১৯৭১ সালে� মে মাস। অবরুদ্� ঢাকায় ভীষণ নিস্তব্ধ রাতে� বু� চিরে ছুটছ� পাকিস্তানি হানাদা� বাহিনী� সাঁজোয়া গাড়ির বহর। তীব্� হতাশ�, তীব্� ভয়ে কাঁপছে বাংলাদেশের মানুষ। অবরুদ্� ঢাকা� একটি পরিবারের কর্ত� মতিন সাহে� ট্রানজিস্টার শোনা� চেষ্টা করছে� মৃদু ভলিউমে� ভয়ে� অব আমেরিক�, বিবিসি, স্বাধী� বাংল� বেতা� কেন্দ্� শোনা� চেষ্টা করছেন। নব ঘোরাচ্ছে� ট্রানজিস্টারের� হঠাৎ শুনত� পেলে� বজ্রকণ্ঠের অং� বিশে� : ‘মনে রাখব� রক্ত যখ� দিয়েছ� / রক্ত আর� দিবঃ / এবারের সংগ্রা� আমাদের মুক্তি� সংগ্রা� / এবারের সংগ্রা� আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।মতিন সাহেবে� পরিবার� কয়েকদিন পর হাজি� হন উনার বন্ধুর ছেলে বদি। বদ� এব� তা� সাথে� মুক্তিযোদ্ধারা একের পর এক অভিযান কর� সফলত� লা� করে। কিন্তু এক এক কর� তারা পা� বাহিনী � হাতে বন্ধী হয়। ধর� পড়ে� গেরিলাযোদ্ধা রাশেদু� করিম� তাকে জিজ্ঞাসাবাদে� সময় থু থু ছিটিয়েছেন পাকিস্তানী মেজরের মুখে� হাতে� আঙুল কেটে ফেলা হয়েছে তাঁর� মাথা নোয়াননি� অবশেষে বদ� গুলি খান। তাকে সারানো� মত ডাক্তা� ঔষধে� এর জন্য সকাল পর্যন্� অপেক্ষ� করতে হবে। কিন্তু তিনি কি পারবেন সকাল পর্যন্� বাচত�? তিনি কি আরেকটি সূর্যালো� দেখত� পাবে�? এভাবেই শে� হয� কাহিনী�
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমে�; 13 November 1948 � 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters � Nova, Sheela, Bipasha and one son � Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons � Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
শুরুটা যত� চাঞ্চল্যকর শেষট� ততোটাই গম্ভীর। বইটি� মধ্য� দুঃখ বেদন�, অনুভূতিগুল� খু� সহজে উপলব্ধ� কর� যায়� অনুভূতির নামে কোথা� নেকামো� প্রকাশ ঘটেনি। সহজে� গল্পের মাঝে হারিয়� যাওয়া যায়� কখনো আলমক� খু� অসাধার� মন� হব� না� যুদ্ধবিধ্বস্� দেশে� একজন যুবক� যেমন হওয়ার কথ� সে তেমনি।
জুলা� মাসে� ছয� তারিখ। ঢাকায় একটি গেরিলা বাহিনী ঢুকেছে� যা� নেতৃত্বে আছ� বদিউ� আল� নামে� ছেলেটি� দেখত� রোগা আর ছোটখাটো। শহরে আত্মীয়-স্বজ� থাকলেও নিজে� নিরাপত্ত� এব� আত্মীয়পরিজনদের নিরাপত্তার কথ� ভেবে তাদে� সাথে যোগাযো� করতে পারে না� মতিন সাহে� নামে� এক ভদ্রলোকে� বাসায় এক সপ্তাহের জন্য থাকে বদিউ� আলম। মতিন সাহেবে� পরিবার� তেমন কে� নেই। স্ত্রী সুরম� আর দু� মেয়� রাত্রি, অপাল� এব� কাজে� মেয়� বিন্তি� রাত্রি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ফিজিক্সে পড়াশোনা করে। আর অপাল� ক্লা� এইটে পড়ে� রাত্রি চুপচাপ স্বভাবের হলেও অপাল� ভীষণ ছটফটে। সম্পূর্ণ� বিপরীত।আর কাজে� মেয়� বিন্তি কো� কা� আগ্র� নিয়� না করলে� বাড়ির গে� খোলা� কা� সে মহ� আগ্র� নিয়� করে।বদিউ� � বাসায় উঠার পর সুরম� প্রথ� একটু আপত্তি করেছিল তা� থাকা� ব্যাপারে� কারণ বাসায় দুজন মেয়� আছে। তাদে� নিরাপত্তার কারণেই তা� আপত্তি ছিল। কিন্তু বদিউলেরর দূর্বিনী� রুপে� কাছে হা� মেনে যায় সুরমা।এই বদিউ� ছেলেটাকে� এক সময় সুরম� ভীষণ পচ্ছন্� কর� ফেলে� এমনক� � বাসা� বড� মেয়� রাত্রি� মনেও বদিউ� নামে� ছেলেটি কখ� যে� একটু জায়গা কর� নেয়�
এক সপ্তাহের মধ্য� ঢাকায় মোটামুটি বড়সড় দুইট� অপারেশনে� দায়িত্ব নিয়� আস� বদিউলরা। প্রথ� অপারেশনে সাকসেসফু� হয়। দ্বিতীয় অপারেশ� শে� করেই তা� � বাসা ছেড়� যাওয়া� কথা। কিন্তু সব উলটপাল� হয়ে যায় সেদিন। কি হয� সেদি�? রাত্রি কি তা� মনের কথ� জানাতে পারে বদিউলক�??
