ŷ

Jump to ratings and reviews
Rate this book

হেলফেরিয়ন

Rate this book
গল্প যেমন হওয়� উচিত, এই বইয়ের গল্পগুলো ঠি� তেমন� প্রে�, কা�, ক্ষমতা, লো�, ফ্যাসিবা�, জাদুবাস্তবতা� জগতে আপনাদে� স্বাগতম।

112 pages, Hardcover

First published January 3, 2025

5 people are currently reading
29 people want to read

About the author

মাহবুব ময়ূখ রিশাদে� জন্ম ১৯৮৮ সালে� ৩০ জুন। ২০০৫ সা� থেকে লেখালেখি শুরু করেন� প্রথ� বই প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে� লেখকের পছন্দে� জায়গ� জাদুবাস্তবতা� প্রি� লেখক গ্যাব্রিয়ে� গার্সিয়া মার্কে� � শহীদু� জহির� ব্যক্তিজীবন� চিকিৎস� রিশা� অর্জ� করেছেন ইন্টার্নাল মেডিসিনে� সর্বোচ্� ডিগ্রি এফসিপিএস� পড়াশোন� করেছেন ময়মনসিংহ জিলা স্কু�, নট� ডে� কলেজ, চট্টগ্রা� মেডিক্যা� কলেজে।

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
1 (7%)
4 stars
5 (38%)
3 stars
5 (38%)
2 stars
2 (15%)
1 star
0 (0%)
Displaying 1 - 6 of 6 reviews
Profile Image for Harun Ahmed.
1,463 reviews351 followers
March 17, 2025
"লেখক হয়ে� সে এট� জানে না, নিজে� সঙ্গ� কথ� বলাই সবচেয়� কঠিন কা�?"



প্রথ� গল্প "পেনাল্টি" একদিকে চটুল মন� হয�, আবার এর অন্তর্নিহি� কালো কৌতু� অস্বীকা� করার উপায� নেই। "হারিকে�" এর পর পেয়� যা� "যুদ্�" বা "হেলফেরিয়ন" এর মত� গল্প যেখানে সাধারণভাবে বর্ণনা দিতে দিতে একদম চূড়ান্ত মুহূর্তে এস� রিশা� প্রব� একটা ঝাঁকুন� দ্যান। � দুইট� গল্পে� টুইস্ট আছেবলা যায় না,কিন্তু কাহিনি� পুরো প্রেক্ষি� লেখক শে� লাইন� এস� পালট� দ্যা� নিশ্চুপে, নির্বিকারভাবে।মত প্রকাশের স্বাধীনত� আর এর অবশ্যম্ভাবী পরিণতি নিয়� লেখা "নির্বা�" অত্যন্� সুলিখিত। লাইক শেয়ার কমেন্ট, সন্ধানের সন্ধ্যায� রা� � মায়�, তি� মাথা� মানু� - � গল্পগুলো� পছন্দের। বিশেষত "লাইক শেয়ার কমেন্ট" � সামাজি� যোগাযো� মাধ্যম� যে কোনো ইস্যুত� দু� ভা� হওয়� আর জনপ্রিয়তা লাভে� মরিয়া প্রচেষ্ট� যেভাবে লেখক রূপকের সাহায্যে তুলে ধরেছেন তা এককথায� অনবদ্য।�
তব� ভালো গল্পের পাশে সাধারণ মানে� গল্প� বিরল নয� বইতে� মন� হয�, এস� বিষয়ে রিশা� আগেও অন্বেষ� করেছেন বা বক্তব্� অস্পষ্ট। গল্প বাছাইয়ে� ক্ষেত্রে লেখক আরেকটু নির্দয� হত� পারতেন�
Profile Image for অনার্য অর্ক.
177 reviews222 followers
February 3, 2025
বিপন্নতা� ঘেরাটোপে আমরা প্রতিনিয়ত আটকে যাই। রো� একেকটা সংকট নতুন নতুন মুখো� পর� আমাদেরকে আহ� করতে আসে। কখনো চেনা চেহারায়,কখনো বা সম্পূর্ণ অপরিচি� খোলস পরে। গল্পকা� মাহবুব ময়ূ� রিশা� গভীরভাব� বিশ্বা� করেন ক্রাইসিস ছাড়� গল্প হয� না� তা� হেলফেরিয়ন গল্প সংকলনে� প্রতিট� গল্প� কোনো না কোনো ক্রাইসিস রেখে গেছে তা� ডা� হাতে� বুড়� আঙুলের ছাপ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে� ক্রাইসিসগুলো ম্যাসকুলিন� সিংহভাগই মানসিক,কখনো বা শারীরিক। প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশ�, হানিমু� প্যালস�,হারানো প্রেমিকা� মু�,একাকীত্�,সংশয�,আত্মবিলো�,পাপবোধ,গ্লানি
সমস্তট� নিয়� এক বিরা� শোকসভা ‘হেলফেরিয়ন’। হেলফেরিয়ন আক্ষরি� অর্থেই নরকে� আগুন� দা� দা� কর� জ্বল� আত্মদহনে� প্রতিকৃতি। রিশা� বরাবরই গল্পের মধ্য দিয়� ঘো� তৈরি করতে চেয়েছেন� তব� তা� চিরাচরিত প্রবণতার চ্যুতি লক্ষ্য কর� যায় হেলফেরিয়নে। পুরু� মানুষে� প্রেগন্যান্ট হয়ে যাওয়া, তি� মাথা� মানু�, কিলোমিটারে� পর কিলোমিটা� লম্ব� লে� লেখকের এম� জাদুবাস্তব সিগনেচার হেলফেরিয়ন� থাকলেও তুলনামূলকভাব� কম� তা� গল্প বলার কাব্যগন্ধী সহজা� ভঙ্গিট� মিসিং। চড়া দাগে যৌনতার কথ� কোথা� কোথা� সত্য� বলতে আরোপিত মন� হয়। অথ� চম� দেয়ার উন্মুখতাটা এক� রক� রয়ে গেছে�

শুরুটা হয়েছে‘পেনাল্টি� নামে� এক আবেগঘন গল্প দিয়ে। ১৯৯৪ সালে� বিশ্বকাপ ফাইনাল� ইতালিয়া� ফুটবলা� ব্যাজি� পেনাল্টি শট মি� করেছিলেন� সে� ব্যাজিওর নামই বয়ে বেড়াচ্ছ� গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র� কারণ, বাস্তব জীবন� সে� ব্যাজিওর মত� পেনাল্টি মি� কর� বারবার� শে� অবধি কি এই নামে� অভিশাপ থেকে ব্যাজি� বে� হত� পারে? তারই মীমাংস� করতে যেতে হয� শে� অবধি� নিঃসন্দেহে গল্পটা সফলভাব� পাঠকের আবেগবিন্দুকে স্পর্শ করতে পারবে। তব� প্রশ্ন থাকে, � যুগে এস� প্রেমিকা� পরিবারকে না চেনা� কথ� না� নামে� অভিশাপ জিনিসট� পর� ফিরে ফিরে সংকলনে� অন্য গল্পেও এসেছে। যেমন: নির্বা� কিংব� অরণ্যে নির্জন ঝরাপাত� গল্পে। ‘নির্বাক� ভীষণ রক� রাজনৈতিক,রূপকধর্মী� ব্যক্তিগ� ক্রাইসিস� আটকে থাকে না� ফ্যাসিবাদী গুমখুনের যুগে কণ্ঠরোধে� পরিণতি নিয়� সচতু� গল্প ‘নির্বাক’। নিঃসন্দেহে সংকলনে� অন্যতম সেরা গল্প� অরণ্যে নির্জন ঝরাপাতার কনসেপ্টট� খু� নতুন নয�,তব� সামগ্রিকভাবে অন্যরকম। পাঠককে বিষণ্ণতা� ভারী চাদর� মুড়� দিয়� যায় গল্পের পরিণতি� খানিকট� Eternal Sunshine of the Spotless Mind এর কথ� মন� পড়ে গেছিলো কিছু জায়গায়�

ক্রাইসিসের কাঁধ� চেপে দেখত� গেলে রিশাদে� গল্পের চরিত্রের� জীবনের চাওয়া-পাওয়া� সংশয়ে ভুগত� থাকে আর দশটা মানুষে� মতো। রেমিদিউসের কথ� গল্পের অর্ণবও তাই। হারানো প্রেমিকা রেমিদিউসের মু� তাকে তাড়� কর� ফেরে� স্মৃতি আর ভ্রমের পুনঃপুনঃ আঘাত� অর্ণবে� কল্পনা আর বাস্তবের দেয়াল ভেঙে পড়ে� ঘটনাবহুল না হলেও ‘রেমিদিউসে� কথা’নিঃসঙ্গ মানুষক� নিজস্ব আয়নার মুখোমুখি কর� দেয়ার ক্ষমতা রাখে� এই নিঃসঙ্গতাকেই ফাইট কর� একেকজন একেকভাবে� আর তা� কামড� সবথেকে বেশি জোরালো হয� চাকরিজীবী মানুৃষদে� অখণ্� অবসরে।‘লাই� শেয়ার কমেন্ট� গল্পের নিঃসঙ্� মানু� আজমত সাহে� সদ্য রিটায়ার করেছেন� আর বাকি দিনগুলোক� খরচে� খাতায় তুলে দেয়ার জন্য সিদ্ধান্� নিয়েছেন ‘ফেসবু� সেলিব্রিটি� হবেন� দার্শনিক অভিসন্ধি থাকা সত্ত্বেও গল্পকা� কমিক্যাল� আজমতের ফেসবুক সেলিব্রিটি হবার ১০� ব্যর্থ তরিক� আর তা� প্রতিক্রিয়া� যে ধারা বর্ণনা করেছেন তা হাসাতে ব্যর্থ হয� না� নরকে তো শুধু সংশয�,দহ�,গ্লানি থাকব� তা হয� না� অট্টহাসি� থাকে! থাকে অপরাধবোধের আড়ালে নিজে� সত্তার অন্ধকা� দিকে� প্রত� প্রব� মু� ভ্যাঙচানি। ‘য� ট্রে� ছেড়� যায় না স্টেশন� গল্প� সে� মু� ভ্যাঙচানিকেই উপজীব্� কর�, রিশা� আমাদেরকে শোনা� এক খুনি চিকিৎসকে� গল্প� নিজে� গ্লানিকে মুছে দিতে নাকি নিজে� মুখোমুখি হতেই বন্ধ� বিনায়কে� পরামর্শে সে যায় এক অদ্ভুত স্টেশনে। সবুজ কামরার ভিড়� তাকে খুঁজ� নিতে হব� রক্তাভ লা� এক কামরা। খুনি প্রবৃত্তিক� উসকে দেয়� লা� কামরায� গত� এলিয়ে দেখত� হব� স্বপ্ন� মিলব� কি পরিত্রাণ? জানা নেই। স্বপ্নের এক পর্যায়ে শেষমেশ এম� ব্যাখ্যাহী� পরিস্থিতির সামন� দাঁড়াতে হয�,সেখানে আসলে পাঠক� খে� হারিয়� ফেলে� অচ� ট্রেনে� মতো।

