ক্রাইম ব্রাঞ্চে� সিনিয়� ডিটেকটিভ ইশতিয়াক খা� তা� পেশাগত জীবনের শে� পর্যায়ে আছেন� এখ� তা� অবসরের পালা� কিন্তু একমাত্� মেয়� লিয়ান� হঠাৎ খু� হয়ে গেল। খুনি কে তা জানা� আগেই জানা গে� লিয়ান� ইয়াবা ব্যবসা� সঙ্গ� যুক্� ছিল। ইশতিয়াক খানে� পুরো জগতটাই পাল্টে গে� মুহূর্তেই। মেয়ের খুনি কে তা বে� করার পাশাপাশি তাকে ছিন্� করতে হব� এক চক্রান্তের জাল। সে� জালে� মূ� লক্ষ ইশতিয়াক খানকেই ফাঁদ� ফেলা� ইশতিয়াক খা� কি পারবেন মেয়ের খুনি কে তা বে� করতে? কিংব� মেয়ের উপ� যে মাদক-ব্যবসায়ী� উপমা যো� হয়েছে, তা মুছে দিতে?
Shariful Hasan hails from Mymensingh, Bangladesh. He has spent his childhood by the banks of Brahmaputra river. He completed his Masters in Sociology from University of Dhaka and is currently working in a renowned private organization.
Shariful's first novel was published on 2012 titled Sambhala. With two other books, this captivating fantasy trilogy has received widespread acclimation both within and beyond the borders of Bangladesh. The Sambhala Trilogy was translated in English and published from India.
Although his inception consisted of fantasy and thriller, he has later worked on a variety of other genres. These works have been received fondly by the Bangladeshi reader community. Lot of his works have also been published from different publications in West Bengal.
Award- Kali O Kalam Puroshkar 2016 for 'অদ্ভুতুড়� বইঘর'
পঞ্চাশোর্ধ একজন ডিটেকটিভ ইশতিয়াক খা� যিনি আগ� 'ড্রাগস এন্ড নার্কোটিকস প্রিভেনশ� টি�' � পুলিশে� স্পেশা� ফোর্সে কা� করেছেন� ঢাকা� অলিগলি� অনেক মাদকের বড� বড� ব্যবসায়ীদে� ধরেছেন কিন্তু শে� পর্যায়ে অবসর� যাবে� এম� সময়� নিজে� ভার্সিটি পড়ুয়� একমাত্� মেয়� লিয়ান� খু� হলো। এব� খুনে� পর জানা গে� লিয়ান� নাকি মাদকের ব্যবসা� সাথে জড়িত। স্ত্রীহারা ইশতিয়াক খা� মেয়� হারিয়� পুরো একাক� হয়ে গেলেন। কিন্তু মেয়ের খুনি কে আর কে� তাকে খু� কর� হয়েছে এই প্রশ্নের উত্ত� যখ� তিনি জানা� জন্য মাঠে নামলেন দেখলেন তা� জন্য ষড়যন্ত্রে� ফাঁদ বিছিয়� রাখা� কোনো না কোনোভাবে� তিনি সে� ফাঁদ� পড়ে যাচ্ছে� বারবার� কিন্তু ফাঁদ� পড়লেও তাকে প্রমাণ করতে হব� যে একজন সিনিয়� ডিটেকটিভের মেয়� ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলনা। আর সেটা তিনি কিভাবে প্রমাণ করবে� তা নিয়েই শরীফু� হাসানে� 'রে� পয়জ�'�
