What do you think?
Rate this book
কব�
64 pages, Hardcover
First published January 1, 1966
42 people are currently reading
1,132 people want to read
About the author
Munier Choudhury
12books51followersMunier Chowdhury (Bangla: মুনী� চৌধুরী), born in 1925 at Manikganj, Dhaka, hailed from Noakhali, was a Bangladeshi educationist, playwright, literary critic and political dissident. He's the brother of Kabir Chowdhury.
Munier studied English literature for his Bachelors degree (with honors, 1946) and Masters (1947) at the Dhaka University. In 1954, he completed a second Masters degree, summa cum laude, in Bengali. In 1958, he obtained another Masters in Linguistics from Harvard University. He joined the Dhaka University in 1950 and taught both in English and Bengali language departments between 1950 and 1971. Students flocked to his class, many from other departments, as he lectured in his inimitable fashion on Mir Mosharraf Hossain, Bankim Chandra and Rabindranath, among others. To this day he is fondly remembered as an extraordinary teacher who was able to kindle in his students a genuine love for great literature. He was honored with Bangla Academy Award in 1962.
Munier Chowdhury actively participated in the Language Movement of 1952, and was imprisoned by the Pakistan government. He wrote his famous symbolic drama, Kabar (The Grave) in Bengali during his imprisonment. 'Kabar' is a shadow of Irwin Shaw's 'Bury the Dead'. He also fought against any type of cultural repression during the late 1950s and 1960s. In 1967, he protested the Pakistan government's ban on Tagore songs on radio and television. In the late 1960s there was a movement in Pakistan to replace the Bengali language alphabet with the Arabic alphabet. As a linguist and writer, Munier Chowdhury protested this move to undermine the native language of East Pakistan. He actively participated in the non-cooperation movement during the early part of 1971 and renounced his award Sitara-e-Imtiaz (awarded by Pakistan Govt in 1966).
After the Pakistani army crackdown in 1971 in the Dhaka University area from which Munier Chowdhury luckily escaped like many, he moved to his parents' house but he couldn't mentally adjust to the idea of fleeing from his beloved motherland. He preferred to stay back and surrendered to his 'fate'.
On 14 December, 1971 Munier Chowdhury, along with a large number of Bengali intellectuals, educators, doctors and engineers, was kidnapped, later tortured and executed by the Pakistan Army and its Bengali collaborators Al-Badr, Al-Shams, only 2 days before the end of the Liberation War. His dead body could not be identified. A witness who survived the killing had narrated how he recognized Munier as he screamed while his fingers were chopped off. "Have mercy" that is all Munier had said. As this was being done the butcher said, "write your famous essays on Rabindranath Tagore." That was the last that anyone saw of him.
Munier studied English literature for his Bachelors degree (with honors, 1946) and Masters (1947) at the Dhaka University. In 1954, he completed a second Masters degree, summa cum laude, in Bengali. In 1958, he obtained another Masters in Linguistics from Harvard University. He joined the Dhaka University in 1950 and taught both in English and Bengali language departments between 1950 and 1971. Students flocked to his class, many from other departments, as he lectured in his inimitable fashion on Mir Mosharraf Hossain, Bankim Chandra and Rabindranath, among others. To this day he is fondly remembered as an extraordinary teacher who was able to kindle in his students a genuine love for great literature. He was honored with Bangla Academy Award in 1962.
Munier Chowdhury actively participated in the Language Movement of 1952, and was imprisoned by the Pakistan government. He wrote his famous symbolic drama, Kabar (The Grave) in Bengali during his imprisonment. 'Kabar' is a shadow of Irwin Shaw's 'Bury the Dead'. He also fought against any type of cultural repression during the late 1950s and 1960s. In 1967, he protested the Pakistan government's ban on Tagore songs on radio and television. In the late 1960s there was a movement in Pakistan to replace the Bengali language alphabet with the Arabic alphabet. As a linguist and writer, Munier Chowdhury protested this move to undermine the native language of East Pakistan. He actively participated in the non-cooperation movement during the early part of 1971 and renounced his award Sitara-e-Imtiaz (awarded by Pakistan Govt in 1966).
After the Pakistani army crackdown in 1971 in the Dhaka University area from which Munier Chowdhury luckily escaped like many, he moved to his parents' house but he couldn't mentally adjust to the idea of fleeing from his beloved motherland. He preferred to stay back and surrendered to his 'fate'.
On 14 December, 1971 Munier Chowdhury, along with a large number of Bengali intellectuals, educators, doctors and engineers, was kidnapped, later tortured and executed by the Pakistan Army and its Bengali collaborators Al-Badr, Al-Shams, only 2 days before the end of the Liberation War. His dead body could not be identified. A witness who survived the killing had narrated how he recognized Munier as he screamed while his fingers were chopped off. "Have mercy" that is all Munier had said. As this was being done the butcher said, "write your famous essays on Rabindranath Tagore." That was the last that anyone saw of him.
Ratings & Reviews
