শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় একজন ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক।
তিনি ব্রিটি� ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি� অন্তর্গত ময়মনসিংহে (বর্তমানে বাংলাদেশের অং�) জন্মগ্রহ� করেন—যেখান� তাঁর জীবনের প্রথ� এগার� বছ� কাটে� ভারত বিভাজনের সময় তাঁর পরিবার কলকাতা চল� আসে। এই সময় রেলওয়েত� চাকুরিরত পিতা� সঙ্গ� তিনি অস�, পশ্চিমবঙ্গ � বিহারে� বিভিন্� স্থানে তাঁর জীবন অতিবাহিত করেন� তিনি কোচবিহারের ভিক্টোরিয়� কলেজ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্� করেন� পর� কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায� স্নাতকোত্ত� ডিগ্রি লা� করেন� শীর্ষেন্দু একজন বিদ্যালয়ে� শিক্ষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন� বর্তমানে তিনি আনন্দবাজার পত্রিক� � দে� পত্রিকার সঙ্গ� জড়িত।
তাঁর প্রথ� গল্প জলতরȨ� শিরোনামে ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে দে� পত্রিকায� প্রকাশিত হয়। সা� বছ� পর� সে� এক� পত্রিকার পূজাবার্ষিকীতে তাঁর প্রথ� উপন্যা� ঘু� পোকা প্রকাশিত হয়। ছোটদের জন্য লেখা তাঁর প্রথ� উপন্যাসে� না� মনোজদে� অদ্ভুত বাড়��
মাত্� ৬৪ পৃষ্ঠা� বইটা পড়ে শে� করতে ঘণ্টাখানেক সময় লেগেছে� শীর্ষেন্দুবাবু� লেখায় একটা মায়� বা সৌন্দর্য আছ� যেটা সুচিত্রা ভট্টাচার্য ছাড়� অন্য কারো� জীবনধর্মী লেখায় পা� না আমি।
"ঘুণপোক�" শ্যামে� জীবনের গল্প� একটা গালিতে রেগে গিয়� চাকর� ছেড়� দেয়� উদভ্রান্� শ্যা� ; যা� ছন্নছাড়� দিনগুলোর বিষণ্ণ প্রতিচ্ছবি হয়ত� অনেকের� জীবনচিত্র। এই বইয়ের রিভি� লিখা আমার পক্ষ� সম্ভ� নয�, ছোট্� পরিসরে শীর্ষেন্দু বিশা� কিছু প্রকাশ কর� ফেলেছেন। হয়ত� নিজে পড়ে দেখাটা� ভালো�
গ্রীষ্মে� শুরু� দিকে শিমুলে� তুলা যেরক� বাতাসে ভেসে ভেসে বেড়ায�, সেরকমই কোনো এক দমকা হাওয়া এস� আচমকাই ভাসিয়� নিয়� যায় কারো কারো অস্তিত্বকে� তখ� স্মৃতি আর কল্পনা� মধ্য� পার্থক্য খুঁজ� পাওয়া যায় না, ব্যর্থ অতীতক� মন� হয� কোনো হাস্যক� কৌতুক। ভবিষ্য� ভাবন�, অতীতে� দহ� তা� সবকিছু পেছন� ফেলে মানু� খুঁজ� ফেরে তা� আপ� অস্তিত্বকে�
একটি প্রায় তুচ্� ঘটনা� কারণ� চাকর� ছেড়� দেওয়া� পর� এমনই এক হাওয়ায় ভেসে যায় শ্যা� নামে� এক যুবক� তারপ� থেকে উল্ট� যায় তা� জীবনের সক� সমীকরণ। কখনও নিজেকে নিজে� কাছে বিপন্ন হত� দেখে� আবার কখনও আয়নার নিজে� প্রতিরূপ� নিজেকে দেখে চমকে ওঠে। এক শঙ্ক� বিহী�, উদাসী�,লক্ষ্যহী� জীবন স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হয়ে ওঠে। কিন্তু কি করবে সে? কি করার আছ� তা�? যে দমকা হাওয়া তা� জীবন� ঘুণপোকার মত� অস্তিত্বের ঘু� ঝড়িয়� চলছে তাকে থামানো� কি কোনো উপায� আছ�?
শুভ্�,মিসি� আলী,কিংব� হিমু সমগ্� অনেক আগেই পড়ে শে� করার পর� হুমায়ূন আহমেদে� শঙ্খনী� কারাগা� কিংব� নন্দিত নরকে যখ� পড়ত� গিয়েছ�, বারবার কেবল বিস্মি� হয়েছি� যে হুমায়ূনী গল্পের স্টাইলের কিংব� লেখা� ধাঁচের সাথে আম� পরিচিত, তা� সাথে এদের মি� খু� সামান্যই পেয়েছি। বৃষ্টি� ঘ্রা� কিংব� ঘুণপোক� পড়ত� নিয়� শীর্ষেন্দু সম্পর্কে� এরকম অভিজ্ঞতা হলো। এখ� মন� হয�, শীর্ষেন্দু, হুমায়ূন যেভাবে শক্তপায়� শুরু করেছিলেন সাহিত্যে� পথযাত্রা, শেষে� দিকে এস� সে পথের� উল্টোদিক� হেঁটেছেন � তাদে� এই লেখাগুলো� তুলনায� তাদে� বাকিসব লেখাগুলোকে খাঁজ� মন� হয়। এরকম লেখা বারবার পড়ত� ইচ্ছ� করে। কাহিনি� ঘনঘট� নে�, প্লট� আহামরি ইন্টারেস্টিং কিছু নয�, তবুও সবকিছু ছাপিয়� যায় শ্যামে� বিচ্ছিন্নত� বো�, একাকীত্�, অবসা�, উদাসীনতা। যাস্� দারু�!
