ŷ

Jump to ratings and reviews
Rate this book

সফরনাম�

Rate this book
১৯৭১� রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে� কালো ছায়ায� দু� সম্পর্কহী� পথিক এক বিপন্ন যাত্রায় এগিয়ে চলে। একজন মাঝবয়সি, যা� অভিজ্ঞ কাঁধ� ইতিহাসের ভা�, আর এক কিশো�, যে ভবিষ্যতে� প্রতিচ্ছবি� দখলদার বাহিনী� আঘাত� ছিন্নভিন্ন বাস্তবতা� ভেতর দিয়�, অচেন� পথের ধুলো জড়া� দু’জনে� পায়ে। সফরই গড়ে তুলল এক অনিশ্চিত সঙ্গ, সহযাত্রা� টানে শুরু হল� পথচলা—নদী, বন, গ্রা� থেকে গ্রামান্তরে—অন্যে� ঘর থেকে পরের শিবিরে�
“সফরনামা� শুধু দুঃসময়ে� দলিল নয�, বর� এম� এক সময়ের সাক্ষ্� যেখানে মানুষে� সম্পর্�, প্রতীক্ষা আর আশার মধ্য� বোনা হয� বেঁচ� থাকা� নতুন সংলাপ।

320 pages, Hardcover

Published February 1, 2025

1 person is currently reading
41 people want to read

About the author

Siddiq Ahamed

13books79followers

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
4 (28%)
4 stars
6 (42%)
3 stars
2 (14%)
2 stars
2 (14%)
1 star
0 (0%)
Displaying 1 - 9 of 9 reviews
Profile Image for Mahmudur Rahman.
Author12 books338 followers
Read
March 2, 2025
নদী� পাড়� বাবা� লা� খুঁজতে গিয়� রাজকারের হাতে ধর� পড়ে লাবু� বারো বছরে� বালক সে� রাজাকারে� টর্চার সেলে দেখা হয� রইসে� সাথে� নিজেকে চো� বল� পরিচয় দেয় রইস। আর তারপরই রাজকার কমান্ডার গ্যাদা তাকে মিলিটারি ক্যাম্� থেকে গর� চুরি করতে বলে। রই� সাথে নেয় লাবুকে�

সিদ্দি� আহমেদে� এই উপন্যাসে� পটভূমি মুক্তিযুদ্ধে� খুলনা। নানা বাধা বিপত্ত� পা� কর� লাবু আর রই� কেমন কর� টিকে থাকে সে� গল্প� সঙ্গ� আছ� পা� আর্ম�, রাজাকারদের অত্যাচারের চিত্র। শেষে� দিকে দীর্� একটা সম্মুখ সমরে� বর্ণনা� চিত্রনাট্যকা� বলেই হয়ত খুবই স্পষ্ট একেকটা দৃশ্য।
Profile Image for Sakib A. Jami.
265 reviews25 followers
March 10, 2025
১৯৭১ সা�! সময়টা বাংলাদেশের মাটিতে নানা� ঘটনা� সাক্ষী� শুধু যে যুদ্ধে� বী� ছড়িয়� দিয়েছিল, এম� তো না� হত� পারে� টুকর� টুকর� ইতিহাসের পাশাপাশি কিছু মানুষে� জীবনের গল্প� হয়ত� বলতে চায়� কত ঘটনা� সাক্ষী হত� চায় সময়টা! যা ইতিহাসের পাতায় জায়গা পায় না, কিন্তু নির্দিষ্� কোনো মানুষে� জীবন� গুরুত্বপুর্ণ হয়ে ওঠে।

এই যেমন রইসে� কথাই ধর� যাক। একাত্তরে� সে� সময়ের অস্থিতিশী� পরিস্থিতিত� মানুষে� জীবন� আমূল পরিবর্তন আসে। বাঁচার তাগিদে চুরি, ডাকাতি� মত� ঘটনা অহরহ ঘটতে থাকে� পেটক� শান্� করতে না পারল� জীবনের মূল্� আর কীসে থাকব�?

রই� জাতে চোর। তিনদিন না খাওয়া রই� তা� চুরি করতে একটি বাড়িত� ঢুকে� চুরি করবি তো কর, একেবার� সিংহের গুহায়! গ্যাদা রাজাকারে� বাড়িত� চুরি করতে গিয়� ধর� পড়ল� বাঁচার উপায� কি আসলে আছ�? ধর� পড়ল� তা� নির্যাতন কক্ষ� নিয়� যাওয়া হয� রইসকে।

ধর� পড়ে লাবু নামে� ছেলেটাও। তা� ধর� পড়া� কারণ অবশ্� ভিন্ন। চারিদিকে মুক্তিযোদ্ধাদে� আক্রমণ� ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা� দিশেহারা পাকিস্তা� আর্মি। কিছুটা ভয� তো আছেই� মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইলিয়া� আর তা� ডা� হা� মোসলেমের ভয়ে রাজাকাররাও তঠস্থ। এই অবস্থায় গ্রামে� পর গ্রা� জ্বালিয়� দেওয়া, সন্দেহের বশবর্তী হয়ে মানুষজ� ধর� এন� গণ� ত্যা� মত� ঘটনা ঘটিয়ে ফেলছ� পাকিস্তা� আর্মি।

এখান� ছি� লাবু� পরিচিত কেউ। যাকে খুঁজতে বা যা� লা� খুঁজতে নদী পেরিয়� ছুটে আসে। সারি সারি লাশে� মধ্য থেকে তাকে খুঁজ� বে� করার চেষ্টা করতে গিয়েই রাজাকা� বাহিনী� কাছে ধর� পড়ে� এব� জায়গা হয�, সে� রাজাকারদের নির্যাতন কক্ষে। যেখানে পরিচয় হয� রই� নামে� অদ্ভুত এক মানুষে� সাথে, যা� মানসিকতা বোঝা� সাধ্� লাবু� থাকে না� একবা� মন� হয� স্বার্থপ�, আবার কখনও মানবিক! কখনও সহ� বিষয়ট� না বোঝা কোনো জটিল চরিত্র� কে এই রই�? আসলে� কি চো�?

তখ� ডিসেম্বর মাস। যুদ্ধে� দামামা� অন্তিম পরিণতি� দিকে এগিয়ে যাচ্ছে� ভারতীয় বিমা� লিফলেট বিলি করার মাধ্যম� হানাদা� বাহিনীকে আত্মসমর্পণের বার্তা দিচ্ছে� তারই মধ্য� রই� আর লাবু ছুটছ� বিশে� এক কাজে� যেখানে রইসে� পেশা� এক গুরুত্বপুর্ণ অবদা� আছে। পাকিস্তা� আর্মির যে মেজর সাহে� অত্র এলাকার দায়িত্ব�, তা� অদ্ভুত একটা গু� আছে। সে গরুর মাংস আহার করলে� তা� জা�, রান্না� সময় বা প্রক্রিয়া বল� দিতে পারে� গরুর প্রত� এই প্রেমে� কারণ� সে নির্দে� দিয়েছ� এই অঞ্চলে� যত গর� আছ�, সব তা� ক্যাম্পে দিয়� আসতে হবে। কোনো গর� গ্রামে গ্রামে থাকা যাবে না� কথার অমান্য হল�, কঠিন শাস্তি�

কিন্তু এই সময়টাতে� গ্যাদা রাজাকারে� মেয়ের বিয়ে। পাত্� আলবদ� কমান্ডার� মেয়ের বিয়েত� গর� না রান্না করলে হয�? তা� রইসক� তা� পেশা� মাধ্যমেই গর� চুরি কর� আনতে হবে। তা� সে� ক্যাম্� থেকে� নাহল� যে বিশে� আংটি তা� কাছে পাওয়া গিয়েছ�, সেটা ফেরত পাওয়া যাবে না� এই আংটি একটা দায়িত্ব, এই দায়িত্ব� অবহেলা রই� করতে পারে না�

বেঁচ� থাকা� একটা সুযোগ। সে� সুযো� লুফে নিতে দ্বিধা করেন� রইস। সঙ্গী কর� নিয়েছ� লাবুকেও। গ্রামে� পথ দিয়� ছুটত� ছুটত� কত কিছু� সাক্ষী হত� হচ্ছ�, কত বিভৎসত� দেখত� হচ্ছ�! ইতিহাস সেসব ভয়ংকর সময়কে ধর� রাখত� পারে, আবার না-� রাখত� পারে� তা� বল� ইতিহাসের এহেন বর্বরত� কি মুছে যায়?

শেষে একটা প্রশ্ন, কতটা সফ� হব� রই�? কী আছ� সে� আংটিতে, যা� জন্য রাজাকারদের কথ� শুনত� হচ্ছ�? এতকিছু� সাক্ষী হওয়ার পর� রাজাকারক� সাহায্� করার মত� অমানবি� কে� হত� পারে? লাবু তো সহ্য করতে পারে না� রই� পারছ� কীভাবে?

◾পাঠ প্রতিক্রিয়া :

“সফরনামা� একটি যাত্রা, যে যাত্রা� প্রতিট� মুহূর্� সাক্ষ্� দিবে একাত্তরের। যেখানে গভী� আবেগ মিশে আছ�, আছ� প্রিয়জন হারানো� আর্তনাদ। পাকিস্তা� হানাদা� বাহিনী� বর্বরতার নিদর্শ� হয়ে ওঠ� সময়টা জানা� দেয় রাজাকারদের ভয়ংকর রূপের। তব� “সফরনামা� উপন্যাসক� মোটা দাগে মুক্তিযুদ্ধে� উপন্যা� বল� যায় না� কেনন� এই গল্প� মুক্তিযুদ্� আছ� ঠিকই, কিন্তু এর বাইরেও আছ� মানুষে� জীবনের এক যাত্রা�

মুক্তিযুদ্ধে� সে� সময়টায় কেবল মুক্তিযুদ্� হয়নি। অনেক মানুষে� জীবন বদলে গিয়েছে। পেটে� দায়� ডাকাতি� পথ বেছে নিতে হয়েছে অনেককে� শত্র� মন� কর� পাকিস্তা� হানাদা� বাহিনী একগ্রা� পুরু� নিধনের মত� ঘটনা ঘটিয়েছে� তখ� সে� গ্রামে� নারীদে� কী হয়েছে? হয়ত� যুবতী কাউক� ধর� নিয়� গিয়েছে। তারপ� কী হত� পারে, বলার প্রয়োজন নে� বোধহয়� বাকিরা? তাদে� তো বেঁচ� থাকত� হবে।

রই� আর লাবু� এই যাত্রায় সে� চিত্রট� উঠ� এসে। প্রতিট� পথ ছি� উৎকণ্ঠার� কারণ এই সময়টা শত্র�-মিত্� বোঝা খু� দায়� রাজাকা� বাহিনী যেমন সবাইকে মুক্তিবাহিনী মন� কর�, তেমন কর� মুক্তিবাহিনী� কাছে� অনেক� রাজাকারে� চর হত� পারে� এই সময়টা� এম� কঠিন� তা� মধ্য� দিয়� এক অসম্ভব প্রায় মিশন� যাত্রা, যে� রোমাঞ্চক� অনুভূত� দেয়�

আপাত দৃষ্টিতে এই মিশন মন� হত� পারে খুবই সিলি একটা বিষয়। কিন্তু এর প্রেক্ষিতে যে ঘটনা সংগঠিত হয়েছে, পরবর্তীতে যে পরিণতি � কর্মপন্থ�; তাতে মন� হয়েছে সব কাজেরই একটা লক্ষ্য থাকে� আর নির্দিষ্� লক্ষ্য� যখ� কে� এগিয়ে যায়, তখ� ভাগ্� তা� সাথে সঙ্গ দেয়�

রই� � লাবু� ভাগ্� অনেক ক্ষেত্রে� ভালো� অনেকবা� ওর� কাকতালীয়ভাবে বেঁচ� গিয়েছে। এট� হয়ত� কিছুটা অতিরঞ্জি� মন� হত� পারে� কিন্তু কথায� আছ�, “Fortune favours the braves”। আর যারা সাহসী, কোনো কিছুকে ভয� কর� না; তাদে� ভাগ্যই তো তাদে� পাশে থাকবে। এখান� মানুষে� অনুভূত� � দর্শনে� কথাও কিছু এসেছে। ঠি� দর্শ� না, যুদ্� মানুষক� বদলে দেয়� তখ� এক মন� একাধিক অনুভূত� খেলা করে। এই অনুভূতিগুল� হয়ত� দর্শনে� মত� কর� বেড়িয়ে আসে। যা নিরে� বাস্তব, সত্যটা হিসেবে ধর� দেয়�

রাজাকা�, মুক্তিবাহিনী, পাকিস্তা� আর্মির পাশাপাশি বিহারীদে� কথাও এখান� বল� হয়েছে� বাঙালি, বিহারী দাঙ্গা তো প্রকাশ্য� এত� এক� অপরে� শত্রুত� জ্ঞা� কর� দু� পক্ষ যখ� মুখোমুখি হয�, তখ� কি ছেড়� কথ� বলার সুযো� থাকে� তবুও নির্মমতা� মাঝে কে� কে� মনুষ্যত্বে� বী� বোনে� যুদ্ধে� সে সময়টায় বিপদ� পড়া সক� মানুষে� মধ্য� এক ধরনে� ভাতৃতবোধের সম্পর্� স্থাপন হয়। সবাই তো নিজে� জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করে। সবার মধ্যেই এক ধরনে� শঙ্ক� কা� করে। এম� অবস্থায় এক অপরে� পাশে থাকত� পারল� সাহস� সঞ্চয় হয়। কিন্তু এই আপ� ভেবে নেওয়া, কিছু সময়ের সম্পর্� পর� হাহাকারে� জন্ম দেয়�

সিদ্দি� আহমেদে� লেখা� ক্ষেত্রে একটা কথাই বল�, তিনি যা লিখে� সেটা চোখে� সামন� ��ুট� উঠে। হয়ত� তিনি চিত্রনাট্যকা� বলেই সবকিছু সে� আদলে ফুটিয়� তুলত� পারেন। পড়ত� গেলে মন� হয�, চোখে� সামন� সবকিছু দেখছি। অনুভূতিগুল� যে�� মনের সাথে মিশে যায়� সিদ্দি� আহমেদে� লেখা এমনিতে� সাবলীল। গতির ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্� দক্ষতা� সাথে লাগা� ধরতে পারেন। যখ� গতির স্রো� বেড়� যায়, তখ� সে� গতিশীলত� কমিয়ে দেন। পাঠক এখান� কাহিনি� সাথে নিজেকে অনুভ� কর�, একটু হলেও শ্বা� নেওয়া� সুযো� পাওয়া যায়�

লেখক এখান� খুলন� অঞ্চলে� মুক্তিযুদ্ধক� বর্ণনা করেছেন� সংলাপে� ক্ষেত্রে খুলনার আঞ্চলি� ভাষাকে গুরুত্� দিয়েছেন� এই বিষয়ট� ভালো লেগেছে� পড়ত� মজ� পেয়েছে। আর খু� সচেতনভাব� যে সংলাপক� লেখক চরিত্রগুলো� মধ্য� অনুভ� করার সুযো� দিয়েছেন, এক জায়গায়� তা ছেড়� যায়নি� বে� ভালো অনুভূত� হয়েছে� আবার গণহত্যার যে ভয়াবহতা ফুটিয়� তুলেছে�, তাতে শিউর� না উঠেও উপায� নেই। যুদ্� এলেই মানুষে� জীবন ঠুনক� হয়ে পড়ে�

আম� সময়কা� নিয়� একটু দ্বিধায় ছিলাম। কেনন� লেখক বারবার বলছিলে� সময়টা শীতকাল� তাহল� সময়টা অবশ্যই ডিসেম্বর হবে। কিন্তু কোথা� সে� বিষয� লেখা নেই। তব� পরবর্তীতে ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যম� সে� সময়কা� বুঝিয়� দিয়েছেন বে� ভালোভাবেই।

তব� দুর্দান্� লেগেছে শে� সময়ের মুক্তিযুদ্ধে� বর্ণনা� এত জীবন্ত হয়ে উঠেছিল ঘটনাবলী� মন� হচ্ছিল আমিও শামি� হয়ে পড়েছি সে� সময়ে। এখান� লেখক যুদ্ধে� কৌশলগত যে পরিস্থিত� বয়া� করেছেন, এখান� লেখকের তারি� করতে� হয়। অন্যবদ্য! কোথা� অতিরঞ্জি� বিষয� নেই। দুইপক্� সমান� সমান� পড়ছ� যাদে� বুদ্ধি দিয়ে। কোণঠাস� কর� ফেলছ� সবকিছু� আবার পরক্ষণেই বদলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। এম� এক অবস্থা, যেখানে এক মুহূর্তে� অমনোযো� বিপদ ডেকে আনতে পারে�

◾চরিত্� :

গল্পের প্রধান চরিত্র রই� � লাবু� এই দুইজনে� যাত্রা আমার ভালো লেগেছে� দু� অস� বয়সী মানুষে� ভিন্� অভিজ্ঞতা� তাদে� এই যাত্রাপথ� খুনসুঁটি, কিছু হাসি তামাশা যে� সিরিয়াস মুহূর্তে গল্প� প্রা� দিয়েছিল�

রই� চরিত্রটি এমনিতে হাসি তামাশা কর� যুবক� তব� যখ� প্রয়োজন হয�, তখ� অবয়বে কাঠিন্� ভর করে। তাকে আমার বে� মন� ধরেছে। এক ধরনে� দৃঢ়তা আছ� চরিত্রের মধ্যে। সাথে লাবু� সংযুক্� রই� চরিত্রটিকে আর� গ্রহণযোগ্য কর� তুলেছে� লাবু� একটু পরপর রইসক� খোঁচ� দেওয়া, সে� সাথে রইসে� প্রত্যুত্ত� বইটি� আকর্ষণীয় দিক। সিরিয়াস সময়কালে হাসি আনন্� না থাকল� বেঁচ� থাকা� যে ইচ্ছ� সেটা� থাকব� না�

লাবু� চরিত্রকে লেখক আগেই উন্মুক্ত কর� দিয়েছেন� তা� অতী�, পরিণতি, কে� সে এখান�; সে� বিষয়ে আগেই জানা� দিয়েছেন� কিন্তু রই� যে� শুরু থেকে� আড়ালে� তা� বিষয়ে লেখক ধোঁয়াশা রাখতেই বোধহয় পছন্� করেছেন� তব� সে� ধোঁয়াশা না রাখল� শে� সময়� রইসে� প্রকৃত পরিচয় পাওয়া� যে বিস্ময�, সেটা অনুভূত হত� না�

এখান� রাজাকা� ছি�, বিহারী ছি�, মুক্তিযোদ্ধা ছি�, পাকিস্তা� হানাদা� বাহিনী ছিল। প্রত্যেক� যে� তাদে� যোগ্যতায� উজ্জ্বল। যেমন, রাজাকা� বাহিনী� কর্মকাণ্�, তাদে� ভয়ংকর রূ� লেখক খু� অসাধারণভাব� ফুটিয়� তুলেছেন। আবার পাকিস্তা� হানাদা� বাহিনী� ক্ষেত্রে মেজর গুলক� যে কাঠিন্যে� আবরণ� লেখক জড়িয়েছেন, ভয়াবহতা এখান� মাত্রা অতিক্র� করে।

মুক্তিযোদ্ধাদে� ক্ষেত্রে কমান্ডার ইলিয়া�, একজন নেতা বা লিডা� যেমন হওয়� উচিত তারই চিত্� ফুটিয়� তুলেছেন। এম� যোগ্� নেতা থাকল� আর কী লাগে! মুক্তিযোদ্ধাদে� কা�, তাদে� প্রত্যেক� যতক্ষণ ছি�, সবাই নি� নি� জায়গা থেকে নিজে� কাজট� কর� গিয়েছেন� তব� মোসলেম যে� সাহসের অন্যরূপ। যে কখনও হা� মানে না�

যেকোনো উপন্যাসে নারী চরিত্র না থাকল� চল� না, তা� নুড়িক� লেখক এনেছেন বলেই মন� হয়েছে� যদিও ভূমিকা কম, তবুও তা� অনুভূত� পাঠক অনুভ� করবে� কয়েকজ� নিপীড়িত নারী এখান� ছিল। কিন্তু শেষে তাদে� কথ� লেখক তেমন উল্লেখ করেননি� তাদে� পরিণতি, অনুভূত� নিয়� আরেকটু আলোচনা কর� যে� বল� আমার মত�

◾বানান, সম্পাদনা � অন্যান্য :

বইটা� প্রচ্ছ� আমার এত পছন্� হয়েছে! সাদামাটা, তারপরও গল্পের যে যাত্রা, তাকে� ফুটিয়� তুলেছে�

শুরু� দিকে বানা� ভু� বা ছাপা� ভু� না থাকলেও শেষে� দিকে ছাপা� ভুলে� পরিমাণ বেড়েছিল� কিছু যুক্তবর্� সেটআপে� পর ভেঙে গিয়েছিল� দুয়েকটা বানানে অক্ষরে� এদিক ওদিক এমনভাব� হয়েছি� যে বুঝতেই অসুবিধ� হচ্ছিল� ধারণ� কর� নিতে হয়েছে�

এই দিকে আরেকটু নজ� দেওয়া যে� মন� হয়।

◾পরিশেষে, “সফরনামা� � যে যাত্রা আবেগের, ভালোবাসার। এখান� মিশে আছ� বীভৎসতা। আছ� তীব্� আর্তনাদে জর্জরি� কিছু প্রহর। কিছু সময়ের এই যাত্রা যে� দীর্� সময়ের অভিজ্ঞতা এন� দেয়� বয়স হয়ত� বাড়� না, তবুও কিশো� বয়সের ছোট্� দে� অভিজ্ঞতায় বড� হয়ে ওঠে। যা� সাথে কোনো কিছু� তুলন� চল� না�

◾ব� : সফরনাম�
◾লেখ� : সিদ্দি� আহমে�
◾প্রকাশনী : ঋদ্ধ প্রকাশ
◾ব্যক্তিগত রেটি� : �.�/�
Profile Image for Samsudduha Rifath.
380 reviews11 followers
March 24, 2025
সফরনামা। যে সফরে উঠ� এসেছ� ১৯৭১ সালে� মুক্তিযুদ্ধে� অসংখ্য চিত্র। দু� মেরু� দুইজ� মানু�; লাবু নামক এক কিশো� যে তা� প্রিয়জনের লা*� খুঁজতে এস� ধর� পড়ে রাজাকারে� হাতে, রই� চোরা যে রাজাকাদে� দলনেতা গ্যাদা রাজাকারে� বাড়িত� চুরি করতে গিয়� ধর� খায়� দুজনকে এক� সূত্রে এন� গেঁথ� দেয় গ্যাদা রাজাকারে� দল� রই� চোরা মায়ের শে� চিহ্� আংটিটা পেতে গ্যাদা রাজাকারে� দেওয়া শর্ত মেনে নেয় সাথে বাঁচিয়ে ফেলে লাবুকেও। শর্ত হচ্ছ� গ্যাদা রাজাকারে� মেয়ের বিয়ের জন্য ক্যাম্� থেকে গর� চুরি কর� আনতে হবে।

সে� শর্ত পূরণের জন্য শুরু হয� দুইজনে� এক অভূতপূর্� যাত্রা� সম্পর্কহী� দু� পথিক যাত্রা কর� গ্রা� থেকে গ্রামে, নদী ধর� যাওয়া, কোনো কোনো সময় থেমে পেটে� ক্ষিদা নামক দানবকে কিভাবে শান্� করবে তা নিয়� কর� পরিকল্পনা। যাত্রায় দেখা হয� মাঝি, শতচ্ছিন্� হওয়� লা*�, শরণার্থী, পাকিস্থানি মিলিটারি, মুক্তিযোদ্ধা সহ আর� অনেকের কাছে� একেকজনের সাথে একেক অভিজ্ঞতায় দুজন� যে� দেখিয়� চলেছ� সবাইকে যুদ্ধে� সেইস� দৃশ্য। পা� সেনা আর রাজকারের উৎপাতে দুজনের নাকানিচুবানি খাওয়া� মত অবস্থা হলেও তারা এগিয়ে চলে।

এইতো গে� বইটা� গল্প কী তা নিয়� আলাপ� এবার আস� গল্পের দু� প্রধান চরিত্র নিয়� কিছু বলতে� রই� মিয়� আর লাবু� এই যাত্রায় রইসে� কাণ্ডকারখানা দেখে হেসেছি অনেক� সহ� সর� এই খানদানী চোরে� সাথে প্রতিশোধের আগুন� জ্বল� লাবু� মত কিশোরে� সম্পর্কে� টানাটানি, খুনসুট� সবকিছু মুগ্� করেছ� আমাকে। লাবু সুযো� পেলে� রই� মিয়াক� খোঁচ� মেরে তা� খানদানী টাইটেলকে মাটিতে মিশিয়� দেয়� রই� মিয়াও লাবুকে স্নে� কর� আগলে রাখে এই দুর্গম যাত্রায় মজার ছলে।হাসি তামশ� করলে� যখ� প্রয়োজন হত� তখ� সে পর� নি� তা� কাঠিন্যে� মুখোশ। লাবু� সবকিছু পাঠকের সামন� তুলে দিলে� রইসে� লেয়ার� চরিত্রটাকে ধোঁয়াশা� মাঝে রাখে� লেখক� তাদে� কার্যক্রমে কখনও উত্তেজনা� পারদ শিখর� থাকে, কখনও মেলে দেয় দুঃখের ডানা আবার কখনও ফুঁসিয়ে তুলেছে পা� সেনা� বিরুদ্ধে ঘৃণা� শেষে� দিকে এত� বড� একটা ধুন্দুমা� ক্লাইমেক্স বইটাকে নিয়� গেছে আর� উচ্চ পর্যায়ে� বাড়তি কিছু না এন� অনবদ্য এক যুদ্� দেখিয়েছেন লেখক� দুপক্ষ সমান তালে লড়ে গিয়েছ� সেখানে�

যারা যুদ্ধে অং� নেয় নি তাদেরও আখ্যান এই গল্প� উঠ� এসেছে। পেটে� দায়� ডাকাতি থেকে শুরু কর� পা� সেনা� ভয়ে জঙ্গলে আশ্রয় নেওয়া মানু্ষের অবস্থা,বৃদ্ধা� সামন� ভেসে উঠ� তা� পরিবারের পরিণতি সব� উঠ� এসেছ� এই যাত্রায়�� বইটাতে যুদ্� নিয়� অনেক মতাদর্� ফুটে উঠেছ� রই� আর লাবু� কথ� দিয়ে। যা আপনাকে ভাবাতে পারে কিছু সময়�
মুক্তিযুদ্ধে� এই গল্প� একটা জায়গায় স্থা� পেয়েছ� বিহারিরাও। বাঙালি বিহারী দাঙ্গা� প্রভাব সেসময় কেমন ছি� তা� দেখা যায় বইয়ে। কিছু কিছু জায়গায় রই� আর লাবু� বেচে যাওয়াটা কাকতালীয়� হয়ত� সেটা অতিরঞ্জি� লাগত� পারে�
বইয়� কিছু উর্দ� সংলাপও আছে। তব� যাদে� বুঝত� অসুবিধ� তা��� রই� আর লাবু� মাধ্যমেই তা বুঝে নিতে পারবেন অনায়াসে�

' ছায়ামান�' ছাড়� সিদ্দি� আহমেদে� সক� বই আমার পড়া� এই বইটা যখ� ঘোষণ� আস� তখ� চো� বন্ধ কর� নিয়� ফেলেছি� সিদ্দি� আহমে� যা লিখে যা� তা সব� চোখে� সামন� ভেসে উঠে। প্রকৃতির বর্ণনা গুলো বেশি জীবন্ত মন� হয়েছে� সাবলিল লেখায় পাতা� পর পাতা পড়ে গিয়েছ� অনায়াসে�
বইয়� কিছু শব্দগুলো ভেঙে গিয়েছ� সেটাপে� সময়� আশ� কর� সামনের এডিশনে তা ঠি� হয়ে যাবে�
সবশেষে বললে মুক্তিযুদ্� নিয়� লেখা এই বইটা� রে� অনেক দি� থেকে যাবে� রই� আর লাবুকে মন� পড়ব� সফরনামার না� যতদি� দেখা হবে।

বই: সফরনাম�
লেখক: সিদ্দি� আহমে�
প্রচ্ছ�: ফরিদুর রহমা� রাজী�
প্রকাশ�: ঋদ্ধপ্রকাশ
মূল্�: ৫০০৳
পৃষ্ঠা: ৩২�
Profile Image for তান জীম.
Author3 books253 followers
April 6, 2025
সিদ্দি� আহমেদে� 'ধনুর্ধ�' আর 'দশগ্রী�' পড়া� পর থেকে� তাকে প্রমিসিং একজন লেখক বল� মন� হয়েছে� এইবারে� বইমেলায় তা� যখ� শুনলাম তা� দু-দুটো মৌলি� আসতে চলেছ� তখ� এক্সপেক্টেশন ছি� তুঙ্গে� বিশা� কলেবরে� 'নটরা�' এখনও পড়া হয়ে না উঠলে� পড়ে ফেললাম ৩২� পৃষ্ঠা� উপন্যা� 'সফরনাম�'�

সফরনাম� বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে� পটভূমিতে লেখা� গল্পের শুরুতে� মুক্তিযুদ্ধে� বিভীষিকাময� এক গণহত্যার সম্মুখী� হত� হয� পাঠক আর গল্পের অন্যতম মূখ্� চরিত্র লাবুর। লাবু� বয়স ১২� অবশ্� তাতে কী-� বা আস� যায়? যুদ্� তো আর বয়স মানে না� তা� তো পিতা� লা*� হাতড়ে খুঁজ� বেড়ানোর মাঝে� তা� মন� দেখা দেয় ঘাতকের উপস্থিতি� ভয়। রাজাকারদের হাতে ধরাও পড়ে লাবু� রাজাকারদের ডেরায় নিয়� যাওয়া হয� তাকে� আর সেখানে� আমাদের পরিচয় হয� গল্পের দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় চরিত্র রইসে� সাথে� জানা যায় ক্ষুধা� জ্বালায় রাজাকারদের কমান্ডার গোলা� রসুলের বাড়িত� খাবা� চুরি করতে গিয়� ধর� পড়েছে রইস। জানে মেরে ফেলা� প্ল্যা� থাকলেও গোলা� রসুল তাকে মেরে না ফেলা� বিনিময়ে দেয় অদ্ভুত এক অ্যাসাইনমেন্ট। সে অ্যাসাইনমেন্� সফ� করতে হল� রইসক� চুরি করতে যেতে হব� বাঘে� খাঁচায�, অর্থাৎ খো� পাকিস্তানি মিলিটারি ক্যাম্পে�

রাজাকা� হয়ে� মিলিটারি ক্যাম্� থেকে কী চুরি করাত� চায় গোলা� রসুল? এক বু� দম নিয়� রই� নেমে পড়ে মিশন�, চেয়� চিন্তে সাথে নেয় লাবুকে� শুরু হয� অনিশ্চিত এর দিকে এক যাত্রার। সে যাত্রায় যেমন আছ� প্রা� বাঁচানোর দায়, তেমন� আছ� ১২ বছ� বয়সী ছেলে� ভীষণ ক্রোধ। তব� খালি চোখে দেখা হিসেবে� বাইরেও রয়েছে অত� গোপন একটা কিছু�

সফরনাম� গল্পের সাথে নামট� একদম পুরোপুরি মানানসই। গল্পের ৭০-৮০% � লাবু আর রইসে� যাত্রা� গল্প� তব� তাতে কর� বিরক্ত হওয়ার সুযো� মিলব� না পাঠকের� এই যাত্রা� মধ্য� দিয়� বে� স্পষ্টভাবে চিত্রি� হয়েছে যুদ্ধে� সময়� মানুষে� মনস্তাত্ত্বি� ব্যাপা�, কোনোরকমে বেঁচ� থেকে� দৃঢ় মনোবলে� ব্যাপার। আবার বে� কিছু দর্শনও উঠ� এসেছ� � যাত্রাপথে। আর পাঠক যদ� যাত্রা� গল্প� কখনো ক্লান্� হয়ে� যা� (আম� অবশ্� হইনি), তখ� হয়ত� স্ট্রে� রিলি� করার জন্য রইসে� কমিক রিলি� কথাবার্ত� কাজে দেবে (� দি� ধর� না খেয়� থাকা� ব্যাপারট�)�

তব� এটুক� শুনে বইটাকে বড্ড সিম্পল মন� হলেও একদম সিম্পল কিন্তু না� একটা টুইস্ট আছ� যেটা হয়ত� মেইনস্ট্রি� থ্রিলারে� মত মাইন্ডব্লোয়িং না� আবার সে টুইস্ট সচেত� পাঠকমাত্রই হয়ত� ধর� ফেলত� পারবেন� এই সহ�-সাধারণ টুইস্টটা� বর� বেশি বাস্তবিক এব� রিলেটেবল�

তব� � টুইস্ট বইয়ের সেরা অং� বল� মন� হয়নি। আমার কাছে সেরা লেগেছে গল্পের শেষে� অ্যাকশান সিকোয়েন্স� জানি না লেখক একজন চিত্রনাট্যকা� বলেই কিনা, তা� অত� যত্ন� গড়া প্রতিট� শব্দ যে� আমার সামন� একটা সিনেমা� দৃশ্যে� মত ধর� দিয়েছে। যে� চোখে� সামন� ইন ডিটেইল� দেখত� পাচ্ছিলাম। ঢিমেতালে চল� বইটা এখান� এস� একদম ১০�/১০� সাসপেন্স থ্রিলা� হয়ে গেছে� প্রত� পাতায় অ্যাড্রেনালি� রাশ। শেষট� অনুমেয� তব� বিরক্তিক� না� এস� ছাপিয়� পুরো বইয়ের যে জিনিসট� ভালো লেগেছে সেটা হল� মুক্তিযুদ্ধে� ভিন্নরকম একটা গল্প পড়ত� পারা� আর সিদ্দি� আহমেদে� সহ� সাবলী� সুন্দর লিখনশৈলী বইটাকে খুবই সহজপাঠ্য একটা উপন্যাসে রূপান্তরিত করেছে।

সিদ্দি� আহমেদে� সেরা লেখা হয়ত� এট� না তব� মুক্তিযুদ্ধে� উপন্যা� ক্যাটাগরীতে এট� নিঃসন্দেহে অনন্� সংযোজন�
Profile Image for Zakaria Minhaz.
222 reviews18 followers
April 14, 2025
#Book_Mortem 230

সফরনাম�

মুক্তিযুদ্ধে� কঠিন এব� টালমাটাল সময়টায় রই� চুরি করতে ঢুকল এলাকার সবচেয়� খতরনাক রাজাকারে� বাড়িতে। তাকে বন্দী কর� হলেও, জানে মেরে ফেলল না গ্যাদা রাজাকার। জানে� বিনিময়ে একটা কা� কর� দেয়ার দায়িত্ব দেয়� হল� তাকে� বন্দিশালায� পরিচয় হওয়� পিচ্চি কিশো� লাবুকে নিয়� সে� কা� করার উদ্দেশ্য� যাত্রা শুরু কর� রইস। তাদে� যাত্রাপথের বিভিন্� ঘটনা� মাঝে� সে� যুদ্ধে� সময়টাকে এই বইতে তুলে এনেছেন লেখক সিদ্দি� আহমেদ।

