ŷ

Jump to ratings and reviews
Rate this book

একুশ� ফেব্রুয়ারী

Rate this book

40 pages, Hardcover

First published January 1, 1970

6 people are currently reading
185 people want to read

About the author

Zahir Raihan

26books386followers
Zahir Raihan (Bangla: জহির রায়হান) was a Bangladeshi novelist, writer and filmmaker. He is perhaps best known for his documentary Stop Genocide made during the Bangladesh Liberation War.

He was an active worker of the Language Movement of 1952. The effect of Language Movement was so high on him that he made his legendary film Jibon Theke Neya based on it. In 1971 he joined in the Liberation War of Bangladesh and created documentary films on this great event.

He disappeared on January 30, 1972 while trying to locate his brother, the famous writer Shahidullah Kaiser, who was captured and killed by the Pakistan army. Evidences have been found that he was killed by some armed Bihari collaborators and disguised soldiers of Pakistan Army.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
141 (36%)
4 stars
167 (43%)
3 stars
70 (18%)
2 stars
3 (<1%)
1 star
1 (<1%)
Displaying 1 - 22 of 22 reviews
Profile Image for Nabila Tabassum Chowdhury.
348 reviews265 followers
October 9, 2014
বইটা যদ� জহির রায়হানে� অন্য লেখাগুলো� আগ� পড়তাম মন� হয� পাঁচতারা দিতা�, কিন্তু লেখক নিজে� সাথে তুলনায� এখান� খানিকট� পিছিয়� গেলেন। লেখকের সবগুলো উপন্যাসে� মাঝে আম� 'আর কতদি�'কে প্রথমে রাখবো। আর ভাষা আন্দোল� নিয়� উপন্যাসে� মাঝে� 'আরেক ফাল্গু�'কে� 'একুশ� ফেব্রুয়ারী'� চেয়� সামন� রাখবো। এটাত� একটি তারা না দেবা� ব্যাখ্যা...চারট� চারট� তারা� তো ব্যাখ্যা থাকা প্রয়োজন� একুশ� ফেব্রুয়ারী এব� সে সময়ের ঘটনাগুলো নানা ধরণে� মানুষে� জীবন� কিভাবে এসেছ� তাকে খু� বেশী বাস্তব ভাবে ফুটিয়� তুলেছে� তিনি� এট� জরুরী না একটি আন্দোলনে� পিছে সবাই পজিটিভ ভাবে যুক্� হব�, কে� নেগেটি� ভাবে যুক্� হব� কে� বা অজ্ঞাতেই হয়ে উঠবে ইতিহাসের অংশ। সেখানে� বাস্তবতা� জাজ্বল্যমা� একুশ� ফেব্রুয়ারী� চেতনাক� কেন্দ্রে রেখে এই বৈচিত্র্যক� ভয়ানক সুন্দরভাবে একত্রি� করেছেন� একুশ� ফেব্রুয়ারী� মাঝে যে শোষণের শেকল ভাঙ্গা স্পৃহা রয়েছে, তা� চিরন্তনত� এব� বহমানতাক� যেভাবে জহির রায়হা� মূর্তি� করেছেন সেটা হয়ত� তিনি ভাষা সৈনি� বলেই সম্ভ� হয়েছে...

"সুতো� মত সর� পানি� লহরি বালি� বালি� উপ� দিয়� ঝিরঝির কর� বয়ে যাচ্ছে�
ধলপহরে� আগ� রাস্তায় নেমে এল� এক জোড়� খালি পা�
সুতো� মত সর� পানি ঝড়ন� হয়ে বয়ে যাচ্ছে এখন।
কয়েকট� খালি পা কংক্রিটে� পথ ধর� এগিয়ে আসছে সামনে।
ঝড়ন� এখ� নদী হয়ে বয়ে চলেছ� সাগরের দিকে�
সামন� বিশা� সমুদ্র�
সমুদ্রের মত জনতা�
নগ্নপায়� এগিয়ে চলেছ� শহী� মিনারে� দিকে�
অসংখ্য কালো পতাকা।
পতপত কর� উড়ছে।
উড়ছ� আকাশে।
মানুষগুল� সমুদ্রের ঢে� এর মত অসংখ্য ঢে� তুলে এগিয়ে আসছে সামনে। ইউক্যালিপ্টাসে� পাতা বৃষ্টি� মত ঝর� পড়ছ� নিচে� মাটিতে�
ঝরে।
প্রত� বছ� ঝড়ে�
তব� ফুরোয় না�"
Profile Image for HR Habibur Rahman.
274 reviews55 followers
January 21, 2022
একটা মহ� কিছু শুরু করার সময়টাতে বাঁধ� বিপত্ত� অনেক আসে। অনেক অনেক আত্মত্যাগে� পর� একটা কিছু সাফল্য পায়� আমার বাবা প্রায় বলেন, যখ� আম� একটু কা� করেই বল� এত কা� করলা� তবুও শে� হয়ন� কে�, যেকো� কা� শুরু করার সময় একটা ঝোঁক নিয়� করতে হব� এব� অন্ত� দু�-তি� ঘন্ট� টানা করতে হব� তাহল� কাজে� গত� কিছুটা হলেও টে� পাওয়া যাবে� এই বইয়ের গল্পটা� ঠি� তেমনটাই। ছো� গল্প বল� হয়ত� সময়ের গ্যাপট� বড়। শুরু থেকে শেষে� ঝাঁক ঝাঁক জনসমুদ্র হবার মধ্যভাগে� সময়টা ছেটে দেওয়া তারপরও গল্পটা পড়ে এটাই মন� হচ্ছ� বা� বা� যে শুরু তো কর� একবা� রীতিমত একটা ঝোঁক নিয়� তারপ� নাহয� দেখা যাবে পর� কী হবে।

