Bibhutibhushan Bandyopadhyay (Bangla: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায�) was an Indian Bangali author and one of the leading writers of modern Bangla literature. His best known work is the autobiographical novel, Pather Panchali: Song of the Road which was later adapted (along with Aparajito, the sequel) into the Apu Trilogy films, directed by Satyajit Ray.
The 1951 Rabindra Puraskar, the most prestigious literary award in the West Bengal state of India, was posthumously awarded to Bibhutibhushan for his novel ইছামতী.
উপন্যাসিকদের একটা বড� বদগু� হল, তারা নানা পদ শেষে শেষে পাঠক কে কষ্ট দিয়� শে� করতে ভালোবাসেন। হয়ত� সুনী� এর মত পুরো উপন্যাসে� মু� নায়� মারা যাবে, নয়ত� পুরো উপন্যাসে� সে� ভালো চরিত্রটি সবচেয়� খারা� চরিত্রের কাছে হা� মানবে। বিভূতিভূষণের আদর্� হিন্দু হোটে� বইটি পড়বার সময় পুরো সময় টি জুড়� মন� আমার সে� ভয়। আহার� কত কষ্ট, কত স্বপ্নের সে� গড়ে তোলা কা� না কা� ষড়যন্ত্রে ভেঙ্গে যাবে� হাজারি সে� রাধুনি ঠাকু� থেকে হোটে� মালি� হবার গল্প� পুরো উপন্যা� পড়েছি এক বসাত�, তব� হ্যা মাঝখান� হারানো� ভয� এত প্রব� হয়ে গিয়েছিল যে একটু টু� কর� তা� শেষট� দেখে আসি। বে� প্রেরনার বই, মানুষে� মন� স্বপ্ন থাকত� হয�-তাহলেই না বুড়� বয়স� মানু� জোয়ান থাকে� সে� স্বপ্ন� তাকে এক দে� থেকে আরেক দেশে যাবা� স্বপ্ন দেখায়� যেসক� উপন্যাসি� মন� করেন-শেষে একটু কষ্ট না দিলে লোকে মন� রাখে না-তাদে� বড� উত্ত� এই বইটি�
ঘা� প্রতিঘাত সহ্য কর� মানুষক� বড� হত� হয়। কিন্তু যদ� তা� মধ্য� থাকে নিজে� ভাগ্যক� অনুকূল� নিয়� আনার অদম্� প্রয়া�, তব� ভাগ্যদেবী তা� সা� দিতে বাধ্য। এজন্যই কথায� বল� Allah helps those who help themselves. বল� যেতে পারে এই কথাগুলোর নিখু� প্রয়ো� পাওয়া যায় বিভূতিভূষণের বই আদর্� হিন্দু হোটেলে�
রাণাঘাটে� রে�-বাজারে বেচু চক্কত্তি� হিন্দু-হোটেলে মাসি� ৭টাকায� রান্না� কা� কর� পঁয়তাল্লি�-ছেচল্লিশ বছরে� হাজারি ঠাকুর। রান্না� হা� ভালো, তা� মানু� তা� প্রশংস� কর�, কিন্তু তা� এই প্রশংস� সহ্য করতে পারেনা পদ্ম ঝি� যদিও বেচু চক্কোত্ত� এই হোটেলে� মালি�, কিন্তু পদ্ম ঝি� যে� এই হোটেলে� আস� কর্তী� তা� উপ� কথ� বলার সাহস হয� না কারো� সারাদি� নানা মু� ঝামট� সহ্য কর�, অল্প মাইন� পাওয়া ঠাকু� স্বপ্ন দেখে একদি� সে একটা হোটে� খুলব�, যা� না� দেবে আদর্� হিন্দু হোটেল। কিন্তু বিধি বা�, ঠাকুরক� চুরি� অপবাদে একদি� হোটে� ছাড়তে হয়। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ান� ব্রাক্ষ্মণের স্বপ্ন কী আদ� পূরণ হব�? কোথা থেকে আসবে নতুন হোটে� তৈরী করার মুলধ�? জানা� জন্য � উপন্যা� আপনাকে পড়ত� হব�
সহ� সর� ঘটনাকে লেখক এম� ভাবে বর্ণনা করেছেন, যা পড়ত� ভারী আরাম পাওয়া যায়� তব� ভাগ্� দেবী� একপর্যায়ে গিয়� শুধু একমুখী আচরণ, কোথায় যে� বাস্তবতা� সাথে মি� খায় না� তবুও � উপন্যা� যে লেখক অত্যন্� যত্নের সাথে একেছেন, তা বুঝা� যায়�
গল্পটি হাজারি দেবশর্মা চক্রবর্তী নামে� একজন রসুয়ে-বামুনের। অর্থ-বিত্তহী� এই মানুষটির দুচো� ভর� ছি� স্বপ্ন� আর ছি� নিজে� উপ� অগাধ বিশ্বাস। সে� বিশ্বাসক� পুঁজ� করেই তিনি সত্য� কর� দেখিয়েছেন তা� আদর্� হিন্দু হোটেলে� স্বপ্নকে!
মুগ্� হয়েছি বইয়ের প্রত্যেকটি লাইনে। বিভূতিভূষণের অন্য যে কয়ট� বই পড়েছি, তা� সবগুলোতে� গ্রা�-বাংল� প্রাধান্� পেয়েছে। একটু শহুর� ধাঁচের জীবন তা� লেখায় এই প্রথ� খুঁজ� পেলা� বলতে হয়। ট্রেনে� যাওয়া-আস�, স্টেশন ভর্ত� মানু�, সে� মানুষদের নিয়� আশেপাশের হোটে� মালিকদের কাড়াকাড়ি, অন্যরক� এক ছবি।
ভালো মানুষে� স্বপ্ন সত্যির পথ সহ� হয� না� তা� যত পড়ছিলাম, তত ভয� লাগছিল� এই ভেবে যে যদ� হাজারি বামুনে� কিছু হয়ে যায়! পদ্ম ঝি-এর মত� মানুষে� তো অভাব হয� না এই পৃথিবীতে�
মানু� বট� একজন এই হাজারি বামু� ঠাকুর। যারা এত� অপমা� করলো, মিথ্যা অপবা� দিলো, তাদে� কি না ক্ষম� কর� সাহায্যে� হা� বাড়িয়ে দিলে�! হয়ত� তা� এই ভালোমানুষি� তাকে তা� স্বপ্ন পূরণের পথ� নিয়� গিয়েছিল�
শেষটায� অতসী� জন্য আমার ভীষণ কষ্ট হয়েছে সত্যি। হাজারি যখ� অতসী� সে� নতুন বে� দেখে কেঁদ� ফেলেছিলে� স্টেশনের সব মানুষে� সামন�, তখ� আমার চোখও ভিজে গিয়েছিল!
আম� এই বইয়ের কো� অংশে� কো� খুঁত বে� করতে পারিনি� আজ প্রথমবার পড়লাম, এরপর আর� অনেকবা� পড়ব� � ব্যাপারে আম� নিশ্চিত।
পাঁচ তারা� বেশি কিছু থাকল� তা� দিতাম। কিন্তু কি আর করার!
