What do you think?
Rate this book
ধূসর পাণ্ডুলিপি
ধূসর পাণ্ডুলিপি� প্রথ� সংস্কর�, অনিল কৃষ্� ভট্টাচার্য কর্তৃক চিত্রি� এব� ডি. এম. লাইব্রের� থেকে প্রকাশিত� জীবনানন্� এই বইটি কব� বুদ্ধদেব বসুক� উৎসর্গ করেন�
ধূসর পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থে� ভূমিকায় জীবনানন্� লিখেছিলে�:
আমার প্রথ� কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছিল—১৩৩� সালে (১৯২৭ খ্রিস্টাব্�)� কিন্তু সে বইখানা অনেকদি� আমার নিজে� চোখে� আড়ালে হারিয়� গেছে� আমার মন� হয� সে তা� প্রাপ্� মূল্যই পেয়েছে।
১৩৩৬ সালে আর একখানা বই বা� করবা� আকাঙ্ক্ষ� হয়েছিল। কিন্তু নি� মন� কবিত� লিখে এব� কয়েকট� মাসি� পত্রিকায� প্রকাশিত �'রে সে ইচ্ছাক� আম� শিশু� মত ঘু� পাড়িয়ে রেখেছিলাম। শিশুকে অসময়ে এব� বারবার ঘু� পাড়িয়ে রাখত� জননী� যেরক� কষ্ট হয�, সেইরকম কেমন একটা উদ্বেগ—খুব স্পষ্ট� নয�, খু� নিরুত্তেজও নয়—এ� �'বছ� ধর� বো� কর� এসেছ� আমি।
আজ �'বছ� পর� আমার দ্বিতীয় কবিতার বই বা� �'ল। এর না� "ধূসর পাণ্ডুলিপি"� এই বইয়ের সব কবিতাই ১৩৩২ থেকে ১৩৩৬ সালে� মধ্য� রচিত হয়েছে� ১৩৩২ সালে লেখা কবিত�, ১৩৩৬ সালে লেখা কবিতা—প্রায� এগার� বছ� আগের প্রায় সা� বছ� আগের রচনা সব আজ ১৩৪৩ সালে (১৯৩৬ খ্রিস্টাব্�) এই বইয়ের ভিতর ধর� দিল। আজ যে-সব মাসি� পত্রিক� আর নেই—প্রগত�, ধূপছায়া, কল্লোল—এ� বইয়ের প্রায় সমস্� কবিতাই সেইস� মাসিকে প্রকাশিত হয়েছি� একদিন।
সে� সময়কা� অনেক অপ্রকাশি� কবিতাও আমার কাছে রয়েছে—যদি� ধূসর পাণ্ডুলিপি� অনেক কবিতার চেয়েও তাদে� দাবি একটু� কম নয়—তবু� সম্প্রতি আমার কাছে তারা ধূসরতর হয়ে বেঁচ� রইল।
ধূসর পাণ্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থে� ভূমিকায় জীবনানন্� লিখেছিলে�:
আমার প্রথ� কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছিল—১৩৩� সালে (১৯২৭ খ্রিস্টাব্�)� কিন্তু সে বইখানা অনেকদি� আমার নিজে� চোখে� আড়ালে হারিয়� গেছে� আমার মন� হয� সে তা� প্রাপ্� মূল্যই পেয়েছে।
১৩৩৬ সালে আর একখানা বই বা� করবা� আকাঙ্ক্ষ� হয়েছিল। কিন্তু নি� মন� কবিত� লিখে এব� কয়েকট� মাসি� পত্রিকায� প্রকাশিত �'রে সে ইচ্ছাক� আম� শিশু� মত ঘু� পাড়িয়ে রেখেছিলাম। শিশুকে অসময়ে এব� বারবার ঘু� পাড়িয়ে রাখত� জননী� যেরক� কষ্ট হয�, সেইরকম কেমন একটা উদ্বেগ—খুব স্পষ্ট� নয�, খু� নিরুত্তেজও নয়—এ� �'বছ� ধর� বো� কর� এসেছ� আমি।
আজ �'বছ� পর� আমার দ্বিতীয় কবিতার বই বা� �'ল। এর না� "ধূসর পাণ্ডুলিপি"� এই বইয়ের সব কবিতাই ১৩৩২ থেকে ১৩৩৬ সালে� মধ্য� রচিত হয়েছে� ১৩৩২ সালে লেখা কবিত�, ১৩৩৬ সালে লেখা কবিতা—প্রায� এগার� বছ� আগের প্রায় সা� বছ� আগের রচনা সব আজ ১৩৪৩ সালে (১৯৩৬ খ্রিস্টাব্�) এই বইয়ের ভিতর ধর� দিল। আজ যে-সব মাসি� পত্রিক� আর নেই—প্রগত�, ধূপছায়া, কল্লোল—এ� বইয়ের প্রায় সমস্� কবিতাই সেইস� মাসিকে প্রকাশিত হয়েছি� একদিন।
সে� সময়কা� অনেক অপ্রকাশি� কবিতাও আমার কাছে রয়েছে—যদি� ধূসর পাণ্ডুলিপি� অনেক কবিতার চেয়েও তাদে� দাবি একটু� কম নয়—তবু� সম্প্রতি আমার কাছে তারা ধূসরতর হয়ে বেঁচ� রইল।
- GenresPoetry
101 pages, Hardcover
First published December 1, 1936
66 people are currently reading
1,290 people want to read
About the author
Jibanananda Das
74books410followersJibanananda Das (bn: জীবনানন্� দা�) is probably the most popular Bengali poet. He is considered one of the precursors who introduced modernist poetry to Bengali Literature, at a period when it was influenced by Rabindranath Tagore's Romantic poetry. During the later half of the twentieth century, Jibanananda Das emerged as the most popular poet of modern Bengali literature. Popularity apart, Jibanananda Das had distinguished himself as an extraordinary poet presenting a paradigm hitherto unknown. It is a fact that his unfamiliar poetic diction, choice of words and thematic preferences took time to reach the heart of the readers. Towards the later half of the twentieth century the poetry of Jibanananda has become the defining essence of modernism in twentieth century Bengali poetry.
Ratings & Reviews
Friends & Following
Create a free account to discover what your friends think of this book!
Community Reviews
Displaying 1 - 26 of 26 reviews
December 31, 2020
"আমার নিকট থেকে তোমারে নিয়েছ� কেটে কখ� সময়!
চাঁদ জেগে রয� তারা-ভর� আকাশের তল�,
জীবন সবুজ হয়ে ফল�,
শিশিরে� শব্দ� গা� গায় অন্ধকা�-
আবেগ জানায় রাতে� বাতা�!" (কয়েকট� লাইন)
রাতে� বাতা� আবেগ প্রকাশ করুক আর না� করুক, কব� জীবনানন্� দা� বিভিন্� উপমা, রূপক, পরাবাস্তবত� এব� চিত্রকল্পে� মাধ্যম� মানুষে� আবেগের মুক্� প্রকাশ কর� গেছেন। প্রথ� কাব্� সংকল� � অন্য কবির ছায়� রয়েছে, তো সেদি� থেকে এই পান্ডুলিপি দিয়েই আমাদের চেনা পরিচিত অনন্� জীবনানন্দে� যাত্রা শুরু� চেনা পরিচিত দেশীয় শব্দগুলো� ব্যবহারই মূলত কবিক� আর� অনন্� কর� তুলেছে�
মো� ১৭টি কবিত� আছ�, সম্ভবত এই বইয়ের কবিত� সবচেয়� দীর্ঘ। এই কাব্যগ্রন্থে� কবিতাগুলোর বিশেষত্ব হচ্ছ�- এক� সাথে নিন্দি� � নন্দিত�
"এখান� বনের কাছে ক্যাম্� আম� ফেলিয়াছ�;
সারারা� দখিন� বাতাসে
আকাশের চাঁদের আলোয�
এক ঘাইহরিনী� ডা� শুনি-
কাহারে সে ডাকে! (ক্যাম্পে)
ক্যাম্পে!!! এই কবিতার কথ� অনেকের� জানা� শেষমেশ অশ্লীলতার ট্যাগও অর্জ� করেছিল ক্যাম্পে কবিতা।
ক্যাম্পে� বিছানায় শুয়� থেকে শুকাতেছে তাদেরও হৃদয�,
কথ� ভেবে � কথ� ভেবে � ভেবে �
এই ব্যথ� - এই প্রে� সব দিকে রয়ে গেছে -
কোথা� ফড়িঙে-কীটে ,- মানুষে� বুকে� ভিতর� ,
আমাদের সবের জীবন� �
বসন্তে� জ্যোৎস্নায� ওই মৃ� মৃগদের মত�
আমরা সবাই� (ক্যাম্পে)
অথ� শে� লাইনগুলো� প্রমাণ দেয় এট� নিছক কোনো শিকারে� গল্প নয� কিংব� অশ্লীলতার দিকে কোনও ইঙ্গিত নয়। কব� মূলত সৃষ্টি� সামন� মানুষে� অসহায়তা কিংব� দুর্বল অবস্থানে� বিষয়ট� ক্যাম্পে� শিকারী � শিকা� রূপকের মাধ্যম� তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন মাত্র।
এছাড়া বেশকিছ� কবিত� প্রশংসিত� হয়েছিল। বো� কবিতায� অন্যায�, অত্যাচার, অবিচার নিয়� কবির ভাবন� প্রকাশ পেয়েছ�;শকুন কবিতায� এসেছ� সাম্রাজ্যবাদ; প্রে� কবিতায� উঠ� এসেছ� প্রে�-ভালবাসার বিভিন্� ধা�; মাঠে� গল্প কবিতায� কি নিখুঁত ভাবে সুন্দর উপমা� মাধ্যম� জগ�-সংসারে� ধীরে ধীরে বয়ে চল�/ আবর্তনের কথ� উঠ� এসেছ�! অন্যান্য কয়েকট� কবিতায� উঠ� এসেছ� জীবনের কথ�, জীবন ধী�-লয়ে বয়ে চলার কথ�, স্বপ্নের কথ�, আকাঙ্ক্ষার কথা। কিংব� কখনও কব� আড়ালে থেকে ভালবেস� যাওয়া� কথ� বলেছেন-
"তুমি তো জা� না কিছু, না জানিলে -
আমার সক� গা� তবুও তোমারে লক্ষ্য কর�!" (নির্জন স্বাক্ষর)
জীবন, প্রে�-অপ্রেম, অন্যায়ে� বিপরীতে জেগে উঠ� বোধে� বিপরীতে কব� লিখেছে� হতাশ� আর মৃত্যু কামনার পান্ডুলিপি� কাজে� ধূসর পান্ডুলিপি যথার্থ নামকরণ�
At the end of 2020, this book was a great delight🖤
December 16, 2021
"যদ� আজ পৃথিবী� ধুলো মাটি কাঁকরে হারা�,
যদ� আম� চল� যা�
নক্ষত্রে� পারে,�
জানি আম�, তুমি আর আসিব� না খুঁজিত� আমার�!"
প্রে�, বিরহ, বিষন্নতা, হেমন্ত আর আকাশের নক্ষত্� একাকার হয়ে গেছে "ধূসর পাণ্ডুলিপি"-তে� মনের মধ্য� শূন্যতার হাহাকা� জাগায় এই কবিতাগুল�, এক� সাথে ঐশ্বরি� কিছু� সাথে� যে� যুক্� কর�, মন� হয� আমিও প্রকৃতির সাথে লী� হয়ে আছি। "The cosmos is within us. We are made of star-stuff." জ্যোতির্বিজ্ঞানি কার্� সেগানে� এই উক্তিট� আক্ষরি� অর্থ� বল�, আর জীবনানন্দে� পাণ্ডুলিপি যদিও প্রাচী� মানুষে� মত কুসংস্কা� আর বিস্ময়মিশ্রিত চোখে চেয়� থাকে নক্ষত্রে� রাতে� দিকে; তারপরও মন� হয� এই দুজনের কথ�-কবিতার একটা যো� আছ�, দুজন� আমাদেরকে আলোকবর্ষ দূরে� তারকারাজির সাথে একটা অদ্ভুত আপ� মায়ার সম্বন্ধে জড়িয়� আচ্ছন্� কর� দিয়েছেন�
"বাঁচিয়া থাকিতে যারা হিঁচড়ায�- কর� প্রাণপ�,-
এই নক্ষত্রে� তল� একবা� তারা যদ� আস�,-
রাত্রিরে দেখিয়� যায় একবা� সমুদ্রের পারে� আকাশ�!"
যুগে� সাথে তা� মিলিয়� দু-চারট� অপ্রাসঙ্গি� কথ� বল� ফেলি, একুশ শতকে� কবিতাপ্রেমী কদাচিৎ নির্জন সমুদ্রের পারে বস� আকাশের তারা দেখা� সুযো� পায়� এখ� সমুদ্রপারে থাকে পর্যটকদে� ভীড়, বায়ুদূষ� আর আলোকদূষণের কারণ� সবখানে আকাশের তারা দেখা যায় না� আর পারিপার্শ্বিকত� শুধু কবিকেই প্রভাবিত কর� না, কবিতার পাঠককে� করে। জীবনানন্দে� কবিতাক� বুঝত� বা অনুভ� করতে গ্রামী� বাংলার প্রকৃতিক� অন্তরে ধারণ করার কমবেশি প্রয়োজন আছে। আবার বাংলাও এখ� আর তেমন গ্রামী� নে�,রূপসী বাংল� হয়ে গেছে বিগতযৌবন� নায়িকার মত; গ্রামক� শহ� বানানো� পরিকল্পন� এগিয়ে চলছে আশঙ্কাজন� গতিতে। ভাগ্যি� জীবনানন্� তখ� কবিত� লিখেছিলে�! এমনট� এখ� কি আর সম্ভ� হত�?
"চোখে� সক� ক্ষুধা মিটে যায় এই খানে, এখান� হতেছ� স্নিগ্� কা�,
পাড়াগাঁ� গায় আজ লেগে আছ� রূপশাল�- ধা� ভানা রূপসী� শরীরে� ঘ্রা�!"
