‘ভয়� নামে� আদিম অনুভূতিট� মানুষে� পিছু ছাড়� না কখনোই। আলোকিত কফিশপে মুঠোফোনে� অল� স্ক্রলিং থেকে শুরু কর� গভী� রাতে� নির্জন মহাসড়�; ভয� আমাদের আক্রান্ত করতে পারে যে কোনো মুহুর্তে� আর ভয� হয়ে উঠতে পারে আতঙ্�, যদ� তা হয� ব্যাখ্যাহীন। আমাদের আটপৌরে জীবনের সাজানো ছক� মুহুর্তে বদলে যেতে পারে অম� ব্যাখ্যাহীনতার মুখোমুখি হলে।
কখনো ফ্যান্টাসি, কখনো অত�-চেনা প্রযুক্ত� আর কখনো অতিপ্রাকৃত কিছুকে আশ্রয় কর� এই সংকলনে� গল্পগুলো খুঁজতে চেয়েছ� তেমন কিছু ব্যাখ্যাহীনতার সম্ভাবনা�
আট প্রহরে� গতানুগতিকতার বাইর� গিয়� ব্যতিক্রমী সব গল্প জায়গা কর� নিয়েছ� সুহা� রিজওয়ানের সাম্প্রতিকতম গল্পসংকল� নয়পৌরের দু� মলাটের মাঝে� রাষ্ট্রধারণা� বিরুদ্ধে গর্জ�, শাসনযন্ত্রের কাছে অসহায় হয়ে পড়া মানুষে� মর� ছটফটানির স্ন্যাপশ� কিংব� অরওয়েলিয়ান ডিস্টোপিয়ার যে ইউএসপি,ট্রেডমার্ক সুহানে� পূর্ববর্তী বইগুলোতে দেখা যায়, নয়পৌর� গল্পগুলো তা� কোনোটারই ধা� ধারে নি� স্বদেশ সমকালে� মাটি কোপানো লিটেরারি ফিকশ� আর স্পেকুলেটি� ফিকশনে� দ্বন্দ্বযুদ্ধে� বাইরেও যেটা চোখে পড়ে সেটা হল� সুহা� রিজওয়ানের গল্প বলার স্টাইল� একটা চড়া দাগে� টোনা� শিফট।‘সাক্ষী ছি� শিরস্ত্রাণ’ক� এক পাশে রেখে ‘পদতলে চমকায় মাটি�,‘গ্রাফিতিও প্রশ্ন করে�, ‘মুখোশের দি� বৃষ্টি� রাত� কিংব� ‘২৩� ৪৪' ৪৮'' ৯০˚ ২২' ৫০'' থেকে� বইগুলো পড়ল� বোঝা যায়, শুধু আইডিয়� না,ন্যারেটিভে� সুহা� একটা নিজস্ব স্বরভূমি তৈরি করেছিলেন� কিছু জায়গায় পড়ত� গিয়� মন� হত� তিনট� পরপর বাক্� লিখে মাঝে� বাক্যট� কেটে দিয়েছেন� এত� খানিকট� মেন্টা� জিমন্যাস্টিক� কর� বুঝে নিতে হলেও মূ� বয়ানে তেমন প্রভাব পড়ত� না� নয়পৌর� গল্পসংকল� নিয়� খানিকট� যে আশঙ্কা ছি� না,তা অস্বীকা� করলে মিথ্যে বল� হয়।বিশেষত‘মুখোশের দি� বৃষ্টি� রাত’উপন্যাস� থ্রিলা� লিখত� গিয়� এখান� সেখানে যে স্পষ্ট হেজিটেশন মার্� দেখেছিলা�,সেটা� ছি� এই আশঙ্কা� একমাত্� কারণ� সেসব শঙ্কাক� দূরে ছুঁড়ে দিয়� উপন্যাসে� বিস্তীর্� প্রান্তর ছেড়� স্কোয়ার-ফুটে মাপা গল্পের টানটান বুনোটে� অপারেশ� থিয়েটার� সুহানে� ছুরিকাঁচির ধা� দেখাটা একরক� সার্থক� হল� বল� যায়� বাইশ গজের খেলায় যেমন খেলত� সবাই নামে�, যে যা� মত� কর�, শে� পর্যন্� উদ্দেশ্য তো ব্যাটে-বল� হওয়�, অর্থাৎ কমিউনিকেশন� লেখককে কোথা� গিয়� পাঠকের সঙ্গ� কমিউনিকে� করতে হয়। বিষয়বস্তু, আঙ্গিক, ভাষা, কমিউনিকেশনের এই তি� মাত্রা� চতুর্থ মাত্রা হচ্ছ� লেখকের হাতে� তাগবাগ, যাকে বল� ‘এক্� ফ্যাক্টর’। সুহানে� গল্পগুলো সে� হিসেবে ইজিল� একসিসেবল,কোনো চ্যুতি ঘট� নি�
একটা আটপৌরে সোফা যেখানে আপনি রো� বসেন, মাঝে মাঝে বার্সা-রিয়ালের ম্যা� দেখত� দেখত� লম্ব� হয়ে শুয়� পড়েন। কেমন হব� যদ� সে� নিতান্� মামুলি সোফা� মাঝে একদি� আপনি আটকে যা�? কী হব� যদ� সোফাটা ধীরে ধীরে খেয়� ফেলত� থাকে আপনা� হা�,পা,মাথা? এম� খু� সাধারণ জিনিসও আমাদের আক্রান্ত করতে পারে যে কোনো মুহূর্তে,মুখোমুখি দাঁড� করিয়ে দিতে পারে ব্যাখ্যাহীনতার� সে� আইডিয়ার উপ� ভিত্তি করেই সুহা� সাজিয়েছেন নয়পৌর� গল্পগুলোকে� জনরা বিচারে কোনোটা অতিপ্রাকৃত,কোনোটা থ্রিলা�,আবার কোনোটা সায়েন্স ফ্যান্টাসি হলেও শুধু আইডিয়�-সর্বস্� নয়।চিলারে� শিহরণে� বাইর� গিয়�, নির্জল� আতঙ্কে� সীমানা পেরিয়� মাঝেমাঝে� দার্শনিক কিছু প্রশ্ন,মনুষ্য চরিত্রের আঁধারময় দিকগুলোক� প্রোথি� কর� দিয়েছেন গল্পগুলো� মাঝে� নামে� সাথে মি� রেখে জনরা বিচারে নয়ট� গল্প রাখা হয়েছে এই সংকলনে�
প্রথ� গল্প‘ডেড সোলস� নিকোলা� গোগলের কালজয়ী উপন্যাসে� সমনামী� নিয়াজের অনলাইন সেলিব্রেটি বন্ধ� একদি� হাজি� হয� নিয়াজের অ্যাপার্টমেন্টে। জানায়,নিয়াজের মৃ� বোনে� সাইবার মিররের আইডিটা সে কিনত� চায়� এআ� কাজে লাগিয়� সে� আইডি� ছব�, ভিডি� ব্যবহা� কর� বানানো হব� বিজ্ঞাপন� উদ্ভ� অথ� আপাত নিরী� এই প্রস্তাবটা� নিয়াজকে নিয়� গিয়� ফেলে এক দুঃস্বপ্নে� মাঝে� সাইবার মিররের মালি� জে� কর্পোরেশনে� লোকজ� ব্লাডহাউন্ডে� মত� ধাওয়া কর� বেড়াত� থাকে নিয়াজকে� সামাজি� যোগাযো� মাধ্যমের বিজ্ঞাপনসর্বস্বত� আর তা� ঘেরাটোপে পড়ে মানুষে� তীব্� অসহায়ত্বে� গল্প এই ‘ডেড সোলস’। বীভৎ� রসের থেকে প্রযুক্তির হাতে বন্দী মানুষে� জীবনের গভীরে থাকা কালো কৌতুকই মূখ্� হয়ে উঠেছ� এখানে। ডিভাইসের ক্যামেরা� অতন্দ্� নজরবন্দী চরিত্রগুলো� সাথে খু� ভালোমত� কানেক্� কর� গেছে এই ডিস্টোপি� গল্পে। বিশে� কর� ওয়াশরুমের দৃশ্যে� বর্ণনা অত্যন্� ভিভি�,গ্রাফিক।
কোরবানির সময় ছুরি ধা� করার এক প্রচলি� সংস্কারে� সাথে এক আজ� কিসসার ককটে� ‘ছুর� ধার’। এই গল্পের বর্ণনা� দিকে খেয়াল করলে ‘জট� আর ‘মাছ বাজার’গল্পে� মি� পাওয়া যায়� তিনট� গল্পেই পুরো এক্স-ফাইল� মার্কা ঘটনা রূ� নিয়েছ� বড� হররে� পুরো গল্প জুড়� সুহা� ছো� ছো� ক্লু দিয়� গেলে� ক্লাইম্যাক্স আন্দাজ কর� যায় নি� সমাপ্তির মোচড়ট� চমৎকার�
‘বাজি� গল্পের প্রডিজ� জহির মন� করিয়ে দেয় সত্যজিতে� নয়ন রহস্� গল্পের কথা। তি� বেলা পেটচুক্তিত� হোটে� মালি� আফজা� মুন্সী� লাকি চার্� হয়ে হাজি� হয� জহির নামে� এক ক্লা� টু পা� ছেলে� তারই বদৌলতে ক্রিকে� জুয়ায� রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে পড়ে তার। সমাপ্তিট� হৃদয� বিদারক হলেও গল্পের টুইস্ট নির্মাণে সুহানে� বুদ্ধিদীপ্ততার প্রশংস� করতে� হয়।
প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর সাজ্জা� শরীফে� দি� কাটে পশ রেস্টুরেন্টে স্বামী বা স্ত্রী� গোপন প্রেমিকে� ছব� ধারণের মত� পরকীয়ার কে� সামলে। তারই কাছে এক অদ্ভুত কে� নিয়� হাজি� হয� দিলশাদ� দিলশাদের ভাষ্যমতে, যে লোকট� তা� সাথে বর্তমানে আছ�,সে তা� স্বামী� মত� দেখত� হলেও সে নয�,অন্য কেউ। ভীষণ ইন্টারেস্টিংভাবে শুরু হলেও ‘দ্বিতীয় জন� নামে� এই গল্পের শে� চমকট� প্রেডিক্টেবল� হিচককে� Dial M for Murder এর মত� Dial I for Investigation ট্রিবিউটটা ভালো ছিল। সংকলনে� আরেকটা গল্প ‘স্বপ্ন’ও এমনই গড়মানের�
মহামারী সংক্রান্� কন্সপিরেসি থিওরির গর্ভের ছব� ধারণ না কর� ‘মাছ বাজার� গল্প� সুহা� হেঁটেছেন একটু ভিন্� পথে। সুলিখি� এই গল্প� বাংলাদেশ� বিভিন্� প্রজেক্টের কাজে আস��� বিদেশীদে� মনোভাব,তাদে� দেখভালের কাজে নিয়োজিত লোকজনে� প্রত� দুর্ব্যবহা� আর পাল্টা রিয়েকশন দেখিয়� প্রেক্ষাপট নির্মাণে মুন্সিয়ান� ��েখিয়েছে� লেখক� মা� বাজারে� মধ্যকা� গা গুলানো দৃশ্যে� এতোটাই গ্রাফি� যে মন� হয� সেখানে দাঁড়িয়� আছি।
