What do you think?
Rate this book
সে রাতে পূর্ণিমা ছি�
এই গল্প একটা গ্রামে�, মফিজউদ্দিন এব� চন্দ্রভা�, মোল্লা নাসিরউদ্দি� এব� দুলালি, আব� বক� সিদ্দি� এব� আলেকজানের। এই গল্প মফিজউদ্দিনের বন্ধ� করিম খাঁর ছেলে আফজা� খাঁর পরিবারেরও। গরী� কৃষকের বংশধ�, আমরা, আমাদের পথচলার গল্প এট�, এই গল্প আমাদের উত্থান এব� পতনের। একটা গ্রামত� একটা দেশই-আমরা বিবর্তিত হই, আমাদের গ্রামে� সামাজি� সম্পর্কে� সূত্রগুল� পাল্টায় এব� আমরা দেখি আমাদের দেশই বদলে যাচ্ছে� এই ধারা চলে। অথবা এই গল্প হয়ত� শুধু� ভালবাসার, প্রেমে�, ভালবাসার অলৌকিক আনন্দে� এব� বেদনার হেমকান্ত� সৌন্দর্যের�
150 pages, Hardcover
First published February 1, 1995
17 people are currently reading
478 people want to read
About the author
Shahidul Jahir
18books172followersShahidul Jahir (also spelled Zahir) was a Bangladeshi novelist and short story writer. He was reputed for extraordinary prose style and diciton and considered a genuine founder of post-modern fiction in Bangla literature.
Born in Dhaka, Bangladesh in 1953 as Shahidul Huq, he joined the Bangladesh Civil Service in the Administrative cadre in 1981. In 2008, he was appointed as a Secretary in Charge of Ministry of CHT affairs to the Government of Bangladesh. A confirmed bachelor, he lived a quiet and a very simple life. Hardly he agreed for a formal interview for publication.
Shahidul Jahir was one of the most important contemporary writers in Bangladesh. He became interested in magic realism after reading Marquez's works. He was known to some people as the áܱ of Bangladesh, carrying on the legacy of magic-realism with strokes of his own unique surrealist style, deeply imbibing the politics, history and culture of Bangladesh, his own country home in Sirajganj and his place of birth. However, his style also reminds of Syed Waliullah, a modern Bangla fiction author of Western lineage. But he had his own style of labyrinthine narration that would lead his readers to a maze. He relied more on narration than dialogue between characters. His diction was symbolic and mystified. He resorted to colloquialism in order to infuse reality into the context and story-line. The name of his last published story was, "Miracle of Life". Here is an excerpt (translated from Bangla) from his swan song:
In his writing career spreading over more than two decades, Jahir published only three novels and three collections of short stories. Two collections of his selected novels and short stories were published in 2007.
Born in Dhaka, Bangladesh in 1953 as Shahidul Huq, he joined the Bangladesh Civil Service in the Administrative cadre in 1981. In 2008, he was appointed as a Secretary in Charge of Ministry of CHT affairs to the Government of Bangladesh. A confirmed bachelor, he lived a quiet and a very simple life. Hardly he agreed for a formal interview for publication.
Shahidul Jahir was one of the most important contemporary writers in Bangladesh. He became interested in magic realism after reading Marquez's works. He was known to some people as the áܱ of Bangladesh, carrying on the legacy of magic-realism with strokes of his own unique surrealist style, deeply imbibing the politics, history and culture of Bangladesh, his own country home in Sirajganj and his place of birth. However, his style also reminds of Syed Waliullah, a modern Bangla fiction author of Western lineage. But he had his own style of labyrinthine narration that would lead his readers to a maze. He relied more on narration than dialogue between characters. His diction was symbolic and mystified. He resorted to colloquialism in order to infuse reality into the context and story-line. The name of his last published story was, "Miracle of Life". Here is an excerpt (translated from Bangla) from his swan song:
"An adolescent girl, or a young girl, or who is just a gal...whatever, what do we do with her? She can have a name, since she is a human being, and human beings do have names, so her name could be Pari, Banu, or Ayesha... ...If she stands at the edge of the dirty drains, standing inside her home, as broke as the ragged nest of a magpie (babui), her mother runs around...her mother goes around cooking for others, she cooks rice, she cooks curries,she makes chapatis, there are people who swallow them, or maybe they rebuke her, What the hell have you cooked,woman!... ...Perhaps at that moment, Pari or Pari Banu, is standing at the rail ways of Dayaganj or Shamibag, holding the hands of her little sister or brother, and their father runs around, he too goes to places, maybe he does things, pulls someone else's rickshaw, pushes someone else's cart, or maybe he does nothing, he just lies down on his bed and suffers from piles. Then, what do we do with this Pari? The leader, or the official of this republic, the officers, or the civil society - none of them know...We have no idea what to do with her..."
In his writing career spreading over more than two decades, Jahir published only three novels and three collections of short stories. Two collections of his selected novels and short stories were published in 2007.
Ratings & Reviews
Friends & Following
Create a free account to discover what your friends think of this book!
Community Reviews
Displaying 1 - 30 of 65 reviews
June 4, 2020
শহীদু� জহিরের লেখা যেমন আগ� পড়া হয� না�, তেমন� ম্যাজি� রিয়ালিজ� বা জাদুবাস্তবতা� সাথে� পরিচয় ছি� না� নিতান্� আগ্র� থেকে� একটু ঘাটাঘাটি কর� ফেললাম�
জাদুবাস্তবতা:
বর্তমা� লিটারেচারে� (পোস্টমর্ডা� লিটারেচা�) একটি সাবজন্রা বল� চলে।
জাদু� সঙ্গ� বাস্তবতা� বিশা� ব্যবধান। কিন্তু ‘জাদু� এব� ‘বাস্তবতা� - � দুটি বিষয� এক হয়ে যে নতুন আবেদ� সৃষ্টি হয� তা� ‘ম্যাজিক রিয়ালিজম’।
বাস্তবতা� সঙ্গ� জাদু� কিংব� জাদু� সঙ্গ� বাস্তবতা� সংমিশ্রণ� বিশ্বাসযোগ্য ধারণ� তৈরি না-� হত� পারে� তব� বাস্তবের সাথে অতিপ্রাকৃত উপাদান সমান্তরা� রেখায় চলবে, লেখক শব্দ�, বাক্যে এম� এক গল্প ফাঁদবে� যেখানে পাঠক গল্পের ভেতর (ঘো� কিংব� মোহে� ভেতর) ঢুকে যাবে, লেখকের বিশ্বা� পাঠককে ইনডিউস করবে, লেখা� মর্ম উদ্ধার করলে তা হব� দ্ব্যর্থ� এব� বিভ্রান্তিকর� বস্তুজগতের সাথে আধ্যাত্মিক সম্পর্� মিলে মিশে হব� একাকার�
আর� সহজভাব� বললে, বাস্তবের মধ্য� জাদুকে গুলিয়� লা� শরবত, যা কাহিনী� প্রতিট� চরিত্র (লেখকের প্রতিফলন) এব� পাঠকের কাছে
"শরবত তো লা� হয�, লা� হত� পারে, লা� হওয়ার� তো কথ� ছি�" - এর মতোই স্বাভাবি� � বিশ্বাসযোগ্য�
'সে রাতে পূর্ণিমা ছি�' উপন্যা� জুড়� সুহাসিনী গ্রামে� গল্প� একজন মফিজউদ্দির ঘটনাক্রম� মফিজউদ্দিন � ম্যায়� সা� হয়ে ওঠার গল্প� চন্দ্রভানে� গল্প� এক গণিক� নারী� গল্প যা� নামে একদি� নয়নতারা হা� নয়নতারা হা� হয়ে প্রকাশিত হয়। রক্তাক্ত চাঁদের গল্প� দুলালি � আলেকজানে� হাহাকারে� গল্প� আব� বক� সিদ্দিকে� সিদ্দি� মাস্টা� হওয়ার গল্প� মোল্লা নাসিরউদ্দিনে� নিচু স্বর� অস্ফুট কাঁদার গল্প�
সে রাতে পূর্ণিমা ছি� -এক অদ্ভুত রাতে� গল্প, যে রাতে চারিদি� আল� কর� জ্যোৎস্ন� ভেঙ্গে পড়ে�
শুরুতে কেমন খাপছাড়া আর অদ্ভুত লাগল�, গল্পের সাথে ভাইভ ম্যা� হতেই পুরো সময়টা একটা ঘোরে� ভেতর ছিলাম।
অদ্ভুতরক� সুন্দর!
জাদুবাস্তবতা:
বর্তমা� লিটারেচারে� (পোস্টমর্ডা� লিটারেচা�) একটি সাবজন্রা বল� চলে।
জাদু� সঙ্গ� বাস্তবতা� বিশা� ব্যবধান। কিন্তু ‘জাদু� এব� ‘বাস্তবতা� - � দুটি বিষয� এক হয়ে যে নতুন আবেদ� সৃষ্টি হয� তা� ‘ম্যাজিক রিয়ালিজম’।
বাস্তবতা� সঙ্গ� জাদু� কিংব� জাদু� সঙ্গ� বাস্তবতা� সংমিশ্রণ� বিশ্বাসযোগ্য ধারণ� তৈরি না-� হত� পারে� তব� বাস্তবের সাথে অতিপ্রাকৃত উপাদান সমান্তরা� রেখায় চলবে, লেখক শব্দ�, বাক্যে এম� এক গল্প ফাঁদবে� যেখানে পাঠক গল্পের ভেতর (ঘো� কিংব� মোহে� ভেতর) ঢুকে যাবে, লেখকের বিশ্বা� পাঠককে ইনডিউস করবে, লেখা� মর্ম উদ্ধার করলে তা হব� দ্ব্যর্থ� এব� বিভ্রান্তিকর� বস্তুজগতের সাথে আধ্যাত্মিক সম্পর্� মিলে মিশে হব� একাকার�
আর� সহজভাব� বললে, বাস্তবের মধ্য� জাদুকে গুলিয়� লা� শরবত, যা কাহিনী� প্রতিট� চরিত্র (লেখকের প্রতিফলন) এব� পাঠকের কাছে
"শরবত তো লা� হয�, লা� হত� পারে, লা� হওয়ার� তো কথ� ছি�" - এর মতোই স্বাভাবি� � বিশ্বাসযোগ্য�
'সে রাতে পূর্ণিমা ছি�' উপন্যা� জুড়� সুহাসিনী গ্রামে� গল্প� একজন মফিজউদ্দির ঘটনাক্রম� মফিজউদ্দিন � ম্যায়� সা� হয়ে ওঠার গল্প� চন্দ্রভানে� গল্প� এক গণিক� নারী� গল্প যা� নামে একদি� নয়নতারা হা� নয়নতারা হা� হয়ে প্রকাশিত হয়। রক্তাক্ত চাঁদের গল্প� দুলালি � আলেকজানে� হাহাকারে� গল্প� আব� বক� সিদ্দিকে� সিদ্দি� মাস্টা� হওয়ার গল্প� মোল্লা নাসিরউদ্দিনে� নিচু স্বর� অস্ফুট কাঁদার গল্প�
সে রাতে পূর্ণিমা ছি� -এক অদ্ভুত রাতে� গল্প, যে রাতে চারিদি� আল� কর� জ্যোৎস্ন� ভেঙ্গে পড়ে�
শুরুতে কেমন খাপছাড়া আর অদ্ভুত লাগল�, গল্পের সাথে ভাইভ ম্যা� হতেই পুরো সময়টা একটা ঘোরে� ভেতর ছিলাম।
অদ্ভুতরক� সুন্দর!
April 12, 2023
শহীদু� জহিরের কো� লেখা আমার এর আগ� পড়া হয়নি। ম্যাজি� রিয়েলিজমে� সাথে� খু� একটা ভালোভাবে পরিচয় ছিলো না� চিন্তা করলা� একটু পরিচিত হওয়� যাক। সে� উদ্দেশ্যেই হাতে নিলা� 'সে রাতে পূর্ণিমা ছিলো'�
'সে রাতে পূর্ণিমা ছিলো' উপন্যাসিকাটা নিয়� আম� হয়ত� ডিটেইল কিছু বলতে পারব� না� কারণ বইটা পড়ে আমার যা অনুভূত� হয়েছে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মত� যথেষ্ট শব্দ আমার জানা নাই। শুধু বলবো বইটা আপনাকে নিয়� যাবে এক অদ্ভূত ঘোরে� ভেতর� সুহাসিনী গ্রামে� লোকজনে� মুখে� বর্ণনা আপনাকে পুরোটা সময় জুড়� মোহাবিষ্� কর� রাখবে।
ঘোরে পড়েছি নৌকা� সে� গণিকার অংশটুকুত�, মন� হচ্ছিল� আম� যে� � নৌকাটি� পাশে আরেকটি নৌকায় বস� পুরো ঘটনা দেখছি। আম� দেখত� পাচ্ছি জাবে�, হালাকু, নয়নতারা আর মফিজুদ্দিকে। কিন্তু ওর� আমাক� দেখত� পাচ্ছে না� আমাক� জালে আটকে ফেলেছে দুলালী� না পঁচা সে� লাশ। গ্রামবাসী� মত� আমিও কৌতুহলী ছিলা�, শেষমেশ কি মোল্লা নাসিরউদ্দি� আসবে? লাশট� কি পঁচব� না?
এরকম আর� ছো� ছো� ঘটনা আছ� 'সে রাতে পূর্ণিমা ছিলো' উপন্যাসিকায় যা আপনাকে ঘোরে� ভেতর নিয়� যাবে� বইটাতে অদ্ভূত একটা ব্যাপা� খেয়াল করলাম। তা হল�, লেখক এখান� যে� একজন অদৃশ্য সত্ত্বা। তা� নিজে� কিছু বলার নে�, নিজে� কো� ফিলোসফ� নেই। তিনি এখান� স্রে� একজন অবজার্ভার৷ কথ� বলিয়ে নিচ্ছে� এভাব� 'সুহাসিনী� গ্রামে� মানুষেরা তখ� জানে কি জানে না, মোল্লা নাসিরউদ্দিনে� দুলালীকে নিয়� কি চলছিলো�' ব্যাপারট� খুবই ইউনি� লেগেছে আমার� আর� একটা ব্যাপা� এক্সক্লুসি� লেগেছে� তা হল�, ডায়াল� ছাড়� সম্পূর্ণ একটা উপন্যা�/উপন্যাসিকা যে লিখে ফেলে যায় তা আমার জানা ছিলোনা� 'সে রাতে পূর্ণিমা ছিলো' পড়ে সে অভিজ্ঞতা� হলো। ডায়াল� বলতে গেলে নে�, কিন্তু তা সত্ত্বেও কোথা� একটুকু বিরক্ত হবার অবকা� নেই।
বইটা আপনি� উপভো� করতে পারবেন, শুধু আপনাকে একাগ্রভাবে বইয়� ঢুকত� হবে। বইটা আম� শুরু করেছিলাম সপ্তাহখানে� আগের কো� এক রাতে� কিন্তু কয়ে� পৃষ্ঠা পড়ে� বুঝত� পেরেছি এট� দিনে� নীরবতম অংশে, যখ� সময় শুধু একান্ত� আমার তখ� পড়া� বই� তা� প্রতিদিন ভো� � টা� দিকে অল্প অল্প কর� বইটা পড়েছি� ভোরে� নিস্তব্ধতা� মাঝে শহীদু� জহিরের জাদু মাখা বর্ণনা আমাক� আটকে ফেলেছে অদ্ভূত এক মোহে�
'সে রাতে পূর্ণিমা ছিলো' উপন্যাসিকাটা নিয়� আম� হয়ত� ডিটেইল কিছু বলতে পারব� না� কারণ বইটা পড়ে আমার যা অনুভূত� হয়েছে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মত� যথেষ্ট শব্দ আমার জানা নাই। শুধু বলবো বইটা আপনাকে নিয়� যাবে এক অদ্ভূত ঘোরে� ভেতর� সুহাসিনী গ্রামে� লোকজনে� মুখে� বর্ণনা আপনাকে পুরোটা সময় জুড়� মোহাবিষ্� কর� রাখবে।
ঘোরে পড়েছি নৌকা� সে� গণিকার অংশটুকুত�, মন� হচ্ছিল� আম� যে� � নৌকাটি� পাশে আরেকটি নৌকায় বস� পুরো ঘটনা দেখছি। আম� দেখত� পাচ্ছি জাবে�, হালাকু, নয়নতারা আর মফিজুদ্দিকে। কিন্তু ওর� আমাক� দেখত� পাচ্ছে না� আমাক� জালে আটকে ফেলেছে দুলালী� না পঁচা সে� লাশ। গ্রামবাসী� মত� আমিও কৌতুহলী ছিলা�, শেষমেশ কি মোল্লা নাসিরউদ্দি� আসবে? লাশট� কি পঁচব� না?