"অবসরের গা�" কবিত� থেকে কো� করেছি। হেমন্তের প্রথমার্ধে, মানে কার্তিকে নবান্ন উৎসবের আগমনী নিয়� এই কবিতা। এম� কবিত� আর হয� না! এই কবিত� ছুটি� দিনে শহুর� সাহেবক� টেনে-হিঁচড়� গ্রামে ধর� আনার ক্ষমতা রাখে� শুধুমাত্� একটা সকাল অগ্রহায়ণে� মিঠা রোদে আম� ধানে� ক্ষেতে� পাশে বস� থাকা� জন্য, শিশিরধোয়া ঘাসে� ঘ্রা� নেবা� জন্য, মাছি� গা� শুনবার জন্য;
শুধুমাত্� একটা সকাল!
আর শে� বিকালটাই বা বা� যায় কে�? দিনে� আল� কম� এলেই তো বিষন্নতা দানা বাঁধতে শুরু করে। হারানো সময় আর না পাওয়া ভালোবাসারা মন খারাপে� রূ� ধর� ভীড় কর� আমাদের মনে। যতরক� ব্যর্থতা আর হতাশার গল্প শোনায়�
� আরম্� হয� না কিছু � সমস্তে� তব� শে� হয� �
কী� যে ব্যর্থতা জানে পৃথিবী� ধুলো মাটি ঘাসে
তারও বড� ব্যর্থতা� সাথে রো� হয� পরিচয়!
যা হয়েছে শে� হয�; শে� হয� কোনোদি� যা হবার নয�! �
রবীন্দ্রনাথ যেমন তাঁর গানে-কবিতায� বাংলার বর্ষাপ্রেমীদে� রোমান্টিকতায� আচ্ছন্� কর� রাখে�; জীবনানন্দে� কবিতায� তেমন পাওয়া যায় হেমন্তের রং আর ঘ্রা�, যদিও তাঁর ক্ষেত্রে হেমন্ত উচ্ছ্বাস আর বিষন্নতা� মিশ্� অনুভূতিত� পূর্ণ। মন ভালো থাকল� অঘ্রাণ ধানে� গুচ্ছে� সোনালি হবার সময়, পূর্ণতাপ্রাপ্তির সময়, তখ� তিনি বলেন -"আম� এই অঘ্রাণের� ভালোবাসি"� আবার সংকটের সময় অঘ্রাণ ধূসর সময়, সবুজ পাতা নিষ্প্রা� হলুদ হবার সময়; যতরক� দুঃখ-গ্লানি-শো�-জ্বর� আছ�, সবকিছু� তুলন� তখ� হেমন্তের সাথে�
"তুমি চ’ল� যা� প্রে� ;- একবা� বর্তমা� হয়ে ,-
তারপ� , আমাদের ফেলে যা� পিছন� –অতীতে,-
স্মৃতি� হাড়ের মাঠে ,- কার্তিকে� শীতে !"
জীবনানন্� বিরহকাতর কব�, তাঁর বেদনার অনুভ� খু� শক্তিশালী; তা� প্রেমে� বহিঃপ্রকাশেও তিনি অনন্য। "প্রে�" কবিতায� প্রেমে� যে বন্দনা তিনি করেছেন, এতোট� মহিমান্বিত মূল্যায়� সে(প্রে�) বাংল� সাহিত্যে� কোথা� পেয়েছ� বল� আমার জানা নেই। তিনি একজায়গায় লিখছেন, প্রে� যদ� না আস� জীবন�, তব� প্রেমে� ইশার� আসুক! কী সর্বনাশে� কথ�! স্বয়ং প্রে� এই কবিত� পড়ল� আপ্লুত হয়ে যাবে� এম� সম্মান, এম� স্তুতি কো� অধরা বস্ত� হয়ত� পায়নি কখনও�
"জীবন হয়েছে এক প্রার্থনার গানে� মত�
তুমি আছ ব’ল� প্রে�
...
ওগ� প্রে� ,-বাতাসে� মত� যে� দিকে যা� চ’ল�
আমার� উড়ায়� লও আগুনের মত� তখ� !
আম� শে� হব শুধু , ওগ� প্রে� , তুমি শে� হল� !"
"প্রে�" কবিতায� উদ্ধৃত করার উপযুক্� পঙক্তি� অভাব নেই। পুরো কবিতাটাই এখান� তুলে দিতে ইচ্ছ� হচ্ছে। সেটা কর� ঠি� হব� না� তা� সান্ত্বনাস্বরূ� শে� কয়ট� লাইন-
"যে ব্যথ� মুছিতে এস� পৃথিবী� মানুষে� মুখে
আর� ব্যথ�-���িহ্বলতা তুমি এস� দিয়� গেলে তারে ,-
ওগ� প্রে� ,- সে� সব ভুলে গিয়� কে ঘুমাতে পারে!"
উর্দ� কবিত� শোনা� পর শ্রোতারা যেমন "আহ�! আহ�!" করেন, "প্রে�" কবিতার প্রতিট� স্তব� পড়া� পর ওম� "আহ�! আহ�! কি লিখেছে� গুরু" করতে ইচ্ছ� হয়। হয়ত� ধূসর পাণ্ডুলিপি� বেশিরভাগ কবিত� বিষন্ন ভাবে� প্রকাশ ঘটায� বলেই অবসরের গা�,প্রে�, মৃত্যু� আগ�-এর মত রঙিন উজ্জ্ব� কবিত� একটু বেশি� ভালো লাগে�
"মৃত্যু� আগ�" কবিতাট� খু� প্রিয়, এই কবিতাট� প্রকৃতির প্রত� আর� সংবেদনশী� হত� শেখায়, মন� হয� বু� ভর� শ্বা� নি�, আপাতদৃষ্টিতে তুচ্� জিনিসগুলোক� অন্তর্দৃষ্টি দিয়� দেখি, নিজে� ক্ষুদ্রতায� বিহ্বল হয়ে থাকি�
এই কবিত� নিয়� যথোপযুক্� প্রশংস� মন্তব্� ভেবে পাইন�, একটা কবিত� আমাক� জাদু� মত� মোহগ্রস্� কর� রাখে-
"মিনারে� মত� মে� সোনালি চিলেরে তা� জানালায় ডাকে,
বেতে� লতার নিচে চড়ুয়ের ডি� যে� শক্ত হয়ে আছ�,
নর� জলের গন্ধ দিয়� বা�-বা� তরীটিরে মাখে ,
খড়ে� চালে� ছায়� গাড় রাতে জ্যোৎস্নার উঠান� পড়িয়াছ� ;
বাতাসে ঝিঁঝিঁ� গন্ধ- বৈশাখে� প্রান্তরের সবুজ বাতাসে;
নীলা� নোনা� বুকে ঘন রস গাড় আকাঙ্ক্ষায� নেমে আস� ;"
যদিও "ঝর� পালক"-এর মাধ্যম� প্রকাশিত কব� হিসেবে জীবনানন্� দাশে� অভিষেক হয়েছি�, কিন্তু তাঁর মৌলি� কবিসত্তা� প্রথ� উদ্ভাস "ধূসর পাণ্ডুলিপি"� বাংল� ভাষায় এম� পাণ্ডুলিপি আর দ্বিতীয়টি নেই। কা� কবিতার খাতা পারে নক্ষত্রক� এম� আপ� কর� নিয়� মৃত্যুকে নিবিড়ভাবে অনুভ� করাত�?
"সক� মাটি� গন্ধ আর সব নক্ষত্রে� আল� যে পেয়েছ�,
...
সব ভালোবাসা যা� বোঝা হল ,- দেখু� সে মৃত্যু ভালোবেসে!"
যদ� আম� চল� যা�
নক্ষত্রে� পারে,�
জানি আম�, তুমি আর আসিব� না খুঁজিত� আমার�!"
প্রে�, বিরহ, বিষন্নতা, হেমন্ত আর আকাশের নক্ষত্� একাকার হয়ে গেছে "ধূসর পাণ্ডুলিপি"-তে� মনের মধ্য� শূন্যতার হাহাকা� জাগায় এই কবিতাগুল�, এক� সাথে ঐশ্বরি� কিছু� সাথে� যে� যুক্� কর�, মন� হয� আমিও প্রকৃতির সাথে লী� হয়ে আছি। "The cosmos is within us. We are made of star-stuff." জ্যোতির্বিজ্ঞানি কার্� সেগানে� এই উক্তিট� আক্ষরি� অর্থ� বল�, আর জীবনানন্দে� পাণ্ডুলিপি যদিও প্রাচী� মানুষে� মত কুসংস্কা� আর বিস্ময়মিশ্রিত চোখে চেয়� থাকে নক্ষত্রে� রাতে� দিকে; তারপরও মন� হয� এই দুজনের কথ�-কবিতার একটা যো� আছ�, দুজন� আমাদেরকে আলোকবর্ষ দূরে� তারকারাজির সাথে একটা অদ্ভুত আপ� মায়ার সম্বন্ধে জড়িয়� আচ্ছন্� কর� দিয়েছেন�
"বাঁচিয়া থাকিতে যারা হিঁচড়ায�- কর� প্রাণপ�,-
এই নক্ষত্রে� তল� একবা� তারা যদ� আস�,-
রাত্রিরে দেখিয়� যায় একবা� সমুদ্রের পারে� আকাশ�!"
যুগে� সাথে তা� মিলিয়� দু-চারট� অপ্রাসঙ্গি� কথ� বল� ফেলি, একুশ শতকে� কবিতাপ্রেমী কদাচিৎ নির্জন সমুদ্রের পারে বস� আকাশের তারা দেখা� সুযো� পায়� এখ� সমুদ্রপারে থাকে পর্যটকদে� ভীড়, বায়ুদূষ� আর আলোকদূষণের কারণ� সবখানে আকাশের তারা দেখা যায় না� আর পারিপার্শ্বিকত� শুধু কবিকেই প্রভাবিত কর� না, কবিতার পাঠককে� করে। জীবনানন্দে� কবিতাক� বুঝত� বা অনুভ� করতে গ্রামী� বাংলার প্রকৃতিক� অন্তরে ধারণ করার কমবেশি প্রয়োজন আছে। আবার বাংলাও এখ� আর তেমন গ্রামী� নে�,রূপসী বাংল� হয়ে গেছে বিগতযৌবন� নায়িকার মত; গ্রামক� শহ� বানানো� পরিকল্পন� এগিয়ে চলছে আশঙ্কাজন� গতিতে। ভাগ্যি� জীবনানন্� তখ� কবিত� লিখেছিলে�! এমনট� এখ� কি আর সম্ভ� হত�?
"চোখে� সক� ক্ষুধা মিটে যায় এই খানে, এখান� হতেছ� স্নিগ্� কা�,
পাড়াগাঁ� গায় আজ লেগে আছ� রূপশাল�- ধা� ভানা রূপসী� শরীরে� ঘ্রা�!"
"অবসরের গা�" কবিত� থেকে কো� করেছি। হেমন্তের প্রথমার্ধে, মানে কার্তিকে নবান্ন উৎসবের আগমনী নিয়� এই কবিতা। এম� কবিত� আর হয� না! এই কবিত� ছুটি� দিনে শহুর� সাহেবক� টেনে-হিঁচড়� গ্রামে ধর� আনার ক্ষমতা রাখে� শুধুমাত্� একটা সকাল অগ্রহায়ণে� মিঠা রোদে আম� ধানে� ক্ষেতে� পাশে বস� থাকা� জন্য, শিশিরধোয়া ঘাসে� ঘ্রা� নেবা� জন্য, মাছি� গা� শুনবার জন্য;
শুধুমাত্� একটা সকাল!
আর শে� বিকালটাই বা বা� যায় কে�? দিনে� আল� কম� এলেই তো বিষন্নতা দানা বাঁধতে শুরু করে। হারানো সময় আর না পাওয়া ভালোবাসারা মন খারাপে� রূ� ধর� ভীড় কর� আমাদের মনে। যতরক� ব্যর্থতা আর হতাশার গল্প শোনায়�
� আরম্� হয� না কিছু � সমস্তে� তব� শে� হয� �
কী� যে ব্যর্থতা জানে পৃথিবী� ধুলো মাটি ঘাসে
তারও বড� ব্যর্থতা� সাথে রো� হয� পরিচয়!
যা হয়েছে শে� হয�; শে� হয� কোনোদি� যা হবার নয�! �
রবীন্দ্রনাথ যেমন তাঁর গানে-কবিতায� বাংলার বর্ষাপ্রেমীদে� রোমান্টিকতায� আচ্ছন্� কর� রাখে�; জীবনানন্দে� কবিতায� তেমন পাওয়া যায় হেমন্তের রং আর ঘ্রা�, যদিও তাঁর ক্ষেত্রে হেমন্ত উচ্ছ্বাস আর বিষন্নতা� মিশ্� অনুভূতিত� পূর্ণ। মন ভালো থাকল� অঘ্রাণ ধানে� গুচ্ছে� সোনালি হবার সময়, পূর্ণতাপ্রাপ্তির সময়, তখ� তিনি বলেন -"আম� এই অঘ্রাণের� ভালোবাসি"� আবার সংকটের সময় অঘ্রাণ ধূসর সময়, সবুজ পাতা নিষ্প্রা� হলুদ হবার সময়; যতরক� দুঃখ-গ্লানি-শো�-জ্বর� আছ�, সবকিছু� তুলন� তখ� হেমন্তের সাথে�
"তুমি চ’ল� যা� প্রে� ;- একবা� বর্তমা� হয়ে ,-
তারপ� , আমাদের ফেলে যা� পিছন� –অতীতে,-
স্মৃতি� হাড়ের মাঠে ,- কার্তিকে� শীতে !"
জীবনানন্� বিরহকাতর কব�, তাঁর বেদনার অনুভ� খু� শক্তিশালী; তা� প্রেমে� বহিঃপ্রকাশেও তিনি অনন্য। "প্রে�" কবিতায� প্রেমে� যে বন্দনা তিনি করেছেন, এতোট� মহিমান্বিত মূল্যায়� সে(প্রে�) বাংল� সাহিত্যে� কোথা� পেয়েছ� বল� আমার জানা নেই। তিনি একজায়গায় লিখছেন, প্রে� যদ� না আস� জীবন�, তব� প্রেমে� ইশার� আসুক! কী সর্বনাশে� কথ�! স্বয়ং প্রে� এই কবিত� পড়ল� আপ্লুত হয়ে যাবে� এম� সম্মান, এম� স্তুতি কো� অধরা বস্ত� হয়ত� পায়নি কখনও�
"জীবন হয়েছে এক প্রার্থনার গানে� মত�
তুমি আছ ব’ল� প্রে�
...