বে� অনেকদি� পর লেখক শরীফু� হাসানে� বই পড়া হলো। উনার লাস্� সম্ভবত 'প্রতিচ্ছায়ারা জেগে থাকে' বইটা পড়েছিলা� এবছরের শুরু� দিকে� 'রে� পয়জ�' সম্ভবত লেখকের সবথেকে কম পরিধির বই� তব� কম পরিধির হলেও প্রত্যেকটা অধ্যায� খু� ছো� ছো� হওয়ায� দ্রু� পড়ে যেতে পেরেছি� কাহিনী খুবই সাধারণ এব� প্রেডিক্টেবল কিন্তু তারপরে� শে� পর্যন্� আসলে কি হয� সেটা জানা� আগ্র� নিয়েই পড়েছি� তব� লেখকের আগের বইগুলো যারা পড়েছে� তাদে� কাছে এই বইটা সেগুলো� তুলনায� অনেকটা দুর্বল লাগত� পারে� তব� বই যেহেতু অনেক ছো� তা� ট্রাভেলে এই বই অনায়াসে নিয়� পড়া যায়� বই পড়া শে� হল� মন� হত� পারে কি যে� পাইন� কি যে� পাইন� কিন্তু এত চিকন বইয়� এর থেকে বেশি কিছু থাকল� জিনিসট� আর� জটিল মন� হত� তব� সহ�-সর� লেখা,কোনো জড়ত� নে� এম� লেখা হলেই আমার মনেহয় এস� বই ভালোলাগে বেশি�
যাইহোক কাহিনীতে আস� এবার� শুরুতে� ইশতিয়াক খা� তা� মেয়েক� হারান। স্ত্রী হারানো� পর মেয়� হারিয়� একজন বাবা� যে অসহায়ত্� সেটা খু� সুন্দরভাবে� ফুটে উঠেছ� এই উপন্যাসিকায়� পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়� উঠতি বয়েসীরা কিভাবে খু� সহজে� মাদকের মত ভয়াবহ জিনিসে জড়িয়� পড়ছ� আর কিভাবে আমাদের সমাজ� পানি� মত এস� মাদকদ্রব্য সহজলভ্� হচ্ছ� সেটা� লেখক বে� সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন� শেষদিক� এস� পুলি� আর ইশতিয়াক খানে� মধ্য� ইঁদু�-বিড়াল দৌড়� বে� উপভো� করেছি।
এবার আস� এন্ডিং এ। একটা বইয়ের এন্ডিং আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন পুরো বইটা আমার কাছে একটা যাত্রা বল� মন� হয়। 'রে� পয়জ�' বইতে সে� যাত্রা শুরু থেকে আম� উপভো� করেছ� এখ� শেষবেলায� এস� যদ� সে� যাত্রা� সওয়ারী থেকে ছিটক� পড়ে যা� তব� স্বাভাবিকভাবেই ভালো লাগবেনা। বইটা� এন্ডিং আমার কাছে মোটামুটি ভালো লেগেছে� বইয়ের কাহিনী� সাথে আমার কাছে মন� হয়েছে এন্ডিং এমনটাই হওয়� দরকা� ছিল। কাহিনী� হিসাবে ৮০ পৃষ্ঠা� একটা বইয়� যদ� আম� শেষে এস� একেবার� মাথা ঘুরানো টুইস্ট আশ� কর� তাহল� সেটা অবশ্যই পাঠক হিসেবে আমার বোকামি�
তব� সব কথার শে� কথ� 'রে� পয়জ�' বই সব মিলিয়� ভালো লেগেছে� মোদ্দা কথ� বইয়ের সাথে সময়টা ভালো কেটেছে আমার�
বাবা মেয়ের গল্প, যে গল্পের শুরুতে� মেয়েট� খু� হয়ে যায় এর পর� বাবা এক� সেটা� তদন্� কর�, ভালো লেগেছে আমার কাছে বইটা কিন্তু শরিফুল ভা� বাংল� সাহিত্� বর্তমানে এম� একজন লেখক যা� কাছে আমার� ৮০ পেজে� বই আর আশ� কর� না, আমাদের আশ� আর� বড়।
ছোট্� মেয়েটাক� নিয়� লড়াইট� ইশতিয়াক খানে� সেদি� থেকে শুরু হল� যেদি� স্ত্রী চল� গেলে� তাঁক� ছেড়� চিরতরে ওই অসী� মহাশূন্যের পানে� সেদি� থেকে বোধহয় তাঁর ভূমিকা শুধু বাবা নয�, মায়ের মতোও হয়ে গেছে� ছোট্� মেয়� লিয়ান� এব� নিজে� পেশাগত দায়িত্ব ক্রাইম ব্রাঞ্চে� সিনিয়� ডিটেকটিভ�
বাবা এমনি এক মানু� যা� সাথে আমাদের দূরত্বটা বরাবরই বেশি মায়ের থেকে� মায়ের কাছে অনেক কথ� মন খুলে বল� যায় কিন্তু বাবাকে সবকিছু আসলে বলতে পারি না কেনো জানি� বাবাদে� ভালোবাসা অনুভ� করতে হয� গভীরে� কারণ তাঁর� ওভাব� আসলে বুঝত� দে� না নিজেদে� ভালোবাসাগুলো কখনো� তা� একটা সময় সন্তানের সাথে যে� একটা দূরত্ব এস� যায়� ঠিকভাব� হয়তোব� বুঝতেও পারে� না সন্তানের মনের কথা। স্বাধীনত� দিয়� সন্তানের অমঙ্গল ডেকে ফেলেছিলে� বোধহয় ইশতিয়াক খান। এব� সেটা� তাঁর জীবনের বড� ক্ষত� কর� দিয়� গেল।
লিয়ান� সবসময় বাবাকে আগলে রাখতো। রান্না করতো, ঘরের অনেক কাজই ছিলো তাঁর দায়িত্ব� মাঝে মাঝে রাতে� বেলা বারান্দায় বস� বাবা� চুলে বিলি কাটত� কাটত� লিয়ান� সুন্দর ভরাট গলায� রবীন্দ্রসঙ্গী� গেয়� শোনাতো� ইশতিয়াক খানে� জীবন হচ্ছ� লিয়ানাময়� কিন্তু মেয়েক� স্বাধীনত� দিয়� ভু� করেছিলেন বোধহয় কারণ লিয়ানার জীবন� আস� সিফাত।
সিফাতে� সাথে সম্পর্� হু� করেই যে� হয়ে গে� লিয়ানার� লিয়ান� বুঝতেও পারেনি মাত্� অল্প সময়ের মধ্যেই ওর� কীভাবে এত ঘনিষ্ঠ হয়ে গেল। সিফাতে� মায়ের অসুখের জন্য লিয়ান� বাবা� থেকে টাকা নিয়েও দিয়েছিল সিফাতকে। লিয়ান� ভালোবাসত� সিফাতকে। মেয়েদের মন তো, যাকে ভালোবাসে সবকিছু উজাড� কর� দিয়� ভালোবাসে� লিয়ান� তা� সিফাতে� সাথে কোথা� যেতে দ্বিধায় পড়েনি� কিন্তু সিফা�? আসলে� কী লিয়ানাক� ভালোবাসত�?
"ছেলেবেলা� দি� ফেলে এস� সবাই আমার মত বড� হয়ে যায় জানিনা কজনে আমার মত� মিষ্টি সে পিছুডা� শুনত� যে পায় আয� খুকু আয়� আয� খুকু আয়�"
কিন্তু সবচেয়� যে বিষয়ট� ইশতিয়াক খানক� শক করলো তা হচ্ছ� পুলি� লিয়ানার ব্যা� থেকে কতগুলো ইয়াবা পেয়েছে। এব� পোস্টমর্টেমে লিয়ানার পাকস্থলীতে� সেইম ইয়াবা ছিলো� পুলিশে� ধারন� হল� লিয়ান� হয়ত ইয়াবা সেবনের পাশাপাশি বিক্রি করতো� কিন্তু এট� অসম্ভব! লিয়ানার মত� কোমল স্বভাবের মেয়� কীভাবে ইয়াবা সেবন করতে পারে! না না ইশতিয়াক খা� কিছুতে� এট� মানত� পারবেন না�
পৃথিবীতে বিশ্বা� নামক জিনিসট� সবার উপরে আস� না� সবাই বিশ্বাসে� মর্যাদ� রাখত� পারে না� লিয়ান� কী বিশ্বা� কর� ঠকেছ�? কে তাঁক� খু� করলো? কাজট� কী সিফাতে�? কিন্তু যাকে ভালোবাসা যায় তাঁক� কীভাবে খু� কর� যাবে? খুনে� পেছন� কারণ কী? ইশতিয়াক খানে� মাথায় ঘুরছ� একের পর এক প্রশ্ন� নিজে আইনে� লো� হয়ে কিছুতে� মেয়ের খুনিকে তিনি ছাড়বে� না� আর তাঁর মেয়� যে মাদক সেবন করতো না সেটা� প্রমাণ করতে হবে। তাঁর ওম� কোমল মেয়েটার মাথায় এতবড� কলঙ্কে� কালিমা তিনি লাগত� দেবে� না�
মেয়েট� তাঁর মর� গেছে কিন্তু ইশতিয়াক খা� ভাবলেন মেয়েট� হয়ত� এখনো কষ্ট� আছ� নিজে� উপ� এতবড� কলঙ্কে� বোঝা নিয়ে। লিয়ান� মাদকসেবী নয�, লিয়ানাক� কে� টার্গে� করেছে। কিন্তু কারা? সিফাতক� খুঁজতে হবে। আর� অনেক কা� বাকি� তব� ডিপার্টমেন্ট এর আরেক সিনিয়� অফিসার বন্ধ� আলী আসগর কিছুতে� তাঁক� এই কেসে অং� নিতে দিবে� না� জুনিয়� অফিসার আদনা� বে� চৌকস, কেসট� সে দেখছে। যা করার সে করবে এই হচ্ছ� আলী আসগরের কথা। কিন্তু ইশতিয়াক খা� কী এভাব� চু� কর� বস� থাকত� পারবেন?
