ŷ

Jump to ratings and reviews
Rate this book

আম� এব� একটি বনসা� গা�

Rate this book
পঁচি� বছরে� তরুণী মাঈশ� প্রায় এক যু� পর বাংলাদেশের সীমানা� বাইরের আরেকটি দে� থেকে বাবা� সাথে দেখা করতে এসেছে। একসময় মাঈশ� ছি� ওর বাবা� অত� আদরে� রাজকন্যা� কিন্তু এক দুর্ঘটনা� কারণ� দৃশ্যপ� যে� চোখে� পলকে পরিবর্তন হয়ে যায়�

বাবাকে ঘিরে অদ্ভুত এক অনুভূত� তৈরি হয� মাঈশার মনে। ওর বাবা কি ওক� দেখামাত্� বুকে জড়িয়� নেবে? নাকি মাঈশার জন্য অপেক্ষ� করছে ওর বাবা� অনুভূতিশূন্য নির্বিকা� এক চাহনি। এম� এক চাহন� যেখানে কোনো আবেগ নে�, আছ� শুধু সীমাহী� নির্লিপ্ততা। মাঈশার ভীষণ ভয� কিন্তু তারপরও সে বাবা� কাছে যেতে চায়� পর� করতে চায় এই চাহনির সত্যতা�? অথবা জানত� চায় তা� এত কোমল বাবা কে� এই কঠিন বাবায় পরিণ� হল�?

মাঈশার মন� অনেক প্রশ্ন� কিন্তু ওর বাবা আহাদ সাহে� ক্ষী� কণ্ঠ� বলেন, “ও� যে বললা� বাবারা কেমন হয� সেটা� ভুলে গিয়েছি।�

128 pages, Unknown Binding

Published December 1, 2024

2 people are currently reading
54 people want to read

About the author

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
7 (18%)
4 stars
18 (47%)
3 stars
6 (15%)
2 stars
7 (18%)
1 star
0 (0%)
Displaying 1 - 19 of 19 reviews
Profile Image for মোহতাসিম সিফাত.
155 reviews41 followers
December 31, 2024
সুফা� রুমি� তাজি� আমার প্রিয় একজন গল্পকথক। উনার অন্ত:শূন্যে অন্ধ হি� এই বছ� পড়া আমার প্রিয় বইগুলো� একটি� তো উনার নতুন বই পাওয়া� পর পড়ে ফেললাম অল্প কিছু দিনে� মাথায়� সুখপাঠ্য�

দুর্ঘটনায় পঙ্গ� হয়ে যাওয়া পিটিএসডি আক্রান্ত স্বামী আহাদকে রেখে মেয়� মাইশাক� নিয়� নতুন জীবন শুরু করেন জয়া� প্রাপ্তবয়স্� হবার পর মাইশ� দেশে আস� বাবা� সাথে থাকত�, কিছু প্রশ্নের উত্ত� খুঁজতে� একটু সাদামাটা শোনালে� এই কাহিনীকে লেখিকা খু� সুন্দর কর� একটা পরিবারের প্রতিট� মানুষে� দৃষ্টিকো� থেকে বর্ণনা করেছেন, আর প্রায় সবগুলো চরিত্র � তাদে� আলাদ� চিন্তাধারাকে এক সূত্রে গেঁথ� উপন্যা� ফেঁদেছেন� তব� মাশা� আর মাইশ� চরিত্র দুইটার চিন্তাভাবন�, মানসিক শক্ত�, দৃষ্টিভঙ্গ� (আলাদাভাব�) খুবই সুন্দর আর অনুকরণীয়, আশেপাশের মানুষে� মাঝে খু� কম পাওয়া যায়�

ভাগ্যে� লিখন� আমাদের জীবন� দুর্ঘটনা আস�, আবার বর্তমা� সমাজ� সেপারেটে� ফ্যামিলি প্রায়শঃ� লক্ষ্য কর� যায়� যাদে� জীবন� আস�, তাদে� সবকিছু ভেঙেচুরে নিয়� যায়� এরকম একটা স্পর্শকাতর কনটেক্সট� লেখিকা সুন্দর একটা উপন্যা� লিখেছেন। ভবিষ্যতে� উনার ভালো লেখা আসতে থাকুক।

Profile Image for Aishu Rehman.
1,058 reviews1,012 followers
January 8, 2025
আমার কাছে যদ� জিজ্ঞে� করেন, 'পৃথিবী� সবচেয়� সেরা গল্প কি হত� পারে?'� আম� সোজাসাপ্টা উত্ত� দিয়� দে�, 'বাবা - মেয়ের বন্ধুত্বের গল্প, ভালোবাসা� গল্প'� আম� তখ� সদ্য কৈশোরে� একদি� উপহা� হিসেবে পেয়� গেলা� জাফর ইকবা� স্যারে� 'বৃষ্টি� ঠিকানা'� অদ্ভুতভাবে বইটা পড়ে আম� কেঁদেছিলাম� টুম্পা� অনুভূতিক� নিজে� অনুভূতির সাথে একাত্ম কর� ফেলেছিলাম।

বাবা - মেয়ের সে� বন্ধুত্বের গল্প, ভালোবাসা� গল্প এখনো আমার কাছে এক টুকর� টাটক� স্মৃতি�

হত� পারে সে কারণ� কিংব� অন্য কো� অদ্ভুত কারণ� এই বইটা আমার ভীষন ভালো লেগেছে� হুমায়ূন আহমেদে� একটা ছা� গল্পটিতে থাকলেও আম� সেটা উপভো� করেছি। তাছাড়� আম� একটু আবেগপ্রব� মানুষ। সমকালী� জঁরে� বই পড়লেই মনটা বড্ড খারা� হয়ে যায়� এক রক� যেচে মন খারাপে� জন্য� বইটা হাতে নেওয়া� লেখিকা সত্য� বারবার আমার মনটা খারা� কর� দিয়েছে। এজন্� তাকে ধন্যবা� ❤️�
Profile Image for তান জীম.
Author3 books253 followers
December 22, 2024
বুকস্ট্রী� থেকে প্রকাশিত হওয়� ৯ট� বইয়ের লট� ৮ট� বই পড়া� পরেও আপনি হয়ত� ভাবত� থাকবেন কো� বইটা সেরা এই লট� (‘রক্তে লেখা বিপ্লব’ক� সেরা বইয়ের বিচারে� লিস্টে� বাইর� রাখলাম কারণ ঐট� আসলে দলিল, বইয়ের চেয়েও বেশি কিছু, অর্থাৎ বই সংখ্যা ১০ হলেও আসলে কাউন্ট করছি ৯ট�)? কিন্তু যখনই সুফা� রুমি� তাজি� এর ‘আমি এব� একটি বনসা� গাছ� পড়ে ফেলবেন, আম� এই প্রশ্নের উত্ত� নিশ্চিতভাব� পেয়� যাবে� আমার ধারণা। আজকে সে� বই নিয়� আলাপ করছি�

প্রথমত বইটা বেসিক্যালি সমকালী� ড্রামা জনরার। � বছ� পর� প্রবাস� কৈশো� কাটানো মেয়� মাঈশ� আসছে বাবা আহাদ সাহেবে� কাছে, সাথে আছ� একটা প্রশ্ন� ১৬ বছ� আগ� যে ঘটনাটা ঘটেছিল সেটা� পেছন� মাঈশার দায় কী? কে� ওর জীবনটা এম� হল�? কে� ওর সে� হিরো বাবা আগলে রাখত� পারলেন না ওক�, নাকি আসলে চাইলেন না?

এই বই আসলে প্লট নির্ভর বই না (অন্ত� আমার কাছে)� এই বইয়ের পুরোটা� আসলে লেখকের শক্তিশালী লিখনশৈলী� শো-ডাউন� আর সে কাজট� লেখক করেছেন অত� সুনিপু� দক্ষতায়� কথাসাহিত্য বা লিটারারি ফিকশ� পড়া� শান্তি� এইখানে� গল্পের চাইতেও বড� হয়ে ওঠ� বহমা� স্রোতে� মত কন্টিনিয়া� ভালো লিখনশৈলী� একইসাথ� লেখকের জন্য এট� একটা চ্যালেঞ্জও বটে। তব� � বইয়� সে চ্যালেঞ্� খু� সহজে� উতরে গেছে� লেখক�

যেটুকু প্লট� একটা সেরা গল্প লেখা যায় সেটুকু তো আছেই, সাথে এক্সিউকিউশনে� দুর্দান্� একটা উদাহরণ হয়ে থাকব� � বইটা� ১২� পে� এর বইতে ক্যারেক্টারাইজেশ� শক্তিশালী কর� খু� কঠিন কাজ। লেখক একটা না, প্রতিট� চরিত্রকে খুবই চমৎকারভাবে তৈরী করেছেন� একটা চরিত্র� ছিটক� যায়নি তা� গতিপ� থেকে, এমনক� আপাত অগুরুত্বপূর্� বড� চাচী রাফিয়� চরিত্রটাও। স্রে� এই ব্যাপারটাই অবাক করার জন্য যথেষ্ট� আর যে অ্যামবিয়েন্সট� দিয়েছেন, গ্রামে� বাড়িত� কাজিনে� বিয়�, সবদিকে একটা উৎসব উৎসব অবস্থা, থুরথুর� বয়স্ক মায়াবতী দাদী; দারু� একটা নস্টালজি� সেটআপ। তব� শুধু চমৎকার লেখা� বাইরেও লেখক যাপি� জীবনের আপাত দর্শ� অত� সহ� ভাষায় তুলে ধরেছেন� সাবলী� শব্দের ব্যবহারে আপনি টেরও পাবে� না কখ� চোখে পানি চল� এসেছ�; এই যে পাঠককে চরিত্রের মধ্য� একাত্ম কর� ফেলা� দক্ষতা, এট� সব লেখকের থাকে না� আর যখনি থাকে, তখ� লেখক হয়ে ওঠ� আমাদের পছন্দে� কথ�-সাহিত্যিক।