বিভূতিভূষণের উপ� আমার একটা ক্ষো� কিংব� বল� যায় আক্ষেপ অভিমান কা� করতো প্রতিট� গল্পের শেষে,যেমনটা বাবা� উপ� মেয়� কর� থাকে যখ� তাকে তা� পছন্� মত� গল্প না শুনিয়� কিংব� রাক্ষসপুরীতে যখ� রাজকন্যাকে বন্দী কর� রাখে বাজে রাক্ষস কিন্তু তাকে বাঁচানোর জন্য আস� রাজপুত্রটা� যখ� বেঘোরে প্রা� হারায় কিংব� নানাবি� সমস্যা� যাঁতাকলে পড়ে পৃষ্� হত� থাকে তখ� ছোট্� মেয়ের যেমনটা মন� হয� বাবা তো চাইলেই সব কিছু সহ� কর� দিতে পারত এত কষ্ট দেওয়া� কি দরকা� ছি�?
পথের প্যাচালী� দূর্গা,কিংব� পুঁইমাচা� সে� ছোট্� মেয়েট� অথবা চারদিক থেকে রিক্� হওয়� অপুর দুরাবস্থ� দেখে কতশতবা� যে চোখে� পানি ফেলেছি তা� বলতে গেলে বিষা� সিন্ধু না হলেও ছোটখাট� নদী হয়ে যাবে বই কি! তারপরও � লো� হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মত� বারবার� টানে� তা� লেখা� দিকে,সে� টানে পড়া শুরু করেছিলাম "দৃষ্টি প্রদী�". ভয়াবহ রকমে� ডিপ্রেশন চলছি� আমার তখ�,পাতা দশেক পড়া� পর বুঝত� পারলাম এই বই পড়ল� আম� দুঃখের সাগর� হাবুডুবু খেতে� থাকব�,থা� বর� বা� দি পর� অন্� কোনো দিনে নিরালা কোনে কিংব� নিঝু� রাতে চাঁদের আল� গায়� মাখত� মাখত� পড়ে ফেলব� বইটা.
সে পরিকল্পন� অবশ্� এখনো বাস্তবায়ন হয়ন�.আশায� বাঁচ� মানুষে� ভাষা একথা বিশ্বা� কর� শুরু করলা� আদর্� হিন্দু হোটে�,এবার মন� মন� পণ করেছিলাম � লেখা� শেষে যদ� কাঁদতে হয� তব� কাটাকুটি কর� নি� বিভূতিভূষণের সাথে.
আশাহ� হত� হয়ন� মোটে� বর� ৪৬ বছ� বয়সের হাজারি ঠাকু� যখ� সত্য� সত্যিই খুলে ফেললেন রাণাঘাটে তা� আজন্� লালি� স্বপ্নের হোটেলখান� তখ� বারবার আমার মন� পড়ছিল ষাটোর্ধ্� বয়স� বর্তমা� সময়ের অন্যত� জনপ্রিয় খাবা� জায়গা কেএফসি� উদ্দ্যোক্তার কথ�.ইচ্ছেশক্তি থাকল� আর ভাগ্যদেবী সহায� হল� লোকে কি না করতে পারে!
হাজারী ঠাকুরে� � সহায� ছি� তা� রাধাভল্ল� আর কন্যাসম লক্ষ্মীরূপী তি� কন্যা কুসু�,অতসী আর সুবাসিনী.নিজেদে� সঞ্চয় অকপট� তুলে দিয়েছিলেন হাজারী ঠাকুরে� হাতে
শুধু রান্নায় দ্রৌপদী সম দক্ষতা� সাথে হাজারী মশাইয়ের অন্যত� গু� তা� সততা, পরোপকারীতা আর মহানুভবত�.ঠি� কতটুকু বড� মাপে� মানু� না হল� বেচু চক্কোত্তির হোটেলে সাতবছর কা� করার সময় অষ্টপ্রহ� অপদস্ত কর� পদ্মঝিকে কে� দুর্দিনে আশ্রয় দেয়?যে পদ্মঝিকে দেখল� এখানকা� দিনে� খলনায়িকার� � বোধহয় লজ্জায� মু� লুকিয়� ফেলব�.মুখর� পদ্ম � শে� পর্যন্� অকূল� ঠাঁই পায় হাজারী� হোটেলে.
রাণাঘাটে আমার কোনোদি� যাওয়া হব� কি না জানি না,গেলে অবশ্যই খুঁজ� দেখব� আদর্� হিন্দু হোটে� আর খেয়� আসবো হাজারী ঠাকুরে� হাতে� সে� মনভোলানো জিভে জল আন� রান্না.
জীবন� যখ� একটু অনুপ্রেরণা� প্রয়োজন হয�, যখ� জীবন অন্ধকারে� অতলে তলিয়ে যেতে থাকে, যখ� মন� হয� এই জীবন রেখে কোনো ফায়দা নে�, তখ� এই বইটা শান্তি দেয়, অনুপ্রেরণা দেয় সুন্দরভাবে বেঁচ� থাকার।
হাজারি ঠাকু� চরিত্র� ৩ট� সদগু� দেখা যায়; অধ্যবসায�, আশ� এব� বিনয়। যে গু� গুলো সাফল্যের জন্য অত� প্রয়োজনী��়। তাছাড়� নিজে� শক্তিশালী জায়গা খুঁজ� বে� কর�; হাজারি� ক্ষেত্রে ছি� রান্নায় ভা� দক্ষতা� যদিও হাজারি� জীবন� তিনজ� মেয়� এসেছিল সাহায্যে� হা� বাড়িয়ে দিতে�
আশ� মানে ভবিষ্যতে� অনিশ্চয়তা� সে অনিশ্চয়তা� হা� ধর� অধ্যবসায� এর সহিত নিজে� ওপ� বিশ্বা� রেখে এগিয়ে যেতে হয়। হাজারি ঠাকুরে� তীব্� আশ� তা� আস� বয়স কমিয়ে দিয়েছিল এব� তা� মন�-দেহে শক্ত�-অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল�
তাছাড়� হাজারি ছি� কর্ম�; সে বিশ্বা� কর�; কর্ম ছাড়� সু� নাই। সে তা� জীবন� অভিজ্ঞতাকে চর� গুরুত্� দিয়েছিল� যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জ� কর� হোটেলে� ব্যবসা শুরু করেছিল�
গ্রামাঞ্চলের মানুষে� অতিথিসেব� এখ� প্রায় হারিয়� গেছে; হাজারি যা পেয়েছিল নিঃস্বার্থভাবে� এখ� গ্রামে� শহরে� ছায়�, ভদ্রলো� সম্প্রদায়ের বা�; যারা একটু শিক্ষি�-ধনবা� হয়ে অহংকার� পেটে ভুঁড়ি গজিয়ে না� সিটক� পথ চলে। আহ্�, আগের গ্রা� আর নেই। .................
