জীবন কে�, এই জীবনের অর্থ কী, কেনই বা তা শুধুমাত্� বেঁচ� থাকা? নাকি এর গভীরে নিহি� আছ� কোনও হিরন্ময় তাৎপর্�? � এম� নানা প্রশ্ন� আকীর্� বস্তুগ্রাহ্য এই জগ� � জীবন� সাহিত্যে ধ্রুপদীয়ানার সনিষ্ঠ সেবক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের এই বৃহদায়ত� উপন্যাসে এইসব সমূহ সনাত� প্রশ্নের� স্থি� উত্ত�-অন্বেষণ। আর দশটা উপন্যাসে� মতোই এই উপন্যাসেরও উপকর� কিছু চরিত্র আর কিছু ঘটনা, সেইসঙ্গে মানুষে� অভ্যন্তর� প্রবহমান চৈতন্যের গূঢ়, গভী� স্রোত। তব� শাশ্বত সাহিত্যে যেমন, এখানেও তেমন�, এক গভী� দ্যোতন� �-কাহিনি� শুরু � শেষক� তো বটেই, এমনক� পুরো কাহিনিকে� এক সময় অতিক্র� কর� যায়� এখানেই এর সার্থকতা � অনন্যতা। ‘দেশ� পত্রিকায� দীর্ঘকাল ধর� প্রকাশিত হবার সময় থেকে� ‘পার্থিব� সর্বস্তরের পাঠকের অভিনন্দনধন্য� �-কাহিনি� প্রবাহ শহ�-গঞ্জ-গ্রামক� পরিব্যাপ্ত কর� শহুর� � গ্রামী� জীবন� জড়িয়�-থাকা অজস্� মানুষে� আখ্যান-উপাখ্যানকে নিয়� চলেছ� এক অনিকেত পরিণতি� আশ্চর্� মোহনায়। কাহিনি� উন্মোচ� ঘটেছ� এক অজ পাড়াগাঁয়�, যেখানে বৃদ্� বিষ্ণুপদ তা� ভাঙা ঘরের দাওয়ায় বস� প্রত্যাশায� চেয়� থাকে সামন� তা� মেজো ছেলে� অর্ধসমাপ্ত পাকা বাড়িটির দিকে� এই সামান্� দৃশ্� থেকে শুরু হয়ে �-উপন্যা� ক্রম� নানা প্রবাহে। জীবনের নানা দিকে ছড়িয়� যেতে থাকে, উন্মোচিত হত� থাকে জীবনের দেখা � অদেখ� নানা� রূ�-বর্ণ-ছন্দ� এক দিকে বিষ্ণুপদ� তি� পুত্� কৃষ্ণজীবন, রামজীবন, বামাচর�, কন্য� বীণাপাণি � তা� স্বামী নিমা�, অন্য দিকে হেমাঙ্�, চারুশীলা, চয়ন, ঝুমাদি, অন�, মনী�, অপর্ণা, অনী�, আপ� � তাদে� অনুষঙ্গে সম্পর্কি� আর� অনেক মানুষ। এইসব মানুষে� টানাপোড়েন� তৈরি হয়েছে আরেক বিচিত্� বিশ্�, যেখানে সনাত� ঐতিহ্যবাহী স্বাদেশি� প্রেক্ষিতে আধুনিক সভ্যতা� দ্বন্দ্বদীর্� চিত্রণ�
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় একজন ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক।
তিনি ব্রিটি� ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি� অন্তর্গত ময়মনসিংহে (বর্তমানে বাংলাদেশের অং�) জন্মগ্রহ� করেন—যেখান� তাঁর জীবনের প্রথ� এগার� বছ� কাটে� ভারত বিভাজনের সময় তাঁর পরিবার কলকাতা চল� আসে। এই সময় রেলওয়েত� চাকুরিরত পিতা� সঙ্গ� তিনি অস�, পশ্চিমবঙ্গ � বিহারে� বিভিন্� স্থানে তাঁর জীবন অতিবাহিত করেন� তিনি কোচবিহারের ভিক্টোরিয়� কলেজ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্� করেন� পর� কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায� স্নাতকোত্ত� ডিগ্রি লা� করেন� শীর্ষেন্দু একজন বিদ্যালয়ে� শিক্ষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন� বর্তমানে তিনি আনন্দবাজার পত্রিক� � দে� পত্রিকার সঙ্গ� জড়িত।
তাঁর প্রথ� গল্প জলতরȨ� শিরোনামে ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে দে� পত্রিকায� প্রকাশিত হয়। সা� বছ� পর� সে� এক� পত্রিকার পূজাবার্ষিকীতে তাঁর প্রথ� উপন্যা� ঘু� পোকা প্রকাশিত হয়। ছোটদের জন্য লেখা তাঁর প্রথ� উপন্যাসে� না� মনোজদে� অদ্ভুত বাড়��
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর পার্থি� বইটা যখ� হাতে নে� এব� পড়া শুরু কর� ভাবিনি বইটা পড়ে নিজেকে নতুন কর� একবা� আবিষ্কার করবো �
বিষ্ণুপদের তি� ছেলে� মধ্য� কৃষ্ণজীবন গ্রামে� দরিদ্রতা � সীমাবদ্ধতা� মধ্য� থেকে� পড়াশুনা কর� বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন সাথে সাথে পরিবেশবিজ্ঞানী হিসাবে দে�-বিদেশে তা� না� হয� , কিন্তু তারপরও তা� সে� ছো� বিষ্ণুপু� গ্রামট� তাকে টানে � এই পৃথিবী� প্রত� তা� অনেক মায়� কিন্তু পৃথিবী যে ধীরে ধীরে ধ্বং� হয়ে যাচ্ছে তা তিনি কাউক� বোঝাতে পারে� না তা� স্ত্রী� তাকে বুঝত� পারে না� এই উপন্যাসে কৃষ্ণজীবন এর পরেই হেমাঙ্� চরিত্র অনেক ভালো লেগেছে � শহরে� যান্ত্রি� জীবন� এক� থাকা� ইচ্ছ� এব� একঘেয়� জীবন ভালো না লাগায় অচেন� নির্জন গ্রামে এক� বসবা� এব� গ্রামে� জীবনের সাথে খা� খাওয়া, ভালোবাসা� টানাপোড়েন, এইসব নিয়� হেমাঙ্গর সাথে নিজে� অনেক মি� খুঁজ� পেয়েছ� !!
সক� পাঠকদে� বলতে চা� যে এই লেখক এর কো� বই যদ� না� পড়ে থাকে� তাইল� এই বইটা অবশ্যই পড়বেন,এত বড� একটা বই কিন্তু পড়ে বিন্দুমাত্� হতাশ হবেন না এইতা বল� দিতে পারি �
ঢাকায় শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় যখ� বুড়িগঙ্গা দেখত� গিয়েছিলেন� দুঃখ কর� বললে�, “চোখ� জল এল� একেবার� মর� গেছে� এখনো হয়ত� উদ্যোগ নিলে এক� বাঁচান� সম্ভব। নদী� সাথে সভ্যতা� সম্পর্ক। নদী সংস্কা� না হল� সভ্যতা বাঁচ� না”। প্রকৃতির প্রত� লেখকের এই যে মায়�, এই যে আদ� তাঁর দালালি� প্রমাণ হল� পার্থি� উপন্যাসটি। যেখানে কয়েকট� চরিত্রের সমন্বয়ে পার্থিবতার আড়ালে লেখক সারা পৃথিবীকে নিজে� ঘর ভাববার আবেগ তুলে ধরেছেন�
বিষ্ণুপদ, কৃষ্ণজীবন, হেমাঙ্�, নিমা� এব� চয়ন� পার্থি� উপন্যাসে� এই পাঁচটি পুরু� চরিত্রের মষ্কিত্ব আলাদ� হলেও হৃদপিণ্ড ছি� অভিন্ন� এই পাঁচটি পুরু� চরিত্রকে কেন্দ্রে রেখে আর অনেক চরিত্র আবতর্ন করেছ� পুরো উপন্যাসট� জুড়ে। সারাজীবন দারিদ্রত� সাথে যুজত� যুজত� ক্লান্� বিরাশী বছরে� অশীতিপর বৃদ্� বিষ্ণুপদ জীবনের কালবেলাত� এস� মে� ছেলে রামজীবনের অসম্পূর্� পাকা বাড়িটির দিকে তাকিয়� থাকে� পেশায় ডাকা� রামজীবন অন্যায� আর দারিদ্রে� শে� সীমায় পৌছে� লড়া� কর� শুধু নিজে� বৃদ্� বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফোটাবে বলে। সত্য� মানু� কত অদ্ভুত!
বিষ্ণুপদ� জেষ্ঠ্� ছেলে কৃষ্ণজীবন তাঁর পরিশ্র� আর মেধা দিয়� ছাড়িয়ে গেছে পরিবারকে� অধ্যাপ� এব� দার্শনিক কৃষ্ণজীবনের কলকাতা� সাততলা� উপরে একটি সাজানো ফ্ল্যাটে, সুন্দরী স্ত্রী এব� তি� সন্তানকে নিয়� সুখে� পরিবার� খিদে� জ্বালা পেটে নিয়� দশ-বি� মাইল পায়� হেটে পাড়� দেয়� পুরন� কৃষ্ণজীবন তব� কখনো যে� এই সফ� কৃষ্ণজীবনকে ছেড়� যায়নি� মানু� কি চাইলেই সবকিছু বদলাতে পারে? মানুষে� ক্ষমতা কতটুকু?
বিষ্ণুপদ� মেয়� বীণাপাণি� স্বামী নিমা� এর একমাত্� যোগ্যত� সততা� যা� মূল্� দিতে গিয়� অভাবগ্রস্ত স্ত্রী বীণাকে যাত্রা পালায় না� লেখাতে� লোভে� স্রোতে গা ভাসিয়� বীণা সে� স্রোতে নিমাইকেও টানত� থাকে� কিন্তু নিমা� অবিচল। সততা যে� চামড়া� মত লেপট� আছ� তাঁর অস্তিত্ব� সত্য� কি সততা� কো� অন্য চেহারা আছ� যা মানুষে� রোদে পোড়� সাধারণ চেহারা� মাঝে নিজেকে প্রকাশ করতে পারে? পারে সে� মানুষক� নতুন কর� জীবন দিতে?
