�. প্রকাশিত হওয়ার আগেই "চায়ের কাপে সাঁতার" নিয়� কৌতূহল ছিলো অনেক� � কারণ� একটু ভয়ে� ছিলাম। প্রত্যাশ� পূরণ করতে পারব� তো বইটা? উত্ত� হচ্ছ�: হ্যাঁ। শুধু যে প্রত্যাশ� পূরণ হয়েছে তা-� নয�, এক উপন্যাসে এত� কিছু পেয়� যাবো ভাবিনি�

�. জগদী� গুপ্� কে� মধ্যবয়স� লেখালেখি শুরু করলে� তা নিয়� সাগরময� ঘোষে� "সম্পাদকে� বৈঠক�" বইতে একটা কৌতূহলোদ্দীপক ঘটনা আছে। জগদী� গুপ্� গৃহস্থাল� কাজে অমনোযোগী ছিলে� বল� তা� স্ত্রী তাকে প্রায়� খোটা দিতেন।তিনি ঝগড়� এড়াতে একদি� গল্প লিখত� শুরু করলেন। দেখলেন স্ত্রী কিছু বলছে না।এভাবে� তিনি গল্প লিখত� লিখত� পুরোদস্তুর সাহিত্যি� হয়ে গেলে�! � ঘটনা জগদী� গুপ্� নিজে বললে� তা যে সত্য নয� তা বুঝত� জহুর� হত� হয� না� অন্তর্গত প্রব� তাড়না বা নিজেকে প্রকাশের সুতীব্� বাসন� না থাকল� যে জগদী� গুপ্� হওয়� যায় না তা তা� পাঠকমাত্রে� জানেন।

� বই পড়া� সময় মুরাকামি'� উপন্যা� সংক্রান্� ভাবনাগুচ্ছ "নভেলিস্ট এজ � ভোকেশন"� পড়ছিলাম� সেখানে তিনি বলেছেন, "What I want to say is that in a certain sense, while the novelist is creating a novel, he is simultaneously being created by the novel as well." কীভাবে লেখক সৃষ্টি হচ্ছেন তা� লেখা� দ্বারা?মুরাকামি জানাচ্ছে�, উপন্যা� লেখা� একটা পর্যায়ে উপন্যাসে� ওপ� লেখকের পূর্� নিয়ন্ত্রণ থাকে না� লেখক তখ� এম� সব আবেগ, এম� সব অপ্রকাশি� অনুভূতির ঘোরে পড়ে� যা� অস্তিত্ব সম্পর্কে তিনি নিজে� সচেত� ছিলে� না� অর্থাৎ জীবন � জগতে� সঙ্গ� এক ধরনে� বোঝাপড়া করেন ঔপন্যাসি� তা� উপন্যাসে� মাধ্যমে।সে বোঝাপড়ায় তিনি নিজেকে� আরেকটু ভালোভাবে আবিষ্কার করতে পারেন। উপন্যা� লেখা তা� একটি মানসভ্রমণ। এনামুল রেজা তা� উপন্যাসে "চায়ের কাপে সাঁতার" � আমাদের সঙ্গী করছে� সে� ভ্রমণে� কে�? সহজভাব� উত্তরট� তিনি নিজে� দিচ্ছে� উপন্যাসে, "যদিও জানি, মানুষে� বলার মত� গল্প থাকু� আর না থাকু�, অন্যকে কিছু একটা শোনাতে সে চায়� শুনবার চেয়� শোনাবা� জন্য আমাদের মন আইটা� করে।"
কী গল্প শোনাচ্ছে� তিনি?
ফ্ল্যাপে লেখা আছ� " রহস্� অভিযান, ফ্যান্টাসি, দার্শনিক জিজ্ঞাসা আর কিছু বিস্মৃ� ইতিহাস মিলেমিশে এই উপন্যাসে তৈরি করেছ� এক পৌরাণি� কালো কৌতুকে� জগৎ।" উপন্যাসে� কথ� অনাম্নী� গল্পের মূ� ঘটনাস্থল মায়ানগর� এই মায়ানগর আমাদের খু� চেনা� কথকে� গল্প� এক� এক� ঢুকে পড়ছ� কানা নেজা�, নীরদচন্দ্র মজুমদা�, অসী� সরকা�, লীলা মজুমদা�, বিনয� মজুমদা�, কাজী মাজনুনের অজাচারের গল্প� কানা নেজামে� অকথ্� গালিগালা� থেকে যে গল্প শুরু হয� তা একসময় পৌঁছ� যায় ইতিহাসের অলিগলিতে� সাম্প্রতিক বিডিআর বিদ্রো�, ছাত্� রাজনীতি, মায়ানগর� কথকে� রহস্যময় থাকা� জায়গা, নিগ্রহ, রূপকথা� গল্প হয়ে বিনয� মজুমদারে� হা� ধর� গল্প যাত্রা কর� মুক্তিযুদ্� পর্যন্ত। কথকে� ব্যক্তিগ� যাত্রা� সাথে সাথে গল্প হয়ে উঠছে আমাদের অতী�, বর্তমা� � ভবিষ্য� ইতিহাসের এক পুনর্নির্মাণ ( কোথায় ছিলা�, কোথায় আছ� আর কোথায় থাকব�?) বর্ষীয়সী লীলা মজুমদারে� প্রত� কথকে� নিষিদ্� টা�, বিচিত্� সব স্থানে অসী� সরকারে� জাদুমন্ত্রের মত� উদয় � তিরোধা�,নামহীনদের সভ�, কাকবিশার�, এলাকায� ঘট� যাওয়া নিতান্� এক সাধারণ মারামারি থেকে আমাদের কোথায় নিয়� যাচ্ছে� লেখক? কথকে� নিজেকে আবিষ্কারের যে যাত্রায় আমরা যাচ্ছি তা� কি কোনো শে� আছ�? যা জানছ� তা কি সত্য? ইতিহাসের চোরাগলিত� আমার কি জায়গা আছ�?

এই বই পড়া� সময় হঠাৎ আমার এক ছাত্� প্রশ্ন করলো, "স্যা�, বইটা কি পিঁপড়াদের নিয়�?" আম� অবাক হয়ে জানত� চাইলাম, "তোমা� কে� এইটা মাথায় আসলো? " ছাত্� বললো, "এই যে চায়ের কাপে সাঁতার! শুধু পিঁপড়ারাই চায়ের কাপে সাঁতার কাটে!" আম� ওক� বললা�, "পিঁপড়ার জন্য এই চায়ের কাপটাই অনেক বড� জায়গা� এখানেই তাকে হাবুডুবু খেতে হচ্ছ� আর সে চেষ্টা করছে বাঁচবার।
পিঁপড়� কিন্তু মরার আগ পর্যন্� হা� ছাড়� না�
আমাদের জীবনকে একটা চায়ের কা� ধর� নাও।সেখানে সবাই মিলে সাঁতার কাটছি। হয়ত� তীরে পৌঁছান� হব� না� কিন্তু যাত্রাটা� বা কম কি?"

এই সুদীর্� উপন্যাসে� বিচিত্� � আপাত সম্পর্কহী� চরিত্র � ঘটনাগুলোকে শে� পর্যন্� এনামুল রেজা যেখানে দাঁড� করিয়ে দিলে� তাতে সুস্পষ্ট কোনো উত্ত� নেই। আছ� আর� প্রশ্ন� যা হয়ত� আমাদের একদি� উত্তরে� কাছে নিয়� যাবে� ততোক্ষ� পর্যন্�, সাঁতার কাটা যাক।

(১২ মার্�, ২০২৩)
Profile Image for অনার্য অর্ক.
177 reviews222 followers
July 6, 2023
বিখ্যা� ফরাস� পেইন্টার এদগা� দেগা� শেষজীবন� কবিতার প্রত� ব্যাপক আগ্র� দেখা দিল। দেগা দিনরাত পরিশ্র� করলে�,কবিত� লেখা� চেষ্টা করলেন। এই অদম্� প্রয়াসে� জোরে� তেমন কিছু হচ্ছ� না দেখে, দেগা বড়ই নিরাশ। ধৈর্য্যচ্যুত দেগা বসলে� কব� বন্ধ� স্টেফা� মালার্মক� চিঠি লিখতে। দেগা লিখলেন,
‘আমা� মাথায় অসাধার� সব কবিতার আইডিয়ায� ভর্তি। অথ� আম� অনেক চেষ্টা করেও একটা ভালো সনেট লিখত� পারলাম না! সমস্যাটা কোথায়,মালার্�? এই যন্ত্রণা আমাক� কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে...�
ফিরত� চিঠিতে মালার্� লিখলেন,‘দেগ�,আমার মাথায়� দারু� সব প্রাকৃতি� দৃশ্�,ল্যান্ডস্কেপের আইডিয়� উঁকিঝুঁক� দেয়� অথ� আম� আঁকত� পারি না,কারণ আম� রংতুলি� ব্যবহা� ভালো মত� শিখত� পারি নি� দেগা,তুমি খালি আইডিয়� দিয়� কবিত� লিখত� পারব� না� শব্দ দিয়� লিখত� হব�,ছন্দ� বেঁধ� লিখত� হবে।�

রাইটিং ক্রাফট নিয়� দেগা-মালার্মে� এই আলাপ শুধু কবিতার জন্য প্রাসঙ্গিক না, যে কোনো সৃষ্টিশী� লেখা� ক্ষেত্রে� প্রযোজ্য� এই ক্রাফটের জাহেরি আলাপ থেকে বাতেনি এলেম দিয়� আম� এনামুল রেজা� 'চায়ের কাপে সাঁতার' বইটাকে বোঝা� চেষ্টা করি। শুধুমাত্� আইডিয়াগ্রস্� হয়ে উপন্যাসে হা� দিতে চা� নি তিনি� চেয়েছেন একটা নির্দিষ্� গল্পের মধ্য দিয়� অনেকগুলো গল্প বলতে� এই গল্প বলতে গিয়� সযত্নে বিশদভাবে দাঁড� করিয়েছে� চরিত্র, সময় নিয়� শব্দ দিয়� এঁকেছে� মৌলি� সব দৃশ্য। পাঠককে মুগ্� কর�,চমকে দেয়ার কম� ট্রোপগুল� সচেতনভাবেই এড়িয়� গেছে� তিনি� বড� উপন্যা� লিখত� গেলে ঠিকঠাক পরিসমাপ্তি দেয়� নিয়� একটা ঝুঁক� থেকে যায়, এনামুল রেজা সেটা করেছেন সুনিপুণভাবে।


আরব্� রজনীতে যেমন শেহেরজাদ� কিসস� শোনায়, গল্পের পরতে পরতে লুকিয়� থাকে অন্য আরেকটা গল্প, চায়ের কাপে সাঁতার� কিন্তু একদৃষ্টিতে তাই। 'চায়ের কাপে সাঁতার' এক অদ্ভুত মায়ানগরের গল্প, এক পৌরাণি� কালো কৌতুকে� জগতে� টুকর�, যেখানে জীবন থেকে হারানো সবকিছু ফিরে পাওয়া যায়� কিন্তু সব কি চক্রাকার� ফিরে ফিরে আস�? ভালো জিনিসে� কি রিপিটেশন হয�? পৃথিবীতে কেবল এক� বিষা� বারবার ফিরে আস� অথ� একটা সুখে� দ্বিতীয় জন্ম কি হয�?

আপনি ঘু� থেকে উঠ� যদ� হঠাৎ এম� একটা জগতে নিজেকে আবিষ্কার করেন,যেখানে চারপাশের দৃশ্যগুল� হাতে� তালু� মত� খু� চেনা,অথ� চরিত্রগুলো অদ্ভুত,তাদে� গল্পগুলো� অজানা। চায়ের কাপে সাঁতারের চরিত্রগুলোকে শুরুতে ঠি� তেমন� মন� হবে। অনাবিষ্কৃত একেকটা দ্বীপে� মতো। সে� দ্বীপগুল� আপনাকে আলাদ� আলাদ� গল্প বলবে,কিন্তু একটা সময় পর আপনি বুঝবেন,গল্পগুলো আসলে এক� অনুভূত� থেকে তাড়িত� সামুদ্রি� দ্বীপগুল� চিরকালী� যে নিঃসঙ্গতার গল্প বল�, মানুষে� বিচ্ছিন্নতাবোধের চিরন্ত� ইতিহাসের গল্প বলে। যে কোনো বড� পরিসরে� বই পড়া� একটা ফজিল� আছে। এই যে শুরুতে চরিত্রগুলোকে অপরিচি� মন�� হচ্ছিল�,দূরে� কে� মন� হচ্ছিল�,আস্ত� ধীরে তারা হয়ে উঠবে আপনা� কাছে� কেউ। তাদে� স্বভাবচরিত্র,কথ� বলার ধর�, চোখে� আড়ালে সংগোপন� লুকিয়� র���খা একান্ত ক্ষতকে আপনি আবিষ্কার করতে থাকবেন সে� বিচ্ছিন্� দ্বীপগুলোত� হেঁট� বেড়ানোর মত� করে। তারপ� সেখানে থাকত� থাকত� চরিত্রগুলো� সাথে পরিচিত� থেকে ঘনিষ্ঠতা� পথ� গড়াবে সেটা� মনের নানা কোণে গড়ে উঠবে তাদে� আবাস�

গল্পকথকে� কোনো না� লেখক দিলে� না,যে� নামহী� এই গল্পকথ� হয়ে উঠতে পারে� আপনি বা আম� বা অন্য কেউ। দুটো সময়রেখায় ভা� হয়ে যাওয়া এই উপন্যাসে একদিকে নামহী� গল্পকা� আমাদের শোনাতে থাকে� রহস্যময় মায়ানগরের চাঞ্চল্যকর আখ্যান� এখান� কাকে� সাথে কথ� বলতে পারা এক চন্দ্রাহ� কাকবিশারদে� সাথে দেখা হয়ে যাবে আপনার। যাকে খুঁজলে� পাবে� না আবার� চাঁদ� পাওয়া মানুষক� কি ঘর� ফেরানো যায়? আবার একদি� চা বানানো� জন্য ফুরিয়� যাওয়া চিনি আনতে রাস্তায় নামল� দেখবেন কুকুরক� বি� খাইয়ে মেরে ফেলেছে এক মহিলা। সে� বিবা� থেকে কুকুরে� মালিকে� সাথে ঝগড়ার সূত্� ধর� হয়ে যাবে একটা রক্তারক্তি খুনও� আবার দেখা মিলব�, ন্যান্সি সিনাত্রা� গা� শোনা ফকির কানা নেজামে� সাথে� আল্লাহখোদা� না� নিয়� সে ভিক্ষা চায় না, সে বর� উচ্চস্বর� ছড়া কাটে,
‘যদি জোটে একটি পয়স�
খাদ্� কিনি� ক্ষুধা� লাগি
জোটে যদ� এর� অধিক
আমায� ভিক্ষা দি� অনুরাগী�

শুধু মনুষ্যচরিত্রের পেছন� লেখকের যত্নের কথ�
বললে ভু� হব�,এই কাব্যি� উপন্যাসে গ্যারেজে ঘুমিয়� থাকা পরিত্যক্� গাড়� ডাটস� ৫১� ব্লুবার্ডও গুরুত্� রাখে,খুঁজ� পাওয়া যায় চো� ঠুকরান� কাকেরও শানে নুযূল।

কানা নেজামে� সাথে অকথ্� ভাষা� বচসা,চারপাশের মানুষে� প্রত� বিতৃষ্ণা� সাথে সাথে হাতে রাখা অন্য সময়রেখাটায় লেখক আমাদেরকে সফ� করান ইতিহাসের অলিগলিতে� পারস্পারিক বিচ্ছিন্� হয়ে� চরিত্রগুলো ইতিহাসকে,সমাজকে,প্রেক্ষাপটকে এড়াতে পারে� না� ছাত্� রাজনীতি,বিডিআর বিদ্রোহক� ছুঁত� ছুঁত� এই উপন্যাসে� ডানা মুক্তিযুদ্ধকেও ছুঁয়ে ফেলে� আপনা� আমার ক্রাইসিসগুলোকে আমরা কালো অক্ষরে ফুটে উঠতে দেখত� পাই। নামহী� কথ� যেমন ধাঁধার সমাধান খুঁজ� চল�,আমরা খুঁজ� চল� ভিড় জমাত� থাকা জিজ্ঞাসাচিহ্নে� উত্তর।