বর্তমা� প্রজন্� বই বলতে শুধু বুঝে সেলফ হেল্� আর মোটিভেশন� ফিকশ� বই পড়াকে তারা সময়ের অপচয� মন� করে। তারা যদ� বুঝত; ফিকশ� গল্পের মাধ্যম� মন� যে অনুপ্রেরণা ঢুকিয়� দেয়; একমাত্� তা মন� দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলত� পারে�
আর ইউটিউব চ্যানেলগুলোতেও শুধু মোটিভেশনাল বইয়ের রিভি� হয়। কারণ ইউটিউবাররা জানে ফিকশ� বইয়ের রিভি� করলে ভিডি�-তে ভি� আসবে না� তাছাড়� বর্তমা� ইউটিউবাররা মন� হয� ফিকশ� বই পড়ে� না�
যা� হো�, যা� যেমন ইচ্ছ� সে তেমন বই পড়ুক। আম� গল্পের বইয়ের পোকা� জীবন উন্ন� করার জন্য যা যা লাগে সব জানা� মোটিভেশন� আমার সু� নেই। একমাত্� ফিকশনই আমায� সু�-অনুপ্রেরণা দিতে পারে।।
বাংল� সাহিত্যে� অন্যতম সেরা বই তে আপনাকে স্বাগত�! সাহিত্যে� আর সাহিত্যিকে� মানদন্ডে� কষ্টিপাথ� নেই। যদ� থাকত তাহল� জানত� চাইতাম বিভূতি-ভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায� এর কো� বই থেকে কো� বই কে সেরা বল� যায়�
তব� এর উত্ত� হয়ত� বা অনেকের কাছে থাকত� পারে� কিন্তু আমার কাছে এই সব গুলো সেরা হবার গোলকধাঁধাকেই বর� বড্ড ভালো লাগে!
বেচে থাকু� আদর্� হিন্দু হোটে� সক� পড়ুয়াদের মা� দিয়� ❤️
বে� কিছুকা� ধরেই রাতে বে� নির্জী� লাগে, ডিসেম্বর যত কাছে আস�, রাতগুল� দীর্� হয�, আজকা� বই নিয়� খু� লেখালেখি করছি� সময়� অসময়ে থেমে থেমে, ছাড়� ছাড়� ভাবে সাহিত্যে� পুরানো রস আস্বাদনে� সাময়ি� চেষ্টা� সেদি� একজনের প্রশ্ন� বিভূতিভূষণের আদর্� হিন্দু হোটেলে� কথ� মন� পড়ে গেল।
অন্য দশটা মানুষে� মত� হাজারি ঠাকুরও আশায� বু� বাঁধ�, স্বপ্ন দেখে� যত� সংকটময� মুহূর্� আসুক না কেনো সে স্বপ্ন দেখে চল�, চিন্তা করতে থাকে কি কি উপায� অবশিষ্� আছে। শত অপমা� সহ্য করেও সে ভেঙে পড়েনি� চলতি পথ� অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতিটাকে� মেনে নেয়� কিন্তু জীবন� চলার পথ� বামু� ঠাকু� অনেক নির্মম রূপান্তরকে ধীরে ধীরে মানিয়� নিয়� ভালো কিছু� আশায�, নিজে� স্বপ্নের আশায� সামন� এগিয়ে গেছে� যাপি� জীবন� এর চেয়� স্বস্তির কি আছ�?
বিভূতিভূষণের জাদুকরী ভাষা� ঠাসবুনটে হারিয়� যেতে পারে� চমৎকৃত হবার গোলকধাঁধায়। এই বই যখ� ইচ্ছ�, যেভাবে ইচ্ছ� পড়া যাবে না, ঠি� যেমন ইচ্ছ� হলেই এম� বই লেখা যায় না, এর জন্য অপেক্ষ� করতে হয�, উপযুক্� স্থা� কা� পাত্রে�, মনের ভিতর থেকে সাড়� আসতে হয়। এক আশ্চর্� উপন্যাস।
হাজারী ঠাকুরে� গল্প একসময় সব ছাপোষা বাঙ্গালী� গল্প হয়ে যায়, কী আমার, কী আপনা�! আমাদের জীবনপ্রবাহকে ধর� রেখে বিচিত্� মুন্সিয়ানায� জাদু� শব্দজা� বুনে বিভূতিবাবু আমাদের দে� এক নিজস্ব দর্প�, সারা জীবন ধর� পাশে রাখবার এক হরিহ� বন্ধু।
মগবাজারে� সিগন্যাল� প্রায় প্রতিদিন� দাঁড়ায় থাকি ত্রি�-চল্লিশ মিনিট। কো� এক রাত্রে আশেপাশের গাড়�, বাসে� হেল্পা� আর রিক্সা� মাঝে বোরড হয়ে ফো� খুলে পুথিকা চালাই। আদর্� হিন্দু হোটেলটাক� দেখা ওখানেই� বেচু চক্কোত্তির হোটেলে� হাজারী ঠাকুরে� সাথে চূর্ণী নদী� পাড়� বস� আকাশ-পাতা� স্বপ্ন দেখা� শুরু� এরপর? কত কি হয়ে যায়! কে ভেবেছি�!
আমরা দেখি খুবই অসামান্য শক্তিশালী কিছু নারী চরিত্রকে.. পদ্মদিদি, কুসু�, অতসী, টেঁপিক�.. দেখি অসামান্য হাজারী ঠাকুরক�, দেখি সে� বাংলাক� যখ� রাঁধুনী� মাসি� বেতন ছি� সা� টাকা�
খুবই ফাস্�-পেসড� বিভূতিভূষণের লেখা বরাবরে� মত� অস্বাভাবিক সাবলী�, ছবির মত সুন্দর�
বর্ণনা� মাধ্যম� কোনো ��েখাক� পাঠকের চোখে� সামন� এতটা স্পষ্ট � জীবন্তভাবে তুলে ধরার ক্ষেত্রে কোনো লেখক� মন� হয� না বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ক� টেক্কা দিতে পারবে।সে� 'পথের পাঁচালী', সে� 'চাঁদের পাহাড়' শুধু মন্ত্রমুগ্� হয়ে পড়েছি আর বারবার বিস্মি� হয়েছি� কি চমৎকার লেখনী!
