Buddhadeva Bose (also spelt Buddhadeb Bosu) (Bengali: বুদ্ধদেব বস�) was a major Bengali writer of the 20th century. Frequently referred to as a poet, he was a versatile writer who wrote novels, short stories, plays and essays in addition to poetry. He was an influential critic and editor of his time. He is recognized as one of the five poets who moved to introduce modernity into Bengali poetry. It has been said that since Tagore, perhaps, there has been no greater talent in Bengali literature. His wife Protiva Bose was also a writer.
Buddhadeva Bose received the Sahitya Akademi Award in 1967 for his verse play Tapaswi O Tarangini, received the Rabindra Puraskar in 1974 for Swagato Biday(poetry) and was honoured with a Padma Bhushan in 1970.
প্রতিট� প্রবন্� নিয়েই অনেককিছু বলতে ইচ্ছ� করছে� সেটা তো সম্ভ� নয়। অল্প কিছু বলি। মূ� সংস্কৃ� বাল্মীকি রামায়� (কিংব� সেটি� বঙ্গানুবাদ) পড়েনন� বুদ্ধদেব বসু। আম� যতোটুক� পড়েছি, তিনি� ততোটুকুই পড়েছেন। অর্থাৎ, উপেন্দ্রকিশোরে� শিশুতো� রামায়�, কৃত্তিবাসে� "বাঙালি" রামায়� এব� রাজশেখ� বসুর সারানুবাদ। সংকলনে� প্রথ� প্রবন্ধে ("রামায়�"), আর� অনেক প্রসঙ্গে� পাশাপাশি, বহুলচর্চিত একটি বিতর্ককে নিজস্ব আঙ্গিক� দেখত� চেয়েছেন বুদ্ধদেব� বিষয়ট� হল�, রামায়ণে� রামচন্দ্� কি আসলে� একজন আদর্� মানবচরিত্রের উদাহরণ? "যে-রামে� না� করলে ভূ� ভাগে, সে� রা� নিষ্ঠু� অন্যায� করেছেন একাধিকবার।" ক্যানো করেছেন এইসব অন্যায� কা�? বাজে লো� ছিলে� বল�? নাকি অন্য কোনোভাবে বিশ্লেষণ কর� যেতে পারে রামচন্দ্রে� নিষ্ঠুরতাক�? চমৎকার এই প্রবন্ধট� পড়ে খু� খু� আনন্� লা� করেছি। রামায়� বিষয়ে এম� দারু� প্রবন্� বাংলায� খু� বেশি নেই।
দ্বিতীয় প্রবন্ধট� মাইকেল মধুসূদ� দত্তের "কীর্তি" বিষয়ক� এই প্রবন্ধে� ঝলসে উঠেছ� বুদ্ধদেবের শাণি� যুক্তি� তরোয়াল। এখানেও তিনি একটি সুপ্রাচী� ধারণাক� বিকল্প আঙ্গিক� পর� কর� দেখাতে চেয়েছেন� ধারণাট� হল�, মাইকেল তাঁর বিখ্যা� মহাকাব্য� রা�-লক্ষ্ম� দু� ভাইয়ে� চেয়েও রাবণ-মেঘনাদ দু� বা�-ব্যাটাকে অধিক প্রাধান্� দিয়েছেন� সত্যিই কি তাঁদের প্রাধান্� দিয়েছেন? সত্যিই মাইকেল বাংল� কাব্যে� জগতে বৈপ্লবিক কা� করেছিলেন? নাকি আমরা তাঁক� নিয়� বাড়াবাড়ি করেছ�? এই প্রবন্ধে জানত� পারি, কব� সুধীন্দ্রনাথ দত্ত একবা� সুস্পষ্টভাবে বলেছিলেন, প্রাচী� বাংল� সাহিত্� সাধারণ� অপাঠ্য! (এর চেয়� সত্য� কথ� জগতে আর �'টা আছ�?) বুদ্ধদেব� প্রায় একইরকম সাহসী মন্তব্� করেছেন : "মাইকেল বাংল� জানতেন না"� এইসব কী শুনছ�, অ্যা�?