"তোমা� কি অনেক প্রেমি�? ভালো, কিন্তু দেখো, একদি� পৃথিবী খু� নির্জন হয়ে যাবে� তখ� তোমা� লুকিয়� থাকা� নিরাপদ জায়গা থাকব� না, থাকব� না পালিয়� যাওয়া� সহ� পথ"
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের প্রথ� উপন্যা� “ঘুণপোকা� পাঠে� পর... . লিখে যে কিছু হয� না সে কথ� ততদিনে জেনে গিয়েছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়� আবার এটুকুও তিনি নিশ্চি� হয়েছে� যে লিখে আর যা� যা-� কিছু হো� না কে�, তা� অন্ত� কিছু হব� না� তা� একটি অত� নিম্নমানের স্কুলে শিক্ষকতা� চাকর� করতে করতে একরক� প্রায় কোনো কিছু� জন্য� না ভেবে� তখ� একের পর এক গল্প লিখে যাচ্ছিলে� তিনি� কিছু ছাপা হত তখনকার দিনে� পত্রিকায�, বাকি সব পড়ে থাকত টেবিলে� এখান� ওখানে। তেমন শোরগোল ফেলত না সেসব গল্প, কেবল মাঝে মধ্য� বন্ধুমহলেই দু� একবা� কথাপ্রসঙ্গ� উঠলে� কথ� হত সেসব গল্প নিয়ে। তারপ�, একরক� আচমকাই বল� চল�, দে� পত্রিকার সম্পাদ� সাগরময� ঘো� প্রস্তাব দিলে� শারদীয় সংখ্যায় উপন্যা� লেখবার জন্যে। তখনকার দিনে শারদীয় সংখ্যায় কিছু লেখা মানে� সে� লেখককে আর পিছন� ফিরে তাকাতে হত না� তব� সাগরময� ঘোষে� প্রস্তাবটা খু� যে একটা সম্মানজন� ছি� না, সে কথ� বলাই চলে। প্রায় দায়সারা গোছে� ভাবে তিনি বললে�, “এবারে� শারদীয় সংখ্যায় হয� তুমি না হয� বরেন চক্রবর্তী লিখবে। কে লিখব� নিজেদে� মধ্য� ঠি� কর� নাও।� এদিক� বরেন চক্রবর্তী আবার শীর্ষেন্দু� বিশে� বন্ধ� মানুষ। তাকে� মনোনী� করলে� শীর্ষেন্দু� কিন্তু বরেন চক্রবর্তী� তখ� খারা� সময় চলছে� লেখালেখি� জন্য� উপযুক্� সময় ছি� না তা� হাতে� অগত্যা শীর্ষেন্দুকে� লিখত� বসতে হল� . কিন্তু লিখবেন কি? কিছু� তো মাথায় আস� না� শীর্ষেন্দু� ভাষ্যানুসারে, “তার জীবনের মতোই তা� লেখালেখি� ছি� সম্পূর্ণ পরিকল্পনাহীন। কী লিখব� তা আগ� ছক কষ�, কোমর বেঁধ� হিসে� কর� লেখা� মত� এলেম তা� ছি� না� লিখত� বস� ভাবতেন আর ভাবত� ভাবত� লিখতেন� তিনি অনেকটা ছিলে� কাগজকুড়োনিদের মতন। রাস্তায়, ঘাটে, নর্দমা� ধারে আবর্জন� ঘেঁট� যা পায় তা� কুড়িয়ে নিয়� ঝোলায় পোরেন। এইভাবে� জীবনের নানা টুকরোটাকরা, ভাঙা আয়ন�, বাঁক� পেরে�, পুরন� কাগজ, ছেঁড়া জুতো� মত� কুড়িয়ে-বাড়িয়ে তা� যা কিছু সঞ্চয়� আর ওই সব� তা� লেখায় ভিড় কর� আসে।� . এদিক� সময় দ্রু� ফুরিয়� আস�, কিন্তু লেখা আর এগোয� না� এক চ্যাপ্টা� লিখে ভাবত� থাকে� পরের চ্যাপ্টারে কি লিখবেন� এইভাবে� বে� এলেমেলোভাব� যখ� একসময় তিনি উপন্যাসে� শে� লাইন লিখলেন তখ� বিপত্ত� বাঁধ� আরেক জায়গায় এসে। উপন্যা� তো লেখা হল একটা, উপন্যাসে� না� হব� কি? অনেক ভেবে� যখ� না� পাচ্ছিলে� না, তখ� হাতে তুলে নিলে� শ্রীশ্রী অনুকূলচন্দ্র ঠাকুরে� “সত্যানুসরন� বইটি� ভাবলেন, চো� বন্ধ কর� পৃষ্ঠা খুলে যে নামট� প্রথ� দেখবেন, সেটি� হব� তা� উপন্যাসে� নাম। চো� বন্ধ কর� বইয়ের পাতা খুলে চো� মেলে চাইতেই দেখলেন ঘুণপোক� নামটি। ব্যস, উপন্যাসে� না� রাখা হল “ঘুণপোকা”। . এই ছি� শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের প্রথ� উপন্যা� “ঘুণপোকা� লেখা� ইতিবৃত্ত� যা হো�, লেখা তো না হয� হল� কিন্তু বইটি চল� কেমন, এর খোঁজ একবা� নেয়� যাক। প্রথ� বই হিসেবে হতাশাজনক� বল� চলে। কোথা� এই বই নিয়� আলোচনা তো হল� না এমনক� যেচে পড়ে আগ বাড়িয়ে এর ওর কাছে বই নিয়� জিজ্ঞে� করলে বল�, “হ্যাঁ, পড়েছি বট�, আচ্ছ�, পর� আলোচনা কর� যাবে এই নিয়ে।� তারপরে� কিন্তু দম� গেলে� না শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়� কেনন� তিনি তো অনেক আগ� থেকে� জেনেছিলে�, লিখে কিছু হয� না, আর হলেও তা� অন্ত� কিছু হব� না�
প্রকাশের দু-তি� বছরে� মাথায় যখ� এক আত্মঘাতী কিশোরে� ডায়র��ত� পাওয়া যায় এই “ঘুণপোকা� উপন্যাসট� সে সতেরোবার পড়েছে, তখ� আশ্চর্� লাগে শীর্ষেন্দুর। তিনি কি এই বইতে তেমন কিছু লিখেছে� যা একজন মানুষক� আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে? ভাবত� থাকে� তিনি� . উপন্যাসে� প্রারম্ভ� আমরা পা� শ্যা� চক্রবর্তীকে, যে কিনা মাত্রই সেইন্ট এন্ড মিলারে� এডমিনেস্ট্রেশনের চাকরিত� ইস্তফা দিয়েছে। ইস্তফা দেবা� কারণটা প্রথ� প্রথ� শ্যামে� কাছে বে� তুচ্ছই লাগে� বস তাকে “বাস্টার্ড� বল� গালি দিয়েছ�, তা বস ওরকম গালি প্রায়� এক� তাকে দিয়েই থাকেন। শ্যা� নিজে� বসের এই গালিগালা� নক� কর� দেখিয়েছ� এব� বলেছ� এস� গালি আসলে মুখে�, অন্তরে� নয়। কিন্তু তারপরে� তাকে দেয়� গালিটা ঠি� হজ� করতে পারল না শ্যাম। থেকে থেকে কেবল� একটা শব্দ� ফিরে ফিরে আস� তা� মগজে� কোণায়� সে� শব্দের হা� থেকে বাঁচতে� একসময় চাকরিট� ছেড়� দি� শ্যাম। আর তারপরে� তা� সে� চিরচেন� ঘড়ি ধর� ছক� বাঁধ� জীবন, মাপা হাসি, স্যু�-টা� পড়া নিখুঁত ছাঁচের চল�-বল�, নারীপ্রেমলোভী শ্যামে� জীবন যে� হঠাৎ করেই এলেমেল� হয়ে গেল। . উপন্যাসট� পড়ত� পড়ত� শ্যামে� সাথে একটা জায়গায় আশ্চর্যজনক মি� পা� হারুকি মুরাকামি� “The Wind-up Bird Chronicle� উপন্যাসে� নায়� তর� ওকাডা’র� দুজনেই কর্মহী� জীবন কাটায়� তর� যেমন কা� খুঁজ� না পেয়� স্টেশন� যাওয়া আস� করার মানুষে� মুখে� দিকে তাকিয়� থাকে, তাদেরক� বোঝা� চেষ্টা কর�, শ্যামও তেমন� ট্রামে-বাসে যাতায়াত কর� প্রতিদিন অচেন� লোকে� পিছু নেয়� নিজেকে� যে� খোঁজে। ট্রামে ওঠ� লোকটির চেহারা দেখে নিজেকে বল�, এই লোকট� তারই মত� নারীলোভী, অসৎ। তারই মত� অহংকারী, খু� তাড়াতাড়ি উপরে উঠতে চায়� এত� তা� উপরে ওঠার শখ যে নিজে� আত্মপরিচয় পর্যন্� বিকিয়� দিতে পারে নগদে� অথ� লোকটিক� কোনো খারা� কা� করতে না দেখে হতাশ হয়ে পড়ে শ্যাম। . অর্থ-বিত্�-নারী-সম্প� আর সম্মানের মোহে ছুটত� ছুটত� একসময় শ্যা� ভুলে গিয়েছিল সত্যিকারের ভালোবাসা� কথা। দূ� থেকে কে� যে� বীজমন্ত্রে� মত� জপ� যাচ্ছে তা� না� “মনু মন� � মন� মন� রে...� নিজেকে প্রশ্ন কর� শ্যা�? সে আসলে কে? সে কি সেইন্ট এন্ড মিলারে� ছোটসাহেব নাকি ঢাকা জেলা� বানখড়� গ্রামে� কমলাক্� চক্রবর্তী� ছেলে শ্যা�? নাকি সে কেবল� মন�? সে� ডাকে� কা� থেকে কোনোখানে� নে� লুকিয়� থাকবার নিরাপদ জায়গা, কিংব� পালিয়� যাওয়া� সহ� পথ� সব জায়গাতে� তা� জন্য অপেক্ষ� করছে ওই প্রশ্ন, তুমি কে? . নিজেকে এতকা� ভীষণ ইম্পর্ট্যান্� ভেবে এসেছিল শ্যাম। সবকিছু তা� খু� সহজে পাওয়া� কথ� ভেবেছি� সে� অথ� যা পেয়েছিল, একদি� জানত� পারল সে সব� ছি� ভুলে ভর�, মেকি� এতকা� সবাই কেবল ঠকিয়ে� এসেছ� তাকে� নইলে কে� শ্যামে� বুকে� ভিতর� এখনও রেলগাড়ি� শব্দ হয�? কে� মাঝে মাঝে দরজা খুঁজ� পায় না? গাছে� ছায়� খুঁজ� পায় না? কোথায় ভু� হচ্ছ�? এতকা� তো