Friends & Following
Create a free account to discover what your friends think of this book!
Community Reviews
Displaying 1 - 30 of 37 reviews
January 27, 2019
"কব�" নাটকটি� কাহিনী রাতে� মাত্� কয়ে� ঘন্টার� মধ্যরা� থেকে ভো� পর্যন্ত। মুর্দা ফকির কবরে� বাসিন্দা� সে মৃ� মানুষে� সাথে অহরহ কথ� বলে। ভাষা শহীদদের প্রতিমূর্ত� কল্পনা কর� তাদে� মুখে সংলা� যো� তাদে� তিনি পরিচয় দেন। মুর্দা ফকির সব মৃতদের উঠ� আসতে আহ্বান করেন� বলেন-"তোরা কোথায় গেলি? সব ঘুমিয়� নাকি? উঠ� আয়। তাড়াতাড়ি উঠ� আয়। সব মিছি� কর� উঠ� আয়। গুলি, গুলি হবে। ফুর্তি কর� উঠ� আয়। কব� খালি কর� উঠ� আয়।"
"কব�" নাটক� নাট্যকার যা ব্যক্ত করেছেন� আমরা ৭১রে� মুক্তিযুদ্ধে তা কিন্তু ফলস্বরূপ পেয়� গেছি� নাট্যকার চেয়েছেন, মারা যাওয়া শহী� গুলো আবার উঠ� আসুক এবার তো আর তাদে� মৃত্যু� ভয� নেই। আমরা তা� বাস্তবতা পেয়েছি। কে� না স্বাধীনতার জন্য যারা সংগ্রা� করেছ�, ভাষা আন্দোলনে� শহীদে� একবারে� মৃত্যুতে তারা মৃত্যু ভয� ভুলে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়� পড়েছে� যেভাবে রাষ্ট্রভাষ� বাংল� কে কেড়� এনেছ�, তেমন� ভাবে স্বাধী� দেশে� পতাকাও তারা শোষণকারীদে� থেকে কেড়� এনেছে। এটাই নাটকের বাস্তব সার্থকতা�
মুক্তিযুদ্� নিয়� অনেক গল্প-কবিত�-নাটক রচিত হয়েছে� কিন্তু মুনী� চৌধুরী� "কব�" নাটক ভাষা অবলম্ব� কর� রচিত হয়ে� পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্� নিয়� নাটক রচনায় উৎসা� দেয়� আমাদের বাঙালি� জাতীয় জীবন� একুশ যেমন অনস্বীকার্� এব� স্বাধীনত� আন্দোলনে� কেন্দ্রে বিরা� কর�, তেমন� এক� কেন্দ্� কর� গড়ে উঠ� কব� নাটক� পরবর্তী শিল্পকর্মে অবদা� রেখেছে�
"কব�" নাটক� নাট্যকার যা ব্যক্ত করেছেন� আমরা ৭১রে� মুক্তিযুদ্ধে তা কিন্তু ফলস্বরূপ পেয়� গেছি� নাট্যকার চেয়েছেন, মারা যাওয়া শহী� গুলো আবার উঠ� আসুক এবার তো আর তাদে� মৃত্যু� ভয� নেই। আমরা তা� বাস্তবতা পেয়েছি। কে� না স্বাধীনতার জন্য যারা সংগ্রা� করেছ�, ভাষা আন্দোলনে� শহীদে� একবারে� মৃত্যুতে তারা মৃত্যু ভয� ভুলে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়� পড়েছে� যেভাবে রাষ্ট্রভাষ� বাংল� কে কেড়� এনেছ�, তেমন� ভাবে স্বাধী� দেশে� পতাকাও তারা শোষণকারীদে� থেকে কেড়� এনেছে। এটাই নাটকের বাস্তব সার্থকতা�
মুক্তিযুদ্� নিয়� অনেক গল্প-কবিত�-নাটক রচিত হয়েছে� কিন্তু মুনী� চৌধুরী� "কব�" নাটক ভাষা অবলম্ব� কর� রচিত হয়ে� পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্� নিয়� নাটক রচনায় উৎসা� দেয়� আমাদের বাঙালি� জাতীয় জীবন� একুশ যেমন অনস্বীকার্� এব� স্বাধীনত� আন্দোলনে� কেন্দ্রে বিরা� কর�, তেমন� এক� কেন্দ্� কর� গড়ে উঠ� কব� নাটক� পরবর্তী শিল্পকর্মে অবদা� রেখেছে�
October 28, 2024
উপন্যা� মন� কর� বইটা পড়ত� গিয়� যখ� দেখি নাটক তখ� হতাশ হয়েছিলাম। কারন নাটক আমার কাছে তেমন ভালো লাগে না� কিন্তু ‘কবর� নাটকটি পড়ে শে� করার পর আম� মুগ্ধ। এক কথায� অসাধার� লেগেছে�
December 12, 2018
ক্লা� নাইন � থাকত� পড়েছিলা�, পাঠ্� বইয়ের একটা অং� ছিলো এই কব� নাটক � অসম্ভব সুন্দর একটি নাটক�
October 1, 2024
"এই শিকল পর� ছল, মোদে� এই শিকল পর� ছল
এই শিকল পরেই শিকল তোদে� কর� রে বিকল
তোদে� বন্ধ কারায় আস� মোদে� বন্দী হত� নয�
ওর�, ক্ষয� করতে আস� মোদে� সবার বাঁধ� ভয�
বন্ধ কারায় আস� মোদে� বন্দী হত� নয�
ওর�, ক্ষয� করতে আস� মোদে� সবার বাঁধ� ভয�"
১৯৫৩ সালে� জানুয়ার� মা�, ভাষা আন্দোলনে সক্রিয� থাকা� অপরাধে রাজবন্দি হিসেবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারগার� বন্দী ছিলে� মুনী� চৌধুরী� বন্দী জীবন� করার তেমন কিছু� ছি� না, অল� সময়ের বেড়াজাল যে� তাঁক� ঘিরে ধরছিল। এমনই এক সময়� ১৭ জানুয়ার� তাঁর কাছে একটি চিঠি এল, প্রেরক ছিলে� আরেক রাজবন্দী রণেশ দাশগুপ্ত� অসাধার� এক প্রস্তাব ছি� সে� চিঠিতে, প্রথ� শহী� দিবস উদযাপন উপলক্ষ্য� মুনী� চৌধুরীকে একটি নাটক লেখা� অনুরোধ করেছিলেন তিনি�
জেলখানায� নাটক মঞ্চস্� কর� চাট্টিখানি কথ� নয়। তাছাড়� জেলে ওম� স্টে�, আলোর ব্যবস্থা কোথায় যে ঠি� কর� নাটক মঞ্চায়ন হব�! সবকিছু মাথায় রাখত� হয়েছি� মুনী� চৌধুরীর। তিনি এস� মাথায় রেখে� লিখে ফেললেন ভাষা আন্দোলনে� প্রেক্ষাপট� বিখ্যা� সে� নাটক, যা� না� "কব�"� ভাষা আন্দোলনে� প্রেক্ষাপট� রচিত এই নাটক এখনো বাংল� সাহিত্যে সমাদৃত� � ব্যাপারে স্মৃতিচারণ করতে গিয়� মুনী� চৌধুরী নিজে� বলেছিলেন,
▪️"জেলখানাত� নাটক রচনা� অসুবিধ� অবশ্যই ছিল। � অসুবিধাটুক� সামন� ছি� বলেই তো 'কব�' নাটকটিতে বে� কিছু নতুনত্� আনতে হয়েছে� আট - দশটি হারিকে� দিয়� সাজাতে হব�, সে কারণ� অনেকটা বাধ্� হয়ে� ‘কবর� নাটকটিতে আল� - আঁধারি রহস্যময় পরিবেশ সৃষ্টি কর� হয়েছে�"
পূর্� পরিকল্পন� অনুযায়ী, ১৯৫৩ সালে� ২১শে ফেব্রুয়ার� প্রথ� শহী� দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যেই নাটকটি জেলখানায� সর্বপ্রথ� মঞ্চস্� হয়। জর্জ বার্না�'শর ব্যঙ্গাত্ম� জীবন - জিজ্ঞাসা মুনী� চৌধুরীকে বরাবরই প্রভাবিত করেছ�, ‘কবর� নাটকটি� তা� ব্যতিক্র� ছি� না� ভাষা আন্দোলনে বহ� মানু� শহী� হলেও অল্প �'জনের পরিচয় আমরা জানত� পেরেছিলা�; কত শত লা� গু� কর� হয়েছি�, তা� প্রকৃত হিসা� আজ� জানা যায়নি� লা� গুমে� এই ঘৃণ্� রাজনীতিকে উপজীব্� করেই নাটকটি� পুরো গল্প এগিয়ে গেছে�
নাটকটি� সমগ্� ঘটনাস্থল ছি� গোরস্থান� ভাষা� জন্য জীবন দেয়� এদেশের বিল্পবী দামা� ছেলেদে� লাশগুল� ধামাচাপা দিতে আস� এক ক্ষমতাসী� নেতা এব� নেতাদে� সাহায্যকারী যেমন থাকে তেমন� সরকারে� পাচাটা গোলা� ইন্সপেক্টর হাফিজ। এদের সাথে আছ� আর� কিছু মানুষ। সকালের আগ� লাশগুল� ধামাচাপা দিতে হবে। মাটিতে গনকবরে চাপা দিয়� সব ঝামেলা মিটিয়� নিতে চা� নেতা� সরকা� এম� উটকো ঝামেলা নিয়� চলবে না�
সবকিছু যখ� পরিকল্পন� অনুযায়ী এগোচ্ছিল, তখুন� মুর্দা ফকির নামক এক চরিত্রের আগমন ঘট�, আধপাগল এই মানুষট� যে� সমাজের বিবে� হিসেবে আবির্ভূত হন� লাশগুল� এখনো জীবি� আর তাঁদের কব� থেকে উঠিয়ে তিনি মিছি� করবেন� এম� অদ্ভুত একটি কথ� বল� নেতা এব� হাফিজক� ভড়ক� দে� মুর্দা ফকির� এরপর কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা� আবর্তন� এগিয়ে গেছে সম্পূর্ণ গল্প�
একটি নাটক সার্থক করার পেছন� সবচেয়� বড� অবদা� থাকে নাটকের বিভিন্� চরিত্রের� চরিত্রগুলো যত শক্তিশালী হব�, নাটকের বুনিয়াদ তত মজবু� হবে। 'কব�' নাটকটি� তা� ব্যতিক্র� ছি� না, তিনট� কেন্দ্রীয় চরিত্র পুরোটা সময় দারুণভাব� নাটকটি� গল্প টেনে নিয়� গেছে�
▪️ চরিত্রায়ন ▪️