চব্বিশের জুলাইয়ে� আন্দোল� আমার কাছে স্বাধী� হবার আন্দোলন। তব� এর মানে এই নয� যে একাত্তরে� ভূমিকা মোটে� কম� যাবে� ৭১ � আমাদেরকে মেরেছে ভী� দেশে� শাসক আর ২৪ � এস� মেরেছে নি� দেশে� শাসক� ৭১ আমাদেরকে দিয়েছ� স্বাধী� একটা ভূখণ্ড� ২৪ দিয়েছ� সে� ভূখন্ডকে নতুন কর� ফিরে পাওয়া� উপলক্ষ্য� আম� জানি মুক্তিযুদ্ধে� চেতন� ব্যাপারটাক� রীতিমত� পঁচিয়� ফেলেছে আওয়ামীলীগ। তব� এর মানে এই নয� যে ৭১ কে বা� দিতে হব� বা অস্বীকা� কর‍ত� হবে। ৭১ এর মহিম� সবসময়েই সবকিছু� উর্ধ� থাকবে। আর এই বইটা� ভূমিকায় লেখক� ঠি� এক� কথ� বলেছেন� যে বা যারা ২৪কে মহিমান্বিত করতে গিয়� ৭১কে ছো� করার চেষ্টা করছে� তাদেরক� ৭১ এর ভয়াবহতা নতুন কর� মন� করিয়ে দিতে� এই বই লেখা�

মোটাদাগে বইটাকে মুক্তিযুদ্ধে� পরিস্থিতিত� দু� অস� বয়সী� অ্যাডভেঞ্চার বল� যেতে পারে� এক ক্যাম্পে� বন্দীদশ� থেকে মুক্� হয়ে, পদ� পদ� বিভিন্� রকমে� বাঁধ� বিপত্ত� পেরিয়� তারা তাদে� লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলে। তাদে� এই চলার পথেই ধীরে ধীরে লেখক এই দু� চরিত্রকে ভালোভাবে পাঠকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। দুজনের সম্পর্কে� রসায়নটাকে� আস্ত� আস্ত� জমিয়ে তুলেন।

যাত্রা পথের শুরুতে এক নৌকা� ভ্রম�, এরপর আবার রাজাকারে� বাড়িত� ফেরা, সেখা� থেকে মুরগী চুরি কর� কিংব� ধানকৈতরে� মাংস খাওয়া, বিহারীদে� হাতে ধর� পড়া, কোনোমত� বেঁচ� ফেরা, ক্যাম্পে ঢুকা, এব� সেখা� থেকে ফিরে� আস�; এরকম বেশকিছ� ঘটনাপ্রবাহ নিয়� এগিয়ে চল� বইয়ের গল্প� যে কারন� একটানা পড়ে যাওয়া যায়, কোথা� স্লো বা বোরি� লাগে না� মানে ক্রমাগ� কিছু না কিছু ঘটছে� গল্পে। এই যে এতগুলা সিকুয়েন্সের কথ� বললা� এর প্রতিটার সাথে� মিশে আছ� পাকিস্তানি বা রাজাকারদের নিষ্ঠু� বর্বরতার বর্ণনা� যদিও আগ� থেকে� জানি ওই সময়ের নৃশংসত� সম্পর্কে, তবুও প্রতিট� বর্ণনা পড়া� সময় নতুন কর� শিউর� উঠেছি। বিশে� কর� সীমান্তে� জায়গাটা� অংশটুক� প্রচণ্� রকমে� মন খারা� কর� দিয়েছিল�

তব� লেখক একটা ব্যতিক্রমী কা� করেছেন বইটাতে� মুক্তিযুদ্ধে� সময়কা� পরিস্থিত� বিবেচনায� বে� হালক� চালে� কথোপকথ� এব� রসিকতা রেখেছেন। যে কারন� � ধরণে� বই পড়ত� গেলে যে দমবন্ধ কর� অনুভূত� হয� সেটা হয়নি। যুদ্� কিংব� শত মৃত্যু� মাঝে� মানুষক� খেতে হয�, হা��তে হয� এই সত্যটা তুলে এনেছেন লেখক�

বইয়ের শেষে� দিকে� যে টুইস্ট তা কিছুটা অনুমানযোগ্� হলেও 'পরিচয়' দিয়� ঠিকই ঘো� খাইয়েছে� লেখক� আর একদম শেষে আছ� ক্যাম্পে� যুদ্ধে� বর্ণনা� আম� সবসময়েই সিদ্দি� ভাইয়ে� গল্পের একশন দৃশ্যে� ভক্ত� এই বইটাতে� উন� সে� দক্ষতাটা দেখিয়েছেন চমৎকারভাবে� আর বরবরের মতোই লেখকের গদ্যশৈলী ছি� দূর্দান্ত। গ্রাম্� ভাষা� কথোপকথ� একদম পারফেক্টলি উপস্থ��প� করেছেন এখানে।

ব্যক্তিগ� রেটি�: ০৭/১০ (মুক্তিযুদ্� ভিত্তি� লেখা যারা পড়ত� পছন্� করেন তাদে� ভালো লাগবে। খু� সিরিয়াস টোনে� গল্প না, আবার একেবার� হালক� ধাঁচের� না�)

প্রোডাকশ�: প্রথমে� বলতে এর প্রচ্ছদে� কথা। এক কথায� চমৎকার একটা প্রচ্ছদ। বাঁধাই বা অন্যান্য আনুষঙ্গি� ঠিকঠাক আছে। প্রু� রিডি� � আরেকটু সময় দিলে ভালো হতো। বে� অনেক টাইপ� চোখে পড়েছে� দু এক জায়গায় পড়ত� কিছুটা অসুবিধাও হয়েছে যে কারনে।

� লেখক: সিদ্দি� আহমে�
� প্রকাশনী: ঋদ্ধ প্রকাশ
� প্রচ্ছ�: ফরিদুর রহমা� রাজী�
� পৃষ্টা সংখ্যা: ৩২�
� মূদ্রি� মূল্�: ৫০� টাকা
Profile Image for Md Abdul Kayem.
159 reviews2 followers
March 22, 2025
🔰 পা� প্রতিক্রিয়া: সফরনাম�

যুদ্� সবার থেকে� কিছু না কিছু কেড়� নেয়, কাউকেই ছাড় দেয় না� ঠি� যেমনটা বাংলাদেশ নামক দেশটার স্বাধীনতার স্বা� পেতে কেড়� নিয়েছিল� অনেকের অনেক কিছু� গল্পের লাবু নামক কিশো� ছেলেটা� আপনজনক� কেড়� নিয়েছে। রই� চোরা� চুরি কারবার� ধস নামিয়েছ�, তাইত� রই� মাইলের পর মাইল হেঁটেও খাবারে� সন্ধান পায় না� বর� চুরি করতে গিয়� এবার জা� নিয়� টানাটানিতে পড়ে যায়�

স্কুলঘরে� এক রুমে ঝুলিয়� রাখা চো� রই� বেচারা এবার চুরি করতে গিয়� জব্ব� ফাঁস� ফেঁসেছে। রাজাকারদের লিডা� গ্যাদা হুজুরে� বাড়িত� চুরি করতে গিয়েছিল� রই�, আর চুরি করতে গিয়েই ধর� খেয়� বস� আছে। সাথে হাতছাড়া হয়ে গেছে রই� চোরা� মায়ের শে� চিহ্� আংটিটা�

গ্যাদা হুজু� যখ� তাকে চুরি� কথ� জিজ্ঞে� করলো রই� বেচারা এম� অপবা� শুনে আর� খানিকট� কাঁচুমাচ� হয়ে কোনোমত� বল� উঠলো, "হুজু�, বিশ্বা� করেন চুরি কত্ত� আপনে� বাড়� ঢুহি নাই। তিনদিন ধইরা না খাওয়া, তা� উপ্র� খাওনের সন্ধান� মাইলকে মাইল হাঁটছি� শরীরে নে� এক ছিদে� তাকত..." বলতে বলতে� থুতনির নিচে হা� দিয়� নিজে� চেহারাটা খানিকট� উঁচিয়� এব� এগিয়ে ধর� যো� কর�, "...বিশ্বা� না হইলে দেহে� চেহারায় কেমু� ছা� পইড়� গেছে।�

পা� থেকে লাবু তখ� চেয়� আছ� রই� চোরা� দিকে, কিছুক্ষণ আগ� নদী� পাড়� হারানো আপনজনক� খুঁজতে গিয়� রাজাকারে� হাতে ধর� পড়া বিহ্বলিত হয়ে পড়া লাবু এই চোরা রইসে� দিকে অবাক হয়ে চেয়� আছ� শো� ভুলে�

গ্যাদা রাজাকারে� মেয়� নুড়� বিয়� উপযুক্� হয়েছে, তাকে বিয়� দেওয়া� সময় গ্যাদা রাজাকারে� ইচ্ছ� একটা গর� জবাই করার, কিন্তু এই গর� নিয়� সমস্যা ব্যাপাক। পা� মিলিটারি মেজর গু� এলাকার সব গর� নিয়� গেছে গঞ্জের ক্যাম্পে� গ্যাদা রাজাকা� রই� চোরাকে দায়িত্ব দিয়েছ� গঞ্জের মিলিটারি ক্যাম্� থেকে গর� চুরি কর� আনার, তবেই মিলব� মায়ের সে� আংটি� রই� বেড়িয়ে পর� ক্যাম্� থেকে গর� চুরি করতে সাথে সঙ্গী হয� রাস্তাঘা� চিনিয়� দেওয়া� জন্য আছ� সদ্য আপনজ� হারানো কিশো� লেবু�

১৯৭১ সালে� রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে� কালো ছায়ায� মাঝে� দু� সম্পর্কহী� পথিক এক বিপন্ন যাত্রায় এগিয়ে চলে। একজন মাঝবয়সি, যা� অভিজ্ঞ কাঁধ� এক দায়িত্ব এস� ভা� করেছ�, যা� সঙ্গ দেয় আর এক কিশো�, যে ভবিষ্যতে� প্রতিচ্ছবি� দখলদার বাহিনী� আঘাত� ছিন্নভিন্ন বাস্তবতা� ভেতর দিয়�, অচেন� পথের ধুলো জড়া� দু'জনের পায়ে। সফরই গড়ে তুলল এক অনিশ্চিত সঙ্গ, সহযাত্রা� টানে শুরু হল� পথচল�-নদী, বন, গ্রা� থেকে গ্রামান্তর�-অন্যের ঘর থেকে পরের শিবি� পেরিয়� দু� পথিকের লক্ষ্য� পৌঁছানোর সফরনামা।

গল্পটা মুক্তিযুদ্ধে� সময়ের মাঝবয়সি রই� চোরা আর কিশো� লাবু� গঞ্জের গর� চুরি� যাত্রা�, যাত্রা যতটা সহ� মন� হয� আসলে ঠি� তা নয়। এক� তো ক্যাম্� থেকে গর� চুরি কর� আনতে হব�, তারউপর আছ� এলাকায� মুক্তিযুদ্ধা মোসলেমের ঘুরেবেড়ানোর খবর। যা� কানে রাজাকারে� কাজে গঞ্জ� যাচ্ছে শুনলেই গুলিতে ঝাঁঝরা হত� হব� দুইজনকেই� তারউপর বিহারী, পা� আর্ম� আর রাজাকারদের উৎপা� তো রয়েছেই।

তবুও তারা এগিয়ে চল�, তাদে� এই এগিয়ে চলার সফরনামার সঙ্গী হয়ে রই� মিয়ার কান্ডকারখানা দেখে আমার হাসত� হাসত� পেটে খি� পড়ছিলো। লাবু� মত� কিশোরে� ব্যক্তিত্ববো� কখনো কখনো যেমন মুগ্� করছিলো আবার কখনো কখনো যুদ্ধে� ডামাডোলে অতিরিক্ত মানবিকতা� জন্য তা� বিরক্তির� উদ্রেক করছিলো।রইস চোরা� আঞ্চলি� সংলা�, লাবু� সাথে তা� সম্পর্কে� মা�-অভিমান, খুনসুট� আর দু� মেরু� মানসিকতা� মেলবন্ধন আমাক� মুগ্� করেছে।

মুক্তিযুদ্� আমাদের গর্ব করার মতোই একটা ঘটনা, যা আমাদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনত� এন� দিয়েছে। আম� প্রায়� ভাবি এম� একটা ঘটনা নিয়� আমাদের দেশে ফিকশনে� জায়গায় কে� এত� কম লেখালেখি হয়। অথ� অনন্� দেশে� এম� ঘটনা নিয়� অহরহ ফিকশ� দেখত� পাবেন।

সফরনাম� বইটা যখ� নিয়েছিলাম, তখ� জানতাম� না বইটা� কাহিনি কী নিয়ে। বইটা কেবল নিয়েছিলাম লেখক সিদ্দি� আহমেদে� ভরসায়� লেখকের আগের লেখা পড়া� পর মন� হয়েছিলো লেখক তা� গল্প� আমাক� হতাশ করবে� না� বইটা যখ� পড়া শুরু করলা�, দেখলাম � আমাদের মুক্তিযুদ্ধে� সময়ের এক যাত্রা� গল্প, তখ� ভালো লাগাটা আর� একগু� বেড়� গিয়েছিলো।

আর বইটা শে� করার পর আমার বইটা প্রচন্ডরকম ভালো লেগেছে� গল্পের শুরুটা দেখে শেষটার চমকে� কিছুটা ধারন� করতে পারলেও লেখক শেষে যে খেলা দেখিয়েছেন তা একেবারেই চমকে দিয়েছ� আমাকে। মুক্তিযুদ্ধে� সময়ের বইয়ের শে� দিকে এম� টানটান উত্তেজনাকর গল্প হব� এমনট� আশাও করিনি। আর এই আশ� না করার কারণেই হয়ত� বইটা হৃদয়ে দা� কেটে বস� গেছে� এই শেষট� নিয়� এখান� একদম� আলোচনা না করাই ভালো, বইটা কে� পড়ল� তা� জন্যেও শে� অংশট� চম� হিসেবে� থাকুক।

এই গল্পের মূ� চরিত্রের রই� চোরা আর লাবু চরিত্র দুইজনকেই আম� বিশ্বা� কর� বইটা যে� পড়ব� তারই ভালো লাগব�, অনেকদি� মন� দা� কেটে রয়ে যাবে� অনেকদি� পর এম� চমৎকার মন ভালো কর� দেওয়া মুক্তিযুদ্� ভিত্তি� উপন্যাসে� জন্য লেখককে অনেক ধন্যবাদ।

বই পড়ত� বসলে� আম� মাঝে মাঝে গল্পের সাথে গল্পের দেওয়া না� আর প্রচ্ছদে� কোনো যোগসূত্র আছ� কি না তা খোঁজার চেষ্টা করি। বইটা পড়ত� গিয়েই খেয়াল করলা� এই দুটো ব্যাপারে� সাথে গল্পের দারু� মিলে গেছে।� বিশে� কর� প্রচ্ছদট� প্রথ� দেখাতে আমার সাদামাটা� লেগেছিলো, কিন্তু বই শে� করার পর প্রচ্ছদে� দিকে তাকিয়� মন� হচ্ছ� প্রচ্ছ� গল্পের সাথে দারুণভাব� মিলে গেছে�

ঋদ্ধ প্রকাশের প্রোডাকশ�, সম্পাদনা দুটো� চমৎকার হয়েছে, গল্প� বানা� ভু� চোখে� পড়েনি।� আর� একটা বিষয� ভালো লেগেছে বইটা�, লেখা� চারদিকের মার্জি� খুবই কম রাখা হয়েছে, এই বিষয়ট� উল্লেক করার কারণ বর্তমানে বে� কয়েকট� প্রকাশনী মার্জি� বেশি রেখে পৃষ্ঠা সংখ্যা বাড়িয়েছে�

এক কথায� মুক্তিযুদ্� নিয়� লেখা সিদ্দি� আহমেদে� এই সফরনাম� বইটা আমার প্রচন্� ভালো লেগেছে� শূন্� প্রত্যাশ� নিয়� শুরু কর� গল্পটা আমার এতলট� ভালো লাগব� তা কল্পনাতে� ছিলো না, মুক্তিযুদ্ধে� সময়কা� গল্পের এই বইটা আম� সবাইকে� রিকমেন্ড করছি, আশাকরি আমার মত� সবার� ভালো লাগবে।


বই: সফরনাম�
লেখক: সিদ্দি� আহমে�
প্রচ্ছ�: ফরিদুর রহমা� রাজী�
প্রকাশ�: ঋদ্ধপ্রকাশ
মূল্�: ৫০০৳
পৃষ্ঠা: ৩২�
Profile Image for Rezwan Khan.
5 reviews
April 15, 2025
🔴বই� সফরনাম�
🟣লেখক� সিদ্দি� আহমে�
🔵প্রকাশনী� ঋদ্ধ প্রকাশ

⭕ফ্ল্যাপ থেকে�
১৯৭১� রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে� কালো ছায়ায� দু� সম্পর্কহী� পথিক এক বিপন্ন যাত্রায় এগিয়ে চলে। একজন মাঝবয়সী, যা� অভিজ্ঞ কাঁধ� ইতিহাসের ভা�, আর এক কিশো� যে ভবিষ্যতে� প্রতিচ্ছবি�
দখলদার বাহিনী� আঘাত� ছিন্নভিন্ন বাস্তবতা� ভেতর দিয়�, অচেন� পথের ���ুলো জড়া� দুজনের পায়ে।সফরই গড়ে তুলল এক অনিশ্চিত সংঙ্�,সহযাত্রা� টানে শুরু হল পথচল�- নদী,বন,গ্রা� থেকে গ্রামান্তর�-অন্যের ঘর থেকে পরের শিবিরে�
"সফরনাম�" শুধু দুঃসময়ে দলিল নয�,বর� এম� এক সময়ের সাক্ষ্� যেখানে মানুষে� সম্পর্�, প্রতীক্ষা আর আশার মধ্য� বোনা হয� বেঁচ� থাকা� নতুন সংলাপ।

🎯মানুষে� সাথে মানুষে� মতের মি� না হওয়ার অর্থ তাকে মেরে ফেলা না।যেদিন আম� আপনি ভিন্� মতের হয়ে� পাশাপাশি বস� তর্ক করতে পারব�,সমালোচনা করতে পারব� কিন্তু কে� কারো জনের পিছে রে রে কর� তেড়� ছুটে যেয়� পড়বোন�,সেদি� দেশট� আসলে� স্বাধী� হবে।🎯

⭕পাঠ-প্রতিক্রিয়া�
মুক্তিযুদ্� ভিত্তি� গল্প,উপন্যা� কিংব� ছবির প্রত� ছোটোবেলা থেকে� একটা ভালোলাগা বা আকর্ষণ কা� কর� আবার নৃশং� সেসব হত্যাকান্ডের দৃশ্যে� কথ� মন� পড়ল� এক রা� বিষন্নতায় ছুয়� যায় মন�
সম্প্রতি "সিদ্দি� আহমে�" ভাইয়ে� "সফরনাম�" বইটি পড়ে� তেমন মিশ্� অনুভূতিই হয়েছে আমার�

"লাবু" আর "রইসে�" সাথে আমিও যেনো হারিয়� গিয়েছিলাম মুক্তিযুদ্� চলাকালী� সময়ের প্রেক্ষাপটে।
প্রথমদিক� রই� চোরা� কাহিনী পড়ত� পড়ত� ওবায়ে� হকের তেইল্য� চোরা বইটি� কথ� মন� পড়ে গিয়েছিল�,সেটা� একটা মুক্তিযুদ্� ভিত্তি� উপন্যাস।
যা� হো�,প্রথমদিক� এম� ভাবে এগুচ্ছিল� যে পড়ত� মজাই লাগছিল�,তাছাড়� লেখকের হিউমার,হাস্যরসবোধ এর কারণ� বইয়ের অনেক অং� পড়ত� পড়ত� ফি� কর� হেসে ফেলেছি নিজে� অজান্তেই�
তখ� একটু মন� হচ্ছিল� মুক্তিযুদ্ধকালী� উপন্যা� হিসেবে যুদ্ধকালী� সময়ের ভিভি� বর্ননাগুলো লেখক ঠিকমতো ফুটিয়� তুলেছে� তো!!
পরবর্তীতে শেষে� প্রায় ৬০ পৃষ্ঠা জুড়� যে� ফাইনাল ফাইট টা হয� পাকিস্তানিদে� ক্যাম্পে আক্রমণ কর� নিয়�,সে� বর্ননাগুলো� মাধ্যম� লেখক পুরোপুরি পুষিয়� দিয়েছেন�
বইয়� দারু� টুইস্ট� রয়েছে কিছু যদিও সেটা আগ� থেকে� কিছুটা অনুমেয� ছিলো�

সবমিলিয়� স্বার্থক একটা উপন্যাস। এট� নিয়� যে কোনো মুভি বা ওয়ে� ফিল্� করলে কেমন হব� সেটা ভেবে� শিহরিত হচ্ছ�!
লেখকের লেখা� ধর� দূর্দান্�, যারা উনার থ্রিলা� লেখা গুলো পড়েছে� তারা ইতিমধ্যে� এই সম্পর্কে অবগত�

⭕পার্সোনাল রেটিংঃ �.�/�
Profile Image for Wasee.
Author44 books726 followers
March 17, 2025
মুক্তিযুদ্ধে� প্রেক্ষাপট� লেখা 'সফরনাম�' উপন্যাসে� সবচেয়� উল্লেখযোগ্� দি� হচ্ছ� ইমোশনা� ট্রাঞ্জিশন� রই� চোরে� বোকাসুলভ রসিকতায় হাসত� গাসত� হঠাৎ খেয়াল হব� ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞে� বিবর� শুরু হয়েছে� কখনও উত্তেজনা, কখনও হাস্যর�, কখনও কান্না, কখনও ধুন্দুমা� অ্যাকশ�- আক্ষরি� অর্থের সফরনাম� একটা বহুমাত্রিক আবেগময� সফর। ১৯৭১ নিয়� বে� ভিন্নধর্মী বই পড়া� অভিজ্ঞতা হলো।
Displaying 1 - 9 of 9 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.