এই যে বহুমাত্রিক সঞ্চারপথ� সর্বব্যাপী বিচর�... চায়ের কাঁপ� সাঁতার তাহল� কো� জনরায় পড়ে? জাদুবাস্তবতা আছ�? ফ্যান্টাসি? ডিস্টোপিয়ান উপন্যাসে� এলিমেন্ট? রাজনৈতিক উপন্যাসে� ট্রো�? দার্শনিক জিজ্ঞাসা? রহস্�? তাহল� কী নে�? সব� অমীমাংসিত রয়ে যাবে� আসলে ‘চায়ে� কাপে সাঁতার� গল্পকথকে� নিজেকে আবিষ্কারের যাত্রা� এই মৃতপ্রায� নগরীতে এক ডিস্টোপিয়ার মাঝে বিনয� মজুমদা�,লীলা মজুমদা�,তাদে� সন্তান নীরদ,কথকে� বন্ধ� অসী� রায়,বেদে কন্য� মিতিয়�, কাজী মাজনুনের মত� বিচিত্� সব চরিত্রের মধ্য দিয়� সে� যাত্রায় আমরা একটা সময় পর� হতবুদ্ধি হয়ে পড়ি� জানত� পারি শহরে� মি�,আঁধারে� আখ্যান� এম� সব অপ্রকাশি�, ছদ্ম, লুক্কায়িত অনুভূত�,নিষিদ্� আকুতির কথ� এক� এক� রূ� পেতে থাকে যেখানে আমরা আজীবন সাঁতরাই।

❝জীবন সাঁতার�
জীবন বিবি� রক� পানিতে সাঁতার�
কানা নেজা� এক ধরনে� পানিতে�
অসী� এক ধরনে� পানিতে�
বিনয� মজুমদা� আর লীলা মজুমদারে� পানি� ভিন্ন।
ভিন্� নীরদ আর সুপর্ণার সাঁতারের পানি�
কিন্তু সবার একটা কম� সুইমিং পু� আছে। সে� কম� জলাধারটা কোথায়?�


সে� কম� জলাধারটা আসলে এই জীবন যেখানে চলতে ফিরত� আমরা বুঝি,সাঁতার জানলেই সব জলাধার,সব নদী পেরোনো যায় না� বস্তুত, কতগুলো মৃ� নদীতে� আজ সাঁতরায় মানু�, কতগুলো ভু� মানু� আর ভু� সম্পর্কে� যোগফলই মানুষে� প্রাপ্তি�
Profile Image for সালমান হক.
Author64 books1,842 followers
June 14, 2023
আম� গুডরিডসে� এই তারক� পদ্ধতিতে চায়ের কাপে সাঁতার বইটাকে জা� করতে পারব না� এনামুল ভাইয়ে� বইটা পড়া শুরু কর� আম� ফেব্রুয়ারিত�, সংগ্রহের পরপরই। একটু একটু কর� প্রায় চা� মাসে লাগিয়� শে� করলাম। এত লম্ব� সময় একটা বইয়ের সাথে কাটালে আমার ক্ষেত্রে বইয়ের ভেতরের জগতে� সাথে লী� হয়ে যায় বাস্তবতা� এক্ষেত্রেও তেমনটা হয়েছিল। পুরো জার্নিটা� ছি� অনেকটা ঘোরে� মতন। বইয়ের প্রোটাগনিস্টের সাথে ঘোরে� মধ্য� কেটেছে পুরোটা সময়� বিস্তারি� রিভি� লিখব, একটু ঘোরট� কাটুক। ম্যাজি� রিয়ালিজ�, লিটারেরি ফিকশ� পছন্� করেন, এম� যে কে� চায়ের কাঁপ� নির্দ্বিধায় সাঁতার কাটা শুরু করতে পারেন।
Profile Image for Mahbub Mayukh Rishad.
57 reviews12 followers
January 18, 2025
দু� সপ্তাহ সময় লাগল� এই সময়ের পুরোটা� কেঁটেছ� চায়ের কাপে সাঁতারের চরিত্রদে� সাথে� এক লা� ত্রি� হাজা� শব্দের উপন্যা�, ৪৬� পৃষ্ঠা� উপন্যা�, এত দ্রু� সময়� শে� কর� ফেলেছি, বলাট� বাহুল্� যে কেমন লেগেছে� আম� আসলে এম� দীর্� উপন্যাসই পড়ত� চাই।

মানুষে� জীবন� কতগুলো লেয়ার থাকে? এক তো অবশ্যই না� একের অধিক, কিংব� কখনো তারচেয়ে বেশি� আমরা খালি চোখে যাপন কর� একটা জীবন, ভেতরের জীবন তারচেয়ে� অনেক বেশি� রেজা এই মাল্টিলেয়ার জীবন নিয়েই ডি� করেছেন�

গল্প, তা� ভেতর� গল্প, তা� ভেতরেও গল্প� পরস্পর বিপরীতপমুখী গল্প� সুতো ছাড়তে ছাড়তে সুতো টেনে ধরার গল্প� অসাধার� ন্যারেটি� কৌশল, উইটি ভাষা, কালো কৌতু�, যৌনতার দুর্দান্� ব্যবহার।

একটা উপন্যাসে� রেজা যে� রেখে গেলে� আর� অনেক উপন্যাসে� বীজ। এম� একটা সৃষ্টি যা� প্রতিট� চরিত্র নিয়� হত� পারে আলাদ� আলাদ� উপন্যাস। কেবল পা� শে� কর� ওঠা। এই আবেশ আর� দীর্ঘক্ষ� থাকবে। ক্রাফট� রেজা� দক্ষতা দেখে তা� জন্য জম� থাকল ঈর্ষা।
Profile Image for Dystopian.
422 reviews193 followers
June 7, 2024
ডাস্টকভা�, স্পাইন, হার্ডকভা� সব� ঠি� ছিল। কিন্তু নিজেকে হারানো শুরু কর� ঠি� যেখা� থেকে শুরু হয� মায়ার গল্প� মায়ার গল্প কোথা থেকে শুরু হয� জানে�? আমার তো মন� হয� লেখকের লেখা প্রথ� অক্ষ� থেকেই। আস্ত� আস্ত� সে গল্প� ঝাপস� হত� শুরু কর� আর পরাবাস্ত� জগ� এর সাথে শুরু হয� মিলে মিশে যাওয়া� খেলা�

Bang bang. He shot me down
Bang bang. I hit the ground
Bang bang. That awful sound
Bang bang. My baby shot me down'


নেজা�, অসী�, ইল�, বিনয�, নিরদ, কাকবিশার� এমনক� লীলা পর্যন্� টেনে নিয়� গেছে তাদে� গল্পের গভী� জগ� এ। গল্পের জগ� তৈরী করতে হল� গল্প বল� কিন্তু জরুর� নয়।
জানিনা বাস্তবতা� বাইর� গিয়� লেখক শব্দের যে খেলা করেছেন, মন� যতটা দা� কেটেছে তা কি লেখক মেলানো� চেষ্টা করেছেন? করুক বা না করুক, অনেক সময় আছ� সাতা� কাটার৷ জীবনের কুয়� তে সাতা� কাটত� কাটত� কখনো উত্ত� পেলে জানিয়� দে� উত্ত� না খোজা কারো� কাছে�


❝যদি জোটে একটা পয়স�
খাদ্� কিনি� ক্ষুধা� লাগি
জোটে যদ� এর� অধিক
আমায� ভিক্ষা দি� অনুরাগী�
Profile Image for Manzila.
164 reviews140 followers
May 4, 2024
বে� কয়েকদিন ধর� পড়ছিলাম এনামুল রেজা� “চায়ে� কাপে সাঁতার”। একজন লেখককে সামনাসামনি চেনা� ঝামেলা অনেক � তাঁর বইটা� ব্যাপারে নেতিবাচক কিছু লেখা� আগ� একটু হলেও মন খচখচ করে। এজন্� চেষ্টা কর� রিভি� লেখা� সময় ব্যক্ত� মানু� লেখককে ভুলে থাকার। রেজা� বইটা নিয়� লেখা� সময় কথাট� মাথায় রাখছি।

আম� আসলে � জীবন� বুঝে উঠতে পারলাম না গল্প আর গদ্য এই দুয়ের মধ্য� কো� জিনিসট� আমার বেশি ভালো লাগে� আমার এক বান্ধবী বল� আম� নাকি আমার প্রিয় লেখক রশী� করিমকে বল� শুধু মাত্� ব্যতিক্র� হওয়ার জন্য� কিন্তু সত্যিই রশী� করিমের গদ্য আমার এত� ভালো লাগে যে মন� হয� এক টুকর� ইটের বর্ণান� দিলে� আম� হা কর� পড়ব� আবার আমার আরেকজন প্রিয় লেখক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়� মার্কে� � যিনি পৃথিবী� শ্রেষ্� গল্পকারদের একজন� “চায়ে� কাপে সাঁতার� বইটাকে� দু� আঙ্গিক থ���কে বিচা� কর� যায়� অরৈখিক ভাবে লেখা হলেও “চায়ে� কাপে সাঁতার� উপন্যাসটার প্লটের একটা স্ট্রাকচার আমরা দাঁড়া করাত� পারি� ধর� নিচ্ছি প্রথ� চ্যাপ্টারট� (শহ� ডুবে যাওয়া� সম্ভাবনা) যেখানে কানা নেজা� কথকে� বাসায় দাওয়া� খেতে আস� সেটা হচ্ছ� � গল্পের অ্যাবসোল্যুট বর্তমান। � পর্যায়ে কথ� চাকুরীজীবি, বয়স ২৭� একটু পেছন� পেছালে পা� কয়েকদিন আগের অতী� যখ� সুপর্ণাক� ঝাড়� দিচ্ছে� লীলা মজুমদা�, রাতভ� বিনয� মজুমদা� গল্প করছে� কথকে� সাথে (সেখা� থেকে তাঁর যুবক জীবনের গল্প, মিতিয়�, আর মুক্তিযুদ্ধে� গল্প আসবে শাখা প্রশাখার মত�), নামহীনদের সভায� যাওয়া ইত্যাদি। বর্তমা� আর অল্প আগের অতীতে অসী� সরকা� অনুপস্থিত। এর কয়ে� বছ� আগের (অনুমান করছি �-� বছ�) অতীতে দেখা যাচ্ছে নদ্দ� বুড়� খু� হয়েছে, ধারন� কর� হচ্ছ� যে ছুরিটা দিয়� খুনট� হয়েছে সেটা লুকাতে এস� অসী� সকারের মাধ্যম� নীরদচন্দ্রের সাথে কথকে� পরিচয় হয�, সে� থেকে লীলা-বিনয়ে� বাড়িত� সাবলেট ভাড়� থাকা� শুরু কথকের। যেহেতু টিউশনি কর� ভাড়� মেটানো� কথ� বল� হচ্ছ� ধর� নিচ্ছি এই অংশে অসী�-ইল�-কথ� সবাই স্নাতকের ছাত্�-ছাত্রী� এর� কয়ে� বছ� আগ� কলেজ� ভর্ত� হত� পুবপাড়া থেকে মায়ানগর� আস� কথ�, সেদিনই ট্রেনে অসী� সরকা� আর ইল� রহমানে� সাথে পরিচয় হয� তার। এরপর পর� থাকব� মায়ানগর� শুরু� দিকে নেসা� গাজী হোটেলে� দি� গুলি� গল্প� আসবে নৃপে� ভট্ট, জাহানারা ম্যাডা� সহ আর� অনেক�, আসবে বিডিআর বিদ্রোহে� ঘটনা� অন্যদিকে আমাদের অ্যাবসোল্যুট বর্তমা� থেকে একটু সামন� মানে ভবিষ্যতে আগাল� আমরা পা� রড দিয়� বাড়� খাওয়া কিশোরে� মর� মর� অবস্থা, কাকবিশার� মানে নীরদচন্দ্রের মামা� আগমন, কাকবিশারদে� মুক্তিযুদ্ধে� দিনগুলির কাহিনি, নীরদের বিয়�, কথকে� পালিয়� বেড়ান� আর একদম শে� চ্যাপ্টারে গল্পের সমাপ্তি। তব� খাপছাড়া ভাবে একটা অধ্যায� আছ� যেটা আসলে আর� বে� খানিকট� দূরে� ভবিষ্যতে� একটা দি� যেখানে দেখা যাচ্ছে কাকবিশারদে� যক্ষার চিকিৎস� চলছে আর কথ� তাঁক� হাসপাতাল� দেখত� গেছে (প্রভুভক্� কুকুরে� প্রভ�)� আবার এই চ্যাপ্টারে� (যেটা অনেক দূরে� ভবিষ্য� আমার মন� হয়েছে) কাকবিশার� বলছে� � “আবা� যখ� হে� দেখা তুমি পাইব� তখ� জানবা� � যেটা আবার গল্পের শে� লাইন� আবার বল� হয়েছে (হিসাবে আমার কাছে সেটা অল্পদূরে� ভবিষ্য�)� এখান� লেখক ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত একটা logical fallacy সৃষ্টি করেছেন বলেই আমার মন� হয়েছে�

“চায়ে� কাপে সাঁতার� এর কাহিনি� অবতারণ� একেবারেই রৈখিকতার ধা� ধারেনি� আগের গল্প পর�, পরের গল্প আগ� � এভাব� এগিয়ে গেলে� শেষত� সব গুলো ডট সুন্দর ভাবে কানেক্� করেছেন লেখক� যেমন � কথ� বিনয� মজুমদারক� এক রাতে বলছে� কাজী মাজনুন হকের ব্যানড উপন্যা� রক্তিম চন্দ্রালোক� কিভাবে কলেজের লাইব্রেরিত� একটা পত্রিকায� পড়েছিলে� (এই ঘটনাটা আগ� বল� আছ�, সম্ভবত বইয়ের মাঝামাঝি কোথা�)� আবার বে� কয়ে� চ্যাপ্টা� পর� যেয়� প্রায় শেষে� দিকে কলেজ লাইব্রেরিত� ওই পত্রিকাত� উপন্যাসট� পড়া� ঘটনাটা বর্ণনা করেছেন� এরকম আর� উদাহরণ আছে। তব� অরৈখিক ভাবে লিখলেও কোথা� কো� “loose end� রাখেনন� � কো� ঘটনা� অবতারণ� করেছেন আর সেটা� কো� সমাপ্ত� দেনন� এম� হয়নি। যদিও অসী� সরকারে� অন্তর্ধানে� কারনটা একটা রহস্যে� মত ছেড়� দিয়েছেন লেখক� এটাক� অবশ্যই লু� এন্ড বলতে পারছ� না� যেমন � অসীমে� সাথে শে� কথপোকখনে� পর� ইল� রহমা� বলছে, “তোর বন্ধ� কী করেছ� শুনব�? সাহস আছ� তো� শুনবার?� � এই কী করেছ� অসী� সে ব্যাপারে কল্পনা কর� নেয়ার স্বাধীনত� ইচ্ছ� করেই মন� হয� তুলে দিয়েছেন রেজা তাঁর পাঠকদে� হাতে� আবার নেসা� গাজী হোটেলে রহস্যময়ী নারী� পিছে পেঁচান� সিড়� বেয়� উঠতে উঠতে বিডিআর বিদ্রোহে� রাতে কিভাবে ডাস্টবিন� পৌছে গেলে� কথ� - এখানেও পাঠকের কল্পনা� জন্য জায়গা ছেড়েছেন রেজা�

পুরো বইটাতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র দেখা যায় বে� অনেক গুলো� আপাত� ধর� নিচ্ছি নামহী� কথ�, অসী� সরকা�, কানা নেজা� এদের মধ্য� অন্যতম কয়েকজন। যেহেতু অনেকগুলো টাইমলাইন� কাহিনি চলছে চরিত্র গুলোকে সময় আর পটভূমি অনুসার� ডেভেলপ করার একটা বিরা� চ্যালেঞ্� ছিলো রেজা� সামনে। অথ� এইক্ষেত্রে খু� সাবলী� ভাবে� তিনি উতরে গেছেন। character development � তাঁর সূক্ষ্� ডিটেইল গুলো ছিলো চোখে পড়া� মত� যেমন � মায়ানগর� ছয� মা� কাটিয়� কথ� যখ� গেছে পুবপাড়ায় তখ� তাকে সবাই বলছে তুমি শুকিয়� গেছো (সে বয়স� আমরা সবাই যেমন কম বেশি হালক� পাতল� রোগা থাকি) আবার ২৭ বছরে� কাহিনিতে দেখা যাচ্ছে ইল� রহমা� তাকে বলছে “মোট� হচ্ছো� (যেমনটা ওই বয়সটায় আমরা হয়ে থাকি)� এই ডিটেইল গুলো অনেক সময় পাঠকদে� চোখে� পড়ে না তব� এস� সচেত� ভাবে যখ� লেখকের� লেখে� তখ� তা� ক্র্যাফটের প্রত� এমনিতে� শ্রদ্ধ� চল� আসে। আবার দেখা যায় ম্যাচুরিটিরও একটা গ্রা� দেখত� পা� চরিত্রগুলো� সময়ের সাথে � যেমন রেপে� ঘটনাটা ওই সময় কথ� অসীমক� বলতে পারে না কিন্তু ভবিষ্যতে� কাহিনিতে সে� লজ্জ� কাটিয়� ঘটনাটা সে বলে। ইলাকেও দেখা যায় উচ্ছ� কিশোরী থেকে নারীতে পরিণ� হতে। তব� অসীমক� কিশো� বয়স-যুবক বয়স সব সময়� বে� পাকন� দেখা যায়� আবার এই বইয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্� হল জাদুবাস্তবতা - নেসা� গাজী� হোটেলে� করিডোরের রহস্যময়ী নারী যে খোঁজ দেবে এম� পৃথিবী� যেখানে হারানো সব কিছু পাওয়া যায়, কানা নেজামে� ভিডি� ক্যাসেটে� উদ্ভ� দোকা�, কথ� বল� কুকু�, কথ� বল� কা� আর� অনেক প্রসংগ� আসবে জাদুবাস্তবের উদাহরণ� এখনকার সময়� জাদুবাস্তবতা নিয়� কা� করেছেন এম� লেখক কম হব� না কিন্তু তেমন কেউই ভালো কর� কাজট� করতে পারেননি। এট� জাদুবাস্তব - শুধু জাদু� না, শুধু বাস্তব� না� রেজা এদিক থেকে আবার� প্রসংশ� পাবে� কারন "চায়ের কাপে সাঁতার"এর magic realism is magical, yet it is very grounded to reality. এখান� রেজা অবশ্যই সার্থক�

জানামত� রেজা প্রচুর পড়ে� আর লেখক মাত্রে� পঠনপাঠ� তাঁর শক্তির জায়গা� আর রেজা� লেখায় তাঁর পড়া অন্যান্য লেখকদে� ছায়� থাকব� না এট� প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার। তা� কখনও মন� হয� হুমায়ূন আহমেদক� পড়ছ� � চরিত্রগুলো� কথপোকথ�, কথকে� হিমু হিমু ভা�, হালক� আলাপের মধ্য� দিয়� বড� বড� দার্শনিক আলাপ নিয়� আস� এস� ট্রো� আমাক� হুমায়ূন আহমেদকেই মন� করিয়ে দেয়� আবার ডেকে নিয়� আসেন হারুকি মুরাকামি কে � মুরাকামি� বইতে যেমন কর� রহস্যময় বিড়াল থাকে, কুয়� থাকে - রেজা এনেছেন কাক। আবার রেজা� বইতে খুবই উইয়ার্ড সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সে� অবতারণ� রয়েছে সেটা� মুরাকামি� বইয়ের কম� একটা ট্রোপ। আবার কার্� ভোনাগা� যেমন নিয়� আসেন কাল্পনিক লেখক Kilgore Trout কে, রেজা নিয়� এসেছেন ঐরাব� প্রদোষ আর কাজী মাজনুন হককে� আমার ভবিষ্য� বাণী বল� রেজা সামনের বই গুলোতে� এদের কাউক� না কাউক� বা দুজনকে� আবার নিয়� আসবেন। পঠিত লেখকদে� ছায়� নিজে� লেখায় থাকাটা কো� ভাবে� খারা� কিছু না � কাকফ�, রবীন্দ্রনাথদে� লেখা� ছায়� আছ� অনেক বড� বড� লেখকের লেখায়� আমার কাছে বর� এস� দেখে রেজা� পঠ� পাঠনের প্রত� আর� আস্থ� তৈরী হয়েছে� আর সবকিছু� উর্ধ্ব� বল� যায়, রেজা� লেখায় নিজেস্বত� আছে। � ব্যাপারে ইয়াসি� রেজা� রিভি� থেকে কথাট� ধা� করলা�- (উনার রিভিউয়ে� লিংকটা রই� এখান�)
“সাহিত্য� মৌলিকত্ব বজায� রাখা খু� কঠিন জিনিস। পূর্ববর্তী মহান সাহিত্� থেকে বিচ্ছিন্� হয়ে কে� মহ� লেখক হত� পারেনন� আবার লেখায় নিজস্ব স্বকীয়তা বজায� রেখে অনবদ্য কিছু সৃষ্টিকর� বে� কষ্টসাধ্� কাজ। ' চায়ের কাপে সাঁতার' একান্ত ভাবে� এনামুল রেজা��� নিজস্ব সৃষ্টি।�

আরেকটা জিনি� আমার এই বইতে খু� আশ্চর্� লেগেছে� আমাদের সময়� যেসব লেখক-লেখিকারা লেখে�, তাদে� তেমন কাউকেই দেখিনি খু� অপকট� যৌনতার কথ� লিখত� পারেন। এর কারন হিসেবে আমার মন� হয� আমরা যে জেনারেশন থেকে উঠ� এসেছ� � সব সময় “ভাল� ছেলে� বা “ভাল� মেয়ে� হওয়াক� সবচেয়� গুরুত্� দেয়� হয়েছে সেখানে� আমাদের জেনারেশনের কে� লিখত� বসলে� হয়ত ভাবে� যে বইটা বাবা-মা, ভা�-বো�, আত্���ীয়রা পড়বেন, তারা কী মন� করবে� আম� অশ্লী� কিছু লিখলে। রেজাকে দেখলাম তা� ব্যতিক্র� � অবলীলায় তিনি প্রকাশ করছে� কথকে� যৌ� চেতন� কে (আবার ভালগার� নয�)� রেজা যে তা� সোস্যা� কন্ডিশনি� থেকে বে� হয়ে এরকম লেখা� সাহস করেছ� এটাও বিরা� একটা ব্যাপার। এট� শুধু যৌনতার ক্ষেত্রে নয�, যেকো� সামাজি� সংস্কা� থেকে বেরিয়� এস� লেখকরা যখ� লিখত� পারে� সেটা সত্যিই সাধুবাদে� যোগ্য।

আমার কাছে মন� হয়েছে “চায়ে� কাপে সাঁতার”এ� একটা নেতিবাচক দিক� এর কো� নির্দিষ্� গল্প নে�, বর� বল� যায় it’s a humongous buffet of stories, তা� ভুরিভো� হয়েছে ভালই কিন্তু ব্যুফেতে যেমন কো� একটা ডিশক� অ্যাপ্রিসিয়েট কর� যায় না, “চায়ে� কাপে সাঁতার� বইতে� কো� একটা গল্প� ফোকা� কর� যায় না� আমার মত� পাঠক যারা- যারা বই পড়ে� “তারপর কী হলো�, “তারপর কী হলো� এই মোটিভেশনের কারন� (সত্য� বলতে এর� কো� ভাবে� প্রথ�, এমনক� দ্বিতীয় শ্রেণী� পাঠকদে� কাতারে পড়ে না!), তাদে� জন্য বইটা একবা� হা� থেকে নামিয়� পরের বা� হাতে তুলে নিতে কষ্ট হবে। আর পড়া� জার্নিটা� হয়েছে একটু ক্লান্তিকর� তব� সেটা ভালো লিটারেচারে যেমনটা ঘট� � “healthy boredom�, সে গোত্রে� ফেলা যায়�

আর এই বইতে সবাই এত� চা খায় বাপর� বা�! আবার চরিত্রের সাথে সাথে চায়ের ধরনও পালট� যায় � কখনও চল� চিনি ছাড়� কন্ডেন্স� মিল্কে� চা, কখ� পুদিনাপাতা, আদাকুচ� দিয়� রঙ চা, কখনও শুধু লিকা� চা� বইয়� চায়ের উল্লেখ থাকল� আমরা� চা খেতে ইচ্ছ� করে। and if I had taken a sip every time tea is mentioned in this book …তাইলে এতোক্ষণে রক্তণাপ্রলীতে চা বয়ে যেতো আমার� “চায়ে� কাপে সাঁতার� নামট� সার্থক� বটে।

“চায়ে� কাপে সাঁতার”এ� আরেকটা মজার ব্যাপা� হল � এট� আমার কাছে বিগত কয়ে� বছরে পড়া সবচেয়� “giftable� বই� একটু বেশি বাজেটে দিতে চাইল� যে কাউক� এই বইটা উপহা� দেয়� যায়� একেবারেই বই পড়ে না, আগ� পড়ত এখ� পড়ে না, কখনও বই পড়েনি কিন্তু পড়া শুরু করতে চাইছ�, সাময়ি� পড়ুয়�, পাঁড� পড়ুয়� � যে কে� উপভো� করবে এম� উপাদান আছ� এই বইটাতে� এভাবেও লিখত� পারে যায় � সেটা চাট্টিখানি কথ� নয়। বইটা� ভাষা খু� সহ� � বর্তমা� সময়ের বিশিষ্� লেখক সুহা� রিজওয়ান যেমনটা বলেছেন যে রেজা যে� সচেত� ভাবে� এড়িয়� চলেন ভাষা� উচ্চাভিলাষ (সুহানে� রিভিউট� থাকল)� সব মিলিয়� এই বইটা “cult favorite� হয়ে উঠলে আম� খু� একটা অবাক হব না�

Profile Image for Akash Saha.
153 reviews23 followers
March 29, 2023
বইয়ের না�: চায়ের কাপে সাতা�
লেখক: এনামুল রেজা
প্রকাশনী: আদর্�
প্রকাশকা�: ২০২৩
রেটি�: �/�
কখনো কখনো একগুচ্� গল্প লেখকের উপ� ভর কর�, লেখক ঠি� নিজে� জানে� না কি লিখছেন� ❝চায়ে� কাপে সাঁতার�বইটি অনেকটা ঠি� এরকম� অনেকটা ডিস্টোপিয়ান ধাচে� এক শহ� 'মায়ানগর'- গ্রা� থেকে শহরে আস�, নামহী� এক কথকে� মনের টুকর� টুকর� কথ�- কিছু ঘটনা - কিছু গল্প- কিছু চরিত্র! কিছু প্রশ্নবোধক চিহ্�! এই নিয়েই অল্প কর� ডু� দিতে হব� চায়ের কাপে!

❝জীবন সাঁতার�
জীবন বিবি� রক� পানিতে সাঁতার�
কানা নেজা� এক ধরনে� পানিতে�
অসী� এক ধরনে� পানিতে�
বিনয� মজুমদা� আর লীলা মজুমদারে� পানি� ভিন্ন।
ভিন্� নীরদ আর সুপর্ণার সাঁতারের পানি�
কিন্তু সবার একটা কম� সুইমিং পু� আছে। সে� কম� জলাধারটা কোথায়?�


গল্পের শুরু হয়েছে এক অন্ধ ফকির 'কানা নেজা�' এর সাথে কথকে� কথোপকথ� দিয়ে। হঠাৎ রাস্তায় মারা পড়ল এক বেওয়ারি� কুকু�- তা� থেকে মারামারিতে লা� পড়ল স্থানীয় এক কিশোরে�- খু� অদ্ভুত তা� না? ধীরে ধীরে প্রেক্ষাপট� আসতে লাগল নামহী� গল্পকথকে� বন্ধ� নীরদ, তা� বাবা বিনয� মজুমদা�, মা লীলা-হারিয়� যাওয়া বন্ধ� অসী� সরকা�,তা� প্রেমিকা ইল�, সাথে আছ� এক কাকবিশার�- যিনি কথ� বলতে পারে� কাকেদে� সাথে- যাকে একদি� গল্প বলতে ডাকা হয� নামহীনদের সভায�, শহরে� প্রাচীনত� বটবৃক্ষে� ছায়ায়। গল্প আগাত� থাকে সবার ফ্লাশব্যাক কাহিনি� মধ্য�! কখনো রয়ে� বেঙ্গলের পে� � কর� কথকে� শহরে পদার্প� - কখনো ফিরে যাওয়া সে নেসা� গাজি� হোটেলে- কখনোবা এস� যায় লীলা মজুমদারক� নিয়� কথকে� অবচেতন মনের ফ্যান্টাসি! কখনো ধর� দেয় দেশে� বিভিন্� পরিস্থিত�, ভিন্� সময়� ভিন্� আঙ্গিক�- মুগ্� কর� রাখে পাঠককে�


উপন্যাসে� টাইমফ্রেমে� কথ� চিন্তা করলে, দুইদিক� এগিয়েছে গল্পগুলো, একটা হল� মুক্তিযুদ্ধে� সময়ের কথ�, যা বিনয� মজুমদা� বলেছেন কথকক�, আরেকটি হল� বর্তমা� সময়ের, যে সময়ের সারথ� হল� আমাদের গল্প কথক। যদিও মায়ানগর শহরট� কাল্পনিক, তবুও তা মন� কর� দেয় মৃতপ্রায� নগ� ঢাকা- যেখানে আটটা- পাচটার ঘড়িতে জীবন বন্দী।এসেছে বিগত দশকে� কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনা, অবশ্যই তা কুয়াশার চাদর� পরিচয় লুকিয়ে। তব�, ' চায়ের কাপে সাতা� ' কিন্তু ইতিহাস আশ্রিত কোনো উপন্যা� নয�- বর� এগুল� হল� গল্পের মধ্য� এস� পড়া কিছু উপগল্প, যেগুলোতে লেখক মিলিয়� দিয়েছেন তা� চরিত্রগুলোকে� হয়ত লেখক নিজে� উপেক্ষ� করতে পারে� নি প্রবাহমা� সময়কে�

তাহল� এখ� যে কে�, জিজ্ঞে� কর‍তেই পারে� - এই প্রায় পাচশ পৃষ্ঠা� উপন্যাসে� প্লট কি? - যদ� বল�, উপন্যাসট� একটা কুকু� � একদল কাকে� গল্প? অবাক লাগা� মতোই প্লট� নাকি এক পাগল গল্পকারে� গল্প, যা� ভিতর জম� আছ� এক রা� গল্প? নাকি বল� শহুর� জীবনের নিঃসঙ্গত� আর এক সমুদ্র হতাশার গল্প- নাকি ক্রমাগ� পৃথিবী থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্� করার গল্প- নাকি ম্যাজি� রিয়েলিজমে ঢাকা এক ডিস্টোপিয়ান সমাজের গল্প? - আসলে� ঠি� কো� জনরা তে পড়ব�, তা নিয়� রীতিমত� যুক্তিতর্ক করতে হব�, তা না হয� পরবর্তীতে যারা বইটি পড়ব�, তাদে� উপ� ছেড়� দিলাম।

বইটি� সবচেয়� সুন্দর লেগেছে, জীবনকে ভিন্� ভিন্� দি� থেকে দেখা� লেখকের নিজে� ভাবনাগুল� এসেছ� চরিত্রগুলো� মুখে, এত বড� উপন্যা� পড়ত� একবারও থেমে যেতে হয়ন�- একদম সাবলী� লেখনি।অনেক কথ� একদম মন� গেথে যাওয়া� মত�- কিছু লাইন তুলে দিলা� পোস্টে� শেষে�

বইমেলা� শুরু থেকে� বইটি নিয়� অনেক আগ্র� ছি� সবার� হবেই না কে�? একজন লেখক যখ� তা� প্রথ� বই প্রকাশের ছয� বছ� পর দ্বিতীয় বই বে� করেন, তখ� তা নিয়� কৌতুহল থাকা স্বাভাবিক। অবশ্� লেখকের নিজে� জন্য তা একটা কঠিন পরীক্ষা� আমার মত� লেখক এনামুল রেজা সে বৈতরণী ঠিকভাব� পা� কর� এসেছেন এই মাস্টারপিস বইটি� মাধ্যমে। অনেকদি� মনের গভীরে দা� কেটে রাখব� বইটি� একজনের রিভি�-� দেখলাম বা� বা� ফিরে আসতে হব� বইটি� কাছে- তা আসলে� সত্যি। লেখকের জন্য অনেক শুভকামনা�

তব� সবশেষে একটা প্রশ্ন থেকে� গে�:

আসলে� কি কথ� নামহী�? নাকি পুরো গল্পের খন্ড খন্ড চরিত্রগুলো লেখকের মনের বিভিন্� দি�?