স্রে� কয়েকট� জায়গায় একটু থার্� আই পড়লেই আমার মন� হয�, এই বইটা নিয়� আমার কোনো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্� অভিযোগ� থাকত� না� যেমন : লেখকের লেখায় আগেও খেয়াল করেছ� ক্রিয়াপদে উত্ত� পুরু� কখনো কখনো না� পুরু� চল� আস�, কখনো হয� এর উল্টোটা। � বইতে সেটা অনেকটা� কম� গেছে, তব� অন্ত� দুটো জায়গায় আমার চোখে পড়েছে (পারেনি লেখা আছ�, হব� পারিনি; এই টাইপের আর কি)� তব� এর চাইতেও মেজর যে সমস্যাটা আমার চোখে পড়েছে সেটা হচ্ছ� লেখক হুমায়ূন আহমে� দ্বারা যে বে� প্রভাবিত, সেইট� লেখায় উঠ� আসা। এর আগ� ‘অন্তঃশূন্যে অন্ধ হিম� বইতে এই প্রভাবের ব্যাপারট� প্রব� ছি�, এবার অনেকটা� কাটিয়� উঠেছেন তব� ‘এসো নীপবনে…� গানট� আবার সে� ফিলট� ফিরিয়� এনেছে। ব্যাপারট� এম� না যে বইতে এই গানট� ব্যবহারে� অধিকার স্রে� হুমায়ূন আহমদের� আছ�, কিন্তু স্টি� বইটা যেখানে হুমায়ূন আহমেদে� শুরু� দিকে পরিবার কেন্দ্রি� গল্পের ভাইব দেয় (� ভাইবকে একদম� হুমায়ূন আহমেদে� টো� ধরবে� না প্লি�), সেখানে এই গানট� একটু হলেও অস্বস্তি জাগায়� আর সেটাতে ছাপ্পা মেরে দেয় বইতে ‘কচি কলাপাত� রঙ� এর ব্যবহার। এগুল� বইটা পড়ত� জেনারালি কোনো সমস্যা তৈরি না করলে� চোখে পড়ল� একটু অস্বস্তি জাগায়, এই যা� তব� সে� সাথে এটাও ঠি�, যত� থার্� আইকে দেখানো হো� না কে� সব পাঠককে ১০�% সন্তুষ্ট কর� কোনো বইয়ের পক্ষেই সম্ভ� না� তা� � কথাগুল� আসলে অভিযোগ হিসেবে না নেয়ার অনুরোধ থাকলো। � বইটা আমার মত�, � যাবৎকালে লেখকের লেখা সেরা বই� লেখক যেহেতু সোশ্যা� মিডিয়ায� আছেন, তা� তা� কাছে অনুরোধ; আপনি থ্রিলা� লেখে� বা না লেখে� সমকালী� জনরায় অবশ্যই লিখবেন�

বইটা আপনাকে বা� বা� কাঁদার উপলক্ষ তৈরি কর� দিলে� আম� সাজেস্� করবো � আবেগকে একপাশে সরিয়ে রেখে বইটা পড়া শে� কর� অন্ত� ৫ট� মিনি� বইটা নিয়� ভাববেন� হয়ত� আবেগের বাইরেও বইটা� অন্য ডাইমেনশন আপনা� চোখে পড়বে। আর এই মর্ম� শেষমেষ বই-বহির্ভূত একটা উক্ত� দিয়� শে� কর�,

“An ancient tribal proverb goes like that, Before we can see properly we must first shed our tears to clear the way.�

রেকমেন্ডেশ� : স্রে� দু� টাইপের মানুষকে। যারা বই পড়ে� আর যারাবইপড়েননা।
Profile Image for Zakaria Minhaz.
222 reviews17 followers
February 15, 2025
#Book_Mortem 208

আম� এব� একটি বনসা� গা�

সুদূ� পরবাসে মাঈশ� বিয়� করতে যাচ্ছে, তব� তা� আগ� সে চায় বাংলাদেশ� থাকা তা� জন্মদাতা পিতা� সাথে আরেকটাবা� দেখা ক��তে। যে বাবা তাকে ছো� বেলায় আদরে আদরে মাথায় তুলে রাখতেন, তিনি কে� তাকে দূরে ঠেলে দিয়েছিলেন সে� প্রশ্নের উত্ত� জানত� হব� তাকে� বাবা তাকে দেখল� কী করবে�? তিনি কি মাঈশাক� বুকে জড়িয়� নিবে�? নাকি স্রে� অনুভূতিহী� চোখে তাকিয়� থাকবেন� এম� অনেক প্রশ্ন নিয়� দেশে পা রাখল দূর্ভাগা মেয়েটা।

বন্ধ� মহলে আম� অতিরিক্ত আবেগী হিসাবে পরিচিত� হুটহাট বইয়� আবেগী দৃশ্� আসলে প্রায়� চো� ভিজে উঠে। বনসা� গা� বইটা সে� তুলনায� আর� এক কাঠি সরেস� আম� নিশ্চি� কঠিন হৃদয়ে� মানুষেরও চো� ভিজে উঠতে বাধ্� বইটা পড়ত� গিয়ে। তা কি এম� আছ� বইয়�?

চরিত্রায়ন

এই বইয়ের গল্পটা খু� খু� সাধারণ� কিন্তু এই সাধারণ গল্পটা� অসাধার� হয়ে উঠেছ� দুটো কারনে। এক, লেখিকা� লিখনশৈলী� দু�, উনার কারেক্টারাইজেশন। বইয়� আস� প্রায় প্রতিট� চরিত্রকে আপনি মানসচক্ষ� দেখত� পাবে�, তাদেরক� অনুভ� করতে পারবেন; এতোটাই বাস্তবভাবে তাদেরক� উপস্থাপন করেছেন লেখিকা� নিঃসন্দেহে বইয়ের সবচেয়� প্রিয় চরিত্র মাশাল। আম� নিশ্চি� এই বইটা পড়ল� প্রতিট� মেয়� মাশালে� মত� হত� চাইবে। নামট� কিছুটা অদ্ভুত লাগত� পারে, কিন্তু ছাপা� অক্ষরে� এই মাশা� মেয়েটার কথ� আমার দীর্ঘদিন মন� থাকবে।

এরপর মাঈশার কথ� তো বলতে� হয�, যদিও সে বইয়� ২৫ বছরে� যুবতী� কিন্তু আম� তাকে দেখেছি তা� সে� শিশুবেলা� রূপে! যে সময়টায় সে তা� বাবা� কা� থেকে আলাদ� হয়ে যেতে বাধ্� হয়েছিল। আহার� মেয়েট�!! কী কষ্ট! কী মায়�!! লেখিকা এই মেয়েটিক� এঁকেছে� প্রব� মায়াবতী রূপে� কিছুটা দ্বিধান্বি�, প্রচণ্� দুঃখী আর খানিকট� বেপোরোয়�; কিন্তু সবটা� মায়� দিয়� মোড়ানো।

এছাড়া� আছেন তহুর� বেগম, যে বৃদ্ধা সবচেয়� বেশি কেঁদেছেন, সবচেয়� বেশি কাঁদিয়েছেন। আছেন আজমেরি, আসাদ, রাফিয়�, এব� আহাদ� প্রতিট� চরিত্র অত্যন্� যত্ন নিয়� গড়া� কে� প্রব� ব্যক্তিত্ববা�, কারো কঠিন হৃদয�, তো কে� বা কোমল হৃদয়ের। কে� জীবন কাটাচ্ছে বৈষয়ি� বিষয়াদি নিয়� মিত্� হয়ে, কে� বা উড়নচণ্ডী, কোনো কিছুকে� পাত্তা দেয় না� এমনক� বইতে আস� যাওয়া� মধ্য� থাকা সামান্� সময়ের চরিত্রগুলো� নিজেদে� অনেক কাছে� মানু� বল� মন� হবে। আর � সবকিছু লেখিকা কর� ফেলেছে� মাত্� ১২� পাতা� মাঝে� এট� ইঙ্গিত কর� লেখিকা� লেখা� হা� যথেষ্ট শক্তিশালী�

গ্রামে� বাড়ির বিয়�

শুধু কি চরিত্রায়ন? বইতে যে গল্পটা লিখত� চেয়েছেন তা� পরিবেশটা� তৈরি করেছেন নিপু� দক্ষতায়� গ্রামে� বাড়ির বিয়� পড়ত� গিয়� যে� ফিরে গিয়েছিলাম নিজে� শৈশব, কৈশোরে� সময়টায়� বইয়ের শুরুটা একটু এলোমেলো। মানে কো� চরিত্র কে কোথায় আছ�, বাবা কিংব� আব্ব� জনিত বিভ্রান্তি আর কে� কি হচ্ছ� তা বুঝত� একটুখানি সময় চল� যায়� কিন্তু এরপর বইটাতে যা আছ� তা এম� একটা গল্প যা� মাঝে হাসি, ভালোবাসা, দুঃখ, মায়� সবটা� খুঁজ� পাবে পাঠক�

বইয়ের শেষট� নিয়� মন� কিঞ্চি� হতাশ� আছে। এন্ডিং হয়ত� এমনই হত�, কিন্তু আহাদ সাহেবে� আচরণ বা সিদ্ধান্� আসলে মানা� মত� না� মানু� প্রব� দুঃখ� পড়ল� খড়কুটোর মত� পরিবারকে আগলে রাখত� চায়� আর এই লো� কি না...!!
আরেকটা আফসো� হল�, যে আবেগের ফুলঝুর� গোটা বই জুড়� ছড়িয়� ছি�, শেষে� দিকে সেটা� অনুপস্থি� থাকা� দুঃখের চাদর� মোড়ান� আবেগকে দারুণভাব� আনলে�, সুখে� আবেশের আবেগটুকু ঠিকঠাক প্রস্ফুটিত হয়ন� বল� মন� হয়েছে আমার কাছে�

ব্যক্তিগ� রেটি�: ০৯/১০ (আমার মনের অনেক অনেক কাছে� বই এটা। আম� দুঃখবিলাসী মানুষ।আর তা� আম� হয়ত� প্রায়� বইটা উল্টেপাল্ট� পড়ব)

পুনশ্চ: এই বইটা� জন্য লেখককে আন্তরি� ধন্যবাদ। কে� এই ধন্যবা�, তা আমার মনেই থাকুক। আপাত� বইয়ের একটুখানি অং� এখান� তুলে ধর�,

