ŷ

Jump to ratings and reviews
Rate this book

আর কোনোখানে

Rate this book

196 pages, Hardcover

First published February 1, 1968

6 people are currently reading
243 people want to read

About the author

Leela Majumdar

106books99followers
Leela Majumdar (Bengali: লীলা মজুমদা� Lila Mojumdar) was a Bengali writer. Her first story, Lakkhi chhele, was published in Sandesh in 1922. It was also illustrated by her. The children's magazine in Bengali was founded by her uncle, Upendrakishore Ray Chaudhuri in 1913 and was later edited by her cousin Sukumar Ray for sometime after the death of Upendrakishore in 1915. Together with her nephew Satyajit Ray and her cousin Nalini Das, she edited and wrote for Sandesh throughout her active writing life. Until 1994 she played an active role in the publication of the magazine.

Creative efforts :
An incomplete bibliography lists 125 books including a collection of short stories, five books under joint authorship, 9 translated books and 19 edited books.
Her first published book was Boddi Nather Bari (1939) but her second compilation Din Dupure (1948) brought her considerable fame From the 1950s, her incomparable children's classics followed. Although humour was her forte, she also wrote detective stories, ghost stories and fantasies.

Her autobiographical sketch 'Pakdandi' provides an insight into her childhood days in Shillong and also her early years at Santiniketan and with All India Radio.
Apart from her glittering array of children's literature, she wrote a cookbook, novels for adults (Sreemoti, Cheena Lanthan), and a biography of Rabindranath Tagore. She lectured on Abanindranath Tagore and translated his writings on art into English. She translated Jonathan Swift's Gulliver's Travels and Ernest Hemingway's The Old Man and the Sea into Bengali.
Satyajit Ray had thought of filming Podi Pishir Bormi Baksho. Arundhati Devi made it into a film in 1972. Chhaya Devi played the role of the young hero, Khoka's famed aunt Podipishi.

Awards :
Holde Pakhir Palok won the state award for children's literature, Bak Badh Pala the Sangeet Natak Akademi Award, Aar Konokhane Rabindra Puraskar. She had also won the Suresh Smriti Puraskar, Vidyasagar Puraskar, Bhubaneswari Medal for lifetime achievement, and Ananda Puraskar.
She has been awarded the Deshikottama by Visva Bharati, and honorary D.Litt. by Burdwan, North Bengal and Calcutta Universities.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
43 (58%)
4 stars
20 (27%)
3 stars
10 (13%)
2 stars
0 (0%)
1 star
1 (1%)
Displaying 1 - 27 of 27 reviews
Profile Image for Israt Zaman Disha.
193 reviews582 followers
January 9, 2021
আর কোনোখানে দিয়� লীলা মজুমদারে� সাথে পরিচিত হলাম� কম বেশি সকলে� ওনার কথ� জানি, ওনার লেখা� সাথে পরিচিত� তা� বেশি কিছু বলার নেই। শুধু বলতে চা�, বড� হওয়ার হাজা� অশান্তির মাঝে একটুখানি শান্তি যদ� দিতে পারে কো� বই, সে� তো অনেক�
Profile Image for Harun Ahmed.
1,466 reviews356 followers
May 1, 2023
" মাসি� মেয়� মাসে মাসে পে� এক টাকা করে। কিন্তু মাসি বলেন খাওয়া-দাওয়ায় মেয়ের রুচি নে�, সে নাকি বড্ড এক�! শুনে আমরা আশ্চর্� হয়ে গেলা�, এক� আবার কাকে বল�? আমাদের বাড়িত� কারো এক� হবার জো নেই। অভিমান করবা� জো নে�, অমনি আর পাঁচজন তাকে জো� কর� টেনে বে� কর� আন�, কি হল, কে কি বল�, তারো পত্রপা� একটা ব্যবস্থা কর� ফেলা হত, রা� দুঃখ মনখারাপে� কোনো জায়গা� রাখা হত না�"



"আর কোনোখানে" লীলা মজুমদারে� বেড়� ওঠার গল্প� তিনি ছিলে� সুবিখ্যা� রায় পরিবারের সন্তান� শিলং এর পাহাড়� কাটানো অপরূ� ছোটবেল�, রায়বাড়িত� বিদগ্ধ প্রিয় মানুষদের সান্নিধ্�, সুকুমা� রায়ের মৃত্যু, নিজে� পড়ালেখা, বাবা� সাথে স্নায়ুযুদ্ধ, শান্তিনিকেতন� চাকর�, সবকিছু ছাপিয়� পৃথিবীতে নিজে� একটা স্থা� খুঁজ� পাওয়া� নিরন্ত� প্রচেষ্টার গল্প "আর কোনোখানে�" আগেই "পাকদণ্ডী " পড়ে ফেলায় গল্প� তেমন নতুন কিছু পেলা� না� কিন্তু পাকদণ্ডী� বর্ণনা� বাহুল্� � একঘেয়েম� � বইতে নেই। � স্মৃতিগদ্য পুরোটা� অত্যন্� স্বাদু� লেখিকা� সারল্য, অকপট স্বীকারোক্তি, সাহেবে� অল� বেড়ালের গল্প, মিশনারী স্কুলে অপদস্থ হওয়�, ব্রিটি� বিরোধী আন্দোল�, নিজে� পরিবারের দ্বান্দ্বি� অবস্থা�, শান্তিনিকেতন� অম্লমধুর দিনযাপ� � সেখানকার প্রকৃত অবস্থা রাখঢাক না রেখে প্রকাশ - সব� পড়ত� ভালো লেগেছে� আগ� জানল� শুধু "আর কোনোখানে"� পড়তাম, "পাকদণ্ডী" পড়ে শেষদিক� রীতিমত� হাঁপিয়ে উঠেছিলাম�
Profile Image for Daina Chakma.
430 reviews746 followers
October 5, 2019
হেথা নয�, হেথা নয�, অন� কোথা, আর কোনোখানে!

আমিও আর কোথায় যে� হারিয়� গিয়েছিলাম, অন্য এক ভুবন�, অন্য এক সময়�!
Profile Image for Onu Tareq.
29 reviews184 followers
Read
June 29, 2022
লীলা মজুমদারে� আত্মজীবনী ‘পাকদন্ডী� পড়ে মুগ্� হয়েছিলা�, তখনো জানতাম না শক্তিমান এই লেখকের ‘আ� কোনোখানে� নামে পরের দিকে লেখা আরেকটি আত্মজীবনীমূলক বই� আছ�, গেলবছর কলকাতায় পেয়েছিলাম ‘মিত্র � ঘোষ� থেকে প্রকাশিত সুখপাঠ্য বইখানা�

শুরু� দিকে� তাঁর বিখ্যা� বাবা ‘বনে� খবর� খ্যা� প্রমদারঞ্জ� চৌধুরী� চাকুরি� সুবাদে তাদে� মেঘালয়ে� কোলে বেড়� ওঠা।

‘বেজায� বৃষ্টি পড়ত � পাহাড়� দেশে; শুনতাম মাত্� বত্রিশ মাইল দূরে ছো� একটি জায়গায় পৃথিবী� মধ্য� সবচেয়� বেশী বৃষ্টি পড়ে� শুনে ভারি একটা গর্ব মন� হত� বছরে� পাঁচ মা� বৃষ্টি পড়ত বট�, কিন্তু কোথা� এক ফোঁট� জল দাঁড়া� না, পাহাড়ের গা বেয়� পুরন� নদীকে ফুলিয়�-ফাঁপিয়ে, হাজা� হাজা� নতুন ছো� নদী তৈরি কর�, সে জল নিচে� উপত্যকায� নেমে যেত।�

সে� দূ� দেশে� অপরূ� বর্ণনা, সেখানে� মিশনার� স্কু�, ইংরে� ক্লাসমেটদে� কাছে পদ� পদ� ছো� হওয়�, মাঝে মাঝে দাদাবাড়� কিশোরগঞ্জে� মশুয়া গ্রামে� কথ�, ফিরিঙ্গিদে� গল্প, আর শৈশবময� বিখ্যা� সব লোকদের আনাগোন� পরমাত্মীয় উপেন্দ্রকিশো� রায়চৌধুরী সহ� সারা বইতে ঘুরে ফিরে এসেছ� লেখকের প্রিয় বড� দাদা সুকুমা� রায়ের কথ�, যা� উৎসাহে� প্রথ� ‘সন্দেশ� পত্রিকায� লিখেছিলে� কিশোরী লীলা�

বড়ই আরাম লাগছিল সে� নিসর্গ ঘেরা শৈশবের গল্প অপূর্ব ঠাসবুনটে� ভাষায় পড়তে। এরপর কোলকাতার জীবন�, শিক্ষা, � পর� স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের আহ্বান� তিনি শিক্ষক হিসেবে যো� দে� শান্তিনিকেতনে। সেখানে� অভিজ্ঞতা এর আগের বইতে খু� বেশী ছি� বল� মন� পড়ছ� না, যা এখান� আছে।

প্রায় ৫০ বছ� আগ� বইটি প্রথ� প্রকাশিত হয়েছি�, জানে� তো যে লীলা মজুমদা� ঠি� ১০� বছ� বেঁচ� ছিলে�, ২০০৭ সালে উনার চিরপ্রস্থা� ঘটে। বইটা� শুরুটা যেমন স্বচ্ছতোয়� পাহাড়� নদী� মত বেগবান ছি�, পর� সে� ধারাটা অব্যাহ� ছি� না, অত্যন্� ভাষা� জাদু কিছুটা অন্যরক� হয়ে গে� বল� মন� হয়েছে� গুরুত্বপূর্ণ বই�

