ŷ

Jump to ratings and reviews
Rate this book

বিবর্তনে� পথ ধর�

Rate this book
বন্য� আহমে� বিজ্ঞানে� আধুনিকতম শাখাগুলো থেকে পাওয়া তথ্যের আলোক� বিবর্তনে� মূ� বিষয়গুল� নিয়� খু� সহ� ভাষায় বিস্তারি� আলোচনা করেছেন� প্রাণে� উদ্ভবে� পর থেকে � পৃথিবীতে জীবনের বিকা� � বিবর্ত� কীভাবে নিরন্ত� ঘট� চলেছ�, কীভাবে উত্তরণ ঘটছে মানুষে� মত� বোধশক্তি এব� সচেতনতাসম্পন্ন একটি প্রজাতির- � সুবিস্তৃ� কাহিনী� স্বার্থক মঞ্চায়ন যে� ঘটেছ� বইটি� পাতায় পাতায়� প্রাসঙ্গিকভাবে� চল� এসেছ� মহাদেশীয় সঞ্চরণ, ল্যামার্কীয় ভ্রান্� ধারণ�, ডারউইনের সমুদ্রযাত্রা গ্যালাপ্যাগা� দ্বীপে� পাখি, পৌরাণি� দৈত্� সাইক্লোপ�, বিশালবপু তিমি মাছদের ডাঙা থেকে পানিতে ফিরে যাওয়া, ডিএনএর রহস্যভেদ ফ্লোরস দ্বীপে� বেঁট� বাটু�, ডানাওয়ালা ডাইনোসরে� ফসিল পাওয়া� কাহিনীসহ নানা ধরনে� আকর্ষনীয় এব� বৈচিত্রময় গল্প� বইটি� সাবলী� ভাষা এব� সহজবোধ্য উদাহরণ � ব্যাখ্যাগুলো ইতোমধ্যে� ইন্টারনেটে সমাদৃত হয়েছে, আকৃষ্ট করেছ� সে সমস্� পাঠককে� যারা কখনো� বিজ্ঞানে� ছাত্� ছিলে� না� বহ� বিদগ্ধজনের মতেই, বাংলায� বিবর্তনে� ওপরে এম� ‘স্টেট অব দি আর্ট� বই এর আগ� লেখা হয� নি�

বন্য� আহমে� অত্যন্� কা� থেকে প্রত্যক্� করেছেন ‘জ্ঞান-বিজ্ঞানে� সূতিকাগার� হিসেবে কথিত আমেরিকায� এই শক্তিশালী মৌলবাদীদে� উত্থান, তাদে� সুচতুর অপপ্রচার এব� তা� পাশাপাশি বিজ্ঞানী � সমাজসচেত� প্রগতিশী� মানুষে� সংগ্রামকে। বাংলায� লেখা এটাই বোধহয় প্রথ� বই যেখানে এই মতবা� প্রবক্তাদে� উত্থান � বিস্তৃতি� ইতিহাস এব� তাদে� দেওয়া ‘যুক্তি’গুলোর অসারতা নিয়� বিস্তারি� আলোচনা কর� হয়েছে� বিবর্তনে� জটিল বিষয়গুল� নিয়� তা� সুললিত বর্ণনা এব� সহজবোধ্য ব্যাখ্যা যেমন� আগ্রহী করবে সাধারণ পাঠকদে� বিবর্ত� তত্ত্বের প্রত�, তেমন� তারা শিহরিত হয়ে উঠবে� সৃষ্টিতত্ত্ব বনাম বিবর্তনে� সম্মুখলড়া� প্রত্যক্� করে। তাঁর বইটি হয়ে উঠতে পারে প্রতিট� বিজ্ঞানমনস্ক পাঠকের অবশ্যপাঠ্য গাইড; এট� কা� করবে সচেত� � প্রগতিশী� মন� তৈরি� দর্শ� হিসেবে�

বন্য� আহমে� বড� হয়েছে� বাংলাদেশের আল�-হাওয়ায়� একজন সচেত� প্রগতিশী� মানু� হিসেবে কাটিয়েছেন জীবনের বড� একটি অং� এই দেশে� তারপ� পড়ালেখা করছে� আমেরিকার মিনেসোটা স্টে� ইউনিভাসিটিতে জৈ� প্রযুক্ত� এব� কম্পিউটা� বিজ্ঞানে� বর্তমানে আটলান্টায় সিস্টে� এনালিস্ট হিসেবে কর্মরত� তাঁর লেখা বিভিন্� বিজ্ঞানবিষয়� প্রবন্� ইতোমধ্যে� প্রকাশিত হয়েছে দৈনি� ভোরে� কাগজ, দৈনি� সমকা�, সাপ্তাহি� বিচিত্রা � মাসি� সায়েন্স ওয়ার্ল্ডস� অনেক পত্র-পত্রিকায়।

248 pages, Hardcover

First published February 1, 2007

22 people are currently reading
215 people want to read

About the author

Bonya Ahmed

1book25followers
যুক্তরাষ্ট্র-প্রবাসী বিজ্ঞা� লেখক� অনলাইন� সচলায়ত� ব্লগ � মুক্তমনা ব্লগ� লেখালিখি করেছেন�

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
96 (56%)
4 stars
52 (30%)
3 stars
18 (10%)
2 stars
2 (1%)
1 star
2 (1%)
Displaying 1 - 26 of 26 reviews
Profile Image for Emtiaj.
237 reviews86 followers
December 20, 2014
বাচ্চাকালে ধারণ� ছিলো, চিড়িয়াখানায় যে বানরগুলো ঝুলত� দেখা যায় সেগুলো থেকে� বুঝি আমরা এসেছ� :P

আবার একটু বড� হয়ে প্রশ্ন জাগল�, তাহল� এই বানরগুলো মানু� হচ্ছেন� কে�?

এরকম প্রশ্নসহ আর� অনেক প্রশ্নের উত্ত� পেয়� গেছি এই বই পড়ে :)
Profile Image for Zunaed.
54 reviews111 followers
December 4, 2016
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় জীববিজ্ঞান অনেকটা স্মৃতিশক্তির পরীক্ষা নেয়� আমার স্মৃতিশক্ত� ভয়াবহ মাত্রা� খারা�, তা� জীববিজ্ঞান আমাক� সবসময়� ঝামেলায় ফেলেছে, আর এই ঝামেলা� কারণ� বিষয়টার প্রত� অনীহা কা� কর� খুব। আমার মত মানু� যারা, তাদেরও ভালো লাগা� কথ� এই বই�

অনেকগুলো তথ্য আর ছব� এক কর� অনেকটা গল্পের ঢঙ� এখান� ব্যাখ্যা কর� হয়েছে বিবর্তনকে। ভালো লেগেছে, বে� ভালো� বিবর্ত� নিয়� মন� থাকা অনেক প্রশ্নের উত্ত� পেয়েছ�, অনেকগুলো ভু� ধারণ� ভেঙেছে�

ভালো লাগা� মাঝে খারা� লাগা হিসাবে এসেছ� পুনরাবৃত্তি। কিছু ব্যাপা� এতবা� বল� হয়েছে যে রীতিমত বিরক্ত হচ্ছিলাম� এছাড়া মাঝে মাঝে� এক� বইয়ের চেয়� ব্লগপোস্� সংকল� মন� হয়েছে বেশি� একটা তারা তা� হারিয়� গেল।

শে� কথ�, বস� না থেকে পড়ে ফেলুন।
Profile Image for Farzana Raisa.
502 reviews203 followers
September 29, 2021
খু� সুন্দর কর� লেখা, গোছানো একটা বই� যারা আমার মত� অল�.. কিন্তু বিবর্ত� নিয়� জানত� আগ্রহী এই বইটা পড়ে দেখত� পারেন। কিছু জায়গায় যদিও রিপি� রিপি� মন� হয়েছে তারপরে� ভাষাগত দি� দিয়� কিংব� তথ্য বা রেফারেন্�, ছব�... সব মিলিয়� দুর্দান্�!
Profile Image for Sazedul Waheed Nitol.
87 reviews29 followers
August 1, 2013
বিবর্তনবাদ নিয়� সারা পৃথিবী জুড়েই বহ� জনপ্রিয় বই বে� হলেও বাংলায� এম� জনপ্রিয় বিজ্ঞা� বইয়ের ঘাটত� রয়ে� গিয়েছিলো। বিবর্তনবাদ � প্রাকৃতি� নির্বাচন তত্ত্ব নিয়� বিচ্ছিন্নভাব� কিছু কা� বাংল� ভাষায় হলেও তা পর্যাপ্ত ছিলো না� প্রয়োজন ছিলো সাধারণ পাঠকদে� জন্য একটি পূর্ণাঙ্� বইয়ের� বন্য� আহমে� সে প্রয়োজন মাথায় রেখে� লিখে ফেলেছে� তাঁর প্রথ� বই �বিবর্তনে� পথ ধর�”। অবসর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইটি পাঠক-মহলে বে� আলোড়ন তুলেছে, বিশে� কর� তরুণ সমাজে। বইয়ের অধ্যায়গুল� নিয়� এক এক কর� আলোচনা কর� যাক।


বইয়ের প্রথ� অধ্যায� ‘‘এলা� আমরা কোথা থেকে?’� শুরু হয়েছে ইন্দোনেশিয়া� দ্বী� ‘ফ্লোরস� � পাওয়া বামন মানবদে� ফসিল হদিশ পাওয়া� খব� জানিয়ে। ওখানকা� বাসিন্দাদে� রূপকথা� গল্প� যে বামনদে� কথ� শোনা যে� তা সত্য হয়ে ধর� দিলো বিজ্ঞানীদে� কাছে� ১২ হাজা� বছ� আগ� এক বিশা� অগ্নুৎপাতে নিশ্চিহ্� হয়ে গিয়েছিল� ওরা। ধারণ� কর� হয� মানুষেরই আরেক প্রজাত� Homo erectus এর কোনো ছোটো একটি দল বিবর্তিত হয়ে ওই দ্বীপে পরিবেশ� বামন নরমানব� পরিণ� হয়েছিল। � ঘটনা� ফলেই বিজ্ঞানীদে� কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় যে অল্প ক’দিন আগেও আধুনিক মানুষে� সাথে� এই বসুন্ধরায় এক� সাথে হেঁট� বেরিয়েছ� মানুষেরই আর� একাধিক প্রজাতি। ভাবা যায়!


