Ali Imam (আলী ইমাম) is a Bangladeshi children's writer and audio-visual organizer. He written a lots of scientific story, travel story etc. for children.
Imam has written more than 550 books, translated nearly 40. Child psychology, humanism and adventure is found in his writing. A simple style is available. Adventures, science fictions, stories related with historic events are the categories.
Ali Imam was the General Manager of Bangladesh Television and retired from the job in 2006. He is now hosting two popular TV Talk shows in private channels and more concentrating in his forthcoming books.He is Very Famous Familiar Face in Bangladesh about his Workings Experience.
এক সময় ভাবতাম বাংলাসাহিত্য� কিশো� উপন্যাসে� সংখ্যাটা তুলনামূল� কম� আসলে� কি কম ? কত কম...? এর উত্তরট� একবাক্যে দেয়� সম্ভ� না।কেননা কত টুকু� বা পড়ত� পেড়েছ� কৈশোরে ! আর কত টুকু� বা জানতাম সে সময় !
আমাদের কাছে পছন্দে� কিশো� উপন্যা� বলতে প্রথমে� মন� পড়ে, রকিব হাসানে� - তিনগোয়েন্দা কিংব� জাফর ইকবালে� কিছু উপন্যাস। কিন্তু সত্য বলতে এর বাহিরে আর� একটি না� উঁচু বুকে ঢুকে যেতে পারে এই তালিকায়� তিনি হলেন 'আলী ইমাম'� এব� তা� উপন্যা� 'অপারেশ� কাঁকনপুর'�
সকলে� আড়ালে চাপা পড়া এই লেখক লিখে গেছে� পাঁচ� এর বেশি কিশো� উপন্যাস। এরমধ্য� অন্যতম কিশো� গোয়েন্দ� সিরি� 'পিকু'� ছো� ছো� তিনট� উপন্যা� - অপারেশ� কাকনপু�, রক্তমাখা পুথি, কুঠিবাড়� রহস্� নিয়� এই সিরিজ। আমার কাছে সিরিজে� সবথেকে পছন্দে� বই 'অপারেশ� কাঁকনপুর'�
মাত্� ৪৪ পেজে� একটা উপন্যা� 'অপারেশ� কাঁকনপুর'� গল্পের মূ� চরিত্র মা মর� ছেলে পিকু� যাকে বইয়ের পাতায় আর দশটা গোয়েন্দার থেকে একটু অন্যভাবে উপস্থাপন করেছেন আলী ইমাম� অন্ত� আমার তা� মন� হয়। পিকু� মধ্য� রহস্� উন্মোচনে� প্রবণত� আছ� ঠিকই� কিন্তু তা� বেশি আগ্র� প্রকৃতির নিখা� রূ� পর্যবেক্ষণে। এই দিকটাই অন্য সবার থেকে আলাদাভাব� তুলে ধর� পিকুকে�
দু� মলাটের মাঝে� পাতাগুলোতে সাধারণ বাঙ্গালী এক কৈশোরে� চিত্রায়� করেছেন আলী ইমাম� যা মিলে যায় প্রকৃতিপ্রেমী যে কারো� ফেলা আস� শৈশবের সাথে� যে কিশো� বাবা� বদলীতে অন্য জায়গায় পাড়� জমালেও, মনের জায়গা থেকে সরাত� পারেনা ফেলে আস� বন্ধুদের� বারবার আকুলতা দেখায় জমিয়ে রাখা� স্মৃতি� প্রতি।