ওগ� প্রে� ,-বাতাসে� মত� যে� দিকে যা� চ’ল�
আমার� উড়ায়� লও আগুনের মত� তখ� !
আম� শে� হব শুধু , ওগ� প্রে� , তুমি শে� হল� !"
"প্রে�" কবিতায� উদ্ধৃত করার উপযুক্� পঙক্তি� অভাব নেই। পুরো কবিতাটাই এখান� তুলে দিতে ইচ্ছ� হচ্ছে। সেটা কর� ঠি� হব� না� তা� সান্ত্বনাস্বরূ� শে� কয়ট� লাইন-
"যে ব্যথ� মুছিতে এস� পৃথিবী� মানুষে� মুখে
আর� ব্যথ�-���িহ্বলতা তুমি এস� দিয়� গেলে তারে ,-
ওগ� প্রে� ,- সে� সব ভুলে গিয়� কে ঘুমাতে পারে!"
উর্দ� কবিত� শোনা� পর শ্রোতারা যেমন "আহ�! আহ�!" করেন, "প্রে�" কবিতার প্রতিট� স্তব� পড়া� পর ওম� "আহ�! আহ�! কি লিখেছে� গুরু" করতে ইচ্ছ� হয়। হয়ত� ধূসর পাণ্ডুলিপি� বেশিরভাগ কবিত� বিষন্ন ভাবে� প্রকাশ ঘটায� বলেই অবসরের গা�,প্রে�, মৃত্যু� আগ�-এর মত রঙিন উজ্জ্ব� কবিত� একটু বেশি� ভালো লাগে�
"মৃত্যু� আগ�" কবিতাট� খু� প্রিয়, এই কবিতাট� প্রকৃতির প্রত� আর� সংবেদনশী� হত� শেখায়, মন� হয� বু� ভর� শ্বা� নি�, আপাতদৃষ্টিতে তুচ্� জিনিসগুলোক� অন্তর্দৃষ্টি দিয়� দেখি, নিজে� ক্ষুদ্রতায� বিহ্বল হয়ে থাকি�
এই কবিত� নিয়� যথোপযুক্� প্রশংস� মন্তব্� ভেবে পাইন�, একটা কবিত� আমাক� জাদু� মত� মোহগ্রস্� কর� রাখে-
"মিনারে� মত� মে� সোনালি চিলেরে তা� জানালায় ডাকে,
বেতে� লতার নিচে চড়ুয়ের ডি� যে� শক্ত হয়ে আছ�,
নর� জলের গন্ধ দিয়� বা�-বা� তরীটিরে মাখে ,
খড়ে� চালে� ছায়� গাড় রাতে জ্যোৎস্নার উঠান� পড়িয়াছ� ;
বাতাসে ঝিঁঝিঁ� গন্ধ- বৈশাখে� প্রান্তরের সবুজ বাতাসে;
নীলা� নোনা� বুকে ঘন রস গাড় আকাঙ্ক্ষায� নেমে আস� ;"
যদিও "ঝর� পালক"-এর মাধ্যম� প্রকাশিত কব� হিসেবে জীবনানন্� দাশে� অভিষেক হয়েছি�, কিন্তু তাঁর মৌলি� কবিসত্তা� প্রথ� উদ্ভাস "ধূসর পাণ্ডুলিপি"� বাংল� ভাষায় এম� পাণ্ডুলিপি আর দ্বিতীয়টি নেই। কা� কবিতার খাতা পারে নক্ষত্রক� এম� আপ� কর� নিয়� মৃত্যুকে নিবিড়ভাবে অনুভ� করাত�?
"সক� মাটি� গন্ধ আর সব নক্ষত্রে� আল� যে পেয়েছ�,
...
সব ভালোবাসা যা� বোঝা হল ,- দেখু� সে মৃত্যু ভালোবেসে!"
June 10, 2021
� নক্ষত্রে� হইতেছে ক্ষয� , নক্ষত্রে� মত� হৃদয�
পড়িতেছে ঝ’র�-
ক্লান্� হয়ে- শিশিরে� মত� শব্দ ক’র� !
জানো নাকো তুমি তা� স্বা� ,
তোমারে নিতেছে ডেকে জীবন অবাধ,
জীবন অগাধ !
� শেষবার তা� সাথে যখ� হয়েছে দেখা মাঠে� উপরে-
বলিলাম� � একদি� এম� সময়
আবার আসিও তুমি- আসিবার ইচ্ছ� যদ� হয�;
পঁচি� বছ� পর� ।�
এই ব’ল� ফিরে আম� আসিলাম ঘর�;
তারপ�, কতবা� চাঁদ আর তারা,
মাঠে- মাঠে মর� গে�, ইঁদু� � পেঁচার�
জ্যোৎস্নায� ধানক্ষেত খুঁজ�
এল-গে� ! � চো� বুজে
কতবা� ডানে আর বাঁয়ে
পড়ি� ঘুমায়�
কত- কে� !- রহিলাম জেগে
আম� এক�- নক্ষত্� যে বেগে
ছুটিছে আকাশ,
তা� চেয়� আগ� চ’ল� আস�
যদিও সময়,-
পঁচি� বছ� তব� কই শে� হয� !-
� সব ছেড়� দিয়� আম� তোমারে একাকী ভালোবেসে
তোমা� ছায়ার মত� ফিরিয়াছ� তোমা� পিছন� !
� আল�-অন্ধকারে যাই—মাথার ভিতর�
স্বপ্ন নয�, কোন্ এক বো� কা� কর�;
স্বপ্ন নয়—শান্ত� নয়—ভালোবাস� নয�,
হৃদয়ে� মাঝে এক বো� জন্ম লয�;
আম� তারে পারি না এড়াতে,
সে আমার হা� রাখে হাতে,
সব কা� তুচ্� হয়—পণ্� মন� হয�,
সব চিন্তা—প্রার্থনা� সক� সময়
শূন্� মন� হয�,
শূন্� মন� হয়।
মাথা� ভিতর�
স্বপ্ন নয়—প্রেম নয়—কোন� এক বো� কা� করে।
আম� সব দেবতার� ছেড়�
আমার প্রাণে� কাছে চ’ল� আস�,
বল� আম� এই হৃদয়েরে:
সে কে� জলের মত� ঘুরে-ঘুরে এক� কথ� কয�!
অবসা� না� তা�? না� তা� শান্তি� সময়?
কোনোদি� ঘুমাবে না? ধীরে শুয়� থাকিবা� স্বা�
পাবে না কি? পাবে না আহ্লাদ
মানুষে� মু� দেখে কোনোদি�!
মানুষী� মু� দেখে কোনোদি�!
শিশুদে� মু� দেখে কোনোদি�!
ধূসর পান্ডুলিপি� কবিতাগুল� অনেক ধূসরতর কবিত� এব� অনেক দীর্� কবিতা। এই বইয়ের আমার সবচেয়� প্রিয় দুইট� কবিত� হল� 'পঁচি� বছ� পর�' আর 'বো�'� অন্য কবিত� গুলো� সুন্দর তব� কয়দিন পরপর� ওই দুটো কবিত� খু� পড়া হয়।
এই বইতে কিছু অপ্রকাশি� কবিতাও দেওয়া আছ�, যেগুলো� অনেক বিষণ্ণ সুন্দর� জীবনবাবু মানেইত� মেলানকোলিক কিছু�
পড়িতেছে ঝ’র�-
ক্লান্� হয়ে- শিশিরে� মত� শব্দ ক’র� !
জানো নাকো তুমি তা� স্বা� ,
তোমারে নিতেছে ডেকে জীবন অবাধ,
জীবন অগাধ !
� শেষবার তা� সাথে যখ� হয়েছে দেখা মাঠে� উপরে-
বলিলাম� � একদি� এম� সময়
আবার আসিও তুমি- আসিবার ইচ্ছ� যদ� হয�;
পঁচি� বছ� পর� ।�
এই ব’ল� ফিরে আম� আসিলাম ঘর�;
তারপ�, কতবা� চাঁদ আর তারা,
মাঠে- মাঠে মর� গে�, ইঁদু� � পেঁচার�
জ্যোৎস্নায� ধানক্ষেত খুঁজ�
এল-গে� ! � চো� বুজে
কতবা� ডানে আর বাঁয়ে
পড়ি� ঘুমায়�
কত- কে� !- রহিলাম জেগে
আম� এক�- নক্ষত্� যে বেগে
ছুটিছে আকাশ,
তা� চেয়� আগ� চ’ল� আস�
যদিও সময়,-
পঁচি� বছ� তব� কই শে� হয� !-
� সব ছেড়� দিয়� আম� তোমারে একাকী ভালোবেসে
তোমা� ছায়ার মত� ফিরিয়াছ� তোমা� পিছন� !
� আল�-অন্ধকারে যাই—মাথার ভিতর�
স্বপ্ন নয�, কোন্ এক বো� কা� কর�;
স্বপ্ন নয়—শান্ত� নয়—ভালোবাস� নয�,
হৃদয়ে� মাঝে এক বো� জন্ম লয�;
আম� তারে পারি না এড়াতে,
সে আমার হা� রাখে হাতে,
সব কা� তুচ্� হয়—পণ্� মন� হয�,
সব চিন্তা—প্রার্থনা� সক� সময়
শূন্� মন� হয�,
শূন্� মন� হয়।
মাথা� ভিতর�
স্বপ্ন নয়—প্রেম নয়—কোন� এক বো� কা� করে।
আম� সব দেবতার� ছেড়�
আমার প্রাণে� কাছে চ’ল� আস�,
বল� আম� এই হৃদয়েরে:
সে কে� জলের মত� ঘুরে-ঘুরে এক� কথ� কয�!
অবসা� না� তা�? না� তা� শান্তি� সময়?
কোনোদি� ঘুমাবে না? ধীরে শুয়� থাকিবা� স্বা�
পাবে না কি? পাবে না আহ্লাদ
মানুষে� মু� দেখে কোনোদি�!
মানুষী� মু� দেখে কোনোদি�!
শিশুদে� মু� দেখে কোনোদি�!
ধূসর পান্ডুলিপি� কবিতাগুল� অনেক ধূসরতর কবিত� এব� অনেক দীর্� কবিতা। এই বইয়ের আমার সবচেয়� প্রিয় দুইট� কবিত� হল� 'পঁচি� বছ� পর�' আর 'বো�'� অন্য কবিত� গুলো� সুন্দর তব� কয়দিন পরপর� ওই দুটো কবিত� খু� পড়া হয়।
এই বইতে কিছু অপ্রকাশি� কবিতাও দেওয়া আছ�, যেগুলো� অনেক বিষণ্ণ সুন্দর� জীবনবাবু মানেইত� মেলানকোলিক কিছু�
February 14, 2022
মাঝেমধ্য� অদ্ভুত অদ্ভুত মোহে ডুবে থাকত� ইচ্ছ� কর� না?
এই যেমনটা আজকে আমার মন� হল�, জীবন্ত কাঠে� গন্ধ� আম� সারাক্ষণ মোহান্� হয়ে থাকত� পারব� আজকে সকালের আগ� আম� জানতাম� যে, সদ্য কাটা কাঠে� গন্ধ আমার অসম্ভব রকমে� ভালো লাগে� বইয়ের সাথে কথ� গুলো কো� মি� নে� তবুও বলতে ইচ্ছ� করলো� গুস্তাগী মা� করবেন।
আজ রাতে শী� শে� হয়ে যাবে� বসন্� আসবে� এইবা� বাবা� অনেক যত্ন কর� সুর্যমুখী� গা� লাগিয়েছেন� অনেকদি� থেকে অপেক্ষ� করছি কব� ফু� গুলো বড� হব� আর আম� মায়ের শাড়� পর� ফুলে� সাথে ছব� তুলব� কি কালজয়ী ব্যাপা� না!
কো� এক কঠিন হৃদয়ে� কে� একজন বলেছেন, যে ভাঙ্গে তাকে এক� হত� হয়। কিন্তু এই কবিত� গুলো পড়ত� গিয়� মন� হয� প্রিয় মানু� গুলো সবাই আশেপাশেই আছে।
সবকিছু সত্য মন� হয়।
বিষাদচূড়ায় আস� তৃপ্তি।�
আমার নিকট থেকে তোমাকে কেটে নিয়েছ� যদিও সময়� সে� সময়কে তুচ্� মন� হয়। অভিযোগ-অভিমান গুলো ফানুসে� মত� উড়ে যায়�
তুষা�, সূর্যমুখী, পাতা, বৃষ্টি, বন এই সবকিছু� মধ্য� লুকিয়� থাকত� ইচ্ছ� করে।
আচ্ছ�, উনার কবিত� গুলো� তুমিটা কে?
কে� মন� হয� অদ্ভুত কো� এক আচেন মানুষে� কথ� বলছেন। সে� 'তুমি'� এতরূ�! একেক কবিতায� একেক রকম।
আমার খু� ইচ্ছ� কর� সৌমিত্� চট্টোপাধ্যায� যদ� বেঁচ� থাকতেন আর উন� আমাক� রো� কবিত� গুলো পড়ে শুনাতে�!
"তুমি তো জানোনা কিছু,
না জানিলে,
আমার সক� গা� তবুও তোমাকে লক্ষ্য করে। "
আথবা
"কতবা� চাঁদ আর তারা,
মাঠে- মাঠে মর� গে�, ইঁদু� � পেঁচারা�
জ্যোৎস্নায� ধানক্ষেত খুঁজে�
এল-গে� ! � চো� বুজে
কতবা� ডানে আর বাঁয়ে
পড়ি� ঘুমায়�
কত- কে� !- রহিলাম জেগে
আম� এক�- নক্ষত্� যে বেগে
ছুটিছে আকাশ,
তা� চেয়� আগ� চ’ল� আস�
যদিও সময়,-
পঁচি� বছ� তব� কই শে� হয� !-"
এই যেমনটা আজকে আমার মন� হল�, জীবন্ত কাঠে� গন্ধ� আম� সারাক্ষণ মোহান্� হয়ে থাকত� পারব� আজকে সকালের আগ� আম� জানতাম� যে, সদ্য কাটা কাঠে� গন্ধ আমার অসম্ভব রকমে� ভালো লাগে� বইয়ের সাথে কথ� গুলো কো� মি� নে� তবুও বলতে ইচ্ছ� করলো� গুস্তাগী মা� করবেন।
আজ রাতে শী� শে� হয়ে যাবে� বসন্� আসবে� এইবা� বাবা� অনেক যত্ন কর� সুর্যমুখী� গা� লাগিয়েছেন� অনেকদি� থেকে অপেক্ষ� করছি কব� ফু� গুলো বড� হব� আর আম� মায়ের শাড়� পর� ফুলে� সাথে ছব� তুলব� কি কালজয়ী ব্যাপা� না!
