"আয়ন� ভেঙে গেলে কী হয�? কিছু� হয� না� আয়ন� ভেঙে গেলে ভাঙা আয়নার প্রতিট� টুকর� আয়ন� হয়ে ওঠে।"
দেশে� বাইর� থাকলেও কে� শাহাদুজ্জামানে� লেখায় প্রবাসজীবন অনুপস্থি�- � প্রশ্নের উত্তরে তিনি যা বলেছিলেন তা মোটামুটি এরকম - বিদেশে� সবকিছু গৎবাঁধ� আর যান্ত্রিক। তিনি যে ট্রেনে কর� কাজে যা� তা আস� সকাল ১০টায়� কয়ে� বছ� ধর� ট্রেনট� ঠি� ১০টাতে� আসে। ভুলেভালে হয়ত� দু'চারবার দু'এক মিনি� এদিক সেদি� হয়েছে� এটার মধ্য� গল্পের কোনো উপাদান নেই। অন্যদিকে বাংলাদেশ� ঘর থেকে বে� হল� কতোক্ষণে গাড়� পাওয়া যাবে, কতোক্ষণে গন্তব্যস্থলে পৌঁছান� যাবে তা� কোনো ঠি� ঠিকানা নেই। পথিমধ্যে ঘটতে পারে অনেক ঘটনা যা থেকে তিনি গল্প লেখা� অনেক উপাদান খুঁজ� পান।
কৃষ্� জলেশ্বরে� "ভাঙা আয়নায� দেখা মু�" এর কিছু গল্প পড়ত� যেয়� শাহাদুজ্জামানে� কথাগুল� মন� পড়লো। � ঘটনা শুধু বাংলাদেশেই ঘট�, � গল্প তা� শুধু এদেশেই লেখা সম্ভব। সংকলনে� সেরা গল্প "ঘটনা এইরূপে ঘট�" শুরু হয়েছে এভাব� - "ঘটনা এইরূপে ঘট� - সাবিকুন্নাহা� পলির বিয়� হয়ে যাওয়া� সাড়� পাঁচ বছ� পর অবিবাহিত রুহু� আমিন জানত� পারে সাবিকুন্নাহা� পল� তা� বিবাহি� স্ত্রী�" ভোটা� আইডি কার্� বানানো হচ্ছ�, পরেরবা� বানাতে গেলে � বছ� দেরি হব�- এজন্� রুহু� আমিন নিজে� বয়স দু� বছ� বাড়িয়ে ভোটা� হয� কিন্তু দশ বছরে� তা� ভো� দেওয়া� সুযো� ঘট� না� এদিক� সাবিকুন্নাহা� পল� অন্যের ঘরণী হলেও পাসপোর্ট অফিস� যেয়� রুহু� জানত� পারে পল� তা� স্ত্রী! পুরো গল্পের মোচড়গুল� খুবই পরিচিত, বাংলাদেশের মানু� এস� ভোগান্তি� সাথে আজন্� পরিচিত� লেখক শুধু এস� পরিচিত ঘটনা সূক্ষ্মভাব� গুঁজ� দিয়� সৃষ্টি করেছেন অসাধার� এক গল্পের�
"ম্লা� ছায়ার শরী�" গল্পটা আবর্তি� হয়েছে গল্পকা� আব� জাফর মোহাম্মদ � কব� সুমিতক� ঘিরে� দুজনের দ্বন্দ্ব, পেশাগত ঈর্ষ�, তর্ক ঘনীভূ� হয� ভ্যারাইট� শো-তে কঙ্কাবতী� "অশ্লী�" না� দেখত� গিয়ে। তাদে� কথোপকথ� � ঘটনা� পরিণতি� মধ্য� (বিশেষত আব� জাফরের নায়� হত� চাওয়া� মধ্য�) আছ� অনেক চিন্তাভাবনার উপাদান� এছাড়া আবলু� কাঠে� কফিন, কুংফ� না জানা মাস্টা�, দূ� গল্পপু�, লিফট,আয়ন� ভেঙে গেলে- গল্পগুলো� উল্লেখযোগ্য। একটা গল্পের সংলাপে আছ� "তুমি আদতে তোমা� বাইর� যেতে পারছ� না� গল্পের খাতিরে তুমি একটু নিজে� থেকে বে� হয়ে আসো।" কৃষ্� জলেশ্ব� নিজে� থেকে বে� হয়ে নির্বিকা� চোখে দেখেছে� মানু�, তা� প্রকৃত�, স্বভাব,অতী�, তাদে� জীবন � রাজনৈতিক বাস্তবতা� যে কারণ� বইটি পাঠকের অভিনিবেশ দাবি করে।
কৃষ্� জলেশ্ব� আমার এই সময়ের প্রিয় একজন গল্পকার। তা� সেঃন্স অফ হিউমার খুবই ভালো� হঠাৎ কর� একটা ক্ষুদ্� ডিটেইলসে� মাধ্যম� দৃশ্যপ� তুলে ধরতে পারে সে� এই বইয়ের "ঘটনা এইভাবে ঘট�", আর "কুংফ� না জানা মাস্টা�" এই দুইট� গল্প তো অসাধার�! বাকিগুলি� পড়ে আনন্� পেয়েছি।