"বাংল� শিশুসাহিত্�" প্রবন্ধট� সম্ভবত বাংল� শিশুসাহিত্� বিষয়ক আমার পড়া সবচেয়� দুর্দান্� প্রবন্ধ। এই প্রবন্ধে� রয়েছে হঠাৎ হঠাৎ ছিটক� আস� আইডিয়ার আলোর ঝলকানি� দেখত� পাচ্ছি, সে-� ১৯৫২ সালে� তিনি লীলা মজুমদারক� বাংলাভাষার প্রতিনিধিস্থানীয় শিশুসাহিত্যি� হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন! এক� সঙ্গ� স্পষ্ট বুঝিয়� বলেছেন, বাচ্চাদে� জন্য� সাহিত্� রচনা কর� যা�-তা� কা� নয়। এমনক� রবীন্দ্রনাথ� পারেনন� (অথ� অবনীন্দ্রনাথ পেরেছে�)� একজায়গায় লিখেছে� : "বাংল� দেশে এত বড়ো দুর্ঘটনা� ঘটেছিল� যে 'আবোল তাবো�' অনেক বছ� ছাপা ছিলো না!" পরপর তিনবার পড়লাম বাক্যটা। খানি� বাদে আবার পৃষ্ঠা উল্ট� ফিরে এস� পড়লাম� আর� অনেকবা� পড়লাম� বারবার ফিরে ফিরে আসতে হল� এই বাক্যটার কাছে�
এই সেরেচে, রিভি� তো গড়গড়িয়ে লম্ব� হয়ে যাচ্চে! আচ্ছ� এবার সংক্ষেপে সারছি। রবীন্দ্রনাথের উত্তরসূরী কারা? বিশেষত কব� রবীন্দ্রনাথের? রবীন্দ্রনাথ যখ� কবিত� রচনা শুরু করেছিলেন, তখ� তাঁর আশেপাশ� বলবা� মত� বাঙালি কবির না� একটা� ছিলো না� নিজে হাতে ইট পুড়িয়ে, বালি-সিমেন্� মেখে, মজদুরি কর� তিনি দাঁড� করিয়েছে� বাংল� কবিতার ভিত্তিমূল। তারপ�? "রবীন্দ্রনাথ � উত্তরসাধ�" নামে� প্রবন্ধে দেখত� পা�, রবীন্দ্রনাথ নামক একদা আকস্মি� বজ্রপা� কীভাবে আজকে বাংল� কবিতার রক্তমাংস� মিশে গেছেন। তিনি সবকিছুতে� আছেন, থেকে� আছেন, না-থেকে� আছেন� "রবীন্দ্�-জীবনী � রবীন্দ্�-সমালোচনা" নামে� আরেকটি প্রবন্� পড়ে বুঝত� পারলাম, আজ পর্যন্� রবীন্দ্রনাথের একটা� ভালো জীবনী লেখা সম্ভ� হলোন� ক্যানো! রবীন্দ্রনাথ নাকি নিজে� এর জন্য� দায়ী!
যারা ছন্দের ব্যাকর� বিষয়ে জানে� না, তাদে� কাছে "বাংল� ছন্দ" প্রবন্ধট� বিরক্তিক� মন� হত� পারে� সংকলনে� এই একটি প্রবন্� আমার মত� আমজনতা� জন্য� নয়। খুবই টেকনিক্যাল� কিন্তু সংকলনে� শে� দুটি প্রবন্� শেষপাত� ক্ষীরে� চমচমের মত� (আমার ক্ষীরে� চমচম পছন্� তা� এটার না� লিখলাম, আপনারা নিজে� নিজে� পছন্দে� না� বসিয়ে নিতে পারে�)� "সাংবাদিকতা, ইতিহাস, সাহিত্�" নামে� প্রবন্ধে বুদ্ধদেব দেখিয়েছেন, ইনফরমেশন-সর্বস্� আজকে� এই জমানায� সাহিত্যে� মধ্যেও পাঠক "ইনফরমেশন" খুঁজ� চলেছেন� "সংবা�" খুঁজ� চলেছেন� "অমুক রচনাটি আজ� প্রাসঙ্গিক"� নিজস্ব দেশকালের সঙ্গ� তাৎক্ষণি� প্রাসঙ্গিকতা খুঁজ� চলেছেন� অসামান্য এই প্রবন্ধটির একদম শেষদিক� চোখে পড়ল� সুগভী� একটি বাক্� : "ঠি� ততটুকু� আমরা উচ্চারণে� অধিকারী, যতটুকু আমাদের উপলব্ধ�, আর অধিকার অতিক্র� করবা� প্রলোভ� ত্যা� করতে করতে� উপলব্ধির পরিধ� বাড়ে।"
বইয়ের অন্তিম প্রবন্� "শিল্পী� স্বাধীনত�"-তে বুদ্ধদেব বস� একটি চমৎকার প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন আমাদের দিকে� কোনও আদর্� কিংব� মতবাদে� ছাতা� তলায� না এসেও, লা� নী� গেরুয়� কিংব� সবুজ রঙের পতাক� দিয়� নিজে� সত্তাক� মুড়� না-ফেলে�, একজন শিল্পী নিজেকে স্বাধী� হিসেবে ঘোষণ� করতে পারে�? সর্বধর্মান্� পরিত্যজ্� মামেকং শরণং ব্রজ! � সক� পপুলার এব� ফেমা� রং ত্যা� কর� আমার যেটা রং, সে� রঙ� নিজেকে রাঙাও। সংস্কৃ� শ্লোকট� পড়ে প্রথমে মন� হয�, এই "আম�"টা হলেন ঈশ্বর। ঈশ্ব� আমাক� নির্দে� দিচ্ছে� তাঁক� অনুসরণ করতে� ভু� কথ�! এই আমিট� তো আসলে আম� নিজেই। আমার পতাকার রং হব� আমার নিজে� পছন্দের। সবচেয়� ভালো হয�, এইসব পতাক�-ফতাকার ঝামেলা� না থাকল�!
