ফাল্গুনী মুখোপাধ্যা� লেখকের ছদ্মনাম। তাঁর প্রকৃত না� তারাদাস। জন্ম ১৯০৪ সালে� � মার্� এব� মৃত্যু ১৯৭৫ সালে� ২৫ এপ্রিল� বঙ্গলক্ষ্মী মাসিকপত্রে� সম্পাদকী� বিভাগে তিনি কা� করতেন।
তাঁর উপন্যা� পড়েই সাহিত্যপাঠের সূচন� হয়েছিল অনেকের� তাঁর উপন্যা� এতোই জনপ্রি� ছি� যে চলচ্চিত্রে� কাহিনী হিসেবে� সমাদৃত হয়েছিল� 'চিতা বহ্নিমান' এব� 'শাপমোচ�' এর জনপ্রিয়ত� এখনও তুঙ্গে� পাঠকসৃষ্টিতে তিনি একটা বড় ভূমিকা পালন করেছেন�
কিছু বই আছ� যেগুলো� কো� রিভি� হয়ন�, ভালমন্� কিছু বল� যায় না� পড়া� পর শুধু স্তব্ধ কর� দেয়, বিষন্ন কর� দেয়, কথ� কেড়� নেয়! এই বই-� ঠি� তেমন.....
এট� শুধু বিরহের প্রেমে� গল্প নয�! এটাত� ছি� জীবনমুখী গভী� চিন্তাভাবন�! এত গভী� কিছু শব্দযোগে বাক্� ছি� যে, আমার বইটা রেখে কিছুক্ষণ ভাবত� হয়েছে, বলতে হয� ভাবত� বাধ্� করেছ�... লেখকের এত গভী� চিন্তাভাবন� দেখে অবাক হত� হয়েছে...
শেষদিক� টপটপ কর� খানিকট� অশ্র� বিসর্জনে� বিচ্ছিন্� কিছু ঘটনা বা� দিলে পুরো বইটা আহামরি কিছু ভালো লাগেনি� তব� মজার ব্যাপা� হচ্ছ� লেখক যে আসলে লেখিকা নন, এই তথ্যটা আগ� জানা ছি� না� অবশ্� নিজে� নামে� অর্থ শান্তি হলেও শান্তি� ছিটেফোঁট� তো না� কোথা�, ফাল্গুনী নামখান� আর এম� কী!
উপন্যাসখান টিনে� বয়স� দুইবার পড়ছিলাম, নাকে� পানি আর চোখে� পানি এক হয়া গেছিল। এরপর এত বছরে আর একবারও প্রিয়তম এই উপন্যাসট� পড়ি না� - কি জানি যদ� সে� ফ্যাসিনেশনটা কইমা যায়! সে� বয়স� পড়া� পর যে আবেগ হইছি� সেটা আসলে বইলা বুঝা� যাইব না! সে� আবেগের রিখটার স্কেলে ইমোশনটার মাত্রা একটু নিচে নাইম� যাওয়া� ডর� এত্ত প্রিয় বইটা আর হাতে নেওয়া� সাহস� করতে পারি না�! :3
"মাধুরী চল� গে�, মহেন্দ্র দাঁড়িয়� ভাবত� লাগল�, বাষ্� যতক্ষণ বাষ্� থাকে, ততক্ষণ ভেসে থাকে আকাশ�, কিন্তু শীতলতা� সান্নিধ্যে এলেই তাকে পড়ত� হয� এস� সে সবুজ ঘাসে তা তপ্ত বালিতে� তো সে পড়ত� পারে-..."⠶ ⠶ না�: শাপমোচ� ⠶ লেখক: ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় ⠶ জনরা: ট্র্যাজেডি⠶ রেটি�: �.