মাঈশ� মাথা নিচু কর� বসে। ওনার� বে� কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকেন। স্বাভাবি� থাকা� জন্য নিজেদে� সাথে নিজেরা যে� যুদ্� কর� যাচ্ছে� কে� যে� কিছু বুঝে উঠতে পারছ� না কী কথ� বলবে�
অনেক কষ্ট� আহাদ সাহে� বলেন, "তু� আমার কাছে একটু আসবি�"
মাঈশ� অবাক হয়ে তাকায়� তারপ� দ্রু� গতিত� ওর বাবা� দিকে ছুটে যায়� ওনার কোলে মাথা রেখে শব্দ কর� কেঁদ� ওঠে। নিজে� সাথে কর� প্রতিজ্ঞার কথ� ভুলে যায়� মাঈশ� কাঁদতে থাকে� এত বছরে� অবরুদ্� চোখে� পানি থামতেও চাইছ� না� বন্যার স্রোতে� মত� বয়ে যাচ্ছে� � কান্না থামানো� চেষ্টা� কর� না� চোখে� নোনা পানি� হয়ত� ওক� স্বাভাবি� হত� সাহায্� করবে� কান্না� মাঝে মাঝে অস্ফুট কণ্ঠ� � শুধু একটি শব্দ� উচ্চার� করছে, “বাব�...বাবা...।� কত কথ�, কত প্রশ্ন ওর মন� জম� হয়ে আছ� কিন্তু � কিছু� বলতে পারে না� শুধু কাঁদতে থাকে� বিরামহী� কান্না�
আহাদ সাহে� মেয়ের মাথায় হা� দিয়� শূন্যদৃষ্টিত� জানালা� দিকে তাকিয়� থাকেন।


� লেখক: সুফা� রুমি� তাজি�
� প্রকাশনী: বু� স্ট্রি�
� প্রচ্ছ�: নসিব পঞ্চ� জিহাদী
� পৃষ্টা সংখ্যা: ১২�
� মূদ্রি� মূল্�: ৪০� টাকা
Profile Image for Rehnuma.
365 reviews16 followers
Read
March 8, 2025
❛কাটেন� সময় যখ� আর কিছুতে
বন্ধুর টেলিফোনে মন বস� না
জানালা� গ্রিলটাত� ঠেকা� মাথা
মন� হয� বাবা� মত কে� বল� না,
আয� খুকু আয�, আয� খুকু আয়।�

এই দুনিয়ায� বা�-বেটি� সম্পর্� হল� সবথেকে স্নিগ্�, মধুর� কন্যার প্রত� বাবা� ভালোবাসা� সাথে তুলন� চল� এম� কিছু এই জগতে নেই। বাবা� রাজকন্যা হয়ে থাকে প্রতিট� মেয়ে। বাবা� দুঃখ� যেমন মেয়� ছটফটিয়ে উঠ�, তেমন� কন্যার যেকোনো প্রয়োজন� ঢা� হিসেবে থাকে বাবা�
কিন্তু জীবন কখনো ধ্রু� এই সত্যকে বদলে দেয়� বাস্তবতা অনেক কঠিন� জীবন কখনো এম� মোড়� এস� দাঁড়ায় যেখানে সম্পর্কগুল� বদলে যায়� সেটা কখনো ইচ্ছাকৃত আবার কখনো প্রকৃতির নিয়মে� কাছে ইচ্ছাক� বিলী� করার মতো।
পারিবারি� বন্ধ�, ভালোবাসা একটা আশীর্বাদ। বাঙালি� ঐতিহ্য একান্নবর্তী পরিবার� সেখানে সবাই মিলেমিশে কেমন কোলাহল� থাকে, এই কোলাহলের মধুরতা পৃথিবী� কোনো সঙ্গী� দিতে পারে না� কিন্তু সুন্দর এই অভিজ্ঞতা কি সবার জীবন� হয�?

মাঈশ� বাইর� থেকে বে� সুখী এব� পূর্ণত� ভর্ত� জীবনের একটি মেয়ে। মা, আব্ব�, দু� ছোটো বো� নিয়� বিদে� বিভুঁইয়� থাকছে। সম্পর্� আছ� খালাতো ভা� সাদমানের সাথে� সামন� তাদে� মালাবদলে� কথাও আছে। সুন্দর একটা পরিবার, একজন সঙ্গী আর কী লাগে সুখে� জন্য?
কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে বাইর� থেকে যাকে সুখী মন� হয� তা� ভেতর� যে এক অসী� পরিমাণ শূন্যত� আর দুঃখের বা� হত� পারে সে খব� কে� বা রাখে? মাঈশার ছন্দের জীবন� একটা সু� কেটে গেছে সে� ছোট্টকালেই� মা-বাবা আর অন্যান্যদে� নিয়� বেহেশতী সুখে� এক পরিবার ছি� তার। কিন্তু একটা দুর্ঘটনায় সব যে� তছনছ হয়ে গেল। যে বাবা মাঈশাক� কলিজার টুকর� মন� করতে�, দুর্ঘটনা� পর সে� বাবা� যে� প্রাণাধি� প্রিয় কন্যাক� সহ্য করতে পারতেন না� অসহ্� ঠেকছিল এককালে� মানিকজোড� উপাধ� পাওয়া স্ত্রীকেও। কে� এই পরিবর্তন?

আট কিংব� নয� বছ� বয়স� বাবাকে ছেড়� মায়ের হা� ধর� নতুন এক জীবনের শুরু করেছিল সে� কিন্তু বাবা� সে� অবহেলা ভুলেনি� তেমন� কমেন� বাবা� প্রত� ভালোবাসা� যাকে সে আব্ব� বল� আদতে সে মাঈশার সৎ বাবা� কিন্তু আপ� সন্তানের থেকে� বেশি ভালোবাসা আর গুরুত্� দিয়েছেন তিনি মাঈশাকে। তবুও � ক্� তো � ক্তই� আব্বুক� সে সম্মান কর� কিন্তু আপ� বাবা� জায়গাটা দিতে পারেনি�
অনেক পরিকল্পন� কর� মাঈশ� এবার ঠি� করেছ� বাবা� মুখোমুখি হব� আবার� কে� সে� রা� আর অবহেলা করেছিল তা� পিতা তাকে? কারণ কী ছি� সে� আচরণের? তব� ভয� এখনো আছ� গেলে� কি পিতা তাকে আপ� কর� নিবে�? সতের� বছ� অনেক বেশি দীর্� এক সময়!
মাঈশ� দেশে এসেছে। ভেতর� কোনো আনন্� বা উত্তেজনা নেই। আছ� একরা� শূন্যতা। দুঃখী এই মেয়েটির প্রত� বিধাতা কি এবার সদয় হবেন?
পিতা আহাদ নিজেকে বন্দী কর� ফেলেছে� একটা কক্ষে। যেখানে একটা হুইলচেয়ার, অসংখ্য বই আর বনসা� গা� তা� সঙ্গী� মেয়ের মুখোমুখি হবেন কি তিনি?
পারিবারি� বন্ধ�, ভালোবাসা সবকিছু ছাপিয়� পিতা আর কন্যার পুনর্মিলনী কেমন হব�? নীরব বাড়িট� আবার প্রা� ফিরে পা�, বন্ধ জানালা খুলে যা� এইতো চাওয়া�

❛আয়রে আমার সাথে গা� গেয়� য��
নতুন নতুন সু� নে শিখে নে....
গর� কফির মজ� জুড়িয়ে যায়
কবিতার বইগুলো ছুঁড়ে ফেলি
মন� হয� বাবা যদ� বলতো আমায�,
আয� খুকু আয�, আয� খুকু আয়।�

এরকম একটা সময় কি পাবে মায়াবতী তরুণীটি? অতী� খুঁড়ত� গেলে অনেক সত্য বেরিয়� আস� যা অনেকসময় সুখে� হয়না। তবুও মানু� অতী� খুঁড়ে� সে� আশ� নিয়েই হয়ত� সব ঠি� হয়ে যাবে�
যে মানুষট� অনেক বিশালত� নিয়েও নিজেকে বনসাইয়ে� মত� আবদ্� কর� রেখেছে সে কি পাবে মুক্তি� স্বা�?


পা� প্রতিক্রিয়া:

❝আমি এব� একটি বনসা� গাছ❞ সুফা� রুমি� তাজিনে� লেখা বিষন্ন সুন্দর একটা উপন্যাসিকা�
উপন্যাসিকা� কাহিনি সামাজি�, যাপি� জীবনের কোনো ঘটনাকে নিয়েই� কিন্তু সাধারণ ঘটনা� লেখা� গুণে অসাধার� হয়ে যায়� এতটা� অসাধার� হয� যে পড়া� পর কেমন শূন্যত� বিরা� করে। কিছু� ঘটেন� কিন্তু কী জানি একটা পরিবর্তন হয়ে গে� এম� অনুভূত� হয়। এই বইটি� তেমন�
এক কন্য� যে সতেরোট� বছ� তৃষ্ণার্� ছি� পিতা� আদরে�, এক পিতা যে নিজেকে গুটিয়� রেখেছে� বছরে� পর পর ধরে। এক মা যিনি সন্তানের জন্য কঠোর এক সিদ্ধান্� নিয়েছিলেন�
উপন্যাসিকা� শুরুটা খু� সুন্দর� মাঈশার বাবা� প্রত� ভালোবাসা আর নিজেকে ফিরে পাওয়া� গল্প এত দারুণভাব� বর্ণনা হয়েছে যে মুগ্� না হয়ে উপায� নেই।
কিছু গল্প আছ� নিজে� সাথে রিলে� কর� যায়� এই উপন্যাসিকায় নিজে� অতী� যে� ভেসে উঠেছিল� স্মৃতি� পাতায় আমিও হারিয়� গিয়েছিলাম বনেদী বাড়ির সে� কোলাহলে।
পিতা কন্যার সম্পর্কে� কথ� বলতে গিয়� এখান� এসেছ� অসাধার� সুন্দর এক পরিবারের বর্ণনা� যেখানে সবাই একত্� হয়ে আনন্� করছে� নিশ্চু� বাড়� পরিবারের সদস্যেদে� আগমন� গমগম করছে� পারিবারি� বন্ধ� এত সুন্দর কর� বর্ণনা করেছেন যে� সব নিজে� চোখে� দেখছিলাম� উপলব্ধ� করতে পারছিলাম নিজে� ছেলেবেলা�
একটা সময় আমার বাড়� ছি� কোলাহলের কেন্দ্রবিন্দু। সপ্তাহান্ত� পরিবারের সবাই আসতো ঈদ ঈদ একটা খুশি বিরা� করতো� হাসি আনন্দে কেটে যেত।
পরিবারের সবার মধ্য� মিলে� সাথে কিছুটা টানাপোড়� থাকে সেটা� এখান� খু� সুন্দরভাবে উঠ� এসেছে।
প্রশংসনীয় একটা দৃষ্টিভঙ্গ� উঠ� এসেছে। সৎ পিতা মানে� যে� অবহেলা করছে এই বিশ্বাসক� একদম বদলে দিয়েছেন� সৎ কন্যার জন্য নিখাঁদ ভালোবাসা আর তাকে গুরুত্� দেয়ার অদ্ভুত সুন্দর চিত্� ফুটিয়� তুলেছে� গল্পের মাধ্যমে।
পরিবারের সকলে� একত্� হওয়�, বহ� বছ� পর দাদী� তা� নাতনিক� চোখে� সামন� দেখা� পরের অনুভূত�, কলাপাত� রংয়ের শাড়িত� দু� তরুণী� বাড়িময় বিচর� এই দৃশ্যগুল� চোখে� শান্তি, পড়া� তৃপ্তি�

YJHD এর bunny এর মত� � বর্ণনা গুলোতে আমার� বলতে ইচ্ছ� হচ্ছিল,
❛আগা� মেরে পা� দি� হোতা তো পাক্কা ইয়ে সি� দেখকার রো দেতি� (মডিফাই� আরকি!)

