গ্রি� পুরা� অনুযায়ী,আকাশের দেবত� ইউরেনা� আর ধরিত্রী মাতা গায়ার মিলন� পৃথিবী প্রথ� প্রাণে� উদ্ভ� ঘটেছিল� মানুষে� মতোই গ্রি� দেবতার� নিয়তিতে বিশ্বা� করতেন। যেহেতু ক্রোনা� তা� পিতা ইউরেনাসক� হত্য� করেছিলেন,নিয়তি তাকে� ছাড় দেয়নি� ইউরেনা� ক্রোনাসক� অভিশাপ দিয়েছিলেন, ক্রোনাসেরই আপ� ঔরসজাত সন্তান তাকে হত্য� কর� তা� স্থা� দখ� করবে� ক্রোনা� তা� জন্মান� প্রতিট� সন্তানকে এক� এক� গিলে ফেলত� লাগলেন� এভাব� পাঁচটি সন্তান গিলে ফেললেন� ষষ্ঠ সন্তান জিউসকে পিতা� হা� থেকে বাঁচাত� রিয়� ছেলেকে পাঠালে� ক্রি� দ্বীপে� সেখানে প্রকৃতির দেবী নিম্� জিউসের দেখাশোনা কর� শুরু করলেন। আইডা পর্বতে� গুহায় জিউসকে দু� খাওয়াতো এক ছাগদেবী, আমালথিয়া। ঘটনাচক্র� আমালথিয়ার সাথে খেলত� খেলত� জিউস একবা� ভেঙে ফেলেছিলে� তা� শিং। এই শিংক� বল� হয�,কর্নুকোপিয়া বা প্রাচুর্যে� শিঙা� কারণ,সে� শি� উপচে পড়ত� বহুবিচিত্র ফু� আর শস্য� ইন আদার ওয়ার্ডস,প্রাচুর্যে� এক জলজ্যান্� ভাণ্ডা� ছি� সে� কর্নুকোপিয়া� সিল্করুট পড়ত� গিয়� তথ্য প্রাচুর্যে� ভারে সে� আশ্চর্� কোনো কর্নুকোপিয়া� মন� হয� বুঝি।বিষয়বৈচিত্র্যে‘নির্বাচিত সিল্করুট�-কে বল� যেতে পারে কর্নুকোপিয়া� এক আদর্� টেক্সটবু� এক্সাম্প� ... ইতিহাস থেকে পপুলার কালচার, রান্না থেকে যুদ্�, ভেসপ� থেকে কালাশনিক�, কলের� থেকে স্প্যানি� ফ্লু,গজ�,সাহিত্�,স্থাপত্য,সহিংসত�,স্মৃতিকথ�,সমরশাস্ত্র,জীবনদর্শ�, দুর্যোগ—কী নে�! বারবার মন� হয়েছে একটা আশ্চর্� টাইম মেশিনে চেপে বসেছ� যেন। প্রাচ্যে� সক্রেটিস খ্যা� শাহজাদ� দারাশুকো বা পারস্যের সুফি কব� আব� সাঈদ আবুল খায়ের অথবা পাপা অব বেঙ্গল প্রে� কিংব� ওম� মুখতারের আইকন হবার গল্পের মত� ইতিহাস ছাপিয়� কখনো কখনো ব্যক্ত� প্রধান হয়ে উঠেছেন বিষয়বস্তু হিসেবে�
ইংরেজীতে‘Melting Pot� বল� একটা ফ্রেইজ আছে। আক্ষরি� বিচারে সে এক এম� পাত্রে� কথ� বল�, যাতে গলান� হয� বিভিন্� ধাতু,উপাদান� নিহিতার্থে সরলীকর� করলে অর্থ দাঁড়ায়‘একই সমাজ� বিভিন্� ধরনে� মানু� পরস্পরের সাথে এক� শামিয়ানার নিচে মিলেমিশে থাকে’। পৃথিবী� যে কোনো প্রান্তে একমাত্� বাজারে গেলে� এম� দৃশ্যে� দেখা মেলে� সে� অঞ্চলক� বুঝত� হল�, রঙবেরঙের মানুষক� বুঝত� হল� যেতে হয� বাজা� সফরে� শাকে� আনোয়ারে� ‘মিথ,বাণিজ্� আর কিসসাওয়ালার আনারকল� বাজার� আর মাহমুদুর রহমানে� ‘চাঁদন� চকের কথকতা� পড়ত� গিয়� মন� হয� কিসসাওয়ালাদের কিসস� শুনত� শুনত�,চাঁদনি