অনেকগুলো প্রশ্ন, রে� পয়জনে বিষাক্� চারপাশ, মুখোশে� আড়ালে অদৃশ্য অপরাধীকে খুঁজতে হব�, মৃ� মেয়ের শোক। এই গল্পটা এক বাবা� গল্প� সবকিছু ছাপিয়� এক বাবা� লড়া� উঠ� আসবে সন্তানের খুনীকে শান্তি দিয়� সন্তানকে ন্যায় বিচা� পাইয়ে দেয়া। কিন্তু ঘটনা ক্রম� গভীরে ডু� দিচ্ছে� ইশতিয়াক খানে� পথটা এত সহ� হব� না�
~ নামকরণ ~
এই বইটি� না� "রে� পয়জ�" কেনো এই প্রশ্নটা শুরু থেকে� আমার মন� ছিলো� পয়জ� সবসময়� বিষাক্ত। কিন্তু এট� কী ধরনে� পয়জ�? উত্ত� হচ্ছ� এট� ইয়াবা� এই লা� রঙের মাদকদ্রব্য যে� লা� বি� হয়ে ধীরে ধীরে ধ্বং� কর� দিচ্ছে সমাজকে�
এই মাদক কেড়� নিয়েছ� লিয়ানাক� তাঁর বাবা� বু� থেকে� বর্তমা� প্রজন্� মাদকের নেশায় আসক্� হয়ে পড়ছে। এই মাদক হচ্ছ� রে� পয়জন। আস্ত� আস্ত� বিষে� ছোবল শে� কর� দিচ্ছে তরুণ প্রজন্মকে। বইটি� গল্প� লা� বি� ইয়াবা খু� গুরুত্বপূর্ণ একটি টার্নি� পয়েন্ট।
~প্রচ্ছ� � খুঁটিনাট� ~
চিরকুটের বইয়ের প্রোডাকশ� ভালো� এব� ভেতরের প্রিন্� গুলো বে� ঝকঝকে। এব� প্রচ্ছদট� আমার ভালো লেগেছে কারণ বাবা মেয়ের গল্পটা প্রচ্ছদে ফুটে উঠেছ� অনেকটাই। সব মিলিয়� বই ইচ্ছেমতো যেভাবে খুশি রেখে পড়া যায়�
~শরীফু� হাসানে� লেখা� সাথে অভিজ্ঞতা ~
এই অংশট� হচ্ছ� আমার প্রথ� পড়া শরীফু� হাসানে� লেখা� সম্পর্কে� অনেক� বলবে তাঁদের পড়া শরীফু� হাসানে� প্রথ� বই বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রা�, ছায়াসময�, যেখানে রোদেরা ঘুমায় এস� বইয়ের না� বলবে� কিন্তু আমার পড়া প্রথ� বই হচ্ছ� "রে� পয়জ�"�
এই ছোট্� বইটা দিয়েই পাঠক হিসেবে বল� যায় অফিশিয়ালি শরীফু� হাসানে� বই পড়া হলো। এব� প্রথ� অভিজ্ঞতাতে� যে জিনিসট� লক্ষ্য করলা� লেখক দারু� গুছিয়� গল্প বলতে পারেন। কারণ ছোট্� এই উপন্যাসিকাটিকে কিন্তু আকর্ষণীয় করেছ� এর গল্প প্রেজেন্টেশন�
একটা ছোট্� সাদামাটা গল্পকে কীভাবে উপভোগ্� করতে হয� শরীফু� ভা� সেটা বে� ভালো জানেন। লেখনশৈলী সাবলী�, শব্দ নির্বাচন� ভারিক্কি ভা� দূ� করেছেন� খু� সাবলীলভাব� উপস্থাপন করেছেন এব� শেষটাও সুন্দর লাগল� একদম মনের মতো।
শরীফু� হাসানে� লেখায় প্রথ� পড়া বই এট� আমার� কিন্তু আম� শরীফু� হাসানক� চিনেছি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে। অসম্ভব বইপোকা আমার হাসবেন্ড শরীফু� ভাইয়ে� সবগুলো বই পড়েছে এব� তাঁর কালেকশনে একটা বাদে বোধহয় সবগুলো বই আছে। একটা বা� কারণ সেটা প্রিন্� আউ� ছিলো� সবসময় আমাক� শরীফু� হাসানে� লেখা পড়ত� সাজেস্� করতো� "বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রা�" ছিলো আমার আগ� পড়া� টার্গে� কিন্তু তাঁর আগ� রে� পয়জ� পড়ে ফেললাম� হাসবেন্ড শুনে বললো আম� যে� এবার সবগুলো পড়ে ফেলি ওনার লেখা�
প্রথ� পড়া বই হিসেবে বে� সন্তুষ্ট আম� এব� শরীফু� হাসানে� লেখা� বল� যায় আরেকজন পাঠক বাড়লো� দারু� লিখেছে�, এব� আশ� করছি এই ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহ� থাকবে।
লেখক শরীফু� হাসানে� সবচেয়� বড� গু� তিনি এমনভাব� গল্প বলেন, পাঠকের সাথে সে� গল্প� এক ধরনে� সংযো� স্থাপন হয়। চমৎকার লেখনশৈলীতে কোনো জড়ত� নে�, আড়ষ্ট ভা� নেই। অতিরঞ্জি� করার বিষয� নেই। গল্পের এক প্রকার ধারা থাকে, সে� ধারা অনুসরণ কর� এগিয়ে যেতে হয়। সাবলী� ভঙ্গিত� গল্প তো এমনভাবেই বলতে হয�, যেখানে পাঠক বু� হয়ে যায়� সাদামাটা গল্প� এখান� আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। লেখকের সবচেয়� বড� যোগ্যত� এখানেই, যেখানে সাদামাটা একটা গল্পকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন কর� তোলা যায়� আর এই কা� খু� সহজভাব� পারে� শরীফু� হাসান।
লেখকের সদ্য প্রকাশিত উপন্যাসিকা “রেড পয়জন� শে� করলাম। জনরা হিসেবে বইটিকে ক্রাইম থ্রিলা� হিসেবে আখ্য� দেওয়া যায়� কিংব� রিভেঞ্� থ্রিলা� বললে� ভু� হব� না� এই গল্পের মূ� চরিত্র ইশতিয়াক খান। ‘ড্রাগ� এন্ড নার্কোটিকস প্রিভেনশ� টিম�-এর নীতিবা� যোদ্ধা� কা� করেছেন ন্যায় নিষ্ঠা� সাথে� দেশে� বিভিন্� প্রান্তে গজিয়ে ওঠ� মাদক চোরাচালানে� র্যাকে� ভেঙেছেন। তা� হয়ত� শত্রুপক্ষে� অভাব নে�, যারা ছোবল মারা� সুযোগে� অপেক্ষায� থাকে�
কো� একটি অপারেশ� শে� কর� আয়ে� কর� বস� আছেন ইশতিয়াক খান। খব� এল� তখনই� একটি জায়গায় যেতে হবে। মাদক চোরাচালা� নির্মূ� টিমে� প্রধান � ইশতিয়াক খানে� বন্ধ� আলী আসগরের কথায� সেখানে গেলে� ইশতিয়াক� কে জানত, জীবনের সবচেয়� বড� বিভীষিকা অপেক্ষ� করছে সেখানে� মা � রা একমাত্� মেয়� লিয়ানার ছুরিবিদ্� লা� লুটিয়� আছ� মাটিতে� কা� এত আক্রোশ থাকত� পারে, এভাব� একজনকে মে রে ফেলত� পারে! তা� পৃথিবী এখান� টল� গিয়েছে। জীবনের সব আশ� ভরসা শে� হয়ে গিয়েছে। তবুও মেয়েটার এই পরিণতি কে করেছ�, খুঁজ� বে� করতে হবে। বাবা হিসেবে মেয়েক� রক্ষ� করতে পারেননি। ব্যর্থ বাবা হলেও মেয়ের উপ� ঘট� যাওয়া এই অন্যায্য ঘটনা� শে� দেখত� হবে।