কো� এক কঠিন হৃদয়ে� কে� একজন বলেছেন, যে ভাঙ্গে তাকে এক� হত� হয়। কিন্তু এই কবিত� গুলো পড়ত� গিয়� মন� হয� প্রিয় মানু� গুলো সবাই আশেপাশেই আছে।
সবকিছু সত্য মন� হয়।
বিষাদচূড়ায় আস� তৃপ্তি।�
আমার নিকট থেকে তোমাকে কেটে নিয়েছ� যদিও সময়� সে� সময়কে তুচ্� মন� হয়। অভিযোগ-অভিমান গুলো ফানুসে� মত� উড়ে যায়�
তুষা�, সূর্যমুখী, পাতা, বৃষ্টি, বন এই সবকিছু� মধ্য� লুকিয়� থাকত� ইচ্ছ� করে।
আচ্ছ�, উনার কবিত� গুলো� তুমিটা কে?
কে� মন� হয� অদ্ভুত কো� এক আচেন মানুষে� কথ� বলছেন। সে� 'তুমি'� এতরূ�! একেক কবিতায� একেক রকম।
আমার খু� ইচ্ছ� কর� সৌমিত্� চট্টোপাধ্যায� যদ� বেঁচ� থাকতেন আর উন� আমাক� রো� কবিত� গুলো পড়ে শুনাতে�!
"তুমি তো জানোনা কিছু,
না জানিলে,
আমার সক� গা� তবুও তোমাকে লক্ষ্য করে। "
আথবা
"কতবা� চাঁদ আর তারা,
মাঠে- মাঠে মর� গে�, ইঁদু� � পেঁচারা�
জ্যোৎস্নায� ধানক্ষেত খুঁজে�
এল-গে� ! � চো� বুজে
কতবা� ডানে আর বাঁয়ে
পড়ি� ঘুমায়�
কত- কে� !- রহিলাম জেগে
আম� এক�- নক্ষত্� যে বেগে
ছুটিছে আকাশ,
তা� চেয়� আগ� চ’ল� আস�
যদিও সময়,-
পঁচি� বছ� তব� কই শে� হয� !-"
July 31, 2021
জীবনানন্� নিয়� কবিতার ছল� কিছু বলার চেষ্টা করলা� একটুখানি (জানি তেমন সুবিধে করতে পারিনি) 😐
যিনি প্রকৃতির� নিয়েছ� আপ� কর�,
নি� সন্তানের মত� প্রকৃতির� করেছ� লালন,
তিনি জীবনানন্� ছাড়� অপ� কে� নন
যিনি কবিতাত� আমাদের দুঃখের সাথে আপ� দুঃখকে করেছ� বুনন,
তিনি জীবনানন্� ছাড়� কে� নন
নদী, নক্ষত্�, প্রে�-ভালবাস�, হতাশ�, সাগর, ঢে� পর� কবিত� লিখে বানিয়েছেন আপ� গগ�,
তিনি জীবনানন্� ছাড়� কে� নন
যিনি প্রকৃতির� নিয়েছ� আপ� কর�,
নি� সন্তানের মত� প্রকৃতির� করেছ� লালন,
তিনি জীবনানন্� ছাড়� অপ� কে� নন
যিনি কবিতাত� আমাদের দুঃখের সাথে আপ� দুঃখকে করেছ� বুনন,
তিনি জীবনানন্� ছাড়� কে� নন
নদী, নক্ষত্�, প্রে�-ভালবাস�, হতাশ�, সাগর, ঢে� পর� কবিত� লিখে বানিয়েছেন আপ� গগ�,
তিনি জীবনানন্� ছাড়� কে� নন
June 10, 2021
"মন� পর� গে� এক রূপকথা ঢে� আগেকার,
কহিলাম,� শোনো তব�, �
শুনিতে লাগি� সব�,
শুনি� কুমা�;
কহিলাম,� দেখেছি সে চো� বুজে আছ�,
ঘুমোনো সে এক মেয়ে� নিঃসাড� পুরীতে এক পাহাড়ের কাছে;
সেইখান� আর না� কে�,�
এক ঘর� পালকের 'পর� শুধু একখানা দে�
পড়ে আছ�;� পৃথিবী� পথ� পথ� রূ� খুঁজ�-খুঁজ�
তারপ�,� তারে আম� দেখেছি গো,� সে� চো� বুজে
পড়ে ছি�;� মসৃণ হাড়ের মত� শাদা হা�-দুটি
বুকে� ওপ� তা� রয়েছি� উঠ�!"
অত� সাধারণ �'টি লাইন� রূপকথা� গল্পে� সে ঠাকুরমার ঝুলি-তে হো� বা গ্রি� ভাইয়েদে� সংকলিত আখ্যানমালায় আমরা এই গল্পটি না-জানি কতবা� পড়েছি� কিন্তু কোথা�, কোত্থা� কি ওই রূপকল্পট� পেয়েছ� যেখানে হাতদ�'টি� তুলন� হয়েছে মসৃণ হাড়ের সঙ্গ�?
না, পাইন� আমরা �-জিনিস। আর এই সাংঘাতিক, অমোঘ, অব্যর্� চিত্রকল্�, যেখানে সৌন্দর্যবো� আর মৃত্যুচেতন� একাকার হয়ে যায়, যেখানে রূপসাগরে ডু� দিয়েও শ্বা� বন্ধ হয়ে আসার অনুভূত� নী� কর� দেয় পাঠকের ঠোঁট, সেটি� সৃজনেই জীবনানন্দে� সার্থকতা�
এব�, মাইন্ড ইট, এট� কব�'� দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থে� একটি কবিত� "পরস্পর" থেকে উদ্ধৃত!
এই আশ্চ��্য সুন্দর বইটি� ছত্র�-ছত্র� ছড়িয়� আছ� এম� নানা পরশপাথর। বালি, নুড়�, পাথর আর নোনা জলের মধ্য� কখ� আনমন� সে� এক-আধটি শব্দ যে আমাদের মনের লোহা� শিকলটিকে সোনা� কর� তুলব�, তা আমরা ভাবতেও পারি না!
যদ� এখনও না পড়ে থাকে�, তাহল� প্লি� পড়ুন। এই বই বাংল� � বাঙালি� শাশ্বত উত্তরাধিকার। পড়ু�, আর বলুন,
"আল�-অন্ধকারে যাই� মাথা� ভিতর�
স্বপ্ন নয�,� কোন্� এক বো� কা� কর�!
স্বপ্ন নয়� শান্তি নয়� ভালোবাসা নয�,
হৃদয়ে� মাঝে এক বো� জন্ম লয�!
সে আমার হা� রাখে হাতে;
সব কা� তুচ্� হয�,� পণ্ড মন� হয�,
সব চিন্তা� প্রার্থনার সক� সময়
শূন্� মন� হয�,
শূন্� মন� হয�!"
কহিলাম,� শোনো তব�, �
শুনিতে লাগি� সব�,
শুনি� কুমা�;
কহিলাম,� দেখেছি সে চো� বুজে আছ�,
ঘুমোনো সে এক মেয়ে� নিঃসাড� পুরীতে এক পাহাড়ের কাছে;
সেইখান� আর না� কে�,�
এক ঘর� পালকের 'পর� শুধু একখানা দে�
পড়ে আছ�;� পৃথিবী� পথ� পথ� রূ� খুঁজ�-খুঁজ�
তারপ�,� তারে আম� দেখেছি গো,� সে� চো� বুজে
পড়ে ছি�;� মসৃণ হাড়ের মত� শাদা হা�-দুটি
বুকে� ওপ� তা� রয়েছি� উঠ�!"
অত� সাধারণ �'টি লাইন� রূপকথা� গল্পে� সে ঠাকুরমার ঝুলি-তে হো� বা গ্রি� ভাইয়েদে� সংকলিত আখ্যানমালায় আমরা এই গল্পটি না-জানি কতবা� পড়েছি� কিন্তু কোথা�, কোত্থা� কি ওই রূপকল্পট� পেয়েছ� যেখানে হাতদ�'টি� তুলন� হয়েছে মসৃণ হাড়ের সঙ্গ�?
না, পাইন� আমরা �-জিনিস। আর এই সাংঘাতিক, অমোঘ, অব্যর্� চিত্রকল্�, যেখানে সৌন্দর্যবো� আর মৃত্যুচেতন� একাকার হয়ে যায়, যেখানে রূপসাগরে ডু� দিয়েও শ্বা� বন্ধ হয়ে আসার অনুভূত� নী� কর� দেয় পাঠকের ঠোঁট, সেটি� সৃজনেই জীবনানন্দে� সার্থকতা�
এব�, মাইন্ড ইট, এট� কব�'� দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থে� একটি কবিত� "পরস্পর" থেকে উদ্ধৃত!
এই আশ্চ��্য সুন্দর বইটি� ছত্র�-ছত্র� ছড়িয়� আছ� এম� নানা পরশপাথর। বালি, নুড়�, পাথর আর নোনা জলের মধ্য� কখ� আনমন� সে� এক-আধটি শব্দ যে আমাদের মনের লোহা� শিকলটিকে সোনা� কর� তুলব�, তা আমরা ভাবতেও পারি না!
যদ� এখনও না পড়ে থাকে�, তাহল� প্লি� পড়ুন। এই বই বাংল� � বাঙালি� শাশ্বত উত্তরাধিকার। পড়ু�, আর বলুন,
"আল�-অন্ধকারে যাই� মাথা� ভিতর�
স্বপ্ন নয�,� কোন্� এক বো� কা� কর�!
স্বপ্ন নয়� শান্তি নয়� ভালোবাসা নয�,
হৃদয়ে� মাঝে এক বো� জন্ম লয�!
সে আমার হা� রাখে হাতে;
সব কা� তুচ্� হয�,� পণ্ড মন� হয�,
সব চিন্তা� প্রার্থনার সক� সময়
শূন্� মন� হয�,
শূন্� মন� হয�!"
March 22, 2023
"সক� লোকে� মাঝে বস�
আমার নিজে� মুদ্রাদোষে
আম� এক� হতেছ� আলাদ�?
আমার চোখে� শুধু ধাঁধ�?
আমার পথেই শুধু বাধা?"
আমার নিজে� মুদ্রাদোষে
আম� এক� হতেছ� আলাদ�?
আমার চোখে� শুধু ধাঁধ�?
আমার পথেই শুধু বাধা?"
February 5, 2022
তব� তুমি শী� রাতে আড়ষ্ট সাপে� মত� শুয়�
হৃদয়ে� অন্ধকারে পড়ে থাক—কুণ্ডলী পাকায়�!�
অপেক্ষায� বস� থাকি—স্ফুলিঙ্গের মত� যাবে ছুঁয়ে
কে তোমারে!—কোন� অশ্র�,কোন্ পীড়� হতাশার ঘায়�
কখ� জাগিয়� ওঠো—স্হির হয়ে বস� আছ� তাই।
শী� রাতে বাড়� আরো—নক্ষত্রের� যেতেছে
হারায়ে—ছাইয়� যে আগুন ছি� সে� সব� হয়ে যায় ছা�!
তবুও আরেকবা� সব ভস্ম� অন্তরে� আগুন ধরাই�
বহুদিন পর আবার ধূসর পান্ডুলিপি পড়লাম� এবার খু্ব নতুন কর� আবিষ্কার করলা� কবিতাগুলিকে।শীতে� রাতে এক� বস� বস� আবৃত্ত� করেছি। গভী� শান্তি!
হৃদয়ে� অন্ধকারে পড়ে থাক—কুণ্ডলী পাকায়�!�
অপেক্ষায� বস� থাকি—স্ফুলিঙ্গের মত� যাবে ছুঁয়ে
কে তোমারে!—কোন� অশ্র�,কোন্ পীড়� হতাশার ঘায়�
কখ� জাগিয়� ওঠো—স্হির হয়ে বস� আছ� তাই।
শী� রাতে বাড়� আরো—নক্ষত্রের� যেতেছে
হারায়ে—ছাইয়� যে আগুন ছি� সে� সব� হয়ে যায় ছা�!
তবুও আরেকবা� সব ভস্ম� অন্তরে� আগুন ধরাই�
বহুদিন পর আবার ধূসর পান্ডুলিপি পড়লাম� এবার খু্ব নতুন কর� আবিষ্কার করলা� কবিতাগুলিকে।শীতে� রাতে এক� বস� বস� আবৃত্ত� করেছি। গভী� শান্তি!
February 9, 2023
তোমা� আকাশ� তুমি উষ্ণ হয়ে আছ, তবু�
বাহিরে� আকাশের শীতে
নক্ষত্রে� হইতেছে ক্ষয�,
নক্ষত্রে� মত� হৃদয�
পড়িতেছে ঝ’রে�
ক্লান্� হয়ে—শিশিরের মত� শব্দ ক’র�!
জানো নাকো তুমি তা� স্বা�,
তোমারে নিতেছে ডেকে জীবন অগাধ,
জীবন অগাধ! (নির্জন স্বাক্ষর)
*
গানে� সুরে� মত� বিকালে� দিকে� বাতাসে
পৃথিবী� পথ ছেড়ে� সন্ধ্যার মেঘে� রঙ খুঁজ�
হৃদয� ভাসিয়� যায়� সেখানে সে কারে ভালোবাসে!
(অনেক আকাশ)
*
আল�-অন্ধকারে যাই� মাথা� ভিতর�
স্বপ্ন নয�, কো� এক বো� কা� কর�!
স্বপ্ন নয়� শান্তি নয়� ভালোবাসা নয�,
হৃদয়ে� মাঝে এক বো� জন্ম লয�!