গল্পগুলো জট পাকিয়� গে� শে� মুহূর্তে!

পরিশিষ্ট�
১। পাগলের� সৎ গল্পকা� হয�, নইলে সৎ গল্পকারমাত্র� পাগল �

২।'‘জীবন সে� ট্রেনটার মত�, যা সক� স্টেশন� থামত� পারে কিন্তু কোথা� তা� নিশ্চি� আশ্ৰয় নেই।�

৩।গভীরে ডু� দিলে অন্ধকা� ছাড়� আর কিছু কি আছ�? প্রকৃত� কখনো অন্ধকা� ��বং আমাদের কখনো অন্ধ কর� রাখাতে� তা� সু�, এমনই মন� হয�

৪।আমরা এতক্ষণ যে এক� অন্যের সঙ্গ পেয়েছ�, আমাদের মধ্য� বাড়ছি� বিচ্ছিন্� হওয়ার সম্ভাবনা� জীবন� এমন। গন্তব্যে� যত কাছাকাছি আস� মানু�, তত� নিঃসঙ্� হত� থাকে�

৫।মানুষে মানুষে দুরত্ব কীভাবে তৈরি হয�? একসাথে অনেক বছ� পাশাপাশি কাটানো� পর অকস্মা� কি আমরা আবিষ্কার কর� যে জীবন বদলে গিয়েছ�? এই আমার সঙ্গ� বস� চায়ের কাপে চুমু� দি��্ছিল একটা মানু�, অতঃপ� কোনো হেমন্তের বিকেলে কি নিজেকে দেখত� পা� চায়ের কা� হাতে আম� একাই বস� আছ� বারান্দায়? আর কোথা� নে� কেউ। সেখানে বস� আকাশ দেখা যায় না, আকাশ ঢেকে রাখে বিকটাকৃতির সব দানব� ওদের কংক্রিটে� শরী�, পেটে কত গুপ্তকুঠুর�, শরীরে কেটে বসান� শতেক জানালা �


©Գٳ𲹻08
Profile Image for Samiur Rashid Abir.
201 reviews39 followers
July 17, 2023
I hereby declare today that this book is one of the finest novels of this year.

চায়ের কাপে সাঁতার ছি� এবারের বইমেলা� সবচেয়� অ্যান্টিসিপেটে� বইগুলো� একটা� তা� জোগাড়� করেছিলাম বে� কাঠখড় পুড়িয়ে� বইমেলায় আদর্� স্টল পায় নি, তা� ওদের কাঁটাবনে প্রকাশনীখানা অনেক খোঁজাখুঁজি কর� সেখা� থেকে� কিনত� হলো। যত না জলদি তে বইখানা জোগাড় করেছ� তত জলদি পড়া হয়ে উঠেনি। কেনা� পর বস� এক নিমিষে� প্রথ� পঞ্চাশ পাতা শে� হয়ে গেল। ভাবলাম, না�, এত জলদি এই বই শে� হত� দেয়� যাবে না� লেখনী আমাক� জলের মত� ভাসিয়� বইয়ের শে� কিনারায় নিয়� যাবে� বইখানা জলদি শে� হওয়ার বেদন� তখ� চিনচিন কর� উঠবে�

বে� কয়েকমাস যখ� আবার পড়ত� বসলা�, কা� বিশারদ, কানা নেজা�, নেসা� গাজী� হোটে� মিলিয়� অদ্ভুতভাবে কাহিনী খানা আবার শুরু হলো। নীরদের বাড়িত� আশ্রয় পাওয়া� কাহিনিটুকু� তো বিশা� নাটকীয়� নাটকীয় আখ্যান পুরো উপন্যা� জুড়ে। আখতারুজ্জামা� ইলিয়াসে� "নিরুদ্দে� যাত্রা" গল্পটা আমার খুবই পছন্দের। সেটি� শুরু হয়েছি�, "এই মনোর� মনোটোনাস শহরে অনেকদি� পর আজ সুন্দর বৃষ্টি হল" লাইনটুকু দিয়ে। চায়ের কাপে সাঁতার শুরু হল� "যেমনটা ভেবেছিলা�, সেরক� বৃষ্টি হল� না" দিয়ে। বৃষ্টি দিয়� শুরু কর� আখ্যানের মাঝে কি বৃষ্টি� মত� স্নিগ্ধত� কা� কর�? স্নিগ্� লেখনী� জাদুতে ধীরে ধীরে উপন্যাসে� কাহিনী যখ� অগ্রসরমা�, উপন্যাসে� চরিত্ররা তখ� আমাদের সামন� ধীরে ধীরে ধন্ন� দিয়েছে। ম্যালা কিসিমে� সব চরিত্র� চিরযৌবনা লীলা মজুমদা�, অসী� সরকা�, ইল� রহমা� কিংব� নীরদ� কাজী মাজনুনের রক্তিম চন্দ্রালোক� কাহাদে� মুখে সকলে� চেহারা মি� হয়ে যাওয়াতে মন� হল�, মানু� মাত্রই মুখো� পরিধানকারী� মুখো� হট� গেলে হিংস�, কা�, লোভাতু� সকলে� অবিক� চেহারা� হয়ত বেরিয়� আসবে� মাজনুন সাহে� সে� মুখোশটুকুক� খুলে সমাজের চিত্� দেখাতে চেয়েছিলেন� লেখক মুক্তিযুদ্� থেকে বিডিআর বিদ্রো� সময়ের প্রেক্ষিতে সব� তুলে ধরেছেন� টাইম ফ্রেমে� পরিবর্তন� চরিত্রগুলো� বয়ানে কাহিনীতে মোচড়ে� সৃষ্টি হচ্ছিল� সবচেয়� ভা� লেগেছে, বিনয� মজুমদারে� পার্টটুকু। রোমাঞ্চক� এক জীবনের যাত্রা অতিক্র� কাটিয়েছেন বিনয়বাবু। মিতিয়ার অংশটুকুত� দুঃখ লেগেছে বড়। অবশ্� গল্পের নায়কও কম যায় কিসে� ইল� রহমানে� সাথে দেখা হওয়ার ঘটনায় অসীমে� মত� আমিও আঁতক� উঠেছিলাম� মায়ানগর ব্যবহা� করার কারণ� প্রথমে একটু হোঁচ� খাচ্ছিলা�, ভাবছিলাম মিরপুর মায়ানগর� কিভাবে যাতায়াত সম্ভব। পর� অবশ্� আঁ� করতে পেরেছি, ঢাকা শহরেরই রূপক নামকরণ মায়ানগর� উপন্যাসে� শেষাংশ� অসী� কিংব� ইলার সাথে যে ট্রায়� দিয়� রহস্যময়তা সৃষ্টি তাতে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে বারে বারে, আদ� কি এর� বাস্তবিক চরিত্র নাকি গল্পকথকে� কল্পনা�

ঝিকঝিক কর� যেমন ট্রে� চল� তেমন� শব্দগুলো� ঝনঝনান� তে কাহিনী এগিয়েছে� দুর্দান্� এক লেখনী� বহুদিন পর ঢাউস সাইজের কো� বই একদিনে শে� করলাম। এই বই আপনাকে ভাবাবে, উপন্যাসে� গভীরতায� তলিয়ে নিয়� যাবে বহুদূর, ঘোরলাগ� যে পরিণতি� দিকে আমরা সকলে� মুখিয়� থাকি, সে পরিণতিতে� উপন্যাসে� যবনিকাপা� ঘটেছে। বল� চল�, একটি পরিপূর্ণ উপন্যাস।
Profile Image for Yeasin Reza.
468 reviews78 followers
February 14, 2025
সমসাময়ি� সাহিত্� নিয়� অনেকের� বিস্তর অভিযোগ� ভালো লেখা হচ্ছেন� হ্যানত্যান� মজার ব্যাপা� হচ্ছ� সাহিত্যে� ইতিহাস� যে যুগক� একসময় স্বর্ণযু� বল� অভিহিত কর� হয�, সেসময়কালে� কিছু মানু� থাকে যারা এস� বল� থাকে� আমার কথার মানে হচ্ছ� বর্তমা� বাংল� সাহিত্যে� সবটা� বর্জ্যপদার্থ বল� যারা সমসাময়ি� সাহিত্যক� বাতি� কর� দে� তাদে� ধারণ� পুরোপুরি সঠিক নয়। সত্যিকার ভালো উপন্যা� লেখা হচ্ছ� এব� বাংল� সাহিত্যে এর ধারাবাহিকত� চলতে থাকব� বল� আমার স্থি� বিশ্বাস। এনামুল রেজা'� ' চায়ের কাপে সাঁতার' কে আমার একখা� খাঁট� উপন্যা� বল� মন� হয়েছে� সেইসঙ্গে বছরে� অন্যতম সেরা তো বটেই�

সাহিত্যে মৌলিকত্ব বজায� রাখা খু� কঠিন জিনিস। পূর্ববর্তী মহান সাহিত্� থেকে বিচ্ছিন্� হয়ে কে� মহ� লেখক হত� পারেনন� আবার লেখায় নিজস্ব স্বকীয়তা বজায� রেখে অনবদ্য কিছু সৃষ্টিকর� বে� কষ্টসাধ্� কাজ। ' চায়ের কাপে সাঁতার' একান্ত ভাবে� এনামুল রেজা� নিজস্ব সৃষ্টি� কিছুটা আত্মজীবনীমূলক � বটে। উপন্যাসে� প্লট, ভাষারীতি আর অ্যাখানে� রহস্যময়তা সব� অভিনবত্বের দাবিদার। � উপন্যাসে� খামত� কিছু থাকল� হয়ত� থাকত� পারে তব� সেটা খেয়াল করবা� মত� অবসর পাঠক পায়না� চায়ের কাপে সাঁতার কাটত� পাঠক এত� নিমগ্ন থাকে যে এতকিছু ভাবত� সে যায়না� শুধু অনুভ� কর� চেনা জীবনের আড়ালে থাকে অন্য এক জীবনের রহস্যময়তা� হাতছানি।

সেপ্টেম্বর ২৩
Profile Image for Rehan Farhad.
178 reviews8 followers
April 15, 2024
লেখা� জাদুতে সাধারণ কথাই রূপকথা হয়ে যায়� সময় নিয়� পর� বিস্তারি� লিখবো। আগ� বইটা নিয়� ভাবনাচিন্ত� কর� একটু�
Profile Image for Zillur  Rahman Shohag.
45 reviews5 followers
March 29, 2023
মানু� হিসেবে এট� আমাদের সীমাবদ্ধতা যে আমরা কো� দৃশ্� বা ঘটনা� সবগুলো স্তর একসাথে দেখত� পা� না� অথ� ঐস� ঘটনা বা দৃশ্� মূলত মাল্টিলেয়ার ঘটনা বা দৃশ্যে� লব্ধি। খু� গভীরে ঢুকলেই কেবল তা টে� পাওয়া যায় এব� নির্মা� কর� যায় মাল্টিপল দৃষ্টিভঙ্গি।

একজন উপন্যাসি� যখ� দৃশ্� নির্মা� করেন তা� কাছে প্রয়োজনীয়তা� বিচারে প্রতিট� স্তরের যাবতীয় অনুষঙ্গই সমান গুরুত্বপূর্ণ� শুধু দৃশ্� বা ঘটনা� ভারসাম্যের জন্য� বিভিন্� অনুষঙ্গে� উপ� আলোপাতের কমবে� ঘটে।

এনামুল রেজা যখ� গল্পের ভেতর গল্প বলতে বলতে পাঠককে গভী� থেকে গভীরে নিয়� যা�, তখ� পাঠক সত্যিকার অর্থেই খোঁজ পেয়� যাবে সে� মধুভান্ডের� গল্পের প্রতিট� স্তরের বাস্তবতা, চরিত্রের শক্তিমতা নিঃসন্দেহে আঁচড� কাটব� পাঠকের মনে। এক পর্যায়ে মন� হব� এর� গল্পের একেবার� উপরে� স্তরের বাস্তবতা � কেন্দ্রিয় কুশিলগুলোক� ঠেলে সরিয়ে জায়গা কর� নিতে চাইছ� শক্ত� � প্রাসঙ্গিকতা� বিচারে�

উপন্যাসে বর্ণিত মায়ানগর রহস্যময়� অগনি� গল�-ঘুপচ�, নগরবাসী� আনপ্রেডিক্টেবল স্বভাব, শহ� ডুবিয়� দেওয়া বৃষ্টি কিংব� শহরময় দাপিয়� বেড়ান� বিষন্ন-স্যাঁতসেঁত� অন্ধকা� ইঙ্গিত দেয় একটা ডিস্টোপিয়ান সময়ের� মানুষগুল� তবুও এখান� আস� আটকে পড়ে ভাঙ্গাচোরা বাড়ির বেজমেন্টের অন্ধকা� গোলক ধাঁধায়। স্মৃতিকাতর মানুষগুল� হঠাৎ হঠাৎ মায়ানগর ছেড়� যাবা� জন্য মরিয়া হয়ে ওঠ�, ফিরে যেতে চায় পিছে ফেলে আস� ঘটনাবহুল জীবনের কাছে, স্বস্তির কাছে� কিন্তু আদ� কি তারা ফিরে যেতে পারে? কিংব� যারা শেষমেশ যদিওবা ফিরে যেতে পারে তারা হয়ত� ফির�� যায় সম্পূর্ণ ভিন্� বাস্তবতা� কো� সমান্তরা� সময়ে। সেখানে তা� নিজেকে মন� হয� আর� বেশী অনাহূত, বিচ্ছিন্ন।

ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে চাইল� ইতিহাসকে দেখত� হয� নিরপেক্ষভাবে � ভিন্� ভিন্� বাস্তবতায়� উপন্যাসি� এনামুল রেজা ইতিহাস � মিথক� এই উপন্যাসে এনেছেন তা� নির্মি� কাল্পনিক বাস্তবতায়� অতিচর্বন� ক্লিশে হয়ে যাওয়া ইতিহাসটা� এখান� প্রা� পেয়েছ�, প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছ� সাম্প্���তিক পপ কালচার জেনারেশনের কাছে ফিকে হয়ে যাওয়া রাজনীতিটাও।

একদি� নিজে� গল্পটা বল� হব�, এই আকাঙ্খ� নিয়� অনেকেই স্রে� মর� যায়� কে� কে� অভিজ্ঞতা কিংব� বোধে� উন্মেষ দিয়� জমিয়ে রাখা গল্পগুলোকে বিবি� অর্থ � ভাষা সহযোগে ভবিষ্য� শ্রোতা� কাছে কর� তোলে রোমাঞ্চক� � আগ্রহজাগানিয়া� অনেকেই অবশ্� এস� গল্পের উপযোগীতা স্বেচ্ছায় উপেক্ষ� কর� বা�-বিচারহী� গোটা জীবন কাটিয়� দেয়� কার্যকার� বিবেচনায� এই তিনে� পার্থক্য থাকলেও লা� লোকসানের হিসেবে সবাই এক প্রকার প্রাপ্তিশূন্য। গল্পের� আসলে বায়বীয়, আড়া� সন্ধান� মানুষগুলোর কাছে নিরাপদ আশ্রয়�

এস� স্রে� আমার এলেবেল� ধারণা। চায়ের কাঁপ হাতে নিয়� গল্পের চোরাপথ দিয়� অন্যকারো অভিজ্ঞতা� ভেতর ঢুকে পড়া� ক্ষেত্রে সাধারণতই আমার উল্লেখযোগ্� কো� প্রত্যাশ� থাকে না� তবুও হুটহাট আম� আটকে যা� অন্যকারো গল্পের ভেতর নিজে� ব্যক্তিগ� গল্পের সমিল খুঁজ� পেয়ে। আপ্লুত হই যখ� দেখি গল্পের� এগিয়ে চলেছ� আমার কাঙ্খি� রুপরেখ� ধরে। ব্যতিক্রমে কখনোবা আহ� হই, আবার চমকে উঠ� দৃষ্টিভঙ্গির নিত্� নতুন আবিষ্কারে। এই বোধট� সত্য � চিরন্তন।

উপন্যা� বলতে আম� বুঝি এম� এক বিস্তৃ� ক্যানভাস যাতে কর� স্থা�-কা�-পাত্রে� বিকাশে� সম্ভাব্য প্রায় সমস্� সঞ্চার পথের� ইঙ্গিত পাওয়া যায়� এনামুল রেজা� উপন্যা� "চায়ের কাপে সাঁতার" সে� অর্থ� দুর্দান্� একটা কাজ।
Profile Image for Mahadi Hassan.
116 reviews11 followers
June 12, 2023
ঠি� কত দি� পর� একটা প্রায় পাঁচশো পৃষ্ঠা� বই পড়ে শে� করলা�, চেষ্টা করেও মন� করতে পারলাম না� তা� আবার ভরপু� আনন্� আর তৃপ্তি নিয়ে। আনন্দে� কথাট� এজন্� টানলাম- বই পড়ুয়� মাত্রই উপলব্ধ� করতে পারবেন- হঠাৎ করেই একজন লেখকের মধ্য� নিজে� পছন্দস� লেখনশৈলী আবিষ্কার কর� ফেলা কি দারু� একটা ব্যাপা�; পাশাপাশি আজকা� কতটা রেয়ারও।

লেখক এনামুল রেজাকে আবিষ্কার করায� অবশ্� আমার নিজে� তেমন কৃতিত্� নেই। ভদ্রলোকে� সাথে কোনভাব� ফেসবুক� জুড়� গিয়েছিলাম� মেলায় বই বেরুচ্ছে, সে� সুবাদে উনার পোস্� প্রায়� চোখে পড়তো। এক� তো কখনও পড়ি নি আগ�, তারপ� জানাশোনা� নে�, বইয়ের জনরা অজান�, সাথে দুর্মূল্যে� বাজারে এত দামে� একটা বই... সব মিলিয়� চায়ের কাপে সাঁতার নামট� আগ্র� জাগাতে পারলেও কেনা� আগ্র� ছি� না� তারপ� একদি� রকমারি সার্� করতে করতে কী ভেবে দু চা� পৃষ্ঠা পড়লাম, এত� চুম্বকীয় লেখনী, এত� ভালো লাগছিল� যে সাথে সাথে অর্ডার করাও হয়ে গেলো� এম� লেখা� তো খুঁজ� আম�, � যে রত্ন! আর এতদি� পাত্তা দি� নি!!

বই হাতে আসার পর� সে� যে হাতে নিলা� একটু উলটে দেখব� বল�, আর নামানো� সুযো� পেলা� না� কিছু ব্যক্তিগ� কারন বশ� গত কয়ে� বছ� ধরেই আম� বইয়ের জগতে অনিয়মিত, সে� আমাক� বলতে গেলে ঘাড় ধর� চায়ের কাপে সাঁতার কাটত� বাধ্� করালেন লেখক� আর ৪৬� পেজে� বই শে� কর� থম মেরে বসেও থাকলাম বে� অনেকক্ষণ, ফুরিয়� গে�! বে� তো লাগছিল�

মায়াবী এক শহ�, মায়ানগর� গল্প কথকে� আগমন আর শহরে� সাথে নিজেকে ক্রম� খা� খায়িয়ে নেওয়া� চেষ্টা� গল্প চায়ের কাপে সাঁতার� জীবন যাপনের গল্প, সে� জীবন যাপন করতে করতে ক্রম� জীবনকে, জীবনের মানুষক�, এমনক� নিজেকে হারানো� গল্পও। আবার সে� হারানোকে খুঁজ� পাওয়া� চেষ্টায় আমাদের সম্ভাব্য অসম্ভাব্� সব অনুসন্ধানে� চেষ্টা� সেইস� গল্প পড়ত� পড়ত� আমরা কখনও অতীতে হারা�, কখনো নিকট, কখনোবা দূ� অতী�... কখনও আবার বর্তমানে� ক্লে� আর ক্লেশে জর্জরি� হই� তবুও আমরা বেঁচ� থাকি, বেঁচ� থাকা� চেষ্টায় হারিয়� ফেলা স্মৃতি গুলোকে� জীবনের আশ্রয় কর� বোধহয়...

পড়ত� পড়ত� গল্প কথকে� সাথে কোথায় যে� একাত্ম বো� কর� আমি। বাঘে� পেটে� ভেতর কর� মায়ানগর� না হলেও, বাসে কর� আমার� ওই বয়স� আগমন হয়েছি� জাদু� শহরে� সে� বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথ� দি� গুলো, শহরে� অলিত� গলিত� নিজেকে খুঁজ� ফেরা, গ্রামে� জন্য প্রা� আইটা� কর�, মা, মায়ের আদ�, বাবা� অভাব বো� করার দি� গুলো... সব যে� জ্যান্� হয়ে ফিরে আসছিল। অপরিচি� এই ঢাকাকে আপ� করার চেষ্টা, এইসব, যে� নিজে� জীবনকে� বইয়ের অক্ষরে খুঁজ� পাচ্ছিলাম। ভালো লাগাটা কী সেজন্য একটু বেশি�? এইসব নস্টালজিয়�? কে জানে!

বইয়ের প্রায় সব গুলো চরিত্র� রহস্যময়� লেখক বলতে গেলে কো� চরিত্রের� সমাপ্ত� টানে� নি� বিনয� মজুমদা�, লীলা মজুমদা� বা কা� বিশারদের কী হয়েছি� শে� পর্যন্�? কোথায় হারিয়� গিয়েছিল অসী� সরকা�? কেনই বা ছায়� হয়ে দূরে সর� গিয়েছিল ইল�? কো� কিছুরই কো� উত্ত� নে�, হয়ত� অর্থ� নেই। জীবনের� বা অর্থ কী, কেবল যাপন কর� যাওয়া, বাঁচতে চেষ্টা কর� যাওয়া ছাড়�?

বিশা� বড� বই, অনেক বিচ্ছিন্� ঘটনা� আনাগোন�, অনেক অর্থহী� দৃশ্যপ�... তবুও অস্তিত্ব� বে� ভালো রক� একটা ঝাঁক� দিয়� গে� যেন। কিসে� জন্য ছুটছ�, কে� ছুটছ�, তা� বিনিময়ে কী হারাচ্ছি, এই ছোটা� শে� কোথায়... সব মিলিয়� বই শে� করার সপ্তাহখানে� পরেও আম� এখনো অসংলগ্নত� থেকে বে� হত� পারি নি (এই লেখায়� বোধহয় তা� কিছু ছা� পড়েছে)� আর এজন্যই জন্য� � বইটা আমাক� আজ না হো� কা�, কিংব� আর� পর�, আবার তা� জগতে টেনে নিবে�
Profile Image for Shoroli Shilon.
144 reviews52 followers
Read
December 18, 2024
ক্লান্তিকর এক একটা দিনে পুরোনো কিছু নতুন কর� ভাববার যেমন আর ফুরস� মেলেনা তেমন� সেসমস্� দিনগুলোর ইস্তফা কি কর� টানত� হয� সেটা� আপাত� ভাবনার বিষয়।
সে ভাবনায� লাগা� দিয়� কালো কৌতুকে� পর্দ� টেনে আস� জীবন নামক দর্শন। তাতে ডু� দেওয়াটা� কি শ্রেয়? নাকি আজীবন সাঁতার কাটত� কাঁটতে সিসিফাসকেও হা� মানানো সহজ। কোনট� বেশি গৌরবের?
অথবা চিন্তা কর� যা� একটু অন্যরক� অনন্� এক জগতের। যেখানে আবছা আল�-আঁধারিতে খেলা কর� রহস্� অভিযানের�, কিছুটা ফ্যান্টাসি এব� অনেকটা দার্শনিক জিজ্ঞাসাকে টপকে বিস্মৃ� ইতিহাস � ঘেরা রহস্যময় এক ল্যাবরিন্থ..

সেখানে� কেন্দ্রবিন্দুত� কা� পাতল� শোনা যায় এক গল্প বলিয়ে� আশ্চর্� গল্প বলার ক্ষমতা� যে� অনর্গল ছড়া কাটছেন চঞ্চ� অসী� সরকারে�, মিরাকিউলাস ইল� মিত্রে� কিংব� হিউমোরাস কানা নেজামের। কিছুটা কা� টেনে প্রশ্বস্� করলে আর� শোনা যায় অতীতে� বিস্মৃতি� পাতা উল্টান� নস্টালজি� বিনয� মজুমদারে�, চিরযৌবনা লীলা মজুমদারে� কিংব� বেখেয়াল� নীরদের গল্প� ওদিক� গল্পের ক্লাইমেক্স ঠি� কো� দিকে মোচড� দিবে তা� এক অনুমেয� ভবিষ্য� আবিষ্কার করছে� কাকেদে� ভাষা বুঝত� পারা কাকবিশার�..

যেকোনো উপন্যাসক� তরতরিয়ে সাফল্য মঞ্চ� উঠিয়ে নিয়� যাওয়া� ক্ষেত্রে ধ্যা�-জ্ঞা� সব এক কর� লেগে পড়ত� হয� চরিত্র বুননের কৌশল�, গল্পের মোড়� মোড়� বাঁক দেওয়া রোমাঞ্চক� পরিস্থিত� তৈরিতে এব� উপসংহারে� বিশে� নজরদারিতে। গল্পকে মূলত প্রা� দেয় ডাইজেস্টিভ হিউমার আর নিজস্ব ক্রাফটিনেস এর এডভান্টেজক� কাজে লাগানো শব্দের পরিমিত খেলা� এসমস্ত প্রণালী অত� সুনিপুণভাব� সাজিয়� গুছিয়� তবেই মঞ্চের দিকে এগিয়েছে লেখক� ফলাফলঃ একশোতে দেড়শো!
সঙ্গ� মুগ্� হয়েছি তা� অসম্ভব সুন্দর গল্প বলিয়ে স্বভাবের� আবার চরিত্রের নামকরণেও দিয়েছেন বিশে� নজরদারি।

কিছু প্রশ্ন জেঁক� বস� মাথায়� এই যেমন-
বিনয� মজুমদা� কি আসলে� বিনয়ী?
চিরযৌবনা এক মধ্য বয়সী নারী� না� কেনো� বা হল� লীলা মজুমদা�?
যা� ভাবন� অসীমে বিস্তৃত। তিনি� কি অসী� সরকা�?
নামহী� গল্পকথ� কি তাহল� ‘আইডেন্টিট� ক্রাইসিস� � ভুগব�?

এতসব প্রশ্নকে পা� কাটিয়� চায়ের কাপে কখনো সোজা কখনো উল্ট� সাঁতার কাটত� কাটত� অথবা ভাসত� ভাসত� বু� হওয়� যা� ন্যান্সি সিনাত্রা� সেনশনা� কন্ঠের,

‘I was five, and he was six
We rode on horses made of sticks
He wore black, and I wore white
He would always win the fight
Bang bang. He shot me down
Bang bang. I hit the ground
Bang bang. That awful sound
Bang bang. My baby shot me down'
Profile Image for Peal.
199 reviews13 followers
March 20, 2024
‘চায়ে� কাপে সাঁতার� নিয়� পূর্ণাঙ্� কিছু লেখা সম্ভ� না� � নিয়� প্রায় দি� পনের� ভেবেছি� ভেবে ভেবে কয়েকট� বই শে� করেছ� অতৃপ্ত এক খচখচ� বাসন� নিয়ে। যা বুঝলাম, � নিয়� সর্বোচ্চ কিছু অনুভূত� জোড়াতাল� দেওয়া যায়� তা করতে গেলে আরেকবা� টেবিলে বসতে হব� পেয়াল� সমেত চায়ের কা� নিয়�, সাথে প্রয়োজন হব� অখণ্� এক অগোছাল� খসড়ার� লিখত� লিখত� হয়ত� আমার ঘু� পেয়� বসবে অথবা ডুবে যেতে পারি ভাবালুতায়� কারণ ব্যাকগ্রাউন্ডে তখ� বাজব� ন্যান্সি সিনাত্রা� ‘ব্যাং ব্যাং� গানে�
‘He wore black, and I wore white
He would always win the fight�

অথবা,

‘Now he’s gone, i don’t know why
Until this day, sometimes i cry�... লাইন দুইটি।

ওট� কাটাতে ঘনঘন না হলেও কিছুক্ষণ পরপর চুমু� দিতে হব� সে� চায়ের কাপে� লিকা� কড়া না-কি ঘন দু� মেশানো চা, সে খব� আমার জানা থাকব� না� শুধু চুমুকট� শে� হতেই ফিরে যা� মনিটরে আবদ্� ওই নী� ডকের সাদা অশূন্য পেজে, অন্ত� কিছু শব্দের অস্তিত্ব থাকব� সেখানে� আর থাকব� আঙুলের নিচে ধুলো জম� ছাব্বি� বা তারও বেশি বিশ্বস্ত চাবি� গুটি� যারা চলবে খটাখ� খট খট খট শব্দ� তুলে� আম� হারা� তাদে� একঘেয়� গণ উল্লাস�, মুখরিত হব� আমার নীরব কক্ষ� এক সময় সেখানে নামব� প্রব� শূন্যতা। তখনই হয়ত� আম� আস� অনুভূত� লিখত� সক্ষ� হব� এর আগ� চায়ের কাপে সাঁতার কাটব, একেবার� ডুবে, যা কেবল� নির্জন শূনত্যার একটি অদৃশ্য অং� হিসেবে বিবেচি� হবে। অনেকটা ভাসা ভাসা ধূসর ছায়� কিংব� খস� পড়া নক্ষত্রে� মতো।

এর অর্থ সহ�, আম� ‘চায়ে� কাপে সাঁতার� কিংব� সংক্ষেপে ‘চাকাসাঁ� নিয়� কিছু� লিখছ� না� যা লিখছ�, তা কেবল� অব্যক্�, অগোছোল�, অসামাজিক, অকল্পনীয় � অসচরাচ� কিছু শূন্যতায� ঘেরা এক শহরে� গল্প�

‘এমন শহরও কি আছ�, যেখানে গেলে জীবন থেকে হারানো সব� ফিরে পাওয়া যাবে?� ─বাস্তবতা� বিচারে সম্ভ� না হলেও অবাস্ত�... না, জাদুবাস্তবতা� বিচারে অবশ্যই আছে। কীভাবে? তা� জন্য এক গল্প কথকে� সাথে পরিচিত হত� হবে। যা� কোনো না� নেই। তাকে আমরা চিনি স্রে� একজন নামহী� কথ� হিসেবে� সে আমাদের এক কিস্‌স� শোনায়� মায়ানগরের� � নগ� কব� প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা� আদ্যোপান্ত জানা না গেলে�, পরিচিত এক শহরে� সাথে এর আবার ভীষণ মিল। এমনক� সময়� সময়� ঘটমা� ঘটনারও� কিন্তু অমিলের� কমতি নেই। সে� অমিলের মধ্য� জেগে থাকে কিছু চরিত্র� যাদে� আমরা আগন্তু�, অবয়� কিংব� অভাবহী� বলতে পারি� আহ... অভাবহী� বলতে একজনের না� নিতে হয� শুরুতে� সে হল� কানা নেজাম। আজ্ঞ�, ঠি� শুনেছেন। কানা নেজাম। না, ভু� করবে� না, সে আপনা� গলির মোড়� অথবা কোনো প্রধান সড়ক� দাঁড়িয়� থাকা মহ� প্রা� কোনো সচ্ছ� ব্যক্ত� নয়। � হল� একজন ভিক্ষুক। পাহ্লবী বাসস্টপে� চিরবন্� পত্রিক� স্ট্যান্ডটির সামন� দাঁড়িয়� ভিক্ষে করে। এভাব� বলাট� খু� রূঢ় মন� হল� ক্ষম� করবেন। � ভিক্ষুকে� আবার কিছু অসাধার� প্রতিভ� আছে। সে আমাদের চেনা পরিচিত শহরে ঘুরে বেড়ান� অথর্� ওস� কালপ্রিট ভিক্ষুকদের মত� নয়। তা� একটি ছড়া আছ�, ওট� কেটে � ভিক্ষে করে। শুনবেন?

