Moti Nandi was a sports journalist and worked as a sports editor in Anandabazar Patrika. He was awarded the Lifetime Achievement award (2008) at a glittering ceremony to mark the grand finale of the maiden edition of the Excellence in Journalism Awards.
In his novels, he is noted for his depiction of sporting events and many of his protagonists are sports-persons. His first short story was published in Desh weekly on 1957. His story for Pujabarshiki was in Parichoy Magazine on 1985.
� হল� এক ফুটবলারে� গল্প� তা� না� 'কম�', সে 'ডিফেন্�' পজিশনে খেলে, যাদে� বল� চল� স্টপার, বিপরী� পক্ষের গো� ঠেকিয়� দেওয়া যাদে� কাজ।� শুধু কি খেলা� মাঠে� উন� স্টপার?? কমলে� একটা কথ� বে� মন� থাকা� মত�, "আমরা সবাই তো স্টপার ঘোষদ�, কে� মাঠে� মধ্য�, কে� মাঠে� বাইরে। ঠেকাচ্ছি আর ঠেকাচ্ছি" ফুটব� � যে� তা� প্রা�, তা� শ্বা�-প্রশ্বাস।। এই ফুটবলে� জন্য� সে তা� বউ মারা যাওয়া� সময়� শে� দেখা দেখে যেতে পারেনি, যা� কারণ� ছেলে 'অমিতাভ�' এর কাছে সবসময় প্রশ্নবিদ্� হত� হয� তাকে।। জাতীয় দল� খেলা, অলিম্পিক� খেলা অমলে� বাস্তবিক জীবনেও কত বাধা, কত অপমা�, কত তাচ্ছিল্যে� মুখোমুখি হত� হয়েছে।। ফুটবলক� যে এতকিছু দিয়েছ� তা� কি এস� প্রাপ্� ছি�, সেটা� একটা প্রশ্ন...
মত� নন্দী নিয়� আলাদ� কর� আর কিছু বলার আছ� মন� হয� না।। আম� উনাত� মুগ্� হয়ে অনেককে এখ� পর্যন্� সাজেস্� করেছ� উনার বই।। খেলাধুলা বিষয়ে উপন্যা� লিখে উন� যে� এক নিজস্ব জায়গা দখ� কর� রেখেছে� বাংল� সাহিত্যে, কারণ এত smartly আর এত নিখুঁতভাবে খেলাধুলা নিয়� উপন্যা� লিখেছে� বা কয়জন।� উন� হয়ত� জানতেন খেলাধুলা নিয়� কিভাবে একটা গল্প বললে পাঠককে ধাক্কা দেওয়া যাবে..... তব� একটা কথ� বল� রাখত� চা�, যারা ফুলব� বে� ভালো বুঝে� তারা এই বইটি আর� বেশি উপভো� করবেন।� গল্পটা উপভো� করলে� খেলা� মাঠে� অনেক পজিশ�, অনেককিছু একটু বুঝত� সমস্যা হচ্ছিল� কারণ আম� তেমন নিয়মি� ফুটব� দেখিনা..... তব� গল্পটা আপনি বে� উপভো� করবে� নিশ্চয�
আচ্ছ�?? আমরা তো ঠিকই অমলে� মতোই তাইন�?? জীবন নামক খেলা� মাঠে শত কষ্ট আসছে, শত বাধা আসছে, এসবক� আমরা ডিফেন্� করেই যাচ্ছি......
একটা অংশে কমলে� কিছু কথ� বে� মন খারা� কর� দিয়েছিল------ "কম� একটু হাসল� "সারা জীবন পারফেক্শ� খুঁজেছ�, কিন্তু পাইনি। যে যা� নিজে� ক্ষেত্রে পারফেক্ট হত� চায়; আমার ক্ষেত্রট� ফুটবল। আম� মানু� হত� পারব না জেনে ফুটবলা� হত� চেয়েছি। কিন্তু দুঃখের কথ� কী জানো, ফুটবলারে� সময়টা বেঁধ� দেওয়া হয়েছে� তা� শরী�, তা� যৌবন� তা� সময়, কিন্তু বড্ড ছোট্� সময়টা� আমার মত� তৃতীয় শ্ৰেণী� ফুটবলা� অল্প সময়ের মধ্য� কী করতে পারে যদ� না খাটে, যদ� না পরিশ্র� কর�?""
মত� নন্দী'� সেরা বই 'স্ট্রাইকার', 'স্টপার', নাকি 'বুড়� ঘোড়�', সে� সিদ্ধান্� নিতে সবসময়� আমার বে� কষ্ট হয়। যেহেতু আমার ক্রিকেটে� দিকে পক্ষপা� আছ�, তা� শেষমেশ 'বুড়� ঘোড়�'-কে� ভগ্নাংশে� ব্যবধানে এগিয়ে রাখি� তব� যাদে� ফুটবলে� দিকে ঝোঁক আছ�, তারা হয়ত� 'স্টপার'-কে� প্রথমে রাখবেন� স্থানীয় খেলা� রাজনীতি, আনন্�-বেদন�, আশ�-নিরাশা, নোংরাম�, বয়স্ক হয়ে যাওয়া খেলোয়ারদে� উপেক্ষ� আর অবজ্ঞা� কঠিন জীবন, আর সবকিছু ছাপিয়� টিকে থাকা� লড়া�--দু� বাংলার ক্রীড়াঙ্গ� মিলিয়� মত� নন্দী'� চেয়� বাস্তব লেখা আর কে� লেখেননি। পশ্চিম� সাহিত্যে খেলা নিয়� অনেক দারু� দারু� বই আর সিনেমা আছ�, সে তুলনায� বাংল� সাহিত্যে নন্দী-� আমাদের সবেধ� নীলমণি (অন্য যারা লিখেছে�, যথাযোগ্য সম্মান সহকারে� বল�, সেগুলো একেবারেই পাতে দেয়ার মত নয�)� সম্ভবত জাতি হিসেবে আমরা স্পোর্টসম্যা� নই, কাজে� খেলা নিয়� খুনোখুনি প্রচুর হলেও খেলা� স্পিরিটট� আমাদের মাঝে আছ� বল� মন� হয� না� মত� নন্দী'� সেরা এই কাজট� তা� খেলাপ্রেমীদে� জন্য অবশ্যপাঠ্য, আর খেলা নিয়� যাদে� বাড়তি উচ্ছ্বাস নে�, জীবনঘনিষ্ঠ উপন্যা� হিসেবে পড়ল� তাদেরও নিশ্চিতভাব� ভা� লাগবে।
