রকিব হাসা� বাংলাদেশের একজন গোয়েন্দ� কাহিনী লেখক� তিনি সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত তি� গোয়েন্দ� নামক গোয়েন্দ� কাহিনী� স্রষ্টা। তিনি মূলত মূ� নামে লেখালেখি করলে� জাফর চৌধুরী ছদ্মনামে� সেবা প্রকাশনী� রোমহর্ষক সিরি� লিখে থাকেন। থ্রিলা� এব� গোয়েন্দ� গল্প লেখা� পূর্বে তিনি অন্যান্য কাজে যুক্� ছিলেন। তিনি রহস্যপত্রিকা� একজন সহকারী সম্পাদ� ছিলেন।রকিব হাসা� শুধুমাত্� তি� গোয়েন্দার� ১৬০ট� বই লিখেছেন। এছাড়া কমপক্ষ� ৩০টি বই অনুবাদ করেছেন� তিনি টারজান সিরি� এব� পুরো আরব্� রজনী অনুবাদ করেছেন� তাঁর প্রথ� অনুবাদ গ্রন্থ ড্রাকুলা� রকিব হাসা� লিখেছে� নাটকও। তিনি "হিমঘরে হানিমু�" নামে একটি নাটক রচনা করেন, যা টিভিতে সম্প্রচারি� হয়।
তখ� ক্লা� সিক্সে পড়ি� একদি� ক্লাসে এক ফ্রেন্ডে� হাতে দেখলাম ছো� একটা, ময়ল� ময়ল� টাইপ পাতা� বই� তা� কা� থেকে চেয়� একটু চো� বুলিয়� দেখলাম, মানে একটু পড়ে� ফেললাম আর কি� তিনট� গল্প ছি� � ভলিউমে� তা� মধ্য� একটা ছি� পোচার। সেটা� পড়া শুরু করেছিলাম� ক্লাসে পুরোপুরি শে� করতে পারি নি, তা� বাসায় নিয়� এসেছিলাম বইটা�
এরপর আর কো� থামাথামি নেই। একের পর এক শে� করেছ� ভলিউ�! বাবা প্রত্যেক মাসে তিনট� ভলিউ� কিনে দিতো, মানে নয়ট� গল্প� মাঝে মাঝে অবশ্� জো� কর� আর� বেশি কিনতাম! :P এর চেয়� চমৎকার কো� গিফট পৃথিবীতে থাকত� পারে বল� মন� হত� না তখন। বাসায় তা� ভলিউমে� পাহাড় তৈরি হয়ে গিয়েছিল� প্রায়!
আম� ছুটি� দিনে� অপেক্ষায� বস� থাকতাম� কারণ সে� দিনগুলোত� সকাল থেকে দুপু� পর্যন্� টানা আম� তি� গোয়েন্দ� পড়তাম� ‘হাল্ল�, কিশো� বন্ধুর�- আম� কিশো� পাশা বলছি...� কিংব� “খাইছে� এইসব লেখা এক মুহূর্তে� মন আনন্দে ভরিয়ে দিতো!
কিশো�, মুসা, রবিন, মেরি খালা, পাশা চাচা, মিস্টা� অ্যান্� মিসে� আমান, মিস্টা� অ্যান্� মিসে� মিলফোর্ড, জিনা, রাফি, শুঁটকি টেরি (যদিও বিরক্তিক� ছি�!)......কত্ত প্রিয় না� (আর� অনেক� বা� পড়েছে যদিও! মন� করতে পারছ� না সব না� এখ�! :( ) আমার কাছে এর� সবাই রীতিমত� সত্যিকার� মানু� ছিল। এত� বেশি অবসেসড ছিলা�! কতবা� যে পড়েছি এক একটা গল্প! সবচেয়� বেশি পড়েছি মন� হয� এই ছায়াশ্বাপদ। এট� আমার প্রিয় ছি� খুব।
একটা সময় ছিলো যখ� তি� গোয়েন্দার বই ছাড়� একটা দি� কল্পনা� করতে পারতামনা� কেমন বুঁদ হয়ে থাকতাম এক একটা বই এর ভেতর! অবস্থাটা এম� ছিলো যে তখ� যে ৫০/৬০ টা ভলিউ� বে� হয়েছিলো তা� কোনটার মধ্য� কি বই আছ� তা� সবটা� ছিলো আমার নখদর্পনে� প্রতিট� বইয়ের না� সিরিয়াল� মুখস্থ বল� যেতে পারতাম� কি প্যাসনেটটা� না ছিলা�!! যে মনযো� আম� ওদিক� দিয়েছ� তা� কিয়দাংশ� যদ� সে সময় পাঠ্যব� এর পেছন� দিতা�, বো� কর�, বাবা মা আমাক� নিয়� দুঃশ্চিন্ত� আরেকটু কম করতেন।