একটা ভেঙে যাওয়া পরিবারের মধ্যেও যে বন্ধ� থাকে, কুটিলত� বর্জিতভাবে� যে থাকা যায় তা এই ছোট্� উপন্যাসিকা� মধ্য� দিয়� বুঝিয়� দিয়েছেন�
টানাপোড়� সত্ত্বেও জাদু� মত� কারো উপস্থিতিতে যে� সবকিছু প্রা� ফিরে পাচ্ছিলো� শেষট� খু� সুন্দর� সত্য তিক্� হলেও সে সত্যির মাধ্যম� ইত� বে� নির্মল� হয়ত� বিধাতা� ইচ্ছাই ছি� এটা।

চরিত্র:

মাঈশ� চরিত্রটা খুবই সুন্দর� নির্মল, স্নিগ্�, মায়াবতী� এম� ভালোবাসায় ভর্ত� চরিত্রের প্রত� গল্প� সুবিচা� হয়েছে� তাকে কল্পনা করতে পারা গেছে� তা� অনুভূতিগুল� উপলব্ধ� কর� গেছে�

গল্পের জাদু� কাঠি� মত� এক চরিত্র ছি� মাশাল। এত প্রাণবন্� এক তরুণী যে কিনা নিজে� পরশে সবাইকে রাঙিয়� দেয়� যে সবার বন্ধু। যা� সামন� নিজেকে মেলে ধর� যায়� এই চরিত্রটা পুরো উপন্যাসে� প্রা� ছিল।

আহাদ চরিত্রটা রূপক সে� বনসাইয়ে� মতোই ছিল। বিশালতার মাঝে� ক্ষুদ্� হয়ে ছিলেন। ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব, আবেগ আর অভিমানের মিশেলে তৈরি�

এখান� না বললে� নয� রাফিয়� চরিত্র নিয়ে। তাকে কিছুটা নেগেটি� দেখালে� তা� ব্যক্তিত্বের ভালো দিকগুল� হালক� � খারা� দিকক� ঢেকে দিয়েছে। ওইটু� খারা� কি যৌক্তি� ছি� না? মানু� স্বার্� ছাড়� ত্যা� স্বীকা� কর� না� সেখানে রাফিয়ার আচরণ ভু� নয়। তাকে বে� লেগেছে�


প্রচ্ছ�, প্রোডাকশ�:

বইটা� প্রচ্ছ� স্নিগ্ধ। বইতে মুদ্রণ প্রমাদ লক্ষ্য কর� গেছে� মাঈশ� আর মাশা� নামে� ক্ষেত্রে অল্প জায়গায় পেঁচিয়ে গেছিলো�


❛পরিবা� এক বন্ধনে� নাম। এই বন্ধ� কখনো সু� কেটে গিয়� থমকে যায়� কিন্তু ইচ্ছ� আর ভালবাসাই পারে সব বাঁধাক� টপকে সুখে� সন্ধান দিতে� পরিবারের অনেকগুলো ভালোবাসা� এক� বন্ধন।�
Profile Image for Shuk Pakhi.
476 reviews224 followers
January 1, 2025
হুমায়ূন আহমে� অত� রুপবতী, মায়াবতী তরুণী শব্দগুলো এমনভাব� পাঠকের মাথায় গেথে দিয়েছেন যে কো� বইতে এই শব্দগুলো দেখলেই হুমায়ূনীয় প্রভাব মন� হয়।
যাহো� � বছরে� প্রথ� বই এটা। পড়ত� বে� ভালো� লেগেছে� লেখা� স্টাইল ভালো, গদ্য সুন্দর � সাবলী�, ইমোশনা� কাহিনী� তব� একটা সংসা� ভাংগার জন্য, একজন পিতা� তা� একমাত্� কন্যাক� দূরে ঢেলে দেওয়া� জন্য যেসরকম সিরিয়াস কারন থাকব� বল� আশ� করেছিলাম শেষে গিয়� কারনটাকে সেরক� সিরিয়াস লাগে নি� তব� যে কারন দেখানো হয়েছে সেটা� কম সিরিয়াস না�
সম্পর্কে� মধ্য� সমস্যা থাকল� মন খুলে আলাপ করুন� সেখানে� অর্ধেক সমাধান হয়ে যাবে� তব� বেকুবী� কো� সমাধান নাই।
Profile Image for Raihan Ferdous  Bappy.
155 reviews5 followers
February 13, 2025
"আচ্ছ� মানু� কি সবসময় বুঝত� পারে আসলে সে কি চায়� ওর নিজে� কী চাওয়া তা কি � জানে? কখনও মন� হয� জানে আবার কখনও মন� হয� জানে না�"

শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ার�
রা� �:১৮�

এই গভী� রাতে শে� কর� ফেললাম এম� একটা সাধারণ বই যা লেখনী� জন্য� সুন্দর লেগেছে� বাবা-মেয়ের একটা সুন্দর ছো� গল্প� যা� প্রত্যেকটা শব্দ� খুঁজ� পেয়েছ� মায়া।

পঁচি� বছরে� তরুণী মাঈশ� প্রায় এক যু� পর� বাংলাদেশ� এসেছ� তা� বাবা� সাথে দেখা করতে� বাবা মায়ের আলাদ� হয়ে যাবা� পর� কেটে গেছে বারোটা বছর। এই দীর্� সময় পর� বাবা� সামন� দাঁড়াতে কেমন লাগব�? তা� বাবা� প্রতিক্রিয়াটা� কিরক� হব�? সবকিছু সুন্দর হয়ে যাবে তো? সম্পর্কট� সাবলীলই থাকব� তো? বাবা-মেয়ের এই সুন্দর সম্পর্কে� বিষয়ে জানত� হল� পড়ত� হব� বইটা�

সুফা� রুমি� তাজিনে� বই এর আগ� কখনো পড়া হয়ন� আমার� এইটা� প্রথম। বইটা কিনেছিলা� প্রচ্ছ� দেখে� প্রচ্ছদট� চমৎকার লেগেছিলো� বইটা পড়লাম� বইটা� বে� সুন্দর� লেখা� ধরনট� খু� সুন্দর� একটা আপ� আপ� ফি� পাওয়া যায় লেখা� মধ্যে। পড়ল� আরাম লাগে�

সবমিলিয়�, বে� সুন্দর গোছানো একটা বই� এক বসাতেই শে� কর� ফেলত� পারবেন� পড়ে ফেলেন। ভালো লাগবে।
Profile Image for ANIT.
83 reviews1 follower
March 31, 2025
সুফা� রুমি� তাজি� দিনদিন নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। হ্যাটস অফ এত সাধারণ গল্পকে এত সুন্দরভাবে ফুটিয়� তোলা� জন্যে।
বা� দ্� ওয়ে, 'একটি গাছক� কখনো শেকড� থেকে উপড়� ফেলা যায় না'�
Profile Image for Ramisa.
16 reviews
February 27, 2025
কিছু কিছু বই থাকে, যা শুধু গল্প বল� না—স� অনুভূত� ছুঁয়ে যায়, শূন্যত� জাগিয়� তোলে, পুরন� কিছু প্রশ্নকে আবার নতুন কর� সামন� এন� দেয়।সুফাই রুমি� তাজিনে� "আম� এব� একটি বনসা� গা�" পড়ত� পড়ত� মন� হল�, এট� যে� একটা নর� অথ� গভী� অনুভূতির গল্প, যেখানে সম্পর্কে� জটিলতা, আত্মোপলব্ধ� আর হারিয়� যাওয়া দিনে� দীর্ঘশ্বাস একসাথে জড়িয়� আছে। বইটা পড়া� পর থেকে� মন� হচ্ছিল, এট� শুধু একটা উপন্যা� নয�, বর� একটা দীর্� চিঠি—একজ� মেয়� তা� বাবাকে লিখেছে, কিংব� একজন বাবা তা� হারিয়� যাওয়া মেয়ের উদ্দেশ� রেখে গেছে।এ গল্পটা যে� আমাদের সবার, আমাদের বাবাদে�, আমাদের ফেলে আস� শৈশবের�

গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র মাঈশ�, যে প্রায় এক যু� পর বিদে� থেকে দেশে ফিরে এসেছ�, এক�, কিন্তু হৃদয়ে জম� থাকা হাজারো প্রশ্ন নিয়ে। ছোটবেলায� তা� বাবা ছিলে� তা� পৃথিবী� সবচেয়� নির্ভরযোগ্� মানু�, কিন্তু একটা সময়ের পর সে� মানুষটাই যে� দূরে� কে� হয়ে গেল। কে�? কী এম� ঘটেছিল যে বাবা-মেয়ের মাঝে একটা অদৃশ্য দেয়াল গড়ে উঠ�? সে� দেয়াল কি কখনো ভাঙব�? নাকি দূরত্বটা থেকে যাবে চিরকাল?