আরণ্যক জাতিসত্বার রহস্যময় সংস্কৃতি� থিমে আঁধারময় একটা গল্প ‘সঙ্গী’। জাপানি কাইদান ধারার। পাহাড়ের প্রাচী� প্রবাদ,অপদেবতার অভিশাপ গোত্রে� কাল্পনিক গল্প হলেও তাদে� কালচার,মি� নির্মাণে লেখকের যত্নের কারণ পাঠকের কাছে তা বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে� সহজে� চমৎকার একটা হর� শর্টফিল্� বানিয়� ফেলা যায়� স্থা� দেয়� যায় ‘লাভ ডে� অ্যান্� রোবটস’অ্যান্থলজির সাইরেনের মত� কোনো পর্ব� কিংব� ‘ষ� অ্যান্থলজি� কোনো পর্বে।
‘সিড� সংক্রান্� জটিলতা� সংকলনে� একমাত্� গল্প যেখানে বীভৎ� রসকে প্রাধান্� দেয়� হয়েছে সবথেকে বেশি� সেন্সর কর� দিলে কিছু থাকে না� এধরনের went wrong ধরনে� সাহসী গল্প পশ্চিমাদের কাছে থাকলেও, আমাদের দেশে কারো লেখায় সেভাবে আস� নি� তা� হর� এঙ্গেল� বাঁক নিয়� জনরা বেন্ডি�... শেষও হয়েছে খু� অপ্রত্যাশিতভাবে। সুহা� যে� জানে� কোথায় থামত� হবে। পরিমিতিবোধ ছাড়� এম� কিছু লেখা অসম্ভব�
‘নয়পৌরে� গল্পসংকলনে সুহানে� শুরু� দিকে� কোনো গল্প নেই। নে� পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত ‘বোর্হেস বাংলাদেশ� এসেছিলেন� ধরনে� গল্পও। তা� লেখক হিসেবে তা� গদ্যভাষা� বিবর্তনক� ধরতে গেলে এই বইয়� তা পাওয়া যাবে না� বর� ক্রমাগ� নিরীক্ষা� মধ্য দিয়� তৈরি হওয়� নিজস্ব স্বরভূমিতে স্থি� থেকে� অন্য জনরায় নিজেকে বিস্তৃ� করেছেন লেখক� এখান� কাঁচাত্বের কুণ্ঠা নে�,লো� দেখানো উগ্রতা� নেই। কখনো ব্যক্তিক আতঙ্�,কখনো সামষ্টিক অভিজ্ঞতা� অভিঘাত� আকৃত� পেয়েছ� একেকটা গল্প� প্রতিট� গল্প� পরিকল্পনামাফিক লেখা হলেও ‘ফর্মুলায়িক� গন্ধটা নাই। থার্� এক্ট চমৎকার� অন্যরা যে কাজট� কর� অহরহ সে� চুইংগামে� মত� টেনে বড� করেন নি লেখক।‘নয়পৌরে’দিয়ে আটপৌরে বছরে� শুরুটা ভালো হলো।
গল্প আম� কম পড়ি আর পড়লেও সময় লাগে অনেক� ৫০� পৃষ্ঠা� উপন্যা� তিনদিন� পড়ে ফেলত� পারলেও ১৫� পৃষ্ঠা� গল্পগ্রন্থ পড়ত� সময় লাগে �/� দিন। একটানে সবগুলো গল্প পড়ে ফেলল� মাথায় গিট্টু লেগে যায়� গল্পের আমেজ জম� না� সেজন্য একদিনে দুইটার বেশি গল্প পড়ি না� সকাল� একটি গল্প পড়ে সেটা� আবেশ নিয়� সারাদি� কাটিয়� সন্ধ্যায� আরেকটা গল্প পড়ি� সুহা� ভাইয়ে� বড� বড� উপন্যা� পড়ে� অভ্যস্� ছিলাম। কিন্তু এই গল্পের বইয়ের কথ� জানা� পর� কে� জানি মন� হয়েছি� তিনি গল্প� ভালো লিখবেন� এব� নয়পৌর� একটু� হতাশ করেনি। আসলে� তিনি ভালো লিখেছেন।
ডে� সোলস : সোশ্যা� মিডিয়� আমাদের কোথায় নিয়� যাচ্ছে! এর শে� কোথায়! এআ� আর সোশ্যা� মিডিয়� মিলে কি মানুষক� আর মানু� রাখবে। ফেবু স্ক্রল করতে গেলে এখ� এই গল্প মাথায় ঘুরত� থাকে� জট : মারাত্মক গল্প এটা। শহ� কি শুধু নাগরিক জীবনের সুবিধা দেয় নাকি সীমানা অতিক্র� করলে নাগরিকদে� থেকে� কেড়� নেয়� প্রকৃত�! প্রকৃত�! তা� বাইর� যাওয়া যাবে না� ছুরি ধা� : চরিত্রের আলাপচারিতায় গল্পটা কিছুটা প্রেডিক্� করতে পেরেছিলাম। জুলাইয়ে� কথ� মন� কর� ভাবতেছ� এই পোকা কি প্রতিট� মানুষই তা� রক্ত� বহ� করছে না! বাজি : এই গল্পের লজিকটা ঠি� মত� বুঝত� পারিনি� দ্বিতীয় জন : শে� পরিণতিতে চম� আছে। আগেভাগ� যেটা বুঝা যায় না� সঙ্গী : অভিশাপ হইতে সাবধান হে মানবকূল। তাহা ফলিবেই ফলিবে। ভিন্� সমাজব্যবস্থা� গল্প হলেও উপস্থাপন� সুন্দর � সাবলীল। স্বপ্ন : আগেভাগ� ভবিষ্য� জানা খু� খারা� তা� থেকে� খারা� সে� ভবিষ্য� বদলাতে চাওয়া� তাহলেই সব ভ্যাজা� লেগে যায়� মা� বাজা� : এটাক� অনেকটা সাইফাই গল্প মন� হয়েছে� এট� মন্দ না ক্যাটাগরিত� পরে। সিডি-সংক্রান্� জটিলতা : মন� প্যা� থাকল� জটিলতায় পরতে� হবের� পাগলা। মা� না�, মা� নাই। মন পবিত্র � দুনিয়� সহজ।
বইটিতে গল্প আছ� মো� নয়টি। লেখা, প্রচ্ছ�, কাগজ, বাঁধাই সব মিলিয়� গল্পগ্রন্থটি চমৎকার লেগেছে� সুহা� ভাইয়ে� গদ্য এমনেতি� সুন্দর� তব� তিনি মাঝেমাঝে জটিল গদ্য� ব্যবহা� করেন, এই বইতে তা একদম� করেননি সেজন্য ধন্যবাদ। নয়পৌরের গদ্য সাবলী�, ঝরঝরে।
আজকা ঈশিত� আপুর কর� প্রচ্ছ� দেখে প্রথমে মন� হয়েছে বা� সুন্দর� গল্পগুলো পড়া� পর মন� হয়েছে ওয়াওও� সুন্দর! কি অসামমম আইডিয়া। চন্দ্রবিন্দু প্রকাশনী� প্রশংস� না কর� পারা যাচ্ছে না� বইয়ের কাগজ � বাঁধাই চমৎকার� ব্যক্তিগতভাব� এই হলদেটে কাগজটা খুবই পছন্� করি। তব� সামান্� টাইপ� রয়েছে আশ� করছি পরবর্তী সংস্করণে এগুলোর দিকে দৃষ্টি দেবেন।
'নয়পৌর�' নিয়� আলোচনা� শুরুতে� আম� বইয়ের ব্রিলিয়ান্ট শিরোনামটার একটা প্রশংস� করতে চাই। রো� দিনে� নয়ট�-ছট� শিডিউল, চিনি ছাড়� কফ�, ৫০টাকা ভাড়�, বকচত্ত্ব� মোড়, দু� আঁটি পালংশা�, মার্লবোর� অ্যাডভান্স শীর্ষক শব্দসমূহ যে একটা সাদামাটা আটপৌরে জীবনের ফ্রে� তৈরি কর�, নয়ট� গল্প� যদ� সে�� আটপৌরে জীবনকে একটা ধাক্কা দেয়� যায়, যা� পর আর 'স্বাভাবিকত্ব'-কে সংজ্ঞায়িত করাট� মুশকিল হয়ে যায়, তখ� জীবনটাকে আর আটপৌরে বল� চলেন�, নয়পৌর� নামকরণটা� সবচাইত� যুক্তিসঙ্গ� লাগে�
দুটো গল্প, বাজি আর দ্বিতীয় মানু� ছাড়� বাদবাক� প্রায় সবগুলো গল্প� আমার ভালো লেগেছে� ওই দুটো গল্প বর্ণণায় বা জার্নিতে ভালো হলেও প্লট ছি� পরিচিত� এখান� সহজবোধ্য, পরিশীলি� ভাষা আর পরিমিত ভা� গল্পগুলোকে প্লটের চাইত� বেশি সমৃদ্ধ করেছে। একজন পোক্� লেখক থেকে সেজন্য থ্রিলা�, সাইফাই বা হর� জনরা� লেখা পাঠকের জন্য উপরি পাওয়া�
অতিপ্রাকৃত গল্পসংকল� বল� হলেও সবগুলো গল্প অতিপ্রাকৃত নয়। শিবব্র� বর্মনে� মত মিক্সড কিছু গল্প লেখক উপহা� দিয়েছেন পাঠকদের। হর� এলিমেন্ট হিসেবে বেছে নিয়েছেন নিত্যদিনের বিষয়াশয�, মি�, মানসিকতা আর সম্ভাবণাকে� অশরীরী জ্বী�-ভূতে� গল্প এস� নয়। যেমন প্রথ� গল্প- ডে� সোলস, ডিস্টোপিয়ান গল্প� মৃ� মানুষে� আইডি নিয়� বি� ফি� টে� কোম্পানিগুলো� অসহনশী� কাজকর্ম। গে� বছরে� সিনেমা CTRL এর সাথে গল্পটা� ভাইব� মি� আছে। এর পরের গল্প- জট একটা উইয়ার্ড ফিকশন। জ্যা� জটের মাঝে হঠাৎ কর� প্যান্ডোরা� বক্স খুলে বেরিয়� আস� মহামারী� গল্প� ছুরি ধা� গল্পটা ইন্টারেস্টিং� কোরবান� ঈদের সে� গল্পটা, সে� রিচুয়ালটা থেকে আধুনিক জামানা� বড� হর� হয়ে গল্পটা মোড় নেয় A24 এর হর� সিনেমা� কোনো ক্লাইম্যাক্সের মত� এই সংকলনে� সবচাইত� চমৎকার গল্পের একটা হল 'সঙ্গী'� (ইনফ্যাক্� শে� চারট� গল্প� আমার সবচাইত� ভালো লেগেছে�) লেখক সুহা� রিজওয়ানের লেখায় পাহাড়� পটভূমি� গল্প খু� চমৎকার লাগে যা বুঝলাম� পাহাড়� মি� কে ঘিরে লেখক একটা মনস্তাত্ত্বি� গল্প ফেঁদেছেন� এই গল্পের সবচাইত� ভালো দি� এর সংস্কৃতি, আচার, প্রকৃতির বর্ণণায় প্রা� পাওয়া ওয়ার্ল্� বিল্ডিং। 'স্বপ্ন' গল্পটা অবশ্যই স্বপ্ন ঘটিত� ট্র্যাজি� হলেও 'ফাইনাল ডেস্টিনেশন' সিনেমা� মত মজার, আনপ্রেডিক্টেবল� 'মা� বাজা�' গল্পটাকে সাইফাই বল� যেতে পারে� করোন� মহামারির একটা ব্যাকস্টোর� এই গল্পের সাবপ্ল� হয়ে মনোযোগ ছিনিয়� নিতে চাইলেও সিরাজগঞ্� উল্লাপাড়া� এক চাইনিজ কনস্ট্রাকশ� প্রোজেক্টে� বাবুর্চি মনির হোসেনে� গল্প বলার ধরণট� আমাক� ধর� রেখেছে� পুরো গল্পটা� মাহাতা� রশিদের আঁকা একটা কমিকের মত চোখে ভাসছিল� চমৎকার গল্প� নামে� কারণ� প্রথ� থেকে� 'সিডি সংক্রান্� জটিলতা' গল্পটা আমাক� টানছিল� শুরু� দিকট� ভার্সিটি� হল জীবনের একটা কালচারকে তুলে আনায� মজ� পাচ্ছিলাম। মূ� ঘটনা শুরু হবার পর থেকে প্রচন্� অস্বস্তিতে পর� গেলা� গল্পটা পড়ত� গিয়ে। নিঃসন্দেহে উগ্র, বিকৃতরুচ� নিয়� এম� সাহসী আর ব্যতিক্রমী গল্প আগ� পড়িনি� এম� একটা গল্প এভাব� পোর্ট্রে করতে পারাটা� একটা আর্ট� 'ব্ল্যা� মিরর' সিরিজে� একটা এপিসোড এই টপিক� এম� অস্বস্তি দিতে পেরেছিল।
সুহা� রিজওয়ান এই যুগে� একজন প্রমিসিং লেখক, এব� বলাই বাহুল্� আমার অত্যন্� পছন্দের। স্বাভাবি� দিনমানের এলিমেন্টগুলোকে ব্যবহা� কর� একজন স্বাভাবি�, কন্টেম্পোরার� লেখক হঠাৎ অস্বাভাবিক, অলৌকিক ছোটগল্� লিখবেন উপন্যাসে� বিস্তৃ� পটভূমি ছেড়�; বিষয়টায� আর দশজন পাঠকের মত সন্দেহের চাইত� আমার কৌতূহল� বেশি হচ্ছিলো। সাধারণ� দেখা যায় জনরা শিফটিং করতে গেলে বেশিরভাগ পোক্� লেখক� খে� হারিয়� ফেলে�, তাদে� স্বভাবসুলভ রচনা� বাইরের বইগুলো হয� খু� ভালো হয�, নাহয� ধরতে আর ইচ্ছ� করেনা। লেখক এর আগ� যে কট� বই লিখেছে�, তাতে হিস্টোরিকা� ফিকশ�, ডিস্টোপিয়�, রাজনীতি, সমসাময়ি� উপন্যাসে� একটা বৈচিত্� লক্ষ্য কর� গেছে� সে� বিচারে লেখকের এম� জনরায় ছোটগল্� দিয়� এক্সপেরিমেন্� একদম ড্রাস্টিকও বল� যায়না বোধহয়� সচরাচর হর� জনরায় লিখে থাকে� এম� বেশিরভাগ বাঙালি লেখককে� উৎরে গেছে� লেখক এই নিরিক্ষাধর্মী বইয়ের সাথে� লেখকের থেকে তা� এই জনরায় আর� বই কাম্য।
গল্পগুলো পড়ত� গিয়� সবচেয়� সহজে যে ব্যাপারট� লক্ষ্য করলা� সেটা হচ্ছ� লেখক অনেক মুভি দেখেন। নয়পৌর� না� দেখে ভেবেছিলা� কোনো গল্প� পড়া� সময় predict করতে পারব� না� একটাতে� হয়ত� prediction মিলব� না� তব� আমাক� দারুণভাব� ভু� প্রমাণ কর� দিয়েছে। টুকটাক মুভি দেখা� অভ্যেস থাকলেই সব গল্পগুলো কো� দিকে যাচ্ছে সেটা সহজে� predict কর� যায়� predict করতে পারলেই যে খারা� এম� না� বর� উল্টোটাই বেশি মন� হয়৷ সচরাচর ঘট� যাওয়া ঘটনা� বর্ণনা কর� বা ঠিকঠাক শব্দ জোড়� লাগিয়� পাঠককে খুশি কর� একটা বিশা� রকমে� ঝাক্কি� কাজ। লেখক সহজে� উতরে গেছে� এব� বে� ভালোভাবে� করেছেন।�
নয়পৌরের নয়ে� কাটছাট -
এই বই পড়া� আগেই একটা বইতে আম� নিকোলা� গোগলের ডে� সোলস এর কাহিনী জানছিলাম� কাকতালীয়ভাবে নয়পৌরের প্রথ� গল্পের না� ডে� সোলস� এটাও একটা একটা নয়পৌর� ঘটনা� আমাদের সা�-পাঁচ গোনা দিনে কখনো কখনো কাকতালীয় ঘটনা ঘট�, unpredicted শব্দটা� হুটহাট ঢুকে পড়া� অভ্যেস� আছ� মানুশে� জীবনে। এম� বৃত্তে� বাইরের কিছু গল্প� লেখক বলবে� ভেবেছিলাম। যত� অলৌকিক, ব্যাখাতী� কিংব� ভয়ে� গল্প থাকে সেগুলো হয়ত� বৃত্তে� বাইরের ঘটনা।�
জট আর মা� বাজা� গল্প দুটো শেষট� কাছাকাছি� তব� মা� বাজারে জেলি জাতীয় জিনি� থেকে একটা মহামারী� সৃষ্টি হওয়ার আইডিয়� বোধহয় একেবারেই নতুন না� আম� এই টাইপের কিছু মুভি দেখেছি (দুঃখিত, না� বলতে পারছ� না� আমার মন� থাকে না মুভি� নাম।)� দ্বিতীয় জন, বাজি এই দুটা গল্প কে� জানি interesting মন� হয়নি। মন� হয়েছে এই গল্পগুলো তো জানি�!! স্বপ্ন গল্পটা পড়ত� গিয়� তাড়� খেয়েছি। থ্রিলা� পড়ত� গেলে যেমনটা হয� তেমনটা� এক� তাড়� ছুরি ধা�, ডে� সোলস, জটেও খেয়েছি। তব� একটু কম� সবচেয়� interesting মন� হয়েছে সঙ্গী আর সিডি-সংক্রান্� জটিলতা এই দুটো গল্প� সিডি-সংক্রান্� জটিলতা পড়ত� গিয়� বে� অস্বস্তিবো� হচ্ছিলো। � অস্বস্তিটা� গল্পের সার্থকতা� লেখক খু� গভী� কোনো গল্প বলতে চানন� হয়তো। খু� হালক� ধাঁচের নরোম শীতল কিছু গল্প� সে� শীতে� সকালের রোদট� ১০/১১টা� দিকে যেমন কড়া হয়ে জ্বালা ধরায� শরীরে তেমন কিছুই।
সমস্যাটা হয়েছে আম� আসলে অনেক বেশি ছোটগল্� পড়ে অভ্যস্ত। আমার পড়া� অর্ধেকটা� ছো� গল্প� তা� ছো� গল্পের ক্ষেত্রে আমার খুঁতখুঁতানিটাও বড্ড চোখে লাগা� মতো। তাছাড়� আম� প্রথ� সুহা� রিজওয়ানকে পড়েছি� আমার expectations অনেক বেশি� ছি�- উনার অন্য বইগুলো� জন্য� তা� খু� বেশি satisfied হত� পারিনি� তব� জনরা শিফ্টিংয়ে� দি� থেকে হিশে� করলে সুহা� রিজওয়ানকে বাহব� দিতে� হয়। অনেক ক্ষেত্রে এক জনরায় ভালো লিখে� এম� লেখকের অন্য জনরা� লেখা পড়ত� গিয়� বিরক্ত হয়েছি� এই বইয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপারট� হয়নি। আমার বইটা� না� এব� ভূমিকা পড়ে� ১০দি� অপেক্ষ� করতে করতে expectations আকাশ ফুঁড়ে পৃথিবী ছেড়� বে� হয়ে গেছিলো বোধহয়� সেইটাই পড়া� সময় গোলমাল বাঁধালো।
ছোটগল্পে� রেটি� দেওয়া বে� মুশকিলের কাজ। তা� মা� করবে� এই ব্যাপারে।�
সবগুলো গল্প� ভালো লেগেছে� খুবই সতর্� স্পেসিফি� ফ্রেমি� দিয়েছেন লেখক� সচরাচর ছোটগল্পে� ক্ষেত্রে এম� দেখি না�
গল্পগুলো� না� আটপৌরে� লেখনী বে� ইজি। দীর্� জটিল জব� বাক্� বা শব্দ নিয়� বিশে� নাড়াচাড়া হয� নাই। তা� পড়ত� খু� আরাম�
প্লট এলোমেলো� হর�, ডিস্টোপিয়ান, অলৌকিক সেটিঙে� নানা� রূ� � রঙ� ছোটগল্� পড়ত� গেলে আশ� থাকে চমকে যাওয়া�, আশ� মোটামুটি ফুলফিলড। নয়পৌর� সংকল� হিসাবে ঠিকঠাক, আমার কোনো অভিযোগ নেই।
নয়পৌরে। বাংল� অভিধান� অনুপস্থি� শব্দটি সুহা� রিজওয়ানের প্রথ� গল্পসংকলনে� না� হয়ে গেছে� কারণ মানুষে� আটপৌরে জীবন� লেখ� দিয়েছেন অতিলৌকিকতা� মিশেল।