এরকম আর� ছো� ছো� ঘটনা আছ� 'সে রাতে পূর্ণিমা ছিলো' উপন্যাসিকায় যা আপনাকে ঘোরে� ভেতর নিয়� যাবে� বইটাতে অদ্ভূত একটা ব্যাপা� খেয়াল করলাম। তা হল�, লেখক এখান� যে� একজন অদৃশ্য সত্ত্বা। তা� নিজে� কিছু বলার নে�, নিজে� কো� ফিলোসফ� নেই। তিনি এখান� স্রে� একজন অবজার্ভার৷ কথ� বলিয়ে নিচ্ছে� এভাব� 'সুহাসিনী� গ্রামে� মানুষেরা তখ� জানে কি জানে না, মোল্লা নাসিরউদ্দিনে� দুলালীকে নিয়� কি চলছিলো�' ব্যাপারট� খুবই ইউনি� লেগেছে আমার� আর� একটা ব্যাপা� এক্সক্লুসি� লেগেছে� তা হল�, ডায়াল� ছাড়� সম্পূর্ণ একটা উপন্যা�/উপন্যাসিকা যে লিখে ফেলে যায় তা আমার জানা ছিলোনা� 'সে রাতে পূর্ণিমা ছিলো' পড়ে সে অভিজ্ঞতা� হলো। ডায়াল� বলতে গেলে নে�, কিন্তু তা সত্ত্বেও কোথা� একটুকু বিরক্ত হবার অবকা� নেই।
বইটা আপনি� উপভো� করতে পারবেন, শুধু আপনাকে একাগ্রভাবে বইয়� ঢুকত� হবে। বইটা আম� শুরু করেছিলাম সপ্তাহখানে� আগের কো� এক রাতে� কিন্তু কয়ে� পৃষ্ঠা পড়ে� বুঝত� পেরেছি এট� দিনে� নীরবতম অংশে, যখ� সময় শুধু একান্ত� আমার তখ� পড়া� বই� তা� প্রতিদিন ভো� � টা� দিকে অল্প অল্প কর� বইটা পড়েছি� ভোরে� নিস্তব্ধতা� মাঝে শহীদু� জহিরের জাদু মাখা বর্ণনা আমাক� আটকে ফেলেছে অদ্ভূত এক মোহে�
Read
July 13, 2021দ্বিতীয়বা� পড়লাম� শে� করার পর বস� ছিলা�, কী কর� যেতে পারে তা� মাথায় চলতেসিলো� শেষে ভাবলাম গুডরিডসে আস�, এস� একটু লিখে টিখে যাই।
একটা মঞ্চনাটক বানাতে কীরক� লাগে জানে�? থিয়েটার করলে জানা� কথা। বে� বড� ফাঁক� একটা রুমে গমগম� আওয়াজ আর আড্ডা। শুরু হয� আনাড়িপন� দিয়�, দলনেতা হাসে…মাঝেমধ্যে গম্ভী� হওয়ার ভা� করে। কিন্তু শুধু আড্ডাই হয� প্রথমে� এক সংলা� ঠি� করতে� একটি কর� দি� লেগে যায়� গা� হয�, কে� গিটা� নিয়� এস� নিজে� অরিজিনাল একটা গা� গাইত� শুরু কর� আর তখ� হয়ত� আপনি চা খাইত� খাইত� ওক� বলেন,"নিলয়দ�, এট� রেকর্ড কর� ফেসবুক� আপ দা� তো� জম� যাবে�" নিলয়দ� মুচক� হাসে� তখ� হয়ত� প্রিয়� পা� থেকে বলবে, কারে কী বলতেছি�, উন� কখনো নিজে� গা� শুনাবে কাউর�?
এরপর ডেডলাই� আগায� আসে। টি� লিডা� রাফসান ভা� এখ� আর এত� হাসে� না, আড্ড� কেমন কম� আসে। সবদিকে কর্মোদ্য�, পিছন� আঁকাআঁকি শুরু হয়। অভিনেতার� সংলাপে ভু� কম করতে জানপ্রাণ দিয়� দেয়� মাঝেমধ্য� আপনা� ডা� পড়ে, নাটকের এই অংশট� একটু নতুন কর� লিখে দেওয়া� জন্য� আপনি তা-� করেন�
কিন্তু সব এত� সহজে হয� না� প্রধান নারী চরিত্রটা ঠিকঠাক আগায� না, কেমন কাঁচ� অভিনয়� কিন্তু সুমী আপুর প্রত� বোধহয় রাফসান ভাইয়ে� দুর্বলতা আছ�, তা� তিনি কিছু বলেন না� বর� হঠাৎ হঠাৎ 'বে� বে�' বল� উৎসা� দিতে থাকেন। নিলয়দার এইসব ভাল্লাগে না, � গিটারে সু� না তোলে রা� ঝাঁড়ে� মাঝেমধ্য� আপনাকে বল� ওঠ�,"কর� না এই বালে� নাটক� রাফসান কী লাগাইছ� দেখছ�? একজন� তো পুরা দলকে ডুবায় দিতেসে�"
কথাট� রাফসান ভাইয়ে� কানে যায়, উন� পরদি� সেটে নিলয়দাক� কিছু একটা বল� খোঁচ� দে� এব� ওদের লেগে যায়� এই লাগা� একসময় ছুটে যায়, প্রস্তুত� আগায� চলে।
নাটক স্টেজে তোলা� আগের সন্ধ্যায� আপনি হঠাৎ খেয়াল করেন, প্রভ� কী দারু� আঁকে! � আপনা� কাছে একটা লাইন চাইত� আস�, আপনি তখ� নিজে� জীবন� তখ� পর্যন্� লেখা সেরা লাইনটি� ওক� দিয়� দেন। প্রস্তুত� শে� হয়। হলের ভিতরকা� এতোদিনের গমগম� ফাঁক� আওয়াজটা কেমন থেমে আসে। রাফসান ভা� সবাইকে জড়ো কর� বলেন, গ্রে� ওয়ার্� গাইজ� এট� অসাধার� হত� চলেছে।
এই গমগম� আওয়াজ, এই আড্ড�, শেষে� দিকে� কর্মোদ্য� এব� মঞ্চস্� করার পূর্বমুহূর্তের দুশ্চিন্তা…এ� জিনিসগুলোত� কিছু একটা আছে। কেমন আনন্�, কেমন বিষণ্ণতা, কেমন দুশ্চিন্তা, কেমন গর্ববোধ।
বইটি পড়া� সময় আমার এমনই মন� হয�, এমনই ভালো লাগা জাপট� ধরে। অভিজ্ঞতা থেকে আমার অনুভূতির রিভি� দিলাম। � উপন্যাসে� না� � উপন্যা� নিয়� কিছু লেখা� যোগ্যত� আমার নাই।
একটা মঞ্চনাটক বানাতে কীরক� লাগে জানে�? থিয়েটার করলে জানা� কথা। বে� বড� ফাঁক� একটা রুমে গমগম� আওয়াজ আর আড্ডা। শুরু হয� আনাড়িপন� দিয়�, দলনেতা হাসে…মাঝেমধ্যে গম্ভী� হওয়ার ভা� করে। কিন্তু শুধু আড্ডাই হয� প্রথমে� এক সংলা� ঠি� করতে� একটি কর� দি� লেগে যায়� গা� হয�, কে� গিটা� নিয়� এস� নিজে� অরিজিনাল একটা গা� গাইত� শুরু কর� আর তখ� হয়ত� আপনি চা খাইত� খাইত� ওক� বলেন,"নিলয়দ�, এট� রেকর্ড কর� ফেসবুক� আপ দা� তো� জম� যাবে�" নিলয়দ� মুচক� হাসে� তখ� হয়ত� প্রিয়� পা� থেকে বলবে, কারে কী বলতেছি�, উন� কখনো নিজে� গা� শুনাবে কাউর�?
এরপর ডেডলাই� আগায� আসে। টি� লিডা� রাফসান ভা� এখ� আর এত� হাসে� না, আড্ড� কেমন কম� আসে। সবদিকে কর্মোদ্য�, পিছন� আঁকাআঁকি শুরু হয়। অভিনেতার� সংলাপে ভু� কম করতে জানপ্রাণ দিয়� দেয়� মাঝেমধ্য� আপনা� ডা� পড়ে, নাটকের এই অংশট� একটু নতুন কর� লিখে দেওয়া� জন্য� আপনি তা-� করেন�
কিন্তু সব এত� সহজে হয� না� প্রধান নারী চরিত্রটা ঠিকঠাক আগায� না, কেমন কাঁচ� অভিনয়� কিন্তু সুমী আপুর প্রত� বোধহয় রাফসান ভাইয়ে� দুর্বলতা আছ�, তা� তিনি কিছু বলেন না� বর� হঠাৎ হঠাৎ 'বে� বে�' বল� উৎসা� দিতে থাকেন। নিলয়দার এইসব ভাল্লাগে না, � গিটারে সু� না তোলে রা� ঝাঁড়ে� মাঝেমধ্য� আপনাকে বল� ওঠ�,"কর� না এই বালে� নাটক� রাফসান কী লাগাইছ� দেখছ�? একজন� তো পুরা দলকে ডুবায় দিতেসে�"
কথাট� রাফসান ভাইয়ে� কানে যায়, উন� পরদি� সেটে নিলয়দাক� কিছু একটা বল� খোঁচ� দে� এব� ওদের লেগে যায়� এই লাগা� একসময় ছুটে যায়, প্রস্তুত� আগায� চলে।
নাটক স্টেজে তোলা� আগের সন্ধ্যায� আপনি হঠাৎ খেয়াল করেন, প্রভ� কী দারু� আঁকে! � আপনা� কাছে একটা লাইন চাইত� আস�, আপনি তখ� নিজে� জীবন� তখ� পর্যন্� লেখা সেরা লাইনটি� ওক� দিয়� দেন। প্রস্তুত� শে� হয়। হলের ভিতরকা� এতোদিনের গমগম� ফাঁক� আওয়াজটা কেমন থেমে আসে। রাফসান ভা� সবাইকে জড়ো কর� বলেন, গ্রে� ওয়ার্� গাইজ� এট� অসাধার� হত� চলেছে।
এই গমগম� আওয়াজ, এই আড্ড�, শেষে� দিকে� কর্মোদ্য� এব� মঞ্চস্� করার পূর্বমুহূর্তের দুশ্চিন্তা…এ� জিনিসগুলোত� কিছু একটা আছে। কেমন আনন্�, কেমন বিষণ্ণতা, কেমন দুশ্চিন্তা, কেমন গর্ববোধ।
বইটি পড়া� সময় আমার এমনই মন� হয�, এমনই ভালো লাগা জাপট� ধরে। অভিজ্ঞতা থেকে আমার অনুভূতির রিভি� দিলাম। � উপন্যাসে� না� � উপন্যা� নিয়� কিছু লেখা� যোগ্যত� আমার নাই।
October 17, 2020
গল্পের পর গল্পের পর গল্প� চলছে তো চলছেই। বিরা� বিরা� প্যারা� এক গল্প থেকে আরেক গল্প� কখ� ঢুকে যাচ্ছি নিজে� বুঝত� পারছ� না� বিবশ হয়ে শে� করলা� 'সে রাতে পূর্ণিমা ছিল।'
যে রাতে পূর্ণিমা ছি�, সে রাতে কী হয়েছি�? সুহাসিনী গ্রামে� যে রাতে পূর্ণিমায় ভেসে যাচ্ছি� চারদিক সেদি� মফিজুদ্দিনের কী হয়েছি�? কী হয়েছি� চন্দ্রভা�, দুলালী, আলেকজা�, মোল্লা নাসিরুদ্দী�, রফিকুল ইসলা� কিংব� আব� বক� সিদ্দিকে�?
তোরা� আলী কী বল� আজ সে� পূর্ণিমা রাতটির কথ� এতোদিন পর? নয়নতারা� ভবিষ্যতবাণী কি ফলেছিল?
কী বর্ণনা! গদ্য� মহাকাব্য� ঘো� থেকে দীর্ঘদিন বেরুনো যাবে কিনা বুঝত� পারছ� না� অনবদ্য নিস্পৃহতায� লেখক একটি গ্রামে� কিছু মানুষে� গল্প বল� গেছেন। যারা এক� অপরে� সাথে সম্পর্কি�, যাদে� প্রত্যেকের জীবন� রয়েছে অদ্ভুত সব গল্প�
আবহমান বাংলার গ্রামে� সাধারণ লোকদের মতোই সে কাহিনীগুলো ঘর� ঘর� জানা হয়ে যায়� চেনা অচেন� অলৌকিক লৌকি� সব ঘটনা এমনভাব� বিবৃ� হয়েছে যে বইটি হা� থেকে রাখা যায় না�
মার্কেজে� 'নিঃসঙ্গতার এক� বছ�' এর কথ� মন� না পড়ে পারে না�
আম� গর্বিত যে বাংল� সাহিত্যে একজন শহীদু� জহির ছিলে�, বাংলাদেশী সাহিত্যে� এই মহাকাব্যিক উপন্যাসট� আসলে বিশ্বে� দরবারে মাথা উঁচু কর� দাপিয়� বেড়াবার যোগ্যত� রাখে�
উপন্যাসট� পুরো সাহিত্যজগতেই যো� করেছ� অন্য মাত্রা� কে� আপনি আর� লিখলেন না লেখক! কে� আমাদের আর� বেশি ঘোরাক্রান্�, চন্দ্রাহ� কর� পূর্ণিমা রাতে� গল্প শোনাবা� আস� জমালেন না! আফসোস।
যে রাতে পূর্ণিমা ছি�, সে রাতে কী হয়েছি�? সুহাসিনী গ্রামে� যে রাতে পূর্ণিমায় ভেসে যাচ্ছি� চারদিক সেদি� মফিজুদ্দিনের কী হয়েছি�? কী হয়েছি� চন্দ্রভা�, দুলালী, আলেকজা�, মোল্লা নাসিরুদ্দী�, রফিকুল ইসলা� কিংব� আব� বক� সিদ্দিকে�?
তোরা� আলী কী বল� আজ সে� পূর্ণিমা রাতটির কথ� এতোদিন পর? নয়নতারা� ভবিষ্যতবাণী কি ফলেছিল?