পাঁচ ফি� এগার ইঞ্চির হেমাঙ্� যে� বৈভবের মাঝে দিশেহারা� আর সেখা� থেকে পালাবা� একটা আলাদ� আস্তান� গড়ে নেয় হেমাঙ্গ। সুন্দরবনের কাছে নি শিপুরে নদী� পাড়� এক চিলত� ঘর� হেমাঙ্� খুঁজ� নেয় নিজে� ব্যক্তিগ� স্বর্গ� নদী যখ� প্রমত্তা হয়ে ওঠ�, গগনদেব যখ� আক্রোশ� নির্মা� কর� প্রলয়ংকরী ঝড়ে� যখ� সে� তান্ডে� এক সৌন্দর্য আছে। যা মুগ্� কর� হেমাঙ্গকে। বল� দেয় পৃথিবী কারো জ্ঞানে� মাঝে সীমাবদ্ধ নয়। সে অসীম।
এই উপন্যাসে� আপাতদৃষ্টিতে সবথেকে দুর্বল চরিত্র হয়ত� চয়ন� কিন্তু বাস্তবিক অর্থ� এপিলেপটি� চয়ন অপরাজেয়� যে বা� বা� ভাঙ্গে কিন্তু মচকায় না একটিবারও� বিষ্ণুপদ স্ত্রী নয়নতারাকে একবা� একটি কথ� বলেছিল, কোথায় পালিয়� পা� পাওয়া যায় না, নিজে� মাঝে� ডু� দিতে হয়। হয়ত� এই পাঁচ জন চরিত্রের মাঝে সে� ডুবট� চয়ন সবথেকে ভা� দিয়েছিলো। নিজে� মাঝে নিজে ডুবে থাকা� শিক্ষাটা না জানল� চারপাশের সস্ত� ভাবনাগুল� ছিঁড়ে খেতে শুরু কর� মনকে যা� সবথেকে বড� উদাহরণ বিষ্ণুপদ নিজে�
ব্যক্তিগ� মতামতঃ
সমরে� মজুমদারে� সাতকাহ� কিংব� সুনী� গঙ্গোপাধ্যায়ে� সে� সময় আমার জীবনের পড়া শ্রেষ্� দুটি উপন্যাস। প্রায় সাতশ� ত্রি� পৃষ্� উপন্যা� দুটি পড়া� পর আমার মন� হয়েছিলো এত অসাধার� বই হয়ত� আর পড়ত� পা� না� পাইওনি� কিন্তু এইবইগুলো পড়া� সময় মন� হয়েছিলো কিছু অসাধার� চরিত্রের সাথে দীর্� এক পথচলার যাত্রী আমি। যখ� শে� হল� তৃপ্� হলাম, ক্লান্তও হলাম� কিন্তু শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সাতশ� চৌদ্� পৃষ্ঠা� পার্থি� উপন্যাসট� শে� করার পর মনের মাঝে শুধু যে� শব্দ এসেছ� “ফুরিয়ে গে�?� পার্থিবত� মোহজাল সাতশ� পৃষ্ঠা কে�, যে� সা� হাজা� পৃষ্টাতে� কাটব� না�
জীবনের লৌকিকত� আর পার্থিবতার ছবিট� একদম জীবন্ত উপন্যাসটিতে। পড়া� সময় যে� চরিত্রগুলো নিঃশ্বাসের শব্দ শুনত� পাচ্ছিলাম। ওদের হাসি যে� আমার হাসি, ওদের কষ্ট যে� আমার কষ্ট, ওদের বেঁচ� থাকাটা� মাঝে� যে� আমিও আছি। উপন্যাটি� শে� লাইন হল�, "এস� আমার সঙ্গ� তুমি� কাঁদ�, এস� কান্নায় একাকার হয়ে যাই। একাকার হয়ে যা� �" আমিও যে� একাকার হয়ে গেছি কখনো কৃষ্ণজীবন, কখনো চয়ন আবার কখনো বা নিমা� এর সাথে� একাকার হয়ে গেছে কতগুলো অদৃশ্য পরিবারের সাথে যাদে� বাস্তব� কোনদিন দেখা যাবে না কিন্তু কল্পনায় তাদে� সু�-দুঃখ, পার্থিবত� বেঁচ� থাকব� শে� সীমা পর্যন্ত।
আমার এই অবদি পড়া বইয়ের মধ্য� অন্যতম প্রিয় একটা বই� এই লেখাটি� জন্য শীর্ষেন্দু� কাছে কতোদিক থেকে যে আম� ঋণী বল� শে� করতে পারব� না� আমার চিন্তাচেতনার দশ দুয়ার উন্মোচ� করতে এব� নতুনভাবে জীবন, প্রকৃত� � সম্পর্কক� ভাবত� দেখত� সাহায্� করেছ� এই বই� আম� হয়ত� ভালোভাবে বোঝাতে পারছ� না লেখা� অক্ষ� দিয়ে। কৃষ্ণজীবন আমাক� প্রকৃতিক� পৃথিবীকে আর� গভীরভাব� ভালোবাসত� শিখিয়েছেন� প্রিয় কয়েকট� লাইন দিয়� দি� এই বইয়ের যা নো� কর� রেখেছি�
# "বস্তুর পঞ্চ�, ষষ্ঠ, সপ্ত� মাত্রাতে� থেমে থাকে না তা� প্রকৃত পরিচয়� আমাদের অজ্ঞাত আর� বহ� মাত্রা হয়ত� রয়ে গেছে� আমরা কতটুকু জানি? অবির� নানা মতবা�, নানা দর্শ� মানুষক� আবিল কর� দেয়� মানুষে� মন সবসময়েই জারি� হচ্ছ� অন্যের ভাবনাচিন্তার প্রভাবে। সে যা দেখে, যা বো� কর�, যা বোঝে সব� ওই সব মতবা� � প্রভাবের দ্বারা চালি� হয়। যদ� মানুষে� মন রিক্� থাকত�, যদ� হাঁসের পালকের মত� ঝেড়� ফেলত� পারত� সব প্রভাব তব� কি সে বস্তুর স্বরূপকে ধরতে পারত�? আম� তা� প্রথ� মানবের কথ� ভাবি� একমাত্� সে-� অনাবিল চো� � মন নিয়� দেখেছিলো এই বস্তুবিশ্বকে� আম� আজ ঠি� তা� মত� মন আর চো� চাই।"
#
একটা কথ� বল� অপু। সাজগোজ কর� যদ� বেরো� তাহল� কি আ��কাল পুরুষে� এডমিরেশন পাওন�? দু-চা� জোড়� মুগ্� চো� কি তোমা� দিকে চেয়� থাকে না?
অপর্ণা রা� করার চেস্টা করলো।ভ্রুকুট� করেও হেসে ফেলে বল�, আম� আজকা� সাজি নাকি?পুরুষদের লক্ষ করতে� আমার বয়ে গেছে�
একটু লক্ষ কোরো অপু। যদ� দে� যে, পুরুষে� চো� এখনো তোমাকে লক্ষ করছে তাহল� নিশ্চিতভাব� জেনো, তোমা� যৌবন যায়নি�
যে পুরুষটিক� নিয়� আছ� সে লক্ষ করলে� হল� আর আমার কাউক� চা� না�
আমার চো� তো ভু� চোখ। সে� যে ট্রামগাড়িতে ভয়ে আধমর� যুবতীটিকে দেখেছিলা�, চারদিক� টিয়ার গ্যা�,গুলি আর ট্রামে� মধ্য� পড়ে থাকা লাশে� ভয়ংকর অবস্থায়, দেখে� আমার ভেতর� যে একটা উথাল-পাথা� হয়েছি�, আজ� তোমাকে দেখল� ঠি� সেরকমট� হয়। কই, পাল্টাওন� তো তুমি! আমার চোখে তোমা� বয়স বাড়� না, যৌবন যায় না� তা� বলছি আমার চো� হল ভু� চোখ।
# "আজ যদ� স্মৃতিভ্রষ্ট হই, কি কর� বুঝব� যে তুমি রিয়�? বস্তুর চতুর্থ মাত্রা হল� সময়� আইনস্টাই� বলেছিলেন� কিন্তু বস্তুর আর� কত মাত্রা আছে।পঞ্চ� মাত্রা হল� স্মৃতি, নইলে বুঝব� কি কর� কোনট� কী? ষষ্ঠ মাত্রা হল� ইমাজিনেশ�, পারসোন্যাল ভিশন� চারদিক� এই যে এত বস্তুপুঞ্জ দেখছ�, সে সব� আমাদের কল্পনা� রঙ� রঙিন� নইলে কিছু� নয়।"
পাঠ্যবইয়ে উপন্যা� সম্পর্কে পড়ত� গিয়� দেখেছিলা�, লেখকের জীবনদর্শ� উপন্যাসে� অন্যতম প্রধান একটি উপাদান, যা সমগ্� উপন্যাসক� পরিচালিত করে। আমার মত�,"পার্থি�" উপন্যাসে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের মূ� জীবনদর্শ� ছি� পলায়নপ্রবণতা।
কৃষ্ণজীবন বন্ধ কর� দিতে চা� সব অতিরিক্ত কলকারখানা। তা� মত�, আগের কালে� পৃথিবী� ছি� ভালো তখ� তা� উপ� আঘাত হানত না মানবসমাজ� অন্যদিকে হেমাঙ্� পালিয়� যায় শহ� থেকে, নিশিপুরে, নদী� তীরে� সে গ্রামে� লোকেদে� সঙ্গ� মিশত� শেখে, লাঙল চালাতে শেখে�
কিন্তু তারা কে� � নিজেদে� স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে না� তাদে� দুজনের� স্থায়ী ঠিকানা কিন্তু সে� "কুম্ভীপা�" কলকাতাতেই।
এখান� মানুষে� রিপুগুলো� উঠ� এসেছে। বীণাপানি� হা� ধর� এসেছ� লো�, ক্রো� এসেছ� রিয়ার মাধ্যম�, মো� ছি� হেমাঙ্গে�, রামজীবনের ছি� মদের নেশা আর পরশ্রীকাতরতা� কিন্তু এগুলোই তাদে� সবটা নয়। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অধিকাং� চরিত্র � সম্পূর্ণ ভালো নয� বা সম্পূর্ণ খারা� নয�, মাঝামাঝি পর্যায়ে� পড়ে তারা� এই জন্যেই চরিত্রগুলোকে আর� জীবন্ত মন� হয�, কারণ আমরা� কি সেরকমই নই?