বইটা অনেক বেশি ভালো লাগলো।♥️ একজন ফুটবলারে� গল্প যিনি তা� নিজে� সময়� দুর্দান্� এক ফুটবলা� ছিলে� কিন্তু বয়সের ভারে ক্যারিয়ারের একদম শে� সময়�, যে সময়� অন্যরা রিটায়ার্ড কর� ফেলে সে� সময়েও খেলা চালিয়� যাওয়া� কারন� নানা অপমা� সহ্য করতে হয়। কিন্তু তিনি ফুটব� ভালবাসেন� এই বয়সেও শুধুমাত্� ফুটব� ভালোবেসে চ্যালেঞ্� নেয়� এব� সে� চ্যালেঞ্� নিয়েই বইটি�
পোড় খাওয়া এক ফুটব� খেলোয়াড়ে� দাঁত� দাঁত চেপে খেলে যাওয়া� গল্প উঠ� এ���েছ� মত� নন্দী� 'স্টপার' এ। হাজারো অপমা�, ফুটবলক� ভালোবেসে জীবন� না পাওয়া হিসাবে� ভীড়� গল্পের নায়� কম� গুহর কানে শুধু একটা কথাই বেজেছে, 'ব্যালেন্� হারানো যাবে না'� শে� পর্যন্� সে কি পারে ফুটবলে� সাথে জীবনের ব্যালেন্� করতে? নাকি জীবনের না পাওয়া� তালিকায় যো� হয়ে এই ফুটবলও? স্পোর্টস রিপোর্টা� মত� নন্দী দারু� ভাবে তা তুলে ধরেছেন এই ফিকশ� বইটিতে�
সক� পাঠকের জন্য রিকমেন্ডেশ� থাকল� ১২� পৃষ্ঠা� ছো� এই বইটি�
সুকান্তে� কবিতার এই দু� লাইনের একটা জ্বলন্� প্রমাণ এই বইটা বহ� কর� চলেছে। কি অসাধার� একটা গল্প� সবকিছু শেষে� আশার, ভালোবাসা� কিছু না কিছু থেকে যায়� যাকে আঁকড়ে ধর� বাঁচ� যায়, নতুন কর� স্বপ্ন দেখা যায়� বইটা যে� এই কথাই বল� বা� বার।
একটা খেলোয়াড়ে� জীবন কতোই বিচিত্�! বাংলাদেশের ক্রিকেটা� লিটন দাশে� কথাই ধরুন না� একসময় কী ভয়াবহ কটুক্তির স্বীকা� হয়েছেন। তিনি যত� রা� করবে� তত� ডিস্কাউন্ট! এম� দিনও দেখত� হয়েছে� অথ� সে� লিটন� এখ� বাংলাদেশ দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্� ব্যাটসম্যান। এখ� তাকে যারা মাথায় তুলে নাচছ� কয়ে� ম্যা� বাজে খেলল� আবার তারা� গা� পাড়বে� অদ্ভুত জীবন বইকি!
ফুটবলে এখ� স্টপার শব্দটা তেমন একটা ব্যবহা� হয়না। তা� বদলে সেন্টা� ব্যা� কিংব� ডিফেন্ডা� বল� হয়। সেরক� একজনের গল্প নিয়েই এই বই� মত� নন্দী� অন্যান্য বইয়ের মতোই এখানেও দারিদ্রত�, অন্যায� এব� ভাগ্যে� সঙ্গ� লড়ত� হয� স্টপারকে� সে� প্রসঙ্গে� একটা লাইন আস�, "স্টপার, কো� দিকে� তুমি আক্রমণ সামলাব�!"
স্টপার আর স্ট্রাইকার প্রায় এক� ধাচে লিখা� পার্থক্য বলতে স্ট্রাইকার� উদীয়মা� তরুণের উত্থান এর গল্প বল� আছ� অন্যদিকে স্টপার� যা� গল্প আছ� তা� ক্যারিয়ার একদম শেষদিকে। বুড়িয়ে যাওয়া ওই বয়স� গিয়েও তাকে লড়ত� হয়। যতোট� না মাঠে তা� চেয়েও বেশি মাঠে� বাইর� আশেপাশের মানুষে� সঙ্গে। আমার আবার মন� পড়ে যায়,
মূলত ক্রীড়� সাংবাদিক হলেও মত� নন্দী যে অসাধার� উপন্যাসও লেখে� সেটা প্রথ� জানত� পারি তাঁর লেখা � সাদা খা�' উপন্যাসট� পড়া� সময়� ঝরঝর� ভাষায় ছোট্� পরিসরে লেখা উপন্যাসট� তখনই উঠ� গিয়েছ� প্রিয় বইয়ের তালিকায়� আর কিছুদি� আগ� যখ� জানলাম ক্রীড়� সাংবাদিক সাহে� খেলাধুলাকে কেন্দ্� কর� বেশকিছ� উপন্যাসও লিখেছে� তখনই গুডরিডসে ‘ট� রি�' এর তালিকায় ঢুকিয়েছিলাম বইটি� আর আজ পড়া� হল� দারু� এই উপন্যাসটি।
উপন্যাসে� নায়� স্টপার কম� গুহ। ফুটবলে যারা প্রতিপক্ষে� আক্রমণ প্রতিহ� কর� এব� দলের সদস্যদের বলের জোগা� দেয় তারা� ডিফেন্ডা� বা স্টপার� স্টপার কম� গু� একসময় বেঙ্গল এব� ভারতীয় দলের অপরিহার্� অং� থাকলেও এব� লাখো মানুষে� ভালোবাসা পেলে� ক্যারিয়ারের পড়ন্ত সময়� তা� স্থা� হয়েছে অখ্যাত, অবনম� এড়াতে আপোষ� পয়েন্� ভাগাভাগি কর� দল শোভাবাজারে যেখানে তা� সম্ব� শুধু� কট� কথ� আর সমালোচনা� কিন্তু প্রতিপক্ষে� আক্রমণ� সে যেমন ভয� পায় না তেমন� ভয� পায় না জীবনের চলার পথের নানা বাধাবিপত্তিকে। তাইত� যুগে� যাত্রী� সাথে ম্যাচট� যখ� নিজে� সম্মানের, সন্তানের কাছে নিজেকে প্রমাণের, গুরু-কন্যার চাকুরি� জন্য বাঁধ� হয়ে দাঁড়া� তখ� আর পিছু হঠার কোনো উপায�-� রই� না কমলের।