আম� তারে পারি না এড়াতে,
সে আমার হা� রাখে হাতে;
সব কা� তুচ্� মন� হয�, পন্ড মন� হয�,
সব চিন্তা� প্রার্থনার সক� সময়
শূন্� মন� হয�,
শূন্� মন� হয�! (বো�)
*
অল� মাছি� শব্দ� ভর� থাকে সকালের বিষন্ন সময় ,
পৃথিবীরে মায়াবী� নদী� পারে� দে� বল� মন� হয�;
সক� পড়ন্ত রো� চারি দিকে ছুটি পেয়� জমিতেছ� এইখানে এস�,
গ্রীষ্মে� সমুদ্র থেকে চোখে� ঘুমে� গা� আসিতেছ� ভেসে,
এখান� পালন্ক� শুয়� কাটিবে অনেক দি� জেগে থেকে ঘুমাবা� সা� ভালোবেসে! (অবসরের গা�)
*
আরম্� হয� না কিছু� সমস্তে� তব� শে� হয়�
কী� যে ব্যর্থতা জানে পৃথিবী� ধুলো মাটি ঘাসে
তারও বড� ব্যর্থতা� সাথে রো� হয� পরিচয়!
যা হয়েছে শেষ� শে� হয� কোনোদি� যা হবার নয�! (জীবন)
খু� বেশি পছন্দে� কবিতাগুলোয� টুকে রাখা কারণ পছন্দে� লিস্টে আর� আছ� যা লিখত� গেলে ফুরোবে না আর! কারণ জীবনানন্� মানে “ঐ পছন্দে� লাইন আসিতেছ� ভেসে—�
বাহিরে� আকাশের শীতে
নক্ষত্রে� হইতেছে ক্ষয�,
নক্ষত্রে� মত� হৃদয�
পড়িতেছে ঝ’রে�
ক্লান্� হয়ে—শিশিরের মত� শব্দ ক’র�!
জানো নাকো তুমি তা� স্বা�,
তোমারে নিতেছে ডেকে জীবন অগাধ,
জীবন অগাধ! (নির্জন স্বাক্ষর)
*
গানে� সুরে� মত� বিকালে� দিকে� বাতাসে
পৃথিবী� পথ ছেড়ে� সন্ধ্যার মেঘে� রঙ খুঁজ�
হৃদয� ভাসিয়� যায়� সেখানে সে কারে ভালোবাসে!
(অনেক আকাশ)
*
আল�-অন্ধকারে যাই� মাথা� ভিতর�
স্বপ্ন নয�, কো� এক বো� কা� কর�!
স্বপ্ন নয়� শান্তি নয়� ভালোবাসা নয�,
হৃদয়ে� মাঝে এক বো� জন্ম লয�!
আম� তারে পারি না এড়াতে,
সে আমার হা� রাখে হাতে;
সব কা� তুচ্� মন� হয�, পন্ড মন� হয�,
সব চিন্তা� প্রার্থনার সক� সময়
শূন্� মন� হয�,
শূন্� মন� হয�! (বো�)
*
অল� মাছি� শব্দ� ভর� থাকে সকালের বিষন্ন সময় ,
পৃথিবীরে মায়াবী� নদী� পারে� দে� বল� মন� হয�;
সক� পড়ন্ত রো� চারি দিকে ছুটি পেয়� জমিতেছ� এইখানে এস�,
গ্রীষ্মে� সমুদ্র থেকে চোখে� ঘুমে� গা� আসিতেছ� ভেসে,
এখান� পালন্ক� শুয়� কাটিবে অনেক দি� জেগে থেকে ঘুমাবা� সা� ভালোবেসে! (অবসরের গা�)
*
আরম্� হয� না কিছু� সমস্তে� তব� শে� হয়�
কী� যে ব্যর্থতা জানে পৃথিবী� ধুলো মাটি ঘাসে
তারও বড� ব্যর্থতা� সাথে রো� হয� পরিচয়!
যা হয়েছে শেষ� শে� হয� কোনোদি� যা হবার নয�! (জীবন)
খু� বেশি পছন্দে� কবিতাগুলোয� টুকে রাখা কারণ পছন্দে� লিস্টে আর� আছ� যা লিখত� গেলে ফুরোবে না আর! কারণ জীবনানন্� মানে “ঐ পছন্দে� লাইন আসিতেছ� ভেসে—�
March 16, 2023
বনলত�, সুরঞ্জনা ছাড়� একটা বকুল� পাওয়া গেল। জহির রায়হানে� 'শে� বিকেলে মেয়�'� মত� কিছুটা� সুন্দর� সুন্দর�
'পরস্পর' নামে� কবিতায� আছ� সে�
'পরস্পর' নামে� কবিতায� আছ� সে�
December 5, 2015
তুমি যদ� রহিত� দাঁড়ায়�!
নক্ষত্� সরিয়া যায়, তব� যদ� তোমা� দু � পায়�
হারায়� ফেলিতে পথ � চলার পিপাসা! �
একবারে ভালোবেসে � যদ� ভালোবাসিতে চাহিতে তুমি সে� ভালোবাসা�
নক্ষত্� সরিয়া যায়, তব� যদ� তোমা� দু � পায়�
হারায়� ফেলিতে পথ � চলার পিপাসা! �
একবারে ভালোবেসে � যদ� ভালোবাসিতে চাহিতে তুমি সে� ভালোবাসা�
May 16, 2021
আম� যদ� হতাম বনহং�,
বনহংসী হত� যদ� তুমি;
কোনো এক দিগন্তের জলসিঁড়ি নদী� ধারে
ধানক্ষেতের কাছে
ছিপছিপ� শরের ভিতর
এক নিরালা নীড়�;
তাহল� আজ এই ফাল্পুনে� রাতে
ঝাউয়ে� শাখা� পেছন� চাঁদ উঠতে দেখে
আমরা নিম্নভূমির জলের গন্ধ ছেড়�
আকাশের রুপালি শস্যের ভিতর গা ভাসিয়� দিতা�-
তোমা� পাখনায� আমার পালক, আমার পাখনায� তোমা� রক্তের স্পন্দ�-
নী� আকাশ� খইক্ষেতে� সোনালি ফুলে� মত� অজস্� তারা,
শিরী� বনের সবুজ রোমশ নীড়�
সোনা� ডিমে� মত�
ফাল্গুনে� চাঁদ�
হয়ত� গুলি� শব্দ�
আমাদের তির্যক গতিস্রোত,
আমাদের পাখায় পিস্টনের উল্লাস,
আমাদের কন্ঠ� উত্ত� হাওয়া� গা�!
হয়ত� গুলি� শব্দ আবার�
আমাদের স্তব্ধতা,
আমাদের শান্তি�
আজকে� জীবনের এই টুকর� টুকর� মৃত্যু আর থাকত না:
থাকত না আজকে� জীবনের টুকর� টুকর� সাধে� ব্যর্থতা � অন্ধকা�;
আম� যদ� বনহং� হতাম,
বনহংসী হত� যদ� তুমি;
কোনো এক দিগন্তের জলসিড়� নদী� ধারে
ধানক্ষেতের কাছে�
বনহংসী হত� যদ� তুমি;
কোনো এক দিগন্তের জলসিঁড়ি নদী� ধারে
ধানক্ষেতের কাছে
ছিপছিপ� শরের ভিতর
এক নিরালা নীড়�;
তাহল� আজ এই ফাল্পুনে� রাতে
ঝাউয়ে� শাখা� পেছন� চাঁদ উঠতে দেখে
আমরা নিম্নভূমির জলের গন্ধ ছেড়�
আকাশের রুপালি শস্যের ভিতর গা ভাসিয়� দিতা�-
তোমা� পাখনায� আমার পালক, আমার পাখনায� তোমা� রক্তের স্পন্দ�-
নী� আকাশ� খইক্ষেতে� সোনালি ফুলে� মত� অজস্� তারা,
শিরী� বনের সবুজ রোমশ নীড়�
সোনা� ডিমে� মত�
ফাল্গুনে� চাঁদ�
হয়ত� গুলি� শব্দ�
আমাদের তির্যক গতিস্রোত,
আমাদের পাখায় পিস্টনের উল্লাস,
আমাদের কন্ঠ� উত্ত� হাওয়া� গা�!
হয়ত� গুলি� শব্দ আবার�
আমাদের স্তব্ধতা,
আমাদের শান্তি�
আজকে� জীবনের এই টুকর� টুকর� মৃত্যু আর থাকত না:
থাকত না আজকে� জীবনের টুকর� টুকর� সাধে� ব্যর্থতা � অন্ধকা�;
আম� যদ� বনহং� হতাম,
বনহংসী হত� যদ� তুমি;
কোনো এক দিগন্তের জলসিড়� নদী� ধারে
ধানক্ষেতের কাছে�
Read
February 10, 2024যখ� ঝরিয়া যা� হেমন্তের ঝড়ে,�
পথের পাতা� মত তুমি� তখ�
আমার বুকে� ’পরে শুয়� র’ব�?
অনেক ঘুমে� ঘোরে ভরিব� কি মন
সেদি� তোমা�!
তোমা� � জীবনের ধা�
ক্ষ’য়ে যাবে সেদি� সক�?
আমার বুকে� ’পরে সে� রাতে জমেছ� যে শিশিরে� জল,
তুমি� কি চেয়েছিল� শুধু তা�!�
শুধু তা� স্বা�
তোমারে কি শান্তি দেবে!�
আম� ঝর� যা�,—তবু জীবন অগাধ
জীবনানন্দে� কবিতার ভেতর যে একটা ঘো� আছ�, অন্য জগ� আছ�, সেটা টে� পায় তা� এক জীবনী পড়ত� গিয়ে। শাহাদুজ্জামা� এর লেখা ‘একজ� কমলালেবু� পড়ে জীবনানন্দে� কবিত� নিয়� আগ্র� সৃষ্টি হয়। একটা ভালোলাগা, অন্যরক� একটা অর্থ তৈরি হওয়া।
সেদি� হঠাৎ� রাতে� বেলা বই কিনব না-কিনব না কর�, বাতিঘর এর ওয়েবসাইটে অর্ডার দিয়� ফেলি ধূসর পান্ডুলিপি� সত্য� বলতে, কবিত� পড়ল� একটা ভালো লাগা কা� কর�, কিন্তু আম� যে� লেখা� অনেক অং� ধরতে পারি না� সম্ভবত সে� ম্যাচুরিটি আসেন� এখনো� তা� তুলে রাখা থাকল� পর� আবার পড়া� জন্য�
May 31, 2024
'যা পেয়েছ� একবা� পা� নাকি আবার তা খুঁজ�!'
'সব ছেড়� দিয়� আম� তোমারে একাকী ভালোবেসে
তোমা� ছায়ার মত� ফিরিয়াছ� তোমা� পিছন� !'
'যে নদী হারায়� যায় অন্ধকারে –রাত� � নিরুদ্দেশে,
তাহা� চঞ্চ� জল স্তব্ধ হয়ে কাঁপায� হৃদয� !'
'হয়ত� সে মিশে গেছে- তারে খুঁজ� পাবে নাকো কে�!
কে� যে সে এসেছিল পৃথিবী� কে� কি তা জানে !'
'তুমি তা ���ানো না কিছু—ন� জানিলে,
আমার সক� গা� তবুও তোমারে লক্ষ্য কর�;'
'শেষবার তা� সাথে যখ� হয়েছে দেখা মাঠে� উপরে-
বলিলাম� � একদি� এম� সময়
আবার আসিও তুমি- আসিবার ইচ্ছ� যদ� হয�;
পঁচি� বছ� পর� ।�
'কে আমার� ব্যথ� দেছে ,- কে বা ভালোবাসে ,-
সব ভুলে ,- শুধু মো� দেহে� তালাশে
শুধু মো� স্নায়� শিরা রক্তের তর�
� মাটির’পরে
আসিব কি নেমে !'
'নক্ষত্রে� পানে যেতে যেতে
পথ ভুলে বারবার পৃথ��বী� ক্ষেতে
জন্মিতেছ� আম� এক সবুজ ফস� !-'
'সক� ক্ষুধা� আগ� তোমা� ক্ষুধায় ভর� মন!
সক� শক্তির আগ� প্রে� তুমি, তোমা� আসন�
সক� স্থলের� পর�, সক� জলের� পর� আছ�!'
'জীবন হয়েছে এক প্রার্থনার গানে� মতন�
তুমি আছ বল� প্রে�, গানে� ছন্দের মত� মন
আল� আর অন্ধকারে দুলে ওঠ� তুমি আছ বল�!'
'আম� শে� হব শুধু, ওগ� প্রে�, তুমি শে� হল�!
তুমি যদ� বেঁচ� থা�,—জেগ� রব আম� এই পৃথিবী� পর—যদি� বুকে� পর� রব�
মৃত্যু—মৃত্যুর
কব�! '
'আলোর চুমায় এই পৃথিবী� হৃদয়ে� জ্বর
ক’ম� যায়; -তা� নী� আকাশের স্বা�- স্বচ্ছলত�-
পূর্� ক’র� দিয়� যায় পৃথিবী� ক্ষুদি� গহ্ব�;'
'কত� দে� এল�,- গে�,- হা� ছুঁয়ে-ছুঁয়ে
দিয়াছ� ফিরায়� সব,- সমুদ্রের জল� দে� ধুয়�
নক্ষত্রে� তল�
বস� আছ�,- সমুদ্রের জল�
দে� ধুয়� নিয়�
তুমি কি আসিব� কাছে�'
'তোমা� শরী� ,-
তা� নিয়� এসেছিল� একবা�;- তারপ�,- মানুষে� ভিড়
রাত্রি আর দি�
তোমারে নিয়েছ� ডেকে কো� দিকে জানিনি তা,- হয়েছে মলিন
চক্ষ� এই;- ছিঁড়ে গেছি- ফেড়� গেছি ,- পৃথিবী� পথ হেঁট� হেঁট�
কত দি� রাত্রি গেছে কেটে !'
