আর্কনট� মন্দ ছি� না� এটাও মন্দ না� বিশে� কর� এক� সাথে কয়ে� লাইনের ম্যাজিকে� ব্লেন্ডিংট� খু� সুন্দর� সুরা, ন্যাচা� ম্যাজি�, কেওস ম্যাজি�, জি� রিলেটে� ম্যাজি�-এগুলোর ব্লেন্ডিংট� হয়েছে খু� দক্ষ হাতে� বইয়ের প্রায় প্রতিট� পাতাতে� এন্টিসিপেশ� ধর� রাখা� মত উপাদান আছে। পুরাটা পড়ত� সময় লেখেছে � থেকে �.� ঘন্টা। সো বুঝতেই পারা যায়� আর ম্যাজি� ডুয়েল শোণি� উপাখ্যানেও আছে। কিন্তু এট� আর� বেশী বিস্তৃ� � সিকোয়েন্সটা� বেটার।
তব� সমস্যা হল, ডিটেইলিং এর মনোযোগের অভাব� এট� আসলে আমাদের জাতিগত সমস্যা বল� মন� হয�! আপনি-তুমি, টাইম লাইনের সমস্যা, যা নিয়� লিখছ� তা� সম্পর্কে আরেকটু খো� খব� না নেয়� আর অনেক জায়গায় এ্যাম্বিগিয়াস বাক্� রেখে দেয়� যা কাহিনী� উপরে কো� ইমপ্যাক্টই ফেলে না�
�. প্রথমে আস� নামকরণ নিয়ে। অক্টারিন-এট� কি জিনি� তা মাত্� এক/আধ পাতা� মাঝে� শেষ। গল্পেও সম্ভবত এর কো� ইমপ্যাক্� নেই। মন� হয� নামট� অক্টারিন, শুধু মাত্� � কারণেই শব্দটা� ইন্ট্রোডাকশন� �. আপনি-তুমি� বিভ্রা� মাত্� এক জায়গায়� সো এট� টাইপ� বল� বা� দেয়� যায়� �. নতুন আর পুরাতন বানানরীতি খুবই কনফিউজিং� সুন্দর� কোথা� কোথা� সুন্দরী! তব� এটাও খু� কম� �. আয়াতু� কুরসী� মত একটা জিনি� ভু� ছাপা হব�, এট� মেনে নেয়� কঠিন� ওম� খলফাহু� হয়ে গিয়েছ� খাইফাহুম� খল�-পেছন�/আড়ালে খই�-ভয� (যতদূ� মন� পড়ে অর্থ এটাই) �. গল্পের প্রধান চরিত্র মুমি� কামি� (মাস্টার্� সমমানে�) পা� কর� ঢাকা ভার্সিটিতে অনার্স� ঢোকে� আমার জানামত� এট� সম্ভ� না� লেখক মে বি এবতেদায়ীটা ওভারলু� কর� গিয়েছেন� তব� আম� ভার্সিটি স্টুডেন্� না, সো আমার� ভু� হত� পারে� �. টাইম লাইন বিভ্রা�-মুমিনে� সাথে যখ� জহুর� কাকা� দেখা হয�, তখ� সে বারো বছরে� বাচ্চা� এরপর তোমা� ছাতা� সাইজ আমার চেয়� বড� মানে বোঝায় যে বছ� পা� হলেও তা �/� বছরে� বেশী হতেই পারে না� এদিক� ওর মা-বাবা অন্য কোথা� পাঠাবা� জন্য ব্যস্ত� তা� 'ফাজি�' (ডিগ্রী সমমানে�) শে� হতেই ঢাকা পাঠিয়� দেয়� হল� ব্যস্ত হল� �+ বছ� অপেক্ষ� করার কারণ কি? �. ইউনিভার্সিটি পড়া অবস্থায় মুমি� দেখেছে সার্জারি� ছাত্রর� কয়ে� হাতে নিয়� প্রাকটিস করছে� 'সার্জারি� ছাত্�' থাকব� ঢাকা মেডিক্যালে� হল� বা পিজি� হলে। যেকো� খানে মুমি� এট� দেখত� পারে, এমনক� বাসে বস� অবস্থাতেও। কিন্তু 'এই কাজট� মুমি� আগেও দেখেছে ইউনিভার্সিটিতে থাকতে। যে ছাত্রর� সার্জন হবার জন্য পড়ালেখা করছিলো তাদে� কয়েকজ� এট� প্রাকটিস করত।' - পড়ে মন� হয� নিজে� হল� দেখেছে� ক্লিয়ার করলে ভা� হত� �. পুরোপুরি ভাবে মেদহী� বল� যায় না� যদিও কোথা� ছন্দ পত� হয়ন� বা কোথা� বিরক্ত লাগেনি, তা� ৫০/৬০ পাতা কম হলেই ভা� হত� কারণ, এই মেদে� ফল� মন� হয়েছে শেষে এস� হঠাৎ কর� শে� হয়ে গিয়েছে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল সুলায়মানে� ফ্যাক্টরির প্রথ� অভিযান� অসাম একটা সিকোয়েন্স, কিন্তু কাহিনীতে ইম্প্যাক্ট? জিরো� অনেকটা এম�-এত বড� যোদ্ধাকে যে হারাতে পারে, সে নিজে কেমন যোদ্ধা বুঝে নাও। এই যদ� হত, তাহল� এ্যাকিলি� আর হেক্টরের যুদ্ধে� এত বিস্তারি� বিবর� দিতে হত না� (স্পয়লার এড়াবা� জন্য ঘুরাতে পেচাতে হচ্ছ�)� আর এই কারণ� লাষ্� সিকোয়েন্সটা শো ডাউন না হয়ে হয়েছে.....দু� অপরিচিতে� ডুয়েল� পাঠক জানছ� ভিলে� কে, কে� এস� করছে� কিন্তু ক্যারেক্টা� জানছ� না� ভিলেনে� ক্যারেক্টারও খু� ডেভেলপ� না� �. এই পয়েন্টট� অহেতুক বল� যায়, তা� বলি। আগাথ� ক্রিস্টি� কুমারী না� আগাথ� মেরি ক্ল্যারিসা মিলার। ২৪ বছ� বয়স� তিনি আর্চিব� ক্রিস্টিকে বিয়� করেন� মেয়েদের নাইটহু� নে�, তব� ডেমহুড আছে। তিনি ডে�, এব� আমার সবচেয়� পছন্দে� চা� অথারের একজন� তাঁক� 'মি� ক্রিস্টি' বল� সম্বোধ� না করলে হত না?