শেষট� ছি� কষ্টের তা� থেকে� কষ্টের হল উপন্যাসে� শে� হয়ে যাওয়া�
আল� লিখল- 'ভালো আছ� মা'� তারপ� কিছুক্ষণ চু� কর� থেকে লিখল, ' শিগগির� তোমাকে দেখত� আস�'� দ্বিতীয় লাইনটি লিখে তা� একটু খারা� লাগত� লাগল� 'শিগগির� তোমাকে দেখত� আস�' এই লাইনটিতে কোথায় যে� একটু বিষাদে� ভা� আছে। দেখত� আস� হব� না এই কথাট� যে� এর মধ্য� লুকানো�
হুমায়ূন আহমেদে� লেখা নাকি সস্তা। উন� বাজারি লেখক এম� কথ� অনেক উচ্চমার্গিয় পাঠকের নিকট থেকে মাঝেমধ্যেই শোনা যায়� তারা পড়ে দেখবেন এই বইটা�
অনেক কিছু লিখত� মন চাইলো। কিন্তু জ্বরের জন্য লিখত� আলসেমি লাগছে। জানি না এই বই নিয়� আর কখনো কিছু লিখব কী না� কিছু মনের ভা� না হয� আপাত� অপ্রকাশিতই থাক।
মুক্তিযুদ্� ভিত্তি� বই পড়ত� গেলে কেমন যে� আতঙ্� কা� করে। দেখা যাবে যে চরিত্রকে ভা� লাগতেছ� তাকে কে� উঠিয়ে নিয়� গে� কিংব� গুলিতে মারা পড়লো। তাছাড়� দেখা যাবে অনেক হামল�-হাঙ্গামা আর দুঃখ-কষ্টের ব্যাপার। এজন্� এই প্লটের বই ইদানী� এড়িয়� চলতে ইচ্ছ� কর�, বিশে� কর� পড়া� পর থেকে� হুমায়ূন আহমেদে� বই পড়া� ক্ষেত্রে ইদানী� একটা সিরিয়াল মেইনটেইন করার চেষ্টা করছি� সে� সুবাদে আগুনের পরশমণি পড়তেই হল�
সময়- ১৯৭১ , ঢাকায় এক গেরিলা আক্রমণ নিয়� কাহিনী� মতিন সাহেবে� বাড়িত� বদরু� আল� নামে� এক তরুণের আগমন ঘটলো, সে মূলত মুক্তিযোদ্ধাদে� একটা টিমে� লিডার। গেরিলা আক্রমণ করতে� ওদের দলটা ঢাকায় এসেছে। মতিন সাহেবে� স্ত্রী অবশ্� শুরু� দিকে আলমে� � বাড়িত� থাকায় খু� একটা খুশি হত� পারে� নি, কারণ বাড়িত� হাইস্কুল-ইউনিভার্সিটি পড়ুয়� দুটি মেয়� আছে। পর� অবশ্� আলমে� খাতি� যত্নের ত্রুটি রাখত� চা� নি� ওদের ১ম অপারেশ� সফ� হয়। কিন্তু ২য� অপারেশনে� সময় গন্ডগো� লেগে যায়�
�'দি� আগ� ১৯৭১ নামে� একটা বই পড়েছি, খু� একটা ভা� লাগে নি� কিন্তু এই বইতে নামে� জন্যেই তো � তারা দিয়� দিতে ইচ্ছ� করে। আগুনের পরশমণি ছোঁয়া� প্রাণে...