সাধারণ� বিজ্ঞানভিত্তিক বইয়ের প্রথ� অধ্যায়ে পাঠক প্রত্যাশ� কর� যে বইয়ের বিষয়বস্তু� প্রাথমিক অংশটুকুর ধারণ� দিয়েই আলোচনা শুরু হয়ে যাবে� কিন্তু � বইয়� লেখক যে� চম� দিলেন। প্রথ� অধ্যায়ট� শুরু করলে�- বিবর্ত� কে� আমাদের জানা প্রয়োজন-তা দিয়ে। � ধরনে� বইয়ের পাঠে� সময়� স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন জেগে উঠতে পারে পাঠকের মন�- বিবর্ত� নিয়� এত� মাথাব্যথ� কে�? বিবর্ত� না জেনে� তো কোটি কোটি মানু� কাটিয়� দিয়েছ� তাদে� পুরোটা জীবন, তাহল� আমরা জেনে� বা কী করবো? লেখক যে� আগ� থেকে� জানতেন যে এম� ধরনে� প্রশ্নের উদ্ভ� হত� পারে, তা� তিনি বইয়ের শুরুতে� � ব্যাপারট� নিয়� আলোচনা করলেন। লেখকের বক্তব্� জেনে নিলে� বইটি লেখা� এব� পাঠকের পড়া� উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়ে যায়-

“বিবর্তনবাদক� সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে শেখা� মাধ্যম� আমরা নিজেরা যেমন আমাদের চারদিকের প্রকৃত� � পরিবেশকে বৈজ্ঞানিকভাব� ব্যাখ্যা করতে শিখব, তেমনিভাব� বুঝত� � অন্যদে� বুঝাতে পারব� বৈজ্ঞানি� চিন্তা � সমাজ� হাজা� হাজা� বছ� ধর� টিকে থাকা বহ� স্থবির চিন্তাধারা� মধ্য� পার্থক্য কোথায়”।





‘বিবর্তন� প্রাণে� স্পন্দন� অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে উনিশ শতকে� প্রথ� দিককার বিজ্ঞা� মহলে চর্চিত বিবর্ত� � পৃথিবী� বয়স নিয়� গবেষণাগুলো� ইতিহাস� অনেকেই ভাবে� যে বিবর্তনবাদ চার্লস ডারউইন ‘বিবর্তনবা� তত্ত্ব� আবিষ্কার করেছেন, আসলে তা ঠি� নয়। ডারউইনের অনেক আগেই জীববিজ্ঞানীরা ধারণ� করেছেন যে প্রজাতির বিবর্ত� হয�, কিন্তু প্রমাণ করতে পারে� নি� ডারউইন শুধু প্রজাতির বিবর্তনে� পক্ষেই প্রমাণ তুলে ধরেন নি, কীভাবে বিবর্তনে� মাধ্যম� নতুন প্রজাতির উদ্ভ� � পুরন� প্রজাতির বিলুপ্তি ঘট� থাকে- তা� বর্ণনা করেছেন যা জীববিদ্যার ইতিহাস� অভূতপূর্ব। এই অধ্যায়ে ডারউইনের ‘বিগল� জাহাজে� সে� বিখ্যা� বিশ্�-ভ্রম� সম্পর্কে সামান্� আলোচনা রয়েছে� � অধ্যায়ে� বিশিষ্টত� হল� এখান� ডারউইনের ‘প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্ব� আবিষ্কারের পটভূমি বিস্তৃতভাব� আলোচিত হয়েছে� পাঠক বে� ভালোভাবে� ডারউইনের মনোজগতকে উপলব্ধ� করতে পারবেন, বুঝত� পারবেন ঠি� কো� পরিস্থিতিত� তিনি তাঁর আবিষ্কারের মুখোমুখি দাঁড়িয়� ছিলেন।


জীববিজ্ঞানের আধুনিক সব শাখা যেমন- জেনেটিক্�, জিনোমিক্�, মাইক্রোবায়োলজ� ইত্যাদ� প্রতিনিয়ত বিবর্তনতত্ত্বে� পক্ষ� অগুনতি প্রমাণ সংগ্রহ কর� যাচ্ছে� ভাবত� অবাক হত� হয�, দেড়শ� বছ� আগ� ডারউইনের যুগে এস� আধুনিক জ্ঞানে� কিছু� ছিলো না, তারপরও স্রে� পর্যবেক্ষণ � অসাধার� চিন্তাভাবনার মাধ্যম� ডারউইন বিবর্তনে� পেছনের কারণটুকু সঠিকভাবে খুঁজ� বে� কর� ফেলত� পেরেছিলেন। “বিবর্তনের পথ ধরে� গ্রন্থের তৃতীয় অধ্যায� ‘অনন্ত সময়ের উপহার’এ মূলত ডারউইনের ‘’প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্ব’’� নিয়েই আলোচনা এগিয়েছে� � অধ্যায়ে� প্রথ� অংশটুকুত� ডারউইন কীভাবে তাঁর প্রাকৃতি� নির্বাচন তত্ত্ব� উপনী� হয়েছিলে� সে বিষয়ে বিশদ বর্ণনা রয়েছে� তাছাড়� ল্যামার্কিয় ভু� দৃষ্টিভঙ্গির সাথে ডারউইনিয� দৃষ্টিভঙ্গির একটি মনোজ্ঞ আলোচনা রয়েছে� অধ্যায়ে� শেষাংশ� প্রাকৃতি� নির্বাচন তত্ত্বের খুঁটিনাট� নানা টার্� � টেকনিক্যাল বিষয� নিয়� ছোটো আলোচনা আছ� যা বিবর্তনে� পেছনের কারণটি জানা� জন্য অত্যন্� প্রয়োজনীয়�


“বিবর্তনের পথ ধরে� গ্রন্থের সবচেয়� চমকপ্র�, সুখপাঠ্য � আকর্ষণীয় অধ্যায� সম্ভবত এর চতুর্থ অধ্যায়ট�- ‘চোখের সামনেই ঘটছে বিবর্তন’। � অধ্যায়ে ভুরি ভুরি উদাহরণের মাধ্যম� বিবর্তনে� পক্ষ� নানা যুক্তি উপস্থাপন করেছেন লেখক� আধুনিক জীববিজ্ঞানের জগতে বিবর্ত� নিয়� এত� বেশি পরিমাণ গবেষণা হয়েছে যে তা থেকে বিবর্তনে� পক্ষ� হাজা� হাজা� প্রমাণ উপস্থাপন কর� যায়� বিবর্তনে� পক্ষ� আজ যে প্রমাণগুলো হাজি� কর� যায় সেগুলো� মধ্য� রয়েছে: প্রা�-রাসায়নি� প্রমাণ, কোষবিদ্য�-বিষয়ক প্রমাণ, শরীরবৃত্তীয় প্রমাণ, সংযোগকারী জীবে� প্রমাণ, ভৌগোলি� বিস্তারে� প্রম���,তুলনামূল� অঙ্গসংস্থানে� প্রমাণ, শ্রেণীকর� সংক্রান্� প্রমাণ, বিলুপ্তপ্রায� অঙ্গের প্রমাণ।তাছাড়া ফসিলের পরমা� তো আছেই� উদাহরণ হিসেবে বে� কিছু প্রমাণ লেখক উপস্থাপন করেছেন পাঠকের সামন� � এর মধ্য� মাইক্র�-বিবর্তনে� উদাহরণ হিসেবে দেখিয়েছ� এইচআইভ� ভাইরাসের বিবর্তন। কে� বিজ্ঞানীরা এইডসের জন্য কোনো প্রতিষেধ� বা ভ্যাক্সি� উদ্ভাব� করতে পারছ� না তা� উত্ত� লুকিয়� আছ� ডারউইনের ‘প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্বে’। কে� বিবর্ত� সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন তা নিয়� বলতে গিয়� লেখক একেবার� মোক্ষম যুক্তিটি ছুঁড়ে দিয়েছেন-

“বিবর্তনবাদক� গভীরভাব� বোঝা � তা� যথায� প্রয়ো� ছাড়� এই মারাত্মক এইডস রোগে� চিকিৎস� কি কর� সম্ভ�, বলুন তো? আজকে বিবর্তনবাদ-বিরোধী যদ� এই ওষুধ তৈরি� কাজে নিয়োজিত হন তাহল� কোটি কোটি এইডসের রোগী� কপাল� কী আছ� তা তো আর বল� দেবা� অপেক্ষ� রাখে না”।

এছাড়া বিবর্ত� তত্ত্বকে ভালোভাবে বোঝা� মাধ্যমেই আমরা বুঝত� পারব কে� বার্� ফ্লু ভাইরাস বিশ্বব্যাপী এম� মহামারী আকার� ছড়িয়� গে�, কে� বর্তমানে ডিডিটি দিয়� ম্যালেরিয়� প্রতিরোধ কর� যাচ্ছে না, কে� জমিত� অধিক কীটনাশ� প্রয়োগে পোকাগুলো অর্জ� করছে রো� প্রতিরোধ ক্ষমতা, ম্যালেরিয়� অধ্যুষিত আফ্রিকায� কে� ভয়াবহ সিকে� রোগে� জিনে� ছড়াছড়ি� আর ব্যাকটেরিয়া� বিবর্ত� � এন্টিবায়োটিকে� যথেচ্ছ ব্যবহা� সম্পর্কে জ্ঞা� না থাকল� আমাদের পড়ত� হব� স্বাস্থ্�-ঝুঁকির সামনে। শুধু মাইক্র�-বিবর্তনই নয�, লেখক হাজি� প্রকৃতিত� ঘট� যাওয়া নানা ম্যাক্রো-বিবর্তনে� উদাহরণও।