২⭐/৫⭐⠶ ⠶ ⠶ 🌻 সা�-সংক্ষে�:⠶ ⠶ ছোটবেলায� বাবা-মা মারা যাওয়া� পর একমাত্� ভা� দেবেন্দ্� � বৌদি অপর্ণা কাছে� মানু� হয়েছে মহেন্দ্র� মহেন্দ্রের পরিবার একসময় আর্থিকভাবে সচ্ছ� থাকলেও নানা� জটিলতায় তাদে� পারিবারি� অবস্থা এখ� বে� শোচনীয়।অর্থাভাবে শুধু মেট্রি� পাশটাই করতে পারে সে� তা� উপ� বসন্তে� কারণ� নিজে� চো� দুটো হারিয়� ফেলে দেবেন্দ্র৷ অন্ধ দাদা, বৌদি আর দাদা� ছেলে খোকনের ভরণপোষণে� জন্য বিজয়া দশমী� দি� মহেন্দ্র পাড়� জমায� কলকাতায়, পিতৃবন্ধ� উমেশ ভট্রাচার্যের কাছে� উমেশবাবু বে� ধনবা� ব্যক্ত�, তা� কাছে চাকর� লাভে� কারণেই যাওয়া� সেখানে� তা� সাথে পরিচয় হয� উমেশবাবু� একমাত্� মেয়� মাধুরী� সাথে� বড়লোক বাবা� একমাত্� কন্য� আর তি� ভাইয়ে� একমাত্� আদরে� বো� মাধুরী �'খানে� গুণে গুণান্বিত। আপাদমস্ত� আধুনিক�, মেধা-রূপে অদ্বিতীয়া। এই মাধুরীকে মালা পরানোর জন্য মালা গাঁথ� মডার্ন সমাজের অসংখ্য তরুণ, বা� যায়নি জমিদারপুত্রও� কিন্তু মাধুরী তা� মালা দিয়� দেয় সামান্� মাইনের কেরানী মহেন্দ্রের গলায়৷ মহেনকে ঘষেমেজ� সভ্য সমাজের উপযোগী কর� তোলা� দায়িত্ব নেয় সে নিজেই৷ কিন্তু মহেন্দ্র দানে� টাকা না, নিজে� উপার্জিত টাকা দাদা� হাতে তুলে দিতে চায়� সেজন্য উমেশবাবু� বিলাসবহু� ছেড়� সে চল� যায় এক মেসে� হয়তোব� সে মাধুরী� থেকে� দূরে সর� যেতে চেয়েছিল� তবুও মাধুরী তাকে আঁকড়ে ধর� রাখে� ⠶ ⠶ পুঁথিগ� বিদ্যা মহেন্দ্রের বিশে� একটা না থাকলেও, তা� আচার-আচরণ, কথাবার্তায� ছি� বে� গভী� কাব্যিকতার ছোঁয়া� আর সাহিত্� � গানে� প্রত� তা� আগ্র� ছি� প্রবল। মাধুরী মহেন্দ্র� আর্থিক অবস্থা জানা� পরেও সব ত্যা� কর� তাকে প্রচন্ডভাব� নিজে� কর� নিতে চেয়েছিল� কিন্তু মহেন্দ্র মাধুরী� সে� ডাকে সাড়� দেয়নি, বরঞ্� নিজেকে একেবারেই গুটিয়� নেয় মাধুরী� থেকে� কিন্তু কে� সে নিজেকে গুটিয়� নেয়? তাদে� কি শেষমেশ মিলন ঘট�?⠶ ⠶ ⠶ 🌻 পা�-প্রতিক্রিয়া: ⠶ ⠶ ৬০-৭০ দশকে� খুবই সাদামাটা একটা প্লট� কাহিনীদশকে� খুবই সাদামাটা একটা প্লট� কাহিনী� শেষে� টুইস্ট বাদে পুরো বইয়� এক ফোঁটাও টুইস্ট নেই। শুরু� ৫০-৬০ পৃষ্ঠা পড়ে মন� হচ্ছিল ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়ের ট্রে� ছুটে যাচ্ছে, এত দ্রু� সব আগাচ্ছিল� আর� ভা�, কোনো কিছু ঘটার জন্য তো একটু সময় দিতে হব�, নাকি?