এই বইটা সম্পর্কে তেমন কিছু বলবো না।নিঃসন্দেহ� এট� বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ে� সেরা বইগুলো� একটি� আমার প্রিয় বইগুলো� তালিকায় আর� একটি নতুন বই যুক্� হলো।আর যারা এখনো পড়েনন� তাদে� জন্য হাইল� রেকমেন্ডেড বইটা ;)
"আদর্� হিন্দু হোটে�" একটি "আদর্�" বই - তথ� নিখুঁত বই� এই ধরণে� উপন্যা� পড়ল� নতুন কর� মন� পড়ে কে� বাংল� ক্লাসি� উপন্যাসে� পাগলাট� ভক্ত ছিলা� একসময়ে। এত� রকমে� আবেগ দিয়� হৃদয়ে� কাছে� কাহিনী তুলে ধর� তো যা�-তা� কম্ম� নয�, কেবল পুরানোকালে� লেখকদে� হাতে� এই মাধুর্� ফুটে উঠ� দেখেছি� বর্তমানকালের সোশ্যা� মিডিয়� সেলিব্রেটি লেখকদে� অর্থহী� কোনো প্লট টেনে লম্ব� কর� বানানো উপন্যা� পড়ত� পড়ত� যখ� হতাশ হয়ে পড়ি, তখ� এস� পুরানো বই এক চিলত� শান্তি� মত� মনটা স্নিগ্� কর� দিয়� যায়� তাদে� কোনো জাঁকজম� সম্পন্� পটভূমিরও দরকা� হত� না, সাধারণ জীবনের অত� সাধারণ জিনিসক� নিজেদে� দক্ষতায় কিভাবে যে� অসাধার� কর� ফেলতেন�
"আদর্� হিন্দু হোটে�" আমার কাছে আজীবন স্মৃতিতে সযত্নে রেখে দেয়ার মত� একটি বই বল� মন� হয়েছে� হাজারি ঠাকুরে� জন্য মনের গভী� থেকে অসম্ভব ভালোবাসা রইলো, বাংল� সাহিত্যে� সবচেয়� উজ্জ্ব� চরিত্রের একজন সে� বই পড়ত� পড়ত� তা� হাতে� রান্না খাবা� জন্য মন যে� উচাট� হয়ে উঠছিলো, আহ� - কি সুন্দর বর্ণনা! বিভূতিভূষণের লেখাকে যথায� সম্মান দেয়ার মত� দু'টো কথ� বলার ভাষা আমার আসলে জানা নে� - তা� ব্যাপারে যত� প্রশংসার বুলি উচ্চার� কর� তা� কম হয়ে যায়� ভীষণ প্রিয় একজন লেখক তিনি আমার�
বইটা নিয়� সারাজীবন� চমৎকার চমৎকার কথ� শুনে এসেছি। আর নিজে পড়া� পর মন� হয়েছে আশার চেয়েও দশগু� বেশি কিছু পেলাম।
প্রায়� একটা কথ� আমরা শুনে থাকি, "পে� শান্� তো মন� শান্�"� অথবা এমনও বলতে পারি যে, পেটে ক্ষুধা থাকল� কোনো কাজে মন বস� না� শৈশব� পাঠ্যবইয়ে একটা প্রশ্ন ছি�, "আমরা খাবা� কে� খা�?" প্রশ্নের সহ� জবাব, "বেঁচ� থাকা� জন্য"� কিন্তু সময়ের সাথে এই জবাব আর� পূর্ণত� পেয়েছে।
মাছে ভাতে বাঙ্গালি�
যতোই মুখরোচ� খাবা� বাঙালি খা� না কে� একসময় ঠিকই মা�, সবজি, ভা�, ডা�, ভর্তার জন্য মন কেঁদ� ওঠে। মাসে� পর মা�, বছরে� পর বছ� কি না খেয়� থাকত� পারবেন? ধোঁয়া ওঠ� ভা�, গর� ডা�-সবজি � মাছে� ঝো� কি সহজে ভোলা যায়? এমনি তো বল� না বাঙালিরা ভোজনরসিক!
রাণাঘাটে রে�-বাজারে বেচু চক্কত্তি� হোটেলে� বে� নামডাক� আর দশটা হিন্দু হোটেলে� মত� পাওয়া যায় বাঙালি� অতিপরিচি� খাবার। কিন্তু... একবা� যে এখান� এসেছ�, ভুলত� পারে না চক্কত্তি মশাইয়ের হোটে�! কে�? নামমাত্র পারিশ্রমিকের বিনিময়ে বে� কয়েকবছর ধরেই অক্লান্ত পরিশ্র� কর� চলেছ� রসুয়ে-বামু�, হাজারি ঠাকুর। হাজারি ঠাকুরে� কারিশমায� অতিসাধার� খাবারও অসাধারণে পরিণ� হয� যে� "অমৃত"! তব� মন� সুপ্� একটা ইচ্ছ� আছ� রসুয়ে-বামুনে�, একটি হোটে� দিবে; "আদর্� হিন্দু হোটে�"� যেখানে কোনো খদ্দেরকে ঠকান� হব� না� সতেজ-সুস্বাদু-পুষ্টিকর খাবারই হব� যে হোটেলে� মূলমন্ত্র। কিন্তু চূর্ণী নদী� ধারে বস� প্রতিদিন দেখা দিবাস্বপ্ন কি কোনোদি� পূরণ হব�?
পরিবার ছেড়� এত� দূরে রাণাঘাটে বাবুর্চি� জীবন সহ� নয� হাজারি ঠাকুরের। প্রতিদিন পদ্মঝি� অযৌক্তিক তিরস্কার, বেচু চক্কত্তি� অবহেলা নিরব� সহ্য কর� চলেছে। মন� ক্ষী� আশ� একদি� তা� কদ� তারা বুঝবে। কিন্তু কব�? হাজারি ঠাকুরে� রান্না� জয়জয়কা� পদ্মঝি� সহ্য হয� না� মিথ্যে মামল� দিয়� তুলে দেয় দারোগা� হাতে� তাতে� সা� মেটে না! কুৎস� রটান� শুরু করে। পদ্মঝি� প্ররোচনায় বেচু চক্কত্তি কা� থেকে ছাটায় কর� দেয়! ভগ্নহৃদয়ে অকূল পাথারে পড়ে হাজারি ঠাকুর। কিন্তু স্বপ্ন যা� হৃদয়ে তাকে কি দমিয়ে রাখা যায়?
প্রায় দেড় বছ� আগ� পড়া বিভূতিভূষণের "আদর্� হিন্দু হোটে�"� মন� প্রশ্ন ওঠ� স্বাভাবি� যে এত� সময় পর� রিভি� লিখছ� তাহল� বইয়ের বিষয়বস্তু আদোও ঠিকঠাক মন� আছ� কিনা� জবাব হল�, "এত� অসাধার� একটা বইকে ভোলা সম্ভ� না"� আম� যদ� আর� কয়েকবছর পর� লিখতাম তারপরও বইয়ের অধিকাংশই আমার মন� থাকতো।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ে� লেখা� সাথে পরিচয় "চাঁদের পাহাড়" দিয়ে। সুন্দর-সাবলী� লেখনশৈলী� আদর্� হিন্দু হোটে� পড়া� সময় যে� কল্পনা� রাজ্যে হারিয়� গেছিলাম। রাণাঘাটে� সেদিনগুল�, হাজারি ঠাকুরে� সংগ্রা�, পদ্মঝি� অত্যাচার, স্বপ্নের দিনগুল� যে� চোখে� সামন� দেখত� পারছ�! খাবারগুল� বর্ণনা, মন� লো� জাগিয়� তুলছিল� বইটা শে� করার পর� রে� রয়ে গেছিলো� দুটো বিষয়ে� জন্য বইটা মন� থাকব� সারাজীবন- � হাজারি ঠাকুরে� অসম্ভব ধৈর্য্� � ইচ্ছেশক্তি� � টক্সিক চরিত্র পদ্মঝি�
"প্রত্যেক সফ� ব্যক্তির সাফল্যের পিছন� একজন নারী� হা� (ভূমিকা) থাকে" প্রায়� শোনা একটা কথা। কিন্তু হাজারি ঠাকুরে� পিছন� আছ� পাঁচজন নারী� অগাধ আস্হ� � অনুপ্রেরণা� শে� অংশে অতসী� জন্য কষ্ট লাগে� স্টেশন� অতসীকে দেখে হাজারি যখ� কেঁদ� দেয়... এই অং� কোনোদি� ভোলা সম্ভ� না আমার জন্য�
এম� একটা বই যেটা পড়া� সময় খুশি, আশ�, কষ্ট, স্বপ্ন, রা�, বিরক্ত বিভিন্� অনুভূত� হয়েছে� শত-শত বই পড়েছি কিন্তু পদ্মঝি� মত� এত� টক্সিক চরিত্র কম� দেখেছি� পড়া� সময় বারবার মন� হচ্ছিল একটা শিক্ষা হওয়� উচিত� কিন্তু এত� কূটনামির পর� যখ� হাজারি মা� কর� দেয় রা�-বিরক্ত হয়েছিলাম। তব� এইভাবে� ভাবা যায় যে ক্ষম� কর� আসলে সবচেয়� বড� প্রতিশোধ� নেওয়া হয়েছে� পদ্মঝি ভুলত� পারব� না অতীতক�!
