ŷ

Jump to ratings and reviews
Rate this book

তাজউদ্দী� আহমদ আলোকের অনন্তধার�

Rate this book

456 pages, Hardcover

First published July 1, 2006

1 person is currently reading
31 people want to read

About the author

Simeen Hussain Rimi

5books9followers
বাংলাদেশের প্রথ� প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দী� আহমেদে� কন্যা।

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
4 (80%)
4 stars
1 (20%)
3 stars
0 (0%)
2 stars
0 (0%)
1 star
0 (0%)
Displaying 1 - 2 of 2 reviews
Profile Image for Shadin Pranto.
1,419 reviews476 followers
January 26, 2025
' অপরে� মঙ্গলে� জন্য একমাত্� আত্মত্যাগী চারিত্রি� দৃঢ়তাসম্পন্� ব্যক্তিরাই জাতি গঠনে অবদা� সৃষ্টি করতে পারে� স্লোগা� নয� বর� কঠোর পরিশ্রমে� মাধ্যমেই জাতি� ভাগ্� নিয়ন্ত্রি� হয়। ' - তাজউদ্দী� আহমদ

বাংলাদেশের শ্রেষ্� সন্তানদে� একজন তাজউদ্দী� আহমদ� তাঁক� নিয়� আলোচনা খু� কম� লেখালেখি আর� অপ্রতুল। প্রায় এক যু� আগ� তাজউদ্দী� আহমদকে ভালোভাবে জানতেন এব� তাঁর সঙ্গ� কা� করেছেন এম� বাইশ জন বিশিষ্টজনে� তাজউদ্দী� আহমদকে ঘিরে স্মৃতি নিয়� একটি সংকল� প্রকাশ করেন তাজউদ্দী�-তনয়� সিমি� হোসে� রিমি� চা� � পাতায় বইটিতে এছাড়া� তাঁর রোজনামচা� কিছু অং� � তাজউদ্দী� আহমদের দেওয়া একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ স্থা� পেয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছিল প্রতিভাস এব� দুর্ভাগ্যজনক হল�, বইটি দীর্ঘদিন আউ� অফ প্রিন্ট।

মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্� দেওয়া প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দী� আহমদকে নিয়� মোটাদাগে দুইট� পক্ষ ক্রিয়াশীল।

এক. আওয়ামী লী� দল হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে� সময় তাজউদ্দী� আহমদের অবিস্মরণীয় ভূমিকাকে স্বীকা� করতে কুণ্ঠি� হয়। কারণ শে� হাসিনা� আওয়ামী লী� মন� কর�, তাতে বঙ্গবন্ধুর কৃতিত্বে ভাটা পড়ে� এই তত্ত্ব শে� হাসিনা� উদ্ভাবিত নয়। বর� শে� মুজিবু� রহমা� নিজে� কোনো না কোনোভাবে এই 'হীনম্মণ্যতার শিকা�' ছিলে� কিংব� তাকে এই ফাঁদ� ফেলা হয়েছিল। তিনি দেশে ফিরে আসার পর কোনোদি� তাজউদ্দী� আহমদকে জিজ্ঞে� করেননি, মুক্তিযুদ্ধে� এই ক্রান্তিকালে কীভাবে তাজউদ্দী� সবকিছুকে সামা� দিয়েছেন� পুরো বই জুড়� অনেকবা� অনেকের লেখাতে� এসেছ� যে, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গ� তাজউদ্দীনে� দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল� তিনি তাজউদ্দীনে� মুখে মুক্তিযুদ্ধে� বয়া� শোনেননি। বর� বঙ্গবন্ধ� তা� ঘনিষ্ঠ বন্ধ� � সোভিয়েত ইউনিয়� বাংলাদেশের একসময়কা� রাষ্ট্রদূত শামসুর রহমা� খানক� বলেছিলেন,

' তাজউদ্দী� উচ্চাকাঙ্ক্ষী� '

আর, দুইজনে� কম� বন্ধ� শামসুর রহমা� খা� তাজউদ্দীনক� জিজ্ঞে� করেছিলেন শে� মুজিবে� সঙ্গ� তা� দূরত্বের কারণ সম্পর্কে� তাজউদ্দী� তাকে বলেছিলেন,

' আমার মন� হয� তিনি ( শে� মুজি�) আমার প্রত� ঈর্ষ� বো� করেন� '