তদন্তে উঠ� আস� লিয়ান� না-কি ইয়াবা আসক্� ছিল। ভদ্র, শান্তশিষ্ট মেয়েট� সত্যিই ইয়াবা সেবন কর�? শুধু তা-�� নয�, তদন্� কর্মকর্ত� আদনা� দাবি করছে লিয়ান� না-কি ইয়াবা সরবরাহের সাথে� যুক্� ছি�! মেয়েক� স্বাধীনত� দিয়েছেন, তা� বল� এই দি� দেখত� হল�? তা� নিজে� মেয়� এম� করবে বিশ্বা� হত� চায় না� এর পেছন� কোনো বিশা� ষড়যন্ত্� আছে। যা তাকে আর তা� মেয়েক� মাটিতে মিশিয়� দিতে চায়� কিন্তু এভাব� তো হেরে যাওয়া যাবে না�
নিজেকে তদন্� কর� চাইলেও মেয়ের কেসে এভাব� তদন্� কর� যায় না� উপরমহল থেকে ছুটি দিয়েছ� দীর্ঘদিনের� তা� বল� বস� থাকত� পারে না সে� অফিসিয়া� না হো�, আনঅফিসিয়া� তদন্� তো চালানো যায়� মেয়ের বন্ধুদের খোঁজ নিতে হবে। সিফাতে� সাথে লিয়ানার কী সম্পর্�? তদন্� করতে গিয়� অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনায় নিজেরই ফেঁস� যাওয়া� উপক্রম ইশতিয়াক খানের। তারপরও হা� ছাড়� যাবে না�
লিয়ানার মৃত্যু না, এই ঘটনা� বী� লুকিয়� আছ� অনেক গভীরে� পুরোনো এক ঘটনা� প্রতিশোধ মাথা চাড়� দিয়� উঠেছে। আর তাতে একের অধিক প্রা� এভাব� শে� হয়ে গিয়েছ� বা যাচ্ছে�
আগেই বলেছ�, শরীফু� হাসানে� লেখনশৈলী সাবলী�, দুর্দান্ত। এই বইতে� তা� ধারা বজায� ছিল। পুলি� প্রসিডিউয়াল গল্প সাধারণ� ধী� গতির হয়। কিন্� এই বইটি� গত� ছি� দ্রুততর। খু� অল্প সময়� ছোট্� এই উপন্যাসিকা পড়ে শে� কর� ফেলা যায়� কোনো বাড়তি বর্ণনা� আশ্রয় নেনন� লেখক� যতটুকু প্রয়োজন, ঠি� ততটুকুই। লেখকের এই পরিমিত ব্যবহা� ভালো লেগেছে�
সে� সাথে স্বল্প পরিসরে চরিত্র নিয়� যেভাবে কা� করেছেন, তা� জন্য তিনি প্রশংসার দাবিদার। বেশি চরিত্র ছি� না এখানে। তবুও অল্প-স্বল্প সুযোগে প্রতিট� চরিত্রকে ফুটিয়� তোলা� চেষ্টা করেছেন� বিশে� কর� যে চরিত্রগুলো গল্পের মূ� চরিত্র ছিল। আম� লেখকের বর্ণনা� অনেক বড� ভক্ত� এই ছোট্� বইতে, যেখানে একের পর এক ঘটনা দ্রুতগতিতে ঘট� চলেছ�, সেখানে� তিনি দারু� কিছু বর্ণনা দিয়েছেন� যে বর্ণনা পড়ে মুগ্� হত� হয়।
ইঁদু�-বিড়াল খেলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, পুলিশি তদন্�, টুকর� কিছু চম� বইটিকে প্রানবন্� কর� তুলেছে� কিছু কাকতালীয় ঘটনা অবশ্� ছিল। যদিও খু� একটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু না� বইতে মাদক, বিশে� কর� ইয়াবা (যাকে বি� বলাটাই শ্রেয় মন� হয�) আর এর বিশা� র্যাকে� নিয়� বইয়� আলোকপা� কর� হয়েছে� কে জানে, হয়ত� সবটা� সত্যিই� প্রযুক্তির এই যুগে নেশাজাতীয় দ্রব্যের সহজলভ্যত� একটি প্রজন্মক� খু� দ্রু� ধ্বং� কর� দিতে পারে� পারে না?