▪️নেতা: একজন আগাগোড়া অস� মানু�, ক্ষমতা� লোভে অন্ধ হয়ে ভাষা আন্দোলনে� মত� মহান এক ঘটনাকে ‘সামান্য গণ্ডগোল� হিসেবে চালিয়� নেওয়া� চেষ্টা কর� গেছেন। পাকিস্তানি সরকা� অন্যায়ভাব� গ্রেফতার � গুলি চালাতে নির্দে� দিয়েছ� সেটা নেতা মানত� নারাজ। তাঁর ভাষ্যমতে ছাত্রর� বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল� ক্ষমতা� লো�, ক্ষমতা� অপব্যবহা� এব� রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়� এই নেতা রাতে� অন্ধকারে যেভাবে ছাত্রদের লা� কব� দিতে এসেছেন তা ঘৃণি� লেগেছে�
তব� এই নেতা� চরিত্রকে মুনী� চৌধুরী এত নিখুঁতভাবে উপস্থাপন করেছেন যে রাজনৈতিক প্রভাবযুক্� এস� নেতাদে� হাবভাব কিংব� কাজকর্� দেখলেই বোঝা যায়� মদ্য� হয়ে নেশা� ঘোরে হাফিজকেও অনেক কিছু বলেছিল এই নেতা� আবার বারবার ক্ষমতা� প্রভাব� পিস্তলের ভয়ও দেখিয়েছেন�
▪️হাফি�: হাফি� ছি� একজন চাটুকা� পুলি� কর্মকর্ত�, নাটকের সিংহভা� সময় জুড়� তাঁক� নেতা� চামচাম� করতে দেখা গেছে� একজন পুলি� কর্মকর্ত� কীভাবে নিজে� আদর্�, বিবেকক� বিসর্জ� দিতে পারে টাকা� লোভে কিংব� রাজনৈতিক প্রভাব� তা হাফিজক� দেখে বোঝা যায়� সারাটা নাটক জুড়� সে নেতা� গোলামী কর� গেছে�
আমাদের সমাজেও এম� চাটুকারিতা� নজির দেখা যায়� যেখানে বিবে� যা� চুলায় এদের দরকা� শুধু টাকা কিংব� ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়� আরাম� থাকা� নাহল� চোখে� সামন� অন্যায� দেখে� কীভাবে সে� অন্যায়ে� সহযোগিতা কর� সম্ভ�! মেরুদণ্ডহী� কাপুরু� এই হাফিজক� কিছু জায়গায় মন� হয়েছে � যে� সমাজের এক চরিত্রের প্রতিনিধি।
▪️মুর্দা ফকির: পুরো নাটকটিকে অন্য উচ্চতায় নে��য়ার ক্ষেত্রে সবচেয়� বড� অবদা� রেখেছে মুর্দা ফকির� তেতাল্লিশে� দুর্ভিক্ষে নিজে� চোখে� সামন� সমস্� আপনজনক� মারা যেতে দেখেছে, মানুষগুলোক� কব� দেওয়া� সামর্থ্য� তাঁর ছি� না� সে� থেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়� গোরস্থানের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যায় সে, না� হয� মুর্দা ফকির�
আমার সবচেয়� পছন্দে� চরিত্র এই নাটকে। যে অন্যায� ওই চাটুকারিতা কর� হাফিজে� চোখে পড়েনি তা এই পাগল মুর্দা ফকির ঠি� বুঝলো। লাশগুলোর ট্রাকে এক নজ� দেখে সে বললো এর� তো কে� মরেন�, এর� মরবে না, এর� কবরে থাকব� না কে�, এর� বারবার ফিরে আসবে� আসলে� কিন্তু তা� হয়েছি� ১৯৫২ সালে� ভাষা আন্দোলনে� এক ছাত্� গুলি খেয়েছ� ওমনি হাজা� হাজা� ছাত্� জনতা দাঁড়িয়� গেছে ভাষা� দাবিতে� মুর্দা ফকিরের কথ� আপাতদৃষ্টিতে পাগলের প্রলাপ মন� হলেও এর কিন্তু গভী� তাৎপর্� আছে।
লেখক মুর্দা ফকিরের মাধ্যম� তুলে এনেছেন প্রতিবাদের ভাষা� যে ভাষা এই কব� নাটক� মূখ্� হয়ে উঠেছে। যেখানে মুর্দা ফকিরের মাধ্যম� মুনী� চৌধুরী হয়তোব� নিজে� প্রতিবাদটা� কর� গেছেন।
▪️পা� প্রতিক্রিয়া ▪️
কব� নাটক নিয়� বিস্তারি� পড়াশোনা করতে গিয়� আম� জানত� পারি যে ১৯৩৬ সালে রচিত মার্কি� নাট্যকার আর উই� শ’র 'বেরি দ্� ডে�' এর প্রভাব রয়েছে ‘কবর� নাটকে। নাট্যকার মুনী� চৌধুরী নিজে� তা স্বীকা� করেছেন� কবরে যেতে অস্বীকা� করার ব্যাপারে দু� নাটকের মাঝে� মি� রয়েছে, তব� তা কেবলমাত্� ভাবগ� ঐক্যের মিল। মুনী� চৌধুরী তাঁর নিজস্ব স্বকীয়তায় নাটকটি� বুনিয়াদ যেভাবে গড়ে তুলেছিলে�, তা এক কথায� অসাধারণ। তাছাড়� ‘বের� দ্� ডেড� নাটক� মৃ� সৈনিকদের বিদ্রোহক� সত্য বল� তুলে ধর� কিছুটা আধিভৌতিক ঘটনা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম� একটা প্রতিবাদী ভা� তুলে ধর� হয়েছিল।
কিন্তু ‘কবর� নাটক� নেতা � হাফিজে� মাতা� অবস্থায় অপ্রকৃতিস্� দেখানো হয�, ফল� শহীদদের কবরে যেতে অস্বীকা� করার দৃশ্যটির যৌক্তি� কারণ হিসেবে নেতা � হাফিজে� বিভ্রমকে প্রতিষ্ঠ� কর� যায়� এই মি� থাকা� প্রসঙ্গে বিশিষ্� নাট্যকার মমতা� উদদী� আহমদ বলেন,
"এই সামান্� ভারসাম্যটি� জন্য 'কব�'কে অনুসারী নাটক বল� যাবে না� এম� হল� পৃথিবী� অধিকাং� শ্রেষ্� নাটককে কাহিনী ভাগে� জন্য অনুকৃতির দায় বহ� করতে হবে।"
সবচেয়� বড� কথ� এই নাটক তৎকালী� পাকিস্তা� শাসকদে� মুখে চপেটাঘাত বল� যায়� কা� বুকে� পাটা ছি� যে এম� কর� প্রতিবাদী নাটক লিখবেন শাসকদে� বিরুদ্ধে? মুনী� চৌধুরী� মত� মানু� সেটা কর� দেখিয়েছেন� এব� এই নাটকের প্রতিট� চরিত্র এব� প্লট এত শক্তপোক্� ভাবে তৈরি যে কব� নাটক নিয়� প্রশ্ন তোলা� অবকা� নেই।
ভাষা আন্দোলনে� প্রেক্ষাপট� রচিত এম� নাটক বাংল� সাহিত্যে� ইতিহাস� দ্বিতীয় নেই। মুনী� চৌধুরী আপ� মেধায় বিকশিত ছিলেন। ভাষা আন্দোল� কিংব� মুক্তিযুদ্ধে এই মানুষটির প্রতিবাদ ছিলো এব� এইজন্য� বোধহয় মুনী� চৌধুরীকে হারিয়� যেতে হয়েছি� স্বাধীনতার প্রাক্কালে� কিন্তু তাতে কী তাঁর আদর্� মোছা গেছে?
না, যায় না� আর যায় না বলেই যুগে� পর পর ‘কবর� নাটকটিকে শ্রদ্ধাভরে মানু� স্মর� করবে� ভাষা আন্দোল� নিয়� যত নাটক� হো�, মুনী� চৌধুরী� 'কব�' নাটকটিকে ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভ� হব� না� মুনি� চৌধুরী� আদর্�, ন্যায় অন্যায়ে� প্রতিবাদ এই কব� নাটক� প্রতিয়মান�
▪️ বইয়ের না�: "কব�"
▪️লেখক: মুনী� চৌধুরী
▪️ ব্যক্তিগ� রেটি�: �/�
এই শিকল পরেই শিকল তোদে� কর� রে বিকল
তোদে� বন্ধ কারায় আস� মোদে� বন্দী হত� নয�
ওর�, ক্ষয� করতে আস� মোদে� সবার বাঁধ� ভয�
বন্ধ কারায় আস� মোদে� বন্দী হত� নয�
ওর�, ক্ষয� করতে আস� মোদে� সবার বাঁধ� ভয�"
১৯৫৩ সালে� জানুয়ার� মা�, ভাষা আন্দোলনে সক্রিয� থাকা� অপরাধে রাজবন্দি হিসেবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারগার� বন্দী ছিলে� মুনী� চৌধুরী� বন্দী জীবন� করার তেমন কিছু� ছি� না, অল� সময়ের বেড়াজাল যে� তাঁক� ঘিরে ধরছিল। এমনই এক সময়� ১৭ জানুয়ার� তাঁর কাছে একটি চিঠি এল, প্রেরক ছিলে� আরেক রাজবন্দী রণেশ দাশগুপ্ত� অসাধার� এক প্রস্তাব ছি� সে� চিঠিতে, প্রথ� শহী� দিবস উদযাপন উপলক্ষ্য� মুনী� চৌধুরীকে একটি নাটক লেখা� অনুরোধ করেছিলেন তিনি�
জেলখানায� নাটক মঞ্চস্� কর� চাট্টিখানি কথ� নয়। তাছাড়� জেলে ওম� স্টে�, আলোর ব্যবস্থা কোথায় যে ঠি� কর� নাটক মঞ্চায়ন হব�! সবকিছু মাথায় রাখত� হয়েছি� মুনী� চৌধুরীর। তিনি এস� মাথায় রেখে� লিখে ফেললেন ভাষা আন্দোলনে� প্রেক্ষাপট� বিখ্যা� সে� নাটক, যা� না� "কব�"� ভাষা আন্দোলনে� প্রেক্ষাপট� রচিত এই নাটক এখনো বাংল� সাহিত্যে সমাদৃত� � ব্যাপারে স্মৃতিচারণ করতে গিয়� মুনী� চৌধুরী নিজে� বলেছিলেন,
▪️"জেলখানাত� নাটক রচনা� অসুবিধ� অবশ্যই ছিল। � অসুবিধাটুক� সামন� ছি� বলেই তো 'কব�' নাটকটিতে বে� কিছু নতুনত্� আনতে হয়েছে� আট - দশটি হারিকে� দিয়� সাজাতে হব�, সে কারণ� অনেকটা বাধ্� হয়ে� ‘কবর� নাটকটিতে আল� - আঁধারি রহস্যময় পরিবেশ সৃষ্টি কর� হয়েছে�"