এই প্রশ্নগুলো� উত্ত� খুঁজতে খুঁজতে� বইয়ের পাতায় হারিয়� যেতে হয়। মাঈশ� তা� বাবা� সামন� দাঁড়ানো� আগ� বারবার ভাবত� থাকে, বাবা কি তাকে আগের মত� ভালোবাসব�? তাকে দেখে� কি বুকে টেনে নেবে, নাকি সে� চেনা গাম্ভীর্� আর কঠিন মুখাবয়ব নিয়েই বস� থাকব�? সম্পর্কে� এই জটিলতা� মধ্য� একটা ছোট্� বনসা� গা� বারবার উঠ� আস�, যা প্রতী� হয়ে দাঁড়ায় তাদে� সম্পর্কের—বেঁচে আছ�, কিন্তু পূর্� বিকা� ঘটতে পারেনি, শিকড� গেড়েছ�, কিন্তু বড� হত� পারেনি�

সুফা� রুমি� তাজিনে� লেখা� একটা চমৎকার গু� আছে—তিন� খু� সাধারণ ভাষায়, কিন্তু গভী� আবেগ� গল্প বলতে পারেন। এই বইতে তিনি খু� সহজভাব� বাবা�-মেয়ের সম্পর্কে� টানাপোড়েন দেখিয়েছেন� সম্পর্� কখনো সরলরেখায� চল� না, মাঝেমাঝে বাঁক নেয়, কখনো বা থেমে যায়� মাঈশার গল্প আমাদের নিজেদে� সম্পর্কগুলোর কথ� মন� করিয়ে দেয়—আমাদে� বাবাদে�, মায়েদের, হারিয়� যাওয়া শৈশবের কথা।

লেখক এক জায়গায় লিখেছে�:
"ওই যে বললা� বাবারা কেমন হয�, সেটা� ভুলে গিয়েছি।"
এই একটা লাইন� যে� পুরো গল্পের সারসংক্ষেপ� সময়ের সাথে সাথে আমরা বড� হই, দূরে চল� যা�, অথ� আমাদের বাবা-মায়ের� ঠি� সেখানে� থেকে যা�, হয়ত� একটু বদলে যা�, কিন্তু মূলত তারা এক� থাকেন। সম্পর্কগুলোও তাই—দূরত্� বাড়�, কষ্ট জম�, কিন্তু একসময় বোঝা যায়, ভালোবাসা আসলে কোথা� হারিয়� যায় না, শুধু প্রকাশের ভাষাটা বদলে যায়�

এই উপন্যা� শুধু একটা বাবা�-মেয়ের গল্প না, এট� আমাদের সবার গল্প� জীবনের ব্যস্ততায় আমরা অনেক সম্পর্কে� যত্ন নিতে পারি না, অভিমান জমতে জমতে একসময় দেওয়া� হয়ে যায়� কিন্তু সম্পর্কে� শিকড� থাকল�, একটু যত্ন নিলে� আবার সেটা নতুন পাতায় ভর� ওঠে।

"আম� এব� একটি বনসা� গা�" পড়ত� পড়ত� আপনারও হয়ত� নিজে� বাবা� কথ� মন� পড়ব�, হয়ত� পুরন� কোনো সম্পর্কে� কথ�, যেটা� যত্ন নেওয়া দরকা� ছিল। বইটা শে� করার পর একটা শূন্যত� কা� কর�, আবার একটা তৃপ্তি� আসে—কিছ� গল্পের শে� হয� না, শুধু মানু� বদলায়, সময় বদলায়।এ� বই পড়ত� গিয়� আম� বারবার থেমেছি, ভেবেছি, কিছু কিছু লাইন ফিরে গিয়� আবার পড়েছি� মাঈশার মতোই হয়ত� আমরা� জীবনের কোনো না কোনো মোড়� দাঁড়িয়� আমাদের বাবা-মায়ের সঙ্গ� ফাঁক� হয়ে যাওয়া দূরত্বটা অনুভ� করেছ�, কিংব� হয়ত� এম� একসময় এসেছ�, যখ� অনুভ� করেছ� যে ভালোবাসা থেকে� যে� কোথা� হারিয়� গেছে� এই বই সে� অনুভূতিগুলোক� তুলে আন� খু� সহ�, কিন্তু হৃদয়গ্রাহী ভাষায়�
Profile Image for Sakib A. Jami.
265 reviews25 followers
January 4, 2025
এক জীবন� মানুষে� অপূর্ণতা� গল্প শে� হওয়ার নয়। যেখানে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসা� মেলে না� মা�-অভিমানের পাহাড় জমে। মানুষটার জীবন� যতটুকু যায়, তা� অনেকটা� পাওয়া হয� না� কত প্রশ্ন জম� থাকে, যা� উত্ত� খুঁজ� পাওয়া যায় না� তবুও মানুষক� চলতে হয� ভারসাম্য রক্ষ� করে। কে� কে� খুঁজ� পেতে চেষ্টা কর� কাঙ্ক্ষি� উত্তর। হয়ত� সব প্রশ্নের উত্ত� পাওয়া সম্ভ� না� কিছু প্রশ্নের উত্ত� পাওয়া বোধহয় উচিত� না� তবুও নিজে� জীবনের লক্ষ্য থেকে মানু� এক পা-� বিচ্যু� হয� না�

মাঈশ� তেমন� এক লক্ষ্য নিয়� যে� এগিয়ে চলেছে। আপাত দৃষ্টিতে মানুষক� সুখী মন� হলেও তা� সু� কতটা সেটা কে� জানে না� জানা সম্ভ� নয়। মনের মধ্য� গুমর� থাকা সুখে� অসুখ যে� বাড়তে বাড়তে ছড়িয়� পড়ে পুরো দেহে � মনে। মাঈশাক� দেখল� সুখী মন� হয়। সে দেশে� বাইর� থাকে� তা� একটা পরিবার আছে। মা আছ�, আব্ব� আছ�, ছো� দু� বো� আছে। যারা তাকে খু� ভালোবাসে� মা আগলে রাখে, আব্ব� স্নে� কর�, দু� বো� যে� বড� আপুর প্রত� অন্তঃপ্রাণ� তবুও কোথা� যে� কিছু একটা নেই। মাঈশার পৃথিবীতে এক শূন্যতার বিচরণ। যা পূরণ করার ক্ষমতা কারো নেই।

মাঈশ� যাকে আব্ব� বল� ডাকে, তিনি তা� নিজে� বাবা নন� সৎ বাবা হলেও আদরে কোনো কমতি রাখেনি� তবুও মাঈশ� নিজে� বাবাকে খোঁজে। জীবনের পঁচি� বসন্� পেরিয়� তা� দেশে ফেরা� সিদ্ধান্� নিয়েছ� সে� নিজে� বাবা� কাছে থাকা� ইচ্ছ� তাকে এই সিদ্ধান্� নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

মাঈশার যখ� আট বছ�, ঠি� তখ� সে তা� বাবাকে ছেড়� চল� আসে। একটি দুর্ঘটনা সে সময়� তা� মা � বাবা� বিচ্ছেদে� কারণ হয়ে দাঁড়ায়� মা মেয়েক� নিয়� তা� নতুন স্বামী� সাথে দে� পেরিয়� এই বিদেশে এস� থিতু হয়। ছোট্� মাঈশার পুরো পৃথিবী ভেঙে পড়ে� সবার চাপিয়� দেওয়া পৃথিবীতে সে একটু একটু কর� বড� হত� থাকে� কে� জানতেও চায় না মাঈশ� কী চায়, তা� পৃথিবী কীভাবে রাঙাতে চায়�

তা� প্রাপ্তবয়স্� হয়ে ওঠ� পরিপূর্ণ নারী মাঈশ� নিজে� সিদ্ধান্� নিয়েছ� দেশে ফেরার। বিয়ের আগ� বাবা� সাথে থাকা� ইচ্ছ� তীব্র। নিজে� পৈত্রি� ভিটেমাটি� স্পর্শ পেতে ইচ্ছ� করে। কিন্তু দ্বিধা এক জায়গাতেই। তা� বাবা কি তাকে স্বাভাবিকভাব� মেনে নেবে? কত বছ� হয়ে গে�, একবারও যে দেখা পর্যন্� করেনি। মেয়েক� বুকে টেনে নেয়নি� এত বছ� পর আবেগ অনুভূতির যদ� মৃত্যু হয�?

বাবা� চোখে� নির্লিপ্তত� যে সহ্য করতে পারব� না মাঈশা। তা� দাদী, ফুফু, চাচা তাকে কি আগের মত� ভালোবাসব�? মাহি� ভাইয়া, মাশা� আগের মত� তাকে গুরুত্� দেবে? শঙ্ক�, উৎকণ্ঠায� যে সময়টা পা� করছে মাঈশ� সে� সময়টা� মুখোমুখি তাকে হতেই হবে। সময়� বল� দেবে তা� এই পরিবার� জায়গা কতটুকু, আর কতটা দূরে সর� গিয়েছে।

◾পাঠ প্রতিক্রিয়া :

কিছু কিছু বই থাকে, যে বই শে� করার পর অদ্ভুত ঘোরলাগ� কা� করে। এক ধরনে� তৃপ্তি অনুভূত হয়। এই সময়টা অন্য কোনো বই পড়ত� ইচ্ছ� কর� না� অন্য কোনো কিছু মাথায় রাখত� ইচ্ছ� কর� না� “আমি এব� একটি বনসা� গাছ� তেমন� একটি বই� গল্পটা খুবই সাধারণ� আহামরি কোনো কিছু ছি� না� তবুও এই সাধারণ গল্পটি অসাধার� হয়ে উঠেছিল শুধু মাত্� লেখিকা� লেখনশৈলী� শক্তিতে।

সুফা� রুমি� তাজিমে� লেখনশৈলী দুর্দান্ত। খুবই সাধারণ গল্প তিনি যেমন অসাধারণত্বের মোড়কে জড়িয়� ধরতে পারে�, তেমন� পাঠকের সাথে গল্পের এক ধরনে� সংযো� স্থাপন করতে পারেন। আর এই সংযোগে� কারণ� গল্পের সাথে পাঠকের� আবেগ� ভেসে যাওয়া অসম্ভব কিছু নয়।

“আমি এব� একটি বনসা� গাছ� আগাগোড়া আবেগ জড়ানো এক গল্প� বাবা-মেয়ের গল্প, পারিবারি� ভাতৃত্ববোধের গল্প� যে গল্প কখনও হাসায়, কখনও কাঁদায়। কখনও ভাবায় জীবনের এই পুরো পথ জুড়� প্রাপ্তি� সংখ্যাটা কী? প্রাপ্তি� সীমাবদ্ধতায় এই অপ্রাপ্তির সংখ্যায় কতটা ভু� মিশে আছ� এই পথ জুড়ে। সুফা� রুমি� তাজিমে� এই বইটা যে� ছড়িয়� আছ� মানুষে� অনুভূতিত�, তাদে� ভাবনাতে।

বাহ্যি� ব্যবহা� � দৃষ্টিতে একজন মানুষক� খু� সহজে বিচারে� কাঠগড়ায� দাঁড� করিয়ে দেওয়া যায়� কিন্তু তা� মনের ভেতর� কী তোলপাড� চল� সেটা আমরা কে� জানি না� এই সমাজ� আমরা প্রত্যেক� অভিনয় কর� টিকে আছি। এই অভিনয়ের যাত্রাটা ভিন্ন। মানু� ভেদে ধরনও ভিন্� হয়। বাবা-মায়ের সাথে যেম�� অভিনয় কর�, সন্তানের সাথে সে� অভিনয় অন্যরক� হয়। নিজেদে� প্রকৃত অনুভূত� আড়ালে রেখে হয়ত� জিতে যাওয়া যায়� কিন্তু প্রকৃতপক্ষ� পরাজয় এখান� অনুমেয়।