এই মাধুরী মহেনকে নিয়� এখান�-সেখানে বেড়িয়ে পড়ছ�, গঙ্গার ধারে চল� যাচ্ছে, গানে� আস� বসাচ্ছে। প্লট সাদামাটা হলেও মুখ্� দু� চরিত্রের ডায়ালগগুল� অসাধার� ফিলোসোফি দিয়� ভরপুর। দুইজনই দুইজনক� ভালোবাসে, তবুও নিজেদে� মধ্য� কেমন জানি এক মনস্তাত্ত্বি� দ্বন্দ্ব� সব প্রেমই যে পূর্ণত� পায় না, এই বই তা� একটা উদাহরণ� মাঝে মাঝে মন� হয� কিছু কিছু মানু� ভু� সময়� ভু� মানুষে� প্রেমে পড়ে� আর বিয়� না হলেও কিন্তু মানু� বাঁচ�, নিজেকে শা� দিয়� সে� শাপমোচনে� জন্য অপেক্ষ� করে। কিন্তু সব অপেক্ষ� মধুর হয� না� কিছু কিছু অপেক্ষ� শুধু� বেদন� বাড়ায়। বইটা পড়ে নাকি প্রায় সবাই-� হাউমাউ কর� কেঁদেছে৷ সত্য� বলতে, আমার এক ফোঁটাও কান্না পায়নি� কে� জানি চরিত্রগুলো� মধ্য� ঢুকত� পারছিলাম না� হয়ত� এখ� আর নিজে� মধ্য� অত আবেগ কা� কর� না� শে� হাউমাউ কর� কেঁদেছিলাম 'দূরবী�' পড়ে� উফফফ... সে কী কান্না... ক্লা� টেনে একদম আবেগ� টইটম্বুর ছিলা�, ���েমি� জন্য ভয়াবহ খারা� লাগছিল� আপনারা পড়ে দেখত� পারে�, খারা� লাগব� না�
বয়স বাড়ার সাথে সাথে ফ্যাসিনেশা� কম� যায়� ভালাবাসা তখ� ফালি ফালি কর� কাটা চাঁদ � যেবা� প্রথ� চিতাবহ্নিমান পড়েছিলা� সে কেদে কেটে ভাসিয়� দিয়েছিলাম।সেই বয়স এখ� আর নে�, চোখে জল আস� না তব� হ্রদয়� ব্যাথা হয়। নারীকুলে� এত আবেদ�, অনুরাগ,ভালবাস� অভিমান সব পুরুষে� বুঝে ওঠ� সম্ভ� নয়। একজন পুরু� হয়ে� তিনি কিভাবে মানবী মনের এত গহীনে বিচর� করেছেন তা এক অবিশ্বাস্য ব্যাপার।
পুরো উপন্যা� জুড়েই মহেন্দ্র- মাধুরী� নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দেখানো হয়েছে� তব� আমার সবচেয়� বেশি ভালো লেগেছে মাধুরী� প্রত� তা� পরিবারের ভালোবাসা � সমর্থন� এম� পরিবার কি আদোও হয�?
পরিবারের ভাগ্� ফেরাতে দুর্ভাগা তরুণ, মহেন্দ্র কলকাতায় আসে। কিন্তু কে জানত� জীবনের সবচেয়� বড� সু� � দুর্ভো� এখানেই পাবে! সারাজীবন কষ্ট পেয়� গেলে একসময় কষ্ট� সঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়� কিন্তু কষ্টের পর যখ� স্বর্গীয় সু� আস� তারপ� নিদারু� যন্ত্রণা তখ�?
বিরহ প্রেমে� মিষ্টি একটা বই� শেষে একবা� মন� হচ্ছিল খোকন সত্যটা বল� দি� তো আবার কখনও মন� হচ্ছিল না, থা� না যেমন চলছে তেমনই। কিছু জায়গায় মাধুরীকে অনেক কঠিন মন� হয়েছে তো আবার বিরক্ত� হয়েছি� তব� শেষটার জন্য করুণ� হয়। কিছু জায়গায় লেখা জটিল মন� হয়েছে� সম্ভবত এম� লেখনশৈলী� সাথে পরিচিত� কম বলেই�
গতবছ� মজার একটা ঘটনা ঘটেছে। একটা ফেসবুক পোস্টে দেখি ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় লেখিকা না, লেখক� গুগল কর� দেখি আর� তা� তো�
# মানু� ততক্ষণ ছেলে মানু� থাকে যতক্ষণ সে জীবনের উদ্দেশ্য বুঝত� পারে না।।
# বিয়ের ব্যাপারট� আমার কাছে একটা পুরুষে� সঙ্গ� একটা মেয়ের জীবন বেধে দেবা� চুক্তিপত্র নয�, আমার কাছে ওর অর্থ আত্নার সঙ্গ� আত্নার অখন্� মিলন� শোলা� টোপর আর শাখে� বাদ্� না হলেও সেটা হত� পারে।।
# মেয়ের� দু� জাতে� হয�, প্রণয়নী স্বভাব� আর এক মাতৃরূপী।।
# মানুষে� জীবন� মর্মান্তিক দুঃখ যেমন আছ�, মর্মান্তিক সুখও তেমন কম নাই।�
# সোনা যতক্ষণ ক্ষনিত� থাকে, তাকে খুজত� যায় কম লোকে; আবার সে যখ� গিনি হয়ে গয়ন� হয়ে মনিকারের শো-কেসে বস� তখ� রাস্তা� পথচারীরা� তাকে দেখত� দাড়িয়ে যায়, তাতে খনির সোনা� দা� কম� না মাধুরী� দা� কথাট� আপেক্ষিক মহিনদা, মানুষে� চাহিদা হিসেবে ওর মূল্�; কুকুরে� কাছে হিরা� দা� কতটুকু!!