� রাত্রি ফিসফিস কর� বল�, 'জোনাকিগুলোকে আর দেখা যাচ্ছে না কে� মা?' জোনাকি দেখা যাচ্ছে না, কারণ ভো� হচ্ছে। আকাশ ফর্স� হত� শুরু করছে� গাছে গাছে পা� পাখালী ডানা ঝাপটাচ্ছে। জোনাকিদে� এখ� আর প্রয়োজন নেই। � খোলা জানালা� পাশে রাত্রি দাঁড়িয়� আছে। হাওয়ায় তা� চু� উড়ছে। আহ, কী সুন্দর দেখাচ্ছে মেয়েটাক�! বেঁচ� থাকা� মত� আনন্� আর কিছু� নেই। কত অপূর্ব সব দৃশ্� চারদিকে। মন দিয়� আমরা কখনো তা দেখি না� যখ� সময় শে� হয়ে যায় তখনি শুধু হাহাকা� হৃদয� পূর্� হয়। �
বইটা পড়ত� পড়ত� বারবার মন� হচ্ছিল� এই রাত্রি নামে� মেয়েট� বোধহয় আম� নিজে�! বইটা শে� করার পর কি একটা শূন্যত� কা� কর� ভিতর� যা কাউক� বল� বুঝানো� না�
“জোনাক� দেখা যাচ্ছে না� কারণ ভো� হচ্ছে। আকাশ ফর্স� হত� শুরু করছে� গাছে গাছে পাখপাখাল� ডানা ঝাপ্টাচ্ছে� জোনাকিদে� এখ� আর প্রয়োজন নেই।� . সিনেমাটা অনেক বছ� আগ� দেখেছিলাম। সে সূত্রে প্লট জানা� ছিল। তারপরও বইটা পড়ত� ভালো� লাগছিলো। মুক্তিযুদ্ধে এক ঝাঁক তরুণ গেরিলাদে� অপারেশ� তুলে ধর� হয়েছে�
'আগুনের পরশমণি' হুমায়ূন আহমেদে� বিখ্যা� উপন্যা� এব� চলচ্চিত্র।এতেও হুমায়ূনীয় 'মায়াবতী' নারী চরিত্র আছ�,যে আবার মাঝে মাঝে� অনেক কিছু আগ� থেকে� বুঝে ফেলে এব� প্রচন্� আবেগী।এ� হুমায়ূনীয় একঘেয়েমির জন্য� এক তারা কর্তন।
এই গল্পের মিলিটারি চরিত্র মেজর রাকি� আবার খুবই নম্র-ভদ্র এব� হিউমার সচেতন।সে ধর� আন� মুক্তিযোদ্ধাকে কফ� খাওয়ায়,সিগারে� এন� দেয়ার অফার দেয়,গোশত-পরোট� খাওয়ায়,গল্পের ছল� ইন্টারোগেশ� করে।এই বিরক্তিক� পর্বটি� জন্য� আর� এক তারা কর্তন।
খু� ছোট্� একটা বই� এর আগ� সিনেমাটা দেখেছি, কিন্তু বই পড়া হয� নি� তা� এবার বইটা নিয়� বসলাম। ভীষণ মন খারা� হচ্ছে। এর বেশি কিছু লিখত� ইচ্ছ� করছে না� যদ� সে� সময়� জন্ম নিতা�, আম� কি আলমে� মত হত� পারতাম? দেশক� ঠি� কতটা ভালোবাসল� নিজে� জীবন বাজি রাখা যায়? আম� কি ততটা ভালোবাসতাম?
রাত্রি জানালা বন্ধ করবা� জন্য এগিয়ে যেতে� আল� বল�, বন্ধ করবে� না� প্লি� বন্ধ করবে� না� সে পা� ফিরত� চেষ্টা করতে� তীব্� ব্যথায� সমস্� চেতন� আচ্ছন্� হয়ে গেল। মাকে ডাকত� ইচ্ছ� করছে� ব্যথার সময় মা মা চিৎকার করলে� ব্যথ� কম� যায়� এট� কি সত্য, না এট� সুন্দর একটা কল্পনা? খোলা জানালা� পাশে রাত্রি দাঁড়িয়� আছে। হাওয়ায় তা� চু� উড়ছে। আহ, কী সুন্দর দেখাচ্ছে মেয়েটাক�! বেঁচ� থাকা� মত� আনন্� আর কিছু� নেই। কত অপূর্ব সব দৃশ্� চারদিকে। মন দিয়� আমরা কখনো তা দেখি না� যখ� সময় শে� হয়ে যায় তখনি শুধু হাহাকা� হৃদয� পূর্� হয়। রাত্রি কী যে� বলছে� কী বলছে সে? আল� তা� ইন্দ্রিয়গুল� সজাগ করতে চেষ্টা করল।
�---"অনেক মানু� হয়ত� অনেক কিছু না জেনে� বড� হয�" �---"বেঁচ� থাকা� মত� আনন্� আর কোনো কিছুতে� নে�" �---শেষে� অংশে সুরম� ভদ্রমহিলার রাত্রিকে দেয়� কথাট�,
সুরম� কোমল গলায� বললে�, "দে� স্বাধী� হয়ে যাওয়া� পর আম� আলমে� মাকে গিয়� বল�- চর� দুঃসময়ে আমরা আপনা� ছেলে� কাছে ছিলাম। তা� উপ� আমাদের দাবি আছে। এই ছেলেটিকে আপনি আমায� দিয়� দিন।"
এই তিনট� কথ� আমার মন� গেথে গিয়েছ� � এর জন্য আম� এই বইটিকে উপহা� দিলা� �/�....💖