একবা� প্রখ্যাত জীববিজ্ঞানী জে বি হ্যালডেনকে জিজ্ঞে� কর� হয়েছিলো কীভাবে বিবর্তনবাদকে ভু� প্রমাণ কর� যায়� তিনি প্রত্যুত্তরে বলেছিলেন যে, কে� যদ� প্রিক্যাম্ব্রিয়ান যুগে একটি খরগোশে� ফসিল খুঁজ� বে� কর� দিতে পারে তাহলেই বিবর্তনবাদ ভু� বল� প্রমাণিত হবে। কিন্তু আজ� কেউই তা করতে পারে নি� কারণ বিবর্ত� তত্ত্ব ঘোষণ� করছে যে একটি নির্দিষ্� প্রজাতির প্রাণী� ফসিল কখনো� ভু� শিলাস্তর� পাওয়া যাবে না, নয়ত� পুরো বিবর্ত� তত্ত্ব� তাসে� ঘরের মত� ভেঙ্গে পড়তো। তা� বিবর্ত�-বিদ্যা� জগতে ফসিল-বিদ্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ� ফসিল নিয়েই লেখক তাঁর গ্রন্থের ৫ম অধ্যায�- ‘ফসি� � প্রাচী� উপাখ্যানগুলো� এব� ৬ষ্ঠ অধ্যায�- ‘ফসিলগুল� কোথা থেকে এলো� সাজিয়েছেন� প্রাচীনকাল থেকে� যদিও মানু� ফসিল সম্পর্কে জানত, তারপরও সেগুলো সম্পর্কে যথায� বৈজ্ঞানি� ব্যাখ্যা জানত� আমাদের আঠার� শতাব্দী পর্যন্� অপেক্ষায� থাকত� হয়েছে� লেখকের প্রাঞ্জল বর্ণনায় আমরা দেখত� পা� কীভাবে প্রাচীনকাল� মানুষেরা বিভিন্� অতিকায� বিলুপ্� প্রাণী� ফসিল দেখে নানা ধরনে� মি� এব� কল্পকাহিনী তৈরি করেছে। বর্তমানে খুঁজ� পাওয়া এস� বিশালাকা� ফসিলগুলো� সাথে মানুষে� কল্পিত দৈত্যগুলোর মি� দেখে খু� অবাক হত� হয়। আর ষষ্ঠ অধ্যায়ে ফসিল কীভাবে গঠিত হয� তা� বিশদ বর্ণনা আছে। এক� সাথে আছ� মহাদেশীয় সঞ্চার� এব� প্লে� টেকটোনিক্স তত্ত্ব নিয়� কিছু আলোচনা� বিবর্তনে� মাধ্যম� কীভাবে বিভিন্� প্রজাতির প্রাণীগুলো সারা পৃথিবী জুড়� ছড়িয়� পড়ল তা বুঝত� হল� মহাদেশীয় সঞ্চার� তত্ত্ব বুঝে নেয়� অতী� জরুরী� এরপর ৭ম অধ্যায়ে লেখক ফসিলের বয়স � ভূ-তাত্ত্বি� বিভিন্� স্তরের বয়স কীভাবে নির্ধারণ কর� হয� তা নিয়� সূক্ষ্� বর্ণনা দিয়েছেন� � অধ্যায়ে এস� সাধারণ পাঠক সামান্� অমনোযোগী হয়ে উঠতে পারে� অধিক পরিমাণ টেকনিক্যাল টার্� ব্যবহারে� কারণে। তব� বিজ্ঞানে� মনযোগী পাঠকদে� জন্য এট� একটি বড়ো পাওয়া�



বিবর্ত� তত্ত্বের ইতিহাস� Missing link বা মধ্যবর্তী ফসিলগুলো� গুরুত্� অপরিসীম। কারণ মিসি� লিংকগুলো খুঁজ� না পেলে বিবর্ত� তত্ত্বের সত্যতা হুমকির মুখে পড়তো। মিসি� লিংক আসলে এম� ধরনে� ফসিল যা আধুনিক প্রজাত� � তাদে� পূর্বপুরুষদে� মধ্যবর্তী স্তরের বিবর্তনে� ধা� বা খোয়� যাওয়া ফাঁক পূরণ করে। এই মিসি� লিংকগুলো� বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানীদে� অনুমানগুলো� সত্যতা প্রমাণ করেছে। যদিও সঙ্গ� কারণেই খু� বেশি পরিমাণ ফসিল বা মিসি� লিংক খুঁজ� পাওয়া যায় নি, তারপরও যা পাওয়া গেছে তা যথেষ্ট বলেই মন� করছে� বিজ্ঞানীরা� এস� মধ্যবর্তী ফসিলগুলো� মাধ্যমেই বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন কীভাবে ডাইনোস� থেকে উদ্ভ� ঘটেছ� আধুনিক পাখি�, কীভাবে ডাঙ্গা� চারপেয়ে ভালু� জাতীয় প্রাণী থেকে বিবর্ত� ঘটেছ� আধুনিক তিমি� আর কীভাবে� বা পানিতে বসবাসকারী মাছগুল� থেকে ক্রমান্বয়� আবির্ভাব ঘটেছ� সরীসৃ� এব� স্তন্যপায়ী প্রাণীর। এই গ্রন্থের অষ্ট� অধ্যায়ে উপস্থাপি� হয়েছে মিসি� লিংক বিষয়ক কৌতূহলোদ্দীপক প্রবন্ধ।



প্রজাতির বিবর্ত� নিয়� বই লেখা হব� আর তাতে আমাদের তথ� মানুষে� বিবর্তনে� ইতিহাস থাকব�- তা তো হয� না� সে� গল্প� আমরা খুঁজ� পা� ”বিবর্তনের পথ ধরে’� গ্রন্থের নব� অধ্যায়ে� আমাদের কাছে বিবর্তনে� ইতিহাস� মানুষে� যাত্রা� খুঁটিনাট� জেনে নেয়াট� নিজেদে� স্বার্থে� প্রয়োজন� বিবর্তনে� ধারায় যেমন অগুনতি জীবে� উদ্ভ� পৃথিবীতে ঘটেছিল� তেমন� বেশিরভাগ প্রজাতিই কালে� পরিক্রমায় পৃথিবী থেকে হারিয়� গেছে� ফসিল রেকর্ড থেকে দেখা যায়, Homo গণের� বিভিন্� প্রজাত� উৎপত্ত� ঘটেছ�, একটি প্রজাত� ছাড়� বাকিরা বিলুপ্� হয়ে গেছে� আর আমাদের জন্য রেখে গেছে ফসিল � জি�-তাত্ত্বি� প্রমাণ� অন্যান্য প্রজাতির প্রাণীদে� ফসিল খুঁজ� পাওয়া রীতিমত� দুঃসাধ্য হলেও এপ বা নরমানবদে� ফসিলের ক্ষেত্রে ব্যাপারট� হয়ে দাঁড়িয়েছ� উল্টো। বিজ্ঞানীরা Homo গণের অন্তর্ভুক্� প্রজাতিগুলোর এত� বেশি-সংখ্যক ফসিল খুঁজ� পেয়েছেন যে তাদে� আলাদ� করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে� এস� নিয়� লেখক এই অধ্যায়ে মানুষে� বিবর্তনে� রূপরেখ� তুলে ধরেছেন বিস্তারিতভাবে। প্রাসঙ্গিক ছবিগুল� পড়া� আনন্� বাড়িয়ে দেবে কয়ে� গুণ।


ডারউইনের বিবর্তনবাদ � প্রাকৃতি� নির্বাচন তত্ত্বকে বল� যায় এক ধরনে� Paradigm shift � স্বাভাবিকভাবেই যেকোনো বিপ্লবাত্ম� ধারণাকেই সমাজ� প্রতিষ্ঠ� পাবা� জন্য লড়ত� হয� দীর্� লড়াই। সে লড়াইয়ে জয়ী হয়ে বিবর্তনবাদ এখ� বৈজ্ঞানি� মহলে সুপ্রতিষ্ঠিত।যদি� সাধারণ জনমানস� এখনো অনেকটা� অপাংক্তেয় রয়ে গেছে� সৃষ্টিতত্ত্ব-বাদীরা� বস� নেই। তারা বিজ্ঞানে� মোড়কে হাজি� করছে নানা ছদ্ম-বিজ্ঞা�, যা দিয়� বিভ্রান্� কর� হচ্ছ� মানুষকে। সম্প্রতি নতুন এক আর্গুমেন্ট � মহলে জনপ্রিয়তা পেয়েছ�, যা� না� বুদ্ধিদীপ্� অনুকল্� বা ইন্টেলিজেন্ট আইডি� এই ইন্টেলিজেন্ট আইডি দিয়� সৃষ্টি-তাত্ত্বিকর� কী বুঝাতে চা�, তাদে� কী কী ধরনে� দাবি আছ� এব� সর্বোপরি তাদে� দাবি� অসারতা প্রমাণ করেছেন লেখক তাঁর বইয়ের দশ� অধ্যায়ে� � বিষয়ে বাংল� ভাষায় সম্ভবত এট� প্রথ� লেখা� এই অধ্যায়ট� বন্য� আহমে� এব� বিজ্ঞা�-লেখক অভিজিৎ রায় যৌথভাব� লিখেছেন। আর তাছাড়� পরিশিষ্ট� বিবর্ত� সম্পর্কে প্রচলি� নানা ভু� ধারণাগুলোর যুক্তি খণ্ড� কর� হয়েছে� � অংশট� বিবর্ত� বিষয়ক যেকোনো বিতর্ক� বিশেষভাব� কাজে লাগব� বলেই আমার ধারণা।


