Samaresh Majumdar (Bangla: সমরে� মজুমদা�) was a well-known Bengali writer. He spent his childhood years in the tea gardens of Duars, Jalpaiguri, West Bengal, India. He was a student of the Jalpaiguri Zilla School, Jalpaiguri. He completed his bachelors in Bengali from Scottish Church College, Kolkata. His first story appeared in "Desh" (a Bengali magazine) in 1967. "Dour" (Run) was his first novel, which was published in "Desh" in 1976.
Author of novels, short stories and travelogues, Samaresh received the Indian government's coveted Sahitya Akademi award for the second book of the Animesh series, Kalbela.
Some of his famous characters are: 1. Animesh & Madhabilata of Animesh trilogy (Uttaradhikar, Kaalbela, and Kalpurush) 2. Arjun - the sleuth cum science fiction character 3. Dipaboli - main character of Saatkahon
অর্ককে অনিমেষের তুলনায� আমার তেমন একটা পছন্� হয়নি। অনিমেষ ছি� শান্�, সুন্দর আর স্থির। সেখানে অর্ক একটু কেমন যেন। অনিমেষ আর মাধবীলতার ভালোবাসা� ফু� মন� হয� একটু অন্যরক� হওয়ার কথ� ছিল। ছোটম� আর পিসামা� অসহায়ত্� খু� কস্ট দিয়েছ� � আমাদের দেশে� একসময় মেয়েদের অবলম্ব� বল� তেমন কিছু ছিলনা। কতটা অসহায় ছিলে� তারা� ভাগ্� ভা� আমাদের যে দি� পাল্টেছে� মাধবীলতার কথাই বলি। স্বামী সন্তানকে নিয়� কখনো অন্যের মুখাপেক্ষী হত� হয়ন� তাকে�
তি� নম্ব� ঈশ্বরপুকুর লেনে দি� আস� দি� যায়� এরমাঝে� একটু একটু কর� বেড়� ওঠছে অর্ক� অর্ক মানে সূর্য। অনিমেষ আর মাধবীলতার ভালোবাসা� ফু� অর্ক� নামট� মাধবীলতার দেয়া। তাদে� নিস্তব্ধ জীবনের সূর্� যে� অর্ক� যদিও পরিবেশ পরিস্থিতির কারন� সব সময় কি একটা ভয়ে থাকে মাধবীলতা। ঈশ্বরপুকুর লেনে� এই ঘুপচ� ঘর� আশেপাশের শত কদর্যতার মাঝে বেড়� ওঠ� অর্ককে নিয়� তা� সবসময়� ভয� কর� মাধবীলতা। বস্তিত� থাকা� মাশু� অবশ্� দিতে� হয� অনিমেষ আর মাধবীলতার� স্কু� আর ঋণের চাপে জর্জরি� মাধবীলত� আর পুলিশে� অত্যাচার� পঙ্গ� অসহায় অনিমেষের শত সতর্কতার পর� অর্ক আস্ত� আস্ত� বস্তির পরিবেশ� আসক্� হত� থাকে� মুখে� ভাষা হয়ে যায় খিস্তি মেশানো আর বন্ধ�-বান্ধবদে� প্ররোচনায় ভু� পথ� পা বাড়ায� অর্ক� অশ্লী� অঙ্গভঙ্গ� আর খিস্তি খেউড� যাদে� নিত্� নৈমিত্তি� কা� তাদে� থেকে ভা� কিছু আর কিভাবে আশ� কর� যায়� কিলা, খুরক�, বিলা এরাই হয়ে ওঠ� অর্ক� নিত্যদিনের সঙ্গী� অন্য একটা ঘটনায় সমাজের উচ� তলার কিছু মানুষগুলোর আস� চেহারাটা সামন� আস� অর্কর। ঘটনা� তীব্রতায� জ্বর চল� আস� তার। এতবড� ছেলে মায়ের আচলে মু� গুজে খালি বল� চল� বম� পাচ্ছে মা� কতটা নোংর� কদর্যত� দেখল� একটা ছেলে এম� কথ� বলতে পারে একটু ভাবু� তো� এইসব দেখেশুনে তীব্� প্রতিবাদ� মুখরিত হয়ে ওঠ� অর্ক� নিজে� সাথে নিজে� প্রতিজ্ঞ� কর� সমাজের এস� অসঙ্গতির সাথে কখনো� তা� মেলাবে না� সত্যকে সত্য, অন্যায়ক� অন্যায়ই বলবে� বস্তির লোকজনক� সাথে নিয়� নতুন এক আন্দোলনে সামি� হয� সে� এক পরিবার এক হাড়� হিসে� কর� পুরো বস্তিক� সাথে নিয়� শুরু কর� এক বিরল ধরনে� কাজ। নির্দিষ্� একটা অর্থের বিনিময়ে সারা মা� তিনবেল� সবাইকে খাওয়ানো� দায়িত্ব নেয় সে� এস� দেখেশুনে আশার সঞ্চার হয� অনিমেষ মাধবীলতার মনে। অর্ক� এই প্রচেষ্ট� কি সফ� হব�? নাকি ঘুণে ধর� সমাজের ততোধিক নষ্ট মানুষগুলোর আত� ঘা লাগব� এভাব�?