‘যেই বনের মধ্য� ঢুকলাম অমনি চারদিক ছায়াময় হয়ে উঠল। বাইরের শব্দ সেখানে পৌঁছয় না, শুধু ঝোপে� আড়ালে নিরন্ত� ঝি ঝি পোকা� ডা�, ঝি�-ঝি� জল পড়া� শব্দ আর পাইন বনের মধ্য� বাতাসে� দীর্ঘশ্বাস� পাখিরা বাসায় ফিরছ�, তাদে� খানি� ডাকাডাকি আর ডানা ঝাপটানি। এখানকা� সঙ্গ� চেনা পৃথিবী� সাদৃশ্� নেই। এখান� সব রং মিলে গিয়� অপূর্ব শ্যামল রূ� ধরেছে। কত রক� সবুজ, দিনে� আল� যেটুকু পৌঁছাচ্ছ� সে� সবুজ; সরলগাছের গায়� ছা� মেশানো সবুজ পরগাছা ঝুলছ�, তাদে� ‘লাইকেন� বল�, কত রক� চেহারা তাদে�, হা� দিলে শক্ত কর্কশ। হঠাৎ নাকে আস� অপূর্ব সৌরভ, চারদিক চেয়� দেখি, উঁচু ডালে অর্কিডের ফু� ফুটেছে� মোটা মোটা রসাল� শিকড� বাতাসে মেলে ধর�, কোথা� সোনালী ফুলে� ছড়া, তাদে� বুকে� ভেতরটা গাঢ় লা�, কোথা� যে� মোমে� তৈরি সাদা ফুলে বেগনির ছটা। -- আপনা থেকে� আমাদের গলার স্বর নিচু হয়ে আস�, এখান� উঁচু গলায� কথ� বলতে ইচ্ছ� কর� না।�
Profile Image for Shadin Pranto.
1,419 reviews476 followers
September 29, 2019
' হেথা নয�, হেথা নয�, অন্য কোথা, আর কোনোখানে' - রবীন্দ্রনাথ

রায় বাড়ির কন্য� উপেন্দ্রকিশো� রায়ের ভাতিজি, সুকুমা� রায়ের বো�, সত্যজি� রায়ের ফুফু কিংব� 'বনের খব�'এর প্রমদারঞ্জ� রায়ের মেয়� লীলা রায়� অথবা এসকল পরিচয়ের ঊর্ধ্ব� নিজস্ব লেখনী মহিমায� যিনি সাহিত্� জগতে নিজে� আসনট� স্থায়ী কর� রেখেছে�, তিনি� হলেন লীলা মজুমদার। এই নাতিদীর্� গ্রন্থটি তাঁর� স্মৃতিকথা৷ নিজে� প্রথ� পঁচি� বছরক� মলাটবদ্ধ করেছেন 'আর কোনোখানে ' শিরোনামে�

পিতা� চাকরির সুবাদে শৈলবাস� বেড়� উঠেছেন এগার� বছ� পর্যন্ত। পাহাড়ের জীবনকে এতটা চিত্রময়রূ� ভঙিত� সাজিয়েছেন লীলা মজুমদা� যে� সবকিছু দু'চোখে� সামন� দেখছিলাম� সেখানকার ঝঞ্জাটহী� সময়কে বে� কর� স্মৃতিরপটে এঁকেছে� লীলা মজুমদার৷

উপেন রায় আ্যন্ড সন্সের বিখ্যা� প্রে�, সুকুমা� রায়ের মোহনীয় ব্যক্তিত্ব, রায় পরিবারের প্রত্যেকটি পুরুষে� কীর্তি� বর্ণনা সব� আছে। আছ� তুখোড় মেধাবী লীলা মজুমদারে� পরিবারের কলকাতায় চল� আসা। বিরা� রায় পরিবার� একেরপর এক ট্র্যাজেডি� আফসো� করেছেন তা� ভা� সুকুমা� রায়ের মত� মানুষক� আজ লোকে ভুলত� বসেছে। সুকুমা� রায়ের পরিচয় হয়ে উঠেছ� সত্যজি� রায়ের পিতা হিসেবে� অথ� সুকুমা� রায় নিজে তো কম বড� রত্ন ছিলে� না� সে তো লীলা রায় তা� বড়দ�' সুকুমা� রায়কে নিজে� চোখে� দেখেছে�

শান্তিনিকেতন� নয়মাস শিক্ষকতা করিয়েছিলেন। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তখনো জীবিত৷ রবিঠাকুরের সান্নিধ্� প্রাপ্তি এব� শান্তিনিকেতনবাসে� অতীতক� আঁকড়ে রেখেছে� বড� যত্ন নিয়ে। যদিও টিকত� পারে� নি সেখানে� চল� আসতে হয়েছে তাঁকে।

সব অতী� অভিজ্ঞতাকে আমরা কী মনের মণিকোঠায� ঠাঁই দি�? ততস্থা� তো আমাদের নেই। যেসব ঘটনা অমলি� হ���়ে থেকে যায়, সেইসবই স্মৃতি হয়ে রয়ে যায়� হয়ে থাকে নিত্যকার সঙ্গী� লীলা মজুমদা� তা� স্মৃতিকে খুবই সাদামাটা অথ� ভারি অন্তরঙ্গতা� সাথে ভা� কর� নিয়েছেন পাঠকদে� সাথে এমনট� বড� একটা দেখা যায় না�

জীবনের প্রথ� পঁচি� বছ� সংখ্যা হিসেবে কতটা কম-বেশি জানি না� তব� ঘটনাবহুল পঁচি� বললে অত্যুক্ত� হব� না� জীবনের সক� অভিজ্ঞতা অম্লত্বে বিলী� হয� না� আবার পুরো দু'যু� মধুরসব স্মৃতিতে টইটম্বুর হব� এমনটিও মানবজীবনের স্বভাবধর্ম নয়৷ অম্ল-মধুর স্মৃতি নিয়েই জীবন� অথ� লীলা রায় এম� কোনো ঘটনা কিংব� স্মৃতি ঘুণাক্ষরেও আনেন নি যাতে তা� 'ইমেজ' নিয়� নেতিবাচক ধারণ� তৈরি হয়। লীলা মজুমদারে� স্মৃতিকথ� ' আর কোনোখানে' খুবই সুপাঠ্য। তব� সত্যতা� মাপকাঠিত� ফেলটুস�
Profile Image for Adham Alif.
315 reviews62 followers
October 26, 2023
আম্মার অসুস্থতা হেতু তখ� হাসপাতাল� ছুটোছুটি করেই দি� কাটে� হাসপাতালের পরিবেশ সবসময়� আমার কেমন জানি গুমো� লাগে� সময় কাটতেই চায়না� করিডোর� বস� গুমো� সময় থেকে পরিত্রাণের জন্য ফোনে থাকা বইয়ের pdf � epub ঘাটাঘাটি করছিলাম। হঠাৎ মন� হল� লীলা মজুমদারে� স্মৃতিকথায� ডু� দেয়� যাক। পড়ব পড়ব করেও পড়া হচ্ছেন� এম� তালিকাতে� বহুদিন বইটা পড়ে আছে। হাসপাতালের সে� চঞ্চ� পরিবেশেই শুরু করলা� পড়া।�


স্মৃতিকথায� আড়ালে প্রায় এক শত� পিছিয়� গেলাম। নিজে� ছোটবেলার গল্প� বলেছেন পাহাড়ী এক অঞ্চ� � জনপদের কথা। ভারতের শিলং শহ�, আমাদের সিলেটে� বে� কাছে� যা� অবস্থান। লীলা মজুমদা� তা� চিরাচরিত সাবলী� ভঙ্গিমাতেই বর্ণনা কর� গেছে� তাদে� স্কু�, সহপাঠী � প্রতিবেশীদে� কথা। তাদে� নিয়� ভালো-মন্দ উভয় স্মৃতি� উঠ� এসেছে। মাঝেমধ্য� নিজে� রায় পরিবারের মানু� � তাদে� বহ� গল্প এসেছ� প্রসঙ্গক্রমে� স্বদেশী আন্দোলনে� ছোটোখাটো বিভিন্� ঘটনাবলী উত্তাল সে সময়টা� কথ� মন� করিয়ে দেয় বারবার।�


শিলং ছেড়� কলকাতায় আসার ঘটনাটা বে� গুরুত্� পেয়েছে। নতুন পরিবেশ, নতুন সহপাঠীদে� গল্প কিছুটা দ্রুততায� টেনেছেন। হয়ত� তারা ততোট� মন� দা� কাটেনি যতোট� কেটেছি� পাহাড়ী অঞ্চলে� শিক্ষাজীবন শেষে চাকুরীক্ষেত্রে� অভিজ্ঞতা� গল্প আছে। রয়েছে শান্তিনিকেতন এর কথাও� তব� সে সময়কা� দুঃখ � অস্থিরতাকে যতোট� সাধারণভাবে উপস্থাপন করেছেন তাতে কিছুটা অবাক� হয়েছি� বয়সের সাথে সাথে কি ওস� অনুভূতির সাথে সয়ে যায় মানু�?