এবার আষাঢ� মাসে� প্রথ� দি� থেকে� বৃষ্টি পড়া শুরু হয়েছে� সারাদি� টিপটিপ কিংব� ঝম ঝম যে ভাবে� হো� বৃষ্টি পড়ছ� তো পড়ছেই� ছুটি� দিন। তা� বাইর� বে� হবার তাড়� নেই। এই সময় বিকে� গুলো খু� তাড়াতাড়ি শে� হয়ে যায়� বৃষ্টি পড়ছে। আল� ফুরিয়� যাচ্ছে� পরিবেশ এর মধ্যেই একটা অপার্থিব ভা� চল� আসে। এরকম একটা সময়� বই পড়ত� যে কি আনন্� তা যে বুঝত� পারলোন� তা� জন্ম� বৃথা� আজকালকার বই বিমুখী ছেলে মেয়� গুলো যে কি মি� কর� চলেছ� তা তারা নিজেরা� বুঝত� পারছ� না�
তি� গোয়েন্দাক� হঠাৎ খু� মি� করছি এই একনাগাড় বৃষ্টি� কারণেই� তখ� এইরক� বৃষ্টি পড়ল� আম� সোজা গিয়� আমার জানালা� পাশে বস� যেতাম। রহস্যে� বই গুলোতে বেশি� ভা� সময়েই বৃষ্টি পড়ে� বাইরের বৃষ্টি, বইএর ভেতরের বৃষ্টি, দুটোয় মিলে সে কী অতীন্দ্রিয় পরিবেশের সৃষ্টি করতো তা বর্ণণা করার মত না�
বই পড়ত� পছন্� কর� কারণ তা পরিবেশের মধ্য� নতুন পরিবেশ সৃষ্টি করে। এখ� আম� এক জগ� � আছি। বই এর ভেতর জগৎট� সম্পূর্ণ অন্যরকম। আমার প্রিয় তি� গোয়েন্দ� গুলো� একটু অন্যরকম। পড়ল� মন� হয� চারপাশ� কেমন যে� গুমো� একটা ভাব। কিছু একটা যে� ঠি� নে�! মন� পড়ে ‘প্রেতের ছায়া� বইটি� কথা। পড়ে যাচ্ছি তো যাচ্ছিই। কিন্তু কিশো� মুসা রবিন এর দেখা পাচ্ছিনা� অথ� এদিক� কয়েকট� মেয়� তাদে� বান্ধবী� বাসায় বেড়াত� এস� একের পর এক মরতে বসেছ�! ওই বই এর শেষে ছো� খাটো এম� এক টুইস্ট ছিলো যে রীতিমত চমকে গিয়েছিলাম� ‘বিপজ্জন� খেলা’র কথ� বল� যায়, যেখানে এক পাগল লোকে� খপ্পরে পড়েছে তি� গোয়েন্দ� আর তাদে� বন্ধুরা। নির্জন এক দ্বী� এর মধ্য� ছেড়� দেয়� হয়েছে তাদেরকে। হাতে কিছু সময় দিয়� বল� হল পালা� ওই বনের মধ্যে। আর এক ঘন্ট� পর তোমাদেরক� শিকা� কর� হব�!! কাহিনীটা খু� জনপ্রিয় এক বিদেশী বইএর� কিন্তু জানিনা � বই গুলো পড়ত� পড়ত� যেমন গায়ের রো� দাঁড়িয়� যেতো মূ� বইগুলো পড়ল� তেমনটা হব� কিনা�
এখ� মন� হয� একটু বড� হয়ে গেছি� সেবা প্রকাশনী� ছো� সাইজের পেপারব্যাক� তি� গোয়েন্দ� পড়া এখ� সম্ভবত আমার গা গতরে� সাথে মানানস� না, কিন্তু যখ� কো� বই এর পেছন� ‘হ্যাল্ল� কিশো� বন্ধুর� আম� কিশো� পাশা বলছি অ্যামিরিকা� রক� বী� থেকে� জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলস�, প্রশান্ত মহাসাগরে� তীরে� হলিউ� থেকে মাত্� কয়েকমাই� দূরে� যারা এখনও আমাদের পরিচয় জানো না, তাদে� বলছি আমরা তি� বন্ধ� একটা গোয়েন্দ� সংস্থা খুলেছি� নাম…………� দেখি তখ� নিজেকে সংবর� কর� এখনো একটু কষ্টসাধ্� হয়ে� দাঁড়ায় বৈকি!!