শ্যামে� সব দরজা� ছি� চেনা, সহজে খুলেছে সেসব দরজা� তাহল� আজ কে� হঠাৎ ভালোবাসা� জন্য আবার ওর হাঁট� গেড়� বসতে ইচ্ছ� করছে? . অনেকেই দেখলাম এই উপন্যাসটিক� একজন বেকা�, প্রায়-উন্মাদ যুবকের দিনলিপ� গোছে� কিছু মন� করেছেন� কিন্তু এই উপন্যাসটিক� কেবল� এক বেকা� যুবকের হাহাকা� ভাবল� বে� ভু� ভাবা হয়। আদতে শ্যা� বেকা� যুবক ছি� না, বরঞ্� সে ইচ্ছাকৃতভাবে চাকর� ছেড়� দিয়� নির্বাসন নিয়েছ� জনারণ্যে� উপরন্ত� তা� ইচ্ছাও ছি� না আর চাকর� করার, একটা চাকরির ইন্টারভিউয়ে সে যেমন দায়সারা গোছে� উত্ত� দিচ্ছি� তাতে� সে� জিনিসট� প্রতীয়মা� হয়। এই উপন্যা� কেবল শ্যামে� আত্মানুসন্ধা� বলেই মন� হয়েছে আমার কাছে� নিজেকে ফিরে পাবা� আকুত� রয়েছে, নিজে� অস্তিত্বের কাছে ফেরা� একটা প্রয়া� রয়েছে উপন্যাসটিতে। যদিও উপন্যাসটিক� আম� খু� একটা সুলিখি� বল� মানছ� না� অনেক জায়গাতে� বে� খাপছাড়া ভাবে লিখেছে� শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়� উপরন্ত� শ্যামে� শৈশবকে আর� স্পষ্টভাবে ফুটিয়� তোলা� প্রয়োজন ছি� বল� বো� করেছ� উপন্যাসট� পড়া� সময়� তারপরে� এই উপন্যাসট� বে� সুখপাঠ্য� গতানুগতি� শীর্ষেন্দু� “রূপকথাময় ফিনিশিং�-এর বাইরের একটা কাজ। . শীর্ষেন্দু ভেবেছিলে� তা� এই উপন্যাসে� কথ� লোকে ভুলে যাবে� অথ� প্রকাশের ৪৫ বছ� পরেও যখ� বইটিকে পাওয়া যায় বাজারে, তখ� বে� আশ্চর্যান্বি� হন তিনি� এখনও এই বই মানু� খুঁজ� পড়ে? আমার কাছে মন� হয়েছে যতদি� মানু� নিজেকে খুঁজবে, যতদি� মানুষে� মগজে-অন্তরে-হৃদয়ে ঘুণপোকার মত� শব্দ হব�, “তুম� কে? তুমি কে?� ততদি� মানু� এই বই খুঁজ� খুঁজ� পড়বে। . সবাইকে বইটি পড়া� আমন্ত্রণ জানিয়� ধন্যবাদ।
বাংলায� "noir" অর্থাৎ তিমিরাচ্চন্ন লেখা-� খু� কম� দৃষ্টান্� আছ�, "ঘুণপোক�" তা� মধ্য� একটি� এই বইটা দিয়েই শীর্ষেন্দু-� প্রাপ্�-বয়স সাহিত্যে আত্মপ্রকাশ� নাতি-দীর্� উপন্যা�, একজন যুবকের আত্মহননে� আবর্তে পড়া� কাহিনী, একজন ছিন্নমূল ভরপু� যুবকের উড্ডীয়মা� জীবন থেকে নিরুৎসাহ আর নিশ্চেষ্� হওয়ার অদ্ভুত মানুষি� যাত্রাপথের কাহিনী� আমার ব্যাক্তিগত ভাবে বইটা খুবই ভালো লেগেছে এব� অন্তরদৃষ্টিপূর্ণ লেগেছে, একজন নিরবিকার অথ� উন্মাদ-প্রায় মানুষে� যে অদ্ভুত ক্রিয়াকলাপে� বর্ণনা আছ�, তা বিস্ময়ক� হলেও সঙ্গতিপূর্� লেগেছে, বিনাশে� অমোঘ পরিণামের দিকে ক্রম� অগ্রসর হওয়ার অনুভূতিট� কাহিনী� সর্বক্ষণের সঙ্গ� এব� এর আস্বাদ� অবশ্যই সকলে� কর� দেখা উচিত� তুলনামূল� ভাবে, শীর্ষেন্দু-� অন্যান্য উপন্যাসে, যেমন "ফেরীঘা�"-�, নিঃসঙ্গত�, হঠাত জীবনের প্রত� মো� হারিয়� যাওয়া, ইত্যাদী বিষয়গুলির আবির্ভাব হয়েছে� যে� জটিল মানুষি� প্রক্রিয়া� বিবৃতি দিয়েছেন, ওনার এই প্রথ� বইটিতে তা� প্রকাশ ভঙ্গ� ততটা পরিণতরূপ পায়নি� এর ফল� এই ধর্মের সাহিত্যে� নতুন পাঠকের কাছে ঘটনাবলী� অর্থময়ত�-টা কিছুটা অবোধগম্য রয়ে যেতে পারে�
মন� হল� লেখকের চিন্তাভাবন� ছাড়� একটা উপন্যা� লিখত� ইচ্ছ� হয়েছে বলেই এট� লিখেছেন। কাহিনী নে�, নাটকীয়তা নেই। থাকা� মধ্য� ছিলো একটা চরিত্র� সেটারও বিকা� নেই। শীর্ষেন্দু� সবচেয়� বাজে লেখাগুলো� একটা�
Shirshendu: Can I copy your homework? Kafka: Sure, but make sure to alter it a little...