চকের মাঝে চাঁদনি রাতে হাঁটতে হাঁটতে ইতিহাসের পাতায় অণুপরমাণু্� বিস্ফোরণ দেখছ� চোখে� সামনে। গমগম করছে বাজার। একদিকে হল্ল�,অন্যদিকে সওদা� প্রতিট� দোকানে� সৌরভ,ভাষা,সহবত� ভিন্� ভিন্� দ্যুতিতে চো� ঝলসায়� ‘কোন� কোনো রাতে মূ� জলাশয়� চাঁদের আল� প্রতিফলি� হয়ে পাণ্ডু� এক রুপালি আল� তৈরি করতো� সে আল� থেকে এর না� চাঁদনি চক হয়ে যায়� � নামই ধীরে ধীরে আর অন্যান্য নামক� সরিয়ে দিয়� লাহোরি দরওয়াজা থেকে ফতেহপুরি মসজি� পর্যন্� পুরো এলাকাক� চাঁদনি চক নামে পরিচিত� দেয়।� যে� জাহানারা বেগমের পরিকল্পন� অনুযায়ী অপার্থিব সে� জ্যোৎস্নায� স্বপ্ন আর বাস্তবতা� মাঝে� হেয়ারলাইন মুছে যাচ্ছে� উর্দুবাজারের প্রান্তে বাল্লিমারোতে দাঁড়িয়� আছ� গালিবে� হাভেলি� হারিয়� যাওয়া সময়ের ছা� অমোচনীয়ভাবে রয়ে গেছে চাঁদনি চকের পথ� পথে। মাহমুদুর রহমানে� লেখনীতে জানা গে�, এক নামবিহী� বাজা� একদি� চাঁদনি চক হয়ে ওঠার গল্প�
গত শতকে� শেষদিক� একটা কথ� প্রচলি� ছি�, যুক্তরাষ্ট্র রপ্তান� কর� কোকাকোলা, জাপা� কর� সন� আর রাশিয়� কর� কালাশনিক�(এক�-৪৭)� মাতৃভূমিকে রক্ষার জন্য বানানো সে� কালাশনিক� কীভাবে পৃথিবী� সবথেকে ব্যবহৃ� অস্ত্র হয়ে উঠলো,হয়ে উঠলো সহিংসত� কিংব� দমনে� নিশা� সে� বিষয়ে লিখেছে� শানজিদ অর্ণব। তথ্যবহুল এই রচনায় রাশিয়ায� উদ্ভাবিত কালাশনিকভে� বিস্তৃতি-বাণিজ্� তো বটেই, উঠ� এসেছ� কীভাবে একটি রাইফেল বৈষয়ি� আর স্বপ্নের জগতে� সাথে মিলেমিশে গেছে সে প্রসঙ্গও� চোখে� সামন� দেখা যায় কীভাবে আফগানিস্তানে� পঞ্জশি� উপত্যকায� কালাশনিক� হাতে দাপিয়� বেড়াচ্ছ� জিহাদীরা� একটি দেশে� সামাজি� সূচক হিসেবে� এক�-৪৭ এর লভ্যতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা জানাটা� জরুরি।
আগ্নেয়াস্ত্� বিষয়ে আরেকটা সুসমন্বি� লেখা এম � মোমেনে� ‘ল�-এনফিল্� থ্রি নট থ্রি’। বাংলাদেশ স্বাধীনত� যুদ্ধে প্রথ� প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিলো এই রাইফেল দিয়েই� প্রায় ১০� বছরেরও অধিক সময় রাজত্ব কর� এই রাইফেল হুমড়ি খেয়� পড়েছিলো কালাশনিকভে� সহজলভ্� হওয়ার পর� তা� পূর্বে সে� বক্সারের যুদ্� থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পেরিয়� মুক্তিযুদ্� অবধি থ্রি নট থ্রি� দৌরাত্ম্� ছি� না কোনখান�? এম� কি সিপাহী বিদ্রোহে� পেছনের মূ� কারণ ছি� এই এনফিল্� রাইফেল� শূকর আর গরুর চর্ব� দেয়� নিয়� ভে� তৈরি� এক ব্রিটি� ষড়যন্ত্র।