শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের এই দুর্দান্� উপন্যা� কোনওক্রমেই ভুতুড়� কাহিনী নয়। প্ৰায় রূপকের ব্যঞ্জনা নিয়েই যে এসেছ� এই গয়নার বাক্সে� ঘটনাটা, তা ধর� পড়ে দারু� কৌতুহলকর � গভী� তাৎপর্যময় এই উপন্যাসে� একেবার� শে� পঙক্তিতে পৌছে গিয়ে।
পড়ত� বনেদ� পরিবার� বিয়� হয়েছি� সোমলতার। খোলাটা� আছ�, সা� নেই। একটু বড�-বড� কথ� বল� এব� সুযো� পেলে� দেশে� বাড়ির জমিদারির গল্প বল� এদের একটা প্রিয় অভ্যেস� যাকে বল�, বারফট্টই� সোমলতা� স্বামীটি বি. �. পাশ। তব� তবলা বাজানো ছাড়� কিছু করেন না� সোমলতাদে� যৌ� পরিবারের� �-বাড়িতেই তিনতলায় তিনট� ঘর নিয়� থাকে� এক দজ্জাল পিসশাশুড়ি� বালবিধবা এই শাশুড়িই সংসারে� সর্বময� কর্ত্রী� এই পিসশাশুড়ি� মৃত্যুকালে সোমলতাকে ডেকে তা� একশো ভর� সোনা� গয়নার বাক্� সোমলতা� হাতে গচ্ছিত কর� গেলেন। মৃত্যু� আগ�,না মৃত্যু� পর�? সোমলতা ভা� কর� বুঝত� পারেনি� কিন্তু পিসশাশুড়ি যে এরপরেও বারবার দেখা দিয়েছেন এত� সন্দেহ নেই।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় একজন ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক।
তিনি ব্রিটি� ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি� অন্তর্গত ময়মনসিংহে (বর্তমানে বাংলাদেশের অং�) জন্মগ্রহ� করেন—যেখান� তাঁর জীবনের প্রথ� এগার� বছ� কাটে� ভারত বিভাজনের সময় তাঁর পরিবার কলকাতা চল� আসে। এই সময় রেলওয়েত� চাকুরিরত পিতা� সঙ্গ� তিনি অস�, পশ্চিমবঙ্গ � বিহারে� বিভিন্� স্থানে তাঁর জীবন অতিবাহিত করেন� তিনি কোচবিহারের ভিক্টোরিয়� কলেজ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্� করেন� পর� কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায� স্নাতকোত্ত� ডিগ্রি লা� করেন� শীর্ষেন্দু একজন বিদ্যালয়ে� শিক্ষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন� বর্তমানে তিনি আনন্দবাজার পত্রিক� � দে� পত্রিকার সঙ্গ� জড়িত।
তাঁর প্রথ� গল্প জলতরȨ� শিরোনামে ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে দে� পত্রিকায� প্রকাশিত হয়। সা� বছ� পর� সে� এক� পত্রিকার পূজাবার্ষিকীতে তাঁর প্রথ� উপন্যা� ঘু� পোকা প্রকাশিত হয়। ছোটদের জন্য লেখা তাঁর প্রথ� উপন্যাসে� না� মনোজদে� অদ্ভুত বাড়��
হাস্যরসে� মধ্য� দিয়� কিছু কিছু অসঙ্গত� অর্থাৎ আগেরকা� আমলে� পুরুষশাসিত সমাজটাকে দারুণভাব� দেখিয়� দিলে� শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়�
অষ্টাদশী, গরী� ঘরের মেয়� সোমলতা� বিয়� হয়ে আস� কোলকাতার এক পড়ত� জমিদার বাড়িতে। জমিদার বং� পড়ত� হল� যা হয� আর কি.. যতোট� না আছ� তা� চেয়� বেশি ঠাঁটবাঁট দেখাতে ব্যস্ত� বাড়ির পুরু� সদস্যদের কুঁড়েমি নামক রোগট� মজ্জাগত। তারা কেবল জম�-সোনাদানা বেচে� খেতে পারে, দু'টা টাকা যে রোজগার করবে সে মুরো� নেই। এইরক� অবস্থায় মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে সোমলতার। কষ্টেসৃষ্ট� শৈশব-কৈশো� কাটিয়েছ� বল� দুঃখ কষ্ট কি জিনি� জানা আছ� বে� ভালো ভাবেই। শুরু হয� তা� অক্লান্ত পরিশ্র� স্বামীকে স্বাবলম্বী কর� তুলবার� সংসারে� মানুষগুলোক� একটু ভালো রাখার।
তাহল� সোমলতা� গল্প� গয়নার বাক্� এল� কোথা থেকে? আর�! বলছি... বলছি.. সোমলতা� এক পিসি শ্বাশুড়�, মহ� জাঁহাবাজ মহিলা। কাউক� বিন্দুমাত্� বিশ্বা� কর� না, খু� ছোটকাল� বিয়�, আর তা� প্রায় সাথে সাথে� বিধবা। ঘটনাক্রম� পিসি� এই এক �' ভর� সোনা� গহনা হাতে চল� আস� সোমলতার। সে� গয়নার বাক্�, নিরী� সোমলতা আর মর� যেয়� ভূ� হয়ে যাওয়া পিসশাশুড়িকে নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি� পিসি বেঁচ� থাকবার সময় যেমন দজ্জাল টাইপ ছি�, মর� ভূ� হবার পর� কথার ঝাঁজ বিন্দুমাত্� কমেনি। সোমলতাকে বকাবকি� করার মাধ্যম� বুঝত� পারা যায় সেকালে অল্পবয়সী বিধবাদের দুঃখ, কষ্ট, তাদে� দীর্ঘশ্বাস মাখা হাহাকারটুকু৷ আহার�! পিসি!