‘যদি জোটে একটি পয়স�
খাদ্� কিনি� ক্ষুধা� লাগি
জোটে যদ� এর� অধিক
আমায� ভিক্ষা দি� অনুরাগী�

এম� দরদমাখ� কণ্ঠ� যখ� আপনি এক ভিক্ষুকে� থেকে ছড়া শুনবেন, তখনও কি ভিক্ষে না দিয়� থাকত� পারবেন� বো� হয� পারবেন না� তা� � অভাবহীন। তা� ওপ� কানা নেজা� শুধু ভিক্ষে কর� না, আর� কী কী যে� করতে পারে� ওটার রহস্� আমাদের নামহী� কথ� ধরতে পারেনি� হয়ত� কোনোদি� পারব�, না পারলেও খু� একটা ক্ষত� নেই। যাহো�, ওর প্রভাব কাটত� না কাটত� গল্প� ঢুকে পড়ে অসী� সরকার। আরেকজন ছড়াকার। ছড়া কেটে কথ� বলাত� যে পারদর্শী� গল্প কথকে� একমাত্� জিগর� দোস্ত। যা� সাথে শেয়ার কর� যায় ভ্যালু না� থেকে গোপনীয় এম� সব কথা। থাকে না এম� বন্ধ� আপনাদে�, যে আপনা� এম� সব গোপন তথ্য জানে যা আপনা� ছায়াও জানে না... অমনট� আরকি� আর ওস� কথার টপিক� ভরপু� থাকে নিষিদ্� সব জিনিস। প্রব� আকর্ষি� কিন্তু গোপনীয়�

নিষিদ্ধতার কথায� মন� হল� আর� একটি মজার বিষয� আপনাদে� সাথে শেয়ার কর� উচিত� আপ� বন্ধুর মতো। প্লি� কাউক� বলবে� না যেন। অসী� সরকারে� সাথে ইল� রহমানে� প্রে� ছি�... না হব� হব� করছি�... না...� বুঝত� পারিছি নে শাইয়ো (একটি গালি যা দি� কানা নেজা�, আমিও দিলা�)� কিন্তু যতদূ� জানি আমাদের গল্প কথ� এমনট� বলেছিল� অবশ্� সে নিজে� যে বন্ধুর প্রেমিকা� প্রেমে বা� দুয়েক পড়েনি তা মিথ্যা বলিব না� কিন্তু অসীমে� প্রে� আর শূন্যত� একটু কেমন যেন। সে প্রেক্ষাপট� আস� আর যায়� দরকারে ধর� দেয়� আবার হারায়� নামহী� কথ� শুনেছে বিদ্যাকুঞ্জে� এক শিক্ষিকা� বাসায় এক� না-কি তা� যাওয়া-আসা। ওই মহিল� এক মেজর শহিদ বংফোর্সে� স্ত্রী� না� জাহানারা� সীবা বিদ্রোহে মরেছেন তা� স্বামী� যা নিয়� মায়ানগর� চলছে এক ভীষণ তোলপাড়। ওস� স্মৃতি নিয়� হারিয়� গে� অসী� সরকার। ক্ষণিক অথবা দীর্� সময়ের জন্য�

গল্প কথকে� অবস্থা� বিষয়ক কিছু তো জানানো হল� না� জানাচ্ছি তা� উৎপত্ত� � পরবর্তী গন্তব্যস্থ� নিয়ে। শুরুটা হয়েছি� তা� গ্রা� থেকে� ওখান থেকে মায়ানগর� আসতে হত� বাঘে� পেটে করে। এসেছিল ও। বিদ্যাকুঞ্জে ভর্ত� হতে। থাকা� সি� মিলে নেসা� গাজী� হোটেলে� লিখি� কিছু নিয়মে বন্দ� সে� জীবন� রহস্যে ভরপু� সে� হোটেলে� সাথে গল্প কথকে� স্মৃতিটুকু খু� একটা সুখক� নয়। নিজে� সাথে ঘট� যাওয়া কালো কাহিনি� সাথে রুমমেট নৃপেনে� সংবাদপত্রে উচ্চ স্বর� পড়া � র্� � সংক্রান্� খবরে� দরুন� কি তাকে ছাড়তে হয়েছি� সে� হোটে�? না রয়েছে ভিন্� কোনো রহস্�? সেদি� যদ� বিনয� মজুমদা� অসুস্থ না হত�, তব� কী হত� গল্প কথকে�?

গল্পের চাকা ঘুরে যায় অতীতে� সে� দু� বাংলার যুদ্� সময় কালে� গল্প কথকক� হটিয়ে সে� সময় চালকের আসনে বসেন বিনয� মজুমদার। অতীতে হারা� তিনি� গল্প করেন দুয়েকজন হারানো সাহিত্যি� নিয়ে। আমিও হারা� তা� সাথে� চিরযৌবনা লীলা মজুমদারে� স্বামী তিনি� যা� প্রত� নিষিদ্� এক টা� কা� কর� নামহী� কথকের। কী কারণ�? মজুমদা� পরিবারের একমাত্� ছেলে নীরদ আবার কথকে� বন্ধু। যাদে� কোনোমত� টিকে থাকা ঘরটিতে পরবর্তীতে অনির্দিষ্টকালে� জন্য সাবলেট থাকে সে� নীরদের সাথে ওদিক� সুপর্ণার গভী� প্রেম। সে� প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন লীলা মজুমদার। কে�?

এর পরপর� হয়ত� শুরু হয� চাকাসাঁ’র মূ� গল্প� গল্প না আসলে, এক জাদুবাস্তবায� মোড়� আখ্যান� বর্তমা� থেকে অতী�, তারপ� বিক্ষিপ্� কিছু স্মৃতি� রেখা মিলেমিশে চলতে থাকে একাকার হয়ে�

আপনাকে যদ� বল� হয� ফ্রানৎসা কাফক�, ���্যুন্টা� গ্রা� � গাবরিয়ে� গার্সিয়� মার্কে� কে� সেরা... আপনি হয়ত� খু� না ভেবেচিন্তে উত্ত� দিবে� তাদে� বিখ্যা� ‘দ্য মেটামরফোসিস�, ‘টিন ড্রাম� � ‘হান্ড্রেড ইয়ারস� অভ সলিচিউড�-এর জন্য� আগামীতে... হয়ত� আজ থেকে আর� বছ� পাঁচ-দশেক পর� আমাক� যদ� কে� ‘এনামু� রেজা� কে� সেরা জিজ্ঞে� করে। আম� হয়ত� না ভেবে� উত্ত� দি� ‘চায়ে� কাপে সাঁতার�-এর জন্য� চাকাসা� উপন্যা� লিখত� তিনি কাটিয়� দিয়েছেন দীর্� ছয়ট� বছর। জানি না, এই ছয� বছ� কি শুধু এই উপন্যাসে� পিছন� সময় দিয়েছেন কি না� আমার পাঠক কা� নব্য উউত্থাপি� লেখক সত্ত� হিসেবে বিষয়ট� জানত� ইচ্ছ� করছে� কৌতূহলী হয়ে জানত� চাইন� কখনও� লেখক উত্ত� দিলে হয়ত� খুশি হব�

চাকাসা� উপন্যাসে� গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের কথ� তো আপনাদে� এখনও বলাই হয়নি। তা� না� কা� বিশারদ� যে কাকেদে� সাথে ভা� বিনিময� করতে পারে� তাদে� রহস্যময় ভুবন� যা� প্রবেশাধিকার আছে। সম্পর্কে তিনি নীরদের মামা� কিন্তু কেমনতর মামা... তা এক রহস্য। গল্প কথকে� সাথে তা� পরিচয় খু� অদ্ভুত উপায়ে� ওস� আম� ব্যক্ত করছি না� আর� করছি না সে� নামহীনদের সভ� নিয়ে। যেটা বস� শহ� থেকে বহুদূর নির্জন এক প্রাচী� বৃক্ষে� নিচে� কেমনতর সে� সভ�, তাদে� উদ্দেশ্য বা কী, জানত� হল� চায়ের কাপে সাঁতার কাটা জরুরি।

এখ� কিছু উপলব্ধ� শেয়ার কর� যাক। চাসাকা� আম� দীর্� সময় নিয়� শে� করেছি। লেখকের অদ্ভুত মায়াময় অথ� পরিচতে� জগতে� ভেতর� কাটিয়� দিয়েছ� গণনাহী� অনেকগুলো দিন। বইটি আম� প্রচণ্� কাজে� চাপে ফাঁক�, চেয়ার� বস�, চট্টগ্রা� হত� ঢাকা যাত্রাপথ�, ঢাকা হত� ফিরত� বাসে... পুনরায� নি� ঘর� এস�, এক রাত্রিতে শে� কর� ডু� দিয়েছিলাম শূন্যতায়। এর দি� কয়ে� পর্যন্� আম� আর কোনো বই হাতে নিইনি। এমনট� শে� হয়েছি� ‘মাহাবুব আজাদ�-এর বড়োদে� রূপকথা ‘আগুনি� শে� করার পর� দীর্� বারো-� পাতা আম� ছাব্বি� দিনে পড়ে মন� হয়েছি� বাংলায� আর কোনো উপন্যা� না পড়লেও চলবে আপাতত। কিন্তু এরপরেও আমাক� বহ� লেখা পড়ত� হয়েছে� এব� প্রায় দেড় কি দু� বছ� পর এস� ‘চাকাসাঁ� পড়ে আমার অনুভূত� হয়েছে ঠি� সেদিনকার মতো। এই অনুভূতিগুল� এক ধরনে� প্রশান্ত� এন� দেয়� তব� সেটা চাপা�

চাকাসা� আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকব� এর সমাপ্তির জন্য� না শুধু সমাপ্ত� না� উপন্যাসে� শুরুটা এত কাব্যি� যে শুরুতে গল্পের ভেতর� চাঁদের আলোর মত� গল� ঢুকে যাওয়া যায়� লেখকের ভাষারীতি মায়াময়� কেমন এক আপ� আপ� গন্ধ পাওয়া যায় সেখানে� চরিত্রগুলো� কর্মকাণ্� আর তাদে� মুখনিঃসৃ� বাহারি সংলা� অন্যরক� ভালোলাগা এন� দেয়� ঠেলে দেয়� এক অন্য দুনিয়ার চেনা জগতে� প্রচণ্� ঘো� সেখানে� সে ঘো� কাটাতে প্রয়োজন হয� চায়ের�

শুধু তা-� নয�, এত� আছ� ফ্যান্টাসি� শৈল্পি� ছোঁয়া, নদ্দ� বুড়ির মৃত্যু রহস্� কিংব� বেদেকন্য� মিতিয়ার অন্তর্ধানে� গল্প� দর্শ� তো ছোঁয়া যায় না এম�, শুধু উপলব্ধ� কর� যেতে হয়। ভ্রমের মতো। ভ্রম নিয়� লেখক লিখেছে�:

‘ভ্র� বল� কিছু নে� পৃথিবীতে� মানবসমাজ� এই দর্শনটাই এক ধরনে� ভ্রান্তি আসলে� বিভিন্� বাস্তবতা� বিভিন্� চেহেরা থাকে� প্রকৃতির চক্র� চেনা বাস্তবতা থেকে শাফল হয়ে অন্য বাস্তবতায় পা রাখলেই মানু� ভাবে যে তা� ভ্রম হচ্ছে। নিম্নপর্যায়ের বুদ্ধিমত� হিসেবে এট� তা� ডিফেন্� ম্যাকানিজম।�

আমার� বো� হয� ঠি� তা-� হয়েছিল। যেমনটা হয়েছি� পরিত্যক্� ডাটসান ৫১ ব্লুবার্�-এর ক্ষেত্রে� যেটা ঘুমিয়� থাকে নীরদদে� গ্যারেজে� কী কারণ� তা জানত� পারবেন কেবল সাঁতার কাটা শেষে�

চাকাসা� গল্পটি ঠি� কা�? গল্প কথকে� না বাকি চরিত্রদে�? না জীবনের? জীবন কী...

‘জীবন সাঁতার
জীবন বিবি� রকমে� পানিতে সাঁতার�
কানা নেজা� এক ধরনে� পানিতে�
অসী� সরকা� এক ধরনে� পানিতে�
বিনয� মজুমদা� আর লীলা মজুমদারে� পানি� ভিন্ন।
ভিন্� নীরদ আর সুপর্ণার সাঁতারের পানি�
কিন্তু সবার একটা কম� সুইমিং পু� আছে। সে� কম� জলাধারটা ঠি� কোথায়?�

আর� যদ� যো� কর� তব�... চাকাসা� এক তিক্� বাস্তবতায় মাখা গল্প� হয়ত� পৌরাণি� কালো রসিকতার। যা আমরা ভুলে যেতে চা� বিস্মৃ� ইতিহাস ভেবে� কিন্তু ইতিহাসের নবজাগর� ঘটে। আর সেইস� ঘটায� এম� কিছু লেখক, যারা চাকাসাঁর মত� উপন্যা� লিখে� কম� জলাধারটা ঠি� এখানেই� কে� কে� শুধু গল্প বল� না... এম� কৌতু� কর� যা জীবনের গল্প হিসেবে ফুটে উঠ� জলাধারের মাঝে� এস� গল্প মোহাবিষ্�, মিথ্যা মন� হয়। কিন্তু এর গভীরে লুকানো থাকে কেবল� সত্য�

আর এভাব� গড়ে উঠ� কোনো জাদুবাস্তবতা� গল্প�

চায়ের কাপে সাঁতার
এনামুল রেজা
আদর্�
Profile Image for Ahmed Aziz.
340 reviews62 followers
February 24, 2025
হয়ত� মানুষে� জীবন এরকম� অর্থহী� স্মৃতি� জোড়াতালি। মৃত্যু� কি শুধুমাত্� হারিয়� যাওয়া সবকিছু ফিরে পাওয়া� একমাত্� উপায�???