�.� স্টারস একচুয়ালি। (পারশিয়া� রেটি� আসলে� চালু কর� উচিত)� বইটা কে কো� জনরা তে ফেলব তা নিয়� চিন্তায় আছ� � নিঃসন্দেহে বই এর মূ� উপাদান হর� � কিন্তু শুধু হর� থ্রিলা� বললে� কমতি থেকে যাবে � এর চেয়� আরবা� ফ্যান্টাসী বলাই আমার কাছে উপযক্ত বল� মন� হয� � গত বছরে আমার পড়া সেরা বইগুলো� মধ্য� একটা ছি� লেখকের প্রথ� বই আর্ক� � সে থেকে প্রত্যাশার চা� অনেক বেশি� ছি� বইটা� উপ� � এটুক� বলতে পারি যে হতাশ করেননি লেখক � ভালো� লেগেছে বইটা � বইটা খোলা� পড়ে প্রথমে যে জিনিসট� চোখে আটকাবে তাহল সূচিপত্রের পাতাটা � সেখানে একটা টাইমটেবি� কর� দেয়� আছ� যে কো� অধ্যায� কখ� পড়ত� হব� � এরকম কিন্তু আগ� কোথা� দেখিনি � ভালো লেগেছে ব্যাপারট� � আর যেকো� জিনি� ভালো লাগা� পূর্� শর্ত হল, প্রথ� দেখায় জিনিসট� কেমন লাগল ? সে বিবেচনায� বইটা ১০ � ১০ পাবে � কভারটা বই এর সাথে একদম মানানস� � জোড়াতাল� দেয়� কভার না � হাতে নিয়� ভালো লাগে বইটা � এবার আস� মূ� বই এর ঘটনা� � প্রধান চরিত্রের নামট� হচ্ছ� মুমি� � মুমিনু� ইসলা� মুমি� � ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামি� স্টাডি� বিষয়ে পা� করার পর এখ� একটা বাচ্চাদে� স্কুলে ধর্ম বিষয়ে� শিক্ষক � নিরী� ধরণে� মানু� , কারো কো� সাতপ্যাঁচে� মধ্য� না� � নিজে� মত থাকে � কিন্তু একটা বিষয়ে অন্য কারো চেয়� আলাদ� সে � তা হচ্ছ� জী� তাড়ান� � একটা কথ� বল� নে� এখান� যে বই এর বে� অনেকাং� জুড়েই আছ� জী� এর ব্যাপারট� � অনেক কিছু জানত� পেরেছি এই ব্যাপারে � জেনে আগ্র� � বেড়� গেছে ব্যাপারটাত� � আমদে� দে� এর মিথে� একটা অন্যতম উপাদান হচ্ছ� জীনে� আস� কর� � এই জিনিসটাও বে� ভালো মত ফুটে উঠ� এসেছ� বইটা তে � কিছু কিছু জায়গা� বর্ণনা আসলে� ভয� ধরিয়ে দেয়ার মত :/ � একদি� মুমি� এর ডা� পড়ে তা� স্কুলে� মালিকে� বাসায় � � বাসা� সবার ধারণ� মালিকে� মেয়ের উপ� ভর করেছ� কিছু একটা � তা� মুমি� এর কা� তাকে সুস্� কর� তোলা � এই কা� করতে গিয়� আটকে যায় মুমি� � তখ� সে শরণাপন্ন হয� বই এর আরেক মূ� চরিত্র অ্যানিমা� কাছে � সে একজন ম্যাজিশিয়ান � তারপ� দুজন মিলে ঘটনা� শেকড� উপড়াত� গিয়� পড়ে যায় আর� গভী� বিপদ� � সামন� একটা গা শিউরান� বিপদ বে� হয়ে আস� যা পুরো পৃথিবী� মানুষে� জন্যেই ভয়াবহ � বইটা পড়লেই যে কে� বুঝত� পারব� যে লেখক জানে� যে তিনি কি লিখছেন আর কেমন অডিইয়েন্সের জন্য� লিখছেন � আর ম্যাজিকা� এলিমেন্ট এর ব্যাবহার গুলো� ছি� গোছানো � আমার খালি অসঙ্গত� লেগেছে বই এর মাঝে গিয়�, কিছু কিছু জায়গা ছি� যা� বর্ণনা না দিলে� বই এর ঘটনা� কো� সমস্যা হত না � এটকু� চোখে পড়ব� আসলে � কিন্তু শেষট� বড্ড তাড়াহুড়োয় হয়ে গিয়েছ� � এত সুন্দর বিল্ডা� এর পর� ভিলে� এর কা� থেকে আরেকটু ফাইটব্যা� আশ� করেছিলাম � লেখায় কো� জড়তার ছা� � নে� � একটা প্লট থেকে আরেকটা প্লট � বিচর� � খু� সাবলী� � আর� ভালো ভালো বই আশ� করছি লেখকের কা� থেকে সামন� �
না�! এই ভদ্রলো�, মানে তানজী� রহমা� যে একটি জিনিয়াস� �-কথ� না মেনে উপায� নেই। এই উপন্যাসটার কথাই ভাবুন। কাহিনি শুরু হল এক অত� বীভৎ� হত্যাকাণ্ড দিয়ে� বুদ্ধিতে যা� ব্যাখ্যা চল� না� তাহল� কি এই রহস্যে� অনুসন্ধা� নিয়েই গড়ে উঠতে চলেছ� বইয়ের বাকিটা? স্ট্রাইক জিরো! এক অত� সাদামাটা শিক্ষকের কাঁধ� চাপল এক মস্ত বড়ো দায়িত্ব� সেটা পালন করার মত� পুঁজ� কি আদ� আছ� তা� কাছে? উহুঁ! আর সে-কথ� সবচেয়� আগ� স্বীকা� করবে সেই। তাহল� তাকে� কে� বেছে নেওয়া হল এই সমস্যা� সমাধানের জন্য? স্ট্রাইক ওয়া�! সে� মানুষটির ব্যাকস্টোর� পড়ত� গিয়েই আপনা� ঘাড়� লেগে থাকা ছোট্� চুলগুল� দাঁড়িয়� পড়বে। আপনি বুঝবেন, এই উপন্যা� ঠি� সহ� ছক মেনে এগোব� না� চলতে থাকব� কাহিনি� অচিরেই কেন্দ্রীয় চরিত্র মুমিনে� মত� আপনি� পড়বেন একেবার� অথ� জলে। নানা চরিত্রের সন্দেহজন� আচরণ আর স্বার্থে� মধ্য� ঘটনাটা প্রাকৃ� না অপ্রাকৃত� সেটা� আপনি বুঝত� পারবেন না� অসহায় হয়ে আপনি স্পেশালিস্টে� সন্ধান করবেন। সে কে হত� পারে? অজস্� পুথিপত্রের মাঝে নিবিষ্� অধ্যাপ�? কালো চশমা� আড়ালে নিজে� ভয়া� শক্তিক� লুকিয়� রাখা কোনো বেদনার্ত আত্ম�? নাকি আয়র� মেইডেন টি-শার্� পর�, অগোছাল� ঘর� মোরগ পোষা আর নিজস্ব রেসিপি দিয়� শরবত বানানো এক হাসিখুশি বাচা� মেয়ে� যে নিজেকে 'অ্যানিমা' বল� ডাকে? স্ট্রাইক টু! এইভাবে, ধাপে-ধাপে লেখক এই কাহিনিতে উত্তেজনা আর বৈচিত্র্যে� পারদ ঊর্ধ্বমুখী করেছেন� আমরা ছিটক� গেছি এক ভয� থেকে আরেক ভয়ে� লেখক আমাদের জানিয়েছেন কিংবদন্ত� আর বিশ্বাসে� নানা স্তর সম্বন্ধে� যে ভাঁজগুলোয় লুকিয়� থাকে অবিশ্বাস্য আতঙ্কে� উপাদান� একদম শেষে পৌঁছ� আমরা দেখেছি আস� শত্রুকে। কিন্তু তাকে দেখে ক্রো� বা ঘৃণা� বদলে অসহায়তা, আর অনেকটা� ক্ষমার ভা� জম� হয়েছে আমাদের মনে। আমরা আর� ভালোভাবে চিনেছি প্রটাগনিস্টদের� শেষত� লাইনটা পড়া� পরেও আমরা পাতা উলটে দেখত� চেয়েছি� আর� কিছু আছ� নাকি? স্ট্রাইক... এন! যদ� আপনি ভয়ালরসে� অনুরাগী হন, তাহল� এই গতিময়, বহুস্তরীয়, বৈচিত্র্যময় এব� বহ� সম্ভাবনা� জন্ম দেওয়া বইটি আপনা� কাছে অবশ্যপাঠ্য� তানজী� রহমানে� আর� মৌলি� লেখা পড়া� অপেক্ষায� রইলাম।