রাজনীতি আসলে ঠি� প্রতিদিনকা� কড়া লিকারে� এক কা� চায়ের মতোন।গ্রামগঞ্জের টং দোকানে� বৈঠক থেকে শুরু কর� শহুর� আপিস আদাল� —একমুহূর্তের জন্য একটু "পলিটিক্স" এর আলাপ না হল� যে� রাতে শান্তি� ঘু� হয� না।স্থান-কা�-পাত্রে বিস্তর বিভেদে� দেয়াল গড়ে উঠলে� যে� এই "রাজনীতি" এর ঐক্যগীতিতে সে� দেয়াল টপকানো কোনো ব্যাপা� না�!বাঙলাদ্যাশের সক্ক� মুরুব্বিদে� রক্ত�-শিরায় যে� মিশে আছ� এই রাজনীতি� নাম।
বিভিন্� মতাদর্�,পার্টিগিরি,ইত্যাদ� নিয়� নানা চর্বিযুক্ত মশলাদা� আলাপচারিতা হো� বা সহসা ক্লাইম্যাক্স� জম� ওঠ� মেলোড্রামা� মত� আন্দোল� দাঙ্গা—কেন জানিনা এই নানা মুনি� নানা মত যে� সে� এক সুরে� সু� মেলায়� নিজে� ট্যাকে আখের গোছানো কিংব� পাহাড়সমান ক্ষমতা-প্রতিপত্তি� তুমু� "রোলা� কোস্টা� রাইড"।উপরমহ�-নিম্নমহল-মধ্যমহ� সবাই স্বার্থে "অন্ধ" ভেড়ার পালে� মত� এক� অপরে� পিছু পিছু ছোটাছুটি করছে,And it's the only eternal truth of the universe!
রাস্তা� পাশে পড়ে থাকা দুর্গন্ধময� ভাগাড়ের চেয়েও নোংর� এই রাজনীতি নিয়� সে� জনগণের চায়ের বৈঠক� কলরব পড়ে; বড্ড অনুশোচনা আর করুণার চাপা কণ্ঠস্বর� যে� মাঝবৈঠকে হাহাকা� জাগে–হ� ঈশ্ব�!হা আল্ল�!
কিন্তু?কিছু� পরিবর্তন হয� না।সবা� যে যা� কাজে ব্যস্ত।সবকিছ� সয়ে গেছে,তেমন সমস্যা হয� না।ডারউইনে� তত্ত্বের মত� সবাই ঠিকই Adjust করছে।এতো আদর্�-বিপ্লব� কা� কী!কী এম� সুবিধা হব�?বর� মিছি�-প্রতিবাদের চক্করে ট্রাফি� জ্যামে আটকা পড়ে দেরি হবার নিমিত্তে নিশ্চয়ই চাকর� খোয়� যাবে!বউ-বাচ্চা খাবে কী?
কী লা�?
