What do you think?
Rate this book
আর্ক�
একদল খুনি� ওদের কে� প্রথমবারের মত� খু� করতে যাচ্ছে, কে� আগ� দুর্ঘটনাবশ� খু� করেছ�, কারো আবার খু� করাটাই নেশা� ওদের সবাইকে ছেড়� দেওয়া হয়েছে মাটি� গভীরে রহস্যময় এক গোলকধাঁধায়। ওর� জানত� পারল� এখান� ওদের জন্য অপেক্ষ� করচে ভয়ংকর অপার্থিব রহস্যময় এক প্রাণী� পালাতে চাইল� ফাঁক� দেওয়া যাবে না তাকে� পথের কাঁট� সরাত� হল� আবার খু� করতে হব�, প্রাণীটাকে, এব� হয়ত মানুষকেও� শুরু হল� বেঁচ� থাকা� এক রোমহর্ষক অভিযান� বেরিয়� আসতে শুরু করলো একের পর এক রহস্যে� জাল। গোলকধাঁধার অজান� বিপদ, শিকারী প্রাণীটি� নারকীয় হত্য� আর এক� অপরে� ষঢ়যন্ত্রে টানাটা� হয়ে ওঠ� কাহিনী�
337 pages, Hardcover
First published February 14, 2015
17 people are currently reading
348 people want to read
Ratings & Reviews
Friends & Following
Create a free account to discover what your friends think of this book!
Community Reviews
Displaying 1 - 30 of 103 reviews
April 6, 2017
লেখকের দ্বিতীয় উপন্যা� অক্টারিন আগ� পড়ে ফেলেছি� তা� তিনি যে বে� পড়াশোনা কর�, গুছিয়� লেখে� সেটা জানা ছিল। আর্ক� বইটিতে� তা পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে। এই ব্যাপারট� প্রশংসনীয়�
এবার বইয়ের কথায� আসি। সোজাসুজি বল�, বইটি ওভারহাইপ� মন� হয়েছে আমার কাছে� মাথা খারা� কর� কো� টুইস্ট বা হা� পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া� মত� ভয়ে� কো� বিষয� বইয়� খুঁজ� পা� নি�
*হতাশ*
প্রথ� কয়ে� পৃষ্ঠা পড়ে এতোই হাঁপিয়ে উঠছিলা� যে পড়া বন্ধ কর� দিতে ইচ্ছ� হয়েছিলো বে� কয়েকবার� কিন্তু এত� এত� প্রশংস� দেখে মন� হল পড়ি আরেকটু, দেখি কি হয়।
পাঁচজন অন্ধ মানু�, একটি গোলকধাঁধ�, একটি ভয়ানক প্রাণী এই নিয়েই মূলত বইয়ের কাহিনী� এই পাঁচজনের মধ্য� একজন আছেন যিনি নিজে� বাকিদে� এই গোলকধাঁধায� এন� ফেলেছেন। কিন্তু সে� মানুষট� কো� জন, সেটা বাকিরা জানে না�
বইয়ের মাঝামাঝি একটি গল্প থেকে� নিশ্চি� হয়ে গিয়েছিলাম যে শুরু থেকে যাকে সন্দেহ করছিলা�, তিনি� সে� লোক। এজন্� পরবর্তীতে যখ� রহস্� উন্মোচ� হল, তখ� আর খু� একটা অবাক হইনি�
শুরু দিকে কাহিনীগুলো� বর্ণনা ঠি� খুবই ধীরে এগিয়েছে এব� শেষে� কয়ে� পৃষ্ঠায় গল্পের ইত� টানত� ঠি� বে� তাড়াহুড়া কর� হয়েছে বল� মন� হল� এই ব্যাপারট� ভালো লাগেনি�
ইউনি� কনসেপ্� ছি� সেটা ঠি�, কিন্তু কনসেপ্টে� উৎ� বে� চেনা জানা মন� হয়েছে� লেখক যদিও বইয়ের শুরুতে� সেটা উল্লেখ করেছেন! তারপরও ঘুরে ফিরে আগের পড়া বই কিংব� দেখা মুভিগুলো� কথ� মাথায় আসছিলো� এজন্� বইটি ঠিকঠাক মত� উপভোগ্� হয� নি বলবো�
যা� হো�, পড়া তো হল! �.� আমার তর� থেকে� :)
এবার বইয়ের কথায� আসি। সোজাসুজি বল�, বইটি ওভারহাইপ� মন� হয়েছে আমার কাছে� মাথা খারা� কর� কো� টুইস্ট বা হা� পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া� মত� ভয়ে� কো� বিষয� বইয়� খুঁজ� পা� নি�
*হতাশ*
প্রথ� কয়ে� পৃষ্ঠা পড়ে এতোই হাঁপিয়ে উঠছিলা� যে পড়া বন্ধ কর� দিতে ইচ্ছ� হয়েছিলো বে� কয়েকবার� কিন্তু এত� এত� প্রশংস� দেখে মন� হল পড়ি আরেকটু, দেখি কি হয়।
পাঁচজন অন্ধ মানু�, একটি গোলকধাঁধ�, একটি ভয়ানক প্রাণী এই নিয়েই মূলত বইয়ের কাহিনী� এই পাঁচজনের মধ্য� একজন আছেন যিনি নিজে� বাকিদে� এই গোলকধাঁধায� এন� ফেলেছেন। কিন্তু সে� মানুষট� কো� জন, সেটা বাকিরা জানে না�
বইয়ের মাঝামাঝি একটি গল্প থেকে� নিশ্চি� হয়ে গিয়েছিলাম যে শুরু থেকে যাকে সন্দেহ করছিলা�, তিনি� সে� লোক। এজন্� পরবর্তীতে যখ� রহস্� উন্মোচ� হল, তখ� আর খু� একটা অবাক হইনি�
শুরু দিকে কাহিনীগুলো� বর্ণনা ঠি� খুবই ধীরে এগিয়েছে এব� শেষে� কয়ে� পৃষ্ঠায় গল্পের ইত� টানত� ঠি� বে� তাড়াহুড়া কর� হয়েছে বল� মন� হল� এই ব্যাপারট� ভালো লাগেনি�
ইউনি� কনসেপ্� ছি� সেটা ঠি�, কিন্তু কনসেপ্টে� উৎ� বে� চেনা জানা মন� হয়েছে� লেখক যদিও বইয়ের শুরুতে� সেটা উল্লেখ করেছেন! তারপরও ঘুরে ফিরে আগের পড়া বই কিংব� দেখা মুভিগুলো� কথ� মাথায় আসছিলো� এজন্� বইটি ঠিকঠাক মত� উপভোগ্� হয� নি বলবো�
যা� হো�, পড়া তো হল! �.� আমার তর� থেকে� :)
February 20, 2015
একটা বইকে অসাধার� বুঝাতে কি কি বিশেষন দেওয়া যায়? !! ওক� এই বইটা� প্লট পুরা� তারছিড়া টাইপ� হর� আমার খু� প্রিয় জনের� না কারন সচার� ভয়টয় পা� না � বই পড়ে ভয� পেয়েছ� এই রক� � হয� না কিন্তু আম� যদ� আসলে� কো� কিছুতে ভয� পেতে চাইতাম তাহল� সেটা এখ� থেকে হব� আর্কন।
� জন মানুষক� অন্ধ কর� নামিয়� দেওয়া হল এক গোলকধাঁধায� যেখানে তাদে� জন্য অপেক্ষ� করছে এক নারকীয় দানব� এই ৫জনে� মধ্য� এক মি� আছ� তারা সবাই খুনি কে� ভাগ্যেরফের� খুনি কে� পেশাদা� খুনি� এই খুনি দলের কা� একটা বিশে� ছুরি দিয়� মারত� হব� ভয়াবহ এক দানবকে যেটা কিনা এই গোলক ধাধায় আটকা পড়েছে� যদ� মারত� পারে তাহল� সামান্� চোখে� বিনিময়ে বেঁচ� যাবে আর যদ� না পারে তাহল� চোখে� জন্য আফসো� করার আর কে� থাকব� না� সবচেয়� ভয়াবহ হল এই ৫জনে� ভিতর একজন জানে কি হচ্ছ� এই গোলকধাঁধা। কিন্তু তা� কাছে� সে� একটামাত্� উপায� নির্দিষ্� ছুরি খুজে বে� করতে হব� নয়ত................(বাকিটা নিজে পড়ে জেনে নে� আম� আর কিছু বলতে গেলে স্পয়লার হয়ে যাবে :( )
যারা টুইস্ট ভালবাসেন তারা হয়ত খু� বেশি ধাক্কা খাবে� না যেটা খাবে� সেটা� কম না� কিন্তু হর� আর থ্রিলারপ্রেমির� নড়েচড়ে বসতে পারে এক� সাথে ভয� পাবে� আর দৌড়াত� থাকবেন � পুরো বইটা অসাধার� এক প্লটের উপরে বে� কর� লেখা� সত্য� বলতে কি আম� মানিকেয়িজ� নামে� প্রাচী� ধর্মের উপ� তীব্� আগ্র� পাচ্ছি� � টা চরিত্রের নিজেদে� আলাদ� আলাদ� গল্প আছ� � প্রত্যেকের গল্পটা� আলাদ� � পড়া শুরু কর� দে� এন্ড দেখে� খুজে বে� করতে পারে� কিনা কে বাকি ৪জনক� অন্ধ কর� নিয়� এসেছ� এই গোলকধাঁধায� প্রাচী� রিচুয়াল এর অং� হিসাবে�
এইবা� আস� যে জিনিসট� খু� বেশি বিরক্ত করেছ� বইয়ের কিছু জায়গায় শুভ্� আর সি� এই ২ট� না� খু� দৃষ্টিকট� ভাবে উল্টাপাল্ট� হয়েছে .।যদি� বইটা এত� দূর্দন্ত গতির যে হয়ত টেরই পাবে� না� তা� নেক্সট এডিশনে আশ� কর� ব্যাপারট� ঠি� কর� হবে। আর মানিমেয়িজ� সম্পর্� � আরেকটু বিস্তারি� বললে খুবই ভা� লাগত�
� জন মানুষক� অন্ধ কর� নামিয়� দেওয়া হল এক গোলকধাঁধায� যেখানে তাদে� জন্য অপেক্ষ� করছে এক নারকীয় দানব� এই ৫জনে� মধ্য� এক মি� আছ� তারা সবাই খুনি কে� ভাগ্যেরফের� খুনি কে� পেশাদা� খুনি� এই খুনি দলের কা� একটা বিশে� ছুরি দিয়� মারত� হব� ভয়াবহ এক দানবকে যেটা কিনা এই গোলক ধাধায় আটকা পড়েছে� যদ� মারত� পারে তাহল� সামান্� চোখে� বিনিময়ে বেঁচ� যাবে আর যদ� না পারে তাহল� চোখে� জন্য আফসো� করার আর কে� থাকব� না� সবচেয়� ভয়াবহ হল এই ৫জনে� ভিতর একজন জানে কি হচ্ছ� এই গোলকধাঁধা। কিন্তু তা� কাছে� সে� একটামাত্� উপায� নির্দিষ্� ছুরি খুজে বে� করতে হব� নয়ত................(বাকিটা নিজে পড়ে জেনে নে� আম� আর কিছু বলতে গেলে স্পয়লার হয়ে যাবে :( )
যারা টুইস্ট ভালবাসেন তারা হয়ত খু� বেশি ধাক্কা খাবে� না যেটা খাবে� সেটা� কম না� কিন্তু হর� আর থ্রিলারপ্রেমির� নড়েচড়ে বসতে পারে এক� সাথে ভয� পাবে� আর দৌড়াত� থাকবেন � পুরো বইটা অসাধার� এক প্লটের উপরে বে� কর� লেখা� সত্য� বলতে কি আম� মানিকেয়িজ� নামে� প্রাচী� ধর্মের উপ� তীব্� আগ্র� পাচ্ছি� � টা চরিত্রের নিজেদে� আলাদ� আলাদ� গল্প আছ� � প্রত্যেকের গল্পটা� আলাদ� � পড়া শুরু কর� দে� এন্ড দেখে� খুজে বে� করতে পারে� কিনা কে বাকি ৪জনক� অন্ধ কর� নিয়� এসেছ� এই গোলকধাঁধায� প্রাচী� রিচুয়াল এর অং� হিসাবে�
এইবা� আস� যে জিনিসট� খু� বেশি বিরক্ত করেছ� বইয়ের কিছু জায়গায় শুভ্� আর সি� এই ২ট� না� খু� দৃষ্টিকট� ভাবে উল্টাপাল্ট� হয়েছে .।যদি� বইটা এত� দূর্দন্ত গতির যে হয়ত টেরই পাবে� না� তা� নেক্সট এডিশনে আশ� কর� ব্যাপারট� ঠি� কর� হবে। আর মানিমেয়িজ� সম্পর্� � আরেকটু বিস্তারি� বললে খুবই ভা� লাগত�
November 21, 2015
প্রথ� অনেকদূ� পড়ে আমার কাছে বইটাকে ওভাররেটে� বল� মন� হয়েছে� খু� যে টা� টা� উত্তেজনা প্রত� পাতায় পাতায় এমনট� ঠি� লাগেনি� কে� কে জানে! কয়েকজ� অন্ধ লোকক� একটা বিশা� গোলকধাঁধায� আটকে রাখা� বর্ণনা দিতে গিয়� লেখক কিছু কিছু জায়গায় কতগুলো লুপহোল তৈরি কর� ফেলেছিলেন। আমার কাছে মন� হয়েছে এই অন্ধত্বট� কে লেখক ঠিকভাব� ব্যবহা� করতে পারেননি। ঠিকভাব� ব্যবহা� করলে আর� আতংক সৃষ্টি কর� যেত। কিছুদূ� পরপর চরিত্রের না� ভু� ছাপানো আরেকটা বিরক্তিক� জিনিস। � সমস্� ব্যাপা� হল� মূ� গল্প পড়া বা� দিয়� দেখা যায় পাঠক তখ� ভু� ধরতে� বেশি ব্যস্ত হয়ে পরে। তব� বইয়ের শে� ৪০ পৃষ্ঠা যে কি ছি� রে ভা�! বা� রে বা�! মানুষজ� এত কে� পছন্� করেছ� বইটা তা এই কয়ট� পৃষ্ঠা পড়ল� বুঝা যায়� জায়গামত� টুইস্ট আর একদম ধামাকা মার্কা টুইস্ট! কি ভা� লেগেছে? হর� ফ্যান্টাসি জন্রায� বে� ভাল্ভাবে উতরাতে পেরেছে� লেখক গল্পটাকে, এই কাহিনীটা নিয়� আমাদের দেশে কে� যদ� একটা ফ্যান্টাসি টাইপ সিনেমা বানাতে চায় তব� মন্দ হয়না। আর ভা� লেগেছে একদম বইয়ের শুরুতে লেখকের অ্যাকনলেজমেন্ট! খু� সুন্দর গুছিয়� সাবলী� ভাষায় তা� কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এব� তা� লেখা� উপ� অন্যান্য বই-সিনেমা� প্রভাব স্বীকা� করাট� মূ� গল্পের চেয়েও বেশি মন ছুঁয়েছে�
বিঃদ্র� লেখক অতী� সুদর্শ�!
বিঃদ্র� লেখক অতী� সুদর্শ�!
April 28, 2020
বাপস!
সিনেমা� সে� দৃশ্যগুল� ভেবে দেখু�, যেখানে ট্রেনে� ছাদে� ওপ� মুখোমুখি হয়েছে নায়� আর খলনায়ক� আর ঠি� তখনই ট্রে� ঢুকেছে একটা টানেলে! ঘন অন্ধকা�, গুমগুম শব্দ... আর কে� জানে না ঠি� কোথায় রয়েছে দু� যুযুধান।
এবার ভাবু� একটা প্রেশা�-কুকারে� কথা� যা� মধ্য� ভর� দেওয়া হয়েছে অনেকগুলো আলাদ�-আলাদ� উপাদান� তারা অন্যের হাতে ক্রীড়নক মাত্�, বা অন্যের বিনোদনের উপাদান হিসেবে খাদ্যে� সঙ্গ� তুলনীয়� এও অন্ধকা�, এখানেও জানা নে� কো� উপাদান মিশে যাবে কা� সঙ্গে। এখানেও কে� জানে না� কে হব� জল, আর কে অনল।
অথ� তা� বাড়ছে!
আলোচ্য বইটিকে এই দু'ধরনে� পরিস্থিতির কম্বিনেশ� বল� চলে। এত� একদল খুনিকে একটা বিচিত্� চ্যালেঞ্জে� মুখোমুখি হত� হয়েছে� তা� শেষে কে টিকে থাকব�, বা আদ� কে� থাকব� কি না� এই নিয়েই আর্কন।
তানজী� রহমা� তিনট� কা� অসামান্য দক্ষতা� সঙ্গ� কর� দেখিয়েছেন� তাদে� জন্য� এই হর� নভেলটিকে স্বচ্ছন্দে পাঁচ তারা দেওয়া যায়� কাজগুল� হল:
�. গল্পের গত� শ্লথ না করেও তিনি ধাপে-ধাপে চা� বাড়িয়েছেন� চরিত্রদে� ওপ� এব� পাঠকের ওপ�! � যে কী দুঃসাধ্য কা� তা সুধীজন বুঝবেন�
�. এত� দেখানো প্রতিট� চরিত্র� আমাদের সহ� য়িন-য়াং মত� কালো� কিন্তু কালো� মধ্যেও যে কতরকমে� শে� হয�, তা স্পষ্ট হয়েছে ধীরে-ধীরে� আমরা এদের মধ্য� কারও হয়ে চেঁচাত� চেয়েছ�, আবার কারও মৃত্যুকামন� করেছি। সবচেয়� বড়ো কথ� হল, আমাদের অভিম� বদলেছে অধ্যায়ে� সঙ্গ� পাল্লা দিয়ে।
�. গ্রিসে� মিনোটর কিংবদন্তিক� যে বাংলায� আন� যায়� �-কথ� 'আর্ক�' না পড়ল� আমার বিশ্বাসই হত না�
বইটা� কি কোনো খারা� দিকই নে�? আছে। উপন্যাসে� শে� তথ� কার্�-কারণ ব্যাখ্যাটা বড়ো বেশি মা��্রায� অতিলৌকিক উপাদানের ওপ� নির্ভরশী� হয়ে গেছে� এট� আমার ভালো লাগেনি�
তব�, সব মিলিয়� আম� এই বইটিকে বাংল� ভয়ালরসে একটি দিকচিহ্ন বলেই মন� করব।
যদ� এখনও না পড়ে থাকে�, তাহল� অত� অবশ্যই বইটি পড়ত� অনুরোধ করব। তব� হাতে সময় রাখবেন, কারণ শুরু করার পর এই বই ছাড়� শুধু কঠিন নয�, অসম্ভব�
সিনেমা� সে� দৃশ্যগুল� ভেবে দেখু�, যেখানে ট্রেনে� ছাদে� ওপ� মুখোমুখি হয়েছে নায়� আর খলনায়ক� আর ঠি� তখনই ট্রে� ঢুকেছে একটা টানেলে! ঘন অন্ধকা�, গুমগুম শব্দ... আর কে� জানে না ঠি� কোথায় রয়েছে দু� যুযুধান।
এবার ভাবু� একটা প্রেশা�-কুকারে� কথা� যা� মধ্য� ভর� দেওয়া হয়েছে অনেকগুলো আলাদ�-আলাদ� উপাদান� তারা অন্যের হাতে ক্রীড়নক মাত্�, বা অন্যের বিনোদনের উপাদান হিসেবে খাদ্যে� সঙ্গ� তুলনীয়� এও অন্ধকা�, এখানেও জানা নে� কো� উপাদান মিশে যাবে কা� সঙ্গে। এখানেও কে� জানে না� কে হব� জল, আর কে অনল।
অথ� তা� বাড়ছে!