বইটি� সবচেয়� দুর্দান্� যে বিষয� আমার লেগেছে সেটা হল� পারিবারি� মিলনমেলা� পরিবারের মেয়� যে এতবছ� দেশে� বাইর� ছি�, তা� সৎ বাবা� সাথে; তা� সাথে বন্ধনে� দৃঢ়তা দেখানো হয়েছে, আবেগ জড়ানো � বন্ধ� যে� সবকিছু� ঊর্ধ্বে। দূরত্ব সম্পর্কে� বাঁধনে কখনও বাঁধ� হত� পারে না� ভালোবাসা সবসময় এক� থাকে� প্রকাশ হয়ত� হয� না, তবুও ঠিকই প্রকাশ পায়�

সব ছাপিয়� এই বইটি� গুরুত্বপুর্ণ ছি� বাবা, মা � মেয়ের অনুভূতি। বাবা� প্রত� মেয়ের ভালোবাসা, অভিমান; মেয়ের প্রত� বাবা� আবেগ, কে� মেয়েক� দূরে সরিয়ে দেওয়া� প্রাণান্� চেষ্টা; কে� মা তা� মেয়ের প্রিয় বাবাকে ছেড়� চল� গে�, কর� ছি� এর কারণ � প্রতিট� মানুষে� মনস্তত্ত্ব এখান� জীবন্ত হয়ে উঠেছিল� সৎ বাবা হলেই যে সে খারা� হব�, কিংব� অবহেলা করবে; এই ধারণ� ভুল। তারা� ভালবাসতে পারে, মায়ায� জড়াতে পারে� কিন্তু তারপরও নিজে� বাবা� জায়গা কি নিতে পারে? এখান� সূক্ষ্� কিছু বিষয�, মানুষে� অহংকার কিংব� ঈর্ষ� যে কত বড� ভুলে� কারণ হত� পারে বইটি যে� তা� জলজ্যান্� প্রমাণ�

সুফা� রুমি� তাজিমে� লেখা পড়ে হয়ত� মন� হত� পর� তা� লেখায় হুমায়ূন আহমেদে� প্রভাব স্পষ্ট� হুমায়ূন আহমে� আমাদের সাহিত্� জগতে এম� এক প্রভাব বিস্তা� করেছেন, পাঠক হো� কিংব� লেখক� এই প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া বে� কঠিন� তা� গল্পের নায়িকাক� মায়াবতী, রূপবতী বললে� আমরা হুমায়ূন আহমেদে� ছা� খুঁজ� বেড়াই� লেখিকা� লেখা� কিছু অংশে হুমায়ূন আহমেদে� ছা� লক্ষ্যণীয় হলেও কিছু অংশে ভিন্নত� আছে। হুমায়ূন আহমেদে� মত� লেখাকে আম� অ্যাপ্রিসিয়েট করি। কারণ এখান� পাঠকের সাথে গল্পের চরিত্রগুলো� এক ধরনে� আধ্যাত্মিক যোগাযো� হয়। অন্যরক� মমতায় জড়িয়� যায় চরিত্রগুলো�

ছোট্� উপন্যাসিকা� ক্ষেত্রে চরিত্রগুলোকে ফুটিয়� তোলা একটু কঠিন মন� হয়। কিন্তু এই কা� লেখিকা খু� দারুণভাব� করেছেন� অসংখ্য পারিবারি� চরিত্র এখান� উপস্থি� ছিল। কিন্তু প্রতিট� চরিত্রকে তিনি গুরুত্� দিয়েছেন� প্রতিট� চরিত্র� স্বল্প পরিসরে ফুটে উঠেছিল� কিছু বিষয� অবশ্� লেখিকা পাঠকের ভাবনার উপ� ছেড়� দিয়েছেন� যদিও শুরুতে এত এত চরিত্রের ভিড়� কা� সাথে কা� কী সম্পর্� বুঝত� বে� পেতে হয়েছে�

মাঈশার বাবা আহাদ, � নিজে আর ওর মা জয়াকে এখান� দারুণভাব� ফুটিয়� তোলা হয়েছে� প্রত্যেকের অনুভূত�, তাদে� মনস্তত্ত্ব, ভাবন� এখান� ফুটে ওঠেছে। দাদী, চাচা, চাচী, ফুফু কিংব� কাজিনরাও এখান� গুরুত্� পেয়েছে। যদিও যাদে� বিয়ের আয়োজন, উপলক্ষ্য� এই মিলনমেলা সে� দুইজনক� আরেকটু জায়গা দেওয়া যে� বল� মন� হয়েছে�

আমার কাছে মাশা� চরিত্রকে খু� ভালো লেগেছে� কিছু মানু� এম� থাকে, যারা কখনও নিজে� জন্য চিন্তা কর� না� তাদে� চিন্তা বাকিদে� জন্য� সবার ভালো কিংব� আনন্দে� জন্য নিজেকে নিয়োজিত করে। আস� মাতিয়� রেখে পরিস্থিত� নিজে� নিয়ন্ত্রণ� নিয়� নেয়� দি� শেষে ক্লান্তিতে শরী� ছেয়� যায়� যা কারো চোখে ধর� পড়ে না� মাশা� যে� তেমন এক উচ্ছ� চরিত্র� যা� শেষট� হয� আইয়ুব বাচ্চু� গানে� মত�, যেখানে সুরলিপিত� থেকে� দেখোনা কে� হাসি শেষে নীরবতা�

শেষট� বে� পছন্� হয়েছে� এই জাতীয় বইয়ের ক্ষেত্রে সমাপ্ত� নিয়� কিছুটা দ্বিধা থাকে� তাড়াহুড়ো� ছা� লক্ষ্য কর� যায়� কিন্তু লেখিকা যে� আগ� থেকে� জানতেন তিনি কী করতে চান। এব� সে� কাজটিই করেছেন দক্ষতা� সাথে� জীবনের গল্পের তো চলতে� থাকে� জীবনের অপূর্ণতা� গল্প� পূর্ণত� পাওয়া� মত� সমাপ্ত� এক ধরনে� তৃপ্তি দেয়�

পরিশেষ�, মানু� যে প্রশ্নের উত্ত� খোঁজ� সে প্রশ্নের উত্ত� এক সময় ঠিকই পাওয়া হয়। এরপর? আর� প্রশ্ন মন� ভিড় করে। উত্ত� হয়ত� জানা থাকে, তবুও মন মানে না� নিজেদে� জীবন তা� আবার বাঁক নে� অন্য কোনো উপাখ্যানে।

◾ব� : আম� এব� একটি বনসা� গা�
◾লেখ� : সুফা� রুমি� তাজি�
◾প্রকাশনী : বু� স্ট্রি�
◾ব্যক্তিগত রেটি� : �.�/�
Profile Image for Fårzâñã Täzrē.
192 reviews8 followers
January 29, 2025
জীবন� উত্থান পত� আসবে এটাই স্বাভাবিক। জীবন তবুও জীবনের নিয়মে এগিয়ে চলেছে। আমরা সবাই শুধু সুখে� পিছন� ছুটে বেড়াই� যেকোনো পরিস্থিতিত� স্বার্থপ� হয়ে যাই। নিজে� কথ� ভাবত� গিয়� অন্যের কথ� ভাবা� সময় কোথায়! কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু সিদ্ধান্� ঝোঁকের বশ� আমরা নিয়� ফেললেও কখনো কী ভেবে দেখেছি তা� ফলাফ� বাকিদে� উপ� কী হত� পারে?

বহ� বছ� পর আবার জানত� ইচ্ছ� কর� সেদি� ওই মানুষটার অবহেলা� কারন কী ছি�? কিংব� কে� তৈরি হল� দূরত্ব? আসলে� কী ছি� প্রয়োজন না কী সবাই শুধু স্বার্থপর। সবাই শুধু নিজে� কথ� ভাবে, নিজে� মত� সিদ্ধান্� নেয়�

ছোটবেলায� খু� আদুর� মেয়� ছি� মাঈশা। এখনো অবশ্� আদরে� কমতি নেই। পঁচি� বছরে� এই মেয়েট� এখনো সবার কাছে দামী� দু� বোনে� জন্য যা বাজে� থাকে, মাঈশার জন্য থাকে তা� থেকে� বেশি� তেমন� চেষ্টা কর� হয� তা� যে� আদ� যত্নের কমতি না থাকে� আম্ম�, আব্ব� আর দু� জম� বোনে� সাথে মাঈশার পরিবার দেখল� যে কে� হিংস� করতে বাধ্য। সবাই যে� মাঈশাক� উজাড� কর� ভালোবাসে�

বিদেশে� মাটিতে এই মেয়েট� সব খুঁজ� পেলে� একটা খটকা কিছুতে� মন মানত� চায় না� এখনো মায়ের সাথে ওই লোকটাক� মাঈশার সহ্য হয� না� লো�! হ্যা� সেটাই। মাঈশ� তাকে আব্ব� বল� ডাকে কিন্তু এই মানুষট� একসময় ছি� তা� আঙ্কেল, মায়ের বন্ধু। ছোটবেলায� নিজে� বাবা� কাছে মাঈশ� ছি� রাজকন্যা� আশফা� সাহে� তাকে ভীষণ আদ� করেন কিন্তু ওই যে কোথা� গিয়� রক্তের টানট� আস� না� সেটা বোধহয় ওই মানুষটার জন্য যাকে ছেড়� আট বছ� বয়স� সে বিদেশে চল� এসেছিল� মাঈশার ছি� ছোট্� একটা পরিবার� সাথে দাদী, ফুপু, চাচা মিলিয়� আর� অনেকজন� কিন্তু হঠাৎ করেই মাঈশার বাবা দূর্ঘটনায় � হত হন� পা কে টে দুটো� বা� দিতে হয়। আর মাঈশার বাবা মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল।