সাধারণ আম-জনতা এই লাভে� হিসা� কষুক, আর হাজারো অনিমেষের� নিরী� হয়ে� পুলিশে পিটুনি খেয়� পঙ্গ� হয়ে পড়ে থাকুক। আমার ভোলা মন একতারে এস� দেখে দেখে উদাস হয়ে গায়,,,
এইটা কালবেলার পরের পার্ট। কালবেলার নায়� অনিমেষের পুত্� অর্ককে নিয়� ঘটনা� অর্ক তা� নামে� সার্থকতা প্রমাণ করেই সূর্যে� মত জ্বলজ্বল করেছে। অর্ককে আমার খু� ভাল্লাগা� কারণ হিসেবে বল� যায় অর্ক� চরিত্র� তা� মা বাবা� শক্তিশালী দিকগুল� এসেছে। বস্তিত� থেকে নষ্ট হত� হতেও অর্কের মাঝে তা� বাবা� মূল্যবোধ আর মায়ের তেজস্বীতা ঠি� সময় মতেই জেগে উঠেছে। অবশ্� গল্প উপন্যাসে অনেক কিছু� কর� গেলে� বাস্তবতা আসলে আর� কঠিন� তা� বে� থ্রি� পেয়েছিলাম বইটা পড়ে�
যেহেতু এই উপন্যাসত্রয় একটি বিশে� পরিস্থিত� � সময়� লেখা� � পরিপ্রেক্ষিত� এর পরিসমাপ্তি আমার কাছে ভা� লাগেনি� [ this novel is good, but it's finishing is not good for me. ]
উত্তরাধিকা� আর কালবেলার উত্তরাধিকারী ঠি� হয়ে উঠতে পারে নি কালপুরুষ� অনিমেষ নায়� ছিলো, কালে� নায়ক। হয়ত ব্যর্থ, তব� ব্যর্থতা অনিমেষকে মহত্ত্বে� সোপা� থেকে সরিয়ে রাখত� পারে নি� মন� করিয়ে দিতে চা�, স্পার্টাকাসও শে� অবধি একজন পরাজিত নায়ক। জয়ে� চেয়� পরাজয় অনেক সময় মহান � গৌরবময়।
অর্ক অনিমেষ আর মাধবীলতার সন্তান, কালপুরুষের নায়ক। কালবেল� আর উত্তরাধিকারে� তুলনায� যেমন কালপুরুষ ম্রিয়মা�, তেমন� অনিমেষের তুলনায� অর্ক� ম্লান। যে কাদামাটিকে গড়ে তোলা� আশাবাদ আমরা কালবেলার শেষে অনিমেষের হৃদয়ে উচ্চারিত হত� শুনি, তা� প্রতিফলন কালপুরুষ� নেই। অবশ্� এখান� গল্প অনিমেষকে সে সুযো� দেয় না� অনিমেষকে আবির চক্রবর্তী বা পরমব্র� মন� হল�, অর্ককে মন� হয়েছে দেব। আর কালপুরুষকে মন� হয়েছে টিপিকা� ভারতীয় বাংল� পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। লেখক আর� এফোর্ট দিলে ট্রিলজির শে� বইটা সন্তুষ্টিজনক হত� পারত�, আক্ষেপ থেকে গেল।
সমরে� মজুমদারে� “কালবেলা� এম� একটি উপন্যা� যেখানে প্রে� এব� বিপ্লব একসাথে মিলেমিশে হয়েছে একাকার � “কালবেলা� � যা� মানে অশুভ সময় � “কালবেলা� আসলে� একটি অশুভ সময়ের চিত্� উপস্থাপন করেছ� � যে� চিত্রে আদর্শে� পথ� হাঁটতে গিয়� বিপথগামী হয়েছে তৎকালী� অসংখ্য ভারতীয় তরুণ � তাদে� মধ্য� অনিমেষ� একজন � মূলত অনিমেষের হা� ধরেই সমগ্� উপন্যাসে সমরে� মজুমদা� তুলে ধরেছেন তৎকালী� সময়টিকে � আর অনিমেষের সঙ্গী হিসেবে জুড়� দিয়েছেন মাধবীলতাকে। অনিমেষ আর মাধবীলতার যে প্রেমে� সম্পর্� তা এই উপন্যাসে� রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে টপকিয়� খু� সহজে� এটিক� একটি প্রেমে� উপন্যাসে পরিণ� করেছ� � সুতরাং, “কালবেলা� যেমন একটি রাজনৈতিক উপন্যা� তেমন� একটি প্রেমে� বা ভালোবাসারও উপন্যা� হিসেবে� এট� সম্পূর্ণ সার্থক � অবশ্� সমরে� মজুমদা� এটিক� রাজনৈতিক উপন্যা� হিসেবে দেখত� নারা� � তিনি এটিক� একটি ভালোবাসা� উপন্যা� হিসেবে স্বীকৃতি দিতে� আগ্রহী � এই উপন্যাসে� প্রধান চরিত্র হল অনিমেষ � প্রথমবারের মত� কলকাতায় এসেই অনিমেষ পায়� গুলি খায় পুলিশে� � এরপর ঘটনাচক্র� জড়িয়� পড়ে কলেজের বা� রাজনীতি� সঙ্গ� কিন্তু তাতে কেমন যে� খটকা থেকে যায় তা� মন� � ফল� অস্ত্র হাঁত� বিপ্লবের পথ� হাঁটতে শুরু কর� � বিপ্লবের আগুন� ঝাপিয়� পড়ে অনিমেষ বুঝত� পারে যে দাহ্যবস্তু� কো� সৃষ্টিশী� ক্ষমতা নে� � এই