ভবিষ্যতে� কো� এক সময়�, মানবজাতি দু� ভাগে বিভক্ত� এক ভাগে টেলিপ্যাথি আর মাইন্ড কন্ট্রোল এর ক্ষমতা সম্পন্� মেন্টালিস্� আর আরেক ভাগে সাধারণ মানুষে� দল� যে দল সবচাইত� বেশি শক্তিশালী প্রকৃতিত� তারা� টিকে থাকব�, বাকিরা বিলুপ্� হয়ে যাবে� বিজ্ঞা� পরিষ� প্রধান ফিহা একাই লড়ে চলেছেন মানুষে� পক্ষ�, মানু� যাতে টিকে থাকে সে� ব্যবস্থা করতে হব� তার। কিন্তু মেন্টালিস্টর� কি তাকে সে� কাজে সফ� হত� দেবে?
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমে�; 13 November 1948 � 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters � Nova, Sheela, Bipasha and one son � Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons � Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
হুমায়ূন স্যারে� সায়েন্স ফিকশ� উপন্যাসগুল� পড়ত� ভালো লাগে কারণ তিনি পদার্থ আর গণিতের বিষয়গুল� এত সহ� কর� বুঝিয়� দে� যে মাঝে-মাঝে মন� হয� স্যা� বেঁচ� থাকাকালী� উনাক� দিয়� সরকা� যদ� পর্দাথ আর গণিতের বইগুলো স্কুলগামী ছাত্রদের জন্য লিখিয়� নিতে� তাহল� এই দুইট� বিষয়ে� প্রত� আর ভয� কা� কর� না� তা তো আর হবার নয়।
ধরুন ৩৫০০ খ্রিস্টাব্দে� এক কাল্পনিক পৃথিবী যেখানে মেন্টালিস্� নামে� এক মনুষ্য প্রজাত� সাধারণ মানুষে� সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে� কেমন লাগব�? এখ� মন� হচ্ছ� না রাগে শরী� কেঁপ� উঠছে? মন� হচ্ছ� এখনই ওদের ধ্বং� কর� দে�? কিন্তু এই আলাদ� ধরনে� মনুষ্য প্রজাত� তো আর এক� এক� সৃষ্টি হব� না� কারণ প্রকৃত� এম� ধরনে� মানু� কখনই জন্মান� সমর্থন করবে না� কিন্তু যদ� কো� বিজ্ঞানী এম� কা� কর� বস� তাইল� কেমন হব�?
জী, হুমায়ূন আহমে� তাঁর ' ফিহা সমীকর� ' বইয়� ৩৫০০ খ্রিস্টাব্দে� এম� এক কাল্পনিক শহ� আর মনুষ্য প্রজাত� নিয়� সায়েন্স ফিকশ� ভিত্তি� গল্প ফেঁদেছেন যেখানে মেন্টালিস্� নামে� মনুষ্য প্রজাত� সাধারণ মানুষে� উপ� ছড়ি ঘুরায়� নি� মেক্সিকো শহরে ৩০০৫ খ্রিস্টাব্দে এমব্রায়োলজিস্টদ ের এক সম্মেলনে এংগে� হার্স্� নামে� এক বিজ্ঞানী তা� বৈজ্ঞানি� নিবন্ধ� ঘোষণ� দে� তিনি এম� এক মনুষ্য প্রজাত� ল্যাবরেটরিতে তৈরি করছে� যাদে� জিনে তিনি ' ইরিকার্ব� ফসফি�' ঢুকিয়� দিয়েছেন যেটা রোবটের চোখে� আলোর সংবেদনশী� অং� তৈরিতে কাজে লাগে� এত� কর� মানব সম্প্রদায় নাকি প্রচন্� মানসিক ক্ষমতা� অধিকারী হবে। অন্য মানুষদের তাদে� চিন্তায়, কর্ম� প্রভাব ফেলত� পাড়বে�
সম্মেলনে সবাই হার্স্টক� পাগল বল� বিদ্রু� করলে� ততদিনে তিনি ২১ টি শিশু� জিনে ইরিডিয়া� ঢুকিয়� দিয়েছেন� হার্স্� এর এই কাজে� জন্য ফাঁস� দেওয়া হলেও তাঁর তৈরি কর� নতুন মানুষদের মধ্য� � জন বেঁচ� রই� যারা নিজেদে� মধ্য� বিয়� কর� সন্তানাদির জন্ম দিল। এরাই মেন্টালিস্� হিসেবে পরিচিত পেয়� পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়� গেল। এদের বাসস্থান আলাদ� জায়গায়� মাটি� নিচে� যেখানে সাধারণ মানুষে� প্রবেশাধিকার নেই। অন্যদিকে ৫০ বছ� বয়সী বিখ্যা� তাত্ত্বি� পর্দাথবি� মহামতি ফিহা, যিনি ছোটবেলায� মেন্টালিস্� পরিবার� বড� হলেও ১২ বছ� বয়স� তাদে� ছেড়� চল� আসেন� তিনি সময় সমীকর� নিয়� গবেষণা� কাজে সবসময় রত থাকে� কারণ তিনি মেন্টালিস্টদের কা�- কর্ম� খু� বিরক্ত আর তা� তিনি অতীতে ফিরে গিয়� সে� মেন্টালিস্� তৈরি� প্রক্রিয়াটি ভেঙে দিতে চান। মেন্টালিস্টর� মানুষে� মস্তিষ্কের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও ফিহা� মস্তিষ্কের কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পাড়� না কারণ ফিহা� পালক পিতা- মাতা তা� মস্তিষ্ক সর্বদা পাহারা দিত।
ঘটনা� পরিপ্রেক্ষিত� ফিহা� জীবন� নুহা� নামে� এক তরুণী আস� যাকে তিনি বিয়� করতে চান। ফিহা� বিশা� বাসায় থাকে তিনট� রোবট� যাদে� কা� ফিহাকে সঙ্গ দেয়�, রান্না কর� দেয়� আর বাড়� পাহারা দেওয়া� ফিহা মেন্টালিস্টদের দেখত� না পাড়লে� মারল� লি নামে� একজন মেন্টালিস্� এর সাথে সখ্য ছিল। মারল� লিয়ের থেকে তাদে� জীবন- যাপন সর্ম্পকে বই পড়ে ফিহা দূর্যোগপূর্ণ রাতে সময় সমীকরণে� কা� নিয়� খু� অস্থির হয়ে উঠেন� তিনি যখ� খব� পা� তা� পালক পিতা- মাতা মৃত্যু শয্যায� তখ� তিনি তাদে� দেখত� মেন্টালিস্টদের জন্য সংরক্ষিত এলাকায� গেলে তাদে� থেকে ফিহা এক ভয়ংকর সত্যের মুখোমুখি হন� যা তা� জীবন� বয়ে আন� এক মর্মান্তিক দূর্ঘটনা�
গতবছরে পড়া বইয়ের সংখ্যা মাত্� চল্লিশ� পেরোতে না পারলেও বছরে� শেষে এস� বড� পাওয়া ছিলো সাইন্স ফিকশ� জনরা� বইয়ের প্রত� আগ্র� বো� করা। ফলশ্রুতিতে � বছরে� শুরুতে প্রথ� পড়ে শে� কর� বইয়ের না� ফিহা সমীকরণ।
ভবিষ্যতে� কোনো এক সময়� পৃথিবী� মানু� দুইভাগ� বিভক্ত- সাধারণ মানু� আর এই সাধারণ মানুষে� মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণকারী শক্তিশালী মেন্টালিস্ট। বেশিরভাগ সাধারণ মানু� এই মেন্টালিস্টদের প্রচন্� ঘৃণা কর� কেনন� মেন্টালিস্টর� ওদের মস্তিষ্ককে সর্বক্ষণ নিয়ন্ত্রণ কর� চলছে� এক কথায� বলতে গেলে সাধারণ মানু� ওদের হাতে� পুতুল। তব� ওদের বয়স ত্রি� পেরোলে� কিছু শারীরি� দুর্বলতা দেখা দেয়, কাজে� অস্তিস্ত্বের ঝুঁক� রয়েছে বৈকি, আবার ওদিক� মেন্টালিস্টদের কড়া আইনে� কারণ� ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষে� সংখ্যা� কম� আসছে� যা� ফল� অত্যধি� চিন্তায় থাকে� সর্বকালে� সেরা থিওরেটিকাল ফিজিসিস্� মহামতি ফিহা� টাইম ইকুয়েশন নিয়� কা� করছে� তিনি� যা� সমাধান পেলে সময়ের একমুখীতা উব� যাবে এক নিমেষে! ফিহা একাত্ন হয়ে ইকুয়েশন সমাধানের চেষ্টায় নিমগ্ন হন যে� কে� ভারী কন্ঠ� তা� কানেকানে বল� যাচ্ছে-