অনেকেই বল�, 'জোসন� � জননী� গল্প' মুক্তিযুদ্� নিয়� লেখা হুমায়ূন স্যারে� বেস্� উপন্যাস। কিন্তু ব্যক্তিগ� ভাবে আমার কাছে আগুনের পরশমণি� বেশি ভা� লাগে... বইটা অবলম্বনে তৈরি মুভিটা� ভা� ছিল। সর্বকালে� সেরা বাংল� চলচিত্রগুলোর সংক্ষিপ্� তালিকায় অবশ্যই থাকবে।
মুক্তিযুদ্ধে� ভা� একটি উপন্যাস। শুরুটা তেমন ভা� না লাগল� শেষট� ছি� অসাধার� � "জোনাকি দেখা যাচ্ছে না� কারণ ভো� হচ্ছে। আকাশ ফর্স� হত� শুরু করছে� গাছে গাছে পাখপাখাল� ডানা ঝাপ্টাচ্ছে� জোনাকিদে� এখ� আর প্রয়োজন নেই।" 😔
রাত্রি ফিসফিস কর� বললো, 'জোনাকিগুলো আর দেখা যাচ্ছে না কে� মা?' জোনাকি দেখা যাচ্ছে না, কারণ ভো� হচ্ছে। আকাশ ভো� হত� শুরু করেছে। গাছে গাছে পাখপাখাল� ডানা ঝাপটাচ্ছে। জোনাকিদে� এখ� আর প্রয়োজন নেই।
পড়ে মন� বিষা� জাগে—আলমকে� কে� যে� জোনাকিদে� একজন মন� হয়।
"রাত্রি ফিসফিস কর� বল�,জোনাকিগুলিকে আর দেখা যাচ্ছে না কে� মা? জোনাকি দেখা যাচ্ছে না কারণ ভো� হচ্ছে।আকাশ ফর্স� হত� শুরু করেছে। গাছে গাছে পা�- পাখালি ডানা ঝাপ্���াচ্ছে� জোনাকিদে� এখ� আর প্রয়োজন নেই।" গল্পটা উনিশশো একাত্ত� সনের,গল্পটা ঢাকা শহরের। পা� হানাদা� বাহিনী� কঠিন মুঠি� ভেতর� একটি অসহায় শহর।শহরে� অসহায় মানুষ। চারিদিকে সীমাহী� অন্ধকার। দীর্� দিবস এব� দীর্� রজনী� গল্পটা সে� সময়ের একটা পরিবারের গল্প,গল্পটি কয়েকজ� মুক্তিযোদ্ধা� (আর ব্যাখা কর� বলতে গেলে গল্পটি মুক্তিযোদ্ধা বদিউ� আলমে�) মতিন সাহেবে� বাড়িত� আশ্রয় নেয় আল�, উদ্দেশ্য� ঢাকা� বুকে গেরিলা অপারেশ� চালানো।পরিবারে দুটো বড� মেয়� থাকা সত্ত্বেও তাকে আশ্রয� দে� মতিন সাহেব। আচমক� গেরিলা অপারেশ� চালিয়� হানাদারদের হতবিহ্বল কর� ফেলে আল� � তা� দল� � যে� সাক্ষা� " আজদহ�!!!" সে� বদিউ� আলমই আবার পেট্রো� পাম্� উড়িয়� দিয়� ফিরে যাওয়া� পথ� গুলিবিদ্� হয�!!! সুরমার অপত্যস্নেহ, রাত্রি� আবেগ সব মিলিয়� এক অন্যরক� মাধুর্� দা� করেছ� উপন্যাসটিতে। মূলত এখান� মুক্তিযুদ্ধে� একটি খণ্ডচিত্� তুলে ধর� হয়েছে, বইটি অবলম্বনে একটি চলচ্চিত্� � আছে। আর হুমায়ুন আহমে� স্যারে� অন্যান্য উপন্যাসে� মত� আলাদ� একটা স্নিগ্ধত� আছ� এই উপন্যাসে� একটানে শে� করার মত� একটা বই, বইটি ধরলে সময় যে কিভাবে চল� যাবে টেরও পাওয়া যায় না� বইটি কখনো আপনাকে ভাবাবে, কখনো আপনাকে কাদাবে আবার কখনো আপনা� মন� দেশে� প্রত� একটি আলাদ� মমত্ববোধ জাগাবে #happyreading
I did not even know that we need to give reviews! I liked the novel, the way it was described-Humayun Ahmed is already a phenomenon in the country and he's done his job perfectly in the novel. Some sort of crying and happiness at the same time-that's kind of feeling you're gonna get, I can say.
It's a shame that the author's later works weren't on par with his earlier masterpieces like this.
One of the best 1971 Liberation War stories I have ever read. The writing style was very dynamic and well organized; very similar to "Ekattorer Dingulee" by Jahanara Imam. Makes you feel like you are in the story.