দিনে� শেষে কিছু সাদা, কিছু কালো আর অনেকগুলো ধূসর মানুষে� জীবনের খণ্ডাং� "পার্থি� "�
"তোমাকে কে বল� দেবে, একটি প্রস্ফুটিত শিউল� ফুলে� সৌন্দর্য� কে� তোমা� এত আনন্�? দূরে� নক্ষত্রে� দিকে চেয়� শুয়� আছ� ছাদে, চিৎপাত! তোমা� সর্বস্� হারিয়� যাচ্ছে অনন্� নক্ষত্রবীথি� রহস্যময়তায় - তখ� কে তুমি মন� পড়ে? ওই নক্ষত্রর� কি তোমা� সাথে কথ� বল�? বলতে চায়? বিজ্ঞা� কি ব্যখ্য� কর� এক মহ� কবিতার অন্তলোকক�?সুন্দর গানে� মধ্য� কোথায় হারিয়� যায় তোমা� লজিক? হে মানু�, কো� জড়বস্তু থেকে এল চৈতন্যের প্লাবন? ভালোবাসা? মুগ্ধত�? কে ব্যখ্য� করবে তা? বিজ্ঞা� তো অন্ধের যষ্ট� মাত্র। পথের ঠাহর দেয়, কিন্তু সে নয� তো চো�!"
প্রকৃত� আর মানবমন এই দুইক� কেন্দ্� কর� লেখা উপন্যাসট� আমাক� আবার প্রথ� থেকে ভাবত� শেখাচ্ছে� 'দূরবী�' উপন্যাসে কৃষ্ণকান্তের প্রেমে পড়েছিলা�, 'পার্থি�'-এও সে� কৃষ্ণে� প্রেমে� পড়েছি� তব� দুটো এক নয়।� � হল� কৃষ্ণজীবন বিশ্বাস। বিষম দরিদ্রতা কাটিয়� উঁচুতে ওঠ� একজন প্রকৃত পৃথিবীপ্রেমী� গল্পের মোড়� মোড়� এই কৃষ্ণজীবনের ভাবন�, দর্শ� আমাক� স্পর্শ করেছিল অনেক বেশি�
শুধু কৃষ্ণে� কথ� বললে বড� একপেশে হয়ে যায়।� আসলে বিষ্ণুপদ, হেমাঙ্�, নিমা� আর চয়ন� এই চরিত্রগুলো� সুদূ�-প্রভাব বিস্তারকারী� সে� তুলনায� নারীরা কিছুটা কম এগিয়ে! ঝুমক�, রশ্ম�, চারুশীলা, বীণাপানি এর� ছি� অনেকটা� সাদামাটা� তব� একেবারেই দুর্বল দেখানো হয়েছে তা� না� নয়নতারা, আপ� কিংব� অনুশীলা অনেকটা� পূরণ করেছে� নারীদে� শক্তিমত্তাটা�
কলকাতা শহ� কিংব� অজপাড়� গা�-এর মায়ার রূ�, ভালোবাসা এব� ভেতরের দলাদলি কীভাবে যে একসূত্রে গেঁথ� লেখা যায় তা� জন্য বোধহয় এই উপন্যাসই যথেষ্ট� সত্যিই তো, পৃথিবীকে আমরা কীভাবে রেখে যাচ্ছি? বিষ্ণুপদ-নয়নতারা এম� জুটি কি আজকা� হারিয়েই যাচ্ছে না? বামাচরণর� কি সত্যিই লোভে অমানুষ হয়ে উঠছে না? হেমাঙ্গর� কি এখনও অনুভুতিক� বুঝত� ভু� করছে না? চয়নরা কি মা� খাচ্ছে না? �
কে� এম� চারপাশটা?
'এস� কান্নায় একাকার হয়ে যাই। একাকার হয়ে যাই।' � � �
পড়ত� বসলা� বড� অরুচ� নিয়ে। হাতে কো� বই ছি� না বলেই হাতে নেওয়া� প্রথ� কয়ে� পৃষ্ঠা পড়া� পর ঠি� মন� ধরছি� না� কিন্তু চয়ন,ঝুমক�, চারুশীলা, কৃষ্ণলাল সবাই যে লাফিয়� উঠবে কিছু পরেই চোখে� সামন� তা কে জানত?
এই বিশা� উপন্যা� আমার� কত শত জমিয়ে রাখা প্রশ্নের উত্ত� দিয়� দিয়েছ� তা ভাবত� বসলে হিশে� মেলানো যাবে না� অসাধার�, অসাধার� !
রামজীবন � বামাচরণে� সংঘা� অনেক পরিবারের স্বাভাবি� ঘটনা� তব� ব্যতিক্র� হল� বিষ্ণুপদের মেয়� বীণাপাণি � তা� স্বামী নিমাই। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের নিজে� কিছু বিশ্বা� আছে। তিনি রক্ষণশীল। সেসব নিয়� তা� লুকোচুরি নেই। এই উপন্যাসে� দেখত� পা�, স্ত্রী হিসেবে বীণাপাণি যত� উজ্জ্ব� হয়ে উঠুক না কে� তা� নিয়তি শেষত� স্বামী� হাতে� বন্দি।
গৃহশিক্ষ� চয়ন চরিত্রটি আমার সবচাইত� ভালো লেগেছে� এম� মানু� আমাদের সমাজ� হরহামেশা� দেখা যায়� ভীতু, নিপীড়িত এব� অস্তিত্ব সংকট� ভোগা এই মানুষটির মধ্য� কোথায় যে� নিজেকে খুঁজ� পেয়েছি।
যাঁর� অসামান্য কোনো সামাজি� উপন্যা� পড়ত� চা�, তাঁদের জন্য� শীর্ষেন্দুবাবু� অনবদ্য লেখা 'পার্থি�'� ঢাউস কেতাবট� দেখে শঙ্কিত হবেন না� একবা� পড়ত� শুরু করলে কখ� সময় কেটে যাবে বুঝতেই পারবেন না�
আমার কাছে মন� হয়েছে, পার্থি� উপন্যা� টা একটা জীবনবোধ। এত� বৃহ��� উপন্যা� নিয়� কিছু লিখা রীতিমত� ভয়ংকর! কূলকিনার� পাওয়া যায় না, সব চরিত্র নিয়েই লিখা� মত� হাজারট� কথ� আছ� যা লিখে শে� করার মত� নয়। উপন্যাসে� কাহিনী তৈরি হয� কিছু চরিত্র কে আশ্রয় কর�; যাদে� মধ্য� দেখা যায় লেখকের বহুমুখী চিন্তাধারা� প্রতিফলন� বইয়ের কলেব� যখ� ছো� হয� তখ� লেখকের বক্তব্� প্রকাশের জন্য গল্পের চরিত্র তৈরি করার তেমন প্রয়োজন পর� না� অন্যভাবে দেখত� গেলে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাব� চরিত্র চিত্রণের মত সে� সুযোগও থাকে না� কিন্তু বইয়ের কলেব� যখ� উল্লেখযোগ্� রকমে� বড� হয� তখ� লেখক ধীরে ধীরে, বিভিন্� ঘটনা� ঘা� প্রতিঘাত� চরিত্র তৈরি করার একটা সুযো� পান। এখান� লেখকের মুন্সীয়ানার পরিচয় দিয়েছেন� এইজন্য� বড� ক্যানভাসের উপন্যা� আমার বড্ড বেশি মায়� মায়� লাগে� 'পার্থি�' বাংল� সাহিত্যে� সবচেয়� বড� উপন্যাসগুলোর একটা� এখান� লেখক তাঁর ব্যক্তিগ� আবেগ, অনুভূত�, জীবন দর্শ� ব্যক্ত করেছেন অনেকগুলি পরিবার আর অনেকগুলি মানুষে� গল্পের মাধ্যমে। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্�, উচ্চবিত্� বে� কয়েকট� পরিবারের ভিন্� ভিন্� চিন্তাধারা, ভিন্� ভিন্� স্বভাবের চরিত্র লেখক তৈরি করেছেন অসাধার� নৈপুণ্যে� আর এদের জীবনের আপাত সাদামাটা গল্পগুলো বর্ণনা করেছেন অতী� চমৎকারভাবে� যেখানে এক� সাথে ফুটে উঠেছ� মানুষে� টিকে থাকা, বেঁচ� থাকা, বিলাসী জীবন আর ভালোবাসা� গল্প� যা দৃশ্যমান হয� চয়ন, বিষ্ণুপদ, নয়নতারা, অপর্ণা, চারুশীলা আর আপ�'� চরিত্রে। গল্পের আরেকটা উল্লেখযোগ্� দি� হচ্ছ� পৃথিবী� প্রত� ভালোবাসা� প্রকৃতির সাথে, পৃথিবী� সাথে মানুষে� সম্পর্� খুঁজ� বে� করার একটা চেষ্টা; যা� প্রতিফলন দেখা যায় হেমাঙ্� আর কৃষ্ণজীবনের চরিত্রে। যা� জন্য এদের একেকজন একেক রকমে� উপায� অবলম্ব� করে।একজন বই লিখে,সভ�, সেমিনারে বক্তব্� দিয়� দুনিয়াক� বোঝানো� চেষ্টা কর� পরিবেশ সংরক্ষণে� গুরুত্�,যন্ত্র সভ্যতা প্রসারের অপকারিতা� আরেকজন শহ� ছেড়� সন্ন্যাসী� আশ্র� কিংব� প্রকৃতির একান্ত সান্নিধ্যে গিয়� চেষ্টা কর� জীবনের স্বরূপ উপলব্ধ� করার� তব� এদের উদ্দেশ্য থাকে এক�--নিজে� সাথে পৃথিবী� সম্পর্� আবিষ্কার� সভ্যতা� সাথে পৃথিবী� সম্পর্কে� প্রকৃত� অনুধাব� করা।সভ্যতা কি পৃথিবী� কল্যাণ নাকি অকল্যাণ।কিংব� আমরা যাকে সভ্যতা বল�, সেটা আদ� সভ্যতা কিনা, এস� প্রশ্নের দ্বন্দ্ব� সব সময় জর্জরি� হয� এরা। সংসারে সততা, অসতত� দুটো বিষয়ই রেললাইনে� মত পাশাপাশি সমান্তরালে বিরা� করে। নিখাঁদ সচ্চরিত্রে� মানুষেরা এর পার্থক্য করতে পারে সর্বাবস্থায়� তব� অধিকাং� ক্ষেত্রে� এর� খু� নিরী� হয়। ঠি� ব্যক্তিত্ব বা প্রতিবাদ করার যে ক্ষমতা, তা সব সময় থাকে না এদের� বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্ত� আর ভাগ্যে� উপ� সব ছেড়� দিয়� সবকিছু মেনে নেয়� স্ত্রী মুখাপেক্ষী, আপাত স্ত্রৈ� নিমা� এই দলের মানুষ।
