ŷ

Jump to ratings and reviews
Rate this book

আরেক ফাল্গু�

Rate this book
বায়ান্ন� ভাষা-আন্দোলনে� পটভূমিতে রচিত কথামালা।

72 pages, Hardcover

First published January 1, 1969

61 people are currently reading
1,276 people want to read

About the author

Zahir Raihan

26books386followers
Zahir Raihan (Bangla: জহির রায়হান) was a Bangladeshi novelist, writer and filmmaker. He is perhaps best known for his documentary Stop Genocide made during the Bangladesh Liberation War.

He was an active worker of the Language Movement of 1952. The effect of Language Movement was so high on him that he made his legendary film Jibon Theke Neya based on it. In 1971 he joined in the Liberation War of Bangladesh and created documentary films on this great event.

He disappeared on January 30, 1972 while trying to locate his brother, the famous writer Shahidullah Kaiser, who was captured and killed by the Pakistan army. Evidences have been found that he was killed by some armed Bihari collaborators and disguised soldiers of Pakistan Army.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
763 (45%)
4 stars
685 (40%)
3 stars
208 (12%)
2 stars
22 (1%)
1 star
10 (<1%)
Displaying 1 - 30 of 160 reviews
Profile Image for সালমান হক.
Author64 books1,838 followers
April 7, 2014
যত� জহির রায়হানে� বইগুলো পড়ছ�, তত� কেমন যে� একটা দীর্� শ্বা� বে� হয়ে যাচ্ছে একেবার� মনের ভেতর থেকে� ভাষা আন্দোল� কতটা সপ্রতি� ভাবে ফুটে উঠেছ� তা� লেখা গুলোতে� খালি মন� হয�, ইস� উনাক� যদ� আমরা এত অল্প বয়স� না হারাতা�!! তাহল� আমাদের স্বাধীনত� যুদ্� নিয়� কি কি উপাখ্যান রচনা করতে� তিনি� এই আক্ষেপটা থেকে� যাবে�
বইটা সরাসরি ৫২ এর প্রেক্ষাপট� না লিখে তা� কয়ে� বছ� পরের প্রেক্ষাপট� লেখা হয়েছে, কিন্তু ৫২ এর সে� আন্দোল� যে তখনো জীবি� তা প্রতিক্ষনে বোঝা গিয়েছে। আর সে� আন্দোল� এর সময় থেকে� সামনের সময়ের জন্য� যে একটা প্রতিবাদের বী� যে ধীরে ধীরে বড� হচ্ছ� তা� ফুটে উঠেছে। দেখল� অবাক হতেই হয� যে তখনকার ছাত্� রাজনীতি আর এখনকার ছাত্� রাজনীতি� মাঝে কতটা তফাত!!
Profile Image for Dystopian.
422 reviews194 followers
August 16, 2024
জুলা� ৩৩ বা অগাস্ট দুই। ঢাকা জুড়� বৃষ্টি হচ্ছে।
কিছুসময়ের জন্য শান্� হয়ে বসার চেষ্টা করলে হাহাকা� গুলো কানে এস� বাজচ্ছে। সেগুলো তৈরী করছে জেদে�, প্রতিবাদের আগুনকে�
� - পুলিশে ভয� নে�?
--বলতে গিয়� দু-চোখে আগুন ঠিকর� বেরুলো,আর পরক্ষনেই নিজেকে সামল� নিয়� বললো, � আমার স্বামী জেলে� আমার ভা� জেলে� ছো� বোনটিও আমার জেলখানায�, আমার ভয� করার মত� কিছু আছ�? �


সেদি� বে� হইনি কোথা�, সামন� � -�-� অনেক বড� বড� কর্মসূচি�
অস্থির মন� বা� বা� ফেসবুক, টেলিগ্রা� � অথেন্টিক নিউজ সার্� করতে করতে এক্সাইটি� পি� লেভেলে�
আর সে� সময়� ভাবলাম কিছু সময়ের জন্য ব্রে� টা ডিসট্রাক্ট করি৷ বহুল পরিচিত একটা কোটেশন তখ� ভার্চুয়াল দুনিয়ার দেওয়ালে দেওয়ালে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যদিও প্রেক্ষাপট জানি তবুও ঘট� কর� বস� কখনো পর� হয়ন� জহির রায়হা� এর আম� উপন্যাস।
চিরায়� বল� আর অম� বল�, যা� বলিন� কে� প্রায় ৭০ বছ� আগ� লেখা এই উপন্যা� পড়িতে গিয়� মাঝে মাঝে� শরীরে কাটা দিয়� উঠেছে৷ বুকে� ভেতর যে� পাহাড় চেপে বসেছে।

� জেলখান� আর� বাড়ান সাহেব। এত ছো� জেলখানায� হব� না!
আর� একজন বললো, এতেই ঘাবড়ে গেলে� নাকি? আসছে ফাল্গুনে� আমরা কিন্তু দ্বিগু� হবো। �


আমরা দ্বিগু� নয� শতগু� হয়েছিলাম।
Profile Image for Rifat.
481 reviews313 followers
April 27, 2021
বা�! শুরুটা� হয়েছে কি চমৎকার ভাবে� গায়� ধবধব� সাদা শার্�, প্যান্�, হাতে হাতঘড়�, বুকপকেটে কল� সবমিলিয়� একটা আভিজাত্যের ছাপ। কিন্তু সবাই তাকাচ্ছে ওর পায়ের দিকে, জুতো নে� কে�? � কি পাগল! নাকি এট� নতুন ফ্যাশন� ধীরে ধীরে ওর� ১০ জন হল.....

১৯৫৫ সাল। বিধি নিষে� থাকা সত্ত্বেও ২১ শে ফেব্রুয়ার� পালনের প্রস্তুত� চলছে� এই প্রস্তুতির পাশাপাশি আলাদ� কর� নজরে আস� মুনি�-ডল�-বজলে, আসাদ-সালম�, মাহমুদ-সাহানা� কাহিনী�

আর শেষট� গায়� কাঁট� দেয়ার মত�!
"আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগু� হব�"


~২৭ এপ্রিল, ২০২১
Profile Image for Muhammad .
152 reviews9 followers
May 24, 2013
আরেক ফাল্গু� ১৯৫৫ সালে� ২১শে ফেব্রুয়ারী পালনের গল্প� এই ১৯৫৫ সালে� আমাদের শহী� মিনারে� ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। ভাষা আন্দোলনে� শহীদদের স্মরণে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়� কিছু তরুণ তরুণী এক সকাল� হঠাৎ করেই খালি পায়� বেড়িয়ে পড়ে রাস্তায়� স্থাপন কর� কাগজ আর বাঁশের শহী� মিনার। ক্ষণস্থায়ী এই শহী� মিনা� খু� বেশী সময় টেকেনা পুলিশে� তোপে� মুখে� যাদে� একান্ত চেষ্টা আর সংগ্রামে আজ ২১শে ফেব্রুয়ার� প্রতিষ্ঠিত, পেছনের সে� মানুষগুলোর গল্প আরেক ফাল্গুন। উঠ� এসেছ� তাঁদের বিদ্রোহী চেতন� আর পরিণয় এর মাঝে� দ্বান্দ্বিকতা। বা� যায়নি আন্দোলনে� লাভে� গুড় খাওয়া মানুষগুলোর কথাও�

শয়ে শয়ে প্রতিবাদী ছেলেমেয়েক� গ্রেপ্তা� কর� জেলে জায়গা দিতে না পেরে যখ� ডেপুটি জেলা� বিরক্ত� প্রকাশ কর�, ভিড়ের থেকে কে� একজন বল�, 'এতেই ঘাবড়ে গেলে� নাকি? আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগু� হবো।' আমাদের বুড়িয়ে যাওয়া রোগট� মন� হয� এই এক ভবিষ্যৎবাণীতে� পুরোপুরি উপশম হয়ে যায়!
Profile Image for Tanjina Faria.
9 reviews16 followers
October 1, 2020
"এতেই ঘাবড়ে গেলে� নাকি?
আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগু� হব�!"�

ভাষা আন্দোলনে� প্রেক্ষাপট� লেখা অসাধার� একটা বই।বইট� পড়া� সময় আমার কেবল� মন� হচ্ছিল সালম�,মুনি�,আসাদ,ডলিদের ভীড়� আমিও ছিলা�,কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে পুলিশদের ইট পাটকেল ছুঁড়ে মারছিলাম,হলের ছাদগুলোয� মাঝরাত্তির� দাঁড়িয়� স্লোগা� দিচ্ছিলা�!
উপন্যাসে� শেষে� দিকে ওদের সাথে আমিও পুলিশভ্যান� চড়ে জেলে যাচ্ছিলা�,সে� ভ্যানে চড়ত� চড়ত� নীলা যখ� "আমার সোনা� বাংল�" গাইছিল,তখ� আমার সব কট� ইন্দ্রিয� আবেগ� অব� হয়ে যাচ্ছি�!
Profile Image for তান জীম.
Author3 books252 followers
December 10, 2022
লেখা� কি ধা� রে ভা�! এই লো� দেশক� অনেক কিছু দিতে পারতেন� 'আরেক ফাল্গু�' আমার অলটাইম ফেভারি� লিস্টে ঢুকে গেলো� ৭২ পৃষ্ঠা� ছোট্� বইটা পড়ত� অবশ্যই মি� করবে� না�
Profile Image for HR Habibur Rahman.
272 reviews56 followers
August 20, 2021
রা� ওঠ� যখ� একটা সুন্দর গল্প হু� করেই শে� হয়ে যায়� চর� উত্তেজনা� মহুর্ত� শে� পাতাটা দেখল� বুকে ছ্যা� কর� ওঠে। এম� না করলে� পারতেন জহির রায়হান। আজকে সত্য� রীতিমত� বুকট� কেপে উঠেছিল� যখ� দেখলাম শে� পৃষ্টা চল� এসেছে। কী যে� একটা আর্তনাদে� মত� বয়ে গেলো বুকে� ভেতর� কে� জানি অর� অনেক কিছু জানত� ইচ্ছ� হচ্ছিল� মুনি�, ডল�, সালম�, আসাদ, রসুলদে� সম্পর্কে� কী আর করার� হতাশ� নিয়� শে� হল� বইটা� প্রায় কয়ে� মা� পর এতোট� নিবিড়ভাবে কোনো বই পড়লাম� এই বইটা যে� আমাক� ছাড়তে� চাইলোনা। আম� নিজে� অবাক এতোট� ইন্টেন্স ভাবে নিজেকে বই এর সাথে মিশে যেতে দেখে� জহিরদে� আমরা রক্ষ� করতে পারিনা� রক্ষ� করতে পারল� হীরা পেতা� সাহিত্যে�

আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগু� হব�
Profile Image for Md Omar Faruk.
27 reviews2 followers
May 8, 2019
॥রিভিউ - ০২�

বইয়ের না� : আরেক ফাল্গু�
লেখক : জহির রায়হা�
প্রকাশনী : সন্ধানী প্রকাশনী
মূল্� : ১০ টাকা (দ্বিতীয় সংস্কর�)
:১০� টাকা (অনুপ� প্রকাশনী)


কাহিনী সংক্ষেপে::

ফাগু� মাস। গাছে গাছে সবুজের সমারোহ� ডালে ডালে ফাল্গুনে� প্রাণবন্যা� সকাল� কুয়াশায� ঢাকা পড়া আকাশ� অনেক নিচে দিয়� মন্থ� গতিত� ভেসে চলছি� এক টুকর� মেঘ। সে� মেঘে� মত� আসাদ হেঁট� যাচ্ছে নবাবপুরে� দিকে� পরনে সাদা প্যান্�, সাদা শার্ট। কিন্তু পা জোড়� খালি, জুতা নেই। রাস্তা� দু'পাশে� সবাই অবাক হয়ে তাকিয়� আছে। বংশালে� মোড় পেরিয়েই দেখা হ���� মুনি� ভা� সহ আর� �-১০ জনের সাথে� কারো পায়� জুতা নেই। কিছুক্ষণ পর� বিশ্ববিদ্যালয়ের দি� থেকে নগ্ন পায়� রানু, বেনু, নিলা এব� সালম� আপ� সব��� তাদে� সাথে যো� দিল। ঢাকা শহ� জুড়� ছাত্�-ছাত্রীদে� এম� আচরণ দেখে সবাই অনুমান করতে পারছিল পূর্বে� মত ভয়ংকর কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে।কিন্ত� পূর্বে কি ঘটেছিল?

আজ থেকে তি� বছ� আগে। ১৯৫২ সালে� একুশ� ফেব্রুয়ারি। কব� রসুলের চোখে � দিনে� সব ঘটনা স্পষ্ট ভাবে ভেসে ওঠে। মাতৃভাষাকে রক্ষার জন্য, ভাষা আন্দোলনে যোগদানের জন্য জন্য আম গা� তলায� দশ হাজা� ছাত্�-ছাত্রীদে� সভ� বসেছিল� ছাত্রদের রুখে দিতে ১৪� ধারা জারি কর� হয়। সবাই একসাথে বে� হত� না পেরে ১০ জনের এক একটি দল নিয়� মুষ্টি বদ্ধ ভাবে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংল� চা�' বল� স্লোগা� দিয়� বে� হয়। কিন্তু পুলি� সব কয়ট� দলকে গ্রেপ্তা� করল। তা� মধ্যেই হঠাৎ কর� পুলি� গ্যা� নিক্ষে� এব� গুলি করতে শুরু করলো� তা� মধ্যেই হঠাৎ পুলিশে� গুলিতে একটি ছেলে� মাথা� ঠুলি চরকি� মত ঘুরত� ঘুরত� প্রায় ৩০ হা� দূরে ছিটক� পড়ল� পেটে, হাতে, বুকে গুলি লেগে অনেক� মারা গিয়েছিল� বরকতের গুলি লেগেছি� গোড়ায�, সাদা পাজামাটা রক্ত� লা� হয়ে গিয়েছিল� অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বরকত রাতে হাসপাতাল� মারা যায়� কব� রসুলের এখনো মন� হয� মধুর রস্তোরায� গেলে সে কালো রঙের লম্ব� লিকলিক� ছেলেটা (বরকত) -কে দেখত� পাবে�

বায়ান্ন� একুশ� ফেব্রুয়ারির শহীদদের হত্যার প্রতিবাদ� এব� শহীদদের স্মর� কর� তি� দি� খালি পায়� হেঁট� � রোযা রেখে একুশ� ফেব্রুয়ার� পালন কর� হবে। যা� নেতৃত্বে আছ� মুনিম। মুনিমে� এখনো স্পষ্ট মন� আছ� বায়ান্ন� ২২ শে ফেব্রুয়ারির কথা। কা� ডাকা ভোরে সবাই হাজি� হয়েছিলে� মেডিকে� কলেজ এর পুরন� হোস্টে� একুশ� ফেব্রুয়ারির শহীদদের গাইব� জানাজা নামা� পড়া� জন্য� গায়েব� নামা� শে� হল� আবার� জোয়ারের মত� মিছি� বেরিয়েছিল সেদিন। আর� অনেকের মত ফাহা� � গুলি খেয়েছিল হাইকোর্টের মোড়ে। চোখে� সামন� ফাহাদক� মরতে দেখে মুনিম।

খালি পায়� হাঁটার দ্বিতীয় দিন। সব ছাত্� রোজা রেখেছে, এমনি কি অনেক সরকারি কর্মচারী� চাকর� হারানো� ভয়ে রাতে না খেয়� রোজা রেখেছে� বায়ান্নতে তৈরি কর� শহী� মিনারটিক� আবার কাগজ এব� বাঁশের বেড়� দিয়� সংস্কা� কর� হয়। এব� সবশেষে কালো পতাক� উত্তোল� কর� হয়। যা� ফলশ্রুতিতে ইউনিভার্সিটি এব� মেডিকে� কলেজের হোস্টে� থেকে অনেক ছাত্� ছাত্রীকে তুলে জেলে নেয়� হয়েছি� ঐদিন রাতে�

তৃতীয় দিন। একুশ� ফেব্রুয়ারি। মুসলিম হল, নুরপুর ভিলা, চামেলী হাউস, ফজলু� হক হল, বান্ধবী কুঠি�, মেডিকে� হোস্টে�, ঢাকা হল, ঢাকা কলেজ, জগন্না� কলেজ, আরমানিটোলায় স্কু� সহ আর� অনেক স্কু� থেকে ছাত্�-ছাত্রীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। সবার কণ্ঠ� বিদ্রোহে� সুর। ছাত্� ছাত্রী এব� সাধারণ জনগণকে ভাষা শহীদদের জন্য যে� কাঁদতে� দেবে না সরকার। আবার � যে� � বছ� পর ২১ শে ফেব্রুয়ারী� সাথে নেমে এসেছ� পুলিশে� অত্যাচার� গ্রেফতার কর� হয� আসাদকে� বায়ান্ন� একুশ� ফেব্রুয়ারিত� ১০ জন কর� বে� হওয়� প্রথ� দলটি� নেতা ছি� আসাদ� আজকে� মত� ঐদিন� তাকে প্রথ� গ্রেফতার কর� হয়। তা� মধ্য� কো� দুঃখ বা হতাশ� নে�, তব� কিছু একটা পাওয়া� গর্ব� তা� বুকট� যে� ফুলে উঠেছে।

ছাত্�-ছাত্রী সবাইকে প্রিজনভ্যানে কর� জে� গেটে জড়ো কর� হলো। আড়াইশোর উপ� সংখ্যা তাদের। কারো মাথা ফেটে গিয়েছ�, কারো হাতে� হাড় ভেঙে গিয়েছ� কিন্তু তাদে� সকলে� মুখে ছি� হাসি, চোখে ছি� শপথে� কাঠিন্য। এত� লোকক� জেলে জায়গা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছ� জে� কর্তৃপক্ষকে। এই দেখে কব� রসুল চিৎকার কর� উঠলো ‘জেলখানা আর� বাড়ান� সাহেব। এত ছো� জেলখানায� জায়গা হব� না।� পিছন থেকে আরেকজন বল� উঠ�, “এতে� ঘাবড়ে গেলে� নাকি? আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগু� হব”।


পা� প্রতিক্রিয়া::
উপন্যাসট� ১৯৫৫ সালে� পটভূমিতে রচিত� ভাষা শহীদদের স্মর� কর� একুশ� ফেব্রুয়ার� পালন করতে গিয়� ছাত্�-ছাত্রীদে� উপ� নির্মম অত্যাচারের চিত্� যেমন ফুটে উঠেছ� সে� সাথে বায়ান্ন সালে� ২১ � ২২ শে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনে� চিত্রও ফুটে উঠেছে।
উপন্যাসে� একদিকে যেমন রয়েছে মুনি�, আসাদ, রাহা�, মাহে�, রওশন, সালম�, রেণু, রেণু, নীলা কব� রসুলের � চায়ের দোকানদার মত� ভাইয়ে� মত দে� প্রেমি�, তেমন� রয়েছে মাহমুদ, বজলে � সবুরদে� মত দেশদ্রোহী�
শুধু ভাষা আন্দোল� নয়। লেখক জহির রায়হা� � উপন্যাসে বলেছেন ভালোবাসা, দু:�, পু�:মিলনের গল্প�

এট� আমার পড়া লেখক জহির রায়হানে� প্রথ� বই� প্রথ� বইয়েই লেখক জহির রায়হানে� প্রেমে পড়ে গেলাম। উপন্যাসে� ভাষায় অনেক সহ� সর�, অল্পতে� গল্পের ভিতর নিজেকে হারিয়� ফেলবেন, নিজেকে বইয়ের একটি চরিত্র ভাবত� শুরু করবেন।

ছো� � পাঠক জীবন� যে কয়েকট� বই পড়েছি আম� বল� তাদে� সব গুলি� মধ্য� এই বইয়ের এন্ডিংটা ছি� শ্রেষ্ঠ। শে� এক লাইনের মধ্যেই যে� লেখক পুরো উপন্যাসে� গল্প বল� দিয়� গেছে�, "আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগু� হব"�

ধন্যবা� সবাইকে�


ফারু�
৩০.০৩. ‘১�
ঢাকা�
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Rafia Rahman.
289 reviews175 followers
August 3, 2023
❝আকাশে মে� নেই। তব�, ঝড়ে� সঙ্কেত�
বাতাসে বে� নেই। তব�, তরঙ্� সংঘাত।�

বাঙালিদে� বছরে� পর বছ� সংগ্রা� আজ� আমাদের আবেগ� কর� তোলে� গর্ব হয� অকুতোভয়ী বীরদের বীরগাথ� শুনলে। তেমন� মনটা বিষিয়� ওঠ� দেশে� হয়ে� দেশক� যারা খুবল� খেয়েছে। আবার এমনও অনেকেই ছি� যারা এই দু'দলের কোনোটা� মধ্যেই পড়ে না� এমনই বে� কিছু চরিত্রের গল্প বল� হয়েছে বইয়ে।

হাতে গোনা অল্প কিছু� লিখেছে� তবুও যা লিখেছে� পাঠকদে� ভাবনায� ফেলে দেওয়া� মতো। ছো� পরিসরে� বই কিন্তু দেশপ্রেম, সম্পর্�, আবেগের কিছু গল্প� কিছু চরিত্রের সাইকোলজি বে� জটিল মন� হয়েছে� সমাপ্ত� মন� অতৃপ্তির রে� রেখে গেছে... কিছু গল্প তো জানা হল� না!