�. তি� গোয়েন্দার ১ম বই পড়ছিলাম, তা� খু� excited ছিলা� �. খু� � ভা� ছিল। একদম perfection যাকে বল� আরকি� শেষে ভালই অবাক হয়েছিলা� �. প্রথ� দিকে মন� হচ্ছিল বাচ্চদের জন্য বইগুলো, এরপর পড়া� সময় মানসিকতা বাচ্চাদে� মত কর� ফেললাম(অন্য বইয়� যেভাবে ভা�-খারা� যাচা� কর� তা সব বা� দিলা�)� অতঃপ�, পূর্� satisfaction� শে� করলা� এই বই � �. আর, এই ভলিউ�-� এর মালি� হত� পেরে নিজেকে বড়লোক feel হচ্ছ� 😁
"হাল্লো, কিশো� বন্ধুর� � আম� কিশো� পাশা বলছি, আমেরিকার রক� বী� থেকে� জায়গাটা লস আ্যঞ্জেলেস�, প্রশান্ত মহাসাগরে� তীরে, হলিউ� থেকে মাত্� কয়ে� মাইল দূরে� যারা এখনও আমাদের পরিচয় জানো না, তাদে� বলছি, আমরা তি� বন্ধ� একটা গোয়েন্দ� সংস্থা খুলেছি, না� তি� গোয়েন্দা।"
এই লেখা দেখলেই সে� স্কুলবেলার কথ� মন� পড়ে যায়� তখ� বই পড়া হত ঠিকই, কিন্তু 'তি� গোয়েন্দ�' পড়া শুরু করিনি। স্কুলে এট� সবার হাতে হাতে ছি� সে� সময়� নিউজপ্রিন্টে� ছো� খা� বই ভলিউ� আকার� বে� হতেই থাকে� � নিউজপ্রিন্� অনেক অসহ্� একটা জিনি� ছি� আমার কাছে� কিন্তু ক্লাসে� লেকচার বা� দিয়� টেক্সট বইয়ের ভিতর� লুকিয়� এই জিনি� পড়ে মানু� কী আনন্� পে� সেটা জানা� ইচ্ছ� ছিল। তারপরও � নিউজপ্রিন্টে� কারণেই হয়ত� পড়া হয়ে উঠ� নি� একদি� এক বইয়ের দোকানে জিনিসপত্� সব গোজগাজ করার সুবাদে একপাশে তি� গোয়েন্দার একগাদা স্তু� দেখত� পাই। ওখান� দেখে� কিনে ফেলি দুটো ভলিউম। এক-দু� বা� দিয়� এক লাফে ভলিউ� ৬৭ আর ৬৯� ৬৭ কিনেছিলা� কারণ আমার প্রিয় সংখ্যাগুলো� ভিতর ওট� একটা আর ৬৯ কিনেছিলা� হয়ত� গল্পগুলো� না� ভালো লাগা� কারণে। এই দুটোতে রকিব হাসা� আর শামসুদ্দী� নওয়াব দুজনের� গল্প ছিল। অনেক পর� অবশ্� জানত� পারি শামসুদ্দী� নওয়াব ছদ্মনামে অনেকেই গল্প লিখে থাকেন। তব� ভলিউ� ৫৮ পর্যন্� রকিব হাসানে� গল্পগুলো আসলে� দুর্দান্� ছিল। তখ� তো আর এত কিছু বু���তাম না� যে ভলিউমে গল্পের না� দেখে বেশি পছন্� হত সেটা কিনতাম� তব� � ৬৭ আর ৬৯ পড়া� পর আমার আর বেশি কেনা লাগে নি� আমার ভা�-� ভলিউ�-১০� পর্যন্� প্রায় সব গুলো কিনে ফেলেছিল। এরপর� স্কু� শে� হয়ে গেলে আর ধর� দেখা হয়ন� কখনও এগুলো। এতগুলো বছ� পর ভাবলাম পড়ে দেখা যা�, আগের মত ভালো লাগে কিনা� এমনিতে� কো� ভলিউ� টা পড়েছি আর কোনট� পড়িনি সেটা তেমন একটা মন� নেই। গল্পের না� দেখল� মন� পড়ে এট� হয়ত� পড়েছিলা� কিন্তু কাহিনী তেমন একটা মন� নেই। আর যেটা� কাহিনী একটু-আধটু মন� আছ� সেটা� না� মন� নেই। এখ� আর সবগুলো ভলিউমও নেই। হারাতে হারাতে অল্প কিছু আছে। আমার ভাইয়ে� কালেকশ� মানে বই হারাতে� হবে। আবার কিছু কিছু ভলিউ� দুটো কর� আছে। এটাও আমার ভাইয়ে� কীর্তি� মানু� ভুলে এক বই দুবা� কিভাবে কিনে সেটা আমার জানা নেই। যা আছ� ওগুল� এখ� অন্য বই পড়া� ফাঁক� ফাঁক� পড়ব� বল� ঠি� করেছি। ভলিউ�-� এর এই গল্পটি আমার প্রথ� পড়া সবচেয়� প্রিয় তি� গোয়েন্দ� গল্প� এগুল� পড়ত� পড়ত� মন� হচ্ছ� কিশো�, মূসা, রবিন আর জিনা� সাথে আবার ফিরে গিয়েছ� সে� কৈশো� বেলায়� কী অদ্ভুত সুন্দর দি� ছি� তখ�...!!!