তদন্� প্রক্রিয়া লেখক যেভাবে বর্ণনা করেছেন, ভালো লেগেছে� প্রতিট� চরিত্র ভিন্� ভিন্� কাজে পারদর্শী� একজন� সব পারে এম� অতিরঞ্জি� বিষয� ছি� না� পুলিশে চাকর� করলে� একজন অফিসার যা� বয়স হয়েছে, সে যে প্রযুক্তির সব জানব� না এই বিষয়ট� ভালো লেগেছে� একদম ন্যাচারা� ছি� বিষয়টা। লেখকের এই ধর� ভালো লাগে� কোনো চরিত্রকে তিনি অতিরঞ্জি� হিসেবে দেখা� না� যে চরিত্র যেভাবে গল্প� নিজেকে নিবেদন কর�, ঠি� সেভাবে� গল্প এগিয়ে চলে।
শেষট� পছন্দনীয়� এভাব� সমাপ্ত� টানল� অতৃপ্ত কিছু থাকে না� ভালো লেগেছে� ছোট্� এই উপন্যাসিকা বে� উপভোগ্য। সম্পাদনা� ঘাটতিও তেমন চোখে পড়েনি দুয়েকটা ছাপা� ভু� ছাড়া। প্রচ্ছদট� পছন্� হয়েছে� একজন বাবা তা� মেয়েক� আগলে রাখা� তীব্� আকাঙ্ক্ষ� ফুটে উঠেছ� প্রচ্ছদে� কিন্তু দি� শেষে সবসময় পারা যায় কি?
#ফ্ল্যা�: ক্রাইম ব্র্যাঞ্চে� সিনিয়� ডিটেকটিক ইশতিয়াক খা� তা� পেশাগত জীবনের শে� পর্যায়ে আছেন� এখ� তা� অবসরের পালা� কিন্তু একমাত্� মেয়� লিয়ান� হঠাৎ খু� হয়ে গেল। খুনি কে তা জানা� আগেই জানা গে� লিয়ান� ইয়াবা ব্যবসা� সাথে যুক্� ছিল। ইশতিয়াক খানে� পুরো জগতটাই পাল্টে গে� মুহূর্তেই। মেয়ের খুনি কে তা বে� করার পাশাপাশি তাকে ছিন্� করতে হব� এক চক্রান্তের জাল। সে� জালে� মূ� লক্ষ্য ইসতিয়াক খানকেই ফাঁদ� ফেলা� ইশতিয়াক খা� কি পারবেন মেয়ের খুনি কে তা বে� করতে? কিংব� মেয়ের উপ� যে মাদক-ব্যবসায়ী� কালিমা যো� হয়েছে, তা মুছে নিতে?