# প্রে� যদ� সত্য হয� তাহল� তা� চেয়� বড� কিছু না� মাধুরী, সে অন্তরে� লীলা বিলাসে� চারণভূমি� সে প্রে� দুর্লভ সে প্রে� সুপ্� সে প্রে� খনির সোনা তাকে হাটে বাজারে পাওয়া যায় না� আর মাতৃরূ� পৃথিবীতে দরকার।�
# মহেন্দ্র যে� বাতাসে উড়ে আস� একটা ঘুড়�, এই বাড়ির ছাদে� কুর্নিশে তা� সুতোটা আটকে গেছে তা� � এখান� উড়ছ� কিন্তু � জানে � ক্ষী� সুতোটা ছিড়� যাবে আর � গিয়� পড়ব� আকাশে।�
# পৃথিবী� সঙ্গ� সূর্যে� বন্ধ� রজ্জুট� চোখে দেখা না গেলে� ওদের প্রেমে� সত্যটা মলিন হয� না মহিনদা� সূর্যে� কত তা� আছ� আর সূর্� কত দুরে আছ� পৃথিবী নাইব� জানল�, ওর আলোত� উত্তাপ� তো পৃথিবী ফুলে ফল� জীবন� পরিপূর্ণ হচ্ছ�, এট� কি যথেষ্ট নয� ?
# অম্লান হাসি ওর মুখে, অমলি� ওর হৃদয�, ভাবল� বিয়� না হল� কি বাঁচ� না মানু�? খু� বাঁচ�, আর� ভালভাব� বাঁচে। এই যে স্মৃতি অমৃত এই যে আল� স্পর্শ � কি তুচ্�, মূল্যহী�??
# তোমা� কাকুকে একবা� আসতে বল� খোকন, বড্ড দেখত� ইচ্ছ� করে। বল� যে পৃথিবী� আদিম দি� আর না�, সে এখ� ফুলে ফুলে ভর্ত�, অগন্� তা� সন্তান, সূর্� এখ� মেঘে� আড়া� থেকে বেরুতে পারে� কিন্তু খোকন কি কর� বলবে যে তা� কাকু আর বেঁচ� নে�; ১০ বছ� আগেই সে মারা গেছে� কিন্তু মাধুরী� মধ্যেই তা� কাকু এখনও বেঁচ� আছ�, মেঘে ঢাকা সূর্যে� ন্যায়� বলতে পারল� না খোকন যে কাকু নেই। কাকু যে মাধুরী� কাছে আছ� এখনও� ওর অন্তরে যে কাকু এখ� জীবিত।�
মহেন্দ্র আর মাধবী; ভবিষ্য� স্বর্গ এন� দেয়� এক সম্পর্কে� অঙ্কুরেই বিনষ্ট হওয়ার আখ্যান শাপমোচন। ইহাক� শুধুমাত্� একটা বই বা উপন্যা� হিসেবে জ্ঞা� করলে শুধু এদের সাহিত্� রস আস্বাদ� করাই হবে৷ জীবন দর্শনে� যে� পাঠা ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় দিয়েছেন, সেটায় একটু নজ� বোলানো দরকা�
দিগন্ত জোড়� ঐশ্বর্� আর সু� কখনো কখনো ত্যা� করতে করতে হয�, বেঁচ� থাকা� জন্য� বিরহ মেনে নিতে হয� অনিবার্য পত� ঠেকাতে� মহেন্দ্র দেখিয়� দিলো 'জীবন� কোথায় থামত� হব�, সেটা বুঝত� পারা� মানব ধর্মের একমাত্� তপস্যা�'
এই বইখানা� পা� অনুভূত� জানানো� মত অবস্থায় নে� আমি। শুরুতে কি সুন্দর নিটো� ভালোবাসাময� অনুভূতি। কিন্তু শেষটায� এস� একদম স্তব্ধ কর� দিয়েছে। এই বইয়ের রে� অনেকদি� রয়ে যাবে আমার অন্তরে�
মন ভর� কান্নাকাটি করলা� � তব� সুন্দর বা আবেগী শেষে� জন্য বই এর মাঝে অনেক অপ্রয়োজনীয় অতিরঞ্জন সহ্য করতে হয়েছে� �.� স্টা� দেওয়া উচিৎ � তব� শে� টা� জন্য � �
নওরিনে� এর সাথে বাডিরিডস গুলো সবসময় ইংলি� বই গুলো� কর� হয�, এবার তা� নওরি� স্রে� বল� দি�, বাংল� বই পড়ব! অত:পর সখী� কথামতে বুকশেল� এর ধুলোবালি মুছে এই বই বে� করা।
প্রথ� অর্ধাং� বড্ড স্লো ছি�, একসাথে পড়ব বল� ধরেছ� দেখে� হয়ত পড়ে চলেছিলাম, না হয� বোধহয় আবার � শেল্� � পুরা� অবস্থা� � ফেরত পাঠাতাম� তব� ভাগ্যি� তা হয়ন�! শেষাংশ পড়ে আগের অর্ধাংশে� সংগ্রা� আর খু� একটা কাঁট� হয়ে বিঁধ� না,তা� � তারা!