বল� হয� ফুটব� বাঙালি� প্রথ� প্রে� আর বাদবাক� যা কিছু বাঙালি ভালোবাসে তা� সব� এই প্রথ� প্রেমক� ভুলত�! আজকে� বাস্তবতায় কথাট� কতটুকু সত্য� সে প্রশ্ন উঠলে� ফুটবলে� প্রত� বাঙালি� যে একটা তীব্� আকর্ষণ আছ� সে কথ� না মেনে কোনো উপায� সেই। তাইত� ক্রীড়� সাংবাদিক লেখক যখ� ক্লা� ফুটবলে� নানা ইতিবৃত্তসহ এক লড়াকু, হা�-না-মানা স্টপার নায়� হিসেবে উপস্থাপন করেন তখ� আর বইটাকে দূরে� কিছু মন� হয� না, মন� হয� আশেপাশের কারও কথাই যে� উঠ� আসছে বই থেকে! আর সাথে যখ� লেখক জীবনকে� নানা বাধাবিপত্ত� ‘স্টপ� করার দীক্ষা দে� মাঠে� স্টপারের মাধ্যম� তখ� তা আর� আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
বইটা� প্রথ� ভালো লাগা� বিষয়ট� হল� বাস্তব জীবনের সাথে মিলিয়� লড়া� করার অনুপ্রেরণা দেওয়া� বিষয়টা। গুরু� মুখে শোনা, � ব্যালান্�, কম�, ব্যালান্স। কখনও ব্যালান্� হারাসনি।� কথাটাক� কম� যেমন জীবনের আপ্তবাক্� বানিয়� ফেলেছি�, লেখক বারবার ইঙ্গিত করেছেন আমাদের� বিষয়ট� থেকে শিক্ষা নিতে� প্রকাশ � গোপনীয়তা�, উৎযাপন � এড়িয়� যাওয়া�, মেনে নেওয়া � মানিয়� নেওয়া�, রা� আর ভালোবাসা�, বিশ্রা� আর পরিশ্রমে� � জীবনের প্রতিট� ক্ষেত্রে যে ব্যালান্সটাই আস� কমলে� মাধ্যম� লেখক সে কথ� বল� গিয়েছেন বারবার� আর � ফুটবলে� মত� জীবনেও আমরা স্টপার� শুধু ঠেকাচ্ছি আর ঠেকাচ্ছি।� লাইনটা� মাধ্যমেও লেখক সে কথাই বলেছেন� সাথে � ফুটবলে� মত� জীবনেও আগ� ডিফেন্� পর� কাউন্টার অ্যাটাক।� লাইনটা� মাধ্যম� লেখক বলেছেন জীবন� আগ� প্রস্তুত ওয়া� কথা। ডিফেন্� লাইন ছেড়� সবাই মিলে অ্যাটাকে যাওয়া যেমন অর্থহী� এব� বোকামি তেমন� জীবন� প্রস্তুত না হয়ে, পরিকল্পন� না কর� অগ্রসর হওয়াও তেমন� নির্বুদ্ধিতা� পরিচায়ক� তাইত� কম� যেমন প্রথমে শুধু� ডিফেন্� কর�, ডিফেন্� করতে করতে অ্যাটাকে� পরিকল্পন� কর� এব� সুযো� বুঝে অ্যাটা� কর� প্রতিপক্ষক� বেকায়দায় ফেলে তেমন� বাস্তব জীবনেও লেখকের পরামর্� প্রথমে যোগ্� হওয়�, তারপরে পরিকল্পন� কর� এব্য তারপরে� প্রতিযোগিতায� নামা�
দ্বিতীয় যে বিষয়ট� ভালো লেগেছে তা হল� লেখক নিপুণভাব� তুলে ধরেছেন ক্লা� ফুটবলে� ইতিবৃত্ত� প্রথমে� যে বিষয়ট� বলতে হয� তা হল� লেখক দেখিয়েছেন কিভাবে বড� দলগুলো রেফারিদে� হাতে রেখে ম্যাচে� ফলাফ� নিজেদে� দিকে নেয় আর ছো� দলগুলো লীগে টিকে থাকত� আপোষ� পয়েন্� ভাগাভাগি করে। বই প্রকাশের এতদি� পরেও যে বিষয়ট� পাল্টায়নি তা� প্রমাণ পাওয়া যায় কিছুদি� পরপর দেশে� ঘরোয়া লীগে এস� নিয়� হৈচৈ দেখে� সাথে স্পট � ম্যা� ফিক্সিংয়ে� মত� বিষয়গুলোও দারুণভাব� তুলে ধরেছেন লেখক� এস� বিষয়ও খু� একটা বদলায় নি আজ পর্যন্ত। বইয়ের সত্য,বলাই, শম্ভুর� যেখানে ভরপু� খাওয়া বা ফ্যান্সি ড্রেসে� জন্য ইচ্ছাকৃত ম্যা� ছাড়� এখ� হয়ত� সেসবের স্থা� দখ� করেছ� দামী প্লট বা গাড়ি। সাথে কো�-খেলোয়াড়ে� দ্বন্দ্ব, খেলোয়াড়দের পারস্পারিক ঈর্ষ�, মালিকপক্�-কোচে� দ্বন্দ্ব ইত্যাদ� বিষয়ও চমৎকারভাবে উঠ� এসেছ� বইটাতে�
এছাড়া আর যে দুইট� চমৎকার দি� উঠ� এসেছ� বইটাতে তা হল� খেলোয়াড়দের গুরুভক্ত� এব� পরিবারের সাথে তাদে� সম্পর্ক। কো� বা গুরুদে� প্রত� খেলোয়াড়দের যে একটা তীব্� ভালোবাসা এব� সম্মান থাকে সেটা যখনই পল্টুদার কথ� এসেছ� তখনই কমলে� মাধ্যম� উঠ� এসেছে। বিখ্যা� হয়ে গেলে� খেলোয়াড়র� যে তাদে� কোচদের কাছে সে� ছোট্টটিই থাকে, তখনও যে আদ�-শাসন� মেশা এক অদ্ভূত সম্পর্� থাকে সেটা কম�-পল্টুদার অংশগুল� থেকে স্পষ্ট� আর খেলোয়াড়দের একটা অংশক� যে নিজেদে� পরিবারের সাথে� যুদ্� করতে হয� খেলা� জগতে আসতে বা খেলা চালিয়� যেতে সেটা স্পষ্ট হয়েছে সলীলে� সংগ্রামে বা কমলে� দাম্পত্য জীবন থেকে�
এত দার��ণ সব অনুপ্রেরণা� পাশাপাশি বইটা একদিকে হাসিয়েছ� আবার অন্যদিকে চোখে পানি� এন� দিয়েছে। যুগে� যাত্রী� সমর্থকটি� � এত মাংস এখ� খাবে কে?� ডায়ালগট� বা অফিসার্স ক্লাবে� খেলায় দাম্ভি� অনুপমক� কমলে� নাকে দড়ি দিয়� ঘুরানো� অংশগুলোত� পে� চেপে যেমন হেসেছি তেমন� শেষদিক� কমলে� খেলা দেখে ছেলে অমিতাভ যখ� � আমার বাবা' বল� গর্ব� দাঁড়িয়� পড়ে তখ� চোখে পানি� এস� গিয়েছে।
বিষয়বস্তু, সত্��ক� তুলে ধর� বা অনুপ্রেরণা দেওয়া সবক্ষেত্রে� বইটা সফল। তাইত� সহ� ভাষায় লেখা ছো� আকারের বইটা� মন� থাকব� অনেকদিনই�
এম� বই আম� এর আগ� কখনো পড়িনি� একেবার� মন ছু্ঁয়� গেছে� পাঁচ তারকাও মন� হয� কম হয়ে গেলো...
