Annada Shankar Ray was a Bengali poet and essayist.
He was born in 1904 at Dhenkanal, Orissa. He graduated in English from Ravenshaw College. His father had shifted base from their ancestral village of Rameswarpur near Dhamnagar in Bhadrak of Orissa, following a family feud. His family roots go back to the 'Ghosh Mahashayas' who migrated to Rameswarpur from Kotarang near Howrah as a part of Todarmal's contingent during Akbar's reign. He topped the list of Indian Civil Service examinees in 1927. He had failed to make the mark in the previous year being cut-off by one rank. It is said that he promised to his family and friends that if only one person was to be selected for ICS the next year, it would be himself, and he proved it. Incidentally he was the first ICS officer from the territory later forming the state of Orissa. After serving in various administrative posts, he sought voluntary retirement in 1951 to devote himself to literary pursuits. Ray was a Gandhian in politics and Rabindranath Tagore inspired his literature. A Bengali rendering of a short story by Tolstoy and an appraisal of Sarat Chandra Chattopadhyay’s essay Narir Mulya marked his debut on the literary scene at the age of 16. His first published book was Tarunya (1928), which gave him a footing as an essayist. His first two novels were Asamapika and Agun Niye Khela. As an essayist, he was urbane and sophisticated and combined in his craft two different styles of prose, represented by Tagore and Pramatha Choudhury. A significant breakthrough in his literary career came with the publication of Pathe Prabase, a brilliant diary of his Europe trip, in 1931. Ray also established himself as a short-story writer. His collections include Prakritir Parihas (1934), Man Pavan (1946), Kamini Kanchan (1954) and Katha. He received the Vidyasagar Smriti Award from the state government and the Padma Bhushan. He was made a fellow of the Sahitya Akademi in 1989. The Visva Bharati conferred on him the Desikottama and an honorary D.Litt. He also received the Rabindra Puraskar, the Ananda Puraskar twice and the prestigious Zaibunnisa Award of Bangladesh He was a bitter opponent of the partition of 1947 and wrote several Bengali poems criticising it. Most notable is "Teler shishi bhaanglo bole khukur pare raag karo". Among his many essays, the book "Banglar Reneissance" has an analytical history of the cultural and social revolution in Bengal. His married Leela Ray, an Indianized American lady with literary talent. Annada Shankar's most famous work is "Pathe Prabaase" - a diary of his Europe trip in 1931. From amongst his other great works in Oriya, the poetry "Sabita" finds place in higher studies of the language at College level, making him one of the rare poets to have the distinction of getting such acclaim from two different language speaking states of India. He died in Kolkata on 28 October 2002. He married an American pianist called Alice Virginia Orndorf. After marriage Alice Virginia took the name Leela Roy.
শুরুটা যেমন ছিল� রায়সায়েব হয়ত� চাইছিলেন তিনি না� বল� যাবে� আর পাঠকের করোটিমধ্যে জায়গাগুলো� দৃশ্� ফুলে� মত� ফুটত� থাকব� এক� এক�... কিন্তু মায়ের শাড়ির খুঁট� আঁকড়ে বুড়� হওয়�, নিতান্� বেক্কল ন্যু� ট্যুরিস্� আম� সে� গতিময় স্মৃতিচারিতা� অং� আর হত� পারলাম কই!
যাজ্ঞে� পরের দিকে লেখকের স্থিতি, আর পাঠকের স্বস্ত� - দুইই এসেছ� অবশ্য। গুজরাটী বম্বের আলাপ কর�, ‘কলকাতার না�-শিল্পে� চেয়� বম্বের কানা-শিল্� ভালো�-� মত� কিছু স্বরণীয় ডায়লগ ছেড়�, নদীপথ ঘুরে অন্নদাশংকর পা রাখলেন লণ্ডনে� নতুন কিছু কি জানলাম? হ্যা�, টেমস আমাদের বুড়িগঙ্গা� ইশকুলে-যাওয়া-দাঁত-মাজা-ভদ্দরনোক ভার্সন, লণ্ডনি আভাওয়� জঘন্�, এদের শতকপিপ্রবণ স্থাপত্যশিল্� জঘন্যতর। তত� কি�?
হ্যা�, লণ্ডনিরা চাপা স্বভাবের, 'কি�' করতে ভালোবাসে, খাটে-খ্যালে-খায়, আর এই ত্রি-নীতি মেনে জীবনের আঁ� কষ� থাকে সবাই� তত� কি�?