আলোচ্য বইটিকে এই দু'ধরনে� পরিস্থিতির কম্বিনেশ� বল� চলে। এত� একদল খুনিকে একটা বিচিত্� চ্যালেঞ্জে� মুখোমুখি হত� হয়েছে� তা� শেষে কে টিকে থাকব�, বা আদ� কে� থাকব� কি না� এই নিয়েই আর্কন।
তানজী� রহমা� তিনট� কা� অসামান্য দক্ষতা� সঙ্গ� কর� দেখিয়েছেন� তাদে� জন্য� এই হর� নভেলটিকে স্বচ্ছন্দে পাঁচ তারা দেওয়া যায়� কাজগুল� হল:
�. গল্পের গত� শ্লথ না করেও তিনি ধাপে-ধাপে চা� বাড়িয়েছেন� চরিত্রদে� ওপ� এব� পাঠকের ওপ�! � যে কী দুঃসাধ্য কা� তা সুধীজন বুঝবেন�
�. এত� দেখানো প্রতিট� চরিত্র� আমাদের সহ� য়িন-য়াং মত� কালো� কিন্তু কালো� মধ্যেও যে কতরকমে� শে� হয�, তা স্পষ্ট হয়েছে ধীরে-ধীরে� আমরা এদের মধ্য� কারও হয়ে চেঁচাত� চেয়েছ�, আবার কারও মৃত্যুকামন� করেছি। সবচেয়� বড়ো কথ� হল, আমাদের অভিম� বদলেছে অধ্যায়ে� সঙ্গ� পাল্লা দিয়ে।
�. গ্রিসে� মিনোটর কিংবদন্তিক� যে বাংলায� আন� যায়� �-কথ� 'আর্ক�' না পড়ল� আমার বিশ্বাসই হত না�
বইটা� কি কোনো খারা� দিকই নে�? আছে। উপন্যাসে� শে� তথ� কার্�-কারণ ব্যাখ্যাটা বড়ো বেশি মা��্রায� অতিলৌকিক উপাদানের ওপ� নির্ভরশী� হয়ে গেছে� এট� আমার ভালো লাগেনি�
তব�, সব মিলিয়� আম� এই বইটিকে বাংল� ভয়ালরসে একটি দিকচিহ্ন বলেই মন� করব।
যদ� এখনও না পড়ে থাকে�, তাহল� অত� অবশ্যই বইটি পড়ত� অনুরোধ করব। তব� হাতে সময় রাখবেন, কারণ শুরু করার পর এই বই ছাড়� শুধু কঠিন নয�, অসম্ভব�
November 13, 2015
সত্যিই অসাধারণ। দু� কথায� যদ� বলতে হয� তাহল� এটুকুই বলব। এই বছ� বইমেলাতে বে� হওয়ার পর থেকে� সবার কাছে প্রশংস� শুনে আসছিলা� বইটা�, তা� জমিয়ে রেখেছিলাম। কিছুদি� যাবত বাংল� থ্রিলা� গুলোতে � এক� রক� সাংকেতিক রহস্�, সিম্বোলিজম এই ব্যাপারট� যখ� ক্লিশে লাগত� শুরু করেছ�(যদিও বেশীরভাগ থ্রিলা� গুলো� অসাধার�) তখনই এই বইটা পড়লাম� এব� ভু� হয়ন�, প্লটটা আসলে� অন্যরকম। ইউনিক। গতানুগতি� থ্রিলা� এর থ্রি�, মিস্ট্রি, একশন সব তো আছেই� কিন্তু এস� ছাপিয়� বই এর মূ� উপাদান হর�/ভয়। অনেকদি� পর কো� বাংল� বই পড়ে এভাব� গা শিরশির কর� উঠলো�
গল্পটা দু� ভাগে বর্ণনা কর� হয়েছে, অন্ধকারে (যা ঘটছে বর্তমানে) আর আলোত�(ফ্ল্যাশব্যাক বা স্মৃতিচারণ)� গল্পের শুরুতে দেখা যায় যে পাঁচজন লোকক� অন্ধ কর� ছেড়� দেয়� হয়েছে একটা গোলকধাঁধায়। সাথে দিয়� দেয়� হয়েছে একটা টে� রেকর্ডার, যেখানে বল� আছ� যে এই গোলকধাধা থেকে একটা ছুড়� খুঁজ� বে� কর� তাদে� মুখোমুখি হত� হব� এক ভয়ংকর দানবের� মূ� প্লট এটুকুই, কিন্তু এর ভেতর� আছ� নানা সাবপ্লট। যাদে� ছেড়� দেয়� হয়েছে গোলকধাঁধার� ভেতর তাদে� কেউই নিরী� নয়। কে� খু� করেছ�, নয়ত� কে� করতে যাচ্ছে�
ঘটনা একটু পরপর� মোড় নিয়েছ� ভিন্� ভিন্� দিকে, তব� প্রতিট� মোড়ের সাথে� ভয়ে� মাত্রাটা বেড়� গিয়েছ� একটু একটু করে। আর গল্পের সাথে জড়িয়� আছ� প্রাচী� এক ধর্মের লোমহর্ষক এক রিচুয়াল� বই � ক্যারেক্টা� ডেভেলপমেন্� এর সুযো� কম� ছি�, কারণ চরিত্র গুলো দৌড়িয়ে� কূ� পাচ্ছি� না, তব� এর মাঝে� লেখক পাকা হাতে প্রতিট� চরিত্রের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন� একটা আদর্� হর� থ্রিলার। লেখককে ধন্যবা�, আর� বই এর অপেক্ষায� থাকলাম�
গল্পটা দু� ভাগে বর্ণনা কর� হয়েছে, অন্ধকারে (যা ঘটছে বর্তমানে) আর আলোত�(ফ্ল্যাশব্যাক বা স্মৃতিচারণ)� গল্পের শুরুতে দেখা যায় যে পাঁচজন লোকক� অন্ধ কর� ছেড়� দেয়� হয়েছে একটা গোলকধাঁধায়। সাথে দিয়� দেয়� হয়েছে একটা টে� রেকর্ডার, যেখানে বল� আছ� যে এই গোলকধাধা থেকে একটা ছুড়� খুঁজ� বে� কর� তাদে� মুখোমুখি হত� হব� এক ভয়ংকর দানবের� মূ� প্লট এটুকুই, কিন্তু এর ভেতর� আছ� নানা সাবপ্লট। যাদে� ছেড়� দেয়� হয়েছে গোলকধাঁধার� ভেতর তাদে� কেউই নিরী� নয়। কে� খু� করেছ�, নয়ত� কে� করতে যাচ্ছে�
ঘটনা একটু পরপর� মোড় নিয়েছ� ভিন্� ভিন্� দিকে, তব� প্রতিট� মোড়ের সাথে� ভয়ে� মাত্রাটা বেড়� গিয়েছ� একটু একটু করে। আর গল্পের সাথে জড়িয়� আছ� প্রাচী� এক ধর্মের লোমহর্ষক এক রিচুয়াল� বই � ক্যারেক্টা� ডেভেলপমেন্� এর সুযো� কম� ছি�, কারণ চরিত্র গুলো দৌড়িয়ে� কূ� পাচ্ছি� না, তব� এর মাঝে� লেখক পাকা হাতে প্রতিট� চরিত্রের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন� একটা আদর্� হর� থ্রিলার। লেখককে ধন্যবা�, আর� বই এর অপেক্ষায� থাকলাম�
February 24, 2021
পুরা তব্দ� খায়� আছি। মন� হল� জমজমাট রুদ্ধশ্বাসীয় কোনো হলিউ� সিনেমা দেখে ঊঠলাম। এটাক� জনরা দিয়� বিচা� করলে এটাক� হর� টাইপ ফ্যান্টাসি বলব। বাংলার অন্যান্য হর� কাহিনী� মত বা�-দাদা� আত্ম� দিয়� এন্টাগনিস্� তৈরি না কর� একটা আলাদ� ইউনিভার্� তৈরী করেছ�, তা� জন্য লেখককে হ্যাটস অফ� সাথে থ্রি�, সাসপেন্স, এডভেঞ্চা�, মিথোলজ�, নৃশংসত� তো আছেই� বইয়ের চরিত্রদে� মধ্য� শুভ্রক� জন, অমুককে টম ক্রু� আর তমুককে হ্যাকস হিসাবে ধর� আম� পড়ছ� (স্পয়লার এড়াতে চরিত্র গুলা� না� নিলা� না)� গল্পটা� দুটা দিক। এক. আঁধারে, দু�. আলোতে। আঁধারে� কাহিনীটা বর্তমান। পাঁচটা চরিত্র সম্পূর্ণ পাঁচধাঁচের� লেখক এই পার্টে কখনো উত্তেজিত করেছ�, কখনো ভয� পাইয়ে দিয়েছ� আবার কখনো হালক� ট্র্যাজেডি এনেছে। তব� লেখকের সব চেয়� বড� সফলত� হল� এখান� কোনো চরিত্রকে আবেগতাড়িত কর� নি� আবেগ থাকল� হয়ত ঘটনা গুলোতে এত সাসপেন্স থাকত� না� আরেক দি� হল� আলোত�, এট� হচ্ছ� অতী� কাহিনী� এখান� লেখক চরিত্রদে� পরিচয় দিয়েছে। তব� এখান� লেখায় প্রচুর জড়ত� ছিলো� অযথা� অনেক কিছু� বর্ণনা দেওয়া হয়েছে� এজন্� একতারা কাটত� চাইছিলাম� কিন্তু শে� এক-দেড়শো পৃষ্ঠা যেভাবে আমাক� টুইস্টের আগুন� বসিয়ে রাখছ�, তাতে আর তারা কাটত� মন সায় দেয় নি�
লেখকের জন্য� শুভকামনা� বাংল� হররে ওনার আরোও লেখা আশ� করি। আর বাতিঘরের প্রচ্ছদট� অমায়িক। গুডরিড� কাভা� থেকে এই পুরা� প্রচ্ছ� সরিয়ে নতুন এডিশনে� প্রচ্ছ� দেওয়া� জো� দাবি জানাচ্ছি, নয়ত সামনের সপ্তাহ� শাহবাগ মোড়� অবস্থা� নেওয়া হব� 😷
লেখকের জন্য� শুভকামনা� বাংল� হররে ওনার আরোও লেখা আশ� করি। আর বাতিঘরের প্রচ্ছদট� অমায়িক। গুডরিড� কাভা� থেকে এই পুরা� প্রচ্ছ� সরিয়ে নতুন এডিশনে� প্রচ্ছ� দেওয়া� জো� দাবি জানাচ্ছি, নয়ত সামনের সপ্তাহ� শাহবাগ মোড়� অবস্থা� নেওয়া হব� 😷
January 29, 2021
সর্বপ্রথমে বল� নেয়� দরকা� এরকম উপন্যা� লেখা� জন্য মাইন্ডটা একটু অন্যরক� হওয়� লাগে� লেখক তানজী� রহমানে� অরেকটা বই আগেই পড়েছিলাম। উনার এই জনরায় আগ্র� আগেই বুঝা যায়� আম� আমেরিকান গড� পড়া� পর� থেকে এই জনরা� সাথে পরিচিত হই� তা� পর� � লেখকের “কেটজালকোয়াটল � সৃষ্টিবিনা� রহস্য� পড়ে বুঝত� পারি বাংলাদেশেও এম� লেখা শুরু হয়েছে� আম� গল্পের ভেতরের বেশী কিছু বলতে চা� না� কারণ সামান্� হিন্টস� প্লটের মজাটাক� নষ্ট কর� ফেলত� পারে� যারা ধারণ� নিতে চা� তারা এই বইয়ের গুডরিডসে� বইয়ের বর্ণনাটা পড়ে নিতে পারেন। তব� বই সম্পর্কে এদ্দুর বল� গল্পের গত�, চরিত্রায়ন আর ছন্দ অপূর্ব হয়েছে� আর প্লটটা খু� অদ্ভুত হলেও লেখক কো� গ্রী� উপকথ� থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লিখেছে� তা নিজে� বল� দিয়েছেন� আর জ্� পল সর্ত্রের থেকে মূ� নায়কে� অনুপ্রেরণা প্রমান কর� লেখকের পড়াশুনা� ব্যপ্তি। আমার আবার লিখাপড়া বেশী জানা লোকক� ভাল্লাগে� সে জন্য� বইটা� প্রত� ভালবাস� বেড়� গেছে� যা� হো�, অনেক প্যাচা� পেড়� ফেললাম� সবাইকে বইটা পড়া� জন্য আমন্ত্রণ জানিয়� বিদায় নেই।
June 14, 2021
ওয়া�! মন� হল, একটানা নেটফ্লিক্স� একটা ধুন্ধুমা� ডিস্টোপিয়ান হর� সিরি� বিঞ্� করলাম। বা� ফা�, আমার পড়া বাতিঘরের সেরা বই� তব� বলতে হব� এটার প্লটের সাথে 'প্রেডেটর�' � 'দ্� মে� রানা�' এর কিছুটা সিমিলারিটি আছে। আর কিছু যুক্তিগত ত্রুটি� ছিল। তা� এক স্টা� কম দিলাম।
November 19, 2015
অনেকদি� ধর� পড়ব� পড়ব� কর� পড়া হচ্ছিল� না, পড়লাম, কনসেপ্টট� বে� ভা� লেগেছে, মানিকেয়িজ� নিয়� � ধরনে� একটা প্লট সত্য� প্রশংসনীয়�
July 8, 2021
শে� করলাম। অনেকদি� পর একটা বাংল� বই পরলা� যেটা একটানে শে� কর� হোল। তানজিম রহমানে� " অক্টারিন" পড়া� পর থেকে� তা� বাকি বইগুলো পড়া� অনেক ইচ্ছ� ছিল। বেশি লিখল� স্পয়লার দেওয়া হব�, শুধু এটুকুই বলবো, যারা অক্টারিন পড়ে মজ� পেয়েছেন, তাদে� বইটা ভা� লাগবে।
প্রকাশকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি - দয়া কর� "proof read" করবেন। বইয়ের ভেতর অজস্� typo, spelling error
প্রকাশকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি - দয়া কর� "proof read" করবেন। বইয়ের ভেতর অজস্� typo, spelling error
March 20, 2015
এই বছরে� বইমেলায় প্রকাশ হওয়� সবচেয়� প্রশংসিত বইগুলো� মধ্য� আর্ক� অন্যতম এব� গ্রুপে সম্ভবত এই বই নিয়� সবচেয়� বেশী রিভি� এসেছ� ।তাই এই অধমে� রভিউ এত আহামতি কিছু না পড়লেও কিছু হব� না আর না পড়লেও কিছু হব� না � কিছুটা দেরিতে হলেও শে� করলা� আর্ক� � বইটি বে� হওয়ার সাথে সাথে দারু� হাইপ তুলেছি� আর এত প্রশংসিত হয়েছি� যে আম� মোটামোটি নিশ্চি� ছিলা� এই বই আমার ভালো লাগবেই � যাইহোক কি রক� লেগেছে সেইট� কাহিনী সংক্ষেপে� পরেই আসছি
প্লট - পাঁচজন মানু� � তাদে� কারো সাথে কারো আগ� পরিচয় নে� � নে� কারো সাথে শারীরি� বা মানসিক কো� সম্পর্� � কিন্তু একটা জিনি� সবার সাথে সবার মি� আছ� তা হই� সাহস আর পেশা � এর� সবাই আন্ডারওয়াল্ডে� লো� � সবাই নি� নি� পেশায় রা� এন্ড টা� লো� � � হো আরেকটি মি� আছ� এদের সবাইকে কিডন্যাপ কর� নিয়� আসাহয়েছ� একটি অন্ধকা� গুহা� মত� জায়গায় � সবাইকে অন্ধ কর� দেওয়া হল এব� বল� দেওয়া হল এই গুহায় আছ� একটি অদ্ভুত জন্ত� � ওদেরকে কো� অস্ত্র দেওয়া হয়ন� � এই গুহা� কোথায়� আছ� একটি ��ুর� � খুঁজ� বে� করতে হব� সে� ছুরি এব� মেরে ফেলত� হব� সে� অদ্ভুত জন্তুটিক� � তবেই মিলব� মুক্তি �
বাংলায� একটা কথ� আছ� “সকালে� সূর্� দেখে বল� যায় দিনট� কেমন যাবে � কিন্তু কথাট� যে পুরোপুরি সত্য নয� সবচেয়� বড� উদাহরণ হল আর্ক� � যখ� বইটি শুরু করেছিলাম তখ� মন� হয়েছি� নিঃসন্দেহে এইবারে� বাতিঘর তো বটেই বইমেলা� অন্যতম সেরা বইটি পড়ছ� � কারন বই পড়া শুরু করতে� যেটা লক্ষ্য করেছ� সেটা হল ক্যারেক্টা� ফ্লো � এইবা� বাতিঘরের সব বইয়ের ভিতর এই প্রবলেমট� ছি� � এক একটি ক্যারেক্টা� এক এক সময় ভিন্� ভিন্� রুপে দেখা যে� � একবা� একটি ক্যারেক্টারক� দেখা গে� ভীষণ বুদ্ধিমা� আবার কিছুক্ষন পর সে� এক� ক্যারেক্টারক� এম� একটা কা� করাল� যেটা তা� সাথে যায় না � মানে সে যদ� আগের দৃশ্যে� সে� বুদ্ধিমা� লোকট� হয� তাহল� পরের দৃশ্যে� এই কাজট� সে কোনভাবেই করতে পারে না � এই কারন� অনেক গুলো ভালো ভালো বই টপ লেভেলে� অসাধার� হত� গিয়েও শুধু� অসাধার� হয়ে রইলো � কিন্তু আর্ক� বইটি এর ব্যাতিক্রম � কারণ এই একটি বইতে আম� দেখলাম ক্যারেক্টা� ফ্লো ফাস্� টু লাস্� এক� রক� ছি� � কাহিনী� শুরুতে প্রতিট� চরিত্র যে রক� ছি� একদম শে� পর্যন্� তা� কো� নড়চড় হয়ন� � এই জিনিসট� খু� ভালো লেগেছে � আরেকটি ব্যাপা� ছি� ক্যারেক্টা� বিল্ডআ� � এইরক� একটি অন্ধ মিশন� যে কাজট� অতন্� গুরুত্বপূর্ণ ছি� � কারণ এখান� কে� কাউক� আগ� থেকে চিনে না � তা� সবার ক্যারেক্টা� সঠিকভাবে তাদে� নি� নি� ওয়েতে বিল্ডআ� করতে হয়েছে � এব� এর জন্য প্রচুর সময় নিতে হয়েছে � এই জিনিসট� ভালো লাগছ� � কারণ প্রায় ৩৫� পেজে� মত একটা বইতে যদ� ১৫� পেজও ক্যারেটা� বিল্ডআপে যায় তাহল� কো� সমস্যা নে� বর� প্রতিট� চরিত্র বুঝত� সুবিধা হয� � বাকি পেজগুল� নির্দ্বিধায় মূ� ঘটনায় ব্যাবহার কর� যায় � কিন্তু মানু� ভাবে এক আর হয� আরেক � এই বই দুইট� পার্টে ভা� কর� � প্রথ� খন্ড ছি� শুধু� চরিত্র বিশ্লেষণ এব� রহস্� দ্বিতীয় খন্ড ছি� উত্ত� � বইয়ের প্রথ� খণ্ড নিয়� কো� কথাই হব� না � কারণ উপরে যা কিছু বলেছ� সব ছি� প্রথ� খণ্ড� � তা� যখ� দ্বিতীয় খন্ড শুরু করছিলা� আমার আশ� আগের থেকে আর� দ্বিগু� বেড়� গে� � কিন্তু দ্বিতীয় খন্ড শুরু করার দু� পেজে� মধ্যেই আমার বাড়� ভাতে লেখক চা� ঢেলে দি� � ব্যাপারট� অনেকটা গাধাকে মুলো� লো� দেখিয়� আগ বাড়ানোর মত � সবশেষে পাওয়া যায় কাঁচকল� � লেখকের লেখা� হা� নিয়� কো� কথ� হব� না � এই রক� দুর্দান্� আর শক্তিশালী লেখা� হা� আম� কিছুদিনে� মধ্য� দেখি না� একটা� � কিন্তু লেখক যেটা করলো বইয়ের প্রধান টুইস্ট দিয়� দি� বইয়ের মাঝখান� � দ্বিতীয় খণ্ড শুরু হয়ই টুইস্ট দিয়� � একটি বই এখনো অর্ধেক পড়া বাকি আর আপনি এখ� জেনে গিয়েছেন তারপ� কি হব� � এখ� আর বইটি পড়া� যে কথ� না পড়া� এক� কথ� � শুধু� প্রায় ১৫� পে� পড়ত� হব� কাহিনী জানা সত্ত্বেও � তাহল� আর থ্রিলা� বলার দরকা� কি ছি� � ড্রামা বললে� তো হয� � এই কথ� বলার অপেক্ষ� রাখে না যে লেখক ইচ্ছ� করলে� পারত� � কারণ যে এত শক্তিশালী একটা লিখা লিখত� পারে সে সামান্� টুইস্ট জায়গা মত দিয়� পারব� না এট� বিশ্বা� হয� না � শুধু যদ� লেখক মেইন ঘটনা� পর ২১�-২৫� পেজে� ঘটনাটা দি� তাহল� নিঃসন্দেহে আর্ক� হত এই বছরে� সেরা একটা বই (আমার মত� ) �
বাকি খারা� লাগা নিচে স্পয়লার হিসেবে আছ� নি� দায়িত্ব� পড়ু� �
* স্পয়লার
আরেকটি বিষয� হল যে� জন্তুটিক� মারা� জন্য এত আয়োজন এত কিছু ঘট� গে� তা� উপস্থিতি মাত্� শেষে� দু� পাতা � জন্তুটাক� আর� আগ� এন� বে� কিছুক্ষণ লুকোচুরি করলে ভালো হত � যে পাঁচজন কে চু� কর� হল তাদে� সবার লাস্� সিনটাও পছন্� হয� না� � এইভাবে না দিয়� একটু অন্য রক� কর� দিলে� পারত� � তাহল� বে� উপভোগ্� হত � জন্ত� মারত� এস� নিজেরা নিজেরা মারামারি কর� মরবে এট� একজনের ক্ষেত্রে মানা গেলে� সবার জন্য� এই পদ্ধতি এক� সময়� ইউ� কর� পছন্� হয� না� � শুভ্� কে সবার শেষে মারল� ভালো হত � কাহিনী জমতো � শুভ্� মরার সাথে সাথে� কাহিনী� সব ইন্টারেস্ট শে� হয়ে গে� আমার �
*
এই ছোটখাট� বিষয� যদ� খেয়াল রাখত� তাহল� আর্ক� নিয়� আম� এতক্ষণ উচ্ছসি� প্রশংস� করতা� � অনেকেই বলতে পারে�- ভা� তুমি কেডা � তুমি প্রশংস� করলে� কি না করলে� কি � তুমি লেখকের ভু� ধরার কে � আমাদের ভালো লাগছ� পছন্� হইছে এই হল কথ� � কথ� ঠি� আম� কিছু� না � একজন ক্ষুদ্� পাঠক � নিজে� ভালো লাগা মন্দ লাগা শেয়ার করলা�, এই আরকি �
প্লট - পাঁচজন মানু� � তাদে� কারো সাথে কারো আগ� পরিচয় নে� � নে� কারো সাথে শারীরি� বা মানসিক কো� সম্পর্� � কিন্তু একটা জিনি� সবার সাথে সবার মি� আছ� তা হই� সাহস আর পেশা � এর� সবাই আন্ডারওয়াল্ডে� লো� � সবাই নি� নি� পেশায় রা� এন্ড টা� লো� � � হো আরেকটি মি� আছ� এদের সবাইকে কিডন্যাপ কর� নিয়� আসাহয়েছ� একটি অন্ধকা� গুহা� মত� জায়গায় � সবাইকে অন্ধ কর� দেওয়া হল এব� বল� দেওয়া হল এই গুহায় আছ� একটি অদ্ভুত জন্ত� � ওদেরকে কো� অস্ত্র দেওয়া হয়ন� � এই গুহা� কোথায়� আছ� একটি ��ুর� � খুঁজ� বে� করতে হব� সে� ছুরি এব� মেরে ফেলত� হব� সে� অদ্ভুত জন্তুটিক� � তবেই মিলব� মুক্তি �
বাংলায� একটা কথ� আছ� “সকালে� সূর্� দেখে বল� যায় দিনট� কেমন যাবে � কিন্তু কথাট� যে পুরোপুরি সত্য নয� সবচেয়� বড� উদাহরণ হল আর্ক� � যখ� বইটি শুরু করেছিলাম তখ� মন� হয়েছি� নিঃসন্দেহে এইবারে� বাতিঘর তো বটেই বইমেলা� অন্যতম সেরা বইটি পড়ছ� � কারন বই পড়া শুরু করতে� যেটা লক্ষ্য করেছ� সেটা হল ক্যারেক্টা� ফ্লো � এইবা� বাতিঘরের সব বইয়ের ভিতর এই প্রবলেমট� ছি� � এক একটি ক্যারেক্টা� এক এক সময় ভিন্� ভিন্� রুপে দেখা যে� � একবা� একটি ক্যারেক্টারক� দেখা গে� ভীষণ বুদ্ধিমা� আবার কিছুক্ষন পর সে� এক� ক্যারেক্টারক� এম� একটা কা� করাল� যেটা তা� সাথে যায় না � মানে সে যদ� আগের দৃশ্যে� সে� বুদ্ধিমা� লোকট� হয� তাহল� পরের দৃশ্যে� এই কাজট� সে কোনভাবেই করতে পারে না � এই কারন� অনেক গুলো ভালো ভালো বই টপ লেভেলে� অসাধার� হত� গিয়েও শুধু� অসাধার� হয়ে রইলো � কিন্তু আর্ক� বইটি এর ব্যাতিক্রম � কারণ এই একটি বইতে আম� দেখলাম ক্যারেক্টা� ফ্লো ফাস্� টু লাস্� এক� রক� ছি� � কাহিনী� শুরুতে প্রতিট� চরিত্র যে রক� ছি� একদম শে� পর্যন্� তা� কো� নড়চড় হয়ন� � এই জিনিসট� খু� ভালো লেগেছে � আরেকটি ব্যাপা� ছি� ক্যারেক্টা� বিল্ডআ� � এইরক� একটি অন্ধ মিশন� যে কাজট� অতন্� গুরুত্বপূর্ণ ছি� � কারণ এখান� কে� কাউক� আগ� থেকে চিনে না � তা� সবার ক্যারেক্টা� সঠিকভাবে তাদে� নি� নি� ওয়েতে বিল্ডআ� করতে হয়েছে � এব� এর জন্য প্রচুর সময় নিতে হয়েছে � এই জিনিসট� ভালো লাগছ� � কারণ প্রায় ৩৫� পেজে� মত একটা বইতে যদ� ১৫� পেজও ক্যারেটা� বিল্ডআপে যায় তাহল� কো� সমস্যা নে� বর� প্রতিট� চরিত্র বুঝত� সুবিধা হয� � বাকি পেজগুল� নির্দ্বিধায় মূ� ঘটনায় ব্যাবহার কর� যায় � কিন্তু মানু� ভাবে এক আর হয� আরেক � এই বই দুইট� পার্টে ভা� কর� � প্রথ� খন্ড ছি� শুধু� চরিত্র বিশ্লেষণ এব� রহস্� দ্বিতীয় খন্ড ছি� উত্ত� � বইয়ের প্রথ� খণ্ড নিয়� কো� কথাই হব� না � কারণ উপরে যা কিছু বলেছ� সব ছি� প্রথ� খণ্ড� � তা� যখ� দ্বিতীয় খন্ড শুরু করছিলা� আমার আশ� আগের থেকে আর� দ্বিগু� বেড়� গে� � কিন্তু দ্বিতীয় খন্ড শুরু করার দু� পেজে� মধ্যেই আমার বাড়� ভাতে লেখক চা� ঢেলে দি� � ব্যাপারট� অনেকটা গাধাকে মুলো� লো� দেখিয়� আগ বাড়ানোর মত � সবশেষে পাওয়া যায় কাঁচকল� � লেখকের লেখা� হা� নিয়� কো� কথ� হব� না � এই রক� দুর্দান্� আর শক্তিশালী লেখা� হা� আম� কিছুদিনে� মধ্য� দেখি না� একটা� � কিন্তু লেখক যেটা করলো বইয়ের প্রধান টুইস্ট দিয়� দি� বইয়ের মাঝখান� � দ্বিতীয় খণ্ড শুরু হয়ই টুইস্ট দিয়� � একটি বই এখনো অর্ধেক পড়া বাকি আর আপনি এখ� জেনে গিয়েছেন তারপ� কি হব� � এখ� আর বইটি পড়া� যে কথ� না পড়া� এক� কথ� � শুধু� প্রায় ১৫� পে� পড়ত� হব� কাহিনী জানা সত্ত্বেও � তাহল� আর থ্রিলা� বলার দরকা� কি ছি� � ড্রামা বললে� তো হয� � এই কথ� বলার অপেক্ষ� রাখে না যে লেখক ইচ্ছ� করলে� পারত� � কারণ যে এত শক্তিশালী একটা লিখা লিখত� পারে সে সামান্� টুইস্ট জায়গা মত দিয়� পারব� না এট� বিশ্বা� হয� না � শুধু যদ� লেখক মেইন ঘটনা� পর ২১�-২৫� পেজে� ঘটনাটা দি� তাহল� নিঃসন্দেহে আর্ক� হত এই বছরে� সেরা একটা বই (আমার মত� ) �
বাকি খারা� লাগা নিচে স্পয়লার হিসেবে আছ� নি� দায়িত্ব� পড়ু� �
* স্পয়লার
আরেকটি বিষয� হল যে� জন্তুটিক� মারা� জন্য এত আয়োজন এত কিছু ঘট� গে� তা� উপস্থিতি মাত্� শেষে� দু� পাতা � জন্তুটাক� আর� আগ� এন� বে� কিছুক্ষণ লুকোচুরি করলে ভালো হত � যে পাঁচজন কে চু� কর� হল তাদে� সবার লাস্� সিনটাও পছন্� হয� না� � এইভাবে না দিয়� একটু অন্য রক� কর� দিলে� পারত� � তাহল� বে� উপভোগ্� হত � জন্ত� মারত� এস� নিজেরা নিজেরা মারামারি কর� মরবে এট� একজনের ক্ষেত্রে মানা গেলে� সবার জন্য� এই পদ্ধতি এক� সময়� ইউ� কর� পছন্� হয� না� � শুভ্� কে সবার শেষে মারল� ভালো হত � কাহিনী জমতো � শুভ্� মরার সাথে সাথে� কাহিনী� সব ইন্টারেস্ট শে� হয়ে গে� আমার �
*
এই ছোটখাট� বিষয� যদ� খেয়াল রাখত� তাহল� আর্ক� নিয়� আম� এতক্ষণ উচ্ছসি� প্রশংস� করতা� � অনেকেই বলতে পারে�- ভা� তুমি কেডা � তুমি প্রশংস� করলে� কি না করলে� কি � তুমি লেখকের ভু� ধরার কে � আমাদের ভালো লাগছ� পছন্� হইছে এই হল কথ� � কথ� ঠি� আম� কিছু� না � একজন ক্ষুদ্� পাঠক � নিজে� ভালো লাগা মন্দ লাগা শেয়ার করলা�, এই আরকি �
August 28, 2018
অসাধারন। কি নে� গল্পটিতে� হর�,থ্রিলা�, ক্রাইম, মিথলজি, কাল্�,লাভক্রাফটিয়ান স্টাইল� বইটা নিয়� অনেকের� মিক্সড রিএকশা� আছে। তব� আমার কাছে ইম্পসিবল টু পু� ডাউন মন� হয়েছে� সব কিছু� একটা দুর্দান্� মিশেল। গল্পের মাঝখান� আর শেষে� দুটো টুইস্ট আর� উপভোগ্� কর� তুলেছে� ক্যারেক্টারগুলোর বিল্ডআপও নিখুঁত� প্রধান চরিত্রটি অসাধার� বীরত্বের পরিচয় দিয়েছ� শুরু থেকে শে� পর্যন্ত। যাদে� কাল্�, মিথলজি, হর� এই সব শেষে থ্রি� পছন্� বইটা তাদে� জন্যেই�
March 3, 2015
আম� বিশ্বা� কর�, প্রতিট� গল্প এক একটি অভিযানের মত�, যেখানে প্রত্যেকটি চরিত্রের গুরুত্� থাকা আবশ্যক, প্রত্যেকের অতী� জানা প্রয়োজন� কিংব� গড়ে ওঠ� সমাজের কাঠামো, ঘটনা� প্রেক্ষাপট হত� হব� সুবর্ণিত কিন্তু প্রাঞ্জল, যা পড়ে একঘেয়েম� আসবে না� আর্ক� গল্পটি এক কথায� সফ� এই দিকগুল� বিবেচনায়।
গল্প যেখা� থেকে শুরু হব�, যে� স্কে� থেকে শুরু হব� সে� স্কেলে শে� হবেনা। অধিকাং� চরিত্র� শুরুতে যেরক� মন� হব�, শেষে গিয়� তা� থেকে ভিন্নত� পাবে� যদ� এক দুইট� চরিত্র সম্পর্কে আমার ধারণ� শুরু থেকে শে� পর্যন্� মিলে গেছে, তবুও তাতে গল্প� আনন্দলাভ� বিশে� কোনও ক্ষত� হয়নি।
কাহিনী কোথায় যাবে সেটা বুঝত� গল্পের অর্ধেকের বেশি পড়ত� হয়েছে� এব� কিভাবে যাবে সেটা বুঝত� বুঝত� আর� অনেকটা� যেতে হয়েছে�
লেখক ভূমিকাতে� বলেছেন কিছু কিছু বই থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গল্পের সূত্রপাত করেছেন তিনি� এব� সে� ছা� স্পষ্ট, ভূমিকাতে� সেসব বইয়ের না� পাবেন। আম� অবশ্� আর� দু� একটি বই পড়েছি যা আংশি� এর সাথে মেলে, যেমন House of Stairs� কিংব� মুভি, The Cube, অথবা, টেলিভিশন সিরি� - LOST. কিন্তু তা� কোনটার সমাপ্তিই এর ধারে কাছে যায়নি� এব� গল্পটি ভালো লেগেছে সে� জন্য আর� বেশি�
বিভিন্� বিষয়ে লেখকের রিসার্� খু� সুন্দরভাবে গল্প� যুক্� করেছেন তিনি, যা পড়ে কখনও বিরক্ত� আসেন�, বর� নতুন তথ্য জেনে উপকৃ� হয়েছে এমনট� মন� হয়েছে� হয়ত� পরবর্তীতে এই তথ্য আমার নিজেরও কাজে আসবে লেখালেখি� সময়! এভাবেই তো জ্ঞা� সমৃদ্ধ করতে হয� তাইন�? :)
আর লেখা� ধর� সত্যিই দারুণ। এক ষ্টে� থেকে অন্য ষ্টেজে ট্রানজিশ� একদম মসৃণ হয়েছে� এক এক জনের অতী� প্রাসঙ্গিক মন� হয়েছে� তব� গল্পের একটি চরিত্রের অতীতে আর� কিছুটা তথ্য প্রাথমিকভাবে সংযুক্� কর� ব্যাপারট� আর� ঘোলাটে কর� যেত। :P হাহাহা� তব� সেটা কোনও বড� ব্যাপা� না�
গল্পের সমাপ্তিও দারু� হয়েছে, যদিও একশনগুলো কিছুটা অবাস্ত�, তব� অযৌক্তিক নয়। লেখক মোটামুটি সব কিছু� পেছনেই লজিক দেখিয়েছেন, এব� পাঠক হিসাবে সেসব মেনে নিতে আমার বিন্দুমাত্� আপত্তি হয়নি। কেবল খাদে� মধ্য� ২০ ফি� উপ� থেকে লা� মারাটা একটু কেমন যে� ছিল। ২০ ফি� নেহা� কম উচ্চতা নয�!! খা� তো না থাকলেও চলতো! এম� কোনও সমস্যা হতোন� তাতে� পাঁচ অন্ধ বেচারা� জন্য কষ্ট� পেয়েছ� কয়েকবার� পাগল হয়ে যাবা� জন্য ওটুকুই যথেষ্ট�
দারু� এক রোমাঞ্চক� উপন্যা�, আর্কন। সুলিখি� এব� অবশ্যপাঠ্য� :)
গল্প যেখা� থেকে শুরু হব�, যে� স্কে� থেকে শুরু হব� সে� স্কেলে শে� হবেনা। অধিকাং� চরিত্র� শুরুতে যেরক� মন� হব�, শেষে গিয়� তা� থেকে ভিন্নত� পাবে� যদ� এক দুইট� চরিত্র সম্পর্কে আমার ধারণ� শুরু থেকে শে� পর্যন্� মিলে গেছে, তবুও তাতে গল্প� আনন্দলাভ� বিশে� কোনও ক্ষত� হয়নি।
কাহিনী কোথায় যাবে সেটা বুঝত� গল্পের অর্ধেকের বেশি পড়ত� হয়েছে� এব� কিভাবে যাবে সেটা বুঝত� বুঝত� আর� অনেকটা� যেতে হয়েছে�
লেখক ভূমিকাতে� বলেছেন কিছু কিছু বই থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গল্পের সূত্রপাত করেছেন তিনি� এব� সে� ছা� স্পষ্ট, ভূমিকাতে� সেসব বইয়ের না� পাবেন। আম� অবশ্� আর� দু� একটি বই পড়েছি যা আংশি� এর সাথে মেলে, যেমন House of Stairs� কিংব� মুভি, The Cube, অথবা, টেলিভিশন সিরি� - LOST. কিন্তু তা� কোনটার সমাপ্তিই এর ধারে কাছে যায়নি� এব� গল্পটি ভালো লেগেছে সে� জন্য আর� বেশি�
বিভিন্� বিষয়ে লেখকের রিসার্� খু� সুন্দরভাবে গল্প� যুক্� করেছেন তিনি, যা পড়ে কখনও বিরক্ত� আসেন�, বর� নতুন তথ্য জেনে উপকৃ� হয়েছে এমনট� মন� হয়েছে� হয়ত� পরবর্তীতে এই তথ্য আমার নিজেরও কাজে আসবে লেখালেখি� সময়! এভাবেই তো জ্ঞা� সমৃদ্ধ করতে হয� তাইন�? :)
আর লেখা� ধর� সত্যিই দারুণ। এক ষ্টে� থেকে অন্য ষ্টেজে ট্রানজিশ� একদম মসৃণ হয়েছে� এক এক জনের অতী� প্রাসঙ্গিক মন� হয়েছে� তব� গল্পের একটি চরিত্রের অতীতে আর� কিছুটা তথ্য প্রাথমিকভাবে সংযুক্� কর� ব্যাপারট� আর� ঘোলাটে কর� যেত। :P হাহাহা� তব� সেটা কোনও বড� ব্যাপা� না�
গল্পের সমাপ্তিও দারু� হয়েছে, যদিও একশনগুলো কিছুটা অবাস্ত�, তব� অযৌক্তিক নয়। লেখক মোটামুটি সব কিছু� পেছনেই লজিক দেখিয়েছেন, এব� পাঠক হিসাবে সেসব মেনে নিতে আমার বিন্দুমাত্� আপত্তি হয়নি। কেবল খাদে� মধ্য� ২০ ফি� উপ� থেকে লা� মারাটা একটু কেমন যে� ছিল। ২০ ফি� নেহা� কম উচ্চতা নয�!! খা� তো না থাকলেও চলতো! এম� কোনও সমস্যা হতোন� তাতে� পাঁচ অন্ধ বেচারা� জন্য কষ্ট� পেয়েছ� কয়েকবার� পাগল হয়ে যাবা� জন্য ওটুকুই যথেষ্ট�
দারু� এক রোমাঞ্চক� উপন্যা�, আর্কন। সুলিখি� এব� অবশ্যপাঠ্য� :)
January 3, 2021
বইটি আমার কাছে প্রচুর ধীরগতি� মন� হয়েছে ফলস্বরূপ একবা� পড়া� বা� দিতে চেয়েছিলাম।যার কারণ� আম� হতাশ� কিন্তু ভা� ভা� রিভিউয়ে� কারণ� পড়ে যেতে হয়েছে� বইয়ের প্রায় পুরো অং� ধীরলয়ের হলেও শেষে� ৪০/৪৫ পাতা ঝড়ে� গতিত� শে� হয়েছে� মানে শুরু� দিকে বৃষ্টি বাদলার অভাব আর শেষে ঘূর্ণিঝড�!