Shirshendu: Can I copy yours? Sartre: huh? Shirshendu: bonjour, merci beaucoup
Shirshendu: *scribbles violently with copies of Metamorphosis and Nausea open in front of him.* okay, instead of cockroach...I'm gonna make him a...what about a wood-louse?
ছোটবেল� থেকে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর না� শোনেনি বা গল্প পড়েনি এম� বাঙালী সন্তানের সংখ্যা কলকাতায় এখ� হয়ত� বেড়েছ�, তব� আমাদের ছোটবেলায� কম� ছিল। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর ভূতে� গল্প ছাড়� অন্য কোনো ভুতে� সঙ্গ� কস্মিনকালে� সখ্যতা ছি� না আমার� তব� ভূতে� গল্পের লক্ষণরেখার বাইরের অন্য শীর্ষেন্দু বাবুকে জানা� সৌভাগ্� হয়ন� আমার সেভাবে� সে� অজানাক� জানত� সাহায্� করেছিল এই বই�
সত্য� বলতে বাংল� সাহিত্যে 'noir' বা 'abstruct writing' প্রায় খুঁজ� পাওয়া যায় না বললে� চলে। সে� জায়গায় দাঁড়িয়� এরকম একটা rare হাতিয়ারকে ভরসা করেই প্রাপ্�-বয়স্ক সাহিত্যে আত্মপ্রকাশ করলে� শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়� 'ঘুণপোক�' বাংল� সাহিত্যে� অন্যতম 'তিমিরাচ্চন্ন' বা 'noir' এর দৃষ্টান্ত। একজন যুবকের আত্মহননে� আবর্তে পড়া� কাহিনী নিয়� এই নাতিদীর্� উপন্যা� তৈরী� একজন ছিন্নমূল ভরপু� যুবকের উদীয়মা� জীবন থেকে নিরুৎসাহ আর নিশ্চেষ্� হওয়ার অদ্ভূত মানসিক যাত্রাপথের বর্ণনা আছ� এই বইতে� এই উন্মাদপ্রায় মানুষে� যে অদ্ভুত ক্রিয়াকলাপে� বর্ণনা আছ� এই বইতে তা বিস্ময়ক� মন� হলেও ভীষণভাবে সঙ্গতিপূর্ণ।
আমার মতাম�-- ব্যক্তিগ� ভাবে বইটি আমার বে� ভালো লেগেছে� প্রথমত, � বই পড়ল� সাহিত্যে� এক সম্পূর্ণ অজান� রসের সন্ধান পাওয়া যায়, যে রস খু� কম� পাওয়া যায় বাংল� সাহিত্যে� দ্বিতীয়�, বইটি ভীষণ� অন্তরদৃষ্টিপূর্ণ� বিনাশে� দিকে এগোত� থাকা মানসিক পরিস্থিতির বর্ণনা এত নিপুণভাব� আম� খু� কম� পড়েছি� আমার মন� হয�, কারু� যদ� শীর্ষেন্দু বাবু কে অন্যভাবে জানা� ইচ্ছ� থাকে তব� তা� এই বই দিয়েই সে� যাত্রা শুরু কর� উচিৎ�
শেষে বল�, এই বই অনেকের ভালো না� লাগত� পারে, তা� মুখ্� কারণ, 'noir' বা 'abstruct writing' সবার পছন্দে� জায়গা নয়। এর মধ্য� কোনো চটুল বাঁক থাকে না, অসাধার� রোমহর্ষক মোড় থেকে না, অভূতপূর্� কোনো অনুভূত� মাখানো চাদর� থাকে না� শুধু থাকে একটি� গন্তব্� রেখে তা� দিকে ক্রম� এগিয়ে যাওয়া� মানসিক � শারীরি� যাত্রাপথ� যা অনেকের কাছে 'boring' হতেই পারে� তব� যারা সাহিত্� ভালোবাসে�, তাদে� কাছে সব রস� সমান উপাদেয়।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের বইয়ের জগৎে আম� নতুন � এর আগ� পড়েছিলা� উনার লেখা দুইট� কিশো� উপন্যাস। তারপ� আজ পড়লাম ওনার এই মনস্তাত্ত্বি� উপন্যা� � উনার লেখা বে� সাবলী� , পড়ত� ভালো লাগে� ঘুণপোক� একটা মনস্তাত্ত্বি� � প্রাপ্� বয়স্কদে� উপন্যা� । প্লট� তেমন� খু� রোমাঞ্চক� নয� � সচরাচর এম� বই আমার খু� একটা পড়া হয� না , নিজে� পরিচিত গন্ড� বা কমফোর্� জোনে� বাইরের একটা বই এট� � লেখক অনেক সুন্দর ভাবে বইয়ের প্রধান চরিত্র শ্যামে� মনোজগত কে আমাদের সামন� তুলে ধরেছেন � মনস্তাত্ত্বি� বই আগ� আমার কাছে কিছুটা বোরি� লাগত�, অ্যাটেনশ� স্প্যা� কম� যাওয়া� কারণ� হয়ত� কিছুক্ষণ পর পর আগ্র� হারিয়� ফেলতাম � খু� বেশি চড়া�-উত্রাই থাকে না � কিন্তু এবার