কী বর্ণনা! গদ্য� মহাকাব্য� ঘো� থেকে দীর্ঘদিন বেরুনো যাবে কিনা বুঝত� পারছ� না� অনবদ্য নিস্পৃহতায� লেখক একটি গ্রামে� কিছু মানুষে� গল্প বল� গেছেন। যারা এক� অপরে� সাথে সম্পর্কি�, যাদে� প্রত্যেকের জীবন� রয়েছে অদ্ভুত সব গল্প�
আবহমান বাংলার গ্রামে� সাধারণ লোকদের মতোই সে কাহিনীগুলো ঘর� ঘর� জানা হয়ে যায়� চেনা অচেন� অলৌকিক লৌকি� সব ঘটনা এমনভাব� বিবৃ� হয়েছে যে বইটি হা� থেকে রাখা যায় না�
মার্কেজে� 'নিঃসঙ্গতার এক� বছ�' এর কথ� মন� না পড়ে পারে না�
আম� গর্বিত যে বাংল� সাহিত্যে একজন শহীদু� জহির ছিলে�, বাংলাদেশী সাহিত্যে� এই মহাকাব্যিক উপন্যাসট� আসলে বিশ্বে� দরবারে মাথা উঁচু কর� দাপিয়� বেড়াবার যোগ্যত� রাখে�
উপন্যাসট� পুরো সাহিত্যজগতেই যো� করেছ� অন্য মাত্রা� কে� আপনি আর� লিখলেন না লেখক! কে� আমাদের আর� বেশি ঘোরাক্রান্�, চন্দ্রাহ� কর� পূর্ণিমা রাতে� গল্প শোনাবা� আস� জমালেন না! আফসোস।
April 6, 2021
জীবনানন্দে� "অদ্ভুত আঁধা� এক এসেছ� �-পৃথিবীতে আজ" এর মতোই এক অদ্ভুত পূর্ণিমা চাঁদের রক্তাক্ত আল� তে সুহাসিনী গ্রামে� মিয়াবাড়ি� উঠোনটা ভেসে যায়� কি এক অজান� আবেশ�, কি এক অপার্থিব ঘোরে বুঁদ হয়ে গ্রামে� লোকেদে� সাথে বস� আমিও স্মর� কর� যে, বহুদিন পূর্বে এক বৃহস্পতিবা� বিকেলে, সিরাজগঞ্�-বগুড়া জেলা বোর্ডে� রাস্তা� পাশে সদ্য মাটিকাটা এক মাঠে� ওপ� গ্রামে� লোকেরা যখ� বাজা� বসায� তখ� মফিজুদ্দির যুবক বয়স; সে হা� শার্� আর লুঙ্গি পর� গ্রামে� অনেকগুলো যুবকের সঙ্গ� হাটে� ভেতর দিয়� হেঁট� গিয়� এক প্রান্তে দাঁড়ায়, তাদে� মাথা� ওপ� জেলা বোর্ডে� রাস্তা� কিনারা� বড� কড়ই গাছে� ছড়ানো শাখা ফণার মত� ঝুলে থাকে এব� গাছে� এই সবুজ শাখা� নিচে দাঁড়িয়�, হাটে� লোকেরা যখ� তা� চারদিক� ঘিরে আস�, সে তাদেরক� বল� যে, কোনো মাতব� কিংব� জমিদার তা� কিছু করতে পারব� না, এব� গ্রামে� লোকেরা সেদি� প্রথ� মফিজুদ্দিনের জীবনের আয়ু-সম্পর্কি� তথ্যটি শোনে, সে তাদে� দিকে হা� প্রসারিত কর� দিয়� বল� যে, সে এক � এগার� বছ� বাঁচবে, এত� কোনো ভু� না�; তারপ� সে এই নূতন লাগানো হাটে� নামকরণ কর� এব� বল�, আম� এই হাটে� না� দিলা� নয়নতারা� হাট। তা� কথ� শুনে আম� দিব্যদৃষ্টিত� নয়নতারা নাম্নী এক নারী� মু� দেখি - যে নারী কখনো পতিতারূপ�, কখনো জায়ারূপ�, কখনো দুহিতারূপে কিংব� কখনো দেবী হিসেবে আবির্ভুত হত� থাকে আমার সামনে। যে নারী দশভূজা দুর্গা� মত� দশরকমে� অবতারে আমাদের চারপাশেই ঘুরে ফিরে, যে নারীকে শ্রদ্ধ� করতে হয�, যে নারীকে মাথায় কর� রাখত� হয়।
তাইত� আম� -
"ভালোবেসে দেখিয়াছ� মেয়েমানুষের�,
অবহেলা �'রে আম� দেখিয়াছ� মেয়েমানুষের�,
ঘৃণা �'রে দেখিয়াছ� মেয়েমানুষের�;
আমার� সে ভালোবাসিয়াছ�,
আসিয়াছে কাছে"
এই নারী আবহমান বাংলার নারী� সে� চিরন্ত� পতিত�-জায়�-দুহিতা-দেবী দুর্গা�
সেখা� থেকে উঠ� এস� আম� সে� চাঁদের আলোর অপার্থিব ঘোরে মাতা� হয়ে সুহাসিনী গ্রামে� রাস্তায় রাস্তায় জলের মত� ঘুরে-ঘুরে এক� কথ� কই� আর মফিজুদ্দির কাটা খালট� দেখি - যে খা� নিয়� তা� গর্বের অন্ত ছি� না, যে খা� বেয়� এক রক্তাক্ত চাঁদরাতে আততায়ীরা তা� বাড়ির পেছন দিয়� সরীসৃপে� মত� সরসর কর� বরফশীতল মৃত্যু নিয়� আস� তা� পরিবারের জন্য - সে রাতে পূর্ণিমা ছি�! জামগাছের ছায়ায� শায়িত দুলালি� কবরট� দেখি� মোবারক আলী� পোড়� ভিটা খা� খা� করছে শূন্যতায়।দেখে আমার বুকটায� হাহাকা� কর� উঠে। দুলালি� জন্য� কি? জানিনা আম� ঠিক। � এক দুর্বোধ্� হাহাকার।
আম� সুহাসিনী গ্রামে� রাস্তায় খোঁড়া ঠ্যাঙে তৈমুরে� মত� হাঁটতে থাকি এব� দেখি আমার পেছন পেছন আর� অনেক তৈমুরে� মত� হেঁট� আসছে সিদ্দি� মাস্টা�, আলেকজা�, চন্দ্রভা�, মোল্লা নাসিরুদ্দি�, মফিজুদ্দি। এব� দুলালি� আম� আবার� হাহাকা� বো� কর� আর আমার মাথা� ভেতর� এক ছিন্� মুণ্ডু� মত� রক্তাক্ত চাঁদ তা� রক্তাভ আল� ঢেলে দেয়, যে আল�, আল� না হয়ে জীবনানন্দে� কবিত� হয়ে আমার মু� দিয়� বে� হয� -
"সে� আদ� অরণি� যু� থেকে শুরু কর� আজ
অনেক মনীষা, প্রে�, নিমী� ফসলরাশ� ঘর�
এস� গেছে মানুষে� বেদন� � সংবেদনাময়�
পৃথিবী� রাজপথে� রক্তপথে� অন্ধকা� অববাহিকায়
এখনো মানু� তব� খোঁড়া ঠ্যাঙে তৈমুরে� মত� বা� হয়।
তাহা� পায়ের নিচে তৃণে� নিকট� তৃ� মূ� অপেক্ষায�;
তাহা� মাথা� 'পর� সূর্�, স্বাতী, সরমা� ভিড়;
এদের নৃত্যে� রোলে অবহি� �'য়� থেকে ক্রম� একদি�
কব� তা� ক্ষুদ্� হেমন্তের বেলা হব� নিসর্গের চেয়েও প্রবী�?"
তাইত� আম� -
"ভালোবেসে দেখিয়াছ� মেয়েমানুষের�,
অবহেলা �'রে আম� দেখিয়াছ� মেয়েমানুষের�,
ঘৃণা �'রে দেখিয়াছ� মেয়েমানুষের�;
আমার� সে ভালোবাসিয়াছ�,
আসিয়াছে কাছে"
এই নারী আবহমান বাংলার নারী� সে� চিরন্ত� পতিত�-জায়�-দুহিতা-দেবী দুর্গা�
সেখা� থেকে উঠ� এস� আম� সে� চাঁদের আলোর অপার্থিব ঘোরে মাতা� হয়ে সুহাসিনী গ্রামে� রাস্তায় রাস্তায় জলের মত� ঘুরে-ঘুরে এক� কথ� কই� আর মফিজুদ্দির কাটা খালট� দেখি - যে খা� নিয়� তা� গর্বের অন্ত ছি� না, যে খা� বেয়� এক রক্তাক্ত চাঁদরাতে আততায়ীরা তা� বাড়ির পেছন দিয়� সরীসৃপে� মত� সরসর কর� বরফশীতল মৃত্যু নিয়� আস� তা� পরিবারের জন্য - সে রাতে পূর্ণিমা ছি�! জামগাছের ছায়ায� শায়িত দুলালি� কবরট� দেখি� মোবারক আলী� পোড়� ভিটা খা� খা� করছে শূন্যতায়।দেখে আমার বুকটায� হাহাকা� কর� উঠে। দুলালি� জন্য� কি? জানিনা আম� ঠিক। � এক দুর্বোধ্� হাহাকার।
আম� সুহাসিনী গ্রামে� রাস্তায় খোঁড়া ঠ্যাঙে তৈমুরে� মত� হাঁটতে থাকি এব� দেখি আমার পেছন পেছন আর� অনেক তৈমুরে� মত� হেঁট� আসছে সিদ্দি� মাস্টা�, আলেকজা�, চন্দ্রভা�, মোল্লা নাসিরুদ্দি�, মফিজুদ্দি। এব� দুলালি� আম� আবার� হাহাকা� বো� কর� আর আমার মাথা� ভেতর� এক ছিন্� মুণ্ডু� মত� রক্তাক্ত চাঁদ তা� রক্তাভ আল� ঢেলে দেয়, যে আল�, আল� না হয়ে জীবনানন্দে� কবিত� হয়ে আমার মু� দিয়� বে� হয� -
"সে� আদ� অরণি� যু� থেকে শুরু কর� আজ
অনেক মনীষা, প্রে�, নিমী� ফসলরাশ� ঘর�
এস� গেছে মানুষে� বেদন� � সংবেদনাময়�
পৃথিবী� রাজপথে� রক্তপথে� অন্ধকা� অববাহিকায়
এখনো মানু� তব� খোঁড়া ঠ্যাঙে তৈমুরে� মত� বা� হয়।
তাহা� পায়ের নিচে তৃণে� নিকট� তৃ� মূ� অপেক্ষায�;
তাহা� মাথা� 'পর� সূর্�, স্বাতী, সরমা� ভিড়;
এদের নৃত্যে� রোলে অবহি� �'য়� থেকে ক্রম� একদি�
কব� তা� ক্ষুদ্� হেমন্তের বেলা হব� নিসর্গের চেয়েও প্রবী�?"
January 20, 2017
Shahidul Jahir succeeds in constructing this complex narration so masterfully.
April 30, 2024
Moonstruck বা চন্দ্রাহ� বল� একটা কথ� আছে। পূর্ণিমা� চাঁদের আলোয� বাস্তব-অবাস্তবে� পর্দাট� বিলী� হয়ে যাওয়াটা� অনেকটা চন্দ্রাহ� পরিস্থিতি। সে রাতে পূর্ণিমা ছি� উপন্যাসে জাদুকর শহীদু� জহির নিজে� লেখা� জাদু দিয়� পাঠকদে� চন্দ্রাহ� কর� দিয়েছে।
কাহিনী� শুরু গ্রামে� মোড়� মফিজউদ্দিনের সপরিবারে হত্যাকাণ্ড দিয়ে। এরপর ধীরে ধীরে পেছাতে থাকে কাহিনী� মফিজউদ্দিনের কৈশো�, যৌবন, তা� ছেলেদে� জীবন সব উঠ� আস� এক� একে। হত্য� রহস্যে� সমাধান হয� না� কিন্তু ঘটনাগুলো� মাঝে ঘো� লাগা এক আবহে� সৃষ্টি হয়। কিশো� মফিজউদ্দিনের সারাদি� ধর� কুকুরক� তাড়িয়ে হত্য� কর�, চন্দ্রভানক� ছল�-কৌশলের মাধ্যম� নিজে� স্ত্রী বানানো� ডাকা� মাঝি� হাতে আট� হয়ে কোনো এক পূর্ণিমা রাতে এক পতিতার সাহায্যে নাটকীয়ভাবে বেঁচ� ফেরা�
মফিজউদ্দিনের ছেলে নাসিরউদ্দিনে� প্রত� দুলালি� প্রে� অথবা আরেক ছেলে সিদ্দি� মাস্টারে� সাথে আলেয়াজানে� বিয়ে। এত কিছু� মধ্য� চাইলেও জহির এড়িয়� যেতে পারেনন� মুক্তিযুদ্ধকেও� পুরো উপন্যাসই ছি� কয়ে� স্তর � মাত্রা� কাহিনী দিয়� গড়া� প্রত্যেক স্তর পড়ত� গিয়েই পাঠকের মধ্য� একধরণে� ঘো� সৃষ্টি হবে। মাঝেমধ্য� মন� হব� এস� অবাস্ত�, পরক্ষণেই মন� হব� এস� তো খুবই চেনা� আর গল্পটা এমনভাব� বলেছেন শহীদু� জহির, যে� মন� হয�, আড়া� থেকে সব ঘটনা দেখে এস� আমাদেরকে শোনাচ্ছে� সে, বড� বড� বাক্যে, এক নিঃশ্বাসে। যে গল্পের রাতে লুকিয়� আছ� চাঁদের অমাবস্যা অথবা যে� রাতে পূর্ণিমা ছিল।
কাহিনী� শুরু গ্রামে� মোড়� মফিজউদ্দিনের সপরিবারে হত্যাকাণ্ড দিয়ে। এরপর ধীরে ধীরে পেছাতে থাকে কাহিনী� মফিজউদ্দিনের কৈশো�, যৌবন, তা� ছেলেদে� জীবন সব উঠ� আস� এক� একে। হত্য� রহস্যে� সমাধান হয� না� কিন্তু ঘটনাগুলো� মাঝে ঘো� লাগা এক আবহে� সৃষ্টি হয়। কিশো� মফিজউদ্দিনের সারাদি� ধর� কুকুরক� তাড়িয়ে হত্য� কর�, চন্দ্রভানক� ছল�-কৌশলের মাধ্যম� নিজে� স্ত্রী বানানো� ডাকা� মাঝি� হাতে আট� হয়ে কোনো এক পূর্ণিমা রাতে এক পতিতার সাহায্যে নাটকীয়ভাবে বেঁচ� ফেরা�
মফিজউদ্দিনের ছেলে নাসিরউদ্দিনে� প্রত� দুলালি� প্রে� অথবা আরেক ছেলে সিদ্দি� মাস্টারে� সাথে আলেয়াজানে� বিয়ে। এত কিছু� মধ্য� চাইলেও জহির এড়িয়� যেতে পারেনন� মুক্তিযুদ্ধকেও� পুরো উপন্যাসই ছি� কয়ে� স্তর � মাত্রা� কাহিনী দিয়� গড়া� প্রত্যেক স্তর পড়ত� গিয়েই পাঠকের মধ্য� একধরণে� ঘো� সৃষ্টি হবে। মাঝেমধ্য� মন� হব� এস� অবাস্ত�, পরক্ষণেই মন� হব� এস� তো খুবই চেনা� আর গল্পটা এমনভাব� বলেছেন শহীদু� জহির, যে� মন� হয�, আড়া� থেকে সব ঘটনা দেখে এস� আমাদেরকে শোনাচ্ছে� সে, বড� বড� বাক্যে, এক নিঃশ্বাসে। যে গল্পের রাতে লুকিয়� আছ� চাঁদের অমাবস্যা অথবা যে� রাতে পূর্ণিমা ছিল।
August 19, 2020
কি বল� আম�?
সংগীতে� সুরে� মত���ই ছি� পুরো বই� আমার চিন্তাভাবনার মধ্য� একধরণে� আবেশ অনুভ� যেনো ছড়িয়� গিয়েছিল� কিছু চিন্তা না করতে পারা� আনন্�! শুধু গল্প শুনে যাওয়া� আনন্�! একজনের গল্প� আর� অনেকের গল্প আবিষ্কারের আনন্�! হঠাৎ কর� একটা গল্প অসম্পূর্� ভাবে থেমে গিয়� অন্য কারু গল্প� মিশে যাওয়া! তারপ� আবার সে� গল্পেই ফিরে আস�! এসবে� সঙ্গ� যে আমার আগ� পরিচয় ছি� না! তা� আম� কি বল� বলেন!
যারা পড়েছে� তারা তো জানেনই এই গল্প মফিজুদ্দ� আর চন্দ্রভানে� গল্প, মোল্লা নাসিরউদ্দি� আর দুলালি� গল্প, সিদ্দি� মাস্টারে� গল্প!
আর এর� সবাই পূর্ণিমা রাতে মারা গিয়েছিল,� বই সেটা� গল্প� চাঁদের জোছনায� নিজেকে ভাসিয়� নেওয়া� মত� অতিলৌকিক আনন্দে� জোগানদাত� এই উপন্যা�! এইসব চরিত্রের জীবনের গল্প!
সংগীতে� সুরে� মত���ই ছি� পুরো বই� আমার চিন্তাভাবনার মধ্য� একধরণে� আবেশ অনুভ� যেনো ছড়িয়� গিয়েছিল� কিছু চিন্তা না করতে পারা� আনন্�! শুধু গল্প শুনে যাওয়া� আনন্�! একজনের গল্প� আর� অনেকের গল্প আবিষ্কারের আনন্�! হঠাৎ কর� একটা গল্প অসম্পূর্� ভাবে থেমে গিয়� অন্য কারু গল্প� মিশে যাওয়া! তারপ� আবার সে� গল্পেই ফিরে আস�! এসবে� সঙ্গ� যে আমার আগ� পরিচয় ছি� না! তা� আম� কি বল� বলেন!
যারা পড়েছে� তারা তো জানেনই এই গল্প মফিজুদ্দ� আর চন্দ্রভানে� গল্প, মোল্লা নাসিরউদ্দি� আর দুলালি� গল্প, সিদ্দি� মাস্টারে� গল্প!
আর এর� সবাই পূর্ণিমা রাতে মারা গিয়েছিল,� বই সেটা� গল্প� চাঁদের জোছনায� নিজেকে ভাসিয়� নেওয়া� মত� অতিলৌকিক আনন্দে� জোগানদাত� এই উপন্যা�! এইসব চরিত্রের জীবনের গল্প!
January 10, 2023
এক পূর্ণিনা রাতে� সাথে কিছু মানুষে� জীবন, গ্রা� এব� গ্রাম্� রাজনীতি, প্রে�, বেদন�, মুক্তিযুদ্� ইত্যাদির অবিস্মরণীয় এক মেলবন্ধন ‘স� রাতে পূর্ণিমা ছিল’। একের পর এক বাক্� পড়া� সাথে সাথে, একের পর এক ঘোরে� মধ্য� ঢুকছিলাম� প্রতিট� চরিত্রের জীবনের সাথে, স্বপ্নের সাথে, তাদে� নিজস্ব গল্পের সাথে মিশে যাচ্ছিলাম। যে�...যে� আম� তাদেরই একজন� যে�...এক পূর্ণিমা রাতে যে গল্পের শুরু হয�,আমিও সে গল্পের অংশ। শহীদু� জহির,এম� একটা মাস্টারপিস রচনা করার জন্য আপনাকে কুর্নি� জানাচ্ছি�
June 5, 2022
সুররিয়ালিজমের সাথে পরিচিত হয়ে ভালো লাগছে। পুরো উপন্যা� জুড়� লেখক ভাষা� নানারক� কারুকার্� এঁকেছেন। বইটি এক বসায� শে� কর� ফেললুম� তব� বইয়ের শুরু থেকে� যে ঘোরগ্রস্� হওয়� শুরু হয়েছি�, আস্ত� আস্ত� তা আমার মস্তিষ্ককে ঠি� কোথায় কো� স্তর� নিয়� গেছে, কেমন ইফেক্ট তৈরি করেছ�, বোধে আসছে না� তব� এখনও সে� ঘো� থেকে যে পুরোপুরি বে� হত� পারিনি, এট� বোধগম্য।
এব� আমার মন� হয� কয়েকদিন হালক� কিছু পড়া অথবা কিছু না পড়া আমার জন্য সুখক� হবে৷
লেখা� ইউনি� প্যাটার্নে প্রত্যেক পাঠক� অভিভূত হত� বাধ্য। অগ্রী� শুভকামনা, আত্মতুষ্টি অর্জনে ভিন্� এক জগ� ভ্রমণে ইচ্ছুক মানুষদেরকে�
এব� আমার মন� হয� কয়েকদিন হালক� কিছু পড়া অথবা কিছু না পড়া আমার জন্য সুখক� হবে৷
লেখা� ইউনি� প্যাটার্নে প্রত্যেক পাঠক� অভিভূত হত� বাধ্য। অগ্রী� শুভকামনা, আত্মতুষ্টি অর্জনে ভিন্� এক জগ� ভ্রমণে ইচ্ছুক মানুষদেরকে�
October 6, 2019
পূর্ণিমা রাতে সুহাসিনী গ্রামে� মফিজউদ্দিন মিয়ার পরিবারের সকলে� মৃত্যু, মফিজউদ্দিন, চন্দ্রভা�, আকাল� শে�, শেখে� বোবা বউ, নয়নতারা হা�, মোল্লা নাসিরউদ্দি�, দুলালি কিংব� মোরগের খোজাকর� অথবা মফিজউদ্দিনের পশ্চাৎদেশে সি� থাকা হায়াত ১১� বছরে� বদলে ৮১ বছরে� মর� যাওয়া� নাকি উপজেলা নির্বাচনের সবুজ জী� দখলে� গল্প? ছো� ছো� প্রেমে� গল্প? গ্রামে� ছব�?