#কাহিনীসংক্ষে�: ঘটনা� শুরু হয� লিয়ান� আর সিফাতে� মাধ্যমে। ফেসবুক থেকে প্রেমে� সম্পর্� গড়ে উঠ� � জনের� ছয� মাসে� প্রেমে� পর আজকে� এই দুর্যোগপূর্ণ সময়� তারা ঘটনাক্রম� সপ্নী� রিয়াল স্টেটে� টিনে� ঘর� এস� দাঁড়িয়েছে। সময়ের ক্রম� লিয়ানার হঠাৎ অনুভূত হয� পেটে� মধ্য� কিছু একটা আচমক� ঢুকে গেছে� হা� দিয়� বুঝত� পারল� ব্যথ�, ভেজা, আঠাল� অনুভূতি। এরপর শুরু হয� রহস্� বিচ্ছে� অভিযান� ' ড্রাগস এন্ড নার্কোটি� প্রিভেনশ� টি�' নামে� পুলি� ফোর্সে� স্পেশা� টিমে� সিনিয়� ডিটেকটিভ ইশতিয়াক খান। তা� � মেয়� লিয়ান� খু� হয়ে পর� আছ� সপ্নী� রিয়াল স্টেটে� শুধু তা� নয� সে� খু� হওয়� মেয়েটার বিরুদ্ধে অভিযোগ আন� হচ্ছ� সে ইয়াবা খেতো, করতো ইয়াবা ডিস্ট্রিবিউট� তা� মেয়ের খুনে� রহস্� আর এই মিথ্যা ষড়যন্ত্রে� জা� ছিঁড়ত� নিজে� ফিল্ডে কা� শুরু কর� দে� ইশতিয়াক খান। এই গল্প একজন সাহসী বাবা�, যে ডিপার্টমেন্টের সাহায্� ছাড়�, এক� এক� একটা ক্রিমিনা� টিমে� বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ কর� তা� মেয়ের খুনে� সাথে জড়িতদের শাস্তি এব� মেয়েক� নির্দো� প্রমাণ করতে পারা� গল্প� এই গল্প রে� পয়জ� এর গল্প� যা� বি� ছেড়� যাচ্ছে তরুণ সমাজে।
গর� গর� হাতে পেয়েই পড়ে ফেললাম শরীফু� হাসানে� ক্রাইম থ্রিলা� নভেল� “রেড পয়জন”। ঘোষণ� দেওয়া� পর থেকে� বইটি� অপেক্ষায� ছিলাম। মূ� প্লট শুরু করতে লেখক একদম� সময় নেননি। শুরু থেকে শে� পর্যন্� বইটি দারু� গতিশীল। বে� ছো� কলেবরে� বই হওয়ায� এখান� চরিত্রগুলো সেভাবে বিকশিত হত� পারেনি� গল্প� কোনো চরিত্র তেমন একটা স্পে� পায়নি মূ� এন্টাগোনিস্ট ইশতিয়াক হাসা� ছাড়া। প্লটটা বে� ভালো� কিন্তু মন� হল� যে শুরু হত� না হতেই শে� হয়ে গেল। বইয়ের কলেব� আরেকটু বড� হল� আর� ভালো লাগতো।
আমার পড়া এটাই শরীফু� হাসানে� প্রথ� ক্রাইম থ্রিলার। এর আগ� উনার লেখা ফ্যান্টাসি � সামাজি� উপন্যাসগুল� পড়া হয়েছিল। সে হিসেবে বল� � জনরাতে� উন� বে� ভালোভাবে� উতরে গিয়েছেন� সামন� উনার থেকে আর� ক্রাইম থ্রিলা� আশ� কর�, তব� আর� বড� কলেবরে� আগ্রহীরা বইটি পড়ে দেখত� পারেন। ভালো লাগব� আশ� করি। চিরকুটের প্রোডাকশ� নিয়� নতুন কিছু বলার নেই। এই ছো� বইটিতে� তারা তাদে� সেরাটা� দিয়েছে।
গত বছরে� কোনো একটা মিষ্ট্রি বক্স� বইটা পেয়েছিলাম� সকাল� বে� ভারী একটা গল্প শে� করার পর ছো� সহজপাঠ্য হিসেবে বইটা শুরু করি। তব� ঘন্টাখানেকের মধ্যেই যে শে� হয়ে যাবে এতটা আশ� অবশ্� করিনি। এবার আস� বইয়ের আলোচনায়�
- বইটা কি নিয়�? - মেয়ের মৃত্যু রহস্� উদঘাটন করতে যেয়� একজন ডিটেকটিভ বাবাকে কিসে� এব� কাদে� সম্মুখী� হত� হয়েছে তা নিয়ে।
এর বেশি বলতে গেলে স্পয়লার হয়ে যাবে�
- পড়বেন কিনা? - কখনও হাতে সময় কম থাকল� বা মস্তিষ্ক� চা� সৃষ্টি করবে না এম� কিছু পড়ত� চাইল� পড়ত� পারেন। খারা� লাগব� না� তব� খু� বেশি আশ� না করায� ভালো�
অনেক ক্লিশে� একটা থ্রিলা� যা খু� অল্প সময়� পড়ে শে� কর� যায়� কিছুটা টা� টা� উত্তেজনা থাকলেও থাকত� পারত�, না থাকাতে� খু� সমস্যা নে�, কাহিনী বে� দ্রু� এগিয়ে যায়� ইশতিয়াক খা�-আদনা� জুটি একটা সিরি� হতেই পারে� আর� সময় নিয়� এন্থলোজি সিরি� করাই যায়