বইটা মূলত একজন ফুটবলারে� তা� জীবনের সাথে প্রতিনিয়ত সংগ্রা� কর� টিকে থাকা� গল্প� � বইটা সম্পর্কে কিছু লেখা� জন্য রীতিমত� শব্দ স্বল্পতায় ভুগছি। নাঈমদা পড়ত� না বললে হয়ত� আর� অনেক পড়ে পরিচয় হত� লেখকের সাথে� ধন্যবা� নাঈমদা�
ফেসবুক� নাইম ভাইয়া� পোস্� দেখা� পর মত� নন্দী� খোঁজ পাই৷ তিনি ছিলে� ওপার বাংলার ক্রীড়� সাংবাদিক� খেলাধুলা� সাথে তাঁর সম্পর্� ছোটবেল� থেকে� ছিল। বল� হয�, বাংল� ক্রীড়াসাহিত্য তাঁর হাতে� তৈরি হয়েছে� যা� কারণ� ফুটব�, ক্রিকে�, বক্সিং, সাঁতার, দৌড়- সব খেলা সম্পর্কে� তাঁর অগাধ জ্ঞান। এই জ্ঞা� আর খাসা লেখনশৈলী মিলিয়� চমৎকার কিছু বই লিখেছে� তিনি� তারই একটা হল� 'স্টপার'� . . বাইরের ক্লা� ফুটবলে� ম্যাচগুল� যেমন দেখা হয� বা খোঁজ রাখা হয়৷ বাংলাদেশের ক্লা� ফুটব� কখনো� দেখা হয়নি। একবা� শুধু মাঠে বাবা� সাথে আবাহনী� খেলা দেখত� গিয়েছিলাম� তব� পেপারে� বদৌলতে প্রায়� নানা� (কু)কীর্তিকলাপের কথ� চোখে পড়ে� বাংলাদেশ� ক্লা� সংস্কৃতি� যে কোনো উন্নতি হচ্ছ� না, সেটা সবাই জানে� বিদেশি খেলোয়াড়দের প্রত� ঝোঁক, ফিক্সি�, জুয়�, প্রাপ্� বেতন না দেওয়া- সব মিলিয়� ক্লাবগুল� জরাজীর্ণ। ক্লাবে� ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার� নিজেদে� স্বার্থে� ক্লাবে� সঙ্গ� সম্পৃক্ত থাকেন।
ছবিত� আর্জেন্টিন� দলের পাশাপাশি মেসি� পোস্টা� রাখলেও, মেসি কিন্তু স্টপার না� স্টপার হচ্ছ� তারা� যারা নি� দলের খেলোয়াড়ক� বল পা� কর� এব� নিজেদে� জালে প্রতিপক্ষে� আক্রমণকে বাঁধ� দেয়� খেলোয়াড়দের জীবন তাদে� মাঠে� পারফর্মন্সের মতই। ভালো খেলল� সবাই প্রশংস� কর�, খারা� খেলল� দুয়� দেয়� তাছাড়� বয়স ত্রি� পেরোলে� আনফি� তকমা দিয়� বেঞ্চে বসিয়ে রেখে আস্ত� আস্ত� ক্লা� থেকে বে� কর� দেয়� কম� গু� একটা সময় প্রতিপক্ষে� মন� ত্রা� সৃষ্টি করলে� আস্ত� আস্ত� তা� ধা� কম� আসে। বড� ক্লা� থেকে ছো� ক্লাবে কোনোরকমে ঠাঁই মেলে� 'যুগে� যাত্রী' দলের সাথে তা� ম্যাচট� শুধু নিজে� সম্মান বাঁচানোর ম্যা� ছি� না, সেটা ছি� সন্তানের কাছে নিজেকে প্রমাণের� লড়া�, যেখানে ব্যালেন্� ধর� রাখাটা খু� জরুরি। খেলা� মাঠে প্রতিপক্ষে� আক্রমণ যেভাবে স্টপ করেন, সেভাবে� নিজে� জীবনের ঘা�-প্রতিঘাতগুলো থামাতে হব� কমলবাবুকে।
তা� তো লেখক বলেছেন, "ফুটবলে� মত� জীবনেও আগ� ডিফেন্� পর� কাউন্টার অ্যাটাক।" বইটা যে� ফুটব� দিয়� জীবনের দর্শ� বর্ণনা করেছে। বইয়ের আকার ছো� হলেও, অনেক ভারী একটা বই� লেখক খু� সুন্দরমত� ক্লা� ফুটবলে� অবস্থা, গুরু-শিষ্যে� সম্পর্�, বাবা-সন্তানের সম্পর্�, ফুটবলীয় উপমা এখান� তুলে এনেছেন� আম� বলবো, মত� নন্দী� অন্ত� একটা বই পড়ে দেখু�, হতাশ হবেন না� আম� লেখকের স্ট্রাইকার, শিবা আর নারা� পড়েছি, ভালো লেগেছে�
বিভিন্� কারণেই সময়টা অস্থির� রা� ক্ষো� হতাশায� যখ� মাথাটা ভা� হয়ে আস�, তখ� ঘন্ট� দেড়েকের জন্য মত� নন্দী� "স্টপার" নিয়� বস� পড়াটা নিশ্চয়ই দারু� একটা সিদ্ধান্�!
মত� নন্দী এখান� মুলত কম� নামে একজন স্টপারের গল্প বলেন, একজন ডিফেন্সের। একজন স্টপারকে সবসময় সতর্� থাকত� হয� তা� সামন� আস� ফরোয়ার্ডদের আটকে দেওয়া� জন্য� কিন্তু সবসময় কি পারা যায়? যায় না� কখনো কখনো বিপর্যয় আস�, গ্লানি, হতাশাবোধ আষ্ঠেপৃষ্ঠ� বেঁধ� রাখে, তীব্� তুচ্ছতাচ্ছিল্য বিঁধ� আস� বুকে� সবচেয়� বেশি বাধা আস� বয়সের, সময়ের� ফুটবলারদের জীবন� বয়সটায় যে� নির্ধারণ কর� দেয় খেলা� গত�, ধর� আর টিমে� ভরসা! কমলে� জীবনেও বিপর্যয় আস�, গ্লানি হতাশাবোধ তাকে� আষ্ঠেপৃষ্ঠ� বেঁধ� রাখে ভীষনভাবে, ক্লা� পলিটিক্স আর প্যাশনের প্রত� অত� অবসেসড তাকে ফ্যামিলি� কা� থেকে� বিচ্ছিন্� কর� ফেলে� সাথে বয়সের বাধা তো আছেই, সবাই যখ� চায় কম� রিটায়ার্ড কর� ফেলু� তখ� সে ফুটবলটাক� আর� বেশি আঁকড়ে ধরে। আসলে তা� জীবন� ফুটব� ছাড়� আছেই বা কী! কিন্তু কম� মাথা নোওয়াবা� নয়। নিজে� সাধ্যে� সবটুকু উজাড� কর� দিয়� সে ফুটবলটাকেই ধর� থাকে, আর আটকে দেয় ফরোয়ার্� এব� উইংদের�
ইদানী� কি জানি হইসে আমার, যা পড়তেছ� সবকিছুতে� পাঁচ তারক� পড়তেছ�! এটাতেও দিলাম। অন্ধকা� জেনে� আশার, ভালবাসার এই গল্পগুলো এখ� পড়ত� বে� ভালোলাগে� কারণ এখ� আম� জানি, সূর্�-ডোবা শে� হল কেনন� সূর্যে� যাত্রা বহুদূর�
যে মানু� এক� যা� কে� নে� সে তখ� সফ� হবার জন্য� কি করতে পারে? সে লড়ত� পারে� লড়ে যেতে হব�! এই পৃথিবীটা ঘুরছ� ব্যালান্সে� ওপর। মানু� হাঁট� ব্যালান্সে, দৌড়োয�, ড্রিবল কর�, এমনকী মানুষে� মন� রয়েছে ব্যালান্সে� ওপর। চালচলন�, ব্যবহারে � চিন্তাধারায় কখনও ব্যালান্� হারালে� সব শে� তা� লড়ত� হবে। লড়ে যেতে হব� যাতে হারলেও যেনো জিতা� তীব্রত� থাকে!