এইযে বাংলাত� কথ� বল� এটার পেছন� কী কম আত্মত্যা� আছ�? কে� কে� ইচ্ছ� কর� জড়িয়েছেন কেউব� অনিচ্ছাকৃতভাবে কিন্তু ত্যা� স্বীকা� করেছেন বেশিরভাগই। এই সাদামাটা গল্পটা সবাইকে সুসম্বদ্� করেছে। যেকো� আন্দলনের শুরু� দিকট� সমন্ধে কিঞ্চি� ধারণ� লাভে� জন্য হলেও বইটা সবার পড়া উচিৎ�

মানুষগুলাে সমুদ্রের ঢেউয়ে� মতাে অসংখ্য ঢে� তুলে এগিয়ে আসছে সামনে। ইউক্যালিপ্টাসে� পাতা বৃষ্টি� মতাে ঝর� পড়ছ� নিচে� মাটিতে�
ঝর� �
প্রত� বছ� ঝরে।
তব� ফুরােয� না�
Profile Image for Zihad Saem.
82 reviews3 followers
October 29, 2024
বে� বড়বেলায� এস� বইটা পড়া� আহ� কী হৃদয়গ্রাহী লেখা� অসাধার� ছিলো�
Profile Image for প্রিয়াক্ষী ঘোষ.
339 reviews31 followers
November 20, 2021
ঊনিশ'� বায়ান্ন সাল। অনেক গুলো মানু� তাদে� ছো� ছো� স্বপ্ন গুলোকে সাজাতে ব্যস্ত দৈনন্দিন কর্মব্যস্ততা� মাঝেও। জীবনের গল্প � অনাগ� ভবিষ্যতে� স্বপ্ন বী� বুননের মধ্য� দিয়েই কাহিনি শুরু

চাষা� ছেলে গফুর তারই গ্রামে� মেয়� আমেনাক� পুকুরঘাঁটে দেখে� মুগ্� হয়ে বাড়িত� বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়, মেয়ের বাবা রাজি হয়ে যান। তা� শাড়�, আলতা, চুরি, টি� বেছে কিনত� শহরে যায় গফুর�

পেশায় পুলি� আহমে� হোসেনে� ছেলে তসলি� রাজনীতি করে।ছেলে-বাবা� মতাদর্� আলাদা।যে আহমে� হোসে� এর ভয়ে দাগি আসামির� কাঁপ�, তা� ধম�-শাসনেও তসলি� রাজনীতি থেকে সর� আসলো না�
তসলিমে� খালাতো বো� সালমা। তসলি� তাকে খু� ভালোবাসে।তবে সালমার আশ্চর্� ঠান্ডা চোখজোড়া� দিকে তাকিয়� কিছু� বলতে পারে না সে�

কেরানি আনোয়া� হোসে� এককালে কবিত� লিখতেন, এখ� সরকারি চাকুরীজীবি� ঘর� অভাব অনটন� তা� শান্তি নেই। সুখে� মধ্য� একটা� অফিস শেষে কয়েকট� পা� মুখে পুরে চিবাতে চিবাতে রাস্তা দিয়� হাঁট� � এভাব� কাটছ� জীবন�

পানে�-তেলে�-পাটে�-পারমিটের ব্যবসা, কয়েকখান� ইন্স্যুরেন্স, এম� হাজারট� ব্যবসা নিয়য়� মহ� ব্যস্ত মকবু� আহমদের� রাতে� ক্লাবে বোতল-বোতল মদ খাওয়াটাতে তা� সুখ। স্ত্রী বিলকিস বানু� সাথে দেখা হয� কদাচিৎ � বিলকিসবানু� এত� ক্ষো� নে�, তা� গল্প করার লোকে� অভাব নেই।

রিকশাচাল� সেলি�, তা� স্বপ্ন রিকশ� কেনার।

এই সব মানুষগুলোর সব স্বপ্ন গুলো এক হয়ে যায় একুশ� ফেব্রুয়ারী উনিশ'শো বায়ান্ন সন � এস� �

সে� সময়� বাঙালি� প্রাণে� দাবি ছিলো রাষ্ট্রভাষ� বাংলা। আর এই দাবি� জন্য হাজারো প্রা� হয়ে বিলীন।