কিন্তু ছোটবেল� থেকে� তা� মন� কৌতুহল কে� তা� বাবা তাকে দূরে সরিয়ে রাখল�? কে� মাকে চল� আসতে হল�, বাবা তো মাকে ভালোবাসতো।তা� প্রাপ্তবয়স্� হয়ে ওঠ� পরিপূর্ণ নারী মাঈশ� নিজে� সিদ্ধান্� নিয়েছ� দেশে ফেরার। বিয়ের আগ� বাবা� সাথে থাকা� ইচ্ছ� তীব্র। নিজে� পৈত্রি� ভিটেমাটি� স্পর্শ পেতে ইচ্ছ� করে। কিন্তু দ্বিধা এক জায়গাতেই। তা� বাবা কি তাকে স্বাভাবিকভাব� মেনে নেবে? কত বছ� হয়ে গে�, একবারও যে দেখা পর্যন্� করেনি। মেয়েক� বুকে টেনে নেয়নি� এই আশঙ্কায় পড়েছে� মাঈশার মা জয়া নিজেও। এত বছ� পর আবেগ অনুভূতির যদ� মৃ ত্যু হয� মাঈশার বাবা�? মাঈশার এত প্রত্যাশ�, আবেগ তো আঘাত� শে� হয়ে যাবে�

মাঈশার বড� ফুপু আজমেরী মাঈশাক� দেশে আসলে নিয়� গেলে� গ্ৰামে� বাড়িতে। সেখানে চাচাতো ভা� মাহিনে� বিয়ের অনুষ্ঠান� উৎসবমুখর পরিবেশ� মাঈশাক� মুখোমুখি হত� হব� তা� বাবার। এই কাজট� যে� সহজে হয� দায়িত্ব পেয়েছ� আরেক কাজি� মাশাল। এই মেয়েটাও বড� অদ্ভুত স্বভাবের� মাঈশার সামন� আবার কী ছেলেবেলা� মত� হাসিখুশি বাবা থাকবেন নাকি আবার� আঘাত� ভাঙব� মন? কত অনুভূত� এখনো রয়েছে জানার।

🫑পা� প্রতিক্রিয়া :

“আমি এব� একটি বনসা� গাছ� বইটা আপনি যখ� শে� করবে� যদ� এই জনরা� সামাজি� উপন্যা� আপনা� পছন্দে� হয� একটা অদ্ভুত ঘো� লাগা কা� করবে� সুফা� রুমি� তাজিমে� লেখনশৈলী দুর্দান্ত। খুবই সাধারণ গল্প তিনি যেমন অসাধারণত্বের মোড়কে জড়িয়� ধরতে পারে�, তেমন� পাঠকের সাথে গল্পের এক ধরনে� সংযো� স্থাপন করতে পারেন। আর এই সংযোগে� কারণ� গল্পের সাথে পাঠকের� আবেগ� ভেসে যাওয়া অসম্ভব কিছু নয়। যেমনটা আমার ক্ষেত্রে হয়েছে� অনেকটা সময় একটা অদ্ভুত বিষাদে ডুবে ছিলাম।

“আমি এব� একটি বনসা� গাছ� আগাগোড়া আবেগ জড়ানো এক গল্প� কিন্তু লেখিকা গল্পটা বলেছেন খুবই সুন্দর ভাষায়� যেটা পড়ত� ভালো লাগবে�� মন� হত� পারে হুমায়ূন আহমেদক� অনুকরণ কর� সাজানো� কিন্তু লেখিকা নিজে� স্বতন্ত্� একটা ছা� রাখত� পেরেছেন। গল্পটা এগিয়েছে নিজে� গতিতে। এব� শুরু করলে পড়ত� পড়ত� দেখবেন যে� এই শুরু এই শেষ। আহামরি নয� তব� উপস্থাপনায� বে� নতুনত্বে� ছোঁয়া�

এই বইটি� গুরুত্বপুর্ণ ছি� বাবা, মা � মেয়ের অনুভূতি। বাবা� প্রত� মেয়ের ভালোবাসা, অভিমান; মেয়ের প্রত� বাবা� আবেগ, কে� মেয়েক� দূরে সরিয়ে দেওয়া� প্রাণান্� চেষ্টা; কে� মা তা� মেয়ের প্রিয় বাবাকে ছেড়� চল� গে�, কর� ছি� এর কারণ � প্রতিট� মানুষে� মনস্তত্ত্ব এখান� জীবন্ত হয়ে উঠেছিল� সৎ বাবা হলেই যে সে খারা� হব�, কিংব� অবহেলা করবে; এই ধারণ� ভুল। তারা� ভালবাসতে পারে, মায়ায� জড়াতে পারে� কিন্তু তারপরও নিজে� বাবা� জায়গা কি নিতে পারে? এখান� সূক্ষ্� কিছু বিষয�, মানুষে� অহংকার কিংব� ঈর্ষ� যে কত বড� ভুলে� কারণ হত� পারে বইটি যে� তা� জলজ্যান্� প্রমাণ�

সুফা� রুমি� তাজিমে� লেখা পড়ে কিছুটা হুমায়ূন ছা� পাওয়া যায়� এব� আরেকটা খু� পরিচিত বইয়ের সাথে গল্পের থি� বে� মিল। বাবা মেয়ের সম্পর্কে� গল্প� যদিও আম� বলবো লেখিকা নিজে� লেখনী দিয়� বইটিকে স্বতন্ত্� একটা জায়গা দিয়েছেন� যা� ফল� বইটি পড়ত� অবশ্যই আলাদ� এব� মৌলি� লেগেছে� এব� বিভিন্� চরিত্রের এক� অপরে� সাথে কানেকশ� লেখিকা খুবই দারু� ফুটিয়� তুলেছেন। মাঈশার বাবা আহাদ সাহেবে� চরিত্র ফুটিয়� তুলত� লেখিকা বে� চমৎকার কিছু দৃশ্যপ� তৈরি করেছেন� খু� গভীরে� কথ� ছি� কিছু কিছু� আবেগের জায়গায় যখ� বাস্তবতা হা� মানে সে� পরিস্থিতির মোকাবিলা করার সক্ষমত� অনেক আত্মপ্রত্যয়ী মানুষে� মধ্যেও থাকে না�

অনেক অনেক চরিত্র শুরুতে তালগোল পাকিয়� যেতে পারে� মাঈশার কাজিনে� বিয়� উপলক্ষ� আয়োজন, অনেক মানুষে� ভিড় তো চরিত্র আছ� নানা� সম্পর্কের। ভালো লাগব� মাঈশার দাদীকে� মাঈশার চাচী� আচরণ বে� মজাদার লেগেছে� শাশুড়ির কাছে পদ� পদ� নাস্তানাবু� হয়ে� বড� চাচা নির্ভরযোগ্� চরিত্র� এছাড়া� আছেন ফুপুসহ কাজে� লোক। কাজি� মাহি� � বউ আমরিনে� উপস্থিতি সবচেয়� কম� তব� লেখিকা চেষ্টা করেছেন সবগুলো চরিত্রকে� কম বেশি জায়গা দিতে�

মাশালক� উপস্থাপন ভালো লেগেছে� মাশালে� উপস্থিতি ঝলমল� বেশ। মেয়েট� যেভাবে ম্যাজিকে� মত� সব সমস্যা ঠি� কর� দেয়! অথ� নিজেকে গুটিয়� রাখে সবকিছু থেকে� দিনশেষ� কে� কী মাশালে� কথ� ভাবে? মেয়েট� কে� নিজেকে এম� গম্ভী� স্বভাবের কর� রাখে�


সমাপ্তিট� লেখিকা যেভাবে দিলে� তাতে যে� পূর্ণত� পাওয়া যায়� এম� ধরনে� বই কখনো সমাপ্তিত� আকাঙ্ক্ষ� ভালো লাগে না� বর� পরিপূর্ণ লাগু� গল্পটি� চরিত্রগুলো খুঁজ� পা� পূর্ণতা। পাঠক� সন্তুষ্ট চিত্তে বই রেখে মন� করতে পারব� সুন্দর সমাপ্তিটা। তব� বইয়� ছাপা� ভু� ছি� অনেক জায়গায়� এছাড়া কিন্তু অভিযোগের জায়গা নেই।

"জীবনটা যদ� হয� একটা নদী
তব� বল� তা� লক্ষ্যটা কী?"

দিনশেষ� জীবন এগিয়ে চল� পড়ে থাকে কিছু আবেগ, অভিমান� যা জম� জম� একসময় অনেক কঠিন হয়ে যায়� সুযো� পেলে সম্পর্কে এম� কঠিন শিলা ভাঙা উচিত� অভিমানের প্রাচী� ভেঙে উঁকি দি� আবার� ভালোবাসা� গল্প� জীবন� সবাইকে দরকার। � ক্তে� টা� উপেক্ষ� কর� যায় না�

🫑বইয়ের না�: "আম� এব� একটি বনসা� গা�"
🫑লেখক : সুফা� রুমি� তাজি�
🫑প্রকাশনী : বু� স্ট্রি�
🫑ব্যক্তিগ� রেটি� : �.�/�
Profile Image for Heisenberg.
137 reviews6 followers
January 7, 2025
অভিমান অভিমান অভিমান�
Profile Image for রায়হান রিফাত.
223 reviews6 followers
January 6, 2025
লেখনী বে� আকড়� ধর� রাখে গল্পে।
ছেড়� উঠতে ইচ্ছ� করেনা।
মাঝে একবা� মন� হল বেশি কপচানো হচ্ছ� লেবু তব� তা খু� � ক্ষণিকের জন্য।তবে দ্রুতই রে� কাটিয়� ফেলেছে সেটার।

তব� আমার কাছে সবকিছু পার্ফেক্� হত� হত� আটকে গেলো�

মাইশার মন� যে প্রশ্ন শেষত� রয়ে গেলো তা আমার � রয়ে গেলো� আরেকটা কিন্তু হয়ত আছ� এম� একটা ভা� রেখে শে� হয়ে গেলো�


মানসিক ভাবে স্টাবল থাকা যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা উপলব্ধ� করার জন্য পড়ে ফেলত� পারে� বই টি�


রেটি�: �.�/১০
11 reviews
April 11, 2025
আম� এব� একটি বনসা� গা� সুন্দর একটি বই�

গল্পের প্লট খু� সাধারণ� তব� এই সাধারণ প্লটকে অসাধার� ভাবে ফুটিয়� তুলেছে� পাঠকদে� সামনে।

বিবা� বিচ্ছেদে� ঘটনা আমাদের দেশে বর্তমানে তেমন কো� ঘটনা� না� অন্য সব স্বাভাবি� ঘটনা� মত� এটাকেও ধর� নিয়েছে। তব� বিবা� বিচ্ছেদে� ফল� একজন সন্তানের যে পরিমাণ মানসিক বিপর্যয় নেমে আস�, তা কি বাবা, মা বুঝত� পারে?
যদ� বাবা, মা বুঝত� পারত� তাহল� হয়ত� অনিচ্ছ� সত্ত্বেও সন্তানের জন্য এক সাথে থেকে যে� অনেকে।