কিন্তু এই বইটা মন ছুঁয়ে গেলো� এত� সুন্দর বর্ণনা, শব্দচয়ন, বাক্যবিন্যাস! শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হল� ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় সহ সক� লেখকদে� প্রত� যারা বাংল� সাহিত্যে এম� সার্থক প্রেমে� উপন্যা� সৃষ্টি করেছেন!
বইটি পড়ে ভালো লেগেছে� সুন্দর, সহ�, সাবলী� বাংলায� লেখক বল� গেছে� দরিদ্র পরিবারের একজন তরুণের কথা। শুধু তা� নয�, লেখক উপন্যাসটিত� উচ্চবিত্� একজন তরুণী� মনোবিশ্লেষ� করেছেন অসাধার� নিপুণতায়। সমানতালে দু� পরিবারের কথাও বল� হয়েছে এখানে। সবমিলিয়� উপন্যাসট� উপভোগ্য।
ভালোবাসলেই যে পেতে হব� এম� কথ� নেই। পাওয়া না পাওয়া� হিসা� ছাড়াও ভালোবাসা আমাদের উত্ত� কর� তুলত� পারে, ভালোবাসা হত� পারে সার্থক� লেখক হয়ত� এমনটিই বলতে চেয়েছেন উপন্যাসটির মাধ্যমে।
সব সম্পর্� পূর্ণত� পায় না� প্রতিশ্রুতিহী� সম্পর্কক� সহ� সমীকরণে মেলানো যায় না� এট� অনেক রক� জটিলতা, সামাজি� প্রতিবন্ধকতা ডেকে আনে। উচ্চবিত্তে� পরিবারের মেয়� যখ� নিম্নবিত্তের ছেলেকে ভালবাস� তখ� নিম্নবিত্তের ছেলেটি দোটানায় পড়ে� সে ভালবাসতে চাইলেও বাঁধ� হয়ে দাঁড়ায় পাহাড় সমান বাঁধা। ভালোবাসা � প্রতিশ্রুতির যুগলবন্দীতে একটি সম্পর্� পূর্� সৌন্দর্য� বিকশিত হত� পারে� কিন্তু প্রতিশ্রুত� দিতে গেলে� একটা বেঁচ� থাকা� মাধ্যম লাগে�
শাপমোচ� বইটি� কাহিনী আহামরী কিছু না, সে� ৬০-৭০ এর দশকে� আধুনিক নাগরিক জীবন যাপন উঠ� এসেছে। তা� মাঝে আস্ত� আস্ত� গড়ে ওঠ� অনিন্দ্যসুন্দর এক প্রে� কাহিনী� লেখক� এর পাতায় পাতায় এম� ভাবে কল� চালিয়েছেন যে পড়ত� গেলে চরিত্র গুলো যখ� হেঁস� উঠবে তখ� আপনি � হেঁস� উঠবেন। আবার চরিত্র গুলো যখ� কাঁদবে তখ� আপনা� � চোখে� কোনে বিন্দু বিন্দু জল জমবে�?