"Do not go gentle into that good night, Old age should burn and rave at close of day"
বিশ্বসাহিত্য� বিজ্ঞা� কল্পকাহিনী� চর্চ� বে� পুরন� হলেও বাংল� সাহিত্যে এই ধারাটা জনপ্রিয়তা পেয়েছ� অনেক পরে। বাংল� সাহিত্যে জগদীশচন্দ্� বসুক� বিজ্ঞা� কল্পকাহিনী� জন� বল� হয়। স্বাধীনত� পরবর্তী সময়� বাংলাদেশ� যিনি বিজ্ঞা� কল্পকাহিনীকে জনপ্রিয় কর� তোলে�, তিনি হুমায়ূন আহমেদ। 'তোমাদে� জন্য ভালোবাসা' বইটি� মাধ্যম� তিনি স্বাধী� বাংলাদেশ� বিজ্ঞা� কল্পকাহিনী� সূচন� করেন� তারই ধারাবাহিকতায� 'ফিহা সমীকর�' প্রকাশ পায়; যা পাঠকের মন জয� কর� নেয়�
'ফিহা সমীকর�' ভবিষ্যতে� গল্প� পৃথিবীতে তখ� দু� ধরনে� মানু� বসবা� করে। স্বাভাবি� বুদ্ধিসম্পন্� এব� মেন্টালিস্� অর্থাৎ উচ্চ মানসিক দক্ষতাসম্পন্� মানুষদের নিয়েই ভবিষ্যতে� পৃথিবী� এ্যাংগেল হার্স্� নামক এক বিজ্ঞানী সাধারণ মানুষে� শরীরে 'ইরিকার্ব� ফসফি�' ঢুকিয়� জিনগ� পরিবর্তনের মাধ্যম� মেন্টালিস্টদের সৃষ্টি করে। মেন্টালিস্টর� খু� সহজে� মানুষে� চিন্তাভাবন� জানত� পারে এব� নিয়ন্ত্রণ করতে পারে� তব� মেন্টালিস্টদের মধ্য� প্রতিভাবান মানু� নে�; সক� শিল্পী, সাহিত্যি�, বুদ্ধিজীবী সবাই� সাধারণ মানুষে� শ্রেণিতে বেঁচ� আছে। তা� মেন্টালিস্টর� চায় সক� মানুষক� তাদে� কাতারে নিয়� যেতে� কো� প্রক্রিয়ায় কাজট� করবে মেন্টালিস্টর�?
বিজ্ঞা� পরিষদে� প্রধান ফিহা একজন তাত্ত্বি� পদার্থবিদ। সে মেন্টালিস্� পরিবার� বড� হলেও স্বাভাবি� একজন মানুষ। তব� মেন্টালিস্টর� তা� চিন্তাভাবন� জানত� পারেনা; কারণ তা� বাবা-মা তা� মস্তিষ্কের নিরাপত্ত� প্রদান কর� আসছে� মানুষে� মধ্য� বে� জনপ্রিয় তা� কোনো জায়গাতে গেলে� মানুষে� নজ� কেড়� নেয়� একদি� কফ� শপ� পরিচয় হয� নুহা� নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তরুণী� সাথে� নুহাশে� কাছে অতিপ্রাকৃত গল্পের বই দেখে ফিহা অবাক হয� এই ভেবে যে, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কীভাবে এম� আজগুবি বিষয়ে� বই পড়ে! কিছুদি� যাওয়া� পর নুহাশক� বিয়� করতে চায় ফিহা� এদিক� মেন্টালিস্টদের হী� প্রচেষ্টাক� বানচাল করার জন্য ফিহা উদ্যোগ নেয়� সময় পরিভ্রমণের মাধ্যম� অতীতে গিয়� এ্যাংগেল হার্স্টে� মেন্টালিস্� তৈরি� চেষ্টাকে বন্ধ করতে চায়� সে� সময় পরিভ্রমণের জন্য কিছু সমীকরণে� উত্ত� পাওয়া জরুরি। এদিক� ফিহা দীর্ঘদিন পর তা� পালক পিতা-মাতা� থেকে এম� এক তথ্য জানত� পারে, যা তা� সময় পরিভ্রমণ� বাঁধার সৃষ্টি করে। ফিহা কি পারব� অতীতে যেতে? নাকি সক� মানু� মেন্টালিস্টে রূপান্তরিত হব�?