‘তিন গোয়েন্দা� তথ� আমার জীবনের এক রোমাঞ্চক� অধ্যায়ে� শুরু এই বইটা দিয়েই� ক্লা� থ্রি তে পড়া� সময়� বইটা আমার বাবা কিনে দেয়� তখ� কেবল � টাকা� ছো� ছো� বই আর পত্রিকার সাথে পাওয়া ম্যাগাজিনই পড়তাম� সেগুলো� কোনটাই ১০-১৫ পাতা� বেশি হত না� তা� সাহস কর� এই ২৮� পৃষ্ঠা� বইটা শুরু করতে পারিনি� মাঝে মেঝে কেবল প্রথ� �-� পাতা পড়তাম� একদি� সাহস কর� একটানা বে� কয়ে� পাতা পড়ে ফেললাম� সে� শুরু� এরপর যতদি� রাকি� হাসা� লিখে গেছে� ততদি� পর্যন্� সমান ভালোবাসা নিয়� প্রতিট� বই� পড়ে গেছি�
ওহ! সে� স্কুলে� সময়ের কথ� মন� পড়ে যায়! সে� বয়স� এই তি� গোয়েন্দ� মন� হয� অনেকের কাছে� ভা� লাগত! তব� শেষে� গল্পগুলো বা ভলিউমগুল� মন� হয� একটু কম জনপ্রিয় হয়েছিল। আর এখনকার ভলিউ� বা গল্পের কথাগুলোর কথ� জানি না� কারণ, এখ� আর সেভাবে পড়া হয� না� গুডরিডসে সবগুলো বই এন্ট্র� হচ্ছ� দেখে ভা� লাগল�
আশির মাঝামাঝি, তখ� পড়ি ক্লা� থ্রিতে� বিকেলে খেলা� সময় পাড়াতুত� এক বড়ভাই প্রায় জো� কর� হাতে দুটো বই গছিয়ে দিল। একটা ছি� বায়োনিক ম্যা� মেহেদি আর একটা তি� গোয়েন্দা। সে� থেকে শুরু�
অন্ধভক্ত কাকে বল� � কত প্রকার এট� যারা এই সিরিজট� নিয়মি� পড়েছে� তারা সকলে� জানেন। আম� জানি না এর মাঝে কতগুলো জেনারেশন এই তি� গোয়েন্দ� পড়ে বড� হয়েছেন।এদের সংখ্যা কম নয� তা বুঝত� পারি যখ� দেখত� পা� বিভিন্� প্রকাশনা থেকে বেরুচ্ছে তি� গোয়েন্দা।যা এখ� হয়ে দাঁড়িয়েছ� একটা ব্র্যান্ড।
গতকা� এই তি� গোয়েন্দ� নিয়েই বে� রূঢ় একটা পোস্� চোখে পড়ল আর সে� সাথে মন� পড়ে গে� অনেক মজার আর বিষণ্ণ স্মৃতি� মন� হচ্ছ� তি� গোয়েন্দার একসময়ের পাঠক হিসেবে আমাদের আসলে� দায়িত্ত্ব এব� অধিকার রয়েছে দু'এক লাইন লেখার।
আম� জানি অনেক পাঠক এখান� আছেন যারা ব্যস্ততা� কারণ� এড়িয়� যা� কিংব� লিখে জানানো� ইচ্ছ� থাকলেও আর হয়ে ওঠেন� কিন্তু উচিত হব� অন্ত� এক লাইনের মন্তব্� কর� হলেও সেটা কিন্তু নিজে� অস্তিত্বকে জানা� দেয়া।
আম� ভাগ্যবান কারণ তি� গোয়েন্দার প্রথ� বইটি দিয়েই আমার যাত্রা শুরু এব� অন্ধভক্ত বন� যাওয়া� একটা সময় ছি� নিজেকে তাদে� একজন ভাবা এব� ??? কার্� বানিয়� সেটাকে জো� কর� বাস্তবরু� দেয়ার চেষ্টা করাট� ছি� আমার এব� আমার বন্ধুদের নিত্� নৈমত্তিক ব্যাপার।
এই তি� গোয়েন্দ� ছোটবেলার একটা বিশা� অং� হয়ে ছি� এব� সবসময় থাকবে। রকিব হাসা� নামট� ততটুকু� প্রিয় ছি� যতটুকু এই তি� গোয়েন্দা। তি� গোয়েন্দার চরিত্রগুলো কেমন, চাচা, চাচী, জিনা, শুটঁকি টেরি, হ্যান্সন, মিস্টা� ক্রিস্টোফা�, চী� ফ্লেচা�, শোঁপ�, সে� সব সাইকেল, সবুজ ফট� এক কিংব� গোবে� দ্বী� কো� কিছু� এত বছরে� ভুলিনি আর একমুহুর্তও লাগল না মন� করতে�
কাজে� পাঠকরা যখ� কিছু জানাবে� সেটাকে অবশ্যই গুরুত্� দিতে� হব� একজন লেখককে।কার� পাঠকের কাছে এই স্বপ্নের মত�, বন্ধুর মত� চরিত্রগুলোকে এন� দিয়েছেন লেখক নিজেই। আর প্রিয়তম বন্ধুর অধঃপতন কে� মানত� চাইব� না�
প্রশ্ন দাড়াঁচ্ছে গড়মিলটা হচ্ছ� কোথায়? আমার তি� গোয়েন্দ� পড়ে বড� হওয়� মগজে যে উত্তরট� এসেছ� সেটা� দেব।
আমরা বদলেছি� তি� গোয়েন্দ� বদলেছে।ক্ষেত্রবিশেষে বদলেছে তি� গোয়েন্দার লেখক� আর এটুকুই যথেষ্ট সমস্যা� গোড়ায� একটু চো� বোলানো� জন্য।এটুকু� হত� পারে সমাধান খোঁজার জন্য উদ্যোগের শুরু�
আমার এখনো মন� আছ� আমার পড়া শে� তি� গোয়েন্দ� ছি� গাড়ির যাদুকর� এরপর� বিচ্ছিন্নভাব� দু'একটা পড়েছি কিন্তু আর পড়া হয়নি। ব্যাপারট� অবিশ্বাস্য কারণ এর আগ পর্যন্� সিরিজে� প্রতিট� বই আমার সংগ্রহ� আর সে� ছেলেমানুষে� মত� অর্ডার কর� বানা� ব্যক্তিগ� লাইব্রের� সী� মেরে রাখা সমস্� বই�
যদ� ভু� না কর� থাকি, গাড়ী� যাদুকর বইটিতে তি� গোয়েন্দ� দু� কর� বেমালু� বদলে গেল। কিশো� মুসা গাড়� হাঁকাচ্ছ�, রবিন মেয়� পটিয়ে বেড়াচ্ছ�, সে আর মানত� পারলাম না� হারিয়� গে� আমার প্রিয় বন্ধুগুল� আর ফুরিয়� গে� আমার তি� গোয়েন্দ� পড়বার আগ্রহ।
আম� নিশ্চি� বলতে পারি আমার মত� পাঠক আম� এক� নই, কয়ে� লক্ষ কিংব� কে জানে কোটি� হত� পারে� পাঠকের আবেগকে ছো� কর� দেখবার কো� উপায� নেই।যুক্তি� খাতিরে বলাই যায় মানু� বদলায়, কিন্তু �'জন কিশো� সেটা মানব�?
