Noted litterateur and renowned professor/academician, Narayan Gangopadhyay (Bengali: নারায়� গঙ্গোপাধ্যায�) (real name: Taraknath) was born in Baliadanga in Dinajpur, East Bengal, on February 7, 1919. His ancestral home was in Basudebpur, Barishal. In 1941, he stood first class first in M.A. in Bengali from Calcutta University and later went on to earn his D.Phil for his research in the field of short stories in Bengali literature. He taught at the City College and later at the Calcutta University.
His first brush with writing came during his student years, when he tried his hand at poetry. Later he made his mark as a writer of short stories, novels and plays and also emerged as a critic and journalist. In the early 1940s he wrote a three-part novel called Upanibesh. He also regularly contributed to Shonibarer Chithi and was felicitated by Basumati the famous literary magazine. In his later years, he wrote biting satire on the prevalent social and political issues for Desh under the pseudonym Sunando. Among his famous works are Bitangsho, Surjasarathi, Timirtirtha, Alor Sarani, Ek-tala, Rammohan (play), Chhotogalpo Bichitra, Padasanchar, Samrat O Sreshthi, Ankush, Sahityo O Sahityik, Bangla Galpobichitra, Chhotogalper Seemarekha and Rabindranath. Two of his plays, Bhadate Chai and Agantuk, which were enacted by writers, were highly acclaimed.
Narayan Gangopadhyay is also the creator of Tenida and his adventures—which remain till date most popular among children's literature.
খুউব মন� আছ� সে কথা। ১২-১৫ বছ� আগের ঘটনা তো হবেই� বইটা যখ� হাতে আসলো তখ� ভেবেছিলু�, এই রে! টেনিদা� কম্ব� নির্ঘা� হারিয়� গেছে� কি একটা লঙ্ক� কান্ডই না সে ঘটাব� তা� জানত� সোজা বস� পড়েছিলা� বইটা নিয়ে। কিন্তু � কি! কম্ব� একটা ছেলে! যে সে ছেলে নয়। আমাদের টেনি, প্যালা, হাবলার থেকে� এক কাঠি উপরে� জিনিস। তারপ� তো সে এক দুর্দান্� অভিযান� ডুবে গেলা� দুইট� ঘন্টা। আজ মিরচ� বাংলার নিবেদন� সে� রসটা অন্যভাবে আস্বাদ� করলাম। মাথায় শূধু ঘুরছ� 'ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফিলিস। ইয়া� ইয়া�'�
পটলডাংগা� এক জলজ্যান্� ছেলে কম্ব� হারিয়� গেছে� এই খব� শুনে আর সবাই বস� থাকত� পারলেও চা� মূর্তি বস� থাকত� পারল না� তাদে� একটা দায়িত্ব আছ� না? কম্ব� যতটা� ইচড়� পাকা হো�, আর যতটা� সবার জীবন জ্বালিয়� খা� না কে� বা সবাই তা� নিরুদ্দেশে খুশি হলেও তা� চা� মূর্তি কম্বলক� খুজত� ঝাপিয়� পড়ল বল� যায়� তব� কম্বলক� খুজত� বে� হয়ে তারা কি কি খুজে বে� কর� তা উদ্ধার করার দায়িত্ব মন� হয� আমাদের পাঠকদের।
পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ আচ্ছ� টাইটেল পড়ে প্রথমে কি মন� হয়েছে? অনেস্টলি? আমার কো� মতেই মন� হয়ন� যে কম্ব� কো� মানুষে� না� হত� পারে� আগের গল্প গুলো� ওজ� দেখে মন� হয়েছি� এবার হয়ত হব� কারো কো� কম্ব� (গায়� দেওয়া�) হারিয়েছ� তা� খুজত� গিয়� চারমূর্ত� যত সব গণ্ডগো� পাকিয়� ফেলছে। তা� কম্ব� যখ� কারো না� ভূমিকায় দেখা যায় তখনই একটা চম� লেগে গিয়েছিল বল� যায়� আর নিত্� হাসত� হাসত� পেটে ব্যাথা ধর� যাবা� মত� ঘটনা � আছেই�
টেনিদা পড়ল� আর কিছু হো� না হো� নানাবি� রসাল� খাবারে� নামগুল� এমনভাব� বল� হয� মন� হয� বইয়ের পাতা থেকে মম� কর� খাবারে� গন্ধ,জিভে জল চল� আস� আপনাআপনি� আর সাথে হাসত� হাসত� সব চিন্তা ভাবন� ভুলে এক নির্মল আনন্দে� সাথে সময় কাটানো তো সোনায় সোহাগা ব্যাপার।
শ্রীমা� কম্বলক� নিয়েও এম� এক সুন্দর হাস্যরসে� অবতারণ� করেছেন নারায়� গঙ্গোপাধ্যায�.পটলডাঙার মা� সম্মান রক্ষার্থ� নেমে পড়ল� প্যালা ক্যাবল� হাবু� আর আমাদের বিখ্যা� টেনিদা হাড়জ্বালানো ঊনপাজুরে বদমাইশ পাজি কম্বলক� খুঁজতে যা� চাচা� ভাষ্যনুযায়ী সে চাঁদ� চল� গেছে.তা এরকম গাঁজাখুর� গল্প বিশ্বা� না কর� টেনিদারা চললো তাকে খুঁজতে সাথে আছ� সূত্� হিসেবে কম্বলে� খাতায় লেখা কয়ে� লাইন কবিতা।
টেনিদা কি পারব� চারমূতির সন্মান রেখে কম্বলক� খুঁজ� আনতে না কি আবার কো� বিপদ� পড়ব� তারা?কিংব� নাস্তানাবু� করবে অন্� কোনো বদ লোকদের?