কাহিনী সত্যিই ইউনি� আর প্রশংসনীয়� অপহর� কর� ৫জ� লোকে� চো� তুলে নিয়� চোখে� পাপড়ি সেলা� কর� হয়েছে বীভৎসত� এড়ানো� জন্য� আর এই ৫জ� অন্ধ ব্যক্তিদের� ফেলে আস� হয়েছে এক গোলকধাধা� ভেতর� যাতে তারা এক ভয়ানক প্রাণীকে হত্য� করতে পারে� এই ৫জনে� কেউই কাউক� চেনে না সবচেয়� থ্রিলি� ব্যাপা� হচ্ছ� এখান� � ব্যক্তিটিও আছেন স্বয়ং যিনি� এই অপহরণে� আর চো� তুলে নেয়ার পেছন� আছেন� এই যে নতুন নতুন অন্ধলোকর� মোটামুটি দারু� ভাবে ভূ- গর্ভস্� গোলকধাঁধায� চলাচ� করতেছে কিংব� পাহাড় বেয়� নিচে নেমে যাচ্ছে! ব্যাপারট� কেমন কেমন লাগল�!
চো� তুলে নেয়� লোকট� কি আদ� সুস্�? কে� লোকট� নিজে� আর বাকি চারজনে� সাথে এম� বীভৎ� আচরণ করলে�!! এগুল� জানত� হল� বইটি পড়ত� হবে�
কাহিনী সত্যিই ইউনি� আর প্রশংসনীয়� অপহর� কর� ৫জ� লোকে� চো� তুলে নিয়� চোখে� পাপড়ি সেলা� কর� হয়েছে বীভৎসত� এড়ানো� জন্য� আর এই ৫জ� অন্ধ ব্যক্তিদের� ফেলে আস� হয়েছে এক গোলকধাধা� ভেতর� যাতে তারা এক ভয়ানক প্রাণীকে হত্য� করতে পারে� এই ৫জনে� কেউই কাউক� চেনে না সবচেয়� থ্রিলি� ব্যাপা� হচ্ছ� এখান� � ব্যক্তিটিও আছেন স্বয়ং যিনি� এই অপহরণে� আর চো� তুলে নেয়ার পেছন� আছেন� এই যে নতুন নতুন অন্ধলোকর� মোটামুটি দারু� ভাবে ভূ- গর্ভস্� গোলকধাঁধায� চলাচ� করতেছে কিংব� পাহাড় বেয়� নিচে নেমে যাচ্ছে! ব্যাপারট� কেমন কেমন লাগল�!
চো� তুলে নেয়� লোকট� কি আদ� সুস্�? কে� লোকট� নিজে� আর বাকি চারজনে� সাথে এম� বীভৎ� আচরণ করলে�!! এগুল� জানত� হল� বইটি পড়ত� হবে�
July 16, 2018
�.� তারা� লেখকের আরেকটা বই অক্টারিন এর রিভি� লিখত� গিয়� অনেকেই এই বইটা� কথ� লিখেছে�! অক্টারিন পড়া� পর আর গুডরিড� � এত ভালো রিভি� দেখা� পর বইটা পড়া� ইচ্ছ� প্রব� হয�! পড়ে� ফেললাম� অসাধার� একটা থ্রিলা�! একেবারেই নতুন আর উপভোগ্�! সময়টা কাজে লাগল�... :)
June 13, 2021
একদল খুনী� ওদের কে� নতুন খু� করেছ�, কে� দুর্ঘটনাবশ� খু� করেছ�, কারও আবার খু� করাটাই পেশা� ওদের সবাইকে ছেরে দেয়� হয়েছে মাটি� গভীরে এক রহস্যময় গোলকধাঁধায়। ওর� জানত� পারল এখান� ওদের জন্য অপেক্ষ� করছে ভয়ংকর, অপার্থিব এক প্রানী� প্রানীটা এত� ভয়ংকর যে কে� দেখল� সে হয়ে যায় বদ্ধ উন্মাদ� তা� তাদে� চো� উপরে ফেলা হয� যাতে প্রানীটাকে দেখে উন্মাদ হয়ে না যায়� পালাতে চাইল� যে করেই হো� সে� প্রানীটাকে মারত� হব� তাদের। শুরু হল� বেঁচ� থাকা� এক রোমহর্ষক অভিযান� বেরিয়� আসতে শুরু করলো একের পর এক রহস্যে� জাল। গোলক ধাঁধার অজান� বিপদ, শিকারি প্রানী� নারকীয় থাবা আর একের পর এক ষড়যন্ত্� থেকে কে� কি পারব� রেরিয়� আসতে�
September 17, 2022
তানজী� রহমানে� লেখা� স্টাইল টা অনেক ভা� লাগে� মিথলজি ইতিহাসের মিক্সচার� লেখাগুলো পড়ত� বড্ড আরাম�
গল্পের কাহিনী গোলকধাঁধায� বন্দ� একদল অন্ধ অপরাধীদে� দিয়� শুরু হলেও আস্ত� আস্ত� সবার জীবনের কাহিনী ফুটে এসেছে।
টুইস্ট গুলো ভালই ছিল। শুরু থেকে কাহিনী নিয়� ধোঁয়াশা তে থাকায় টুইস্ট গুলা জমেছ� বেশি�
লেখকের প্রথ� লেখা হিসাবে লেখায় কিছুটা জড়ত� থাকলেও গল্পের প্লট আমার দূর্দান্� লেগেছে� তানজী� রহমানে� নিরীক্ষাধর্মী লেখা সামন� আরোও আসুক�
গল্পের কাহিনী গোলকধাঁধায� বন্দ� একদল অন্ধ অপরাধীদে� দিয়� শুরু হলেও আস্ত� আস্ত� সবার জীবনের কাহিনী ফুটে এসেছে।
টুইস্ট গুলো ভালই ছিল। শুরু থেকে কাহিনী নিয়� ধোঁয়াশা তে থাকায় টুইস্ট গুলা জমেছ� বেশি�
লেখকের প্রথ� লেখা হিসাবে লেখায় কিছুটা জড়ত� থাকলেও গল্পের প্লট আমার দূর্দান্� লেগেছে� তানজী� রহমানে� নিরীক্ষাধর্মী লেখা সামন� আরোও আসুক�
January 19, 2022
#Book_Mortem 34
#আর্ক�
লেখক� তানজী� রহমা�
প্রচ্ছদঃ ডিলা�
প্রকাশনী� বাতিঘর
মূদ্রি� মূল্যঃ ২৬� টাকা
#কাহিনী_সংক্ষেপঃ � জন খারা� মানুষক� অন্ধ কর� ছেড়� দেয়� হল� একটি গোলকধাঁধায়। যেখানে রয়েছে অন্ধকা� জগতে� ভয়ংকর এক প্রানী যাকে মারত� হল� লাগব� নির্দিষ্� একটি ছুড়ি। আর সে� ছুড়িটাও আছ� এই গোলকধাঁধার� কোনো এক জায়গায়� এই অন্ধ � জন মানুষে� গোলকধাঁধ� থেকে মুক্তি পাওয়া� একটা� উপায� আর তা হল� খুঁজ� বে� কর� ছুড়� আর মেরে ফেলো সে� অন্ধকারে� প্রানী কে� কাজট� কি এতোটাই সহ�??
#পর্যালোচনা� বে� অদ্ভুত একটা বই পড়ে শে� করলাম। এর আগ� এম� কোনো ধরণে� বই পড়া� অভিজ্ঞতা আমার ছিলো না� বইটাকে একাধার� মিথোলজিক্যাল হর� থ্রিলা� জনরাতে ফেলা যায়� সত্য� বলতে গতানুগতি� থ্রিলারে� বাইরের এই বইটি পড়ে আম� বে� অভিভূত হয়েছি� লেখকের প্রথ� উপন্যা� হিসাবে চমৎকার লেখনী� বইয়ের একদম শে� পর্যন্� টানা ধর� রাখত� পেরেছে� তিনি আমাকে। শুরুটা ভয়া� একটা অং� দিয়� হলেও এক� এক� উন্মোচ� করেছেন গল্পের প্রতিট� চরিত্র এব� তাদে� ব্যাকগ্রাউন্ড। কে এই মানুষগুলাক� অন্ধ কর� এখান� এন� ফেলল� সে� প্রশ্নটা� জবাব সহজে� অনুমান কর� গেলে�, কেনো এন� ফেলল� এই প্রশ্নের জবাবটা বে� ইউনি� ছিলো� মাথা ঘুরিয়� দেবা� মত� টুইস্ট না থাকলেও, যে ছোটো ছোটো চমকগুল� ছিলো বইয়� তা বে� ভালো লেগেছে� বিশে� কর� শুভ্রর "জায়গাটায়" বে� ভালো ধাক্কা খেয়েছি। শুভ্রক� মূখ্� চরিত্র হিসাবে রেখে এগিয়ে যাওয়া গল্পটায়, বইয়ের অর্ধেকেই এম� একটা ব্যাপা� ঘট� যাবে তা ভাবত� পারিনি� হর� হিসাবে শুরু হয়ে, রহস্যময়তা আর থ্রি� ধর� এগিয়েছে কাহিনী� মাঝে এস� প্রাচী� মানিকিয়েজ� ধর্মের অবতারণ� কর� সেটা� সাথে এক চিমট� মিথোলজ� মিশিয়� চমৎকার উপভোগ্� একটা বই লিখেছে� তানজী� রহমান। মৌলি� উপন্যা� হিসাবে এট� আমার মত� একটা #মাস্টরিড বই�
কিছু ছোটোখাটো আক্ষেপ যে ছিলো না বইটা নিয়� তা নয়। বিশে� কর� শে� ফাইটিং দৃশ্যট� আর� একটু বিশদ এব� পরিপক্ক্� হত� পারতো। আর একজন সুস্� মানুষে� অন্ধ হয়ে যাওয়া� যে স্ট্রাগল কিংব� অম� একটা জায়গায় অন্ধ হয়ে তাদে� যতোট� বাঁধার সম্মুখী� হওয়ার কথ�, সেটা ততটা ভয়ানকভাবে লেখক ফুটিয়� তুলত� পারেননি। তব� � সব� ছোটোখাটো বিষয়। এইগুলা বা� দিয়েই বলবো বে� উপভোগ্� বই এটি।
#চরিত্রায়ন� দেশীয় কোনো লেখকের এত� সুন্দর চরিত্রায়ন আমাক� বে� অবাক করেছে। গল্পের গত� ধর� রেখে কারেক্টা� বিল্ডআ� কর� বে� মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন লেখক� শুভ্�, বশী�, পিন্টু, শীতল এব� সি� মূ� এই ৫ট� চরিত্রের প্রত্যেকের ব্যাকগ্রাউন্� কাহিনী বে� সুন্দর আর ইউনি� ছিলো� আবার বর্তমানে� গোলকধাঁধাতেও তাদে� যা� যা� পেশা অনুসারের অবস্থানটুকুও বে� সুন্দরভাবে ফুটিয়েছেন লেখক� শুভ্� এর আর্ম� ট্রেনি�, বশীরে� ধর্মভীরুতা, পিন্টু� মাদকাসক্তি, শীতলের খুনে মনোভাব আর সিডে� বই পড়ে পাওয়া অগাধ জ্ঞ্যা�, সব� পারফেক্টলি ব্লেন্� করেছেন লেখক� এর মাঝে সিদরাতের বাবা� চরিত্রটুকু� ভালো ছিলো� উচ্চাকাঙ্ক্ষ� মানুষক� কোথায় নিয়� যায় তা� বাস্তব উদাহরণ ছিলে� উনি।
তব� এখানেও আক্ষেপ হল� বশী� চরিত্রটা� পরবর্তীতে তা� যে পরিচয় বইয়� উত্থাপ� কর� হয� বাকী পুরো বইয়� তাকে সে� অনুসার� কিছু� করতে দেখা যায় না� এট� শুধু চরিত্রায়নের নয�, গোটা বইয়ের� সবচেয়� বড� দূর্বলতা মন� হয়েছে আমার কাছে�
#প্রোডাকশনঃ ২০১৫ সালে� বাতিঘরের প্রোডাকশনক� ভালো কিংব� চালিয়� যাওয়া� মতোও বল� সম্ভ� না� এক বাইন্ডিং� ছাড়� বাকী কিছু� ভালো লাগেনি� প্রচ্ছ� যেমন তেমন, অজস্� বানা� ভু�, বইয়ের মাঝে থেকে এস� বারবার সি� আর শুভ্� এর না� কে গুলিয়� ফেলা, সবকিছু� বে� বিরক্তির উদ্রেক করেছে। তব� আমার কাছে বইটি সম্ভবত প্রথ� সংস্করণে�, হয়ত� নতুন সংস্করণে এস� কিছু ঠি� কর� হয়ে থাকত� পারে!!
#রেটিংঃ �/১০ (সুন্দর সাবলী� লেখনী, ইউনি� প্লট, দূর্দান্� কারেক্টারাইজেশ�, আর গতিময় থ্রিল। হয়ত� আক্ষেপের জায়গাগুলো না থাকল� পারফেক্ট বই� হত� এট� আমার জন্য)
#পরিশিষ্ট� অনুবাদ� তানজী� রহমা� যতোট� ভালো, লেখক তানজী� রহমানও ততটা� ভালো� এই বিষয়ট� আমাদের দেশে� সক� লেখক/অনুবাদকে� ক্ষেত্রে বল� যায় না� তানজী� রহমা� সে� জায়গায় একটা আলাদ� মুগ্ধতার নাম। লেখকের বাকী বইগুলো অচিরেই কালেক্� কর� নেয়ার আশায� রইলাম।
#আর্ক�
লেখক� তানজী� রহমা�
প্রচ্ছদঃ ডিলা�
প্রকাশনী� বাতিঘর
মূদ্রি� মূল্যঃ ২৬� টাকা
#কাহিনী_সংক্ষেপঃ � জন খারা� মানুষক� অন্ধ কর� ছেড়� দেয়� হল� একটি গোলকধাঁধায়। যেখানে রয়েছে অন্ধকা� জগতে� ভয়ংকর এক প্রানী যাকে মারত� হল� লাগব� নির্দিষ্� একটি ছুড়ি। আর সে� ছুড়িটাও আছ� এই গোলকধাঁধার� কোনো এক জায়গায়� এই অন্ধ � জন মানুষে� গোলকধাঁধ� থেকে মুক্তি পাওয়া� একটা� উপায� আর তা হল� খুঁজ� বে� কর� ছুড়� আর মেরে ফেলো সে� অন্ধকারে� প্রানী কে� কাজট� কি এতোটাই সহ�??