❝এতে� ঘাবড়ে গেলে� নাকি? আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগু� হবো।�
Profile Image for Shreya ♡.
133 reviews198 followers
February 22, 2022
"জেলখান� বাড়ান সাহেব। এত ছো� জেলখানায� হব� না�"

"এতেই ঘাবড়ে গেলে� নাকি? আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দিগু� হবো।"
Profile Image for Nadia Jasmine.
203 reviews18 followers
February 16, 2021
শেষট� এত� সুন্দর! ডলিক� মুনিমে� সুক্ষভাব� কর� তাচ্ছিল্� নিয়� বিরক্ত আম� শেষে এস� মুগ্ধতায� হারিয়� গেলাম। চরিত্রগুলোকে নিপুনভাব� রক্তমাংসের কর� তোলা� কারিগরকে পর্দার তুলনায� বইয়ের পাতায় আর� স্বচ্ছন্� মন� হল� সংলা� মাপা এব� বর্ণনাও। এক রত্ত� অত্যুক্ত� নেই। জাহি� করার চেষ্টা নেই। উপন্যাসটির কোথা� কোথা� গদ্য কবিত� হয়ে উঠছি�, যা বাড়তি পাওনা। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট� লেখা উপন্যাসে এত� সারল্য ধর� রাখা মুশকিল� বারবার অতীতে� খুঁটিনাট� এন� বুঝিয়� দেওয়া� লো� সামল� জহির রায়হা� পাঠককে সরাসরি সে� খোলা মাঠে বস� এব� পরের ফাল্গুনে দ্বিগু� হবার প্রতিশ্রুত� দেওয়া বিপ্লবীদে� একজন কর� তোলেন। শহীদদের স্মৃতিতে উজ্জীবি� মানুষগুলোর প্রত� আমাদের মধ্য� অনায়াসে শ্রদ্ধ� জাগিয়� তোলেন।
Profile Image for Samanta Alam.
24 reviews11 followers
August 13, 2024
ক্যালেন্ডারে� হিসাবে আজ � আগস্�, ২০২৪, সময় রা� �.৩০� আর ইত���হাসের নতুন অভিযাত্রায� ৩৭ জুলা�, ২০২৪� সময় রা� �.৩০! বাংল� মাসে� হিসাবে ফাল্গু� বাংলার মাটিতে পদার্প� করতে এখনো বহ� দেরি।। তবুও যে� বছরে� মাঝভাগ� সারা বাংলায� আরেক ফাল্গু� সুবা� ছড়াচ্ছে।। কিছুক্ষণ আগ� জহির রায়হানে� "আরেক ফাল্গু�" বইটা শে� করলাম। লেখালেখি করার তাৎক্ষণি� ইচ্ছ� তেমন ছিলো না, লিখত� বসেছ� এলোমেল� চিন্তাগুলো গোছাতে নয� বর� মস্তিষ্ক অসম্ভব রকমে� শান্� হয়ে আছ�,যা�� কু� কিনা� খুঁজতে রীতিমত� হিমসিম খাচ্ছি�
বইটা আগাগোড়া নিজে একটা জলন্� চিত্রকর্ম। বইটা নিয়� নতুন কর� কিছু বলার হয়ত� নে�, বেশিরভাগ মানু� বহ� আগেই পড়ে ফেলেছেন। আমার কাছে বইটা� জ্ঞানে� আর তারুণ্যে� ভা� অনেক� বইটা� শে� পেজে� লাইনগুলো� বাস্তব অনুভুত� ২৪ � কিছুটা হলেও অনুভ� করার সৌভাগ্� হলো।
শিরদাঁড়� বরাব� বয়ে চল� তারুণ্যের� অগ্নী তরঙ্� উপেক্ষ� কর� বড্ড মুশকিল� বইয়ের বিভিন্� লাইন তুলে� না হয� একটু উদাহরণ টানি,

" আকাশ� মে� নেই। তব�,ঝড়ে� সঙ্কেত�
বাতাসে বে� নেই। তব�,তরঙ্� সংঘাত।"

বেশি কিছু বলতে ইচ্ছ� করছে না আসলে,ওই যে বললা� নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে দিনে� হিসাবে গতকা� দুপুরে।৩� জুলা� ২০২৪ এ। � অবস্থায় মস্তিষ্ক ঠি� কি কি ওয়ে� সিগনাল দিয়� সব অনুভুতিগুল� প্রকাশ করবে, মস্তিষ্ক ঠি� গুছিয়� উঠতে পারছ� না� বইটা পড়ে যে� প্রিজন ভ্যানের� স্লোগানগুলোয� আওড়াচ্ছ� নিউরনগুল�,বইয়� কব� রসুল যেমন বল� উঠেছিল�,
"জেলখান� আর� বাড়ান সাহে�,এত� ছো� জেলখানায� হব� না".....

বাংলার মাটিতে দ্বিতীয় জহির রায়হা� জন্ম নেবে না, চায়� না দ্বিতীয় জহির রায়হানে� জন্ম হোক। আরেক ফাল্গুনে� রুপকার জহির রায়হানই অম� হোক।......🌻
Profile Image for Nabila Tabassum Chowdhury.
347 reviews264 followers
October 9, 2014
না�, আম� যত� গল� উঁচিয়� বলার চেষ্টা কর� সব পরিবর্তনের মাঝে আম� একটি অপরিবর্তনশী� জিনি�, সেটা যে আসলে ততটা ঠি� না তা প্রমাণ কর� দেবা� জন্য পূর্বে পড়া একটা বই-� যথেষ্ট�

গতবা� এই বইটি পড়া� সাথে আর এবার এই বইটি পড়া� মাঝে পার্থক্য� আরেক ফাল্গু�... “ফাল্গুন-১৪১৯”। এর আগ� এই বইটি� দ্রোহে� মন্ত্র� জ্বল� ওঠ� ছাত্�-জনতা ছি� উপন্যাসে� পাত্রপাত্রী, অনেক দূরে� কে� এব� অনুপ্রেরণা� ফাল্গু�-১৪১৯ বা তা� আগ-পিছে� বে� কিছু ঘটনাবলী আমার নিজে� জীবনকে নিয়� এসেছ� এদের অনেকটা� কাছাকাছি�

এই উপন্যাসট� কতটা সুলিখি� তা আর নতুন কর� বলবা� কিছু নেই। আমার নিজস্ব ভালোলাগা এব� একাত্ম হয়ে যাওয়াকে পাঁচতারা...
Profile Image for সারস্বত .
224 reviews142 followers
April 20, 2018
আজ থেকে প্রায় ৬৬ বছ� আগের ঘটনা� একদল তরুণ বুকে� রক্ত ঢেলে দিয়� ছিল। মাতৃভাষা� জন্য, বাংলাভাষার জন্য�

আজ থেকে ৬৬ বছ� আগ� বাঙালী কতটা অগ্রগামী ছি�, আধুনিক ছি� সেটি এই একটি ঘটনা দেখল� আমরা বুঝত� পারি� মাতৃভাষা� অধিকার যে একটি ব্যক্তিসত্তা� পরিচয় সে� চেতন� ধারন করেছিল বাঙালি অনেক বছ� আগেই� ভাবলেই গর্ব� ভর� ওঠ� বুক।

আজ ২০১৮ সালে এসেও প্রতিবেশী দে� ভারত কিংব� পাকিস্তানে ভ্রূ� হত্য�, অনার কিলি� সহ বিভিন্� সামাজি� কুসংস্কারে� হিংস্র রূ� দেখত� পা� সেখানে বাংল� দে� ভাগে� পূর্� থেকে আজ পর্যন্� চিন্তাচেতনায� অনেক বেশি আধুনিক�

স্বদেশী আন্দোলনে� ক্ষুদিরা�, মাস্টারদ� সূর্যসেন, প্রীতিলত�, প্রফুল্ল চাকী থেকে ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে� সালা�, শফিক, বরকত, জব্বার, মুক্তি� মঞ্চ� বলিদান� বাঙালী চিরকাল অগ্রগামী�

জহির রায়হানে� আরেক ফাল্গু� উপন্যাসট� ৫২ প্রেক্ষাপটের উত্তরকালের ঢাকা� পরিস্থিতির উপ� লেখা� পাঠককে আন্দোলনে� ইতিহাস নয�, আন্দোলনে� ভাষা শিখত� বইটি পড়ত� হবে। শুধু পড়া� সময় মন� রাখত� হব� এট� কো� বাণিজ্যি� উদ্দেশ্য লেখা চটকদার লেখা নয়। তা� এখান� প্রতিট� চরিত্রের হৃদপিন্ড থেকে মস্তিষ্কের গতিবেগ অনুধাব� করতে হবে। মুনি�, আসাদ, সালম� চরিত্রগুলো� মাঝে নিজেকে খুঁজতে হবে। ওদের সাথে চল� যেতে হব� অদেখ� সে� অদ্ভুত মাতা� সময়ে।
Profile Image for Audri Noushin Shifa.
63 reviews1 follower
February 21, 2022
ভাষা দিবস উপলক্ষ� বুকস্টাগ্রাম� এই বইটা নিয়� একের পর এক রিভি� আর অনুভূত� দেখে লো� সামলাত� পারি নি� তা� ২১ এর প্রহ� শে� হওয়ার আগ� বইটা শে� কর� ফেললাম� মুহূর্তে মুহূর্তে শিহর� জাগিয়� তোলা এই বইটা কে রেটি� দেওয়া� মত দুঃসাহ� দেখানো টা অন্যায়। � এর বেশি দেওয়া যায় না দেখে� � দেওয়া� অন্যান্য � রেটি� এর বইয়ের সাথে এর তুলন� হয� না�
Profile Image for Rafia Rahman.
289 reviews175 followers
August 3, 2023
❝আকাশে মে� নেই। তব�, ঝড়ে� সঙ্কেত�
বাতাসে বে� নেই। তব�, তরঙ্� সংঘাত।�

বাঙালিদে� বছরে� পর বছ� সংগ্রা� আজ� আমাদের আবেগ� কর� তোলে� গর্ব হয� অকুতোভয়ী বীরদের বীরগাথ� শুনলে। তেমন� মনটা বিষিয়� ওঠ� দেশে� হয়ে� দেশক� যারা খুবল� খেয়েছে। আবার এমনও অনেকেই ছি� যারা এই দু'দলের কোনোটা� মধ্যেই পড়ে না� এমনই বে� কিছু চরিত্রের গল্প বল� হয়েছে বইয়ে।

হাতে গোনা অল্প কিছু� লিখেছে� তবুও যা লিখেছে� পাঠকদে� ভাবনায� ফেলে দেওয়া� মতো। ছো� পরিসরে� বই কিন্তু দেশপ্রেম, সম্পর্�, আবেগের কিছু গল্প� কিছু চরিত্রের সাইকোলজি বে� জটিল মন� হয়েছে� সমাপ্ত� মন� অতৃপ্তির রে� রেখে গেছে... কিছু গল্প তো জানা হল� না!

❝এতে� ঘাবড়ে গেলে� নাকি? আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগু� হবো।�
Profile Image for Faiza.
194 reviews18 followers
March 26, 2023
আজকা� বাংল� বই তেমন পড়া হয� না, আগের বই তো আর� না� অনেক বছ� পর এই বইটা পড়লাম� জহির রায়হানে� লেখনী� মায়ায� আবার� আটকে গেলাম।
ক্লা� সেভেনে� সে� তীব্� আফসো� মন� পড়ে গেলো
Profile Image for Maharab Ope.
13 reviews15 followers
March 7, 2023
এই নিয়� দ্বিতীয় বারে� মত পড়লাম জহির রায়হানে� এক অনবদ্য সৃষ্টি আরেক ফাল্গুন। বইটা মূলত ভাষা আন্দোল� নিয়� হলেও আমাদের চিরচেন� ১৯৫২ নিয়� না, এর বছ� তিনে� পরের ঘটনা এব� তৎকালী� সামাজি� অবস্থা নিয়� লেখা� বইটি আকার� ছো� হলেও এর আবেদ� বিশাল। বাংল� তখনো রাষ্ট্রভাষ� হয়ন�, ৫২� শহীদদের স্মরণে ২১শে ফেব্রুয়ারী পালন কর� হবে। � জন্য আগ� থেকে� বে� কিছু কর্মসূচি পালন কর� হচ্ছ�, তারমধ্যে আছ� তি� দি� সর্বস্� খালি পায়� চল�, শহীদদের স্মরণে রোজা রাখা এব� শহীদদের স্মরণে কালো ব্যা� পর� ইত্যাদি। এতেই ক্ষেপে উঠলো স্বৈরাচারী সরকা�, বন্ধ ঘোষণ� কর� সব ধরণে� মিটি�-মিছি�, সভ�-সমাবেশ� কিন্তু জনতা তা মানব� কেন। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষ� কর� তাঁরাও শুরু করেছ� ২১শে ফেব্রুয়ারী পালনের কর্মসূচি� এই দিকে পুলি� হামল� পড়েছে জনতা� উপ� শুরু হল ধর-পাকড়। এব� জেলে� মধ্য� জহির রায়হানে� সে� তেজদিপ্ত সংলা� "আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগু� হব�" যে� তিনি জানিয়� দিলে� এভাব� আমাদের দাবায়� রাখত� পারব� না, পরেরবা� আমরা দ্বিগু� উদ্যমে শুরু করব। এক বসাতেই শে� কিন্তু মন� থাকব� আজীবন�
Profile Image for سمية .
86 reviews56 followers
March 8, 2022
১৯৫২-এর ২১শে ফেব্রুয়ারির রাষ্ট্রভাষ� বাংলার দাবিতে ছাত্রদের মিছিলে যে দশ জনের দলটি সর্বপ্রথ� ১৪� ধারা ভেঙেছিলো তা� মধ্য� অন্যতম ছিলে� ঢাকা কলেজ� ইন্টারমিডিয়েট পড়ুয়� জহির রায়হান।
এই "আরেক ফাল্গুনে�" মুনি� চরিত্র� তা� তা� ছায়াই দেখছিলাম শুধু�

২১শে ফেব্রুয়ারির পেছনের সে� লড়াকু মানুষগুলোর সংগ্রা� আর তাদে� জীবনের গল্প মিশে গেছে এই বইটাতে� �'য়� �'য়� তরুণের� ১৯৫৫ এর আরেক ফাল্গুনে জড়ো হয়েছি� স্বৈরচারী শাসকের চো� রাঙানো উপেক্ষ� কর� ভাষা শহীদে� শ্রদ্ধ� জানাতে� তাদে� ঠেকিয়� দিতে শাসকদে� সে কত প্রয়া�! কত ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা!