আপাত দৃষ্টিতে গল্পের কাহিনী এব� চরিত্র� বৈচিত্র্� থাকলেও সবার গল্প, সবগুলো চরিত্র যে� কো� এক বৃহৎ ঐকতা� নির্দে� করে। তা� চয়নের নির্মো� টিকে থাকা, নিপা� সংসারী অপর্ণা� পারিবারি� ভাবন�, সদ্য তরুণী আপার নীরব বিপ্লব-চেষ্টা, চারুশীলা� বিলাসী, খেয়ালী জীবন যাপণ, আপাত মূর্� বিষ্ণুপদের গভী� জীবন দর্শ� আর পূর্� বঙ্গের আদ� নিবাসে� প্রত� টা�, পিতৃভক্ত রামজীবন কিংব� লোভী বামাচর� সবার টুকর� গল্প আর লেখকের সূক্ষ্� জীবনবো� মিলে 'পার্থি�' হয়ে ওঠেছ� মানব জীবনের এক অনন্� চিত্র।
চরিত্রগুলোকে এত যত্নসহকারে ধীরে ধীরে গড়ে তোলা হয়েছে এব� গুরুত্বে� সাথে মনস্তাত্ত্বি� বিশ্লেষণ কর� হয়েছে যে সবগুলো চরিত্র� অত্যন্� সাবলী� � বাস্তব বল� মন� হয়। এছাড়া লেখক অত্যন্� সফলভাব� চরিত্রগুলো� মাঝে সমন্বয� ঘটিয়েছেন। এত চরিত্রের সমাবেশের মধ্যেও উপন্যাসে� বিশা� অং� জুড়� ছি� কৃষ্ণজীবনের আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনার প্রতিফলন এব� তাকে ঘিরে� আবর্তি� হয়েছে বেশিরভাগ ঘটনা�
‘পার্থিব� উপন্যাসে� অন্যতম দি� হচ্ছ�, এখান� একইসাথ� গ্রামী� সহ�-সর� জীবন � যান্ত্রি� শহুর� জীবনের স্বা� পাওয়া যায়� গ্রামে� দারিদ্র্যপীড়িত জীবন � প্রাকৃতি� নিসর্গ, কোলাহল-কোন্দল থেকে শুরু কর� শহুর� বিলাসি� জীবন-যাপন, শহরে� সাধারণ মানুষে� জীবন-সংগ্রা�, শহুর� নানা সমস্যা, মানুষে� মাঝে বিচিত্� সম্পর্কে� সবকিছু� এখান� এক সূত্রে গাঁথ� হয়েছে� প্রকৃত� � মানবজীবনের মধ্য� যে নিবিড় যোগাযো�, তা-� � রচনায় উঠ� এসেছ� অত্যন্� চমৎকারভাবে� প্রকৃত� মানুষে� মধ্য� কীভাবে ভাবান্তর ঘটাত� পারে, তা � উপন্যাসে স্পষ্টভাবে অবলোকন কর� যায়�
� উপন্যাসে� আরেকটি দিকে� কথ� না বললে� নয�; তা হল� দৃশ্যে� চিত্রায়ন। এত চমৎকারভাবে লেখক এখান� বিভিন্� দৃশ্যে� চিত্রাঙ্কন করেছেন, যা পাঠককে সহজে� মোহগ্রস্� কর� ফেলে�
সর্বোপরি � উপন্যাসে জীবন-সংসারে� নানা প্রবহমান ঘটনা � বাস্তব বিভিন্� প্রেক্ষাপট এস� একত্� হয়েছে নানা বর্ণ-গন্ধ-ছন্দে। লেখকের সৃষ্টিশৈলী� গুণে অত� সাধারণ ঘটনাগুলো� যে� এখান� অসাধার� � মনোমুগ্ধকর রূপে ধর� দিয়েছে। উপন্যাসট� পড়ত� গিয়� জীবনের অন্তর্নিহি� গুরুত্� � তাৎপর্�, মহাবিশ্বের সাথে মানবের সম্পর্� প্রভৃত� পাঠককে প্রশ্নবিদ্� করবে বারবার� সেইসাথ� জীবন, জগ�, প্রকৃত�, মহাবিশ্ব নিয়� বহ� ভাবন� � বিস্ময� পাঠককে যে এক ভিন্� আধ্যাত্মিক জগতে উদীয়মা� করবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
এত� এত� চরিত্রের ছড়াছড়ি আর তাদে� মনস্তাত্ত্বি� বিশ্লেষণ� ভরপু� � উপন্যাসে খু� উৎসাহী হয়ে উঠার মত� কোনো কাহিনী না থাকলেও সাদামাটা ব্যাপারগুল� হঠাৎ কেমন অসাধার� হয়ে উঠ� তা বুঝেছি� গ্রা�-শহরে� মেলবন্ধন, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্�, উচ্চবিত্� অসংখ্য চরিত্র� তব� কোনো চরিত্র নিয়� না ভেবে পা� কাটিয়� যাওয়া� কোনো সুযো� নে�, প্রত্যেক� স্� স্� জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ� প্রতিট� চরিত্রের বিচিত্� রকমে� কাহিনী� মারপ্যাঁচে কিছু সময় হা� ধর� যায়, তব� লেখক আগ্র� ধর� রেখেছে� তাদে� মধ্য� অদ্ভুত সেতুবন্ধনে� মাধ্যমে। বিশে� ভালো লেগেছে নয়নতারা- বিষ্ণুপদের সর� মিষ্টি নির্ভেজা� দাম্পত্য জীবন, মনীশক� নিয়� অপর্ণা� উদ্বেগ�
হেমাঙ্গে� মধ্য দিয়� লেখক যেভাবে এক সাগর দ্বিধাদ্বন্দ্বের পর� নিজে� ভালোবাসাকে দিশেহারা হয়ে খুঁজ� পাওয়া দেখিয়েছেন তা সত্যিই মজার ছিলো! ভাইয়ে� প্রত� ভাইয়ে� নিষ্পা� ভালোবাসা ফুটে উঠেছ� বোবা গোপালে� প্রত� বড� ভা� পটলে� গভী� ভালোবাসা� প্রকাশে। বীণাপাণি আর নিমাইয়ে� শে� পরিণতি� মন� তৃপ্তি� সঞ্চার করেছে।
তব� উপন্যাসে� কেন্দ্রবিন্দ� ছিলো কৃষ্ণজীবন, যা� সাথে প্রতিট� চরিত্র� জড়িত। উপন্যা� জুড়� চরিত্রগুলো নিজে� সাথে� কথ� বল�, নিজে� সাথে বোঝাপড়া� এক দৃষ্টান্� ছিলো এতে। প্রতিট� চরিত্র আর তাদে� বিচিত্� রকমে� ভাবনার মধ্য� যেনো কিছু জায়গায় নিজেরই প্রতিচ্ছবি পাচ্ছিলাম। উপন্যাসট� মন� অসংখ্য প্রশ্নের উদ্রেক করবে, আবার উপন্যাসে� মধ্যেই উত্ত� খুঁজ� পাবেন।
শীর্ষেন্দুবাবু আপাদমস্ত� মনস্তাত্ত্বি� এই উপন্যাসে� চরিত্রগুলোকে মোটামুটি একটি পরিণতি� দিকে ঠেলে দিয়� তবেই ইত� ঘটিয়েছেন। আর � কারণেই হয়ত� বইটি শে� কর� মন কিছুটা ভারাক্রান্� হয়ে থাকলেও অন্যরক� পরিপূর্ণতায় ভর� আছে।
" জীবনের এই একটা সময় কেটে যাবে, শে� হব� বুকে� দুরুদুরু � তারপ� শুরু হব� পুরন� হওয়�, বহুবহু পুরন�, ব্যবহ��ত� জীর্� হয়ে যাওয়া� এর কি কোনও মানে আছ�? আমার কে� পুরন� হয়ে যাওয়াকে এত ভয�? কেবল� কে� মন� হয� আপনি একদি� পুরন� হয়ে যাবে�, আমিও যাবো� আমরা পুরন� হয়ে যাবো বল� এত� ভয� পা� কে�? জীবন এত� অনিশ্চিত বলেই না এত ভা� এই জীবনযাপন�"
লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখনী� প্রধান ধর� হল� মানুষ। বিশেষত যৌ� পরিবার এব� সে� পরিবার থেকে বিছিন্� হয়ে যাওয়া মানু� গুলো� জীবন, তাদে� ভেতরের আত্মিক দ্বন্দ্ব এব� তাদে� জীবনের নানা জটিলতা নিয়� বিশ্লেষনমূলক গবেষনা যা ফুটে উঠেছ� তাঁর কলমে� আঁচড়ে পাতা� পাতায়� এই পৃথিবী কি পান্থশাল�? কিংব� রঙ্গশালা? লেখক এই বৃহত উপন্যাসে দেখাতে চেয়েছেন তা� কোনটাই সম্পূর্ন সত্য নয়। চিরকালের মানুষে� মানসভূমি নিয়� গড়ে উঠেছ� "পার্থি� " উপন্যাসে� উপাদান�
শহ� কলকাতা, কলকাতা� নিকট - প্রতিবেশী শহরতলী এব� এই বাংলার একটি গ্রামে� বিভিন্� চরিত্রের বাস্তব ভূমিকা, তাদে� মানসিক গঠ�, অনেক পুরন� দিনে� পরিচিত রূ�-বর্ণ-ছন্দ সৃষ্টি করেছে।
এর কাহিনী� প্রবাহ শহ�- গঞ্জ-গ্রামক� পরিব্যপ্� কর� শহুর� ওগ্রামী� জীবন� জড়িয়� থাকা অজস্� মানুষে� আখ্যান- উপাখ্যানকে নিয়� চলেছ� এক অনিকেত পরিনতি� আশ্চর্� মোহনায়।