"আর কোনোখানে" লীলা মজুমদারে� প্রারম্ভিক জীবনের গল্প� যেখানে যুবতী বয়স পর্যন্� ঘটনা থাকলেও প্রাধান্� পেয়েছ� তা� শৈশব � কৈশোরকালের স্মৃতিরা� ঠি� চমকে দেবা� মত� ঘটনাবলী না থাকলেও লেখনশৈলী� গুণে পড়ে ফেলা যায় বে� আরামেই�
Profile Image for Nowrin Samrina Lily.
156 reviews15 followers
December 29, 2021
ইশ যদ� বছরট� এই সুন্দর, মিষ্টি বইটা দিয়� শে� করতে পারতাম!!! এত� মন ভালো কর� দেওয়া� মত� বই একটা� অসুস্থ ছিলা� এই দুইদিন,কিন্তু বইটা যেনো সব দুর্বলতা এক মুহুর্তে শে� কর� দিল।
সৌমে� দাদা,একটা আফসো� রয়ে� গে� যে বইটা অনেক দেরীতে পড়লাম।☹️তবু� ধন্যবা� তোমাকে এই বইটা আমাক� পড়া� সুযো� কর� দেওয়া� জন্য�
আমার পড়া সবচেয়� সুন্দর আত্মজীবনী 💜
Profile Image for Rifat.
481 reviews314 followers
October 27, 2020
মানুষে� মন� একটা বড� জায়গা জুড়� থাকে শৈশব কালে� স্মৃতি� ধীরে ধীরে মানু� বড� হয�, জীবনের খাতায় যো� হত� থাকে বিভিন্� অভিজ্ঞতা� আর সেসব কথাই লেখিকা লীলা মজুমদা� এই বইটাতে বল� গেছে� সুনিপু� ভাবে, পড়া� সময় মন� হয� যে� এই তো চোখে� সামনেই লেখিকা ধীরে ধীরে একেকটি ধা� পাড়� দিচ্ছেন।শিলং এর সবুজ� ঘেরা পরিবেশ� শৈশব কাটিয়� কলকাতায় প্রস্থান, পড়াশোনা শে� কর� শান্তিনিকেতন� যাত্রা; সবকিছু� বর্ণনা ছি� সুখপাঠ্য�

বইয়ের এই লাইনটা মন� গেঁথ� গেছে,"আমার মাসতুত� বো� নোটন ছি� সে� রক� জা�-সুন্দরী� কিন্তু এখ� আর একটু� হিংস� হত না,অবাক হয়ে তাকিয়� থাকতাম� হিংস� হয� সমান� সমান�,নিদে� যেটাকে আয়ত্তের মধ্য� বল� মন� হয� তা� নিয়�; নাগালে� বাইর� যা, তা� দেখে বিস্ময� হয�, ঈর্ষ� হয� না�"

লেখিকা এত্ত গুণী মানুষে� সান্নিধ্� পেয়েছেন!!!! আমার মাথা একদম ঘুরে গেছে -_-
শিলং এর পাহাড়-ঝর্ণার চঞ্চ� সৌন্দর্য দেখে বড� হওয়� লেখিকা� মন ছি� বড� বিক্ষিপ্ত।কিছুতে� যে� স্থিরত� আসছি� না�
এই যে মন খালি বল� এখান� না, ওখানেও না, হয়ত� আর কোনোখানে শান্তি মিলব� তা� সমাধানটা� বা কি?
সমাধান!?
একটি চীনা প্রবাদ,"নিভৃ� হৃদয়ে একটি সবুজ গাছে� ডা� পুঁত� দা�; গানে� পাখি নিজে� আসবে �"
Profile Image for Md Shariful Islam.
258 reviews83 followers
June 1, 2021
আত্মজীবনী আমার বরাবরই প্রিয়� নিজে� সম্পর্কে বলার সময় মানু� বাড়িয়ে বলতে� পারে বা কিছু লুকাতে� পারে তব� কোনো ব্যক্ত�, তাঁর চিন্তাধারা, তাঁর জীবনদর্শ� জানত� অন্যের লেখা জীবনী� চেয়� সে� ব্যক্তির নিজে লেখা আত্মজীবনী আমার বেশি পছন্দের। এর কারণ হিসেবে আমার মন� হয� এত� সে� ব্যক্তিক� আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযো� দেওয়া হয� যা জীবনীতে সম্ভ� না� হত� পারে কেনন� সেখানে জীবনীকা� নিজে� ইচ্ছানুযায়ী ঘটনা বাছা� করেন�

যাহো�, প্রথমে লেখিকা� পরিচয়টা দেওয়া যাক। লেখিকা� প্রকৃত না� লীলা রায়� হ্যা�, ঠিকই ধরেছেন তিনি বিখ্যা� রায় পরিবারের সন্তান যে পরিবার� জন্ম নিয়েছেন উপেন্দ্রকিশো� রায়চৌধুরী, সুকুমা� রায়, সত্যজি� রায়, লেখিকা� বাবা � বনের খব�' বইটা� রচযিতা প্রমদারঞ্জ� রায়� সে� পরিবারের মেয়� যে শিক্ষি� হব�, সবকিছুকে নিবিড়ভাবে দেখা� আলাদ� চো� থাকব�, হাতে� লেখায় জাদু ফুটব� সেটা কি আর বলতে হয�! বলতে গেলে, লেখিকা� রক্তের সাথে� মিশে আছ� সাহিত্�, সঙ্গী�, চিত্রকলা সহ শিল্পে� নানা দিক।

আত্মজীবনী বলতে আমরা সাধারণ� বুঝি কোনো এক বৃদ্�/বৃদ্ধা জীবনের সায়াহ্ন� বস� জীবনের হিসা�-নিকা� মেলাচ্ছে� অর্থাৎ পুরো জীবনের একটা মূল্যায়� ফুটে ওঠ� সেখানে� কিন্তু এই বইটা ঠি� তা নয়। যদিও লেখিকা বেশি বয়সেই বইটা লিখেছে� কিন্তু এট� তিনি তাঁর জীবনের প্রথ� পঁচি� বছ� সময়টাকে� তুলে এনেছেন� পাহাড়ের দে� শিলংয়ের হা� উইন্ডস বাড়িত� জন্ম থেকে পঁচি� বছ� বয়স� যখ� তি�-চারট� কলেজ� অধ্যাপনা শেষে সাহিত্� নিযে নতুন কর� কা� কর� শুরু করলে� সে� পর্যন্� সময়ের নানা ইতিবৃত্ত উঠ� এসেছ� বইটাতে�

আত্মজীবনী দুইট� কারণ� সাধারণ� পড়া হয়ে থাকে� প্রথমত কোনো বিখ্যা� � প্রিয় ব্যক্তির সম্পর্কে খুটিনাটি জানত� ( মানে হুমায়ূন আহমে� যেহেতু আমার প্রিয় লেখক তো তাঁর আত্মজীবনী পড়া যা� এম� আর কি) এব� দ্বিতীয়� কোনো এক ব্যক্তির উছিলায� একটা সময়কে জানত� ( যেমন এই বইটা)� লীলা মজুমদারে� সাথে এই বইটা� আগ� আমার কোনো পরিচয় হয� নি, তা� বইটা যে আম� প্রথমোক্� কারণ� পড়ি নি সেটা তো বলাই যায়� তাহল� বইটা কে� হাতে তুলে নিলা�? কারণ আম� লীলা মজুমদারে� মাধ্যম� একটা সময়কে জানত� চাচ্ছিলা�, একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগ� উপলব্ধির কাব্যি� প্রকাশ অনুভ� করতে চাচ্ছিলাম।

তো বইটা পড়ে আম� কি পেলা�? যেহেতু লীলা মজুমদা� সম্পর্কে আম� জানত� তেমন একটা আগ্রহী ছিলা� না তা� তাঁর ব্যক্তিগ� ঘটনাবলির আমার কাছে তেমন মূল্� নে� শুধু ভা� � ভাষা ছাড়া। তারপরে� লেখিকা� পাহাড়ের প্রত� মুগ্ধত�, ভাইবোনদে� সাথে মজার সময় কাটানো, বোর্ডি� স্কুলে� অন্য ধরনে� দিনগুল�, পোষা ঘোড়� কালোমানিকে� জন্য চোখে� জল ফেলা, সৌন্দর্যের জন্য মাসতুত� বোনক� হিংস� কর�, বা� দেখত� গিয়� মানু� দেখে হতাশ হওয়� ( আশ���তোষ মুখোপাধ্যায়কে বাংলার বা� বল� হয�), গল্পগুচ্ছে � মন্দ জিনি�' খুঁজতে গিয়� হতাশ হওয়�, ঢাকা� বাকরখানি বা কাচকিমাছের প্রত� মুগ্ধত�, মৃত্যুকে বিভিন্� সময় বিভিন্নভাব� উপলব্ধ� কর� ইত্যাদ� ঘটনা পড়ে কখনও হেসেছি, কখনও চোখে পানি এস� গিয়েছে। আর এস� ঘটনা পড়ত� গিয়� দেখেছি লেখিকা কত সূক্ষ্মভাব� সবকিছু দেখতেন, বিচা� করতে�, প্রকাশ করতেন। সাথে লেখিকা� রসাত্ম� � কাব্যময় এক ভাষা তো আছেই�

লেখিকা� নিজস্ব অভিজ্ঞতা হওয়� সত্ত্বেও যে দুইট� বিষয়ে বইটা থেকে সবিস্তার� জানত� পেরেছি সেটা হল� রায় পরিবারের কথ� এব� শান্তি নিকেতনের কথা। আপাদমস্ত� সাহিত্যি� পরিবার রায় পরিবারের প্রেসে� শব্দ � কালি� গন্ধ নিয়� ঘু� থেকে ওঠ� � ঘুমাতে যাওয়া� বর্ণনা লেখিকা বিস্তারিতভাব� উল্লেখ করেছেন� উপেন্দ্রকিশো�, সুকুমা�, সত্যজিৎদের কথ� তাইত� এসেছ� বারবার ; এসেছ� ইউ রায় অ্যান্� সন্স প্রকাশনী বা সন্দেশ পত্রিকার কথাও� অন্যদিকে এসেছ� চি� গুণমুগ্ধ রবীন্দ্রনাথের কথ� যা� আদেশ� লেখিকা রাঁধুনির কা� করতে� রাজি ছিলে�! আর লেখিকা নিজে বছরখানেক শান্তি নিকেতন� কা� করায� সেখানকার পরিবেশ, উদ্দেশ্য,কর্মপদ্ধতি আর সংশ্লিষ্� ব্যক্তিবর্গে� কথাও এসেছ� সবিস্তারে।