হর� টাইপ বই এক আধটা পড়ে ফেললেও জীবনেও রাতে পড়া� মত� ভু� কখনও কর� না� কাজে�, বইয়ের প্রথ� পৃষ্ঠায় লেখা সময় সূচি� সম্পুর্ণ বিপরী� সময়� পড়েছি� যেমন, লেখক যদ� বইয়ের আস� মজ� পাবা� জন্য � সূচিতে লিখে রাখে� রা� বারোটা কিংব� একটা� দিকে এই চ্যাপ্টারট� পড়বেন, বেস্� হয� একলা একলা পড়লে। দেখা গেছে, দিনে� ফকফক� আলোত� এক ক্লাশরুম ভর্ত� ছেলে-মেয়ের মাঝখান� বস� বস� আম� বইয়ের ওই চ্যাপ্টারট� পড়ছি। এই কর� কর� গেলো অনেকদূর। এন্ডিঙের কাছাকাছি এস� আর নিজেকে সামল� রাখত� পারিনি� যখ� বই পড়া শে� হল�, ঘড়িতে তখ� রা� দুইট� কি আড়াইটা। -_- বাতাসে পর্দ� উড়ছ�, আর পর্দার ফাঁক দিয়� দেখা যাচ্ছে অন্ধকার। আর আমার মন� হচ্ছ� অন্ধকা� থেকে বইয়� বর্ণিত যাবতীয় জ্বি� � অন্যান্য স্পিরিটেরা আমার দিকে তাকিয়� হ্যা হ্যা কর� হাসছ� আর মু� ভ্যাংচাচ্ছ�! ঘুমে চো� টুলটুল, তা� ঘুমাতে পারছ� না ভয়ে� রুমমেটকে বুঝিয়� পরপর কয়ে� রা� লাইট জ্বলিয়ে ঘুমিয়েছি। কী যে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা! তা� কপাল ভালো এন্ডিংটা ঠি� পছন্� হয� না�, তা� পুরাটা বই পড়ে ঠি� যতটুকু ভয� পাবা� কথ� ছি�, অতোট� পাইনি। শে� দিকে সব কিছু এত� দ্রু� শে� হয়েছে মন� হচ্ছিল, প্রকাশ� হয়ত� বা লে���ককে খু� তাগাদা দিচ্ছিলে� বইটা শে� করার জন্য, তা� লেখক কোনমতে ইত� টেনে ডেডলাই� পা� হয়ে যাওয়া থেকে বেঁচেছেন� আর� কিছু পৃষ্ঠা বাড়লে মানে আরেকটু বিশদ বর্ণনা হল� বোধহয় আর� বেশি ভালো হত�, পাঠক আর� বেশি ভয� পেতো (আর আম� হয়ত� বা মর� ভূ� হয়ে যেতা�, যাকগ� ভালো� হয়েছে যা হবার)
বইয়ের রিভি� লিখত� যেয়� বিশালাকারে নিজে� অভিজ্ঞতা ফেঁদ� বসলা� :3 আসলে আমার কাছে অক্টারিন মানে� ভয়ে বে� কয়ে� রা� ঠিকমতো না ঘুমাতে পারা� কারও কাছে হয়ত বা আমার কথাগুল� অত্যুক্ত� বল� মন� হত� পারে� তা� আগেভাগ� স্বীকা� কর� নিচ্ছি আম� কিন্তু প্রচন্� রকমে� ভীতু একটা মানুষ। ধন্যবাদ।
প্রথমবার বইটা পড়ে যে ভয� পাইসিলাম, স্পেসিফি� সব কারণ বা ডিটেইল� পরবর্তীতে হুবহ� মন� না থাকলেও মনের মাঝে একটা 'ভয�' বাসা বেঁধ� ছিল। এন্ডিং নিয়� তখ� বে� কিছুটা আপত্তি ছি� আমার কিন্তু এবার� অক্টারিন রিভিশন দিয়� আপত্তিটা কাটলেও পুরোটা বই দুর্দান্� ভাবে এগিয়ে শেষদিকের তাড়াহুড়া নিয়� এখনও আমার আপত্তি আছে। যা হো�.. এবার� অক্টারিন জগ�:সবুজ পড়া� পালা� সে� কারণেই বইটা আবার পড়া� দেখা যা�.. কী আছ� কপালে।
অক্টারিন পড়ে মন� হল লেখকের বড� ধরনে� সাহস আছ� :3 এই আই এসের যুগে ইসলামে� সাথে ম্যাজি� মিলানো সাহসের বিষয়। আম� ইসলা� নিয়� তেমন কিছু জানি না জানা� যে খু� বেশি ইচ্ছ� আছ� এই রকমও না � তব� আমার ক্ষুদ্� জানা শোনায় যত টুকু বুঝেছি কিছু জিনিসে ঘাপল� আছে।যেমন ইয়াজু�-মাজুজে� ব্যপারটা ইসলা� নিয়� জ্ঞা� খুবই কম কিন্তু মন� হয� ইয়াজু�-মাজু� শুধুমাত্� আল্লাহ তালা� নির্দেশই বে� হব� � ( শিওর না খু� সম্ভবত সূরা কাহাফে আছ� কিংব� দ্যা এরাইভালে দেখেছিলা�) এক তান্ত্রি� এস� বে� করবে জিনিসট� ইসালামের সাথে যায় না�
বাকি কিছু� ধরতে পারছিন� কারন জানি না যে� জিনি� জানি না সে� জিনিসে ভু� ধর� যায় না� অবশ্� ফিকশনে ভু� ধরতে যাওয়াটা� বোকামি, তা� মুসলিমরা খু� এরোগেন্ট টাইপ বল� লেখক� ছিলে ফেলত� পারে� এই বইয়ের জন্য �
আরেকটা জিনি� নিয়� লাগত� পারে ম্যাজিকে� বিষয়টা। ম্যাজিকক� খু� সম্ভবত ইসলামে� শত্র� কুফর� টাইপ কা� মন� কর� হয়। তা� একজন কালি� পা� হুজু� ম্যাজিকে� সাহায্� নিবে জিনিসট� কারো কাছে পছন্� না� হত� পারে� যদিও আমার কো� কিছু� মন� হয� নি� জ্বী� নিয়েও বলার কিছু নাই। এক সময় যেটাকে জিনে ধর� বল� হত সেটা এখ� মানসিক সমস্যা� ক্যাটাগরিত� ফেলাহয� � মানু� হবার এই এক সমস্যা সময়ের সাথে সাথে জ্ঞানে� চেঞ্� আসে। ম্যাজি� জিনিসট� আমার খুবই পছন্� � ভয়াবহ ধরনে� পছন্� এক সময় নিজে নিজে ম্যাজি� করার ট্রা� করতাম। ১০১ট্রিক্স থেকে কিছু জিনি� শিখেওছিলাম� তব� সত্য� বলতে কি ট্রিকসের প্রত� আগ্র� না� কিছু না পেয়� ট্রা� মেরেছিলা� আর কি� ম্যাজি� প্রিয়তা� কারনেই অ্যানিমা চরিত্রটা বে� পছন্� হয়েছে �
ভিলেনে� ক্যারেক্টারাইজেশ� খুবই বাজে যে কিনা বাংলাদেশের সেরা সেরা ম্যাজিশিয়ানদে� ঘো� খাওয়াতে পারে, সেরা একজনকে মেরে ফেলত� পারে তা� উপস্থিতি, ফাইটব্যাকট� আর� ভা� হওয়� দরকা� ছি� যদিও শুরু একেবার� শেষে না গিয়� বুঝা যায় নি ভিলেনকে।
উপন্যাসে� এই ব্যাপা� টা দারু� লেগেছে, লেখক চরিত্র, ইভেন্ট সম্পর্কে হা� খুলে লিখেছে�, যদিও প্রয়জনে� থেকে বেশি� বড� কর� ফেলেছে� যা রাবা� এর ফি� দিয়েছ�, তব� আমার কাছে একটু ডিটেলস � লেখা দারু� লাগে� এক কথায� লেখকের লিখনশৈলী বে� ভালো ছিল।
পল্ট এর দি� থেকে আমার কাছে শেষে� আগ পর্যন্� ইউনি� লেগেছে � যদিও গল্প পার্সন টু পার্সন ভ্যারি কর�, তবুও ইউনি� একটা গল্প এক্সিকিউশন এব� প্লটের তুলনায� যদিও এন্ডিং � বেটা� করার চান্� ছি�, সব মিলিয়� আমার কাছে বেশি ভালো� লেগেছে�
আর কি চা� মৌলি� হর� মিস্ট্রি/ আরবা� থ্রিলারে?