বে� লেগেছে� শ্যামে� ডিপ্রেশন , ভেতরের কনফ্লিক্� , টানাপোড়েন লেখন নিখুঁত ভাবে বর্ননা করেছেন� শ্যা� কলকাতায় এক� থাকে , একাক� ভবঘুরে� মত� ঘুর� বেড়ায� , বাবা-মা বো� থেকে দূরে , কাজে ইস্তফা দিয়েছ� , শরীরে� খেয়াল নে� � যখ� বইটা আম� পড়ছিলাম� , আমিও তখ� এক� , নিজে� শহ� থেকে দূরে , বাবা-মা থেকে দূরে, আমিও সময় পেলে হেঁট� বেড়াই বাঁক� শহরে.. তা� কিছু মিল� পাচ্ছিলা� � উপন্যাসে� শেষে� দিকে শ্যামে� পরিণতি ভালো হয়ন� , ভালো� হওয়ার কথাও নয� � বইটা শে� কর� একটা খারা� লাগা কাজ� করছে �
অত� প্রিয় কাউক� ভিড়ের মধ্য� খুঁজ� বে� কর� যেমন আনন্� হয�,বইটা পেয়� তেমন লেগেছে� অনেক অনেএএএএএ� দি� কোনো বই এর জন্য অপেক্ষ� করার পর বেশিরভাগ সময়� দেখা যায় সে� বই overrated � সৌভাগ্যক্রমে এবার তা হয� নাই। যদ� কারো "দূরবী�", "পার্থি�" অথবা "যা� পাখি " ভালো লেগে থাকে, এইটা� তা� অবশ্যই অবশ্যই ভালো লাগবে।
شر شیندو پادھیائے بنگالی ادب خاص طور پر برصغیر کا اک تخلیقی نام ہے، مجھے اس کا یہ شاندار ناول بہت اچھا لگا ہے ۔ میرے دوست، ناول نگار اور کہانی کار ممتاز لوہار نے سندھی زبان میں بھی اس کا بڑا زبردست ترجمہ کیا ہے ۔
You remember Taxi Driver of Martin Scorsese, right? Sometimes I think Scorsese was inspired from THIS VERY BOOK to create his cinematic masterpiece... So imagine how powerful of a book ঘুণপোক� must be.And fun fact,it was also the very first Novel of Shirshendu Mukhopadhyay..
I wish ঘুণপোক� were to be remade,of course as a cinema...The MC, শ্যা�, could be easily a cultural icon,from a cinematic perspective...Ig we could've found our very own Trevor Reznik or Travis Bickle in that character of শ্যাম।� From corporate hell to the slumdogged lifestyle,ঘুণপোক� manages to maintain its greatness. A must read,must read book for me.. Disappointment? Not a chance..
লেখকদে� সাধারণ� প্রথ� লেখা উপন্যা� হয� অসাধারণ। এই বইটি� হয়তোব� একটি অসাধার� উপন্যাস। কিন্তু বইটি এত� অসাধার� যে আমার মত� ক্ষুদ্� পাঠকের পক্ষ� এই উপন্যাসে� অসাধারণত্ব বোঝা সম্ভ� নয়। অত্যন্� জ্ঞানী এব� সাহিত্� পণ্ডিত ছাড়� কে� এই বইয়ের মাথামুণ্ডু বুঝত� পারব� না� বইটি খু� যে বড� এম� নয� কিন্তু তা� এই বইটি পড়ে শে� করতে আমাক� অত্যন্� কষ্ট করতে হয়েছে এব� সত্য� বলতে আম� বইটি ঠি� মত� পড়ে শে� করতে পারিনি� শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রত্যেকটি বইয়ের প্রশংস� কর� আম� শে� করতে পারব� না কিন্তু আম� অত্যন্� দুঃখের সাথে বলছি এই বইয়ের আম� কোনভাবেই প্রশংস� করতে পারলাম না�
যদ� পারো তব� আবার জন্ম নিয়ো। আম� জানি, আবার জন্ম নেওয়া বড� সহ� হব� না� শূন্� থেকে, জল থেকে, বাতা� থেকে, মাটি থেকে আবার নিজে� শরী� সংগ্রহ কর� আন�, এব� তারপরও আবার ভু�, কেবল ভু� জীবন যাপন কর� যাওয়া...তব� বড� ইচ্ছ� হয� আর - একবা�, আর� - একবা� পৃথিবীতে জন্ম নিতে... যদ� পারো আর� একবা� জন্ম নিয়�, ততদিনে আম� পৃথিব���কে সুন্দর কর� দেবো...
While my taste might be questioned after this rating but I really struggled to finish this book despite the length being only around 80 pages. I like shirshendu but perhaps this was not my cup of tea.