#পর্যালোচনা� বে� অদ্ভুত একটা বই পড়ে শে� করলাম। এর আগ� এম� কোনো ধরণে� বই পড়া� অভিজ্ঞতা আমার ছিলো না� বইটাকে একাধার� মিথোলজিক্যাল হর� থ্রিলা� জনরাতে ফেলা যায়� সত্য� বলতে গতানুগতি� থ্রিলারে� বাইরের এই বইটি পড়ে আম� বে� অভিভূত হয়েছি� লেখকের প্রথ� উপন্যা� হিসাবে চমৎকার লেখনী� বইয়ের একদম শে� পর্যন্� টানা ধর� রাখত� পেরেছে� তিনি আমাকে। শুরুটা ভয়া� একটা অং� দিয়� হলেও এক� এক� উন্মোচ� করেছেন গল্পের প্রতিট� চরিত্র এব� তাদে� ব্যাকগ্রাউন্ড। কে এই মানুষগুলাক� অন্ধ কর� এখান� এন� ফেলল� সে� প্রশ্নটা� জবাব সহজে� অনুমান কর� গেলে�, কেনো এন� ফেলল� এই প্রশ্নের জবাবটা বে� ইউনি� ছিলো� মাথা ঘুরিয়� দেবা� মত� টুইস্ট না থাকলেও, যে ছোটো ছোটো চমকগুল� ছিলো বইয়� তা বে� ভালো লেগেছে� বিশে� কর� শুভ্রর "জায়গাটায়" বে� ভালো ধাক্কা খেয়েছি। শুভ্রক� মূখ্� চরিত্র হিসাবে রেখে এগিয়ে যাওয়া গল্পটায়, বইয়ের অর্ধেকেই এম� একটা ব্যাপা� ঘট� যাবে তা ভাবত� পারিনি� হর� হিসাবে শুরু হয়ে, রহস্যময়তা আর থ্রি� ধর� এগিয়েছে কাহিনী� মাঝে এস� প্রাচী� মানিকিয়েজ� ধর্মের অবতারণ� কর� সেটা� সাথে এক চিমট� মিথোলজ� মিশিয়� চমৎকার উপভোগ্� একটা বই লিখেছে� তানজী� রহমান। মৌলি� উপন্যা� হিসাবে এট� আমার মত� একটা #মাস্টরিড বই�
কিছু ছোটোখাটো আক্ষেপ যে ছিলো না বইটা নিয়� তা নয়। বিশে� কর� শে� ফাইটিং দৃশ্যট� আর� একটু বিশদ এব� পরিপক্ক্� হত� পারতো। আর একজন সুস্� মানুষে� অন্ধ হয়ে যাওয়া� যে স্ট্রাগল কিংব� অম� একটা জায়গায় অন্ধ হয়ে তাদে� যতোট� বাঁধার সম্মুখী� হওয়ার কথ�, সেটা ততটা ভয়ানকভাবে লেখক ফুটিয়� তুলত� পারেননি। তব� � সব� ছোটোখাটো বিষয়। এইগুলা বা� দিয়েই বলবো বে� উপভোগ্� বই এটি।
#চরিত্রায়ন� দেশীয় কোনো লেখকের এত� সুন্দর চরিত্রায়ন আমাক� বে� অবাক করেছে। গল্পের গত� ধর� রেখে কারেক্টা� বিল্ডআ� কর� বে� মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন লেখক� শুভ্�, বশী�, পিন্টু, শীতল এব� সি� মূ� এই ৫ট� চরিত্রের প্রত্যেকের ব্যাকগ্রাউন্� কাহিনী বে� সুন্দর আর ইউনি� ছিলো� আবার বর্তমানে� গোলকধাঁধাতেও তাদে� যা� যা� পেশা অনুসারের অবস্থানটুকুও বে� সুন্দরভাবে ফুটিয়েছেন লেখক� শুভ্� এর আর্ম� ট্রেনি�, বশীরে� ধর্মভীরুতা, পিন্টু� মাদকাসক্তি, শীতলের খুনে মনোভাব আর সিডে� বই পড়ে পাওয়া অগাধ জ্ঞ্যা�, সব� পারফেক্টলি ব্লেন্� করেছেন লেখক� এর মাঝে সিদরাতের বাবা� চরিত্রটুকু� ভালো ছিলো� উচ্চাকাঙ্ক্ষ� মানুষক� কোথায় নিয়� যায় তা� বাস্তব উদাহরণ ছিলে� উনি।
তব� এখানেও আক্ষেপ হল� বশী� চরিত্রটা� পরবর্তীতে তা� যে পরিচয় বইয়� উত্থাপ� কর� হয� বাকী পুরো বইয়� তাকে সে� অনুসার� কিছু� করতে দেখা যায় না� এট� শুধু চরিত্রায়নের নয�, গোটা বইয়ের� সবচেয়� বড� দূর্বলতা মন� হয়েছে আমার কাছে�
#প্রোডাকশনঃ ২০১৫ সালে� বাতিঘরের প্রোডাকশনক� ভালো কিংব� চালিয়� যাওয়া� মতোও বল� সম্ভ� না� এক বাইন্ডিং� ছাড়� বাকী কিছু� ভালো লাগেনি� প্রচ্ছ� যেমন তেমন, অজস্� বানা� ভু�, বইয়ের মাঝে থেকে এস� বারবার সি� আর শুভ্� এর না� কে গুলিয়� ফেলা, সবকিছু� বে� বিরক্তির উদ্রেক করেছে। তব� আমার কাছে বইটি সম্ভবত প্রথ� সংস্করণে�, হয়ত� নতুন সংস্করণে এস� কিছু ঠি� কর� হয়ে থাকত� পারে!!
#রেটিংঃ �/১০ (সুন্দর সাবলী� লেখনী, ইউনি� প্লট, দূর্দান্� কারেক্টারাইজেশ�, আর গতিময় থ্রিল। হয়ত� আক্ষেপের জায়গাগুলো না থাকল� পারফেক্ট বই� হত� এট� আমার জন্য)
#পরিশিষ্ট� অনুবাদ� তানজী� রহমা� যতোট� ভালো, লেখক তানজী� রহমানও ততটা� ভালো� এই বিষয়ট� আমাদের দেশে� সক� লেখক/অনুবাদকে� ক্ষেত্রে বল� যায় না� তানজী� রহমা� সে� জায়গায় একটা আলাদ� মুগ্ধতার নাম। লেখকের বাকী বইগুলো অচিরেই কালেক্� কর� নেয়ার আশায� রইলাম।
May 22, 2020
� জন খুনি কে একটি ভূ- গর্ভস্� গোলকধাঁধায� ছেড়� দেওয়া হয়। তাদে� কাছে দেওয়া হয� এক লিটা� পানি এব� একটি টে� রেকর্ডার যেখানে নির্দেশন� দেওয়া থাকে একটি বিশে� ছুড়� খুজে বে� করতে হব� এব� এই ছুড়� দিয়� একটি ভয়ংকর প্রাণীকে মারত� হব�! কিন্তু এর পূর্বে� অপারেশনে� মাধ্যম� তাদে� চো� খুলে নেয়� হয�!! এই অন্ধ অবস্থায় তারা কি পারব� এই প্রাণীটিকে মারত�? প্রাণীটিকে মারা� পূর্বে� তাদে� আর� অনেক কিছু� মোকাবিলা করতে হয�! তারা কি পারব� শে� পর্যন্� জীবি� অবস্থায় বে� হত�?
পা� প্রতিক্রিয়া:
বইটা শুরু� দিকে খু� একটা ভালো লাগছিল� না! তব� শে� ১০� পে� মারাত্মক রকমে� ভালো লেগেছে! লেখক বইটাতে "আলোত�" "অন্ধকারে " দুটো পার্� রেখে বে� ভালোভাবে� চরিত্র ডেভেলপ করতে পেরেছেন। তব� কিছু জিনিসক� একটু অতিরঞ্জন মন� হয়েছে� কয়েকট� চরিত্রকে বারবার আঘাত পাওয়া� পর� এমনভাব� ছুটত� দেখা গেছে যেটা বাস্তব� সম্ভ� না! এস� জায়গায় বাংল� সিনেমা� ফ্লেভা� ছিলো :3 আবার কিছুটা অতিপ্রাকৃত বিষয� বেশি হয়ে গিয়েছ� মন� হচ্ছিল�! তব� সব মিলিয়� বে� ভালই বলতে হব�!
পা� প্রতিক্রিয়া:
বইটা শুরু� দিকে খু� একটা ভালো লাগছিল� না! তব� শে� ১০� পে� মারাত্মক রকমে� ভালো লেগেছে! লেখক বইটাতে "আলোত�" "অন্ধকারে " দুটো পার্� রেখে বে� ভালোভাবে� চরিত্র ডেভেলপ করতে পেরেছেন। তব� কিছু জিনিসক� একটু অতিরঞ্জন মন� হয়েছে� কয়েকট� চরিত্রকে বারবার আঘাত পাওয়া� পর� এমনভাব� ছুটত� দেখা গেছে যেটা বাস্তব� সম্ভ� না! এস� জায়গায় বাংল� সিনেমা� ফ্লেভা� ছিলো :3 আবার কিছুটা অতিপ্রাকৃত বিষয� বেশি হয়ে গিয়েছ� মন� হচ্ছিল�! তব� সব মিলিয়� বে� ভালই বলতে হব�!
March 8, 2020
হলিউ� মুভি� স্বা� পেয়েছ� � তব� উপন্যা� টা খু� গুছিয়� লেখা হয়েছে �
November 3, 2021
জীবন যতোই ছো� হো� না হে প্রিয়
একটি বছ� ধর� তোমায় আম� ভুলিতে (পড়িতে!)পেরেছি এই থেকে আছ� কি কিছু শ্রেয়?😪😴
রেটি�:⭐🌟�
০৩/১১/২১
একটি বছ� ধর� তোমায় আম� ভুলিতে (পড়িতে!)পেরেছি এই থেকে আছ� কি কিছু শ্রেয়?😪😴
রেটি�:⭐🌟�
০৩/১১/২১
May 9, 2022
�.� তারা�
অজান� বিপদের আতঙ্কে ঘেরা রহস্যময়ী অন্ধকা� গোলকধাঁধায� শ্বাসরুদ্ধকর যাত্রা আর্কন।জনরা� কথ� বলতে হল� আমার মন� হয়েছে আর্কনক� ফ্যান্টাসি থ্রিলা� বলাই শ্রেয়� লাভক্রাফটিয়ান থ্রিলারও হয়ত� বল� যায় যেহেতু ‘দ্য� ফিয়ার অফ আননোউন� ছি� বইজুড়েই আর সেটাপটাও সেরক� ছি�(এই ধারা নিয়� খুবই স্বল্প জ্ঞা� রাখি তা� ঠি� বলতে পারছ� না)�
আর্ক� অতী� � বর্তমা� দু� টাইমলাইন� খুবই মসৃণভাবে এগিয়েছে� অতীতে� টাইমলাইন আলোত� আর বর্তমানে� টাইমলাইন অন্ধকারে� কাহিনী� শুরুতে� অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, শুভ্রক� রহস্যময়ী অন্ধকা� গোলকধাঁধায� আঁটক� থাকত� দেখি আমরা।কীভাবে � কে� সে এখান� এসছে তা সে জানে না, আমরা� জানি না� অজান� বিপদের আতঙ্কট� শুভ্রর পাশাপাশি আমার মধ্যেও তখনই জেঁক� বসতে শুরু করে। শুরুতে� হুকড যাকে বলে। পরবর্তীতে লেখক প্লট বিল্ডা� করতে বে� ভালো সময় নিলে� গল্প ধীরলয়� এগিয়েছে বল� যাবে না� টেনেছেন।সময় নিয়� বিল্ডা� করাট� বে� গুরুত্বপূর্ণ ছি� এব� তা পড়তেও ভালো লাগছিল� একটা সুন্দর গতিত� লেখক গল্পটা বল� গেছে� এব� যখ� দরকা� পেইস পি� আপ করেছেন � যখ� দরকা� লাগা� মাঝে একের পর এক একশন � চেইস সিকুয়েন্সের কারণ� বইয়ের পাতা থেকে থেকে চো� সরান� দায় ছিল। সাসপেন্স বিল্ডিংয়ে লেখক অসাধার� কা� করেছেন� এক� এক� চরিত্রগুলো দৃশ্যপটে পর্দাপ� করেছ� এব� অজান� বিপদের আতঙ্� , সাসপেন্স , থ্রি�, সব পাল্লা দিয়� বেড়েছে। গল্প� প্রতিট� এলিমেন্টের পরিমাণ একদম পরিমিত মন� হয়েছে�
পূর্বে তানজী� রহমানে� দুটো ছো� গল্প পড়েছিলা� এব� দুটো� ‘চলে� টাইপ লেগেছিলো� তব� প্রথমবারের মত� লেখকের বই পড়া� অভিজ্ঞতাটা বে� সুখকর। যতক্ষণ পড়েছি রুদ্ধশ্বাস কাহিনী আর মসৃণ স্টোরিটেলিংয়ে� গোলকধাঁধায� আবদ্� ছিলাম। প্রথ� বই হলেও তানজী� রহমানে� লেখায় অপরিপক্বতা� ছা� ছি� না� হ্যা�,একদম শুরু� দিকে কিছুটা আড়ষ্টতা ছিল। তব� সেটা সামান্� এব� কেটে যেতে� সময় নেয়নি� যেমনটা বললা� স্টোরিটেলি� দারু� মসৃণ � প্রাঞ্জল� পড়ত� কোথা� আঁটক� যেতে হয� না, তরতর কর� পাতা উলটে যাচ্ছিলাম। সংলা�, হেভি ডিটেইলিং , সব� দারু� ছিলো�
খু� সহজে� প্রতিট� দৃশ্যই কল্পনা কর� যাচ্ছিল। কিন্তু কিছু কিছু একশন সিকুয়েন্স� যেরক� পটেনশিয়াল ছি� সে� লেভেলে� এক্সিকিউশন না পাওয়া খানিকট� হতাশ করেছে। যে� ব্যাপারট� ভালো রকমে� হতাশাজনক ছি� তা হল� চরিত্রগুলো যে অন্ধ এট� মাঝেমধ্য� বেমালু� ভুলে� বসছিলা�! হু� কর� অন্ধ হয়ে যাওয়া পাঁচজন লোকক� একের পর এক একশন � চেইস সিকুয়েন্স� ফেলানো হচ্ছ� এব� সেখানে তাদে� অন্ধত্বক� বিশে� কো� বাঁধ� বলেই মনেই হচ্ছিল না! যেরক� আব� � পরিবেশ লেখক তৈরি করেছিলেন কাহিনী� বর্তমা� (অন্ধকা�) অংশে সেখানে অন্ধত্বটাক� আরেকটু গুরুত্� দিলে সিকুয়েন্সগুলো নিঃসন্দেহে আর� লোমহর্ষক হত� এব� চরিত্রদে� সাথে সাথে পাঠকের মনেও আতঙ্� বাড়তে থাকতো। এই ব্যাপারট� বা� দিলে লেখক যেরক� আব� সৃষ্টি করেছেন এব� পাঠককে অন্ধকা� জগতে� সাথে যেভাবে পরিচয় করিয়েছে� তা প্রশংশনীয়� প্রাচী� বিলুপ্তপ্রায� ধর্মের মিথে� সাথে পুরো গল্পটাকে যেভাবে কানেক্� কর� হয়েছে এব� বিভিন্� রিচুয়াল , দে� দেবী � মিথে� ব্লেন্ডি� কর� হয়েছে তা এক কথায� চমৎকার� আর্ক� একটা দুর্দান্� ক্রিয়েশ� বলতে� হবে।
চরিত্রায়ণ এই বইয়ের অন্যতম শক্তিশালী দিক। যেভাবে লেখক প্রতিট� চরিত্রকে দৃশ্যপটে এনেছেন এব� সঠিক সময়� অতীতে� টাইমলাইন� শিফট কর� তাদে� ব্যাকগ্রাউন্� তুলে ধরেছেন তা অসাধারণ। চরিত্রগুলো� মাধ্যম� আস� টুইস্ট গুলো অনুমান কর� তেমন কঠিন হব� না� কিন্তু তা� বলতে হয� বে� বুদ্ধিদীপ্তভাব� সেগুলো এক্সিকিউ� করেছেন লেখক এব� টুইস্টগুলো যথেষ্ট ভালো� দু� একটা চরিত্রের অতী� অংশে� কিছু বর্ণনা বাহুল্� মন� হত� পারে যেহেতু সেগুলো� গল্প� তেমন ইম্প্যাক্ট নেই। সত্য� বলতে, আমার সে� বর্ণনাগুলো� খারা� লাগেনি� চরিত্রগুলোকে বেশি বেশি জানত� ভালো� লাগছিল� চরিত্রের মাধ্যম� লেখক কিছু ফিলোসফ� তুলে ধরতে চেয়েছেন বল� মন� হয়েছে যা একটু সময় নিয়� ভাবল� বলতে� হয�- তানজিম রহমা� ইজ � জিনিয়াস� এরকম বই নিয়� আলোচনা, আড্ড� করার মজাই আলাদা।
আর্কনে� সমাপ্তিটাও আমার কাছে ভালো লেগেছে� শে� ৬০ পৃষ্ঠা এগিয়ে গেছে দূর্বা� গতিতে। তা�, আশ� করেছিলাম ক্লাইম্যাক্স আরেকটু জমজমাট হবে। আর সত্য� বলতে আম� সমাপ্তিট� অন্যভাবে হব� ভেবেছিলাম।তব� যেভাবে� যা হয়েছে তা সন্তোষজন� ছিল।
আম� বইটা� দ্বিতীয় মুদ্রণ পড়েছি� বাতিঘরের বই হিসেবে বাঁধাই ইম্রেসিভ ছি�, মেলে পড়ত� সমস্যা হয়নি।মুদ্রণ প্রমাদ� বাতিঘরের বই হিসেবে কম� ছি�, পড়ত� সমস্যা হয়নি। তব� চরিত্রদে� না� দ্বিতীয় মুদ্রণ� এসেও এতবা� অদ� বদ� হয়ে যাওয়াটা, তা� গুরুত্বপূর্ণ অংশে এস�, বিরক্তিকরই।ওয়াসিফ নূরে� কর� প্রচ্ছদট� বে� রিফ্রেশিং। বিশে� কর� ব্যা� কভারটা দারু� লেগেছে।কিন্ত� বইয়ের ভেতর� প্রথ� মুদ্রণের প্রচ্ছদকারের না� রেখে দেওয়াটা দৃষ্টিকট� �
সর্বোপরি, আর্ক� আমার কাছে দারু� লেগেছে� বই পড়া� সময়টা অনেক বেশি উপভো� করেছি। রেটি� দিতে হল�, � � �.� দিতে একবারে� বেশি ভাবত� হব� না� ফ্যান্টাসি, হর� � থ্রিলা� প্রেমীদে� জন্য হাইল� রেকমেন্ডেড� এরকম দারু� মৌলি� ফ্যান্টাসি থ্রিলা� আসলে সবাইকে� চেখে দেখত� বলবো� হ্যাপি রিডিং।
অজান� বিপদের আতঙ্কে ঘেরা রহস্যময়ী অন্ধকা� গোলকধাঁধায� শ্বাসরুদ্ধকর যাত্রা আর্কন।জনরা� কথ� বলতে হল� আমার মন� হয়েছে আর্কনক� ফ্যান্টাসি থ্রিলা� বলাই শ্রেয়� লাভক্রাফটিয়ান থ্রিলারও হয়ত� বল� যায় যেহেতু ‘দ্য� ফিয়ার অফ আননোউন� ছি� বইজুড়েই আর সেটাপটাও সেরক� ছি�(এই ধারা নিয়� খুবই স্বল্প জ্ঞা� রাখি তা� ঠি� বলতে পারছ� না)�
আর্ক� অতী� � বর্তমা� দু� টাইমলাইন� খুবই মসৃণভাবে এগিয়েছে� অতীতে� টাইমলাইন আলোত� আর বর্তমানে� টাইমলাইন অন্ধকারে� কাহিনী� শুরুতে� অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, শুভ্রক� রহস্যময়ী অন্ধকা� গোলকধাঁধায� আঁটক� থাকত� দেখি আমরা।কীভাবে � কে� সে এখান� এসছে তা সে জানে না, আমরা� জানি না� অজান� বিপদের আতঙ্কট� শুভ্রর পাশাপাশি আমার মধ্যেও তখনই জেঁক� বসতে শুরু করে। শুরুতে� হুকড যাকে বলে। পরবর্তীতে লেখক প্লট বিল্ডা� করতে বে� ভালো সময় নিলে� গল্প ধীরলয়� এগিয়েছে বল� যাবে না� টেনেছেন।সময় নিয়� বিল্ডা� করাট� বে� গুরুত্বপূর্ণ ছি� এব� তা পড়তেও ভালো লাগছিল� একটা সুন্দর গতিত� লেখক গল্পটা বল� গেছে� এব� যখ� দরকা� পেইস পি� আপ করেছেন � যখ� দরকা� লাগা� মাঝে একের পর এক একশন � চেইস সিকুয়েন্সের কারণ� বইয়ের পাতা থেকে থেকে চো� সরান� দায় ছিল। সাসপেন্স বিল্ডিংয়ে লেখক অসাধার� কা� করেছেন� এক� এক� চরিত্রগুলো দৃশ্যপটে পর্দাপ� করেছ� এব� অজান� বিপদের আতঙ্� , সাসপেন্স , থ্রি�, সব পাল্লা দিয়� বেড়েছে। গল্প� প্রতিট� এলিমেন্টের পরিমাণ একদম পরিমিত মন� হয়েছে�
পূর্বে তানজী� রহমানে� দুটো ছো� গল্প পড়েছিলা� এব� দুটো� ‘চলে� টাইপ লেগেছিলো� তব� প্রথমবারের মত� লেখকের বই পড়া� অভিজ্ঞতাটা বে� সুখকর। যতক্ষণ পড়েছি রুদ্ধশ্বাস কাহিনী আর মসৃণ স্টোরিটেলিংয়ে� গোলকধাঁধায� আবদ্� ছিলাম। প্রথ� বই হলেও তানজী� রহমানে� লেখায় অপরিপক্বতা� ছা� ছি� না� হ্যা�,একদম শুরু� দিকে কিছুটা আড়ষ্টতা ছিল। তব� সেটা সামান্� এব� কেটে যেতে� সময় নেয়নি� যেমনটা বললা� স্টোরিটেলি� দারু� মসৃণ � প্রাঞ্জল� পড়ত� কোথা� আঁটক� যেতে হয� না, তরতর কর� পাতা উলটে যাচ্ছিলাম। সংলা�, হেভি ডিটেইলিং , সব� দারু� ছিলো�
খু� সহজে� প্রতিট� দৃশ্যই কল্পনা কর� যাচ্ছিল। কিন্তু কিছু কিছু একশন সিকুয়েন্স� যেরক� পটেনশিয়াল ছি� সে� লেভেলে� এক্সিকিউশন না পাওয়া খানিকট� হতাশ করেছে। যে� ব্যাপারট� ভালো রকমে� হতাশাজনক ছি� তা হল� চরিত্রগুলো যে অন্ধ এট� মাঝেমধ্য� বেমালু� ভুলে� বসছিলা�! হু� কর� অন্ধ হয়ে যাওয়া পাঁচজন লোকক� একের পর এক একশন � চেইস সিকুয়েন্স� ফেলানো হচ্ছ� এব� সেখানে তাদে� অন্ধত্বক� বিশে� কো� বাঁধ� বলেই মনেই হচ্ছিল না! যেরক� আব� � পরিবেশ লেখক তৈরি করেছিলেন কাহিনী� বর্তমা� (অন্ধকা�) অংশে সেখানে অন্ধত্বটাক� আরেকটু গুরুত্� দিলে সিকুয়েন্সগুলো নিঃসন্দেহে আর� লোমহর্ষক হত� এব� চরিত্রদে� সাথে সাথে পাঠকের মনেও আতঙ্� বাড়তে থাকতো। এই ব্যাপারট� বা� দিলে লেখক যেরক� আব� সৃষ্টি করেছেন এব� পাঠককে অন্ধকা� জগতে� সাথে যেভাবে পরিচয় করিয়েছে� তা প্রশংশনীয়� প্রাচী� বিলুপ্তপ্রায� ধর্মের মিথে� সাথে পুরো গল্পটাকে যেভাবে কানেক্� কর� হয়েছে এব� বিভিন্� রিচুয়াল , দে� দেবী � মিথে� ব্লেন্ডি� কর� হয়েছে তা এক কথায� চমৎকার� আর্ক� একটা দুর্দান্� ক্রিয়েশ� বলতে� হবে।
চরিত্রায়ণ এই বইয়ের অন্যতম শক্তিশালী দিক। যেভাবে লেখক প্রতিট� চরিত্রকে দৃশ্যপটে এনেছেন এব� সঠিক সময়� অতীতে� টাইমলাইন� শিফট কর� তাদে� ব্যাকগ্রাউন্� তুলে ধরেছেন তা অসাধারণ। চরিত্রগুলো� মাধ্যম� আস� টুইস্ট গুলো অনুমান কর� তেমন কঠিন হব� না� কিন্তু তা� বলতে হয� বে� বুদ্ধিদীপ্তভাব� সেগুলো এক্সিকিউ� করেছেন লেখক এব� টুইস্টগুলো যথেষ্ট ভালো� দু� একটা চরিত্রের অতী� অংশে� কিছু বর্ণনা বাহুল্� মন� হত� পারে যেহেতু সেগুলো� গল্প� তেমন ইম্প্যাক্ট নেই। সত্য� বলতে, আমার সে� বর্ণনাগুলো� খারা� লাগেনি� চরিত্রগুলোকে বেশি বেশি জানত� ভালো� লাগছিল� চরিত্রের মাধ্যম� লেখক কিছু ফিলোসফ� তুলে ধরতে চেয়েছেন বল� মন� হয়েছে যা একটু সময় নিয়� ভাবল� বলতে� হয�- তানজিম রহমা� ইজ � জিনিয়াস� এরকম বই নিয়� আলোচনা, আড্ড� করার মজাই আলাদা।
আর্কনে� সমাপ্তিটাও আমার কাছে ভালো লেগেছে� শে� ৬০ পৃষ্ঠা এগিয়ে গেছে দূর্বা� গতিতে। তা�, আশ� করেছিলাম ক্লাইম্যাক্স আরেকটু জমজমাট হবে। আর সত্য� বলতে আম� সমাপ্তিট� অন্যভাবে হব� ভেবেছিলাম।তব� যেভাবে� যা হয়েছে তা সন্তোষজন� ছিল।
আম� বইটা� দ্বিতীয় মুদ্রণ পড়েছি� বাতিঘরের বই হিসেবে বাঁধাই ইম্রেসিভ ছি�, মেলে পড়ত� সমস্যা হয়নি।মুদ্রণ প্রমাদ� বাতিঘরের বই হিসেবে কম� ছি�, পড়ত� সমস্যা হয়নি। তব� চরিত্রদে� না� দ্বিতীয় মুদ্রণ� এসেও এতবা� অদ� বদ� হয়ে যাওয়াটা, তা� গুরুত্বপূর্ণ অংশে এস�, বিরক্তিকরই।ওয়াসিফ নূরে� কর� প্রচ্ছদট� বে� রিফ্রেশিং। বিশে� কর� ব্যা� কভারটা দারু� লেগেছে।কিন্ত� বইয়ের ভেতর� প্রথ� মুদ্রণের প্রচ্ছদকারের না� রেখে দেওয়াটা দৃষ্টিকট� �
সর্বোপরি, আর্ক� আমার কাছে দারু� লেগেছে� বই পড়া� সময়টা অনেক বেশি উপভো� করেছি। রেটি� দিতে হল�, � � �.� দিতে একবারে� বেশি ভাবত� হব� না� ফ্যান্টাসি, হর� � থ্রিলা� প্রেমীদে� জন্য হাইল� রেকমেন্ডেড� এরকম দারু� মৌলি� ফ্যান্টাসি থ্রিলা� আসলে সবাইকে� চেখে দেখত� বলবো� হ্যাপি রিডিং।
May 19, 2015
অসাধার� একটা হর� থ্রিলার।একেবার� ইউনি� একটা প্লট।লেখকে� প্রথ� বই বোঝা অসম্ভব।লেখ� পাকা লেখকের মত� দারু� সাবলী� সেইসাথ� অসাধার� একজন স্টোরিটেলার।বাতিঘরের এবার বইমেলায় সেরা বই সম্ভবত এটাই�
November 1, 2022
অনেক কষ্ট� শে� করতে হয়েছে� তেমন কিছু� পেলা� না গল্পটাতে যেটা আমাক� আটকে রাখব� শে� অবধি� তব� হ্যা�, চরিত্র উপস্থাপন ভালো লাগলেও কেমন জানি অনেক কষ্ট� অনেক সময় লাগিয়� শে� করতে হলো। চরিত্র সাজানো অনুযায়ী শেষট� আর� ভালো কিছু আশ� করেছিলাম� কিন্তু পাইন� তেমন কিছুই। যাইহোক, কনসেপ্টট� ভালো� তা� � স্টা� দেয়া।
May 7, 2017
এই উপন্যাসট� পড়েছিলা� আজ থেকে আর� দু� মা� আগে। তখ� থেকে� রিভি� দিতে চাচ্ছিলাম। দেবো-দেবো কর� আর দেয়াই হয়ে উঠেনি। যদিও আগের বইমেলা গিয়� পরের বইমেলা চল� এসেছ�, এরপরেও ভাবলাম, প্রে� করার যেমন কোনো বয়স নে�, বু� রিভি� দেয়ার� তেমন কোনো নির্দিষ্� সময় নেই। তা� লিখে� ফেললাম�
গল্পের শুরুতে� চম�, কারণ গল্পটা শুরু হয়েছে ইন মিডিয়াস রেইস নামক লিটারারি ডিভাইস এর মাধ্যমে—কাহিনী� একদম মাঝখান থেকে� এব� শুধু মাঝখান থেকে� নয�, রীতিমত ন্যারেটি� হু� এর মাধ্যম� শুরু হয়েছে সবকিছু� প্রথ� লাইনটা� যদ� এম� হয�, ‘নিরেট গাঢ় অন্ধকারে ডুবে আছ� সবকিছু�, তাহল� পাঠক আকৃষ্ট না হয়ে উপায� আছ�? হু� দিয়� যেভাবে কোনো কিছুকে আঁটক� রাখা হয�, ঠি� সেভাবে� এই প্রথ� লাইনটি পাঠককে ইন্দ্রজালে বেঁধ� ফেলব� একদম বইয়ের শুরুতেই।
কাহিনী� গোড়াত� প্রটাগনিস্� শুভ্� নিজেকে পরিত্যক্� অবস্থায় আবিস্কার কর� এক টানেলে, এব� সবচেয়� ভয়ংকর কথ� হচ্ছ�, তা� দু� চোখই কে� একজন সেলা� কর� জোড়� দিয়� রেখেছে! ওর খু� কা� থেকে একটি টে� রেকর্ডার � ভেসে আসছে অপরিচি� কারো কণ্ঠস্বর, ‘তোমার চো� সরিয়ে নেয়� হয়েছে, কারণ প্রাণীটা এত ভয়ংকর যে তুমি ওটাক� দেখল� ভয়ে পাগল হয়ে যাবে...�
কণ্ঠস্বরটা তাকে এও বল� যে এই গুহা� কোথা� একটা ছোরা আছে। ওর অবজেক্টি� সিম্পল, ছুরিটা নেয়�, আর সে� অপার্থিব জন্তুটাক� হত্য� করা।
এতটা� সিম্পল? ইজিয়া� সেইড দ্যন ডান।
এরপরেই শুরু হয� ফ্ল্যা� ব্যাক। কাহিনী সোজা পেছন দিকে দৌড়ান� শুরু করে। উন্মোচিত হত� থাকে পূর্বে� কাহিনী� এরপর আবার ফ্ল্যা� ফরোয়ার্� কর� গল্পটি বর্তমা� সময়� ব্যা� করে। পুরো গল্পের একটা বিশা� অং� জুড়� এই ফ্ল্যা� ব্যা� এব� ফ্ল্যা� ফরোয়ার্� খেলা চলতে থাকে� যখনই কোনো এক অং� ক্লাইমেক্স এর চুড়ান্ত যায়গায় থাকে, ঠি� তখনি, লেখক পাঠককে নিয়� যা� অন্য কোনো সময়ে।
একের পর এক শ্বাসরুদ্ধকর ব্যাপা� ঘটতে থাকে টানেলে� ভেতর� খু� শিঘ্রই শুভ্� জানত� পারে যে সে এখান� এক� নয�, আর� চারজ� আছ�, যাদেরক� শুভ্রর মত� অন্ধ কর� এই টানেলে ছুঁড়ে ফেলে দেয়� হয়েছে, এক� উদ্দেশ্যে। এরপর ওর� সবাই মিলে খোঁজ করতে থাকে সে� ছুরিটা�, যেটা দিয়� খু� কর� যাবে � অপার্থিব প্রাণীটাকে, যাকে দেখল� যে কে� পাগল হয়ে যায়...
উপন্যাসটার সবচেয়� বেশি ভা� লেগেছে রে� হারি� টেকনিক এর অসাধার� ব্যবহার। বে� বড়সড় ধাক্কা খেয়েছিলাম তখন। আম� এক� না, যারা পড়েছে, সবাই-� খেয়েছে। কী ভাবল, আর কী হল�! আর এখানেই লেখকের স্বার্থকতা�
এছাড়া ফোরশেডোগুল� খু� বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যবহা� কর� হয়েছে, পাঠক অভিযোগ করতে� পারব� না যে আগ� থেকে কোনো ক্লু দেয়� হয়নি। লেখক ঠিকই দিয়েছেন, কিন্তু এমনভাব� দিয়েছেন, যে পাঠক ধরতে পারবেন না� এই কাজট� অনেক� ভজঘট কর� ফেলে� ফোরশেড� ডিভাইসটা ব্যবহা� করতে গিয়� পাঠকের হাতে সমস্� জারি জুরি ফাঁস কর� দিয়� বস� থাকে আগেই� এরপর তো মাথায় হাত। 'ইহ� আম� কি করিলাম�' কিন্তু � গল্প� লেখককে মাথায় হা� দিতে হয়ন�, হবেও না� এভ্র� থি� ইজ ওয়ে� হিডেন।
গল্পটা� মাঝে সব সময়� একটা টানটান উত্তেজনা ভা� ছিল। কী হব�, কী হব� টাইপ ফিলিংস বিদ্যমান ছি� পুরো গল্পটি জুড়ে। যে গল্প� এট� যত বেশি থাকে, সে গল্প তত বেশি� স্বার্থক� বলতে� হয�, আর্ক� আসলে� স্বার্থক� সব দি� দিয়েই�
এন্ডিং � আর� একটা মেগা টুইস্ট ছিল। ওটার কারণেই উপন্যাসট� শেষে� দিকে আর� পরিপূর্ণতা পেয়েছে। একদম পার্ফেক্� এন্ডিং, কোনো অভিযোগের সুযোগই নেই।
এছাড়া গল্পটা� আরেকটা অসাধার� দি� হচ্ছ� এর ন্যারেটি� মোড—ওটা বে� ইন্টারেস্টিং ছি�; বে� কিছু থার্� পার্সন লিমিটে� পয়েন্� অফ ভি� এর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে পুরো গল্পটি� ফল� পাঠক কখনো শুভ্রর মাথা� ভেতর, কখনো সি� এর মাথা� ভেতর, কখনো বা বশির ভা� এর মাথা� ভেতর ঢুকত� পেরেছে� আর তা� সামগ্রী� পরিস্থিত� নিয়� তারা কে কী ভাবছ�, তারা পরস্পরকে কেমন দৃষ্টিতে দেখছ�, কে কী প্ল্যা� করছে মন�-মন�, � সম্পর্কে খু� ভালো আইডিয়� পাওয়া যায় পুরো গল্পে। বর্তমানে এই ন্যারেটি� মোডট� বেস্� সেলা� রাইটাররা খু� ব্যবহা� করেন, আধুনিক সাহ্যিত্যে বে� ফ্যামা� হয়ে উঠেছ� এই লিটারারি টেকনিকটা�
উপন্যাসটার আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ দি� হচ্ছ� চেকফ� গা� প্রিন্সিপা� এর যথায� ব্যবহার। এভ্র� থি� ওয়া� দেয়ার ফর � পার্টিকুলা� রিজন� কোনো বাড়তি ইলিমেন্ট নেই। নি� এন্ড ক্লিন।
তব� ফিগারেটি� ল্যাঙ্গুয়েজ এর ব্যবহা� তেমন একটা চোখে পড়েনি, এই দিকে লেখকের কাছে আর� ভালো কিছু আশ� করছি, পরবর্তী বইতে আশ� কর� এই দিকটাও পাবো তা� কাছে�
উপন্যাসট� পড়ে আম� সাথে-সাথে ত্বরিত গতিত� একটা কনফেশা� করেছিলাম নিজে� কাছে—এটা এখনো পর্যন্� আমার পড়া যেকোনো বাঙ্গালী রাইটারের বেস্� বই� তানজী� রহমানে� পরবর্তী বইটি� জন্য� অপেক্ষ� করছি অধী� আগ্রহে� আর্ক� পড়ে বুঝত� পারলাম, নিরা� হত� হব� না মোটেও।
গল্পের শুরুতে� চম�, কারণ গল্পটা শুরু হয়েছে ইন মিডিয়াস রেইস নামক লিটারারি ডিভাইস এর মাধ্যমে—কাহিনী� একদম মাঝখান থেকে� এব� শুধু মাঝখান থেকে� নয�, রীতিমত ন্যারেটি� হু� এর মাধ্যম� শুরু হয়েছে সবকিছু� প্রথ� লাইনটা� যদ� এম� হয�, ‘নিরেট গাঢ় অন্ধকারে ডুবে আছ� সবকিছু�, তাহল� পাঠক আকৃষ্ট না হয়ে উপায� আছ�? হু� দিয়� যেভাবে কোনো কিছুকে আঁটক� রাখা হয�, ঠি� সেভাবে� এই প্রথ� লাইনটি পাঠককে ইন্দ্রজালে বেঁধ� ফেলব� একদম বইয়ের শুরুতেই।
কাহিনী� গোড়াত� প্রটাগনিস্� শুভ্� নিজেকে পরিত্যক্� অবস্থায় আবিস্কার কর� এক টানেলে, এব� সবচেয়� ভয়ংকর কথ� হচ্ছ�, তা� দু� চোখই কে� একজন সেলা� কর� জোড়� দিয়� রেখেছে! ওর খু� কা� থেকে একটি টে� রেকর্ডার � ভেসে আসছে অপরিচি� কারো কণ্ঠস্বর, ‘তোমার চো� সরিয়ে নেয়� হয়েছে, কারণ প্রাণীটা এত ভয়ংকর যে তুমি ওটাক� দেখল� ভয়ে পাগল হয়ে যাবে...�
কণ্ঠস্বরটা তাকে এও বল� যে এই গুহা� কোথা� একটা ছোরা আছে। ওর অবজেক্টি� সিম্পল, ছুরিটা নেয়�, আর সে� অপার্থিব জন্তুটাক� হত্য� করা।
এতটা� সিম্পল? ইজিয়া� সেইড দ্যন ডান।
এরপরেই শুরু হয� ফ্ল্যা� ব্যাক। কাহিনী সোজা পেছন দিকে দৌড়ান� শুরু করে। উন্মোচিত হত� থাকে পূর্বে� কাহিনী� এরপর আবার ফ্ল্যা� ফরোয়ার্� কর� গল্পটি বর্তমা� সময়� ব্যা� করে। পুরো গল্পের একটা বিশা� অং� জুড়� এই ফ্ল্যা� ব্যা� এব� ফ্ল্যা� ফরোয়ার্� খেলা চলতে থাকে� যখনই কোনো এক অং� ক্লাইমেক্স এর চুড়ান্ত যায়গায় থাকে, ঠি� তখনি, লেখক পাঠককে নিয়� যা� অন্য কোনো সময়ে।
একের পর এক শ্বাসরুদ্ধকর ব্যাপা� ঘটতে থাকে টানেলে� ভেতর� খু� শিঘ্রই শুভ্� জানত� পারে যে সে এখান� এক� নয�, আর� চারজ� আছ�, যাদেরক� শুভ্রর মত� অন্ধ কর� এই টানেলে ছুঁড়ে ফেলে দেয়� হয়েছে, এক� উদ্দেশ্যে। এরপর ওর� সবাই মিলে খোঁজ করতে থাকে সে� ছুরিটা�, যেটা দিয়� খু� কর� যাবে � অপার্থিব প্রাণীটাকে, যাকে দেখল� যে কে� পাগল হয়ে যায়...