"একুশ� ফেব্রুয়ারী" বইটি
লেখক জহির রায়হা� উৎসর্গ করেছেন একুশ� ফেব্রুয়ারির শহীদদের� ছো� ছো� কিছু চরিত্র বিক্ষিপ্� ভাবে তাদে� জীবনের ক্ষুদ্� একটু অং� নিয়েই এই ছো� পুস্তিকা� তব� তা� আবেদ� অসামান্য� লেখকের লেখা, সে� সময়ের দাবি, পারিপার্শ্বি� অবস্থা�, চরিত্র গুলো� মধ্য� কো� যো� না থাকলেও চমৎকার এক মেলবন্ধন তৈরি করেছে।
Profile Image for Rafia Rahman.
289 reviews177 followers
July 24, 2024
ওর� বলছে বাংলাক� ওর� বা� দিয়� দেবে� উর্দ�, শুধু উর্দুক� রাষ্ট্রভাষ� করবে ওরা।
.
মানি না!
মানি না!!
মানি না!!!
.
অসংখ্য কন্ঠের চিৎকার� চমকে উঠলে� পুলিশে� বড়কর্তারা�
পিস্তল� হা� রাখলেন�
ছোটকর্তারা ছুটে এস� দাঁড়ালে� কনস্টেবলগুলো� পাশে�
সেপাইদের চোখেমুখে কোনো ভাবান্তর নেই।
হুকুমে� ক্রীতদাস ওরা।
.
পুলিশে� বড়কর্তাদে� চোখেমুখে উৎকন্ঠা।
কত ধরবো?
কত নেবো জেলখানায�?
ঢেউয়ে� পর ঢেউয়ে� মত� বাইর� বেরিয়� আসছে ছাত্ররা।
.
সহসা শব্দ হলো।
গুলি� শব্দ�
আবার!
আবার!!
.
এট� অন্যায়।
এই অন্যায� আমরা সহ্য করবো না�
মেডিক্যালে� কাছাকাছি এস� জনতা এক বিশা� মিছিলে পরিণ� হলো। ক্ষুদ্� আক্রোশ ফেটে পড়ছ� মানুষগুলো���
� হত্যার বিচা� চা� আমরা�
যারা আমাদের ভাইদের খু� করেছ� তাদে� বিচা� চা� আমরা�
.
সামন� বিশা� সমুদ্র�
সমুদ্রের মত� জনতা�
নগ্নপায়� এগিয়ে চলেছ� শহী� মিনারে� দিকে�
অসংখ্য কালো পতাকা।
পতপত কর� উড়ছে।

কিছু বই পড়ে প্রতিক্রিয়া শব্দ� প্রকাশ কর� প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে� প্রব� আবেগ যখ� কা� কর� তখ� শব্দের শৃঙ্খল� কি ঠি� থাকে? "একুশ� ফেব্রুয়ারী" এমনই এক অনবদ্য সৃষ্টি জহির রায়হানের। কিছু চরিত্র আছ�, আছ� কিছু গল্প� মন� করিয়ে দেয় ১৯৫২ সালে� ভাষা আন্দোলনে� সময়কা� মানুষদের জীবনের কথা। দাবী আদায� হয়েছে� ন্যায় পেয়েছি। কিন্তু যে জীবনগুলো ঝড়ে গেছে তা� বিচা� কোথায়? পড়া� পর কেমন জানি দমবন্ধ� মত� লাগছে। কষ্ট, অনেক অনেক কষ্ট...

একটা প্রশ্ন প্রায়� মন� উঁকি দেয়� হুকুমে� গোলামদের গুলি চালানো� সময় একবারও কি তাদে� মন� হয� না বাকস্বাধীনত� জন্মগত অধিকার� তাহল� দাবী চাওয়া হল� গুলি কে� চালানো হব�? পড়ে যাওয়া লাশগুলোর মধ্য� যদ� নিজে� অতিপ্রিয� কে� থাকে তখনও কি হুকুমে� আগ� বিবে� হেরে যায়?
Profile Image for Samsudduha Rifath.
380 reviews11 followers
August 14, 2024
বছরে� ১৫� তম বই পড়া হল� এব� সেটা একটা অসাধার� বই দিয়েই হয়েছে�
Profile Image for Soaib.
30 reviews
October 4, 2016
কিছু লেখা থাকে পড়লেই শরীরে� সমস্� রক্তবিন্দু টগবগ কর� ফুটত� শুরু করে। 'একুশ� ফেব্রুয়ারী' তেমন� একটা লেখা� একুশ� ফেব্রুয়ারী সম্পর্কে আমাদের একটা ভ্রান্� ধারণ� আছ� যে একমাত্� ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্�-ছাত্রীরা� ভাষা� জন্য সংগ্রা� করেছিল� কিন্তু � ধারণ� যে কতটা ভু� তা জহির রায়হা� তুলে ধরেছেন� ভাষা সংগ্রামে যেমন তসলি�-রা ছিলো তেমন� গফুর, আনোয়াররাও ছিলো�
লেখক একুশ� ফেব্রুয়ারী নিয়� একটা ছব� বানাতে চেয়েছিলেন কিন্তু তৎকালী� রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণ� সেটা সম্ভ� হয়নি। এভাব� হারিয়� না গেলে হয়ত একুশ� ফেব্রুয়ারী� প্রামাণ্� অনেক ভিডি� ফুটে� আমাওরা দেখত� পারতাম যেগুলো লেখক নি� হাতে রেকর্ড করেছিলেন�
Profile Image for Fårzâñã Täzrē.
191 reviews9 followers
October 1, 2024
কচুপাতার উপরে টলটল কর� ভাসছ� কয়ে� ফোঁট� শিশির। ভোরে� কুয়াশার নিবিড়তা� মধ্য� বস� একটা মাছরাঙ� পাখি� ঝিমুচ্ছে শীতে� ঠাণ্ডায় একটা ন্যাংট� ছেলে, বগলে একটা স্লেট। আর মাথায় একটা গো� টুপি� গায়� চাদর, পায়� চল� ভেজা পথ ধর� স্কুলে যাচ্ছে�

কতগুলো মেয়ে। ত্রি� কি চল্লিশ কি পঞ্চাশ হবে।একটানা কথ� বলছে� কে� কারো কথ� শুনছ� না� শুধু বল� যাচ্ছে� কতগুলো মুখ। মিছিলে� মুখ।রোদে পোড়া। ঘামে ভেজা� শপথে� কঠিন উজ্জ্ব� দীপ্তি� ভাস্বর� এগিয়ে আসছে সামনে। জ্বলন্� সূর্যে� প্রখ� দীপ্তিকে উপেক্ষ� করে। সাহসী কতগুলো মুখ।শাসনের-শোষণের-ক্ষমতা�-বর্বরতার কিছু মু� আছ� ওদিকে। এগিয়ে এল� মুখোমুখি� বন্দুকের আর রাইফেলের নলগুলো রোদে চিকচিক কর� উঠলো�

সহসা আগুন ঠিকর� বেরুলো� প্রচণ্� শব্দ হল� চারদিকে। গুলি� শব্দ� কচুপাতার উপ� থেকে শিশি� ফোঁটাগুল� গড়িয়� পড়ল� মাটিতে।মাছরাঙা পাখিটা ছুটে পালিয়� গেলো ডা� থেকে।ন্যাংটা ছেলেটা� হা� থেকে পড়ে গিয়� স্লে� ভেঙে গেলো� পাখিরা নীরব হলো। মেয়েগুল� সব স্তব্ধ নির্বা� দৃষ্টিতে পরস্পরের দিকে তাকালো� একরা� কৃষ্ণচূড়া ঝর� পড়ল� গাছে� ডা� থেকে�

🍃রক্তেমাখ� কৃষ্ণচূড়া� গল্প🍃

"ফেব্রুয়ারির একুশ তারি�
দুপু� বেলা� অক্ত
বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায়?
বরকতের রক্ত�

হাজা� যুগে� সূর্যতাপ�
জ্বলবে এম� লা� যে,
সে� লোহিতে� লা� হয়েছে
কৃষ্ণচূড়া� ডা� যে!"

রক্তের স্রোতধার� বয়েছি� সেদিন। রাস্তায় নেমেছি� সেদি� ছাত্� থেকে সাধারণ জনতা সবাই� চারদিক� শুধু স্লোগা� "রাষ্ট্রভাষ�! রাষ্ট্রভাষ�! বাংল� চা�! বাংল� চা�!"

সেদিনে� সে� সময়গুলোতে কী হয়েছি� পর পর? কারা সেদি� নেমেছি� রাস্তায়? কী চেতন� কা� করেছিল তাঁদের মধ্য�? ভাষা আন্দোল� কি ছি� শুধু ছাত্রদের আন্দোল�? না! না! সেদি� শুধু ছাত্� নয� ছি� আর� অনেকে।

কিছু চরিত্র, কিছু জীবনের গল্প� যাঁর� এক হয়ে মিশেছে একুশ� ফেব্রুয়ারির ইতিহাসে। বাংল� ভাষা� বদলে উর্দুক� তাঁর� মানত� পারেনি� প্রতিবাদ করতে তাঁদের শিখিয়� দেয়� হয়নি। তাঁর� রাস্তায় নেমেছি� সেদি� ভাষা� জন্য� একটা ভাষাকে অর্জ� করতে কোনো জাতি কী এভাব� রক্ত দিয়েছ�? চলুন একুশের গল্প শুনি�

🍃 গফুর 🍃

চাষা� ছেলে গফুর� এক একটা ছোট্� ক্ষে� তাঁর� একটা ছোট্� কুঁড়ে� আর একটা ছোট্� বউয়ের স্বপ্ন� ক্ষেতে� মানু� সে� লেখাপড়া করেনি। সারাদি� ক্ষেতে� কা� করতো� গল� ছেড়� গা� গাইতো। আর গভী� রাতে পুরো গ্রামট� যখ� ঘুমে ঢল� পড়ত� তখ� ছো� মাটি� প্রদী� জ্বালিয়� পুঁথ� পড়ত� সে, বস� বসে। সু� কর� পড়ত� ছহ� বড� সোনাভানে� পুঁথি। ছয়ফ� মুলুকে� পুঁথি। আমেনাক� দেখেছিলো একদি� পুকুরঘাটে। পরনে লা� সবুজ ডুরে শাড়ি।ঘোমটার আড়ালে ছোট্� একটি মুখ।

কাঁচ� হলুদের মত� রঙ� ভালো লেগেছিল। বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতে মেয়ের বাবা রাজি হয়ে গেল। ফর্দ হলো। গফুরের মন� খুশি যে� আর ধর� না।ক্ষেতভর� পাকাধানে� শীষগুলোক� আদরে আলিঙ্গ� করলো সে� রসভর� কলসিটাকে খেজুরে� গা� থেকে নামিয়� এন� এক নিঃশ্বাস� পুরো কলসিটা শূন্� কর� দিলো সে� জোয়াল� বাঁধ� জীর্�-শীর্� গর� দুটোকে দড়ি� বাঁধ� থেকে ছেড়� দিয়� চিৎকার কর� বললো—য� আজ তোদে� ছুটি।গফু� শহরে যাবে� বিয়ের ফর্দ নিয়ে। � সবকিছু নিজে� হাতে কিনব� সে� শাড়�, চুড়�, আলতা, হাঁসুলি।

🍃তসলি� 🍃

তসলি� রাজনীতি করে। ছাত্রদের সভায� বক্তৃত� দেয়� সরকারে� সমালোচনা করে। ছেলেকে অনেক বুঝিয়েছেন বাবা� মেরেছেনও� যাঁর বাবা� ধমকে দাগি চো�, ডাকাতি, খুনি আসামির� ভয়ে থরথর কর� কাঁপতো, সে� বাবা� অনেক শাসন, তর্জ�-গর্জনে� তসলিমে� মন টললো না� মিছিলে� মানু� সে� মিছিলে� রয়ে গেল। মা কাঁদলেন। বোঝালে�, দিনে� পর দিন। আত্মীয়-স্বজ� সবাই অনুরোধ করলো� বল� বুড়� বাপটার দিকে চেয়� এস� এবার ক্ষান্� দাও। দেখছ না ভাইবোনগুলো সব বড� হচ্ছে।