বাংলায� বর্তমা� সময়� লেখা অন্যতম শ্রেষ্� উপন্যাস।
Profile Image for Heisenberg.
137 reviews6 followers
March 25, 2024
কি লিখব�? এমনিতে� কখ� � কিছু� গুছিয়� লিখত� পারি নি, এই বই নিয়� সেটা আমার জন্য� অসম্ভব...
Profile Image for zidanepiz.
19 reviews1 follower
March 26, 2025
রা� � টা ১৮ মিনিটে ৪৬� পৃষ্ঠা� সমাপ্ত�; এক ধী� গতির ‘ফিভার ড্রিম� এর অবসান।

সাধারণ� কোনো বই পড়ত� গেলে শব্দ আর পৃষ্ঠা� অনুপাত � এডাপ্ট করতে কিছুটা সময় লাগা� পর একটা ফ্লো চল� আসে। বইয়ের কথাগুল� সাবলী� মন� হয়। কিন্তু এই বইটা কেমন যে� উল্ট� কা� করল। যত� তাড়াতাড়ি করতে যা�, সময় আর� বেশি লাগে�

সময়জ্ঞানবিহী� এই বইয়ের প্রত্যেক অধ্যায� নিজেদে� মধ্য� ইন্টারকানেকশ� সবসময় রাখত� চায় না� লেখক জো� কর� কানেক্� করায� দেন। এইরক� ঘো� � ঘেরা ন্যারেটি� এর জন্য সেটা কোনো এক ভাবে পারফেক্ট�

পুরা উপন্যাসট� অর্ধযু� এর পরিক্রমায় যে সুগঠিত রূ� নিয়েছ�, তা� জন্য এর চরিত্র গুলা মোটে� সিরিয়াস না� তারা নস্টালজি�, ট্র্যাজি� আবার কখনো �,ডেভোইড অফ এন� ইমোশন’। তারা একেকজন কবিত� লাভা�, কিন্তু শে� পর্যন্� নিজেকে ভালোবাসত� দ্বিধাগ্রস্ত�

গুজব তৈরি� কারখানার টেমপ্লেট� তাহারা একেকজন বি লাইক:
অসী� সরকা�: “ভাল� আছ�, ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লেখো�
ইল� রহমা�: “টুই� পিকস: ফায়ার ওয়া� উই� মি�
দা থার্� হুইল: “স্বপ্� যাবে বাড়� আমার�
আর বিনয� মজুমদা�? সে তো নায়�!
বাকিরা বাকিদে� জায়গা থেকে কন্ট্রিবিউশন দিয়� গেছে�

এই গল্পের শুরুটা ছি� টুকর� টুকর� হয়ে, সে� টুকর� গুলো� ব্যাপ্তি� কোনো সীমা ছি� না� পুবপাড়া টু মায়ানগর - আপডাউন টিকেট। ভায়� নেসা� গাজী� হোটে�, বিদ্যাকুঞ্�, ঝিকুরগাছ� এন্ড মেনি মো�! অসম্ভব সুন্দর এই যাত্রা� সমাপ্ত� ছি� মনের মত�

২০২৫ এর পড়া শ্রেষ্� (বা অন্যতম শেষ্�) বই�
Profile Image for Aritra Chatterjee.
Author3 books16 followers
April 9, 2024
4.5/5 � সাম্প্রতিক কালে বাংল� ভাষায় যে'কট� উপন্যা� পড়েছি , তাদে� মধ্য� নিঃসন্দেহে এট� অন্যতম� লেখক তাঁর এই উপন্যাসে একটি নিজস্ব জগ� গড়ে তুলত� পেরেছে�, যা একইসাথ� জাদুবাস্তবতা � তাঁর দে� কা� সময়ের বর্তমা� � সাম্প��রতি� অতীতে� টালমাটাল পরিস্থিতির পরিচায়ক � এই উপন্যাসে� কাহিনী� অন্তর্নিহি� যে রহস্যময়তা, লেখক তাকে তুলে ধরেছেন, তা� জা� বিস্তা� করেছেন ধীরে ধীরে, কিন্তু তা� অহেতুক বলপূর্বক সমাধানের পথ� হাঁটেননি, বর� নিরাসক্ত কুশলতায় তাকে পাথেয় কর� তৈরি করেছেন ননলিনিয়ার এক আশ্চর্� ন্যারেটিভ। ভবিষ্যতে এই লেখকের আর� লেখা পড়বার ইচ্ছ� রইল।

পু�- বইটি� প্রচ্ছদে� ছবিট� ব্যক্তিগতভাব� আমার বে� পছন্� হয়েছে � Rusty Lake এর কে� ফ্যা� থাকল� এই ছবিটির সাথে তারা হয়ত খানি� রিলে� করতে পারবেন�
Profile Image for Mahrin Ferdous.
Author8 books194 followers
June 5, 2023
আকার� দীর্� কো� উপন্যা� বেটা রিডা� হিসেবে পড়ে ফেলা� কিছু সুবিধা � অসুবিধ� আছে। সুবিধা হল�,পাঠক হিসেবে অনেক আগেই উপন্যাসট� উপভো� কর� যায়� আর অসুবিধ� হল� বড� উপন্যা� নিয়� বিস্তারি� পা� প্রতিক্রিয়া দিতে চাইল�, 'আরেকবা� উপন্যাসট� পড়ে নে� এরপর লিখব�' ধরণে� মানসিকতা কা� করে। অথ�, প্রস্তুত� আর লেখা� উদ্যমটুক� বা� বারই পিছিয়� যায়�

এনামুল রেজা� 'চায়ের কাপে সাঁতার' উপন্যাসে� ক্ষেত্রে� তা� ঘটেছে। কিন্তু, কখনও কখনও দীর্� পথ পাড়� দেবা� সফলতার চেয়�, পথ� নেমে পড়া� অভিজ্ঞতা নিয়� বলাট� বেশি জরুরী� সে� চিন্তা থেকে� বলতে হয�, 'চায়ের কাপে সাঁতার' উপন্যাসটির সাথে একজন পাঠক হিসেবে সপ্তাহখানে� বে� ভালো সময় কেটেছিল। গল্পের ভেতর গল্প বলার যে দক্ষতা রেজা এই সৃষ্টিতে দেখিয়েছ� তা দুর্দান্ত। গল্পকথকে� চোখে দেখা চরিত্রগুলো� সংকট � মায়ানগরের রহস্যময় পথ� তাঁদের বিচরণে� প্রভাব পাঠকমন� ভিন্� ধরণে� আগ্র� জাগাবে� তব� আমার ব্যক্তিগ� মতাম� হল�, জাদুবাস্তবতা, টাইম জাম্� আর ইতিহাসের দৃশ্যমান � অদৃশ্য সক� উপস্থাপনসহ উপন্যাসে� পরিধির লাগামট� যদ� আরেকটু নিরন্ত্র� কর� যে� তাহল� পুরো ভ্রমণটাই হত� টানটান� উপন্যাসে� শেষটুক� অস্পষ্� হলেও চমৎকার ঘোরলাগা। কিছু জায়গা থেকে প্রশ্ন থেকে গেলে�; উত্ত� খোঁজার চেয়� পা� অনুভূত� উপভো� করাই বেশি জরুরী মন� হবে।

রেজা যে আঙ্গিক� তাঁর উপন্যাসে� জগ� সৃষ্টি করেছ� সেখানে চিন্তাশী� পাঠকদে� অবাধ বিচর� ঘটুক সে� শুভকামনা থাকলো।
Profile Image for ANIT.
83 reviews1 follower
March 3, 2024
চায়ের কাপে সাঁতার নাকি চায়ের কাপে ডু�?


লেখকের চিত্তাকর্ষ� সাহিত্� প্রতিভ� নিঃসন্দেহে আখ্যানের জটিল স্তরগুলি� মাধ্যম� প্রদর্শি� হয়েছে, ধীরে ধীরে নিজেকে উন্মোচ� করেছ� এব� অধী� আগ্রহে অনুসন্ধা� � উদ্ঘাটনে� অপেক্ষায� রয়েছে বইয়ের পাতায় পাতায়� অসীমে� সেন্� অফ হিউমার এব� মন্ত্রমুগ্ধক� কবিতার গভীরত� অন্বেষ� করুন, নেজামে� চতুর কৌশল এব� ধূর্� উপায়ে অনুসন্ধা� করুন, বিনয়ে� প্রাণবন্� যৌবনের গল্পগুলি উন্মোচ� করুন, ইলার কষ্ট� ব্যথিত হও�, নিরদের গভী� প্রেমে� তীব্রত� অনুভ� করুন বা নিজেকে নিমজ্জিত করুন কাকবিশারদে� মনোমুগ্ধকর গল্পে। এই আখ্যানগুলি� প্রতিট�-� একটি অনন্� এব� বাধ্যতামূল� ভ্রমণে� প্রস্তাব দেয় যা মুগ্� করবে এব� অনুপ্রাণিত করবে� আপনা� অ্যাডভেঞ্চার চয়ন করুন এব� গল্পগুলি আপনা� সামন� উন্মোচিত হত� দিন। কিসে ডু� দিতে চা�? একবা� দিয়েই দেখেন।



দর্শ�+ফ্যান্টাসি+ রহস্� �

বিগত কয়েকদিন ধর� ঘোরে ছিলা�, ঠি� কি লিখলো।
হাইল� রিকমেন্ডেড�
★★★★�
Profile Image for Shishir.
122 reviews28 followers
January 31, 2025
"জীবন কখনো চমৎকার শুরু হওয়� সে� বইটা� মতো। কয়ে� অধ্যায়ে� শেষে� যা ঝিমিয়� পড়ে, তখ� বইটা আমরা জানালা দিয়� ছুড়� মারত� চাই। এমনক� কে� কে� ছুড়েও মারি� জানালা গল� বইটি উন্মুক্ত বাতাসে ভেসে ভেসে নিচে পড়ত� থাকে�

বিনয� মজুমদা� অবশ্� � ব্যাপারে উল্ট� মতাম� সেধেছিলেন। এক শীতে� সন্ধ্যায� আমাক� বলেছিলেন, 'জীবন হল� সে� বই, যা গাদা গাদা রিপিটেশন� ভরপুর। বোরিং।'

'ভালো জিনিসে� রিপিটেশন কি ভালো না?�

ছোট্� একটা টুলে বসেছিলাম আমি। হাতে ধর� চায়ের কা� থেকে উড়ছিল ধোঁয়া� চারদিক� ধীরে ধীরে নামছিল হিম।

বিনয� মজুমদা� তা� রুমে� ব্যালকনিতে দাঁড়িয়� নর� কণ্ঠ� জবাব দিয়েছিলেন, ‘ভাল� জিনিসে� রিপিটেশন কি হয�? পৃথিবীতে কেবল এক� বিষা� বারবার ফিরে আস� অথ� একটা সুখে� দ্বিতীয় জন্ম হয� না"�


- বড়দের রূপকথা বো� হয� এমনই হয�, অপূর্ব !!
Profile Image for Fahmida Rini.
67 reviews27 followers
May 16, 2024
বইয়ের শুরুটা খু� অদ্ভুতভাবে হয়েছে, একজন অন্ধ ফকিরকে দিয়� যে কি-না রাস্তা� পাশে দাড়িয়ে পথচারীদে� উদ্দেশ্য� একটা� গা� গেয়� যায়�

প্রথ� দেড়� পে� পড়তেই আমার সবচে বেশি অসুবিধ� হয়েছে, শুরুতে গল্প বে� ধীরগতিতে এগিয়েছে এব� এক� এক� চরিত্রের আগমন ঘটছিলো�

প্রায় পাচশ� পাতা� এই অদ্ভুতুড়ে বই আম� পড়ে যাচ্ছিলা� জানত� যে লেখক এতোগুল� পাতাজুড়� আসলে কি লিখেছে�
অসী� ধৈর্য্� নিয়� দেড়� পাতা পড়া� পর গল্পের মূলধারায� প্রবেশ করতে পেরেছি�

মূলত শুরুতে অনেকটা অংশজুড়ে ছাড়াছাড়াভাবে গল্প চলছিলো এব� ঠি� কি ঘটছে সেটা শুরু হয� দেড়�-দু'শো পৃষ্ঠা পা� হবার পর�

গল্প দু'টো ধারায় এগিয়েছে, একদিকে সমসাময়ি� ঘটনা যে জীবনের কথ� বলছে� নামহী� এক কথ�, আর একদিকে আমাদের নামহী� কথকে� বাড়িয়ালা বিনয� মজুমদারে� ভাষ্যে চলছে মুক্তিযুদ্ধকালী� সময়ের ঘটনা�
মজার ব্যাপা� হচ্ছ� মুক্তিযুদ্ধকালী� সময়ের বর্ণনা শুনলেই যেমন দেশাত্ববোধ, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কথ� এস� পড়ে � গল্প� তা নেই। বর� একজন রাজনীতি� সাতে-পাচে না থাকা সাধারণ নাগরিক মুক্তিযুদ্ধে� সময়টায় পরিবার থেকে বিচ্ছিন্� হয়ে ঠি� উদ্দেশ্যহী�, প্রায় পলাতকে� মতোন যেভাবে দিনযাপ� করেছ� তা উঠ� এসেছ� � অংশে�
'বিনয� মজুমদা�' নামট� শুরুতে� আমাক� ভাবিয়েছিল� � হয়ত� কব� বিনয� মজুমদারে� গল্প, গল্পের বিনয়ও কবিত� লেখে� তব� পশ্চিমবঙ্গের যে বিনয়ে� কথ� শুরতেই মাথায় আস� ইন� সে নন�

ডিস্টোপিয়ান ধাচে� যে একমাত্� বইটি আম� এর আগ� পড়েছি তা ছিলো সুহা� রিজওয়ানের লেখা 'গ্রাফিতি� প্রশ্ন কর�'� এই বইখানা� ডিস্টোপিয়ান ধাচে� কিছুটা, এব� অতিবাস্তবত� কিংব� জাদুবস্তবত� আছ� আর� অনেকটা অংশজুড়ে�
(জাদুবাস্তবতা নিয়� কমবেশি শুনলেই � ঘরানার কোনো বই আমার আগ� পড়া না হওয়ায� 'চায়ের কাপে সাঁতার' ঠি� 'জাদুবাস্তবতা' জনরায় পড়ে কি-না আমার জানা নেই।)

নামহী� কথকে� সাথে দিনেদুপুরে চায়ের দোকানে ঘট� যাওয়া ঘটনাটা� আমাক� ধাক্কা দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিলো� প্রায় অনেকটা সময় লেগেছে আমার এই ঘটনা হজ� করতে (হজ� হয়ন�)� এব� সমসাময়ি� ধারণার বাইর� গিয়� এম� কিছু লেখক লিখেছে� কিংব� লিখত� পেরেছে� বল� আম� মুগ্� হয়েছি�

বইটাকে একটা নতুন ধাচে� লেখা বল� যায়, যা সমসাময়ি� উপন্যাসে� ধারণার বাইরে।
আবার যদ� জিজ্ঞে� কর� হয� � বই কি ভালো লাগা� মত�?
তাহল� বলতে হয� বিষা� ঘেরা এক শহরে� কিংব� একাধিক জীবনের এই বইটা আসলে ভালো লাগা� মত� বই না বর� একটা অদ্ভুৎ বই� যে বই পড়ে আপনি ভাবা� মত� অনেককিছু পাবে�, এব� অনেক ভেবে� আর� অনেক প্রশ্নের সাথে যে প্রশ্নের উত্তরট� আপনি পাবে� না সেটা হচ্ছ� 'কথকে� না� কি?'
এব� বই শে� করেও একগাদা প্রশ্ন আপনা� ঝুলিতে থাকব� একথা নিশ্চিত।

বিনয� মজুমদারে� পাশাপাশি গল্পের আরেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র অসী� সরকা�, এব� কথকক� ছাপিয়� গিয়� পুরো বইজুড়� সশরীরে উপস্থি� না থেকে� সবচে বেশি কর� যা� উপস্থিতি টে� পাওয়া গেছে সে হল� এই অসী� সরকার।

অনেককিছু লিখে� যেনো ঠি� কিছু� বল� হয়ন�, যেকোনো নতুন জিনিসই গ্রহ� কর� একটু কঠিন� আমার জন্যেও সহ� হয়নি। আম� বই পড়ে দু'দি� ধর� ভাবছিলাম আসলে এই বই নিয়� কি লেখা যায়�

জানাশোনা প্লটের বাইর� লেখা 'চায়ের কাপে সাঁতার'কে গ্রহ� করাটাও সহ� হওয়ার কথ� না� কারণ বইয়ের সঠিক কোনো জনরা নে�, গল্প নে� তা� বইজুড়� অনেক গল্প কর� গেছে� লেখক�
কা�, কুকু�, দৃষ্টিশক্তিহী� এক ফকির যে কি-না আপনা� মাথা� ভেতর কি চলছে টে� পেয়� যায়, আপনা� স্বপ্ন বুঝে যায়, আর কাকে� ভাষা বুঝত� পারে এম� একজন কাকবিশার� এব� ভয়ানক রকমে� প্রেডিকশনে� ক্ষমতাধর অসী� সরকা�, একদল বেদেকে নিয়� লেখা বিচিত্� এই উপন্যাসে ডু� দিতে পারে� চাইলেই�
এব� সাধারণ� যেমনটা দেখা যায়, গল্পের মূ� চরিত্র বে� নায়কোচি� কে� হন, এই গল্পের গল্পকা� তা� প্রায় উল্টোই বল� চলে।