আমার প্রিয় বইগুলো� মধ্য� সবসময়� থাকব� "আদর্� হিন্দু হোটে�"� বারবার পড়া� মত� একটা বই� শুধু একটা কথ� বলবো,
উপন্যাসে� প্রতিট� শব্দ, বর্ণনা মুগ্� কর� রেখেছে একদম!
মানু� চাইল� কি না পারে, তারই জলজ্যান্� উদাহরণ "আদর্� হিন্দু হোটে�" বইটা!
আচ্ছ� কেমন ছিলো ৩০/৪০ দশকে� একটি ভাতে� হোটেলে� চিত্�? আদর্� হিন্দু হোটে� কি তব� শুধুমাত্� একটি অত� সাধারণ ভাতে� হোটেলেরই বর্ণনা মাত্�?
রোসো, বলছি!
দরিদ্র বামু� হাজারি দেবশর্মা, পেশায় রান্না� ঠাকুর। ভারতবর্ষ� ব্রাহ্মণ রাধুনীকে ঠাকু� ডাকা হয়। এই হাজারি ঠাকুরক� নিয়েই পুরো কাহিনী আবর্তিত। ছোটবেল� থেকে� হাজারি ঠাকুরে� রান্না� সুনা� তা� গ্রা� এড়োশালা জুড়�, কে নে� তা� রান্না� প্রশংস� করেন�! সে� থেকে� রান্না� সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়� যায়, শুরু হয� নানা অভিজ্ঞতায় জ্ঞানে� ভান্ডা� সম্মৃদ্ধ করার� প্রায় ৪০ এর কোঠায় বয়স এস� পড়ল� তা� পুরোনো স্বপ্নটা মাথাচারা দিয়� উঠতে থাকে, একটা ভাতে� হোটে� খুলবার�
কিন্তু তা আর সহযে হয� কই? কারণ গরীবে� প্রধান শত্রুই যে অর্থাভাব! তা� উপ� আর� আছ� অবহেলা-অনাচার� মা� মাইন� এতোই অল্প যে তা দিয়� নিজে� পে� আর ছেলে পুলে� পেটই ভর� না, আর হোটে� খুলব�! তারপরে� সে তা� স্বপ্নটা মন� লালনপালন করতে থাকে� উদার আর দয়ালু হাজারি ঠাকুরে� চরিত্রটি পাঠকের মন� জায়গা কর� নেবে সে ব্যাপারে সন্দেহ নে� কোনো!
বিভূতিভুষণ বন্দোপাধ্যায� এত অন্যতম সেরা কির্তী “আদর্শ হিন্দু হোটেল। বইটি প্রকাশ পেয়েছিল� ৪০ এর দশকে� তখ� ব্রিটি� আমল। তখনকার জীবনযাপন, জীবিকা নির্বাহে� ক্ষেত্রগুল� কেমন ছিলো তা� আভাস পাওয়া যায় বইতে�
বিভূতিভূষণের লেখা আমার সবসময়� মায়াকার� মন� হয�, এটাও তা� ব্যাতিক্রম কিছু না, যে� একদম মনের কাছে� কিছু একটা� আমরা অনেকেই জীবন� একটা কথ� জেনে� জানিনা, মেনে� মানি না যে, “সকল কে� কর্মফল ভো� করতে হয�, ভালো হো� বা মন্দ� � হাজারি ঠাকু� এব� তা� সাথে সম্পর্কি� প্রতিট� চরিত্রের ক্ষেত্রে এই নীতি� প্রতিফলন সত্যিই মুগ্� করেছে। হাজারি ঠাকু� সারাজীবন কাওক� অশ্রদ্ধা করেননি, অধৈর্য্য হন নি� শত অপমা� অপদস্থতা স্বত্তেও স্বীয় নীতিতে অট� ছিলে� এব� যা� ফল� অনাত্মীয় মানুষে� থেকে� তিনি পেয়েছেন শ্রদ্ধ�, ভালোবাসা এব� সাহায্য। এক� সঙ্গ� নিজে হতদরিদ্র হওয়� স্বত্তেও অপরে� অনাহারযাপন তাকে পীড়� দিতো� অপরদিক� লো� ঠকান� অসাধ� চরিত্রগুলো তাদে� কর্মফল ভো� করেছিলো।
শুন্� থেকে শুরু� গল্পটাকে অনেকটা অনুপ্রেরণামূলক হিসেবে� গণ্য কর� সম্ভব। সব মিলিয়� পাঠককে সফ� করতে হব� ৪০ এর দশকে, সবশেষে মিলব� এক ভিন্� রকমে� মিশ্� অনূভুতি।
স্বপ্ন বাঁচায�; খুলে দেয় বদ্ধ পথের দ্বার। অথবা,যতক্ষণ আশ, ততক্ষণ শ্বাস। যা� বলুন না কে�, ভালো কিছু� আশ� আর বড� কিছু হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই মানু� বাঁচে। আপনি সৎ পথ� চলুন, বড� স্বপ্ন দেখু� আর সে অনুযায়ী কা� করুন।এতে উপরওয়াল� চাইল� স্বপ্নের বেশি� পেতে পারেন।
এই স্বপ্ন পূরণের দৃষ্টান্� দরিদ্র হাজারি ঠাকুর। রানাঘাটে� হোটেলে কা� কর� সে স্বপ্ন দেখেছি� একটি হোটে� খুলব� যা� না� হব� আদর্� হিন্দু হোটেল।শত অপমা� সহ্য করেও সে ভেঙে পড়েনি, অট� ছিল। এই কাঁটাময় পথের ধারে হাজারি ঠাকু� বিশালমনা মানুষে� দেখা� পেয়েছিলেন যারা তা� স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রেখেছে� অবশেষে এই শান্� মানুষট� মুখোমুখি হয়েছি� তা� স্বপ্নের, ছুঁয়ে দেখেছি� তা� স্বপ্নকে�
একটি তারা কেটে দিলাম। আসমুদ্�-হিমাচল যা� মনের বিস্তা� তা� সাথে বিভূতিবাবু বড� অবিচার করেছেন� এই একটি তারা কেটে দিয়� আম� যে� তা� শো� নিলা�! যদিও বাবু� কিছু আসবে� না যাবে� না, আমার আস� আর যায় ;)
আদর্� হিন্দু হোটে�- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভূতিভূষণ একজন জনপ্রিয় ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক। পথের পাঁচাল�, আরণ্যক, অশনি-সংকে� এর মত তাঁর আরেকটি কালজয়ী সৃষ্টি আদর্� হিন্দু হোটেল। লেখক উপন্যাসে� কাহিনী বুনেছে� হাজারি দেবশর্মাকে ঘিরে� ব্রিটি� শাসনের পটভূমিতে রচিত গল্পটি� হাজারি একজন মধ্যবয়সী বাঙালি ব্রাহ্মণ� রাণাঘা� রে� বাজারে বেচু চকত্তি� হিন্দু হোটেলে� রসুই বামু� তিনি� প্রতিদিন দু'বেলা রান্না কর�, বেচু চকত্তিকে পই পই হিসা� দিয়� আর হোটেলে� পদ্ম ঝি'� নিন্দে শুনে� হাজারি ঠাকুরে� দি� কাটে� তারপরে� দুপুরে� দিকটায� কিছু অবসর