আমাদের দেশে প্রচলি� বিজ্ঞানভিত্তিক বইয়ের ভাষা সাধারণ� খু� কঠিন হয�, আর নয়ত� পাঠকদে� বুঝাতে গিয়� একেবারেই তর� একটি ভাষা সৃষ্টি কর� হয়। আম� আনন্দে� সাথে লক্ষ্য করেছ� যে, বিষয়বস্তু� গুরুত্� বিচা� কর� লেখক তাঁর ভাষায় গাম্ভীর্� যেমন বজায� রেখেছে� তেমন� এক� সাথে রক্ষ� করেছেন প্রাঞ্জলতা� � এক বিরল গুণ। এজন্� লেখককে অভিনন্দন জানাতে হয়। আর বিজ্ঞা� বিষয়ক টার্মগুল� এমনভাব� ব্যবহা� কর� হয়েছে যাতে মাধ্যমিক পড়ুয়� শিক্ষার্থী� এত� কামড� বসাত� পারে� বিজ্ঞা�-বিষয়ক বইয়� যেমনটা আশ� কর� হয� যে, প্রচুর প্রাসঙ্গিক ছব� থাকব�, � বইয়েও ঠি� তেমনটি� আছে। বইয়ের শেষে যুক্� হওয়� কালা� প্লেটগুল� যে� বাড়তি পাওয়া� বিজ্ঞানে আগ্রহী পাঠকদে� জন্য এট� অবশ্যপাঠ্য একটি বই� বইটি যেকোনো রেটি� � দশ� দশ পাবা� মত� যোগ্য।
Profile Image for Mukid.
148 reviews1 follower
December 6, 2022
অভিয��জন বা Evolution নিয়� এখ� পর্যন্� বাংলায� লিখা সবচেয়� তথ্য নির্ভর বই�
Profile Image for Raihan আবীর.
Author2 books52 followers
March 25, 2013
আমার অত্যন্� প্রিয় তো বটেই, বিবর্তনে� পথ ধর� বাংল� ভাষা� অন্যতম সেরা বিজ্ঞা� বিষয়ক বই�
Profile Image for Azim Uddin.
1 review
June 12, 2017
এই বইটা পড়া� পর মন� হয়েছে এই বইটা আগ� পড়ল� অনেক ভা� মত, যদিও তখ� আমার মন এট� নিতে পারত কিনা সে প্রশ্ন রয়ে� যায়� বাংল� ভাষায় এত সুন্দরভাবে আধুনিক বিজ্ঞানে� উপ� লেখা সুখপাঠ্য বই আম� আর পড়িনি (বইটি আম� এক বসায� শে� করেছ�)� ধাপে ধাপে, গল্পের সাহায্যে তিনি বিবর্তনে� দিকগুল� ব্যখ্য� করেছেন� আমার আগ� বিবর্ত� সম্পর্কে ধারণ� ছি� অনেকটা ল্যামার্কীয়, যেমন উঁচু গাছে� পাতা খাওয়া� জন্য জিরাফে� গল� লম্ব� হয়েছে� সেটা যে ভু� ছি�, ডারউইনিজ� যে সে কথ� বল� না সেটা COSMOS থেকে� জানলেও এখান� উদাহরণের সাথে ব্যখ্য� কর� হয়েছে� সবচেয়� বড� কথ� হল বিবর্তনবাদ যে প্রাণে� উদ্ভ� নিয়� কথ� বলেন�, বর� আদ� পূর্বপুরুষ থেকে সক� প্রজাতির উদ্ভবে� কথ� বল� এই ধারণাই আমার ছি� না (Origin of Species, not Origin of Life)� তারপ� আর� অনেক বিষয� নিয়� প্রশ্ন ছি�, কিভাবে প্রজাত� থেকে প্রজাতিত� ক্রোমোজোমে� সংখ্যা ভিন্� হয�, চোখে� সামন� বিবর্ত� ঘটছে কিনা, মিসি� লিঙ্কগুল� কোথায়, ফসিল কতটা বিশ্বাসযোগ্য এস� বিষয� নিয়েও অনেক কথ� বল� হয়েছে� বিবর্তনবাদকে কে� এত সমালোচনা� মুখোমুখি হত� হয�, এর সামাজি� প্রভাব� কতটু�, � সম্পর্কে আলোচনা করেছেন� বিবর্তনে� পদ্ধতি নিয়� বিতর্কের সাথে বিবর্ত� ঘটেছ� কিনা এই বিতর্কের কো� মিলই যে নে� সেকথাও উল্লেখ করেছেন� পুরো বইটা অসংখ্য রেফারেন্সে ভর্তি। মানুষে� বিবর্ত� নিয়েও অনেক কথ� বল� হয়েছে, তব� এখান� বইয়ের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। বইটি আর� দশ বছ� আগ� লেখা, কিন্তু তারপ� Homo sapiens এর বিবর্ত� নিয়� আর� অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বে� হয়ে এসেছ�, যেটা বইতে উল্লেখিত পদ্ধতি� চেয়� আলাদা। তারপরে�, এট� বিজ্ঞা�, যা যুগে যুগে সমৃদ্ধ হয�, কো� স্থিতিশী� গঠ� নয়। সবশেষে বিবর্ত� নিয়� অনেক ভু� ধারণাক� ব্যখ্য� কর� হয়েছে (বলতে লজ্জ� নে�, আমার� ছি� এরকম কিছু)� সব মিলিয়� দারু� একটি বই।এ� বইটা পড়া� পর মন� হয়েছে এই বইটা আগ� পড়ল� অনেক ভা� মত, যদিও তখ� আমার মন এট� নিতে পারত কিনা সে প্রশ্ন রয়ে� যায়� বাংল� ভাষায় এত সুন্দরভাবে আধুনিক বিজ্ঞানে� উপ� লেখা সুখপাঠ্য বই আম� আর পড়িনি (বইটি আম� এক বসায� শে� করেছ�)� ধাপে ধাপে, গল্পের সাহায্যে তিনি বিবর্তনে� দিকগুল� ব্যখ্য� করেছেন� আমার আগ� বিবর্ত� সম্পর্কে ধারণ� ছি� অনেকটা ল্যামার্কীয়, যেমন উঁচু গাছে� পাতা খাওয়া� জন্য জিরাফে� গল� লম্ব� হয়েছে� সেটা যে ভু� ছি�, ডারউইনিজ� যে সে কথ� বল� না সেটা COSMOS থেকে� জানলেও এখান� উদাহরণের সাথে ব্যখ্য� কর� হয়েছে� সবচেয়� বড� কথ� হল বিবর্তনবাদ যে প্রাণে� উদ্ভ� নিয়� কথ� বলেন�, বর� আদ� পূর্বপুরুষ থেকে সক� প্রজাতির উদ্ভবে� কথ� বল� এই ধারণাই আমার ছি� না (Origin of Species, not Origin of Life)� তারপ� আর� অনেক বিষয� নিয়� প্রশ্ন ছি�, কিভাবে প্রজাত� থেকে প্রজাতিত� ক্রোমোজোমে� সংখ্যা ভিন্� হয�, চোখে� সামন� বিবর্ত� ঘটছে কিনা, মিসি� লিঙ্কগুল� কোথায়, ফসিল কতটা বিশ্বাসযোগ্য এস� বিষয� নিয়েও অনেক কথ� বল� হয়েছে� বিবর্তনবাদকে কে� এত সমালোচনা� মুখোমুখি হত� হয�, এর সামাজি� প্রভাব� কতটু�, � সম্পর্কে আলোচনা করেছেন� বিবর্তনে� পদ্ধতি নিয়� বিতর্কের সাথে বিবর্ত� ঘটেছ� কিনা এই বিতর্কের কো� মিলই যে নে� সেকথাও উল্লেখ করেছেন� পুরো বইটা অসংখ্য রেফারেন্সে ভর্তি। মানুষে� বিবর্ত� নিয়েও অনেক কথ� বল� হয়েছে, তব� এখান� বইয়ের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। বইটি আর� দশ বছ� আগ� লেখা, কিন্তু তারপ� Homo sapiens এর বিবর্ত� নিয়� আর� অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বে� হয়ে এসেছ�, যেটা বইতে উল্লেখিত পদ্ধতি� চেয়� আলাদা। তারপরে�, এট� বিজ্ঞা�, যা যুগে যুগে সমৃদ্ধ হয�, কো� স্থিতিশী� গঠ� নয়। সবশেষে বিবর্ত� নিয়� অনেক ভু� ধারণাক� ব্যখ্য� কর� হয়েছে (বলতে লজ্জ� নে�, আমার� ছি� এরকম কিছু)� সব মিলিয়� দারু� একটি বই�
Profile Image for Ashis Saha.
103 reviews23 followers
September 9, 2021
বাংলায� বিজ্ঞানে� উপ� সবচেয়� সেরা বই, কিংব� কম কর� বললে� অন্যতম সেরা বই� বাংলাভাষী সক� বিজ্ঞানমনষ্কদে� জন্য অবশ্� পাঠ্য। তা� বল� আবার পাঠ্যবইয়ে� মত� নিরস ভাবল� মারাত্মক ভু� হবে। � বইয়ের এর অন্যতম বৈশিষ্ট্� হচ্ছ� � গল্প বলার ঢং� শুরু থেকে� পাঠককে টেনে নিয়� যায় গল্পের মধ্য�, শে� অবধি ধর� রাখে গল্পের মধ্যে। বৈজ্ঞানি� পারিভাষি� শব্দের কপচানি বলতে গেলে নে�-�, যেটুকু আছ� সেটুকু� সহ� ভাষায় বল� নেয়� হয়েছে ব্যবহারে� আগে।

� বইয়� আমার মুগ্ধতার পেছন� সম্ভবত� সবচেয়� বড� কারণ 'সামগ্রিকতা'� কেবল একটা দি� থেকে নয�, বর� ফসিলবিদ্যা, ভূতত্ত্ববিদ্যা, জেনেটিক্� সহ বিজ্ঞানে� অন্যান্য শাখা� যে বিবর্তনে� পক্ষ� সংহত� প্রকাশ কর�, তা পরিষ্কারভাবে বুঝিয়� দেয়� হয়েছে� এই সামগ্রিকতা� মাধ্যম� শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত বিবর্তনতত্ত্বক� যে ঠুনক� যুক্তিতে অস্বীকা� করার উপায� নে�, তা পাঠক উপলব্ধ� করতে পারে তীব্রভাবে।
Profile Image for Dip Chowdhury.
1 review3 followers
September 14, 2016
আবালবৃদ্ধবনিতা � সে� সাথে বিবর্তনজ্ঞান বলতে যাদে� দৌড় 'বানর থেকে মানু�' পর্যন্� তাদে� জন্য বাংল� ভাষায় চমৎকার বই� বইয়ের সহ�, সাবলী� ভাষা� লেখা যেকো� বয়সের পাঠকের জন্য সহজবোধ্য� বইয়ের সূচীপত্র সাজানো� দিকে আরেকটু নজ� দিলে ভালো হতো। বইয়� মূলত বিভিন্� উদাহরণ � প্রশ্নোত্তরে� মাধ্যম� বেশিরভাগ বিষয� আলোচনা কর� হয়েছে� জি� মিউটেশ�, ক্রোমোজো� মিউটেশ�, ডিএন� রেপ্লিকেশন, জেনেটি� ড্রিফট, আইসোলেশন ইত্যাদ� মৌলি� বিষয়ে� বিস্তারি� ব্যাখ্যা দরকা� ছিলো�
Profile Image for Ismail Hassan.
2 reviews12 followers
May 24, 2013
I am truly grateful to the writer. This book just changed my way of thinking. To be honest, it literally changed my life.
Profile Image for Mahmudur Rahman.
11 reviews2 followers
June 5, 2020
আমার পড়া বিবর্ত� নিয়� সব থেকে বাজে বই কিন্তু বাংল� ভাষায় এই বাজে গুলোরই যে বড্ড অভাব�
3 reviews2 followers
January 28, 2015
ডারউইন : বিশ্বে � মহাবিশ্ব�
দ্বিজে� শর্ম�




আম� অনেক দি� থেকে� প্রকৃত� � পরিবেশ নিয়� লিখছি। যখ� শুরু করেছিলাম তখ� এক� ছিলাম। এখ� অনেকেই লিখছেন� কে� কে� আমার লেখায় অনুপ্রাণিত হয়ে থাকবেন এব� তাতে আম� আনন্দিত। কেনন� সবাই নিজে� কাজে� ফল দেখত� চান। একসময় ডারউইন � বিবর্তনবাদ নিয়েও অনেক লিখেছি; শুরু বিশ্ববিদ্যালয়� ছাত্রজীবন থেকে� আমরা সেখানে পড়েছি বিবর্তনবাদের ঢাউস সব বই এব� ইংরেজিতে� পর� কর্মজীবন� কলেজ� ডারউইন � তাঁর তত্ত্ব পড়িয়েছ� এব� আশ� করেছ�, আমার পাঠদান বা বই পড়ে কে� উদ্বুদ্ধ হয়ে � বিষয়ে প্রবন্� � বইপত্র লিখবেন� কেনন� বিষয়টির পরিস� বিজ্ঞানে� ক্ষেত্� অতিক্র� কর� দর্শ�, সমাজতত্ত্ব, রাজনীতি, সাহিত্যস� মানববিদ্যা� প্রায় সব শাখায়� বিস্তৃত। কিন্তু আমার সে� আশ� পূরণ হয়নি। ইদানী� উচ্চ মাধ্যমিক থেকে ডারউইনবা� বা� পড়েছে, বদলি হিসেবে এসেছ� জীবপ্রযুক্তিবিদ্যা� কে� এই পরিবর্তন জানি না, তব� ডারউইনবাদে� প্রত� আদ্যিকালের অনীহা যদ� কারণ হয়ে থাকে, তব� বলতে� হয�, পরিকল্পকের� ভু� করেছেন� কেনন� জীবপ্রযুক্তি আসলে ডারউইনবাদেরই সম্প্রসারণ, খোদা� ওপ� খোদকারির জ্বলন্� দৃষ্টান্ত। আমার কর্মজীবনের গোড়ার দিকে� ছাত্রর� এখ� অবসর নিয়েছেন, তাঁর� আমাক� জানিয়েছেন, কলেজ� জীববিদ্যার অনেক শিক্ষক নাকি ডারউইনবা� পড়াতে চা� না, কিংব� পড়ালে� শুরুতে� ছাত্রদের এই তত্ত্বটি বিশ্বা� না করতে বলেন� অথ� পাকিস্তানি জামানায় আমরা ডারউইনবা� পড়েছি� আমাদের কোনো শিক্ষক এম� কথ� বলেননি� বর� তাঁর� এই তত্ত্বের যথার্থতা প্রমাণের চেষ্টা� করেছেন� তাঁর� কে� নাস্তি� ছিলে� না� ডারউইনের সহযোগী সমর্থকেরাও (লায়েল, হুকা�, ওয়ালে� প্রমুখ) প্রায় সবাই ছিলে� ধার্মিক। তাহল� আমাদের এই পশ্চাদ্গতি কে�? উত্তরট� আমাদের শিক্ষাপরিকল্পকের� জানত� পারেন।


ডারউইনবিষয়ক আমার প্রথ� বই ডারউইন: পিতামহ সুহৃ� সহযাত্রী� বেরোয় ১৯৭৫ সালে� তারপ� আর� দুটি� আমার বন্ধ�, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপ� �. আখতারুজ্জামা� যিনি বিবর্তনবিদ্য� (১৯৯৮) নামে� একটি মৌলি� পাঠ্যবইয়ে� লেখক � ডারউইনের অরিজিন অব স্পেসি� (প্রজাতির উৎপত্ত�, ২০০০) গ্রন্থের অনুবাদক। তিনি এক সভায� দুঃখ কর� বলেছিলেন, গোটা কর্মজীবনটা� ছাত্রছাত্রীদে� বিবর্তনবাদ পড়িয়� কাটালে�, অথ� আজ� তারা বল�, প্রজাত� সৃষ্টি হয়েছে, উৎপন্ন হয়নি। আম� অতঃপ� ধরেই নিয়েছিলাম, আমাদের সব চেষ্টা� ব্যর্থ, দে� উল্ট� পথ� চলছে� ভুলট� ভাঙল অকস্না�, মার্কি� মুলুকে� তি� বাঙালি� লেখা বিবর্তনবিষয়� দুটি বই হাতে এলে। আর� বিস্নয়ে� ব্যাপা�, তাঁদের দুজন প্রকৌশলী, একজন সমাজবিজ্ঞানী� আম� অভিভুত � আনন্দিত। তাঁর� কেউই আমার বই পড়েনন�, আমার প্রভাববলয়ের মানুষও নন, কিন্তু তাঁর� নিশ্চি� আমার উত্তরসুরি। তাঁর� বাংলাদেশ� পড়াশোনা করেছেন; দেশে� পরিস্থিত� সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল� তব� তাঁদের জন্য সম্ভবত আমেরিকায� একটি ‘শক� অপেক্ষিত ছি�, আর তা হল�, জ্ঞানেবিজ্ঞানে অত্যুন্ন� একটি দেশে বিদ্যমান পশ্চাৎমুখিনত�, সমাজের একটি অগ্রসর অংশে� বিবর্তনবাদ তথ� ডারউইনবিরোধিতা� ব্যাপারট� আসলে ওই দেশে� পুরোনো ব্যাধি� অনেক বছ� আগ� স্কুলে বিবর্তনবাদ পড়ানো নিয়� এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামল� হয�, শাস্তি হয়। শেষে তিনি মুক্তি� পা� এব� � নিয়� নাটক লেখা � চলচ্চিত্� নির্মি� হয়। কিন্তু সব� এখ� ইতিহাস�

সৃষ্টিতত্ত্বেও বিশ্বাসে� এই ধারা যে আজ সেখানে আইডি (ইনটেলিজেন্� ডিজাইন) নামে একটি নতুন তত্ত্বের আশ্রয়� বে� পাকাপোক্� হয়েছে এব� স্কুলে বিবর্তনবাদের পাঠদান� বাধা সৃষ্টি করছে বিভিন্� স্কু� বোর্�, অভিভাব� � সৃষ্টিবাদী গোষ্ঠীরা, সে� খবরট� জানা� আমার আরেক বন্ধ�, যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়� রাজ্যে� মিয়াম� বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিদ্যার অধ্যাপ� জ্ঞানেন্দ্� কুমা� ভটাচার্য � তিনি আর� জানা�, তাঁর� তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়� সমস্যাটি মোকাবিলা� জন্য স্কু�-শিক্ষকদে� সামা� কোর্সে বিবর্তনবিদ্যার প্রশিক্ষ� দিচ্ছে�, ডারউইনবাদে� পক্ষ� ক্লাসিক্যা� সাক্ষ্যপ্রমাণে� সঙ্গ� বংশানুবিদ্যা� অধুনাত� আবিষ্ককারগুল� শেখাচ্ছেন। এবার মূ� প্রতিপাদ্য� ফেরা যাক। যে দুটি বইয়ের কথ� বলেছিলাম সেগুলো হল� বিবর্তনে� পথ ধর� এব� মহাবিশ্ব� প্রা� � বুদ্ধিমত্তার খোঁজ�; লিখেছে� যথাক্রমে বন্য� আহমে� এব� অভিজিৎ রায় � ফরিদ আহমে�; প্রকাশকা� ফেব্রুয়ার� ২০০৭, প্রকাশ� ঢাকা� অবসর�

দুটি বই পরস্পর সম্পুরক। প্রথমটির প্রধান আলোচ্য বিবর্তনবাদ, দ্বিতীয়টি� প্রাণে� উৎপত্তি। সম্ভবত তাঁর� পরস্পর ঘনিষ্ঠ এব� প্রকল্পট� যৌথ। তাতে আমাদের লাভই হল�, একত্রে জানা গে� পৃথিবীতে প্রাণে� উৎপত্ত�, বিবর্ত� এব� গ্রহান্তরে প্রাণে� উৎপত্ত�, বিকা� � সভ্যতা� সম্ভাব্যতা নিয়� বিস্তারিত।

দুটি বই� তথ্যসমৃদ্ধ, আধুনিক আবিষ্ককারে� নানা সহযোগী সাক্ষ্যে ভরপুর। বিবর্তনে� পথ� বইয়ের লেখক বিশে� গুরুত্� দিয়েছেন বিবর্তনে� সাক্ষ্� প্রমাণের ওপ� এব� নৃতত্ত্ব�, বিশেষত মানুষে� উৎপত্ত� বিষয়ে� এট� সহজবোধ্য, কেনন� আমরা যদিওবা জীববিবর্তনের সত্যতা স্বীকারও কর�, কিন্তু অভিন্ন ধারায় মানুষে� উৎপত্ত� মানত� রাজি নই� মানুষে� সঙ্গ� বানরসদৃশ বন্যজীবে� আত্মীয়তা স্বীকারে আমাদের অপার লজ্জা। অথ� বিশ্বখ্যাত জীববিজ্ঞানী � লেখক গেলর্ড সিস্পস� এই সহ� সত্যটি বোঝাতে বলেছেন যে, আমাদের পূর্বপুরুষ খুঁজতে বাইর� চো� মেলে তাকানো� যথেষ্ট� কিন্তু সেখানে� যত ঝামেলা� স্বয়ং ডারউইন, আমরা সবাই জানি, প্রজাতির উৎপত্ত� (১৮৫৯) লেখা� পর অনেক চা� সত্ত্বেও মানুষে� উৎপত্ত� (১৮৭১) লিখেছে� আর� বারো বছ� পর� আর রাচে� ওয়ালে�, যিনি প্রজাতির উৎপত্তিতত্ত্বে� অন্যতম শরিক, তিনি� মানুষে� উৎপত্তিত� প্রাকৃতি� নির্বাচনের বদলে আইডিকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন� আসলে এট� আমাদের একটা দৃঢ়বদ্ধ সংস্কা� এব� তা থেকে মুক্তি সুকঠিন� বন্য� সমস্যাটি ভালো� বোঝে�, যে জন্য মানব বিবর্তনক� সর্বজনগ্রাহ্� করার জন্য প্রদত্� বিবরণে� সঙ্গ� হাজি� করেছেন প্রচুর ছব�, আমাদের মানবসদৃশ পূর্� পুরুষদের সম্ভাব্য দেহকাঠাম� � নানা চার্ট। বইতে আইডি তত্ত্বের সমর্থকদে� কার্যকলাপে� বিস্তারি� আলোচনা আছে।