এই গোটা ব্যাপারটায� আসলে রকিব হাসা�, শামসুদ্দী� নওয়াব কিংব� সেবা প্রকাশনী� যে কো� হা� নে� সেটা বুঝত� পেরেছি যখ� তি� গোয়েন্দ� যেসব বিদেশী মূ� বই এর আদলে রুপা���্তর কর� হয়েছে সেগুলো সংগ্রহ করেছ�, পড়েছি�
সেগুলো পড়ে তি� গোয়েন্দ�, রকিব হাসা� আর সেবা প্রকাশনী কে আবার নতুন কর� ভালবেসেছি। রবার্ট আর্থারের সে� "থ্রি ইনভেস্টিগেটর�" কিংব� এনিড ব্লাইটনে� "ফেমা� ফাইভ" এর মত সিরিজক� পুরোপুরি দেশী কিশো� কিশোরীদে� মনের মত কর� সাজিয়� পরিবেশ� কর� গোটা বাংলাদেশ� একটা মাত্� প্রকাশনী� পক্ষেই সম্ভ� আর সেটা হচ্ছ� সেবা প্রকাশনী� বছরে� পর বছ� তাঁর� অক্লান্তভাবে এই কাজট� কর� যাচ্ছেন। এই জন্য� যদ� তাঁদের আমরা ধন্যবা� না দে� তাহল� আর পাঠক হিসেবে নিজেকে পরিচয় না দেয়াই ভাল। সেবা যদ� না থাকত তাহল� র���িব হাসা�, শামসুদ্দ্দী� নওয়াব কিংব� কাজী মায়মু� হোসে� এর মত� লেখককে� তো আমরা পেতা� না, জীবন� পড়া সবচাইত� প্রিয় সিরি� তি� গোয়েন্দ� তো পরের কথা।
সেবা� প্রত� আমাদের আর যা� হো� ভালবাসার কমতি হবার কো� কারণ আম� দেখি না� প্রশ্ন যখ� আস� তি� গোয়েন্দাক� নিয়� অসন্তুষ্টি কে�? উত্তরট� আসলে খুবই সহজ।
মূ� তি� গোয়েন্দ� যাদে� আদলে লেখা হয়েছে রবার্ট আর্থারের সে� গল্পগুলো� প্রতিটিই বলতে গেলে রুপান্তর হয়ে গেছে� ফেমা� ফাইভের আদ� ভেঙ্গে� কর� হয়ে গেছে বে� কিছু তি� গোয়েন্দা। এরপর� চাহিদা আর সময়ের সাথে তা� মিলিয়� যেসব বইগুলো আমার ধারণ� সেবা� লেখকরা পাচ্ছে� বা পেয়েছেন সেগুলো� কোনটাই জোড়ালোভাব� আমাদের "ক্লাসি�" তি� গোয়েন্দাক� ফিরিয়� আনতে পারেনি�
এট� মাথায় রাখা ভা�, দ্� থ্রি ইনভেস্টিগেটর� সিরিজট� কিন্তু রবার্ট আর্থার মারা যাওয়া� পরেও চলেছিল কিন্তু পাঠকরা সেইস� গল্প পছন্� কর� নি� এক� ব্যাপা� ঘটছে এখানেও� এত� আমরা কি আমরা ধর� নে� সেবা প্রকাশনী � ব্যাপারটায� আন্তরিকতার অভাব? আম� ব্যক্তিগতভাব� সেটা মন� করিনা।
তাঁর� অবশ্যই চা� এই সিরিজট� তা� জনপ্রিয়তা ধর� রাখু� সেটা যে কো� প্রকাশনা� চাইবে। কিন্তু সে� চেষ্টাটায় সাধুবা� না দিয়� কিংব� কি করলে পাঠক তি� গোয়েন্দাক� ফিরে পাবে সে� আলোচনায় না গিয়� লাগাতা� এঁকে তাঁক� দো� দিয়� আমরা কী হাসি� করতে চাইছ�? লেখক কিন্তু মানু� এব� তিনি� অনুভূত� আর প্রতিক্রিয়া� উর্ধ� নন� নিউটনে� সূত্� সবজায়গাতে� খাটে�
একজন লেখক যদ� পেশা হিসেবে লেখালেখি করেন তাহল� সেটাকে সম্মান করতে� হবে। আর যখ� এট� পেশা তখ� সেখানে অর্থ, সম্মান, ব্যক্তিগ� মতাম� অনেক কিছু� জড়িত। যদ� সেটা মানত� আমাদের কষ্ট হয� তাহল� চলবেনা�
তি� গোয়েন্দ� রকিব হাসা� লিখতেন , এখনও তিনি লেখে� যতদূ� জানি� কাজে� এটাই সত্য� তাঁর জায়গা নিতে যে কো� লেখকের� ঝক্ক� পোহাতে হবে। এট� একটা চ্যালেঞ্� এব� সেবা� যে� লেখক� তি� গোয়েন্দ� লিখছেন তাঁক� এট� মাথায় রাখতেই হবে।