★গল্পে� মাঝে ছো� কিছু যায়গা� খেয় হারিয়� ফেলা, যেখানে কোনো ডিটেইলিং এর দরকা� নে� সেখানে �-� পাতা এক্সট্রা লেখা - সামান্� কিছু ভু� ছি� অবশ্য। যেগুলা চেষ্টা করেছ� অভারলু� কর� গল্প� ফোকা� করার� অবশ্� এগুলোর এফেক্ট যদ� গল্প� পরতো তাহল� অবশ্যই তা অভারলু� কর� যেতে পারতাম না�
বাতিঘর প্রকাশনী� লেখকদে� জন্য কি কো� নির্দেশন� থাকে যে, বইয়ের ৮৫% জুড়� কাহিনী গুছিয়� নিয়� এরপর ঝড়ো বাতাসে লুঙ্গি তুলে ট্রে� ধরার জন্য দৌড়াত� হব�? আর সে এমনই দৌড় হব� যে, আগের কাহিনী� পুরো আমেজটা� বারোটা বেজে গিয়� পাঠক দাঁত কিড়মিড় করবে গোঁজামিলের জন্য? রীতিমত হতাশাজনক� পুরো কাপড� ভালভাব� বুনে শেষে সুতো কোনমতে গিঁট বেঁধ� দিলে আস্ত� আস্ত� কাপড়টাই খুলে যায়, এট� বোঝানো� জন্য কিছু ভা� সম্পাদ� এই দেশে কব� আসবে? একটা বই যদ� ৩৮� পৃষ্ঠা দেখে ৩০� টাকা খর� কর� পাঠক কেনে, তাহল� আর� ৫০-৬০ পৃষ্ঠা পড়া� জন্য বাড়তি ২০ টাকা� সে খর� করবে� আর যে সেটা করবে না, সে এমনি� ৩০� টাকা দিয়� বই কিনব� না� বইটা নিয়� বলি। লেখাটায় বিষয়বৈচিত্র্যের জন্য � দেয়� যে�; বে� নতুনত্� আছে। ধর্মীয় আচার-বিশ্বাসে� সাথে ম্যাজি� মিলিয়� বে� ভা� একটা প্লট ছিল। লেখক বে� ভা� স্টোরিটেলা�, কিন্তু একান্ত� আমার ব্যক্তিগ� অনুভূত�, লেখা� ধরণট� অনেকটা চিল্ড্রে�'� হররে� মত; মানে আমার বয়স ১৫ বছ� হল� হয়ত� ভয� পেতা�, এখ� মন� হচ্ছ� বিষয়ট� যে ধরণে� সিরিয়াস (দুনিয়� ধ্বং� কর� দেয়ার মত ব্যাপা�-স্যাপা�, মৃত্যু, নৃশংসত�), লেখা� ধরণে সে� সিরিয়াসনেসট� একেবারেই আসেনি। অনেকটা--"শুনছ� নাকি, কালক� দুনিয়� ধ্বং� হয়ে যাবে? �, তা� নাকি, তাহল� তাড়াতাড়ি চল� ভিলে� ব্যাটাদে� আটকে দেই।" অ্যান্� ইট'� সিম্পল� লাইক দ্যাট।ম্যাজিকে� ব্যাকগ্রাউন্� নিয়� কথ� বল� হয়েছে, কিন্তু সেগুলো প্রয়োগে� জায়গাগুলো বে� ছাড়� ছাড়�, সবকিছু� যে� বে� সহজে হয়ে যাচ্ছে� ২ট� পোলাপা� ভাবল� ভয়ঙ্ক� কো� শক্তিক� আটকাবে, ৩৭� পৃষ্ঠা প্যাঁচানোর পর তাকে শে� করতে � মিনিটও খরচা হল� না� ইফ এভরিথি� ওয়্যা� দ্যা� সিম্পল! কিন্তু পজিটিভ ব্যাপারট� হল�, � ৩৭� পৃষ্ঠা পর্যন্�, খানিকট� ছেলেমানুষি ধরণে� ডায়াল� আর লেখা দিয়েও, গল্পের ধরণে� কারণ� টেনে পড়া গেছে� মূ� প্রটাগনিস্টদের মাঝে মুমিনে� ক্যারেক্টারট� মোটামুটি ডেভেলপ�, অ্যানিমারট� নিয়� আর� কা� কর� যে�, খুবই ইন্টারেস্টিং ব্যাকগ্রাউন্� যেহেতু� (উদাহরণ হিসেবে এক� প্রকাশনী� আমের আহমে�-এর 'পাপপিঞ্জ�' বইটা� কথ� বল� যায়� সেখানে মূ� প্রটাগনিস্� নিশা'� ক্যারেক্টারট� এত দারুণভাব� ডেভেলপ কর� হয়েছে যে, নায়� তো নায়�, আম� নিজে� নিশা'� প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম� এত শক্তিশালী নারী চরিত্র এত সুন্দরভাবে ব্যাকগ্রাউন্� সহ গড়ে তোলা হয়েছে যে, চরিত্রটা� কো� কথ� বা আচরণ বা ক্ষমতা কোথা� বিন্দুমাত্� খাপছাড়া লাগে না�) ভিলে� কাউকেই বিশে� পাত্তা দেয়� হয়ন�, যেটা ভয� পাওয়ানো� জন্য জরুর� ছিল। তারপরে� � দিতা�, কিন্তু মেজা� খারা� হয়ে গেছে ভূমিকায় একটা হালক� স্টান্টবাজ� দেখে� বইয়ের এত নাম্বা� চ্যাপ্টা� ঘড়িতে এত বাজল� পড়ত� হব�, লেখক বলেছেন� ওক�, এনাফ� যদ� লেখক চা� ১২ বছরে� (হু�, ১৫ থেকে ১২তে নামালা�) বাচ্চা এই বই পড়ব�, অথবা পাঠকের ম্যাচ্যুরিটি ১০-১২ বছরে� বাচ্চা� মত হব� (যদিও আজকালকার ১০-১২ বছরে� বাচ্চারা� আমাদের চেয়� স্মার্�), তাহল� হয়ত� এই স্টান্� কা� করতে পারে, নাহল� এস� কথাবার্ত� বিরক্তিই বাড়ায� শুধু� বাংলাদেশের পাঠক সমাজকে ছাগল মন� করার একটা প্রবণত� লেখকদে� মাঝে আছ�; এই সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্� থেকে বেরিয়� আসতে পারল� নিজে� লেখা� মানই অনেকটা বাড়বে, এট� কে� তারা বোঝে� না কে জানে! ভা� পাঠক প্রচুর পড়ে, এব� ভা� লেখা-মন্দ লেখা চেনা� ক্ষমতা� তা� আছ�, কাজে� তা� বুদ্ধিমত্তার দিকে একটু সম্মান রাখল�, পাঠক� আপনাকে সম্মান করবে� রেসপেক্ট ইজ মিউচুয়া�, সো ইজ রিডিকুল।
বইটা হাতে পাওয়া� পর রা� পর্যন্� অপেক্ষ� করেছিলাম, পড়া শুরু করার জন্যে। লেখক পড়া� যে সময়সূচি দিয়েছিল শুরুতে, ওট� যে না বুঝে দেয়নি, এট� আমার আগেই বোঝা হয়ে গিয়েছিল�
পড়া শুরু করেছিলাম যখ�, তখ� রা� তিনটার উপরে বাজে; এই বিশে� সময়টা খুবই রহস্যময়, বেশিরভাগ অতিপ্রাকৃত ঘটনা� এই সময়টাতে ঘট� থাকে বল� আমার বিশ্বাস। অক্টারিন পড়া� সর্বোতকৃষ্� সময় আমার মত�, এটাই—রাত তিনটার দিকে�
গল্পটা শুরু হয� হাশে� নামে এক দারোয়ান এর পয়েন্� অফ ভি� এর মাধ্যমে। চ্যাপ্টা� এর শেষে� লোকট� অতিপ্রাকৃত বৃক্ষে� আক্রমণ� মারা যায়� কিন্তু ওই চ্যাপ্টারটার মাধ্যমেই খু� গুরুত্বপূর্ন একটা ফোরশ্যাড� কর� হয়েছিল। আর সেটা হচ্ছেঃ সামথিং হিউজ ইজ কামিং।
পরের চ্যাপ্টারে গল্পটা চল� যায় একজন অপ্রকাশি� ন্যারেটর এর কাছে; একজন থার্� পারস� অমনিশিয়েন্ট ন্যারেটর যিনি বর্ণনা করতে থাকে� প্রধান প্রটাগনিস্� মুমি� সম্পর্কে� এই ‘অ� নোয়িং� ন্যারেটর মুমিনক� পাঠকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েই বিদায় নে� আর এরপর� গল্পটা চল� যায় সরাসরি মুমিনে� কাছে� ক্যামেরাটা গিয়� সে� হয� মুমিনে� চোখে� ভেতরে। এরপর থেকে� থার্� পার্সন লিমিটে� পয়েন্� অফ ভিউত� ন্যারে� কর� হত� থাকে গল্পটি� পুরো উপন্যাসটিত� কয়েকট� TPL POV ব্যবহা� কর� হয়েছে, যা লেখকের সিগন্যাচার স্টাইল বলেই মন� হচ্ছ� আমার কাছে�
আমাদের গল্পের নায়�, মুমি�, কোনো এক স্কুলে� ইসলা� শিক্ষা� টিচার। তা� কথ�-বার্তা আর চরিত্রের বর্ণনায় আমাদের মাথায় ফুটে উঠ� সে� মাদ্রাসা ছাত্রে� কথ�, যাকে আমরা আমাদের আশেপাশ� দেখি; শান্�, সহ�-সর�, ভদ্র, অপ্রয়োজনীয় কথ� বল� না ইত্যাদি। সেদি� স্কুলে ঢোকা� পর হেডস্যার তাকে ডেকে পাঠায় এট� জানানো� জন্য� যে ওদের স্কুলে� চেয়ারম্যা� ম্যাডা� ওক� বাসায় যেতে বলেছেন—কাজটা খুবই গুরুত্বপূর্ন নিশ্চয়ই, নাহল� এভাব� হু� কর� ডেকে পাঠাতে� না�
ম্যাডামে� বাড়িত� গিয়� মুমি� জানত� পারে যে তা� মেয়� আয়েশা গত দু� সপ্তাহ ধর� বিছানায় শুয়� আছ�, কিছুতে� উঠছে না! ম্যাডামে� ধারণ�, এট� একটা জিনে� কাজ। আর সে� জি� তাড়ানোর জন্যেই মুমিনক� নিয়� আস� হয়েছে এখানে।
মুমিনে� গায়� কাঁট� দিয়� উঠে। যে তমশাচ্ছন্ন কূ� থেকে সে পালিয়� বেড়াচ্ছিল জীবনের অনেকগুলো বছ�, সে� অপার্থিব, অন্ধকা� গহ্ব� আবার� ওক� খুঁজ� পেয়েছে।
কী সে� অন্ধকা� গহবর?