বস� অংশটুকুও ইল্লজিক্যা� বলার কো� কারণ নেই৷ লেখক তা� নভেলায� তুলে ধরেছেন তি� প্রজন্মে� কথা। পিসি যদ� সব হারানোদে� তালিকায় থাকে অর্থাৎ প্রথ� প্রজন্মে� প্রতিনিধিত্ব কর�, বস� তব� সব পেয়েছির যুগে� প্রতিনিধ�, তথ� তৃতীয় প্রজন্ম। মেয়ের� যুগে যুগে নিষ্পেষি� হয়ে এসেছে। কিন্তু এই স্বাধীনতাটুক� একদিনে আসেনি। হয়ত� সে� স্বাধীনত� এন� দেয়� নারীদে� প্রতী� অল্পবয়সী, ভীরু সোমলতা, যে মোমে� মত� নর� আবার পাথরের মত� কঠিন� তব� হ্যা, নারী� এই সংগ্রামে পুরুষে� ভূমিকা যে কোনমতে� ফ্যালন� নয�, সেটা� সুন্দরভাবে ফুটিয়� তুলেছে� শীর্ষেন্দু সোমলতা� স্বামী চকোর মিত্রে� চরিত্রটি দিয়ে৷ এই ছোট্� বইটা� ব্যাপকতা বিশাল। অন্তর্নিহি� তাৎপর্যও আছ� অনেক� প্রথমে মুভিটা দেখেছিলাম। বই পড়া� সময় মুভিতে অভিনয় কর� পাত্�-পাত্রীদে� বইয়ের চরিত্র হিসেবে চোখে� সামন� দেখেছি (মুভি আগ� দেখা� কুফল) -_- তব� একটা জিনি� বুঝলাম না, বইটা� এন্ডিং� তো কম সুন্দর না! হুদামাডি� মুভিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্� নিয়� টানা হ্যাঁচড়� করলো ক্যান। :3
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের খু� সুন্দর কিছু নভেলাগুলোর একটা� �
একজন মধ্যবিত্� বাঙালি হিন্দু শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের এই ছো� উপন্যাসটার সঙ্গ� একাত্ম হত� পারবে। পুরোনো পরিবারগুলোতে এইরক� বিধব� মেয়েদের গল্প অনেক শুনেছি ,যারা মর� গেলে� বাড়� ছেড়� যায় না� এই উপন্যাসে সমস্� উপাদান মজুত আছ�, যা থাকা� কথ� একটা বনেদ� হিন্দু বাঙালি� বাড়� তথ� পরিবারকে আঁকত� - পুরোনো বাড়�, পূর্� পাকিস্তানে ছেড়� আস� জমিদার�, অল� পুরুষমানুষ, এক বিধব� সর্বময� কর্ত্রী, তা� ভূ�, সাহসী মহিল� আর তা� বিবর্ত�, ঝগড়�-মোকদ্দমা, নী� রক্ত� এই বাড়িগুল�-পরিবারগুলো এখ� ধ্বং� হয়ে গেছে অবশ্য। বাঙালি� চিয়ায়ত হিপোক্রি� দিকটাও উপন্যাসে কিছুটা ফুটে উঠেছ�, যেটা শীর্ষেন্দু ধরনে� লেখকদে� লেখাতে পাওয়া যাবে এট� ভাবিনি� "কিছু উপাদানের পরিমাপের" দি� দিয়� দেখত� গেলে উপন্যাসট� বাঙালি� নিজস্ব "আউরা"� যদিও ভূ� বা অশরীরী জিনিসট� এব� একটা জাতি, অনেক মানু� অথবা একটা সময়ের সুনিপন ভাবে বর্ননা � সম্পর্�, সুন্দর ভাবে এসেছ� নবারুণের "হার্বা�" অথবা সবচেয়� গুরুত্বপূর্ণভাবে ইলিয়াসে� "খোয়াবনামা" উপন্যাসে� তব� এই ছোট্� উপন্যাসট� বাঙালি মধ্যবিত্� গন্ডির মধ্যেই থেকেছে এব� সেটা ভালো সিদ্ধান্ত। খু� খারা� যে আম� এই উপন্যাসটার এত� পড়ে খোঁজ পেলাম। আম� ওনার "অদ্ভুতরে" সিরিজে� বে� ভক্ত ছিলা� ছোটবেলাতে। ভাবতাম � সিরিজে যাদুবাস্তব/ভুতুড়� উপাদানগুলো হয়ত� ওনার বড়দের জন্য লেখা উপন্যাসে নেই। যা� হো�, আম� এখ� দে� থেকে প্রকাশিত ওনার ছোটগল্� সমগ্� নিয়� বসেছি। লেখক'কে প্রকাশকে� চাপে পড়ে অনেক সময় নিন্�-মাঝারি লেখা লিখত� হয়। আবার প্রচারিত ভালো লেখা� আড়ালে চাপা পড়ে থাকে আর� ভালো কিছু লেখা� সেগুলো খুঁজ� পেলে ভালো� লাগে�
অস্বচ্ছল পরিবারের মেয়� সোমলতা� সে বিয়� হয়ে আস� এক জমিদার পরিবারে। তব� নামে জমিদার অবশ্য। বংশে� ধন দৌলত সব শুন্যে� কোটায়� সেজন্য� যা না আছ� তারচেয়ে দেখাতে ব্যস্ত বেশী�
সোমলতা� স্বামীটি� না� চকোর মিত্র। তিনি বি� পা� কিন্তু অবসর� তবলা বাজানো ছাড়� বিশে� কোনো কা� করেন না� বংশপরম্পরায় বাড়ির পুরুষেরা পেয়� আসছে� "কুঁড়েমি" সাথে কিঞ্চি� কুঅভ্যাস � আছ� বইকি� কারণ এপরিবারে� কর্তার� মন� করেন পূর্বপুরুষের জম�-জম�, সোনা-দানা বেচে� রোজগারের জোগাড় হবে। কিন্তু কথায� আছ� বস� খেলে রাজা� ভান্ডারও ফুরোয়� এই নিয়� সোমলতা� দুশ্চিন্তা� শে� নেই।
সোমলতা� পিসিশ্বাশুড়� রসময়ী মহ� জাঁদরে� মহিল� ছিলেন। পেল্লায় জমিদার বাড়ির দোতলায� বড� দুটো ঘর জুড়� তিনি থাকতেন� এক� বাল্যবিধবা তা� উপ� কাওক� বিন্দুমাত্� বিশ্বা� করতে� না� পিসিমা বৈবাহি� এব� পৈতৃকসুত্র� ১০� ভর� গয়ন� পেয়েছিলেন� এই গয়নার বাক্� তিনি যক্ষের ধনের মত� আগলে রাখতেন� এই বাক্� ঘটনাচক্র� চল� আস� সোমলতা� হাতে কিন্তু কি কর�?