এই গে� নামে� সমস্যা কিন্তু মূ� ব্যাপারট� গল্পে। তারা কো� গল্পগুলো বেছে নিচ্ছে� সেটা গুরুত্তপুর্ণ� আম� মন� কর� এই ইন্টারনে� এর যুগে তাঁর� যদ� চা� একটু কষ্ট করলে অনলাইন� ঘাঁটলে তারা তি� গোয়েন্দার আদলে গল্প এব� সিরি� তারা পেয়� যাবে� যেগুলো "তি� গোয়েন্দ�"� না� এর সঙ্গ� সামঞ্জশ্� বজায� রাখে� বিদেশী ছোটদের গল্প উপন্যাসগুল� খু� সহজে� বয়স এব� জনরা অনুযায়ী সার্� করলে বই বেরিয়� আসবে� এরপর� ইবুক কিংব� বই পাওয়াটা সময় আর সুযোগে� ব্যাপার।
গোয়েন্দ� গল্প যদ� অন্যদিকে গড়িয়� চল� যায় তাহল� পাঠকের অসন্তুষ্টি হতেই পারে� আর এট� একটা অসম্ভব জনপ্রিয় সিরিজ।
যারা� লিখছেন এখ� তি� গোয়েন্দ� তাঁদের কাছে বিনী� অনুরোধ, দয়া কর� তি� গোয়েন্দাক� রকিবীচে� সে� সময়গুলোতে ফিরিয়� আনুন� ফিরিয়� আনুন সেইস� চরিত্রগুলো যাদে� কারণ� তি� গোয়েন্দার আজ এই হাতাহাতি লেগে যাওয়া� মত� জনপ্রিয়তা� অবশ্যই খানিকট� কল্পনাকে কাজে লাগাতে� হব� মূ� বইয়ের কিছু চরিত্রকে ঢেলে� সাজাতে হত� পারে কিন্তু এত� কর� তি� গোয়েন্দ� সে� আগের মত� পাঠকের তুমু� ভালবাস� ফিরে পাবে, যিনি লিখবেন তাঁর সম্মান বাড়বে বৈ কমবে না� আর সেবা প্রকাশনী� লেখকদে� পক্ষেই এট� সম্ভ� এইটুকু আমরা বিশ্বা� করি।মাসু� রানা� ক্ষেত্রে আপনারা সে� সময়টুকু দিয়েছেন, তি� গোয়েন্দাকেও দিন। আর অনেক পাঠক আছেন যারা প্রচুর বিদেশী বই পড়ে�, তাঁরাও দয়া কর� সিরি� কিংব� স্ট্যান্� এলোন বই রিকম্যান্ড করুন সম্ভ� হলে।
তি� গোয়েন্দার মত� সিরিজগুলোর এই দারু� জনপ্রিয়তা আর লেখক পাঠক দু'পক্ষের ভালবাসাক� পুঁজ� কর� কিছু মানু� সেবা প্রকাশনী� মা� এব� এর সংস্লিষ্টদের নিচে টেনে নামানো� চেষ্টা চালাচ্ছে� সেটা বুদ্ধিমা� পাঠকদে� ধরতে পারা উচিত এটুকুই শুধু বলবো� সবাইকে� নিজে� জায়গা থেকে ভা� কিছু করার এব� বলার উদ্যোগ নিয়� এগিয়ে আসতে হব� কারণ কালে কালে তি� গোয়েন্দার� তিরি� বছরেরও বেশি সময় পেরিয়� গেছে�
My second read of this awesome series, and one of the best of it's name. The story is about the three teen detectives (pun fully in'tin’ded) commencing their own investigative agency. And seeking a recommendation from a top tier hollywood director to kickstart their firm. Comprising of hushingly intense moments, hairpin turn of events and light, relatable teen humour. This book is a must read for anyone up for reading teen thrillers. And this is one hell of a book in the series that has created a huge generation of young bengali book-reading-thrill-seekers. PEACE OUT!