পান। তখ� চল� যা� চূর্ণি নদী� ঘাটে� নদী� ঘাটে� ছোট্� অবসর� তাঁর চোখে একটা স্বপ্ন উঁকি দেয়� এই রে� বাজারে� তাঁর নিজে� একটা হোটে� থাকব�, না� হব� 'আদর্� হিন্দু হোটে�'� হোটেলে� সামন� বড� বড� অক্ষরে লেখা থাকব� সে� নাম। তিনি নিজে খরিদ্দারদে� রান্না কর� খাওয়াবেন। কো� ফাঁক� বা জোচ্চুরি থাকবেন� তাঁদের সাথে, খাবা� পর একটু পা� সুপোরি আর জিরোনো� ব্যবস্থা� থাকব� তাঁর হোটেলে� এই স্বপ্নটা� তাঁর বেঁচ� থাকা� প্রেরণ� যোগায়� বইটা� প্রতিট� লাইন পড়ছিলাম আর ভয়ে ভয়ে এগুচ্ছিলাম, হাজারি� স্বপ্ন কি পূরণ হব�? কো� দুর্ঘটনা না ঘট� যায়! স্পয়লার অ্যালার্�! লেখক শে� পর্যন্� পাঠকের মন ভাঙ্গেননি। হাজারি তাঁর নি� গ্রামে� কুসু� আর অতসী� দেয়� টাকায় সে� রে� বাজারে� শুরু করেন তাঁর নিজে� ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’। আর তাঁর রান্না� সুনা� তো ছি� আগ� থেকেই। কলকাতা থেকে বাবুরা আসতে� শুধু তাঁর হাতে� মাংস-রান্না খাবা� জন্য! ১৯৪০ সালে বইটি� প্রথ� প্রকাশ� পরবর্তীতে ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হয়। উপন্যাসট� পড়ে ভালো তো লাগবেই, তা� সাথে আপনা� কিছু অপ্রচলিত বাগধারাও রিভিশন হয়ে যাবে� খু� ছোট্টবেলায� স্কুলে� পরীক্ষা� জন্য মুখস্ত কর� বাগধার� গুলো কি মন� আছ�? এই উপন্যা� আপনাকে মন� করিয়ে দেবে সেগুলো� বে� কয়েকটাই� চক্ষুদান কর�, উনপাঁজুর�, ব্যাঙে� আধুল�- এমনি খু� সুন্দর কিছু বাগধারার প্রয়ো� লেখকের লেখনীকে করেছ� আর� ছন্দময়। বইটা পড়া� সময় মন� হচ্ছিল� একটা বাক্যেরও বাহুল্� নে� কোথাও। যেখানে যেমনটি হওয়ার কথ� ছি� সেখানে ঠি� তেমনটা� হয়েছে� সর� ভালো মানু� হাজারি� ভাবনাগুল�, তাঁর জীবনদর্শ�, তাঁর স্বপ্ন পাঠকের মন ছুঁয়ে যেতে বাধ্য। তা� সাথে টেঁপ� (হাজারি� মেয়�), কুসু�, অতসী, নরেন, এমনক� হিংসুট� পদ্ম ঝি কে নিয়েই একটা সুন্দর পরিণতি আমাকেও বাধ্� কর� উপন্যাসটিক� ফু� মার্কস দিতে� :)
"আম� মারে� সাগর পাড়� দে� বিষম ঝড়ে� বায়� ... আম� অভয় মন� ছাড়� তরী, এই শুধু মো� দায়"
আম� বহুদিন এই ভেবে বসেছিলাম যে এট� বোধহয় "পরিশ্র� সৌভাগ্যে� চাবিকাঠি" অথবা "সততা� সর্বোৎকৃষ্� পন্থ�" শীর্ষক গদ্গ� একটা কাহিনী হবে। মোটিভেশনাল বা উদ্যোক্তামূল� কাহিনীগুলোয় আম� খুবেকট� আগ্র� পা� না� তা� মন� সন্দেহ নিয়� দীর্� সময় পর� বইটা পড়ত� বসলাম।
না�, বিভূতি বরাবরই একজন শক্তিমান লেখক� বইটা শে� করার পর আমার শুরু� আর শেষে� চিন্তা বে� বিপ্রতীপ। হাজারি চরিত্রের মধ্য� একটা স্বতঃস্ফূর্ত স্পিরি� আছ� "to be and remain himself". He didn't let things influence the kind of person he has been always! And this is something very precious that he didn't allow the bad things to kill his goodness or faith!
আম� জানি না সত্যিকার জীবন��� কতজন মানু� তাদে� root কে এরকম প্রভাবমুক্� থাকত� পারে অথবা সবসময় পেরে উঠ� কি না ! One thing I appreciate is that Hajari has been respectful to the affections he has rececived along the way. "না চাইতেই পাওয়া" জিনিসগুলোক� "চেয়� পাওয়া" জিনিসে� মত� মর্যাদ� দিতে পেরেছে�
যা� হো�, সব মিলিয়� বিভূতি� হাতে� গাঁথুন� তে বাঁধ� নিখা� একটা গল্প�
বইখানা� শুরুতে এতবেশি মেজা� খারা� লাগিতেছি� যে বা� কয়ে� মন� হই� আর পড়ি� না� মেজা� খারা� হইবা� মূ� কারণ পদ্মঝি� � জাতীয় দু� একজন মানুষে� সাথে পরিচয় থাকা� দরূন মেজা� টা বেশি� খারা� হইতেছিল। তব� সে� মেজা� খারা� বোধট� সাময়িক। হাজারী� হা� না মানা� যে মানসিকতা তা আমাক� বারবার� মুগ্� করিয়াছে� যদিও কিছুকিছু ক্ষেত্রে পদ্মঝি� প্রত� তাহা� আচরণ� ক্ষুব্ধও হইয়াছ�, তব� সময় গড়াইত� হাজারী� প্রসার পাইবার বর্ননায় তা কিছুমাত্রায় ভুলিয়াও গিয়াছি। কুসু�, অতসী, সুবাসিনী বা বাকি সবার আন্তরিকতার কাছে পদ্মঝি� কুটিলত� ম্লা� হইয়� গিয়াছে। বইখানা আবার পড়ি�, ভা� বইয়ের শেষটায� এত সুন্দর উপসংহা� দিয়� এইভাবে দা� কাটিতে কম দেখিয়াছি। নাকি আমার কাছে� শুধু এত ভা� লাগিয়াছে। আরণ্যক পড়িবা� পর অনেকেই বাকি বইগুলি পড়িতে বলিয়াছিলেন। তাহাদে� কথ� মানিয়� যে ভু� কিছু কর� না�, আদর্� হিন্দু হোটে� পড়িয়� তাহা পরিষ্কার বুঝিতে পারিয়াছি। শুরুটাতে ঠি� যতটা অসহনীয় বো� হইতেছি� হাজারী� দুরাবস্থ� দেখিয়�, শেষটায� ঠি� ততটা� তৃপ্তি পাইয়াছি� এর চাইত� বুঝি বেশি কিছু বলিবার হেতু নাই। তা এরপর কি পথের পাঁচালী, না ইছামতি কোনট� পড়ি�?