নিরী� শিশু� ক্যাবল� বল�, দুবা� ক্লা� সেভেনে ডিগবাজ� খে�, তল� থেকে � শক্ত হয়ে আসছে—এখন� শিশু! প্যালা ক্যাবলার কথায� সায় দিলো কারণ একদি� নাকি কম্ব� ওর কাছে এস� প্রনামের না� কর� প্যালা� দুপায়� বিছুটি পাতা ঘষ� দিয়� দৌড়� পালিয়েছে। তারপ� একঘণ্ট� ধর� প্যালা দাপিয়� মর� আর কী�
টেনিদা� টানাটানিতে অনেক ভেবে-চিন্তে চারজ� শে� পর্যন্� বদ্রীবাবু� দি গ্রে� ইন্ডিয়া� প্রিন্টি� হাউস-� ঢুকে পড়লো। প্যালা আর ক্যাবল� যেতে চায় নি অবশ্য। কী দরকা�? যাদে� বাড়ির ছেলে, তাঁদের যখ� কোনও গর� নে�, ওর� কে� খামক� না� গলাত� যায়? কিন্তু টেনিদা� দয়া� শরীর। সে হাতে হা� রেখে বস� থাকত� পারে না� কম্বলক� সে খুঁজ� বে� করবেই। তা� মূলত এই বদ্রীবাবু� প্রেসে আগমন� কারন কম্বলে� অভিভাব� এখ� ইনিই সম্পর্কে কাকা�
টেনিদা কম্বলক� খোঁজার প্রস্তাব রাখতেই বাঁধ� দিয়� বদ্রীবাবু বললে�, কিছু করতে হব� না� আম� জানি, কম্বলক� আর পাওয়া যাবে না� সে যেখানে গেছে, সেখা� থেকে আর ফিরে আসবে না�
কী সর্বনা�!–প্যাল� আঁতক� বল�, মারা গেছে নাকি?
মারা যাওয়া� পাত্� সে নয়। বদ্রীবাবু কা� থেকে একটা বিড়� নামিয়� ফস কর� সেটা ধরালেন : সে গেছে দূরে বহ� দূরে�
হাবু� বল�, কই গেছে? দিল্লি?
দিল্লি!–বদ্রীবাবু বললে�, ফুঃ।
তব� কোথায়?—টেনিদ� বল�, বিলেতে? আফ্রিকায�?