বইটি বে� পুরনো। সিগনেট প্রে� প্রকাশিত� জানিনা এখ� আর কপ� পাওয়া যায় কিনা� খুঁজেছিলাম, পাইন�, তা� পিডিএফ � ভরসা� বুদ্ধদেব বস� একজন সব্যসাচী লেখক বলেই পরিচিত� তব� তাঁর নানা ধরনে� লেখা� মধ্য� আমার ব্যক্তিগতভাব� সবচেয়� প্রিয় ধর�-প্রবন্��� আর সে� ভালো লাগা� শুরু কালে� পুতু� দিয়ে। আহমদ শরীফে� মত�, একটা সার্থক প্রবন্� আলোচনাতে অন্ত� দুটি বিষয� থাকবে। সমস্যা এব� তা� সমাধান� সিরাজু� ইসলা� চৌধুরী� প্রবন্� সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি এট� বলেছিলেন যে তাঁর প্রবন্� সুপাঠ্� হলেও সেখানে নাকি সমাধান থাকে না� রাজনৈতিক বা ঐতিহাসিক প্রবন্ধে� ক্ষেত্রে মন্তব্যট� খাটলেও শিল্�-সাহিত্� বিষয়ক আলোচনায় সেটা বোধহয় সবটুকু খাটে না� এই বইটি তি� ভাগে বিভক্ত� প্রথ� ভাগে লেখক আলোচনা করেছেন, মাইকেল মধুসূদ� দত্তের সাহিত্�, রামায়� এব� বাংল� শিশুসাহিত্� নিয়ে। মাইকেল এর প্রবন্ধট� আসলে খুবই সাহসী� বাংল� কাব্যে� বা সাহিত্যেরই অন্যতম শ্রেষ্� ব্যক্তিত্ব মাইকেলকে নিয়� এম� চাঁছাছোল� মন্তব্� করার জন্য, অবশ্যই যুক্তিপূর্ণভাব�, যে সাহসের এব� প্রজ্ঞার প্রয়োজন তা বুদ্ধদেবের ছিল। তিনি তাঁর দৃষ্টিকো� থেকে মেঘনাদবধকাব্� এব� নাটক প্রহসনগুলো� মৌলিকত�, ভাষা� ব্যবহা�, সেগুলো কালজয়ী হওয়ার যোগ্� বা পরবর্তী সাহিত্যে� পথিকৃৎ কিনা সেইস� বিষয়ে আলোচনা করেছেন� তব� এই ভাগে আমার সবচেয়� ভালো লেগেছে শিশুসাহিত্� নিয়� আলোচনাটুকু� প্রাণবন্� � প্রবন্ধটিত� সুকুমা� রায়, লীলা মজুমদা� এব� অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরে� মূল্যায়� ভালো লেগেছে� এরপরের ভাগে� সিংহভা� অং� জুড়েই রয়েছে� রবীন্দ্রনাথ� আর প্রথ� প্রবন্ধট� ছন্দ নিয়ে। কবিত� যারা চর্চ� করেন, তাদে� জন্য বে� শিক্ষণীয় প্রবন্ধটি। বাকি দুটো প্রবন্� রবীন্দ্� সাহিত্� আলোচনা নিয়ে। আর শেষভাগ� রয়েছে সাংবাদিকতা এব� শিল্পী� স্বাধীনত� নিয়� দুটি নাতিদীর্� প্রবন্ধ। তন্মধ্যে শিল্পী� স্বাধীনত� প্রবন্ধট� ভালো লেগেছে খুব। বুদ্ধদেব বসুর প্রবন্� পুনরায� আমার হৃদয� আলোড়ি� করেছে। আবার� কিছু নতুন ভাবনার খোরা� জুগিয়েছে। ভাবত� শিখিয়েছ� খু� চিরাচরিত বা সনাত� বল� ধর� নেয়� কোনকিছুক� আবার একটু অন্য চোখে দেখতে। অন্ত� চেষ্টা করতে� সাহিত্যচর্চা পা� অভিজ্ঞতা বে� মনোহ�-এটুক� বলাই যায়