এরপরেই বইটা� আস� চেহারা, আর রায়সায়েবের লেখা� হা� - দুঃশাসনে� হ্যাঁচকা টানে দ্রৌপদী� শাড়ির পাকে� মত� � খুলত� শুরু করল। ইংলণ্ডের সরণি দিয়� হাঁটতে হাঁটতে তিনি হঠাৎ ঢুকে পড়ছেন পারি বার্লি� লাইপৎসী� ড্রেসডেন থুরিঙ্গিয়� প্রা� নুর্নবার্গ হল্যাণ্ড বেলজিয়ম ইটালির গল�-কানাগলির ভেতর� রঁলা� সাথে কখনো বস� ভাবছেন বাংল� সাহিত্� মূলত� ‘খন্ডি� রিরংসা� ব্যবচ্ছেদাগার�, কখনো বার্লি� ইজ গ্রেটা� দ্যা� পারী ইজ গ্রেটা� দ্যা� লন্ড� ইজ গ্রেটা� দ্যা� কলকাতা � এই শুকন� তুলনাসমূহক� বিশ্বাসযোগ্যতা দিতে উপমা� নিক্তি নিয়� বসছেন।
কখনো চল� যাচ্ছে� চার্� আর স্টে� নিয়� গুরুগম্ভী� থিওর� বিশ্লেষণ�, য়ুরোপের ধর্মসন্ধিৎসু প্রবণতার বর্ণনায়; কিংব� কখনো বিচিত্রা� পাঠকদে� কাছে পাশে� বাড়ির ভাবী� মত� আগ্র� নিয়� বর্ণনা করছে� বিলাতি নারী পুরুষে� সামাজি� পারিবারি� সাংসারিক ডায়নামিক। নিজে� রক্ষণশীলতার ব্যা� মাপছেন অজান্তেই, প্রভাবিত হচ্ছেন, বোঝা যায়� বলছে�, ‘নতু� দেশে নতুন আবহাওয়ায় নিঃশ্বাস নিয়� গোটা মানুষটার� একটা অন্তঃপরিবর্ত� ঘট� যায়।�
তা, ক্রমবিকাশমান সূক্ষ্� পরিবর্তন ঘটছি�, রচনাতেও। পড়ত� পড়ত� দেখি বাংল� শব্দের মাথায় বসছে আংরেজি টুপি; যুবক হয়ে যাচ্ছে ’গ্যালান্ট�, বসন্তক� ‘এ� ফার্দ্দিং� ফাঁকিও দেবে� না বল� পণ করছে� লেখক� ব্যাপারট� মজার�
আর... কিছু খটকা ছিল। যেমন ধরেন যুদ্ধে� দিকে তা� প্রায়-রোমাণ্টি� দৃষ্টি� মানব সভ্যতাকে উদ্দীপ্তকরণের জন্য� যুদ্ধে� নগ্ন প্রয়োজনীয়তা� খোঁড়া যুক্তি দেওয়া� এগুল� কখনো যুদ্ধে না যাওয়া, আজীবন প্রিভিলেজড, শেল্টারড লাইফ কাটানো মনোভাবের পরিচয় দেয়� এক জায়গায় সাম্যবাদ জুজু� ভয� দেখিয়েছেন পাঠককে� এই বদমা� সাম্যবাদ এস� যে� সবাইরে সম-সাইজের বামন, উম্প� লুম্পা বানায়� দিবে� আর তখ� আবির্ভাব ঘটবে উইলি ওংকা�, সবগুলারে সে তা� নতুন চকোলেট ফ্যাক্টরিত� ফ্রি কামল� খাটানো� জন্য পিটায়�, বাইন্ধ� নিয়� যাবে আরকি�
এক জায়গায় দেখলাম দক্ষিণ আর উত্ত� য়ুরোপকে হিন্দু মুসলিম স্টেরিওটাই� দিয়� ভা� কর� বোঝাচ্ছেন। চোখে লাগল�
এগুলোক� মোটামুটি এড়ায়� গেছি প্রায় একশো বছ� আগেকার লেখা হওয়ার কারণে। ভিন্� সময়ের প্রোডাক্� হওয়ার কারণে। আর সত্য� বলতে; ভিন্�, অস্থির সময়ের প্রোডাক্� হবার জন্যেই এই বই গুরুত্বপূর্ণ� ইংরেজে� বণিক, শাসক � রণবৃত্তি নিয়� খুঁটিনাট� কাটাকুটি ভালো লেগেছে, বিশে� কর� তাদে� মহাপুরুষভীতি-সংক্রান্� কথাট� যথাযথ। ওদের জাতিপ্রকৃত� খু� একটা পাল্টায়নি আজো।
তারপ� এত� দে� ঘুরে এস� শেষে রায়সাহে� দোমনা। এই দেখি দু� বছরে� বিলাতবাস-রে নির্বাসন বলেন; আবার দেখি মু� বেজা�, বিলাতে� জন্য নাকি মন কান্দে� টিপিক্যা� বঙ্গবাসী!
সব মিলায়� ভালো লাগছে।
This entire review has been hidden because of spoilers.