বইটা অনেক ছোট। তব� কথায� আছ� 'ছো� মরিচের ঝা� বেশি'� এই বইয়ের বেলাতে� তাই। এত স্বল্প পরিসরে দারু� এক গল্প লিখেছে� হুমায়ূন আহমেদ। বইটিতে বিজ্ঞানে� কিছু বিষয� আছ� যা সকলে� জন্য� বোধগম্� হবে। বইটিতে বিজ্ঞা� কল্পকাহিনী� বাইরেও মানবিক বিষয� ফুটে উঠেছে। গল্পের প্রধান চরিত্রের মাধ্যম� আমরা দেখত� পা�, কীভাবে সে মানবজাতিকে টিকিয়� রাখা� চেষ্টা কর� যাচ্ছে! আবার এটাও বুঝত� পারি যে, প্রযুক্তির নেতিবাচক দি� আমাদের সমাজকে কীভাবে ধ্বংসে� দ্বারপ্রান্ত� নিয়� যায়�
এক বসায� পড়া� মত� বই� যারা বিজ্ঞা� কল্পকাহিনী কখনো পড়ে� নি; তাদে� জন্য দারু� সূচন� হত� পারে� আর যারা আগ� পড়েছে� অন্য কোনো কল্পকাহিনী, তাদে� জন্যেও সুখপাঠ্য হব� বল� আশ� করি। হ্যাপি রিডিং।
কি দূর্দান্� এক বই লিখে গেছে� তিনি� আফসো� হয� তিনি কে� আর� সা� ফা� লিখলেন না� এই যে সায়েন্সের সাথে মানুষে� বিশুদ্� অনুভূতির এই নিদারু� মিশে�, এট� কি তা� মত� কে� কখনো করতে পেরেছিলো, না কে� পারব�?
হুমায়ুন আহমে� আর জাফর ইকবা�, দুইভাইয়ের কে� কি জানে�, তারা নরমালি যা লিখে� তা� চেয়� শক্তিশালী লেখক তারা আর� অন্য কো� জনরা� হত� পারতেন? এই যেমন, হিমু, মিসি� আলী� জন্য হুমায়ুন আহমে� পরিচিত, কিন্তু তিনি ফিহা সমীকর� এর মত একটা দারু� সাইন্স ফিকশ� লিখে গেছেন। আবার মুজা� প্রে�, দানবের মত অতিপ্রাকৃত উপন্যা� রেখে যাবেন।
আর এই বইয়ের শেষট� এত দারু�! প্রত� পাতায় হুমায়ূন এর ডিসটিংক্� ভাষা এই বইটাকে একটা অন্য মাত্রা দিয়েছে। কেমন একটা উদাস বিষাদী সুর। আর লাস্� সমাপ্তিট� পুরো মন ছোয়াঁ�
চমৎকার একটি বই দিয়েই ২০২৪ এর পড়া শুরু হল�! হুমায়ুন আহমে� এর সা�-ফা� গুলো প্রতিটাই আমাক� অবাক করে। এত অসাধার� ইউনি� প্লট� প্রতিট� গল্প� পড়া� সময় এব� শে� দিকে আসার সময় মন� হয�, আর� এটাত� পাঁচ তারা বই, তখনই হু� কর� গল্প শে� হয়ে যায়� 'সাইন্স ফিকশ� সমগ্�' থেকে পড়ি সবগুলো তা� আগ� থেকে বুঝি� না কত পৃষ্ঠা বাকি আছে। মন্ত্রমুগ্ধে� মত পৃষ্ঠা উল্টাত� উল্টাত� হঠাৎ দেখি আর� এটাত� শে� পৃষ্ঠা� আমার মন� হয� হুমায়ুন আহমে� চমতকার প্লট সাজা� ঠিকই কিন্তু গল্পটা� ফিনিশি� নিয়� আগ� চিন্তা করেন না� শেষে অসমাপ্� একটা এন্ডিং থেকে যায় আর এক সময় তো পাঠক এই ধরনে� এন্ডিং এক্সেপ্ট করেই ফেলে তারপ� আর উন� মাথা� ঘামালে� না গল্পের এন্ডিং নিয়ে। এই গল্পটা আর� ২০� পৃষ্ঠা থাকলেও আম� হা কর� পড়ে যেতাম। এন্ডিং হুমায়ুন আহমে� টাইপ বল� � তারা কম�
ফিহা সমীকর� পড়ছিলাম ছোটবেলায়। আজকে কি মন� কর� আবার পড়লাম�
বইয়ের যে কলেব�, তাতে এই বইকে উপন্যা� না বল� উপন্যাসিকা� বল� ভালো� বিজ্ঞা� কল্পকাহিনী আম� যতটুকু পড়েছি(খুবই সামান্�), তাতে আমার ধারণ� হুমায়ূন আহমেদে� এই উপন্যাসিকা একটা বিশ্বমানের বিজ্ঞা� কল্পকাহিনী হয়েছে�
একটা অসাধার� বিজ্ঞা� কল্পকাহিনীতে নিছক গল্পের বাইরেও থাকে ধারণার অভিনবত্ব� যেহেতু আমার সায়েন্স ফিকশান� পড়াশোনা খু� বেশি নয�, সময় সম্পর্কি� হুমায়ূন আহমেদে� এই ধারণ� আসলে� অভিন� কিনা সেটা এই মুহূর্তে আমার জানা� উপায� নেই। তব� হুমায়ূন আহমেদে� এই বইতে ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক একটা ভা� প্রবল। জগ� রহস্যময়� বিজ্ঞা� জগতক� ব্যাখ্যা করার চেষ্টা কর�,তা� বিজ্ঞানও রহস্যময়� জগতে� বা বিজ্ঞানে� এই রহস্যময় আধ্যাত্মিকতা তা� মাঝে মাঝে বিজ্ঞা� কল্পকাহিনী� লেখকদে� উপ� ভর কর�, ফিলি� কে ডি� বা স্টানিশ্� লেমে� বেলায় যেমনটি হয়েছে� হুমায়ূন আহমেদে� এই বইয়ের বেলাতে� সেরক� হয়েছে�
বইয়ের দুর্বলতা হল� হুমায়ূন তা� প্লট� একটি টাইম প্যারাডক্স তৈরি করেছেন, সেটা� সমাধান দিয়� যা� নাই। সে� বিচারে হয়ত� বইটা বিশুদ্� বিজ্ঞা� কল্পকাহিনী� মধ্য� না পড়ে ফ্যান্টাসি� কাতারে পড়বে।
কল্পনা� আধিক্য এব� বস্তুনিষ্ঠতা� স্বল্পতা� কারণ� হালফিল রচিত অধিকাং� বিজ্ঞা� কল্পকাহিনি পাতে তোলা� মত� নয়। সংখ্যায় বেশি না হলেও এই ঘরানায� হুমায়ূন আহমেদে� দারু� কিছু কা� আছে। যা� অন্যতম একটি ‘ফিহ� সমীকরণ’। এটাক� বাংল� ভাষায় লেখা বিশ্বমানের সায়েন্স ফিকশ� বললে বোধহয় অত্যুক্ত� হব� না�
যারা ফু� ছড়িয়� এগিয়ে যায় তাদে� চেনারও তেমন প্রয়োজন নেই।
হুমায়ূন আহমদ আমার প্রিয় লেখক� উনার অনেকগুলো বই পড়া থাকা স্বত্বেও সাইন্স ফিকশ� পড়া হয়নি। "ফিহা সমীকর� " আমার পঠিত প্রথ� সাইন্স ফিকশন। এর আগ� মুজাইয়ে� অনেক গুলো পড়েছি� তা� মধ্য� সবচে প্রিয় "টুকুনজিল"� আম� তো বিজ্ঞানে� ছাত্� নই,বিজ্ঞানে আমার দখ� � কম! তা� সাইন্স ফিকশ� পড়ত� গেলে বিজ্ঞানে� খুঁটিনাট� বুঝত� অসুবিধ� হয� বট�,তব� মোদ্দা গল্পটা বে� উপভো� করি।