উপন্যাসটার সবচেয়� বেশি ভা� লেগেছে রে� হারি� টেকনিক এর অসাধার� ব্যবহার। বে� বড়সড় ধাক্কা খেয়েছিলাম তখন। আম� এক� না, যারা পড়েছে, সবাই-� খেয়েছে। কী ভাবল, আর কী হল�! আর এখানেই লেখকের স্বার্থকতা�
এছাড়া ফোরশেডোগুল� খু� বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যবহা� কর� হয়েছে, পাঠক অভিযোগ করতে� পারব� না যে আগ� থেকে কোনো ক্লু দেয়� হয়নি। লেখক ঠিকই দিয়েছেন, কিন্তু এমনভাব� দিয়েছেন, যে পাঠক ধরতে পারবেন না� এই কাজট� অনেক� ভজঘট কর� ফেলে� ফোরশেড� ডিভাইসটা ব্যবহা� করতে গিয়� পাঠকের হাতে সমস্� জারি জুরি ফাঁস কর� দিয়� বস� থাকে আগেই� এরপর তো মাথায় হাত। 'ইহ� আম� কি করিলাম�' কিন্তু � গল্প� লেখককে মাথায় হা� দিতে হয়ন�, হবেও না� এভ্র� থি� ইজ ওয়ে� হিডেন।
গল্পটা� মাঝে সব সময়� একটা টানটান উত্তেজনা ভা� ছিল। কী হব�, কী হব� টাইপ ফিলিংস বিদ্যমান ছি� পুরো গল্পটি জুড়ে। যে গল্প� এট� যত বেশি থাকে, সে গল্প তত বেশি� স্বার্থক� বলতে� হয�, আর্ক� আসলে� স্বার্থক� সব দি� দিয়েই�
এন্ডিং � আর� একটা মেগা টুইস্ট ছিল। ওটার কারণেই উপন্যাসট� শেষে� দিকে আর� পরিপূর্ণতা পেয়েছে। একদম পার্ফেক্� এন্ডিং, কোনো অভিযোগের সুযোগই নেই।
এছাড়া গল্পটা� আরেকটা অসাধার� দি� হচ্ছ� এর ন্যারেটি� মোড—ওটা বে� ইন্টারেস্টিং ছি�; বে� কিছু থার্� পার্সন লিমিটে� পয়েন্� অফ ভি� এর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে পুরো গল্পটি� ফল� পাঠক কখনো শুভ্রর মাথা� ভেতর, কখনো সি� এর মাথা� ভেতর, কখনো বা বশির ভা� এর মাথা� ভেতর ঢুকত� পেরেছে� আর তা� সামগ্রী� পরিস্থিত� নিয়� তারা কে কী ভাবছ�, তারা পরস্পরকে কেমন দৃষ্টিতে দেখছ�, কে কী প্ল্যা� করছে মন�-মন�, � সম্পর্কে খু� ভালো আইডিয়� পাওয়া যায় পুরো গল্পে। বর্তমানে এই ন্যারেটি� মোডট� বেস্� সেলা� রাইটাররা খু� ব্যবহা� করেন, আধুনিক সাহ্যিত্যে বে� ফ্যামা� হয়ে উঠেছ� এই লিটারারি টেকনিকটা�
উপন্যাসটার আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ দি� হচ্ছ� চেকফ� গা� প্রিন্সিপা� এর যথায� ব্যবহার। এভ্র� থি� ওয়া� দেয়ার ফর � পার্টিকুলা� রিজন� কোনো বাড়তি ইলিমেন্ট নেই। নি� এন্ড ক্লিন।
তব� ফিগারেটি� ল্যাঙ্গুয়েজ এর ব্যবহা� তেমন একটা চোখে পড়েনি, এই দিকে লেখকের কাছে আর� ভালো কিছু আশ� করছি, পরবর্তী বইতে আশ� কর� এই দিকটাও পাবো তা� কাছে�
উপন্যাসট� পড়ে আম� সাথে-সাথে ত্বরিত গতিত� একটা কনফেশা� করেছিলাম নিজে� কাছে—এটা এখনো পর্যন্� আমার পড়া যেকোনো বাঙ্গালী রাইটারের বেস্� বই� তানজী� রহমানে� পরবর্তী বইটি� জন্য� অপেক্ষ� করছি অধী� আগ্রহে� আর্ক� পড়ে বুঝত� পারলাম, নিরা� হত� হব� না মোটেও।
March 27, 2015
পাঁচ জন ব্যাক্তিকে অন্ধ কর� ছেড়� দেয়� হল এক গোলক ধাধায়।বলে দেয়� হল এই গোলকধাঁধায� এক প্রাণী আছ� তাকে মারত� হবে।আর এর জন্য চা� নির্দিষ্� এক ছুড়ি। সেটা খুঁজ� বে� কর� মারত� হব� অন্ধকা� জগতে� ভয়ংকর সে� প্রাণীকে� এই পাঁচজনের মধ্য� সবাই খুনি� পেশাদা� খুনি যেমন আছ�,তেমন� দূর্ঘটানবশ� খু� কর� ব্যাক্তি� আছে।
সবাই একসাথে এগিয়ে যায় লক্ষের দিকে।এ� মাঝে� ঘট� নানারক� বিপদ।একে অপরে� প্রত� সন্দেহ পরিস্থিতিক� কর� তুলে আর� জটিল।একে এক� বেড়িয়ে এল অজান� অনেক রহস্য।হিংস্র জোম্বি আর ভয়ংকর প্রাণী আর অজান� সব বিপদ এড়িয়� এগিয়ে চল� পাঁচজন� কিন্তু শে� পর্যন্� সে� ছুড়� কি খুঁজ� পাবে আর পেলে� কি এক� অপরে� ষড়যন্ত্� আর ভয়ংকর প্রাণিটা� হা� থেকে বাঁচবে?
ভা� লাগা বিষয�- প্রথ� থেকে� টা� টা� উত্তেজনায় ছিলাম।পাঁচ জনের চরিত্র ফুটিয়� তোলা হয়েছে সুন্দর ভাবে।তাদের ব্যাকগ্রাউন্� জীবনের লেখাগুলো তাদে� চরিত্র বুঝত� সাহায্� করেছে।লেখকের লেখা� স্টাইল� ভাল।
খারা� লাগা বিষয�- বইয়ের ২য� পার্টে আস� রহস্যট� বল� না দিলে� চলতো।যদি� পরের টুকু পড়ত� খারা� লাগে নি।তারপরেও শেষে দিলে বইটা আর জম� যে� নিঃসন্দেহে�
সবচেয়� খারা� ��েগেছ� বইটিতে শুভ্রর নামে� জায়গায় সি�,পিন্টু� জায়গায় শুভ্�,সিডে� জায়গায় পিন্টু এইরক� হয়েছে।য� পড়া� সময় বিরক্তির কারন হয়েছে�
সবাই একসাথে এগিয়ে যায় লক্ষের দিকে।এ� মাঝে� ঘট� নানারক� বিপদ।একে অপরে� প্রত� সন্দেহ পরিস্থিতিক� কর� তুলে আর� জটিল।একে এক� বেড়িয়ে এল অজান� অনেক রহস্য।হিংস্র জোম্বি আর ভয়ংকর প্রাণী আর অজান� সব বিপদ এড়িয়� এগিয়ে চল� পাঁচজন� কিন্তু শে� পর্যন্� সে� ছুড়� কি খুঁজ� পাবে আর পেলে� কি এক� অপরে� ষড়যন্ত্� আর ভয়ংকর প্রাণিটা� হা� থেকে বাঁচবে?
ভা� লাগা বিষয�- প্রথ� থেকে� টা� টা� উত্তেজনায় ছিলাম।পাঁচ জনের চরিত্র ফুটিয়� তোলা হয়েছে সুন্দর ভাবে।তাদের ব্যাকগ্রাউন্� জীবনের লেখাগুলো তাদে� চরিত্র বুঝত� সাহায্� করেছে।লেখকের লেখা� স্টাইল� ভাল।
খারা� লাগা বিষয�- বইয়ের ২য� পার্টে আস� রহস্যট� বল� না দিলে� চলতো।যদি� পরের টুকু পড়ত� খারা� লাগে নি।তারপরেও শেষে দিলে বইটা আর জম� যে� নিঃসন্দেহে�
সবচেয়� খারা� ��েগেছ� বইটিতে শুভ্রর নামে� জায়গায় সি�,পিন্টু� জায়গায় শুভ্�,সিডে� জায়গায় পিন্টু এইরক� হয়েছে।য� পড়া� সময় বিরক্তির কারন হয়েছে�
December 7, 2016
বইটা অনেক আগ্র� নিয়� পড়া শুরু করেছিলাম� টুইস্টের পর টুইস্ট ছিল। বইটাকে দু� ভাগে ভা� কর� যায়, এক ভাগে রহস্যে� নায়কেরা কারা, অন্য ভাগে হল� রহস্যে� বিশ্লেষণ� প্রথ� অংশে� বর্ণনাগুলো আসলে� অসাধার� ছি�, পরের অংশে দেখা যায় সে� রে� আর ধর� রাখত� পারে না� লেখক� শুরু সুন্দর হলেই যে শেষটাও ভা� হব�, এই কথাটাক� একদম মিথ্যে প্রমাণ করেছে। অনেক আশ� নিয়�, প্রথ� অং� সাজিয়েছেন উন�... এব� যৌক্তি� ছি� সবগুলা চরিত্র বিশ্লেষণ , ঘটনা� বর্ণনায় মুগ্� হয়েছিলাম। প্রথ� অংশে যতটা মুগ্� হয়েছিলা�, পরের অংশে এস� ঠি� ততটা� হতাশ হত� হয� আমাক�... শেষে এত্ত পেঁচানোর কোনই মানে হয� না!
November 21, 2015
খুবই উপভোগ্�, সৃষ্টিশীল। প্লটহো� আছ�, শেষদিক� তাড়াহুড়ো আছ�, তবুও অবশ্যপাঠ্য বলব।
September 29, 2020
অন্ধকা� একটা গোলকধাঁধা। এখানেই ছেড়� দেওয়া হল� পাঁচ জন মানুষকে। কিন্তু স্বাভাবিকভাব� নয�, সবাইকে অন্ধ কর� কেনন� এখান� যে প্রাণীটা আছ� তাকে দেখলেই নাকি পাগল হয়ে যাবে স্বাভাবি� মানু�! এই পাঁচ জন লো� এক� অপরক� চেনে না কিন্তু তাদে� মধ্য� মি� হল� তারা প্রত্যেকেই এক বা একাধিক খু� বা খুনে� পরিকল্পনার সাথে জড়িত। কাজট� খুবই সহ� তাদে� জন্য, গোলকধাঁধ� থেকে খুঁজ� বে� করতে হব� একটা ছুরি এব� হত্য� করতে হব� অপার্থিব � প্রাণীটিকে� কিন্তু কাজট� এতটা সহ� হব� না; গোলকধাঁধার অজান� বিপদ, অপার্থিব প্রাণীটা� আক্রমণ আর এক� অপরে� বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্� কাটিয়� উঠতে হব� দলটাকে� শু� হল� এক রোমহর্ষক অভিযান, সফ� হত� পারব� কি তারা?
পছন্দে� দি� বলতে গেলে প্রথমে� আসবে প্লটটা� কথা। ভীষণ ইউনি� একটা প্লট, অন্ত� আমার কাছে� যাদে� প্রচুর বিদেশী থ্রিলা� পড়া আছ� বা যারা লেখকের ভূমিকায় দেওয়া বইগুলো ( যেগুলো থেকে লেখক আইডিয়� নিয়েছেন) পড়েছে� তাদে� হয়ত� প্লটটা পরিচিত মন� হত� পারে কিন্তু আম� শুরুতে� ইমপ্রেসড! অন্ধকা� এক গোলকধাঁধ�, অন্ধ একদল খুনী আর অপার্থিব এক প্রাণী � মুগ্� হত� আর কি লাগে! এরপরেই বল� শুরুটা� কথা। লেখক যেখানে শুরু করেছেন তাতে পাঠককে অকূল পাথারে পড়ত� হয়। ঘটনা� একদম মাঝামাঝি থেকে যে� শুরু হয়েছে বইটা, এর আগ� কি হয়েছে বা এরপর� কি হত� চলেছ� সে সম্পর্কে বিন্দুমাত্� ধারণ� করার কোনো উপায� নেই। কি হচ্ছ�, কে� হচ্ছ�, কে ওদের আটকালো, প্রাণীটা কি, পাঁচজনের কে ঘটনা� মূলহোত�, বেঁচ� ফিরব� কি ওর� ইত্যাদ� নানা প্রশ্ন শুরুতে� পাঠককে ব্যতিব্যস্� কর� তোলে�
এরপর� বল� যায় বর্ণনাভঙ্গির কথা। এখানেও লেখক ফু� মার্কস পাবেন। লেখণী� মাধ্যম� লেখক এম� একটা অবস্থা সৃষ্টি করতে পেরেছে� যা পাঠককে সবকিছু ভুলিয়� দেয়, বইয়ের উপ� থেকে চো� সরানোর কোনো উপায� থাকে না! আনডেডগুলোর কান্না, পশুটার মেঝে ঘষতে ঘষতে এগিয়ে আস�, দলটা� গোলকধাঁধার মধ্য দিয়� দৌঁড়ানো, পশুট� এব� দলটা� সদস্যদের হাতাহাতি ইত্যাদ� লেখক এত নিপুণভাব� বর্ণনা করেছেন যে কখনও শিরদাঁড়� দিয়� ভয়ে� স্রো� নেমে যায়, কখনও কপাল� ঘা� জম� বা কখনও উৎকন্ঠায� উঠ� বসতে হয�! এক� কথ� খাটে ক্যারেক্টা� ডেভেলপমেন্টে� ক্ষেত্রেও। চরিত্রগুলো পুরো বইয়� আস্ত� আস্ত� গড়ে উঠেছ�, একটা ধারাবাহিকত� আছ� তাদে� মধ্য�, হু� কর� কোনো পরিবর্তন তা� কোথা� দেখা যায় নি� মিনোটর কিংবদন্ত� আর শেষে� টুইস্টের কথ� না বললে� নয়। প্রথ� যখ� মিনোটর কিংবদন্তির গল্পটা বল� হচ্ছিল যখ� আম� বে� বিরক্ত হচ্ছিলাম কিন্তু লেখক যখ� বিষয়টাক� অত্যন্� নিপুণতার সাথে বইয়ের প্লটের সাথে খা� খাইয়ে ব্যবহা� করলে� তখ� লেখকের নিপুণতার তারি� না কর� পারলাম না� শেষে� টুইস্টটা� বে� ভালো ছি�, আর্কনে� নতুন পরিচয় পাওয়া� পর ওর উপ� কিছুটা করুণাও হচ্ছিল�
এত এত ভালো পয়েন্� থাকা� পর� কিছু অভিযোগ� আছ� আমার! প্রথমে� আসবে বিরক্তিক� ফ্ল্যাশব্যাকের কথ�! অন্ধকা� আর আল� শিরোনামে লেখকের ভা� করার বিষয়ট� ভালো লেগেছে কিন্তু আলোত� লেখক যত কথ� আর পৃষ্টা ব্যবহা� করেছেন আমার মন� হয়েছে তত কথ� না বললে� চলতো� তা� চেয়� লেখক অন্ধকারে� আর� সময় ব্যয� করলে বইটা আর� টু দ্� পয়েন্� হত�! ফ্ল্যাশব্যাক দরকা� ছি� কিছুটা কিন্তু যতটা কর� হয়েছে ততটা না আর কি! এরপর� বল� আর্কনে� সাথে দলটা� সরাসরি সাক্ষাতে� সংখ্যা খুবই কম বল� মন� হয়েছে� লেখক আর্কনে� সাথে আন্তঃদ্বন্দ্� না দেখিয়� দলটা� নিজেদে� মধ্য� অন্তঃদ্বন্দ্�-� বেশি কর� দেখিয়েছেন� এক শুভ্রব ব্যাপারট� বাদে বাকি তিনট� ক্ষেত্রে� অন্তঃদ্বন্দ্�-� প্রধান হয়ে উঠেছ� যা কিছুটা বিরক্তির কারণ হয়েছে� আরেকটা ব্যাপা� হল� অর্ধেকেই প্রধান চরিত্র মানে বলতে চাচ্ছি যাকে লেখক সবচেয়� বেশি সময় দিলে� সে� চরিত্রটা� দল থেকে বা� পড়ে যাওয়া এব� ‘বস’ক� প্রকাশ কর� ফেলা� ব্যাপারও তেমন ভালো লাগে নি! বসের পরিচয় মাঝখান� না দিয়� আর� পর� দিলে ভালো হত� বল� মন� হয়েছে� আর উত্ত� অং� তথ� বিশ্লেষণ � সমাপ্তিও বেশি বড� কর� হয়েছে বল� মন� হয়েছে� আর শে� কথ� হল� শে� পর্যন্� ‘বস� এর নায়� হিসেবে আবির্ভূত হওয়াটাও কিছুটা খাপছাড়া মন� হয়েছে�
অনেক প্যাঁচাল পারলাম, আর না বাড়াই! কয়েকট� বিষয� বাদে বইটা আমাক� মুগ্� করেছ� বলতে� হচ্ছে। হর�, থ্রিলা�, ফ্যান্টাসি সবকিছুকে লেখক যেভাবে একত্রি� করেছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। একটা নতুন জগতে� সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া� জন্য লেখককে ধন্যবা�!