বিপ্লব� জড়িয়� যাবা� আগেই অনিমেষের জীবন� জড়িয়� পড়ে একজন রমণী � যা� না� মাধবীলত� � অসাধার� ব্যক্তিত্বের অধিকারিণী এই মাধবীলত� � যে জীবনের সবকিছু দিয়� ভালোবেসে গিয়েছ� অনিমেষকে � তা� জন্য ভালোবাসাটি� মন� হয� আস� বিষয� � বিনিময়ে আশ� করেন� কিছু� কিন্তু ছেঁড়ে আস� সব অতী�, সব বন্ধ� এব� পেছনের সব সম্পর্কক� শুধুমাত্� এই ভালোবাসা� টানে � উপন্যাসট� পড়ত� গিয়� যেমন অবাক হয়েছি অনিমেষের ব্যক্তিত্ব নিয়� তেমন� অবাক হয়েছি মাধবীলতার ক্ষেত্রে� � মাধবীলতার ক্ষেত্রে আম� হয়ত� আর� একধা� এগিয়ে ছিলা� � কারণ এই চরিত্রটিকে যত� আবিস্কার করেছ� তত� আমার কাছে মন� হয়েছে � মাধবীলত� যে� আমার� কাঙ্ক্ষি� প্রেমিকা � বারবার প্রেমে পড়েছি আম� এই মাধবীলতার � নিজে� সর্বস্� দিয়� এব� দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি� বল� মাধবীলত� শত প্রতিকূলতা� মাঝে� নিজে� মাথা উঁচু রাখে, নিজে� ভালোবাসাকে সমুন্ন� রাখে � ভালোবাসা� মাঝে যে� বিপ্লবের আরেক না� এই মাধবীলত� � সমরে� মজুমদারে� লেখা “আ� কুঠুরি নয� দরজা� এব� “গর্ভধারিণী� বে� অনেক আগেই পড়েছিলা� � � দুটো উপন্যাসই আমার জন্য যথেষ্ট ছি� উনার ভক্ত হবার জন্য � বিশে� কর� “গর্ভধারিণী� উপন্যাসট� ছি� অসাধার� একটি সৃষ্টি � এক� ধারায় উনার “কালবেলা� উপন্যাসটিকেও আম� সম্পূর্ণ একটি সার্থক উপন্যাসে� মর্যাদ� দি� � কারণ উনার এই উপন্যাসে যেমন উঠ� এসেছ� সত্তরে� দশকে� স্বাধী� ভারতবর্ষের চিত্�, তেমন� উঠ� এসেছ� সে� সময়টি � এক� সাথে তৎকালী� ভারতবর্ষের আর্থ-সামাজি� অবস্থা� সাথে সাথে উঠ� এসেছ� বিভিন্� রাজনৈতিক কার্যক্রমে� চিত্� � একদিকে যেমন প্রথাগ� রাজনৈতিক দলগুলো� সমালোচনা কর� হয়েছে তেমন� আরেক দিকে তুলে ধর� হয়েছে শ্রেণীহী� নতুন ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখা একদল তরুণের আন্দোলনে� চিত্� � রাজনীতি� পথগুলো কতটা তির্যক তা এই উপন্যাসট� পড়লেই বুঝা যায় � রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণে� পাশাপাশি একজন নারী� জন্য তৎকালী� সময়ের প্রতিবন্ধকতাগুলো তুলে ধর� হয়েছে এখান� � নারী� প্রত� সমাজের দৃষ্টিভঙ্গ� এব� সমাজের উঁচু, মধ্যবিত্� এব� নিম্নবিত্ত শ্রেণী� মানুষে� মানসিকতা� একটি পূর্ণাঙ্� চিত্� উঠ� এসেছ� এই সমগ্� উপন্যাসে � বা� যায়নি একজন নর এব� নারী� পারস্পারিক বিশ্বাসে ভালোবাসা� চিত্রটিও �
সমরে� মজুমদারে� অসাধার� একটি সৃষ্টি এই “কালবেলা� � এই “কালবেলা� উপন্যাসটির জন্য তিনি ১৯৮৪ সালে সাহিত্যে আকাদেম� পুরস্কার� ভূষি� হন � ২০০৯ সালে গৌতম ঘোষে� পরিচালনায় এব� পরমব্র� চট্টোপাধ্��ায় � পাউল� দা� অভিনী� এক� শিরোনামে একটি সিনেমা� মুক্তি পায় এই উপন্যাসে� উপ� ভিত্তি কর� � সুতরাং, নির্দ্বিধায় পড়ে ফেলত� পারে� এই অসাধার� বইটি �
মাস্� রি� একটা বই! এই বই নিয়� অনেক কিছু� বলতে ইচ্ছ� করছে,আবার ঠি� গুছিয়� বল���ে � পারছিনা। তব� এটুকুন� বলবো 'কালবেল�' তে অনিমেষ কে ঠি� যতটা ভালো লেগেছিলো 'কালপুরুষ' � এস� ঠি� ততটা� কিংব� তা� চেয়েও বেশি অসহ্� লাগছিল�! লেখকের 'অনিমেষ' কে এম� স্বার্থপ� হিসেবে উপস্থাপন করার কারণেই হয়ত� এম� লেগেছে কিনা জানিনা! আরেকটা কথ� না বললে� না! প্রথমদিক� অর্ক কে মেনে নিতে ভীষণ ধাক্কা� মত� খাচ্ছিলা�! এয� অনিমেষ আর মাধবীলতার ছেলে তা মেনে নিতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছিল বইকি!