এস� ছাড়াও বিংশ শতাব্দী� প্রথমার্ধে� ভারতবর্ষ, হিন্দু বনাম ব্রাহ্� বিতর্ক, স্বদেশী আন্দোলনস� ব্রিটে� বিরোধী নানা আন্দোলনে� কথাও লেখিকা বর্ণনা করেছেন সংক্ষিপ্তভাবে।

বইটা� সবচেয়� পছন্দে� দি� ছি� এর ভাষা� কেমন যে� চুম্বকের মত� আকৃষ্ট করেছ� বইটা� ভাষা� ফল� লেখিকা� জীবনের তুচ্� � ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্� সব ঘটনা� হয়ে উঠেছ� আকর্ষণীয়� সাথে তৎকালী� সমাজ, রায় পরিবার � শান্তি নিকেতন সম্পর্কি� নানন জানা-অজান� ঘটনা বইটাকে আর� আকর্ষণীয় করেছে। বইটা পড়ে একটি কথাই বারবার মন� এসেছ� মানুষে� জীবন� বৃহৎ ঘটনা খু� কম� ঘট�, মানু� যখ� ছো� ছো� ঘটনাকে উপভো� করতে শেখে তখনই জীবন উপভোগ্� হয়ে ওঠে। এছাড়া লেখিকা� ছোটবেলার নানা দুষ্টামি� কথ� পড়ত� পড়ত� নিজে� জীবনের সে� সময়টা� বারবার চোখে� সামন� ভাসছিল� একসময় লেখিকা� মত� আম� হয়ত� মন খারাপে� দিনে ভাবব� � কে� আমাদের আর বক� না কে�?’।
Profile Image for Farhan.
700 reviews12 followers
June 13, 2019
অসাধার� সুন্দর স্নিগ্� আত্মজীবনী� মনের শেলফ� তুলে রাখা� মত, পুরন� বইয়ের গন্ধভরা।
Profile Image for Asma Akhi.
203 reviews459 followers
January 26, 2021
"হেথা নয�, হেথা নয�, অন্য কোথা, আর কোনোখানে�"

লীলা মজুমদা� আমাকেও অন্য কোথায় নিয়� গিয়েছেন� কি সুন্দর ঝরঝর� লেখনী� এরকম আত্মজীবনী সবার� পড়ত� ভালো লাগবে।
Profile Image for Riju Ganguly.
Author37 books1,752 followers
April 25, 2013
Can somebody else' memoir be so poignant and so touching that you start dreaming about them? I never thought so, but as it turns out, it can happen. After having this book on my shelf for quite some time, and idly attaching the "maybe later" tag to it, last night I took it to bed on a whim. I finished the book, and went to sleep. Perhaps, the heat & humidity took a toll. Perhaps, my disenchantment with my present state of leaving triggered the words "HETHA NOY, ONYO KOTHA, ONYO KONOKHANE" in my sub-conscious. But in my dreams, I walked across Shillong and Kolkata, as described by the author, feeling as if the children playing there were none other than the author and her siblings. I saw Shantiniketan not amidst the present squalor, but in all its majestic desolation. I saw.... But if you wish to see those things, feel those things, you HAVE to read this book. Highly Recommended.
Profile Image for মোহতাসিম সিফাত.
155 reviews39 followers
April 11, 2025
লীলা মজুমদা� এই বইতে খুবই সুন্দর বর্ণনায় নিজে� জীবনের একটা বড়ো অংশে� চুম্বক কাহিনী� পসরা সাজিয়েছেন� বাবা প্রমদারঞ্জনে� সরকারি চাকুরী� সুবাদে শিলং-� কাটে তাঁর ছেলেবেলা, বেড়� ওঠা। নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের পাহাড়� প্রকৃত� � বিদেশী-এংলো ইন্ডিয়া�-বাঙালি-আদিবাসী সম্প্রদায়ের সম্প্রীতি� মাঝে বেড়� ওঠ� শৈশবের মায়াভরা সব গল্প বলেছেন লেখিকা� বর্ণনা খুবই জীবন্ত, যেনো চোখে� সামন� বিখ্যা� রায় পরিবারের খন্ডচিত্� দেখছ� বায়স্কোপে� পাহাড়� জীবনের মাঝে মা বাবা� কথায� � আত্মীয় স্বজ� বেড়াত� আসলে তাঁদের গল্প� কলকাতা নিয়� রোমান্টিকত� বা ফ্যান্টাসিতে বিভো� হয়ে� একদি� বাবা� বদলী� কল্যাণ� পরিবার সমেত কলকাতায় আসেন� বড়চাচ� উপেন্দ্রকিশো�, এরপর চাচাতো ভা� সুকুমা� রায়ের সাথে� কাহিনীগুলো খুবই সুন্দর� সন্দেশ প্রকাশের দিনগুল�, পারিবারি� আড্ডায� বিভিন্� গুণীজনের সমাগ�, এসবে� মাঝে ভাইবোনদে� নিয়� বেড়� ওঠা। আস্ত� আস্ত� বোর্ডি� স্কুলে� গণ্ড� পেরিয়� আবার পাহাড়� যা� পড়াতে� এরপর রবীন্দ্রনাথের আমন্ত্রণ� শান্তিনিকেতন� আসেন� শান্তিনিকেতনের তিরি� বছ� পা� হয়েছে, শুরু� দিকে� চিন্তকদে� ক্রে� কমেছ�, সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থা� সাথে সাংঘর্ষি� শিক্ষাপদ্ধতি� কারণ� হাঁপিয়ে উঠছে পরিচালকর�, এসবে� মাঝে লেখিকা� কথায� প্রাণবন্� কিছু বর্ণনা আছ� ব্যতিক্রমী শিক্ষাদানের। প্রচলি� প্রাতিষ্ঠানি� শিক্ষা� শৃঙ্খল থেকে মুক্�, স্বাধী�, তবুও শিষ্টাচারে� মধ্য� ছাত্রদের বেড়� ওঠার গল্পগুলো আশ্চর্� রকমের। এরপর মনের সায় না পেয়� সে চাকর� ছাড়েন� আশুতোষ কলেজ� অধ্যাপনা করলে� এক বছরে� জন্যে। মোটামুটি টাইম ফ্রে� এতটুকুই।