তখ� ইন্টারনে� ছি� না, লাইব্রেরির যু�; কমিক� আর বিভিন্� ক্লাসিকস গল্পের বই পড়ে শে� কর� ফেলা� দরুন বই না পেয়� তি� গোয়েন্দ� কিনে নিয়� বাসায় ফেরা� এরপর শুরু হয� একদিনে দু'টো কর� বই শে� কর� আর পড়ত� পড়ত� চমৎকার সব অ্যাডভেঞ্চার ভিজুয়ালাই� করার দি� � রকিব হাসানে� জন্য একরা� ভালবাসা। (� দিয়� নামে� কুলাঙ্গা�, যে তি� গোয়েন্দ� সিরিজটিক� গোবর� আর নর্দমায় ফেলেছে তা� জন্য একরা� নিন্দা � ঘৃণা)
তি� গোয়েন্দ� আমার কাছে শুধুমাত্� বই নয�, এগুল� আমার কাছে ভালোবাসা এব� স্মৃতি 💜
আমার সংগ্রহ� আছ� ৩০টা� মত ভলিউম। স্কুলে থাকত� পাগলের মত তি� গোয়েন্দার বই কিনতাম আর পড়তাম� আজ থেকে প্রায় ২০বছ� আগের কথ� হব�! টিফিনে� টাকা বাঁচিয়ে কি রিকশাভাড়া বাঁচিয়ে বই কিনতাম� আমার স্কুলে� কাছে� একটা পুরাতন বইয়ের দোকা� ছি�, আমার এক বান্ধবী চিনিয়েছিল দোকানটা। দুজন মিলে একসাথে যেতা� বই কিনতে। পুরাতন এক একটা ভলিউমে� দা� নি� ২০টাকা! সে� সময়� ২০টাকা� মূল্� ছি� অনেক� দুজন মিলে আলাদ� আলাদ� ভলিউ� কিনে বই আদান প্রদান চলত। চল� নিজেদে� কে উপহা� দেওয়াও।
তি� বান্ধবী মিলে নিজেরা হয়েছিলা�-কিশো�, মুসা আর রবিন! ক্লাসে বস� বইয়ের গল্প, নিজেরা রহস্� খোঁজ�, কার্� বানানো, কিশো�-মুসা-রবিন সেজে অভিনয় কর�, কি না করিন� তখ�!
ক্লাসে পড়া� বইয়ের নীচে তি� গোয়েন্দ� রেখে লুকিয়� পড়তাম! বাসায় বিকালে ঘুমানো বাধ্যতামূল� ছি�, মাঝে মাঝে না ঘুমিয়� বালিশে� নিচে বই রাখতাম, ঘর� কে� না থাকল� পড়তাম আবার কে� ঘরের কাছে আসতে নিলে� বইটা বালিশে� নিচে পগারপা� কর� ঘুমে� ভা� কর� মটকা মেরে পড়ে থাকতাম! কি ভীষণ সুন্দর দি� ছি� সেগুলো� খু� বেশি মন� পড়ে ছেলেবেলা� কথা। কোথায় যে� হারিয়� গে� সে� সুন্দর শৈশব আমার�
এখনকার যুগে� টিনেজারদের কাছে হয়ত তি� গোয়েন্দ� নামট� অনেক অপরিচি� একটা না�! তাদে� হাতে অনেক কিছু আছ� সময় কাটাবা� জন্য-মোবাইল, টিভি, ট্যা� ইত্যাদি। আমার সময়টায় হয়ত খু� কম সংখ্যক জিনি� ছি� আনন্� পাবা� বা অবসর কাটানো� জন্য কিন্তু সেগুলো ছি� শ্রেষ্� কিছু জিনি�, তা� মধ্য� তি� গোয়েন্দার না� থাকব� সবসময়ই।
If not the best, one of the most exciting books in the series. It started with such good promise. But the stories in the series later became too formulaic and boring.
কোনো রিভি� দিচ্ছি না� তি� গোয়েন্দ� আর ছোটবেল� নিয়� অল্প একটু স্মৃতিচারণ করছি শুধু�
সেমিস্টা� ফাইনালের প্যারা দেখে সব কিছু বন্ধ কর� দিয়� বস� আছি। তবুও ফাঁকিবাজ� করার কোনো না কোনো উপায� খুঁজ� বে� কর� হয়ে� যায়� সারাবছ� কোনো কারণ ছাড়� রিডার্� ব্লক� ভুগলেও পরীক্ষা� আগ� সবসময় বই পড়া� একটা ঝোঁক উঠে। রিভিশন দিতে গিয়� পড়ালেখা� বিতকিচ্ছিত অবস্থা দেখে বিরক্ত হয়ে উঠ� গেলাম। আপ� মন� লেখা-পড়া� সিস্টে� নিয়� যা তা বলতে বলতে সোফা� এক কোনায় "তি� গোয়েন্দ�" হাতে নিয়� বস� পড়লাম�
অনেকদি� পর হাতে নিয়েছ� দেখে� নাকি জানি না, উলটে পালট� বইটা দেখত� গিয়েই কভারের পেছন� চো� আটকে গেলো�
"হ্যালো, কিশো� বন্ধুর�- আম� কিশো� পাশা বলছি, আমেরিকার রক� বী� থেকে� জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মাহাসাগরের তীরে, হলিউ� থেকে মাত্� কয়ে� মাইল দূরে� যারা এখনও আমাদের পরিচয় জানো না, তাদে� বলছি, আমরা তি� বন্ধ� একটা গোয়েন্দ� সংস্থা খুলেছি, না� "তি� গোয়েন্দ�"� আম� বাঙালী� থাকি চাচা-চাচী� কাছে� দু� বন্ধুর একজনের না� মুসা আমান, ব্যায়ামবী�, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরি� আমেরিকান,রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা� এক� ক্লাসে পড়ি আমরা� পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরানো এক মোবাইল হো�-� আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনট� রহস্যে� সমাধান করতে চলেছ�- এস� না, চল� এস� আমাদের দলে।"