কিংব� সব� আবোলতাবো�!
এককথায�, " Mesmerising writing "
কিংব� সব� আবোলতাবো�!
এককথায�, " Mesmerising writing "
March 25, 2021
Marvellous!
Shahidul Zahir amazed once again with his mesmerizing writing style.
Shahidul Zahir amazed once again with his mesmerizing writing style.
March 17, 2023
আম� শহীদু� জহির আগেও পড়েছি, তব� এই বইটা পড়ত� যেয়� কয়েকবার আম� বিরক্ত হয়েছি যেটা আগের বইদুটোয় হই নি� তিনি নিঃসন্দেহে ঘো� লাগানো জাদুকরী লেখক সন্দেহ না�, তব� এই উপন্যাসটায� আমার মন� হয়েছে লেখা� বিন্যাসট� এলোমেল� হয়েছে� মফিজুদ্দিন মিয়� পরিবারের সকলে� পূর্ণিমা রাতে নির্মম মৃত্যু দিয়� কাহিনী শুরু হয়েছে� এরপর� ধাপে ধাপে ভাঁজ খুলে নানানদিক� মোড় নিয়েছ� ঠিকই, কিন্তু আমার ব্যক্তিগ� মতাম� বারবার এভাব� বাঁক ঘুরাতে গেয়� রিপিটেশন অনেক বেশি হয়েছে� একটা ঘটনা� শুধু রে� দিয়� ছেড়� দেওয়া হয়েছে, আবার বহ� পড়ে যেয়� হু� কর� তা� সুতা ধর� টা� দেওয়া হয়েছে..এই ব্যাপারটায� আম� পাঠক হিশেবে বিরক্ত হয়েছি�
তব� এই বিরক্তিভাব শে� অব্দ� থাকে নাই। শেষে যেয়� যখ� সুহাসিনী গ্রামে� এই মিয়� পরিবারের প্রতিট� মানুষে� পূর্ণিমা-ঘেরা আল�-ছায়ার জীবন উদ্ভাসিত হয� তখ� একটা ভালোলাগা কা� করে।
উপন্যাসট� সুন্দর� এর নামকরণ আর� সুন্দর� লেখক পূর্ণিমা রাতে� জোছনার মতোই রহস্যময় একটা আবহে কিছু উত্ত� অজান� রেখে দিয়েছেন� আবার হয়তোব� বল� দিয়েছেন সব� কে জানে?
পূর্ণিমা� খে� কি কখনো চর্মচক্ষ� গোচর হয�?
আসলে� "নেশা লাগানো� মত� জ্যোৎস্ন� ছি� সুহাসিনীতে", প্রতিট� চরিত্র ছিলো Moon struck, চন্দ্রাহত।
তব� এই বিরক্তিভাব শে� অব্দ� থাকে নাই। শেষে যেয়� যখ� সুহাসিনী গ্রামে� এই মিয়� পরিবারের প্রতিট� মানুষে� পূর্ণিমা-ঘেরা আল�-ছায়ার জীবন উদ্ভাসিত হয� তখ� একটা ভালোলাগা কা� করে।
উপন্যাসট� সুন্দর� এর নামকরণ আর� সুন্দর� লেখক পূর্ণিমা রাতে� জোছনার মতোই রহস্যময় একটা আবহে কিছু উত্ত� অজান� রেখে দিয়েছেন� আবার হয়তোব� বল� দিয়েছেন সব� কে জানে?
পূর্ণিমা� খে� কি কখনো চর্মচক্ষ� গোচর হয�?
আসলে� "নেশা লাগানো� মত� জ্যোৎস্ন� ছি� সুহাসিনীতে", প্রতিট� চরিত্র ছিলো Moon struck, চন্দ্রাহত।
September 5, 2018
আম� মোটামুটি নিশ্চি�, শহীদু� বেঁচ� থাকল� যেভাবে� হো� গিয়� তা� বাসায় ঢুকে পড়তাম, পা ধর� উদ্ভ্রান্তের মত বস� থাকতাম, এব� একটু পরপর হুংকার দিতা�, আই� একডা ফাডাফাডি হইবো!
এব�, এই যে, “শরীলে� মইদ্দে কেমু� যানি ভা� হইবা� নিছি�, কেমন যানি ঘো� ঘো� নেশা� নাহা�, চাইর দিকে কেমন যানি ধুলা ধুলা, কিন্তু ধুলা� ভিতর� কেমন যানি ভা�, কেমন যানি রঙের নাহা� ছড়ায়� আছ�; আম� তো বুজি না কি, খালি বুজি কিছু একটা; তা� বাদে যহ� ম্যাবাড়ির সামন� আইছি, তহ� বুইজবা� পারি আসলে কী; দেহি কি ম্যাবাড়ির মাথাভাঙ্গা আমগাছটার ডাইন পা� দিয়্য� পুন্নিমা� চা� ভাইস্য� উইঠছে”—আ� কো� শালা এই জিনি� লিখত� পারত�? উফ, গায়ের লো� দাঁড়ায়� যায় একেকটা পাতা পড়ল�!
গঠনগ� দি� দিয়� এই উপন্যা� মুখে� দিকে� দেখি-� সমতুল্য—দুটোতেই শহীদু� ইচ্ছেম� টাইমফ্রে� নিয়� খেলা করসে� এব� ইচ্ছেম� চরিত্র ধর� ধর� গল্প বলসে�, যদিও কিন্তু মুখে� দিকে� দেখি-তে জাদুবাস্তবতা� ব্যাপারগুল� আর� ভয়াবহ ছিল। আবার কাহিনী� কথ� চিন্তা করলে, এই উপন্যাসে� কাহিনী� গতিপ� বেশি শক্তিশালী মন� হইসে আমার কাছে�
খুবই উল্লেখ্য যে, এই উপন্যাসট� ১৯৯৫ সালে�, আর মুখে� দিকে� দেখি প্রকাশিত হয� ২০০৬ সালে� এই দশ বছ� ব্যবধানে শহীদু� হয়ত� কাহিনী� গতিপথে� চেয়� বর্ণনায় জাদুবাস্তবতা� প্রত� বেশি মন দিসিলেন—ক� জানে!
কিন্তু সবখানে�, টাইমফ্রে� নিয়� যে শহীদু� রীতিমত লীলাখেলা করেন—আ� বর্ণনাময়তা—এ� সুন্দর—মান�, আম� তো বুঝি না কী—খাল� বুঝি কিছু একটা—বৃষ্টিত� ঘর� বন্দী হয়ে বাচ্চাটা যখ� সূর্যে� আল� খায়—আবু বক� যখ� আলেকজানে� মুখে� দিকে দেখে—আমা� কেমন কেমন জানি লাগে—ঘোর ঘো� নেশা� নাহাল—চারিদিক� কেমন জানি ধুলা ধুলা—কিন্ত� সে� ধুলা� মধ্য� কেমন জানি ভাব—আর—আ� সুহাসিনী� নেশা-ধরান� জ্যোৎস্না—উ�, ভাদ্রে চন্দ্রাহ� হয়ে এই বই পড়া সার্থক!
এব�, এই যে, “শরীলে� মইদ্দে কেমু� যানি ভা� হইবা� নিছি�, কেমন যানি ঘো� ঘো� নেশা� নাহা�, চাইর দিকে কেমন যানি ধুলা ধুলা, কিন্তু ধুলা� ভিতর� কেমন যানি ভা�, কেমন যানি রঙের নাহা� ছড়ায়� আছ�; আম� তো বুজি না কি, খালি বুজি কিছু একটা; তা� বাদে যহ� ম্যাবাড়ির সামন� আইছি, তহ� বুইজবা� পারি আসলে কী; দেহি কি ম্যাবাড়ির মাথাভাঙ্গা আমগাছটার ডাইন পা� দিয়্য� পুন্নিমা� চা� ভাইস্য� উইঠছে”—আ� কো� শালা এই জিনি� লিখত� পারত�? উফ, গায়ের লো� দাঁড়ায়� যায় একেকটা পাতা পড়ল�!
গঠনগ� দি� দিয়� এই উপন্যা� মুখে� দিকে� দেখি-� সমতুল্য—দুটোতেই শহীদু� ইচ্ছেম� টাইমফ্রে� নিয়� খেলা করসে� এব� ইচ্ছেম� চরিত্র ধর� ধর� গল্প বলসে�, যদিও কিন্তু মুখে� দিকে� দেখি-তে জাদুবাস্তবতা� ব্যাপারগুল� আর� ভয়াবহ ছিল। আবার কাহিনী� কথ� চিন্তা করলে, এই উপন্যাসে� কাহিনী� গতিপ� বেশি শক্তিশালী মন� হইসে আমার কাছে�
খুবই উল্লেখ্য যে, এই উপন্যাসট� ১৯৯৫ সালে�, আর মুখে� দিকে� দেখি প্রকাশিত হয� ২০০৬ সালে� এই দশ বছ� ব্যবধানে শহীদু� হয়ত� কাহিনী� গতিপথে� চেয়� বর্ণনায় জাদুবাস্তবতা� প্রত� বেশি মন দিসিলেন—ক� জানে!
কিন্তু সবখানে�, টাইমফ্রে� নিয়� যে শহীদু� রীতিমত লীলাখেলা করেন—আ� বর্ণনাময়তা—এ� সুন্দর—মান�, আম� তো বুঝি না কী—খাল� বুঝি কিছু একটা—বৃষ্টিত� ঘর� বন্দী হয়ে বাচ্চাটা যখ� সূর্যে� আল� খায়—আবু বক� যখ� আলেকজানে� মুখে� দিকে দেখে—আমা� কেমন কেমন জানি লাগে—ঘোর ঘো� নেশা� নাহাল—চারিদিক� কেমন জানি ধুলা ধুলা—কিন্ত� সে� ধুলা� মধ্য� কেমন জানি ভাব—আর—আ� সুহাসিনী� নেশা-ধরান� জ্যোৎস্না—উ�, ভাদ্রে চন্দ্রাহ� হয়ে এই বই পড়া সার্থক!
March 29, 2024
কাহিনী বলার ধরনে শহীদু� জহির যে ঘোরে� আবেশ রচনা করেন তা সাদামাটা কাহিনীকে� অনন্� কর� তোলে� সে� ঘোরে� আবেশ মর্মের কত� গভীরে প্রবেশ কর� মনকে আচ্ছন্� করতে পারে� তা� একটি উদাহরণ দিতে হল� " সে রাতে পূর্ণিমা ছিলো " বইটি� না� অবশ্যই উঠ� আসবে�
মানুষে� জীবনের ওপ� ভর কর� থাকে চারট� জিনি� সূর্�, চন্দ্র, মঙ্গ�, শনি। চন্দ্র যা� উপ� প্রভাব বিস্তা� কর� তা� কোনো ভালো মন্দ নে�, কিংব� এট� ভালো মন্দ দু�-ই। চাঁদের আলোয� বৃক্�, পশুপাখির প্রা� নিঝু� হয়ে আসে। চাঁদের রাজত্ব� যে যায় সে বলতে পারে না সে জেগে আছ� না ঘুমিয়� আছে। সে যেনো এক নেশা� ভিতর দিয়� হেঁট� যায়!
সেরকমই এক অনন্� পূর্ণিমা� রাতে জন্ম হয� গল্পের মূ� চরিত্র মফিজুদ্দির� তা� তা� জীবনের ওপ� চন্দ্রের প্রভাব থাকে প্রক� হয়ে� মফিজুদ্দ� কর� জীবন এব� তেজে� আবাদ� মফিজুদ্দ� থেকে হয়ে ওঠ� মফিজুদ্দিন।মফিজুদ্দিনে� জীবনের এই আখ্যান� অনেক ঘটনা দ্বারা� বোঝা যায় চন্দ্রের প্রভাব প্রক��� হওয়ার কারন� তা� গোটা জীবন� সে কাটায় এক নেশা� ঘোরে� অপ� দিকে মফিজুদ্দিনের সন্তানের� তাদে� বাবা� অবাধ্য হয়। স্বতন্ত্রভাব� নি� নি� আঙ্গিক� হয়ে উঠ� স্বপ্নচারী� একজন মফিজুদ্দিনের ইচ্ছানুযায়ী মোল্লা না হয়ে বাবা� অজান্ত� মাদ্রাসা ত্যা� কর� হয়ে ওঠ� প্রকৌশলী� আরেকজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকল� বিভাগে পড়াশোনা করে। আঁকে নগ্ন মেয়েদের ছবি। আরেকজন বিপ্লবী হয়ে ওঠার বাসনায� বিপ্লবের লা� ইস্তেহারের বই পড়ে�
তাদে� � রক� স্বপ্নচারী না হয়ে উপায� ছিলো না কারণ তাদে� বাবা জন্মের প্রথ� রাতে� খেয়েছিল� ভাংয়ে� নির্যাস। আর তাদে� মা ছিলো নিশিগ্রস্ত�
শহীদু� জহির গল্প বলার ক্ষেত্রে একরক� গোলকধাঁধ� তৈরি করেন� যা দিয়� তিনি পাঠকের চেতনাক� আচ্ছন্� করেন খু� সহজেই। গোলকধাঁধ� বলবো কারণ তিনি গল্প বলার সময় সোজা পথ� হাটে� না� ঘটনা� একেকটা সূত্� ধর� তিনি বর্তমা� থেকে অতীতে যান। অতী� থেকে বর্তমানে আসেন� আবার অতী� থেকে সূদুরত� স্মরণাতী� অতীতে চল� যান। কিছু সময় আবার সময়ের চক্র ভে� কর� তিনি এমনভাব� গল্প বল� শুরু করেন যাকে সুনির্দিষ্� কোনো কালে� সীমারেখায় ফেলা যায় না� এভাবেই তিনি গল্পের গোলকধাঁধ� তৈরি করেন� সৃষ্টি হয� বিভ্রমের�
এই পৃথিবী� সৌন্দর্যের আর আচ্ছন্নতার পর� উপমা পূর্ণিমা� রাত। এই পূর্ণিমাকে যেমন তিনি উপন্যাসে� নামে ব্যবহা� করেছেন� তেমন� উপন্যাসে� গল্পেও তিনি আচ্ছন্নতার সক� প্রকার উপাদানের সন্নিবেশ ঘটিয়েছে� সফলভাবে।
জাদুবাস্তবতা� প্রেমে পড়েছিলা� ল্যাটি� সাহিত্যে� অনন্� সৃষ্টি গ্যাব্রিয়াল গার্সিয়� মার্কেজে� " নিঃসঙ্গতার এক� বছ� " পড়ে� এই বই পড়ে আমার মন� হয়েছিলো যে এরকম আরেকটি বই কী আম� আমার জীবদ্দশায় আরেকবা� পড়া� সুযো� পাবো? এই অনন্� অনুভূত�, এই রক� মুগ্ধত� দ্বারা আক্রান্ত হত� পারব� আর কখনো..?
সে� প্রশ্ন আমার মন� আবার জেগে উঠলো� বাংলা। বাংল� সাহিত্যে কী এরকম ঘো� জাগানিয়� জাদুবাস্তবতা পড়া� অভিজ্ঞতা কী আমার আর কোনো বই পড়ে হব�?
মানুষে� জীবনের ওপ� ভর কর� থাকে চারট� জিনি� সূর্�, চন্দ্র, মঙ্গ�, শনি। চন্দ্র যা� উপ� প্রভাব বিস্তা� কর� তা� কোনো ভালো মন্দ নে�, কিংব� এট� ভালো মন্দ দু�-ই। চাঁদের আলোয� বৃক্�, পশুপাখির প্রা� নিঝু� হয়ে আসে। চাঁদের রাজত্ব� যে যায় সে বলতে পারে না সে জেগে আছ� না ঘুমিয়� আছে। সে যেনো এক নেশা� ভিতর দিয়� হেঁট� যায়!