না�, 'পথ� প্রবাস�' বইখানাকে ভ্রমণকাহিনী ভেবে পড়া শুরু করলে ভুলই কর� হব�, ভ্রমণকাহিনী ইহ� নয়। ইহাক� মোটে� উপ� একখানা বিশা� কলেবরে� প্রবন্� বল� চল� (প্রবন্� যদিও নাতিদীর্� হয�)�
প্রথমার্� � দ্বিতীয়ার্ধ নিয়� আমার পা� প্রতিক্রিয়া দুইরকম� প্রথমার্� নিয়� কথ� বলতে গেলে বলতে হয�, আমাদের বাংলাদেশ�, দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্� বাধ্যতামূল� যে বাংল� সাহিত্যপাঠ বইগুলো রয়েছে, তাতে অনায়াসে এর অংশে� পর অং� রেখে দেয়� যায়� তব�, যো� কর� হব� কি না অথবা করতে দেয়� উচিত হব� কি না তা নিয়� আম� সন্দিহান, কেনন� নিজে� দেশে� নিন্দা � অপ� দেশে� সুনা� (অবশ্যই যুক্তিযুক্� হত� হব�), অথবা তুলনামূল� সমালোচনা আমাদের শভিনিজমে� পাল্লায় পড়ে ঠিকম� মাথা উঁচু কর� বাঁচার সুযো� পাচ্ছে না এখনো� ফাঁক� তালে যা-� বা কিছু ঢুকে পড়ছ�, অচিরেই বা�-বা� কর� পালাতে হচ্ছ� তাদের। তা� বুঝতেই পারছেন, যে অংশগুল� শিক্ষা কমিশ� দ্বারা যো� হবার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে, তা স্রে� বাঙালি� জয়গান� গাইব� এব� বইয়� আমাদের নেতিবাচক দিকগুল� নিয়েও যেভাবে যুক্তিযুক্তভাব� সমালোচনা কর� হয়েছে, সেসব এড়িয়� যাওয়া হবে। তা� আমাদের পাঠ্যক্রমে পক্ষপাতশূন্যভাবে 'পথ� প্রবাস�'-এর বিভিন্� খণ্ডাং� যো� হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নে� বললে� চলে।
এখ� আস� দ্বিতীয়ার্ধের কথায়। � পর্যায়ে এস� স্থানে স্থানে অন্নদাশঙ্ক� বাবুকে ঠি� মুক্তমনা বল� মন� হয� না আর, তব� মানু� বল� চল� অবশ্যই� দেড়পাতা জুড়� গেয়� ফেললেন পুঁজিবাদের জয়গান, সাথে কিছুক্ষণ ক্লাসিস্� প্যাঁচাল, আবার বাইগ্যামী না মেনে নেওয়ায় 'ম্লেচ্�' নারীদে� উদ্দেশ্য কর� সভ্যতাকে 'ধি� ধি�' জানাতে� পিছপ� হলেন না� নারীরা, শ্রমিকের� সমান অধিকার চাওয়ায়, সমাজের সকলক� সমান চোখে দেখবার দাবি জানানোতে উন� বে� ভারি-ভারিক্কি� কয়েকট� মেটাফোরে� সাহায্যে "বাপু এর� কর� কিন্তু সমাজের হারমনি নষ্ট হচ্ছ�" বল� চো� টাটালেন। আভিজাত্য-ইজ� কে পুঁজ� কর� জানিয়� দিলে�, কয়লার ফেরিওয়ালা পাছে Daily Mail পড়ে শিক্ষি� মানু� হয়ে ওঠ� আর ক্ষমতা গুটিকয়েকে� থেকে বেহা� হয়ে যায়, এই ওনার একটু গা শিরশিরানি। আমাদের নাকি প্রয়োজন কোটিপতিদের জন্য ময়ূ� সিংহাস�, জনসাধারণের জন্য লোহা� বেঞ্চি মোটে� চোখে� আরাম দেয় না� কি আর বলবো, ভা�! তখ� মন� হচ্ছিল�, "ছেড়� দে মা, এই বই শে� হইলে বাঁচি।"
শে� কথ� হল�, বইখানা অবশ্যই পড়বার মতন। সবার সব মতাম� সেন্� পার্সেন্� শুদ্� হয� না এব� আম� বইটিকে যেভাবে বিশ্লেষণ করেছ�, তাতে� গল� থাকা� সম্ভাবনা ষোলো আনা। তব� বইয়ের কো� মতামতট� গ্রহণীয় � কোনট� বর্জনীয়, তা নিয়� পাঠকের নিজস্ব চিন্তাভাবন� কর� অবশ্� প্রয়োজনীয় এব� আমার� এই আহ্বান� থাকবে।