পূর্� পরিকল্পন� অনুযায়ী, ১৯৫৩ সালে� ২১শে ফেব্রুয়ার� প্রথ� শহী� দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যেই নাটকটি জেলখানায� সর্বপ্রথ� মঞ্চস্� হয়। জর্জ বার্না�'শর ব্যঙ্গাত্ম� জীবন - জিজ্ঞাসা মুনী� চৌধুরীকে বরাবরই প্রভাবিত করেছ�, ‘কবর� নাটকটি� তা� ব্যতিক্র� ছি� না� ভাষা আন্দোলনে বহ� মানু� শহী� হলেও অল্প �'জনের পরিচয় আমরা জানত� পেরেছিলা�; কত শত লা� গু� কর� হয়েছি�, তা� প্রকৃত হিসা� আজ� জানা যায়নি� লা� গুমে� এই ঘৃণ্� রাজনীতিকে উপজীব্� করেই নাটকটি� পুরো গল্প এগিয়ে গেছে�
নাটকটি� সমগ্� ঘটনাস্থল ছি� গোরস্থান� ভাষা� জন্য জীবন দেয়� এদেশের বিল্পবী দামা� ছেলেদে� লাশগুল� ধামাচাপা দিতে আস� এক ক্ষমতাসী� নেতা এব� নেতাদে� সাহায্যকারী যেমন থাকে তেমন� সরকারে� পাচাটা গোলা� ইন্সপেক্টর হাফিজ। এদের সাথে আছ� আর� কিছু মানুষ। সকালের আগ� লাশগুল� ধামাচাপা দিতে হবে। মাটিতে গনকবরে চাপা দিয়� সব ঝামেলা মিটিয়� নিতে চা� নেতা� সরকা� এম� উটকো ঝামেলা নিয়� চলবে না�
সবকিছু যখ� পরিকল্পন� অনুযায়ী এগোচ্ছিল, তখুন� মুর্দা ফকির নামক এক চরিত্রের আগমন ঘট�, আধপাগল এই মানুষট� যে� সমাজের বিবে� হিসেবে আবির্ভূত হন� লাশগুল� এখনো জীবি� আর তাঁদের কব� থেকে উঠিয়ে তিনি মিছি� করবেন� এম� অদ্ভুত একটি কথ� বল� নেতা এব� হাফিজক� ভড়ক� দে� মুর্দা ফকির� এরপর কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা� আবর্তন� এগিয়ে গেছে সম্পূর্ণ গল্প�
একটি নাটক সার্থক করার পেছন� সবচেয়� বড� অবদা� থাকে নাটকের বিভিন্� চরিত্রের� চরিত্রগুলো যত শক্তিশালী হব�, নাটকের বুনিয়াদ তত মজবু� হবে। 'কব�' নাটকটি� তা� ব্যতিক্র� ছি� না, তিনট� কেন্দ্রীয় চরিত্র পুরোটা সময় দারুণভাব� নাটকটি� গল্প টেনে নিয়� গেছে�
▪️ চরিত্রায়ন ▪️
▪️নেতা: একজন আগাগোড়া অস� মানু�, ক্ষমতা� লোভে অন্ধ হয়ে ভাষা আন্দোলনে� মত� মহান এক ঘটনাকে ‘সামান্য গণ্ডগোল� হিসেবে চালিয়� নেওয়া� চেষ্টা কর� গেছেন। পাকিস্তানি সরকা� অন্যায়ভাব� গ্রেফতার � গুলি চালাতে নির্দে� দিয়েছ� সেটা নেতা মানত� নারাজ। তাঁর ভাষ্যমতে ছাত্রর� বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল� ক্ষমতা� লো�, ক্ষমতা� অপব্যবহা� এব� রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়� এই নেতা রাতে� অন্ধকারে যেভাবে ছাত্রদের লা� কব� দিতে এসেছেন তা ঘৃণি� লেগেছে�
তব� এই নেতা� চরিত্রকে মুনী� চৌধুরী এত নিখুঁতভাবে উপস্থাপন করেছেন যে রাজনৈতিক প্রভাবযুক্� এস� নেতাদে� হাবভাব কিংব� কাজকর্� দেখলেই বোঝা যায়� মদ্য� হয়ে নেশা� ঘোরে হাফিজকেও অনেক কিছু বলেছিল এই নেতা� আবার বারবার ক্ষমতা� প্রভাব� পিস্তলের ভয়ও দেখিয়েছেন�
▪️হাফি�: হাফি� ছি� একজন চাটুকা� পুলি� কর্মকর্ত�, নাটকের সিংহভা� সময় জুড়� তাঁক� নেতা� চামচাম� করতে দেখা গেছে� একজন পুলি� কর্মকর্ত� কীভাবে নিজে� আদর্�, বিবেকক� বিসর্জ� দিতে পারে টাকা� লোভে কিংব� রাজনৈতিক প্রভাব� তা হাফিজক� দেখে বোঝা যায়� সারাটা নাটক জুড়� সে নেতা� গোলামী কর� গেছে�
আমাদের সমাজেও এম� চাটুকারিতা� নজির দেখা যায়� যেখানে বিবে� যা� চুলায় এদের দরকা� শুধু টাকা কিংব� ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়� আরাম� থাকা� নাহল� চোখে� সামন� অন্যায� দেখে� কীভাবে সে� অন্যায়ে� সহযোগিতা কর� সম্ভ�! মেরুদণ্ডহী� কাপুরু� এই হাফিজক� কিছু জায়গায় মন� হয়েছে � যে� সমাজের এক চরিত্রের প্রতিনিধি।
▪️মুর্দা ফকির: পুরো নাটকটিকে অন্য উচ্চতায় নে��য়ার ক্ষেত্রে সবচেয়� বড� অবদা� রেখেছে মুর্দা ফকির� তেতাল্লিশে� দুর্ভিক্ষে নিজে� চোখে� সামন� সমস্� আপনজনক� মারা যেতে দেখেছে, মানুষগুলোক� কব� দেওয়া� সামর্থ্য� তাঁর ছি� না� সে� থেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়� গোরস্থানের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যায় সে, না� হয� মুর্দা ফকির�
আমার সবচেয়� পছন্দে� চরিত্র এই নাটকে। যে অন্যায� ওই চাটুকারিতা কর� হাফিজে� চোখে পড়েনি তা এই পাগল মুর্দা ফকির ঠি� বুঝলো। লাশগুলোর ট্রাকে এক নজ� দেখে সে বললো এর� তো কে� মরেন�, এর� মরবে না, এর� কবরে থাকব� না কে�, এর� বারবার ফিরে আসবে� আসলে� কিন্তু তা� হয়েছি� ১৯৫২ সালে� ভাষা আন্দোলনে� এক ছাত্� গুলি খেয়েছ� ওমনি হাজা� হাজা� ছাত্� জনতা দাঁড়িয়� গেছে ভাষা� দাবিতে� মুর্দা ফকিরের কথ� আপাতদৃষ্টিতে পাগলের প্রলাপ মন� হলেও এর কিন্তু গভী� তাৎপর্� আছে।
লেখক মুর্দা ফকিরের মাধ্যম� তুলে এনেছেন প্রতিবাদের ভাষা� যে ভাষা এই কব� নাটক� মূখ্� হয়ে উঠেছে। যেখানে মুর্দা ফকিরের মাধ্যম� মুনী� চৌধুরী হয়তোব� নিজে� প্রতিবাদটা� কর� গেছেন।
▪️পা� প্রতিক্রিয়া ▪️
কব� নাটক নিয়� বিস্তারি� পড়াশোনা করতে গিয়� আম� জানত� পারি যে ১৯৩৬ সালে রচিত মার্কি� নাট্যকার আর উই� শ’র 'বেরি দ্� ডে�' এর প্রভাব রয়েছে ‘কবর� নাটকে। নাট্যকার মুনী� চৌধুরী নিজে� তা স্বীকা� করেছেন� কবরে যেতে অস্বীকা� করার ব্যাপারে দু� নাটকের মাঝে� মি� রয়েছে, তব� তা কেবলমাত্� ভাবগ� ঐক্যের মিল। মুনী� চৌধুরী তাঁর নিজস্ব স্বকীয়তায় নাটকটি� বুনিয়াদ যেভাবে গড়ে তুলেছিলে�, তা এক কথায� অসাধারণ। তাছাড়� ‘বের� দ্� ডেড� নাটক� মৃ� সৈনিকদের বিদ্রোহক� সত্য বল� তুলে ধর� কিছুটা আধিভৌতিক ঘটনা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম� একটা প্রতিবাদী ভা� তুলে ধর� হয়েছিল।
কিন্তু ‘কবর� নাটক� নেতা � হাফিজে� মাতা� অবস্থায় অপ্রকৃতিস্� দেখানো হয�, ফল� শহীদদের কবরে যেতে অস্বীকা� করার দৃশ্যটির যৌক্তি� কারণ হিসেবে নেতা � হাফিজে� বিভ্রমকে প্রতিষ্ঠ� কর� যায়� এই মি� থাকা� প্রসঙ্গে বিশিষ্� নাট্যকার মমতা� উদদী� আহমদ বলেন,
"এই সামান্� ভারসাম্যটি� জন্য 'কব�'কে অনুসারী নাটক বল� যাবে না� এম� হল� পৃথিবী� অধিকাং� শ্রেষ্� নাটককে কাহিনী ভাগে� জন্য অনুকৃতির দায় বহ� করতে হবে।"
সবচেয়� বড� কথ� এই নাটক তৎকালী� পাকিস্তা� শাসকদে� মুখে চপেটাঘাত বল� যায়� কা� বুকে� পাটা ছি� যে এম� কর� প্রতিবাদী নাটক লিখবেন শাসকদে� বিরুদ্ধে? মুনী� চৌধুরী� মত� মানু� সেটা কর� দেখিয়েছেন� এব� এই নাটকের প্রতিট� চরিত্র এব� প্লট এত শক্তপোক্� ভাবে তৈরি যে কব� নাটক নিয়� প্রশ্ন তোলা� অবকা� নেই।
ভাষা আন্দোলনে� প্রেক্ষাপট� রচিত এম� নাটক বাংল� সাহিত্যে� ইতিহাস� দ্বিতীয় নেই। মুনী� চৌধুরী আপ� মেধায় বিকশিত ছিলেন। ভাষা আন্দোল� কিংব� মুক্তিযুদ্ধে এই মানুষটির প্রতিবাদ ছিলো এব� এইজন্য� বোধহয় মুনী� চৌধুরীকে হারিয়� যেতে হয়েছি� স্বাধীনতার প্রাক্কালে� কিন্তু তাতে কী তাঁর আদর্� মোছা গেছে?