এইসব সুখপাঠ্য কাহিনী� বয়ন� লীলা মজুমদা� এই আত্মকথ� সাজিয়েছেন, ফাঁক� ফাঁক� তা� জীবন দর্শ� আর চিন্তা� আব� নিয়� এসেছেন� একটা গুণী � সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত পরিবার� বেড়� ওঠার � এক আদরমাখ� কাহিনী�
Profile Image for Titu Acharjee.
256 reviews31 followers
July 31, 2021
'আর কোনোখানে' মূলত,লীলা মজুমদারে� আত্মজৈবনিক বই� পড়ত� বে� ভালো� লাগছিল� কিন্তু লেখা� বুনোটট� কেমন জানি আলগা বল� মন� হলো। এটুক� বা� দিলে,বাকিটুকু উপভোগ্য।
Profile Image for Dev D..
171 reviews26 followers
April 17, 2018
প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যি� লীলা মজুমদা� এর স্মৃতিচারনমূলক গ্রন্থ আর কোনোখানে।ঠাকুর পরিবারের পর� বাংলায� সবচেয়� উল্লেখযোগ্� সাহিত্যি� পরিবার হচ্ছ� রায় পরিবার, আদ� নিবা� ছিলো তাদে� ময়মনসিংহে� মসুয়ায়� তব� রব� ঠাকুরক� বা� দিলে ঠাকু� পরিবার থেকে রায় পরিবার এগিয়ে� ঠাকু� পরিবারের দেবেন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনা�, দ্বিজেন্দ্রনাথ এব� অবশ্যই অবনীন্দ্রনাথ লিখে গেছে� কিন্তু রায় পরিবারের� ছিলে� উপেন্দ্রকিশো�, সুকুমা�, সুখলতা, লীলা এব� সত্যজি� এর বাইর� প্রমদারঞ্জ�, কুলদারঞ্জনকে ভুলে গেলে� চলবে না� লীলা রায় (পরবর্তীতে মজুমদা�) ছিলে� উপেন্দ্রকিশোরে� কনিষ্ঠ ভা� প্রমদারঞ্জনে� কন্যা। সে� প্রমদারঞ্জ� যিনি সন্দেশের পাতায় বনের খব� লিখে গেছিলেন। ছিলে� সরকারী জরিপ বিভাগে� বড� কর্মকর্তা। বছরে ছয� মা� তাকে জরীপে� কাজে বিভিন্� জায়গায় ঘুরত� হতো। বাকী ছয� মা� থাকতেন শিলং� যেখানে ছিলে� লীলা মজুমদারদের পরিবারের বাকী সবাই� জন্ম কলকাতায় হলেও জীবনের প্রায় প্রথ� দশটি বছ� লীলা মজুমদা� কাটিয়েছেন শিলং এ। আট ভাইবোনের বিরা� পরিবার, বাবা বাইর� থাকলেও সে অভাব অনুভ� করতে� না, তাদে� মা সে� অভাব অনুভ� করতে� দিতে� না, যিনি ছিলে� ভ্রম� সাহিত্যি� � সন্ন্যাসী রামানন্�� স্বামী� কন্য�, বাবা� সন্ন্যাসী হয়ে যাবা� পর বড� হয়েছে� উপেন্দ্রকিশো� এর কাছে, যিনি তাকে বিয়� দিয়েছিলেন নিজে� কনিষ্ঠ ভা� প্রমদারঞ্জনে� সাথে� সেকালে� শিলং আসামের রাজধানী হলেও ছিলো নির্জন এক মফস্বল শহর। সর� গা�, পাহাড়ী ঝরণা ঘেরা এক ভারী সুন্দর শহ�, যেখানে মাঝে মাঝে বা� হানা দিতো, সপ্তাহ� দুদি� বাজারে সমতল থেকে মা� আসতো, খবরে� কাগজ পৌছত� সময় লাগত� দু’তিন দিন। আত্মীয় সমাগ� প্রা��়ই ঘটতো লীলা মজুমদারদের বাড়িতে।তিনি শিলংয়� থাকতেই জ্যাঠা উপেন্দ্রকিশো� মারা যা�, তাকে ঘিরে বিশে� স্মৃতি নে�, তব� সুকুমা� রায় বিয়ের পর সুপ্রভ� রায়কে নিয়� স্বস্ত্রী� ঘুরে গেছিলে� শিলংয়ে। রবীন্দ্রনাথ এর শিলং বা� � � সময়�, শিলং �-� লীলা মজুমদা� দেখা পা� বাংলার বা� স্যা� আশুতোষ মুখার্জ্জীর। শিলং� লীলা পড়তেন ক্যাথলিকদে� মিশন স্কুলে যা� প্রায় ষো� আন� ছাত্রী� ছিলো দেশী ক্রিশ্চান। তব� সব স্বপ্নের মত� শিলং বাসে� কালও একসময় ফুরায়।প্রমদারঞ্জন কলকাতায় বদলী হন, পুরো পরিবার চল� যায় গড়পার� উপেন্দ্রকিশোরে� রেখে যাওয়া ইউ রায় এন্ড সন্সের বাড়িত�, যে বাড়িত� সত্যজিতে� জীবনের প্রথ� কিছুদি� কেটেছে� উপেন্দ্রকিশোরে� মৃত্যু পর সুকুমা� সন্দেশের ভা� নিয়েছিলেন, তব� মাত্� ছয়ত্রিশ বছ� বয়স� কালাজ্বর� তা� মৃত্যূতে সন্দেশের দি� ফুরালো� লীলা মজুমদারে� সাহিত্যি� জীবনের হাতেখড়ি� সন্দেশেই, সন্দেশ বন্ধ হবার পর তা� একটা দীর্� বিরত� আছ� তাঁর লেখালেখিতে� এর মাঝে� তারা অবশ্� উঠ� এসেছেন ভবানীপুরে, ভর্ত� হয়েছে� ডায়াশেস� স্কুলে, সেখানে� বি�, এম� শে� করেছিলেন� মাঝে তিনমাস বোর্ডি� � থাকা� অভিজ্ঞতা� হয়েছিলো� কি সব আত্মীয় পরিজনে� মধ্যেই না তিনি বড� হয়েছিলেন। বড� জ্যাঠামশাই সারদ� রঞ্জ� ছিলে� বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যক্�, এক পিসে মশাই ছিলে� কুন্তলী�, দেলখোস সুগন্ধী� আবিষ্কর্তা� ঠাকু� পরিবারের মত� এই পরিবারটি� ছিলো ব্রাহ্ম। পড়াশোনা শেষে দার্জিলি� � প্রথ� চাকরী� তারপ� শান্তিনিকেতন, পর� আশুতোষ কলেজ� মাঝে কিছুদি� কা� করেছেন গোখল� কলেজেও� এরকম অদ্ভুত সুন্দর কিন্তু সাদামাটা শৈশব � যুগে আর হব� না বোধহয়� আত্মীয় এব� অনাত্মীয়ের এম� দৃঢ় বন্ধনও আজকা� আর দেখা যায় না� বই শে� করেছেন লীলা মজুমদা� আটচল্লিশ বছ� পর তাঁর পুনরায� শিলং ভ্রম� দিয়ে। পুরোনো শৈশবের সে� স্মৃতি� সাথে তা� মি� নে� অনেক জায়গায়, সে� অরণ্�, সে� নির্জনতা আর নে�, দু’শ� মাইলের মধ্য� আর বাঘে� দেখা পাওয়া যায় না� শৈশব হারিয়� গেছে চল� গেছে বহুদূর�, হেথা নয� হেথা নয�, আর কোনোখানে�
Profile Image for Shotabdi.
745 reviews151 followers
June 21, 2021
লীলা মজুমদা� এর আটপৌরে লেখা� ধরনটাই বড্ড মায়াময়� অবলীলায় তিনি সূক্ষ্মত� অনুভূতিগুলোও প্রকাশ কর� ফেলত� পারেন। মায়াময় কিন্তু অনাড়ম্ব� লেখা, যে� সামন� বস� গল্প কর� যাচ্ছেন৷ আত্মজীবনী বরাবরই আমার সবচেয়� পছন্দে� জনরা� একটি� তাঁর পাকদণ্ডী আগেই পড়েছিলাম। এট� বাকি ছি�, পড়ে নিলাম।
শিলং এর নাশপাত� গা�, পাহাড়, বিলেতি মে� আর ইস্কুল থেকে শান্তিনিকেতন এর শান্তি আর সবুজ সব� লীলা মজুমদারে� চোখে দেখে নিলা� আর� একবার। নিজেকে প্রক� কর� না দেখিয়েও তাঁর দৃঢ় ব্যক্তিত্বের প্রকাশ পাওয়া যায় লেখাটিতে� আত্মমর্যাদাবোধ, শিক্ষা, আভিজাত্য এব� সরসত� এই সবকিছু মিলিয়েই একজন লীলা মজুমদার।
Profile Image for Ratika Khandoker.
253 reviews24 followers
August 23, 2024
�'দি� ধরেই লেখকদে� স্মৃতিচারণামূল� বই পড়া হচ্ছে। শৈশব-কৈশো� কালে� স্মৃতি বিজরিত এই লেখাগুলোকে বিশে� কোনো জনরাতে ফেলা যায় নাকি জানিনা,তব� ফেলা গেলে সেটা� হত� আমার বর্তমানে� প্রিয় জনরা।কেন জানিনা,কত শত আগের সে� মায়ায� মোড়ান� বাল্যকালের স্মৃতিগুলো মন� হয� যে� আমার নিজে�-ই।কিসে� এক বিষণ্ণতা এস� মনটা ছেয়� ফেলে,আবার পর মুহূর্তে� তাঁদের কো� এক মজার স্মৃতি এস� সে� মন খারা� ভাবক� উড়িয়� নিয়� যায়।অথচ তাঁদের আর আমার শৈশবের মধ্য� কিন্তু বিস্তর ফারা�!
ভালো লেখা বোধহয় এমনি অনুভ� করায়।

লীলা মজুমদা� নামখান� মন� করলে� বুকে� মধ্য� যেমন তুলতুল� আদুর� উষ্ণতা এস� জড়ো হয�,এই বইটি ঠি� তেমনি।আর মাঝে মাঝে তাতে একটু খানি হিমে� হাওয়া�
পাহাড়ের কোলে সরলগাছ� ছাওয়া শৈশব লেখকের।আ�-আটটি ভা�-বো�,মা-বাবা নিয়� কেমন নিশ্চিন্� কেটেছে তাঁর জীবনের দশটি বছর।তারপ� একসময় জীবনের তাগিদে� সে� পাহাড়কে পিছু পেলে� আগ� বাড়তে হয়েছে তাঁদের।এরপ� কলকাতা-দার্জিলি�-শান্তি নিকেতন � কেটেছে তাঁর পারিবারি� জীবন,ছাত্রজীবন,কর্মজীবন।শিক্ষকত� করতে যেয়� পরিচয় হয়েছে নানা গুণী মানুষে� সাথে।কিন্ত� সর্বদা� যে� কানে বেজেছে - "হেথা নয�,হোথা নয�,অন্য কোথা,আর কোনখান�...."

বইখানা নিয়� লেখক বলেছেন এখান� তিনি সাহিত্যে� কোনো প্রলেপ দেনন�,যখ� যা যেভাবে মন� হয়েছে লিখেছেন।অথ� পড়া� পর যখ� এই "হেথা নয�,হোথা নয�,আর কোনোখানে"- এক আস্ত আবেগ হয়ে মনের মধ্য� ঘুরপাক খায়,তখ� বুঝি সাহিত্যগুণ বিচারে বইটি দারু�!
লীলা মজুমদারে� শৈশব থেকে শুরু কর� তাঁর কর্মজীবন পর্যন্� কে� যদ� জানত� আগ্রহী হো�,তাহল� "আর কোনোখানে" ছাড়� আর কোনোখানে কিছু নেই। আর সাথে রায় পরিবার,রবীন্দ্রনাথ,শান্তিনিকেতন এর কত শত স্মৃতিগাঁথ� তো আছ�-ই।
Profile Image for Farhana Shraboni.
22 reviews31 followers
Read
June 16, 2022
বইয়ের পাতাগুলি খসখস কর� বল�;
"এস�, এস�..."
কালো কালো অক্ষরগুল� গুণগুণ কর�;
"শোনো, শোনো..."

এক কোমল অনুভূতির বন্যায�,
চিত্তজগৎ যে� ভেসে গে� অপার মুগ্ধতায�...