🔹 ১৯৭১ সালে� মুক্তিযুদ্� বাঙালি জাতি� ইতিহাস� এক গৌরবময� ঘটনা� � যুদ্ধে� মাধ্যম� পৃথিবী� দোরগোড়ায় আমরা একটি স্বাধী� জাতি হিসেবে পরিচিত� লা� করেছি। মুক্তিযুদ্� একদিকে যেমন এন� দিয়েছ� বিজয়ে� আনন্�, তেমন� অপরদিক� দিয়েছ� প্রিয় � মহান কিছু ব্যাক্তিদে� হারানো� বেদনা। মুক্তিযোদ্ধারা এই দেশে� জন্য নির্ভয়ে বীরত্বের সাথে যুদ্� করেছে। এসময়ে তাদে� সম্মুখী� হত� হয়েছে বিভিন্নরকম বিভৎ� � নৃশং� ঘটনা�, কিন্তু তারা দম� যায় নি� আর তাদে� এই ত্যাগে� মাধ্যমেই আমরা স্বাধীনতার স্বা� পেয়েছি। উপন্যাসে� সে� মুক্তিযুদ্ধে� সময়কা� একটি ঘটনা বর্ণিত হয়েছে�
🔹 উপন্যাসে� প্রেক্ষাপট মুক্তিযুদ্ধে� ২ং সেক্টরের দুরন্ত গেরিলাদে� দুঃসাহসি� অভিযান নিয়ে। যুদ্ধকালী� সময়� ঘো� উৎকন্ঠ�, ভয�, উদ্বেগ � অনিশ্চয়তা যখ� সবাইকে গ্রা� কর� রেখেছিলো তখ� কিছু বীরেরা জ্বালিয়েছিল� আশার প্রদীপ। তারা সাহসিকতা� সাথে ধূলিস্যা� কর� দিয়েছিল� হানাদা� বাহিনীদের। তখ� এই গেরিলাদে� আশ্রয় দিয়েছিল� অনেক পরিবার� তেমন� এক পরিবারের সদস্যদের প্রীতি, ভালোবাসা, ভয� � মমতা এব� সেখানে আশ্রয় গ্রহণকারী এক মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়� অপূর্ব মেলবন্ধন হল� উপন্যাসে� আলোচ্য বিষয়।
🔹 হুমায়ূন আহমেদে� বই পড়ায় অনেকদি� যাবৎ কো� তৃপ্তি পাচ্ছিলা� না� অবশেষে দারু� একটা বই পড়লাম� মুক্তিযুদ্� উপন্যা� পড়া� সময় ভালোলাগা� পাশাপাশি এক ধরনে� ভীতি কা� করে। যেমন হয়ত� দেখা যাবে পছন্দে� চরিত্রের ত্যাগ। এসবে� পরেও এই ভেবে ভালো লাগে যে, এট� হল� আমাদের ইতিহাস� বইয়ের শুরু স্বাভাবিকভাব� শুরু হলেও ধীরে ধীরে কাহিনি ঘনীভূ� হয়েছে।এখানে লেখক তা� চরিতার্থ বিভিন্� অলঙ্কর� করেছেন, যা সর্বদা তিনি কর� থাকেন। এছাড়া� হানাদারদের অত্যাচারের বিভৎ� বর্ণনা আমাক� এক রোমহষর্ক পরিস্থিতির সম্মুখী� হত� বাধ্� করেছে। বইয়ের কিছু সংলা� অনেক ভালো লেগেছে� তন্মধ্যে সেরা দুটি হল�:-
�/ "বেঁচ� থাকা� মত� আনন্� আর কো� কিছুতে� নেই।কত� অপূর্ব সব দৃশ্� চারদিকে। মন দিয়� আমরা কখনো তা দেখি না� যখ� সময় শে� হয়ে যায় তখনি শুধু হাহাকারে হৃদয� পূর্� হয়।"
�/ "ব্যাথা� সময় মা মা বল� চিৎকার করলে ব্যাথা কর� যায়� এট� কি সত্য�, নাকি সুন্দর কো� কল্পনা?"
🔹 নিঃসন্দেহে বইটি হুমায়ূন আহমেদে� অনন্� সৃষ্টি� মুক্তিযুদ্ধে� প্রেক্ষাপটের � যেনো জীবন্ত স্বরুপ যা আজোও আমাদের মন খারা� করতে বাধ্য।
ব্যথ্যার সময় মা মা বল ডাকল� ব্যথ্য� হয়ত কম লাগে, কি দারু� মানুষে� কল্পনা শক্ত� - হুমায়ূন আহমদ�
গল্পটা ৭১ এর সময়ের, মতিন সাহে� চিন্তি� হয়ে বাসা� বায়রে এলেন,কে� হয়ত আসবে, আসছে না কে�? তা� সময় পা� করার জন্য পা� খেলে� চু� কাটালে�, কার্ফু চলছে মতিন সাহে� ভাবছেন ছেলেটা আসতে পারব� �, এভাবেই গল্পের শুরু� মুক্তিযুদ্� চলাকালী� সময়� বদ� আল� নামে এক মুক্তিযুদ্ধা� আশ্রয় নেয় মতিন সাহেবে� বাসায় সেখা� থেকে অপরেশন � যাবে, মতিন সাহে� এর স্ত্রী বেপারট� ভালো চোখে দেখননি,কারন তাদে� দু� যুবত� মেয়�, রাত্রি � অপলা� বিয়ের বয়স� রাত্রিকে নিয়� তা� ফুপু নাসিমা বেগম চিন্তি� অন্যদিকে অপলা গল্পের বই নিয়� সারাদি� ব্যস্ত� আল� এর � বাড়ির অবস্থা� এব� তা� প্রত� ধীরে ধীরে ভালোবাসা নিয়েই গল্পের চল�,� মতিন সাহে� এর স্ত্রী সুরম� প্রথমে আল� কে সহ্য করতে না পারলেও পর� তাকে অনেক ভালোবেসে ফেলে� অন্যদিকে রাত্রি ধীরে ধীরে আলমে� প্রত� দূর্বল হয়ে পরে।