ব্যাজি� পেনাল্টি মি� করলে� পরের গল্পগুলোতে রিশা� পেনাল্টি মি� করেন না।‘ঘুরপা� ঘুরপাক�,‘হারিকেন�,‘যুদ্ধ�,‘লেজ� এই গল্প চতুষ্টয় হেলফেরিয়নের ভা� বাড়িয়ে দিয়েছ� বহুগুণে। আমরা মানুষেরা শেষমেশ কিন্তু অন্যের স্মৃতিতে� বেঁচ� থাকি� এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্� কর� হাসপাতাল� উপস্থি� হত� থাকে একের পর এক নারী� কে� তা� প্রেমিকা,কে� শুধু� বা পরিচিত� কনফিউশনে� মধ্য� ঘুরপাক খেতে খেতে গল্পকা� রিশাদে� দার্শনিক অভিসন্ধি� গূঢ়তা আন্দাজ করাট� দুরূ� মন� হলেও,আমার ভেতর গল্পটা রয়ে গেছে� যুদ্ধফের� কিছু মানু� ফিরে এসেছে। তারা কে� ঠিকানা খুঁজ� পাচ্ছে না� না� মন� করতে পারছ� না� যে� পৃথিবী� সমস্� অ্যালঝেইমা� রোগীরা বেরিয়� পড়েছে ঘর খুঁজছে কিন্� খুঁজ� পাচ্ছে না� বক্তব্যে শক্তিশালী অথ� যুদ্ধবিরোধী এই গল্প প্রশ্ন রাখে,‘আমর� সকলে� কি মর� গেছি, শুধু যুদ্ধটাই বেঁচ� আছ�?’সরাসর� যুদ্ধে� ভয়াবহতা না দেখিয়েও রিশা� যে� হয়ে উঠেছেন এরিখ মারিয়� রেমার্ক। জুলাইয়ে� দগদগ� ক্ষত, রক্তের না শুকানো দাগে� স্মৃতি নিয়� ‘হারিকেন’ধিক� ধিকি জ্বলে। আন্দোলনে যো� দেয়ার জন্য ব্যগ্র হয়ে আছ� অনিম� অনেক কষ্ট� বুকে� মানিকক� নিজে� আগলে রাখত� চা� তা� মা রোকেয়া। তা� ঘর থেকে বে� হত� দে� না� ইলেকট্রিসিটি নেই। নে� মোমবাতি। মা-ছেলেকে এক� রেখে মো� কিনত� বে� হন সাব্বির। বাইর� এস� থমকে যা� শহরে� শূন্যত� প্রত্যক্� করে। এই সুনসান নির্জনতা ঢাকা শহরে আজ অবধি দেখা যায় নি� নিজে� হৃদস্পন্দন� জোরালো শব্দ� অনুভূত হয়। ওদিক� রোকেয়� ধুলো পড়া এক হারিকে� বে� কর� আনেন স্টোররুম থেকে� কেরোসি� নেই। সাব্বি� কোন��� মত� প্রা� হাতে নিয়� ঘর� ফিরে দেখে� মো� তো এনেছেন,কিন্তু ম্যাচও তো নে� ঘর�! এখ� উপায�? এই গল্প� সরাসরি জুলাইয়ে� স্ন্যাপশ� তুলে না এন� রিশা� হেঁটেছেন ভিন্নপথে� জুলাইয়ে� স্পিরি� বল� বল� যে মুখে ফেনা তুলে ফেলা হয�,তা� প্রকৃত গভীরতাক� ধরেছেন হারিকেনে� রূপকের মধ্য দিয়ে। ‘লেজ� গল্প� আবার� এক সম্মিলিত সংকটের মুখোমুখি আমরা দাঁড়িয়� পড়ি� ঢাকা শহরে হঠাৎ আবির্ভূত হয� এক অতিকায� ‘লেজ’। লে� ধর� হাঁটতে থাকল� একেকজন হাজি� হো� একেক পথে।
আবার এক� পথ� উল্ট� দিকে হাঁটলে� ঘট� এই ঘটনা� মনস্তত্ত্ব আর স্মৃতি� পারস্পারিক মিথষ্ক্রিয়া চমৎকারভাবে গল্পের মধ্য দিয়� গল্পকা� ব্যক্ত করতে চেয়েছেন� আমাদের নির্জল� দ্বিচারিতা,উভমুখীতাকে� কি খানিকট� পো� করলে�?