তসলি� তবুও কিন্তু নিষ্ঠু�-হৃদয়। তসলি� বাবা� প্রমোশ�, মায়ের কান্না, আত্মীয়দে� অনুরোধ, সংসারে� প্রয়োজন সবকিছুকে উপেক্ষ� কর� মিছিলে� মানু� মিছিলে� রয়ে গেলো� কিন্তু এই নিষ্ঠু� হৃদয়ে একটা কোমল ক্ষত ছিল। সালমাক� ভালোবাসত� সে� সালম� ওর খালাতো বোন।

🍃কব� আনোয়া� হোসে� 🍃

এককালে ভালো কবিত� লিখতেন তিনি� এখ� সরকারে� লেজারে� টাকা� অঙ্ক থরেথরে লিখে রাখা তাঁর কাজ। কব� আনোয়া� হোসেন। এখ� কেরানি আনোয়া� হোসেন। তব� কব�-মনটা মাঝেমাঝে উঁকি দিয়� যায়� যখ� তিনি দিনে� শেষে রাতে ঘর� ফিরে এস� স্ত্রী� সঙ্গ� ঝগড়� করেন।ঝগড়া করতে করতে ক্লান্� হয়ে পড়েন।

যখ� � দে� মন জীবন আর পৃথিবীটাকে নোংর� একটা ছেড়� কাঁথার মত� মন� হয�, তখ� একান্ত� বস� কবিত� লিখত� ইচ্ছ� কর� তাঁর� আনোয়া� হোসেনে� জীবন� অনেক অনেক দুঃখ� ঘর� শান্তি নেই। স্ত্রী� দুঃখ�

🍃 মকবু� আহমে� 🍃

অভাব বলতে কিছু নে�, মকবু� আহমদের জীবনে। বাড়� আছে। গাড়� আছে। ব্যাংক� টাকা আছে। ছেলেমেয়েদের নামে ইনসুরেন্� আছ� কয়েকখানা। ব্যবসা একটা নয়। অনেক� অনেকগুলো� পানে� ব্যবসা� তেলে� ব্যবসা� পাটে� ব্যবসা� পারমিটের ব্যবসা।সারাক্ষ� ব্যস্ত থাকত� হয� তাঁকে। কখনো মন্ত্রী� দফতরে। কখনো আমলাদে� সভ�-সমিতিতে।

স্ত্রী বিলকিস বানু� সঙ্গ� তাঁর কদাচিৎ দেখা হয়। এক� বাড়িত� থাকেন। এক বিছানায় শোয়� হয়। কিন্তু কাজে� চাপে, টেলিফোনে� অহরহ যন্ত্রণায় স্ত্রী� সঙ্গ� বস� দু-দণ্ড আলাপ করার সময় পা� না তিনি� অথ� স্ত্রীকে তিনি ভীষণ ভালোবাসেন। তাঁর সুখশান্তির উপ� লক্ষ রাখেন। এব� যখ� যা প্রয়োজন, মেটাতে বিলম্ব করেন না� স্বামী� সঙ্গ পা� না, সেজন্য� বিলকিস বানু� মন� কোনো ক্ষো� নেই।

কিছু ছেলে ছোকর� আর গু��্ড� জাতীয় লো� পথ�-ঘাটে মাঠে-ময়দান� মিছি� বে� করে। সভ� বসিয়ে সরকারে� সমালোচনা করে। যাঁদের টাকা আছ� তাঁদের সব টাকা গরিবদে� বিলিয়� দিতে বলে। দুঃখ! দেশে� দুঃখ� মকবু� আহমে� ভাবেন।

🍃 রিকশাওয়াল� সেলিম�

সেলিমও স্বপ্ন দেখে� একটা রিকশ� কেনা� স্বপ্ন�
বারো বছ� ধর� মালিকে� রিকশ� চালিয়� ক্লান্� হয়ে পড়েছে সে� সারাদিনে� পরিশ্র� শেষে তিনট� টাকা রোজগার হল� দুটো টাকা মালিকক� দিয়� দিতে হয়। একটা টাকা থাকে ওর� সে� টাকায় বউ আর বাচ্চাটাকে নিয়� দিনে� খাওয়া হয়। মাসে� বাড়� ভাড়�! বিড়� কেনা� আর সিনেমা দেখা� পোষায় না তাঁর� দে� কী সে জানে না�

সভ�-সমিত�-মিছিলে লোকগুল� কে� এত মাতামাতি কর� তা� অর্থ সে বোঝে না� পুলিশেরা যখ� ছাত্রদের ধর� ধর� পেটায় তখ� সে অবাক চোখে চেয়� চেয়� দেখে� কোনো মন্তব্� কর� না� তাঁর ভাবন� একটাই। একটা রিকশ� কিনত� হবে।আর� একটা ভাবন� আছ� তাঁর� মাঝে মাঝে ভাবে�
ছেলেটা আর একটু বড� হল� তাঁকেও রিকশ� চালানো শেখাতে হবে।

সব চরিত্রগুলো মিশে যায় মিছিলে নাকি কে� কে� সর� যাবে আবার? কৃষ্ণচূড়া সেদি� রক্ত� রঞ্জিত হয়ে লিখে গেছে যে ইতিহাস, কালে� আবর্তে সে� ইতিহাস মন� পড়বেই বাঙালির।