মুভি বা সিরি� দেখা� আগ� কিছু মানুষে� ইউটিউব� ঢুকে ট্রেইলার দেখে নিতে হয�, যেমন ধর� যা�, আমি। তেমন� বইয়ের ক্ষেত্রে� আগ� হাতে নিয়� দু� পাশে� ফ্ল্যা� পড়া, প্রথ� প্রকাশ, কততম সংস্কর�, প্রচ্ছ� কে করেছেন, উৎসর্গ, ভূমিকা, এমনক� গায়ের দা�, সব� দেখত� হবে। যথারীতি ভূমিকা পড়ত� গিয়েই বইটা ভালো লাগল�, অসম্ভব ভালো বল� যায়, এত সুন্দর ভূমিকা হল� বই না জানি কেমন (ভূমিকা লিখেছে� প্রম� চৌধুরী)� লেখনী অসাধার�, ভাবে� গভীরত� আর হাস্���র� মিলেমিশে কখনো� এক ঘেয়েম� লাগব� না� তাতে আবার প্রথ� বিশ্বযুদ্ধের পর, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগ� লেখা, লেখকের কোনো ভবিষ্যদ্বাণী যখ� মিলে যাচ্ছে, যারপরনাই অবাক হচ্ছ� দূরদৃষ্ট� দেখে�
কিন্তু সবাইকে এই বই পড়ত� বলবো না, কারণ আর কিছু� না, লেখক সুন্দর লেখা� আড়ালে সমাজের কদর্� দি� গুলোকে সমর্থন করেছেন� অনেকটা নেটফ্লিক্স এর টপ রেটে� সিরি� গুলো যেমন ভায়োলেন্স, নুডিটি, হোমোসেক্সুয়ালিটির মত� বিষয� গুলোকে নরমালাইজ করার চেষ্টা করছে�
লেখক - পাঠক� মতের অমিল থাকবেই, তব� সাহিত্যে� নামে প্রপাগাণ্ড� মেনে নেওয়া যায় না�
আমার যা মন� হয�, একটা ভ্রম� কাহিনী লিখত� হল� প্রচুর জ্ঞা� থাকত� হয়। শুধু চো� দিয়� কি দেখলাম, সেটা� বৃত্তান্� লিখলেই শে� হল না� চোখে� দেখা থেকে কি শিখলাম, তা� ভালো মন্দ দি�, তা� কার্যকার� উদঘাটন, পেছনের কো� ইতিহাস আনতে হল� তা� যাচা� বাছা�, সবকিছু� একটা মিশে� থাকা উচিত� আর� যেটা থাকা উচিত, পরিমিতিবোধ� কো� ইনফর্মেশনট� কতটুকু দেয়� উচিত, কিভাবে প্রেজেন্� কর� উচিত, সবকিছু� একটা পাঠকবান্ধব মাপমতো লেখা� সৈয়� মুজতবা আলী নিঃসন্দেহে বাংল� সাহিত্যে শ্রেষ্ঠত� ভ্রমণকাহিনী রচয়িতা। উনার লেখা বুঝত� সমস্যা হল� আরেকটু পড়াশোনা কর� কয়ে� বছ� পর আবার ধরবে�, দেখবেন কত ডিটেইল� � লিখে� উনি।
অন্নদাশঙ্ক� রায় এর "পথ� প্রবাস�" বাংল� সাহিত্যে একটা অনন্� সংযোজন� গত শতাব্দী� প্রথমার্ধে খু� একটা কে� লিখে� নি � ধরনে� রচনা� উন� এই ধারা� সূচন� লগ্ন� থাকা� দি� দিয়� সুন্দর একটি বই উপহা� দিয়েছেন�
প্রচুর চিন্তা� খোরা� যোগাবে বইটি� প্রচলি� অনেক কিছু নিয়� ভাবত� উৎসা� পাবেন। দৃষ্টিভঙ্গিত� একটু ঘষামাজ� হবে। বইয়ের কিছু কিছু বর্ণনা সর্বজনী� � সর্ব কালে� জন্য� প্রযোজ্য� কিছু বর্ণনা একটা অন্যরক� ভালোলাগা এন� দিবে� তব� উনার কিছু গোঁড়ামি দেখে বিরক্ত হয়েছি� রায় সাহেবে� কিছু মনোভাব� কিঞ্চি� মেজা� চড়ে যেতে পারে� সেসব বর্জনীয়�
ভ্রমণকাহিনী বলতে একবাক্যে কে কি মন� কর� জানি না, তব� আমার কাছে দীর্ঘদিন ধর� সেটা ছি� কোনো স্থানে� রূ� বৈচিত্রে� বর্ণনা, সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যা� ইত্যাদি। কিন্তু অন্নদাশঙ্ক� রায় এই কয়েকট� জিনিসে আবদ্� থাকে� নি� ভ্রমণে� পাশপাশ� দর্শনক� সমান্তরালে স্থা� দিয়� আমার মত পাঠকের মুণ্ডপাত করেছেন, মুন্সিয়ানার কথ� সুবিবেচক পাঠকের হাতে ন্যস্ত থাকলো।