এক অজ পাড়� গাঁয়ে, যেখানে বৃদ্� বিষ্ণুপদ তা� ভাঙ্গা ঘরের দাওয়ায় বস� প্রত্যাশায� চেয়� থাকে সামন� তা� মেজো ছেলে� অর্ধসমাপ্ত পাকা বাড়িটির দিকে� এই সামান্� দৃশ্� থেকে শুরু হয়ে �- উপন্যা� ক্রম� নানা প্রবাহ� জীবনের নানা দিকে ছড়িয়� যেতে থাকে� উন্মোচিত হত� থাকে জীবনের দেখা � অদেখ� নানা� রু�-বর্ণ-ছন্দ� একদিকে বিষ্ণুপদ� তি� পুত্� কৃষ্ণজীবন, রামজীবন,বামাচর�, কন্য� বীনাপাণী � তা� স্বামী নিমা�, প্রতিট� চরিত্র� নিজেদে� গন্ডিত� আবদ্ধ।শৃঙ্খললী� সমাজের নানা অনুশাসনে তাছাড়� সম্পর্কে� বাঁধনে আবদ্� হয়ে� এক এক জন যে� এক এক জনের কাছে থেকে� লক্ষ যোজন দূরে� অন্যদিকে হেমাঙ্�, চারুশীলা, চয়ন, ঝুমক�, অন�, মনী�, অর্পনা, অনী�, আপ� � তাদে� অনুষঙ্গে আর� অনেক মানুষ।
অসংখ্য চরিত্রের সন্নিবেশ� গড়া উপন্যাসটির কাহিনী অবাক করার মত� লেখকের বর্ননা চমৎকার, পাঠককে আকৃষ্ট কর� রাখা� ক্ষমতা যে� একটি মোহময় মাদকতা� মত� উপন্যাসি� সমাজকে কেন্দ্রে রেখে একঘেয়েম� সৃষ্টি না কর� বৃহৎ পরিসরে ফুটিয়� তুলেছে� আমাদের সমাজের বিবে�, মূল্যবোধ এব� অনুশাসনে� সংজ্ঞা।।
‘মানুষের সবচেয়� বড� শত্র� হল তা� মন� মন ভা� থাকল� দুনিয়াট� ভারী ভালো, আর মন বিগড়োলে পরমান্নও তেতো।�
‘দুনিয়াতে পালিয়� যাওয়া� কোনো জায়গা নেই। মানুষে� পালানো� সবচেয়� ভালো জায়গা হল� তা� মন� যদ� সেখানে ঢুকে কপাট বন্ধ কর� দিতে পারি তব� কে� আর নাগা� পাবে না।�
‘য� কখনো কাউক� শাসন করতে পারে না, তর্ক বা ঝগড়� কখনো করেই না তা� কি রা� হয� না! হয়৷ কিন্তু সে� রা� যেনো এক অন্ধ হাতি� মত� দাপাদাপি কর� তারই ভিতরে। তা� হৃদযন্ত্রে, পাকস্থলীতে, ফুসফুস�, মস্তিষ্ক� সর্বত্� সে� অন্ধ রাগে� ধাক্কা গিয়� লাগে� তাকে ক্লান্� কর� দেয়, বিধ্বস্ত কর� ফেলে, নিঃঝুম কর� দেয়।�
গ্রামী� জীবন একদিকে আর শহুর� যান্ত্রি� জীবন অন্যদিকে,সহ� সর� জীবনের পাশে টানাপোড়নে� জীবনের টুকর� সু�,অশ্র�,বেদনাগাথা।গতির দাপট� অশ্র� গন্ডকো� বেয়� নামা� আগেই হাওয়ায় মিলিয়� যাওয়া� লেখক কী সুন্দর চিত্রপ� অঙ্ক� করেছেন যা মোহগ্রস্� কর� তোলে�
প্রকৃত� আর এই জীবন একসাথে একসুরে এগিয়ে চলে। জীবনের লৌকিকতার ভিড়� অলৌকিকতা� আশায� কাটিয়� দেওয়া জীবনগুলো�
আম� কিছুদি� আগ� আখতারুজ্জামা� ইলিয়াসে� "খোয়াবনামা" উপন্যাসট� পড়েছি� তারও কিছুদি� আগ� পড়েছি "চিলেকোঠা� সেপা�"� এই দুটো উপন্যা� পড়া� পর� থেকে আম� এট� ভাবছ� যে সব বাংল� উপন্যাসগুল� কে� এগুলোর মত হয� না� আগ� যেকো� বইয়� গড়পড়তা খু� ভা� রেটি� দিয়� দিতা�, কো� লেখাকে বিচা� করার জন্য কো� আদর্� বা মানদন্� ছিলো না, যে কিসে� ভিত্তিতে কো� লেখাকে বিচা� করব। এখ� কো� উপন্যা� পড়ল� সেটাকে ইলিয়াসে� লেখা� সাথে মিলিয়� ইলিয়াসে� লেখাকে আদর্� ধর� রেটি� দেই। যাতে দেখা যায় বেশিরভাগ লেখা� পা� নাম্বা� পাওয়া� যোগ্� থাকে না� এই উপন্যাসটাও তা� ব্যতিক্র� নয়। হয়ত ইলিয়াসে� লেখা পড়া� আগ� এই বইটা পড়ল� অসাধার� মন� হত� সুন্দর রোমান্টি� আবেগ� ভেসে যেতাম। আমার একটা অভ্যাস হল কো� বই পড়ত� শুরু করলে শে� না কর� ছাড়তে পারি না� এই একটা বদভ্যাসে� কারনেই প্রায় ৭০� পৃষ্ঠা� বই অরুচ� নিয়� শে� করতে হল� যদ� এই অভ্যাসটা না থাকত� তাহল� অনেক আগেই এই বই পড়া ছেড়� দিতাম।
এই উপন্যাসে� রিভি� লিখত� হল� এরকম লিখত� হয়ঃ অহেতুক ইংরেজি শব্দের অপপ্রয়ো�, গড়পড়তা গল্প, মাধুর্যহী� ভাষা, ঘটনাগুলো� প্রলম্বি� বিবর�, কিছু কিছু জায়গায় অতিরিক্ত বাঙা� প্রেমে� রোমান্টিকত� এব� কিছু অদ্ভুত চরিত্র� তব� এট� নিয়� দারু� বাংল� সিনেমা বানানো যেত। এমনক� হিন্দি সিনেমাতে� ভা� চলত। শেষে সবকিছু ঠি� হয়ে� যায়� তাছাড়� কলকাতা� বাংল� মেগা ধারাবাহিকে গল্পটা চালিয়� দিতে পারল� বে� হত� তব� উপন্যা� হিসেবে না, একরক� সময় নষ্ট� বল� যায়� মোটামুটি লাগা� থেকে খারা� লাগা� ভাগটাই বেশি� আমার রিভি� পড়ে কে� মনঃক্ষুণ্ন হল� আম� খুবই দুঃখিত� অতিরঞ্জি� বই� যতটা মানুষে� মুখে শুনেছি ততটা ভা� মোটে� নয়।
আবার পড়লাম, আবার ভালো লাগলো। অনেক দি� পর যখ� ক্লান্� হয়ে যা�, প্রকৃত� আর মানুষে� দোটানা নিয়� লেখা বিশালাকা� বইটা আবার পড়ব� আম� জানি, বিষ্ণবাব�, কৃষ্ণজীবন বাবু কিংব� হেমাঙ্� আমাক� হতাশ করবে� না�
I enjoyed every page of this book.With a simple writing the author discussed about the random story about life and how it varies from people to people,society to society,maybe at some point all the story is same.He tried to find the meaning of life in philosophical perspective with those character. But Amazing experience and worth reading many times.
সুবিখ্যা�, পাঠকপ্রিয় মহ� কলেবরে� এই উপন্যাসে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় যে দর্শনগুল� ছড়িয়� দিতে চেয়েছিলেন: �/নারী কোনো স্বাধী� সত্ত� নয�, পুরুষে� মুখাপেক্ষী হয়ে থেকে ঘরকন্য� করাই তা� জন্য গর্বের � প্রাপ্তির। �/স্বাধীনত� মানে� যা ইচ্ছ� কর� বেড়ান�, মনুষ্যত্বক� বিসর্জ� দেয়া। �/নারী অধিকার মানে� নষ্টামি। অন্যের কাছে শরী� বিকিয়� দেয়া। সেক্� ছাড়� কিছু না বুঝা� ছি� (:3 �/ অধিকাং� নারী� লোভী, স্বার্থপ�, গায়� পড়া (মানে, মেয়ের� শুধু ছেলেদে� দেহই চায় না, তাদে� ঘাড়� বস� রক্ত কিডন� ফুসফুস যকৃৎ সব� ছিঁড়ে ছিঁবড়� খায়�) �/অধিকাং� পুরুষই কোমল হৃদয়ের। পা� বল� কো� শব্দ তাদে� ডিকশনারিতে নাই। �/ ধার্মি� মানে� ভালো মানুষ। আর যারা ধর্ম মানেনা তারা অমানুষ� �/ সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশন বলতে শুধু হেটারোসেক্সুয়াল� ঠিক। বাকিসব মনোবিকার�
এই বই নিয়� এরচেয়� বেশি কথ� বল� সময়ের অপচয়। এমনিতে পড়ে অনেক সময় নষ্ট করসি� এত� এত� মানুষে� এই বই ভালোলাগল� কে� বুঝতেসিনা। হয়ত� সেটা ডিফেন্� মেকানিজমের কারণেই� এত� বড� একটা বই শে� কর� সেটাকে ভালো না লাগালে ইগোত� লাগে, নিজে� উপ� রাগও হয়। সে কারণ� যে করেই হো� ভালো লাগতেই হব�! আর নয়ত� রুচি� ভিন্নতা। যাইহোক, শীর্ষেন্দু পড়া আপাত� স্থগিত� ক্ষ্যামা চা� এবারের মতো।
কই খু� তো বেশি থ্রিলি� গল্প ছি� না� সম্পর্কে� শুধু উঠাপড়ার গল্প ছি� � একেকজন মানুষে� মনের ভিতরকা� গল্প ছিল। ছি� তাদে� চিন্তাভাবনার গল্প, তাদে� চো� দিয়� পুরো পৃথিবী দেখা� গল্প � একটা ঘোরলাগ� কা� করছিল। হত� পারে জ্বরের কারণেও� কিন্তু একটা ছা� রেখে গেল। কত সাধারণ মানুষে� জীবন কিন্তু সুন্দর কর� সাজালে, শব্দগুলো ঠিকঠাক মত রাখল� সাধারণ চরিত্র আর সাদামাটা তাদে� গল্প� কেমন অসাধার� হয়ে যায়!