সমসাময়ি� ঔপন্যাসি� হিসেবে ইতিমধ্যে খ্যাতি� দেখা পাওয়া লেখক 'নয়পৌর�'তে গল্প বলেছেন ভয়ের। ভয়ে� কিছু লিখত� গেলে� ভূতে� প্রয়োজন সবসময় হয� না� মানবমনের গহীনে নিরব� কিলবিল কর� আদিম ভয়ে� অনুভূত� ছড়িয়� পড়ত� দরকা� শুধুমাত্� আকস্মি� অচেন� কিছু ঘট� যাওয়ার।
মো� নয়ট� গল্প বলেছেন সুহান। প্রায় সবগুলি-� পাঠকের মন� সৃষ্টি করতে পারে অস্বস্তিকর অনুভূতি। নিচে যথাসাধ্য স্পয়লারমুক্� আলোচনা করছি�
�) ডে� সোলস
গল্পের না� এব� খানিকট� থি� গোগোলে� কা� থেকে ধা� কর� হলেও পুরো গ্রন্থ� মৌলিকতার বিচারে আমার সবচেয়� পছন্� হয়েছে এটি। নিয়াজ নিজে� মৃ� বোনে� ফেসবুক আইডি অনলাইন সেলিব্রিটি বন্ধ� মোরশেদের কাছে বেচে দেয়ার পর এক নারকীয় ঝামেলায় পড়ে যায়� কর্পোরেশ� এব� কৃত্রি� বুদ্ধিমত্তার কাছে সাধারণ একজনের তীব্� অসহায়ত্� পাঠককে ভাবাবে, করবে বিষণ্ন� হয়ত� লেখক ভবিষ্যতে� গল্পই লিখেছেন।
�) জট
বহুদিন অফিস� অসুস্থতা� কারণ� যেতে না পারা এক কলিগের খোঁজখব� নিতে গিয়� এম� এক জটের সাথে পরিচিত হন পারভী� � সাদিয়� যা অনেকটা ঢাকা� যানজটে� এক বাস্তব শয়তান� রূ� যেন।
�) ছুরি ধা�
কোরবানী� সময় কে না ছুরি ধা� করায�! নাফিসে� পরিচিত ছুরিধারকারির জায়গায় এক ঈদের আগ� আগেই হাজি� হয� অদ্ভুত একজন, নাফিসে� সাথে যা� কথোপকথনও আজ� ধরণের। স্টিফে� কি� যেমন অস্বস্তি� একটা ড্রামা তৈরি করেন গল্পকথনে, লেখক অনেকটা এরকম কিছু� করেছেন�
�) বাজি
হোটেলমালিক আফজা� মুন্সি কীভাবে ক্রিকে� জুয়ায� এত ভালো করছে�? ঠি� কো� উপায়ে জেনে যাচ্ছে� ভবিষ্য�? এতসব জানাটা তাঁর জন্য কতটুকু� বা নিরাপদ� হোটেলে পেটে-ভাতে কাজে রাখা একজনকে নিয়� আফজালে� মহাবিপদে� গল্প এটি। শেষে� দিকে� ধাক্কাটা মন খারা� কর� দেয়�
�) দ্বিতীয় জন
প্রাইভেট গোয়েন্দ� সাজ্জা� শরীফে� কাছে অন্যরক� এক কেইস নিয়� আসেন এক ভদ্রমহিলা। দিলশাদের মত� তাঁর স্বামী কামা� চৌধুরী আসলে ঠি� সে� ব্যক্তিট� নন� পড়া� সময় অবশ্� টুইস্টটা ধর� ফেলেছিলাম। তব� গল্পটি সুলিখিত।
�) সঙ্গী
ক্ষুদ্� জাতিসত্ত্বার এক পরিবারের নারীরা বয়ে চলছে� এক অপদেবতার ভয়ানক অভিশাপ, প্রজন্মে� পর প্রজন্� ধর� � অভিশাপ যে� � পরিবারের জন্য স্বাভাবি� কিছু� বিভৎসতার ব্যাপারটাক� এরকম কোল্� ব্লাডে� ওয়েতে সুহা� যেভাবে দেখিয়েছেন তা প্রশংসার দাবী রাখে�
�) স্বপ্ন
এক দুঃস্বপ্� দেখে নাদি� তীব্� ভয়ে তাঁর যাত্রাপরিকল্পন� চেঞ্� করতে চায়� ভয� একটা�, যদ� সে� নাইটমেয়ার ফল� যায়� সংকলনে� পাঁচ নাম্বারে� মত� 'স্বপ্ন' টাইপ গল্প আম� আগেও পড়েছি মন� হয়। তব� গল্পকথ� ভালো লেগেছে�
�) মা� বাজা�
বন্ধ� ফয়সালের অনুরোধ� লেখককে অনেকের বিরক্তিক� কম� সব গল্প শুনত� হয�, নিজে আইডিয়� পাওয়া� উদ্দেশ্যে। কিন্তু বাবুর্চি মনির হোসেনে� গল্পটা আসলে� অন্যরকম। সুহা� একইসাথে ঘেন্নাকর � অস্বস্তি� অনুভূত� সৃষ্টি করেছেন � গল্পে।
�) সিডি-সংক্রান্� জটিলতা
হলরুমে পর্ণ দেখত� গিয়� রঞ্জ�, বাবল� আর ইরতিজা এম� কিছু দেখে ফেলে যা পরবর্তিত� তাদে� জন্য সবচেয়� লজ্জাজনক � ভীতিকর কিছু বয়ে আনবে� ভালো লেগেছে� শেষে� দিকে এরকম চম� আশ� কর� নি�
'সুহা� রিজওয়ানের জার্না�' এব� 'পদতল� চমকায় মাটি' আমার পড়া ছিলো� পরিচয় ছিলো তাঁর গদ্যভাষা� শক্তির জায়গা� সাথে� নয়পৌরেত� লেখক সুহা� রিজওয়ান গতির দি� দিয়� দ্রুতগামী, আবার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্� ঘটনা� সাথে উদ্ভ� বিষয়বস্তু� মিশেলট� দিয়েছেন স্বতস্ফূর্ততার সাথে� হা� খুলে লিখল� এরকম ফলাফলই পাওয়া যায়�
আমিই বোধহয় সবার দেরিতে বই পাওয়া প্রি-অর্ডারকারী! বই আসতে বিলম্ব হয়েছে বল� প্রকাশনী� উপ� যে খাপ্পা হয়েছিলা� তা মিইয়ে গে� বই খুলে লেখকের অটোগ্রাফ দেখে�
ভয়ে� হিসেবে প্রচার পেলে� অধিকাং� গল্প আমার কাছে ভয়ে� চেয়� অস্বস্তি� ছি� বেশি� কিছুদি� হয� টানা বেশি সময় বই পড়া যাচ্ছে না, চো� বাগড়া দিচ্ছে, ভেবেছিলা� বইটা তা� অল্প অল্প করেই পড়া লাগব�, কিন্তু শুরু কর� আর থামা যায়নি, একটানা পড়ে ফেলত� হয়েছে� গল্পগুলো ধর� রাখে� শুরু করলে� হল�, এরপর শে� না কর� উঠ� যায় না� সুহা� রিজওয়ানের নিয়মি� পাঠকরা অবাক হবেন � বইয়� তাঁর সর� গদ্যভাষা দেখে� বইয়ের ঘরান� অনুযায়ী হয়ত� এই ভাষাটা� যথোচিত�
অতিপ্রাকৃত, থ্রিলা� নাকি ফ্যান্টাসি.. এই বইয়ের গল্পগুলো ঠি� কো� ঘরানার তা এক বাক্যে বল� কঠিন� জো� খাটিয়� এক শব্দ� বল� যেতে পারে, ‘অদ্ভুতুড়ে’। ছোটগল্পে� পুরো আব� ধর� রেখে অধিকাং� গল্প� শে� হয়েছে ক্লিপহ্যাঙ্গারে যে� গল্পের শেষে� মন� হয�, আর� কিছু বাকি রয়ে গেছে.. এই অপূর্ব খেদে� মধ্যে পরিতৃপ্ত হওয়ার মত� যথেষ্ট রস� এই বইয়� আছে।
৯ট� গল্প নিয়� সাজানো হয়েছে ‘নয়পৌরে’র জগৎ। ভিন্� ভিন্� সময়�, ভিন্� ভিন্� প্রেক্ষাপট� লেখা হলেও কোথা� যে� এক অদ্ভুত সুতোয় গাঁথ� আছ� এই গল্পগুলো� গল্পের প্লট সিলেকশ� নান্দনিক� স্টোরিটেলিংয়ে আছ� স্বতঃস্ফূর্তভাব। এম� গল্পের জন্� ভাষা যেমন হওয়ার কথ�, এই বইয়ের গদ্যভাষ� ঠি� তেমনই। এফোর্টলে� ল্যাংগুয়ে�, ওয়েলকামিং সুর। সবমিলিয়� গল্পগুলো পড়ত� পাঠককে খু� বেশি বে� পেতে হব� না� তারচেয়ে� মজার ব্যাপা� গল্পের প্লটের জন্যই পাঠক শুরুতে� হুকড হয়ে যাবে, শেষট� জানা� জন্য�
‘ডেড সোলস� থেকে ‘বাজি� প্রতিট� গল্পের প্লট� নতুন, আছ� আধুনিকতা� ছোঁয়া� ‘দ্বিতীয়জন� গল্পের যেমন অ্যালে� পো’র ভৌতি� আব� আছ� তেমন� ‘সঙ্গী� গল্প� আছ� প্রাচী� মিথে� ছোঁয়া� নিজে� মৃত্যু� খব� আগ� থেকে পেয়েও নিয়তিকে চ্যালেঞ্� করতে না পারা নাদি� কিংব� ‘মাছবাজার� গল্পের সে’ই উইয়ার্ড জেলি� পরিচয় জানা না গেলে�, গল্প পড়ত� পড়ত� পাঠক আমরা বুঝত� পারি, অস্বস্তি� জন্ম কোথায়! পুরো ভ্রম� শেষে তা� অমীমাংসিত থাকা ‘সিড� সংক্রান্� জটিলতা’ও আমাদের ভালো লাগে�
কো� ভণিত� নয� বর� প্রথ� বাক্� থেকে� গল্প বল� যাওয়া� এই প্রসেস, পাঠক হিসেবে আমার বে� লাগে� গল্পের ইঞ্জিনিয়ারি� নিয়� নতুন কর� বলার কিছু নে�, সব� বে�! তব�, কিছু গল্প পড়ত� পড়ত� পাঠক মন যে� পুরোপুরি তৃপ্� হত� পারছিল না, মন� হচ্ছিল, কোথা� কো� মিসি� লিংক হয়ত� আছ�.. যে মিসি� লিংকের জন্� �/১ট� গল্পকে গিমিকধর্মীয় মন� হয়েছে বটে। তব�, সবমিলিয়�, সুহা� রিজওয়ানের গল্পের এই নয়া যাত্রা ভালো না লাগা� বিশে� কো� কারণ না�, কারও থাকারও কথ� না হয়ত�!