লেখক ১৯২৭-২৯ সা� পর্যন্� ইউরোপে অবস্থা� করেন� দক্ষিণ ভারত ঘুরে কট�, কট� থেকে বম্ব� এব� ফাইনাল� বম্ব� থেকে জাহাজে কর� লন্ডনে� উদ্দেশ্য� রওনা� লন্ড� থেকে এক� এক� ঘুরেছে� সুইজারল্যান্�, ফ্রান্সে� পারী(প্যারি�), অস্ট্রিয়া� ভিয়েন�, জার্মানি, হল্যান্ড, চে� রিপাবলিক, ইতালি। লন্ডনে বেশিরভাগ সময় অবস্থা� করেছেন বল� স্বভাবতই ইংল্যান্ডে� কথ� বেশি এসেছ� বইয়ে। ইংল্যান্ডে� শিল্� সাহিত্�, মানু�, আবহাওয়া, প্রকৃত�, শাসন ব্যবস্থা, ধর্ম কিছু� বা� যায়নি� পারী� লোভনীয় বর্ণনা পড়ে যেকোনো পাঠক বিংশ শতাব্দী� পারীতে ভ্রম� কর� আসবে এক মূহুর্তে� তাছাড়াও অন্যান্য শহরে� বর্ণনা� পাশাপাশি সেখানকার মানুষে� জীবনযাত্রা, শিল্�, সংগী� নিয়� গুরুভা� দার্শনিক আলাপ কপচিয়েছেন� ফল� এই বইকে নিরে� ভ্রমণসাহিত্য বললে খুবই অন্যায্যতা হয়। তব� সাধারণ পাঠক ইউরোপক� এক নতুন চোখে আবিষ্কার করবে বল� আমার ধারণা।
১৯২৭-১৯২৯ সালে� ইউরো� ভ্রম� নিয়� লেখা হয়ে বইটি� ইংল্যান্�, ফ্রান্�, সুইজারল্যান্�, অস্ট্রিয়া সহ আর� বে� কিছু দেশে� বর্ণনা তুলে ধরেছেন লেখক� তাঁর সময়কা� ইউরোপে� পরিবেশ, পরিস্থিত�, মানুষে� আচার-আচরণ, রাজনৈতিক, সাহিত্যি�, সামাজি� অবস্থা নিয়� শুধু লিখে� যানন� সাথে তুলন� করেছেন ভারতবর্ষের সাথে� ভারতবর্ষের প্রচলি� প্রথ� � ধর্মের কঠিন সমালোচনা করেছেন� নিজে� মতাম� তুলে ধরেছেন প্রতিট� বিষয়ে� শে� দিকে ইউরোপে� নির্বাচন � ধর্ম নিয়েও বেশকিছ� বিশ্লেষণ � মন্তব্� দিয়েছেন� সাথে ছিলো তা� বিদায় বেলা� দুখি মনের আত্মবিশ্লেষণ�
বই থেকে কিছু উক্তিঃ
�. দে� দেখত� ভালো লাগে না, যদ� দেশে� মানুষক� ভালো না লাগে�
�. মাটি যে আমাদের কত বড� আশ্রয়স্থল, সমুদ্রের উপ� অসহায়ভাবে ভাসমান না হল� হৃদয়ঙ্গ� হয� না
�. অস্তিত্বের মূল্� দেবা� জন্য ধনী না হল� চল� না�
�. সব জিনি� যে সকলক� জানতেই হব�, পেতে� হব�, করতে� হব� এইটে আমাদের যুগে� কুসংস্কার।
�. একালের কুমারীদে� অনেক দুঃখ থেকে অব্যাহতি মিলেছে, সে� জন্য তারা বিবাহে� জন্য কেঁদ� মরছে না� এব� একালের বিবাহিতরাও অনেক সু� থেকে বঞ্চিত হয়েছে, সে� জন্য তারা সৌভাগ্যগর্বে বাড়াবাড়ি করছে না�
�. লো� করলে থামত� হয�, আর পথ� থামা� পথিকের মৃত্যু�
�. গতিশী� সভ্যতা যে জীবনের আনন্� বাড়িয়েছে এম� তো মন� হয� না, বাড়িয়েছে কেবল জীবনের উত্তেজনা�
�. স্বদেশকে চিনে বলেই ওর� বিশ্বক� চিনে�
১০. ফ্রান্সে� আধুনিক ইতিহাস তা� ক্যাফেগুলোতে� তৈরি, ইংল্যান্ডে� ইতিহাস যেমন তৈরি হয়েছে তাদে� স্কু� গুলি� প্লে গ্রাউন্ড�
১১. সাহিত্� যদ� অসুস্থমন� হয়ে থাকে তব� তা� রচনাকে সাহিত্� না� দিয়� সাহিত্যক� সাজা দেয়� সাজে না�
১২. টাকা� জন্য আর যা� হো� বই লিখবেন না� (রলাঁ� উক্ত�)
পড়ে শে� করলা� অন্নদাশঙ্ক� রায়ের লেখা “পথে প্রবাসে� বইটি� বইটি মূলত লেখকের ইউরো� ভ্রমণে� অভিজ্ঞতা নিয়� লেখা� এট� একটি ভ্রম� কাহিনী বিষয়ক বই হলেও সাধারণ ভ্রম� কাহিনী থেকে একটু ব্যতিক্র� মন� হল� লেখক এখান� ইউরেপে� নানা� দে� ইংল্যান্�, ফ্রান্�, ইতাল�, জার্মানি, অষ্ট্রিয়া ইত্যাদ� দে� সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন� সে সব দেশে� ধর্ম,বর্ণ, মানুষে� জীবন-যাপন, প্রকৃত�, আচার-অনুষ্ঠান এব� তা� সাথে ভারতবর্ষের তফাৎ অত্যন্� সুন্দর ভাবে� ফুটিয়� তুলেছেন।
পথ� প্রবাসের রচনাকা� ১৯২৭-১৯২৯� ইণ্ডিয়া� সিভি� সার্ভি� পরীক্ষায় সফ� হয়ে শিক্ষানবিশির জন্য তখ� তাঁর এই দুবছরে� বিলাতবাস� বয়স তখ� তাঁর তেইশ-চব্বিশ� ছুটি� সময়� লণ্ডনে� বাইরের ইংলণ্ড � ইউরোপে� কয়েকট� দে� ঘুরে দেখেছে�; তাঁর ভাষায় 'আমার চোখজোড়া অশ্বমেধে� ঘোড়ার মত� ভূপ্রদক্ষিণে বেরিয়েছে।' অন্নদাশঙ্ক� দেখেছে� চো� চেয়�, অনুভ� করেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন আর অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেছেন� প্রম� চৌধুরী লিখছেন : 'তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্ত যথার্থ সাহিত্� হয়েছে� ... আর � লেখকের মতামতে� পিছন� যে একটি সজী� মনের স্পষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়, সে বিষয়ে কিছুমাত্� সন্দেহ নেই।'
বইটি লেখা� সময়কা� ইউরো� আর বর্তমা� ইউরোপে� মাঝে হয়ত অনেক তফাৎ রয়েছে তব� ইউরো� সম্পর্কে জানত� কিছুটা হলেও এই বই আপনাকে সাহায্� করবে�
অন্নদা শংকর রায় এর পথ� প্রবাস� যতটা না ভ্রম� এর তা� থেকে বেশী দ��্শণের বই� তব� উল্টোটাও প্রযোজ্য� যতটুকু বলেছেন ভাবনার রস� যুগিয়েছেন তা� থেকে বেশি � নারী -পুরুষে� দ্বন্দের মাঝে হারিয়� গিয়েছেন ; সুইজারল্যান্� এর সৌন্দর্য দেখে বিমোহি� হয়েছেন। প্যারি� দেখে হয়েছে� আবেগতাড়িত� পুরো ইয়োরো� ঘুরেছেন। ইয়োরোপক� দেখেছে� একজন ইতিহাসবি� এর চোখে আর বিশ্লেষণ করেছেন একজন দার্� ণি� এর মতো। � যে� দর্শণে� রোলা� কোস্টারে চড়ে বিদে� ভ্রমণ।
"...আম� তো জানি আম� সে� আম� নই� দুটি বছরে প্রত্যেক মানুষে� জীবন এক থেকে আরেক হয়ে ওঠ�, প্রতিদিন দেখি বল� কোনোদি� লক্ষ করিনে। আমার সম্বন্ধে ওদের এব� ওদের সম্বন্ধে আমার ওই প্রতিদিন দেখাটুকু ঘটেন� বল� অন্তরে অন্তরে আমরা পর হয়ে পড়েছি� দুটো মহাদেশের ব্যবধা� সে� বিচ্ছেদক� ঘোরালো করেছে। দু-বছ� চোখে� আড়ালে বেড়েছ�, এইটে প্রধান� দু-বছ� বিলেতে থেকেছি, এট� অপ্রধান।"