গুরুদে� বলেছেন, "জীবন যখ� শুকায়� যায় করুণাধারায� এস�" আর আম� নিজেকে বল�;
"মন যখ� অস্থির হয�, কালো অক্ষরে� নেশায় ডুবে যাও। ওতেই শান্তি, ওতেই মুক্তি!" আর... সু�? সু� কোথায়?

' হেথা নয�, হোথা নয�, অন্য কোথা, আর কোনোখানে...'

হ্যা�, বলছিলা� লীলা মজুমদারে� জীবনলিপি "আর কোনোখানে"� কথা। যেখানে তিনি নিতান্� সাদামাটা ভাবে, খু� সাধারণ স্বাভাবি� কথায� অথ� অনন্যসাধার� বর্ণনা� গুণে এক মলাট� ফুটিয়� তুলেছে� তা� জীবনের প্রথ� প্রহরকে। মলাটবন্দী স্মৃতিরোমন্থনে, মুগ্� আবেশ�, দু'দিনে যে� ছোট্� লীলা� সাথে সাথে বেড়� উঠলা� ২৫ বছ�, ঘুরে এলাম শিলং থেকে শান্তিনিকেতন!

অথ� এই লীলা মজুমদারে� পরিচয় দিতে গিয়� অনেক� হয়ত� বলবে� ; প্রমদারঞ্জ� রায়ের মেয়�, উপেন্দ্রকিশো� রায়ের ভাতিজি, সুকুমা� রায়ের বো� অথবা সত্যজি� রায়ের ফুফু!
কিন্তু এসবে� বাইরেও তিনি নিজস্ব অদ্ভুত সুন্দর লেখনী� গুণে� অনন্য। আলাদ� একটা ব্রান্�!

পড়ত� গিয়�, পাহাড়ের নির্ঝঞ্ঝাট জীবন, গাছপাল� প্রকৃতির অনন্যসাধার� মোহনীয় বর্ণনায় যে� সবকিছু দেখত� পাচ্ছিলা� চোখে� সামন�, একটা বুনো মিষ্টি গন্ধ যে� ভুরভুর করছি� চারিপাশে, মন� পড়ে যাচ্ছি� নিজে� ছোটবেল�...

আচ্ছ�, একটা বী� থেকে চারাগা� গজাব�, � আর এম� কি নতুন কথ�? কিন্তু এই লেখিকা, এমনভাব� একটা শী� বীজে� অঙ্কুরোদগমের বর্ণনা দিয়েছেন, যে� সামন� থেকে দেখত� পাচ্ছিলা�, এইতো বী� ফুটে দুটো পাতা বেরুলো!

নাতিদীর্� এই বইয়� এক� এক� রায় পরিবারের সব সদস্যদের গুণে� পরিচয় তুলে ধরেছেন� তা� চো� দিয়� চেনা মানুষগুলোর সাথে� যে� নতুন কর� পরিচিত হই� আবার দুঃখ করেছেন, ভা� সুকুমা� রায়কে আজ লোকে ভুলত� বসেছ� বল�, যে মানুষটার একটা জীবনী পর্যন্� রচিত হয়ন�, এখ� যা� পরিচয় হয়ে উঠেছ� সত্যজি� রায়ের পিতা হিসেবে� তাইত� আফসো� কর� বলেছেন;

"লোকে যখ� বড়দ� কে সত্যজি� রায়ের বাবা বল� পরিচয় দেয়, হাসি� পায়, কান্না� পায়! অম� বা� নইলে কি আর অম� ছেলে হয�! যেমন গাছট�, তেমন� তা� ফলটিও।"

ব্যক্তিগতভাব� 'আত্মজীবনী' আমা�� পছন্দে� জন্র� গুলো� একটি! একজন লেখক যখ� নিজে� অতী� খুঁড়ে শব্দের মালা গাঁথেন, তা� আসলে তুলন� হয়ন�!আর আম� পাঠক হিসেবে বড্ড আনাড়ি, তাইত� বিচা� বিশ্লেষণের দোরগোড়াতে� পা মাড়াই না, পাছে ভু� হয়ে যায়! হাহাহা! কা� শুধু একটা�, 'যতটুকু পারো, রস আস্বাদ� কর�... আর কারো অভিজ্ঞতা� গল্প শুনত� শুনত�, পারল� আরেকটা জীবন বেঁচ� এস�! বল� তো যায় না, নিজে� অভিজ্ঞতা� ঝুলিতে� যদ� ভুলে দু কড়ি পড়ে যায়!!


"Plant a green bough within your heart,
and the singing bird will come one day, surely... "


আর হ্যা�, একজনকে ধন্যবা� না দিলে আমার এইযে দু'কথ� লেখা� প্রয়া� অসম্পূর্� রয়ে যাবে, যিনি আমায� পড়া� জন্য প্রতিনিয়ত� তাগদ� দেন। তা� উদ্দেশ্য� বলতে চা�;

জীবন� বহ� ব্যর্থ, বন্ধ্য� দিবস-মাসে� মধ্য� এই 'বই পড়া� দিনগুল�' তারা� মত� উজ্জ্ব� হয়ে থাকব� স্মৃতিপট�!
Profile Image for Victor Ghoshe.
Author6 books13 followers
June 8, 2017
Pictursque.

What a book. you just live through it.....
Mountains, forests, and a walk through a long lost time...

Fantastic !!!
Profile Image for প্রিয়াক্ষী ঘোষ.
339 reviews30 followers
September 25, 2021
" পৃথিবী� মধ্য� সবচেয়� নিরাপদ স্থা� ছি� আমার মায়ের বাড়িটি।"--
বইটা� প্রথ� লাইন ছিলো এটা। নিরাপদ একটা স্থা� এব� মায়ের ছায়াত� ছো� থেকে বেড়� উঠেছিলেন ভাইবোন মিলে� ছো� বেলা কেটেছে শিলং-�, বাবা� কর্মসূত্রে, বাবা চাকর� করতে� বন বিভাগে� মধ্য বয়সটা কেটেছে কলকাতাতে তারপ� ১৯৫৪ সালে এর পর শান্তিনিকেতন� কবিগুরুর আশ্রমে, সে এক জীবনের পর� প্রাপ্তিটা যে� সেখা� থেকে� পেয়� গেলেন।

লীলা মজুমদা� এর জন্ম বিখ্যা� রায় পরিবারে। লেখালেখি� শুরু টা ছো� থেকে� বড়দ� সুকুমা� রায় এর হা� ধর� "সন্দেশ" পত্রিকাত� লেখা প্রকাশ পায়, তা� পর ধীরে ধীরে অন্য পত্রিকাত� লেখা প্রকাশ পায়� অধ্যাপনা এব� লেখালেখি এক� সাথে চলতে থাকে�

"আর কোনখান�" একটা স্মৃতিচারন মূলক বই� এত� লেখিকা ছো� থেকে ধারাবাহি� ভাবে স্মৃতি চারণ কর� লিখে গেছে� গল্প বলার মত করে। সহ� সর� সে বলা। প্রচন্� রকমে� কো� চেষ্টা কোথা� না� ভালো বই হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে কিন্তু দারু� মধুর সব অনুভূত� � স্মৃতিকথা। বিখ্যা� পরিবার� জন্ম বিশিষ্টজনে� সাথে চল� ফেরা পারিবারি� সূত্রে এব� কর্মসূত্রে বিভিন্� জায়গায়� কিছু একান্ত ব্যক্তিগ� জিনি� এখান� তুলে আনেননি হয়ত� ইচ্ছ� করেই, তাছাড়� ছো� থেকে সব স্মৃতি� তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন�
একটা মানুষে� জীবন কি সর� অথ� কি মাধুর্য্যে ভরা।

📖 আর কোনোখানে
🖊 লীলা মজুমদা�
Profile Image for Farjana Rahman.
24 reviews3 followers
August 15, 2024
বই: আর কোনখান�
লেখক: লীলা মজুমদা�
প্রকাশনী: মিত্� � ঘো� পাবলিশার্স প্রা� লি� (ভারত)
ধর�: স্মৃতিকথ�
পৃষ্ঠা: ১৯�
মূল্�: ২৫� রূপী

�.

সংবেদনশী� স্নিগ্ধতায� আটপৌরে যে গল্পগুলো জম� থাকে অতীতে, সেসক� গল্পগুলো আলাদ� একটা মায়ার আবরন� আবৃত থাকে� অতীতে� সুতোয় টা� মেরে জীবন, সংস্কৃতি বা নিতান্তা� প্রকৃতির যে ভুলে যাওয়া রূ� - তা উঠ� আস� লেখকদে� স্মৃতিকথার পৃষ্ঠা জুড়ে। নানা রক� যতিচিহ্নের প্রয়োগে যেমন একটা লেখা দাঁড়ায়, ঠি� তেমন� ফেলে আস� দিনে� নানা স্মৃতিকথার প্রয়োগে� একটা আত্মজীবনী/স্মৃতিকথ� হয়ে ওঠ� সার্বজনী� মুগ্ধতার একক। প্রজন্মে� পর প্রজন্� ধর� সে� মুগ্ধত� বয়ে যায় নদী� মতো। লীলা মজুমদারে� "আর কোনখান�" তেমন� একটি বই�

�.