তব� অনিমেষ এব� মাধবীলতার আদর্� অর্ক� রক্ত� � রয়েছে কিনা! অর্ক যে� একটু একটু কর� বদলে যেতে শুরু করলো! এব� সে� সাথে ইশ্বরপুকুর লেনে� সবার প্রিয় 'অক্কদা' এই বইয়� আমার সবচে পছন্দে� চরিত্র হয়ে গেলো� অা� মাধবীলত�! 'মাস্টারন�' কি ভীষণ ভালোবাসায় অনিমেষ আর অর্ককে আগলে রেখেছে! মাধবীলতার নিঃস্বার্থ আত্মত্যা� মন� দা� কাঁটার মত�!
এই বইয়� 'কালবেল�' � মত� গাঢ় রাজনীতি ছিলোনা,তব� যেটুকু অং� ছিলো সেটুকু� ভালো লেগেছে! মন� হয়েছে এরচে বেশি হল� ভালো লাগতোন�!
বে� বড� বই,কিন্তু আশ্চর্যে� ব্যাপা� কি জানে�? এই বই পড়ত� গিয়� একটু� বিরক্ত� লাগেনি এব� আমার বিশ্বা� আপনাদেরও লাগবেন�! পড়া শুরু করলে থামতেই মন চাইতোন�,একনাগাড়� এত� সময় ধর� কোনো বই এর আগ� পড়েনি! এই বইটা অনিমেষ সিরিজে� সবচেয়� প্রিয় তালিকায় থাকল�!
অর্ক এব� মাধবীলত� ছাড়াও ছোটম�,হেমলতা,বিলু,পরমহংস,সৌদামিনী আমার পছন্দে� চরিত্র!
কালবেলার মত� বিরক্তিক� রাজনৈতিক মতাদর্শে� ছোড়াছুড়ি নে� দেখে ভা� লেগেছে� 'উত্তরাধিকা�' � যেমন সরিৎশেখর, 'কালবেল�' তে যেমন অনিমেষ, 'কালপুরুষ' � তেমন� অর্ক আর মাধবীলত� ঘটনা� কেন্দ্রবিন্দুত� ছি� পুরো উপন্যা� জুড়ে। শৈশবের পরিবেশগত কারন� স্বাভাবিকভাবেই স্বর্গছেড়ার নিরিবিলি, ঝামেলাহী� পরিবেশ� বড� হওয়� অনিমেষের তুলনায� ঈশ্বরপুকুর লে� বস্তির অর্ক� বয়স অনুপাত� যথেষ্ট পরিপক্� � বাস্তববাদী হওয়ার কথ� ছিল। সমরে� মজুমদা� � কথ� ভুলে নি, বর� পড়া� সময় মন� হচ্ছিল� এর থেকে বাস্তব আর কিছু হয়না। উপন্যাসে� শুরু� দিকে� মাধবীলতার জীবনের স্ট্রাগলগুলো দেখে খারা� লাগছিল�, এক� সাথে অনিমেষের নির্বুদ্ধিতা� জন্য রা� � হচ্ছিলো। কিন্তু আস্ত� আস্ত� তা গা সওয়� হয়ে উঠেছিল� আগ� একবা� পড়া ছিলো, তব� তা� প্রায় কিছু� মন� ছিলো না (শুধু জলপাইগুড়ি যাওয়া� প্রথমদিক চা-দোকানে� সামনের মারামারি� অংশটুক� ছাড়�)� তা� প্রথমবার পড়া� মতোই ভা� লেগেছে� বর� বল� যায় 'উত্তরাদিকা�' আর 'কালবেল�' পড়া� পর নতুন কর� পড়া� দরুন আর� বেশি ভা� লেগেছে�
কালবেল� পড়া� পর রিভি� লেখা� সময় মন� হয়েছিলো, 'অনেক কিছু বলার আছ�' 'এই বই নিয়� বলতে থাকল� শে� হব� না' মোটামুটি বড়সড় একটা রিভি� লেখা� পর� মন� হয়েছি�, 'এক�! আম� তো কিছু� লেখলাম না..'
কিন্তু আম� জানিনা এই বই নিয়� কি বলবো! এই বই পড়ত� যেয়� কতবা� যে বুকে পাথর চেপে আসছি�, কতবা� ইচ্ছ� করেছ� দূরে সরিয়ে রাখি, সে� অনিমেষের সাথে 'উত্তরাধিকা�' থেকে শুরু কর� 'কালবেল�' যে চিত্� দেখেছি, 'কালপুরুষ�' এস� কিছুতে� মেলাতে পারছিলাম না, সবকিছু কেমন অপরিচি�! কিন্তু জীবন তো এমনই..