'তুমি আর আম�
ঠাণ্ডা ফেনা ঝিনুকে� মত� চুপে থামি
সেইখান� রব� প’ড়ে-
যেখানে সমস্� রাত্রি নক্ষত্রে� আল� পড়ে ঝর�
সমুদ্রের হাওয়া ভেসে আস�,
গা� গায় সিন্ধু তা� জলের উল্লাসে।'
'হেমন্তের ঝড়ে আম� ঝরিব যখ�
পথের পাতা� মত� তুমি� তখ�
আমার বুকে� ’পরে শুয়� রব�? অনেক ঘুমে� ঘোরে ভরিব� কি মন
সেদি� তোমার।
তোমা� আকাশ—আলো—জীবনের ধা�
ক্ষ’য়ে যাবে সেদি� সক�?
আমার বুকে� ’পরে সে� রাতে জমেছ� যে শিশিরে� জল
তুমি� কি চেয়েছিল� শুধু তা�, শুধু তা� স্বা�
তোমারে কি শান্তি দেবে�
আম� চ’ল� যাবো—তবু জীবন অগাধ'
'যে-পৃথিবী জেগে আছ�, তা� ঘাস—আকা� তোমার।
জীবনের স্বা� ল’য়ে জেগে আছ�, তবুও মৃত্যু� ব্যথ� দিতে পারো তুমি;'
'সব ছেড়� দিয়� আম� তোমারে একাকী ভালোবেসে
তোমা� ছায়ার মত� ফিরিয়াছ� তোমা� পিছন� !'
'যে নদী হারায়� যায় অন্ধকারে –রাত� � নিরুদ্দেশে,
তাহা� চঞ্চ� জল স্তব্ধ হয়ে কাঁপায� হৃদয� !'
'হয়ত� সে মিশে গেছে- তারে খুঁজ� পাবে নাকো কে�!
কে� যে সে এসেছিল পৃথিবী� কে� কি তা জানে !'
'তুমি তা ���ানো না কিছু—ন� জানিলে,
আমার সক� গা� তবুও তোমারে লক্ষ্য কর�;'
'শেষবার তা� সাথে যখ� হয়েছে দেখা মাঠে� উপরে-
বলিলাম� � একদি� এম� সময়
আবার আসিও তুমি- আসিবার ইচ্ছ� যদ� হয�;
পঁচি� বছ� পর� ।�
'কে আমার� ব্যথ� দেছে ,- কে বা ভালোবাসে ,-
সব ভুলে ,- শুধু মো� দেহে� তালাশে
শুধু মো� স্নায়� শিরা রক্তের তর�
� মাটির’পরে
আসিব কি নেমে !'
'নক্ষত্রে� পানে যেতে যেতে
পথ ভুলে বারবার পৃথ��বী� ক্ষেতে
জন্মিতেছ� আম� এক সবুজ ফস� !-'
'সক� ক্ষুধা� আগ� তোমা� ক্ষুধায় ভর� মন!
সক� শক্তির আগ� প্রে� তুমি, তোমা� আসন�
সক� স্থলের� পর�, সক� জলের� পর� আছ�!'
'জীবন হয়েছে এক প্রার্থনার গানে� মতন�
তুমি আছ বল� প্রে�, গানে� ছন্দের মত� মন
আল� আর অন্ধকারে দুলে ওঠ� তুমি আছ বল�!'
'আম� শে� হব শুধু, ওগ� প্রে�, তুমি শে� হল�!
তুমি যদ� বেঁচ� থা�,—জেগ� রব আম� এই পৃথিবী� পর—যদি� বুকে� পর� রব�
মৃত্যু—মৃত্যুর
কব�! '
'আলোর চুমায় এই পৃথিবী� হৃদয়ে� জ্বর
ক’ম� যায়; -তা� নী� আকাশের স্বা�- স্বচ্ছলত�-
পূর্� ক’র� দিয়� যায় পৃথিবী� ক্ষুদি� গহ্ব�;'
'কত� দে� এল�,- গে�,- হা� ছুঁয়ে-ছুঁয়ে
দিয়াছ� ফিরায়� সব,- সমুদ্রের জল� দে� ধুয়�
নক্ষত্রে� তল�
বস� আছ�,- সমুদ্রের জল�
দে� ধুয়� নিয়�
তুমি কি আসিব� কাছে�'
'তোমা� শরী� ,-
তা� নিয়� এসেছিল� একবা�;- তারপ�,- মানুষে� ভিড়
রাত্রি আর দি�
তোমারে নিয়েছ� ডেকে কো� দিকে জানিনি তা,- হয়েছে মলিন
চক্ষ� এই;- ছিঁড়ে গেছি- ফেড়� গেছি ,- পৃথিবী� পথ হেঁট� হেঁট�
কত দি� রাত্রি গেছে কেটে !'
'তুমি আর আম�
ঠাণ্ডা ফেনা ঝিনুকে� মত� চুপে থামি
সেইখান� রব� প’ড়ে-
যেখানে সমস্� রাত্রি নক্ষত্রে� আল� পড়ে ঝর�
সমুদ্রের হাওয়া ভেসে আস�,
গা� গায় সিন্ধু তা� জলের উল্লাসে।'
'হেমন্তের ঝড়ে আম� ঝরিব যখ�
পথের পাতা� মত� তুমি� তখ�
আমার বুকে� ’পরে শুয়� রব�? অনেক ঘুমে� ঘোরে ভরিব� কি মন
সেদি� তোমার।
তোমা� আকাশ—আলো—জীবনের ধা�
ক্ষ’য়ে যাবে সেদি� সক�?
আমার বুকে� ’পরে সে� রাতে জমেছ� যে শিশিরে� জল
তুমি� কি চেয়েছিল� শুধু তা�, শুধু তা� স্বা�
তোমারে কি শান্তি দেবে�
আম� চ’ল� যাবো—তবু জীবন অগাধ'
'যে-পৃথিবী জেগে আছ�, তা� ঘাস—আকা� তোমার।
জীবনের স্বা� ল’য়ে জেগে আছ�, তবুও মৃত্যু� ব্যথ� দিতে পারো তুমি;'
February 7, 2023
'ধূসর পাণ্ডুলিপি'� প্রায় সমস্� কবিতার প্রকৃতির এক ‘ধূস�, ক্ষয়িষ্ণু,শীতার্�, ম্লা� অন্ধকার� প্রকাশ বড� হয়ে দেখা দিয়েছে। শুধু এক নির্জন ধূসরতায় লী� প্রকৃত� এখান� উপস্থাপিত। নামকরণের প্রতীকি ইঙ্গিতেও � তত্ত্বটি প্রকাশিত�
জীবনানন্� স্বয়ং একটি চিঠিতে লিখেছে�- "আমার কাব্যে� উৎ� নিরবধিকা� � ধূসর প্রকৃত�-চেতনার ভেতর রয়েছে বলেই তো মন� করি। তব� সে প্রকৃত� সবসময়-� যে ধূসর, তা হয়ত� নয়।"
একথা� সর্বতোভাবে সত্য; 'কেনন� 'ধূসর পাণ্ডুলিপি'� সাময়ি� মৃত্যুচেতনার জটিল কুহেলি অতিক্র� কর� জীবনের পাখিরা অনন্� আকাশ� প্রদক্ষি� শুরু করে। কব� 'ধূসর পাণ্ডুলিপি'� মৃত্যুচেতনার অন্ধকা� পর্যায� পেরিয়� সময়চেতনার চিন্ময� সূর্যক� নবরাগে রঞ্জিত দেখে�; � কাব্যে� ঘট� যায় প্রতীক্ষি� উষালগ্�, যা উদ্ভাসিত ঐশ্বর্যে বিকীর্� হয়ে পড়ে ‘বনলতা সে�'-এর পরিব্যাপ্ত পটভূমিতে�' (জীবন শিল্পী জীবনানন্� দা�: আসাদুজ্জামান)
'ধূসর পাণ্ডুলিপি'তে কব� যে প্রকৃতির রূপে আবিষ্ট, তা ক্ষয়িষ্ণু সৌন্দর্যের তীব্� আস্বাদ� অপরূপে জগ� যে� কবির চেতনায� শরীরী হয়ে উঠেছ� এব� এখান� চিত্ররূপময়ত� � ধ্বনিগন্ধময়তা যে� সমান্তরালভাবেই উপস্থিত।
‘জীবনানন্দর কাব্যে দেখা যায় যে চিত্ররচনার অজস্রত�, তা� বিশেষত্ব� উল্লেখযোগ্য। যত উপমায়, যত ইঙ্গিত� তিনি কল্পনাকে প্রকাশ করেন, সেগুলি ভাবাত্মক নয�, রূপাত্মক; চিন্তাপ্রসূত নয�, অনুভূত� প্রসূত� তাঁর একটি কবিতাক� রবীন্দ্রনাথ একবা� বলেছিলেন ‘চিত্ররূপময়�; জীবনানন্দর সমগ্� কাব্� সম্বন্ধে� � আখ্য� প্রযোজ্য� ছব� আঁকত� তাঁর নিপুণত� অসাধারণ। তা� ওপ� ছবিগুল� শুধু দৃশ্যে� নয�, গন্ধ � স্পর্শের� বট�, বিশেষভাব� গন্ধ � স্পর্শের�'
(কালে� পুতু�; বুদ্ধদেব বস�)
‘ধূস� পাণ্ডুলিপি'� নিসর্গজগতে যে-ঋতুক� দেখত� পাওয়া যায়, তা হল� শী� ঋত�- এখান� শুধু� কুয়াশ�, হি� আর পাতা� ঝর� পড়া; সূর্যে� অনুপস্থিতি� লক্ষ্যগোচর� তা বাদে
'ধূসর পাণ্ডুলিপি' এক পিপাসা� গা�, -সে পিপাসা সৌন্দর্যের, যে সৌন্দর্য অপরূ� অথ� মরণাহত; অনির্বচনীয় তব� নশ্বর। ‘ধূস� পাণ্ডুলিপি’র সক� কবিতাই প্রথ� বিশ্বযুদ্ধোত্ত� যুগে� বিপর্যয়ের ঘনিষ্ঠ, অন্ত� রচনাকালে� দি� থেকে�
আপাতদৃষ্টিতে অবশ্� এস� কবিতার জগ� রূঢ় বাস্তব নয�, কাব্যে� বিষয� প্রাত্যহিক পৃথিবী� সমস্যা সংঘর্ষ নয়।
নিসর্গের যে অপরূপত� মৃত্যু� দ্বারা আক্রান্ত জেনে� কবির চেতন� বিষণ্নতা� বোধে ভারাক্রান্� হত� দেখেছি 'ধূসর পাণ্ডুলিপি'� জগতে, তা�-� সঙ্গ� ইতিহাসের ঢে� লুপ্� অধ্যায়ে� গরিম� � কীর্তি� নশ্বরতার বিষণ্ন উপলব্ধির সংযুক্তি জীবনানন্দর কাব্যসৃষ্টিত� একটি নূতনতর চরিত্র লক্ষ� নিয়� এসেছ�, যা তাঁর আগামী রচনায় আর� বড� আয়তনে � তাৎপর্যে অর্থময� হয়ে উঠেছে। নিসর্গের রূপাবিষ্� ইন্দ্রিয়াসক্ত অনুপুঙ্খ অবলোকনের ভিত্তিভূমি থেকে স্বপ্নপ্রয়াণে� যে আকাঙ্ক্ষাতীব্রত� 'ধূসর পাণ্ডুলিপি'কে দিয়েছ� অনন্� স্বকীয়তা, ‘রূপসী বাংলা’র কবিতাবলীতে সে বিশিষ্টত� প্রবলভাব� উপস্থিত।' (জীবনানন্দে� চেতনাজগৎ; প্রদ্যুম্ন মিত্�)
'ধূসর পাণ্ডুলিপি' কাব্যগ্রন্থে প্রেমচেতনা, নায়িক� বর্ণনা প্রভৃত� সমস্তই আছে। কিন্তু বিষণ্ন শীতার্� নৈসর্গিক পটভূমিকায় প্রে� এক রোমান্টি� দীর্ঘশ্বাস, আর নায়িকার� প্রবলভাব� দেহজ কামন�-বাসনার আরক্� সংসর্গ� আবদ্ধা, ঈর্ষ�-বঞ্চনা-অবহেলা� ব্যর্থতায় চিত্রায়িত�
জীবনানন্দে� এই 'ধূসর পান্ডুলিপি' কাব্যগ্রন্থে তা� জীবনের সবচেয়� বিতর্ক কবিত� ' ক্যাম্পে' আছে। এই সম্পর্কে কিছু বল� এবার- ১৯৩২ সালে সুধীন্দ্রনাথ দত্ত সম্পাদিত ‘পরিচয়� পত্রিকায� ‘ক্যাম্পে� নামক কবিত� প্রকাশিত হয়। কবিতার কিছু অং� তুলে ধরছি-
‘একে এক� হরিণের� আসিতেছ� গভী� বনের পথ ছেড়ে।
সক� জলের শব্দ পিছে ফেলে অন্য এক আশ্বাসের খোঁজ�
দাঁতের-নখের কথ� ভুলে গিয়� তাদে� বোনে� কাছে ওই
সুন্দরী গাছে� নিচে জ্যোৎস্নায�!
