কেমন হব� একজন খাঁট� মুমিনে� ক্যারিয়ার? কী হব� তা� জীবনের লক্ষ? ক্যারিয়ার মানে� আমরা বুঝি টাকা এব� সম্মান� ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়� মানু� সম্মান খোঁজ�, ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়� মানু� টাকা খোঁজে। কিন্তু ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়� সম্মান খোঁজ�, ক্যারিয়ারের মধ্য দিয়� টাকা খোঁজ�, এট� মুমিনে� লক্ষ হত� পারে না� কারণ, মুমি� বিশ্বা� কর�, টাকা আস� আল্লাহ তাআলার কা� থেকে� রিজি� আস� আল্লাহ তাআলার কা� থেকে এব� সম্মান� আস� আল্লাহ তাআলার কা� থেকে� আল্লাহ তাআল� রিজিকেরও মালি�, সম্মানের� মালিক। এট� আল্লাহ তাআল� যে কাউক� ক্যারিয়ার ছাড়াই দিতে পারে�, এট� আমাদের বিশ্বাস। সুতরাং আমাদের ক্যারিয়ারটা হব� অন্যান্য মানুষে� চেয়� আলাদা। একজন মুমিনে� ক্যারিয়ার হব� মূলত দুইট� উদ্দেশ্য�, একটা হচ্ছ� দাওয়া�, আরেকটা হচ্ছ�, সাদাকাহ। একজন মুমি� উপরে উঠবে, অনেক উপরে উঠবে� একজন মুমি� সম্প� উপার্জ� করবে, অনেক সম্প� উপার্জ� করবে, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তা� লক্ষ্য থাকব� দুইটা। একটা হচ্ছ�, সদাকাহ কর�, এব� দু� নম্বরে হচ্ছ�, দাওয়া� করা। দ্বীনে� দাওয়া� করা। মানুষে� কাছে দ্বীনটাক� উপস্থাপন করা।
বর্তমা� জামানায় আমাদের পড়ালেখা, শ্রম � সবকিছু� মূলে রয়েছে ক্যারিয়ার� কিন্তু একজন মুমিনে� ক্যারিয়ার কেমন হওয়� উচিৎ, ক্যারিয়ার নিয়� তা� দৃষ্টিভঙ্গ� কেমন হওয়� উচিৎ সে বিষয়ে খু� কম� কথ� হয়। এমনক� এট� নিরে� দুনিয়াব� বিষয� বল� মন� কর� হয়। তা� ইসলামক� এর সাথে আমরা একেবারেই সম্পৃক্ত কর� না� অথ� মুসলিম হিসেবে আমার সক� কা�-কর্ম� তো দ্বীনে� অন্তর্ভুক্� হওয়� উচিৎ� উক্ত বইয়� লেখক মুসলিম হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রত� আমাদের কেমন দৃষ্টিভঙ্গ� থাকা উচিৎ সে বিষয়ে আলোকপা� করেছেন�
বইয়� আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু ছি� রিযিক। ইসলামে রিযি� কেবল অর্থ-সম্পত্তি� মধ্য� সীমাবদ্ধ নয�, বর� আর� বিস্তৃত। এই বই পড়ল� রিযিকে� ধারণাও স্পষ্ট হয়ে যাবে�
এছাড়া নারীদে� ক্যারিয়ার নিয়েও আলোচনা রয়েছে� এখান� একটা বড� রকমে� অংশে ছি� পুঁজিবাদের সমালোচনা� নারীদে� ট্রেডিশনাল গৃহব্যবস্থাপনা� কার্যক্র� থেকে বেড়িয়ে কীভাবে বর্তমা� চাকর� ক্ষেত্রে বিচর� শুরু হল এব� এক্ষেত্র� পুঁজিবাদের ভূমিকা নিয়� আলোচনা রয়েছে�
সবশেষে লেখক কিছু দি�-নির্দেশনাও দিয়েছেন� ক্যারিয়ার নিয়� ইসলামভিত্তিক লেখা বাজারে আর কয়ট� আছ� জানি না� তব� এই বইটা আম� অবশ্যই সক� মুসলিম তরুণ-তরুণিক� রিকমেন্ড করব।
একজন মুমিনে� জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য হল� আল্লাহ� ইবাদাত-বন্দেগী কর�,আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা। আবার এক� সাথে জীবনের নানা� প্রয়োজন পূরণ� তাকে অর্থ উপার্জনে� উদ্দেশ্য� বহুমুখী চেষ্টা তৎপরতা চালাতে হয়। তা� অনেক সময় আবার মন� হয� হয়ত� এই দুটো উদ্দেশ্য এক� অপরে� সাথে সাংঘর্ষিক। কিন্তু না, বাস্তবতা ভিন্ন। আর পুরো বই জুড়� এই বক্তব্যটাই লেখক জোরালো ভাবে পে� করেছেন বল� আমার মন� হয়েছে, আল্লাহ� �'লাম।
এত� কোনো সন্দেহ নে� যে রিযি� একটি পূর্বনির্ধারিত বিষয়। তা� আম� যা যত� চেষ্টা চালা� না কে� বা যত� গা এলিয়ে বস� থাকি না কে� আমার নির্ধারি� অং� আমার কাছে পৌঁছাবেই� কিন্তু আমরা কুরআ�-সুন্না� দ্বারা আদেশকৃ� যে আমরা যে� সম্মানের সহিত নিজেরা হ্বক হালা� পন্থায� রিযিকে� তালা� করি। অপরে� দা� দখিন� বা হারা� কোনো পন্থ� অবলম্ব� না করি। তা� আমাদের� উচিত সে অনুযায়ী আম� করা।
এমনক� একটা পরিমাণ অর্থ উপার্জ� করার চেষ্টা কর� তো উলামায়ে কেরা� ফরযও বলেছেন� তা ঠি� কতোটুক� এস� বিষয� নিয়� আলোচনা বইটিতে রয়েছে� আর তা� বাইরেও অতিরিক্ত আয� করার উদ্দেশ্য� চেষ্টা করাও যে খারা� কিছু নয� বর� আমাদের মূ� উদ্দেশ্য(দ্বী� প্রতিষ্ঠ�) পূরণের ক্ষেত্রে বর� সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে� তা� সাপেক্ষে শক্ত যুক্তি তুলে ধর� বিস্তারি� আলোচনা কর� হয়েছে� এক্ষেত্র� অবশ্যই যুহুদে� প্রশ্ন এস� যায়� নানা� সংশয়ও সৃষ্টি হত� পারে� কিন্তু এস� সন্দেহ � সংশয� অসাধার� পন্থায� দূ� কর� হয়েছে বইটিতে�
অবশ্যই কে� যদ� তা� প্রয়োজন পূরণ হওয়ার পর� আর অতিরিক্ত আয� রোজগারের জন্য মেহন� না করতে চায় এব� বাকি সময়টুকু কেবল ইবাদতে� মেহনতে ব্যয� করতে চায় তব� আলেমদে� মত� এটাই উত্ত� পন্থা। কিন্তু বেকা� সময় অপচয� করার কোনো সুযো� নেই।
বইয়ের বড� একটা অং� জুড়� আলোচনা এসেছ� বোনদের ক্যারিয়ার ভাবন� কেমন হব� তা নিয়ে। ইসলা� তাদে� কি নির্দেশন� দেয় আর পশ্চিম� সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত এই সমাজ তাদে� কো� দিকে নিয়� যাচ্ছে এস� নিয়� বিস্তারি� আলোচনা এসেছে। তাদেরক� সবিস্তার� নানা� উপকারী � কার্যকরী দি� নির্দেশন� দেয়� হয়েছে� যেগুলো� উপ� আম� করতে পারল� অনেক উপকারী হবেন ইন শা আল্লাহ�
তাছাড়� জেনারে� পড়ুয়াদের জন্যেও বাস্তবমুখী কিছু উপদে� � দি� নির্দেশন� দেয়� হয়েছে যেগুলো� উপ� আম� করতে পারল� সুন্দর একটি ক্যারিয়ার গড়ত� সহায়ত� করবে ইন শা আল্লাহ� বইয়ের সাথে সংশ্লিষ্� সকলক� আল্লাহ উত্ত� প্রতিদান দি�, আমীন। উস্তাদকে আর� বেশি বেশি দ্বীনে� খেদম� করার তৌফি� দি�,হেদায়েত দি�,হেফাযত� রাখু�, আমীন। সক� প্রশংস� এই বিশ্বজাহানের এক� স্রষ্ট� � প্রতিপাল� আল্লাহর।
শক্ত� ভা� একদম কাঠখোট্ট� কথাবার্ত� লেখেন। টু দ্� পয়েন্ট। এরপর� তা� লেখা বই একবা� পড়া শুরু করলে মন্ত্রমুগ্ধে� মত পড়তেই থাকি� কারণ তা� লেখা� বিষয়বস্তু আর অন্য কিছু নয�, বর� আপনা� আমার জীবনের ব্যবহারি� দিকগুল� নিয়েই মূলত উনার বইয়ের আলোচনা� যেমন এই বইটা, ক্যারিয়ার নিয়ে।
ক্যারিয়ার জিনিসট� অনেক ইন্টারেস্টিং� কারো� ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্য হচ্ছ� মানুষে� সেবা কর�, আর কারো� ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্য হচ্ছ� পুঁজিবাদের দাসত্ব করা। প্রথমট� স্বাভাবি� (যেহেতু স্বাভাবি� তা� এট� নিয়� এত কথ� বল� হয� না), দ্বিতীয় উদ্দেশ্যটা ক্ষতিক�- সমাজ � রাষ্ট্রে� জন্য, সর্বোপরি ভবিষ্য� প্রজন্মে� জন্য�
এজন্� একজন মুমি� হিসেবে আমাদের ক্যারিয়ার কেমন হব�, তা� আদর্শই বা কী হব�, সেটা আমাদের ঠি� কর� নিতে হবে। তব� দ্বীনে� ক্ষেত্রে কোনো আপোস নয়। অনেক সাহাবি মিলিয়� মিলিয়� সম্পদে� মালি� ছিলে�, তবুও দ্বীনক� কখনো পাশে রেখে দেননি। সাহাবিদে� সম্পদে� যে তালিকা বইয়� অন্তর্ভূক্� কর� হয়েছে তা দেখে আম� রীতিমত অবাক� হয়েছি� এম� না যে জানতাম না� জানতাম, তব� এভাব� কখনও চিন্তা কর� দেখিনি যেভাবে লেখক চিন্তা করেছেন� তারা যেমন স্বচ্ছ� ছিলে�, তেমন� প্রচুর সাদাকা� করেছেন� এত� তাদে� সম্প� শুধু বাড়েই নি, বর� এর মাধ্যম� আল্লাহ� প্রিয় হয়েছেন।
বিশে� কর� অনেক বোনে� জানা� ইচ্ছ� থাকে ফিতনার � যুগে তারা নিজেদে� ক্যারিয়ার কীভাবে গড়বেন� ঘর�-বাহিরে কীভাবে কী করলে ভালো হয� তা� জন্য বিস্তারি� দিকর্দেশনা লিখেছেন। অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে� বইটি পড়া� পরামর্� থাকবে। অবশ্যপাঠ্য একটা বই�
ক্যারিয়ার মানে� আমরা বুঝি টাকা এব� সম্মান, টাকা এব� সম্মানের জন্য ক্যারিয়ার তথ� দুনিয়ার জীবনের পেছনেই আমরা আমাদের জীবনের বড� একটা সময় ব্যয� কর�, অথ� টাকা অর্থাৎ রিজি� আল্লাহ� হাতে যা পূর্বলিখিত তাকদিরের অংশ। একজন মুমিনে� সত্যিকারের ক্যারিয়ার হব� দাওয়া� এব� সাদকাহ এব� সে প্রতিযোগিতায� লিপ্� হব� আখিরাতকে সামন� রেখে এটাই একজন মুমিনে� সবচেয়� গুরুত্বপূর্ণ কা� যে বিষয়ে বইটিতে বিস্তারি� উল্লেখ কর� হয়েছে