রাণাঘা� রে� স্টেশনের কিছু সাদাসিধে ভাতে� হোটে� এব� সে� হোটেলগুলোক� আঁকড়ে ধর� বেঁচ� থাকা মানুষগুলোক� কেন্দ্� কর� আবর্তি� হয়েছে গল্প� লেখনীতে উঠ� এসেছ� এম� এক সমাজের মানুষে� জীবনযাত্রা, যে জীবনের কথ� আমাদের অজান� থেকে যায় সচরাচর� ১০� বছ� আগেকার ব্রিটি� ভারতের একটা চিত্রও পাঠকের মন� ফুটে উঠবে তাঁর অজান্তেই� পড়ত� শুরু করলে সময় কোথা থেকে কেটে যাবে টে� পাওয়া যাবে না� এম� একটা গল্প যেটা� রিভি� মানে� স্পয়লার� কাজে� ইচ্ছ� থাকলেও খু� বেশি লেখা যাচ্ছে না�
This book is one of the main reasons why writer Bibhutibhushan Bandyopadhyay is my favorite writer in Bengali literature. Plot is situated way before our time yet concept is so modern in his writing that I get inspired every time I read it. This book perfectly captures the essence of entrepreneurial spirit of protagonist and struggle behind to achieve it.
৫০/৭৫ বছ� আগ� অনুপ্রাণিত হওয়ার জন্য সম্ভবত মানু� এই বইটি পড়ত� সাধারণ হোটে� পাচক হাজারি� অসাধার� ব্যবসায়ী হয়ে ওঠার গল্প, স্বপ্ন সত্য� করার গল্প� এক বসায� শে� করার মত বই�
এই বইয়ের আবার রিভি� লাগে নাকি?! বাঙালি� চিরন্ত� স্বপ্ন � সাধে� কাহিনি এট�, যাতে মিশে আছ� অনেক হাসি-কান্না, অনেক হিরে-পান্না� এই উপন্যা� এখনও না পড়ে থাকল� দয়া কর� ত্রুটি সংশোধন করতে তৎপর হোন।
আমরা বাঙালি� বিদেশী খাবা� কালেভদ্র� শখ কর� খেলে� বাঙালি খাবারে� মত শান্তি অন্য কোনো খাবারে পাওয়া যায় না� বেশি দামি খাবারে� চেয়� কম দামী খাবারে� আমাদের উদ� পূর্তি শান্তিময� হয়। ১০� জন বাঙালিকে প্রশ্ন কর� দেখু�, একটানা ১০� বেলা বিদেশী দামী খাবা� খেতে বললে ৯০ জন� রাজি হব� না� কিন্তু আল� ভর্ত�, ঘি, গর� ভা�, ডা�, ইলিশ মাছে� ঝো�, মুরগী অথবা গর�/খাসী কষ� খাওয়া� সুযো� দেবে�, দেখবেন বত্রিশ পাটি দাঁত বে� হয়ে যাবে খুশীতে�
যাকগ�, এসেছিলাম আদর্� হিন্দু হোটে� বইয়ের রিভি� দিতে� কে� অহেতুক বকবক করছি? জ্বী, আজ্ঞ� আদর্� হিন্দু হোটেলে� রিভি�, খাবা� নিয়� কচকচান� তো থাকবেই� তা� নয� কি? ইংরেজিতে যাকে বল� ইরেভেল্যান্ট, বাংলায� অপ্রাসঙ্গি� মন� হল� মার্� না হয� দুটো কেটে রাখবেন, কিন্তু মনের ভা� আমার প্রকাশ করতে� হবে।
গল্প সংক্ষেপঃ
হাজারি দেবশর্মা� দুর্দান্� রাধুনী� মধ্যবয়সী এই ব্রাহ্মণ ভদ্রলো� অল্প মাইনের বিনিময়ে বেচু চক্কত্তি� হোটেলে রাধুনী� কা� করেন� তা� রান্না� হাতে� সুনা� রাণাঘা� ছাড়িয়ে দূ� দুরান্তে ছড়িয়� গিয়েছে। কিন্তু তবুও বেচু চক্কত্তি তাকে প্রাপ্� মাইন� বা প্রাপ্� সম্মান কোনোটা� দে� না� তা� মনের গোপন খায়েশ হল� এই রেলবাজারেই তা� নিজে� একটা হোটে� হবে। যা� না� হব� আদর্� হিন্দু হোটেল। তা� স্বপ্ন কি কখনো পূরণ হব�? হাজারি ঠাকুরস� অন্যান্য কর্মচারীদে� জীবন ওষ্ঠাগ� কর� দেয়ার জন্য হোটেলে রয়েছে আরেক কর্মচারী পদ্মঝি� পদ্মঝি যে� বাংল� সিনেমা� কুচুটে বুড়ির বাস্তব সংস্করণ। তিনি নিজে কাজে হরদম ফাঁক� দে�, সুযো� মত হাতটানের� স্বভাব রয়েছে, কিন্তু বেচু চক্কত্তি� পছন্দে� মানু� হওয়ায� তিনি সবার মাথা� উপরে ছড়ি ঘোরান। কে� কো� প্রতিবাদ করতে দেরী, পদ্মঝি� মু� ছুটত� দেরী নেই। � জন্য সবাই পদ্মঝি� থেকে যতটা পারে দূরে থাকা� চেষ্টা করে৷ কিন্তু এক� হোটেলে কা� কর� কতটা� বা এড়িয়� থাকা যায়? হাজারি ঠাকুরে� মনের ইচ্ছ� কি কখনো পূরণ হব�? নাকি শে� জীবন পর্যন্� পদ্মঝি� মুখে� ঝামট� খেতে খেতে বেচু চক্কত্তি� গোলামি করতে হব�?