সাবটেক্সটে� দি� থেকে পায়াভারী উল্লেখ করার মত� গল্প ‘হেলফেরিয়ন�,‘ঘাসের সত্য মিথ্যা দিন�,‘দোতলা� বারান্দায়’। নীৎসের ‘God is Dead� যে� প্রতিধ্বনি করেই হেলফেরিয়ন� সৃষ্টি� তড়পানিত� স্রষ্টার নিশ্চু�, নির্বা� থাকা� শাশ্বত সত্যটা এনেছেন গল্পকার। প্রতিট� মানু� একেকটা নিজস্ব নর� বয়ে বেড়ায়। সেখানে আত্মদহনে� জ্বালানি কা� হয়ে জ্বলতে থাকে তা� সমস্� ভু�,অপারগত�,অন্যায� আর পাপবোধ� দোতলার বারান্দায় গল্প� দেখিয়েছেন সে� গোপন কদর্যতার,পাপবোধের মহীরু� প্রতিকৃতি।

আমাদের এখনকার গল্পকারদের সামগ্রিকভাবে গল্প বাছাইয়ে� প্রক্রিয়াটা বিবেচন� কর� দরকার। কথাপ্রসঙ্গ� মত� নন্দী� ছো� গল্প লেখা� প্রসেসটা মন� কর� যেতে পারে� লেখালিখি শুরু� পর নন্দী প্রায় এক সপ্তাহ� একটা গল্প লিখতেন� এই বহুপ্রজতার মধ্য দিয়� যাবা� পর� তা� গল্পের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ� থেকেছে পরিমিতিবোধের জন্য� সে একেকটা গল্প যেতো বহ� কাটাছেঁড়া� মধ্য দিয়ে। তারপরও একশোরও বেশি গল্প নন্দী ফেলে দিয়েছিলেন� রমাপ� চৌধুরী� ক্ষেত্রে� তাই। তা� লেখা পড়ল� মন� হয� স্লাইড ক্যালিপার্� দিয়� মেপে,নিক্তিতে ভর দেখে দেখে শব্দ বসাচ্ছেন� সেটাতে কিন্তু মোটে� গল্প বলার ফ্লো,স্বতঃস্ফূর্ততা নষ্ট হয� না� ইদানীংকাল� যতগুলো গল্প সংকল� পড়লাম সেগুলোতে বারবার একটা কথাই ঘুরেফিরে মাথায় আস�- এই গল্পটা এখান� কী করছে?! থিমেটি� মি� থাকল� তা� কথ� ছিল। বর� গল্পের উপস্থিতি সংকলনে� সামগ্রিক গ্র্যাভিটিটাকে হালক� কর� দেয়� ‘হেলফেরিয়ন� সংকলনে এরকম একাধিক গল্প আছে। একটা গল্পের না� না বললে� না,সেটা হচ্ছে‘হানিমুন পালসি’। থিমেটি� মি� তো নাইই, বর� হাস্যরসাত্মক এই গল্পটা সংকলনে কী করছে তা কোনো মতেই ভেবে বে� কর� গে� না� কিছু কিছু গল্পের বী� থেকে অঙ্কুরোদগম হয়েছে ঠিকই,তব� তাদেরক� ডালপাল� মেলে বিস্তা� করার সুযো� লেখক দে� নি� একটা গল্প বলতে গিয়� কোনো প্রসঙ্� উত্থাপ� করার পর ‘তাহলে এটার পেছনের ঘটনাটা বল� এখান� প্রাসঙ্গিক না� বল� রোডব্ল� দেয়ার কাজট� একবা�-দু্বার নয�,রিপিটেটিভল� বারবার ঘটেছে। আলাদ� আলাদ� গল্প হিসেবে পড়ল� হয়ত� তেমন চোখে পড়ব� না� তব� সংকলনে� সব গল্প টানা পড়ল� গল্পকারে� এই প্রবণত� খানিকট� বিরক্ত� উদ্রেক করতে পারে� আরেকটু যত্ন নিয়� গল্প নির্বাচন আর ছো� ছো� সীমাবদ্ধতাগুলোকে ছাঁটাই কর� ফেললে‘হেলফেরিয়ন� নিয়� আক্ষেপের সুযো� থাকত� না�
Profile Image for Wasim Mahmud.
344 reviews27 followers
January 9, 2025
ঔপন্যাসি� হিসেবে মাহবুব ময়ূ� রিশাদে� সাথে পরিচয় হয়েছে 'আরিমাতান�'� মধ্য দিয়ে। হেলফেরিয়ন আমাক� পরিচয় করিয়ে দিলো রিশাদে� গল্পকা� সত্ত্বার সাথে� ১৮ টি গল্পের রিভি� লিখছ� নিচে�

�) পেনাল্টি

অদ্ভুত সুন্দর এক গল্প পড়া হলো। মূ� চরিত্রের না� ফুটবলা� ব্যাজিওর নামে� বাস্তব জীবন� বারবার পেনাল্টি মি� কর� ব্যক্তির একসময় মি� না করার গল্প এটি‌। তব� ক্র্যাফ্টম্যানশিপে� বিচারে লেখকের গল্পকথ� আমার কাছে চমৎকার লেগেছে� অনেক কিছু না বলেও বল�, ফুটবলে� মত� গতিশী�, উত্তেজ� এক আখ্যানের দেখা পেলাম। প্রথ� গল্পেই স্কো� করেছেন মাহবুব ময়ূ� রিশাদ।

�) রেমিদিউসের কথ�

আপনি জীবন� কী চা�? সে� জটিল প্রশ্ন রেমিদিউস করেছিল� অর্ণবকে। ব্যাংককে থাকা অবস্থায় রেমিদিউসের স্মৃতি � প্রশ্নটি তাড়� কর� বেড়ায� ভ্রম� ভুগা সে� অর্ণবকে। কল্পনা এব� রূঢ় বাস্তবতাকে এক গল্প� জায়গা কর� দিয়েছেন লেখক দক্ষতা� সাথেই।