আজকালকার বাঙ্গালি লেখকদে� একটা সমস্যা যে, তারা লেখা� সময় হয়ত শহরকেন্দ্রিক অথবা গ্রামকেন্দ্রিক জীবনধারাকে পুজি কর� লেখেন। কিন্তু এই বইটিতে দুটো বিপরীতমুখী লাইফস্টাইলের ফিউশনে� মাধ্যম� জীবনের নানা সংঘাতক� শীর্ষেন্দু ফুটিয়� তুলেছেন। আমার মায়ের রিকোমেন্ডেশন� পড়লাম� অসাধার� একটা বই�
আমার জীবন� পড়া অন্যতম সেরা একটা বই এটি। ৪দিন টানা পড়ে বাকি ৪০� পৃষ্ঠা শে� কর� পুরো একটা দি� আম� ঝি� ধর� বস� ছিলাম। এই বইয়ের কিছু চরিত্র এত বেশি অসাধার� ভাবে তৈরি করা। এই বইয়ের যত কথ� আছ� তা� শতকর� ৭০ ভাগই বোধহয় আমাক� ভাবিয়েছে। আমার চিন্তাচেতনাক� উন্মুক্ত করেছ�, বিস্তৃ� করেছে। কৃষ্ণজীবন চরিত্রটিকে আম� নিজে� মধ্য� মিশিয়� দিতে চাচ্ছিলা� বইটা পড়ত� পড়তে। হেমাঙ্গে� ক্যারেক্টা� ডেভেলপমেন্� ছি� খুবই সুন্দর� আপ� একটা অসম্ভব উচুমানের চরিত্র যেমন হয়ত� প্রতিট� মানুষে� হওয়� উচিত� চয়নের কথ� বার্তা, অবস্থা, পরিস্থিত� দেখে বারবার মন� হয়েছে যা� ওর পাশে চু� কর� বস� থাকি� এরকম আর� অনেক চরিত্র, অনেক গল্প,ঘটনা নিয়� এই বই� আমার বন্ধুর কথায�- পার্থি� একটা দর্শন। সত্যিই তাই।
আমার একটা বই খু� পড়ত� ইচ্ছ� করছে� বইটি� না� "ডার্লি� আর্থ লেখক-কৃষ্ণজ৶বন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর লিখা পার্থি� পড়ে শে� করার পর মন� হচ্ছ� কৃষ্ণজীবনের লিখা "ডার্লি� আর্থ" বইটা যদ� পড়ত� পারতাম� কিন্তু সেটা কি আদ� সম্ভ�? সম্ভ� না।কার� কৃষ্ণজীবন একটি বইয়ের চরিত্র।তাই তা� লিখা বইটা পড়া সম্ভ� নয়। পার্থি� উপন্যাসে কৃষ্ণজীবনের লিখা চারট� বই এর কথ� আছে।দুইট� প্রকাশিত হয়েছে-"ডার্লি� আর্থ এব� "দি বলডি� হে�". আর� দুইট� লিখা শুরু করেছ�,একটি প্রবন্� আকারে।না� "ব্যা� টু ফিউচার,অ্যাডভান্স টু পাস্�". আরেকটা লিখা শুরু করেছে।সে� বইটি� না� " হোয়েন আই মি� মাইসেল�".এই বইগুলো সবসময়ের জন্য� টিবিআর�(TBR-to be read)থেকে যাবে,কখনো� পড়া হবেনা। একটা বইয়ের চরিত্র কিভাবে একজন মানুষে� চিন্তা ভাবনাক� এতোট� প্রভাবিত করতে পারে� আশ্চর্য। কৃষ্ণজীবনের মত� যদ� কে� হত� পারত�? অন্য মানুষে� কথ� কে� বলছি? আমিই যদ� তা� মত� হত� পারতাম,তা� মত� ভাবত� পারতাম,আমার চিন্তা ভাবনাও যদ� তা� মত� হতো। কারণ কৃষ্ণজীবনের চিন্তাভাবনাগুল� আমার চিন্তাভাবনাক� খু� ভালো ভাবে� প্রভাবিত করেছে। এই বইটা পড়া� সময় আমার কেমন যেনো একটু শান্তি শান্তি লাগছে।একটু না,অনেক বেশি শান্তি শান্তি � লাগছে।এত� ভালো একটা বই� শুধু ভালো বললে� কম বল� হব�. এই বইটা আমাক� নতুন কর� ভাবত� শিখিয়েছে।এই বইটা পড়ে কত কি যে শিখলাম।য� শিখলাম তা কি নিজে� মধ্য� ধারন করতে পারব� কোনোদি�? কারন কৃষ্ণজীবন নিজে� বলেছ�-"অনেক� বই পড়ে,কিন্তু বইয়ের কথাক� ভিতর� নেয়না�" কিন্তু আম� অন্ত� একটা চেষ্টা কি করতে পারিনা? আম� যদ� পাড়তা� তাহল� সবাইকে মেসে� দিয়� দিয়� বলতা�,প্লি� তোমর� এই বইটা একটা বা� পড়ো।তোমাদের কাছে এইটা আমার অনুরোধ� আজ বইটা পড়ে শে� করলাম।^_^ এই বইটা নিয়� আমার অনুভূত� অনেক বেশি,আর সে� অনুভূত� একটা পোস্টে লিখে শে� কর� যাবেনা।� আর� লিখব� বইটা নিয়�,আর� লিখবো। এই বইটা� কথ� আম� কখনো ভুলত� পারবোনা।আর ভুলত� চা� � না।আমি চা� এই বইটা� রে� আমার সাথে সবসময় থাকুক।💚 এখ� পর্যন্� খু� বেশি বই না পড়লেও খু� কম যে পড়েছি তা� নয়।বেচে থাকল� হয়ত� আর� পড়বো।কিন্তু যত বই � পড়িনা কেনো,এই বইটা� প্রত� আলাদ� একটা ভালোবাসা থেকে� যাবে।� বইকে � তারা দিয়� রে� কর� যায়।কিন্ত� আম� যদ� পারতাম আকাশের সব তারা নামিয়� এন� এই বইটিকে রে� করতাম।💙
'দূরবী�'-এর পর তাঁর সাথে আবার দেখা দি� দশেক পরে। কথ� নে� বার্তা নে�, আমাক� নাকি তাঁর সাথে যেতে হব� পশ্চিমবঙ্গের বিষ্ণুপু� আর কোলকাতায�; অনেকগুলো মানু� নাকি অপেক্ষায� আছ� আমার! শুনে হেসে বাঁচ� না� পাগলাম� আর কাকে বল�! কিন্তু, উপেক্ষাও কি পেরেছি দিতে? তাঁর গল্প শুনবার মোহে, একদল নতুন মানুষে� সাথে মিশে যাওয়া� লোভে 'না' করতে পারি নি আর� বর্ষার এক ছিমছাম দুপুরে ভাতঘুমের বদলে রওনা হলাম আম�, শীর্ষেন্দু� সাথে, 'পার্থি�'-�! বাংলাদেশ থেকে সোজা চল� গেলা� বিষ্ণুপুরে, কৃষ্ণজীবনের গ্রামে� বাড়িতে। কৃষ্ণজীবন মস্ত বড� বিজ্ঞানী, পৃথিবী জুড়� তা� নামডাক� তব� মানু� হিসেবে তিনি আর� বড�! বিজ্ঞা� নিয়� যা� কারবার, সে নাকি পৃথিবী সুদ্� লোকে� কাছে বল� বেড়াচ্ছ�- "এতকা� পৃথিবীতে বা� করেও, পৃথিবী� ধনসম্প� লুটপাট তছনছ করেও মানুষ� বোকা মানু� ধরতে� পারেনি, পৃথিবী� সঙ্গ� তা� সম্পর্কট� কী!" কৃষ্ণে� সাথে বিষ্ণুপুরে� যোগাযো� কম� গেছে নানা বাস্তবতায়� তব� দেখা হল তাঁর বাবা বিষ্ণুপদ এব� মা নয়নতারা� সাথে� অপূর্ব এক জুটি� এই রেষারেষি� জুগে� কী চমৎকার দাম্পত্যের চাদর বুনেছে� এই ভীষন 'গেঁয়ো' দুজন� মিলে� তব� বাকি ছেলে মেয়েগুল� মানু� হয়ন� ঠিকঠাক� কে� নি� দোষে, কে� কপালের ফেরে� তাঁদের মুখে� শুনলাম ছেলে বামাচর� আর রামজীবনের বৈপরীত্�, শুনলাম লোভে� বশ� হী�-দরিদ্র বীণাপানি-নিতা� এর অদ্ভূত জোড়ের গল্প� শুনলাম কৃষ্ণজীবনের অত বড� মানু� হওয়ার পটভূমি� শুনলাম এক নিতান্� অজপাঁড়াগা� থেকে নিদারু� কষ্ট�, অসী� অভাবেও দারুণভাব� ঘুরে দাঁড়ানো কৃষ্ণজীবনের আত্মার কথা। যে একদি� ফিরে আসতে চায় নি� গ্রামে, ছুড়� ফেলত� চায় 'সভ্যতা' নামে� মরীচিকা� মুখোশকে। কৌতুহল হল খুব। 'কৃষ্ণজীবন'� � কেমন মানু�? এত মস্ত হয়ে� খু� অদ্ভূতভাবে আমার এলোমেল� চিন্তা� সাথে এক হয়ে যাচ্ছে তাঁর অত পান্ডিত্যে� রুচিবো�, মিশে যাচ্ছে আমার হতাশার সাথে তাঁর দুঃখবো�, একাকার হয়ে যাচ্ছে আমাদের জীবনদর্শ�! না�, এঁ� সাথে দেখা না কর� ফেরা যাবে না!
শীর্ষেন্দুকে সে কথ� জানাতে� হাসলেন খুউব... সে ব্যবস্থা নাকি করাই আছ�! এক বু� কৌতুহল নিয়� রওনা হলাম কোলকাতায়। চারুশীলা, মানে চারুমাসি� বাড়ি। চারুশীলা� স্বামী মস্ত আর্কিটেক্ট, বিশ্বজোড়া না�, টাকা� ছড়াছড়ি� বাড়িত� ঢুকে� টে� পেলা� সত্যতা� কিন্তু � কী? � তো দক্ষযজ্ঞ একেবার�! বিরা� বাড়� গমগম করছে লোকে� দারু� ভাবে সাজানো পুরো বাড়�, ডাইনিং টেবিলে শতেক পদ� তব� ভ্যাবাচ্যাকা খেলা� চারুমাসি� কথায� -"আসুন! আজকে আপনি আসার উপলক্ষ্যেই পার্টি দিয়� দিলা� একটা! লজ্জ� করবে� না, 'পার্থি�'-এর সকলে� সাথে পরিচিত হতেই এই ছোট্� আয়োজন�" বল� কি এই মেয়�! পাগল নাকি? শীর্ষেন্দু হাসলেন� বুঝিয়� দিলে� অত ঘাবড়ানো� কিছু নে�, চারুশীলা একটু অমনই� খুউউ� ভালো, প্রচন্� ফুর্তিবা�, একটউ অফ-বিটে�, তব� সকলকেই কী যে ভালোবাসে�! তা� প্রমাণ� পেয়� গেলা� বাকি সময়টুকুতে� ঘুরে ঘুরে পরিচিত হলাম সকলে� সঙ্গে।
সোফা� এক কোণে চুপচাপ বস� আছ� রোগামত� একটা যুবক� চো� তুলে চাইছ� না কারু� দিকে, চাহুনীতে একটা দিশেহারা ভা�, বসবা� মধ্য� কেমন যে� আত্মবিশ্বাসে� অভাব! জানলাম ওর না� চয়ন, চারুমাসি� মেয়ের প্রাইভেট টিউটর। সে কৃষ্ণজীবনের মেয়েকেও পড়ায়� ভীষণ দুঃখী ছেলে, মৃগীরো� আর অন্যান্য অসুখের ভয� বড্ড ভোগাচ্ছে ওকে। তা� উপ� পরগাছা� মত� ভাইয়ে� বাড়িত� থাকা আর অসুস্থ মা যে� ছিবড়ে নিয়েছ� ওর সমস্� যৌবন� মায়� লাগল� খুউব� করুণাও কি নয�?