এই বইটি� পরিস� ছোট্� হলেও এর শিক্ষা অত� বিস্তারিত। লেখক প্রথমে তৎকালি� জমিদার বংশে� পুরুষদের গোড়াম� এব� কুড়েম� দেখিয়েছেন� সাধারণ� এম� অবস্থায় বাড়ির বউ মেয়েদের সব মেনে মু� বুঝে থাকত� দেখা যায়� কিন্তু এখানেই পেয়েছ� ব্যতিক্রম। বাড়ির বউ সব সংশয� ঝেড়� স্বামীকে শোধরানোর চেষ্টা শুরু কর� যাতে পরিবারটি� অর্থনৈতি� অবস্থা আবার আগের অবস্থায় ফিরত� পারে� চকোর মিত্রও নিজে� সমস্� ভু� শুধর� নেয়�
এরপর� দেখানো হয� ৩য� প্রজন্�, সোমলতা� মেয়�, বসন। অনেকেই বলেন বইটি� এই অংশট� খাপছাড়া কিংব� অনেক� বুঝত� পারে� নি� তব� ধারণ� সেটি ভুল৷ প্রথ� প্রজন্� সোমলতা� পিসিশ্বাশুড়� যিনি মর� ভু� হয়ে সোমলতা� ঘাড়� চেপেছিলে� তিনি আক্ষরিকঅর্থে সারাজীবন� কষ্ট ছাড়� কিছু� পাননি। নিয়মে� বেড়াজাল� তিনি নিজে� শৈশব, কৈশো�, যৈবন, বার্ধক্য চারকালেই আবব্� ছিলেন। এখান� লেখক বিধবাদের দুঃখ দুর্দশ� দেখিয়েছেন� ২য� প্রজন্� সোমলতা, যে মোমে� মত� নর� কিন্তু ইস্পাতের মত� কঠিন� সে নিজে� ইচ্ছাশক্তি, বুদ্ধি, পরিশ্র� এব� ভালোবাসা দিয়� সব কিছু অর্জ� কর� নিয়েছিলো। এক� সাথে বড� সমর্থক হিসেবে পেয়েছিল� নিজে� স্বামীকে এব� পরবর্তীতে পুরো পরিবারকেই। ৩য� প্রজন্� বস�, সে ছিলো সম্পূর্ণ স্বাধীন। পরিবার তাকে সমস্� স্বাধীনত�, ভালোবাসা দিয়েছিল� একঅর্থ� না চাইতেই সব পেয়েছিল� সে� বস� ছিলো পুরো মিত্� পরিবারের চোখে� মনি। কুসংস্কারাচ্ছন্ন আবহাওয়া থেকে পুরো পরিবারটি একটি আধুনিক রুচিবো� সম্পন্� পরিবার� রুপান্তরিত হয়েছিলো এভাবেই�
আম� বলবো লেখক হাস্যর� এব� রুপক দিয়� সুক্ষ্� সুক্ষ্� ব্যাপা� গুলো খু� সুন্দর তুলে ধরেছেন অত� স্বল্প পরিসরে� যদিও রহস্যে� গন্ধ অল্প� ছিলো� এই বইটা পড়া� খু� শখ ছিলো এব� পড়ে আরাম পেয়েছি। যারা খু� গভীরভাব� চিন্তা করতে পারে� তারা বইটি পড়ে আমার মতোই আনন্� পাবে� আশাকরি�
এই ছবিট� তি� প্রজন্মে� নারী এব� তাদে� জীবন এব� সমাজ� পরিবর্তনশী� অবস্থানে� আশেপাশ� ঘুরছে। এব� এট� একটি গয়নার বাক্সে� সাথে সম্পর্কিত।গল্পের মূলে আছ� পূর্ববাংলা� এক বাঙালী হিন্দু পরিবার(যৌ� পরিবার)।যেখান� সোমলতা সংসারে তা� পিসিশাশুরি (রসময়ী) এস� চিরকালের জন্য ঘাঁট� গারে� তিনি ১১ বছ� বয়স� বিয়� করেছিলেন এব� তারপরে খু� শীঘ্রই বিধব� হয়েছিলেন। গল্পটি তা� বিয়ের গয়নাগুলির চারপাশ� ঘুরছ�, যা সে একটা বাক্সে লুকিয়� রাখে�
দেশভাগের সময় তাদে� অনেক জম� জায়গা সম্পত্তি চল� যায়� আর যেহেতু এই পরিবারের কে� চাকর� কর� না (আসলে চাকরিক� অন্যের দাসত্ব মন� কর� তা�) সেইজন্� তাদে� আর আগের মত� অবস্থা থাকে না, টুকটাক জিনিসপত্� বিক্রি কর� সংসা� চলে। আর বিধব� রসময়ী বাপে� বাড়িত� বৈধব্য জীবন কাটাতে থাকে এব� তা� একমাত্� সম্ব� ওই গয়নার বাক্স। বাড়ির সকলে� তাঁক� একটু ভয� করেই চলে। হঠাৎ একদি� তা� মৃত্যু হয� এব� কে� কিছু জানা� আগেই নববধ� সোমলতা কে ভূ� হয়ে দেখা দিয়� তা� কাছে সে� গয়নার বাক্সে� দায়িত্ব দিয়� যায়�
কিন্তু এরপর প্রায়� সোমলতা পিসি-শাশুরী� আত্মাক� দেখত� পেতো� সোমলতাকে সে নানা গালমন্� করতো, এব� স্পষ্ট বল� দিয়েছিল যেনো সে তা� ওই বাক্সে হা� না দেয়� অবশেষে অবশ্� রসময়ী চকোরের (সোমলতা� স্বামী) ব্যবসা� জন্য গয়ন� দিতে রাজি হয়।এরপর সোমলতা স্বামীকে শাড়ির দোকা� দিতে বল� এব� আস্ত� আস্ত� তাদে� আর্থিক উন্নতি হত� থাকে� সোমলতা� স্বামী ব্যবসা� কাজে বাইর� গেলে, সোমলতা� ব্যবসা� কা� দেখভাল করতো� এরকম� একসময় স্বামী� অনুপস্থিতিতে একটা ঘটনা ঘটে। একজন পুরু� তাকে প্রে� নিবেদন কর�, অন্যদিকে রসময়ী� আত্মাও সোমলতা কে এত� উৎসাহি� কর� তা� প্রে� গ্রহ� করার জন্য� � যৌবনের আনন্� নেওয়া� জন্য� কিন্তু সোমলতা শেষপর্যন্ত স্বামী� কাছে� ফিরে আস� এব� তাদে� মিলন হয� � এরপর তাদে� এক কণ্যাসন্তা� হয� আর তখ� থেকে� রসময়ী� আত্মাক� সোমলতা দেখত� পায়না� আর সবাই মন� কর� রসময়ী� সোমলতা� কন্য� হয়ে জন্ম নিয়েছে। এই হল� গল্পের মূ� বিষয়।