বেশিক্ষণ অপেক্ষ� করতে হব� না� কারণ গাড়িত� কর� ফিরে আসার সময় মুমিনে� ফ্ল্যাশব্যাক হয�, সে অতীতে� চোরাবালিতে হারিয়� যায়� এব� এইভাবে ফ্ল্যাশব্যাক টেকনিকের মাধ্যম� লেখক খু� চাতুর্যে� সাথে বর্ণনা করেছেন মুমিনে� ছোটবেলার কথা। জানা যায়, কে� সে এই ব্যাপারটার মুখোমুখি হত� এত ভয� পায়� ঘটনাটা রাতে� দুইট�-তিনটার সময় পড়ল� সবচেয়� সাহসী ব্যক্তির� হাড় কেঁপ� উঠ� অস্বাভাবিক নয়।
যা� হো�, এরপর মুমি� এক সপ্তাহ অনেক চেষ্টা করলো; জি� তাড়ানোর যত উপায� আছ�, সব প্রয়ো� করলো আয়েশা� উপর। কিন্তু ফলাফলঃ জিরো�
এরপর সে এই ব্যাপারে সাহায্� করার জন্য� খুঁজ� বে� করলো একজন ম্যাজিশিয়ানকে, যা� না�, অ্যানিমা—আসল না� নয�, ছদ্ম নাম। জাদুকরের� তাদে� আস� না� কখনো প্রকাশ কর� না� And that is for a good reason.
মুমি� আর অ্যানিমা এরপর থেকে একের পর এক অবিশ্বাস্য আর অসম্ভব অ্যাডভেঞ্চার করতে থাকে, সে� সাথে একটু একটু কর� এগিয়ে যেতে থাকে রহস্� সমাধানের পথ�, যা পড়ত� গিয়� হাতে� লোমগুল� দাঁড়িয়� যায়, যে� ওদের স্থি� অবস্থায় বস� থাকত� অনেক কষ্ট হচ্ছে।
এভাব� একের পর এক ম্যাজিকে� আর হরিফিক ঘটনা� মাধ্যম� লেখক গল্পটিকে সমাপ্তির দিকে নিয়� গিয়েছেন� গল্পটা সমাপ্ত হওয়ার পর আপনা� মন� হবেঃ যা� শালা, এটার সিরি� হল� তো মন্দ হয� না!
আমার মন� হয� না, নিরা� হত� হবে—যদি আম� গল্পের ভেতরের সংকেতগুল� ঠিকমতো বুঝে থাকি�
উইজার্ডি� ডুয়েলগুলো নিয়� অবশ্যই বল� উচিত� উইজার্� আমরা সবাই চিনি, কিন্তু তাদেরক� দিয়� যে এরকম নতুন উপায়ে যুদ্� করান� সম্ভ�, এট� আগ� কখনো দেখিনি বা শুনিনি� উইজার্� ফাইটগুলো অতিরিক্ত মাত্রায় চমৎকার�
একদম শেষে� যুদ্ধটাও আমার কাছে খু� ভালো লেগেছে, যেমন হওয়� উচিত ছি�, ঠি� তেমন� হয়েছে�
গল্প� ব্যবহৃ� উপমাগুলো একদম বুকে লাগা� মতো। সিমাইলকে ভালোভাবে ব্যবহা� করলে যে কী কর� সম্ভ�, সেটা অক্টারিন পড়লেই বোঝা যায়�
গল্পের একদম শেষদিক� এস� অডিয়েন্� সারোগ্যা� হিসেবে ব্যবহা� কর� হয়েছে মুমিনকেই� পাঠক যা যা জানত� চেয়েছ�, সবগুলো প্রশ্ন� মুমি� নিজে� মুখে করেছ� অ্যানিমা� কাছে, যে ওগুলোর প্রত্যেকটি� সঠিক উত্ত� দিয়� পাঠকের কনফিউশান দূ� করেছিল� মন� হচ্ছিল যে� মুমিনে� জায়গায় পাঠক বস� আছ�, আর অ্যানিমা� যায়গায় লেখক বস� আছ�, উত্ত� দিয়� যাচ্ছে একের পর এক�
গল্প� বলার মত� সমস্যা চোখে পড়েছে মাত্� দু� যায়গায়� প্রথমটাত� TPL POV থেকে হু� কর� জাম্� দিয়� TPO POV-তে চল� গিয়েছিলেন লেখক; পাঠক এইমাত্� ছি� মুমিনে� মাথায়, হঠাত করেই চল� গে� ম্যাডামে� মাথায়� তব� সেটা খু� অল্প সময়ের জন্যেই ছিল। দ্বিতীয় সমস্যাটা ছি� রুহু� আমিনের ঘটনায়—যেটার কারণ� মুমি� জি� এর মুখোমুখি হত� চাইত� না� ওখান� একটা জায়গা� বর্ণনাটা এম� ছি� যে, যা� পারস্পেক্টিভ � বর্ণনাটা কর� হচ্ছ�, সে দেখেনি, এম� কিছু বল� ফেলা হয়েছে� মানে থার্� পার্সন লিমিটে� ছেড়� হঠাত করেই অমনিশিয়েন্ট মোড় � চল� গিয়েছিল ন্যারেটিভটা। তব� এই দুটো সমস্যা আসলে বিশা� সমুদ্রের বুকে ভেসে থাকা দুটো ডিঙ্গি নৌকা� মতোই, সামগ্রীকভাব� দেখল� চোখে� পড়ে না�
ছোটবেল� থেকে� জিনে� কথ� প্রায় সবার মুখে� শুনে আসছিলাম।কিন্তু জি� নিয়� ফার্স্� কো� বই পড়লাম�
আম� যতোট� ভয� পাবো ভাবছিলাম ততোট� পায়নি।ওয়েল... পাইন� বল� আমার জন্য ভালো হয়েছে�(আম� হর� জনরা� বই পড়িনা কারণ আম� জি�,ভূ�,পেত্নী, চুড়েল এইসব খুবই ভয� পা�....এত� ভয� পা� যে, রাতে বাথরুম� এক� যেতে সাহস পাইন� :p) কিন্তু আর্ক� পড়ে রাইটারের ফ্যা� হয়ে গিয়েছিলাম, তা� অক্টারিন দেখে না পড়ে থাকত� পারলাম না(তা� উপ� এত সুন্দর প্রচ্ছ� দেখে পড়া� লো� সামলাত� পারিনি)�
কে� জানি আমার আর্কনটাই বেশি ভালো লেগেছিল।(অক্টারিন খারা� লেগেছে তা কিন্তু না) মেবি আমার হর� জনরা পছন্দে� না তা� আর অক্টারিনের প্রোটাগনিস্টকে পছন্� হয়নি।আ্যনিমাক� "আপনি" বা "আপ�" বল� ডাকাটা � কেমন জানি লেগেছিল।অক্টারিন নিয়� আর একটু ডিটেইল� আলোচনা করলে অবশ্� ভালো হতো। এছাড়া, সবকিছু� ভালো লেগেছে স্পেশালি, অসাধার� লেখা� স্টাইল,ফিগা� অফ স্পি� এর যথোপযুক্� ব্যবহা� এব� অবশ্যই বইটি পড়া� আদর্� সময়সূচী(এইটা বে� ইন্টারেস্টিং ছি�)� লেখকের নেক্সট বইয়ের জন্য শুভকামনা রইল।আশাকরি,আমরা আর� ভালো বই পেতে যাচ্ছি লেখকের কা� থেকে�
ঠি� যতটুকু এক্সপেকটেশ� নিয়� পড়া শুরু করেছিলাম, ততটুকু পূরণ করতে পারেনি বইটি�
লেখক বইটি লিখবার পেছন� অনেকটা সময় খর� করেছেন সেটা বুঝত� কো� অসুবিধ� হয� নি, কিন্তু কিছু কিছু বিষয� অকারণে� গল্প� টেনে আন� হয়েছে বল� মন� হল, স্কি� করতে হয়েছে� পুরো কাহিনী উপস্থাপন� আর� কয়েকট� পাতা কম ব্যবহা� করলে হয়ত� পড়ত� একটু বেশি ভালো লাগতো। :)
Never thought that I'd find a Bangla book that successfully blends jinns, metalheads, Ayatul Kursi and Chaos Magic together - a very pleasant surprise.