তারপ�? তারপ� একের পর এক অ���ারেশ�, শেষে আলমে� গুলি লাগে, এব� তারপ�? রাত্রি কি পেরেছি� আলমক� তা� মনের কথ� বলতে নাকি তা� অন্তরে� কথ� শহিদের সাথে সাথে� চল� যায় অচিরে।
পা� প্রতিক্রিয়া : হুমায়ূন আহমে� এর বই সম্পর্কে লেখা আমার সাধ্� নে�, রিভিউত� ভু� থাকল� ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন� আগুনের পরশমণি হুমায়ূন আহমে� এর মুক্তিযুদ্� ভিক্তি� এম� একটি উপন্যা� যা� তুলন� হয� না,,,, হুমায়ূন স্যারে� জোসন� � জননী� গল্প পর� যেমন পাঠক কেঁদেছ� হয়তবা এট� পড়ে� ততটা� কাঁদবে� বিশে� কর� শেষে� কষ্টটুকু বলার অপেক্ষ� রাখেনা, আমার প্রিয় মুক্তিযুদ্ধে বইগুলো� মাঝে এট� তা� জায়গা কর� নিয়েছ�,অতপর বল� যায় মাস্� বি রিডি� বুক। না পড়ল� হয়ত অনেক কিছু� মি� করবেন।
আচ্ছ� মুক্তিযুদ্ধে� সময়টাতে দেশে� মানুষে� কাছে স্বাধী� দেশে� সূর্যে� আল� কি পরশমণি মন� হয়ে ছি�? যা শুধু কল্পনা কর� যায়, কিন্তু বাস্তব� পাওয়া যাবে না? আর যেদি� বিজয� এসেছিল সেদি� নিশ্চয� পরশমণি হাতে পাওয়া� মতোই আনন্� হয়েছি�, হয়ত� আর� বেশি!!
ছট� বাজতেই কার্ফু� চারিদিকে থমথম� অবস্থা� পাড়ার দোকানে যেখানে আগ� ছেলেদে� আড্ডার কারণ� বস� যে� না সে সব জায়গা এখ� খালি পড়ে� এম� একটি সময়� প্রায় তি� মা� পর ঢাকা শহরে ঢোকা� সুযো� হল� বদিউ� আলমের। গন্তব্� মতিন সাহে� নামে� এক ভদ্রলোকে� বাসায়� এই বাসা থেকে তা� পরবর্তী কার্যকর্মে� জন্য যেতে হবে। বদির আসার উদ্দেশ্য জানত� পেরে মতিন সাহেবে� স্ত্রী সুরম� আপত্তি জানালে� বদির আর কো� পথ ছি� না� এক সপ্তাহের সময় নিয়� এই বাসাতে� রয়ে গেল। গড়ে উঠ� বাড়ির সদস্� রাত্রি, অপাল� এমনক� সুরমার সাথে� সাথে অদ্ভুত সম্পর্ক। যে সম্পর্কগুলোক� প্রশ্রয় দেওয়া� মত� অবস্থা তখ� ছি� না� সব ধরনে� সম্পর্�, অনুভূতিক� একপাশে রেখে বদ�, সাদে� নুরুসহ আর� অনেকেই যো� দিয়েছিল গেরিলা অপারেশনে কিংব� সম্মুখ যুদ্ধে� যুদ্� করেছিল স্বাধীনতার স্বা� নিতে� প্রা� দিয়� যুদ্� করেও যে বিজয়ে� স্বা� অনেকের কাছে পরশমণি� মত� অধরা� রয়ে যায়�
মুক্তিযুদ্� যেসব বই পড়েছি, সব� ভালো লেগেছে আমার� তব� এই বইটা আমার অসম্ভব পছন্দের। মুক্তিযুদ্� নিয়� পড়া প্রথ� বই হয়ত� তাই। বইটি পড়া� সময় গেরিলা অপারেশনে বদিদের উত্তেজনা মন� হয� যে� আমাকেও ছুঁয়ে যায়� সুরমার মমতা, রাত্রি� কান্না ভেজা গা� দেখে যখ� মনটা খারা� হয়ে যায়, ঠি� তখনি ভো� হচ্ছ� দেখে আবার শান্তি লাগে�
রবীন্দ্রনাথের এই গানে� লাইনগুলো কে� শুরুতে দিলা� জানে�? কারণ জীবনের গল্পগুলো সবসময় আমাদের কারো হাতে থাকে না� জীবনের শুরু কখ� এব� শে� কখ� সেটা স্রষ্টার ইচ্ছ� হলেও জীবন কীভাবে কাটাতে হব� সে� সিদ্ধান্� কিন্তু আমাদের কাছে� এক্ষেত্র� আমাদের কাছে জীবনটাকে স্রে� খামখেয়ালিতে কাটানো দরকা� নাকি আগুনের পরশমণি ছোঁয়া � জীবন বদলে দেবে, যেখানে গভী� চিন্তা চেতন� থাকব�, যেখানে বিবে� কা� করবে� যেখানে পরিবার আসবে, দেশে� কথ� আসবে�
একদা � দেশে যখ� নেমেছি� পাকিস্তানী হানাদা�, এদেশের মুক্তিকামী দামা� ছেলেরা তখ� খামখেয়ালিতে জীবন কাটানো শ্রেয় ভাবত� পারল� না, তাঁর� দেশে� কথ� ভাবলো। এদের হৃদয� যে� আগুনের পরশমণিতে ছুঁয়ে একেকটা ইস্পাতের মত� কঠিন সাহসী হয়ে উঠেছিল� কে� ঝাঁপিয়ে পড়েছি� সম্মুখ যুদ্ধে আবার আরেক দল ছি� দেশে� বিভিন্� প্রান্তে গেরিলা বাহিনী গঠ� কর� যারা শত্রুদের মন� আতঙ্� তৈরি করেছিল, মুক্তিকামী মানুষদের মন� আশার প্রদী� জ্বালিয়েছিল যে এই দে� একদি� স্বাধী� হবে। বাংলার মানুষক� স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখানো সেইস� দামা� ছেলেদে� গল্প একটু আধটু বোধহয় আমরা জানত� পারব� এই গল্পে।
এই গল্পটাকে নিয়� কারো কারো মতবা� আছ� ভিন্� ধরনের। কারো কাছে আছ� সমালোচনা� সে� প্রসঙ্গে পর� আসছি� তব� এই গল্পটা যুদ্ধকালী� সময়ের, এই গল্পটা এক গেরিলা যোদ্ধার।
🖍� আগুনের পরশমণি 🖍�
মতিন সাহে� তাঁর স্ত্রী সুরম� � দু� মেয়� অপাল� আর রাত্রি� সাথে ঢাকা শহরে বা� করেন� রাত্রি বর্তমানে ইউনিভার্সিটিতে আর অপাল� স্কুলে ক্লা� এইটে পড়ে� আপাতদৃষ্টিতে এক সুখী পরিবারের নমুনা। তব� সময়টা একাত্তরের। তা� সবসময় অস্থিরতা কা� করে। মেয়� দুটো গিয়েছ� ফুপু� বাসায়� পথ� আবার কোনো বিপদ� না পড়ে� কারণ এখ� কারফিউ জারি করেছ� সরকার। সবসময় একটা আতঙ্কে� অবস্থা সবখানে�
এরমধ্য� এক সকাল� মতিন সাহেবে� একটু অস্থিরতা বেড়� গেল। তিনি কারো জন্য অপেক্ষ� করছেন। ছেলেটা� এই বাড়িত� এস� থাকা� কথ� কিছুদিন। যুদ্ধে� এই সময় সবাই সবার আত্মীয়� ছেলেটা এসেছ� একটা বিশে� কাজে� কিন্তু কারফিউ শুরু হত� বেশি বাকি নে�, ছেলেটা এখনো আসছে না কে�? পথ� কোনো বিপদ হল� না তো! মতিন সাহেবে� টেনশ� লাগছে। টেনশ� কমাত� তিনি গেটে� সামন� পায়চারি শুরু করলেন। সামনের দোকা� থেকে পা� খেয়� এলেন� ছেলেটা যে কখ� আসবে তিনি বুঝত� পারছেন না�
কাজে� মেয়� বিন্তি� অভ্যাস বেশি কথ� বলার� মতিন সাহেবক� সে এর� মধ্য� জিজ্ঞে� করেছ� ঘটনা কী� অবশেষে আগন্তু� ছেলেটি চল� এসেছে। এব� মতিন সাহে� ছেলেটিকে নিয়� বাসায় ঢুকে স্ত্রীকে সব কথ� খুলে বললেন। শুনে স্ত্রী রেগে আগুন� স্বামী� কী মাথা খারা� হয়েছে! এই ছেলে ঘর� রাখল� যদ� মিলিটারি খব� পেয়� এস� হামল� কর�! ঘর� দু� জোয়ান মেয়ে। স্ত্রী কিছুতে� রাজি নন এই ছেলেটিকে রাখতে।
ছেলেটি� না� আলম। যুদ্ধে� এই সময়� সে আছ� গেরিলা বাহিনী� সদস্য। এব� ঢাকায় আক্রমণ কর� অতর্কি� ভাবে মিলিটারি� মন� ভয� ঢুকিয়� দেয়� এদের দলের পরিকল্পনা। নিরাপদ� থাকা� জন্য তাঁর একটা জায়গা দরকা� ছিল। তা� সে দলের একজনের সূত্রে মতিন সাহেবে� বাসায় এসেছে। মতিন সাহেবে� স্ত্রী আপত্তি করলে� পর� আল� ঠিকই এই বাড়িত� থেকে যায়� তাঁর থাকা� ব্যবস্থা হয� আলাদ� ঘরে।