ফুটব� আর জীবন� যে তফাৎ নেই। আগ� ডিফেন্� কর�, তারপ� কাউন্টার অ্যাটাক। সর্বক্ষেত্রে এটাই সেরা পদ্ধতি, জীবনের ক্ষেত্রেও।"
মত� নন্দী এককালে ক্রীড়� সাংবাদিক ছিলে� তা� খু� কা� থেকে দেখেছে� ফুটবলে� আদ্যোপান্ত আর সেটা� কলমে প্রকাশ কর� দিয়েছেন� দুর্দান্� এক্সিকিউশান। শে� ম্যাচটার বর্ণনা যেনো এল-ক্লাসিকো ম্যা� দেখবার মতোই!
প্রিয় বইয়ের তালিকায় "স্টপার" কে জায়গা কর� দিলাম। আজীবন প্রিয় হয়ে থাকবে।
”প্র্যাকটিসট� আর� ভা� কর� কর� হতাশ� আসবে, তাকে জয� করতে� হবে। ইন্ডিয়া টিমে খেললেই কি বড� প্লেয়ার হয�? বড� তখনই হয�, যখ� সে নিজে অনুভ� কর� মনের মধ্য� আলাদ� এক ধরনে� সু�, প্রশান্তি। সেখানে হতাশ� পৌঁছোয� না� তু� খেলা ছেড়� দিবি বলছি�, তা� মানে তু� বড� খেলোয়াড� হত� পারিসনি।�
শোভাবাজা� স্পোর্টিংয়ে� প্রথ� দু’বছর, তারপ� ভবানীপু�, দু’বছর পর এরিয়ানে, সেখানে এক বছ� কাটিয়� যুগে� যাত্রীতে চা� বছ�, মোহনবাগানে এক বছ�,আবার যুগে� যাত্রীতে দু’বছর, তারপ� আবার শো��াবাজারে।
গত পনের� বছরে কম� দু’বার চাকর�, ছয� বা� বাসা এব� ছয� বা� ক্লা� বদ� করেছে। শোভাবাজা� স্পোর্টি�, ভবানীপু�, এরিয়া�, যুগে� যাত্রী, মোহনবাগা� এব� আবার যুগে� যাত্রী হয়ে এখ� শোভাবাজারে আছে। এই সময়� সে দর্জিপাড়া, আহিরিটোল�, শ্যামপুকুর, কুমারটুল�, আবার শ্যামপুকুর হয়ে এখ� বাগবাজার� বাসা নিয়েছে। ক্লাবে� জন্ম শোভাবাজারে এব� না� শোভাবাজা� স্পোর্টি� হলেও তা� কোনও অস্তিত্ব জন্মস্থানে এখ� আর নে�, যেমন কমলে� জন্ম ফরিদপুরে হলেও, তি� বছ� বয়স সেখা� থেকে চল� আসার পর আর সে দেশে� মু� দেখেনি� শোভাবাজা� স্পোর্টি� এখ� ময়দানের তাঁবুত� আর বেলেঘাটায় কেষ্টদার অর্থাৎ কৃষ্ণপ্রসা� মাইতির বাড়িতেই বিদ্যমান�
স্ত্রী শিখা দশ বছ� আগ� মারা গেছে, কমলে� খেলা� জীবনের সঙ্গ� মানিয়� চলতে পারেনি একদিনও� ছেলে অমিতাভ তা� মা’র কা� থেকে� ফুটবলক� ঘৃণা করতে শিখেছে� পলিটিক্সের কথ� বল�, তা� নিয়� বন্ধুদের সঙ্গ� তর্ক কর�, গা� গায়, কবিত� লেখা� চেষ্টা কর�, কিন্তু ফুটব� সম্পর্কে একদিনও একটি কথ� বলেনি। একতলায� দুটি ঘর নিয়� কম� থাকে� একটিতে সে, অপরটিত� অমিতাভ�
দুটি লোকে� এই সংসারে� যাবতীয় কা� � রান্না কর� দিয়� কালো� মা রাতে চল� যায়� দশ বছ� আগ� শিখা মারা যাবা� পর� সা� বছরে� অমিতাভকে তা� দিদিমা গৌহাটিতে নিয়� চল� যান। দু’বছর আগ� সে বাবা� কাছে ফিরেছে� প্রথমে দু’জনে� সম্পর্কট� ছি� স্কুলে ভর্ত� হওয়� নতুন দুটি ছেলে� মতো। দু’বছরেও কিন্তু ওদের মধ্য� ভা� হয়নি। ওর� কথ� কম� বল�, দু’জনে দু’জনক� যতটা সম্ভ� এড়িয়� চলে। কে� কারো� ঘর� পর্যন্� ঢোকে না�
কমলে� বর্তমা� ক্লা� শোভাবাজারে� অবস্থা খুবই শোচনীয়� ভালো কোনো প্লেয়ার নে� দলে। অথ� দল চালাতে হাতি� খোরা� যাচ্ছে� কো� সরোজ ঠিকঠাক খেলাতে পারছ� না নাকি ফিটনেসের অভাব প্লেয়ারদে� এটাও একটা প্রশ্ন� কারণ এর� মাঝমাঠ� বলের দখ� রাখতেই পারছ� না� সিনিয়� প্লেয়ার হিসেবে কম� গু� তবুও চেষ্টা করছে� যদ� একজনকে� গড়ে তোলা যায়� সলীলক� নিয়� বড� আশা। গরীবে� ছেলে তবুও খেলায় খু� ঝোঁক� কম� গু� একসময় রাইট ইন ছিল। পল্টুদ� তাকে স্টপার পজিশনে আনে। কিন্তু এখ� শোভাবাজা� বল� যায় নিয়� করেই ম্যা� হারছে। এক� কম� কী করবে?