মানু� যেমন কর� ঘ্রা� পেয়� আস�
তা� নোনা মেয়� মানুষে� কাছে�...�
� কবিতায� অশ্লীলতার অভিযোগ� সিটি কলেজের অধ্যাপনা থেকে অব্যাহতি দেয়� হয� বল� অভিযোগ কর� হয়। সজনীকান্� ( তিনি� একজন কব� ছিলে�) আজীবন নেতিবাচক সমালোচনা করতেন। কলকাতা� অনেক� জীবনানন্দে� সমালোচনায় মুখর ছিলেন। সেজন্য বিতকের্র জায়গা না থাকলেও বিতর্ক করার চেষ্টা করেছেন� না হল� প্রকাশিত কবিতায� ‘নোন� মেয়ে� শব্দ নিয়� কে� এত বিতর্ক? আলোচ্য কবিতায� কোথায় অশ্লীলত� রয়েছে! � মত অনেকের� আম� অন্ত� অশ্লী� কবিত� হাজারখানেক দেখাতে পারব(যদিও অশ্লী� আমার কাছে একটা শব্দ মাত্�) � থেকে ধারণ� কর� হয� প্রথমে কলকাতা� সাহিত্যসমা� কবিক� মেনে নিতে পারেনন�! মৃত্যু� পর বতর্মা� প্রজন্� তাকে মূল্যায়িত করার চেষ্টা করছেন। বল� যায়, কবির কবিতার অনুপ� শিল্পগুণ পাঠকসমাজকে আকৃষ্ট করছে�
ক্যাম্পে কবিতার বিরুদ্ধে অশ্লীলতার সবচেয়� বড� অহেতুক অভিযোগটা করেন সজনীকান্� সে� তা� ‘শনিবারে� চিঠি� পত্রিকায়। সজনীকান্� জীবনানন্দক� পছন্� করতে� জীবনানন্� দাশে� কবিত� কোথা� প্রকাশিত হলেই তিনি সেটাকে নিয়� ব্যঙ্গ-বিদ্রপ করতে�, হাসি-ঠাট্টা তামাশা করতেন। তাকে মাতা�, পাগল ইত্যাদ� নানা অভিধায� ভূষি� করতে� বল� অনেক� বল� থাকেন। ‘ক্যাম্পে� কবিতাট� 'পরিচয়'-� ছাপা হওয়ার পর� তিনি তা� শনিবারের চিঠিতে এই কবিতার বিষয়ে লিখলেন, ‘কবিতাচ্ছল� কব� যে বিরহিণী ঘাইহরিণী� আ���্মকথ� � তাহা� হৃদতুত� দা’র মমর্কথ� কহিয়াছে� তাহা পর� রমণীয় হইয়াছে। বনের যাবতীয় ঘাইহরিণক� তাহাদে� হৃদয়ে� বো� ‘ঘাইহরিণী� অঘ্রাণ � আস্বাদের দ্বারা তাহা� পিপাসা� সান্ত¡নার জন্য ডাকিতেছে� পিসতুত�, মাসতুত� ভাইবোনদে� আমরা চিনি� হৃদতুত� বোনে� সাক্ষা� এই প্রথ� পাইলাম।�
পর� অবশ্� বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা� আর সুধীন্দ্রনাথ দত্তের ‘পরিচয়� তৎকালী� অনেক কাব্যজিজ্ঞাসার উত্ত� দিয়েছিল�
বিশে� কর� ‘ঘাই� শব্দের মানে সবাই না জানায় বিব্রত হচ্ছিলেন তাঁরা। 'ঘা�' একটি অসমিয়� শব্দ� এট� আসলে অন্য পাখিকে ধরার জন্য টো� হিসেবে ব্যবহৃ� আরেকটি পাখিকে বোঝানো হয়। সচরাচর এই টো� হয়ে থাকে পুরু� পাখি� টোপে� এই সংজ্ঞাটিকে জীবনানন্� হরিণীতে রূপান্তর করেছিলেন� সন্দেহ করার কারণ নে�, যৌনতাই এই টোপে� প্রত� প্রলোভ� জাগিয়� তোলে�
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত এই কবিত� একেবারেই ছাপত� চাননি। পরিচয় পত্রিকার প্রথ� সা� বছরে জীবনানন্দে� প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি� কারণ হিসেবে জীবনানন্� সম্পর্কে সুধীন্দ্রনাথের মনোভাবকে� অনেক� দায়ী কর� থাকেন।
অন্যদিকে বুদ্ধদেব বস� জীবনানন্� দাশে� উচ্চকি� প্রশংস� করেছেন� বলেছেন, কবিজীবনের একেবার� প্রথমদিক� জীবনানন্দে� রচনা ছি� সত্যেন্দ্রনা� দত্ত � নজরু� ইসলামে� মতো। ধূসর পাণ্ডুলিপিতে এস� প্রকাশিত হল� তাঁর অনন্যতা। বুদ্ধদেব লিখছেন, ‘রূপকথার জগতে� মতোই �-কবির জগ� আমাদের আত্মসা� কর� নেয়, সেখা� থেকে বেরোবা� পথ খুঁজ� পাওয়া যায় না।�
আজ� বে� বক� ফেললাম� এইসবের অনেক তথ্য জানত� সাহায্� করেছেন 'বিভা�' এর ধ্রুবকুমার দাদা� দাদাকে ধন্যবাদ। দেখা হল� চা খাওয়াবো।হিহিহ�,
কবিত� পড়ুন। আর জীবনানন্� যেমন বলেছেন, ভালো থেকো ভালোবাসা �
এই লেখাটি যারা পড়বেন তারা আমার ভালোবাসা জানবেন� কাছে� মানুষদের খোঁজ নি�, কথ� বলুন আর একটিবা� বলুন তাদে�, ভালোবাসি�
জীবনানন্� কে কে� বল� নি কিন্তু আপনি বলুন�
জীবনানন্� স্বয়ং একটি চিঠিতে লিখেছে�- "আমার কাব্যে� উৎ� নিরবধিকা� � ধূসর প্রকৃত�-চেতনার ভেতর রয়েছে বলেই তো মন� করি। তব� সে প্রকৃত� সবসময়-� যে ধূসর, তা হয়ত� নয়।"
একথা� সর্বতোভাবে সত্য; 'কেনন� 'ধূসর পাণ্ডুলিপি'� সাময়ি� মৃত্যুচেতনার জটিল কুহেলি অতিক্র� কর� জীবনের পাখিরা অনন্� আকাশ� প্রদক্ষি� শুরু করে। কব� 'ধূসর পাণ্ডুলিপি'� মৃত্যুচেতনার অন্ধকা� পর্যায� পেরিয়� সময়চেতনার চিন্ময� সূর্যক� নবরাগে রঞ্জিত দেখে�; � কাব্যে� ঘট� যায় প্রতীক্ষি� উষালগ্�, যা উদ্ভাসিত ঐশ্বর্যে বিকীর্� হয়ে পড়ে ‘বনলতা সে�'-এর পরিব্যাপ্ত পটভূমিতে�' (জীবন শিল্পী জীবনানন্� দা�: আসাদুজ্জামান)
'ধূসর পাণ্ডুলিপি'তে কব� যে প্রকৃতির রূপে আবিষ্ট, তা ক্ষয়িষ্ণু সৌন্দর্যের তীব্� আস্বাদ� অপরূপে জগ� যে� কবির চেতনায� শরীরী হয়ে উঠেছ� এব� এখান� চিত্ররূপময়ত� � ধ্বনিগন্ধময়তা যে� সমান্তরালভাবেই উপস্থিত।
‘জীবনানন্দর কাব্যে দেখা যায় যে চিত্ররচনার অজস্রত�, তা� বিশেষত্ব� উল্লেখযোগ্য। যত উপমায়, যত ইঙ্গিত� তিনি কল্পনাকে প্রকাশ করেন, সেগুলি ভাবাত্মক নয�, রূপাত্মক; চিন্তাপ্রসূত নয�, অনুভূত� প্রসূত� তাঁর একটি কবিতাক� রবীন্দ্রনাথ একবা� বলেছিলেন ‘চিত্ররূপময়�; জীবনানন্দর সমগ্� কাব্� সম্বন্ধে� � আখ্য� প্রযোজ্য� ছব� আঁকত� তাঁর নিপুণত� অসাধারণ। তা� ওপ� ছবিগুল� শুধু দৃশ্যে� নয�, গন্ধ � স্পর্শের� বট�, বিশেষভাব� গন্ধ � স্পর্শের�'
(কালে� পুতু�; বুদ্ধদেব বস�)
‘ধূস� পাণ্ডুলিপি'� নিসর্গজগতে যে-ঋতুক� দেখত� পাওয়া যায়, তা হল� শী� ঋত�- এখান� শুধু� কুয়াশ�, হি� আর পাতা� ঝর� পড়া; সূর্যে� অনুপস্থিতি� লক্ষ্যগোচর� তা বাদে
'ধূসর পাণ্ডুলিপি' এক পিপাসা� গা�, -সে পিপাসা সৌন্দর্যের, যে সৌন্দর্য অপরূ� অথ� মরণাহত; অনির্বচনীয় তব� নশ্বর। ‘ধূস� পাণ্ডুলিপি’র সক� কবিতাই প্রথ� বিশ্বযুদ্ধোত্ত� যুগে� বিপর্যয়ের ঘনিষ্ঠ, অন্ত� রচনাকালে� দি� থেকে�
আপাতদৃষ্টিতে অবশ্� এস� কবিতার জগ� রূঢ় বাস্তব নয�, কাব্যে� বিষয� প্রাত্যহিক পৃথিবী� সমস্যা সংঘর্ষ নয়।
নিসর্গের যে অপরূপত� মৃত্যু� দ্বারা আক্রান্ত জেনে� কবির চেতন� বিষণ্নতা� বোধে ভারাক্রান্� হত� দেখেছি 'ধূসর পাণ্ডুলিপি'� জগতে, তা�-� সঙ্গ� ইতিহাসের ঢে� লুপ্� অধ্যায়ে� গরিম� � কীর্তি� নশ্বরতার বিষণ্ন উপলব্ধির সংযুক্তি জীবনানন্দর কাব্যসৃষ্টিত� একটি নূতনতর চরিত্র লক্ষ� নিয়� এসেছ�, যা তাঁর আগামী রচনায় আর� বড� আয়তনে � তাৎপর্যে অর্থময� হয়ে উঠেছে। নিসর্গের রূপাবিষ্� ইন্দ্রিয়াসক্ত অনুপুঙ্খ অবলোকনের ভিত্তিভূমি থেকে স্বপ্নপ্রয়াণে� যে আকাঙ্ক্ষাতীব্রত� 'ধূসর পাণ্ডুলিপি'কে দিয়েছ� অনন্� স্বকীয়তা, ‘রূপসী বাংলা’র কবিতাবলীতে সে বিশিষ্টত� প্রবলভাব� উপস্থিত।' (জীবনানন্দে� চেতনাজগৎ; প্রদ্যুম্ন মিত্�)
'ধূসর পাণ্ডুলিপি' কাব্যগ্রন্থে প্রেমচেতনা, নায়িক� বর্ণনা প্রভৃত� সমস্তই আছে। কিন্তু বিষণ্ন শীতার্� নৈসর্গিক পটভূমিকায় প্রে� এক রোমান্টি� দীর্ঘশ্বাস, আর নায়িকার� প্রবলভাব� দেহজ কামন�-বাসনার আরক্� সংসর্গ� আবদ্ধা, ঈর্ষ�-বঞ্চনা-অবহেলা� ব্যর্থতায় চিত্রায়িত�
জীবনানন্দে� এই 'ধূসর পান্ডুলিপি' কাব্যগ্রন্থে তা� জীবনের সবচেয়� বিতর্ক কবিত� ' ক্যাম্পে' আছে। এই সম্পর্কে কিছু বল� এবার- ১৯৩২ সালে সুধীন্দ্রনাথ দত্ত সম্পাদিত ‘পরিচয়� পত্রিকায� ‘ক্যাম্পে� নামক কবিত� প্রকাশিত হয়। কবিতার কিছু অং� তুলে ধরছি-
‘একে এক� হরিণের� আসিতেছ� গভী� বনের পথ ছেড়ে।
সক� জলের শব্দ পিছে ফেলে অন্য এক আশ্বাসের খোঁজ�
দাঁতের-নখের কথ� ভুলে গিয়� তাদে� বোনে� কাছে ওই
সুন্দরী গাছে� নিচে জ্যোৎস্নায�!