এই প্রথ� কোনো বই পড়ত� যেয়� আমার কষ্ট হচ্ছিল, আম� মেনে নিতে পারছিলাম না� কিন্তু আবার� বলতে হয�, 'জীবন তো এমনই!' এখান� সু� থাকব�, থাকব� অভিমান, দুঃখ, ভু� বোঝা, নিজেকে সবার মাঝে রেখে� মন� হত� থাকে আম� কি দূরে� কে�? নিজেকে চিনত� পারা যায় না! বুকে চেপে রাখা কথ� চিৎকার কর� বলতে ইচ্ছ� হয�.. নিংড়ে দিতে ইচ্ছ� হয� নিজেকে!
অনিমেষ, মাধবীলত�, অর্ক! আম� কতটা অনুভ� করতে পেরেছি জানিনা, তব� কতটা অনুভ� কর� সম্ভ� তা� আমার অজান�..
সমরে� মজুমদারে� ত্রিরত্ন সিরিজে� তৃতীয় সৃষ্টি "কালপুরুষ"�
একটা পরিবার, কলকাতা� বিখ্যা� বস্ত� তি� নম্ব� ঈশ্বরপুকুর� থেকে� যারা ঠি� সে বস্তির বাসিন্দা নয়৷ পরিবার� বাবা অনিমেষ, ক্রাচে ভর দেয়� ছাড়� এক কদ� যে হেঁট� যেতে পারে না� এরপর রয়েছে মাধবীলত�, পরিবারের একমাত্� কর্মক্ষম ব্যক্তি। যাকে দেখে মন� হয�, আবেগ এক� স্পর্শ কর� না ঠি�! একজীবন� মাধবীলত� কি পেয়েছ� তা হিসে� না কর� কতটা উজাড� কর� দিয়েছ� তা ভাবত� বসলে সে হিসে� আর শে� হব� না� কিন্তু তাতে� বিন্দুমাত্� আক্ষেপ বা আফসো� ছি� না তার। ভালোবাসা� বোধহয় মানুষক� বেঁচ� থাকা� শক্ত� জোগায়� শে� মুহূর্তে এসেও বাঁচার স্বপ্ন দেখায়� তা� চিন্তা কেবল তাদে� ছেলে অর্ক'কে নিয়েই� তাকে মানুষে� মত� মানু� কর� নিয়ে। তব� কয়ে� কল� পড়াশুনা কর� কে কতটা মানুষে� মত� মানু� হত� পারে � ব্যাপা� নিয়� যথেষ্ট সন্দিহান অর্ক� সঙ্গদোষে অর্ক কিছুটা বখ� গিয়েছিল শুরুতে� বস্তির ছেলেদে� সাথে খিস্তি না কর� শুদ্ধভাব� কথ� বল� �'দিনই বা নিজে না পালট� মেশা যায়? কিন্তু এরপর� পনের� বছরে� ছেলেটা হু� করেই একদি� থেকে বয়সের আগেই বড� হওয়� শুরু কর� কেমন যেন। এইটুকু বয়স� জানা� চেয়� বেশি দেখে ফেলেছে সে� তব� তা� মায়ের শান্� সাহস আর বাবা অনিমেষের বারুদে� মত� তেজী রক্ত যা� শরীরে বইছে সে তো কখনো� পিছু হটবা� নয়।
🌼সবথেকে পছন্দে� লাইন-
জনতা চেঁচাল "অর্ক� মুক্তি চাই।" চো� বন্ধ কর� হাসল� মাধবীলতা। তারপ� বিড়বিড় করলো নিজে� মন�, 'অর্ক মানে কি ওর� জানে? সূর্যক� কি বন্দী করতে পারে?' অদ্ভুত শান্তি নিয়� মাধবীলতার শরী� পৃথিবী� মাটি� গায়� নেমে আসছিল। যেমন কর� পাখিরা টানটান ডানা মেলে বাসায় ফিরে আস� নিশ্চিন্তে� �
‘কালপুরুষ� নামটাই যে� একটা আকর্ষণ অনুভ� করায়। বইটি ‘অনিমে� সিরিজ� এর তৃতীয় খন্ড� এই সিরিজে� দ্বিতীয় বই ‘কালবেলা� এর সম্প্রসারণ ‘কালপুরুষ’। বইটি মূলত অনিমেষ এর ছেলে অর্ক মিত্� কে নিয়ে। . সিরি� টি অনিমেষের না� � হলেও এই গল্প� প্রধান চরিত্র হিসেবে অর্ক কে দেখত� পাওয়া যায়� ছো� থেকে অভাবের সংসারে, বস্তিত� বড়ো হয়ে ওঠ� অর্ক এর পড়াশোনা � খু� একটা মন নে�, কিন্তু তা� রক্ত� বইছে অনিমেষ এর জে� আর মাধবীলতার সহনশীলত�, নিঃস্বার্থপরতা � সাহস� ওর চো� দিয়� পাঠক যে� বর্তমা� সমাজের একটি জলের মত� স্বচ্ছ ছব� দেখত� পায়� মাত্� পনের� বছ� বয়স� দাপিয়� বড়ো হয়ে ওঠ� অর্ক এখান� বোধশক্তি এব� চিন্তধারায� অনিমেষ কে ছাপিয়� গেছে� অনিমেষ যা করতে পারেনি অর্ক তা বাস্তবায়ি� কর� দেখিয়েছ� কিন্তু সমাজ এব� দেশে� অরাজনৈতিকত� শে� পর্যন্� তাকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। বাবা� মত� এক� ভাবে তাকে� কারাগারবন্দী হত� হয়েছে� . ‘কালবেলা� বইটি পড়ে সত্যিই ভালো লাগায় তা� পর� কি হল জানত� খু� উদগ্রী� ছিলা�, তা� এই বইটি পড়া� গল্প� অনেক জায়গায় অনিমেষকে নিতান্তই স্বার্থপ� বল� মন� হয়েছে, অনেক জায়গায় নির্বুদ্ধিতা তাকে একজন শিকড়হী� স্বামী তে পরিণ� করেছ� যা ‘কালবেলা� এর অনিমেষের সাথে মেলেনা এব� সেটা মেনে নেওয়া কষ্টকর� গল্প� অর্ক এর মধ্য� সে� আগুন খুঁ��ে পাওয়া যায় না যা ‘কালবেলা’এ অনিমেষের মধ্য� দেখা গেছে� মাধবীলত� চরিত্র টি অনন্য। তাকে ছাড়� � সিরি� অর্থহী� আর ফিকে হয়ে যেতো� তা� সাহসীকত� আর সহ্যশক্ত� যেভাবে ‘কালবেলা� কে কালজয়ী করেছ� তেমন� ‘কালপুরুষ� গল্পটিকে দাঁড� করিয়েছে� নিজে� সাহসের পরিচয় দিয়েছ� বারংবা�, ছেলে যখ� জেলে তখ� তাকে বলেছ�, “একদ� ভয� পাবি না� তু� হল� সূর্য। সূর্যে� কো� ভয� নেই।� অজস্� উদ্বিগ্ন মানুষে� মু� গুলো যখ� ওর দিকে চেয়� ছি� অর্ক এর মুক্তি� আশায�, তখ� হেসে নিজে� মনেই বলেছ�, “অর্� মানে কি ওর� জানে? সূর্যক� কি কে� বন্দী করতে পারে?�
যেখা� থেকে নিজে� না� পেয়েছ� সে� বইয়ের প্রত� একটা আলাদ� টানত� থাকবেই� 😇 অনিমেষ মাধবীলতার সন্তান অর্ক বেরে ওঠ� নিজে� মেজাজে, কারু� কাছে সে গুরু, কারু� কাছে সে ওস্তাদ আবার কারু� কাছে সে ত্রাস। মাধবীলতার পর এই সিরিজে� আমার অন্যতম পছন্দে� চরিত্র অক্বোদা।❤️
মাধবীলত� আর অনিমেষের একমাত্� ছেলে অর্ক� তি� নম্ব� ঈশ্বরপুকুরলেনে� বস্তির এক ছো� ঘর� তাদে� বাস। চারপাশের নোংর� পরিবেশ থেকে অর্ককে আগলে রাখা� তাদে� একমাত্� চাওয়া� অনিমেষের চিকিংসায� খর� হওয়� অর্থের ঋণ� জর্জরি� মাধবীলত� কখনো অন্যায়ক� গ্রহ� করেনি। দুহাতে আগলে রেখেছিলো স্বামী আর ছেলেকে� চারপাশের অনেক রক� নোংরাম� দেখে পনের� বছরে� কিশো� যেনো যুবক হয়ে উঠে। বস্তির পরিবেশ� যেখানে খিস্তি, মাতলাম� আর গুন্ডামি কর� স্বাভাবি� হয়ে উঠেছিল সেখানে হঠাৎ� যেনো এস� বিষে� মত নাড়� দেয় অর্ক� মনে। কোনো রাজনৈতিক দল বা সাহায্� ছাড়� বস্তির সক� মানুষক� এক কর� শুরু হয� নতুন লড়াই। অনিমেষ যেটা কখনো� একটি রাজনৈতিক দল ছাড়� ভাবত� পারি নি, অর্ক যেনো চট করেই সেটা কর� ফেলেছিলো� কিন্তু এখানেও ষড়যন্ত্রে� ভীড়� জেলে যেতে হয� অর্ককে� সক� সাধারণের মুখে তখ� এক� চিৎকার, "অর্ক� মুক্তি চা�"� অর্ক তা� নামে� অর্থের মত� অন্ধকারে জর্জরি� বস্তির সকলে� কাছে সূর্যে� আল� হয়ে উঠেছিলো।