�) যে ট্রে� ছেড়� যায় না স্টেশন

একজন খু*নি যে অদৃশ্য হয়ে তা� কর্ম সম্পাদ� কর�, এরকম একজন পৌছে গেছে এক অদ্ভুত স্টেশনে। যেখানে তা� জন্য বন্ধ� বিনায়কে� মত� আছ� এক নির্দিষ্� বগি‌। সে� বগিত� গিয়� স্বপ্ন দেখা লাগব� � চিকিৎস� খু*নির। ম্যাজি� রিয়েলিজমে� মোড়কে মানবমনের অদ্ভুত অন্ধকা� দি� দেখিয়েছেন লেখক�

�) ঘুরপাক ঘুরপাক

অর্ণবে� মৃত্যু নিয়� � ঘুরপাক, নাকি তা� বিভিন্� সম্পর্� নিয়�, নাকি এসব‌ই একজনের স্মৃতিচারণ শুধু? রিশাদে� গল্প� হুটহাট পাল্টে যায় বাস্তবতা� ধারাবাহিকতা।

�) হারিকে�

জুলা�-আন্দোলনে� সময়কা� ঘটনা� সাব্বিরে� ঘর� বিদ্যু� সঙ্গ� কারণ� নেই। নে� মোমবাতি। অগত্যা পুরন� এক হারিকে� বে� কর� রোকেয়া। তাদে� সন্তান অনিম আন্দোলনে যাওয়া� জন্য মুখিয়� আছ�, তব� ঘর� বন্দ� আপাতত। এসবে� মাঝে ঘট� যায় অনেক কিছুই‌। গল্পের না� হারিকে� কে� তা� বুঝা যায় শেষে�

�) যুদ্�

যুদ্ধফের� কিছু মানুষে� ঘর খুঁজ� না পাওয়া�, নিজে� না� মন� করতে না পারা� গল্প এটি। যুদ্� কীরক� ভয়াবহ এক ব্যাপা� তা � গল্প� ফুটে উঠেছ� জাদুবাস্তবতাকে সাথে নিয়ে।

�) কোথা� কে� একজন এক� বেঁচ� আছ�

একাকিত্বের গল্প বল� হয়েছে এখান� জাদুবাস্তবতা� ন্যারেটিভে‌।

�) নির্বা�

সেল্�-সেন্সরশিপে� যুগে এব� গু�-খুনে� সময় সবাক হল� কী পরিণতি হত� পারে তা রিশাদে� জাদুবাস্তবতায় মূর্� হয়েছে 'নির্বা�'এ। সুন্দর লিখেছে� তিনি�

�) লে�

ঢাকা শহরে একজনের বাসা� সামন� এক বিশা� লে� পড়ে আছে। যে লে� এক একজনকে এক একদিকে নিয়� যায়� মানবচরিত্রের এক চিরাচরিত প্রবণত� নিয়� যে� � গল্প�

১০) ঘাসে� সত্য মিথ্যা দি�

বিশে� ক্ষমতা� অধিকার� একজন রন্টি। কো� কিছু� স্পর্শ সে� বিষয়ে যাবতীয় স্মৃতি তাঁর মস্তিস্ক� ঢুকিয়� দেয়� কিন্তু আস� সত্যটা কী? গল্পের সাবটেক্স� ভালো লেগেছে�

১১) মৃত্যু� গোপন তথ্য

মৃ� একজন মানুষে� নিজে� সাথে নিজে কথোপকথ� হচ্ছ� � গল্পের মূ� বিষয়। কিন্তু সন্দেহ থেকে যায়� কোথায় গিয়� যে� গল্পটি মিলানো যায় না� আসলে মিলানো� প্রয়োজন‌ও নেই‌। যা আছ� তা হল� কথার ফাঁক� অনেক কথা‌।

১২) অরণ্যে নির্জন ঝরাপাত�

নির্জন � পাতা� অন্যরক� প্রেমকাহিন� এটি। অবশ্� সব প্রেমে� গল্প‌ই ভিন্� ভিন্ন। আবার কোথায় গিয়� কিছু মিল‌ও পাওয়া যায় এসবে� গল্পটা বিষণ্ন কর� দিতে পারে অনেক পাঠককে�

১৩) হানিমু� পালস�

মুনসেফকে তাঁর মা একটু বেশি আগলে রাখেন। সে� মুনসেফ বা সংক্ষেপে মুনে� ঘোলাটে পরিস্থিত� থেকে কেটে পড়া� অভ্যাস, ভীরু মনের মাঝে� প্রে�-পরিণয় হয� হানি� সাথে� কিন্তু হানিমুনে গিয়� বড� ঝামেলায় পড়ে মুন‌। � ধরণে� গল্প আমাদের সমাজের বহ� বাস্তব করুণ পরিস্থিতির সাক্ষ্� দেয়�

১৪) লাইক শেয়ার কমেন্ট

ফেসবুকের জগতে সেলেব্রিটি হ‌ওয়ার ব্যর্থ চেষ্টায় লিপ্� আছেন আজমত সাহেব। এক টং দোকানে� সামন� এক‌ই ঘটনা� পুনরাবৃত্ত� এব� শেষে� ঘটনাটি বর্তমা� সময়� অনেক জীবনের ফেসবুক বাস্তবতা তুলে ধরেছে। � গল্পের সাবটেক্স� ভালো লেগেছে���

১৫) দোতলার বারান্দায়

দোতলার বারান্দায় দেখা নীরা� প্রত� গল� যায় উত্ত� পুরুষে বয়ানকার� আমাদের কথক। তব� ঘটনাচক্র� এম� কিছু ঘট� যায় যাতে বিশ্বা� ছিলো না তার। ভয়ংকর এক গল্প পড়লাম�

১৬) সন্ধানের সন্ধ্যায� রা� � মায়�

গোয়েন্দ� খুশনুদ বেরিয়েছ� রাফা� � অর্পিতাক� খুঁজতে� যারা নি� থেকে� গা ঢাকা দেয় তাদে� সন্ধান করেন � গোয়েন্দা‌। এই খোঁজের চক্র� আমরা দেখত� পাবো মানুষে� নিজে� হারিয়� যাওয়া� ব্যাপারটা। মানু� অন্যের মাঝে নিজে� সন্ধান কর� কিংব� নিজে� হয়ে যায় ভিন্� একজন, হারিয়� যাওয়া� উদ্দেশে।

১৭) তি� ���াথা� মানু�

অস্বাভাবিক কিছুকে ভয� পাওয়া মানবমনের এক স্বাভাবি� অনুভূতি। আবার নি� পাপে� গ্লানি বহ� করতে না পেরে আর কাউক� দায়� করাটাও� কারণ মানুষে� মাঝে� অস্বাভাবিক ব্যাপা�-স্যাপা� বিদ্যমান� অথবা ঐস� হয়ত� স্বাভাবি� বিষয়‌ই�

১৮) হেলফেরিয়ন

� ব‌ইয়ের আমার সবচেয়� ভালো লাগা গল্প হচ্ছ� এটি। রিশাদে� অন্যান্য গল্পের মত� আমাদের বাস্তবতা হত� অনেক ভিন্� এক বাস্তবতায় একজন সৃষ্টি করেছ� 'হেলফেরিয়ন'কে� মানু� যে� সৃষ্টি কর� তাঁর একান্ত আপ� নরক।


আমার � গ্রন্থ� গল্প ভালো লেগেছে �) �) �) �) ১২) ১৫) ১৮)� মাহবুব ময়ূ� রিশা� ম্যাজি� রিয়ালিজমে� মোড়কে কিছু কথ� নিজে� কাছে রেখে দেন। পাঠকের� হয়ত� ভিন্� ভিন্� অর্থ বে� করতে পারবেন এস� গল্প থেকে� অবশ্� গল্প থেকে সবসময় একটা অর্থ‌ই বে� কর� আনতে হব� এম� কো� কথ� নেই। লেখকের গল্প� একাকীত্�, শূন্যতার বো�, কা�, সংশয� এব� আর� অনেক কিছু� পাওয়া যায়� কিছু কিছু ক্ষেত্রে রিশা� যে� গল্প লিখত� গিয়� তাঁর মাথায় যে প্রস্তুত� ছিলো, যেসব স্বগোতক্তি তিনি করেছেন, তা-� গল্প হয়ে ধর� দিয়েছ�, আবার কখন‌ও হয়েছে অধরা� গদ্যভাষা� ক্ষেত্রে গতিময়, আমাদের জীবনের সাথে প্রাসঙ্গিক অনেক বিষয� রিশাদে� জাদুবাস্তবতায় পাঠকের কাছে ধর� দিবে� অনেক গল্প� হয়ত� পাঠক নিজেকে� খুঁজ� পেতে পারেন।

যে জাদুবাস্তবতা� থি� মন� হয� নরক। যে নর� দৈনন্দিন জীবন� আমরা� সৃষ্টি করি।

ব‌ই রিভি�

না� : হেলফেরিয়ন
লেখক : মাহবুব ময়ূ� রিশা�
প্রথ� প্রকাশ : জানুয়ার� ২০২৫
প্রকাশ� : চন্দ্রবিন্দু প্রকাশ�
প্রচ্ছ� : সিপাহী রেজা
জনরা : জাদুবাস্তবতা
রিভিউয়া� : ওয়াসি� হাসা� মাহমুদ�
Profile Image for নাহিদ  ধ্রুব .
143 reviews27 followers
January 17, 2025
ঠিকানাহী� কো� সেতু� কাছে সঙ্গ� কো� কারণ ছাড়াই যেমন জলস্রো� ছলচ্ছল শব্দ পাঠায়, ‍’হেলফেরিয়ন� বইয়ের গল্পগুলো অনেকটা তেমনই। পাড় থেকে বিচ্ছিন্� হয়ে যাওয়া এই সেতু� উপ� দাঁড়িয়েই বস্তুজগৎ � ভাবজগতের মধ‍্যে এক অদ্ভুত যোগাযো� তৈরি� চেষ্টা করেছেন লেখক� কখনও ফ‍্যান্টাসি, কখনও অ‍্যাবসলিউট অ‍্যাবসার্ডিটির দরোজায� কড়া নেড়� গল্পগুলো চেষ্টা করেছ� নিজস্ব গন্তব্� খুঁজ� নিতে� গল্প পড়ত� পড়ত� মন� হয়েছে, কখনও এই প্রচেষ্ট� দেখেছে সফলতার মু�, কখনও হারিয়েছ� পথ�

যে ট্রে� কখনও ছেড়� যায় না স্টেশন, সে’ই ট্রেনে� কো� বগিত� বাক্সপেটরা নিয়� উঠেছ� প্রে�, পরের বগিত� এসেছ� অযাচিত যৌনতা। কোথা� কোথা� আছ� দার্শনিক অভিসন্ধি, কোথা� আছ� পরিপক্� বেদনা। অধিকাং� গল্পের চরিত্রকে নিয়ন্ত্রণ করেছ� না� না� হাহাকার। নিজেকে হারিয়� নিজেকে খুঁজতে খুঁজতে অধিকাং� গল্পের প্রোটাগনিস্ট� কেমন যে� হারিয়েছ� এক� গোলকধাঁধায়। গোটা জগতে ‘ঘুরপাক� খেতে খেতে ‘পেনাল্টি� মি� কর� ব‍্যাজিও’র জন্য খু� বেশি অনুভূত� না জাগলেও ‘হারিকেন� গল্পের মৃদ‍ু আল� ভালো লাগে� যে� এই গল্প� এস� পাঠক আম� পুরো সাসপেন্সটাকে এক্সপেরিয়েন্স করতে পারি খু� কা� থেকে� রেমার্কে� ‘রোডব‍্যাক� কিংব� টেনিসনের ‘ইউসিসিস’এ� পাশাপাশি মাহবুব ময়ূ� রিশাদে� ‘যুদ্ধ� গল্পটি� দা� কেটেছে মনে। এই গল্পটি পড়ত� পড়ত� মন� হয়েছে, আম� হয়ত� এম� গল্প� পড়ত� চাই।

কিছু গল্প পড়ে মন� হয়েছে, বোঝাপড়ায় গড়মিল আছ� কোথা�, কিছু একটা মিসি�.. যে� পক্ক হওয়ার আগেই গা� থেকে ছেঁড়া কো� ফল� এই অদ্ভুত জটিলতা� মাঝে ‘হানিমুন পালসি� গল্প� এস� স্বস্ত� মেলে� চেনা গল্প, পরিচিত মানুষে� প্রতিচ্ছবি, তব� ভালো লাগে� ‘হেলফেরিয়ন� পড়া শেষে তা� সন্ধানের সন্ধ‍্যায় কিছু রা� � কিছু মায়� থেকে যায়�

মাহবুব ময়ূ� রিশাদে� গল্প আম� পছন্� করি। এই বইয়� তিনি তাঁর সহজা� জগ� থেকে বেরিয়� এস� লিখেছে� নতুন অভিজ্ঞতা� কথা। ফল�, তাঁর গল্পের স্বাভাবি� ভাষা� সাথে� হয়ত� যুক্তিসঙ্গ� কারণেই কিছুটা কম্প্রোমাই� করেছেন� তব�, পাঠক আম� মি� করেছ� তাঁর কাব‍্যি� ভাষা� অসংখ‍্� গল্প� ফিরে ফিরে এসেছ� যৌনতা। প্রেমে� আড়ালে উঁকি দিয়েছ� কাম। বিষয়গুল� মোটাদাগে raw হওয়ায�, আলাদ� কর� হয়ত� তৈরি করতে পারেনি বিউট�, কিছু জায়গায় যৌনতার উপস্থিতিকে মন� হয়েছে ইম্পোজড। তব�, সবমিলিয়� ‘হেলফেরিয়ন� পড়া� অভিজ্ঞতা আনন্দদায়ক, এটুক� নিঃসন্দেহে বল� যায়�
.
�.� / �
Profile Image for Mahrin Ferdous.
Author8 books194 followers
March 11, 2025
মাহবুব ময়ূ� রিশাদে� নতুন গল্পবই হেলফেরিয়ন শে� করলা� ফেব্রুয়ারির এক রাতে� যখ� বইটা শে� হল�, ততক্ষণ� প্রব� তুষারপাত মুছে দিয়েছ� রাতে� সব কুয়াশা। রিশাদে� আগের গল্পগুলো� যে বুনন, যে মায়াবী ভাষা, শূন্� থেকে তুড়� বাজিয়� কাহিনি নামিয়� আনার যে আমেজ—এ� বইয়� সেটা� বদলে এসেছ� এক ধরনে� স্বচ্ছ, অনাড়ম্ব� গল্পগাথা� গল্পের শুরুতে নে� কোনো আলাদ� চৌকা�, যে চৌকা� পেরিয়� পাঠক ধীরে ধীরে ঢুকে পড়ব� গল্পের ভেতর� বর� মন� হয�, এই বইয়ের গল্পগুলো জলের ওপ� সৃষ্টি হওয়� ক্ষণস্থায়ী নকশা� মতো—যেভাব� গাছে� পাতা থেকে শিশিরবিন্দ� ঝর� পড়ে, কিংব� তুষারে� প্রথ� ফোঁটাট� ছিটক� এস� ধাক্কা খায় চলন্� গাড়ির কাচে�

হেলফেরিয়ন—বইয়ে� নামটাই রহস্যময়, কৌতূহলউদ্দীপক� গল্পগুলো আমাদের বল� যায় রেমিদিউসের কথ�, যে আকাশ� উড়ে যাবা� আগ� তা� হৃদয� দিয়� গেছে নিহি নামে� আরেক মেয়েকে। ব্যাংককে� নিঃসঙ্� রাতে গল্পকথ� বিচর� কর� এই দু� রহস্যময় নারী� জগতে� এরপর গল্প ঘুরত� থাকে পুনরাবৃত্তির ভেতরে—কোন� গল্প বল� রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রিয়জন হারানো� কথ�, কোনো গল্প� ফুটে ওঠ� সরকারবিরোধী স্ট্যাটা� দেওয়া এক তরুণের ট্র্যাজেডি, আবার কোনো গল্প স্মৃতি� শহরে যুদ্ধে� ক্ষতচিহ্� খোঁজে।

তব� সবকিছু ছাপিয়� ব্যক্তিগতভাব� সবচেয়� বেশি ভালো লাগে লে� গল্পটি� বাড়তে থাকা শহরে� রাজপথে একটি লে� ঘুরে বেড়াচ্ছ�, আর তা� পিছু পিছু পাঠক� এগিয়ে যাচ্ছে এক পরাবাস্ত� জগতে� ভালো লাগে তি� মাথা� মানু�, নামগল্� এব� পেনাল্টি—যেখান� রবার্ত� ব্যাজিওর না� পাওয়া গল্পকথ� ফুটব� খেলা, যৌনত�, নিঃসঙ্গত� আর চমকে� টুকর� তুলে দেয় পাঠকের হাতে� গল্পগুলো কোথা� যে� মন� করিয়ে দেয় সমকালী� আমেরিকান ছোটগল্পকার লিডিয়� ডেভিসকে—তার সে� গল্পটি� মত�, যেখানে এক দম্পতি বাসা বদলে চল� যাচ্ছে, আর গল্পকথ� বলছে, "ওর� চল� যাচ্ছে বল� খারা� লাগছ�, তব� ওদের ফেলে যাওয়া কিছু জিনি� এখ� আমাদের হলো।"

এদিক� রিশাদও বলেন, "পাহাড়ের কাছে গেলে মন� হয� সমুদ্রের কথ�, সমুদ্রের কাছে গেলে মন� হয� পাহাড়ের কথা। অরণ্যে� কাছে গেলে হাতছান� দেয় সিটি লাইট�, আর সিটি লাইটসে� কাছে গেলে ফিরে আস� মাইগ্রেন�" তখনই লিডিয়� অনুরণন তোলে�"একটা কো�, কুকু�, একটা আংটি কিংব� বোতা� হারিয়� গেছে� কিন্তু হারিয়� গেলে�, তারা কোথা� না কোথা� ঠিকই আছে। শুধু আমার কা� থেকে� হারিয়� গেছে�" মন� হয� এক� সুরে দুইট� আলাদ� দে� থেকে ব্যাঙ্� কর� উঠলে� দু� গল্পকা�...

এইসব বেঁচ� থাকা� অনুষঙ্� নিয়� রিশা� তা� গল্পগুলোতে যে ব্যঙ্গাত্ম� পর্যবেক্ষণ আনেন, তা কেবল সর� গল্পবয়া� নয়—তার নিচে লুকিয়� থাকে আর� একপ্রস্ত গভী� � সূক্ষ্� উপহা�, হাহাকা� মেশানো বিদ্রূপে� হাসি� সম্ভবত এই স্বাদে� কারণেই বইটি শে� হয়ে যায় এক বসায়।

তব� পড়ত� পড়ত� কোথা� কোথা� মন� হয�, কে� রিশা� আগের মত� লিখলেন না�"কুয়াশ� এলে��� কি শীতে� হাওয়া মৃদু দোলা দিতে শুরু কর�?" কিংব� "বাড়� ফিরে যা�, অর্নিল"—এ� এক বাক্যে� জাদু দিয়� আমাদের চেতনাক� মায়ায� আচ্ছন্� করলে� না?

তারপ� মন� হয�, একজন গল্পকারে� প্রতিট� বই তা� একেকটি যাত্রা� সব স্টেশন যেমন তা� গন্তব্� নয�, তেমন সব ভ্রমণই এক� ছাঁচের নয়। তব�, কোথা� কোথা� মন� হয�, স্বচ্ছতা� চেয়� আড়ালে� আকাঙ্ক্ষ� বেশি থেকে যায়� শব্দের মখমল চাদরের নিচে হয়ত� আর� গোপন কিছু� অপেক্ষ� থাকে —আরও কিছু যাদু, আর� কিছু দমকা বাতা�, যা হিমশীতল ছুরি� মত� পাঠককে বিদ্� করবে, গল্পপাঠে� নিঃসঙ্� আনন্দে�
Profile Image for হাসান মাহবুব.
Author15 books87 followers
March 12, 2025
রিশাদে� এবারের গল্পগুলি স্লি� এব� �! আগের চেয়� উপভোগ্� অবশ্যই! সবচেয়� ভালো লেগেছে কিছু গল্প� শেষে� লাইন দিয়েই মোড় ঘুরিয়� দেয়ার ব্যাপারটা। যেমন যুদ্� আর হারিকেন। বেখাপ্পা লেগেছে হানিমু� পালস� গল্পটা� আর প্রথ� গল্পটা, পেনাল্টি- দারু� উপভোগ্�! বিষয়বস্তুতে আরেকটু বৈচিত্� থাকল� ভালো হতো। কয়েকট� গল্প বা� দেয়� যে� সংকল� থেকে�
Displaying 1 - 6 of 6 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.