পছন্দে� দি� বলতে গেলে প্রথমে� আসবে প্লটটা� কথা। ভীষণ ইউনি� একটা প্লট, অন্ত� আমার কাছে� যাদে� প্রচুর বিদেশী থ্রিলা� পড়া আছ� বা যারা লেখকের ভূমিকায় দেওয়া বইগুলো ( যেগুলো থেকে লেখক আইডিয়� নিয়েছেন) পড়েছে� তাদে� হয়ত� প্লটটা পরিচিত মন� হত� পারে কিন্তু আম� শুরুতে� ইমপ্রেসড! অন্ধকা� এক গোলকধাঁধ�, অন্ধ একদল খুনী আর অপার্থিব এক প্রাণী � মুগ্� হত� আর কি লাগে! এরপরেই বল� শুরুটা� কথা। লেখক যেখানে শুরু করেছেন তাতে পাঠককে অকূল পাথারে পড়ত� হয়। ঘটনা� একদম মাঝামাঝি থেকে যে� শুরু হয়েছে বইটা, এর আগ� কি হয়েছে বা এরপর� কি হত� চলেছ� সে সম্পর্কে বিন্দুমাত্� ধারণ� করার কোনো উপায� নেই। কি হচ্ছ�, কে� হচ্ছ�, কে ওদের আটকালো, প্রাণীটা কি, পাঁচজনের কে ঘটনা� মূলহোত�, বেঁচ� ফিরব� কি ওর� ইত্যাদ� নানা প্রশ্ন শুরুতে� পাঠককে ব্যতিব্যস্� কর� তোলে�
এরপর� বল� যায় বর্ণনাভঙ্গির কথা। এখানেও লেখক ফু� মার্কস পাবেন। লেখণী� মাধ্যম� লেখক এম� একটা অবস্থা সৃষ্টি করতে পেরেছে� যা পাঠককে সবকিছু ভুলিয়� দেয়, বইয়ের উপ� থেকে চো� সরানোর কোনো উপায� থাকে না! আনডেডগুলোর কান্না, পশুটার মেঝে ঘষতে ঘষতে এগিয়ে আস�, দলটা� গোলকধাঁধার মধ্য দিয়� দৌঁড়ানো, পশুট� এব� দলটা� সদস্যদের হাতাহাতি ইত্যাদ� লেখক এত নিপুণভাব� বর্ণনা করেছেন যে কখনও শিরদাঁড়� দিয়� ভয়ে� স্রো� নেমে যায়, কখনও কপাল� ঘা� জম� বা কখনও উৎকন্ঠায� উঠ� বসতে হয�! এক� কথ� খাটে ক্যারেক্টা� ডেভেলপমেন্টে� ক্ষেত্রেও। চরিত্রগুলো পুরো বইয়� আস্ত� আস্ত� গড়ে উঠেছ�, একটা ধারাবাহিকত� আছ� তাদে� মধ্য�, হু� কর� কোনো পরিবর্তন তা� কোথা� দেখা যায় নি� মিনোটর কিংবদন্ত� আর শেষে� টুইস্টের কথ� না বললে� নয়। প্রথ� যখ� মিনোটর কিংবদন্তির গল্পটা বল� হচ্ছিল যখ� আম� বে� বিরক্ত হচ্ছিলাম কিন্তু লেখক যখ� বিষয়টাক� অত্যন্� নিপুণতার সাথে বইয়ের প্লটের সাথে খা� খাইয়ে ব্যবহা� করলে� তখ� লেখকের নিপুণতার তারি� না কর� পারলাম না� শেষে� টুইস্টটা� বে� ভালো ছি�, আর্কনে� নতুন পরিচয় পাওয়া� পর ওর উপ� কিছুটা করুণাও হচ্ছিল�
এত এত ভালো পয়েন্� থাকা� পর� কিছু অভিযোগ� আছ� আমার! প্রথমে� আসবে বিরক্তিক� ফ্ল্যাশব্যাকের কথ�! অন্ধকা� আর আল� শিরোনামে লেখকের ভা� করার বিষয়ট� ভালো লেগেছে কিন্তু আলোত� লেখক যত কথ� আর পৃষ্টা ব্যবহা� করেছেন আমার মন� হয়েছে তত কথ� না বললে� চলতো� তা� চেয়� লেখক অন্ধকারে� আর� সময় ব্যয� করলে বইটা আর� টু দ্� পয়েন্� হত�! ফ্ল্যাশব্যাক দরকা� ছি� কিছুটা কিন্তু যতটা কর� হয়েছে ততটা না আর কি! এরপর� বল� আর্কনে� সাথে দলটা� সরাসরি সাক্ষাতে� সংখ্যা খুবই কম বল� মন� হয়েছে� লেখক আর্কনে� সাথে আন্তঃদ্বন্দ্� না দেখিয়� দলটা� নিজেদে� মধ্য� অন্তঃদ্বন্দ্�-� বেশি কর� দেখিয়েছেন� এক শুভ্রব ব্যাপারট� বাদে বাকি তিনট� ক্ষেত্রে� অন্তঃদ্বন্দ্�-� প্রধান হয়ে উঠেছ� যা কিছুটা বিরক্তির কারণ হয়েছে� আরেকটা ব্যাপা� হল� অর্ধেকেই প্রধান চরিত্র মানে বলতে চাচ্ছি যাকে লেখক সবচেয়� বেশি সময় দিলে� সে� চরিত্রটা� দল থেকে বা� পড়ে যাওয়া এব� ‘বস’ক� প্রকাশ কর� ফেলা� ব্যাপারও তেমন ভালো লাগে নি! বসের পরিচয় মাঝখান� না দিয়� আর� পর� দিলে ভালো হত� বল� মন� হয়েছে� আর উত্ত� অং� তথ� বিশ্লেষণ � সমাপ্তিও বেশি বড� কর� হয়েছে বল� মন� হয়েছে� আর শে� কথ� হল� শে� পর্যন্� ‘বস� এর নায়� হিসেবে আবির্ভূত হওয়াটাও কিছুটা খাপছাড়া মন� হয়েছে�
অনেক প্যাঁচাল পারলাম, আর না বাড়াই! কয়েকট� বিষয� বাদে বইটা আমাক� মুগ্� করেছ� বলতে� হচ্ছে। হর�, থ্রিলা�, ফ্যান্টাসি সবকিছুকে লেখক যেভাবে একত্রি� করেছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। একটা নতুন জগতে� সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া� জন্য লেখককে ধন্যবা�!
March 27, 2023
আর্ক�
লেখক - তানজী� রহমা�
প্রকাশনা - বাতিঘর প্রকাশনী
জেনা� - হর� থ্রিলা�
মূল্� - 450/-
২০২৩ সালে পড়া আমার তৃতীয় উপন্যা� আর্কন। তানজিম রহমা� সাহেবে� লেখা� সাথে আমার প্রথ� পরিচয় এই বই দিয়েই� বাতিঘর থেকে প্রকাশিত বইটি আম� পুরাতন হিসেবে� জোগাড় করেছিলাম, প্রচ্ছ� দেখে ব্লারব পড়ে বে� ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। বইটি� ব্লারব পড়ে যেসব তথ্য পেয়েছিলাম টা পড়ে মন� হতেই পারে এট� একটি ভৌতি� থ্রিলা�, বইটি কয়ে� পাতা পড়া� পর বোঝা যায়, অন্যান্য থ্রিলা� উপন্যা� এর থেকে সম্পূর্ণ ভিন্� একটি চিন্তাধারা নিয়� লেখক কা� করেছেন�
পটভূমি -
"ভয� হচ্ছ� মানুষে� সবচেয়� প্রাচী� আর ক্ষমতাশালী অনুভূতি। এব� সবচেয়� প্রাচী� আর ক্ষমতাশালী ভয� হচ্ছ� অজানার ভয়।"
- এই�. পি. লাভক্র্যাফ্ট
অচেত� অবস্থা থেকে চেতন� ফিরে পেয়� পাঁচজন লো� আবিষ্কার করলো তারা শুয়� আছ� একটা ঠান্ডা পাথুরে মেঝেতে, চোখে হা� দিয়� বুঝত� পারল� চো� দুটো তুলে নিয়� পাঁচজনকে অন্ধ কর� দেওয়া হয়েছে� তাদে� সাথে দেওয়া হয়েছে একটি টে� রেকর্ডার, সেটা থেকে একটি অনবর� কণ্ঠস্বর বল� চলেছ� " আপনি এখ� আছেন মাটি� গভীরে এক রহস্যময় গোলকধাঁধায�, এখান� আপনা� জন্য অপেক্ষ� করছে অপার্থিব এক প্রাণী, বেঁচ� থাকত� হল� আপনাকে খুঁজ� বে� করত�� হব� একটি তরোয়া� আর হত্য� করতে হব� সে� প্রাণীটিকে"�
পাঁচজন মানুষ। ভিন্� ভিন্� পরিবেশ এব� পারিবারি� অঙ্গ� থেকে নিয়� আস� হয়েছে তাদের। শুভ্� একজন এক্স-আর্ম�, বাবা বশির একজন মাদক চোরাকারবারী, সিদরাতুল দেওয়া� ওরফে সি� একজন ধনাঢ্য ব্যক্ত�, পিন্টু একজন হেরোইনসেবী, এব� শীতল একজন রহস্যময় মানুষ। সবার জীবনযাত্রা এব� দৃষ্টিভঙ্গিত� ভিন্নত� থাকলেও এক জায়গায় সবার মাঝে আবার অনেক মি� আছে। সবাই খুনি� কে� ক্ষণিকের আবেগ� খু� করেছ�, কে� বা একদম সর্বোচ্চ বড� কাউন্টের পেশাদা� বা কারো ইচ্ছ� ছি� খু� করার�
বইটি দুটি খন্ড� লেখক বর্ননা করেছেন� আঁধা� আর আলো। আঁধা� বর্তমা� সময়কে বোঝানো হচ্ছ�, আল� অতীতকে। আঁধা� পার্� � লেখক এই পাঁচজন এর বর্তমা� অবস্থা ব্যক্ত করেছেন, আর আল� পার্� � লেখক জানিয়েছেন এই পাঁচজনকে কেনো বাছা হয়েছে এই কাজে� জন্য, আর তাদে� কিভাবে চক্রান্ত কর� এই গোলধাঁধায় আন� হয়েছে�
এই হতভাগাদে� বা কে� বেছে নেয়� হল? সংখ্যায় তাঁর� মাত্� � জনই বা কে�? যে প্রাণীকে শিকা� করতে পাঠানো হয়েছে এই পঞ্চখুনিদে�, সেটা� ভয়াবহতা যে কি মাত্রা� কারো কি আছ� কো� ধারণ�? এম� এক নারকীয় স্বাপদের শিকারে বে� হয়েছে তাঁর� যেটি� সন্ধান পেলে মানু� অন্ধ হয়ে যায়� নিজে� চোঁখ উপড়� ফেলে নিজেকে� অন্ধ কর� দেয় সবচেয়� ভয়ংকর মানুষজনও� কারণ � প্রাণীটি সৃষ্টি কর� এম� এক ভয়ে�, যে ভয়ে� জন্ম এই ভূবন� হয়নি। সম্পূর্ণ ভিন্� কর্মপন্থ� নিয়� অতিপ্রাকৃতিক স্বাপদটিকে বধ করতে গিয়� একের পর এক গা শিউর� ওঠার মত পরিস্থিতিত� পড়ত� থাকে� পাঁচ খুনি� এই ভৌতি� উপন্যাসে বিভিন্� রহস্যে� জটও খুলত� হব� জীবন নিয়� ফিরত� হলে।
পা� প্রতিক্রিয়া -
লেখকের এই উপন্যাসে হর� জঁরা� পাশাপাশি আছ� থ্রিলারে� ছোয়া। তানজী� রহমা� প্রতিট� চরিত্রের রূপায়� সেটি সুন্দর এব� স্পষ্টভাবে করেছেন। একই মেইজ� সবার ঘুরে বেড়ান�, তাদে� মধ্যকা� বুঝাপড়া বা মারাত্মক ভু� বুঝাবুঝি এমনক� প্রতিট� চরিত্রের ব্যক্তিগ� যাত্রা এব� শুরুটা চমৎকার চিত্রায়ণে� মাধ্যম� ফুটিয়� তুলেছেন। লেখালেখিতে ভিজ্যুয়ালাইজেশনের দক্ষ প্রয়োগে এম� স্টোরিটেলি� করেছেন লেখক, পাঠক ভয়ে� সাথে সাথে প্রতিনিয়ত একধরণে� অস্বস্তি� মধ্য দিয়� যেতে থাকবেন, একদম শে� পর্যন্ত। গল্পকথনে � ভয� প্রদর্শন� তানজী� রহমা� সার্থক হয়েছে� এই উপন্যাসে�
(আলোচনা ভালো লাগল� Journal of a Bookworm পেজট� অবশ্যই লাইক করবে�)
লেখক - তানজী� রহমা�
প্রকাশনা - বাতিঘর প্রকাশনী
জেনা� - হর� থ্রিলা�
মূল্� - 450/-
২০২৩ সালে পড়া আমার তৃতীয় উপন্যা� আর্কন। তানজিম রহমা� সাহেবে� লেখা� সাথে আমার প্রথ� পরিচয় এই বই দিয়েই� বাতিঘর থেকে প্রকাশিত বইটি আম� পুরাতন হিসেবে� জোগাড় করেছিলাম, প্রচ্ছ� দেখে ব্লারব পড়ে বে� ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। বইটি� ব্লারব পড়ে যেসব তথ্য পেয়েছিলাম টা পড়ে মন� হতেই পারে এট� একটি ভৌতি� থ্রিলা�, বইটি কয়ে� পাতা পড়া� পর বোঝা যায়, অন্যান্য থ্রিলা� উপন্যা� এর থেকে সম্পূর্ণ ভিন্� একটি চিন্তাধারা নিয়� লেখক কা� করেছেন�
পটভূমি -
"ভয� হচ্ছ� মানুষে� সবচেয়� প্রাচী� আর ক্ষমতাশালী অনুভূতি। এব� সবচেয়� প্রাচী� আর ক্ষমতাশালী ভয� হচ্ছ� অজানার ভয়।"
- এই�. পি. লাভক্র্যাফ্ট
অচেত� অবস্থা থেকে চেতন� ফিরে পেয়� পাঁচজন লো� আবিষ্কার করলো তারা শুয়� আছ� একটা ঠান্ডা পাথুরে মেঝেতে, চোখে হা� দিয়� বুঝত� পারল� চো� দুটো তুলে নিয়� পাঁচজনকে অন্ধ কর� দেওয়া হয়েছে� তাদে� সাথে দেওয়া হয়েছে একটি টে� রেকর্ডার, সেটা থেকে একটি অনবর� কণ্ঠস্বর বল� চলেছ� " আপনি এখ� আছেন মাটি� গভীরে এক রহস্যময় গোলকধাঁধায�, এখান� আপনা� জন্য অপেক্ষ� করছে অপার্থিব এক প্রাণী, বেঁচ� থাকত� হল� আপনাকে খুঁজ� বে� করত�� হব� একটি তরোয়া� আর হত্য� করতে হব� সে� প্রাণীটিকে"�
পাঁচজন মানুষ। ভিন্� ভিন্� পরিবেশ এব� পারিবারি� অঙ্গ� থেকে নিয়� আস� হয়েছে তাদের। শুভ্� একজন এক্স-আর্ম�, বাবা বশির একজন মাদক চোরাকারবারী, সিদরাতুল দেওয়া� ওরফে সি� একজন ধনাঢ্য ব্যক্ত�, পিন্টু একজন হেরোইনসেবী, এব� শীতল একজন রহস্যময় মানুষ। সবার জীবনযাত্রা এব� দৃষ্টিভঙ্গিত� ভিন্নত� থাকলেও এক জায়গায় সবার মাঝে আবার অনেক মি� আছে। সবাই খুনি� কে� ক্ষণিকের আবেগ� খু� করেছ�, কে� বা একদম সর্বোচ্চ বড� কাউন্টের পেশাদা� বা কারো ইচ্ছ� ছি� খু� করার�
বইটি দুটি খন্ড� লেখক বর্ননা করেছেন� আঁধা� আর আলো। আঁধা� বর্তমা� সময়কে বোঝানো হচ্ছ�, আল� অতীতকে। আঁধা� পার্� � লেখক এই পাঁচজন এর বর্তমা� অবস্থা ব্যক্ত করেছেন, আর আল� পার্� � লেখক জানিয়েছেন এই পাঁচজনকে কেনো বাছা হয়েছে এই কাজে� জন্য, আর তাদে� কিভাবে চক্রান্ত কর� এই গোলধাঁধায় আন� হয়েছে�
এই হতভাগাদে� বা কে� বেছে নেয়� হল? সংখ্যায় তাঁর� মাত্� � জনই বা কে�? যে প্রাণীকে শিকা� করতে পাঠানো হয়েছে এই পঞ্চখুনিদে�, সেটা� ভয়াবহতা যে কি মাত্রা� কারো কি আছ� কো� ধারণ�? এম� এক নারকীয় স্বাপদের শিকারে বে� হয়েছে তাঁর� যেটি� সন্ধান পেলে মানু� অন্ধ হয়ে যায়� নিজে� চোঁখ উপড়� ফেলে নিজেকে� অন্ধ কর� দেয় সবচেয়� ভয়ংকর মানুষজনও� কারণ � প্রাণীটি সৃষ্টি কর� এম� এক ভয়ে�, যে ভয়ে� জন্ম এই ভূবন� হয়নি। সম্পূর্ণ ভিন্� কর্মপন্থ� নিয়� অতিপ্রাকৃতিক স্বাপদটিকে বধ করতে গিয়� একের পর এক গা শিউর� ওঠার মত পরিস্থিতিত� পড়ত� থাকে� পাঁচ খুনি� এই ভৌতি� উপন্যাসে বিভিন্� রহস্যে� জটও খুলত� হব� জীবন নিয়� ফিরত� হলে।
পা� প্রতিক্রিয়া -
লেখকের এই উপন্যাসে হর� জঁরা� পাশাপাশি আছ� থ্রিলারে� ছোয়া। তানজী� রহমা� প্রতিট� চরিত্রের রূপায়� সেটি সুন্দর এব� স্পষ্টভাবে করেছেন। একই মেইজ� সবার ঘুরে বেড়ান�, তাদে� মধ্যকা� বুঝাপড়া বা মারাত্মক ভু� বুঝাবুঝি এমনক� প্রতিট� চরিত্রের ব্যক্তিগ� যাত্রা এব� শুরুটা চমৎকার চিত্রায়ণে� মাধ্যম� ফুটিয়� তুলেছেন। লেখালেখিতে ভিজ্যুয়ালাইজেশনের দক্ষ প্রয়োগে এম� স্টোরিটেলি� করেছেন লেখক, পাঠক ভয়ে� সাথে সাথে প্রতিনিয়ত একধরণে� অস্বস্তি� মধ্য দিয়� যেতে থাকবেন, একদম শে� পর্যন্ত। গল্পকথনে � ভয� প্রদর্শন� তানজী� রহমা� সার্থক হয়েছে� এই উপন্যাসে�
(আলোচনা ভালো লাগল� Journal of a Bookworm পেজট� অবশ্যই লাইক করবে�)
Displaying 1 - 30 of 103 reviews
Can't find what you're looking for?
Get help and learn more about the design.