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্যাসিস্� আর নাৎস� বাহিনী� জন্য এয়ারক্রাফ� বানাতো পিয়াজ্জিও কোম্পানি� একসময় মিত্� বাহিনী� টার্গেটে ধ্বংসপ্রাপ্ত ১৪� বছ� পুরোনো এই কোম্পানি ঘুরে দাঁড়িয়েছিল� ‘ভেসপা স্কুটার� দিয়ে। যে়ভাব� এই কিংবদন্তিতূল্য স্কুটা� বিশ্বজয় কর� পরিণ� হয়েছিলো ইতালির লাইফস্টাইল আর সাংস্কৃতিক আইকন� সে� জার্নি� গল্প শুনল� চোয়াল আপনাআপনি ঝুলে পড়ে� প্যাট্রিয়ার্কাল সোসাইটির মূলে কুঠারাঘা� কর� নারী স্বাধীনতার জনপ্রিয়করণে� ভূমিকা রেখেছে এই স্মৃতিময� স্কুটা� ভেসপা।
ভেসপ�,থ্রি নট থ্রি আর কালাশনিকভে� মত� তিনট� ইন্টারন্যাশনাল প্রোডাক্� নিয়� লেখা এই নিবন্ধগুলো শুধু প্রোডাক্টগুলোর মার্কে� ডাইনামিক্স হয়ে থাকে নি,স্পর্শ করেছ� ক্ষমতায়�-ইতিহাস-যুদ্�-নারী স্বাধীনত�-কালচারাল ইনভ্যাশনের মত� বহ� প্রান্ত।
গজ� হাজা� বছ� ধর� পথ হেঁটেছ� পৃথিবী� পথে। সবার মাঝে থেকে� এক� মানুষে� মরতে মরতে গুমর� ওঠ� হৃদয়ে� ধ্বন� হয়েছে সে� উষ� মরুর বুকে শিকারি� তাড়� খাওয়া তীরবিদ্ধ হরিণের গত� যখ� মন্থ� হয়ে আস�, বু� চিরে বেরোয় আর্তনা�, বাঁচার সুতীব্� আকুত� তা� গজল। জাভে� হুসে� চোস্� অ্যাকাডেমিশিয়ানদে� মত� শুনিয়েছেন গজলে� সোনালি সময়ের দীর্ঘশ্বাস� সে� আলাপের ঘো� কাটে না� মন� হয� এক মুশায়রা� মাঝে দাঁড়িয়� আছ� যেন। আদ্যোপান্ত জানত� জানত� নতুন বিষয়ে� পথ বন্ধ হয� না,কেয়াম� পর্যন্� খোলা থাকে তা� দরজা� মুশায়রায় ইরশাদে� মুহূর্তে কব� যখ� এক� লাইন বারবার বল� শ্রোতা� হাজা� বছরে� কালেক্টি� মেমোরিকে ঝালা� করেন, মন� হয� কোনো এক হারানো স্মৃতিকে মগজে� মাঝে হাতড়ে বেড়াচ্ছি। সে� স্মৃতি আমাদের না,স্মৃতি তেতে ওঠ� পরিস্থিতির মাঝে দূরাগত কোনো প্রশান্ত�-প্রেমময় সময়ের�
রো� কখনো কখনো হত� পারে সৃষ্টি� অনুপ্রেরণা,জ্বলজ্যান্� মিউজ� দস্তয়েভস্কি� জীবনের বেশিরভাগটা� চল� গেছিলো এপিলেপ্সির(মৃগী রো�) সাথে যুঝত� যুঝতে। প্রতিবার অদ্ভুত নিরবচ্ছিন্� প্রশান্তির অনুভূতির পরপর খিঁচুনির আবির্ভাব হয়। দস্তয়েভস্কি যখ� জ্ঞা� ফিরে পেতে� তখ� স্মৃতি থেকে আগের পরিস্থিত� তুলে আনতে� নিজে� লেখায়� এভাব� এপিলেপ্সির মত� নিউরোলজিক্যা� ডিজঅর্ডা� দস্তয়েভস্কি'� কলমে দ্� ল্যান্ডলেড�,হিউমিলিয়েটে� অ্যান্� ইনসাল্টে�,দি ইডিয়ট, ডিমন�,ব্রাদারস কারমাজভে� বিভিন্� চরিত্রের মধ্য দিয়� বারবার ফিরে আসে। ��ফসান� বেগম ‘রোগ যখ� সৃষ্টি� অনুপ্রেরণা’নিবন্ধে নিয়� এসেছেন তা� সমস্� এভিডেন্স�
ইতিহাসের পাতা থেকে নকশালবাড়ি আন্দোল� মুছে যায়নি,মোছে নি রক্তের দাগ। সে যুগে� ক্রো� যাদে� কলমে ভাষা পেয়েছিল�,কবিতাক� যারা করেছিলেন নিজেদে� সংগ্রামে� মরিয়া রেডবুক তাদে� কথ� বলেছেন শানজিদ অর্ণব। সত্তরে� দশকে� কবিত� আর স্লোগানে� ফারা� কোথায় সে� তর্কের� অংশবিশেষ ঠাঁই পেয়েছ� আলাপে। তব� নিবন্ধটি শুধু কবিতার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে না� রাষ্ট্রীয় নিপীড়নে� এক ভয়ানক রূ� কম্বিং অপারেশনে আল� ফেলত� ফেলত� জে� থেকে লেখা মায়ের কাছে বিপ্লবী� চিঠি� সাথে দুনিয়াজোড়া দমনে� ভাষা� একাত্মতা খুঁজেছেন লেখক� নকশালবাড়ি� ক্ষত� কাটা সেলাইয়ে� দা� হয়ে তা� স্মৃতি� প্রতিভ� হয়েছে যেসব গল্প-উপন্যা�,অর্ণ� লিখেছে� সেসব নিয়েও� বিষয়বস্তু চিরে চিরে দেখত� চেয়েছেন সেখানে সাহিত্যে� শিল্পমানের চেয়� আবেগময� বক্তব্� কোনটার পাল্লা ভারী? নকশালদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,গান্ধী-রবীন্দ্রনাথ-বিদ্যাসাগরের মূর্তিভাঙা প্রকল্পে� তল� আসলে কো� বো� কা� করছিলো,তাকে ছুঁয়েছে� সাহিত্যে� পথ ধরে।
অমিতাভ ঘোষে� ‘দ্য শ্যাডো লাইনস’এ কিছুটা ব্যক্তিগ�,কিছুটা ঐতিহাসিক স্মৃতিতে মিলেমিশে আছ� এক সময়পথ� সাদিয়� মাহ্জাবী� ইমাম সে� ছায়ারেখ� ধর� জিন্দাবাহারে� বাড়িটাক� খুঁজতে চেয়েছেন� কখনো কখনো একটা গ্র্যান্� ন্যারেটি� গিলে ফেলে ছো� ছো� ঘটনাকে� সে� ছো� ছো� দৃশ্যে� অস্তিত্বকে দেখত� চেয়েছেন বাস্তবতা� নিরিখে� শাড়�-কাপড়ে� দোকা� থেকে ঠিকর� আস� পুঁতির আল�,কামরাঙ� মসজিদে� উপ� দিয়� কবুতরে� উড়ে যাওয়া,ঝুলে থাকা জট পাকানো বৈদ্যুতি� তা�,ধুলো আর ভ্যাপস� গন্ধের সাথে মিলেমিশে যাওয়া কাবাবে� ঝাঁজ কিংব� পা� চিবুতে চিবুতে মানুষগুলোর পুরা� ঢাকা� ভাষায় আলাপ করতে থাকা—এসব কোনোকিছু� তা� চো� এড়ায় না� আর সহসা জিন্দাবাহা� লে� তা� সমস্� স্পেয়ার পার্� নিয়� মূর্� হয়ে উঠ� পাঠকের সামনে। লেখকের জুতোয় পা গল� পাঠক যে� খুঁজতে চা� এইখানে �/৩১ নম্ব� বাড়ির গলিত� এক ভয়াবহ দাঙ্গায় ৫৪ বছ� আগ� ত্রিদি� কি আসলে� মারা গেছিলো? �/৩১ নম্বরে� সে� বাড়িটাই বা নে� কে�? দাঙ্গা� দগদগ� স্মৃতি বুকে নিয়� দাঁড়ানো আজকে� জিন্দাবাহারে� কোথা� কি রয়ে গেছে সে� রক্তস্না� পলায়নপর পরিবারটি� হাহাকা�? সাদিয়� মাহ্জাবী� ইমাম অমিতাভ ঘো� পর্যন্� ছব� পৌঁছেও যখ� সত্য আর ফিকশনে� মাঝে� অদৃশ্য দেয়ালটা যে কোথায় তা� নিষ্পত্ত� করতে পারে� নি,তখ� পাঠক হিসেবে নিজেরও একটা চাপা ক্ষো� অনুভ� কর� অমিতাভের প্রতি।