সুহা� রিজওয়ানের উপ� দাবি বেড়� গেল। গল্পগুলো একটা আরেকটাকে ছাপিয়� গেছে জাস্ট। রাজধানী� তীব্� জ্যামে আটকে থাকত� থাকত� যদ� জট গল্পটা পড়ে� অস্বস্তিতে শিওর� উঠবে� মাস্�! পুরোপুরি হররও বল� যায় না, ক্রিপি কিংব� কিছুটা উইয়ার্ড? আম� এই বইয়ের জনরা� না� ঠিকঠাকমত� বলতে না পারলেও ব্যাখ্যাহী� অতিপ্রাকৃতিক কিছু কিংব� ফ্যান্টাসি উপজীব্� কর� লেখক যে নয়ট� গল্প ফেঁদেছেন, সে বইয়ের নামকরণ� যে কো� ভু� নে�, তা নিশ্চয়ত� দিয়� বলতে পারি� ভাল্লাগস� প্রচণ্ড।
প্রিয় উপন্যা� লেখক যখ� কোনো বই বে� করেন, তখ� স্বাভাবিকভাবেই একটা এক্সপেক্টটেশ� তৈতৈরি হয়ে যায়� আবার তা যদ� উন� সচারাচ� যেমন লিখে� সে ধারা� বাইর� হয�, তবুও সে� এক্সপেক্টটেশ� বাড়� বই কমেনা। "ডে� সোলস" দিয়� শুরু হয� গল্পের ধারা� একদিকে যেমন "AI" এব� সামাজি� যোগাযো� মাধ্যমের প্রভাব উঠ� এসেছ�, তেমন� ক্ষমতা� প্রভাব� যেকোনো কিছু কর� পা� পেয়� যাবা� ব্যাপারটাও উঠ� এসেছে। এট� কী ক্ষমতা হাতে পাবা� ক্ষমতাশীনদের যা ইচ্ছ� তা কর� পা� পেয়� যাবা� ব্যাপারট� উল্লেখ কর� না? এই গল্পটা একদিকে যেমন ডিস্টোপিয়ান ধর� যায়, তেমন� সমসাময়ি� ধারাতে� ফেলা যায়� আমাদের দায়বদ্ধতা� দিকে� তীক্ষ্ণভাব� প্রশ্ন কর� হয়। এর পর� এসেছ� আমার প্রিয় গল্প "জট"� ইদানীংকালের আমার সবচেয়� বড� সমস্যাবিষয়ক গল্প এটা। যানজট। এই সমস্যাকে� হররে রূপান্তর কর�, ঠি� গল্পের এক� রক� সমস্যা না হলেও যানজ� আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সময় নিয়� ফেলছ�, সে� বিষয়ট� আমার চমৎকার লেগেছে� � টা গল্পের নয়পৌর� যেনো খু� সাবলীল। একেভাবেই যেনো সহ�, রিলেটেবল সব বিষয়। যদিও বাজি গল্পের ধারা আমার মাথায় ডুকে নি� কিন্তু অন্যগুলো সব কমবেশি ভালো লেগেছে� আমাদের নিত্� দিনে� অনেক গল্প উঠ� এসেছে। তব� অল্প-সল্প টুইস্ট আছে। দেবতার অভিশাপ, কিংব� করোনাক� নতুন একটা গল্প দিয়� দিয়েছেন�
নয়পৌরের বেশিরভাগ গল্প� চমৎকার� এই চমৎকারের যাত্রাটা শুরু হয� প্রথ� গল্প 'ডে� সোলস' থেকে� 'মা� বাজা�', 'সিডি সংক্রান্� জটিলতা'� বে� ভালো� তব� আমার কাছে সেরা লাগছ� 'ছুরি ধা�' গল্পটা� ইব্রাহিম (আঃ) এর কুরবানী� ঘটনা� মর্ডান ডে অ্যাডাপ্টেশা� জো� হইছে� কিছু গল্প মোটামুটি লাগছ� আর একটা গল্প জঘন্� লাগছ� (গল্পের না� বাজি)� এই গল্প উন� লিখছ� দেখে হয়ত� পাবলিক কিছু বলবে না, নতুন কোনো লেখক বা আম� লিখল� পাবলিক যা তা বলতো আমার ধারণা।
নয়ট� গল্পের এই সংকলনে� বিশে� দি� ঘটনাগুলো� ক্লাইমেক্সের সময়� বিচিত্রতা। কোনো গল্প� ভোরবেল�, কোনোটায় ভরদুপু�, আবার কোনোটায় সন্ধ্য�-রা�-মধ্যরাতে 'অদ্ভুত' ঘটনা ঘটছে� সচরাচর আধ� ভৌতি� রচনা� রাতকেন্দ্রিকতা, কিংব� ভূ�-জ্বী�-প্রেতাত্মা� অনুপস্থিতি গল্প� নতুনত্� এনেছে। সাধারণ সব বিষয়ে অসাধার� সব ঘটনা ঘটছে�
যদিও, গল্পগুলো সুহা� রিজওয়ানের লেখা বলেই এক্সপেকটেশ� আরেকটু বেশি ছিল। সবথেকে ভালো লেগেছে 'দ্বিতীয় জন'� তব� 'ডে� সোলস' এর মত� এত সুন্দর একটা ভৌতি�-দার্শনিক প্লটকে লেখক ইহজাগতিক কর্পোরেশনে টেনে এন� নষ্ট করেছেন� AI এর ইথিক্যালিট� নিয়� অসাধার� একটা কা� হত� যাচ্ছিলো গল্পটা�
"... ভেতর�, অনেক ভেতর� কোথা� কিছু একটা পুড়তে থাকে তার। শরীরজুড়ে বড্ড তোলপাড� লাগে� খালি মন� হয�, আপ� বেঁচ� থাকল� নিজেকে এইরূপে দেখল� তা� কেমন লাগত? আপ� তাকে কী বল�- 'টাকা� জন্য তু� এভাব� আমাক� বেচে দিলি?"
ছোটগল্� পড়া� ক্ষেত্রে যে ঝাক্কি সামলাত� হয� তা হল�- এন্ডিং� লেখকের অত� জ্ঞানগর্ভে� দরুন� হো� বা পাঠকের পাতল� জ্ঞানে� জন্য বুঝত� না পারা সে� এন্ডিং এর চিরচেন� প্রথার বাইর� গিয়� সুন্দর যবনিকা টানা হয়েছে প্রতিট� গল্পে। ভালো লেগেছে
ঠি� ভুতে� না - তব� অদ্ভুত/ অতিপ্রাকৃত গল্প� গল্পগুলো পড়ে পড়া পড়া মন� হয� কারণ গল্পের অনুষঙ্গগুল� বাস্তব জীবনের ক্ষেত্রে রিলেটেবল, আবার ঠি� পড়া নয়। ভাল। পড়ত� ভা� লেগেছে� সুহা� রিজওয়ানের লেখা ভা� তা� সাহিত্যগুণ নিয়� আলাদ� কর� কথ� বললা� না� তব�, এক দুইট� গল্পকে টেনে উপন্যা� কর� ফেলা যেতে পারে� পড়বার জন্য রেকমেন্ডেড�
❛আটপৌর� জীবনের ❛নয়পৌরে� গল্প!� সুহা� রিজওয়ানকে আমরা চিনি ভারী বিষয়ে লেখা উপন্যাসে� জন্য� তব� লেখক নিজে� পরিচিত গন্ড� থেকে বেরিয়� এবার হাজি� হয়েছে� গল্প সংকল� নিয়�! আটপৌরে জীবনের গল্পগুলোকে প্যারাসাইকোলজি, হর�, ফ্যান্টাসি, বৈজ্ঞানি� কাহিনি� মধ্য দিয়� বানিয়েছেন ❝নয়পৌরে� গল্প সংকলন। তো দেখা যা�! কখনো কি মন� হয� এই যে আমরা সোশ্যা� মিডিয়ায� এত নিয়মি� থাকি, যে আইডিটা আমাদের এত প্রিয় তা� ভবিষ্য� কী? মানে নশ্ব� এই দুনিয়� থেকে আমরা বিদায় নিবো কিন্তু আইডি রয়ে যাবে� কে� যদ� এই মৃ � লোকে� আইডি গুলো নিয়� বিজ্ঞাপন ব্যবসা কর� তব� কেমন হয�? ❛ড� � সোলস� এমনই এক গল্প বল�! গোগোলে� এক� নামে� উপন্যাসে� থেকে না� নিয়� লেখক অদ্ভুত এক গল্প বলেছেন� এক� সাইফাই কিংব� ডিস্টোপিয়ান ধাঁচের গল্প বল� যায়� ভালো লেগেছে� দীর্ঘদিন অসুস্থতা� জন্য অফিস কামা� করেছ� সাদিয়া। তা� রোগট� অদ্ভুত� এক� কী কর� ব্যাখ্যা কর� যায় জানা নেই। রোগী দেখত� গিয়� অরণী আর পারভী� এম� এক গল্প শুনে আস� যা মনের মধ্য� তৈরি কর� ভয� আর পাকিয়� দেয় ❛জট❜� গল্পটা পড়ে ভয� তো লাগবেই� আদতে� যদ� এম� কিছু হয� তব� কী করার থাকব�? লেখকের ভিন্� ধারা� চিন্তা থেকে� সৃষ্টি এই গল্পের এব� অবশ্যই কেমন শিরশির� অনুভূত� দেয়� কোরবান� ঈদের আগের দি� ❛ছ� রি ধার❜ করতে গিয়� নাফি� শুনে অদ্ভুত এক কথা। এও হয� নাকি? তব� আমাদের মস্তিষ্ক যা শুনে তা নিয়� চিন্তা করতে গিয়� দেখা যায় বাস্তব আর কল্পনা� ব্যবধা� হারিয়� ফেলে� কিন্তু তা� বল� মাথা� তীব্� অশান্তিক� শান্� করতে নাফি� কো� পথ অনুসরণ করছে? এই গল্পটা� সাথে কোরবানির ইতিহাসকে লেখক একসূত্রে গেঁথেছেন� শে� লাইনটুকু অবাক কর� দিবে আবার নিজেকে কোনো উপসংহা� বাতল� দিবে� এই গল্পটা বেশ। মেদহী� কিন্তু চমকে দেয়ার মতো। আফজা� সাহে� ❛বাজি❜ ধরতে ধরতে নিজেকে বে� লাভবান কর� ফেলেছিলেন। তব� একটু রয়ে সয়ে কা� করলে হয়ত� আজকে এম� দশ� হয� না� বেশি লো� যে করতে নে�, আর এর ফল যে কখনো� ভালো হয� না এট� বুঝত� বুঝত� ক্ষত� যা হওয়ার তা হয়ে� গে�! ক্রিকেটে� বেটি� নিয়� গল্পটা ইন্টারেস্টিং� শেষট� অনুমেয� তব� কিছুটা প্লট হো� রয়ে গে� মন� হয়। এই গল্পটা মোটামুটি লেগেছে� কাছে� মানুষটার সাথে চলতে চলতে তা� নাড়িনক্ষত্র সব হাতে� তালু� মত� চেনা