ঘুণপোক� উপন্যাসট� শুরু হয়েছে শ্যা� চক্রবর্তী নামে একজন মানুষক� নিয়� যে ছি� সেইন্ট এন্ড মিলা� কোম্পানি� ছোটোসাহেব। সে একদি� কোম্পানি� উপরওয়াল� হর� মজুমদারে� কাছে গালি খেয়� হটাৎ কর� চাকরিট� ছেড়� দেয়� এই চাকরিট� ছেড়� দেওয়া� পর� তা� মধ্য� তৈরি হয� একটা অদ্ভুত বোধ। এই বো� না আশার, না হতাশার... বো� হয� বল� যায় এই বো� থেকে জন্ম নেয় এক অদ্ভুত নির্বিকারভাব� শ্যামে� সাথে রো� অনেকের দেখা হয়ে যায়� কোনোদি� দেখা হয� তা� ছোটবেলার বন্ধ� মিনু, কোনোদি� অরুণ অথবা রো� দেখা হয� তা� সাথে যে রো� পাইস হোটেলে খায় সে� সুবো� মিত্রে� সাথে� সত্য� কি তাদে� সকলে� সাথে শ্যামে� দেখা হয�, নাকি পুরোটা� শ্যামে� কল্পনা যে কল্পনা প্রতিদিন জন্ম দেয় এক আশ্চর্� জীবনবোধের। উপন্যাসট� পড়ত� পড়ত� কখনো কখনো একটু গতির অভাববো� হয়েছে... আবার এটাও সত্য� এই গতিহীনতার মধ্যেই পাওয়া গেছে এক আশ্চর্� উপলব্ধ�... যে উপলব্ধ� থেকে একজন মানু� নিজেকে প্রশ্ন করতে পারে তা� নিজে� উৎসকে। চাকর� ছেড়� দেওয়া� পর থেকে শ্যামে� অন্তিম পরিণতি একটা journey যে journey জন্ম দেয় গতিহী� এব� গতিময় জীবনের যুগলবন্দীকে� ঘুণপোক� যেমন কোনো বস্তুক� আস্ত� আস্ত� নষ্ট কর� ফেলে তেমন শ্যামে� মনের মধ্য� ঘুণপোক� ঢুকে গিয়� তাকে রো� রো� ধ্বং� কর� ফেলছ� অথবা প্রতিদিন নিশ্চি� করছে শ্যামে� নবজন্মের সম্ভাবনাকে� রেটি� : ঘুণপোক� উপন্যাসটিক� রেটি� দেওয়া� ক্ষমতা রাখি না� তব� বলতে পারি এই অসাধার� উপন্যাসট� রেটি� এর অনেক উপরে� উপন্যাসট� শে� করার পর একজন পাঠক কিছুক্ষণের জন্য নীরব হয়ে যেতে বাধ্� হবেন� অনন্� প্রবাহমা� জীবনের মধ্য� হয়ত� খুঁজতে শুরু করবে� তাঁর নিজে� উৎসক�, তা� নিজে� অস্তিত্বকে� এইখানে� উপন্যাসটির সার্থকতা�
শ্যা� একটা মানুষে� থেকে� বেশি একটা মানসিক অবস্থা� যা review লেখা হয়েছে তাতে অনেকেই plot না থাকায় বইটি� থেকে এক ধরেনের বিচ্ছিন্নত� অনুভ� করেছেন� আচ্ছ� এই বিচ্ছিন্নতাট� যদ� কে� জীবনের থেকে অনুভ� কর� তব� কি হত� পারে� শ্যা� একজন অবস্থাপন্ন উর্দ্ধোগাম� উচ্চাভিলাষী hedonist� Greek পুরা� � Narcissus-এর পত� এর কারণ কিন্তু তা� নিজে� প্রতিবিম্ব� প্রত� অনুরাগ� যদ� অনুরাগ না হয়ে ঘেন্না বা অচেন� কিছু দেখত� পাওয়া যায়� যেমন পেলো শ্যাম। একটা ধর্ম যাকে তুমি সারা জীবন মেনে চল� কিন্তু হঠাৎ যদ� সে� ধর্মের থেকে কে� বিশ্বা� তুলে নেয় তখ� কি� জীবনের মানে তখ� কি� তুমি আর ধার্মি� নাকি তখ� তুমি ধর্ম পালন এর খেলায় মত্ত� যা আমরা বিশ্বা� কর� যে কা� গুলো ভালোবাসি সেগুলো যদ� হঠাৎ মানেহি� হয়ে পড়ে তব� কি বাঁচ� যায়� আর কি যাদে� বন্ধ� colleague ভেবে এসেছ� তাদে� চেনা যায় বা তাদে� বিশ্বা� গুলো � কি তখ� foreign and alien হয়ে যায় না� শ্যা� এর দন্ধ তা� এই"other" এর সাথে, তা� নিজে� মধ্য� যে অপ� ব্যাক্তি টা নিশ্বা� নিচ্ছে তা� সাথে� যা নিতান্� সহ� ছি� টা কঠিন হয়ে ওঠে। যেটা ছি� শুধূ মুহূর্তে� ভো� সেটা হয়ে ওঠ� মহাজাগতি� চাহিদা� কিন্তু শ্যা� নিজে� বাইর� তা� কোনোদি� বেরোতে পারে না� খেলা হয� murder আর ছেলেবেলা� বু� কাঁপ� ভালোবাসা হয� stalking� তা� যখ� তা� চাহিদা তা� ইচ্ছেগুল� এত টা� বিচ্ছিন্� হয়ে ওঠ� তা� নিজে� শরীরে� থেকে যে জ্বর মা� আর সমাজের ধিক্কা� যেনো তাকে প্রশান্ত� আর নিজে� প্রত� অনুকম্পা দিয়� যায়� তা� শেষে শে পাগল� Sadat Hassan Manto-� Toba Tek Singh এর মত তা� পাওয়া না� পাওয়া পরিচয় সে বলতে থাকে আর প্রত্যেক টা মা� যেনো তা� এই পরিচয় কে তা� কা� থেকে আর� বেশি অচেন� কর� দেয়� পাঠক হিসেবে আমার মন� হয� শ্যা� শেষে বুঝত� পারে যে সে কে সে� উত্তরট� সমাজের কাছে অবান্ত� কারণ সে অনেক দূরে হরিণ আর গাছে মোড়� একটা depopulated পৃথিবী তে চল� এসেছ� যেখানে সে পারব� তা� পরিচয় আর ভালবাস� কে পেতে� এই গল্প একটা সত্তার নিজে� থেকে ছিন্� হয়ে একটা অপ� হয়ে ওঠার গল্প� নিজেকে নিজে� বিদায় বলার গল্প�
যা� হো� existentialism বা অস্তিত্ববা� এর ছায়� এই লেখায় পুরো দস্তুর মজুত� মিত্� � ঘুমে� বড়ি বা Suicide কে নিজে� protection হিসেবে ব্যবহা� কর� ভয়াবহ এব� মজার ও। আম� জানি না Sartre বা Camus বা Kafka কি বলতে� এই বইটা পড়ে but i can't help but say "Hell are the mes in my head."