ইউরোপে এট� নে�, অথ� আমেরিকায� আছ�, সে এক রহস্য। আমেরিক� কি তাহল� ইউরোপীয় ঐতিহ্যের সম্প্রসারণ নয�, কিংব� আমেরিকার ইতিহাসের এম� কোনো দুর্বলতা আছ�, যেজন্য সেখানে এম� পশ্চাৎপদতা স্থা� কর� নিতে পেরেছে? নাকি সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বদাত� � দেশে� এখ� আত্মিক অবক্ষয� শুরু হয়েছে? বন্যাও তা� ভাবছেন� যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বাস্ত�-চারিত্র্যও অন্যতম কারণ হত� পারে�

পাঠকদে� সুবিধা� জন্য বইয়ের অধ্যায়গুলোর না� উল্লেখ করছি, কেনন� বিস্তারি� আলোচনা� অবকা� এখান� নে�:
এলাম আমরা কোথা থেকে?, বিবর্তনে প্রাণে� স্পন্দ�, অনন্� সময়ের উপহা�, চোখে� সামনেই বিবর্ত� ঘটছে!, ফসিল এব� প্রাচী� উপাখ্যানগুলো, ফসিলগুলো কোথা থেকে এল, এই প্রাণে� মেলা কত পুরোনো?, মিসি� লিঙ্কগুল� আর মিসি� নে�, আমাদের গল্প, ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন: সৃষ্টিতত্ত্বের বিবর্ত�, যে গল্পের শে� নে�, বিবর্তনতত্ত্� সম্পর্কে প্রচলি� ভু� ধারণাগুলো। এস� না� থেকে� স্পষ্ট যে বন্যার বইটি শুষ্কক� কাষ্ঠং নয�, অত্যন্� সহজবোধ্য শৈলীতে সুললিত ভাষায় লেখা�

মহাবিশ্ব� প্রা� � বুদ্ধিমত্তার খোঁজ� বইটি পড়ত� পড়ত� মন� হচ্ছিল, আমরা যখ� কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়� পড়েছি, সে� পঞ্চাশের দশকে, এম� কোনো বই বাংলায� ছি� না� বন্যার মত� আমিও দেবীপ্রসাদের জনপ্রিয় বিজ্ঞানলহরী পড়েছি� আর ইংরেজি পেপারব্যাক, সে� সহজলভ্� ছি� না� ওপারিনের হোয়াট ইজ লাইফ পেয়েছ� অনেক পরে। ওয়াটস� বা ক্রিকর� সৌভাগ্যবান, তাঁর� ছেলেবেলায়� শ্রোডিংগারের বই পড়া� সুযো� পেয়েছেন�

পশ্চিম� বিখ্যা� বিজ্ঞানীরা পাঠ্যব� � জনপ্রিয় বিজ্ঞানে� বই লেখেন। আমাদের দে� তথ� ভারতেও এম� দৃষ্টান্� দুর্লভ� একটি গ্রন্থ একজন মানুষক� অবশ্যই বদলে দিতে পারে; একজন তরুণকে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ কর� দিতে পারে�
তব� এটুকুই যথেষ্ট নয�, চা� অনুকুল পরিবেশ, যা আমাদের নেই। বন্য�, অভিজিৎ, ফরিদ কি দেশে থাকল� এস� বই লিখতেন? আম� ৯৯ ভা� নিশ্চি� যে লিখতেন না�
প্রা� যেহেতু পদার্থের শুষ্কক কাঠখড় দিয়� তৈরি, হয়ত� সে জন্য লেখকের� তাঁদের বইটি শুরু করেছেন মৃত্যু� সজ্ঞার্থ � নানা কৌতুহলজন� কাহিনী দিয়� এব� পর� এসেছেন জড� থেকে জীবন�, জীবনের ধর্ম ব্যাখ্যা এব� শে� পর্যন্� পদার্থবিজ্ঞানী � কেলাসবিদ জেডি বার্নালে� সজ্ঞার্থ�:

"‘জীবন হচ্ছ� একটি অতিজটি� ভৌ�-রাসায়নি� তন্ত্র যা একগুচ্� সুসংহত বা একীভু� � স্বনিয়ন্ত্রিত রাসায়নি� � ভৌ� বিক্রিয়ার মাধ্যম� তা� পরিপার্শ্বের বস্ত� � শক্তিক� স্বীয় বৃদ্ধি� কাছে ব্যবহা� করে।�"

এই পঙ্ক্তিমাল� একটু জটিল বট�, তব� গোটা অধ্যায়ট� এতটা� সহ� � সরলভাব� লেখা যে বিজ্ঞানে� দশ� শ্রেণী� ছাত্রে� পক্ষেও বোঝা কঠিন হব� না� শুধু একটি কে�, গোটা বইটি এভাব� লেখা�

প্রাণে� উৎপত্ত� বিষয়ে ডারউইনের ধারণার একটি উদ্ধৃত� বইতে আছ�, যা আমাদের অনেকের� অজান� এব� সে� সঙ্গ� বিস্নয়করও� ডারউইন তাঁর বন্ধ� ডালট� হুকারক� এক চিঠিতে লিখেছে�: ‘একট� ছো� উষ্ণ পুকুরে বিভিন্� ধরনে� অ্যামোনিয়�, ফসফরিক লব�, আল�, তা�, তড়ি� সবকিছু মিলেমিশে... প্রোটি� যৌ� উৎপন্ন হয়েছে।� অর্থাৎ অজৈব পদার্থ থেকে� জৈ� পদার্থ উৎপন্ন হয়ে প্রাণে� উদ্ভ� � বিকা� ঘটছে� অনুমেয�, গ্রহান্তরে প্রাণে� অস্তিত্ব থাকল� তা� ঘটেছ� এই এক � অভিন্ন প্রক্রিয়ার। পরের ঘটনা আমরা জানি, ওপারিন � হালডেন প্রাণে� সজ্ঞার্থ দে�, ইউরে � মিলা� ডারউইনের ধারণার� যে� বাস্তবায়ন করেন পরীক্ষাগারে অ্যামাইন� এসিডের সংশ্লে� ঘটিয়ে� বইয়ের ৫৮ পৃষ্ঠা পর্যন্� আছ� প্রাণে� উৎপত্তির আলোচনা, বাকি ৫০ পৃষ্ঠায় রয়েছে ভি� গ্রহ� প্রা� � বুদ্ধিমত্তার সন্ধান� এই কাহিনী বড়ই চিত্তাকর্ষ�, গল্পের মতোই সম্মোহক। এত� আছ� কার্� সাগানস� বিজ্ঞানীদে� নানা পরীক্ষা� কথ�, এনরিকো ফার্মি� গোলকধাঁধ�, ড্রেকে� সমীকর�, ইউ এফ � বা উড়ন্ত চাকি ইত্যাদি। বিস্তারি� নিষ্কপ্রয়োজন। বাকিটা পাঠকের জন্য�

পরিশেষ� সে� পুরোনো প্রসঙ্�: বইগুলো� প্রভাব কি ঈপ্সিত ফল ফলাব�, আমাদের ক্ষেত্রে যা ঘটেন�, অন্ত� দৃশ্যত, সেটা কি ওদের ক্ষেত্রে ঘটবে? বইগুলো কি নতুন প্রজন্� লুফে নেবে? আম� নিশ্চি� নই, কেনন� আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অবক্ষয়ে� চর� সীমায় পৌঁছেছে। শিক্ষকের� বাইরের বইয়ের খোঁজ রাখে� না, ছাত্রর� কোচিংয়ে� ঘুর্ণাবর্ত� দিশেহারা� এই তরুণ লেখকদে� তব� আশ� না হারাতে বলি। তাঁদের যেতে হব� অনেক দু�, মাইল� টু গো... এব� বিঘ্নসংকুল পথে।

বিবর্তনে� পথ ধর�; বন্য� আহমে�; ফেব্রুয়ার� ২০০৭; অবসর, ঢাকা; প্রচ্ছ�: প্রতী� ডট ডিজাইন; ২৫� পৃষ্ঠা; ৩৫� টাকা�

মহাবিশ্ব� প্রা� � বুদ্ধিমত্তার খোঁজ�; অভিজিৎ রায় � ফরিদ আহমে�; ফেব্রুয়ার� ২০০৭; অবসর, ঢাকা; প্রতী� ডট ডিজাইন; ১১� পৃষ্ঠা; ১৩� টাকা�


জু� ২৯, ২০০৭ �
Profile Image for Rizwanur Rahman.
39 reviews7 followers
September 4, 2023
রিচার্� ডকিন্স/ফুটুয়িমাদেরকে গুরু মেনে বিবর্তনবাদ নিয়� লেখা আর আসলে� বিবর্তনবাদ নিয়� আগ্র� থেকে বিবর্তনবাদ নিয়� লেখা� মধ্য� পার্থক্য আছে। লেখা� মধ্য� খামাখা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আর সামাজি� আচার-প্রথাক� টেনে এন� প্রগতিশী� উগ্রতা প্রকাশের কো� দরকা� ছি� না� বইটা শেষমেশ কিছু� হয়ন�- এত� না আছ� পরিপূর্ণ নৃতত্ত্ববিদ্যা বা দর্শ�, না আছ� পরিপূর্ণ বিবর্তনবাদ, না আছ� জীববিজ্ঞান অথবা ভূতত্ত্ববিদ্যা, আর না আছ� পরিপূর্ণ ইতিহাস� সব মিলিয়� জগাখিচুড়ি� মাস্টারপিস�

সাধুবা� এজন্যে� কেবল প্রাপ্� যে, বাংলাভাষায� বই নে� তেমন এই বিষয়ে- তিনি অন্ত� সাহস করেছেন এব� এফোর্ট দিয়েছেন এরকম একটা বই প্রকাশের জন্য� (এফোর্ট আসলে লেখিকা মাত্রাধী� দিয়েছেন- নিঃসন্দেহে অনেক পড়াশোনা-জানাশোনা আছ� তাঁর)

২০২৩ সালে বইয়ের অনেক তথ্য আউটডেটেড- একটা উদাহরণ দেয়� যায় যে নিয়ানডারথাল প্রজাতিক� এখ� হোমিনি� এর বাইর� ধর� হয� না, নিউক্লিয়াসে� ডিএন� এনালিসিসের পর হোমো স্যাপিয়েন্সের সাথে নিয়ানডারথালের �% মি� পাওয়া গেছে� আগ� ডিএন� এনালিসিস হত� মাইটোকন্ড্রিয়� থেকে এক্সট্রাক্� কর�, যেটা কিছু অংশে ত্রুটিযুক্�- আধুনিক প্রযুক্তিত� এখ� ডিএন� এনালিসিস নিউক্লিয়া� থেকে এক্সট্রাক্� কর� কর� সম্ভব। এখান� অবশ্� লেখিকা� দো� নে�, উন� যখ� লিখেছে� তখনো এই রেজাল্� বে� হয়নি। উল্লেখ করলা� এজন্যে� যে- এই বইকে এবসোলুইট রেফারেন্� না ধরাই শ্রেয়�

পরিশেষ� দুটো কথ�- বিবর্তনবাদ নিয়� লেখা� জন্য� ধর্মকে আক্রমণ করার প্রয়োজন নে�, যদ� প্রয়োজন হয� সেটা� জন্য� আলাদ� দর্শনে� বই লেখা উচিৎ� 'বৈজ্ঞানিকভাব� প্রমাণিত' অথবা 'বিজ্ঞা� দিয়� ব্যাখ্যা কর� হয়েছে' অথবা 'বিজ্ঞানে� সব আবিষ্কার একবাক্যে বিবর্তনে� পক্ষ� রায় দিয়� দিচ্ছে' এরকম কথ� এতবা� এসেছ� যে পড়ত� ক্লান্তি লাগে- এগুল� হচ্ছ� জোড়াতাল� দিয়� শে� কর� দেয়ার মত�, বিজ্ঞা� বলেছ� তা� সঠিক! কিন্তু কে� সঠিক এট� পাঠককে না বোঝাতে পারল� বিজ্ঞা� তখ� একটা ধর্মের মত� বিশ্বা�-ব্যবস্থা হয়ে দাঁড়াবে, যেটা বো� কর� বইটি লেখা� উদ্দেশ্যের� ১৮� ডিগ্রি বিপরীত। বিবর্ত� কি সেটা প্রাঞ্জল ভাষায় এখান� ব্যাখ্যা কর� হয� নি, একগাদা তত্ত্ব টেনে আন� হয়েছে কো� ফ্লো ছাড়�, যেমন 'অনন্� সময়ের উপহা�'� কে� যদ� বলতে পারে� যে তিনি এই চ্যাপ্টা� পড়ে ন্যাচারা� সিলেকশনে� বেসিক্� ঠিকঠাক বুঝেছে� তাইল� আম� আমার কথ� ফিরিয়� নেব। এই বই থেকে বড়জোর একটা স্কিমড আইডিয়� পাওয়া যাবে, এব� আবার বলছি যা পাওয়া যাবে তা একটা পূর্ণাংগ জগাখিচুড়ি- বাজেভাবে লেখা বৈজ্ঞানি� জার্নালগুলোর ইন্ট্রোডাকশন পার্� এরকম হয়। আর বিজ্ঞানমনস্ক করার জন্য� ধর্মকে আক্রমণ কর�- যেটা এই বইয়ের অন্যতম উদ্দেশ্যরূপে প্রতীয়মা� ('ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন' চ্যাপ্টা� থেকে পরিষ্কারভাবে বোঝা যাবে) সেটা পুরোপুরি অপ্রাসাঙ্গিক� বিবর্তনবাদ প্রাঞ্জলভাবে পাঠকের কাছে তুলে দিতে পারল� পাঠক� সিদ্ধান্� নিতে পারব� কোনট� সঠিক আর কোনট� নয়। জো� কর� গেলাতে গেলে কোনকিছ� যে ভালো যে হয� না সেটা উল্লেখ কর� অবান্ত�- এখ� যে সমাজ� বিবর্ত� নিয়� আলোচনা� বন্ধ হয়ে গেছে সে� দায় এনাদের উপরও বর্তায়।
8 reviews
March 24, 2023
বাংল� ভাষায় বিবর্ত� নিয়� একটা কমপ্লি� প্যাকেজ।
বইটা� মধ্য� প্রধান� আছ� পৃথিবী� জীবজগত� বিবর্ত� এর বিভিন্� প্রমাণ� মাটি খুড়� পাওয়া বিভিন্� পর্যায়ে� বিভিন্� প্রাণী� ফসিল থেকে প্রমাণ পাওয়া যায়,প্রাণীজগ� সবসময় একইরকম ছি� না� তারা ধীরে ধীরে পরিবর্তি� হয়েছে� কয়ে� হাজা� জেনারেশন পরের প্রাণী� সাথে হাজা� জেনারেশন আগের প্রাণী� দে� গঠনে অনেক পার্থক্য খুজে পাওয়া যায় ফসিল বিশ্লেষণ করে।
ফসিল ছাড়� জেনেটিক্� � � সম্পর্কে তথ্য খোজা� একটা ভা� মাধ্যম� প্রাণীদে� জি� বিশ্লেষণ কর� দেখা যায় তাদে� অতী� ইতিহাস, কো� কো� প্রাণী� সাথে তাদে� কতটুকু মি� আছ�, কে তা� আপ� ভা�, কে খালা� ভা�, কে দূরসম্পর্কের গ্রামে� চাচা� ভা� আর কে আদ� পূর্বপুরুষ� �
টেকনিকাল এই আলোচনা বাদে� অনেক নন টেকনিকাল আলোচনা আছে। বিবর্ত� তত্ত্ব নিয়� যে সক� রাজনীতি হয়েছে, বিবর্ত� তত্ত্ব বিরোধী ইন্টেলিজেন্স ডিজাইন তত্ত্ব কিংব� ডিসকভা� ইন্সটিটিউট এর ষড়যন্ত্� নিয়� দীর্� আলোচনা হয়েছে� বিবর্ত� নিয়� আমেরিকার আদালতে যে সক� মামল� হয়েছে ( মাংক� ট্রায়াল, কিংব� লুইজিয়ানা ট্রায়াল) সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারি� আলোচনা রয়েছে� জানত� পারলেম , শত শত বায়োলজি� প্রফেস� লুইজিয়ানা সহ বিভিন্� জায়গায় আদালতে সাক্ষ্� দিয়েছেন যে বিবর্ত� তত্ত্ব সত্য�
বইয়ের শেষে আর� রয়েছে দীর্� একটা FAQ. বিবর্ত� তত্ত্ব নিয়� যা যা প্রশ্ন আস�, এর বিরোধীতাকারীরা যা যা আলোচনা সমালোচনা কর�, সেগুলো� বিস্তারি� জবাব দেওয়া হয়েছে এই চ্যাপ্টারে�
আর� আছ� পৃষ্ঠা� পর পৃষ্ঠা রঙিন ছবি।
বন্য� আহমে� বইটা লিখেছিলে� ২০০৭ সালে� বিভিন্� কারন� বইটা আর রিপ্রিন্� কর� হয়নি। অনলাইন� বইটা� �-বু� সংস্কর� পাওয়া যায়�
Profile Image for Mithun Samarder.
137 reviews4 followers
May 14, 2024
অনেক সুখপাঠ্য একটা বই� প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা বিবর্ত� পাঠ। আমার কাছে বৈঠকী ঢঙ টা ভা� লেগেছে� নিজে� বক্তব্� খু� সুন্দর রেফেরেন্� দিয়� তুলে ধরেছেন� মানুষে� বিবর্ত� আমাদের পূর্� পুরু� নিয়ান্ডারথা� প্রজাত� নিয়েও অনেক কথ� আছে। সাতশ� কোটি বছ� আগ� পৃথিবী ঠান্ডা ���ত� শুরু করার পর থেকে � যাবত নিউক্লিক এসিড তথ� প্রাণে� ভ্রমন। ধর্মাবলম্বী মানুষে� ছয� হাজা� বছরে� পৃথিবী� তুলনামূল� আলোচনা� জন্য ভা� বই� একটা অধ্যায়ে অভিজিৎ রায়ের লে� পেয়� ভা� লেগেছে� আর� বই চা� বন্য� আহমেদে� কাছে�
Profile Image for M.T.Rashid Mouna.
6 reviews4 followers
September 26, 2022
অত্যন্� সাবলী� ভাষায় বিবর্ত� তত্ত্ব ব্যাখ্যা কর� হয়েছে,সদ্য হাইস্কুল� ওঠ� শিক্ষার্থী� পড়ে মৌলি� বিষয়গুল� সম্পর্কে বুঝত� পারবে।চমৎকার একটি বই।এ� বইটি পড়া� পর নোয়াহ ইউভা� হারারি� সাপিয়েন্স ট্রা� কর� যেতে পারে,সেখানে সামাজি� এব� সাংস্কৃতিক বিবর্ত� সম্পর্কে� ধারণ� দেয়� হয়েছে�
Profile Image for Abdullah Zahed.
14 reviews2 followers
April 2, 2020
বিবর্ত� নিয়� অত্যন্� গুরুত্বপূর্ণ একটা বই� খুবই সহজবোধ্য ভাষায় লেখা� বাঙালীদে� বিবর্ত� বোঝা� জন্য এর চেয়� সহ� আর কো� বই আছ� কি না জানি না�
Profile Image for সৈকত.
35 reviews
November 10, 2021
বইতে দেয়� প্রচুর তথ্য� ভুল। প্রোপাগান্ডা মূলক বই� আগ্রহীদে� "হোমো স্যাপিয়েন�: রিটেলি� আওয়ার স্টোরি by Rafan Ahmed" পড়া� অনুরোধ রইল। /book/show/5...
Profile Image for Kausar Hamid Jawad.
17 reviews
September 6, 2022
বাংল� ভাষায় বিবর্ত� / Evolution এর ব্যাসি� জানত� এর চে বেটা� বই সম্ভবত আর একটা� নাই।
Profile Image for Md Tariqul .
9 reviews
March 12, 2023
প্রতিট� মানুষে� বইটি পড়া উচিত
Profile Image for Debashish Chakrabarty.
108 reviews89 followers
May 15, 2021
পু�:পা�

ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্� আর তারপ� পশ্চিম পাকিস্তানে� বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে� মাধ্যম� জাতি রাষ্ট্� অর্জনে� কারণেই হয়ত� আমাদের গলাট� একটু চড়া� সঙ্গ� কারণেই চড়া� এত ত্যা�-তিতিক্ষা-বীরত্বের পর পাওয়া যে দে�, সে দেশে� মানুষে� গলাট� একটু চড়া হবেই� তব� এই চড়া গলার আওয়াজ� প্রায়� ভুলে যা�, স্বাধীনতার ৫০ বছ� পরেও আমরা কতোট� পশ্চাৎপদ জাতি� আমরা ভুলে যা� বিশ্বে� মানচিত্র� জ্ঞা�-বিজ্ঞা�-শিল্�-সাহিত্যে আমদে� অবদা� কত� নগণ্য। আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছ� অন্ত� এট� বলার সুযো� কম যে আমরা শিশু রাষ্ট্র। ৫০ বছরে� মূল্যায়� করতে গেলে হতাশ হতেই পারে� অনেকেই� এখ� এই চড়া গলায� বিবর্তনক� এড়িয়� চলাই যায়� যেমন কর� মধ্য যুগে পশ্চিম� ক্ষমতা কাঠামো এড়িয়� গিয়েছিল সৌ� কেন্দ্রি� বিশ্বজগতের মডেল� রাস্তায় মানুষজনক� হত্য� কর� যায়, যেভাবে হত্য� কর� হয়েছি� রোমে� রাস্তায় ব্রুনোকে - একটু ভিন্নভাব�- জ্যান্� পুড়িয়ে� সেসব হত্যার বিচা� আমরা করতে পারিনি, আমাদের প্রতিও পরবর্তী প্রজন্� সে দৃষ্টিতে� তাকাবে - যে দৃষ্টিতে মানু� আজকে ফিরে তাকায় রোমা� চার্চে� দিকে� যাহো�, বিবর্তনে� মত� দুনিয়াব� বিষয� নিয়� বুনিয়াদ� স্তর� তর্ক করার মত� পরিস্থিত� আজকে� ২০২১ পৃথিবীতে আর উপস্থি� নাই। এত� খুশি� বা অখুশ� হবার� কিছু নাই। আপনি আম� না মানল� পৃথিবী� গোলত্ব না� হচ্ছ� না বা পৃথিবী সূর্যে� চারদিক� ঘোরা বন্ধ করবে না� আর কভিড এর মত� বৈশ্বি� মহামারী� দিনে, বিবর্ত� সম্পর্কি� বৈজ্ঞানি� পরিভাষ�-মিউটেশ�, ভ্যারিয়েন্ট এর মত� শব্দগুলো দৈনন্দিন জীবনের অংশ। মিউটেশ� হচ্ছ� প্রাণে� ক্ষুদ্রত� এককে� পরিবর্তন, ভ্যারিয়েন্ট পরিবর্তিতরূপ� এস� কিছুকে� আজকে আমলে নিতে হচ্ছ� টিকে থাকা� তাগিদে� এমনক� একদম সাধারণ মানুষে� কাছে পৌঁছ� গেছে শব্দগুলো�

এম� পরিইস্থিতে প্রজন্মে� পর প্রজন্� বিবর্তনে� মত� ব্যবহারি� একটা জ্ঞা� হাসি� না করেই বেড়� উঠছে� যেভাবে বেড়� উঠছে যুক্তি শাস্ত্রে� পা� না নিয়ে। এখান� রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ� শেখা� হয� না যে কিভাবে জ্ঞা� আত্মস্� কর� যুক্তি� সাহায্যে জীবন যাপন করতে হয়। কে� কর� হয়ন�, কাদে� এত অনীহা সেটা ভেবে দেখবার সময় হয়ে গেছে� শুধুমাত্� সাম্প্রদায়ি�-মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ বিরোধী আওয়াজ না তুলে বিশ্বব্যাংকে� খবরদারিত� যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুর� কমিশ� কা� কর�, তাদে� দিকে নজ� দেয়ার সময় হয়ে গেছে� বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে যে কর্মীবাহিনী-দাসবাহিনী তৈয়ার করার খামা� গড়ে উঠেছ� সে� দিকে খেয়াল করতে হবে। কে� আমাদের দেশে� প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা করবা� জন্য বিদে� থেকে মাথা ভাড়� করতে হয�, কে� বড� মাপে� প্রতিষ্ঠান চালাবা� মত� দক্ষ জনবল তৈয়ার হচ্ছ� না-খেয়াল করবা� মত� বিষয়। আপনি ঠ্যাটা� মত� গাঁট হয়ে বস� থাকবেন, বিদেশী প্রভুর চক্রান্ত� সামি� হয়ে চাকর উৎপাদন করবে�, তা� ফলাফ� কি তা জানত� হল� বাংলাদেশের দিকে নজ� দিতে হবে।

এখ� বিবর্তনবাদের বিষয়ে বলতে গেলে, আমাদের জাতি হিসেবে কিছুটা সাবালক হয়ে উঠতে হবে। সাবালকত্� এই অর্থ� যে, প্রাইভেট স্পে� এব� পাবলিক স্পেসে� পার্থক্য কর� শিখত� হবে। বিবর্তনে� মত� ব্যবহারি� জ্ঞা� পাবলিক স্পেসে উন্মুক্ত থাকব�-তাতে আপনা� প্রাইভেট স্পেসে নিজে� দর্শ�-বিশ্বা� চর্চাত� কিছু পরিবর্তন আসছে না, পাবলিক স্পেসে যুক্তি-তর্ক-গবেষণা প্রকাশের সুযো� তো আছেই� আর পাবলিক স্পেসে ধর্মচর্চ� করতে কাউক� বাঁধ� দেয়� হচ্ছ� না� বিবর্তনবাদ সম্পর্কে জ্ঞা� আহরণ করলে যে, আপনা� সাথে আপনা� ঈশ্বরে� সম্পর্কে� কো� রকমে� বিচ্ছে� হয� না সেটা বুঝত� হবে।

আবার বিবর্ত� এম� কো� জ্ঞা� না যা� জুজুতে আক্রান্ত হয়ে অতীতে� সব কিছুকে খারি� কর� ফেলত� হবে। এটাও প্রতিক্রিয়াশী� আচরণ� খেয়াল করতে হব�, ধর্ম পরিহার করার বিষয� নয� বর� সময়-বাস্তবতা সাপেক্ষে মানুষে� জীবনের সাথে একাকার হয়ে যাবা� বিষয়। ধর্ম পর্যালোচনা� বিষয়। যুগে যুগে ধর্ম পর্যালোচিত হয়েছে, নতুন কালে� সাপেক্ষে নতুন রূ� পেয়েছে। এই বস্তুর নামই প্রগতি� ধর্ম ঘৃণা� বিষয� না� ধর্মকে ঘৃণা� মাধ্যম� একধাচে� নিম্নশ্রেণী� প্রগতি ঢাকায় প্রতিষ্ঠ� পেয়েছে।

২০০৮ সালে� দিকে বন্য� আহমদের বইটা পড়েছিলাম। আজকে প্রায় ১৪ বছ� পর পড়ত� গিয়� পা� প্রতিক্রিয়া কিছুটা বদলে গেছে সঙ্গ� কারণেই� বাংলাভাষায� বিবর্ত� বিষয়ে একদম শুরু� দিকে� বই হওয়ার কারণ� বে� কিছু শিথিলত�-পুনরাবৃত্ত� তো আছেই তাছাড়� নতুন জ্ঞানে� আগমনের কারণ� কিছুটা তুল্যমূল্য� হারিয়েছে। তব� এর কো� কারণেই এই বইয়ের ঐতিহাসিক মূল্� কখনো� ম্লা� হব� না� একদম প্রাত্যহিক বাস্তবতা আমলে নিয়� বিবর্ত� সম্পর্কে যুক্তি পরম্পর� অক্ষুণ্ণ রেখে বন্য� আহমে� যে সুচেতনার পরিচয় দিয়েছেন তা� জন্য লেখিকাকে সেলাম। বিজ্ঞানে� কা� তথ্য-প্রমাণ হাজি� কর� বাস্তবতাকে ব্যাখ্যা কর� এব� ভবিষ্যতক� আঁ� করা। বিজ্ঞানে� কো� শত্র� না� যদিও বিজ্ঞানক� শত্র� মন� কর� প্রতিপক্� ভাবা� বোকামি� নজিরের অভাব নাই। সমগ্� মহাবিশ্ব যেখানে সদ� পরিবর্তনশী�-পরিবর্তন যেখানে একমাত্� ধ্রু� সত্য-এম� মহাবিশ্বের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্� মানু� যে কিনা ভয়াবহভাবে আমিত্ব� আক্রান্ত তা এতটা� যে সে বা� বা� ভুলে যায় যে সে মহাবিশ্বের থেকে আলাদ� কো� অস্তিত্ব নয� বর� সে নিজে� মহাবিশ্ব� মহাবিশ্বের মহাবিবর্তনের ফলাফল। সৃষ্টি� শুরু থেকে, একদম প্রাথমিক অবস্থা থেকে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্� কণার-বস্তুরাজির চা� মৌলি� বলের সাথে ১৪� কোটি বছরে� মিথস্ক্রিয়ায়-ক্রম বিবর্তনে� ফল� বস্ত� একসময় রূ� নেয় প্রাণে এব� সাম্প্রতিক সময়� বস্ত� রূ� নেয় চৈতন্য�-মানুষে� মধ্যে। এই বোঝাপড়া� মত� উপলব্ধ� থেকে জনসংখ্যা� বিশা� অং� বঞ্চিত, এমনক� এর ফল� যে অসাধার� আধ্যাত্মিক উল্লম্ফন ঘট� তা থেকে� বিশা� জনগোষ্ঠী বঞ্চিত�
Profile Image for Julian Jawad Ahmad.
28 reviews27 followers
October 4, 2019
বাংল� ভাষায় এর চেয়� সুন্দর, গোছানোভাবে কে� বিবর্ত� নিয়� বিশদভাবে লিখেছি কিনা জানা নাই। দারূণভাব� বোঝানো হয়েছে, কিন্� তা করতে গিয়� পা� আনন্দক� বিসর্জ� দেয়� হয� নাই।
Profile Image for Utsob Roy.
Author2 books76 followers
September 24, 2017
বইটা এখ� আউ�-অব-প্রিন্ট। পড়েছি গ্রন্থ ডট কম-� রাখা দ্বিতীয় সংস্কর� থেকে�

প্রথমদিক� কয়েকট� চ্যাপ্টারে এক� কথার পুনরাবৃত্ত� দেখা গেছে খু� অল্প পরিসরে� বইটা� বস্তুত চোখে পড়া� মত সমস্যা এটুকুই� তা বাদে বাঙলায� বিবর্তনে� সম্পর্কে একটি সঠিক প্রাথমিক ধারণ� পেতে বইটা অবশ্যপাঠ্য ধর� নেওয়া যায়� তাছা বিবর্তনবাদের বিবর্ত� � তা� ইতিহাস� বলেছেন বে� চমৎকারভাবে�

ভাষা মোটামুটি সুখপাঠ্য � সাবলীল।
Displaying 1 - 26 of 26 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.