অন্য সাইন্স ফিকশনে� তুলনায� হুমায়ূনের "ফিহা সমীকর�" বে� আলাদ� লেগেছে আমার� বিজ্ঞানে� খচখচানিট� কম� আর আমার মন� হয়েছে গল্পটা সাইন্স ফিকশ� হলেও লেখক মূলত করতে চেয়েছেন মানবতা� জয়গান� দারু� লেগেছে� মহামতি ফিহা শুধু মানু� জাতিকে বাঁচাবেন বল�,নিজেকে বল� দিলেন। অন্যদিকে ভিলে� হিসেবে মেন্টালিস্টরাও বে� অদ্ভুত� শুরুটা জটিল মন� হলেও কী স্বাভাবি� ভাবে লেখক সমাপ্ত� টেনেছে�,এট� দেখে অবাক লাগল� মানু� যত� যা বলুক,হুমায়ূন বরাব� আমাক� মোহি� করছি�,করছে,ভবিষ্যতে � হয়ত করবে� আম� � চা� আমার মনের অবস্থা কখনো এম� জটিল না হো�,যাতে হুমায়ূন পড়ত� মন বিরূ� হয�!
হুমায়ূন আহমে� ছিলে� বহুমাত্রিক প্রতিভা। সে মাত্রা এত� বেশি ছি� যে সবদিকে� দেখত� গিয়� কিছু কিছু দি� কম রয়ে গিয়েছ� যেন। নতুব� সায়েন্স ফিকশ� জনরাটাকে অন্য উচ্চতায় নিয়� যেতে পারতেন এই ভদ্রলো�! কী সামান্� কলেব� অথ� কতকিছু� না দেখিয়েছেন এর মাঝে! ছো� থাকত� পড়েছিলা�, রিভিশন দিলা�, অসাধারণই লাগল�!
� এক আশ্চর্� সুন্দর গল্প� এর শুরুটা বহুলাংশে ছকবন্দি� সামাজি� রীতিনীতি� সঙ্গ� সম্পর্� না-রাখা এক প্রতিভাধ� অদ্ভুত এক জীবন যাপন কর� চলেছেন� তারপ� এল অন্য এক চরিত্র� এল নতুন কিছু� সম্ভাবনা� তারপরে� উন্মোচিত হল এক অদ্ভুত সত্য� ছোট্� লেখা, কিন্তু চক্রাকার কা� � ভবিতব্� নিয়� সাহিত্যে ভাবনায� এর প্রভাব বড়ো� গভী� হয়েছে� সুযো� পেলে অবশ্যই পড়ুন।
অল্প শব্দ�, স্বল্প বাক্যে, বাহুল্� বর্জ� কর� যে একটি চমৎকার বিজ্ঞা� কল্পকাহিনী লেখা যায়, যেখানে পর্যাপ্ত বিজ্ঞা� � কল্পনা উপস্থি�, এম� উদাহরণ বোধহয় বাংল� সাহিত্� কে� বিশ্বসাহিত্যেও খু� বেশি নেই। এক� সাথে সময় এব� মানব সভ্যতা� এক নিদারু� ভবিষ্যতে� উপাখ্যান রচিত হয়েছে এই গল্পে।
ঘৃণা� চাদর� ঢাকা মহান বিজ্ঞানী� অন্তরক� এভাব� এক সাধারণ তরুণী� তর� মাথা নোয়াত� দেখাতে আর কে পারে� হুমায়ুন আহমে� ছাড়�? জলাঞ্জলি যা� বর্ণাঢ্য জীবন, ধ্বং� হো� অন্যায� সভ্যতা�
'ফিহা সমীকর�' কে কি আমরা একটি ডিস্টোপিয়ান বই হিসেবে চিনত� পারি? বোধহয় পারি� অবশ্�... যারা ফু� ছড়িয়� এগিয়ে যায় তাদে� চেনারও তেমন প্রয়োজন নেই।