হয়ে যায়� সে� মানুষটার আচরণ� যদ� একটু এদিক সেদি� হয� তো সন্দেহ দানা বাঁধতে� পারে� কামা� সাহেবে� স্ত্রী� তা� সন্দেহ� তব� তা� সাথে থাকা এই মানুষট� কি কোনো ❛দ্বিতীয় জন�? এরকম প্লটের গল্প পড়েছি� শেষট� বুঝত� পেরেছিলাম। মোটামুটি ছিল। ❛সঙ্গী� ছাড়� বাঁচ� যায়? পাহাড়ের তাদে� নিয়� মর� ছাড়� এক� থাকা যাবে না� তা� আগের মরদে� দে� রাখা� কয়দিনের মাঝে� খিলু দিদিমা বললে� ঝুমর� যে� নিজে� জন্য মেলা থেকে নতুন কাউক� খুঁজ� নেয়� এবারের মেলায় তা� তেরো বছ� বয়সী কন্য� আদুরীকে� নিক। তাকে� একসময় তো বাছত� হব� সঙ্গী� পাহাড়ের নারী আর নদী� পুরু� এইভাবে� সঙ্গী জোড় বাঁধতে হয়। ঝুমর� তব� এবার কো� নদী� পুরুষে� সাথে চতুর্থবারে� মত� জোড় বাঁধবে? এই গল্পটা আমার অনেক ভালো লেগেছে� পাহাড়� কিংবদন্ত� নাকি ফ্যান্টাসি বলবো? শেষট� চমকে দিয়েছিল� আম� শেষট� কল্পনা করছিলা� এম� কেমন� হয�! সংকলনে� সবথেকে অদ্ভুত কিন্তু চমকে দেয়� গল্প ছি� এটি। ❛স্বপ্ন❜ দেখে বিশে� কর� দুঃস্বপ্� দেখে ঘু� ভাঙল� মাথা থেকে ব্যাপারট� সরান� যায় না� আর স্বপ্ন যদ� হয� আসন্� যাত্রা নিয়� তখ� কেমন লাগে? এমনটাই হল� নাদিমের। স্বপ্ন কি তব� আসন্� বিপদের সংকে� দেয়? কিন্তু সে� সংকেতে� অর্থ ঠিকভাব� যদ� ধরতে না পারে তখ�? এই গল্পটা� মোটামুটি� প্লট পরিচিত� শেষটাও অনুমেয়। তব� শেষট� লেখক তা� লেখা� গুনে এমনভাব� করেছেন যে আফসো� লাগব� নাকি হতাশ হয়ে যাবো দোটানায় ছিলাম। কখনো যদ� জানত� পারি বিশ্বব্যাপী এম� কোনো ঘটনা যা বে� ভুগিয়েছিল দুনিয়াক� তা� শুরুটা এই সুজল� সুফল� দেশে, তখ� কেমন লাগব�? হয়ত� এই শুরু� ঘটনা কে� জানে না� কিন্তু অজপাড়াগায়ে� কে� জানে� এমনট� হয� আসলে�? মনিরের গল্প শুনে আর সাক্ষা� তাকে দেখে কথ� যারপরনাই বিস্মিত। শুরুতে তা� গল্প শুনত� যদিও একদম ইচ্ছ� ছি� না� কিন্তু ধীরে ধীরে যা শুনল� তা� ব্যাখ্যা আদতে সে নিজে� জানে না� ❛মাছের বাজার❜ � কাদাপানি� দিনে না যাওয়া� তব� উত্ত�! এই গল্পটা কেমন গা রি রি কর� অনুভূত� দেয়� পড়ত� গিয়� কেমন যে� লাগছিল� ভাবনাট� আসলে� অদ্ভুত এব� চমকে দেয়ার মতো। আমাদের অজান্তেই কত কী ঘট� যাচ্ছে, কত কিছু পরিকল্পন� চলছে আমরা জানিনা� আর এখান� তো পুরোটা� নতুন এক বস্ত�! এই গল্পটা� ভালো লেগেছে� বিশে� কর� শেষে� দিকে� শুরুতে তেমন আগ্র� পাচ্ছিলা� না� কৈশো� বা তরুণ কালে নী� ছবির প্রত� আগ্র� অনেকের থাকে� সে� আগ্র� থেকে� কয়েকজ� বন্ধ� হল� বস� উপভো� কর� এক্স রেটে� এক ছবি। সিডি থেকে দেখা এই ছব� তারা ভুলে� যায়� কিন্তু বন্ধ� দল মিলে বান্দরবা� ট্যু� দিতে গিয়� বাংলোত� মুখোমুখি হয� এম� এক অভিজ্ঞতা� যা তিনজ� তরুণকে একেবার� কুঁকড়� দেয়� ❛সিড�-সংক্রান্� জটিলতা� তাদে� ট্যু� তো মাটি করেই সেইসাথ� উন্মোচ� হয� তিতা কিছু সত্য� এই গল্পটা একটু জটিল ছিল। তব� মানব মনের গহী� গোপন ব্যাপারক� লেখক প্রকাশ করেছেন নিপুণভাবে। রগরগ� হলেও গল্পটা বে� ছিল। তো এই ছি� গল্প সংকলনে স্থা� পাওয়া নয়ট� গল্প� ভিন্� প্লট, লেখা� সাবলীলত� মিলে বইটা ভালো ছিল। বর্তমানে� লেখকদে� মধ্য� সুহা� রিজওয়ান আমার অন্যতম প্রিয়� পরিচিত গন্ড� থেকে বেরিয়� এই ধরনে� গল্প যেখানে বর্ণনা� আতিশয্� নে� কিন্তু রে� আছ� গভী� এম� লেখা� জন্য তাকে সাধুবা� জানাতে� হয়। সবগুলো গল্প� যে উপভোগ্� ছি� এম� নয়। কিছু কম� প্লট ছি�, কিছু গল্প মোটামুটি ছিল। তব� মোটে� উপ� উপভোগ্য। হয়ত� আর� ভালো হত� পারতো। কারণ প্রিয় লেখক বলেই তা� কা� থেকে আকাঙ্খ� সবসময়� বেশি� ছোটো গল্প লেখা আমার কাছে মন� হয� উপন্যা� লেখা থেকে� জটিল� আর সে� ছোটো গল্পের সংকল� নিয়� রিভি� কর� বরাবরই আমার কাছে কষ্টসাধ্� একটা ব্যাপার। চেষ্টা করেছ� তবুও� প্রচ্ছ�: প্রচ্ছদট� বই পড়া� পর বইয়ের সাথে খু� বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ মন� হয়েছে� বইটা গল্পের সাথে� প্রতীকী অর্থ� ব্যবহা� হয়েছে প্রচ্ছদ। দারু� ছি� ব্যাপারট� ❛নয়পৌরে জীবনের অবাস্তবতার মাঝে� আটপৌরে জীবনযাপন কর� যেতে হয়। সেখা� থেকে� তৈরি হয� গল্প, তৈরি হয� নতুন কোনো জগৎ।�
ভয়ে� গল্প বললে� আমাদের মাথায় প্রথমে আস� ভূ�, অশরীরী আত্ম� বা কোনো অলৌকিক শক্তির উপস্থিতি� কিন্তু সত্যিকারের ভয� কি কেবল ভূতে� মধ্যেই সীমাবদ্ধ? নাকি এম� অনেক ভয� আছ�, যা আমাদের মনের ভেতর� বা� কর�, অজান� কোনো আশঙ্কা হয়ে?আবার ভয� পাওয়া� অনুভূতিট� অদ্ভুত, তা� না? কখনো সেটা আস� হু� করেই, কখনো ধীরে ধীরে গায়� কাঁট� দিয়� ওঠ�, আবার কখনো ভয়ট� এত সূক্ষ্মভাব� ঢুকে যায় যে টেরও পা� না� সুহা� রিজওয়ানের 'নয়পৌড়ে' ঠি� সে� ধরনে� ভয� নিয়� খেলে—যেট� কেবল ভূ� বা অশরীরী আত্মার মধ্য� সীমাবদ্ধ না, বর� মানুষে� মনের গভী� থেকে উঠ� আসে। এই বইটি কেবল ভূতে� গল্প নয�, বর� এম� এক জগ� যেখানে বাস্তবের মধ্যেও ভয়ে� অস্তিত্ব আছে।
'নয়পৌড়ে' বইটিতে মো� নয়ট� গল্প আছ�, আর প্রতিট� গল্পের ধর� ভিন্ন। লেখক একেক গল্প� একেকভাবে ভয়ক� তুলে ধরেছেন� কোথা� ভয� এসেছ� এক অদ্ভুত সময়ের ফাঁদ হিসেবে, কোথা� প্রযুক্তির ভয�, কোথা� বাস্তব জীবনের ভয�, আবার কোথা� অজান� কোনো অন্ধকারে� অস্তিত্ব� এটাই বইটি� অন্যতম আকর্ষণীয় দিক—একঘেয়েমি নে�, প্রতিট� গল্পেই একটা নতুন অভিজ্ঞতা�
প্রতিট� গল্প� ভিন্নভাব� ভয়ক� সংজ্ঞায়িত করেছে। কখনো অতিপ্রাকৃত, কখনো মনস্তাত্ত্বি�, কখনো বা একেবারেই বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া�
সুহা� রিজওয়ানের লেখা� ধর� খুবই সাবলীল। সহ� ভাষা, কিন্তু গভী� বর্ণনা� গল্প পড়ত� গিয়� কোনো জটিলতা� মুখে পড়ত� হয� না, বর� প্রথ� লাইন থেকে� গল্পের মধ্য� ঢুকে পড়ত� পারেন। লেখক ধীরে ধীরে রহস্� তৈরি করেন, ছো� ছো� ক্লু দে�, আর তারপ� হঠাৎ একটা মোচড� দিয়� ভয়ট� অনুভ� করান।আরেকট� মজার ব্যাপা� হল�, লেখকের গল্প বলার ধর� এম� যে, অনেক ক্ষেত্রে� শে� পর্যন্� এস� মন� হবে—এটা তো সত্যিও হত� পারে! কিছু কিছু জায়গায় বাস্তব আর কল্পনা� সীমারেখা এতটা� মিশে গেছে যে, শেষে এস� মন� হবে—আচ্ছা, সত্যিই যদ� এম� কিছু ঘট�? এই অনুভূতিটাই ভয� তৈরি করে।
আমরা সাধারণ� ভয� বলতে যা বুঝি, এই বই তা� বাইরেও গেছে� লেখক চেষ্টা করেছেন ব্যাখ্যাহী� ভয়ক� ধরতে� অনেক সময় ভয়ে� সবচেয়� বড� দি� হল�, সেটা� কারণ আমরা জানি না� অন্ধকারে একটা শব্দ শুনল� ভয� লাগে, কিন্তু ভয়ট� আসলে কি কারণ�? সেটা যদ� বুঝত� না পারি, তখনই সেটা আর� বেশি আতঙ্কে পরিণ� হয়।