হঠাৎ করেই খব� এল� পল্টুদ� স্ট্রো� করেছেন� একশোটা টাকা নিতে তাকে শেষমেশ রথীনে� কাছে তা� শে� ক্লা� যুগে� যাত্রী� তাঁবুতেই যেতে হচ্ছ� এখন। কম� যুগে� যাত্রী� তাঁবুত� শে� বা� পা দিয়েছিল সা� বছ� আগে। মোহনবাগা� থেকে যাত্রীতে আসার জন্য ট্রান্সফার ফর্ম� সে সই কর� এক হাজা� টাকা আগাম নিয়ে। কথ� ছি� পাঁচ হাজা� টাকা যাত্রী তাকে দেবে�
বছ� শেষে সে মো� পায় চা� হাজা� টাকা� দিল্লিতে ডুরান্ডে কোয়ার্টার ফাইনাল� হেরে আসার পর� সে গুলোদা� কাছে বাকি টাকাটা চায়� যুগে� যাত্রী� সব থেকে ক্ষমতাশালী গুলোদা অর্থাৎ ভাইস প্রেসিডেন্� প্রতাপ ভাদুড়ি। গুলোদা নম্রস্বর� বিনীতে ভঙ্গিত� কথ� বলে।
”ছ� ছি, অন্যায�, খু� অন্যায়। আম� এখুন� তপেনকে বলছি।� গুলোদা অ্যাকাউন্ট্যান্ট তপেন রায়কে ডেকে পাঠাল। সে আসতে� ঈষ� রুষ্টস্বরে বল�, ”একী, কমলে� টাকা পাওন� আছ� যে? না না, যত শিগগির� পারো দিয়� দা�, কম� আমাদের ডিফেন্সে� মু� খুঁট�, ওক� কমজোরি করলে যাত্রী শক্ত হয়ে দাঁড়াবে কী কর�!� তপেন তি� দি� ঘুরিয়� টাকা দেয়নি�
আজকে এত সময় পর কমলক� দেখে সবাই বে� অবাক� কম� গু� একসময় যুগে� যাত্রী� কত ভালো প্লেয়ার ছিলো� কম� পুরন� কথ� গায়� না মেখে ছুটল� টাকা নিয়ে। অবশ্� রথী� তাকে নামিয়� দিয়েছিল গাড়� করে। যাবা� সময় হুঁশিয়ারি দেয় অফিস থেকে দুপু� তিনটার পর যে� বে� না হয� হুটহাট� অফিসের একটা নিয়� আছে। খেলোয়াড� কোটায় এই ব্যাংকের চাকরিট� কমলক� রথীনই পাইয়ে দিয়েছিল� ব্যাংকের হয়ে অফিস লীগে খেলত� হয� তাকে� কিন্তু শোভাবাজারে� ম্যা� � বা কীভাবে হেলাফেলা কর� কম�! জীবনটাকে বড� অসাড� লাগে কমলের।
প্রতিনিয়ত সবার থেকে কটুক্ত� কানে আস� কম� গু� এবার ফুরিয়� গেছে� বুড়� ঘোড়� বা� দিয়� শোভাবাজারে� উচিত নতুন কম বয়সী ছেলে নিয়� দল গড়া� ম্যা� যতগুলো খেলা হয়েছে লীগে এবার সবচেয়� বেশি অপমানি� হয়েছে কম� যুগে� যাত্রী� সাথে �-� তে হেরে� গ্যালারি থেকে দর্শকদের ইট এসেও লেগেছে� হতাশ� ঘিরে ধর� কমলকে। না� আর নয়। এই স্টপার এবার ফুরিয়� গেছে� আর সে ডিফেন্� আগলাতে পারে না� তা� জন্য� নাকি এত গো� হয়েছে দোষারো� শুনত� হল� খো� শোভাবাজারে� কিছু প্লেয়ার থেকে�
কিন্তু হঠাৎ করেই যে� আলোর একটা বিন্দু জাগিয়� দিলো কমলকে। লীগে� খেলায় শোভাবাজারে� শে� ম্যা� আছ� যুগে� যাত্রী� সাথে� ছেলে অমিতাভ যে জীবন� ফুটব� নিয়� আগ্ৰ� দেখায়নি আজকে বাবা� খেলা দেখত� চায়� সলী� আবার ফিরে এসেছে। সে শোভাবাজারে� বিধ্বস্ত দলের হয়ে চা� ম্যা� খেলে ফেলেছে� কমলে� মধ্য� হঠাৎ করেই উদ্দাম ফিরে আসে। নিয়� নেয় এই স্টপার কঠিন শপথ। জীবনের শে� ম্যা� সে খেলব� এবার� এম� কর� খেলব� যাতে জীবন� যা হারিয়েছ� শেষবেলায� কিছু যাতে পায়� স্টপারের জীবনের শে� ম্যাচে� সাক্ষী হবেন নাকি?
🍨পা� প্রতিক্রিয়া 🍨
এই বইটি কিশো� উপন্যা� হলেও আমার বে� ভালো লাগলো। মত� নন্দী� লেখা আগেও পড়া হয়েছে� ওনার বই থেকে তৈরি হয়েছে সিনেমাও। একজন ক্রিড়� সাংবাদিক হবার সুবাদে তিনি খেলা বিষয়ক বে� কয়েকট� লেখা লিখেছেন। সহ� ভাষায় ঝরঝর� লেখা� এব� একটা বিষয� খেয়াল করলা� উন� ওনার খেলা বিষয়ক বইগুলো একটা থি� ধর� লিখেছেন। আজ "স্টপার" পড়ে রীতিমত� অবাক হয়েছি� এই বইটি� থি� অনুযায়ী কিন্তু দারুণ। খেলোয়াড়ি জীবন� যে চড়া� উৎরা� থাকে সেটা তিনি অনুধাব� করতে সাহায্� করেছেন� এব� কিছু কিছু লাইন মোটিভেশনাল লেগেছে� অন্ত� স্টপার, যে রুখে দেয় বিপক্ষ দলের রক্ষণভাগ তাকে ভেঙে পড়ল� চল� না� জীবনের শে� দি� পর্যন্� তাকে অবিচ� হত� হয়।
কম� গু� যে� এক অদৃশ্য প্রতী� হিসেবে উঠ� এসেছেন জীবনের প্রতিক্ষেত্র� স্টপার হয়ে আমাদের যেভাবে রুখত� হয� প্রতিকূলতা, তেমন� বয়সকে পা� কাটিয়� কম বয়সী প্লেয়ারদে� টেক্কা দিয়� কম� গু� খেলা� মাঠে� হয়ে উঠেছেন স্টপার হিসেবে এক দূর্ভেদ্� দেয়াল হিসেবে� এত সহজে ভাঙা যায় না তাকে�
আম� মত� নন্দী� লেখা সবসময়� পছন্� করি। খেলা বিষয়ক ছাড়াও ওনার আর� বিখ্যা� বই রয়েছে� চেষ্টা করবো সবগুলো� স্বা� নেয়ার�
Awesome book. Truly inspirational. Remembered Sourav Ganguly throughout the book. "ব্যালান্� রাখত� হব�... ব্যালান্�"... an awesome teaching that we should learn. Agility and brilliance is nothing without balance. Looking forward for other books of Moti Nandi. The film "koni" I saw in my childhood made me enjoy. But this book made me a fan of Moti Nandi.