বে� ভালো একটা বই� লেখক যে অনেক পড়াশোনা কর� বইটা লিখেছে� সেটা বে� স্পষ্ট� বেশকিছ� তথ্য আর তত্ত্বের কথ� এনেছেন যেগুলো সম্পর্কে আর� জানা� ইচ্ছ� জন্মেছে। পুরো বইতে লেখক থ্রি� আর হররট� ধর� রাখত� পেরেছিলেন। প্রথ� পৃষ্ঠা� সে� অদ্ভূত ঘটনা� ব্যাখ্যা জানা� জন্য তা� প্রায় চারশ� পৃষ্ঠা� বইটা পড়ত� তেমন একটা বিরক্ত� আসেনি। এই থ্রি� ধর� রাখা আর পাতা� পর পাতা ভৌতি� সব কর্মকাণ্� দিয়� টেনে নিয়� যাওয়া বইটা� পজিটিভ দিক।
আর যদ� নেগেটি� দি� বল� তাহল� বল� কিছু জায়গায় অতিরিক্ত লম্ব� করার কথা। এছাড়া বল� যায় ভিলে� চরিত্রটা ততটা ফোটাতে না পারা, শেষট� বেশি তাড়াহুড়ো করা। প্রধান চরিত্র মুমিনে� একজন পাঞ্জেগানা নামাজি হয়ে� জাদু� প্রত� এত ভক্ত� কিছুটা বেখাপ্পা� লেগেছে অবশ্য। মোটে� উপ�, ভালো�
গল্পের প্রধান চরিত্র মুমি� - এক হাইস্কুল� ইসলা� শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষকতা কর� সে� অতীতে� কিছু অপ্রিয� স্মৃতি সময়� সময়� তাকে তাড়� করলে� আপাত�-সাধারণ জীবন বে� নির্বিঘ্নে কেটে যাচ্ছিলো তার। কিন্তু বেশিদি� সেরক� চলতে পারল� না - এক শুক্রবার সকাল� নাশত� খাবা� জন্য বসতে না বসতে� ফোনক� আসলো হাইস্কুলের এসিস্ট্যান্ট হে� আজগর স্যারে� কা� থেকে�
শুক্রবার কল পেয়� যতোট� না অবাক হল� মুমি�, তা� চেয়� বেশি অবাক হল� "ম্যাডা�" এর তর� থেকে তা� ডা� পড়েছে শুনে� ম্যাডা� হলেন এক প্রয়া� প্রভাবশালী ব্যবসায়ী কলিমুদ্দিন-এর স্ত্রী, যা� ফান্ডে� টাকায় মুমিনদের হাইস্কুলটি চলে। তা� তো কোনো দরকা� থাকবার কথ� নয� মুমিনে� সাথে! কিন্তু না গিয়� উপায়ও নে�, অতএব ম্যাডামে� পাঠানো গাড়িত� কর� তা� প্রাসাদস� বাড়িত� গিয়� হাজি� হল� সে�
সেখানে অপেক্ষ� করছিলো আর� বড� বিস্ময�, তা� হাতে ধরিয়ে দেয়� হল� এক গুরুদায়িত্ব� ম্যাডামে� মেয়� আয়েশা অসুস্থ - কোনো স্বাভাবি� বা পরিচিত ধরণে� অসুখ নয� সেটা� কয়েকদিন ধর� একটানা ঘুমাচ্ছে সে, একবারও জেগে উঠ� নি - ডাক্তারর� কোনো উপযুক্� কারণ দেখাতে পারছ� না� এব� এই অসুখের সাথে সাথে শুরু হয়েছে বাড়িত� আশ্চর্যজনক আর ব্যাখ্যাতী� সব ঘটনা� কি ভর করেছ� আয়েশা� উপ�? কোনো অতিপ্রাকৃত শক্তিই তো ঘটাচ্ছ� এস�! আর মুমি� কি পারব� � সমস্যা� সমাধান করতে?
পা�-প্রতিক্রিয়া�
এক লাইন� মতাম� হল� - বহুদিন পর কোনো বাংলাদেশী বই পড়ে এত ভালো লাগলো। এখ� বিস্তারি� আলোচনায় আসি।
পজেশ� মিস্ট্রি/থ্রিলা� এই জন্রার বই আমার কাছে নতুন নয�, বাইরের বে� অনেকগুলো বই� পড়া হয়েছে� তা� বিশা� কিছু ভেবে পড়া শুরু কর� নি শুরুতে, কিন্তু ভালো লাগা� সর্বপ্রথ� কারণ হল� চমৎকার এফোর্ট� দেশী লেখকদে� মধ্য� যে জিনিসট� দেখত� পেলে সবচেয়� প্রথমে এপ্রিশিয়ে� করার চেষ্টা কর� তা হল� পড়াশুনা, রিসার্� কর� আর পরিশ্র� নিয়� লেখাটা - কারণ এখ� এটার অভাব� সবচেয়� বেশি দেখা যায়�
নতুন কিছু ইনফরমেশন জানত� পারলাম, আর লেখা� ধরণও ভালো লাগলো। গতিশীলত� ছি�, ধর� রাখা� মত� উপাদান ছিল। ভয়ে� ব্যাপারটায� বলবো - ভয� পাবে� কি পাবে� না এট� আসলে ব্যক্তিগ� ব্যাপা�, সবাই এক� জিনিসে ভয� পায় না� তব� গতকা� রাতে পড়ত� গিয়� আমার নিজে� কয়ে� জায়গায় খু� গায়� কাঁট� দিয়েছে। কিন্তু একবসায� পড়ে� উঠেছি।
নেগেটি� দি� বলতে গেলে মুনি� চরিত্রটাকে তেমন ভালো লাগে নি, আরেকটু স্ট্রং হত� পারত� সম্ভবত� আমার পছন্দে� চরিত্র অ্যানিমা, আর ছোট্� একটুখানি সময়ের জন্য উদয় হওয়� যিনি প্রত্যক্ষভাব� চলন্� গল্প� ছিলেনও না সে� জহুর� চাচা� ছোটখাট কিছু ভু�, টুকটাক বানা� একদম খামচ� না ধরলে সুখপাঠ্য একটা বই�
"পজেশ� মিস্ট্রি" এই একটা কথাই যথেষ্ট ছি� বইটাকে এত আগ্র� নিয়� পড়া� জন্যে। এরকম বিষয� নিয়� এই প্রথ� কিছু পড়লাম� বলতে দ্বিধা নে�, অসম্ভব ভালো লেগেছে� এত ডিপল� ব্ল্যা� ম্যাজি� নিয়� লেখা, আর প্রত্যেকটা� এত সুন্দর বর্ণনা(যদিও কোথা� কোথা� অতিরিক্ত বর্ণনা ছি�), এত গুছানো লেখা দেখে সত্যিই মুগ্� হয়েছি� আর ভয� পাওয়া� কথ� না হয� বা� � দিলা� :/� সব � ঠিকঠাক ছিলো, কিন্তু এন্ডিংটা যে বড্ড তাড়াতাড়ি হয়ে গেলো� এরকম পাওয়ারফুল ভিলেইনকে এত সহজে হারিয়� দেওয়া ঠি� হল� না� আরেকটু ফাইটিং দেখানো উচিত ছিলো� এজন্যে� � তারা কর্তন।
হর� বলতে আমাদের মাথায় যে কথাট� সবার আগ� ভেসে উঠ� তা হল একটা পুরাতন জমিদার বাড়� আর সেখানে ঘট� কিছু অদ্ভুত ঘটনা � অথবা এম� কো� কিছু ঘটনা সেটা� সাথে একটা পুরাতন বাড়ির সম্পর্� থাকবেই � ঘটনাটা স্বাভাবি� � কারণ আমাদের হর� সম্পর্কে ধারনাই হয়েছে মুভি দেখে আর বিদেশী লেখকদে� বই পড়ে � যা� প্রভাব দেখা যায় আমাদের দেশে� মানুষে� মধ্য� তো বটেই হর� গল্প বা বই লেখকদে� মাঝে� � কারণ খু� কম বই� আছ� যেটাতে কো� পুরাতন বাড়ির অস্তিত্ব নে� অথবা সে� বড়িকে ঘট� যাওয়া কো� ঘটনা ঘট� না� � এর কারণ সম্ভবত আমাদের দেশে� হর� লেখকদে� হর� পড়া শুরু হয� বিদেশে� লেখদের বই পড়ে অথবা “সাইলেন্� হিলের� মত মুভি দেখে � ফল� তাদে� গল্পের উপাদান� স্বাভাবিকভাবেই চল� আস� সে� প্রভাব � কিন্তু আমরা কে� চেষ্টা কর� না আমাদের দেশীয় কো� পটভূমিতে হর� গল্প লেখা� � অথ� হর� গল্পের উপাদার সংগ্রহের জন্য যে পুরাতন বাড়ির কাছে যাওয়া লাগে না বর� আধুনিক ঢাকাতে থেকে� ফ্ল্যাটে যে হর� গল্পের উপাদার পাওয়া যায় তা� একটি জ্বলন্� উদাহরণ হচ্ছ� “অক্টারিন”। শুধু দরকা� একটু স্বদিচ্ছ� �
প্রথমে� বল� লেখকের লেখকের লেখা� কথ� � গতবা� যখ� “আর্কন� পড়েছিলা� তখনই বলেছিলাম যে তানজিম রহমানে� লেখাতে কো� ফা� ফোঁক� নে� � মানে লেখা মাঝখান� ঝুলে যায় না � অথবা মন� হয� না যে শুধু শুধু� পৃষ্ঠা� পর পৃষ্ঠা ভরছে� বা যে ক্যারেক্টারে� সাথে যা যায় না তা� জো� কর� জুড়� দিচ্ছে� � যদিও “আর্কন� আমার কাছে অসাধার� হয়ে উঠতে গিয়েও সেকন্ড হাফে� জন্য শুধু� সাধারণ হয়ে রয়ে গিয়েছিল � কিন্তু তখনই বলেছিলাম “তাহজি� রহমানে� মধ্য� যে সম্ভাবনা আছ� তা বর্তমানে� এই জনরায় লেখা আর কো� লেখকের মধ্য� না� � এই জনরায় বাংল� সাহিত্যে� ইতিহাস� তাহজিম রহমা� যে এক সময় রাজত্ব করবে� সেটা সবাই সময় হলেই দেখেবেন।� কথাগুল� একটু ত্যালত্যাল� হলেও মন থেকে� বলছি � অক্টারিনের মাধ্যম� তিনি শুধু এক ধা� এগিয়ে গেলে� � প্রথ� এক� পৃষ্ঠা পড়ে মন� হচ্ছিল যে� নী� গেইম্যানের কো� হর� ফ্যান্টাসি পড়ছ� শেষে� দিকে এস� মন� হচ্ছিল যে� হর� কি� স্টিফে� কি� এর কো� বই পড়ছ� � কিছুক্ষন পর মন� হচ্ছ� আসলে জি� বুচারে� বই পড়ছ� � আরেকটা মজার ব্যাপা� হচ্ছ� হ্যারি ড্রেসড্র���নের সাথে বইয়ের ম্যাজিশিয়ানের অনেক মি� বিশে� কর� স্পে� আর ম্যাজি� চর্চার টার্মগুলোত� � যে কারণ� ক্যারেক্টারট� আপ� আপ� লেগেছে অনেক grin emoticon �
প্লট � অদ্ভুত কারণ� অচেত� হয়ে পড়ে রয়েছে দেশে� এক প্রভাবশালী পরবারে� মেয়� � চারদিক� ঘটতে লাগল অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা যা� কো� উত্ত� দিতে পারছ� না ডাক্তারা � পরিবারের লোকজ� ধর� নিচ্ছে মেয়েটির উপ� জিনে� আছ� পড়েছে � ডা� পড়ল মাদ্রাসা থ��ক� পা� কর� ছাত্� মুমিনে� � এই বিষয়ে রয়েছে যা� অতীতে� তিক্� অভিজ্ঞতা � ঠেকায় পড়ে আসতে হল মেয়েটিক� ভালো করতে � কিন্তু সে� তিক্� অভিজ্ঞতা কাঁটিয়ে কিছুতে� কিছু বুঝে উঠতে পারছ� না মুমি� মেয়েটির সমস্যা , তা� বাধ্� হয়ে সাহায্� নিতে হল অ্যানিমা নামে� একটা একজন ম্যাজেশিয়ানের � অতলে� তল পেটে দুজন� নামল এক অস� যুদ্ধে � যাদে� উইপর নির্ভর করছে অনেক কিছু �
সত্য� কথ� বলতে বইটা শে� করার পর আমার শুধু একটি কথাই মু� দিয়� বে� হচ্ছিল “ব্রাভো� � আর কিচ্ছু না � ম্যাজি� কে এত সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা কর� হয়েছে বইতে মন� হব� “আসে� ভা� আমিও একটু ম্যাজি� করি� � ম্যাজিকে� মত মত জটিল জিনিসক� সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য� বইটা আর বেশি ভালো লেগেছে � জি� আর জি� জাতি নিয়েও খু� ভালোভাবে আলোচনা কর� হয়েছে � কিন্তু সে আলোচনা আবার ইতিহাসের ক্লা� হয়ে যায়নি � যতটুকু না হলেই নয� ঠি� ততটুকু� বর্ণনা কর� হয়েছে � লেখক যে বে� ভালো হোমওয়ার্ক করেছ� বুঝা� যাচ্ছি� � প্রতিট� ক্যারেক্টারক� খু� ধীরে সুস্থে বর্ণনা কর� হয়েছে � মূ� ক্যারেক্টারগুলোর নি� নি� দর্শ� আর তাদে� নি� নি� যুক্তিগুলো ভালো ছি� � বইতে যে উপমাগুলো ব্যাবহার কর� হয়েছে তা আসলে� দেখা� মত �
* স্পয়লার এলার্ট - ফিনিশি� নিয়� কয়েকজনে� আপত্তি থাকলেও আমার কো� আপত্তি না� � একবারে পারফেক্ট হয়েছে � কারণ এতবড� একজন জাদুকরের সাথে কোনভাবেই জাদু� মাধ্যম� পারা সম্ভ� ছি� না অ্যানিমা� পক্ষ� � তব� ফিনিশিংট� আরেকটু বিস্তারি� হল� ভালো হত� একটা জিনি� ভালো লেগেছে এতদি� শুধু দেখতাম বিদেশী লেখকদে� বইয়� পৃথিবী ধ্বং� হয়ে যাওয়া� হাতঁ থেকে বাঁচাত� লড়ছ� নায়� নায়িকার� � পৃথিবী মানে যে নিয় ইয়র্ক আর আমেরিক� নয� আর তা বাঁচাত� আমাদের দেশে� নায়� নায়িকারাও সক্ষ� তা দেখে আনন্� হচ্ছ� ভীষণ tongue emoticon � তানজিম ভাইয়ে� কাছে একটা প্রশ্ন মুমিনে� মত একটা ছেলে যে কিনা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছ� সে “ইয়াজুজ মাজুজ� সম্পর্কে জানব� না এট� কি বিশ্বাসযোগ্য ? পুরো বইতে একটা বিষয়ই খটকা লেগেছে �
অক্টারিন যদ� বিশুদ্� রং এর প্রতিশব্� হয� তাহল� একদম নিখা� আনন্�, টানটান উত্তেজনা,একের পর এক চম� আর সবশেষে অনেক দি� পর একটা অসাধার� বই পড়া� যে তৃপ্তিকে যে একসাথে কি বল� তা আমার শব্দের জাদুকর তানজী� রহমা� কে জিজ্ঞে� করতে হব�.
রেটি�;!?এই বইয়ের জন্য ১০�/� দিলে� কম� পড়ব�, অনেক দি� লিটারেলি অনেক দি� এম� ভালো কিছু পড়ে শান্তি লাগেনি 😊
হর� গল্পের স্বার্থকতা কি ? তা যদ� ভয� পাওয়া হয� তাহল� এই বই স্বার্থক� অনেকদি� পর� বাংলাদেশের টিপিক্যা� হর� বই থেকে একদম� আলাদ� কিছু পড়লাম� মূ� ভিলে� চরিত্র আর ছোটখাট খটকা বা� দিলে বে� ভালো মানে� বই� হর� প্রেমীদে� জন্য হাইল� রিকমেন্ডেড�
I read it for my year-long book challenge 2024 for the prompt "A mood read"
এত� বছ� কে� লাগল� এই বই পড়ত� এর উত্ত� আমার জানা নেই। ফেব্রুয়ার� মাসট� আমার জন্য খু�-� মেন্টালি ড্রেইনিং মা� ছিলো, তা� কো� কোনদিন একদম-� বই হাতে নিতে পারি নি তব� যেইস� দিনগুলোত� পড়ত� পেড়েছ� অল্প অল্প কর� বইটি পড়েছি এব� মুখিয়� থেকেছি সামন� কি হবে। আম� একদম কমসম স্লো-বার্� পড়ত� পছন্� কর� সে� হিসেবে এই বই আম� বে� এঞ্জয় করেছি। কন্সেপ্ট, স্টোরিটেলি�- খু� ভালো লেগেছে!