অন্ধ দাদা, বউদি আর স্নেহে� খোকনের ভরনপোষণে� দায়িত্ব কাঁধ� নিয়� কো� এক দূর্গা পূজা� নবমী� দি� গ্রা� ছেড়� কলকাতা শহরে পাড়� জমান মহেন্দ্র� উদ্দেশ্য তা� পিতা� বাল্যবন্ধু উমেচন্দ্রে� বাড়িত� যোগাযো� কর� এব� একটা চাকরী� ব্যবস্থা করা। মহেন্দ্র এর পিতা এক সময় স্বচ্ছ� থাকলেও ভাগ্যে� নির্মম পরিহাস� তারা অভাব� পড়ে� মহেন্দ্র এর বাবা� উমেশচন্দ্রকে এক সময় কঠিন রোগে� হা� থেকে রক্ষ� করে। সে� জন্য বন্ধুত্বের সেবা� দায় নিয়� মহেন্দ্র উমেশবাবু� বাড়� পৌঁছায� এব� সকলে� দ্বারা বিশে� কর� উমেশ চন্দ্র � তা� মেয়� মাধুরী� দ্বারা পর� যত্ন লা� করে। এক সময় বাড়ির সকলে মহেন্দ্র কে পছন্� করতে এব� ভালবাসতে শুরু করে। কিন্তু মহেন্দ্র সহ্য করতে পারে না সে সব� কিন্তু কে�? কারন- "মহেন্দ্র যে� বাতাসে উড়ে আস� একটা ঘুড়�, এই উচ্চবিত্তে� বাড়ির ছাদে� কুর্নিশে তা� সুতোটা আটকে গেছে তা� � এখান� উড়ছ� কিন্তু � জানে � ক্ষী� সুতোটা ছিড়� যাবে আর � গিয়� পড়ব� আকাশ�"।।
বড়লোক বাবা� একমাত্� কন্য� আর তি� ভাইয়ে� একমাত্� আদরে� বো� মাধুরী� রূপে, গুনে, মেধায় আর বাকপটুতায় অদ্বিতীয়� তা� সাথে কথায� পেরে উঠবে এম� লো� পাওয়া দায়� এই অষ্টাদশী তরুনীকে জয� করার জন্য কতজনের কতরক� চেষ্টা।কিন্ত� মাধুরীকে যে জয� কর� নিয়েছ� এক "ষা� টাকা� কেরানী"! হ্যা� কেরানী তো বট�, তব� কে� সে জয� করতে পারল� মাধুরী� মন? সে তো চা� নি কখনো উচ্চবিত্তে� ছোঁয়া তব� কে� মাধুরী এল� জীবনে।
পিতৃঋন শো� করতে মাধুরী নিজে� মহেন্দ্রকে দেখাশুনা� দায়িত্ব নেয়।সভ্� সমাজের উপযোগী কর� গড়ে তুলে তাকে� মাধুরী� স্পর্শ� নিজেকে নতুন ভাবে আবিস্কার কর� মহেন্দ্র� শৈল্পি� মন জেগে উঠ� আবার� একদিকে যেমন চলতে থাকে সঙ্গী� আর সাহিত্যচর্চা তেমন� অন্যদিকে চলতে থাকে টাইপ রাইটিং আর চাকরী খোজা� ভদ্র সমাজ� নি� মেধা গুণে� সমাদৃত হত� থাকে সে� এভাবেই এক সময় মহেন্দ্রের মাঝে নিজেকে হারিয়� ফেলে মাধুরী�
ওদিক� একটা চাকুরী পেয়� মাধুরীদে� বাসা ছেড়� মেসে উঠ� মহেন্দ্র।সেখানেও মাধুরী� ছোয়ায� আর� আলোকিত হয়ে উঠ� সে।একট� সময় মাধুরী থেকে পালিয়� যেতে থাকে সে� যে� মহাকালের মাঝে হারিয়� যেতে চায় সে� এক বিজয়াতে মহেন্দ্র তাদে� বাড়িত� এসেছিল� এখ� প্রত্যেকটি বিজয়া� দিনে� মহেন্দ্র কে চিঠি লেখে মাধুরী, কিন্তু কো� উত্ত� আর আস� না� জানত� ইচ্ছ� কর� না, কি সে কারন? মহেন্দ্র� প্রত� মাধরী� ভালবাসার তীব্রত� বোঝাতে � কবিতাট� অবলিলায় বল� চল�- সে� তোমাকে তবুও ভাবি ভেবে ভেবে জাগি ক্রমশঃ দীর্� কর� তুলি তিমি�-রজনী স্বপ্ন আস� স্বপ্ন যায় তুমি আসেন� বিরহ কষ্ট� কেঁদ� উঠ� প্রে�-ধমনী সে� তোমাকে তবুও ভালবাস� ভালবেস� কাঁদ� ক্রমশঃ ভারি কর� তুলি পৃথিবী� বাতা� দি� যায় রা� যায় তুমি আসেন� আমার কষ্ট� কেঁদ� উঠ� কালে� আকাশ�
শাপমোচ� কথাটার অর্থ জানে� তো? বইটাতে কে কা� শাপমোচ� করেছ� মাধুরী না মহেন্দ্র তা জানত� চাইল� পড়ু� বইটি??