পা� প্রতিক্রিয়া�
আদর্� হিন্দু হোটেল। বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ে� অম� সৃষ্টি� আপনারা কে� ইরফা� খা�, নাওয়াজুদ্দি� সিদ্দিকী, নিম্রিতা কউ� অভিনী� দ্� লাঞ্চবক্� মুভি দেখেছে�?একেবার� খাসা একখানা মুভি� আমার যখ� ক্ষুধা লাগে না কিন্তু খেতে হব� তখ� দ্� লাঞ্চবক্� মুভি দেখত� বসি। নিম্রিতা কউরে� রান্না এব� ইরফা� খানে� তারিয়� তারিয়� খাওয়া দেখল� পে� অটোম্যাটিক্যাল� চো চো কর� শুরু করে। অবশ্� শুধু ভালো মন্দ খাওয়া দেখানো� এই মুভি� উদ্দেশ্য নয়। প্রচুর শিক্ষণীয় মেসে� রয়েছে, রয়েছে শান্তিময� মনোহ� ডায়ালগে� আদান প্রদান� হাজা� বা� দেখল� হাজা� বারই মন ছুয়� যাবে� বিভূতি বাবু� আদর্� হিন্দু হোটেলও ঠি� তেমন� সৃষ্টি� বিভূতি বাবু কোথা থেকে এত শান্তিময� ভঙ্গিত� লেখা শিখেছে� জানা নে�, কিন্তু আরণ্যকের পর আদর্� হিন্দু হোটে� পড়ে আমার আবার� অবাক হত� হয়েছে�
প্রথমে� বলতে হব� গল্পের কথা। সুন্দর, ছিমছাম, শান্তি উদ্রেককারী গল্প� খুবই সাধারণ একটা প্লট, কিন্তু এত অসাধারণভাব� উপস্থাপন কর� বিভূতিবাবু� পক্ষেই সম্ভব। অল্পকিছু চরিত্র, সাধারণ একটা হোটে�, মনের ইচ্ছ� মেটানো� তীব্� খায়েশের মিশেলে কতটা অসাধার� গল্প তৈরি হত� পারে, আদর্� হিন্দু হোটে� তা� বাস্তব উদাহরণ� বইয়ের প্রথ� পাতা থেকে যে আকর্ষণ আপনি অনুভ� করবে�, বইয়ের শে� পাতা পর্যন্� সেটা থাকবে। কখনো বইয়ের চরিত্রগুলো� সঙ্গ� খুশী� জগতে হারাবে�, কখনো দুঃখ�, কখনো ক্ষুধা অনুভ� করবে�, কখনো প্রচন্� রাগও লাগত� পারে, কখনো অবাক হয়ে ভাববেন বিভূতিবাবু গল্প� এত মিষ্টি চরিত্র কিভাবে কল্পনা করতে পারলেন? বেচু চক্কতি� হোটে� থেকে শুরু হব� যে অভিযান, তা শে� হো� সেটা আপনি নিজে� চাইবেন না� কারণ গল্প শে� হয়ে গেলে তো আপনা� আনন্দে� উৎ� ফুরিয়� যাবে� চমৎকার ভাষাশৈলী, সহ� সাধারণ গল্প, আকর্ষণীয় বর্ণনা� জন্য আদর্� হিন্দু হোটে� কখনো� বিরক্তির উদ্রেক করবে না� এত সহ� সাধারণ প্লট� এত অসাধার� গল্প সৃষ্টি করার জন্যেই বিভূতি বাবু� একরা� সাধুবা� প্রাপ্য।
বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ে� বই গুলো� সবচেয়� শক্তিশালী দি� যতসম্ভ� বইয়ের চরিত্রায়ন� তা� প্রত্যেকটা বইয়ের� কিছু চরিত্র আপনা� মন� দা� কেটে যাবেই। প্রথমে� বলতে হয� হাজারি ঠাকুরে� কথা। বই শুরু হওয়ার দু� চা� পৃষ্টা এগোনোর পরেই পাঠক নিজে� অজান্তেই হাজারি ঠাকুরে� সুখে দুঃখ� নিজেকে হারিয়� ফেলত� শুরু করবে� সা� টাকা মাসি� মাইন� যা�, দীর্ঘদিন চাকর� করার পরেও বেতন বাড়েন�, হাজারো অপমা�, লাঞ্চন� মু� ঝামট� সহ্য করেও যিনি নির্বিবাদে কা� কর� গিয়েছেন, সুযো� থাকা সত্ত্বেও নিমকহারামি করেননি, তবুও প্রাপ্� সম্মানটুকু� পানন� হোটে� মালিকে� থেকে� কিন্তু সম্মানী মানুষে� সম্মান ঠিকই আদায� হয� কোথা� না কোথা� থেকে� হাজারি ঠাকুরে� প্রশংসায� দূ� দূরান্তে� খদ্দের� পঞ্চমু� ছিল। তবুও মিথ্যা অভিযোগের বশবর্তী হয়ে চাকুরী খুইয়েছে�, হারিয়েছেন আশ্রয়স্থল� যাত্রাপথ� পেয়েছেন বে� কিছু দে� দেবীতূল্� মানুষে� সান্নিধ্যে, যারা যেভাবে পেরেছে তা� স্বপ্ন পূরণ করার পথ� সাহায্� করেছে। এত দুর্দান্� চরিত্রায়নের ফলেই গল্পের গভীরে প্রবেশ করার সময় মন� হব� আপনি নিজে� বইয়ের চরিত্র হয়ে সমস্� ঘটনা অবলোকন করছেন।
পরবর্তী চরিত্র� না� নিলে অবশ্যই পদ্মঝি� না� নিতে হবে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই দু� চারজ� মানু� থাকে যারা বিনাকারণ� অন্যের হাড় মাংস জ্বালিয়� খেতে ওস্তাদ� নিজে� সুবিধা� জন্য অন্য যে কাউক� কোরবান� দিয়� দিতে পারে� নিজে� উপকারে� জন্য অন্য কে� ক্ষতিগ্রস্� হলেও তাদে� কিচ্ছু যায় আস� না� তারা একইসঙ্গে ক্ষমতাশালীদে� মন যুগিয়� চলার ক্ষেত্রে শতভা� পারঙ্গম। ক্ষমতাশালীদে� আশ্রয়� থেকে তাদে� খুশী করার নিমিত্তে দুর্বলের উপরে অত্যাচার করতে তারা বড়ই উদগ্রী� থাকে� পদ্মঝি ঠি� তেমন� একজন মানুষ। বই পড়বেন কিন্তু পড়ত� পড়ত� তাকে গর� তেলে ভাজত� মন চাবে না, উহ� তা হতেই পারে না� গরী� মানুষক� সাহায্� করার মত মানু� কম হয়। সাধারণ� মানু� গরীবে� কষ্ট দেখতেই ভালোবাসে� এখানেও তা� ব্যতিক্র� নয়। কিন্তু জগতে কিছু ভালোমানু� যে থাকে না তা তো নয়। ঠি� তেমন� দুটো চরিত্র কুসু� এব� অতসী� নিজেদে� জমান� টাকা দিয়� তারা হাজারি ঠাকুরে� স্বপ্ন পূরন করতে চেয়েছে। ভাবেনি নিজেদে� স্বার্থে� কথা। সহ� সর� দুটো চরিত্র আপনা� মন� দা� কেটে যাবে নিশ্চিতভাবেই� বেচু চক্কত্তি, হোটেলে� মালি�, তিনি চো� থাকিতে� অন্ধ লোক। অপছন্দের চরিত্র� পরিণ� হত� খু� দেরী হব� না� এছাড়া� চমৎকার ছোটবড় সব চরিত্র বইটিকে করেছ� অনন্যসাধারণ।
বিভূতি বাবু� বই পড়া� বিপদ হচ্ছ� আপনি তা� বই নিয়� বর্ণনা করার পূর্বে মনের গহীনে একগাদা কথ� জমিয়ে ফেলবেন� কিন্তু যখনই লিখত� বা বলতে যাবে�, দেখবেন ভালো লাগা প্রকাশ করার মত সঠিক ভাষা খুঁজ� পাচ্ছে� না� আমার ক্ষেত্রে সেটা� হয়েছে� আদর্� হিন্দু হোটে� বইয়ের প্রকাশকা� ১৯৪০ সালে� ইংরে� শাসনামলে� পটভূমিতে� এই গল্প রচিত� যদিও বইয়� ইংরেজদের নিয়� অহেতুক কচকচানী নেই। বাংলাদেশ� বে� কিছু প্রকাশনী এই বই বে� করেছে। আম� সূর্যোদয� প্রকাশনী� বই কিনেছি� চমৎকার প্রডাকশন, বানা� ভু� তেমন একটা পাইনি।
যারা বাংল� ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই বইটি এখনো পড়েনন� তাদে� অনুরোধ থাকব� দ্রু� বইটি পড়ে ফেলা� জন্য� বই পড়ত� পড়ত� হারিয়� যা� হাজারি ঠাকুরে� রান্নায়� হয়ত হাজারি ঠাকুরে� রান্না� স্বা� নেয়ার উদ্দেশ্য আপনি� আদর্� হিন্দু হোটেলে� অনুসন্ধানে রাণাঘাটে� উদ্দেশ্য� রওনা দিতে পারেন। কে জানে?!