আমার গল্পটা ভালো� লেগেছে� এই গল্পকে কেন্দ্� কর� "গয়নার বাক্�" সিনেমা� বেরিয়েছে। তব� সিনেমাটা অত ভালো লাগেনি যতটা বই পড়ে লেগেছে� সবশেষে একটা লাইন লিখত� চা� যেটা সোমলতা বলেছিল (তা� স্বামী� উদ্দেশ্য�) এব� যেটা আমার খুবই ভালো লেগেছে - " আম� যে ওক� ভালোবাসি ওঁ� রূপে� জন্য নয�,গুণে� জন্য� নয়।ভালো না বেসে থাকত� পারি না বল� বাসি�"
প্রথমে� বল� আম� আগ� মুভি দেখেছি, তারপ� গল্পটা পড়ছি। কারণ আম� সত্য� জানতাম না যে, এট� শীর্ষেন্দু বাবু� লেখা একটা বই� যা� হো�, মুভি টা আমার ভীষণ পছন্দে�, সেখানে পড়ত� পড়ত� চরিত্র গুলি� সাথে মি� পেয়� অসম্ভব ভালো লাগছিল� পড়তে। গল্পটা তি� প্রজন্মের। পিসি রসময়ী, সোমলতা, আর বসন। অষ্টাদশী, অভাবী ঘরের মেয়� সোমলতা বিয়� হয়ে আস� কলকাতায় এক জমিদার� পরিবারে। কিন্তু সে ছি� নামে� জমিদার, বিষয� সম্পত্তি আর কিছু� অবশিষ্� ছি� না, থাকা� মধ্য� ছি� জমিদার� ঠা� বাট। আর সেখানে� লতার প্রথ� পরিচয় হয� তা� পিসিশাশুড়� রসময়ী � সাথে� তিনি বাল্যবিবাহ � শিকার। � � বিয়� আর ১২ তে বিধবা। কিন্তু তা� কাছে ছি� বাপেরবাড়ি থেকে যৌতু� হিসেবে পাওয়া ১০� ভরির মত� সোনা� তা� দোর্দণ্ডপ্রতাপ পিসি� সামন� প্রায় বাড়ির সবাই � চুপ। এই পিসি একদি� মারা যা�, আর ভূ� হয়ে এস� লত� � কাছে গচ্ছিত রেখে যা� তা� সোনাদানা� মাঝে মাঝে� তিনি ভূ� বেশে লতার সাথে কথ� বলতে�, আর তাকে নানারক� উপদে� দিতেন। আর এখানেই লেখক দেখিয়েছেন তা� অসাধার� প্রতিভা। যে হাস্যর� তিনি ব্যবহা� করেছেন তা পড়ে সত্যিই মুগ্� হয়ে যেতে হয়। কিন্তু এর মধ্যেই আস� সংসারে চর� টানাটানি, আর লত� তখ� নিজে হা� ধর� সংসারের। একটি শাড়ির দোকা� দেয় সে এব� ধীরে ধীরে হা� ফিরে� আসে। কিন্তু তব� সে ওই গয়ন� হাতছ��ড়� কর� না� এরপর লতার একটি মেয়� হয�, বস�, তাকে দেখত� অবিক� পিসিমা� মতো। আর আশ্চর্যজনক ভাবে তারপ� থেকে� পিসিমা আর আসতে� না� এইভাবে সে� গয়নার বাক্� লত� তা� মেয়ের হাতে তুলে দেয়� প্রজন্মে� পরিহাস� রসময়ী যেমন কিছু� পায়নি, কিন্তু বস� সেদি� থেকে দেখত� গেলে স্বাধীনত�, ঐশ্বর্� সব � পেয়েছে। এককথায� খু� � মজার একটা বই, সক� বয়সের উপভোগ্� ♥️♥️
উত্তরবঙ্গে� এক পড়ত� বনেদ� বাড়িত� বিয়� হয� আঠার� বছ� বয়সী সোমলতার। শোনা যায় এককালে পাকিস্তানে এদের জমিদার� ছিলো, তব� তা শে� হত� হত� একেবার� প্রায় শূন্যে� কোঠায়� তিনতলা বাড়িট� মূলত সোমলতা� দাদাশ্বশুরের তৈরি হলেও আর� শরিকরা এস� তাতে ভা� বসিয়েছে, � বে� নিয়� মামল� মোকদ্দমা� চলছে�
বাড়ির দক্ষিণ দিকটার উপ� নি� মিলিয়� সোমলতা� শ্বশুড়ঘরে� বাস। নিচতলায় সোমলতা তা� বর আর শ্বশুরশ্বাশুড়� থাকে�, দোতলায� থাকে� ভাশু� আর তিনতলায় বিশা� তিনট� কামড়া নিয়� থাকে� পিসি শাশুড়ি। তা� না� রাসময়ী, বালবিধবা মানুষ। সা� বছ� বয়স� বিয়� হয়েছিলো, স্বামী-সংসা� এস� ভালো কর� বোঝা� আগেই তি� বছরে� মাথায় বিধব� হলেন� বৈবাহি� সূত্রে পিসিমা� কাছে ১০� ভর� সোনা� গয়ন� আছ�, যক্ষের ধনের মত� আগলে রাখে� গয়নাগুলো। এই গয়নার জোড়েই পিসিমা পুরো সংসারে� তদারকি করেন� জাঁদরে� এই পিসশাশুড়িকে সোমলতা� ভীষণ ভয� পায়� পিসিমা ওই গয়নার বাক্� সোমলতা� কাছে গচ্ছিত রেখে যা�, মৃত্যু� পর� নাকি মৃত্যু� আগ� সেটা না হয� বই পড়ে� জানবেন�
জমিদার বাড়ির ছেলেরা আরামপ্রিয় হয�, তারা ঘরের বাইর� চাকর� করতে যায়না, কিন্তু তখ� ভালোভাবে বাঁচার তাগিদে অন্যান্য শরীকদের মধ্য� কে� কে� রুটিরুজি� কা� শুরু করেছে। সোমলতা� স্বামী চকোর মিত্� বিয়� পা� করেছে। আরামপ্রিয় হলেও সংসারে� টানাপোড়েন� সোমলতা� সাথে সাথে সে� চিন্তি�, কিছু একটা কর� দরকা� � কিন্তু চাকর� কর� তা� আঁতে নে�, তা� ঠি� হল� ব্যবসা কর� হবে। প্রথ� দিকে পরিবারের কে� মেনে না নিলে�, পরবর্তীতে পুরো পরিবার তাদে� পাশে দাঁড়ায়� এক� এক� দুটো দোকা� খাড়� হল�, বেচাকেনা� বে� চলছে� সোমলতা� বিচক্ষণতায� তাদে� সংসারে আয� রোজকার বাড়ছে তা� সাথে ভাঙছ� অনেক পারিবারি� কুসংস্কার। কিন্তু স্বামী,সন্তান, ভর� সংসা� এস� পেয়েও মাঝে মাঝে তা� মন আকুল হয়।
উপন্যাসে� আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হল� সোমলতা� মেয়ে। বসন্� কালে জন্মেছিল� বল� তা� না� রাখা হয� বসন। দু� প্রজন্� আগের কুসংস্কারাচ্ছন্ন পরিবার টা তখ� ব্যবসায়ী রুচিশী� পরিবার, আর সে� পরিবারের মধ্যমণ� হল� বসন। বসনে� চেহারায় কিছুটা পিসিমা� চেহারা� ছা� পাওয়া গেলে� দুজনের জীবনযাপন� রয়েছে আমূল পরিবর্তন� পিসিমা নিয়মে� বেড়াজাল� আটকে ছিলে�, পরিবারের কোনো সদস্� তা� সাথে ছিলোনা� কোনো না কোনো ভাবে তারা� এসবে� জন্য দায়ী ছিলো� সে� পরিবারের সবাই কিন্তু একসময় দাঁড়িয়� ছিলো সোমলতা� পাশে এরপর বসনক� দিয়েছ� বেড়� উঠার একটা সুন্দর পরিবেশ� এতোকিছ� পাওয়া� পরেও বসনে� জীবনেও কিন্তু ছিলো অপূর্ণতা�
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় গয়নার বক্স বই কিছুটা ভৌতি� আদলে লেখা হলেও বইটা ভয়ে� কিছু মন� হয়নি। বর� তিনি উপন্যাসে তিনপ্রজন্মের নারী� প্রত� সমাজের দৃষ্টিভঙ্গ� তুলে ধরেছেন� সময়ের সাথে সমাজ পরিবর্তন হচ্ছ�, সে� সাথে পরিবর্তি� হচ্ছ� নারী� প্রত� সমাজের দৃষ্টিভঙ্গ�, কিন্তু কোথা� যে� খামত� রয়ে� গেছে� ৮৭ পৃষ্ঠা� এই বইটা অনায়েসে একবসায� পড়ে শে� কর� যায়� যারা রিডার্� ব্লক� ভুগছেন তারা এই বইটা পড়ে দেখত� পারে�, আশাকরি ভালো লাগবে। দূরবী� পড়ে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর লেখা� সাথে পরিচয় হয়েছিলো, এরপর আর� কয়েকট� বই পড়া হয়েছে� যত� পড়ছ� তত� উনার লেখা� প্রত� মুগ্ধত� বাড়ছে�
"আম� যে তাকে ভালবাস� তা ওঁ� রূপে� জন্য� নয�, গুণে� জন্য� নয়। ভা� না বেসে থাকত� পারি না বল� বাসি�"
সোমলতা� বিয়� হয� এক জমিদার বাড়িতে। জমিদার বাড়ির "ভাঁড়ে মা ভবানী" হলেও রক্তের ঠা� বা� ষোলো আন� বজায� রয়েছে; হো� সে ঘরের মেয়� বউদে� গয়ন� বেঁচ� বা বৈঠক খানা� ঝারবাত� নিলামে তুলে� অল� অকর্মণ্য পুরুষে গিজগিজ যে নামমাত্র জমিদার� সে বাড়ির বউ হয়ে আস� গরী� খেটে খাওয়া ঘরের অল্প বয়সী সোমলতা� সোমলতা� চেষ্টায় সংসারে� হা� ফেরে, বাড়ির পুরুষগুল� কর্ম� হয়ে ওঠে।কিন্তু সোমলতা সংসারে� হা� ধরার মাঝে রয়েছে কিছুটা রহস্�, কিছুটা ভৌতি� চরিত্রের অবদান। সোমলতা� মৃ� পিসি শাশুড়ির ১০� ভর� সোনা সমেত গয়নার বাক্� হল� উধাও! আর সে� পরিপ্রেক্ষিতেই উপন্যাসে� না� হয়েছে "গয়নার বাক্�"�
উপন্যাসে "রাসমণি-সোমলতা-বস�" এই তি� নারী চরিত্রকে প্রাধান্� দিয়� কাহিনী� দি� পরিবর্তন কর� হয়েছে।রাসমন�, অর্থাৎ পিসিমা হলেন প্রথ� প্রজন্মে� মেয়�, যে খু� অল্প বয়স� সমাজের নিষ্ঠুরতায� জীবনের সব রঙ হারিয়� গৃহবন্দী হত� বাধ্� হয়। যৌবন থেকে শুরু কর� তা� পুরোজীবন কেটে যায় মস্ত বড� বাড়ির তি� কামড়া� চিলেকোঠায় এক সাদা থা� গায়� জড়িয়ে। এর পর� আস� দ্বিতীয় প্রজন্মে� নারী চরিত্র, সোমলতা� সোমলতা� মত� চরিত্র সার্বি� নারী সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করে।