এই অং� পড়ে� মন ঠান্ডা হয়ে গেলো� তি� গোয়েন্দ�!! কত আবেগ, কত স্মৃতি যে লুকানো আছ� এই সিরিজে� পেছনে। কিছুক্ষণের জন্য হারিয়� গেলা� সে� সময়গুলোতে�
আমাক� আমার তি� গোয়েন্দার প্রথ� কপ� অনেক ছোটোবেলায় স্টেশনের এক দোকা� থেকে কিনে দিয়েছিল� আমার বাবা।। সে� সময় এই বই পড়ে আমার মাথা ঘুরে যাওয়া� মত� অবস্থা� এই একটা ভলিউ� বে� কয়েকবার পড়ে ফেললাম� ছো� থাকত� স্মৃতিশক্ত� অনেক ভালো ছিলো দেখে প্রথ� �-১০ পাতা মোটামুটি মুখস্ত হয়ে গিয়েছিলো।
ছোটবেলায� দাদুবাড়িত� ঈদ করতে গেলে দাদু-দাদা সব ভাইবোনকে টাকা দিতো� সে� টাকা নিয়� সবাই হইচই করতে করতে চল� যেতা� দাদুবাড়ির কাছে� ছোট্� এক দোকা� "শিক্ষা বিপনী"-তে� সেখা� থেকে ধীরে ধীরে কেনা শুরু করলা� "তি� গোয়েন্দ�"-� একেকটি ভলিউম। এরপর প্রত� ঈদের জন্য মুখিয়� থাকতাম� কখ� ঈদ আসবে, দাদু-দাদা টাকা দিবে আর একটি তি� গোয়েন্দার বই হাতে আসবে�
ক্লা� ফোরে থাকত� এক� বেঞ্চে� বাসিন্দা আমরা � জন তো রীতিমত� নিজেদেরক� গোয়েন্দ� ভাবা শুরু করেছিলাম� তি� গোয়েন্দার দেখাদেখি স্কুলে� ডায়েরী� একদম প্রথ� পৃষ্ঠায় চারট� প্রশ্নবোধক দিয়� রেখেছিলাম।
পড়া� বইয়ের মাঝখান� "তি� গোয়েন্দ�" রেখে পড়া� সময় কত বা� যে ধর� খেয়েছ� তা� কোনো হিসে� নেই। স্কুলে তো ক্লাসে� মাঝখান� পড়া� জন্য একবা� বই নিয়েও গিয়েছিলো। আর আম্ম�-বাবা� হাতে পড়া� বইয়ের মাঝখান� গল্পের বই রেখে পড়া অবস্থায় প্রচুর ধর� খেলে�; খু� সম্ভবত নিজেরা� নিজেদে� ছোটোবেলায় এক� কা� করেছেন দেখে� হয়ত তেমন একটা ধম� দেয়নি আমাকে।
ইন্সটা রি� দেখে দেখে ডোপামি� বুস্� নেওয়া� কারণ� আজকা� মনোযোগ খুবই কম� গিয়েছ�, অর্ধেকের বেশি জিনি� মন� থাকে না, যা মন� থাকে সেসব� খু� আবছা ভাবে মন� থাকে� কিন্তু বই সংক্রান্� ছোটোবেলা� বেশিরভাগ স্মৃতি� এখনো বে� ভালো মন� আছে। তি� গোয়েন্দ� পড়ত� গিয়� ছোটোবেলা� স্মৃতিগুলোতে একটা নস্টালজি� ট্রি� দিয়� আসলাম।
আমার কথ� ফু্রাল�, নট� গাছটিও মুড়ালো।
বিদ্রঃ বাংল� বই, বাংল� রিভি� লেখা অনেক কম� গিয়েছে। সত্য� বলতে গেলে বাংল� রিভি� একদম� লেখা হয� না� বছরে� শেষে� দিকে এস� মন� হল�, "কাজট� ঠি� হচ্ছ� না�" এজন্� আবার বাংলায� রিভি� লিখে আস্ত� আস্ত� বাংল� রিভি� লেখা� অভ্যাসটা ফিরিয়� আনার চেষ্টা করছি� ভু� ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন�
It was nice to have a new type of detective series. It was so well written that readers are bound to love the main three characters.
I was wondering why didn't I read this series when I was in my teenage! The book is pretty small. But the story is very rich. I am looking forward to reading the next adventures of the three investigators.
ছোটবেলায� অনেক � গোয়েন্দ� পড়ছি। কিন্তু এটাই সে� বই যা� মাধ্যম� � গোয়েন্দার আবির্ভাব ঘটেছিলো। তাদে� প্রথ� সমস্যা সমাধান� কেসট� প্রেডিক্টেবল ছিলো� শুরু থেকে� আমার সমাধান এটাই ছিলো যদিও মাঝখান� কিছু রংঢং যো� কর� হয়েছে�
খু� সম্ভবত আমার বয়সী সক� বইপড়ুয়� ছেলেমেয়� কিশো� বয়স� তি� গোয়েন্দ� পড়ে বড়ো হয়েছে� আমিই ব্যতিক্রম। তেমন একটা নামও জানতাম না� আমার আশেপাশের মেয়ের� কে� পড়ত� না� এখ� এই ২৪ বছ� বয়স� এস� পড়া শুরু করেছি। হয়ত� বয়স আরেকটু কম হল�, গল্পগুলো আর� রোমাঞ্চক� লাগতো। তা� এখনও কম লাগছ� না� মাত্� দুইট� গল্প পড়েছি� গল্পগুলো বেশভালোই এনজয� করেছ� �