❛আমি মানু� হত� পারব না জেনে ফুটবলা� হত� চেয়েছি। কিন্তু দুঃখের কথ� কি জানো, ফুটবলারে� সময়টা বেঁধ� দেওয়া হয়েছে� তা� শরী�, তা� যৌবন� তা� সময়, কিন্তু বড্ড ছোট্� সময়টা।❜
কম� গুহ। এক সময়ের ডাকসাইটে স্টপার� ছয়ট� ক্লাবে� হয়ে খেলেছে� ইন্ডিয়া� হয়ে খেলেছে� ফুটবলে� জন্য ত্যা� করেছ� অনেক কিছু� কিন্তু ফুটব� তাকে কী ফিরিয়� দিয়েছ� সেটা এক বিশা� প্রশ্ন� ছয়বার ক্লা� বদ�, যুগে� যাত্রী� মত� ক্লাবে দাপুটে খেলুড়� হয়ে খেলা� পরেও সঠিক সম্মান না পাওয়া আর এর গ্লানি নিয়� তা� ক্যারিয়ারের শে� সময়টুকু কাটছে। বন্ধ� রথীনে� জন্য পাওয়া ব্যাংকের চাকর� আর শোভাবাজা� ক্লাবে ফুটব� খেলে তা� সময় কাটছে। পরিবার� ছি� স্ত্রী শিখা আর পুত্� অমিতাভ� স্ত্রী সড়ক দুর্ঘটনায় গত হয়েছে এগার বছ� আগে। সেজন্য আছ� অপরাধবোধ, আছ� রাগ। পুত্রে� সাথে অস্বাভাবিক সম্পর্ক। যে বাবাকে খু� একটা পছন্� করেনা। বাবা� খেলা� ধারেকাছে� সে যায় না� সাহিত্যচর্চা করে। খেলায় কোনো আগ্র� নেই। সেটা হয়ত� মায়ের এই প্রয়াণও এক কারণ� পারিবারি� জীবন� তা� অবস্থা ভঙ্গুর� সে� ভঙ্গুরতা আছ� বাইরের জীবনেও� এক সময়ের মা� মাতানো খেলোয়াড়ক� এখ� প্রায়� কটূক্ত� শুনত� হয়। বয়সের ভারে খেলত� পারে না, কিংব� এইসব বুড়� ভা� এখনো অবসর নেয়না বলেই নতুনের� সুযো� পায়না জাতীয় কথ� হরদম শুনত� হয়। আছ� অফিসেও কট� কথ� বলার লোক। তরুণ উঠতি ফুটবলারে� সাথে তুলন� কটূক্ত� সব মিলে জীবনটা তা� শান্তি� মধ্য� নেই। আছ� রা�, অভিমান� যুগে� যাত্রী� প্রতারণা, প্রাপ্� না দেওয়া, স্ত্রী� মৃ ত্যু সংবা� আড়া� কর� তাকে খেলিয়� যাওয়া এস� সে ভুলত� পারে না� গুরু পল্টুদার দেয়� শিক্ষাকে কম� গু� আঁকড়ে ধর� আছে। আর মন� আছ� সে� জে� যা শেষবার যুগে� যাত্রীকে বলেছিল� কম� মা� কাঁপাব� তাদে� বিরুদ্ধে� কিন্তু তা আর হচ্ছ� কই? বর্তমানে শোভাবাজারে� হয়ে খেলা কম� জানে এই ক্লাবে� অবস্থা শোচনীয়� নে� ভালো খেলোয়াড�, আবার যে একটু ভালো খেলে সে দারিদ্র্যে� কড়া� গ্রাসে আচ্ছন্ন। খেলা তা� কাছে বিলাসীতা� যেমন, সলিল� পরিবারের আটজন সদস্� না খেয়� থাকল� সলিল যদ� ফুটবলে লাথি দেয় তো পে� ভরবে? কম� বুঝে পায় না নিজে� ভেতরের এই জে�, অভিমান সে কী কর� নিয়ন্ত্রণ করবে� প্রতিট� খেলাতে� তারা শোচনীয় ভাবে হারছে। এদিক� লীগে� খেলায় যুগে� যাত্রী শীর্ষে� � নিয়েও টিকা টিপ্পনী খাচ্ছে সে� মিথ্যে অবসরের গুজব� রটছে� শীর্ষে থাকত� যুগে� যাত্রী রাজনীতি, নোংরাম� আর দুর্নীতি করছে কিন্তু � নিয়� বলার কে� নেই। কমলে� এই অস্থির জীবন� পল্টুদ� ছিলেন। কিন্তু বার্ধক্য� পতিত হয়ে শে� নিঃশ্বাস ফেলে তিনি� চল� গেলেন। কিন্তু যাওয়া� আগ� তা� বল� কথাট� কম� মন� গেঁথ� নিয়েছ�, ❛ব্যালেন্স, কম� ব্যালেন্� করতে হবে।� কম� উত্তেজিত হলেও মন� রেখেছে সেটা� বাটা আর যুগে� যাত্রী� সাথে বিগত খেলায় শোচনীয় ভাবে হেরেছে তারা� দলের কো� সরোজ চায়না কম� খেলুক। বয়স তো হল� আর কত? কিন্তু লীগে� শে� খেলা কম� খেলবে। তাকে খেলত� হব� তা� কর� ওয়াদা পূরণ করতে� খেলত� হব� কারণ তা� ছেলে জীবন� প্রথমবার তা� খেলা দেখবে। খেলত� হব� কারণ প্রতিপক্ষে� কটূক্তির জবাব সে মাঠে দিবে� কিন্তু ফুটব� তো একার খেলা নয়। দলের বাকিদে� নিয়� জেতা কিংব� ড্� করাই প্রায় অসম্ভব এম� ম্যাচে মু� ঘুরে দাঁড়াতে পারব� কী কম�? ম্যা� শুরু� দেখা যা� স্টপার কম� জীবনের যুদ্ধে আর মাঠে� যুদ্ধে প্রতিপক্ষক� স্টপ করিয়ে দিতে পারে কি না!
