পরপর অদ্ভুত কিছু ঘটনা পাল্টে দি� মাহদির জীবনের গতিপথ। স্বাভাবি� নাগরিক জীবন হয়ে উঠ� দুর্বোধ্� � রহস্যময়� কেনইবা অন্য লোকে� ফোনে� অপ� প্রান্তে� কথ� শুনত� পায় সে? কেনইবা এম� একজনের উপ� প্রতিশোধ নিতে চায় মাহদ�, যাকে সে চেনে� না� এস� ঘটনা যখ� জট পাকত� শুরু করেছ�, তখ� গল্প� হাজি� নতুন চরিত্র� যে কিনা মাহদির সঙ্গী হয়ে অ্যাডভেঞ্চার এক যাত্রা শুরু করতে চলেছেন� তব� এই যাত্রাতে� মাহদ� মুখোমুখি হত� চলেছ� এম� এক সত্যের সঙ্গ�, যা তা� অতী�-ভবিষ্য� পাল্টে দিতে চলেছে। খু�, প্রতিশোধ, কোর্টরুম -সব কিছু� মিশেলে নাগরিক জীবনের এম� এক রুদ্ধশ্বাস গল্প বল� হয়েছে, যেখানে পাখি নিজে� ধর� পড়ত� চায়, পেতে রাখা ফাঁদের কাছে� এই গল্প পড়ল� মন� হব�, জীবন বড্ড রহস্যময়!
মাহদ� ঢাকায় উবার চালায়� গাড়িট� নিজেরই� শান্তশিষ্ট আর বাঁধাধরা নিয়মে চল� তা� জীবন� কিন্তু এই জীবন একটা সময় এম� ছিলো না� কয়ে� বছ� আগ� মাহদির সাথে ঘট� যায় ভয়াবহ পৈশাচি� এক ঘটনা� সে� ঘটনা� পর নিজে� সে� অন্ধকা� জীবন থেকে বেরিয়� আস� সে� বেছে নেয়ার চেষ্টা কর� একটা নির্ভেজা� রাস্তা�
অ্যাডভোকেট ফাতেমা তু� জোহর� তা� সর্বশে� কয়েকট� কে� হেরেছে� এট� নিয়� সামান্� মনকষ্ট� তা� ভেতর� আছে। ঠি� এরকম একটা সময় একটা অ্যাটেম্পট টু মার্ডা� কে� আস� তা� সামনে। ফাতেমা নিজে ক্রিমিনা� �-ইয়ার। কিন্তু এবার তাকে মুখোমুখি হত� হব� রাষ্ট্রপক্ষে� এক ঝানু উকিলের সাথে�
ইদানী� উবার চালাতে চালাতে মাঝেমাঝে� মাহদির বুকে� ভেতর� লুকিয়� থাকা পশুট� বেরিয়� আসতে চায়� কো� মেয়েক� হ্যারা� হত� দেখল� সে যে� নিজে� এই পশুটাক� আটকাতে পারে না� আর এরকম এক ঘটনা� মাহদিক� পরিচয় করিয়ে দেয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির পোষা গুণ্ডা পাপনের সাথে�
আদালত। একটা কেস। আইনি লড়াই। ধর্ষণ। খুন। সন্তানের লা� কাঁধ� নিয়� এক বাবা� জানাজা� জন্য ঘুরে ফেরা� সব মিলে একাকার হয়ে যায়� তারপরও কি পাখি ধর� দেয়?
লেখক জুবায়ের ইবনে কামালে� লেখা এর আগ� পড়া হয়নি। তাঁর পূর্ববর্তী 'বেঁচ� থাকা� গুজব' � 'অথবা হয়ন� ঘু� বহুকাল' পড়া� আগ্র� ছিলো� তব� কে� যে� একদম সাম্প্রতিক বইটা দিয়েই শুরু করলা� তাঁর লেখা� সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য� 'যে পাখি দেয় ধর�'-এর গল্পটা সাধারণ� গল্পটা একজন মানুষে� সবকিছু হারানোর। গল্পটা প্রতিশোধের�
উপন্যাসে� শুরুটা চমৎকার ভাবে করেছেন জুবায়ের ইবনে কামাল। একজন পাঠক প্রথ� অধ্যায়ট� পড়লেই বাকিটুকু পড়া� একটা তাড়না অনুভ� করবে, যেমনটা আম� করেছিলাম� বে� সাবলীলভাব� কাহিনিটাকে এগিয়ে নিয়� যাওয়া� চেষ্টা করেছেন তিনি� ক্রমান্বয়� উঠ� এসেছ� প্রতিশোধ আর কোর্টরুম ড্রামা� তারপ� যে� হঠাৎ করেই এসেছ� সমাপ্তি। 'যে� পাখি দেয় ধর�' বে� দ্রুতগতি� একটা উপন্যা� বল� যায়�
আমার কাছে বইটা মোটামুটি ভালো� লেগেছে� তরুণ একজন লেখক হিসেবে জুবায়ের ইবনে কামা� চমৎকার কা� করেছেন� শেষদিক� এস� কাহিনি� কিছু জায়গা� গাঁথুন� একটু দুর্বল মন� হয়েছে আমার কাছে� আর কাকতালীয় যে ব্যাপারট� (বললে স্পয়লার হয়ে যাবে) লেখক দেখিয়েছেন তা একটু বেশি� সিনেম্যাটি� মন� হয়েছে� কোর্টরুমের ট্রায়ালের কিছু অং� অসঙ্গতিপূর্ণ লেগেছে� বিশে� কর� জাজক� ইও� অনার-এর বদলে স্যা� সম্বোধ� করার ব্যাপারটা। আর শেষট�? রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পে� মতো। শে� হইয়াও যে� হইলো না শেষ। কিংপিনের একটা পরিণতি দেখা� অপেক্ষায� ছিলাম। দেখত� পাইনি।
ছোটখাট� কিছু বানা� জনিত সমস্যা পেয়েছি। রাফি� আরিয়ানে� কর� প্রচ্ছদট� চমৎকার লেগেছে