ছো� বইটিতে বে� কয়েকট� বিষয� খু� সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন� প্রথমত পঙ্গুত্ব� যে ছেলেটি ছোটবেল� থেকে� ছি� দূরান্� প্রকৃতির� এক� ছুটে বেড়ান�, নিজে� বয়সের বড়দের সাথে পাল্লা দিয়� মা'রা'মা'রি কর� তা� বড� ভাইক� বিনা কারণ� মা'রা'�, স্কু� কলেজ মাতিয়� ভার্সিটিতে ভর্ত�, পড়াশোনা, গানবাজনা, বন্ধুদের সাথে ঘুরত� যাওয়া, ভার্সিটি� জুনিয়রে� সাথে চুটিয়� প্রে� করার পর এক� এক� বিয়� কর�, সংসা� কর�, তাদে� ঘর আলোকিত কর� কন্য� সন্তানের আগমন� সারা জীবন নিজেকে রাজা ভাবে, তা� কাউক� লাগব� না কিন্তু সবার তাকে লাগব� এই মনোভাব পোষণ কর� জীবন কাটিয়েছে।

আমার কাউক� লাগব� না মনোভাব পোষণ কর� মানুষট� যখ� দূর্ঘটনায় আহ� হয়ে পঙ্গুত্ব বর� করেন তখ� তা� কাছে সবকিছু বিষাক্� লাগে� যে মানু� গুলো আদ�, স্নে� � ভালোবাসা দিয়� পাশে থাকা� চেষ্টা করেছে। তা� কাছে মন� হয� তারা করুণ� করছে� যেটা একেবার� সহ্য করতে পারে নি� যা� কারণ� হিংস্র হয়ে ওঠ� আর নিজেকে গুটিয়� নেন।

যে কো� সম্পর্� টিকিয়� রাখা� জন্য শুধু মেনে নিলে� হয� না মানিয়েও নিতে হয়। জয়া সহ কিছু মেনে নিলে� মানিয়� নিতে পারে নি� যা� কারণ� তাদে� বিচ্ছে� ঘটে। জয়া নিজে� জীবন গুছিয়� নিলে� আহাদ সাহে� নিজেকে গুটিয়� রাখেন।

বইয়ের সবচেয়� সুন্দর অং� হল� বাবা আর মেয়ের কা'টা'নো মুহূর্তগুলো। একজন পঙ্গ� বাবা সব কিছু থেকে নিজেকে গুটিয়� নিলে� মেয়ের ভালোবাসা� কাছে হেরে যায়� তাদে� প্রতিট� মূহুর্� আমার বে� ভালো লেগেছে� বাবা� সাথে মেয়ের সময় কা'টা'নো, মেয়� নতুন নতুন রেসিপি রান্না কর� খাওয়ায়, এক সাথে চায়ের কাপে আড্ড� দেওয়া প্রতিট� বিষয� খু� ভালো লেগেছে�

আরেকটি বিষয� ভালো লেগেছে� মানু� বল� �'ক্তে'� সম্পর্কে� আলাদ� একটা টা� থাকে� যেটা বইটিতে খু� সুন্দর ভাবে ফুটিয়� তোলা হয়েছে� প্রায় এক যু� পর মাইশ� তা� পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে এসেছ� তারা এম� ভাবে মেনে নিয়েছেন যে� প্রতিট� তাদে� সাথে দেখা হয�, কথাবার্ত� চল� বহ� দি� ধরে। পরিবারের সদস্যদের সাথে ছো� ছো� মূহুর্� গুলো ভালো লেগেছে�

মাইশাক� কেন্দ্� কর� লেখা হলেও আমার কাছে মাশালে� চরিত্রটা অনেক ভালো লেগেছে� যে কিনা নিজে� আগ� নিজে� প্রিয়জনদে� কথ� ভাবে� তাদে� সবাইকে খুশি রাখত� চায়� যা� জীবন অন্যদে� জন্য উৎসর্গ কর� দিয়েছেন�

লেখক দু� তিনট� জায়গায় মাশা� না লিখে মাইশ� লিখে রেখেছেন। পড়ত� গিয়� বে� ক���়েকবার মনোযোগ হারিয়� ফেলেছিলাম। পরবর্তীতে বিষয়ট� নজরে রাখল� ভালো হবে।

বই: আম� এব� একটি বনসা� গা�
লেখক: সুফা� রুমি� তাজি�
Profile Image for Sakibul Hassan.
5 reviews12 followers
December 21, 2024
যদ� প্রশ্ন কর� হয�, একজন লেখক/লেখিকা� লেখায় স্বার্থকতা কোথায়?
আম� বলবো যখ� তা� লেখা পড়ত� গিয়� আপনি নিজেকে সে� চরিত্রগুলো� মাঝে খুঁজ� পান। সে� কাহিনী পড়ত� গিয়� ঘোলা হয়ে আসবে চো�, কখনও বা ফুটে উঠবে ঠোঁটের কোণায় হাসি�
লেখিকা 'সুফা� রুমি� তাজি�' এর লেখা � টা উপন্যা� পড়েছি� প্রতিট� উপন্যা� পড়ত� গিয়েই সে� কাহিনীগুলো� মাঝে আম� খুঁজ� পেয়েছ� আমার শৈশব, পারিবারি� সম্পর্কে� টানপোড়ন, ভালোবাসা-ঘৃণা, শূন্যত� অথবা পরিপূর্ণতা� স্বাদ।
এই বইটিতে প্রথমে� দেখা যায়, পঁচি� বছ� বয়সী মাঈশ� প্রায় একযু� পর� বাংলাদেশ� আসছে তা� বাবা আহাদ সাহেবে� সাথে দেখা করতে� একসময়� আহাদ সাহেবে� সুখে� সংসা� ছিলো� কিন্তু এক দূর্ঘটনায় চোখে� পলকে পালট� যায় তা� সুখী সংসারে� রূপ। আহাদ সাহে� নিজেকে গুটিয়� ফেলে� কাছে� মানুষগুল� থেকে ; হয়ে উঠেন অনুভূতিশূন্য এক মানুষ।
সে� অনূভুতিশূন্য মানুষটির সাথে দেখা করতে আস� তা� মেয়� মাঈশ� কি পারব� বাবা� সীমাহী� নির্লিপ্তত� দূ� করতে? জানত� হল� পড়ে ফেলু� দারু� এই সমকালী� উপন্যাসটি।

বই� আম� এব� একটি বনসা� গা�
লেখিকা� সুফা� রুমি� তাজি�
ধরণঃ সমকালী� উপন্যা�
পৃষ্ঠা সংখ্যা� ১২�
প্রচ্ছদঃ নসিব পঞ্চ� জিহাদী
প্রকাশনী� Book Street
Profile Image for Wasee.
Author44 books726 followers
December 22, 2024
লিটারেরি ফিকশনে� সবচেয়� আকর্ষণীয় ব্যাপারট� হচ্ছ�, খু� সাধারণ একটা গল্প কখনও কখনও শুধুমাত্� লেখা� জোরে অসাধার� হয়ে ওঠে। হয়ত� গল্পের কো� পরিণতি থাকে না; বুভুক্ষে� মত� পৃষ্ঠা উল্ট� রহস্� সমাধানের তাগি� থাকে না- তবুও গল্প বলার অভিন� ধর� পাঠককে আটকে রাখে চুম্বকের মতো। বাস্তব জগতে� খু� পরিচিত দৃশ্� হয়ে ওঠ� বিস্ময়কর।

আম� এব� বনসা� গা� - এর গল্পটা খু� সাধারণ� পঁচি� বছরে� তরুণী মাঈশ� প্রায় এক যু� পর বাংলাদেশ� ফিরে আস� বাবা� সাথে দেখা করতে� যে� বাবা ওক� ছোটবেলায� পাগলের মত� ভালবাসতে�, রাজকন্যা� মত� আগলে রাখতেন� অথ� এক দুর্ঘটনা� পর হয়ে গিয়েছিলেন নির্লিপ্�, অনুভূতিশূণ্য�

মাঈশার ফিরে আসার গল্প� আমরা একটা পরিবারের সদস্যদের পুনর্মিলনী দেখত� পাই। বিরা� বড� একটা বাড়িত� মাঈশার চাচা� ভাইয়ে� বিয়� উপলক্ষ� সা�-সা� রব লেগে যায়� কাজিনদের খুনসুট� থেকে শুরু কর� বৃদ্ধা দাদী� সাথে পা� সেজে খাওয়া - প্রতিট� ঘটনা� আমাদের পরিচিত নস্টালজিয়ায� ভোগায়� সে� সমান্তরালে এগিয়ে যায় একটি ভীষণ মনস্তাত্বি� গল্প� যে গল্প� মিশে আছ� বিষণ্ণতা, অবসাদে� দর্শন।
Profile Image for Zubayer Ahmed.
59 reviews1 follower
January 30, 2025
ঠি� আমার টাইপের গদ্য না, অর্থাৎ যে� ধরনে� গদ্য পড়ি বা পড়ত� চাই। বইয়ের না� এব� প্রচ্ছ� দেখে আকৃষ্ট হয়েছিলা� কে� জানিনা� মাঝেমধ্য� হয়ত এম� হয়। সিরিয়াল নাটক ধরনে� কাহিনী� বিস্তারি� বলার মত ভাষা� কিছু পাচ্ছি না� কষ্টেসৃষ্ট� পড়লাম� থা�, অনেকের কাছে হয়ত ভালো লেগেছে� হয়ত ভালো বই-� কিন্তু ব্যক্তিগ� পছন্দে মিলল না, তা� বল� আক্রোশ� না� কোনো�
Profile Image for Sumaiyah.
115 reviews30 followers
January 8, 2025
বইটা চমৎকার সন্দেহ নে�- তব� প্রিন্টি� মিস্টেকে নায়িকদে� না� বারবার গুলিয়� গেছে� সুখপাঠ্য � হৃদয়গ্রাহী�
Profile Image for Mila Hossain.
46 reviews1 follower
February 21, 2025
বাবা মেয়ের সাধারণ গল্প� কিন্তু কে� যে� লেখা� ভঙ্গ� আমাক� ছুঁত� পারে নি� পড়ত� ভালো লাগে নি � গল্প টা emotional, but writing টা খু� নিম্নমানের কেমন যেন�.
Displaying 1 - 19 of 19 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.