না, যায় না� আর যায় না বলেই যুগে� পর পর ‘কবর� নাটকটিকে শ্রদ্ধাভরে মানু� স্মর� করবে� ভাষা আন্দোল� নিয়� যত নাটক� হো�, মুনী� চৌধুরী� 'কব�' নাটকটিকে ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভ� হব� না� মুনি� চৌধুরী� আদর্�, ন্যায় অন্যায়ে� প্রতিবাদ এই কব� নাটক� প্রতিয়মান�
▪️ বইয়ের না�: "কব�"
▪️লেখক: মুনী� চৌধুরী
▪️ ব্যক্তিগ� রেটি�: �/�
February 15, 2016
স্কুলে পাঠ্� থাকা 'কব�' সম্ভবত একমাত্� নাটক, যেটায় আম� খানিকট� অভিনয় করেছিলাম� আর এট� নিয়� পরীক্ষা� খাতায় এত বেশি লিখত� হয়েছে যে, রিভি� লেখা� প্রয়োজন নাই।
March 25, 2024
কব�: একুশের প্রথ� নাটক
১৯৫৩ সা�, ভাষা আন্দোলনে� সে� রক্তাক্ত দিনে� বর্ষপূর্তি- ঢাকা� রাজপ� থেকে তখনও শুকোয়নি শহিদের রক্তের দা�, কারাগারে বন্দ� অসংখ্য আন্দোলনকারী� আন্দোলনে� বর্ষপূর্তিতে বন্দির� সিদ্ধান্� নিলে� ভাষাদিবসের স্মরণে জেলখানাতেই একটি নাটক মঞ্চস্� করার� রাজবন্দি কমিউনিস্� নেতা রণেশ দাশগুপ্ত অনুরোধ করলে� মুনী� চৌধুরীকে- জেলখানায� মঞ্চস্� করার উপযোগী একখানা নাটক লেখবার জন্য� তখ� মুনী� চৌধুরী নিজে� একজন বন্দ� হিসেবে জেলখানাত� আটক। জেলখানাত� যেহেতু সীমি� সুযো�, নারী চরিত্র রাখা� সুযো� নে�, তা� সেরক� করেই একখানা নাটক রচনা কর� হলো। নাটকের আয়োজন অত� সাধারণ, চরিত্র মোটে চারট�, ব্যাপ্তি মধ্যরা� থেকে ভোরে� আল� ফোটা অবধি, গোরস্থানের আলোআধারি দৃশ্যপট। কিন্তু এক অঙ্কের এই নাটকটি� যে� চোখে আঙুল দিয়� দেখিয়� দিলো অনেক কিছু, শাসকশ্রেণি� প্রত� হানল মোক্ষম আঘাত� দিনেদিনে এটিই হয়ে ওঠ� ভাষা আন্দোলনে� ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। যতদি� বাঙালি� ইতিহাস বাঁচবে, ততদি� উঠ� আসবে বাঙালি� মুক্তি� আন্দোলনে� প্রথ� চর�- ভাষা আন্দোলনে� ইতিহাস; আর যত দি� ভাষা আন্দোলনে� ইতিহাস জীবি� থাকব�, ততদিনই অবধারিতভাব� চল� আসবে সার্থক এই একাঙ্কিকার নামটি।
নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র তিনট�: নেতা, যিনি অত্যাচারী শাসকযন্ত্রের প্রতিনিধ�; ইন্সপেক্টর হাফি�, শাসকযন্ত্রের হাতিয়ার; এব� মুর্দা ফকির, যে আবির্ভূত হয� জাতি� বিবেকরূপে। ভাষা আন্দোলনে� শহিদ হিসেবে আমরা যে-কজনে� না� জানি, '৫২-এর ফেব্রুয়ারিত� এরচেয়� অনেক বেশি মানু� নিহত হন� তব� তাঁদের পরিচয় আমরা পা� না কে�? কেনন�, সেইস� না� না-জানা মানুষদের লা� গু� কর� ফেলা হয়েছি� রাতে� অন্ধকারে� আর সে� ঘটনাকে কেন্দ্� করেই লেখা হয� � নাটকটি�
নাটকের শুরুতে আমরা দেখত� পা�- নেতা এস� তড়িঘড়ি কর� লা� কব� দেওয়া� নির্দে� দে�; আর সে� কাজে সহযোগিতা কর� ইন্সপেক্টর হাফিজ। নেতা� ভাষ্যে, ভাষা আন্দোল� হল� 'সামান্� গণ্ডগো�', আর ভাষাশহিদরা হচ্ছেন 'কিছু দুষ্টু ছেলে'� পুরো নাটকজুড়� তিনি মদ খা�, আর নির্দে� দিতে থাকে� লা� লোপাটে�; তা� ক্রমাগ� মদ্যপা�-� যে� নির্দে� কর� তা� নৈতি� চরিত্রের দিকে� এর সাথে যুক্� হয� ইন্সপেক্টর হাফি�, যা� সাহায্যে� সমস্� ঘটনা পরিচালিত হয�- লোপা� হত� থাকে সবকিছু� �-পর্যন্� তাদে� পরিকল্পন� মাফি� চললে� হঠাৎ উদয় হয� মুর্দি ফকির; সে এস� সমস্� ঘটনা� নতুন রূ� দেয়� লাশগুল� যখ� মাটি� গর্ত� ধামাচাপা দেওয়া হয�, তখ� সে এস� দাবি কর�- লাশগুল� জীবি�, তাদে� গায়� এখনও রক্তের স্পন্দ�; অন্যদিকে সে মৃতে� গন্ধ পায় নেতা � তা� সহযোগী ইন্সপেক্টর হাফিজে� গায়ে। সত্যিই তো, যাঁর� শহিদ হয়েছে� ভাষা� জন্য, যারা প্রা� দিয়েছেন দেশে� জন্য, মানুষে� অধিকারের জন্য; তাঁর� কখনও মরতে পারে না, তাঁর� কখনও হারিয়� যেতে পারে না- দেশে� মানু� আজ� শ্রদ্ধাভরে স্মর� কর� সক� ভাষা শহিদদের। অন্যদিকে যে শোষকের নির্দেশে নির্যাতনের শিকা� হল� দেশে� মানু�, ভাষা� জন্য অকাল� প্রা� দিলো তাজা তাজা প্রা�; তারা� আজ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়� নিক্ষিপ্� হয়েছে, তারা� আজকে মৃ�, তারা� বাতিল। মুর্দা ফকিরের � দাবি� পর� নেতা� যে� দেখত� পা� জীবি� সে� লাশে� সারি, যে� লাশগুল� উঠ� এস� আবার� যাবে মিছিলে, আবার� করবে অধিকারের আন্দোলন। �'টা বুলে� দিয়� ঠেকানো যাবে সে মিছি�, �'বা� মারল� সত্যিই মরবে তাঁর�?