🍃পা� প্রতিক্রিয়া 🍃

"একুশ� ফেব্রুয়ার�" জহির রায়হানে� লেখা এই ছোট্� উপন্যাসিকা মূলত বায়ান্ন� ভাষা আন্দোলনে� প্রেক্ষাপট� রচিত� ভাষা� জন্য একটি জাতি� আত্মত্যা� কিংব� স্বৈরাচারী শাসকদে� বিচা� ব্যবস্থা� এই ছোট্� বইটি ইতিহাসের সাক্ষী দেয় যেন। চোখে আঙুল দিয়� দেখিয়� দেবে দেশপ্রেম মানে কী� কে� সেদি� ভাষা� দাবিতে এত এত প্রা� ঝর� পড়েছিল।

বাংল� সাহিত্যে� অন্যতম মেধাবী সাহিত্যি� মন� কর� আম� জহির রায়হানকে। কী অসাধার� কলমে� জো� ছি� মানুষটির� নিজে� স্বল্প জীবন� যতটুকু সাহিত্যচর্চা করেছেন একেকটা যে� ঠি� জ্বলন্� নক্ষত্র। জ্বলজ্বল করবে যা আজীবন সাহিত্যাঙ্গনে।

মানে কী অসাধার� গভী� চেতনাবোধ দিয়� তিনি লিখেছে� এই বইটি ভাবত� অবাক হত� হব� পাঠককে� ছো� একটা বই কিন্তু এই বইয়ের ভাষা গভীর। এঁকে অনুধাব� করতে হবে। বুঝত� হব� হৃদয� দিয়ে। যদ� হৃদয� দিয়� বুঝত� পারে� শ্রদ্ধ� জাগব� ভাষা� জন্য জীবন দেয়� সেইস� মানুষদের জন্য�

আফসো� হয� আমাদের একজন জহির রায়হা� ছিলে�, বড� অকাল� চল� গেছেন। সাহিত্যে তাঁর আর� কিছু দেবা� ছিল। আর� কিছু অসাধার� কীর্তি উপহা� পেতা� আমরা পাঠকেরা। জোরালো সাজেশন দিচ্ছি সবার এই বইটি পড়া উচিত�

🍃 বইয়ের না�: "একুশ� ফেব্রুয়ার�"
🍃লেখক: জহির রায়হা�
🍃 ব্যক্তিগ� রেটি�: �/�
Profile Image for Hibatun Nur.
152 reviews
May 14, 2023
২১ � ফেব্রুয়ারির পটভূমিতে লেখা হলেও গল্পটা যে� ৫২ তে থেমে নেই। সময়, কা� সবকিছু� বাধা পেরিয়� যে� প্রত� যুগে� প্রত� আন্দোলনে� প্রতিনিধিত� রূ� নিয়েছ� বই� তথাকথি� গল্প উপন্যাসে� ঘেরে আবদ্� কর� যায় না একে। ছো� আকারের হয়ে� ৫২-� ইতিহাসকে, বাঙালী জাতীয়তাবাদক�, ভাষা শহীদদেরকে, রাজাকারদেরকে এব� ভাবাবেগক� যে� শব্দের আন্দোলনে� এক প্রতিবাদী বিদ্রোহী মুষ্টিতে নিয়� এসেছে।
Profile Image for Mahmuda Monika.
14 reviews1 follower
May 27, 2021
একুশ� ফেব্রুয়ারী (১৯৭০)
জহির রায়হা�

জহির রায়হানে� এই লেখাটা পড়া বাকি ছিল।পরপর কয়েকট� উপন্যা� পড়লেও এট� পড়া হচ্ছিল� না।তিন� "একুশ� ফেব্রুয়ারী" এর এই কাহিনিটা দিয়� এই নামে� একটি চলচ্চিত্� নির্মা� করতে চেয়েছিলেন।কিন্ত� পর পর তিনট� বাণিজ্যিকভাব� অসফল সিনেমা� পর এই চলচ্চিত্� প্রযোজনা করার জন্য কে� এগিয়ে আসেননি।তিন� নিজে যখ� এট� প্রযোজনা করার মত� অবস্থায় গেলে� তখ� সে� সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতিত� তা নির্মা� কর� সম্ভ� হয়নি।এরপর '৭১ এর মুক্তিযুদ্� এব� '৭২ � তাঁর নিখোঁজ হয়ে যাওয়া।এসব লিখত� গেলে� কেমন মন খারা� লাগে�
জহির রায়হা� ছিলে� ভাষা আন্দোলনে� ১৪৪ধার� ভঙ্গ কর� বে� হওয়� মিছিলে� প্রথ� সারি� ১০ জনের একজন।একুশে ফেব্রুয়ার� তাঁর চেতনার গভীরে প্রোথি� ছিল।
"একুশ� ফেব্রুয়ারী", "আর কতদি�" এর প্রেক্ষাপট আলাদ� হলেও নির্মা� এক� রক� ছিল।ছো� ছো� বাক্য। দু�,তি� শব্দ� লেখা।অনুভূতি� গভীরে আঘাত কর� দেয়।তিন� আসলে এই দুটো� চলচ্চিত্রে� জন্য রেখেছিলেন।জহির রায়হা� তাঁর চলচ্চিত্রে স্ক্রিপ্� এম� ছো� ছো� বাক্যে সংক্ষেপে লিখতেন� Let there be light চলচ্চিত্রটিও অসম্পূর্� থেকে গিয়েছিল.....যেটা� কাহিনিটি "আর কতদি�" উপন্যা� হিসেবে পরবর্তীতে প্রকাশ হয়।আর "একুশ� ফেব্রুয়ারী" থেকে এই "একুশ� ফেব্রুয়ারী"।যেখান� তিনি অল্প ভাষায়,স্বল্প পরিসরে দেখিয়� গেলে� ভাষা আন্দোলনে শুধু ছাত্রদের আন্দোল� ছি� না...এখান� ছি� সর্বস্তরের মানুষে� সমর্থন এব� অংশগ্রহণ�
ছো� ছো� চিত্রকল্� তৈরি কর� জহির রায়হা� একেকটা শ্রেণি তুলে এন� ভাষা আন্দোল� নিয়� তাদে� চিন্তা চেতনার প্রকাশ ঘটিয়েছেন।
একেকটা চরিত্রের মধ্য দিয়� তখনকার জনগণের রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজি� চিন্তাচেতনার প্রকৃত অবস্থা� প্রকাশ ঘটিয়েছেন।রাজনীতিকে অবলম্ব� কর�, একটি আন্দোলনক� অবলম্ব� কর� ছো� ছো� বাক্যে� মধ্য দিয়� তিনি প্রকৃত একুশ� ফেব্রুয়ারির একটি চিত্রকল্� রেখে গেলে� " একুশ� ফেব্রুয়ারী'� মধ্য দিয়ে।যেটি পড়া শে� কর� কানে বাজত� থাকে......
"সূর্� উঠছে�
সূর্� ডুবছে।
সূর্� উঠছে�
সূর্� ডুবছে।
........................
...............................
ইউক্যালিপটাসের পাতা বৃষ্টি� মত� ঝর� পড়ছ� নিচে� মাটিতে�
ঝরে।
প্রতিবছর ঝরে।
তব� ফুরোয় না�"
Profile Image for Jesan.
141 reviews5 followers
June 17, 2021
পাঁচজন লো� � তাদে� জীবন আর একটা দিন।এইদিনে এই পা� জীবন� কি হয� তাকে কেন্দ্� কর� গল্পের মোড়।দিনটা ২১শে ফেব্রুয়ার�, ১৯৫২।সেদিন বাংল� ভাষাকে রাষ্ট্রভাষ� করার জন্য ছাত্রদের পক্ষ থেকে হরতা� ডাকা হয়।কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকা� ১৪� ধারা জারি করে।ছাত্রর� চা� ১৪� ধারা ভাঙতে। তসলি� তা� একজন।বাব� সরকারি অফিসার হওয়� সত্ত্বেও ছেলে� রয়েছে অন্যায়ে� বিরুদ্� � কথ� বলার শক্তি।তা� নানা বারণ সত্ত্বেও সে যায় মিছিলে।গফু� শহরে যায় তা� নিজে� বিয়ের কেনাকাটা� জন্য।রিকশাওয়ালা সেলি� হরতালকারীদে� উপ� বিরক্ত হয� একদিনে� আয� হব� না ভেবে।কেরানী আনোয়া� চাপিয়� দেয়াক� অন্যায� মন� কর�, হরতালকারীদে� সাথে একাত্ন হয়ে প্রতিবাদ করতে চাই। আর আছ� একজন কারখানার মালি� মকবু� আহমে� যে চাইন� হরতা� হো�,রাষ্ট্� টিকে থাকু�,তা� শোষন অব্যাহ� থাকুক।এট� মূলত একটি স্প্রিপ্� বায়ান্ন এর ভাষা আন্দোল� এর উপর।এটাত� কা� করতে পারল� হয়ত� বাংলায� "ব্যাটলশি� পোটেমকিন" এর মত সিনেমা পেতাম।কিন্তু আফসো�!! তিনি হারিয়� গেলে� চিরতরে� জন্য�
Profile Image for Mosharaf Hossain.
128 reviews93 followers
November 28, 2016
একুশের সে� কাঁপুন� ধরাত� চেয়েছিলেন লেখক, একুশকে নতুন ভাবে সামন� নিয়� এসেছেন� কিন্তু তবুও জহির রায়হানে� একটু কে� জানি মি� করেছ� এখানে।
Profile Image for Yeasin Reza.
468 reviews78 followers
July 12, 2018
অপূর্ব অপূর্ব অপূর্ব!!

রিভি� শে�!

একুশ� ফেব্রুয়ার� এর অনবদ্য কাহিনী� জহির রায়হা� এর লেখা মর্মভেদী�
Profile Image for হেরা  আলীশা.
25 reviews1 follower
August 15, 2021
গাছে� নীচে ছড়িয়� পড়ে থাকা এক একটি ফু� কুঁড়িয়� যেমন একটি মালা গাঁথ� হয�,তেমন� ছি� এই উপন্যাসটিত� লেখকের বর্ণনাশৈলী।তিন� উপন্যাসট� শুরু করেছেন ঢাকা শহরেরই বিভিন্� স্থানে অবস্থানর� বিভিন্� শ্রেণি-পেশা� মানুষদের জীবনের সংক্ষিপ্� বর্ণনা দিয়ে।যারা একত্রি� হত� চলেছিল একটি কেন্দ্রবিন্দুতে।যে কেন্দ্রবিন্দুক� কেন্দ্� করেই ১৯৫২ সালে� ২১ শে ফেব্রুয়ারী� ১৪� ধারা ভঙ্গ হওয়ার বৃত্তট� সফলভাব� অংকি� হয়েছিল।