🔹 কো� এক অজান� ভবিষ্যৎ। যখ� মানব সভ্যতা উন্নতি� সর্বোচ্চ শেখর� আরোপিত� পৃথিবী সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর। সে� সময় মানবসভ্যতা বিভাজি� দুটি জাতিগোষ্ঠীতে� আস� মানু� � জিনে ইরিডিয়া� পরমাণু সংযুক্� 'মেন্টালিস্�'� মেন্টালিস্টর� মানুষে� সক� কাজকর্� নিয়ন্ত্রণ কর� তাদে� বিশে� এক ক্ষমতা� মাধ্যমে। তাদে� উদ্দেশ্য সমগ্� মানবগোষ্ঠীকে মেন্টালিস্� জাতিতে রুপান্তরিত করা। এজন্� তারা ব্যবহা� কর� তাত্ত্বি� পদার্থবি� মহামতি ফিহাকে� ফিহা� নিজে� অজান্ত� মেন্টালিস্টদের চক্রান্ত� মূলহোত� হয়ে ওঠেন� শে� অবধি কি মেন্টালিস্টদের চক্রান্ত নস্যাৎ হব� নাকি সব মানু� পরিণ� হব� মেন্টালিস্টে?
🔹অনেক দি�� পর হুমায়ূন আহমেদে� একটি বই পড়লাম সম্পূর্ণ তৃপ্তি� সাথে� এট� পড়ে সবসময়ের সে� 'সময় নষ্ট' অনুভূতিট� জাগে নি� বর� মন ছেঁয়ে গেছে ভালো লাগা অনুভূতিতে। সব জায়গায় লেখকের অযাচিত � অযৌক্তিক উক্ত� দেখে বিরক্ত বো� করি। কিন্তু এই বইয়ের কিছু মন্তব্� দারু� বাস্তবিক ছিলো� যেমন -
"লাজু� মানুষে� আত্মবিশ্বা� কম থাকে�"
"পৃথিবী� সর্বশ্রেষ্� উপহা� হল� ভালোবাসা�"
🔹 সায়েন্স ফিকশ� আমার অন্যতম পছন্দে� জনরা� যদ� সেটা একটু ইমোশনা� ড্রামাটি� হয� তাহল� তো লা-জাওয়া�! এজন্যই বইটি অত্যাধিক ভালো লেগেছে� ফিহা� পর 'পাঠক' চরিত্রটি� দারু� ছিলো (রোবটকে কি চরিত্র হিসেবে সাব্যস্ত কর� যায়?)� এছাড়া� গল্পটিতে নুহাশেরও গুরুত্� রয়েছে� ঠান্ডা মাথা� ভিলে� হিসেবে মারল� লি � অসাধার� ছিলো�
🔹 হুমায়ূন আহমেদে� 'তোমাদে� জন্য ভালোবাসা' উপন্যাসে� ফিহা ছিলেন। সেখানে� তাকে আত্মত্যা� করতে দেখা যায়� 'ফিহা সমীকর�'� এই ধারা� অভিন্ন� ওই উপন্যাসে� এন্ডিং এর মত� এটার এন্ডিং� অসাধারণ।
"রাস্তা� মানু� অবাক হয়ে দেখছ� ফু� বিছিয়� বিছিয়� একজন মানু� এগিয়ে যাচ্ছে� সে পা ফেলছ� এলোমেল� ভঙ্গিতে। অন্ধকারে মানুষটিক� চেনা যাচ্ছে না� যারা ফু� ছড়িয়� এগিয়ে যায় তাদে� চেনারও তেমন প্রয়োজন নেই।"
আহ�! Shree 420 মুভি� 'Pyar hua iqrar hua' গানট� মাথায় ঘুরঘুর করছিলো� 'আমার পড়া হুমায়ূন আহমে�' � 'ফিহা সমীকর�' ছিলো এক দারু� এক শোভাবর্ধন।
এট� এম� একটা পরিস্থিতির গল্প যেখানে মানু� জাতি� ভিতর� দুটো স্তর তৈরি হয়েছে! এক স্তর� সাধারণ মানু� এব� অন্য স্তর� মেন্টালিস্ট। যারা মানুষে� ইচ্ছাশক্তি এব� আবেগকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে� মেন্টালিস্টদের উদ্দেশ্য পৃথিবী� সব মানুষদের আস্ত� আস্ত� মেন্টালিস্� বানিয়� ফেলবে।
সাধারণ মানুষদের পক্ষ� মহামতি ফিহা কা� কর� চলেছেন এক জটিল সমীকর� নিয়ে। এই সমীকর� দ্বারা কি সাধারণ মানুষদের রক্ষ� কর� সম্ভ�?