সোফা� আরেকপাশে এক সুদর্শ� যুবক সিল্কে� পাঞ্জাবি পড়া, মুখোমুখি বস� একটি মেয়ে। দুটিতে গল্প হচ্ছ� খুব। বোঝা� যাচ্ছে নিজেদে� সঙ্গ উপভো� করছে ওর�, আম� আর গেলা� না সামনে। চারুমাসি বললে�, একজন হেমাঙ্�-তাঁর পিসতুত� ভা�, আরেকজন রশ্মি। ওদের বিয়� হচ্ছ� শিগগির�, যদিও হেমাঙ্� কিছু বল� নি এখনো, তব� চারুমাসি এবার বিয়� যে� দিয়েই ছাড়বে হেমাঙ্গের। ছেলেটাকে বে� লাগছে। প্রাণোচ্ছল, একটু শিশুসুলভ ভা� চোখে মুখে, সে তুলনাম রশ্ম� যে� একটু বেশি� স্মার্ট। খাপছাড়া লাগছ� নাকি একটু? আরেকটু খেয়াল করতে� দেখলাম, না, ভু� দেখিনি, কিছুক্ষণ পরপর হেমাঙ্� আর ঝুমকির দু'জোড়� চো� যে� দুজনের দিকে স্থি� হচ্ছ� হঠাৎ হঠাৎ� কিছু একটা বলতে চাইছ� দুজনেই, পরিস্থতি তাদে� সে� সুযোগট� দিচ্ছে না! কিন্তু কে�? কী বলতে চায় ওর�?
এবার� খাবা� পালা� ডাইনিং টেবিলে বসেছ� সবাই� ডাইনিং রুমে� দরজা দিয়� তাড়াহুড়োয় ঢুকলেন মধ্যবয়সী এক জোড়� পুরুষট� বে� লম্ব�, চওড়� কাঁধ, ভাবেসাবে গাম্ভীর্� প্রক�, তব� চোখদুটিত� কেমন যে� সরলত� ভর করেছে। পাশে� মহিলাটিও বে� পরিপাট�, ক্লাসিক। শীর্ষেন্দু পরিচয় করিয়ে দিলেন। কৃষ্ণজীবন আর রিয়া। ওহ! �-� তাহল� সে! কৃষ্ণজীবন! এক অভিমানী, ব্যথিত বিজ্ঞানী! পৃথিবীকে যে ভালোবাসে নিজে� গাঁয়েরই মতোন! পরিচয় একটু এগুতেই শুরু হল কৃষ্ণজীবনের জীবনদর্শন।অনেক অনেক কথার শেষে ওঁ বললো, "জীবনের গভী� গভীরত� মর্মস্থল থেকে মাঝেমাঝে উঠ� আস� হলাহল। মাঝেমাঝে উঠ� আস� অমৃত� মন্থ� কর, জীবনের গভীরে দা� ডুব। নইলে ওপরস� ওপরস� ভেসে বেড়ান� হব�, লাগব� হাজা� উপকর�, বোঝা� যাবে না কে� জন্ম, কে� এই জীবন যাপন�" সহধর্মিণী রিয়� কি স্পর্ষ করতে পারে কৃষ্ণর এই ব্যকুলতা, এই উদ্বেগ? সে কি প্রগাঢ� মমতায়, সুবিশা� ভালোবাসায় দিতে পারে কৃষ্ণক� একটুখানি ভরসা, একটুখানে স্বস্ত�? কৃষ্� কি বোঝাতে পারে রিয়াক� সব? নাকি কাজে� ব্যস্ততায় এড়াতে পারে না দুজনের অবশ্যম্ভাবী দূরত্ব? কে জানে! চো� দেখে কি আর অতটা বোঝা যায়? আম� কি অতটা� অতলস্পর্শী?
এরপরের কাহিনীগুলো এগুত� থাকে ধীরলয়�, চলতে থাকে নিজে� গতিতে। কাহিনী� গলিঘুপচি, চরিত্রের বিশা� সম্ভার� কোনোকিছু� জট পাকাতে পারে না এর বুনন�, কাটত� পারে না কোনো সুর। সমস্তট� মিলে এক মস্ত জীবন দর্শ�, এক বিরা� রঙিন ক্যানভাস� গল্পের যখ� শে�, তখনো আম� ডুবে আছ� সবটাতে� নিজে� ব্যক্তিসত্তা� তিনট� দি� স্পষ্ট খুঁজ� পেলা� কৃষ্ণকান্ত�, হেমাঙ্গে, ঝুমকিতে। তা� বুঝি এত অল্পেই এতটা আপ� লাগছ� ওদের? সবার কা� থেকে বিদায় নিয়� বেরিয়� পড়লাম কোলকাতার ব্যস্ত রাস্তায়� চাপা গলায� শীর্ষেন্দু বল� উঠলো, "জীবন � মৃত্যু� অর্থহীনতার মাঝখান� কী মহান এই পার্থি� জীবন! ক্ষণস্থায়ী, অথ� কত বর্ণময�!"
[এট� কোনো বু� রিভি� নয়। ভেবে দেখলাম, ওভাব� আম� পারি না লিখতে। তা� লিখে গেলা� ৭১� পৃষ্ঠা� এই বই পড়া� সময়টুকুতে আমার ভ্রমণ। যা বলতে চেয়েছ�, বোঝাতে পারি নি তা� কিছু�, হয়ত� ! 'পার্থি�' - যে কোনো কিছু� চেয়��� একটু বেশি কিছু...! ]
"পার্থি�" শব্দের অর্থ জাগতিক, লেখক তাঁর উপন্যাসে� নামকরণের সার্থকতা বহাল রেখেছেন। জাগতিক জীবনের ভাংগ� গড়া,সম্পর্কে� টানাপোড়েনের মধ্য� দিয়� এগিয়ে চল� উপন্যাসটি।উপন্যাসে� প্রতিট� পাতা উপভোগ্য।উপন্যাসে� আড়ালে বাস্তব জগতটাক� দেখা� সাবলী� ভাষায় লেখক গড়পড়তা জীবনের গল্প� করেছেন,যেখানে সকলে� গল্প� কো� না কো� ভাবে এক, পার্থক্য শুধু তাদে� চারপাশের সমাজে।কে� কলকাতা� আলিশান ফ্ল্যাটে বস� জীবনের অং� কষছে কে� হয়ত কো� এক গ্রামে ঘরের দাওয়ায় বস� জীবনের এই ভাঙ্গা গড়া নিয়� ভাবছে। প্রতিট� চরিত্র খুবই সাধারণ কিন্তু লেখক তাঁর দুর্দান্� লেখনীতে আশ� পাশে চরিত্রগুলো হয়ে উঠেছ� জীবন্ত� চরিত্রগুলো যে চোখে� সামন� এভাব� নেচে উঠবে কে জানত?চরিত্রগুলো নিজে� সাথে� কথ� বল�, নিজে� সাথে বোঝাপড়া�,নিজে� সাথে সারাক্ষণ যে� এক মনস্তাত্ত্বি� দ্বন্দ্ব� বিষ্ণুপদ,নয়নতারা, কৃষ্ণজীবন,রিয়�, রামজীবন, বামাচর�,বীণাপানি,নিমা�,কাকা,হেমাংগ,চারুশীলা,ঝুমক� বা চয়ন সকলক� মন� হচ্ছিল খু� কাছের।তাদে� যে� চোখে� সামন� দেখত� পাচ্ছি,হা� বাঁড়ালে ছোঁয়া� যাবে।তাদের নানা কষ্ট� একাকার হয়ে গিয়েছ�,হাসিতে হেসেছি,বোকামি তে আফসো� করেছি।তারা যে� খু� কাছের।বাস্তব না হয়ে� যে� বাস্তব।এতবড় উপন্যা�,এত গুলা চরিত্র অথ� একটু� এলোমেল� লাগে না।লেখ� যে� অনেক গুলো টুকর� কে এক মালায় গেঁথেছেন।পড়তে পড়ত� পাঠক� সে� মালায় গেঁথ� যায় হয়ে যায় বইটি� একটি অংশ। উপন্যাসে আমার সবচেয়� পছন্দে� চরিত্র কৃষ্ণজীবন।অদ্ভু� এক মায়�,ভালোবাসা জন্মেছ� এই চরিত্রের উপর।বাইর� হাজারো চাকচিক্য,অনেক অনেক খ্যাতি� ভীড়েও মানু� যে কতখানি একাকীত্বে ভোগে� তা� একপ্রকৃষ্ট উদাহরণ কৃষ্ণজীবনের জীবন।তার যে� সব থেকে� নেই।এই কারণেই হয়ত সবকিছু� প্রত� তা� এত মায়া।পৃথিবী� প্রত� অগাধ ভালোবাসা।কৃষ্ণজীবনের সাথে দেখা করতে ইচ্ছ� হচ্ছ�, তাঁর "ডার্লি� আর্থ" বইটি পড়ত� ইচ্ছ� করছে খুব।আসলে� কী পৃথিবী কে এভাব� ভালোবাসা যায়?এতটা ভালোবাসা যায়? উপন্যাসট� মন� অসংখ্য প্রশ্নের উদ্রেক করবে, আবার উপন্যাসে� মধ্যেই উত্ত� খুঁজ� পাবেন। চরিত্রগুলো� সুন্দর গোছানো পরিণতি� মধ্য দিয়� বইটি শে� কিন্তু এক অদ্ভুত ঘো� রয়ে যায়,এই ঘো� কাটত� সময় লাগব�...