মানু� যেমন কর� ঘ্রা� পেয়� আস�
তা� নোনা মেয়� মানুষে� কাছে�...�
� কবিতায� অশ্লীলতার অভিযোগ� সিটি কলেজের অধ্যাপনা থেকে অব্যাহতি দেয়� হয� বল� অভিযোগ কর� হয়। সজনীকান্� ( তিনি� একজন কব� ছিলে�) আজীবন নেতিবাচক সমালোচনা করতেন। কলকাতা� অনেক� জীবনানন্দে� সমালোচনায় মুখর ছিলেন। সেজন্য বিতকের্র জায়গা না থাকলেও বিতর্ক করার চেষ্টা করেছেন� না হল� প্রকাশিত কবিতায� ‘নোন� মেয়ে� শব্দ নিয়� কে� এত বিতর্ক? আলোচ্য কবিতায� কোথায় অশ্লীলত� রয়েছে! � মত অনেকের� আম� অন্ত� অশ্লী� কবিত� হাজারখানেক দেখাতে পারব(যদিও অশ্লী� আমার কাছে একটা শব্দ মাত্�) � থেকে ধারণ� কর� হয� প্রথমে কলকাতা� সাহিত্যসমা� কবিক� মেনে নিতে পারেনন�! মৃত্যু� পর বতর্মা� প্রজন্� তাকে মূল্যায়িত করার চেষ্টা করছেন। বল� যায়, কবির কবিতার অনুপ� শিল্পগুণ পাঠকসমাজকে আকৃষ্ট করছে�
ক্যাম্পে কবিতার বিরুদ্ধে অশ্লীলতার সবচেয়� বড� অহেতুক অভিযোগটা করেন সজনীকান্� সে� তা� ‘শনিবারে� চিঠি� পত্রিকায়। সজনীকান্� জীবনানন্দক� পছন্� করতে� জীবনানন্� দাশে� কবিত� কোথা� প্রকাশিত হলেই তিনি সেটাকে নিয়� ব্যঙ্গ-বিদ্রপ করতে�, হাসি-ঠাট্টা তামাশা করতেন। তাকে মাতা�, পাগল ইত্যাদ� নানা অভিধায� ভূষি� করতে� বল� অনেক� বল� থাকেন। ‘ক্যাম্পে� কবিতাট� 'পরিচয়'-� ছাপা হওয়ার পর� তিনি তা� শনিবারের চিঠিতে এই কবিতার বিষয়ে লিখলেন, ‘কবিতাচ্ছল� কব� যে বিরহিণী ঘাইহরিণী� আ���্মকথ� � তাহা� হৃদতুত� দা’র মমর্কথ� কহিয়াছে� তাহা পর� রমণীয় হইয়াছে। বনের যাবতীয় ঘাইহরিণক� তাহাদে� হৃদয়ে� বো� ‘ঘাইহরিণী� অঘ্রাণ � আস্বাদের দ্বারা তাহা� পিপাসা� সান্ত¡নার জন্য ডাকিতেছে� পিসতুত�, মাসতুত� ভাইবোনদে� আমরা চিনি� হৃদতুত� বোনে� সাক্ষা� এই প্রথ� পাইলাম।�
পর� অবশ্� বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা� আর সুধীন্দ্রনাথ দত্তের ‘পরিচয়� তৎকালী� অনেক কাব্যজিজ্ঞাসার উত্ত� দিয়েছিল�
বিশে� কর� ‘ঘাই� শব্দের মানে সবাই না জানায় বিব্রত হচ্ছিলেন তাঁরা। 'ঘা�' একটি অসমিয়� শব্দ� এট� আসলে অন্য পাখিকে ধরার জন্য টো� হিসেবে ব্যবহৃ� আরেকটি পাখিকে বোঝানো হয়। সচরাচর এই টো� হয়ে থাকে পুরু� পাখি� টোপে� এই সংজ্ঞাটিকে জীবনানন্� হরিণীতে রূপান্তর করেছিলেন� সন্দেহ করার কারণ নে�, যৌনতাই এই টোপে� প্রত� প্রলোভ� জাগিয়� তোলে�
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত এই কবিত� একেবারেই ছাপত� চাননি। পরিচয় পত্রিকার প্রথ� সা� বছরে জীবনানন্দে� প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি� কারণ হিসেবে জীবনানন্� সম্পর্কে সুধীন্দ্রনাথের মনোভাবকে� অনেক� দায়ী কর� থাকেন।
অন্যদিকে বুদ্ধদেব বস� জীবনানন্� দাশে� উচ্চকি� প্রশংস� করেছেন� বলেছেন, কবিজীবনের একেবার� প্রথমদিক� জীবনানন্দে� রচনা ছি� সত্যেন্দ্রনা� দত্ত � নজরু� ইসলামে� মতো। ধূসর পাণ্ডুলিপিতে এস� প্রকাশিত হল� তাঁর অনন্যতা। বুদ্ধদেব লিখছেন, ‘রূপকথার জগতে� মতোই �-কবির জগ� আমাদের আত্মসা� কর� নেয়, সেখা� থেকে বেরোবা� পথ খুঁজ� পাওয়া যায় না।�
আজ� বে� বক� ফেললাম� এইসবের অনেক তথ্য জানত� সাহায্� করেছেন 'বিভা�' এর ধ্রুবকুমার দাদা� দাদাকে ধন্যবাদ। দেখা হল� চা খাওয়াবো।হিহিহ�,
কবিত� পড়ুন। আর জীবনানন্� যেমন বলেছেন, ভালো থেকো ভালোবাসা �
এই লেখাটি যারা পড়বেন তারা আমার ভালোবাসা জানবেন� কাছে� মানুষদের খোঁজ নি�, কথ� বলুন আর একটিবা� বলুন তাদে�, ভালোবাসি�
জীবনানন্� কে কে� বল� নি কিন্তু আপনি বলুন�
Want to read
July 5, 2014i want to about dusar pandulipi
February 20, 2025
বাংল� কবিতার আধুনিক যুগে� অন্যতম শ্রেষ্� কব� জীবনানন্� দাশ। তাঁর সাহিত্যকর্� বাংল� কবিতার আঙ্গিক� এক অনন্� পরিবর্তন এনেছে। ১৯৩৬ সালে প্রকাশিত তাঁর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্� "ধূসর পাণ্ডুলিপি" বাংল� কবিতার ইতিহাস� এক মাইলফলক। � গ্রন্থ� তিনি প্রকৃত�, নিসর্গ, মানবজীবন, অতীতচেতনা এব� নির্জনতা� এক অপূর্ব সমন্বয� ঘটিয়েছেন। এই কাব্যগ্রন্থে জীবনানন্� দা� তাঁর স্বতন্ত্� রূ� � আঙ্গিক� বাংলার প্রকৃত�, নিসর্গ, গ্রামবাংলা� জীবন � মানুষে� অন্তর্দহ� ফুটিয়� তুলেছেন। এখান� বিষাদে� এক গভী� সু� লক্ষ্য কর� যায়, যা তাকে বাংল� কবিতার "নির্জনতা� কব�" হিসেবে চিহ্নি� করেছে। কবিতাগুলোত� প্রকৃত� এব� মানুষে� অস্তিত্বের মধ্য� এক অন্তর্লী� সম্পর্� খুঁজ� পাওয়া যায়�
এই কাব্যগ্রন্থে� উল্লেখযোগ্� বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্য� রয়েছে:
�) প্রকৃতির বিমূর্� রূ�: জীবনানন্� দাশে� কবিতায� প্রকৃত� কেবল দৃশ্যমান কোনো বিষয� নয�, বর� এক জীবন্ত সত্ত�, যা কবির অনুভূতির প্রতিফলন ঘটায়।
�) অতী� � স্মৃতিচারণ: বহ� কবিতায� কব� বাংলার হারানো ঐতিহ্য, অতী� দিনে� স্মৃতি � ইতিহাসের ছোঁয়া দিয়েছেন�
�) বিষা� � নির্জনতা� সু�: ধূসর পাণ্ডুলিপি� কবিতাগুলোত� বিষাদময় এক নির্জনতা� অনুভূত� লক্ষ কর� যায়, যা কখনও ব্যক্তিগ�, কখনও সামষ্টিক বেদনার প্রতী� হয়ে ওঠে।
�) প্রতীকধর্মিতা: কব� তাঁর কাব্যে নানা প্রতী� ব্যবহা� করেছেন, যেমন� 'আকাশ', 'পাখি', 'নী�', 'ধূসর', 'ঘা�', যা এক গভী� অর্থবহ মাত্রা সৃষ্টি করে।
�) নতুন ভাষাশৈলী � চিত্রকল্�: জীবনানন্� দাশে� কবিতার ভাষা প্রথাগ� কবিত� থেকে পৃথক, যা তাঁক� অন্যান্য কবিদের থেকে স্বতন্ত্� করেছে।
এই কাব্যগ্রন্থে� উল্লেখযোগ্� কবিতাগুলির অন্যতম "বনলত� সে�", যেখানে প্রে�, ক্লান্তি, অতীতে� স্মৃতি � সৌন্দর্যের এক অনন্� সংমিশ্রণ রয়েছে� "আকাশলীনা" কবিতায� ফুটে উঠেছ� প্রকৃতির গভীরত� � একাকিত্বের অনুভূতি। "অন্ধকা�" কবিতাট� মানবজীবনের অনিশ্চয়তা � হতাশার প্রতিচ্ছবি� "মধ্যরাতে" কবিতায� ফুটে উঠেছ� রাতে� স্তব্ধতা � কবির একাকিত্ব�
সমগ্� কাব্যগ্রন্থে জীবনানন্� দাশে� ভাষা স্নিগ্�, বিমূর্� এব� আবেগময়। তাঁর কবিতায� অ্যালিটারেশন, মেটাফর, ইমেজার� এব� অলংকারের দক্ষ প্রয়ো� দেখা যায়�
"ধূসর পাণ্ডুলিপি" বাংল� সাহিত্যে� অন্যতম শ্রেষ্� কাব্যগ্রন্থ। � কাব্যগ্রন্� পা� করলে প্রকৃত� � মানবজীবনের এক অন্তর্নিহি� বেদন�, নিস্তব্ধতা এব� এক রহস্যময় সৌন্দর্য অনুভ� কর� যায়� এট� বাংল� কবিতায� এক নতুন যুগে� সূচন� করেছ� এব� কবিক� চিরকালী� করেছেন�
পরিশেষ� এটুকুই বলার যে "ধূসর পাণ্ডুলিপি" শুধু একটি কাব্যগ্রন্� নয�, এট� এক গভী� জীবনদর্শ�, যেখানে বিষা�, নিঃসঙ্গত�, প্রকৃত� এব� অতীতচেতনা� এক অনবদ্য সংমিশ্রণ ঘটেছে। বাংল� কবিতার জগতে এট� এক কালজয়ী সৃষ্টি, যা পাঠকদে� হৃদয়ে চিরকাল বেঁচ� থাকবে।
এই কাব্যগ্রন্থে� উল্লেখযোগ্� বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্য� রয়েছে:
�) প্রকৃতির বিমূর্� রূ�: জীবনানন্� দাশে� কবিতায� প্রকৃত� কেবল দৃশ্যমান কোনো বিষয� নয�, বর� এক জীবন্ত সত্ত�, যা কবির অনুভূতির প্রতিফলন ঘটায়।
�) অতী� � স্মৃতিচারণ: বহ� কবিতায� কব� বাংলার হারানো ঐতিহ্য, অতী� দিনে� স্মৃতি � ইতিহাসের ছোঁয়া দিয়েছেন�
�) বিষা� � নির্জনতা� সু�: ধূসর পাণ্ডুলিপি� কবিতাগুলোত� বিষাদময় এক নির্জনতা� অনুভূত� লক্ষ কর� যায়, যা কখনও ব্যক্তিগ�, কখনও সামষ্টিক বেদনার প্রতী� হয়ে ওঠে।
�) প্রতীকধর্মিতা: কব� তাঁর কাব্যে নানা প্রতী� ব্যবহা� করেছেন, যেমন� 'আকাশ', 'পাখি', 'নী�', 'ধূসর', 'ঘা�', যা এক গভী� অর্থবহ মাত্রা সৃষ্টি করে।
�) নতুন ভাষাশৈলী � চিত্রকল্�: জীবনানন্� দাশে� কবিতার ভাষা প্রথাগ� কবিত� থেকে পৃথক, যা তাঁক� অন্যান্য কবিদের থেকে স্বতন্ত্� করেছে।
এই কাব্যগ্রন্থে� উল্লেখযোগ্� কবিতাগুলির অন্যতম "বনলত� সে�", যেখানে প্রে�, ক্লান্তি, অতীতে� স্মৃতি � সৌন্দর্যের এক অনন্� সংমিশ্রণ রয়েছে� "আকাশলীনা" কবিতায� ফুটে উঠেছ� প্রকৃতির গভীরত� � একাকিত্বের অনুভূতি। "অন্ধকা�" কবিতাট� মানবজীবনের অনিশ্চয়তা � হতাশার প্রতিচ্ছবি� "মধ্যরাতে" কবিতায� ফুটে উঠেছ� রাতে� স্তব্ধতা � কবির একাকিত্ব�
সমগ্� কাব্যগ্রন্থে জীবনানন্� দাশে� ভাষা স্নিগ্�, বিমূর্� এব� আবেগময়। তাঁর কবিতায� অ্যালিটারেশন, মেটাফর, ইমেজার� এব� অলংকারের দক্ষ প্রয়ো� দেখা যায়�
"ধূসর পাণ্ডুলিপি" বাংল� সাহিত্যে� অন্যতম শ্রেষ্� কাব্যগ্রন্থ। � কাব্যগ্রন্� পা� করলে প্রকৃত� � মানবজীবনের এক অন্তর্নিহি� বেদন�, নিস্তব্ধতা এব� এক রহস্যময় সৌন্দর্য অনুভ� কর� যায়� এট� বাংল� কবিতায� এক নতুন যুগে� সূচন� করেছ� এব� কবিক� চিরকালী� করেছেন�
পরিশেষ� এটুকুই বলার যে "ধূসর পাণ্ডুলিপি" শুধু একটি কাব্যগ্রন্� নয�, এট� এক গভী� জীবনদর্শ�, যেখানে বিষা�, নিঃসঙ্গত�, প্রকৃত� এব� অতীতচেতনা� এক অনবদ্য সংমিশ্রণ ঘটেছে। বাংল� কবিতার জগতে এট� এক কালজয়ী সৃষ্টি, যা পাঠকদে� হৃদয়ে চিরকাল বেঁচ� থাকবে।
July 11, 2020
আল� � অন্ধকারে যা� � মাথা� ভিতর�
স্বপ্ন নয�, কো� এক বো� কা� কর�!
স্বপ্ন নয� � শান্তি নয� � ভালোবাসা নয�,
হৃদয়ে� মাঝে এক বো� জন্ম লয�!
আম� তারে পারি না এড়াতে
সে আমার হা� রাখে হাতে;
সব কা� তুচ্� হয�, পন্ড মন� হয�,
সব চিন্তা � প্রার্থনার সক� সময়
শূন্� মন� হয�,
শূন্� মন� হয�!
স্বপ্ন নয�, কো� এক বো� কা� কর�!
স্বপ্ন নয� � শান্তি নয� � ভালোবাসা নয�,
হৃদয়ে� মাঝে এক বো� জন্ম লয�!
আম� তারে পারি না এড়াতে
সে আমার হা� রাখে হাতে;
সব কা� তুচ্� হয�, পন্ড মন� হয�,
সব চিন্তা � প্রার্থনার সক� সময়
শূন্� মন� হয�,
শূন্� মন� হয�!
March 22, 2018
GHFYHH
This entire review has been hidden because of spoilers.
February 16, 2019
হেমন্তের ঝড়ে আম� ঝরিব যখ�
পথের পাতা� মত� তুমি� তখ�
আমার বুকে� ’পরে শুয়� রব�? অনেক ঘুমে� ঘোরে ভরিব� কি মন
সেদি� তোমার।
পথের পাতা� মত� তুমি� তখ�
আমার বুকে� ’পরে শুয়� রব�? অনেক ঘুমে� ঘোরে ভরিব� কি মন
সেদি� তোমার।
July 2, 2022
খু� সুন্দর😭
Read
February 15, 2023কালে� খেয়ায� জীবন বাবু যেমন দেখেছে�, তেমনটা� নিবদ্ধ এই বইয়ে।
February 23, 2024
তুমি কী আসিব� কাছে প্রিয়�?
Read
August 20, 2018সারাদি� ধর� পড়ে� মাথামুন্ডু কিছু� বুঝলাম না� দাশে� কবিত� বুঝত� মাথায় যে পরিমাণ ঘিলু থাকা প্রয়োজন তা এখনো হয়ন� আমার� shmoop.com এর মত� বাংল� কবিতার লাইন বা� ল��ই� এক্���প্লেনেশন কোথায় পেতে পারি জানালে উপকৃ� হতাম�
March 16, 2016
Surrealism at its best... J.Das poems portals me to those quain locations of Bengal. Addictive.
December 15, 2024
একজন জীবনানন্� দা�, এব� তা� মায়াময় সব কবিত�...
Displaying 1 - 26 of 26 reviews
Can't find what you're looking for?
Get help and learn more about the design.