বইয়ের প্রান্তিকে লেখকের এই উক্তির সাথে মিশে আছ� দীর্ঘশ্বাস, কেবল বেড়ানোর নিমিত্তে প্রবাস এল� এই শ্বাসে� অন্তরালে� অব্যক্� ব্যথ� বোঝা অসম্ভব� মহাকালের ব্যাপ্তিতে দু� বছ� হয়ত� কিছু� নয�, কিন্তু নাতিদীর্� মানবজীবন� এই দু� বছরে� ব্যাপ্তি বিশা�- ভি� আচার�, ভি� মানুষে� সংস্পর্শ� তখ� নিছক ভ্রমণবৃত্তান্ত লেখা অযৌক্তিক এব� অসমীচী�; দর্শনাচা� সেখানে না এস� পারে� না! ভ্রমণকাহিনীরূপে এই বইকে তা� পড়া যাবে না, এক� পড়ত� হব� '� বছ� আগের ইউরোপে� সমাজ বোঝা� জন্য�, আল্ট্র�-মডার্নিজমে� সূত্রপাত জানা� জন্য�, একযুদ্� শে� না হতেই ইউরোপে কে� আরেক যুদ্ধে� দামামা বেজে উঠলো সেটা উপলব্ধ� করার জন্যে।
লেখক যে চো� দিয়� ইউরো� দেখেছে� সে চোখে� ততকালী� বয়সটাকে� মাথায় রাখত� হবে। চব্বিশ/পঁচি� বছরে� যুবা� চোখে নতুন মাত্রই আকর্ষণীয় লাগবার কথ�- ভারতবর্ষের সাথে ক্রমাগ� তুলন� বিরক্তির উদ্রেক ঘটালেও আমার কাছে মন� হয়েছে তা অভিজ্ঞতা� অভাবমাত্র। হয়ত� চল্লিশের দোরগোরায� এস� লেখক একইভাব� ইউরো� দর্শ� করলে অনেককিছু� একইভাব� লিখতেন না� যৌবনের গা� বইটাতে প্রচুর, ভারতবর্ষের জড়তার তিরস্কার অবাঞ্ছিতভাবে একারণে� হয়ত� বেশি� 'লেখক একদম বিলা� গিয়� বিলাতী সেজেছে�'- এম� যথেচ্ছ রায় দেয়� একদম� তা� উচিৎ হব� না�
আবার তরুণ বলেই হয়ত� লেখনী অনেকখানি সাহসী, ব্যক্তিগ� অনেক মতবা� বল� দিয়েছেন স্বাচ্ছন্দ্য�- আপাত পরিণাম বিবেচন� করেন নি� বেশকিছ� মতবা� অপরিপক্ক থেকে গিয়েছ�, ঈষ� জ্ঞা� দিয়েও বোধহয় মন্তব্� কর� ফেলেছে� প্রচুর� ভাগে ভাগে অনুচ্ছেদ লিখেছে� বলেই কিনা- শেষেরদিক� কিছু বক্তব্� যে� প্রথমদিকের দৃষ্টিভঙ্গিকেই অবমূল্যায়� করেছে। বইয়ের সবচাইত� কুৎসিত অং� যুদ্� নিয়� লেখকের দৃষ্টিভঙ্গ�; ধ্বংসযজ্ঞক� গৌরবান্বিত করার কো� যুক্তি আম� খুঁজ� পাইন�- "যুদ্� যদ� উঠ� যায় তব� যুদ্ধেরই মত� কঠিন কিছু উদ্ভাব� করতে হবে। নতুব� মৃত্যুসংখ্যা কমাবার জন্যেই যদ� যুদ্� তুলে দিতে হয� তব� বৃদ্ধে� সংখ্যা বেড়� যাবে; সমগ্� পৃথিবীটা� একটা ভারতবর্ষ হয়ে উঠবে, যেখানে যযাতির রাজত্ব হাজা� কয়ে� বছ� থেকে চল� আসছে�... ... আধুনিক যুদ্ধে যত মানু� প্রাণে মর� তা� বেশি মানু� আত্মায� মর�; এইখানে� অধর্ম—যুদ্ধ� অধর্� নেই।"
"ভারতবর্ষের মাটি� ওপ� থেকে শেষবারের মত� পা তুলে নিলু� আর সদ্যোজাত শিশু� মত� মায়ের সঙ্গ� আমার যোগসূত্র এক মুহূর্তে ছিন্� হয়ে গেল।"- বলার অপেক্ষ� রাখে না ভীষণ পরিচিত এই লাইনটি� প্রবাদপ্রতিম সাহিত্যি� অন্নদাশঙ্ক� রায় � তাঁর 'পথ� প্রবাস�' শীর্ষক ভ্রমণোপন্যাসকে সাহিত্� পাঠকমহলে পরিচিত� দা� করেছে। জাহাজে কর� ঔপন্যাসিকে� বিলে� যাত্রাকালে যাত্রাপথের অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ বর্ণনা� আক� গ্রন্থ এটি। বোম্বে (অধুন� মুম্বা�) জাহাজে কর� আর� সাগর হয়ে লোহি� সাগর, সুয়েজ ক্যানে�, ভূমধ্যসাগর