তাঁর স্বামী� প্রত� ভালোবাসা, সংসারে� প্রত� অবদা�, শশুর, ভাসুরে� প্রত� দায়িত্ববো� � শ্রদ্ধ� যেকোনো নারী� সাধারণ বৈশিষ্ট্� বৈকি! এই সমলতার গর্ভ� জন্ম নেয় তৃতীয় প্রজন্�, বসন। সোমলতা� সাজানো মহ� প্রাচুর্যে� সংসা� আল� কর� আস� বসন। মু� ফুটে রা করবা� আগ� ঠাকুরদ�-জ্যাঠা-বাবা মেয়ের সামন� পৃথিবী তুলে ধরেন� আদ� আহ্লাদের গন্ড� ছাড়িয়ে নি� স্বভাব� বস� হয়েছে সবার চেয়� আলাদ�, আধুনিক�, ভাবনাবিলাসি। অনেকেই পুরো বই পড়ে ভাবত� পারে� বস� কে অর্নর্থক উপন্যাসে জায়গা দেওয়া হয়েছে� কিন্তু আমার মন� হয�, তি� প্রজন্� কে এক� অপরে� পরিপূর� বোঝাতে এর থেকে চমৎকার উদাহরণ আর হয়না। ১ম প্রজন্মে� রাসমনি যদ� হয� বঞ্চিত, অভাগী, কপালপোড়� তাহল� তা� অন্য পিঠে ৩য� প্রজন্মে� বস� হল� রাজকপালি�
উপন্যাসে� আলোক� নির্মি� অপর্ণা সেনে� "গয়নার বাক্�" চলচ্চিত্রট� বাংল� বিনোদন জগতে সেরা� তালিকায় জায়গা কর� নিয়েছে।ব্যক্তিগতভাব� আমার উপন্যাসে� তুলনায� চলচ্চিত্রটিক� খু� বেশি গোছানো বল� মন� হয়েছে� তব� সিনেমা� শে� অং� মুক্তিযোদ্ধা� মত� ব্যাপা� কে আংশি� যুক্� কর� কাহিনীকে শক্তিশালী করার চেষ্টা কর� হয়েছে� বই পড়ায় আকর্ষণ বো� না করলে অনায়াসে "গয়নার বাক্�" সিনেমাটি দেখে ফেলত� পারেন।
"গয়নার বাক্�" আমার পড়া শীর্ষেন্দু� প্রথ� বই� রহস্যে� উপন্যা� শুনেছিলা� কিন্তু রহস্� খুঁজ� নি, সেজন্যেই বো� হয� উপভো� করেছি। অনেকের কাছে খাপছাড়া মন� হলেও আম� কিছু সূক্ষ্� বার্তা পেয়েছ�, জানিনা শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় কি সেটি� বোঝাতে চেয়েছিলেন কিনা�
বিধব� নারী� শে� সম্ব� দশ ভর� গয়ন� বাড়ির লক্ষ্মীমন্ত বউয়ের কাছে সুরক্ষিত রেখে মহাকাল� যাত্রা করেন পিসিমা� বউ গয়ন� ঠি� মত সামল� রেখেছে কিনা তা লক্ষ্য রাখা� জন্য যেনো ইহজীবন পুরোপুরি ছাড়তে� পারে� নি তিনি, এত� প্রিয় সে গয়না। সে� বউয়ের কোলে যখ� ঘর আল� কর� কন্য� সন্তানের আগমন হয� তখ� মন� হয� যে� পিসিমারই পুনর্জন্� হয়েছে�
অনেকেই এখান� প্রথ� প্রজন্� থেকে তৃতীয় প্রজন্মে� রুপবদলটি তুলে ধরেন� সেটি ভুলে গিয়� আম� যদ� চিন্তা কর� দুটি প্রজন্� কিংব� দুটি জীবন, রসময়ী� জীবন আর বসনে� জীবন� এক� বাড়িত� দুটি ভিন্� সময়� জন্ম নেওয়া দুটি প্রা�, কিন্তু কি ভীষন তফাৎ তাদে� চিন্তাভাবনায�, পাওয়া না-পাওয়ায়�
বস� জীবন� সেসব কিছু� পেয়েছ� যা পিসিমা� জীবন� কল্পনা� অতী� ছিল। সেজন্য� বো� হয� বসনে� জীবনকে দেখা� দৃষ্টি সম্পূর্ন ভিন্ন। যে একাকিত্ব রসময়ী� জীবন� ছি� দুঃখের কারণ, তা বসনে� কাছে অমূল্য সম্পদ। আর এই গয়ন�? তা বসনে� চোখে বিশ্রী পুরন� দিনে� জিনিস। রসময়ী বিধব� বালিকা হয়ে বড� হয়েছে, সঙ্গী� ভালোবাসা সে কোনোদি� পায় নি� আর বসনে� জীবন� সেরক� চাওয়া� নে�, কোনো পুরুষে� প্রত� তা� ভালো লাগা কা� কর� না� এক� থাকতেই তা� পর� সুখ।
বস� এর তিনতলা� ঘর� যে হু হ্� বয়ে যাওয়া, সে যেনো রসময়ী� একলা থাকা� বেদন�, রসময়ী� যন্ত্রণা� কেনন� সে বসনে� মধ্যেই পুনর্জন্� পেয়েছেন, যে বস� সম্পূর্ন ভিন্� মানু� হয়ে উঠেছে। একাকীত্� সে উপভো� কর�, যে একাকিত্ব রসময়ী� দুঃখের কারণ�
বইটিতে সবচেয়� উজ্জ্ব� চরিত্র সোমলতা, নিজে� বুদ্ধি আর ধৈর্� দিয়� সে অনেক সাহসিকতা� পরিচয় দেয়� পিসিমা� মনের জ্বালা যন্ত্রণা যে বিষবানের মত ছুড়� মারত�, তা দিয়� সেসময়ের বাল্যবিধবাদে� জীবনের কষ্ট ধারণ� কর� যায়� বাকি চরিত্র গুলো সমাজের আর দশটা মানুষে� মতোই� তব� অলকে� কিছু টা ভিন্ন।
গল্পের শেষে বসনে� প্রাণে� গভীরে যে পুরুষে� স্থা�, যায় জন্য সে নিজে� অজান্তেই জায়গা তৈরি কর� রেখেছে মন�, সে� পুরুষে� পায়ের আওয়াজ� ঘরের হ্� হ্� কর� যন্ত্রণা থেমে যায়� পিসিমা যে� শে� পর্যন্� পেলে� যা তিনি আগের জনমে হারিয়েছিলেন�
This entire review has been hidden because of spoilers.