শেষে� ফুলে� বিষয়ট� বুঝত� পারিনি প্রথমে, বোঝা� পর বইটি অনেক ভালো লাগলো। কিন্তু আমার বেচারি নুহাশে� জন্য খারা� লাগছে। আর আম� শুধু এটাই ভাবছ� ফিহা কি নুহাশে� কাছে যেতে পেরে তাকে বিদায় জানাতে পেরেছে কিনা�
" দিনে� প্রথ� আলোয� তোমাকে দেখত� চেয়েছিলাম তুমি এল� না� মধ্যাহ্নের তীব্� আলোয� তোমাকে কেমন দেখায় জানা হল না, কারণ তুমি মধ্যাহ্ন� এল� না� সূর্যে� শে� রশ্ম� কি তোমা� রঙ বদলে দেয়? আম� জানি না, কারণ তুমি এল� রাতে� অন্ধকারে� প্রিয়তম, আম� শুধু তোমাকে দেখত� চেয়েছিলাম� অন্ধকারে কি কর� দেখব?
আম� অনেক বছ� আগ� পড়েছিলাম। গল্পতা খেয়াল ছিলনা। তা� আজকে আবার পড়লাম� দারু� একটা বই বা� ব্যাপকতা বাড়ান� উচিৎ ছিলো বল� আমার বিশ্বা�! তা� খারা� না গল্প টা� সা�-ফা� হিসেবে দারু� একখানা বই!!
ফিহা সমীকর� হুমায়ূন আহমেদে� লেখা গুটিকয়ে� সাইন্স ফিকশনে� মাঝে একটি� এট� ফিকশন। ফ্যান্টাসি নয়। লেখক নিজে� ভূমিকাতে সেকথ� বলেছেন� অর্থাৎ কাহিনীতে ব্যবহৃ� লজিকগুলো বাস্তবজগতে বিদ্যমান� কল্পনা� কিছু না�
ছোট্� বইটি ফিহা নামে� পঞ্চাশোর্ধ এক পদার্থবিদক� নিয়�, যিনি কিনা বিজ্ঞা� একাডেমির প্রধান� ভিভিআইপি এই ব্যক্ত� চতুর্মাত্রিক সময় সমীকর� সমাধানের একদম দ্বারপ্রান্ত� পৌঁছ� গেছেন। যে সমীকর� দিয়� অতীতে টাইম ট্রাভে� কর� সম্ভব। বিশা� এক বাড়িত� তিনট� রোবট নিয়� নিঃসঙ্� জীবনযাপন করেন প্রচন্� ইন্ট্রোভার্ট মহামান্য ফিহা�
ভবিষ্যতে� কথা। ঠি� কত সময় পর� তা লেখক এড়িয়� গেছেন। সম্ভবত পাঁচ হাজা� সা� পরবর্ত�� হবে। তখ� মানবজাতি দুভাগে বিভক্ত� সাধারণ মানু� � প্রচন্� টেলিপ্যাথি� ক্ষমতাসম্পন্� মেন্টালিস্ট। এই মানু� বনাম মেন্টালিস্� দ্বন্দ্ব � দিনশেষ� তাদে� জয� পরাজয় নিয়েই বইয়ের কাহিনী এগিয়েছে� যাতে মূ� ভূমিকা নিয়েছেন মহামান্য ফিহা�
বইটি বে� ছোট। একবসায� শে� হয়ে যাবে� এব� তেমন খারা� না� খু� বেশি আহামরি� না� রেটি� �/৫।