সেরকমই এক অনন্� পূর্ণিমা� রাতে জন্ম হয� গল্পের মূ� চরিত্র মফিজুদ্দির� তা� তা� জীবনের ওপ� চন্দ্রের প্রভাব থাকে প্রক� হয়ে� মফিজুদ্দ� কর� জীবন এব� তেজে� আবাদ� মফিজুদ্দ� থেকে হয়ে ওঠ� মফিজুদ্দিন।মফিজুদ্দিনে� জীবনের এই আখ্যান� অনেক ঘটনা দ্বারা� বোঝা যায় চন্দ্রের প্রভাব প্রক��� হওয়ার কারন� তা� গোটা জীবন� সে কাটায় এক নেশা� ঘোরে� অপ� দিকে মফিজুদ্দিনের সন্তানের� তাদে� বাবা� অবাধ্য হয়। স্বতন্ত্রভাব� নি� নি� আঙ্গিক� হয়ে উঠ� স্বপ্নচারী� একজন মফিজুদ্দিনের ইচ্ছানুযায়ী মোল্লা না হয়ে বাবা� অজান্ত� মাদ্রাসা ত্যা� কর� হয়ে ওঠ� প্রকৌশলী� আরেকজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকল� বিভাগে পড়াশোনা করে। আঁকে নগ্ন মেয়েদের ছবি। আরেকজন বিপ্লবী হয়ে ওঠার বাসনায� বিপ্লবের লা� ইস্তেহারের বই পড়ে�
তাদে� � রক� স্বপ্নচারী না হয়ে উপায� ছিলো না কারণ তাদে� বাবা জন্মের প্রথ� রাতে� খেয়েছিল� ভাংয়ে� নির্যাস। আর তাদে� মা ছিলো নিশিগ্রস্ত�
শহীদু� জহির গল্প বলার ক্ষেত্রে একরক� গোলকধাঁধ� তৈরি করেন� যা দিয়� তিনি পাঠকের চেতনাক� আচ্ছন্� করেন খু� সহজেই। গোলকধাঁধ� বলবো কারণ তিনি গল্প বলার সময় সোজা পথ� হাটে� না� ঘটনা� একেকটা সূত্� ধর� তিনি বর্তমা� থেকে অতীতে যান। অতী� থেকে বর্তমানে আসেন� আবার অতী� থেকে সূদুরত� স্মরণাতী� অতীতে চল� যান। কিছু সময় আবার সময়ের চক্র ভে� কর� তিনি এমনভাব� গল্প বল� শুরু করেন যাকে সুনির্দিষ্� কোনো কালে� সীমারেখায় ফেলা যায় না� এভাবেই তিনি গল্পের গোলকধাঁধ� তৈরি করেন� সৃষ্টি হয� বিভ্রমের�
এই পৃথিবী� সৌন্দর্যের আর আচ্ছন্নতার পর� উপমা পূর্ণিমা� রাত। এই পূর্ণিমাকে যেমন তিনি উপন্যাসে� নামে ব্যবহা� করেছেন� তেমন� উপন্যাসে� গল্পেও তিনি আচ্ছন্নতার সক� প্রকার উপাদানের সন্নিবেশ ঘটিয়েছে� সফলভাবে।
জাদুবাস্তবতা� প্রেমে পড়েছিলা� ল্যাটি� সাহিত্যে� অনন্� সৃষ্টি গ্যাব্রিয়াল গার্সিয়� মার্কেজে� " নিঃসঙ্গতার এক� বছ� " পড়ে� এই বই পড়ে আমার মন� হয়েছিলো যে এরকম আরেকটি বই কী আম� আমার জীবদ্দশায় আরেকবা� পড়া� সুযো� পাবো? এই অনন্� অনুভূত�, এই রক� মুগ্ধত� দ্বারা আক্রান্ত হত� পারব� আর কখনো..?
সে� প্রশ্ন আমার মন� আবার জেগে উঠলো� বাংলা। বাংল� সাহিত্যে কী এরকম ঘো� জাগানিয়� জাদুবাস্তবতা পড়া� অভিজ্ঞতা কী আমার আর কোনো বই পড়ে হব�?
June 10, 2022
�...�.. �...দ্ভু...�
�..�...�..সা...ধা...�...�!!!
আমার মন� হয� না,জীবন� খু� একটা এই ধরনে� ঘোরলাগ� বই পড়া� অভিজ্ঞতা হবে।এম� কর� কে� কি লিখত� পারে?
গল্প� বহুবার সুহাসিনী গ্রামে� লোকেদে� পূর্ণিমা� আলোয� আচ্ছন্� হয়ে যাওয়া� বিষয়ট� দেখা যায়,আম� মন� হয� � গ্রামে�-� বাসিন্দা কারন পুরোটা সময় কাহিনী� জন্য � হো�,লেখনী� জন্যেই হো�,গল্পের নানা বৈচিত্র্যে� জন্যেই হো�,কি এক ঘোরে আচ্ছন্� থেকেছি�
বিভিন্� সময়� বহুবার লেখক গল্পের টাইমলাইন হু� হা� কর� পরিবর্তন করেছেন,একজনের গল্প বলরে গিয়� আরেকজনের গল্প বলেছেন।কিন্ত� এই টানাহেঁচড়াতেও তো ঘো� একটু� কাটেনি!
ইংরেজিতে একেই বল� হিপ্নোটাইজিং!
�..�...�..সা...ধা...�...�!!!
আমার মন� হয� না,জীবন� খু� একটা এই ধরনে� ঘোরলাগ� বই পড়া� অভিজ্ঞতা হবে।এম� কর� কে� কি লিখত� পারে?
গল্প� বহুবার সুহাসিনী গ্রামে� লোকেদে� পূর্ণিমা� আলোয� আচ্ছন্� হয়ে যাওয়া� বিষয়ট� দেখা যায়,আম� মন� হয� � গ্রামে�-� বাসিন্দা কারন পুরোটা সময় কাহিনী� জন্য � হো�,লেখনী� জন্যেই হো�,গল্পের নানা বৈচিত্র্যে� জন্যেই হো�,কি এক ঘোরে আচ্ছন্� থেকেছি�
বিভিন্� সময়� বহুবার লেখক গল্পের টাইমলাইন হু� হা� কর� পরিবর্তন করেছেন,একজনের গল্প বলরে গিয়� আরেকজনের গল্প বলেছেন।কিন্ত� এই টানাহেঁচড়াতেও তো ঘো� একটু� কাটেনি!
ইংরেজিতে একেই বল� হিপ্নোটাইজিং!
March 8, 2023
'আমার এম� নাগে এই চা� দেইখ্য�, আম� কইব্যা� পারি না ক্যামন নাগে; তহ�, আম� যহ� খাড়� হই, মন� হয� যানি চান্দে� আল� না, আম� পানি� মইদ্দে ভাইস� উইঠল্যাম; আমার হা�-পা�, সারা শরী� হালক� হয়া যায়�'
ক্ষণজন্ম� সাহিত্যি� শহীদু� জহির বাংল� সাহিত্যে যে জাদুবাস্তবতা� ধারায় লেখালেখি করেছেন, সে� ছা� তাঁর সব লেখাতে� উপস্থিত। 'সে রাতে পূর্ণিমা ছি�' উপন্যাসে একইসাথ� মুক্তিযুদ্�, প্রে�, গ্রামী� রাজনীতি এব� তি� প্রজন্মে� ধারাবাহি� গল্প উঠ� এসেছে।
উপন্যাসে� শুরুতে� আমরা দেখত� পা� ভাদ্� মাসে� এক পূর্ণিমা রাতে সুহাসিনী গ্রামে� বাসিন্দা ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নে� চেয়ারম্যা� মফিজুদ্দিন মিয়� সপরিবারে নিহত হয়েছেন। ঠি� কতজন মানু� নিহত হয়েছি� সেদি�, তা গ্রামবাসী হিসা� কর� উঠতে পারেনা� বাড়ির চারজ� কাজে� লো� বাদে সকলে� আগুন� পুড়� এব� স্বয়ং মফিজুদ্দিন মিয়� গুলিবিদ্� হয়ে নিহত হয়েছেন। অনেকদি� পর যখ� এই ঘটনা� কথ� স্মর� কর� গ্রামবাসী, তখ� অনিবার্যভাবে� পূর্ণিমা রাতে� সে� চাঁদের কথ� চল� আসে। মফিজুদ্দিন মিয়� সপরিবারে নিহত হওয়ার কারণ হিসেবে স্পষ্টভাবে কে� কিছু না বলতে পারলেও, রায়গঞ্জ উপজেলা� চেয়ারম্যা� হওয়ার বাসনাই তাঁক� মৃত্যু� মুখে ঠেলে দিয়েছ� বল� ধর� নেয় সবাই�
শহীদু� জহির এই পূর্ণিমা রাতে� ঘটনাকে� ধ্রু� বিবেচন� কর� অতীতে� গল্পগুলো বল� বর্তমানে এস� পৌঁছেছেন� এত বড� একটি পরিবার নিঃশেষ হয়ে গে� অথ� লেখক আততায়ী সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু বলেন নি� মফিজুদ্দিনের পিতা আকাল� ছি� কৃষক এব� মা বোবা ছিল। আকালুর সাথে একটি বোবা মেয়ের বিবাহে� গল্পটা� অবাক করার মতো। একদি� মা� থেকে ফিরে আকাল� দেখে� স্ত্রী প্রস� বেদনায� কাতর� কিন্তু তিনি বারান্দায় বস� তামা� সেবন� ব্যস্ত থাকে� এব� একসময় বোবা স্ত্রী একটি পুত্রসন্তা� প্রস� করে। সে� সন্তানটি� এই উপন্যাসে� কেন্দ্রীয় চরিত্র মফিজুদ্দিন মিয়া। জন্মের সময় ঘরের আশেপাশ� যেমন পূর্ণিমা� জ্যোস্না ছি�, তেমন� মৃত্যু� দিনও সে� জ্যোস্না দেখা যায় সুহাসিনীতে� মানু� যে� ফিরে যায় তা� আদিমতম উৎসে�
কাজী বাড়ির কুকুরক� সারাদি� মাঠে তাড়� কর� যখ� মেরে ফেলে, তখ� থেকে� সে� মাঠট� 'কুত্তামারা� মা�' বল� পরিচিত� পায় এব� মফিজুদ্দ� থেকে মফিজুদ্দিন মিয়� হয়ে উঠেন তিনি� তিনি যখ� নয়নতারা� হা� বসান, তখ� সকলে� কাছে তাঁর এক ধরনে� প্রতিপত্তি সৃষ্টি হয়। কে এই নয়নতারা? যাকে মফিজুদ্দিন মিয়� নিজে� পী� হিসেবে আখ্যায়ি� করেছেন� আসগর আলির মেয়� চন্দ্রভানক� বিয়� করার পর মফিজুদ্দিন মিয়� তেরোটি ছেলে� পিতা হন� গ্রামে� মধ্য� মিয়� বাড়� বল� সকলে� তাদে� সম্মান দিত। এই সম্মান পাওয়াটা� কি সুরধ্বনি� খা� বংশে� মানু� সহ্য করতে পারেনি? যাদে� গ্রামে সরকারি রাস্তা নির্মা� ঠেকিয়� দিয়েছিলেন মফিজুদ্দিন মিয়া। তব� এর পেছন� কারণ ছি� অবশ্যই�
মফিজুদ্দিন মিয়ার এতগুলো ছেলে� মধ্য� মোল্লা নাসিরুদ্দি�, আব� বক� সিদ্দি� � রফিকুল ইসলামে� ব্যাপারে আমরা অনেককিছু� জানত� পারি� মফিজুদ্দিন মিয়� চেয়েছিলেন নাসিরুদ্দিনক� মাওলান� বানাতে কিন্তু ছেলে স্কু� পা� কর� ইঞ্জিনিয়ারি� কলেজ� ভর্ত� হয়। তব� মোল্লা নামট� আর মুছে যায়নি� শহ� থেকে মোরগের অন্ডকো� ছেদনের কৌশল শিখে এসেছিল সে� গ্রামে� মানুষেরা ভিড় করতো তাদে� মোরগের অন্ডকো� ছেদন করতে� সেখানে� গুটি গুটি পায়� নিজে� মোরগকে বুকে চেপে নিয়� আসতো জোলা মোবারক আলির মেয়� দুলালি� গ্রাম্� সর� বালিকা� মন� ধর� যায় নাসিরুদ্দিনকে। আরেক ভা� আবুবকর সিদ্দি� আর্ট কলেজের ছাত্র। আইজ্জ্বল প্রামাণিকে� মেয়� আলেকজানে� স্কে� করেছিল কা� কয়ল� দিয়ে। সে� ছবিটিই কিনা মুক্তিযুদ্ধে� সময় কা� হয়ে দাঁড়ায় আলেকজানে� জন্য� স্কু� পড়ুয়� রফিকুল ইসলা� ছি� বা� রাজনীতি� সমর্থক� উপজেলা� বড� কর্তার মেয়� জান্না� আরার সাথে মেলামেশা� জন্য ক্লাসে বে� খেতে হয� স্যারে� কাছে! কিন্তু নিজে� দোষট� ঠি� বুঝে উঠতে পারেনা সে�
এম� একটা উপন্যা�, যা� পুরোটা লেখক বল� দিয়েছেন আবার বলেনওনি। অসাধার� ভাষা � লেখকের কাহিনি বর্নায়ন� পাঠককে চুম্বকের মত� আকর্ষণ কর� রাখবে। তব� নিভৃতচারী লেখক হওয়ায� এত ভালো বই হওয়� সত্ত্বেও পাঠকের অগোচরে রয়ে গিয়েছে। বইটি সকলেরই পড়া উচিত বল� মন� করি। হ্যাপি রিডিং।
ক্ষণজন্ম� সাহিত্যি� শহীদু� জহির বাংল� সাহিত্যে যে জাদুবাস্তবতা� ধারায় লেখালেখি করেছেন, সে� ছা� তাঁর সব লেখাতে� উপস্থিত। 'সে রাতে পূর্ণিমা ছি�' উপন্যাসে একইসাথ� মুক্তিযুদ্�, প্রে�, গ্রামী� রাজনীতি এব� তি� প্রজন্মে� ধারাবাহি� গল্প উঠ� এসেছে।
উপন্যাসে� শুরুতে� আমরা দেখত� পা� ভাদ্� মাসে� এক পূর্ণিমা রাতে সুহাসিনী গ্রামে� বাসিন্দা ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নে� চেয়ারম্যা� মফিজুদ্দিন মিয়� সপরিবারে নিহত হয়েছেন। ঠি� কতজন মানু� নিহত হয়েছি� সেদি�, তা গ্রামবাসী হিসা� কর� উঠতে পারেনা� বাড়ির চারজ� কাজে� লো� বাদে সকলে� আগুন� পুড়� এব� স্বয়ং মফিজুদ্দিন মিয়� গুলিবিদ্� হয়ে নিহত হয়েছেন। অনেকদি� পর যখ� এই ঘটনা� কথ� স্মর� কর� গ্রামবাসী, তখ� অনিবার্যভাবে� পূর্ণিমা রাতে� সে� চাঁদের কথ� চল� আসে। মফিজুদ্দিন মিয়� সপরিবারে নিহত হওয়ার কারণ হিসেবে স্পষ্টভাবে কে� কিছু না বলতে পারলেও, রায়গঞ্জ উপজেলা� চেয়ারম্যা� হওয়ার বাসনাই তাঁক� মৃত্যু� মুখে ঠেলে দিয়েছ� বল� ধর� নেয় সবাই�
শহীদু� জহির এই পূর্ণিমা রাতে� ঘটনাকে� ধ্রু� বিবেচন� কর� অতীতে� গল্পগুলো বল� বর্তমানে এস� পৌঁছেছেন� এত বড� একটি পরিবার নিঃশেষ হয়ে গে� অথ� লেখক আততায়ী সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু বলেন নি� মফিজুদ্দিনের পিতা আকাল� ছি� কৃষক এব� মা বোবা ছিল। আকালুর সাথে একটি বোবা মেয়ের বিবাহে� গল্পটা� অবাক করার মতো। একদি� মা� থেকে ফিরে আকাল� দেখে� স্ত্রী প্রস� বেদনায� কাতর� কিন্তু তিনি বারান্দায় বস� তামা� সেবন� ব্যস্ত থাকে� এব� একসময় বোবা স্ত্রী একটি পুত্রসন্তা� প্রস� করে। সে� সন্তানটি� এই উপন্যাসে� কেন্দ্রীয় চরিত্র মফিজুদ্দিন মিয়া। জন্মের সময় ঘরের আশেপাশ� যেমন পূর্ণিমা� জ্যোস্না ছি�, তেমন� মৃত্যু� দিনও সে� জ্যোস্না দেখা যায় সুহাসিনীতে� মানু� যে� ফিরে যায় তা� আদিমতম উৎসে�
কাজী বাড়ির কুকুরক� সারাদি� মাঠে তাড়� কর� যখ� মেরে ফেলে, তখ� থেকে� সে� মাঠট� 'কুত্তামারা� মা�' বল� পরিচিত� পায় এব� মফিজুদ্দ� থেকে মফিজুদ্দিন মিয়� হয়ে উঠেন তিনি� তিনি যখ� নয়নতারা� হা� বসান, তখ� সকলে� কাছে তাঁর এক ধরনে� প্রতিপত্তি সৃষ্টি হয়। কে এই নয়নতারা? যাকে মফিজুদ্দিন মিয়� নিজে� পী� হিসেবে আখ্যায়ি� করেছেন� আসগর আলির মেয়� চন্দ্রভানক� বিয়� করার পর মফিজুদ্দিন মিয়� তেরোটি ছেলে� পিতা হন� গ্রামে� মধ্য� মিয়� বাড়� বল� সকলে� তাদে� সম্মান দিত। এই সম্মান পাওয়াটা� কি সুরধ্বনি� খা� বংশে� মানু� সহ্য করতে পারেনি? যাদে� গ্রামে সরকারি রাস্তা নির্মা� ঠেকিয়� দিয়েছিলেন মফিজুদ্দিন মিয়া। তব� এর পেছন� কারণ ছি� অবশ্যই�
মফিজুদ্দিন মিয়ার এতগুলো ছেলে� মধ্য� মোল্লা নাসিরুদ্দি�, আব� বক� সিদ্দি� � রফিকুল ইসলামে� ব্যাপারে আমরা অনেককিছু� জানত� পারি� মফিজুদ্দিন মিয়� চেয়েছিলেন নাসিরুদ্দিনক� মাওলান� বানাতে কিন্তু ছেলে স্কু� পা� কর� ইঞ্জিনিয়ারি� কলেজ� ভর্ত� হয়। তব� মোল্লা নামট� আর মুছে যায়নি� শহ� থেকে মোরগের অন্ডকো� ছেদনের কৌশল শিখে এসেছিল সে� গ্রামে� মানুষেরা ভিড় করতো তাদে� মোরগের অন্ডকো� ছেদন করতে� সেখানে� গুটি গুটি পায়� নিজে� মোরগকে বুকে চেপে নিয়� আসতো জোলা মোবারক আলির মেয়� দুলালি� গ্রাম্� সর� বালিকা� মন� ধর� যায় নাসিরুদ্দিনকে। আরেক ভা� আবুবকর সিদ্দি� আর্ট কলেজের ছাত্র। আইজ্জ্বল প্রামাণিকে� মেয়� আলেকজানে� স্কে� করেছিল কা� কয়ল� দিয়ে। সে� ছবিটিই কিনা মুক্তিযুদ্ধে� সময় কা� হয়ে দাঁড়ায় আলেকজানে� জন্য� স্কু� পড়ুয়� রফিকুল ইসলা� ছি� বা� রাজনীতি� সমর্থক� উপজেলা� বড� কর্তার মেয়� জান্না� আরার সাথে মেলামেশা� জন্য ক্লাসে বে� খেতে হয� স্যারে� কাছে! কিন্তু নিজে� দোষট� ঠি� বুঝে উঠতে পারেনা সে�
এম� একটা উপন্যা�, যা� পুরোটা লেখক বল� দিয়েছেন আবার বলেনওনি। অসাধার� ভাষা � লেখকের কাহিনি বর্নায়ন� পাঠককে চুম্বকের মত� আকর্ষণ কর� রাখবে। তব� নিভৃতচারী লেখক হওয়ায� এত ভালো বই হওয়� সত্ত্বেও পাঠকের অগোচরে রয়ে গিয়েছে। বইটি সকলেরই পড়া উচিত বল� মন� করি। হ্যাপি রিডিং।
October 14, 2015
রিপিটেশানে আমরা সাধারণ� বিরক্ত হই� কিন্তু, শহীদু� জহির এর লেখায় রিপিটেটি� নেচারট� আমার পছন্দ। যেমন � উপন্যাসে তিনি আমাদের বারবার মন� করিয়ে দে�, ভাদ্� রাতে� সে পূর্ণিমা রাতে অতিকায� এক চাঁদ উঠেছিল, ফল� সুহাসিনী গ্রামে� লোকজনে� মত আমাদের� একসময় মন� হয�, সে রাতে মফিজুদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের নিহত হবার চেয়� পূর্ণিমা� চাঁদ� বেশি রহস্যজনক ঘটনা� আবার, একটি ঘটনা� বর্ণনা একবারে শে� না কর� অন্য ঘটনায় যাওয়া এব� পাঠকের আগ্র� ধর� রেখে আবার পর� ফিরে আস�-� কঠিন কাজট� তিনি � উপন্যাসে� অদ্ভুত দক্ষতায় সম্পন্� করেন�
October 13, 2024
বাংল� সাহিত্যে জাদুবাস্তবতা জনরা� বই হাতে গোণা হলেও তা� পরিমাণ একেবার� কম নয়। তব� সে রাতে পূর্ণিমা ছি�'� মত� এম� আশ্চর্যজনক লেখা ইতোপূর্ব� লেখা হয়ন�, এমনক� আখতারুজ্জামা� ইলিয়াসে� এম� কিছু খুঁজ� পাইনি৷ খুবই অবাক হয়ে লেখাটি পড়লাম� যারা পড়েনন� পড়ে ফেলুন৷ 😊
January 22, 2025
- 𝐄𝐯𝐞𝐫 𝐟𝐞𝐥𝐭 𝐭𝐡𝐞 𝐥𝐢𝐠𝐡𝐭 𝐨𝐟 𝐚 𝐟𝐮𝐥𝐥 𝐦𝐨𝐨𝐧 𝐛𝐥𝐮𝐫 𝐭𝐡𝐞 𝐥𝐢𝐧𝐞𝐬 𝐛𝐞𝐭𝐰𝐞𝐞𝐧 𝐫𝐞𝐚𝐥𝐢𝐭𝐲 𝐚𝐧𝐝 𝐦𝐚𝐠𝐢𝐜? 𝐒𝐡𝐚𝐡𝐢𝐝𝐮𝐥 𝐉𝐚𝐡𝐢𝐫’� 𝐦𝐚𝐬𝐭𝐞𝐫𝐩𝐢𝐞𝐜𝐞 𝐰𝐢𝐥𝐥 𝐦𝐚𝐤𝐞 𝐲𝐨𝐮 𝐛𝐞𝐥𝐢𝐞𝐯𝐞 𝐢𝐭’� 𝐩𝐨𝐬𝐬𝐢𝐛𝐥𝐞!
I was familiar with the magic realism genre, having read works by Gabriel García áܱ and recognized names like Isabel Allende and Toni Morrison, but I didn’t realize we had such a powerful voice in Bengali literature until I read Shahidul Jahir.
📖 𝐁𝐨𝐨𝐤: সে রাতে পূর্ণিমা ছি� (Se Ratey Purnima Chilo/ That Night the Moon Was Full)
✍️ 𝐀𝐮𝐭𝐡𝐨𝐫: শহীদু� জহির (Shahidul Jahir or Shahidul Zahir)