কালবেলার পর কালপুরুষ- দুটি ভিন্� সমাজ ব্যবস্থায় বেড়� উঠ� দুটি প্রতিবাদী চরিত্র তুলে ধর� হয়েছে� কিন্তু কোথা� কোথা� যেনো মন� হয়েছে অর্ক চরিত্রটিকে আরেকটু যাচা� কর� যেত। অনিমেষের তুলনায� অর্ককে যথেষ্ট হালক� মন� হয়েছে�
প্রথ� দু� খন্ডের সাথে এই বইয়ের তুলন� কর� বেমানান।এই বই স্বর্গছেড়ার স্নিগ্ধত�,জলপাইগুড়ি� ছেলেবেলা কিংব� স্কটিশচার্চে� তারুণ্যে� ফাঁক� ফাঁক� সমাজকে তুলে ধরেন� যেখানে জীবন আর সম্পর্� স্থি�,অস্থির কেবল ব্যবস্থা আর রাজনীতি�'কালপুরুষ' একইসাথ� ছিন্নভিন্ন সম্পর্� আর কালো গ্রহ� ঘিরে থাকা বস্তিজীবনের রূ� রঙ এঁকে গিয়েছ� পাকা হাতে�
অর্ক মিত্� অনিমেষ আর মাধবীলতার একমাত্� ছেলে।সংগদোষে কিছুদি� বখ� গেলে� অনিমেশের শিরায় শিরায় বয়ে চল� বারু� আর মাধবীলতার শান্� সাহস অর্ককে� কর� তোলে সমাজের বি� উপড়� তোলা� কারিগর।সময়ে� সাথে সাথে ভারত বদলাচ্ছে,বদলাচ্ছে অপরাধে� ধরন।সকাল� যে বন্ধ� রাতে সে� বোমা মেরে উড়িয়� দিচ্ছে শরীর।চোরাচালা�, পতিতাবৃত্ত�,খিস্তি,মাস্তানি সব চল� চোখে� সামনে।মানু� এখ� বিপ্লব� নামেনা, শুধু চো� ঢেকে রাখে মিথ্যে পর্দায়।অর্ক মাঠে নামে প্রত্যাশার হল্ক� নিয়ে।সময়ের সাথে সাথে বদলেছে প্রতিবাদের ধরণ। নিম্� সাধারণ মানুষে� চো� দিয়� অসমতার ছব�,তা� সাথে পারিবারি� মনস্তাত্বি� দ্বন্দ মিলিয়� আমার বে� লেগেছে।মনে হচ্ছ� চিত্কা� কর� বল�,"প্রতিট� মানু� হয়ে উঠুক একেকটা সূর্� যাদে� বন্দী কর� অসাধ্য�"
অসাধার� একটি উপন্যা� পড়ে শে� করলাম। এই উপন্যাসট� প্রথ� পড়া শুরু করেছিলাম ক্লা� এইটে� কিছুদু� পড়ে আর পড়া হয়নি। প্রায় এক যু� পর আবার শুরু করলা� প্রীতু� মুখে এত প্রশংস� শুনে� অর্ক, মাধবীলত�, অনিমেষ এই নামগুল� ওর মুখে এত শুনেছি আর এত মুগ্ধত� জড়িয়� ছি� যে কালপুরুষ পড়া� লো� সামলাত� পারলাম না� আবার� প্রমাণিত হল যে আমাদের পছন্� এক� রকম। অর্ক চরিত্রটি এত� প্রভাবশালী যে মাধবীলত� ছাড়� অন্য কে� প্রকাশ পায়নি এতটা� উপন্যা� জুড়� অনিমেষকে এত দোষারো� করার কারণ জানি না , হয়ত কালবেল� পড়ল� এর উত্ত� পাব। কমিউনিজম কে ইশ্বরপুকুর লেনে বাস্তবায়ন কর� হয়ত সম্ভ� , কিন্তু একটা দেশক� কি সম্ভ� ? আম� জানিনা , হয়ত সম্ভ� � যা� হো� না কে� , এককথায� খু� ভা� লেগেছে উপন্যাসট� � উপন্যাসে� কিছু জায়গায় তারল্য ভা� থাকলেও লেখকের সংযম ছি� অসাধার� �