** লেখকের লেখা বে� ভালো লেগেছে আমার� গল্প বর্ণনা� ভঙ্গির জন্যেই এত� বড� বইটা অনায়াসে পড়া ফেলা গেছে� এব� সমকালী� যেসক� লেখকের লেখায় নিজস্বতা� ছা� রয়েছে তা� মধ্য� এনামুল রেজা� না� নিতে� হয়।

** বইয়ের প্রচ্ছ� অদ্ভুত সুন্দর�
Profile Image for Shotabdi.
745 reviews151 followers
April 29, 2024
গোলকধা� রহস্য। মহাভার� পড়ছ� ফেলুদা আর তোপসে। মহাভার� নিয়� তোপসের মন্তব্�, মহাভার� হচ্ছ� ননস্টপ ভূরিভোজ। গল্পের পর গল্পের প�� ���ল্প�
এনামুল রেজা� চায়ের কাপে সাঁতারকে মহাভারতে� সাথে তুলনায� যা� না কখনোই। কিন্তু এইটাতে� সে� গল্পের পর গল্পের একটা আমেজ কিন্তু পাওয়া যায়�
নামহী� যে মানুষট� মায়ানগর এর উদ্দেশ্য� রওয়ান� দিচ্ছে ট্রেনে কর�, তা� আব্ব�-আম্মুর গল্প থেকে শুরু কর� অসী�-ইল�, কানা নেজা�, বিনয�-লীলা-নীরদ কিংব� মিতিয়ার গল্পের পাশাপাশি কাকবিশারদে� কথ�, মর� কুকুরে� কথ�, ছিনতাই-খু�, প্রে�, কা� আর কী কী যে আছ� এই উপন্যাসে বলাও একটু কঠিন�
পাশাপাশি ইতিহাসের গলিঘুঁজিতে লেখক বিস্তর হেঁটেছেন� কখনো ছদ্মপরিচয়�, কখনো নিজস্ব চেহারা নিয়েই সেসব পাঠকের সামন� হাজি� হয়েছে�
বাংলাদেশের উপন্যা� আমাক� সবসময় খু� আলোড়ি� কর� এম� না� ইদানী� সুহা� রিজওয়ান পড়ত� ভালো লাগে, আর এই তালিকায় এখ� এনামুল রেজা� থাকবেন, কেবল এটুকুই হয়ত� আম� বইটা পড়া শেষে বলতে পারি�
Profile Image for Rahman Saif.
5 reviews1 follower
May 30, 2024
উচ্চ মাধ্যমিক� রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরে� লেখা ছো� গল্প "অপরিচিতা" পড়েছিলাম।� গল্প� অনুপমে� বন্ধ� হরিশের সর� রসনা� গু� ছিল।বইটি পড়া� সময় "অপরিচিতা" গল্পের হরিশের কথাই সর্বপ্রথ� মন� পড়ে�"চায়ের কাপে সাতা�" বইয়� লেখক অনেক গল্প বল� গেছে� নানা চরিত্রের সাহায্যে তব� কখনো� কোনো গল্প পড়ে একঘেয়েম� লাগেনি বর� প্রত্যেক গল্প পড়ে� মন� হয়েছে লেখকের সর� রসনা� গু� রয়েছে এব� তা লেখক ভালোভাবে� ব্যাবহার করেছেন।একইসাথে মূলত টাইমলাইন এগিয়ে গেছে বইয়� এব� তিনট� টাইমলাইন � অত� সুনিপুণভাব� লেখক গুছিয়� এনেছেন বইয়ের শেষে� দিকে।যতবার হাতে নিয়� বইটা পড়েছি ততবা� � হারিয়� গেছি অসী� সরকা�,বিনয� মজুমদা�,ইল� রহমা�, কানা নেজা�,কাকবিশার� এর মায়ানগরের মায়ায�!
Profile Image for Zahidul Islam Sobuz.
82 reviews3 followers
April 8, 2023
লেখক এনামুল রেজা� লেখালেখি� প্রত� বিশ্বা� থেকে� আম� সে� ২০-২১ সা� থেকে� এই দীর্� উপন্যাসটার জন্য দীর্� অপেক্ষায� ছিলাম। নিয়মি� অনুসরণ করতাম। কব� বে� হবে। তখ� নামও জানতাম না� যখ� না� জানি আর জেনে যা� কোনোভাবে কো� প্রকাশনী থেকে বে� হব� তখ� জ্বালানো শুরু কর� প্রকাশনীকে� আদর্� প্রকাশনী� সাথে আমার সম্পর্� ভালো আর ওখানের সবাইকে চিনি বল� সমানেই জিজ্ঞে� করতা� কব� আসবে� ওরাও বল� এই তো বে� হবে। এভাব� করতে করতে অবশেষে যখ� বে� হয� তখ� এক ফাঁক� সংগ্রহ করি। এট� পড়তেও আমার দীর্� সময় লাগল� পড়া হয়েছে হেঁট� হেঁট�, বাসে বস� বসে। কিংব� রমনা উদ্যানের ভাঙা গাছে� গুঁড়িতে বসে।

উপন্যা� সম্পর্কে আর কী বল�? মন� হয� না কিছু বলার দরকা� আছে। এত বড� উপন্যা� আর পাতায় পাতায় যা� দর্শ�, পরিচিত পৃথিবী� মধুর বর্ণনা� অনেক কিছু� সাথে নিজেকে� রিলে� করতে পারছিলাম� গল্পের কথ� যে� বয়স� ঢাকা আস� আমিও ওই বয়সেই এসেছিলাম� তা� কখনো মন� হয়েছে গল্পের কথ� আমি। আবার কখনো মন� হয়েছে কথকে� বন্ধ� অসীমই আমি। আবার ওই বিনয� মজুমদারে� ছেলে নিরোদই আমি। আম� কানা নেজাম। গল্পের কথকে� এখ� যে বয়স সে বয়সেই আছ� এখ� আমি। তা� দৃশ্যগুল� পরিচিত� শুধু পার্থক্য ওভাব� পাখি� চোখে দেখত� না পারা� যেটা লেখক দেখিয়� আমাক� নতুন কর� চিনিয়েছেন� মায়ানগর আমাদের এই নানা আনন্� বেদনার স্বাক্ষী� মায়াকুঞ্জের মতোই একটা বিদ্যাপীঠে আমিও পড়েছি� যে কারণ� সেখানকার দৃশ্যগুলোও আমার পরিচিত� আম� যেমন পড়ত� চা� তেমন গদ্য� লেখা ‘চায়ে� কাপে সাঁতার’। নির্দিষ্� কোনো আইডিয়� নে� কত কী নে� এম� প্রশ্ন� আসে। সব� তো আছে। আমাদের ক্রাইসিসগুলো, আমাদের এক মুহূর্তে� আনন্দগুলো। একেই বুঝি বল� ফু� প্যাকেজ। কখনো মন� হয়েছে ঢাকায় আস� গল্পের নামহী� কথ� যে অ্যাভিউজের স্বীকা� হয়েছে� সেখা� থেকে� তা� গল্পের ডালপাল� ছড়িয়েছে। সম্পর্কে� খাতিরে নানা� দুনিয়ায� চল� গেছে� কিছু মি�, ইতিহাস� উপন্যাসক� সত্য� সত্যিই এক স্বার্থক উপন্যা� হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।


কাকে� প্রত� আমার� দারু� অবসেশন যেটা এই উপন্যাসে� একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্ট। লম্ব� একটা হাসিখুশি জার্নি শে� হলো। মাথা� মধ্য� এম� ভয়ানক গল্প নিয়� আমাদের ঢাকায় কত কত মানু� কে� জানে না�
Profile Image for Tasmin Nisha.
159 reviews4 followers
November 1, 2024
চায়ের কাপে ডু� দিয়� আমাদের কত না জানি ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত হত� থাকে কিংব� অন্যের জীবনগাঁথার আংশি� খন্ড শুনত� পাবা� একখা� সুযোগও হয� বটে। তেমন� গল্পকথ� তা� অস্তিত্বকে ঘিরে দেখা-অদেখ� নানা ঘটনাকে এক� এক� তুলে ধরতে চেয়েছেন গ্রন্থটিতে�


পুবপাড়া নামে� পল্লীতে বা� ছি� যা�, এককালে বাঘে� পেটে কর� অর্থাৎ ডোরাকাটা ট্রেনে� কোলে কর� তা� স্থা� হয� মায়ানগর নামে� নগরে� যদিও গাঁয়ে� ছেলে, মা-বাবা� একমাত্� ছেলে কলেজ� পড়ত� যায় নতুন শহরে কিন্তু ছেলেটি� নি� নীড় থেকে সাময়ি� বিদায়টা যে অনেক দিনে� হব�, � বিদায় যে তা� নতুন আবাস গড়ে তোলা� প্রথ� ধা�, � বিদায় যে তা� জীবনের অগ্রগতির জন্য বাঞ্ছনীয় তা গল্পকথ� কিংব� গল্পকথকে� নিকটের� জানে বা আঁ� করতে পারে� ইট পাথরের শহরে এস� গল্পকথকে� জায়গা হয� নেসা� গাজী� হোটেলে , একখা� রহস্যময় জায়গা বট� ঠি� হোটেলে থাকা মানুষগুলোর মতো। রহস্� যে এই জায়গা জুড়� সীমাবদ্ধ থাকে তা নয� , রহস্যে� উন্মোচ� হয� শহরে� আনাচ� কানাচে যা� অনিন্দিত � কদর্� দু'টো দিকই প্রকাশ পায় গল্পকথকে� কাছে�


কানা নেজা�, কাকবিশার�, অসী� সরকা�, ইল� রহমা�, বিনয� মজুমদা�, লীলা মজুমদা�, নীরদ চন্দ্র মজুমদা�, নামহীনদের সভ�, সীবাদে� বিদ্রো�, শিরোমন্ত্রী, নেসা� গাজী� হোটেলে� রুমে� দরজা� ওপার আর� কত কি জরুর� � নগণ্� ক্ষুদ্� ক্ষুদ্� ঘটনাগুলো � ঘট� যাওয়া মানুষগুলোর স্মৃতি গল্পকথ� নিজে� মগজে টুকে রেখে দেয় , কখনো ঘটনাগুলো� ব্যাখ্যা দাঁড� করাত� সক্ষ� হয� আবার কখনো সেগুলোকে নি� নি� স্থানে� ফেলে রাখে, অমীমাংসিত রহস্যে� বাক্সে বন্দ� করে।


বইটিকে আম� নির্দিষ্� কোনো জনরা তে ফেলত� পারছ� না, একেবার� ভিন্� ধাঁচের একটি বই যা আগ� আমার পড়া হয়নি। কিছু বই পড়ে যেমন আমাদের মিশ্� প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এই বইটি ঠি� তেমন�, কিছু অংশে গভীরত� প্রকাশ পায়, কিছু অংশে রসিকতাবো� ছড়িয়� ছিটিয়� থাকে� তব� যা ছি� চমৎকার তা হল� লেখকের শব্দচয়নের দারু� সব প্রয়োগ। অনেক কিছু� লেখক অসমাপ্� অবস্থায় রেখে বইটি� ইত� টেনেছে� যা খু� একটা বেখাপ্পা লাগেনি তব� সুন্দর একখানা বইয়� গল্পকথ� � লীলা মজুমদারক� ঘিরে অংশগুলোত� লেখক যে আব� তৈরি করতে চেষ্টা করেছ� তা সস্ত� চট� গল্পের সাথে� তুলন� যায়� � অং� বাতি� করলে বইটি সুন্দর�
Profile Image for Ashik.
156 reviews17 followers
February 18, 2024
বিষণ্ণতা� কবির জন্মদিনে এম� বিষণ্ণ একটা বই শে� কর�!
ঠি� কব� এম� একটা বই পড়ে ঠিকঠাক শান্তি পেলা� মন� পড়ে না� আমার খুলনার ভাষা� সংলাপগুল� যে� আর� জীবন্ত লাগছিল, মন� হচ্ছিল � যে� আমার� গল্প! ❤️
Profile Image for Raihan Ferdous  Bappy.
155 reviews5 followers
August 19, 2024
যা দেখছ� তা তা না,
সব দেখা� জানা না�

১৯ আগস্�, সোমবার
দুপু� ১২:১৫�

শে� করলা� এনামুল রেজা� লিখা উপন্যা� "চায়ের কাপে সাঁতার"� কিছু বই থাকে যেগুলা পড়ত� খু� ভয� লাগে� না, অদ্ভুতুড়ে বা ভৌতি� কিছু� জন্য� না� ভয� লাগে বইটা শে� হয়ে যাবার। Dairy Milk Silk Oreo চকলেটট� আছ� না? � চকলেটট� আমার ভীষণ প্রিয়� খাওয়া� সময় শে� হয়ে যাবা� আতঙ্কই আমাক� ঘিরে থাকে� এই বইটা� তাই। এত� এত� চমৎকার বই এট� যা ভাষা দিয়� বর্ণনা করার অবকা� নাই। বইটা পড়া� সময় আম� ছিলামই না এই দুনিয়ায়। এই বই পড়ত� পড়ত� আম� পরবাস্তব জগতে ডুবে গেছিলাম। আম� নিজে� কথকে� জায়গা নিয়� নিয়েছিলাম�

উপন্যাসটাক� মূলত দুইভাগ� ভা� কর� যায়� একভাগে চলেছ� বর্তমা� সময়ের কথ�, যেটা গল্প কথ� নিজে বল� চলেছেন� আর, অন্যভাগে চলেছ� মুক্তিযুদ্ধে� সময়ের কথা। যা বিনয� মজুমদা� কথকক� বলেছিলেন আর কি� কিন্তু যা বললা� তা মূ� উপন্যাসে� কিছু� না� আমাক� যদ� কে� প্রশ্ন কর�, যে, এই ঢাঁউ� বইয়ের প্লট কি? বিশ্বা� করেন, আমার কাছে কোনো উত্ত� নাই। কেনো না�? কারণ আম� আসলে ঠি� করতে পারছ� না এই উপন্যাসটাক� ঠি� কো� জনরায় ফেলা যায়� তব� এতোটুক� বলতে পারি, যে এই উপন্যা� আপনাকে অনেক কিছু দেখাবে� অনেক কিছু অনুভ� করাবে। আর লেখনী� প্রশংস� সম্পর্কে আর কি বলবো? যত� করবো তত� কম� টপ লেভেলে� লেখনী একদম�

সবমিলিয়�, একটা অসাধার� বই শে� করলাম। একটা পরিপূর্ণ উপন্যা� কাকে বল� তা এই বই না পড়ল� বুঝবেন না� আমার রিভি� খুবই অগোছাল� হয়। কিছু করার নাই। এইটা আর� বেশি� অগোছালো। কারণ এই বই সম্পর্কে গুছিয়� লিখা অসম্ভবের দ্বারপ্রান্তে। � যেনো এক গোলকধাঁম রহস্�! পড়া না থাকল� আজ� পড়ত� বসুন� চায়ের কাপে সাঁতার কাটত� থাকুন। একটা মাস্� রি� বই�
Profile Image for Mehedi Hasan Bappi.
21 reviews
August 13, 2024
4.5 Actually.
নন-লিনিয়ার স্টোরি টেলি� � সাধারণ� আম� যত� দ্রু� সম্ভ� পড়ে ফেলি, নাহল� গুবলেট পাকায়� যায়�
এই বইয়ের ক্ষেত্রে পুরোপুরি ভিন্�, যথেষ্ট সময় নিয়� পড়েছি� মন� হচ্ছিল� শে� হয়ে গেলে� মজ� তো মজ� শেষ।
অবশেষে তা� হল�, অনেকগুলা প্রশ্ন অসমাপ্� রেখে শে� করলাম।

*বিস্তারি� লিখব� কো� এক সময়�
Displaying 1 - 30 of 42 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.