📚 𝐆𝐞𝐧𝐫𝐞: Magic Realism, Literary Fiction
📅 𝐏𝐮𝐛𝐥𝐢𝐬𝐡𝐞𝐝: First published in February 1995. This edition by Mowla Brothers (@mowlabrothers) in February 2023.
� 𝐌𝐲 𝐑𝐚𝐭𝐢𝐧𝐠: 4.5�
Ω 𝐒𝐲𝐧𝐨𝐩𝐬𝐢𝐬: In the enigmatic village of Suhasini, reality bends under the spell of a full moon. Following the mysterious murder of Moral Mofizuddin's entire family, the story spirals into an intricate web of interconnected lives. Through Mofizuddin's youth, his sons' turbulent lives, forbidden loves, and supernatural encounters, Shahidul Jahir weaves a tapestry where each thread tells its own spellbinding tale. As the village's secrets unfold under the watchful moon, the line between real and surreal gradually disappears.
💭 𝐌𝐲 𝐓𝐡𝐨𝐮𝐠𝐡𝐭𝐬: In the silent corners of Suhasini village, where dreams collide with despair, Shahidul Jahir's Se Rate Purnima Chilo unfolds like a haunting melody. This novella, a masterpiece of magical realism, doesn't merely tell a story—it immerses us into the soul of that village, its people, and their mysteries. Through its poetic narrative, it explores the fragility of human emotions, the interplay of reality and unreality, and the inexplicable ways life and death coexist.
Many times, in the story, the people of Suhasini village find themselves overwhelmed by the light of the full moon. The moonlight isn’t just a backdrop; it becomes a force that blurs the line between reality and illusion. As I read, I felt like a resident of that village—enthralled, dazed, and hypnotized by the story, the writing, and its variety. Shahidul Jahir’s storytelling often shifts timelines abruptly, transitioning from one person’s story to another. This technique, though disorienting at first, soon creates a hypnotic rhythm that pulls you deeper into the narrative.
The story begins with the tragic murder of Moral Mofizuddin’s entire family, yet the mystery surrounding this event is never resolved. Instead, the novella takes its time, meandering through Mofizuddin’s adolescence, youth, and the lives of sons, along with surrounding events, all of which eventually come together in a way that feels connected and meaningful. The layers of the story unfold like a labyrinth, each revealing strange and beautiful tales—Mofizuddin’s relentless dog-chasing, his dramatic escape from hired killers with the help of a prostitute, or Dulali’s love for Mofizuddin’s son Nasiruddin. Mobarak Ali’s love for his daughter Dulali, revealed through her sufferings, a love I can deeply relate to as a father myself, understanding it through the lens of my own affection for my four-month-old daughter. Beyond the emotions, even the Liberation War finds its way into the narrative prominently, grounding the surreal elements in historical reality.
The beauty of Se Rate Purnima Chhilo lies in its ability to weave the ordinary and the extraordinary seamlessly. The villagers—with their innocence, interconnected lives, and bizarre stories—are brought to life with such vividness that they feel like real people. Shahidul Jahir narrates their lives with an unmatched intimacy, often using long, breathless sentences that mimic the act of recounting tales late into the night. His descriptions are so evocative that the reader feels like they’re walking through the village, hearing whispers of miracles and tragedies from house to house.
Initially, the writing style felt clumsy to me—scattered and a bit overwhelming. But as I settled in, the narrative began to create a strange, dizzying atmosphere. The moonlit nights, the blurred boundary between reality and unreality, and the poetic prose all work together to mesmerize. Shahidul Jahir’s storytelling feels as though he has witnessed every event firsthand and is recounting them to us in one breath, each sentence infused with raw emotion.
The non-linear narrative and layered storytelling demand patience at first, but the reward is profound. The book’s structure, where stories interweave and timelines overlap, mirrors the fragmented nature of memory and history. At times, the repetition of incidents and playful manipulation of time may feel forceful, but it ultimately imprints the events deeply into our mind. It’s as if the writer is deliberately creating a whirlwind that traps us in Suhasini village.
What stands out most is the novel’s ability to evoke both familiarity and strangeness. The people of Suhasini village, their stories, and their moonlit nights feel both surreal and deeply rooted in the cultural fabric of Bangladesh. This duality—the unreal becoming real and the real feeling unreal—is where Jahir’s genius shines. The novella’s prose is epic yet intimate, its magic unsettling yet comforting.
In the end, Se Rate Purnima Chhilo is not just a story; it is an experience. It is a testament to Shahidul Jahir’s unique voice in Bengali literature, one that deserves to be celebrated far beyond its origins. The book’s layered narrative, poetic language, and profound exploration of human nature make it a masterpiece worthy of global recognition. I am proud that there was a Shahidul Jahir in Bengali literature, and this epic novel deserves to stand tall in the court of world literature, and I’m eager to explore more of his writing.
⁉️ 𝐐𝐎𝐓𝐃: Have you ever experienced a story that felt like a beautiful fever dream you didn't want to wake up from? Tell me about it in the comments 🌕!
👍 Liked this post or found it helpful? Hit the ❤️, save it, and 𝐬𝐡𝐚𝐫𝐞 it with your bookish squad!
🔔 Follow me for more bookish ramblings, reviews, and recommendations.
🌟 𝙂𝑶𝑶𝑫𝙍𝑬𝘼𝑫𝙎: Nazmus Sadat ( )
📸 𝑰𝑵𝑺𝑻𝑨𝑮𝑹𝑨𝑴: @dshadowcatreads
I was familiar with the magic realism genre, having read works by Gabriel García áܱ and recognized names like Isabel Allende and Toni Morrison, but I didn’t realize we had such a powerful voice in Bengali literature until I read Shahidul Jahir.
📖 𝐁𝐨𝐨𝐤: সে রাতে পূর্ণিমা ছি� (Se Ratey Purnima Chilo/ That Night the Moon Was Full)
✍️ 𝐀𝐮𝐭𝐡𝐨𝐫: শহীদু� জহির (Shahidul Jahir or Shahidul Zahir)
📚 𝐆𝐞𝐧𝐫𝐞: Magic Realism, Literary Fiction
📅 𝐏𝐮𝐛𝐥𝐢𝐬𝐡𝐞𝐝: First published in February 1995. This edition by Mowla Brothers (@mowlabrothers) in February 2023.
� 𝐌𝐲 𝐑𝐚𝐭𝐢𝐧𝐠: 4.5�
Ω 𝐒𝐲𝐧𝐨𝐩𝐬𝐢𝐬: In the enigmatic village of Suhasini, reality bends under the spell of a full moon. Following the mysterious murder of Moral Mofizuddin's entire family, the story spirals into an intricate web of interconnected lives. Through Mofizuddin's youth, his sons' turbulent lives, forbidden loves, and supernatural encounters, Shahidul Jahir weaves a tapestry where each thread tells its own spellbinding tale. As the village's secrets unfold under the watchful moon, the line between real and surreal gradually disappears.
💭 𝐌𝐲 𝐓𝐡𝐨𝐮𝐠𝐡𝐭𝐬: In the silent corners of Suhasini village, where dreams collide with despair, Shahidul Jahir's Se Rate Purnima Chilo unfolds like a haunting melody. This novella, a masterpiece of magical realism, doesn't merely tell a story—it immerses us into the soul of that village, its people, and their mysteries. Through its poetic narrative, it explores the fragility of human emotions, the interplay of reality and unreality, and the inexplicable ways life and death coexist.
Many times, in the story, the people of Suhasini village find themselves overwhelmed by the light of the full moon. The moonlight isn’t just a backdrop; it becomes a force that blurs the line between reality and illusion. As I read, I felt like a resident of that village—enthralled, dazed, and hypnotized by the story, the writing, and its variety. Shahidul Jahir’s storytelling often shifts timelines abruptly, transitioning from one person’s story to another. This technique, though disorienting at first, soon creates a hypnotic rhythm that pulls you deeper into the narrative.
The story begins with the tragic murder of Moral Mofizuddin’s entire family, yet the mystery surrounding this event is never resolved. Instead, the novella takes its time, meandering through Mofizuddin’s adolescence, youth, and the lives of sons, along with surrounding events, all of which eventually come together in a way that feels connected and meaningful. The layers of the story unfold like a labyrinth, each revealing strange and beautiful tales—Mofizuddin’s relentless dog-chasing, his dramatic escape from hired killers with the help of a prostitute, or Dulali’s love for Mofizuddin’s son Nasiruddin. Mobarak Ali’s love for his daughter Dulali, revealed through her sufferings, a love I can deeply relate to as a father myself, understanding it through the lens of my own affection for my four-month-old daughter. Beyond the emotions, even the Liberation War finds its way into the narrative prominently, grounding the surreal elements in historical reality.
The beauty of Se Rate Purnima Chhilo lies in its ability to weave the ordinary and the extraordinary seamlessly. The villagers—with their innocence, interconnected lives, and bizarre stories—are brought to life with such vividness that they feel like real people. Shahidul Jahir narrates their lives with an unmatched intimacy, often using long, breathless sentences that mimic the act of recounting tales late into the night. His descriptions are so evocative that the reader feels like they’re walking through the village, hearing whispers of miracles and tragedies from house to house.
Initially, the writing style felt clumsy to me—scattered and a bit overwhelming. But as I settled in, the narrative began to create a strange, dizzying atmosphere. The moonlit nights, the blurred boundary between reality and unreality, and the poetic prose all work together to mesmerize. Shahidul Jahir’s storytelling feels as though he has witnessed every event firsthand and is recounting them to us in one breath, each sentence infused with raw emotion.
The non-linear narrative and layered storytelling demand patience at first, but the reward is profound. The book’s structure, where stories interweave and timelines overlap, mirrors the fragmented nature of memory and history. At times, the repetition of incidents and playful manipulation of time may feel forceful, but it ultimately imprints the events deeply into our mind. It’s as if the writer is deliberately creating a whirlwind that traps us in Suhasini village.
What stands out most is the novel’s ability to evoke both familiarity and strangeness. The people of Suhasini village, their stories, and their moonlit nights feel both surreal and deeply rooted in the cultural fabric of Bangladesh. This duality—the unreal becoming real and the real feeling unreal—is where Jahir’s genius shines. The novella’s prose is epic yet intimate, its magic unsettling yet comforting.
In the end, Se Rate Purnima Chhilo is not just a story; it is an experience. It is a testament to Shahidul Jahir’s unique voice in Bengali literature, one that deserves to be celebrated far beyond its origins. The book’s layered narrative, poetic language, and profound exploration of human nature make it a masterpiece worthy of global recognition. I am proud that there was a Shahidul Jahir in Bengali literature, and this epic novel deserves to stand tall in the court of world literature, and I’m eager to explore more of his writing.
⁉️ 𝐐𝐎𝐓𝐃: Have you ever experienced a story that felt like a beautiful fever dream you didn't want to wake up from? Tell me about it in the comments 🌕!
👍 Liked this post or found it helpful? Hit the ❤️, save it, and 𝐬𝐡𝐚𝐫𝐞 it with your bookish squad!