2021 � পড়া শুরু করেছিলাম, আজ ২০২৩ � এস� শে� হল, যখ� শুরু করেছিলাম তখনকার চিন্তাভাবন� , দর্শ� , রুচি অনেক কিছু� পালট� গেছে� ২০২১ � যা অমৃত মন� হত, তা হয়ত এখ� বিষাক্� লাগে� আবার অনেক অপছন্দের বিষয়ও পছন্দে� তালিকায় চল� এসেছে। এটাই হয়ত পার্থি� মানুষে� ধর্ম� পাল্টাতে থাকা�
এট� কেমন বই তা মোটাদাগে বল� কঠিন� এক জীবনকে বে� কয়েকট� দৃষ্টিকো� থেকে দেখা� একটা প্রচেষ্ট� হয়েছে� উপন্যাসট� যে� অনেক যাপি� জীবনের ধারাভাষ্য। গল্পের চরিত্রগুলো� আলাদ� আলাদ� জীবন, আলাদ� উদ্দেশ্য� কিন্তু সবাই যে� একান্ত নির্জন� জীবনকে বুঝত� চেষ্টা করছে� নানা ঘা� প্রতিঘাত� জীবন এর কারন, বেচে থাকা� কারনকে প্রশ্নবিদ্� করছে, উত্ত� খুজছে। আমরা সবাই মন� হয� এই দি� দিকে একরকম। যত� বস্তুবাদী হই, লোভী হয�, কিংব� পরকা� নিয়� পড়ে থাকি, জীবনকে বুঝত� চেষ্টা কর� যাওয়া এক দার্শনিক আমাদের সবার মধ্যেই বা� করে।
আচ্ছ� � পৃথিবী কি রঙ্গশালা! আমরা সবাই কি রঙ্গশালা� একেক অভিনেত� অভিনেত্রী� নাকি � পৃথিবী একটি পান্থশাল�, আর আমরা সবাই এই পরিগ্র� ভ্রমনে আছি। আচ্ছ� জীবন মানে কি? জীবন মানে কি শুধু বেঁচ� থাকা, বেঁড়ে উঠ� কর্মক্ষেত্� সংসা� মৃত্যু? জীবনের সাথে মনের সংযোগট� কোথায়? মন আসলে কি? মনের অস্তিত্ব কোথায়?
মন আর মনোজগৎ নিয়� একগাধা প্রশ্ন� বলছি জীবন মন নিয়� কথা। এই মনোজগৎ জীবনের অর্থবো� নিয়� ওপার বাংলার একটি বিশা� উপন্যা� শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রচিত পার্থিব। পার্থি� শব্দের আভিধানিক অর্থ জাগতিক বা জগ� সাংসারিক�
উপন্যাসে� শুরুতে� বিষ্টুপু� গ্রামে� শীতলাতলায় এক বৃদ্� বিষ্ণুপদ� পেশায় মাস্টা� ছিলো বর্তমানে রিটায়ার� এক রাতে সে স্বপ্ন কালঘড়� দেখলো। মৃত্যু� আগ� তা� বাবা দাদা পরদাদা� নাকি কালঘড়� দেখেছিল। তা� তো বিষ্ণুপদ মৃত্যু� চিন্তায় বিভোর। জীবন� কি করলা� কতটুকু করলা� ইত্যাদ� চিন্তায় যাচ্ছে বিষ্ণুপদের জীবন� বিষ্ণুপদ চেয়েছ� নিজে� বাড়িত� থাকতে। বিষ্ণুপদের বড� ছেলে কৃষ্ণজীবন� জীবন সংগ্রামে� ঘানি টেনে সে আজ শিক্ষি� মস্ত বড� প্রফেসর। কলকাতায় বিশা� ফ্ল্যা� করেছে। সে ভাবু� ; পৃথিবী নিয়� তা� বিশা� ভাবন�, মানু� কেটে ফেলছ� গা�, উজার করছে অরণ্�, বায়ুত� দূষণের মাত্রা বারছে। ডার্লি� আর্থ নামে তা� একটও বই� বে� হল� পৃথিবী সম্পর্� এ। আর� কত বই লিখেছে� তিনি� প্রয়োজন অপ্রয়োজনে ইউরো� এ্যামেরিকায় পাড়� জমাচ্ছেন� কলকাতা� এক শিক্ষি� আধুনিক মেয়ের সাথে ভালোবেসে সংসা� পেতেছে�, সন্তান সন্তুট� হয়েছে� তবুও কৃষ্ণজীবন এর মনটা পর� আছ� গ্রামে� সে� লাঙ্গল এর ধারে� রামজীবন বিষ্ণুপদের আরেক ছেলে� পেশায় মাতাল। কিন্তু পিতামাতা� প্রত� রয়েছে অবাধ শ্রদ্ধ� ভক্তি। পিতা� দুচর� বুকে নিয়� কাঁটিয়ে দিতে পারে সারারাত। বীনাপাণি বিষ্ণুপদের মেয়ে। বাবা� পছন্দে বিয়� হয়েছে সৎ নিষ্� এক ব্যাক্তি নিমা� এর সাথে� কিন্তু সততা� মূল্� কি এই কলিযুগ� আছ�? তাইত� পেঁটের দাঁয়ে বীনাপাণিকে নামত� হয়েছে যাত্রাদলে। হেমাঙ্� কলকাতা� ধনী পরিবারের সন্তান� কখনো বিয়� সাদী করবেনা বল� প্রতিজ্ঞ� করেছে। হটাৎ� তা� পরিচয় হল� রশ্ন� রায় নামে� বিলা� ফেরত এক সুশ্রী এর সাথে� শ্রীমতী রশ্ন� রায় এর সাথে কখ� যে মন দেয়� নেয়� হয়ে গেলো তার। দিদি চারুশীলা� উঠ� পর� লেগেছে রশ্ন� আর হেমাঙ্� এর মি� দেখতে। কিন্তু ঐয� বলেন� জন্ম মৃত্যু বিয়� এই তি� তাকে নিয়ে। হেমাঙ্গর কি হল� তবে। চয়ন, টিউশনি কর� চলে। গনিত ইংরেজিতে ভালো মাথা� টিউশনে� টাকায় দেখাশুনা কর� মাকে� কিন্তু জীবন চয়নের পক্ষ� নয়। এপিলটিকে� কাছে বারবার পরাজিত হত� হয� চয়নের� চয়ন মা দাদা বৌদি� সাথে নি� বাড়িত� থাকে কিন্তু চারট� দেয়াল মানে নয়ক� ঘর নিজে� ঘর� অনেক মানুষও পর� মনী� অর্পনা� দু যুগে� সংসার। ফটোগ্রাফার জীবন� মনীশে� প্রেমে পরেছিল� অর্পনা� সে� প্রে� দ্বাড়াল� সংসারে, হল� সন্তান সন্তুত� এল� চাকুরী� কিন্তু হার্� এর্টাক এর ধক� সামলাব� কে? তবুও সুখে� সংসা� মনী� অর্পনার। ঝুমক� মনী� অর্পনা� বড� মেয়ে। শান্তশিষ্ট ঠান্ডা মেজাজী� চায় নিজে� পায়� দাড়াত�, সেলফডিপেন্� হতে। ঝুমক� পছন্� কর� একজনকে� কিন্তু বু� ফাঁট� তো মু� ফুঁট� না অবস্থা ঝুমকির�
কি ভাবছেন এতোগুল� চরিত্র? হু� আর� আছ�, চারুশীলা, বামাচর� শ্যামলী, নয়নতারা,কাকা,সজ�,অন�, আর� আর� কত অপ্রধা� চরিত্র� প্রায় ডজ� খানে� মূ� চরিত্র আর প্রায় আধ� ডজ� গল্প নিয়� লেখক এগিয়ে চলেছ� পার্থি� উপন্যাসটি। প্রতিট� চরিত্রের মাঝে লেখক তুলে এনেছ� জীবনের গল্প� প্রতিট� চরিত্রের আলাদ� গল্প� লেখক এই চরিত্রগুলো� ভিতর থেকে দেখিয়োছেন জীবন, মানু� আর মন� লেখক যে� লিখত� বস� হয়ে উঠেছেন দার্শনিক� গল্পের শুরুতে একেক কর� চরিত্র বে� হয়ে এগিয়ে গেছে সার্পি� গতিতে। সে� সাথে গ্রামী� জীবন শহুর� জীবন, আর পৃথিবী নিয়� ভাবনা। বহ� ঘটনা পর ঘটনা� বিস্তৃ� পটভূমিতে লেখক তুলে এনেছেন জীবন�
ব্যাক্তিগত ভাবে শীর্ষেন্দু বাবু ধর্ম � দর্শ� বিষয়ক বই বেশি পড়েছেন। তা� সে� নিজস্ব দর্শ� আর জীবনকে দেখা� দৃষ্টিভঙ্গিই তিনি পার্থি� উপন্যা� এর মাঝে তুলে এনেছেন� যে� সূক্ষ্� সূক্ষ্� ভাবে তিনি বুঝাচ্ছে� জীবন কাকে বলে।
এর আগেও আম� শীর্ষেন্দু বাবু� দূরবী� , চক্র, সাতাঁর� � জলকন্য� এব� বে� কিছু রহস্� উপন্যা� পড়েছি� তা� সামাজি� উপন্যা� লেখা� স্টাইল যতটা ঢিলে ঢালা তা� থ্রিলা� উপন্যা� গুলো ততটা� টা� টা� উত্তেজনাশীল। তো পার্থি� উপন্যাসটাও তেমন ধীরে ধীরে শুরু এব� এগিয়ে যাওয়া�
অন্যসব লেখক এর থেকে শীর্ষেন্দু বাবু� মুন্সিয়ানার দিকট� হচ্ছ� অন্যসব লেখক যেমন চরিত্র তৈরি কর� ফিনিশি� দেয়, আর শীর্ষেন্দু বাবু তৈরিকৃ� চরিত্রগুলোকে টেনে আনেন এক প্লটে। যে� অনেক জায়গা থেকে তুলে আন� সুতো দিয়� বোনা একটি নকশিকাঁথা। পার্থি� ঠি� তেমনি। এর শে� অধ্যায� গুলো যে এত� সুন্দর ভাবে তিনি ফিনিশি� দিয়েছ�, যে বইটি পড়ত� পড়ত� নিজে� অজান্ত� ব্রিলিয়েন্ট শব্দটি মু� দিয়� বে� হয়ে এসেছে।
পার্থি� উপন্যাসট� আম� পড়েছি আর ভাবছিলাম এতোট� সুন্দর কর� মানু� কিভাবে লিখে� এতোট� গভী� ভাবে লেখক বল� যাচ্ছেন। যত� পড়ছ� তত� মুগ্� হচ্ছি। শেষমেশ এই একরা� মুগ্ধত� নিয়েই শে� হল� আমার পার্থিব। নিঃসন্দেহে পার্থি� একটি মাস্টা� পিস।
এতোদ� স্বত্বেও লেখক সেদি� বাংলাদেশ� এস� বলেছিল� তিনি একজন বাইচান্স লেখক� ভাগ্যক্রমে এই বাইচান্স লেখককে আমার সামনাসামনি দেখা� সুযো� হয়েছিলো� এবার তা� � হা� দুটো ছুঁত� চাই।
ফিরে দেখা ::: বইয়ের না� : পার্থি� লেখক : শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় জনরা : চিরায়� সামাজি� উপন্যা� প্রকাশনা : আনন্� পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটে�, কলকাতা� প্রথ� প্রকাশ কা� : ডিসেম্বর ১৯৯৪� পৃষ্টা সংখ্যা : ৭১৫। মূল্� : ৭০� ভারতীয় রুপি