ব্যক্তিগ� মতামতঃ কিছু লেখা আছ� যা আপনা� হৃদয়ক� স্পর্শ করার ক্ষমতা রাখে� � বইটা আমার কাছে তেমন � মন� হয়েছে� কখনও হেসেছি, কখনো কেঁদেছ� আফসোসও হয়েছে সময় সময়� জীবন� কো� মাধুরী� ছোয়� না পাওয়া� আক্ষেপ� বেড়েছ� কিছুটা! আবার শে� দিকে এস� না চাইলেও বুকট� টন টন কর� উঠলো, চোখে� কোনায় জল জম� গেল।কিছু সম্পর্কক� নতুন কর� চিনত� শিখলাম,নতুন কর� ভালোবাসা� এক অনিন্দ্য সুন্দর সংজ্ঞা পেলাম।
উপন্যাসে কে যে বেশি প্রাধান্� বিস্তা� করেছ� মহেন্দ্র নাকি মাধুরী? তা বোঝা সত্য� কঠিন� আমার মাঝে মাঝে মন� হয়েছে লেখক মাধুরী চরিত্র� জো� দিয়েছেন আবার মন� হয়েছে মহেন্দ্র কে নিখু� করেছেন� বইয়ের বর্ণনা� ভাষা কেমন জানি নেশা ধরানো। চরিত্রের ডায়াল� গুলো অদ্ভুত সুন্দর� এত জটিল প্রেমে� উপাখ্যান, উভয় চরিত্রের মনস্তাত্ত্বি� দ্বন্দ, তারপরে� তা সুমধুর তারপরে� তা বারবার পড়া� যোগ্য। মাধুরী� কথ� মন� পড়লেই কেমন একটা শুন্যত� সৃষ্টি হয়ে যায়� � শূন্যতার ঘো� থাকব� আজীবন� কেনন� বইটা সেরা�
সব সময় মানু� তা� জীবন� কিছু না কিছু বই পড়ে যা তা� মন ছুয়� যায়, অস্তিত্ব� নাড়� দেয়� পড়া শে� হওয়ার পর ঘোরে� মধ্য� চল� যেতে হয়। কারন বইয়ের লেখনী এরকম� আপনাকে একদম মর্মমূলে আঘাত করবে� কিছু সম্পর্� কে নতুন কর� চিনাবে� কিছু চরিত্রকে আজীবন ভালবাসতে শেখাবে� বইয়ের চরিত্রের সাথে আপনি� কাদবেন, আবার সে� চরিত্রের সাথে আপনি� হাসবেন� এম� ধরনে� গল্প গুলো আসলে তখ� বইয়ের সাদা কাগজ� আবদ্� থাকেনা� তখ� তা জীবন্ত হয়ে যায়� আমার মন� পরেন�, কতগুলো বই পড়ে এম� ফিলোসোফিকা� অনূভুত� হয়েছে� আর� অনেক বাংল� বই পড়েছি, অনেক গুলো ভালো লেগেছে� অনেক গুলো ভালো লাগেনা�, আবার অনেক গুলো পড়ে আলাদ� অনুভুত� এসেছে। কিন্তু মন� পড়েনা আর কো� বই পড়ে এম� সব অনুভূত� কে ছাপিয়� কেমন একটা শান্� স্নিগ্� ভা� এসেছ� কিনা� � অনুভুত� বিশে� কিছু গল্প বা উপন্যা� পড়ল� আসে। তেমন একটি বই শাপমোচন। বাংল� সাহিত্যে যেসব অম� শিল্� সৃষ্টি হয়েছে সুনী�, সমরে�, সুচিত্রা, শর�, রবীন্দ্রনাথ এর মাধ্যম� তা� পাশে � বইটি অবশ্যই স্থা� কর� নিবে� এগুল� আমাদের অস্তিত্বের বই� এগুল� না পড়ল� আমার মন� হয� অস্তিত্ব রক্ষ� হব� না� বইয়���র প্রেক্ষাপট খু� একটা বিশে� না কিন্তু আবার অনেক সুন্দর� সে� ৬০-৭০ এর দশকে� আধুনিক নাগরিক জীবন যাপন উঠ� এসেছে। তা� মাঝে আস্ত� আস্ত� গড়ে ওঠ� অনিন্দ্যসুন্দর এক প্রে� কাহিনী� প্রধান চরিত্র দুইজন। মহেন্দ্র আর মাধুরী� দুইট� চরিত্রকে এম� মহ� ভাবে লেখিকা উপস্থাপন করেছেন মাঝে মাঝে ভাবি কে বেশি প্রভাব বিস্তা� করেছ� উপন্যাসে মহেন্দ্র নাকি মাধুরী� বর্ণনা� ভাষা কেমন জানি নেশা ধরানো। চরিত্রের ডায়াল� গুলো অদ্ভুত সুন্দর� ভাষা� ব্যবহা� আমাক� বাংল� ভাষাকে নতুন কর� ভালবাসতে শিখিয়েছে। এক কথায� বইটা না পড়ল� এটার মাধুর্�, চরিত্রের গুণমুগ্ধতা বোঝা সম্ভ� নয়। বইয়ের পরিনতি আপনাকে চরিত্রের সাথে এক সুরে কাদাবে� এত জটিল প্রেমে� উপাখ্যান, উভয় চরিত্রের মনস্তাত্ত্বি� দ্বন্দ, তারপরে� তা সুমধুর তারপরে� তা বারবার পড়া� যোগ্য। এই নিয়� আম� বে� কয়েকবার বইটি পড়লাম� তো যারা পড়ে� না� ত��র� যদ� পারে� বইটি পড়ে দেখবেন� আশ� কর� বাংল� সাহিত্� যে কি, তা� রত্নভাণ্ডা� যে কত সমৃদ্ধ তা আরেকবা� বুঝত� পারবেন� বইয়ের রেটি� �/� দিলাম। যদিও কিন্তু আম� মন� কর� � বইয়ের রেটি� দেওয়া আমার পক্ষ� সম্ভ� না� কিছু বই রেটি� এর উর্দ্ধে। রেটি� এস� বইয়ের জন্য সৃষ্টি হয়নাই�
রা� আড়াইটার সময় চোখে� পানি নাকে� পানি একসা� কর� কান্না করলে, কে� কী বিশ্বা� করবে যে বই পড়ে কান্না করেছ�?