নীলা� পুলিশে� ভ্যানে চেপে "আমার সোনা� বাংল�" গেয়� ওঠ� বা ছেলেমেয়েগুলোর হাসত� হাসত� জেলে ঢুকে গিয়� জেলারক� বল� ঘাবড়ে গেলে চলবে?
"আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগু� হব�"
গায়� কাঁট� দিয়� উঠছি� বারবার!
যাদে� পূর্বসূরির� অন্যায়ক� চু� পরিমাণ প্রশ্রয় দিতে� না তাদে� উত্তরসূরিদের আজ কি হল কে জানে!!
Profile Image for Samsudduha Rifath.
380 reviews11 followers
August 3, 2024
প্রতিট� পাতা বর্তমা� সময়ের সাথে মিলে যাচ্ছে�
Profile Image for Raihan Ferdous  Bappy.
152 reviews5 followers
November 8, 2024
"এতেই ঘাবড়ে গেলে� নাকি? আসছে ফাল্গু� আমরা কিন্তু দ্বিগু� হবো।"

শনিবার, � নভেম্ব�
রা� ১২:২৫�

শে� কর� ফেলেছি জহির রায়হানে� বিখ্যা� বই 'আরেক ফাল্গু�'� না, এখ� শে� করিনি। বইটা শে� করেছ� কালকে। তব�, আজ লিখত� বসলা� আর কি!

'আরেক ফাল্গু�' ভাষা আন্দোলনক� কেন্দ্� কর� লিখা হয়েছিলো� ভাষা আন্দোল� কতটা সপ্রতিভভাব� যে তা� লেখায় ফুটে উঠেছ�, সেটা আপনি নিজে না পড়ল� অনুভ� করতে পারবেন না� ১৯৫৫ সাল। বিধি নিষে� থাকা� পরেও ২১শে ফেব্রুয়ার� পালনের প্রস্তুত� চলছে� মুনিমর� সংঘবদ্ধভাব� প্রচারণা চালাচ্ছে, আসছে একুশ� ফেব্রুয়ার� তারা বায়ান্ন বা বিভিন্� সময়� বাংল� ভাষা� জন্য� প্রা� দেয়� শহীদদের সম্মান জানাবে� তা� তারা খালি পায়� কয়দিন ধর� হাঁটছে� সবাই এক হচ্ছ� একুশ� ফেব্রুয়ারির জন্য�

বইয়ের চরিত্রগুলা� ছিলো খু� জীবন্ত� মুনি�, ডল�, বজলে, আসাদ, সালম�, মাহমুদ, সাহানাদে� জীবনের কাহিনী� খু� অনবদ্যভাবে ফুটিয়� তুলেছে� রায়হা� সাহেব।

সবমিলিয়�, চিরায়� বলেন আর যা-� বলেন এই বই পড়ত� গেলে এখনো শরীরে কাঁট� দিয়� উঠবে আপনার। দেশপ্রেমের নেশা যে কত� বড� নেশা তা আপনা� সব কট� ইন্দ্রিয� অনুভ� করতে পারব� বল� আমার বিশ্বাস। যাইহোক, রা� অনেক হলো। শুভরাত্রি।
Profile Image for Lubaba Marjan.
100 reviews40 followers
February 18, 2025
এত এত চরিত্র সব গুলিয়� ফেলছিলাম� মন� হচ্ছিল মূ� বিষয়ে� চাইত� অপ্রয়োজনীয় বিষয়ও যো� করেছেন লেখক� আহামরি খু� একটা ভালো লাগেনি� আটকে গিয়েছ� শুধু বইয়ের শেষে� লাইনগুলোতে�
Profile Image for Shadman.
23 reviews6 followers
March 22, 2013
ভাষা আন্দোলনে� পটভূমিতে লেখা চমৎকার একটি বই � জহির রায়হানে� লেখা� যে দিকট� সবচেয়� বেশি ভালো লেগেছে সেটি হচ্ছ� তা� গল্প বলার নিজস্ব স্টাইল� চরিত্র-গুলো এব� দৃশ্যগুল� যে� অনেক বেশি জীবন্ত ! উপন্যাসে� শে� লাইনটা বে� চমৎকার� "আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগু� হব�... "
Profile Image for Rafisa Moni.
16 reviews10 followers
August 3, 2024
"ওক� মশাই! এখনো ওই কোটা আন্দোল� নিয়� পড়ে আছেন, বুঝি? সে তো কবেই শেষ। এখ� যে বিল্পব শুরু হয়ে গেছে� আরেক ফাল্গু� কিন্তু এস� গেছে�"

মন� হচ্ছ� আরেক ফাল্গুনে� পড়েছি "আরেক ফাল্গু�"

--- � আগস্�, ২০২৪
October 25, 2022
জহির রায়হা� আমার একজন পছন্দে� লেখক।আরে� ফাল্গু�, উপন্যাসট� এত ভালো লেগেছে যে, এই বিষয়ে যায় বল� খু� কম বল� হবে। ভাষা-আন্দোল� কে কেন্দ্� কর� রচিত এটি।মুনিমর� সংঘবদ্ধভাব� প্রচরণ� করছে, আসছে একুশ� ফেব্রুয়ার� তারা বায়ান্ন বা বিভিন্� সময়� বাংল� ভাষা� জন্য প্রা� দেয়� ভাষা শহীদদের সম্মান জানাবে।তাই তারা খালি পায়� কয়দিন ধর� হাঁটছে� বিভিন্� কলেজ-ঢাকা মেডিকে� কলেজ,ইডেন কলেজ,জগন্না� কলেজ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর� সব জায়গা থেকে ছেলে মেয়ের� সংঘবদ্� হচ্ছ� একুশের ফেব্রুয়ারির জন্য�
সালম� মেডিকেলে পড়ে,তা� স্বামী -ভা� দেশে� জন্য জেলে।তার স্বামী রওশন রাজশাহী� জেলে, গুলিতে তা� দুহা� কাটা পড়ছে।এত কিছু� পরেও সালম� পিছু পা হয়ন�,অন্যদে� মত সে� একুশ� ফেব্রুয়ার� উদযাপনের স্বপ্ন দেখে,সে খালি পায়� কলেজ� গেছে।বেন�, রাণুরা � খালি পায়� হেঁট� যাচ্ছে,সবাই ওদের আড� চোখে দেখছ� কিন্তু সবাইকে তোয়াক্ক� না কর�,তারা দে� আর ভাষা শহীদে� কথায� বারেবারে স্মর� করছিল।
এল কাঙ্ক্ষি� দি�,পুলি� লাঠি পেটা করেও থামাতে পারে নি,বাংলার দামা� ছেলে-মেয়েদের� শী�, শত বাঁধ� উপেক্ষ� কর� তারা সংঘবদ্� আজ�
জেলে তাদে� স্থা� দেয়� যাচ্ছে না।কবি রাসু� বলেন-আসছে ফাল্গু� আমরা দ্বীগু� হবো।অর্থাৎ আমাদের আন্দোলনে� কেবল শুরু, এট� চলতে� থাকব�,যত দি� না পর্যন্� আমরা স্বাধী� হবো।
এত সুন্দর কর� জহির রায়হা� দেশে� কথ� তুলে ধরতে পেরেছে�, এট� পর� তা� প্রত� শ্রদ্ধ� আর� বৃদ্ধি পেয়েছে। আহার� আমরা যদ� তাকে ১৯৭২ সালে না হারাতা�, তাহল� বাংল� সাহিত্�, চলচ্চিত্� আর� পরিপূর্ণ হত� তা� হাতে� ছোঁয়া পেয়ে।
Profile Image for Aman.
45 reviews8 followers
August 19, 2023
ফাল্গু� যেমন বাঙালি� কাছে ভাষা� মাস।
ঠি� তেমন� ভালোবাসা� মৌসুমও�
দখিন� বাতাসে� সাথে ফাল্গু� যেনো এক� সাথে দুটো বার্তা নিয়� আসে।
এই উপন্যাসে লেখক ভাষা আন্দোল� পরবর্তী ছাত্� জনতা� অব্যাহ� সংগ্রামে� ইতিহাসের পাশাপাশি নারী � পুরুষে� মধ্যেকার সম্পর্কে� জটিলতা� গল্প বল� গেছে� খু� সুন্দরভাবে�
জেলখান� ভর্ত� হয়ে যাওয়ায় জেলারে� উদ্বেগ দেখে একজন সংগ্রামী বলেছিল� -"আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগু� হব�"� এই সংলা� এখ� সাধারণ� প্রে� বিষয়ক ইঙ্গিত হিসাবে� বিখ্যাত।
Profile Image for Fårzâñã Täzrē.
185 reviews8 followers
October 1, 2024
"জেলখান� বাড়ান সাহেব। এত ছো� জেলখানায� হব� না"