🔔 Follow me for more bookish ramblings, reviews, and recommendations.
🌟 𝙂𝑶𝑶𝑫𝙍𝑬𝘼𝑫𝙎: Nazmus Sadat ( )
📸 𝑰𝑵𝑺𝑻𝑨𝑮𝑹𝑨𝑴: @dshadowcatreads
September 1, 2024
This is kind of masterpiece in terms of the writing.The story goes in a linear way but the way it is portrayed fabulous. The way every aspect of villagers are written that is done in a perfect way. A human psychology is mixed of good and bad, the bad aspects they themselves know but it does not come out in front of. It remain inside as a guilt and that guilt again results in apparently wrong behaviour.
Overall initially when I started it was difficult to continue but then the timeline continues from here and there . writer forcefully imprinted the incidents inside you proactively mentioning the incidents multiple times and playing with the timeline.
Great experience
5/5
❤️❤️❤️❤️❤️
Overall initially when I started it was difficult to continue but then the timeline continues from here and there . writer forcefully imprinted the incidents inside you proactively mentioning the incidents multiple times and playing with the timeline.
Great experience
5/5
❤️❤️❤️❤️❤️
May 2, 2021
মফিজউদ্দিনের সাধারণ মানু� থেকে গ্রামে� মোড়� হবার কাহিনী� তা� জীবনী� তা� জীবনের স্ট্রাগল, উত্থান পতনে� কাহিনী� সে� সাথে সন্তান দে� সাথে দূরত্ব� পরের দিকে সন্তান রা� মূখ্� হয়ে উঠ� এই গল্পে। গল্প বলার স্টাইল টা ভা� লেগেছে�
February 18, 2024
মানু� নতুনত্� পছন্� করে। প্রতিট� লেখকের� নিজস্ব একটা লেখা� ধর� থাকে� একটা সাধারণ গল্পকে লেখক যখ� তা� অভিন� ধারায় অসাধার� কর� ফুঁটিয়ে তুলে স্বভাবতই মানু� সেটা� প্রত� আকর্ষী� হবে। কারণ নতুনত্� মানুষক� মুগ্� করে।
শহিদুল জহির � তা� নিজস্ব একটা ধারা নি� হস্ত� তৈয়ার কর� নিয়েছে। যা বিমুগ্� করক। বর্তমানক� সামন� রেখে ফসিলের মত� অতীতক� খুঁড়ে বে� করার প্রক্রিয়াটা আদতে যে কাউকেই অভিভূত করবে�
শহিদুল জহির � তা� নিজস্ব একটা ধারা নি� হস্ত� তৈয়ার কর� নিয়েছে। যা বিমুগ্� করক। বর্তমানক� সামন� রেখে ফসিলের মত� অতীতক� খুঁড়ে বে� করার প্রক্রিয়াটা আদতে যে কাউকেই অভিভূত করবে�
January 30, 2018
একটা ঘো� লাগানো গল্প !
July 16, 2024
দুলালি� মত� অভিমান� ঘুমিয়� থাকা প্রাণী� জীবন� নেমে আসুক নাসিরউদ্দিনে� অনন্তকালের জিয়ারত। জীবনের অন্যতম বিষাদময় দিনে পড়া সুন্দর বিষাদময় কিসসা।
January 1, 2022
শহীদু� জহির পড়ছ� গত কিছুদি� ধর�, একের পর এক, একটা� পর একটা� বে� সময় লাগছ� যদিও, ভাষাগত জটিলটা� পাশাপাশি বিষয� বস্তুর গভীরতার কারনেও� প্রতিট� গল্প বা উপন্যা� পড়ে দীর্ঘক্ষ� বস� ভাবত� হয�, মুগ্ধতার এক আবেশ� জড়িয়� যাই। এভাবেই পড়ে ফেললাম তা� ২য� উপন্যা� 'সে রাতে পূর্ণিমা ছি�'�
'যে রাতে পূর্ণিমা ছি�' একটা গ্রামে� গল্প� কিংব� একটা পরিবারের গল্প� যে পরিবারের প্রধান মফিজুদ্দিন মিয়� সপরিবারে মারা যায় ভাদ্� মাসে� এক পূর্ণিমা রাতে, গ্রামে� লোকেরা মন� করতে পারে, সে রাতে� সর্বনাশা সে� চাঁদ ছি� ছিন্নমুন্ডুর মত রক্তাক্ত� সে� রাতে� পর গ্রামে� লোকেদে� মফিজুদ্দিন মিয়ার কথ� মন� হয�, তারা স্মৃতিচারণ কর�, দিনমজু� কৃষক আকালুর ছেলে মফিজুদ্দিনের মফিজদ্দি� মিয়� হয়ে উঠার গল্প� তারা মৃন্ময়ী বা কো� নামহী�; গাছে� মত নীরব, বোবা মফিজুদ্দির মায়ের কথ� মন� কর�, যে একদি� ধানক্ষেত� হয়ত� মাটিফুড়� উদয় হয� আর মফিজুদ্দির বা� আকাল� তাকে কুড়িয়ে ঘর� নিয়� আসে। তারপ� এক পূর্নিমা রাতে নীরব� মফিজুদ্দিক� জন্মদিয়� নিজে� জন্মরহস্� গোপন রেখে� মৃত্যুবর� করে। নিজে� হাতে� রেখায় চাঁদের প্রভাবের আধিপত্� নিয়� মফিজুদ��দি বড� হয়ে উঠ� আর হয়ত� চাদে� প্রভাবেই অবধারিতভাব� মিয়াবাড়ি� নিশিতে পাওয়া কন্য� চন্দ্রভানে� মুখোমুখি হয� এক পূর্নিমা রাতেই। চন্দ্রভানক� বিয়� করতে চেয়� মফিজুদ্দ� নিজে� জীবনকে ঝুঁকিত� ফেলে, আর সে� ঝুঁক� থেকে 'নয়নতারা' নামে� এক গনিক� আক্ষরি� অর্থেই কামসূত্রের চৌষট্টিকলা� প্রয়ো� ঘটিয়ে তাকে বাচিয়� নিয়� আস�, আর সুহাসিনী গ্রামে� মানুষদের নিত্যদিনের জীবনের সাথে নিজেকে জড���িয়� নেয়�
রক্তস্না� সে� পূর্নিমা রাতে ঠি� কতজন প্রা� হারায় তা গ্রামে� লোকেরা নিশ্চি� হত� পারে না, তব� তারা লাশগুল� খুজে বে� কর� গণকব� দেয়� তাদে� মফিজুদ্দির ছেলেদে� কথ� মন� পড়ে, যারা জন্মের পরপর� ভা� খাওয়া মফিজুদ্দ�, আর তা� নিশিতে পাওয়া বধ� চন্দ্রভানে� ঘর� জন্ম নিয়� ছি�; এব� ভা� � নিশি� প্রভাব� অবধারি� ভাবে� সারা জীবন এক অভাবনীয় স্বপ্নাল� জগতে কাটিয়� দিয়েছিল� তাদে� মফিজুদ্দিনের সর্বকনিষ্ঠ ছেলে, দশ� শ্রেণী পড়ুয়� রফিকুল ইসলামে� কথ� মন� পর�, যে তাদে� একটি স্বপ্ন দেখিয়েছিল; সমাজ এব� রাষ্ট্রক� বদলে দেওয়া� স্বপ্ন , বিপ্লবের স্বপ্ন, এব� সে� স্বপ্ন তারা বুঝে উঠার আগেই যে রফিকুল ইসলা� মারা যায়� মফিজুদ্দিন মিয়� � তা� সন্তানদে� পাশাপাশি তাদে� দরিদ্র তাতি� মেয়� দুলালি� কথাও মন� পড়ে, যে সে� অভিশপ্� পূর্নিমারাতে� আগেই ভালোবাসা না পাওয়া� বেদনায� রোদে� আল� পা� কর� মর� গিয়েছিল� তারা সে� অসহায় বালিকা� দরিদ্র বাবা� কথ� মন� কর�, যে মফিজুদ্দির ছেলে নাসিরুদ্দনের না আস� পর্যন্� মেয়ের লা� কব� দিবে না বল� প্রতিজ্ঞ� কর� আর গ্রামে� লোকেরা অবাক হয়ে দেখে, দিনে� পর দি� সে� দুঃখিনী বালিকা� লা� অপচনীয় হয়ে পড়ে থাকে� মোড়গে� বিচি খাওয়ানো সংক্রান্� ছেলে মানুষি দুষ্টুমি� মাধ্যম� নাসিরুদ্দি� যে প্রেমে� সূচন� কর�, সে প্রেমে� অবধারি� পরিণতি� দিকে নাসিরুদ্দি� আর দুলালি এগিয়ে যায়�
যে মফিজুদ্দিন মিয়� এক� এগার� বছ� বাঁচবে বল� সুহাসিনী� লোকেরা জানত, সে� মফিজুদ্দিন যখ� মাত্� একাশ� বছ� বয়স� তা� বিশা� পরিবার সহ এক পূর্নিমা রাতে মারা যায়, গ্রামে� লোকেরা বিভ্রান্� হয়। হত্যার পেছন� কে থাকত� পারে তা তাদে� মাথায় আস� না, তব� তাদে� মফিজুদ্দিনের ছেলে বেলা� বন্ধ� করিম খা � তা� ছেলে আফজা� খা, এব� এই দু� পরিবারের মধ্যকা� চল� দীর্ঘকাল ব্যাপী বিরোধে� কথাও মন� পরে। সাথে মফিজুদ্দির শিল্পী ছেলে আব� বক� সিদ্দিকে� কথ� মন� পড়ে যায়, যা� আঁকা বাইশটা ছবির একুশটা ধ্বং� হয়ে যাওয়া� পর� বেঁচ� থাকা একটা ছবিই একাত্ত� সালে আলেকজা� নামে� মেয়েটির কপাল� দুর্যো� নামিয়� আনে। আলেকজানে� কারন� যুদ্ধে যাওয়া দু� পুরুষে� একজন শহী� হয� আর অপরজ� গাজি হয়ে ফিরে আস�, আর ভাদ্রে মাসে� সে� পূর্নিমারাতে আলেকজানক� জড়িয়� ধরেই মফিজুদ্দির সাথে মৃত্যুবর� করে।
এই সক� মানুষে� পাশাপাশি এই গল্প আমাদের উত্থান পতনে� গল্প বলে। গরী� কৃষকের বংশধ�, আমরা আর আমাদের পথচলার গল্প বলে। তব� সর্বোপরি এট� আমার কাছে শুধু� ভালোবাসা�, প্রেমে�, ভালোবাসা� অলৌকিক আনন্দে� � বেদনার হেমকান্ত� সৌন্দর্যের গল্প� ব্যক্তিগ� ভাবে দুলালি� প্রে� আমাক� খু�, খু� বেশি পরিমান ছুঁয়ে গেছে� এম� সহ� সর� কিন্তু বেদনাবিধুর প্রে� কাহিনী আম� কখনো পড়ি নি�
শহীদু� জহিরের অন্যান্য লেখা� মত� এই উপন্যাসে� ভাষা� যথেষ্ট জটিল কিন্তু মাদকতাময়। পাশাপাশি তা� বেশিরভাগ লেখা� মত� এই উপন্যাসে� কথ� বা বর্ণনাকারী হচ্ছ� গ্রামে� লোকেরা, লেখক নিজে না� বহ� বচনে বর্ণনা� এই ব্যাপারট� আম� আম� উনার লেখা ছাড়� আর কোথা� পা� নি� উনার বাক্� রচনা একইসাথ� জটিল আর বড�, কিন্তু অদ্ভুত রকমে� সরলও� দুলালি, নয়নতারা আর আলেকজা� আমার স্মৃতিতে বহুকাল বিচর� করবে আজকে� মত� মুগ্ধত� নিয়ে।
অসামান্য এই উপন্যাসট� আগ্রহীরা পড়ে দেখত� পারেন।
'যে রাতে পূর্ণিমা ছি�' একটা গ্রামে� গল্প� কিংব� একটা পরিবারের গল্প� যে পরিবারের প্রধান মফিজুদ্দিন মিয়� সপরিবারে মারা যায় ভাদ্� মাসে� এক পূর্ণিমা রাতে, গ্রামে� লোকেরা মন� করতে পারে, সে রাতে� সর্বনাশা সে� চাঁদ ছি� ছিন্নমুন্ডুর মত রক্তাক্ত� সে� রাতে� পর গ্রামে� লোকেদে� মফিজুদ্দিন মিয়ার কথ� মন� হয�, তারা স্মৃতিচারণ কর�, দিনমজু� কৃষক আকালুর ছেলে মফিজুদ্দিনের মফিজদ্দি� মিয়� হয়ে উঠার গল্প� তারা মৃন্ময়ী বা কো� নামহী�; গাছে� মত নীরব, বোবা মফিজুদ্দির মায়ের কথ� মন� কর�, যে একদি� ধানক্ষেত� হয়ত� মাটিফুড়� উদয় হয� আর মফিজুদ্দির বা� আকাল� তাকে কুড়িয়ে ঘর� নিয়� আসে। তারপ� এক পূর্নিমা রাতে নীরব� মফিজুদ্দিক� জন্মদিয়� নিজে� জন্মরহস্� গোপন রেখে� মৃত্যুবর� করে। নিজে� হাতে� রেখায় চাঁদের প্রভাবের আধিপত্� নিয়� মফিজুদ��দি বড� হয়ে উঠ� আর হয়ত� চাদে� প্রভাবেই অবধারিতভাব� মিয়াবাড়ি� নিশিতে পাওয়া কন্য� চন্দ্রভানে� মুখোমুখি হয� এক পূর্নিমা রাতেই। চন্দ্রভানক� বিয়� করতে চেয়� মফিজুদ্দ� নিজে� জীবনকে ঝুঁকিত� ফেলে, আর সে� ঝুঁক� থেকে 'নয়নতারা' নামে� এক গনিক� আক্ষরি� অর্থেই কামসূত্রের চৌষট্টিকলা� প্রয়ো� ঘটিয়ে তাকে বাচিয়� নিয়� আস�, আর সুহাসিনী গ্রামে� মানুষদের নিত্যদিনের জীবনের সাথে নিজেকে জড���িয়� নেয়�
রক্তস্না� সে� পূর্নিমা রাতে ঠি� কতজন প্রা� হারায় তা গ্রামে� লোকেরা নিশ্চি� হত� পারে না, তব� তারা লাশগুল� খুজে বে� কর� গণকব� দেয়� তাদে� মফিজুদ্দির ছেলেদে� কথ� মন� পড়ে, যারা জন্মের পরপর� ভা� খাওয়া মফিজুদ্দ�, আর তা� নিশিতে পাওয়া বধ� চন্দ্রভানে� ঘর� জন্ম নিয়� ছি�; এব� ভা� � নিশি� প্রভাব� অবধারি� ভাবে� সারা জীবন এক অভাবনীয় স্বপ্নাল� জগতে কাটিয়� দিয়েছিল� তাদে� মফিজুদ্দিনের সর্বকনিষ্ঠ ছেলে, দশ� শ্রেণী পড়ুয়� রফিকুল ইসলামে� কথ� মন� পর�, যে তাদে� একটি স্বপ্ন দেখিয়েছিল; সমাজ এব� রাষ্ট্রক� বদলে দেওয়া� স্বপ্ন , বিপ্লবের স্বপ্ন, এব� সে� স্বপ্ন তারা বুঝে উঠার আগেই যে রফিকুল ইসলা� মারা যায়� মফিজুদ্দিন মিয়� � তা� সন্তানদে� পাশাপাশি তাদে� দরিদ্র তাতি� মেয়� দুলালি� কথাও মন� পড়ে, যে সে� অভিশপ্� পূর্নিমারাতে� আগেই ভালোবাসা না পাওয়া� বেদনায� রোদে� আল� পা� কর� মর� গিয়েছিল� তারা সে� অসহায় বালিকা� দরিদ্র বাবা� কথ� মন� কর�, যে মফিজুদ্দির ছেলে নাসিরুদ্দনের না আস� পর্যন্� মেয়ের লা� কব� দিবে না বল� প্রতিজ্ঞ� কর� আর গ্রামে� লোকেরা অবাক হয়ে দেখে, দিনে� পর দি� সে� দুঃখিনী বালিকা� লা� অপচনীয় হয়ে পড়ে থাকে� মোড়গে� বিচি খাওয়ানো সংক্রান্� ছেলে মানুষি দুষ্টুমি� মাধ্যম� নাসিরুদ্দি� যে প্রেমে� সূচন� কর�, সে প্রেমে� অবধারি� পরিণতি� দিকে নাসিরুদ্দি� আর দুলালি এগিয়ে যায়�
যে মফিজুদ্দিন মিয়� এক� এগার� বছ� বাঁচবে বল� সুহাসিনী� লোকেরা জানত, সে� মফিজুদ্দিন যখ� মাত্� একাশ� বছ� বয়স� তা� বিশা� পরিবার সহ এক পূর্নিমা রাতে মারা যায়, গ্রামে� লোকেরা বিভ্রান্� হয়। হত্যার পেছন� কে থাকত� পারে তা তাদে� মাথায় আস� না, তব� তাদে� মফিজুদ্দিনের ছেলে বেলা� বন্ধ� করিম খা � তা� ছেলে আফজা� খা, এব� এই দু� পরিবারের মধ্যকা� চল� দীর্ঘকাল ব্যাপী বিরোধে� কথাও মন� পরে। সাথে মফিজুদ্দির শিল্পী ছেলে আব� বক� সিদ্দিকে� কথ� মন� পড়ে যায়, যা� আঁকা বাইশটা ছবির একুশটা ধ্বং� হয়ে যাওয়া� পর� বেঁচ� থাকা একটা ছবিই একাত্ত� সালে আলেকজা� নামে� মেয়েটির কপাল� দুর্যো� নামিয়� আনে। আলেকজানে� কারন� যুদ্ধে যাওয়া দু� পুরুষে� একজন শহী� হয� আর অপরজ� গাজি হয়ে ফিরে আস�, আর ভাদ্রে মাসে� সে� পূর্নিমারাতে আলেকজানক� জড়িয়� ধরেই মফিজুদ্দির সাথে মৃত্যুবর� করে।
এই সক� মানুষে� পাশাপাশি এই গল্প আমাদের উত্থান পতনে� গল্প বলে। গরী� কৃষকের বংশধ�, আমরা আর আমাদের পথচলার গল্প বলে। তব� সর্বোপরি এট� আমার কাছে শুধু� ভালোবাসা�, প্রেমে�, ভালোবাসা� অলৌকিক আনন্দে� � বেদনার হেমকান্ত� সৌন্দর্যের গল্প� ব্যক্তিগ� ভাবে দুলালি� প্রে� আমাক� খু�, খু� বেশি পরিমান ছুঁয়ে গেছে� এম� সহ� সর� কিন্তু বেদনাবিধুর প্রে� কাহিনী আম� কখনো পড়ি নি�
শহীদু� জহিরের অন্যান্য লেখা� মত� এই উপন্যাসে� ভাষা� যথেষ্ট জটিল কিন্তু মাদকতাময়। পাশাপাশি তা� বেশিরভাগ লেখা� মত� এই উপন্যাসে� কথ� বা বর্ণনাকারী হচ্ছ� গ্রামে� লোকেরা, লেখক নিজে না� বহ� বচনে বর্ণনা� এই ব্যাপারট� আম� আম� উনার লেখা ছাড়� আর কোথা� পা� নি� উনার বাক্� রচনা একইসাথ� জটিল আর বড�, কিন্তু অদ্ভুত রকমে� সরলও� দুলালি, নয়নতারা আর আলেকজা� আমার স্মৃতিতে বহুকাল বিচর� করবে আজকে� মত� মুগ্ধত� নিয়ে।
অসামান্য এই উপন্যাসট� আগ্রহীরা পড়ে দেখত� পারেন।
March 1, 2017
যে রাতে মফিজুদ্দ� তা� বোবা মায়ের গর্ভ থেকে দুনিয়ায� আস� কিংব� যে রাতে আততায়ী� হামলায� মুফিজুদ্দি� মিয়� সপরিবারে নিহত হয়ে যা�, সে রাতে পূর্ণিমা ছিল। পূর্ণিমা কিংব� চাঁদ শুরু থেকে শে� পর্যন্� মফিজুদ্দিন মিয়ার জীবনকে একটা নির্দিষ্� পরিণতি� দিকে ঠেলে দেয়... যে জীবন, ব্রিটি� আম� থেকে পাকিস্তা� হয়ে একেবার� বাংলাদেশ দেখেছিল। সুহাসিনী নামক এক গ্রামে� এই শিশু কিংব� তরুণ কিংব� বৃদ্� মফিজুদ্দ� কিংব� মফিজুদ্দিন মিয়� তা� এই জীবনটারে একটা নিস্তরঙ্� জলাশয়ের মত� কর� রেখেছিলেন। অথবা হয়ত, তা� এই জীবনটা বস্তুত নিস্তরঙ্� ছি� না� হয়ত তা� এই জীবনটা ঢেউয়ে টালমাটাল নৌকা� মত� ছিল। কিংব� কে জানে, নয়নতারা নামে� এক নারী, যে কি না বোনে� মত� মায়ের মত� নাকি প্রেমিকা� মত�... সে� নারী হয়তবা মফিজুদ্দিন মিয়ার জীবনটারে বাস্তবিক অর্থেই নিস্তরঙ্� জলাশয়ের মত� কর� দিয়� যায়� যা� ফল� সুহাসিনী বা রায়গঞ্জের মানুষজ� দেখে একটা মানু� কেমন কর� তাদে� সকলে� জীবনের নিয়ন্ত্রক হয়ে যায়, হয়ত তারা দেখে না, আবার তারা দেখলেও হয়ত ঠি� বুঝত� পারে না যে কিভাবে একটা মানু� তাদে� জীবনের নিয়ন্ত্রক হয়ে যেতে পারে�
বইটায় আমরা ক্রমাগ� অতী�, দূরবর্তী অতী�, সাম্প্রতিক অতী�, প্রায় বর্তমা� বিভিন্� সময়ের ভিতর দিয়� গিয়েছি। মফিজুদ্দিনের বাবা গ্রাম্� আকাল� এব� আকালুর হাঁটুর বয়সী মফিজুদ্দির বোবা মা, কী কর� এই মফিজুদ্দির� পৃথিবীতে নিয়� আস�... সে� প্রাচী� পূর্ণিমা রাতে� কথ� আমরা জানত� পারি� এরপর ক্রম� ক্রম� আমরা আর� অনেক কিছু জানত� পাই। জানত� পারি তা� নগ্ন চন্দ্রভানে� প্রেমে পড়া� কথ�, নয়নতারা� কথ�, বর� হিমশীতল পুরুষাঙ্গে� কথ�... যে পুরুষাঙ্� কো� এক প্রকার� উত্তপ্� হয়ছিল অসংখ্য বছরে� জন্য, অনেকগুলো যু� ধর� চন্দ্রভানক� গর্ভবতী কর� গিয়েছ� ক্রমাগত।
আমাদের পরিচয় হয়েছি� জান্না� আর�, দুলালী এব� আলেকজা� এই তি� তরুণী কিংব� কিশোরী� সাথে, তাদে� দুঃখের সাথে, তাদে� অপ্রাপ্ত� কিংব� দীর্ঘশ্বাসের সাথে� তাদে� সক� প্রেমি� কিংব� ভালোবাসা� কিংব� চাওয়াপাওয়া� মানুষে� সাথে� আমাদের পরিচয় ঘটেছিল� ঘটনাক্রম� তাদে� জীবন প্রায় এক সুতোতে� গাথা হয়ে যায়, এইসবের� কিনা নিয়ন্ত্রণ� ছি� সে� অশিক্ষিত মফিজুদ্দিন মিয়া।
এতশত অতী� বর্তমা� ভবিষ্য� এর নিয়ন্ত্রক মফিজুদ্দিন মিয়� সময়ের তিরি� বছ� আগ� ভাদ্� মাসে� যে রাতে সপরিবারে মর� গেলে�, সে রাতে পূর্ণিমা ছিল।
বইটায় আমরা ক্রমাগ� অতী�, দূরবর্তী অতী�, সাম্প্রতিক অতী�, প্রায় বর্তমা� বিভিন্� সময়ের ভিতর দিয়� গিয়েছি। মফিজুদ্দিনের বাবা গ্রাম্� আকাল� এব� আকালুর হাঁটুর বয়সী মফিজুদ্দির বোবা মা, কী কর� এই মফিজুদ্দির� পৃথিবীতে নিয়� আস�... সে� প্রাচী� পূর্ণিমা রাতে� কথ� আমরা জানত� পারি� এরপর ক্রম� ক্রম� আমরা আর� অনেক কিছু জানত� পাই। জানত� পারি তা� নগ্ন চন্দ্রভানে� প্রেমে পড়া� কথ�, নয়নতারা� কথ�, বর� হিমশীতল পুরুষাঙ্গে� কথ�... যে পুরুষাঙ্� কো� এক প্রকার� উত্তপ্� হয়ছিল অসংখ্য বছরে� জন্য, অনেকগুলো যু� ধর� চন্দ্রভানক� গর্ভবতী কর� গিয়েছ� ক্রমাগত।
আমাদের পরিচয় হয়েছি� জান্না� আর�, দুলালী এব� আলেকজা� এই তি� তরুণী কিংব� কিশোরী� সাথে, তাদে� দুঃখের সাথে, তাদে� অপ্রাপ্ত� কিংব� দীর্ঘশ্বাসের সাথে� তাদে� সক� প্রেমি� কিংব� ভালোবাসা� কিংব� চাওয়াপাওয়া� মানুষে� সাথে� আমাদের পরিচয় ঘটেছিল� ঘটনাক্রম� তাদে� জীবন প্রায় এক সুতোতে� গাথা হয়ে যায়, এইসবের� কিনা নিয়ন্ত্রণ� ছি� সে� অশিক্ষিত মফিজুদ্দিন মিয়া।
এতশত অতী� বর্তমা� ভবিষ্য� এর নিয়ন্ত্রক মফিজুদ্দিন মিয়� সময়ের তিরি� বছ� আগ� ভাদ্� মাসে� যে রাতে সপরিবারে মর� গেলে�, সে রাতে পূর্ণিমা ছিল।
Read
January 23, 2022মানে সিরিয়াস, ব্যাপারট� কি হই�? আম� হা কর� পুরা বইটা রীতিমত গিলে ফেললাম এব� বুঝলাম না কী ঘট� আসলে� মাথা নষ্ট কর� পূর্ণিমা� বর্ণনা শুনে আরেকটু হল� শহুর� জীবনের এলইড� লাইটের সমুদ্রের মাঝে বসেই জ্যোৎস্নার ঘ্রা� পেয়� যাচ্ছিলা�, তা� বুঝতেসিলাম না কি হইল। পুরা সময় ধর� অপেক্ষ� করলা� যে এই 'আততায়ী'দে� ঘটনা� একটা ব্যাখ্যা অন্ত� পা�, তারপ� ঠা� কর� দেখি উপন্যাসে� শে� পেজ। এইটা কোনো কথ�! ব্যাপারট� এখানেই থামল না� লাস্� পেজে এস� দেখি যে টাইমলাইন উল্টায� পালটায� ফেললাম� পুরা বই ধর� টাইমলাইন এলোমেল� হব� করতে করতে শে� পেজে এস� সত্যিই গেল।
এই যে আমার প্রশ্নের উত্ত� সব এখ� কে দিবে? "গ্রামে� লোকেরা" আসলে কারা? এর� একটু পর পর সবকিছু কীভাবে জেনে যায়? পূর্ণিমাটা আসলে ছি� কব�? এ��ট� কি সিমপ্ল� একটা সাইন কোনো কিছু ঘটার? এই যে ঠা� কর� জমির মাঝে একটা মূ� শিশু খুঁজ� পাওয়া থেকে শুরু কর� এক কিশোরী� চিরনিদ্রাস্থান পরিবর্তন দিয়� ঘটনা� ইত� হই�, এর মানে কী?
কথাট� বল� বেশি আস্পর্ধা হয়ে যাইতেস� নাকি বুঝতেস� না, মাঝে মাঝে হঠাৎ হঠাৎ মন� হই� যে 'One Hundred Years of Solitude' পড়া� ফি� পাইতেসি। এই ফি� কি এইজন্যেই আসতেসে যে দুইটার একটা� আম� বুঝত� পারি না�? নাকি অন্য কোনো কারণ?
মানে নিঃসঙ্গতার এক� বছরে� মত� কি মন� হয� না� যে নিরী� দুটা মানু� থেকে শুরু কর� আস্ত� আস্ত� করাপশনের দিকে ঘটনা আগায� গিয়� একটা প্রচন্� রকমে� ঘোরলাগ� নিঃসঙ্গত� দিয়� ব্যাপারট� শে� হই�?
জানি না বাপু� সব� ভ্রম� সকাল� সুহা� উঠলে জিগে� কর� খন�
- সে রাতে পূর্ণিমা ছি�
3.39AM
এই যে আমার প্রশ্নের উত্ত� সব এখ� কে দিবে? "গ্রামে� লোকেরা" আসলে কারা? এর� একটু পর পর সবকিছু কীভাবে জেনে যায়? পূর্ণিমাটা আসলে ছি� কব�? এ��ট� কি সিমপ্ল� একটা সাইন কোনো কিছু ঘটার? এই যে ঠা� কর� জমির মাঝে একটা মূ� শিশু খুঁজ� পাওয়া থেকে শুরু কর� এক কিশোরী� চিরনিদ্রাস্থান পরিবর্তন দিয়� ঘটনা� ইত� হই�, এর মানে কী?
কথাট� বল� বেশি আস্পর্ধা হয়ে যাইতেস� নাকি বুঝতেস� না, মাঝে মাঝে হঠাৎ হঠাৎ মন� হই� যে 'One Hundred Years of Solitude' পড়া� ফি� পাইতেসি। এই ফি� কি এইজন্যেই আসতেসে যে দুইটার একটা� আম� বুঝত� পারি না�? নাকি অন্য কোনো কারণ?
মানে নিঃসঙ্গতার এক� বছরে� মত� কি মন� হয� না� যে নিরী� দুটা মানু� থেকে শুরু কর� আস্ত� আস্ত� করাপশনের দিকে ঘটনা আগায� গিয়� একটা প্রচন্� রকমে� ঘোরলাগ� নিঃসঙ্গত� দিয়� ব্যাপারট� শে� হই�?
জানি না বাপু� সব� ভ্রম� সকাল� সুহা� উঠলে জিগে� কর� খন�
- সে রাতে পূর্ণিমা ছি�
3.39AM
August 25, 2022
কেবলমাত্� শহিদুল জহিরের জীবন � রাজনৈতিক বাস্তবতা শে� করেছ�, তখনও ঘোড় কাটেনি� খুঁজছিলা� লেখকের আর কো� বই পড়া যায়� এটাই সামন� আসে। Lockdown � বাড়িত� ছিলা�, বই কেনা� সুযো� হয়ন�, পিডিএফ পড়া হয়েছে তাই।
লেখকের সার্থকতা এখানেই যে তা� উপস্থাপন� তাকে অদৃশ্য কর� দিয়েছে।
এক মুহূর্তে� জন্য মন� হয়ন� কারো লিখা গল্প� পড়ছ�, মন� হচ্ছিল একটা লম্ব� রাস্তা ধর� হাঁটছি, হাঁটতে হাঁটতে রাস্তা� দুইপাশ� একটা� পর একটা ঘটনা অবলোকন করছি�
খু� বেশি বই পড়া হয়ন�, কিন্তু যতগুলো পড়েছি, এট� সেগুলো� মধ্য� ভালো লাগা� তালিকায় প্রথমদিকেই থাকবে।
কিছু অদ্ভুত ঘটনা, কিছু অতিবাস্ত� ঘটনা, জীবনের উত্থান-পত�-পরিবর্তন, ভালোবাসা-প্রে�-বেদন�, এত সুনিপুণভাব� জুড়� দেওয়া হয়েছে যে লেখককে চ্যাপ্টা�/সেকশ� নামক বিরত� নিতে হয়নি।
Recommended.
লেখকের সার্থকতা এখানেই যে তা� উপস্থাপন� তাকে অদৃশ্য কর� দিয়েছে।
এক মুহূর্তে� জন্য মন� হয়ন� কারো লিখা গল্প� পড়ছ�, মন� হচ্ছিল একটা লম্ব� রাস্তা ধর� হাঁটছি, হাঁটতে হাঁটতে রাস্তা� দুইপাশ� একটা� পর একটা ঘটনা অবলোকন করছি�
খু� বেশি বই পড়া হয়ন�, কিন্তু যতগুলো পড়েছি, এট� সেগুলো� মধ্য� ভালো লাগা� তালিকায় প্রথমদিকেই থাকবে।
কিছু অদ্ভুত ঘটনা, কিছু অতিবাস্ত� ঘটনা, জীবনের উত্থান-পত�-পরিবর্তন, ভালোবাসা-প্রে�-বেদন�, এত সুনিপুণভাব� জুড়� দেওয়া হয়েছে যে লেখককে চ্যাপ্টা�/সেকশ� নামক বিরত� নিতে হয়নি।
Recommended.
August 23, 2019
মফিজুদ্দীনে� পরিবারের আততায়ী কারা ছি�?! কেনই বা তাকে সপরিবারে এভাব� হত্য� কর�? খা� বাড়ির লোকজ� ছাড়� আর কারো কথ� মন� হচ্ছ� না কিন্� সে তো ছাড়� পেয়� গে�!
লেখনী� জন্য� বইটা পড়ত� বেশি ভালো লেগেছে� এই গল্পটা� এভাব� না লিখে মফিজুদ্দীনে� জন্ম থেকে শুরু কর� ধারাবাহিকভাব� লিখে গেলে এত ইন্টারেস্টিং লাগত না� তব� কাহিনী� বে� জটিল�
লেখনী� জন্য� বইটা পড়ত� বেশি ভালো লেগেছে� এই গল্পটা� এভাব� না লিখে মফিজুদ্দীনে� জন্ম থেকে শুরু কর� ধারাবাহিকভাব� লিখে গেলে এত ইন্টারেস্টিং লাগত না� তব� কাহিনী� বে� জটিল�
Displaying 1 - 30 of 65 reviews
Can't find what you're looking for?
Get help and learn more about the design.