এটাই 'নয়পৌড়ে'� সবচেয়� শক্তিশালী দিক। এই বই শুধু ভূতে� গল্প বল� না, বর� ভয� কিভাবে তৈরি হয�, কিভাবে সেটা আমাদের মন� গেঁথ� যায়, সেসব বিষয� নিয়েও খেলা করে। লেখক দেখিয়েছেন, কখনো মানু� নিজে� সবচেয়� বড� দানব, কখনোবা আমাদের আশেপাশের পরিবেশ� সবচেয়� বেশি আতঙ্কজনক হত� পারে�
যারা হর� ভালোবাসে�, তাদে� পড়ত� পারেন। তব� শুধু হররপ্রেমী হলেই হব� না, যারা রহস্যময় গল্প পছন্� করেন, যাদে� মনের ভেতর� থাকা অজান� আশঙ্কাকে অনুভ� করতে ভালো লাগে, তারা� এই বই পড়ে মজ� পাবেন।শেষকথা হচ্ছ� 'নয়পৌড়ে' শুধুমাত্� কোনো ভূতে� গল্পের সংকল� না, এট� ভয়ক� অনুভ� করানোর এক দারু� চেষ্টাও। বইটি� সবচেয়� বড� শক্ত� হল�, এট� একঘেয়� নয়। প্রতিট� গল্প আলাদ�, প্রতিট� গল্পের ভয়ও আলাদা। লেখা� স্টাইল সহ�, কিন্তু গল্পগুলো জটিল � গভীর।পড়ল� হতাশ হত� হব� না�
সময় বদলে� সাথে সাথে ঘটনা� আঙ্গিক বদলালে� ঘটনা� বাস্তবতা কি আদ� বদলায়? নাকি আঙ্গিকের মোড়� খস� পড়ল� স্থা�-কা� নির্বিশেষে মূলত সব ঘটনা� বাস্তবতা এক� রক� থাকে? হালে� ব্ল্যা� মিরর সিরিজে� “জোয়া� ইজ ওফুল� দেখত� গিয়� তা� আমাদের মন� পড়ে যায় শতবর্ষ আগ� লেখা গোগলের ডে� সোলসের কথা। তবুও � সক� আপাত ভিন্� সক� বাস্তবতা� গভীরত� � কাঠিন্যে� বিচা� করতে গিয়� পাশাপাশি দু� প্রজন্মে� ভেতরকা� সমাধানহী� তর্কটা চলতে� থাকে অন�:শেষ।
“There are only few stories to be told, but a million ways to tell them- Joseph Campbell
গল্প পড়ত� গিয়� বরাবরই মহাত্ম� জোসে� ক্যাম্বেলে� কথাট� মাথায় আস� বলেই বোধহয় পাঠক হিসেবে আমার মনোযোগটা বেশীরভাগ সময়� ঝুঁক� থাকে বিষয়বস্তু থেকে গল্প বলার ধর� বা আঙ্গিকের প্রতি। তব� পাঠক হিসেবে আম� অতোট� না� উঁচু স্বভাবের নই বলেই যেকো� লেখা পড়া� শুরুতে একেবার� খারি� করার বদলে নিজে� কিছুটা অভ্যস্ত হবার চেষ্টা করি।কেনন� পাঠে� ক্ষেত্রে অনেক আপাত সাধারণের ভেতর বহ� অসাধার� কিছু খুঁজ� পাবা� ঘটনা বহুবার ঘটেছ� আমার ক্ষেত্রে � শেষমেশ নিজে নিজে� এক প্রকার সিদ্ধান্তে উপনী� হয়েছি যে পৃথিবী� কো� লেখায় আসলে সে� অর্থ� পুরোপুরি অপ্রয়োজনীয় নয়।
এতোস� ভণিত� বা� দিয়� সুহা� রিজওয়ানের সদ্� প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ “নয়পৌরে� নিয়� বর� কথ� বলি। গল্পসংখ্যা নয়ে� সাথে মি� রেখে� আটপৌরে� পরিবর্তে হয়ত� এই অভিন� নাম। তব� এখান� একটা ইঙ্গিত আছ� শুরু� ভূমিকা� সে� সমাধানহী� তর্কের� “ডেড সোলস�, “ছুর� ধার�, “জট� “বাজি� গল্পগুলো� ক্ষেত্রে আঙ্গিক� আধুনিক সময়ের বে� কিছু অনুষঙ্� থাকলেও সংকটগুলোকে যেমন একদিকে বহুল পরিচিত মন� হয�, অন্যদিক� গল্পগুলো� পরিণতি� সহজে� অনুমান কর� নেওয়া যায়। তব� ক্লান্তিকর মনোলোগ বা ডিটেইলিংয়ের বাহুল্� না থাকায় বে� অনায়াসে পড়ে ফেলা যায়� শুধু তা� নয�, সুহানে� লেখা� মুন্সিয়ানায� এই গল্পগুলো পড়ত� পড়ত� এক ধরণে� দেখা � শোনা� অনুভূতিও হয়। হাতে ধর� রাখা বইয়ের পাতাকে হঠাৎ হঠাৎ� সেলুলয়েডে� পর্দ� বল� ভ্রম হয়। এই অভিজ্ঞতাটা নি:সন্দেহ� দারুণ। “দ্বিতীয় জন � স্বপ্ন, মা� বাজা� এব� “সিড� সংক্রান্� জটিলতা� গল্পগুলো শুরু� চারট� গল্পের পথ অনুসরণ করলে� বিষয়বস্তু � অনুমিত পরিণতি� পুনরাবৃত্তির কারণেই সম্ভবত পাঠক হিসেবে প্রত্যাশা মেটেনা পুরোপুরি�
� বইয়� আমার সবচেয়� প্রিয়গল্প “সঙ্গী� � বইয়ের বাকি আট গল্পের দিকে সে তীব্� ভ্রুকুটি নিক্ষে� কর� দাঁড়িয়� থাকে একমেবাদ্বিতীয়� হয়ে� গল্পকা� সুহা� রিজওয়ান হয়ত� ইচ্ছ� করেই এই গল্প� তা� আস� ক্ষমতা� কিছুটা নমুন� প্রদর্শন কর� আড়ালে দাঁড়িয়� মুচক� হাসত� হাসত� বলেন “দেখলে তো, গল্প লেখা নিতান্তই আমার বা� হাতে� খেল”।
নিয়মি� উপন্যা� লেখা� বাইর� লেখকের গল্পের প্রত� পাঠক হিসেবে ভবিষ্যতে অবশ্যই আমার মনোযোগ থাকবে।
গল্পগুলো কি হর� বল� যায়? না� কিছু গল্প অস্বস্তিকর, আবার কিছু গল্প থ্রিলারে� কাছাকাছি� প্রথ� দুটো গল্প ডে� সোলস আর জট দুর্দান্ত। বিশে� কর� জটের প্লট বহুদিন মন� রাখা� মতো। এরপর কিছু গল্প কেমন যে� মিইয়ে গেল। আমাদের পরিচিত ঢংয়� লেখা গল্পগুলোতে যে� প্রা� সঞ্চার� কর� গে� না� শেষে গিয়� সঙ্গী, মা� বাজা� আর সিডি-সংক্রান্� জটিলতা ভালো লেগেছে�
নয়পৌরের গল্পগুলো খারা� নয়। সংকল� হিসেবে পা� মার্� তো পাবেই। কিন্তু লেখক সুহা� রিজওয়ান বলেই পা� মার্কে� পাশে '� প্লা�' দিতে পারলাম না�
কথাসাহিত্যিক সুহা� রিজওয়ান কখনও অতিপ্রাকৃতিক গল্প লিখবেন—ত� বো� হয� ছি� কল্পনারও অতীত। তারও অতী� হল� পুরোপুরি একটা গল্প সংকল� পাওনাটা। অন্ত� পাঠক হিসেবে আমার মনোভাব এখান� বিচলিত হয়ে পড়ে খানিক। কিংব� মস্তিষ্কের ঝিমিয়� থাকা কোষগুল� হঠাৎ জীবি� হওয়ার আলসে ধান্ধায় সিগন্যাল দেয় ভাবনাকে। তারা আরেকটু ঘুমাতে চায় কেবল� কে�, জানত� পারলাম না� জাগাতে চাইলাম তাদের। কাজে� ফাঁকফোকর� তা� ‘নয়পৌরে� পড়ত� কালক্ষেপ� করলা� না�
‘নয়পৌরে� সংকলনে সর্বমো� গল্প রয়েছে নয়টি। অতিপ্রাকৃত, প্যারাসাইকোলজিক্যা�, দুয়েকটি হয়ত� ফ্যান্টাসি-ঘেঁষা। লেখক এখান� আটপৌরে’র গল্প সাজানো� বেড়িয়া� ভেঙে কে� নয়পৌর� লিখত� গেলে� তা নিয়� চিন্তা� হুটোপুটি যে ক্ষণিকের জন্য হয়ন� তা বল� কী কর�? তব� কোষগুল� ঘুমিয়� থাকাতে আর ডিস্টার্� করিনি। আটপৌরে কী? শব্দটি� অর্থ খুঁজ� পাবে� এক-এক জায়গায় এক-একরকম। সবচেয়� সহ� হলো—য� কাপড� সর্বদা ব্যবহা� যোগ্�; কিন্তু পোশাকি নয়। মানে? আবার আটপৌরে� ভাষা� না-কি হয়। যে ভাষা সাধারণদে� জন্য� কিন্তু এট� পরিভাষা। যা আবার সংযোগস্থাপ� কর� সংস্কৃতি � ঐতিহ্যের সাথে� কীভাবে? যতদূ� মন� হয�, ‘আট� বলতে এখান� প্রথাগ� � সংখ্যাটি বুঝানো হয� না� এট� চিত্রি� কর� বিশে� একটি প্রথাগ� দিককে। ‘পৌরে� বলতে পূর্� বা সম্পূর্ণ বুঝালে এখান� যথারীতি একটা কিন্তু’র পোক্� সম্ভবন� থেকে যায়� এখ� এই প্রচলি� আটপৌরে-কে লেখক যখ� নয়পৌর�-তে রূপান্তর করবে� তখ� স্থা�-কা� � পাত্রগ� অনেককিছুতে� যে পরিবর্তন আসবে তা বলাবাহুল্য� নিয়মে� যাঁতাক� ফাঁক� দিয়� সেটা যে আর� অনিয়মী হয়ে উঠবে, তা-� বা এড়িয়� যায় কী কর�? এব� হয়েছে� তাই। গল্পগুলো আপনি ক��ব� অনুভ� করবে�, কিন্তু গবেষণা বা যাচা� করার চিত্রট� ফুটে উঠবে আপনা� মননে, ক্ষেত্রবিশেষ� ঘুমিয়� থাকা মস্তিষ্কে।