পেরিয়� মরুদেশ, ফ্রান্�, ইতাল� প্রভৃত� সাগর � দেশে� রমণীয় প্রাকৃতি� সৌন্দর্যের বর্ণনা তুলে ধরেছেন� তাঁর অসাধার� বর্ণনা রীতি, যন্ত্রণাময� যাত্রাপথকে সর� কর� বর্ণনা পাঠককে আদ্যোপান্ত আকৃষ্ট কর� রাখে এব� ক্লান্তিহী� পাঠে নিবিষ্� করে। সেকালে মন্হ� গতিসম্পন্ন জাহাজে বিলে� যাত্রা� অবর্ণনীয় কষ্ট তুলে ধরার পাশাপাশি যাত্রাপথ� অতিক্রান্ত ভূখণ্ডগুলি� তুলে ধর� প্রাকৃতি� � রাজনৈতিক চিত্রে� বর্ণনা বাংল� ভ্রম� সাহিত্যে প্রশংসার দাবিদা� লেখক � তাঁর রচনাটি� যদ� না পড়ে থাকে�, অন্ত� একবা� পড়ুন। ভালো লাগব� নিঃসন্দেহেই।
"যতকা� রব� পদ্ম� মেঘন� গৌরি যমুন� বহমা�" এই লাইনের জন্যই অন্নদাশংকর বিখ্যা� বেশিরভাগ বাঙালি� কাছে� তব� তিনি যে এরকম সুন্দর একটা ভ্রম� কাহিনী লিখেছে� তা জানতাম না� প্রথ� লাইনটা ভা� লেগেছে খুব। লেখক তা� ইংল্যান্�, ফ্রান্�,অস্ট্রিয়া, জার্মানি, ইতালিত� ভ্রমনে� কথ� বলেছেন, সেইসাথ� লেখকের নিজস্ব দর্শ�, ভারতীয় উপমহাদেশের সাথে তুলনামূল� বিশ্লেষণ খুবই ভালো লেগেছে!
আজ থেকে প্রায় ১০� বছ� আগ� ইউরো� ভ্রম� নিয়� লেখা এই স্বল্পায়ত� বই এখ� পড়ত� বসলে পুরো মজ� যেতে হয়। সাধারণ ভ্রমণকাহিনী� মধ্যেই এই সাহিত্যকর্� সীমাবদ্ধ নয়। ইংল্যাণ্�, ফ্রান্�, জার্মানি, ইতাল�, সুইজারল্যাণ্�, অস্ট্রিয়া, চেকোশ্লোভাকিয়� ইত্যাদ� দেশে� ভৌগোলি� বিবর� দেবা� পাশাপাশি লেখক আরেকটা যে কা� করেছেন সেটা হল সে� দেশে� মানুষে� মানসিক আব�, মেজা�, তাদে� জীবনদর্শ� বর্ণনা� অন্য দেশে ঘুরত� গিয়� সে� দেশক� গভীরভাব� পর্যবেক্ষণ যে মুষ্টিমেয় পর্যটক করেন, তাঁদের মধ্য� লেখক একজন� লেখকের নিরপেক্ষ মন্তব্�, তাঁর নিজস্ব ভাষ্� বইটিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। তা� নিছক ভ্রমণকাহিনী হিসেবে বইটিকে দেখল� ভু� হবে। আশ� কর� যায়, বেশিরভাগ পাঠক� বইটি� কদ� করবে�
সূক্ষ্মভাব� বিচা� করতে গেলে চা� তারা দিতে হবে।এক তারা কম,বইয়ের মাঝে� দিকে� বড� অং� জুড়� ইউরোপে� রাজনীতি,যুদ্�,সামাজি� রীতি কিংব� বৈষম্য নিয়� লেখকের নিজস্ব দর্শ� ফুটে উঠেছ� যেটা ভ্রমণকাহিনী হিসেবে পড়ত� বসলে অনেকের কাছে বিরক্তিক�,একঘেয়� মন� হত� পারে।এমনিত� লেখকের লেখা� হা� সাবলী�,চারপাশকে পর্যবেক্ষণ করার শক্ত� প্রশংসার যোগ্য।যারা একটু আধটু হলেও ভ্রম� করেছ�,তারা বইয়ের একদম শেষে� অত� সাধারণ বাক্� দুটি হৃদয� দিয়� অনুভ� করতে পারবে।
অন্নদাশঙ্ক� রায়ের এই বইটিকে পুরোপুরী ভ্রম� কাহিনী বল� যায় না� লেখক তাঁর দু� বছ� ইউরো� যাপনের কাহিনী লিপিবদ্ধ করেছেন বইটিতে� তব� ট্রাভেলগ এর মত নয�,অনেকটা আত্মিক উপলব্ধিও বর্ণনা করেছেন প্রায় প্রত� পাতাতেই। লেখকের প্রথ� রচনা এটি। যদিও ভাষা� প্রয়ো� একটু কঠিন, অর্থাৎ গড়গড় কর� পড়ত� কষ্ট হয�,তবুও ইউরোপে� অনেকাংশেরই বর্ণনা পা� বইটি থেকে