পৃথিবীতে মানুষে� ইতিহাসের থেকে� পুরোনো ব্যাধি� ইতিহাস� প্রাচীনত� অসুখ জ্বর নাকি জর� তা নিয়� বিতর্ক থাকলেও মড়কের থাবায় বারবার প্রাণপাখ� উড়ে গেছে কত কোটি মানুষে�,রাতারাতি উজাড� হয়েছে বসতি� কলেরার আঘাত� বাংলার মানুষে� ভয়ার্� ক্রান্তিকালে� বর্ণনা পড়ে গা শিউর� ওঠে। মন� হয� পোস্� অ্যাপোক্যালেপ্টি� সিনেমা� দৃশ্� দেখছ� বা পড়ছ� স্টিফে� কিংয়ে� ‘দ্য স্ট্যান্ড’। অদূর ভবিষ্যতে এম� মর্মন্তু� অথ� জরুর� কে� যদ� এই নিয়� লিখত� চায়, সিনেমা বানাতে চায় তাহল� মুহি� হাসানে� এই নিবন্ধটি হত� পারে একটা চমৎকার শুরু� ‘ডেটলাইন যশোর: যে মাসে ছি� পাঁচ শনিবার � একটি কাটা মুণ্ডু� এম� আগ্র� জাগানিয়� শিরোনামে কলের� সংক্রান্� গুজব অন্ধবিশ্বা�,প্রতিরোধের প্রয়া� বিস্তারিতভাব� তুলে ধরেছেন লেখক এই নিবন্ধে। তাছাড়াও আফসানা বেগমের মড়কের মোড়কে, রোমা� সাম্রাজ্যে� পতনে� পেছন� থাকা আন্তোইনে প্লেগে� স্বরূপ,স্প্যানি� ফ্লু, ব্ল্যা� ডে� হিসেবে খ্যা� প্লেগে� ইতিহাস � বিস্তৃতি নিয়� রোগপর্� করোনার অবরুদ্ধকালের প্রত� বণিক বার্তা� পেশাদারি দায়বদ্ধতারই প্রকাশ� আফসানা বেগমের লেখাটিতে প্লেগে� জন্য মাছি� কথ� উল্লেখ করেছেন তিনি� সত্য� বলতে কোনো মাছি দায়ী নয� এজন্য। ইংরেজীতে এই আর্থ্রোপোডটাকে বল� Flea. বাংল� অভিধান� এক� সরাসরি মাছি বললে� মাছি� সাথে এর গঠনগ�,আচরণগত অনেক ফারা� আছে। এর� কিন্তু মাছি� মত� উড়ত� পারে না� কঠিন কর� বল� যেতে পারে,উপমক্ষিকা। আসলে এর যুতস� বাংল� খুঁজ� পাওয়া মুশকিল�
দেশে মাঝে মাঝে� ভুয়� পিএইচডিধারী অধ্যাপ�, গবেষকদের দেখা মেলে� কিন্তু এই ইতিহাস পুরোনো নয়। অশ্ব-পিএইচড� গর্দ� পিএইচড� নিবন্ধ� বে� সরসভঙ্গিতে এম � মোমে� তুলে এনেছেন সে� প্রসঙ্গ। পিএইচডির প্রকারভে� পড়ত� গিয়� হাসত� হাসত� পে� ব্যথ� হয়ে যেতে বাধ্য। আরেকটা অন্যরক� লেখা শানজিদ অর্ণবে� বিখ্যাতদের মৃত্যু আগ� বল� শে� কথ� নিয়� ‘তাহাদের শে� কথা’। এছাড়া� গর� কীভাবে বাঙালি সমাজের নিত্যনৈমিত্তিক খাদ্যাভ্যাসে� সাথে জড়িয়� গে�,খিচুড়ির ইতিবৃত্ত নিয়েও নিবন্ধ ঠাঁই পেয়েছ� এই সংকলনে�
বণিক বার্তা� এই নির্বাচি� আয়োজন� চেষ্টা� কোনো খামত� চোখে পড়ে না� অজস্� মুক্তো থেকে ‘সেরা� কোনগুল� সেটা বাছা� কর� একটা ম্যামথ টাস্কই� সম্পাদকদ্বয় ধৈর্য্� আর পরিশ্রমে� মধ্য দিয়� যে অসাধ্য সাধন করেছেন তা আর বলার অপেক্ষ� রাখে না� এধরনের নিবন্ধ লেখা� যে চলতি স্ট্রাকচার আছ� তা যে� ভেঙে পড়েছে আলাদ� আলাদাভাবে। শুরুতে� ষাটে� দশকে� অরাজনৈতি� ঢাকা� যে ছব� আমরা দেখত� পা�,তাতে চেষ্টালব্ধ দুর্লভ সব তথ্যের সমাবেশ� নিবন্ধগুলো� ভাষা� প্রাচীরও যে খু� কসরত কর� পা� হত� হয� তা নয়। এমনকী ইমতিয়ার শামীমে� লেখালিখি� সঞ্চারপথ� আমরা লেখা� যে দুটো ধারা পা�,তা� মাঝে ইজিল� একসিসেবল ধরনটিই এখান� ব্যবহৃ� হয়েছে� তব� খানিকট� আপত্তি রয়ে গেছে রচনাগুলো� প্রকাশকা� নিবন্ধের শেষে না থাকায়� আন্দাজ কর� নিতে হচ্ছ� কতটা সময় আগ� সেগুলো প্রকাশিত� যেমন দ্� শ্যাডো লাইন�: জিন্দাবাহারে� বাড়� শীর্ষক লেখাটায় বল� হচ্ছ�,দাঙ্গা� ঘটনা ঘটেছ� ১৯৬১ সালে,আজ থেকে ৫৪ বছ� পূর্বে� তখ� বে� অনেকটা মেন্টা� ম্যা� কর� বুঝে নিতে হচ্ছ� লেখাটি� প্রকাশকা� ২০১৫ সালে� বণিক বার্তা� আর্কাইভে এই তথ্য অপ্রতু� নয়। তব� মাঝে পেরিয়� যাওয়া সময়� কত জল গড়িয়েছ� কতশত পথে। আগ্রহী পাঠকদে� জন্য হলেও এট� প্রয়োজন ছিল। নিবন্ধের শেষে জুড়� দেয়� সহায়ক রেফারেন্সগুল� তথ্যসমুদ্র� নিঃঝুম ডুবসাঁতারে� সুযো� কর� দেয়� বণিক বার্তা� এই নির্বাচি� লেখা� সংকলনগুল� ধর� রাখু� সময়কে� সে� অপেক্ষায�...পাঠকদে� সমৃদ্ধ হবার আর� সুযো� তৈরি হোক। কত অজানার�!
ননফিকশ� পড়া� যে আনন্� তা� অনেকটা� নির্ভর কর� লেখকের উপস্থাপনের উপর। একজন সুলেখক ননফিকশনক� কর� তুলত� পারে� পর� উপভোগ্য। প্রায় ৬০ টি আলাদ� বিষয়ে� নিবন্ধ নিয়� সাজানো হয়েছে নির্বাচি� সিল্করুট� বেশিরভাগ লিখাকে� ইতিহাসের জনরায় ফেলা যায়� তব� ইতিহাস ছাড়াও স্থাপত্য, সংস্কৃতি, সমরাস্ত্�, রান্না, মহামারীসহ বেশকিছ� টুকর� ব্যাপা� সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে� মুহি� হাসানে� লিখা “আসা� বেঙ্গল রেলওয়ের পূর্বাপর� এব� “ব্রিটিশ � বাঙালি লেখকের সাহিত্যে চাঁদ সুলতানা� লেখা দুটো আগ� পড়া ছিলো� ঠি� কোথায় পড়েছি মন� না পড়লেও লিখাগুলো যে ভালো লেগেছি� এতটুকু মন� আছে।
বইটা� সূচিতে চো� বুলিয়েই মন� হয়েছি� এট� পড়া দরকার। সে হিসেবে বইমেলা� অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিলো এই বই� যে প্রত্যাশার জায়গা তৈরি হয়েছি� তা� অনেকটা� পূরণ� করেছে। বেশিরভাগ লেখা পড়ত� গিয়� আম� নতুন তথ্য, বিশ্লেষণ পাচ্ছিলাম। তাছাড়� যেহেতু একটা নিবন্ধের সাথে অন্যটা� কোনো যোগসূত্র নে� তা� বিরত� দিয়েও অনায়সেই পড়া যাচ্ছিল। সবমিলিয়� পড়া� অভিজ্ঞতা বে� ভালো