সংকলনে� প্রথ� গল্প ‘ডেড সোলস’। নিকোলা� গোগোলে� বিখ্যা� উপন্যা� ‘ডেড সোলস� থেকে ধা� কর� শিরোনামে� গল্প� যে রেফারেন্� আর বাস্তবতা লেখক তুলে ধরেছেন—ত� সমর্থনযোগ্য। হররীয় আব� এখান� অনুপস্থি� হয়ে উপস্থি� করান� মানব মনের সে� গোপনীয় ভয়কে—য� কেবল লোভে� বশবর্তী হয� না, হয� আর� নানা� রিপু� আর বিশ্বাসঘাতকতারও। বিষয়ট� অনেকটা চল� যায় সে� প্রেক্ষাপট� যেটাকে ডিস্টোপিয়ান বলতে� আম� বো� হয� স্বাচ্ছন্দ্য বো� করি। এখান� ডিস্টোপিয়ান টাচটাই সর্বগত হয়ে ধর� দেয়� গল্পের দু� চরিত্র নিয়াজ আর মোরশেদ ঠি� কো� কো� কঠিন বাস্তবতা� পরাবাস্ত� ছা� নিজেদে� জীবন� খুঁজ� পায় সে� নিয়� লেখা ‘ডেড সোলস’। ইউনি� ওয়ান। এব� অবশ্যই সাবধান� পাঠককে সচেত� করতে এই ধরনে� একটা গল্প খু� খু� জরুর� ছিল।
ভয� যে কেবল মনের গহিন� নয�, মাঝে মাঝে হাতে� তালু� রূপরেখার মত� মুখাবয়বেও জীবন্ত হয়ে ধর� দেয় তা বলার অপেক্ষ� রাখে না কে? দ্বিতীয় গল্প ‘জট’—সেই জটের� নগ্ন উপস্থাপন কর� যা� সম্মুখী� হত� চায় না কোনো মানুষ। � গল্পটা আমাক� ক্ষণিকের জন্য স্মর� কর� দিয়েছিল লেখক আমের আহমেদ’র উপন্যা� ‘পাপপিঞ্জর�-কে� ভয়ে� আঙ্গিক� জনগণকে সাবধান বাণী� ছুড়� দেওয়া� রূপক ধরনট� পছন্� হয়েছে� শুধুমাত্� অযাচিত ধোঁয়া নয�, সতর্� থাকত� হব� সেইস� ‘পার্টি� থেকে যাদে� থেকে সমাজ আপনাকে সতর্� থাকত� বারবার আদেশ � অনুরোধ করে। বল� তো যায় না, এম� কিছু� কবলে পড়ে আপনা� মুখমণ্ডলের দশ� কতটা ভয়ংকর হত� পারে�
তৃতীয় গল্প ‘ছুর� ধার’। একটি কোরবানির প্রেক্ষাপট� লেখা সাইকোলজিক্যা� হরর। বিষয়ট� অবশ্� প্যারাসাইকোলজিক্যাল। মানব মনের অর্ধেক ভয� থাকে তা� মাথায়� মাথায় যেমন মা� ওঠ�, কারণ� অকারণে, এখানেও ঠি� হয়েছে তেমনটা হয়। স্যাটায়ার হো� বা বাস্তবতা� গল্পের শেষট� কিছুটা চমকি� আর কিছুটা নীরব কর� দিতে বাধ্য। রিলিজিয়ার বিশ্বা� থেকে গল্পটা যে মেটাফোরে হাঁট�, তা বুঝা� ক্ষমতা যে� সবার থাকে� বলুন�
এরপর চতুর্থ গল্প ‘বাজি� নিয়� হাজি� হন লেখক� একটা মন খারা� কর� গল্প� গল্পটা হর� কম মানবিক অনুধাব� বেশি মন� হয়েছে� এব� শেষটাই তো রীতিমত� আফসো� করতে হবে। হত� পারে ‘আহারে�, ‘ইশ� যাতীয় দুয়েকটা মুখনিসৃত শব্দের� ক্রিকেটে� বাজি নিয়� গল্পটি আর� একবা� সে� শিক্ষা দিয়� যায়, লোভে পা� আর পাপে�? কিন্তু কা�? যদিও � সমাজ� মৃত্যু� দায়ভা� কে� একটা তেমন বহ� কর� না� এখান� জন্মটা পা� হল� মৃত্যুটা পুণ্� হিসেবে ধর� হয়। গল্পটা সেটা� প্রমাণ কর� দিলো� আর ভাগ্�? সেটা নিশ্চু� আর অসহায়ত্বে� লক্ষ� হিসেবে� না-হয� থাকল� চলছে তো এভাবেই�
পঞ্চ� গল্প ‘দ্বিতীয় জন’। খুবই কম� প্রেক্ষাপট � জনরা মেনে গল্পটি লেখা� তব� উপস্থাপন� ভালো হওয়ায� পড়ত� ভালো লেগেছে� শেষট� অনুমেয়। গল্পটি নিয়� আর বেশিকিছু রিভি� না করি।
সম্ভবত ষষ্ঠ গল্পটি সংকলনে� একমাত্� ফ্যান্টাসি গল্প� নাম—‘সঙ্গী’। এটাক� লৌকিকতার আশ্রয়� বল� যায়� তব� পুরো গল্পের ভারট� লেখক যে দক্ষ হাতে সামলেছেন এব� যে আঙ্গিকে—তার জন্য আলাদ� একটা ধন্যবা� দিতে� হয়। এত এত মেটাফো� একটা গল্প�, সেটাকে ঠি� ঠেসে বুনন কর� হয়নি। হয়েছে ঠান্ডা মাথায়� পুরো জালট� শেষে গুছিয়� এন� যে সমাপ্ত� দিয়েছেন� তা গল্পটিকে পূর্� সমাপ্ত� দিতে বাধ্� করে। পুরো সংকলনে� সবচেয়� পছন্দে� গল্প এটিই� লেখক চাইল� � নিয়� একটা উপন্যাসও লিখে ফেলত� পারেন। আয়ে� নিয়� পড়ব�
সপ্ত� গল্প—‘স্বপ্ন’। কম� বা পরিচিত প্যাটার্� মেনে গল্পটি লেখা� এব� শেষট� যথারীতি অনুমেয়। উপস্থাপন� ভালো� পড়ত� ভালো�
অষ্ট� গল্প—‘মাছ বাজার’। এটাক� সংকলনে� নিকৃষ্� গল্প বল� যায় প্রেক্ষাপটের দি� থেকে� কিন্তু পুরো আব� বিচা� করলে সংকলনে� অন্যতম ইতস্তত আর শিরশির� অনুভূত� প্রদান কর� গল্প কিন্তু এটিই� কিছু বিষয� ব্যাখ্যাতী� থাকে� লেখক সেটা� ফুটিয়� তুলেছে� এখানে। ইউনি� ওয়ান। এম� কিছু আগ� পড়া হয়নি। গল্পটি সেরা হয়ত� বল� না কিন্তু পুরোপুরি মাথা থেকে ঝেড়� ফেলে দিতে পারব না অনেকদিন। সম্ভবত কখনও লেখকের মুখোমুখি হল� � গল্পটা� আইডিয়� নিয়� প্রশ্ন কর� বসব।
শে� গল্প—‘সিড� সংক্রান্� জটিলতা’। গল্পটি শুরু থেকে শে� অবধি আপনাকে বইয়ের পাতা� সাথে সেঁট� রাখবে। বুয়েটের ছাত্�-ছাত্রীদে� একটি গ্রু� নিয়� লেখা� যেখানে সমাজের ট্যাবু বিষয়ক কথাবার্ত�, ঘটনা উঠ� এসেছে। গল্পটি শে� হয� একটি বান্দরবন ট্যু� দিয়ে। যেখানে তাদে� সাথে এম� কিছু ঘট� যায়� যা গল্পটিকে অমলি� রাখব� অনেকদিন। কামন�, বাসন�-এর পর ঠি� কী হয� একজন মানুষে� সাথে সেটা� মেটাফোরি� উদাহরণটা এখান� স্পষ্ট� অ্যাডাল্� জিনিসপাত� আছ� কিছু, সংযমী আর সংবেদনশীলর� একটু সতর্� থাকবেন�
সুহা� রিজওয়ান থেকে এম� একটি সংকল� পাওয়া� পর, আর� কিছু� আবদা� করতে পারি� কিন্তু সেটা করছি না� লেখক চলবে�, নিজে� মর্জিমাফিক� সেখানে পাঠকদে� বিবেচনায� বা ইচ্ছায� চলতে গেলে গল্প লেখা হব� ঠি� কিন্তু সাহিত্যট� আর হয়ে উঠবে না�
এছাড়া যারা এর পূর্বে কখনও লেখকের সাথে পরিচয় হয়ন�, তারা� সংকলটি ট্রা� করতে পারেন। সময় � অর্থ দুটো� ওর্থ ইট হবে। এব� অবশ্যই পড়া� পর একটু ভাবনার চেষ্টা করবেন। শুধু পড়ে� ক্ষান্� দিবে� না� যতটুকু বুঝেছি লেখক এখান� আপনাকে আনন্� বা ভূতে� ভয� পাওয়া� জন্য লেখাগুলো লিখেননি। প্রতিট� গল্প� লুকায়িত রয়েছে একটি হিডে� মেসেজ। ওট� বে� কর� নেওয়া� দায়িত্ব একান্ত� আপনার।
�.�/� আজকে হচ্ছ� আমার চেনা লেখকদে� অন্য ধাঁচ� আবিষ্কারের দিন। উপন্যাসে সুপট� সুহা� রিজওয়ান এর গল্প যেমন পড়লাম, তেমন� প্রিয় নন ফিকশ� লেখক পরিম� ভট্টাচার্য এর উপন্যাসও শুরু করলাম। সুহা� রিজওয়ান এর বইটি� না� নয়পৌর�, আটপৌরে বা সাধারণ থেকে এক মাত্রা বেশি! গল্প� ঠি� নয়টাই� একমাত্রা বেশি তা� বোঝা� যাচ্ছে যে স্বাভাবি� বা বাস্তবিক জীবন� আমরা যা কর�, যা দেখি তা� চাইত� নয়পৌর� আলাদ� হবে। হর� ধাঁচের গল্পগুলো� সবকট� এক� রক� না, কো� কোনট� ডিস্টোপিয়ান, কোনট� একটু সাইন্স ফ্যান্টাসি� ধাঁচের� সবগুলো গল্পের মানও এক না� কো� কোনট� বেশি ভালো লেগেছে, কোনট� আবার অত ভালো লাগেনি� আমার ব্যক্তিগতভাব� প্রথ� দুটি গল্প ডে� সোলস আর জট� বেশি ভালো লেগেছে� বিশেষত জট গল্পটি অনেক স্ট্রং মন� হয়েছে� শে� গল্পটি পড়ে প্রপার একটা হর� গল্পের ভাইব পাওয়া যায়� গল্পকা� সুহা� রিজওয়ানকে মন্দ লাগল না, তব� ঔপন্যাসি� সুহা� রিজওয়ান� বেশি ভালো�
এট� ভালো যে সুহানে� মধ্য� উন্নাসিকতা নেই। তিনি তা� পরিশ্রমী এব� সুলিখি� উপন্যাসে� পর এবার ধরেছেন মুচমুচ� টুইস্ট নির্ভর মেট্রোগল্প� তব� সুহানে� গদ্যের সাথে যারা পরিচিত, তারা আরেকটু রস-কষ আশ� করেছিলেন নিশ্চিতভাবেই!