এই ঈর্ষার কারণ সম্পর্কে জানত� চাইল� তাজউদ্দী� শামসুর রহমা� খানক� বলেন,

' মুক্তিযুদ্ধে� ব্যাপা� নিয়� আছে। এই যে, মুক্তিযুদ্� হল�, বঙ্গবন্ধুও জানে�, সবাই জানে এব� অন্য অনেকেই মুখে স্বীকা� না করলে� মন� মন� জানে� যে, পুরো মুক্তিযুদ্� আম� চালিয়েছি। সে� জন্য� ঈর্ষ� করেন আমাকে। '

আচ্ছ�, বঙ্গবন্ধুর মন� হচ্ছিল তাজউদ্দী� বদলে গেছে� তাজউদ্দী� আর আগের তাজউদ্দী� নেই। এই কথ� তিনি অনেককে� বলেছেন� তারা বইতে তা লিখেছেনও� কিন্তু সত্যিই কী তাজউদ্দী� আহমদ নেতিবাচক অর্থ� 'উচ্চাকাঙ্ক্ষী' ছিলে�? তিনি কী শে� মুজিবক� তা� প্রাপ্� স্থা� দিতে অনিচ্ছুক ছিলে�? এই প্রশ্নের জবাব সবাই এক� স্বর� দিয়েছেন� সবচেয়� স্পষ্টভাবে পা� মুক্তিযুদ্ধকালী� সরকারে� সংস্থাপন সচিব � মুক্তিযোদ্ধা নুরূ� কাদেরে� স্মৃতিচারণায� পা�,


'১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তা� বাহিনী আত্মসমর্পণ করন। ১৭ তারি� সকালবেলা প্রধানমন্ত্রী আমাক� তাঁর অফিসরুমে ডেকে নিলে� � বললে�, “কাল সকাল� তুমি ঢাকা যাবে � তুমি প্রশাস� নিয়� যাচ্� � তা� তোমাকে সব সময় খু� বেশি রক� শান্� থাকত� হবে। তোমা� মধ্য� কো� উগ্রতা যে� স্থা� না পায়� তুমি স্বাধী� বাংলাদেশ� যাচ্�, সেখানে তোমাকে সরকারে� নীতি-আদর্� তুলে ধরতে হবে। � ক্ষেত্রে ইউ মাস্� অলওয়ে� রিমেমবার, অ্যা� নো পয়েন্� দ্� ক্রেডি� শু� বি গিভে� টু এনিবডি আদার দ্যা� শে� মুজিবু� রহমা� � এট� আমার আদেশ� একটা জিনি� মন� রে�, এই যে যুদ্ধপ্রচেষ্টা, যত আন্দোল�-সংগ্রা�, সমস্� কিছু� হয়েছে বঙ্গবন্ধুক� অগ্রভাগে রেখে, তাঁর� আদর্শে, তাঁর� নির্দেশে� আমিও আমার কর্তব্� পালন করেছ� তাঁক� সামন� রেখে� আদিষ্ট হয়ে � অতএব যখ� সরকারে� নীতি-আদর্শে� কথ� বলবে, মন� রে�, তাঁর সম্মান, কৃতিত্� থাকব� সবচাইত� উপরে� '

অর্থাৎ মুক্তিযুদ্� পরিচালিত হয� বঙ্গবন্ধুক� সামন� রেখে� যদিও তিনি সশরীরে অনুপস্থি� ছিলেন। তবুও তিনি তাজউদ্দী� আহমদকে নিয়� এক ধরনে� অস্বস্তিবো� করতে� তা নির্দ্বিধায় বল� চলে। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধ� অপরে� কানকথায় বেশি মনোযোগ দিতেন। যা তাজউদ্দীনে� সাথে তা� সম্পর্কক� শীতল কর� তুলত� অনুঘটক হিসেবে কা� করে। মন্ত্রিসভা থেকে তাজউদ্দী� আহমদের পদত্যাগে� পর তাজউদ্দী� ভয� পেতে থাকলেন যে, রক্ষীবাহিনী হয়ত� তাকে খু� করতে পারে!