লীলা মজুমদার। তিনি তা� প্রথ� আত্মজীবনী 'আর কোনখান�'-এর জন্য ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্� পুরস্কার পান। শিল্�-সাহিত্�-সংস্কৃতি � মননে� বিকাশে� ক্ষেত্রে ঠাকু� পরিবারের মতোই আর� একটি পরিবার উজ্জ্ব� দৃষ্টান্� হয়ে আছে। রায়চৌধুরী পরিবার� কে নে� এই পরিবার� - সরদারঞ্জ�, প্রমদারঞ্জ�, উপেন্দ্রকিশো�, সুকুমা�, কুলদারঞ্জন, সুখলতা, সত্যজি� রায় - স্বমহিমায় উদ্ভাসিত এক একটা উজ্জ্ব� নক্ষত্র। লীলা মজুমদারও এই ঘরের� একজন উজ্জ্ব� তারকা।
"বনের খব�" বইয়ের লেখক প্রমদারঞ্জ� রায় লীলা মজুমদারে� পিতা� মাতা সুরম� দেবী� বিয়ের আগ� লীলা মজুমদা� ছিলে� লীলা রায়� বাবা� চাকরিসূত্র� লীলা মজুমদারে� ছোটবেল� কেটেছে শিলঙে। পড়াশুনা� সেখানে� লীলা মজুমদা� যখ� লীলা রায়, তখ� থেকে� তা� লেখালেখি� শুরু� ছেলেবেলা শিলঙ�, মধ্যবয়স কলকাতায় এব� তা� পর� শান্তিনিকেতন� বাড়� কর� সেখানে� বা� করেন� এই মহীয়সী নারী, সৃষ্টিশী�-সর� লেখিকা বেঁচ� ছিলে� প্রায় শত-বছর। জন্ম ১৯০৮ সালে� মৃত্� ৫ই এপ্রিল ২০০৭ এ।

"আর কোনখান�" লেখিকা� শৈশব, পাহাড়� বেড়� ওঠ�, তা� কর্মজীবনের একাং�, শান্তিনিকেতনের সময়গুলো এব� পরিশেষ� অজস্� রথী-মহারথীদে� কথার মেলা�

�.

"হেথা নয�, হেথা নয�, আর কোন্খানে�"

বলাকায� রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরে� "সন্ধ্যারাগ� ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখান� বাঁক�" এর উক্ত লাইনটি থেকে� যে "আর কোনখান�" নামকরন সেটা সহজে� বোঝা যায়� বইয়ের মাঝে� সে� আভাস রয়েছে� মণীন্দ্� গুপ্তে� “অক্ষয� মালবেরি� যদ� হয� ক্যালেইডোস্কোপ ঘো� তব� লীলা মজুমদারে� "আর কোনখান�" � সে� ঘোরে� মতোই তীব্র। পার্থক্য এই যে "অক্ষয় মালবের�" মেলানকলি বিউটি। সেখানে "আর কোনখান�" কালারফুল বিউটি। এখান� বিষন্নতা ফুলে� সৌরভ� ঢাকা পড়া অনেকটা�

লীলা মজুমদারে� "আর কোনখান�" সে� রাবি�-হো� সেটা পড়ল� পাঠক নিজেকে নির্ণয� করবে� "এলিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ডের" এলিস-রূপে� এই রাবি�-হোলে প্রবেশ মাত্রই পাঠক দেখত� পাবে� বেগুনি আকাশ, লতান� গোলাপে� ফুলে� ছড়া� সঙ্গ� মাখামাখি হয়ে আছ� মে-ফ্লাওয়ারে� ঝো�, বারান্দা� ছাদে� কড়ি থেকে ঝুলে থাকা সরলগাছের সু� ডালে অর্কিডের বাহার। ফিকে বেগুনি, হলদে সাদা, খয়েরি ফুটক�, ঘো� বাদম� ডোরা কাটা স্বর্গের সব ফুল। তা� নীচে টব জুড়� নানা� জাতে� জেরনিয়ম ফুল।

আছ� শিলঙের অসাধার� পাহাড়� লাইফ, প্রকৃত� � বনের বর্ননা� বই থেকে কিছুটা তুলে দে�-

"যারা গভী� বন� কখনো যায় নি, তারা সেখানকার চেহারা কল্পনা করতে পারব� না� বাইর� তখনো বিকেলে� মিষ্টি রো�; পাকদন্ডী বেয়� কিছু দূ� ওঠ� সরলগাছের গোড়ায� থোপা থোপা গোলাপী বনফু�, গাছে� গায়� হানিসাকল� লত�, গন্ধ� চারদিক ভুরভুর করছে� পথের ধারে পাথরের ছায়ায� গোছা গোছা সিলভার ফার্�, ওপরট� গাঢ় সবুজ, তলায� সাদা রঙ লাগা, হাতে� উপ� চেপে ধরলে ফার্ণে� সাদা নকশা উঠ� আসে।"

�.

লীলা মজুমদারে� "আর কোনখান�" সাহিত্যে� মালঞ্চ� অন্যতম সুরভিত ফু� হিসেবে� বিবেচি� হবে। যা� সুঘ্রা� নেয়� যে কো� পাঠকের জন্যেই নিজেকে দেয়� উপহা� হিসেবে� গন্য হবে। মণীন্দ্� গুপ্তে� "অক্ষয় মালবের�" বহুবার পড়ে ভেবেছিলা� যে, এম� বই কি আর পাবো বা অক্ষয় মালবেরির মুখোমুখি দাঁড়াবা� বই? "আর কোনখান�" সে� বই হব� নিশ্চিন্তি� যদিও দুটো বইয়ের মধ্য� কিছু মি� এব� তফাৎ দুটো� আছে। অক্ষয় মালবের� যেমন শেষটায� যেয়� কিছুটা ধূসর বা শুরু� প্রচন্� ভালোলাগাটা মিইয়ে গেছে, লীলা মজুমদারে� "আর কোনখান�" � এক� রক� হয়েছে� "আর কোনখান�" এর বেলা এই মিইয়ে যাওয়াটা অনেকটা লেখিকা� ভাষা� সরলত� বা সর� ভাবট� কম� যাওয়া� অনেকটা হয়ত� বইয়ের ব্যাপ্তি কিছুটা বাড়াত� টেনে নেয়া। অথবা বয়স বেড়� যাওয়া সময়ের গল্প সে� ভাষা� যাদুতে কিছুটা অন্যরক� টো� দিয়েছ� - যেটা বইয়ের অনেকাং� জুড়� য�� মায়াবী ��েশ - তা কিছুটা হালক� করেছে।

"অক্ষয় মালবের�" আসলে খু� নির্জন� প্রকৃতির নির্জনতায় ভর কর� মোহাচ্ছন্ন কর� রাখে এর পাঠককে� সেখানে লীলা মজুমদারে� "আর কোনখান�" নির্জন না, বর� প্রকৃতির অকৃত্রিম রূ� এব� বর্ননায় মুখরিত এব� উৎসবময়। "অক্ষয় মালবের�" যদ� পাঠককে "আমন্ত্রন" জানায় তা� রূ�-সুধা অনুভ� করতে - তাহল� "আর কোনখান�" পাঠককে "নিমন্ত্র�" জানায় পাহাড়ী এক অঞ্চ� � জনপদের নানা সৌন্দর্যকে গিলে খেতে�

তব� শেষটায� যেটা বললা� সাবলী� ভঙ্গিম� এব� ভাষা� যাদুতে কিছুটা টা� পড়েছে অথবা পাঠকরে মন� হত� পারে কিছুটা ছন্নছাড়� ভা� - এস� কি "আর কোনখান�" বইয়ের সৌন্দর্য বা ভা� কম� কমিয়ে দেবে? পাঠকের চাওয়া আর না-পাওয়া� আখ্যান মিলাতে গেলে কি না-পাওয়া� আখ্যানটুকু� বড� হয়ে দেখা দেবে পাওয়া� তৃপ্তি� থেকে? আমার বিশ্বা� না� কব� শেলি� প্রসঙ্গে ব্রাউনিং কিছু অবিস্মরনীয় কথ� লিখে গেছে�, যা� বাংল� অনুবাদ এম�:-

"যাত্রাপথের শত বন্ধ্য� যোজনের মাঝে,
এক বিঘৎ ভূমি যে� তারা� মত� জ্বলে।"

আমাদের গুমরোত� থাকা এই জীবন � যাপনের মাঝে এম� এক বিঘৎ স্মৃতিগুলো� তো তারা� মত� জ্বলে। এই জীবন� সে� সব স্মৃতিগুলো� তো ব্রিদি� স্পেসে� মতো। প্রে� করতে হবে। জীবনরে আনন্দগুল� পেতে ফেলে আস� সে� সব স্মৃতি� সাথে প্রেমই এই জীবন নামক ভূমিতে থিতু হত� সাহায্� করে। "আর কোনখান�" জুড়� যে সক� মেহানীয় দিনগুলোর বর্ননা রয়েছে, যে মায়� রয়েছে, যে সিল্কে� স্কার্ফে� মত� আলতো লেপ্� থেকে অনুভ� রয়েছে - তা সে� তারা� মতোই� জ্বলজ্বল করে। বইয়ের বাকি আক্ষেপটুকু সেখানে গৌ� হয়ে দাঁড়ায়�

লীলা মজুমদারে� "আর কোনখান�" নিঃসন্দেহে খু� গুরুত্বপূর্ন একটি বই� প্রায় এক শত� পিছিয়� লেখা এই স্মৃতিকথ� পাঠকের কাছে বিশুদ্� মুগ্ধত� হয়ে� ধর� দেবে� শুধূ রায় পরিবারের কথাই না, পাশাপাশি উঠ� এসেছ� শান্তিনিকেতনের কথ�, বইয়� উপজীব্� হয়েছে বহ� বড� বড� সাহিত্যিকদের ছো� ছো� খুনসুটির কথা। লীলা মজুমদারে� সবচেয়� বড� যাদু� তা� ভাষা এব� কলমে� সর� উপস্থিতি� "আর কোনখান�" এর কোনট� থেকে� বঞ্চিত তো না� বর� আশীর্বাদপুষ্ট�
�.