সাবলী� ছো� ছো� বাক্যে, বিমুগ্� সব উপমায়, সুনিপু� হাতে অতুলনীয় এক উপন্যা� রচনা করেছেন আলী ইমাম� কোনো জায়গায় অতিমানবীয় রূ� না দিয়�, সাদামাটা এক কৈশোরে� গল্প� তুলে এনেছেন বইয়ের পাতা জুড়ে। যা উঠতি বয়সী যেকোনো পাঠককে কাঁকনপুর� হারিয়� নিয়� যেতে বাধ্য। . . কাহিনী সংক্ষে�::
পিকু� বাবা ফরেস্ট অফিসার হওয়ায� বদলী� চাকরী� ছুটে বেড়ান � শহ� থেকে � শহর। সাথে থাকে পিকু� এবার� বদলী হয়েছে কাঁকনপুরে।
পথ� আসতে আসতে নিঃশব্� কাঁকনপুর� অবারিত রূ� বিমোহি� কর� ফেলে পিকুকে� তা� তা� বাবা অফিস� চল� গেলে, সুযোগে বুঝে মংলিকে নিয়� বেরিয়� পড়ে সে� মংলি সাঁওতালদের ছেলে� পিকুদে� নতুন বাসায় রান্না� কা� করে।
ঝার্না, বু� ঝোপঝাড� এস� ডিঙ্গিয়� পাহাড়ের দিকে হাটত� থাকে তারা� হঠাৎ ঝো� থেকে সা� কর� কি যে� সর� যেতে দেখে পিকু� ঝোপটার কাছে পৌছে দেখল� একটা পোড়� সিগ্রে� পড়ে আছে। এদিকওদিক চো� ফেরাতে দেখত� পেলো, ট্রেনে� সে� লোকটা। যে তাকে ফ্যাসফ্যাস� গলায� গল্প বল� চমকে দিয়েছিল� আর তাকে বিষাক্� কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করতে চেয়েছিল� কিন্তু সে এখান� কি কর� আসবে? সে তো চু� কর� এক স্টেশন আগ� নেমে গিয়েছিল� আর এখ� এই অন্ধকা� ঝোপে বস� কি করছি� সে?
পরেরদি� রাতে গে� খোলা� চেষ্টা করছি� কেউ। বারান্দায় দাঁড়িয়� ল্যাম্পে� আলোয� ট্রেনে� সে� আজগুবে বুড়� লোকটাক� দেখত� পে� পিকু� সাথে সাথে চিৎকার দিতে� পালিয়� যায় লোকটা। রাতে ভালো ঘু� আসেন� আর� কেনো এই লোকট� তাদে� পিছু নিয়েছ�? কেনো লুকিয়� তাদে� ফল� করছে? অনেক ভেবে� উত্ত� পায়না পিকু� কিন্তু রহস্� রহস্� একটা গন্ধ পেয়� যায় ঠিকই�
কাকনপুরে সাঁওতালদের একটা বস্ত� আছে।পাহাড়ের কাছে� না� 'বাঘমুন্ডী'� ওখান� থাকে মংলিরা� প্রত� বছরে একবা� উৎসব হয� ওখানে। ওদের গ্রামে� সবচেয়� পুরন� গাছে� কোঠর� রাখা হয� সোনা� হাসে� মূর্তি।সার� বছ� কে� খো� পায়না হাসটার� সর্দারের কাছে লুকন� থাকে� শুধুমাত্� উৎসবের দিনে গ্রামে� সবচাইত� পুরন� গাছে� কোঠর� এন� রাখা হয� হাসট� � তাকে ঘিরে গো� কর� নাচে সাঁওতালরা। এই উৎসব দেখত� মংলিকে সাথে নিয়� ওদের গ্রামে যাচ্ছে পিকু�
হঠাত পথ� দেখা হয� ক্যানারি সাহেবে� সাথে� ক্যানারি দ্বীপে অনেকদি� ছি� বল� এম� নাম। কাঁকনপুরের জনপ্রিয় লোকদের একজন তিনি� কিছু কিছু লো� আছ�, তারা যখ� বল�, তখ� মন� হয� কথার তুলি দিয়� ছব� আঁকছে। তিনি হচ্ছেন সে� ধরনে� লোক। পিকু বাঘমুন্ড� যাচ্ছে শুনে চমকে উঠলে� ক্যানারি সাহেব। যেতে নিষে� করলে� পিকুকে� চেষ্টা করলে� ভয� দেখাবার। ক্যানারি সাহেবে� এই আচরণের উদ্দেশ্য বুঝত� পারলোন� পিকু�
বিকেলে� দিকে সাঁওতালী গায়� পৌছে যায় ওরা। একটা সময় গোধূলিকে বিদায় দিয়�, মস্ত গো� চাঁদ উঠ� যায় আকাশে। সর্দার এস� গাছে� কোঠর� রাখে সোনা� হাস। ঠি� তখনি ঘটনাটা ঘট� গে� বাঘমুন্ড�'তে� পরপর দুবা� গুলি� শব্দ� যে যা� মত� ছুটে পালাতে লাগল� সুযো� বুঝে কালো কাপড� জড়ানো দুটো লো� হাসট� তুলে নিয়� দৌড়াত� লাগল� কিন্তু বিড়াল আক্রমণ করলো একজনকে� শেষমেশ পালাতে পারলেও, বয়ে নিয়� গে� বিড়ালের আঁচড়ে� ক্ষত�
এম� ঘটনা ঘট� যাওয়াতে বাঘমুন্ডী'� সকলে� মন খারাপ। চাপা কষ্ট অনুভ� কর� পিকু নিজেও। বিষণ্ণ হয়ে থাকে সব সময়� এম� একটা দিনে ক্লু ধর� পর� খুদে রহস্যপ্রিয� পিকু� চোখে� সেটা ধরেই সে নেমে পর� গোয়েন্দাগির�'তে� . . পা�-প্রতিক্রিয়া::
ছোটবোন আমার থেকে� বেশি বই পড়ে� পিচ্চি বয়স� সে বাসা� খাটে� নিচে থাকা ট্রাঙ্� খুলে সব বই পড়ে ফেলেছে� এরমধ্য� কঠিনীয়� ভাষায় লিখা শ্রীকান্�'� আছে। আম� বয়স� বড� হলেও এইসব বই ধরার সাহস করিনি। মন� মন� চিন্তা আর� বড� হই� তখ� পড়ব�
এরমধ্য� একটা বই ওক� প্রায় পড়ত� দেখি� আর শুনি মনপ্রা� ঢেলে প্রশংস� করতে� তা� একদি� হাতে নিলা� বইটা� দেখি কভার টভার কিছু নেই। পে� গুলিনো খোলা� আলাদ� আলাদ� হয়ে আছে। এম� বই পড়া� রুচি হয়না। তা� সে যত� ভালো বলুক� সেবা� পড়া হলোনা।
কিছুদি� পর� পড়া� মত� কোনো বই হাতে নেই। কিন্তু মনের খোঁড়া� মেটাতে বই চাইই চাই।তো, কোনো উপায� না পেয়� শেষমেশ সে� ছেড়� বইটা� শুরু কর� দিলাম।
আলী ইমামকে চিনতাম পাঠ্যবইয়ে� একটা প্রবন্� পড়ে� না� মন� নেই। কিন্তু মন� ছি� একদম ভালো লাগেনি লিখাটা� কিন্তু 'অপারেশ� কাঁকনপুর' এর প্রথ� লাইন থেকে ধারণ� বদলে যে� লাগলো। নিজেকে� বারবার বলতে ইচ্ছ� করলো, এতদি� কেনো পড়িনি এই বই� কেনো পড়িনি! কেনো !
চাদে� সাথে আম� দেবন�... তোমা� তুলন� ......� এদেশ� এক সময়ের জনপ্রিয় গান। প্রেয়সী� রূপক� আলাদাভাব� একটা স্থা� দেয়� হচ্ছ� গানটাতে। যে� রূপক� চাদে� সাথে� তুলনায� আনতে চায়না গাতক� ঠি� তেমন� 'অপারেশ� কাঁকনপুর' কে, অন্য কোনো কিশো� উপন্যাসে� সাথে তুলন� করবোনা।তপু, রাশে�, দীপু ;কিংব� কিশো�, রবিন, মুসা কারো সাথে না� পিকু আলাদ� একটা জায়গা তৈরি কর� নিয়েছে। এব� সেটা অতুলনীয়�
বইয়ের শুরুটা এক অদ্ভুতুড়ে রহস্� দিয়� শুরু এব� শেষট� রহস্যভেদ কাহিনী হলেও, পুরো বই জুড়� ছি� প্রকৃতির বিবর্ণ, নিঃশব্�, নিঃসঙ্� রূপে� মোহময় বর্ণনা� যা পাঠককে নিজে� স্থা� থেকে সরিয়ে স্বপ্নলোকে ভাসিয়� দিতে সক্ষম।