একটি শিশু জন্ম নিয়� চো� মেলে তাকিয়� বুঝত� পারেনা পৃথিবী� সব বিচিত্� বিষয়ে� কথা। জননী, জন্মভূমি কিংব� মাতৃভাষা� প্রত� ভালোবাসা বা ভাবন� একদিনে কি তৈরি হত� পারে কারো মন�? চিন্তাচেতনার বিকাশে শিশুটি একদি� নিজে� বসবাসে� জায়গাটাকে ভেবে নেয় জন্মভূমি� মায়ের থেকে শেখা ভাষাটাকে মাতৃভাষা বা মায়ের ভাষা বল� অনুধাব� করতে শেখে�

কাউক� জন্ম থেকে দেশপ্রেম শেখাতে হয� না� মানু� নিজে� আত্মউপলব্ধিত� , নিজে� চিন্তা চেতনায� দেশপ্রেমকে লালন করতে শেখে� যে ভাষা শোনা হয়েছি� মায়ের মুখে� যে ভাষায় মা শিখিয়েছিল কত মধুর কথা। সে� ভাষাটাকে কেড়� নিয়� কে� জো� কেনো বলাত� যাবে অচেন� এক ভাষা! না মেনে নেয়� যায় না� মানত� পারেনি কিছু দামা� ছেলে� দল�

একটা ফাল্গুনে� গল্প রচিত হয়েছি� সেদিন। লা� পলাশের মত� রক্ত� রাঙানো এক ফাল্গুনে� গল্প� আজকে� ফাল্গুনে� দক্ষিণ হাওয়া বইছে বাতাসে� ১৯৫২ সালে ভাষা নিয়� আজকে� দিনে� রক্তাক্ত গল্প ছিলো যেমন তেমন� এর পরবর্তী বছরে� দিনগুলোও কিন্তু সহ� ছিলোনা� শহীদে� রক্ত� ভিজেছি� যে ২১ শে ফেব্রুয়ার�, সে� শহীদদের স্মরণে কি আজকে� মত� এত� সহজে জানানো যেতো শ্রদ্ধ�?

১৯৫৫ সাল। বায়ান্ন� ভাষা আন্দোলনে� শহীদদের স্মর� কর� ছাত্�-ছাত্রীদে� "শহী� দিবস" পালন করতে দেবে না সরকার। রাস্তায় স্লোগা� দেয়� নিষিদ্� সাথে মিছি�, শোভাযাত্রা সবটা� নিষিদ্ধ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা যারা তি� ফাল্গু� আগ� হারিয়েছ� ভাষা আন্দোলনে তাঁদের সহযোদ্ধাদে� তাঁর� কি এত� সহজে দম� যাবে? যে কোনো মূল্যে শহী� দিবস পালন করতে প্রস্তুত তাঁরা।

সেজন্য তাঁর� আগ� থেকে� ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহ� করেছে। যেমন তিনদিন ধর� খালি পায়� হাঁট�, শহীদদের স্মরণে কালো ব্যা� ধারণ কর�, ২১ ফেব্রুয়ারিত� কালো পতাক� উত্তোল� ইত্যাদ� নানা� প্রস্ততি চলতে থাকে� কিন্তু সেখানে� পুলি� এস� বাঁধ� দেয়�

এব� নির্বিচারে ছাত্�-ছাত্রীদে� প্রত� নির্যাতন, মিছিলে সংঘর্ষ এব� শেষে তাঁদের গ্ৰেফতার কর� নিয়� আস� হয� জেলগেটের সামনে। খু� ছো� আকারের এই উপন্যাসে� কাহিনী� স্থিতিকা� মাত্� তিনদিন দু� রাত। অথ� অন্যায়ে� প্রতিবাদ� বলিষ্ঠ দৃঢ়ভঙ্গিক� ফুটিয়� তোলা হয়েছে অত্যন্� নিখুঁতভাবে� আন্দোলনে� মাঝে এগিয়ে চল� কিছু চরিত্রের একসাথে মিশে চল� কাহিনীগুলোও।

🥀চরিত্রায়ন🥀

🥀মুনি�: ভিক্টোরিয়� পার্কে� পা� দিয়� একটি ছেলেকে হেঁট� যেতে দেখা গেলো নবাবপুরে� দিকে� দক্ষিণ থেকে উত্তরে� পরনে তাঁর একটা সদ্য ধোঁয়া� সাদা শার্ট। সাদা প্যান্ট। পা জোড়� খালি� জুতো নেই। সব আছ� তাঁর বল� যায় ধবধব� জামা� প্যান্ট। পকেট� কলম। কব্জিত� বাঁধ� ঘড়ি� হাতে একটা খাতা� মুখে� দিকে তাকালে, ভদ্রলোকে� সন্তান বল� মন� হয়। কিন্তু, পায়� জুতো নে� কে�? ওর� জুতো অবশ্� � দেশে� অনেকেই পর� না� মন� ক্ষণিক প্রশ্ন� ছেলেটি� মাথায় কো� ছি� নে� তো? পাগল নয� তো ছেলেটা?

না� ছেলেটি পাগল নয়। এট� প্রতিবাদ তাঁদের পক্ষ থেকে� নির্বিচারে মিছিলে পুলিশে� গুলি এব� ছাত্রদের গ্ৰেফতার� প্রতিবাদ� এই ছেলেটি� অবশ্� এই আন্দোলনে� বাইর� একটা জীবন আছে। সেখানে আছ� ডলি। ডলির কী তাঁক� নিয়� কোনো অনুভূত� আদৌও আছ�?