প্রেক্ষাপট ১৯৫২ সালে� ভাষা আন্দলো�, তব� তৎকালী� সময়টিতে উর্দ� ভাষাকে প্রাধান্� না দিয়� "রাষ্ট্রভাষ� বাংল� চা�" স্লোগানট� তা� যথায� রুপরেখ� পেয়েছিল, সে� রুপরেখার পেছনের নাড়ী-নক্ষত্� যে সাধারণ ছাত্রসমা� � শ্রেণি-পেশা� মানু� ছি� সেটি খু� সুন্দর ভাবে দুটে উঠেছে।

পাঠক দেখত� পাবে এই উপন্যাসে রয়েছে এক সরকারি চাকরিজীবীকে, যা� চাকরী পছন্� না� সে বাংল� ভাষায় কবিত� লিখে বাকীটা জীবন পা� কর� দিতে চায়।আছে একজন পুলি� অফিসার, যা� সন্তান ভাবার্থে একজন বাংল� মায়ের গর্ভ� ক্ষণজন্মা।যে শুধু ভাষা� জন্য জীবন দিতে� জন্মেছিল।য� সরকা� বিরোধী হয়ে ভাষা� জন্য প্রা� দিতে প্রস্তুত�
আছ� এক রিকশাওয়াল�, এক গ্রাম্� ছেলে গফুর।যার স্বপ্ন ছি� বিয়� কর� সংসা� করবার।আর কত শত শিক্ষার্থী যাদে� অবদা� এই দিনটির জন্য অনস্বীকার্�!

সেদি� সকলে� জীবনের চাকা যে� একদিকে� মো� নিল।রাজপথে গুলিবর্ষ� � বাতাসে কাদানি গ্যাসে� বিস্ফোরণ! মিলিয়� গে� আবহমান বাংলার আকাশ� শত শত নবী� � তাজা স্বপ্ন।পুলিশ বাবাটি টর্চের আলোত� তা� সন্তানের রক্তমাখা মু� দেখে পাথরের মত� শক্ত হয়ে গেল।

চারপাশ� নিস্তব্ধতা-
আকাশ� কিছু কা� উড়ে গে�!
সামন� বিশা� সমুদ্র�
সমুদ্রের মত� জনতা�
নগ্নপায়� এগিয়ে চলেছ� শহী� মিনারে� দিকে�
অসংখ্য কালো পতাকা।
পতপত কর� উড়ছে।
উড়ছ� আকাশে।
Profile Image for Nahim Sadeque.
24 reviews1 follower
August 15, 2024
কতগুলো স্বপ্ন মুহূর্তে ধূলিসা� হয়ে গেলো� না বল� কথাগুল� হলোন� বলা। নতুন স্বপ্ন� বিভো� হয়ে শহরে পাড়� দেয়� গফুরের আর বাড়� ফেরা হল� না� হল� না নতুন জীবনের সূচনা। সে� সাহসী, প্রতিবাদী তসলিমে� জানা হল� না রাষ্ট্রভাষ� বাংল� হয়েছে কিনা! নিজে� চাকরী এব� পরিবার বিসর্জ� দিয়� সে-দি� ছাত্রদের সঙ্গ দিয়েছিলেন কব� আনোয়া� হোসেন। নিজে� মুখে� ভাষাকে বাঁচাবেন বল� জীবন উৎসর্গ করেছিলেন�

আম� ৫২ দেখিনি, ৬৯ দেখিনি,
দেখিনি ৭১ এর সংগ্রাম।
আম� দেখেছি ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান�
Profile Image for Adnan Chowdhury.
45 reviews3 followers
April 28, 2023
খু� � সুন্দর, খু� � সুন্দর� জহির রায়হা� এর চিরচেন� স্টাইল, অল্প কথ�, সামান্� ঘটনা, কিন্তু মন� দা� কেটে যাওয়া তীরবিদ্ধ হওয়ার মত লাইন�
� স্টা� দিতা� কিন্তু উনার মাস্টারপিস এর সাথে তুলন� কর� , আর যেহেতু এট� এক না হওয়� অসমাপ্� ফিল্� স্ক্রিপ্�, সে� কষ্ট� এক তারা বাধ্� হয়ে কমিয়ে দিলাম।
Profile Image for Nur Mohammad Khan.
45 reviews6 followers
October 23, 2021
প্রতিট� বাক্� যে� বুলেটে� মত; আঘাত করার সাথে সাথে ফেটে চৌচি� হয়ে শব্দগুলো ক্ষতবিক্ষত কর� হৃদয়কে।
Profile Image for Ahnaf.
26 reviews
August 14, 2024
রক্ততে লা� রাস্তাঘাট। নিজে� আপ� কে হত্যা। কা� জন্য� অপেক্ষা। একজন স্ত্রী দিয়েহারা।
এক কব�.........�
Profile Image for Sehemi Akhi.
57 reviews2 followers
January 17, 2025
সবচেয়� খারা� লাগে তখনই, যখ� দেখে� একটা ছোট্� বই পড়ত� আমার এত্তগুলো দি� যায়� 🙁
Profile Image for Santanu Dutta.
170 reviews4 followers
March 16, 2024
A nice chronicle of the bloodshed day, when the people stood for the rights of our mother tongue without fear...
The book took me to my school days. In our village schools we used to celebrate the day with care and paid tributes to the martyrs. We used the sing the legendary song, "Aamar bhaier rokte rangano ekushey February..... "
Lastly I must admit I am awefully sorry to share this post in English. I am very imperfect in typing in Bangla.
Displaying 1 - 22 of 22 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.