ভাষা আন্দোলনে� পটভূমিতে লেখা হলেও � নাটক মূলত তুলে ধর� পাকিস্তানোত্তর সমাজবাস্তবতা, রাষ্ট্রযন্ত্রে� স্বেচ্ছাচারিতা � সাংস্কৃতিক নিষ্পেষণকে� নাট্যকার নিজে� � বিষয়ে বলেন, "নাটকটিতে শুধুমাত্� একুশের তাৎপর্� খোঁজ� হল� খানিকট� ভুলই বর� কর� হব��, হয়ত� আর বেশি কিছু বলার চেষ্টা করেছ� আমি। আর� বেশি কিছু�"
একটি নাটকের সফলত� নির্ভর কর� এর দৃশ্যায়�, চরিত্রায়ণ � সংলাপে� উপরে; সেদি� থেকে বল� যায়- নাটকটি অত্যন্� সফ� � শক্তিশালী� তাছাড়� নাটকের সফ� মঞ্চায়ন� নাটকটিকে বাঁচিয়ে রাখে দর্শকদের মাঝে� নাটক-টি ১ম মঞ্চস্� হয� ১৯৫৩ সালে- কারাগারে, বন্দিদের অভিনয়�; এরপর� কারাগারে� বাইর� ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল� ১৯৫৫ সালে� ২১শে ফেব্রুয়ার� নাটক-টি মঞ্চস্� হয়। সে� থেকে আজ পর্যন্�, সারাদেশে � নাটক-টি সফলভাব� মঞ্চস্� হয়ে আসছে, আর সমাদৃত হচ্ছ� সচেত� দর্শ� � পাঠকমহলে� � নাটকের পরিস� অন্ত� ছো�, বিষয়বস্তু জোরালো, চরিত্র � সংলা� দুর্দান্�; এদিক থেকে ভাষা-আন্দোলনকেন্দ্রিক সাহিত্যকর্মগুলোর মধ্য� সবচেয়� প্রভাবশালী রচনা হিসেবে নাটকটিকে চিহ্নি� কর� হলেও অত্যুক্ত� কর� হব� না�
১৯৫৩ সা�, ভাষা আন্দোলনে� সে� রক্তাক্ত দিনে� বর্ষপূর্তি- ঢাকা� রাজপ� থেকে তখনও শুকোয়নি শহিদের রক্তের দা�, কারাগারে বন্দ� অসংখ্য আন্দোলনকারী� আন্দোলনে� বর্ষপূর্তিতে বন্দির� সিদ্ধান্� নিলে� ভাষাদিবসের স্মরণে জেলখানাতেই একটি নাটক মঞ্চস্� করার� রাজবন্দি কমিউনিস্� নেতা রণেশ দাশগুপ্ত অনুরোধ করলে� মুনী� চৌধুরীকে- জেলখানায� মঞ্চস্� করার উপযোগী একখানা নাটক লেখবার জন্য� তখ� মুনী� চৌধুরী নিজে� একজন বন্দ� হিসেবে জেলখানাত� আটক। জেলখানাত� যেহেতু সীমি� সুযো�, নারী চরিত্র রাখা� সুযো� নে�, তা� সেরক� করেই একখানা নাটক রচনা কর� হলো। নাটকের আয়োজন অত� সাধারণ, চরিত্র মোটে চারট�, ব্যাপ্তি মধ্যরা� থেকে ভোরে� আল� ফোটা অবধি, গোরস্থানের আলোআধারি দৃশ্যপট। কিন্তু এক অঙ্কের এই নাটকটি� যে� চোখে আঙুল দিয়� দেখিয়� দিলো অনেক কিছু, শাসকশ্রেণি� প্রত� হানল মোক্ষম আঘাত� দিনেদিনে এটিই হয়ে ওঠ� ভাষা আন্দোলনে� ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। যতদি� বাঙালি� ইতিহাস বাঁচবে, ততদি� উঠ� আসবে বাঙালি� মুক্তি� আন্দোলনে� প্রথ� চর�- ভাষা আন্দোলনে� ইতিহাস; আর যত দি� ভাষা আন্দোলনে� ইতিহাস জীবি� থাকব�, ততদিনই অবধারিতভাব� চল� আসবে সার্থক এই একাঙ্কিকার নামটি।
নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র তিনট�: নেতা, যিনি অত্যাচারী শাসকযন্ত্রের প্রতিনিধ�; ইন্সপেক্টর হাফি�, শাসকযন্ত্রের হাতিয়ার; এব� মুর্দা ফকির, যে আবির্ভূত হয� জাতি� বিবেকরূপে। ভাষা আন্দোলনে� শহিদ হিসেবে আমরা যে-কজনে� না� জানি, '৫২-এর ফেব্রুয়ারিত� এরচেয়� অনেক বেশি মানু� নিহত হন� তব� তাঁদের পরিচয় আমরা পা� না কে�? কেনন�, সেইস� না� না-জানা মানুষদের লা� গু� কর� ফেলা হয়েছি� রাতে� অন্ধকারে� আর সে� ঘটনাকে কেন্দ্� করেই লেখা হয� � নাটকটি�
নাটকের শুরুতে আমরা দেখত� পা�- নেতা এস� তড়িঘড়ি কর� লা� কব� দেওয়া� নির্দে� দে�; আর সে� কাজে সহযোগিতা কর� ইন্সপেক্টর হাফিজ। নেতা� ভাষ্যে, ভাষা আন্দোল� হল� 'সামান্� গণ্ডগো�', আর ভাষাশহিদরা হচ্ছেন 'কিছু দুষ্টু ছেলে'� পুরো নাটকজুড়� তিনি মদ খা�, আর নির্দে� দিতে থাকে� লা� লোপাটে�; তা� ক্রমাগ� মদ্যপা�-� যে� নির্দে� কর� তা� নৈতি� চরিত্রের দিকে� এর সাথে যুক্� হয� ইন্সপেক্টর হাফি�, যা� সাহায্যে� সমস্� ঘটনা পরিচালিত হয�- লোপা� হত� থাকে সবকিছু� �-পর্যন্� তাদে� পরিকল্পন� মাফি� চললে� হঠাৎ উদয় হয� মুর্দি ফকির; সে এস� সমস্� ঘটনা� নতুন রূ� দেয়� লাশগুল� যখ� মাটি� গর্ত� ধামাচাপা দেওয়া হয�, তখ� সে এস� দাবি কর�- লাশগুল� জীবি�, তাদে� গায়� এখনও রক্তের স্পন্দ�; অন্যদিকে সে মৃতে� গন্ধ পায় নেতা � তা� সহযোগী ইন্সপেক্টর হাফিজে� গায়ে। সত্যিই তো, যাঁর� শহিদ হয়েছে� ভাষা� জন্য, যারা প্রা� দিয়েছেন দেশে� জন্য, মানুষে� অধিকারের জন্য; তাঁর� কখনও মরতে পারে না, তাঁর� কখনও হারিয়� যেতে পারে না- দেশে� মানু� আজ� শ্রদ্ধাভরে স্মর� কর� সক� ভাষা শহিদদের। অন্যদিকে যে শোষকের নির্দেশে নির্যাতনের শিকা� হল� দেশে� মানু�, ভাষা� জন্য অকাল� প্রা� দিলো তাজা তাজা প্রা�; তারা� আজ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়� নিক্ষিপ্� হয়েছে, তারা� আজকে মৃ�, তারা� বাতিল। মুর্দা ফকিরের � দাবি� পর� নেতা� যে� দেখত� পা� জীবি� সে� লাশে� সারি, যে� লাশগুল� উঠ� এস� আবার� যাবে মিছিলে, আবার� করবে অধিকারের আন্দোলন। �'টা বুলে� দিয়� ঠেকানো যাবে সে মিছি�, �'বা� মারল� সত্যিই মরবে তাঁর�?
ভাষা আন্দোলনে� পটভূমিতে লেখা হলেও � নাটক মূলত তুলে ধর� পাকিস্তানোত্তর সমাজবাস্তবতা, রাষ্ট্রযন্ত্রে� স্বেচ্ছাচারিতা � সাংস্কৃতিক নিষ্পেষণকে� নাট্যকার নিজে� � বিষয়ে বলেন, "নাটকটিতে শুধুমাত্� একুশের তাৎপর্� খোঁজ� হল� খানিকট� ভুলই বর� কর� হব��, হয়ত� আর বেশি কিছু বলার চেষ্টা করেছ� আমি। আর� বেশি কিছু�"
একটি নাটকের সফলত� নির্ভর কর� এর দৃশ্যায়�, চরিত্রায়ণ � সংলাপে� উপরে; সেদি� থেকে বল� যায়- নাটকটি অত্যন্� সফ� � শক্তিশালী� তাছাড়� নাটকের সফ� মঞ্চায়ন� নাটকটিকে বাঁচিয়ে রাখে দর্শকদের মাঝে� নাটক-টি ১ম মঞ্চস্� হয� ১৯৫৩ সালে- কারাগারে, বন্দিদের অভিনয়�; এরপর� কারাগারে� বাইর� ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল� ১৯৫৫ সালে� ২১শে ফেব্রুয়ার� নাটক-টি মঞ্চস্� হয়। সে� থেকে আজ পর্যন্�, সারাদেশে � নাটক-টি সফলভাব� মঞ্চস্� হয়ে আসছে, আর সমাদৃত হচ্ছ� সচেত� দর্শ� � পাঠকমহলে� � নাটকের পরিস� অন্ত� ছো�, বিষয়বস্তু জোরালো, চরিত্র � সংলা� দুর্দান্�; এদিক থেকে ভাষা-আন্দোলনকেন্দ্রিক সাহিত্যকর্মগুলোর মধ্য� সবচেয়� প্রভাবশালী রচনা হিসেবে নাটকটিকে চিহ্নি� কর� হলেও অত্যুক্ত� কর� হব� না�
May 12, 2022
পুরাতন মুর্দারা লড়া� কর� কর� ক্লান্ত। বা� বা� উঠ� এস� আর কত� বা লড়া� করবে? আর কতবারই বা স্বপ্নভঙ্গের কষ্ট তারা ভো� করবে কব� থেকে উঠ� এসে। নতুন প্রজন্মে� লড়া� লড়ে?