মতিন সাহেবে� দু� মেয়� চল� আস� এর মধ্যে। অপালার সঙ্গ� আলমে� বে� খাতি� হয়ে যায়� রাত্রি মেয়েট� একটু চুপচাপ ধরনের। নিজে� মত� থাকত� পছন্� করে। তব� আস্ত� আস্ত� রাত্রি থেকে শুরু কর� মতিন সাহেবে� স্ত্রী� একসময় আলমে� জন্য একটা আলাদ� জায়গা কর� দে� মনে। আল� গেরিলা অভিযান চালাবো এর জন্য� সবাই বে� চিন্তিত।
বন্ধ� সাদে� এসেছে। আগামীকা� তাঁর� দলবলসহ নির্দিষ্� জায়গায় চূড়ান্ত পরিকল্পন� কর� অপারেশনে নেমে পড়বে। ছয�, সাতজনে� একটি ছোট্� দল� এদের কা� হচ্ছ� আতঙ্� সৃষ্টি� তব� ওইদিকে আশফা� ছেলেটাকে মিলিটারি ধর� নিয়� বে� নির্যাতন শুরু কর� বাকিদে� খব� জানতে। আশফা� মুখে কুলু� এঁটে আছে। আলমদের অভিযান শে� পর্যন্� সফ� হব� কী না জানত� হল� রুদ্ধশ্বাস� শে� পর্যন্� যেতে হব� গল্পের�
🖍️পাঠ প্রতিক্রিয়া 🖍�
মুক্তিযুদ্ধে� সময়কা� উত্তাল দিনগুলোর কিছু কিছু টুকর� টুকর� প্রেক্ষাপট উঠ� এসেছ� "আগুনের পরশমণি" গল্পে। এব� এই গল্পটা শুধুমাত্� মুক্তিযুদ্ধে� একটা দি� কিংব� কিছু ঘটনা হত� পারে কিন্তু গল্পটা হুমায়ূন আহমে� যেভাবে উপস্থাপন করেছেন এটাক� মুক্তিযুদ্ধে� বই বলতে আপত���তি থাকা� কথ� নয়।
আগেই বলেছ� এই বইটা সবার কাছে ভালো লাগেনি� কে� বলেছেন হুমায়ুন আহমে� অহেতুক একটা ছো� কাহিনী টেনে লম্ব� করেছেন� কে� বলেছ� এট� পুরোপুরি মুক্তিযুদ্� তুলে ধর� না� আচ্ছ� যুদ্ধে� সময়� শুধু মুক্তিযুদ্ধে� সরাসরি সম্মুখ যুদ্ধটাই কী মুক্তিযুদ্ধে� বই? এখান� একটা যুদ্� একটা জাতিকে সামাজি�, অর্থনৈতি�, রাজনৈতিক সবদি� দিয়� কীভাবে প্রভাবিত করেছ� সেটা� তো গুরুত্বপূর্ণ�
যুদ্ধে� বই মানে শুধু হানাদারদের সামন� বন্দুকের গুলি নয়। যুদ্ধে� সময় ঘটেছ� বহ� ঘটনা� এব� সেগুলো� সমান গুরুত্� আছে। একজন গেরিলা যোদ্ধা, যুদ্ধকালী� সময়ের ভীতিকর পরিস্থিত�, মিলিটারিদে� নির্যাতন বাড়� থেকে তুলে নিয়� কিংব� সুক্ষ্� ভালোবাসা� আঁচড়। আমার কাছে খু� খারা� লাগেনি এই বইটি, যতটা আম� কিছু কিছু রিভিউত� দেখেছি�
কে� কে� বলেছ� রাত্রি এব� আলমে� রোমান্টি� আবহে� কী দরকা�, এট� বিরক্তিকর। আচ্ছ� বইয়� কী খু� বেশি কিছু বল� হয়েছি�? আর যুদ্� মানে� ওই যে বললা� শুধু অস্ত্রের ঝনঝনানিত� নয়। এখান� মনস্তাত্ত্বি� দিকগুল� আসতে পারে� ভালোবাসা� আঁচড� কে� বইয়ের ঘটনাকে সার্বি� দোষী করবে� যুদ্� এব� ভালোবাসা একসাথে হত� না পারল� ধরুন তো সে� মুক্তিযোদ্ধা� কথ� যে যুদ্ধে ক্ষেত্রে মন� করতো তাঁর প্রেয়সী� কথ� কিংব� স্ত্রী� মুখ। "আগুনের পরশমণি" বইয়� বর� রাত্রি খুবই স্ট্রং একটি চরিত্র�
"আঁধারে� গায়� গায়� পর� তব
সারা রা� ফোটা� তারা নব নব�
নয়নের দৃষ্টি হত� ঘুচব� কালো,
যেখানে পড়ব� সেথায় দেখব� আল�--
ব্যথ� মো� উঠবে জ্বল� ঊর্ধ্ব পানে �"
এই লাইনগুলো এই বইয়ের শেষটায� বড্ড মিলে যায়� এই বইয়ের শেষট� খু� পছন্দে� আমার, তা� খু� চাঁচাছোল� মন্তব্� আম� করবো না� এই বই মুক্তিযুদ্ধে� সময়কা� প্রেক্ষাপট� অবশ্যই� বইকে বইয়ের মত� ভাবলাম� খু� আহামরি নয� আবার খু� খারা� নয়। তব� হুমায়ূনের লেখা সবসময়� ভালো অনুভূত� দেয় বইয়ের পাতায়�
🖍� বইয়ের না�: আগুনের পরশমণি 🖍️লেখ� : হুমায়ূন আহমে� 🖍️প্রকাশনী : অন্যপ্রকাশ 🖍️পৃষ্ঠ� সংখ্যা : ১০