লীলা মজুমদারে� "আর কোনখান�" মিত্� � ঘো� থেকে প্রকাশিত হয� ১৯৬৮ সালে� তব� বই আকার� প্রকাশের আগ� মাসি� "কথাসাহিত্য" পত্রিকায� ধারাবাহি� ভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৬৮ সালে প্রকাশের বছরই বইটি রবীন্দ্�-পুরষ্কার� সম্মানিত হয়। লীলা মজুমদারে� শিলঙ থেকে কলকাতায় আস� এব� বিয়ের আগ পর্যন্তই সবিস্তার� লেখা আছ� এই বইয়ে। "আর কোনখান�" স্মৃতিকথায� সাহিত্যে� সা� বাইর� থেকে পরান� নেই। এই সা� অন্তরে� অনেক গভীরে� তল� থেকে উঁকি মারা স্মৃতি� সাজ। শেষটায� বই থেকে কিছু অং� তুলে ধর� শে� কর�:-

"যে� বনের মধ্য� ঢুকলাম অমনি চারদিক ছায়াময় হয়ে উঠল। বাইরের শব্দ সেখানে পৌঁছয় না, শুধু ঝোপে� আড়ালে নিরন্ত� ঝি ঝি পোকা� ডা�, ঝি�-ঝি� জল পড়া� শব্দ আর পাইন বনের মধ্য� বাতাসে� দীর্ঘশ্বাস� পাখিরা বাসায় ফিরছ�, তাদে� খানি� ডাকাডাকি আর ডানা ঝাপটানি। এখানকা� সঙ্গ� চেনা পৃথিবী� সাদৃশ্� নেই। এখান� সব রং মিলে গিয়� অপূর্ব শ্যামল রূ� ধরেছে। কত রক� সবুজ, দিনে� আল� যেটুকু পৌঁছাচ্ছ� সে� সবুজ; সরলগাছের গায়� ছা� মেশানো সবুজ পরগাছা ঝুলছ�, তাদে� ‘লাইকেন� বল�, কত রক� চেহারা তাদে�, হা� দিলে শক্ত কর্কশ। হঠাৎ নাকে আস� অপূর্ব সৌরভ, চারদিক চেয়� দেখি, উঁচু ডালে অর্কিডের ফু� ফুটেছে� মোটা মোটা রসাল� শিকড� বাতাসে মেলে ধর�, কোথা� সোনালী ফুলে� ছড়া, তাদে� বুকে� ভেতরটা গাঢ় লা�, কোথা� যে� মোমে� তৈরি সাদা ফুলে বেগনির ছটা। -- আপনা থেকে� আমাদের গলার স্বর নিচু হয়ে আস�, এখান� উঁচু গলায� কথ� বলতে ইচ্ছ� কর� না�"

আপনা থেকে� পাঠকরে মন� তারা� মত� জ্বলতে থাকব� একরা� ভালোলাগা আর মুগ্ধতার রে� "আর কোনখান�" এর স্পর্শে।
Profile Image for Asif Khan Ullash.
133 reviews8 followers
December 23, 2023
এই বইটি আমার পড়া লীলা মজুমদারে� লেখা দ্বিতীয় বই� এর আগ� ‘খেরোর খাতা� পড়া� সময়� তা� সুন্দর, মসৃণ গদ্য ভালো লেগেছি�, এই বইতে� ভালো লাগা� ধারা অব্যাহ� থাকলো।

বইটি শৈশব থেকে তারুণ্যে� কিছু সময় পর্যন্� স্মৃতিচারণ� লীলা মজুমদা� বিখ্যা� রায় পরিবারের সন্তান, হ্যা সে� সুকুমা�, সত্যজি� রায়-পরিবারই। তা� বাবা� কম বিখ্যা� নন, “বনে� খবর�- এই একটি বই� লেখক প্রমদারঞ্জ� রায় কে বিখ্যা� কর� রেখেছে�
লীলা মজুমদারে� লেখায় শিলং-� তা� বাল্যকাল, মিশনার� স্কুলে পড়া� স্মৃতি, পরবর্তীতে কলকাতা শহরে কলেজ� পড়বার স্মৃতি, শান্তিনিকেতন � আশুতোষ কলেজ� শিক্ষকতা� স্মৃতি� সাথে সাথে রায়বাড়�, নিজে� পরিবারের নানা কথাও উঠ� এসেছে। লেখা� ক্ষেত্রে লীলা মজুমদা� ছিলে� একদম সৎ, অকপট� তব� খেরো� খাতায় যে সূক্ষ্� হিউমারের ছোঁয়া ছি� এই বইতে সেটা না পেয়� একটু হতাশ-� হয়েছি� সবমিলিয়� ভালো বই অব্যশই কিন্তু পড়তেই হব� এম� কো� বই নয়।
Profile Image for Polo.
77 reviews
October 12, 2022
লীলা মজুমদারে� আত্মজীবনী� গু� নির্ধারণ করার ধৃষ্টত� আমার নেই। পাকদন্ডী� মত বই আম� খু� কম-� পড়েছি� তারপরে� এই বইটি পড়ল� এই বইটিকে তুলনামূলকভাব� অসম্পূর্� বল� মন� হয়। লেখিকা� জীবন, ভাবদর্শণ এই বইটি� পাতায় জায়গা পেয়েছে। বইটি� শে� বাক্যট� আমার চিরকাল মন� থেকে যাবে�
Profile Image for Sabah Puspa.
22 reviews15 followers
December 12, 2022
সর� সহ� জীবন, সর� হিসাব। সে সময়ের সমাজের অন্য এক রূ�, পাহাড়ের বুকে জীবন - শান্� স্নিগ্� এক অনূভুতি।
Profile Image for Aishwarja.
6 reviews
December 12, 2024
আদ� আদ� আর মিষ্টি কর� লেখা লীলা মজুমদা� এর এই বইটি কেবল পড়তেই ইচ্ছ� করে। কী সহ�, কী সুন্দর! যেনো চোখে� সামনেই সব দেখত� পাচ্ছি� নিঃসন্দেহে মনের আরাম�
Profile Image for Md. Tahmid Mojumder.
81 reviews7 followers
May 8, 2023
"এক-একদি� সকাল� দেখেছিলা� সে� জালে শিশিরে� ফোঁট� দুলছ�, তাতে সকালের রো� পড়ে হাজা� রঙ ঠিকরোচ্ছ�, যে� হীরে� মালাখানি�"

সামান্� একটা মাকড়সার জালে� বর্ণনা এমনই অপরূ� হয়ে ওঠ� লীলা মজুমদারে� জাদুকরী কলমে�

এরপরেই পা� মায়ের ফুলগাছের অপার্থিব সৌন্দর্যের কথা�

"..... গো� গো� একগোছা পাতা� মধ্য� গাঢ় বেগন� ভায়োলেট ফুটত, পাঁচটি পাপড়ি অপরূ� ভঙ্গিত� সাজানো, মাঝখান� কেশর কোনাকুনি বসেছ�, সে ফুলে� গন্ধ � জগতে� নয়।"

প্রাকৃতি� সৌন্দর্য বর্ণনা� পাশাপাশি নিজে� আশপাশে� মানুষজনে� কথাও পা� অত� চমৎকারভাবে� যেমন, লেখিকা তাঁর ছোটবোনের ছোট্টবেলার এক বর্ণনা দিচ্ছে� এভাবে�

"..... তা� উপরে আমার ভারি ন্যাওট� হয়ে উঠল। সে আরেক জ্বালা; একেবার� ছাড়তে চাইত না� স্কুলে যাবা� সময় লুকিয়� পালিয়� যেতে হত� ফিরবার সময় তাড়াতাড়ি পা চালাতা�, বাড়িত� যে দুটো নী� ছায়� লাগা চো� আর দুটো নর� নর� বাহু আমার জন্য� অপেক্ষ� করত। সে� দশ বছ� বয়স থেকে� বুঝত� শুরু করলা� ভালোবাসা� বড� জ্বালা!"

পড়া� সময় মন� অনেক আনন্� ছি� ঠি� কিন্তু �-� সত্য যে, যাদে� জীবন এম� বৈচিত্র্যময় শেষে� দিকে তাদে� নিঃসঙ্গতার হাহাকারটাও একটু বেশি� জোরালো হয�, যা� বর্ণনা পা� এই অংশটুকুতে�

"আর আমার সে� ভালোবাসা� মানুষগুলোর কী হল?
বাবা, মা, জ্যাঠামশাইরা, জ্যাঠাইমার�, পিসিমারা, মাসিমারা, বড়দ�, বড়বৌঠান, মণিদ�, আর� কতজন� কে� বয়স হয়ে, কে� বয়স না হতেই, যা� যখ� সময় হল, চল� গেছেন। একদি� যাঁদের বারণ উপদে� শুনে তিতিবিরক্ত হয়ে উঠতা�, এখ� তাঁর� কে� আমার কোনো কাজে বাধা দে� না বল� মনটা কেমন করে।"

সবমিলিয়� "আর কোনোখানে" অসাধারণ। তব� লেখিকা� "পাকদণ্ডী" পড়ে থাকল� এট� আর না পড়লেও চলবে বল� মন� হয়েছে� স্মৃতিকথ� ঘরানাট� অনেক বেশি পছন্দে� বলেই এট� না পড়ে থাকত� পারিনি�
Displaying 1 - 27 of 27 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.