আজ আর কে� মুর্দা হত� চায় না� ভু� কর� কে� মুর্দা হওয়ার সাহস দেখালে� তা� পাশে কে� দাঁড়ায় না� পাছে নিজে� মুর্দা বন� যায়!
আজ আর কে� মুর্দা হত� চায় না� ভু� কর� কে� মুর্দা হওয়ার সাহস দেখালে� তা� পাশে কে� দাঁড়ায় না� পাছে নিজে� মুর্দা বন� যায়!
August 1, 2023
The portrayal of pain, love, and sacrifice!
August 5, 2024
নেতা:
পুঁত� ফেল।দশ -পনের�- বি�-পঁচি� হা� যত নিচে পারো� একেবার� পাতা� পর্যন্� খুঁড়ত� বল� দাও। পাথর দিয়� মাটি দিয়�, ভরাট কর� গেতে ফেল। কোনদিন যে� আর উঠতে না পারে।কেউ যে� টেনে ওপরে তুলত� না পারে� যে� মিছি� করতে না পারে,স্লোগা� তুলত� না পারে,যে� চ্যাঁচাত� ভুলে যায়�
�
�
�
�
মূর্তি:
আমাক� শুতে যেতে বলছো মা? না � না� আম� শো� না� আম� এখ� শো� না মা� আম� আর কোনদিন শো� না� একবা� ঘুমিয়� পড়ল� ওর� আমাক� আর জাগত� দেবে না�
-36th July,2024(5th August,2024)
পুঁত� ফেল।দশ -পনের�- বি�-পঁচি� হা� যত নিচে পারো� একেবার� পাতা� পর্যন্� খুঁড়ত� বল� দাও। পাথর দিয়� মাটি দিয়�, ভরাট কর� গেতে ফেল। কোনদিন যে� আর উঠতে না পারে।কেউ যে� টেনে ওপরে তুলত� না পারে� যে� মিছি� করতে না পারে,স্লোগা� তুলত� না পারে,যে� চ্যাঁচাত� ভুলে যায়�
�
�
�
�
মূর্তি:
আমাক� শুতে যেতে বলছো মা? না � না� আম� শো� না� আম� এখ� শো� না মা� আম� আর কোনদিন শো� না� একবা� ঘুমিয়� পড়ল� ওর� আমাক� আর জাগত� দেবে না�
-36th July,2024(5th August,2024)
September 6, 2024
'কব�' মুনী� চৌধুরী� ভাষা আন্দোল� ভিত্তি� একখানা নাটক� রাষ্ট্� ভাষা� দাবিতে ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারী স্লোগানে, আন্দোলনে মুখরিত হয়ে উঠ� রাজপথ। এসময� পরিস্থিত� সামলাত� না পেরে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী ছাত্�-জনতা� উপ� গুলি বর্ষ� করে। তখ� অসংখ্য ছাত্�- জনতা নিহত হয়। এই সময় সব মৃতদেহ দাফন করার জন্য� তৎকালী� শাসকচক্রের দোসরের� চুপিসারে গোরস্তান� নিয়� যায়� তখ� সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্� সরকারি দলের নেতা, তাকে সাহায্যকারী পুলি� অফিসার হাফি�, দুর্ভিক্ষে সর্বহারা ঘর-সংসারহী� মুর্দা-ফকির, গোরস্তানের গার্� এব� ভাষা আন্দোলনে নিহত দু� বী� সন্তানের কাল্পনিক ছায়ামূর্তির বাদপ্রতিবা� � আদেশ নির্দেশে� সংলাপে জমাট বাঁধ� কব� নাটকের কাহিনী� এই নাটক অসম্ভব মুগ্� করেছ� আমাকে।
December 3, 2023
� যে�, ভাষা আন্দোলনে� এক অকাট্য দলিল!
২১ শে ফেব্রুয়ার� ৫২' সালে ভাষা আন্দোলনে, মাতৃভাষা� জন্য ছাত্� সমাজের� যখ� ঝাঁপিয়ে পড়েছি�, তাঁদেরকে পুলিশবাহিনির� নির্বিচারে হত্য� কর� যখ�, মাটিচাপা দিতে চেয়েছিল, তা� প্রতিবাদ�, মুর্দা ফকির, মৃতদের কব� হত� উঠ� আসতে আহ্বান জানান।
নাটকটি পড়ত� গিয়�, শামসুর রাহমানের 'ফেব্রুয়ার� ১৯৬৯' কবিতার একটি লাইন বারবার মন� পড়তেছিল, "একুশের কৃষ্ণচূড়া আমাদের চেতনার রঙ"
২১ শে ফেব্রুয়ার� ৫২' সালে ভাষা আন্দোলনে, মাতৃভাষা� জন্য ছাত্� সমাজের� যখ� ঝাঁপিয়ে পড়েছি�, তাঁদেরকে পুলিশবাহিনির� নির্বিচারে হত্য� কর� যখ�, মাটিচাপা দিতে চেয়েছিল, তা� প্রতিবাদ�, মুর্দা ফকির, মৃতদের কব� হত� উঠ� আসতে আহ্বান জানান।
নাটকটি পড়ত� গিয়�, শামসুর রাহমানের 'ফেব্রুয়ার� ১৯৬৯' কবিতার একটি লাইন বারবার মন� পড়তেছিল, "একুশের কৃষ্ণচূড়া আমাদের চেতনার রঙ"
July 12, 2017
কব�, নষ্ট ছেলে � মানু� তিনটাই এক কথায� অদাধারন।
January 20, 2025
মুনী� চৌধুরী� "কব�" শুধু একটা নাটক নয়—এটা যে� একটা সময়ের থাপ্পড�, একটা অদৃশ্য ঘুষি, যা এখনো আমাদের নাড়� দিয়� যায়� ১৯৫০-এর দশকে� রাজনৈতিক উত্তাল সময়� লেখা এই একাঙ্ক নাটক আকার� ছো� হলেও এর গভীরত� বিশাল। আজকে� জুলা� বিদ্রোহে� প্রেক্ষাপট� "কব�" পড়ত� গিয়� মন� হল�, মুনী� চৌধুরী যে� ভবিষ্য� দেখে গেছেন।
প্রথমে� বল�, এই নাটকটা পড়া� সময় আপনা� গা শিরশির করবে� ভাষা� শক্ত� আর প্রতীকী উপস্থাপনার এম� মিশে� কম� দেখা যায়� নাটকের কেন্দ্রে আছ� ভাষা আন্দোলনে� সংগ্রামে� ছায়�, যেখানে বাঙালি জাতি� চেতনায� প্রথ� জাগর� ঘটে। নেতা আর দারোগা সাহেবে� মধ্যকা� সংলা� এতটা� তীক্ষ্� যে মন� হয�, যে� আজকে� আমাদের চারপাশের ঘটনা গুলো� তুলে ধর� হয়েছে�
আর জুলা� বিদ্রোহে� সাথে তুলন� করতে� হয়। সে� সময় যেমন তরুণরা বুকে� পাটা দিয়� "রাষ্ট্রভাষ� বাংল� চা�" স্লোগা� তুলেছি�, আজকে� তরুণদেরও ঠি� একইভাব� অন্যায়ে� বিরুদ্ধে রাস্তায় নামত� দেখেছি� "কব�"-এর চরিত্ররা যে� আজকে� তাদেরই প্রতীক।
তব� নাটকের সবচেয়� মজার ব্যাপা�? নাটকের নেতা আর দারোগা সাহেবে� কথোপকথ� পড়ে মন� হয�, আমাদের দেশে� আমলাতন্ত্র আর রাজনীতি� হা� আজ� একেবার� সেইখানেই আটকে আছে। মন� হল�, একটা টাইম মেশিনে কর� ’৫�-এর দশ� থেকে আমাদের বর্তমানে কে� এই নাটকটা এন� দিয়েছে।
আমার ব্যক্তিগ� অভিজ্ঞতা বলি। এই নাটকটা পড়া� সময় মাঝেমাঝে� হেসেছি—ন�, মজার জন্য নয�, বর� এট� ভাবত� গিয়� যে আমরা এখনো অনেক ক্ষেত্রে সে� পুরন� ভুলগুলোই কর� যাচ্ছি� তব� আশ� আছে। ঠি� যেমন মুনী� চৌধুরী আশার আল� দেখিয়েছিলেন তা� নাটকের চরিত্রদে� মধ্য দিয়�, তেমন� আজকে� বাংলাদেশ� নতুন এক জাগরণে� পথ� এগোচ্ছে।
শে� কথ�, "কব�" পড়ুন। নতুন কর� নিজেকে প্রশ্ন করুন, আমাদের সংগ্রামে� পথ এখ� কো� দিকে?