মাঝেমধ্য� মা� মাংস খেতে খেতে যখ� মন� হয়। এইবা� বুঝি একটু নিরামি� খেলে হতো। ঘুণপোক� আমার কাছে অনেকদি� না খাওয়া নিরামিষে� মত� ছোটো একটা বই� অথ� পড়ত� চমৎকার� ছোটো একটা ধাক্কা মানুষে� জীবনের যে গতিপ� কতটা পাল্টে দিতে পারে তা� উৎকৃষ্� উদহারন হল� ঘুণপোকা।
পড়া� আগ� আম� ভাবছিলাম শীর্ষেন্দু এই বইয়ের নামকরণ ঘুণপোক� কে� করলেন। আসলে� তো� ঘুণপোক� প্রভাব কি আমাদের জীবনে। হয়ত� সামান্� উৎপা� করে। কিন্তু সত্য� কি সেটা আমাদের জীবন কে পরিবর্তন কর� দিতে পারে.? হয়ত� একটা ঘুণপোক� একটা চেয়ারের পা নষ্ট কর� দিতে পারে� তা� বল� কি এক পা হারিয়� চেয়ার অবিক� দাঁড়িয়� থাকবে। নাকি তি� পা থাকা� পরেও সে দাঁড়িয়� থাকা� সামর্থ্য হারিয়� ফেলে�
এই ছোটো উপন্যা� টা ঠি� তেমন� শ্যা� নামে� এক যুবকের চাকর� হারিয়� দিশেহারা হওয়ার গল্প।যার একটা চমৎকার গোছানো জীবন ছিল। যে জীবন� অর্থ,নারী� অভাব ছি� না� কিন্তু বসের গালি� কারণ� সে চাকর� ছেড়� দেয়� তারপ� তা� জীবনের বাঁক� পরিবর্তন শুরু হয়।
যে গল্পের সমগ্� জুড়� রয়েছে বিষন্নতা� আছ� বিরক্তি। আছ� আবেগ হারিয়� ফেলা।আছে পরিস্থিত� নিয়ন্ত্রণ হারিয়� গেলে এক যুবকের করুণ পরিনতি�
শীর্ষেন্দু� এট� নাকি প্রথ� উপন্যাস। তা� বিখ্যা� উপন্যা� পড়া� পর এট� পড়ে মন� হল� শীর্ষেন্দু তা� গতিপ� অমূল পরিবর্তন করেছে। সমরে� মজুমদারে� দৌড় পড়া� সময়� ঠি� এম� মন� হয়েছে� আহামরি গল্প না� কিন্তু শক্তিশালী লেখা� কারণ� শে� না কর� উঠতে ইচ্ছ� কর� না�
khub mostattik ekti lekha. ja porte porte mnijekeo mone hy kothao ekta ghun anijero ki lagche. Amio ki Shyamal hye uthchi.Ami tahole ki kortam or ami sesh obdhi ki chaitam. Ekti pagol er mostisko ki kotha bole ki vbe ekta sustho manush porinoto hy ekjon psycho te. ei boi manoshik. Ei boi ghun dhorabei .
'মন' বড়ো অদ্ভুত জিনিস। কখনও সে অসংখ্য অপশব্দের তীব্� বাণে� ভেঙে পর� না� আবার কখনও একটা সামান্� শব্দের কাঁটাও তাকে অচ� কর� দেয়� এমনই মন ভাঙ্গা এক মানুষে� পাগল হওয়ার কাহিনী এটা।
প্রথমট� একটু ভ্যাবাচাকা খেয়� যা�, কারণ গল্পটা যে এম� সাবজেক্ট নিয়� লেখা বুঝত� পারিনি।পরে অবশ্� বে� লেগেছে�
আমাদের এই স্মার্টফোন গুলো যেমন হঠাৎ বিগড়ে গিয়� অদ্ভুত আচরণ কর�,এই মন যে� ঠি� তাই।
খু� ক্ষুদ্� কারণ� চাকর� ছেড়� ��েয়া এক উদ্দাম জীবনের যুবকের নিজেকে খুঁজ� ফেরা� এক জার্নি এই বইটা� গতিময়তা একটু কম ছিল। প্রথ� উপন্যা� হিসেবে বিষয়বস্তু অভিন� ছিল। তব� একটু যে� মেটামরফোসি� কে মন� করিয়ে দিল। সব মিলিয়� মোটামুটি লাগলো।
Brilliant portrayal of a young middle class bachelor depicting his life's struggles and his perspective on love. Readers can really relate themselves with how the protagonist has been portrayed.