� বছ� দুইট� বই পড়ে আম� খু� কান্না করেছ�- �. অপরাজি�! �. শাপমোচ�!
মানুষে� জীবন নাটকের চেয়েও নাটকীয়, কথাট� কেমন কঠিন লাগত� আগ� আমার কাছে� এখ� বুঝত� পারি, আসলে কথাটার মানে কী�
মাধুরী চরিত্রটা আমার এত� ভালো লাগে যে, বইটা পড়া� সময় নিজেকে কয়েকবার মাধুরী� জায়গায় রাখত� দ্বিধা কর� নি� কিছু আচরণ আমার সাথে মিলা� কারণেই কী না, তা বুঝত� পারছ� না� আর রইলো,মহেশ! লেখিকা শেষে দিয়� এভাব� না কাঁদালেও পারতো। হয়ত�, এভাব� না কাঁদাল� বইটা� কথ� মনেও থাকত� না�
কিছু কথ� এত� সুন্দর, কিন্তু ভা� অনেক বেশী� মুগ্� হয়েছি, আর বারবার পড়েছি লাইনগুলো�
▪জীবন থেকে কাব্� জন্মায�, কাব্� থেকে জীবন জন্মায� না।কবিতা জীবন� ভোজ্�, জীবন তো কবিতার ভোজ্� নয�! শাপমোচ�
কারো প্রস্থান� জীবন থমকে থাকে না,থাকব� � না।হুট কর� আমাদের জীবন থেকে কে� চল� গেলে- তা� উপ� রা� হয�,অভিমান হয�,অভিযোগ জমে।তা� চল� যাওয়া� পিছন� কারণটা কী তা জানা� চেষ্টা কর� না বা নিজে� মনগড়া একটা কারণ গড়ে তুলি
তবুও এট� কালজয়ী উপন্যা� হয়ে ঠায় দাড়িয়ে আছ� � থাকব� সম্ভবত এর শে� অংশে� জন্য� এই জায়গা� লেখনী এককথায� অনবদ্য� বাকি পুরো উপন্যাসে� ভাষা থিয়েটারী� পড়ল� মন� হয� বইখানা লেখা হয়েছি� থিয়েটারের চিত্রনাট্য হিসেবে কিন্তু ছাপানো হয়েছে উপন্যা� হিসেবে�
লেখক, পাঠককে সবকিছু মুখে তুলে খাওয়ানো� ব্যবস্থা কর� রেখেছেন। আরোপিত বর্ণনা� আতিশয্যে দাড়ানোই মুশকিল! কিছু বিষয� একদম ভেঙে না বল� পাঠকের কল্পনা� উপরে ছেড়� দিলে� বেশী লাগস� হতো।
লেখক; মহেন্দ্র, মাধুরী, দেবেন্দ্� এর মত অসাধার� সব শক্তিশালী চরিত্র তৈরি করেছেন কিন্তু ব্যাবহার করেননি� যদ� সে� সময়ের ক্লিশে অত� নাটুকেপন� থেকে বেরিয়� এস� এক� চরিত্র ব্যাবহার কর� একটু ভিন্নভাব� উপস্থাপন করতে� তাহল� এট� সম্ভবত বাংল� সাহিত্যে� অন্যতম সৃষ্টি হিসেবে বিবেচি� হতো।