প্রথমে� বল�, এই নাটকটা পড়া� সময় আপনা� গা শিরশির করবে� ভাষা� শক্ত� আর প্রতীকী উপস্থাপনার এম� মিশে� কম� দেখা যায়� নাটকের কেন্দ্রে আছ� ভাষা আন্দোলনে� সংগ্রামে� ছায়�, যেখানে বাঙালি জাতি� চেতনায� প্রথ� জাগর� ঘটে। নেতা আর দারোগা সাহেবে� মধ্যকা� সংলা� এতটা� তীক্ষ্� যে মন� হয�, যে� আজকে� আমাদের চারপাশের ঘটনা গুলো� তুলে ধর� হয়েছে�
আর জুলা� বিদ্রোহে� সাথে তুলন� করতে� হয়। সে� সময় যেমন তরুণরা বুকে� পাটা দিয়� "রাষ্ট্রভাষ� বাংল� চা�" স্লোগা� তুলেছি�, আজকে� তরুণদেরও ঠি� একইভাব� অন্যায়ে� বিরুদ্ধে রাস্তায় নামত� দেখেছি� "কব�"-এর চরিত্ররা যে� আজকে� তাদেরই প্রতীক।
তব� নাটকের সবচেয়� মজার ব্যাপা�? নাটকের নেতা আর দারোগা সাহেবে� কথোপকথ� পড়ে মন� হয�, আমাদের দেশে� আমলাতন্ত্র আর রাজনীতি� হা� আজ� একেবার� সেইখানেই আটকে আছে। মন� হল�, একটা টাইম মেশিনে কর� ’৫�-এর দশ� থেকে আমাদের বর্তমানে কে� এই নাটকটা এন� দিয়েছে।
আমার ব্যক্তিগ� অভিজ্ঞতা বলি। এই নাটকটা পড়া� সময় মাঝেমাঝে� হেসেছি—ন�, মজার জন্য নয�, বর� এট� ভাবত� গিয়� যে আমরা এখনো অনেক ক্ষেত্রে সে� পুরন� ভুলগুলোই কর� যাচ্ছি� তব� আশ� আছে। ঠি� যেমন মুনী� চৌধুরী আশার আল� দেখিয়েছিলেন তা� নাটকের চরিত্রদে� মধ্য দিয়�, তেমন� আজকে� বাংলাদেশ� নতুন এক জাগরণে� পথ� এগোচ্ছে।
শে� কথ�, "কব�" পড়ুন। নতুন কর� নিজেকে প্রশ্ন করুন, আমাদের সংগ্রামে� পথ এখ� কো� দিকে?
March 26, 2024
তিনট� নাটিকা আছ� বইয়ে।
�. মানু�
�. নষ্ট ছেলে
�. কব�
"মানু�" নাটিকাটি হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা� প্রেক্ষাপট� লেখা� চলমা� দাঙ্গা� কোনো একদিনে এক মুসলিম পরিবার� চলমা� টানাপোড়েন নিয়� কাহিনী� ধর্মীয় বিভে� থেকে উঠ� গিয়� মানবতা� কথ� বলেছেন এখান� মুনী� চৌধুরী� খুবই ছো� পরিসরে� হলেও কাহিনী হৃদয� ছুঁয়ে যাওয়া� মত�
রেটি�: �/�
দ্বিতীয় নাটিকা "নষ্ট ছেলে"� দু� দৃশ্যে� একটা নাটক� কাহিনী মূলত এক পরিবারের ঘর পালানো বিদ্রোহী এক মেয়েক� নিয়� যা� খোঁজ� বাসায় পুলি� তল্লাশী চলে। এর কাহিনী� বে� ভালো লেগেছে�
রেটি� �/�
তৃতীয় নাটিকা "কব�"� বায়ান্ন� ভাষা আন্দোলনে� প্রেক্ষিতে লেখা� আন্দোলনে গুলিতে নিহতদে� কোনো এক গোরস্থান� গণকব� দেয়� নিয়� এক নেতা আর পুলিশে� কথোপকথ� উঠ� এসেছ� মূলত এখানে। কিছুটা ভৌতি� আবহে লেখা�
রেটি� �.�/�
বইটা� চৌদ��দতম মুদ্রণ� এসেও প্রচুর বানা� বিভ্রা�, ছাপা� ভু� চোখে লাগলো।
�. মানু�
�. নষ্ট ছেলে
�. কব�
"মানু�" নাটিকাটি হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা� প্রেক্ষাপট� লেখা� চলমা� দাঙ্গা� কোনো একদিনে এক মুসলিম পরিবার� চলমা� টানাপোড়েন নিয়� কাহিনী� ধর্মীয় বিভে� থেকে উঠ� গিয়� মানবতা� কথ� বলেছেন এখান� মুনী� চৌধুরী� খুবই ছো� পরিসরে� হলেও কাহিনী হৃদয� ছুঁয়ে যাওয়া� মত�
রেটি�: �/�
দ্বিতীয় নাটিকা "নষ্ট ছেলে"� দু� দৃশ্যে� একটা নাটক� কাহিনী মূলত এক পরিবারের ঘর পালানো বিদ্রোহী এক মেয়েক� নিয়� যা� খোঁজ� বাসায় পুলি� তল্লাশী চলে। এর কাহিনী� বে� ভালো লেগেছে�
রেটি� �/�
তৃতীয় নাটিকা "কব�"� বায়ান্ন� ভাষা আন্দোলনে� প্রেক্ষিতে লেখা� আন্দোলনে গুলিতে নিহতদে� কোনো এক গোরস্থান� গণকব� দেয়� নিয়� এক নেতা আর পুলিশে� কথোপকথ� উঠ� এসেছ� মূলত এখানে। কিছুটা ভৌতি� আবহে লেখা�
রেটি� �.�/�
বইটা� চৌদ��দতম মুদ্রণ� এসেও প্রচুর বানা� বিভ্রা�, ছাপা� ভু� চোখে লাগলো।
February 6, 2021
সিতারা � ইমতিয়াজ, শহী� বুদ্ধিজীবী মুনী� চৌধুরী� � এক অম� সৃষ্টি� কারাগারে অবরুদ্� থাকাকালে� উন� ১৯৫৩ সালে এই নাটিকাটি রচনা করেন� অকিঞ্চ� তদুপরি অকুতোভয় মূর্দা ফকির চরিত্রটি� মূলত মুনী� চৌধুরী� এই নাটিকাটি� সবচেয়� প্রিয় চরিত্র� মূর্দা অর্থাৎ গুলিবিদ্� লাশগুলোক� উঠ� আসার জন্য তা� সে� বিখ্যা� সংলাপট� এখনো গায়� কাঁট� দেয় আমার�
July 14, 2018
Besi joss.
September 20, 2018
asdasdasd
This entire review has been hidden because of spoilers.
November 16, 2019
Excellent
August 2, 2020
১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনে সরকা� � এর সংগে� সরকারি কর্মকর্তার এক বিরু� সমালোচনা�
August 7, 2020
অসাধার�,
November 30, 2020
I never thought I'd like this play this much. But I read it dozens of times, and I didn't hate it.
March 9, 2021
নাটক পড়তেও যে মানুষে� ভালো লাগত� পারে, 'কব�' না পড়ল� তা কোনদিন বুঝতাম না�
February 3, 2022
ভালো ছিল।
April 15, 2022
কব� বইটি একটি অসাধার� বই�
June 16, 2022
পড়েছিলা� ক্লা� ফোরে থাকত� চাচাতো বোনে� পাঠ্যব� থেকে� শে� দৃশ্যট� স্বপ্ন হয়ে দেখা দিত। বইটি শৈশবের এক সুখস্মৃতির মত� জায়গা কর� নিয়েছ� মনে।
August 29, 2023
ছো� একটি নাটিকা, ভাষা আন্দোল� তা� প্রেক্ষাপট� চরিত্র� - গার্�, হাফি�,নেতা, মুর্দা ফকির, মূর্তি, মূর্তি (�)�
February 21, 2024
বেশি কিছু লিখব না কিন্� কেনো জানি বর্তমা� এর সাথে খু� বেশি মি� পেলাম। কেনো আমার এই ভ্রম হল� তা� উত্ত� হয়ত পাবো হয়ত পাবো হয়ত পাবো না!!!
November 9, 2024
� মানু�: �.�/�
� নষ্ট ছেলে: �/�
� কব�: �.৭৫/�
� নষ্ট ছেলে: �/�
� কব�: �.৭৫/�
Read
December 15, 2024কলেজের বাংল� পাঠ্যবইয়ে� অং� ছিল। কেমন জানি দমবন্ধ হওয়ার মত অনুভুত� হয়েছি� বইটা পড়ে�
Displaying 1 - 30 of 37 reviews
Can't find what you're looking for?
Get help and learn more about the design.