🥀 আসাদ: মুনিমে� সাথে সাথে এই ছেলেটি� আন্দোলনে যুক্� আছে। গায়ের রঙ তাঁর রাতে� আঁধারে� মত� কালো� মসৃণ মুখ। খাড়� নাকে� গোড়ায� পুরু ফ্রেমে� চশমা� পরনে একটা ধবধব� পায়জামা� পা জোড়� কিন্তু তাঁর� নগ্ন� জুতো নেই।

প্রথমে এক� এক� আসতে ভয� পাচ্ছি� বাসা থেকে পর� মুনিমক� দেখে সাহস ফিরে আসে। সে� তা� মিলিয়� চলেছ� খালি পায়ে।

🥀সালম�: ক্লাশে মন বসছিলো না সালমার।প্রফেসর নার্ভা� সিসটেমের উপ� বক্তৃত� দিচ্ছিলে� আর সে ভাবছিল� তাঁর কারারুদ্� স্বামী� কথা।মনটা খারা� থাকল� অথবা কোনো আন্দোলনে� সামন� এস� দাঁড়ালে, কোনো মিছি� দেখল�, কোনো সভ�-সমিতিত� গেলে, স্বামী� কথ� মন� পড়ে� বড� বেশি মন� পড়ে তখন। কে জানে এখ� কেমন আছ� স্বামী রওশন!

প্রথমে কিছু� জানত� না সালমা। শুনেছিলো রাজশাহী জেলে গুলি চলেছে। শুনে আর্তচিৎকার� কিংব� গভী� কান্নায় ফেটে পড়ে নি সে� বোবা দৃষ্টি মেলে শুধু আকাশের দিকে তাকিয়েছিলো। মুহূর্তে� জন্য চারপাশের এই সচ� পৃথিবী� সমস্� কোলাহল ভুলে গিয়�, জানালা� দুটো শি� দুহাতে ধর� নির্বা� দাঁড়িয়েছিল� সে� বুকে� ঠি� মাঝখানটায় আশ্চর্� এক শূন্যতা। হয়ত� মারা গেছে রওশন� পর� শুনল� মর� নি� ভালো আছ� সে� সুস্� আছে।

এই ঘটনা� মা� দুয়েক পর� স্বামী� সাথে দেখা করতে গিয়� সেদি� সহসা যে� মাথায় বা� পড়েছিলো সালমার� যে বলিষ্ঠ হা� দুটো দিয়� তাকে আলিঙ্গ� করতো রওশন, সে দুটো হা� হারিয়েছ� রওশন� শার্টে� হাতা জোড়� শুধু ঝুলে আছ� কাঁধের দুপাশে� নিজে� ঘর� বস� থাকা� মত� মেয়� নয� সালমা। ভাষা আন্দোলনে� অন্যতম অং� সে� খালি পা তাঁরও। গ্ৰেফতার হয়ে জেলে নিয়� যাওয়া হয� তাঁকে।

🥀নীলা, রানু এব� রোকেয়�: ভাষা আন্দোলনে এই মেয়েগুলোও কম করেনি। তি� জনেই গ্ৰেফতার হয়েছে বাকি মেয়েদের সাথে� সব মেয়ের� তখ� পাশে� ভ্যা� থেকে স্লোগা� দিচ্ছিলো, বরকতের খু� ভুলব� না� শহীদে� খু� ভুলব� না�

🥀কব� রসুল: তাঁর কবিতায� আগুন ঝর� প্রতিবাদের� পুলি� নির্বিচারে ছাত্রদের উপ� গুলি চালিয়েছে। কব� রসুল কে� সহ্য করবে এই অন্যায�!

সবার সাথে জে� গেটে দেখা হয� কব� রসুলের� ছেলেমেয়েগুলোর জন্য গর্ব� বু� ভর� ওঠ� তাঁর�

🥀ডল�: এই মেয়েট� খু� দোটানায় পড়ে আছে। মাহমুদ নাকি মুনি� সে কাকে বেছে নেবে� মুনিমে� মন� ডলির জন্য অনুভূত� কা� কর� ডল� সেটা বোঝে কিন্তু মাহমুদ বে� ধনী�

ডলির কাজকর্� আসলে� রহস্যময়� শেষট� কাকে বেছে নেবে সে দেখা যাক।

🥀পা� প্রতিক্রিয়া🥀

বাংল� সাহিত্যে ভাষা আন্দোল� ভিত্তি� উপন্যা� সম্ভবত জহির রায়হানে� থেকে� সূচনা। আফসো� হয� উন� বেঁচ� থাকল� এরকম আর� লেখা আমরা পেতে পারতাম ওনার কা� থেকে� এই বইটাকে বল� যায় একটা অনবদ্য উপস্থাপনা। এত� ছো� বইটা কিন্� এর ভা� তাৎপর্যপূর্ণ� এত� চমৎকার লেখনী যে মনেই হব� না এট� কোনো কল্পিত ঘটনা�

নিজেকে মন� হব� সে� উতপ্� ছাত্� আন্দোলনে� একজন সহযোদ্ধা� এত� পরিমিত চমৎকার সংলা� উপস্থাপন� যে মুগ্� হত� হয়। এই বই পড়া উচিত প্রত্যেকটি পাঠকের� আম� রীতিমত� মুগ্� এব� আমার প্রিয় বইয়ের তালিকায় এই বই আছ� সবসময়� কাউক� বইয়ের না� বলতে গেলে� এই বইয়ের নামট� অবশ্যই বলি। খু� ছো� বই পড়ত� সময় লাগে খু� কম�

২১ ফেব্রুয়ারীতে আরেক ফাল্গুনে� গল্প হো� বারবার� অনবদ্য লেখনী এব� শব্দচয়ন� এই বই প্রতিবাদের ভাষা�

"এতেই ঘাবড়ে গেলে� নাকি?আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগু� হবো।"

এই লাইনগুলো প্রতিট� ছাত্� আন্দোলনক� উজ্জীবি� করেছ� বারবার� এট� কোনো সাধারণ অর্থ প্রকাশ কর� না� নিগুড়� লুকিয়� আছ� প্রতিবাদের ভাষা� যে ভাষায় হা� মানব� যুগে যুগে সব শাসক শ্রেণী�

🥀বইয়ের না�: "আরেক ফাল্গু�"
🥀লেখক: জহির রায়হা�
🥀প্রথ� প্রকাশকা�: ১৯৬৯
🥀প্রকাশনায়: অনুপ� প্রকাশনী
🥀পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৭২
Profile Image for Monowarul ইসলাম).
Author31 books152 followers
June 5, 2021
জহির রায়হানে� লেখা মধুর মতো। স্বা� নষ্ট হবার মত� না� চরিত্রায়ন� জহির রায়হা� বস�
Profile Image for Zihad Saem.
81 reviews2 followers
October 29, 2024
এই বইটা পড়েছিলা� এসএসসি পরীক্ষা� আগের ফেব্রুয়ারিতে। আমার এক শিক্ষক ক্লাসে বইটা সম্পর্কে এম� আগ্র� জাগানিয়� বক্তৃত� করেছিলেন, যে তখ� বইটা না পড়ে পারলাম না� সে� পাঠ্� বইয়ের ভিতর� ডুকিয়� আম্মুক� ফাঁক� দিয়� পড়ে ফেলেছিলা� আরেক ফাল্গুন। এখ� হিসে� কর� দেখি বইটা পড়া� সময়� ফাল্গু� মাসই ছিলো� কী তুমু� মুগ্ধত� নিয়� বইটা শে� করেছিলাম, তা মন� কর� এখনো দারু� রোমাঞ্চি� হই�
আজকে জহির রায়হানে� বইগুলো গোছাতে গিয়� আরেক ফাল্গু�, শে� বিকেলে� মেয়�, একুশ� ফেব্রুয়ারী ইত্যাদ� ইত্যাদ� পড়া� ঘটনাগুলো মন� পড়ে গেল।
Displaying 1 - 30 of 160 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.