আম� এর আগ� শীর্ষেন্দু� কিছু পড়িনি, এটাই প্রথম। বইয়ের শুরুটা বে� ভালো ছিল। কিন্তু শেষট� এত� আকস্মি� যে আম� প্রথমে ভাবলাম আমার ইবুক� কো� সমস্যা� একদিনে একটা বই শে� করার দুর্লভ অভিজ্ঞতা হল অনেক দি� পরে। তব� বইটা তেমন ভালো না� উনার স্টোরিটেলি� এর গত� আছ� বলাই বাহুল্�; কিন্তু চরিত্রগুলো মন� হয়েছে পলিশ কর� উচিত ছি� আরো। শীর্ষেন্দু সম্ভবত চেয়েছেন ফেমিনিজম অ্যাটেম্পট করতে� তি� জেনারেশনের তিনজ�, মা মেয়� আর মায়ের বিধব� পিসিশ্বাশুড়ি। পিসি� জীবন� শুধু এক� ভর� গয়ন� ছাড়� আর কিছু ছি� না� আজীবন সে বিধব� হয়ে একটা ঘর� বন্দী হয়ে থাকে� এই গয়ন� সে দিয়� যায় উপন্যাসে� মাকে� আর ভূ� হয়ে এস� সে মাঝে মাঝে� খব� নিতে আস� গয়নার� অন্যদিকে, মা খুবই স্বামীপরায়ণ, লক্ষ্মী আর চালাক। পর� যখ� মেয়� বসনে� জন্ম হয�, তখ� যে� পিসি� বস� হয়ে জন্ম নেয়� কারণ এরপর থেকে আর কখনো পিসিমা� ভূ� আস� না� বস� টিনেজা�, আর আমার ধারণ� লেখক টিনে� কো� মেয়ের মনস্তত্ত্ব হয� বিশ্লেষণ করেননি, নাহয� সেদিকে মনোযোগ দেননি। বস� খুবই স্টেরিওটিপিক্যাল "Not like other girls"� সে� পর� পিসি� গয়নার অধিকারী হয়। কিন্তু তা� এর প্রত� কো� আগ্রহই থাকে না! হয়ত� লেখক দেখিয়েছেন পিসিমা� জীবন গয়নাতেই সীমাবদ্ধ ছি�, কিন্তু বস� পড়ালেখা কর�, ভিডি� গে� খেলে, স্কুটি চালায়! কিন্তু বইটা শুধু পর্যবেক্ষণেই থেমে গে�, চরিত্রগুলো� ডেপথ� আর� এক্সপ্লো� কর� না� তা� একটু হতাশ হলাম আরকি� rating: 3/5
খু� ছোটবেল� থেকে� বই পড়া� সুবাদে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় লেখা পড়া� সুযো� হয়েছে� সগর্বে বলতে পারি, সিনেমাটি তৈরী� অনেক আগেই উক্ত বইটি প্রায় দু� থেকে তিনবার পড়ে ফেলেছি� টাইম পিরিয়� নিয়� লেখা বইটা আমার বরাবরে� প্রিয়� এখান� দেশভাগ, স্মৃতিচারণ, জীবনের ওঠ� পড়া, পিসি ঠাকুরম�, এব� ভূত। সবটা� বিশে� উল্লেখ্য� ১০� কোটি গয়নার বাক্সটিক� ঘিরে� সমগ্� উপন্যাস।
শীর্ষেন্দু� লেখা গয়নার বাক্� উপন্যাসট� � টি প্রজন্মক� সাজিয়� লিখা হয়েছে।পিসিম� রাসময়ী,সোমলতা আর বসন।সোমলতা হচ্ছ� নিচু বংশে� পরিবারের মেয়ে।তা� স্বামী ছিলে� বনেদ� পরিবারের ছেলে।লোক দেখানো বাহাদুরি ছিলো তাদে� শুধু।বংশের সক� পুরু� ছিলো অল� প্রকৃতির।কেউ নিজে খেটে খেতে রাজি নন।নিজেদের পূর্� পুরুষে� জম� স্বর্ণ গয়ন� বিক্রি কর� সংসা� চালাতো� সোমলতা� শাশুড়� ছিলে� খু� শান্� প্রকৃতির,আর সবসম� তিনি লতার সক� কাজে সাথে থাকতেন।এ� নিচু বংশে� মেয়� লত� এসেই বনেদ� বংশে� পুরুষদের করেছ� পরিশ্রমী।নিজের স্বামী চকোরকে ব্যবসায় বসিয়েছেন।সবসময় নিজে ঢা� হয়ে পাশে ছিলেন।কিন্তু পরিবারের অন্য পুরুষর� সেটা� সম্মতি না দিলে� পর� তারা� নিজেরা খেটে আয� করতে শুরু করে।
তাহল� তো প্রশ্ন উঠ� গয়নার বাক্� আস� কোথা থেকে এখান�?এই গয়নার বাক্� ছিলো তাদে� পিসিমার।সেসময়ের ১০� ভর� স্বর্ণ ছিলো এই বাক্সে।পিসিম� � বছ� বয়স� বিধব� হয়ে এই বাড়িত� উঠ� আসেন।তাক� এই বাড়িত� রাখা হয� শুধুমাত্� তা� স্বর্ণের উপ� লোভে� কারণে।যেনো মারা গেলে� সব স্বর্ণ তারা বণ্ট� করতে পারে।কিন্ত� স্বর্ণের লো� কি কে� এত সহজে ছাড়�?পিসিমা মারা যাওয়া� পর� তা� গয়নার বাক্� এর নজরদার� করতেন।আর এই বাক্� সামলানোর দায়িত্ব পর� লতার উপর।তিনি জীবি� তে� দাজ্জালে� মত ছিলে� আর মৃত্যু� পর ভু� হয়ে লতার উপ� কম অত্যাচার করতে� না� বস� হল� লতার মেয়ে।বসনে� সময়কা� ঘটনা পড়ল� বুঝা যায় কিভাবে সমাজ আস্ত� আস্ত� পরিবর্তন হয়ে মেয়েদের জন্য সহ� হয়ে যায়।মেয়েরা তখ� আগের থেকে সবকিছুতে এগিয়ে।আ� বসনে� মধ্য� তারা সকলে নিজেদে� পিসিমা কে খুঁজ� পেতো।লতা ভাবত� পিসিমা� আবার পুনর্জন্� হয়েছে বস� হয়ে।তবে এই গয়নার বাক্সে� কি হয়।পিসিমা কি সারাজীবন এর নজরদার� কর� গিয়েছেন?ভু� হয়ে অত্যাচার কর� গিয়েছেন খালি লতাক�?শেষট� জানত� হল� বইটি পড়ে দেখত� পারেন। পা� প্রতিক্রিয়া:এই গল্প কিছুটা ভৌতি� আবার সে সময়ের সমাজের কথাও তু� ধরে।দূরবী� উপন্যাসে� মত এই উপন্যাসে� লেখক প্যারালা� � উপন্যাসট� সাজান।শেষট� খু� সুন্দর ছিলো।কিন্ত� বসনে� কাহিনীটা না আনলে� ভালো হতো।হয়ত� লেখক বসনে� কাহিনী বল� তখনকার সময়� মেয়েদের সমাজের পরিবর্তনের কথ� বুঝাতে চেয়েছিলেন আর পিসিমা� পুনর্জন্� তা� মধ্যেই হয� সেটি বুঝাতে চেয়েছিলেন�
আমার পড়া সবচেয়� ফালত� উপন্যাসগুলোর মধ্য� একটা হল গয়নার বাক্স।লেখক মহাশয় বোধহয় চেষ্টা করেছেন নারীবাদী হওয়ার,তা করতে গিয়� উলটো নারীকে অসম্মা� কর� ফেলেছেন। এই উপন্যাসে� ৩ট� প্রধান নারী চরিত্র রসময়ী,সোমলতা আর বসন।এদের মধ্য� সবচেয়� ডাইমেনশনহী� চরিত্র হল বসন।কে� তা বলি।গল্পের প্রথমে দেখা যায় রসময়ী নিতান্তই তিক্� এক বিধব�,যিনি তা� গয়নার বাক্সক� পুঁজ� কর� সংসারে টিকে আছেন।তার মৃত্যু� পর সে� গয়নাক� পরিবারের অকর্মন্য পুরুষদের হা� থেকে রক্ষ� করতে তিনি এর ভা� চাপিয়� যা� সোমলতা� উপর।সোমলতা যদিও অত্যন্� যোগ্� একজন নারী,তা� মনোভাব পুরুষতান্ত্রিক সমাজের এক দুর্ভাগ্যজনক ফসল।তা� স্বামী পরকীয়� করলে� সে বল� "তাকে ভালবাস� কারণ না বেসে পারি না,আম� সতী� সহ্য করতে পারব" ইত্যাদি। এইটুকু পড়ে মন� হয� যে দুইজ� � টিপিকা� মহিলা।একজন গয়ন� নিয়� অবসেসড আরেকজন পতিপ্রেম� পাগল।এ� পর্যায়ে লেখক আমাদের 'নট লাইক আদার গার্লস' চরিত্র বসনক� নিয়� আসেন।স� তা� মেয়ের মত স্বামীকে ঘিরে জীবন গড়ে তুলত� রাজি না(আসলে তাকে একজন রিজেক্� করেছ� সে� অপমা� সহ্য হয়ন�) আবার তা� দাদি� মত সে গয়ন� নিয়েও আগ্রহী না।এমনকি,তা� গয়ন� দেখল� 'গা ঘি� ঘি� কর�'� কি বুঝলাম এই উপন্যা� পড়ে তাহল�?যেসব মেয়� স্কুটি চালায়,ভিডি� গেমস খেলে আর ছেলেদে� অপছন্দ কর� তারা হচ্ছ� কুল।আর লেখকের মত� যেসক� স্টেরিওটিপিকাল নারী আছেন (মানে যারা স্বামী� জন্য� সব কর�,গয়ন� জামাকাপড� ইত্যাদ� নিয়� ব্যস্ত থাকে) তারা একদম হাস্যক�,তাদে� জীবনটা কী দুঃখের! পুরুষতান্ত্রিক মনমানসিকতা নিয়ের নারীবাদী উপন্যা� রচনা করলে যা হয� তা� গয়নার বাক্সে হয়েছে।২ স্টা� রেটি� দিলা� কারণ লেখায় ফ্লো আছ�,এছাড়া একদম অখাদ্য বই�
তথাকথি� বনেদ� পরিবার� বিয়� হয� সোমলতার। কিন্তু এই যৌ� পরিবারের আর্থিক অবস্থা শোচনীয়� সোমলতা� স্বামী চকোর মিত্� চৌধুরী শিক্ষি� হলেও কর্মবিমুখ। বাল্� বিধব� পিসীশাশুড়� রসময়ী পরিবারের সর্বময� কত্রী� এই পিসীশাশুড়িই মৃত্যু� আগ� সোমলতাকে দিয়� যা� তাঁর একশো ভর� সোনা� গয়নার বাক্স। সোমলতা ধীরে ধীরে পরিবারের হা� ধরেন� বাড়ির অমতে গিয়� নিজে� গয়ন� বিক্রী কর� একটা শাড়ির দোকা� দেন� সোমলতা� স্বামী সে� দোকা� চালা�, শুরুতে অসুবিধ� হলেও পর� অভ্যস্� হয়ে যান। সোমলতা� শ্বশুর মশাই প্রথমে বিরোধীতা করলে� পর� মেনে নে� � ব্যবসায় সাহায্যও করেন।� পর� সোমলতা তা� ভাসুরক� � একটি গ্ৰামোফো� � টে� রেকর্ডারের দোকা� করতে সাহায্� করেন� ইতিমধ্যে সোমলতা� একটি মেয়� হয�, না� রাখা হয� বস�, সে হয়ে ওঠ� পরিবারের সবচেয়� আদরে� মেয়ে। নানা� ছো� ছো� ঘটনায় এগিয়ে চলেছ� গল্পটি� এক মধ্যবিত্� পরিবারের দিনলিপ� উঠ� এসেছ� এই উপন্যাসটিতে।
হাস্যরসে� মাঝে নারী� গুরুত্� উপলব্ধ� করার বিষয়ট� "গয়নার বাক্�"- � প্রকাশ পেয়েছে। একজন বুদ্ধিমত� নারী নিজে� আত্মবিশ্বা� এব� দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যম� বর্তমানে� বিলুপ্তপ্রায� জমিদার বংশে� হা� ধরেন� পরিশ্রমে� মাধ্যম� তাঁর� আবার ভালো অবস্থানে ফিরে আসেন� অপরদিক� দেখানো হয� "বস�" নামে� এক চরিত্রকে, যে জীবন� একজন পুরুষে� প্রত্যাখ্যান পেয়� তথাকথি� প্রে�, ঘর-সংসারে বিশ্বা� কর� না� একাকীত্� যে অভিশাপ নয�, এক� থেকে� ভালো থাকা যায়, তা� প্রমাণ এই মেয়েটি। তব� আমার মন� হয�, এখান� বসনক� আর� গুরুত্বে� সাথে দেখানো যেত।
তব� সার্বিকভাব�, সম্মানিত লেখকের অত� সুন্দর একটি উপন্যা� এটি। তৎকালী� সমাজ� নারী স্বাধীনতার পরিচায়ক