যেসব কিশো� পড়ুয়� স্বপ্ন� ভেসে বেড়াত� পছন্� করে। হারিয়� যেতে চায় প্রকৃতির পথ� পথে। মুদ্� হয� ধরনী� অপার সৌন্দর্যে। এই বই তাদে� জন্য অবশ্যপাঠ্য�
বি.দ্�:: 'অপারেশ� কাঁকনপুর' আমার কৈশোরে পড়া সেরা বইগুলি� একটি� এখনো ভালোলাগা� রেশট� রয়ে গেছে� প্রকৃতির রূপে� এম� মনকাড়� বর্ণনা এরপর� শুধুমাত্� 'বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায�' এর 'চাদে� পাহাড়' � পেয়েছি।
নিজে� মায়াময় শৈশবের জন্য� সম্ভবত গ্রাম্� পরিবেশের বর্ণনা আমাক� সবসময় আবেগাপ্লুত কর� ফেলে� আলী ইমামের মায়ামাখ� লেখা পড়ত� গিয়� রীতিমত� নস্টালজি� হয়ে গিয়েছিলাম! অপারেশ� কাঁকনপুর গল্পের বুনন যতোট� না সুন্দর তা� চাইতেও বেশী মিষ্টি কাঁকনপুর গ্রামখানি। শেষবার গ্রামে� এম� জাদুকরী বর্ণনা পড়েছিলা� এর লেখা বইয়ে।
আলী ইমামের লেখা� সঙ্গ� কিশোরবেলার সুন্দর কিছু স্মৃতি জড়িয়� আছে। তাঁর কিশো� উপন্যা� 'অপারেশ� কাঁকনপুর' পড়ত� গিয়� সে� স্মৃতি আবার সামরিক সময়ের জন্য ফেরত এলো। মাত্� ৪৪ পাতা� একটা চমৎকার বই এটি।
পিকু সিরিজে� প্রথ� বই 'অপারেশ� কাঁকনপুর'� বন কর্মকর্ত� পিতা� বদলি� চাকরি। নানা স্থানে চাকরিসূত্র� যেতে হয� তাকে� তা� পিকুকে স্কু� বদলাতে হয়। বদ� হয� তা� সঙ্গী-সাথী� এবার পিতা� কর্মস্থল কাঁকনপুর� যেতে যেতে� অদ্ভুত এক লোকে� সঙ্গ� দেখা� আর� বেশি বিদঘুট� তা� গল্প�
কাঁকনপুরের বর্ণনা ছবির মত� চমৎকার কর� লিখেছে� আলী ইমাম� এখান� একটি রহস্যে� সঙ্গ� জড়িয়� গে� পিকু� কীভাবে তা সমাধান হল� জানত� পড়ু� 'অপারেশ� কাঁকনপুর� '
বাংলাদেশের শিশুসাহিত্� নিয়� আলাপ কম� এমনক� আমরা, বাংলাদেশ� পাঠকের� পর্যন্� নি� দেশে� শিশু-কিশোরসাহিত্য নিয়� কথ� কম বলি। অথ� আমাদের নি� দেশে� শিশু-কিশোরসাহিত্য অনাদরে থাকা� মত� নয� ; বে� সমৃদ্ধ� আর, আলী ইমাম সে� লেখকদে� একজন, যাঁর� ছোটোদে� জন্য সত্যিই ভালো কিছু সাহিত্� রচনা করেছেন�
একটি কৌতূহলী ছেলে� রহস্� ভেদে� কাহিনি� গল্প� প্রধান চরিত্র হিসেবে রয়েছে পিকু নামে একটি ছেলে� যা� বাবা� চাকরির বদলী� দরুন� সে অনেক অনেক জায়গায় যেতে পারে� একরকমই একটি জায়গা কাকনপুর। গল্পের একটি চরিত্র মংলি� সাথে সে তাদে� গ্রা� বামুন্ডিতে অন্যরক� অভিজ্ঞতা� সম্মুখী� হয়। এভাব� বামুন্ডি গ্রামে� মূর্তি চুরি� রহস্� নিয়� কাহিনি রয়েছে� অপরদিক� কাকনপু� আসার অভিজ্ঞতা নিয়েও গল্পটি সুন্দর লেগেছে