পা� প্রতিক্রিয়া:
❝স্টপার❞ মত� নন্দী� লেখা কিশো� উপন্যাস। তব� কিশো� উপযোগী হলেও খেলা প্রিয় পাঠকের পড়ত� ভালো লাগব� বইটি ১২� পৃষ্ঠা� উপন্যাস। লেখকের লেখা� ধর� খুবই দারুণ। ক্রীড়� সাংবাদিক হওয়ায� তা� লেখা� মধ্য� এই বিষয়ে� উপস্থিতি থাকে বেশি� অন্যান্য লেখা� খেলা বিষয়ক� আম� লেখকের একটি সামাজি� উপন্যা� পড়েছিলাম। বে� ছিল। এই বইটা� আমার বে� লেগেছে� রাজনীতি, কূটনীতি আর আপ� সুবিধা জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে বিদ্যমান� উপন্যাসে লেখক পঞ্চাশ থেকে আশির দশকে� দিকে ফুটব� খেলা� উন্মাদনা, ক্লা� ফুটব� আর ভেতরের নোংরাম�, দুর্নীতি, ফিক্সি� তুলে ধরেছেন� তুলে ধরেছেন একজন খেলোয়াড়ে� নিজেকে খেলোয়াড� পরিচয় ধর� রাখা� সংগ্রাম। কটূক্ত�, বিদ্রু�, উপহা� সহ্য করেও নিজে� লক্ষ্য থেকে বিচ্যু� না হওয়� ক্যারিয়ারের শেষপ্রান্ত� আস� এক খেলোয়াড়ে� গল্প লেখক দারুণভাব� তুলে ধরেছেন� একজন খেলোয়াড� কিংব� কোনো পেশা� মানুষে� মূল্যই তা� কাজে� যতদি� কা� দেখিয়� যেতে পারব� কদ� আছে। এরপর কে� মন� রাখে না� এজন্যই রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ❛ঠাঁ� না� ঠাঁই না� - ছোটো সে তরী আমার� সোনা� ধানে গিয়েছ� ভরি।� কম� গু� হয়ত� সেসব খেলোয়াড়দের প্রতিনিধিত্ব কর� যারা প্রতিভ� থাকা সত্ত্বেও স্বজনপ্রীতি কিংব� রোষানলের শিকা� হয়। এতকিছু� পরেও ওর� দম� যায় না� মাঠে� খেলা থেকে ড্রেসি� রু� কিংব� কমিটির খেলা আর� অনেক কঠিন� যেখানে মস্তিষ্কের সাথে� খেলত� হয়। উপন্যাসে� শুরু থেকে শে� পুরোটা� উপভোগ্� ছিল। খেলা� প্রায় বিস্তারি� কিংব� চুম্বক অংশে� বর্ণনা যেভাবে লেখক দিয়েছেন মন� হচ্ছিল মাঠে বস� আমিই খেলা দেখছি। সবকিছুকে ছাপিয়� গেছে শে� অংশে� বর্ণনা� একটা উত্তেজনা টে� পাচ্ছিলা� মনের মধ্যে। গোগ্রাসে শে� অং� পড়েছি� দারু� ছিল। তৃপ্তিদায়� একটা উপন্যা� পড়েছি�
❛জীবন� ব্যালেন্� কর� চললে অনেক প্রতিকূলতা� পাড়� দেয়� যায়� হয়ত� পথটা বন্ধুর হয�, কণ্টকাকীর্� হয� কিন্তু শে� পথ এত� মসৃণ হয়। বিজয়ী� হাসি মুখে শোভা পায়।❜
কোথায় যে� পড়েছিলা�, বাঙ্গালি� প্রথ� প্রে� আসলে ফুটব�...বাকি সব নাকি ফুটবলটাক� ভুলে থাকা� জন্য সাময়ি� ব্যাবস্থ� মাত্�! সে� ফুটব� নিয়� শে� কব� এত চমৎকার কো� লেখা পড়েছি সেটা এখ� মন� করতে পারছ� না�
গল্পটা এক সময়ের মা� কাঁপান� স্টপার অমলের। গল্পটা ফুটব� ক্লাবগুলোর ভেতর� করিডোরের প্রতিট� বাঁক� মিশে থাকা নোংরামির� গল্পটা এক ঝাঁক নতুন ফুটবলারের। কিংব� গল্পটা হয়ত একজন মানুষে� ফুটবলা� হয়ে ওঠার! সব ছাপিয়� গল্পটা আসলে ফুটবলে� আর ফুটবলে� প্রত� অফুরন্� ভালোবাসার।
কম� গু�, একজন মন� প্রাণে ফুটবলা�, স্টপার পজিশনে খেলেন। শোভাবাজা� স্পোর্টি�, ভবানীপু�, এরিয়া�, যুগে� যাত্রী, মোহনবাগা� ক্লাবে� হয়ে বারো বছরে� বেশি সময় ধর� নির্ভরযোগ্� স্টপার হিসেবে খেলে গেছেন। সফলত�, অসফলতা দু� � এসেছ� তাঁর ফুটব� ক্যেরিয়ার�, তিনি দারু� ভাবে ব্যালেন্� কর� গেছেন। লেখক এই বইটিতে তুলে ধরেছেন কলকাতা� ফুটব� ময়দানের কড়চ�, অন্তরদলীয় সংঘা� এব� তা� নিরিখে একজন ফুটবলারে� অস্তিত্ব টিকিয়� রাখা� সংগ্ৰাম।
আহ�, মত� নন্দী� শুধু মুগ্� হয়ে পড়ে গেলাম। বাস্তব জীবন ফুটব� মা� থেকে ভিন্� কোথায়? ‘���ুটবলে��� মত� জীবনেও আগ� ডিফেন্� পর� কাউন্টার অ্যাটাক।� আর সেজন্য ‘ব্যালান্স, কম�, ব্যালান্স। কখনও ব্যালান্� হারাসনি।� 'খেলুক। খেলত� হব� ওকে। না খেলে কম� গুহক� টপকানো যাবে না�' 'যে মানু� এক�, যা� কে� নে�, সে তখ� সফ� হবের জন্য কী করতে পারে? সে তখ� পারে শুধু লড়তে।' বইটা একটা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
একজন জা� খেলোয়াড়ে� গল্প� খেলত� গিয়েই জীবন� এসেছ� লাঞ্ছন�-বঞ্চনা, অপমান। পারিবারি� জীবনের চেয়েও খেলোয়াড়ি জীবনকে প্রাধান্� দেওয়ায় দুঃখের কুয়োয� তাকে পড়ত� হয়। তবুও ফুটবলে� ব্যালেন্� কখনও হারাতে দেননি। ৯০ মিনিটে� খেলা আমাদের জন্য হয়ত নিছক বিনোদন ছাড়� আর কিছু� নয� কিন্তু অনেকের জন্য তা জীবনের চেয়েও বেশি কিছু