এক মু� বিড়ির ধোঁয়া ছড়িয়� বদ্রীবাবু বললে�, না, আর� দূরে� ছেলেবেলা থেকে� তাঁর সেখানে যাওয়া� শখ ছিল। সে গেছে চাঁদে।
একটা ছেলে নিখোঁজ হয়েছে তা নাকি আবার গিয়েছ� চাঁদে। এট� কীভাবে সম্ভ� বলুন তো? তব� বদ্রীবাবু� এই ধারণ� কম্বলে� নিজে� হাতে লেখা একটা চিঠি পড়ে হয়েছে� এখ� ওই চিঠি আর চা� মূর্তি মিলে কী পারব� কম্বলক� খুঁজ� বে� করতে? দেখা যা� কী হয়। ঘটনা কিন্তু আর� আছ�, শেষমেশ কম্ব� চাঁদ� গিয়েছ� নাকি পৃথিবীতে� আছ� খো� কোলকাতায�, খুঁজ� বে� করতে হব� তো�
🛍️পাঠ প্রতিক্রিয়া
টেনিদা সমগ্� আমার কাছে বরাবরই পছন্দের। বিশ্বা� করুন আম� এখনো টেনিদা� ছোটগল্� হো� কিংব� উপন্যা�, পড়ে খু� উপভো� করি। আম� টেনিদা প্রথমবার পড়েছিলা� সে� কব� যখ� আমার কাছে বই ছি� না, ইপাব ছিলো না� খু� ছো� ছো� ফন্টের পিডিএফ ফাইল ডাউনলো� শিখেছিলা� প্রথ�, তখ� খুঁজ� বে� কর� টেনিদা� টেনিদা� কার্টুনও হত� তখ� টিভিতে�
টেনিদা� প্রথ� হার্ডকপি পড়েছিলা� স্কুলে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে� বইপড়া কার্যক্রমে� বইয়ের না� ছিলো "চা� মূর্তি"� এত ভালো লেগেছি�! আচ্ছ� হাস্যর� বলতে আপনাদে� কাছে কেমন সংজ্ঞা? আমার তো সর� উপস্থাপন�, গল্পের মধ্য� ভিন্নত�, চরিত্রের বৈচিত্র্যময়তা এস� দরকা� হয়। জো� কর� মানুষক� হাসানো যায় না মশাই� রম্য রচনাকে কে� কে� ভাঁড়ামি বলেন�
কে� কে� টেনিদা� চাঁচাছোল� রিভি� দিয়েছেন তাঁদের এখ� টেনিদা মোটে� ভালো লাগে না� ছোটবেলায� পড়ল� হয়ত� ভালো লাগতো। টেনিদা� চরিত্র� যা যা দেখানো হয়েছে কে� কে� অতিরিক্ত বলেছেন� বাকি তিনজনে� সাথে নাকি টেনিদা অত্যাচার করেন� কিন্তু আম� বলবো এরকম চরিত্র আছে। বাস্তবেই আছে। এব� পাড়� গোত্রীয় বড� দাদাতুল্যদের এভাবেই তখ� লোকে সম্মান করতো, ভালোবাসত� যেটা বাকিরা করে।
আমার কাছে টেনিদা সবসময় হিট। যেকোনো সিচুয়েশনে চালিয়� নিতে পারবো। তব� আপনারা যাঁর� পশ লোকজ� টেনিদা� প্রত� বিতৃষ্ণায় আছেন তাঁর� এই রিভি� পড়ল� তেলেবেগুনে জ্বল� উঠলে কিছু করার নে� আসলে�
হাস্যরসাত্মক গল্প কিংব� রম্য রচনায় টেনিদা সমগ্� সবসময় জায়গা পাবে� আমার কাছে কম্ব� নিরুদ্দে� বইটি� তা� বে� ভালো লাগলো। নারায়� গঙ্গোপাধ্যায়ে� লেখনী ভালো লাগে বলেই ওনার বে� কিছু বই পড়া হয়েছে� হর� জনরায়� কিন্তু বে� বিখ্যা� ইনি।
যথারীতি খু� মজার� মাঝেমধ্যেই ব্যাপারস্যাপার ভীষণ মেফিস্টোফিলি� হয়ে উঠছিল। আর শেষট� তো যাকে বল� পুঁদিচ্চের�! টেনিদা কিন্তু এই গল্প� অনেক তীক্ষ্�, রীতিমত বীর। কিন্তু টেনি শর্ম� না হাসিয়� যাবে কোথায়? আর এই কম্ব� নিরী� কো� কম্ব� নয়। কম্বলচন্দ্� একটা পাজি ছেলে� না�, চাঁদ সম্পর্কে যা� বরাবরই একটা ন্যা� আছে। তা ওই ন্যাকই হো� আর ন্যাকামি� হো�, চারমূর্ত� কেঁচ� খুঁড়ত� গিয়েছিল, যা বেরিয়� এল তা হচ্ছ� Snake.
গল্প� একটি কম্বলক� কেন্দ্� কর� ঘট� যাওয়া বিভিন্� ঘটনা � চরিত্রের মাধ্যম� গঙ্গোপাধ্যায� সমাজের জটিলতা � মানবিক সম্পর্কে� গভীরত� তুলে ধরেছেন� কম্বলট� মূলত একটি দৈনন্দিন বস্ত� হলেও, এট� চরিত্রদে� জীবন� একটি বিশে� গুরুত্� ধারণ কর�, যা তাদে� মানসিক অবস্থা� এব� আত্মবিশ্লেষণের সূতিকাগা� হিসেবে কা� করে।