মোটকথা, আওয়ামী লী� দল হিসেবে তাজউদ্দী� আহমদকে তা� প্রাপ্� দেয়নি এব� দিতে চায় না� তা� দলদা� বুদ্ধিজীবীদে� আলোচনা� গণ্ডিত� তাজউদ্দী� আহমদ অনেকটা� অনালোকিত � অনালোচিত থেকে গেছেন।

দু� নম্ব� পক্ষ. এর� মুক্তিযুদ্ধক� অস্বীকা� করতে চায়� মুক্তিযুদ্� স্রে� তাদে� চোখে ভারতের ষড়যন্ত্� � তাজউদ্দী� হচ্ছেন 'ভারতের দালা�'� অনেক� একধা� এগিয়ে তাজউদ্দী� আহমদকে ভারতের সঙ্গ� 'অস� গোপন চুক্তি�' দায়� অভিযুক্ত করেন এব� তাকে নির্জল� গালাগা� দে� কোনো অকাট্য প্রমাণ ছাড়াই� এদের উদ্দেশ্য ১৯৭৩ সালে� ১৬ ডিসেম্বর বাংল� একাডেমিত� আয়োজি� অনুষ্ঠান� তাজউদ্দী� আহমদ বলেন,

'আম� চ্যালেঞ্� প্রদান করছি, যদ� কে� কো� দি� প্রমাণ করতে পারে� যে, আমার প্রধানমন্ত্রিত্বকালী� সময়� ভারতের সঙ্গ� কো� প্রকার গোপনীয় বা প্রকাশ্য� চুক্তি করেছ� তব� আম� ফাঁসিকাষ্ঠ� ঝুলত� প্রস্তুত রয়েছি� '

তাঁক� ঘিরে ভারতপন্থ� হওয়ার অভিযোগের খণ্ড� করেছেন পরিকল্পন� কমিশনে� উপপ্রধান অধ্যাপ� নুরু� ইসলা� � তৎকালী� অর্থসচিব মতিউ� ইসলাম। একইসাথ� তিনি তীব্� মার্কিনবিদ্বেষী ছিলে� এব� তা অযৌক্তিক পর্যায়ে� ছি� - এই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয� নুরু� ইসলা� � মতিউ� ইসলামে� লেখায়�

তাজউদ্দী� আহমদ ছিলে� স্পষ্টভাষী এব� বাংলাদেশের রাজনীতি� তুলনায� মাত্রাতিরিক্� সৎ � সহজসরল� তিনি তোষামোদে� রাজনীতি করতে� না এব� প্রশ্রয় দিতে� না� অত্যন্� মেধাবী এই মানুষট� পড়াশোনায় ছিলে� পাকা� খু� সুক্ষ্মভাব� চিন্তা করতে পারতেন এব� গুছিয়� তা লিখত� পারতেন� তাঁর সঙ্গ� যারা কা� করেছেন, তারা সবাই একথাটি লিখেছেন। সম্ভবত বাংলাদেশের ইতিহাস� শ্রেষ্� প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দী� আহমদ� অনেককে� আমরা যোগ্� মন� করি। কিন্তু পদ� বসার পর পদ� পদ� তারা অযোগ্যতা� পরিচয় দেন। এখানেই তাজউদ্দী� আহমদের সাফল্য� তিনি মুক্তিযুদ্ধে� মত� কঠিন সময়� দ্বিধাবিভক্ত আওয়ামী লীগক� মোকাবিলা করেছেন, ভারতীয়সহ সমর্থন আদায� করার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্� পরিচালনা করতে সাফল্যের পরিচয় দিয়েছেন� তিনি বাকপটু ছিলে� না� ছিলে� সত্যিই কর্মবীর। যা বাঙালি জাতিতে বিরল�

যে জাতি তা� শ্রেষ্� সন্তানদে� স্মৃতিকে যত্নের আবরণ� রাখে না, স্মর� কর� না � তা� উপযুক্� সম্মান তাকে দিতে কুন্ঠি� হয� এব� দলাদলি কর�, সে� কওমে সৎ � সাহসী আদমি পয়দ� হওয়� বন্ধ হয়ে যায়� তাজউদ্দী� আহমদ বাংলাদেশ এব� একইসঙ্গে বাঙালি জাতি� শ্রেষ্� সন্তানদে� একজন� তাঁক� নিয়� আর� আলোচনা হোক। চলুক তর্ক-বিতর্ক� তবুও, আলোচনায় থাকু� ক্ষণজন্ম� বী� তাজউদ্দী� আহমদ�

চলুন, তাজউদ্দী� আহমদকে নিয়� পড়ি এব� তাঁক� নিয়� আলোচনা করি।
Profile Image for Masud Khan.
87 reviews16 followers
March 5, 2015
Excellent compilation on Tajuddin Ahmed, the architect of liberation war of Bangladesh. Must read.

Displaying 1 - 2 of 2 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.