২০১৬'� বইমেলায় এক� সাথে আদী আর বাতিঘর থেকে দুটা বই বে� হয� যেগুলো হালে� পাঠককে তাদে� নি� নি� জনরা� স্বা� প্রায় প্রথমবার� দিয়েছিল� আদী প্রকাশ� থেকে সৈয়� অনির্বাণের 'শোণি� উপাখ্যান' যেটা আদতে বাংলাসাহিত্যের প্রথ� *সফ�* আরবা� ফ্যান্টাসি� একইসাথ� বাতিঘর থেকে অক্টারিন, আর পজেশ� মিস্ট্রি আগ� হাতে পেলে� অক্টারিন সে হিসেবে প্রথ� সফ� পজেশ� মিস্ট্রি� বল� যায়�
পাঠকের কাছে এই দুটা বই যুগলবন্দী হয়ে হাজি� হওয়ার কারণ আছে। শোণি� উপাখ্যান� আন� হয়েছে ভারতবর্ষের স্থানীয় কল্পকাহিনী� অতিপ্রাকৃতদে�, যাদেরক� মূলত হিন্দুইজমে� বিশ্বা� কর� আস� হয়েছে� চূড়েল, যক্ষ, স্কন্ধকাটা, ডাকিনী, পিশা�, বৈতা�... বহ� বছরে সাহিত্যে খুঁজ� পাওয়া নামগুলোক� এবার এনাটমিকালি ছিঁড়েখুঁড়ে দেখা� সুযো� করেছেন যে� শোণিতে� লেখক� অন্যদিকে অক্টারিনের ভিত্তি মুসলিম মিথে উল্লেখিত অতিপ্রাকৃতরা � যতবারই তাদে� উল্লেখ এসেছ� তাদেরক� 'জ্বী�' বলেই ধর� নেওয়া হয়েছে সরাসরি, এবার তাদে� মুখোমুখি হওয়ার কায়দা ধর্মীয় হো� আর কাল্পনিক� হোক। শোণি� উপাখ্যান� অতিপ্রাকৃতরা থাকলেও ওট� হর� না� আমার নিজে� ভাষায়, শোণি� যদ� পাওয়া� মেটা� হয� অক্টারিন হব� ডার্� মেটাল। কখনো কখনো 'ভয� পাওয়ানো'� কাজট� অক্টারিনের দ্বারা সম্ভ� হয়েছে� কিন্তু কে�?
প্রথমে� আস� বইয়ের শুরুতে� প্রিফেইসের আগেই লেখক বইটা পড়া� একটা সময়সূচী সাজেস্� করেছেন, তাঁর মত� এই সময় মেনে বইটা পড়ল� বেশি উপভোগ্� হবে। সময়গুলো মূলত রা� ১০টা-১১টা� পরের সময়� এব� মানতেই হব�, কা� রাতে বই শুরু কর� আজ রাতে শে� করার মাঝখান� বইটা আমাক� জাঁকিয়ে ধরেছিল কেবল রাতে� সময়গুলোতেই। আম� হররে� ফ্যা� না কোনোদি� থেকে�, আর হর� উপন্যা� মন� হয� এটার আগ� আর পড়িনি� অক্টারিন পড়ত� গিয়� খোলা জানালা� দিকে পি� দিয়� পড়া� সাহস অন্ত� হয়ন� কখনো কখনো� কিন্তু কে�? অক্টারিনের উপস্থাপন তো এতটা� শক্তিশালী না যেটা আমাক� ওই মূহুর্তটার শক্ত কল্পনা করতে বাধ্� করবে!
জবাবটা হয়ত� মুভি থেকে দেওয়া যেতে পারে� হর� মুভি দেখেছি কেবল হলিউডেরগুল�, কিন্তু সব ক্ষেত্রে এই নিশ্চয়তাট� মন� কা� করছি� যে যা ঘটছে তা ভয়ঙ্ক� হলেও কাল্পনিক, তাঁর স্থায়িত্ব মুভি� রানটাইমে� মাঝেই। কিন্তু যখ� 'দাব্বে' বা 'সিচ্চিনে'� মত� মুভি দেখলাম (যেগুলো� উল্লেখ করতে� আমার ঘাড় শিরশির কর� উঠছে!), লক্ষ্য করলা� সেখানকার ফেনোমেনা মূলত 'জ্বী�' কেন্দ্রি�, যে জ্বীনে বিশ্বা� করার শিক্ষা আমার ধর্মীয় পরিমন্ডল থেকে পেয়� এসেছ�, আর যখনই তাবি� বা কুফরী কালামে� কথ� উল্লেখ কর� হচ্ছিল, যখ� আম� সত্য� ফী� করতে পারছিলাম যে 'এমনট� আমার সাথে ঘটতে পারে', তখনই আস� ভয়ট� ��াপিয়ে দিয়� গিয়েছিল আমাকে।
বাংলাদেশের সামাজি� প্রেক্ষিতে অধিকাং� পাঠক জ্বীনেদে� কথ� শুনে বড� হয়েছে, অন্ধকারে� একলা মুহূর্তগুলোয� যা� ভয়ে থেকেছে- যখ� হর� গল্প� তাদে� অবতারণ� হয� তখ� সে গল্প তাঁর জন্য মোক্ষম হর� না হয়ে� যায় না� অক্টারিন এই জায়গাটি থেকে� তাঁর সফলতাটুক� কুড়িয়েছে কেনন� জ্বীনদেরকে 'পজেশ�' হিসেবে উপস্থাপন কর� পুরো গল্প� জ্বীনে� আছরক� মোকাবেলা কর� বা এই নিয়� কাহিনী আবরত� করার কাজট� উল্লেখ করার মত� আর কোথা� হয়নি। তাছাড়�, জ্বী� শুনল� পাঠকের কাছে কাউক� জ্বীনে আছ� বা পজেস করার ঘটনা� মাথায় আসবে আগে। শৈশব থেকে যে ভয� থেকে নিজেদে� বাঁচিয়ে এসেছ� তাকে নিয়� কা� করেই আমাদের 'অক্টারিন' নিজে� ভরাডুব� থেকে বে� ভালভাবেই উৎরে গিয়েছে।
কাহিনীতে দেখা যায়, মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডে� সাধারণ 'হুজু�' এব� স্কুলশিক্ষ� মুমি�, যা� আবার অতীতে জ্বী� তাড়ানোর অভিজ্ঞতা হয়েছি�, এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়েক� সাহায্� করতে হাজি� হয়। অশুভ শক্তির মোকাবেলায় একসময় তা� সাহায্যকারী হয� অ্যানিমা� দুজনের ভো�-চা� আবার পুরো� বিপরীত। রহস্যে� গভীরে যেতে যেতে বে� হয়ে আস� নিগূড় অন্ধকার। সত্যটা যতক্ষণ� টে� পায় ওর� দুজন তখ� পুরো পৃথিবী সঙ্কটে� মুখে আর ওর� মারাত্নক অসহায়� সব পাঠকের আপত্তি এই বইয়ের এন্ডিং নিয়ে। অনেক বড� একটা সঙ্ক� তৈরী কর� হয়েছি�, ধরমমতে� সাথে সাযুজ্� রেখে� তারপ� এক চর� অসহায় অবস্থা থেকে প্রটাগনিস্টদের সফ� কর� দেওয়া হল� একটু চালাকি আর কয়ে� মিনিটে� ধাআক� একশনের মাঝেই। এভাব� না হল� ভালো ছিল।
তব� আমার ভালো লাগেনি প্রতিট� দৃশ্যে� অপ্রয়োজনীয় ডিটেইল পড়তে। কিছু ইছ� দৃশ্� টানটান লেগেছে, আবার খু� ক্রুশিয়াল সময়� যেখানে খু� দ্রু� অনেক কিছু ঘট� যাচ্ছি�, সেখানে লেখক লেখা বাড়িয়ে পড়া� গতিক� ব্যহ� করেছেন� তাছাড়� সবশেষে কাহিনী� আহামরি কিছু ছি� না� মাঝখান� লেখক প্রটাগনিস্টদের ভালরকম বিপদ� ফেলেছিলে� একবা�, দৃশ্� শেষে যা� আউটকাম ছি� শূন্য। বইটা পাশে� আছ�, শে� করলা� যে এক ঘন্ট� হল�, এখনো যদ্দূর রে� আছ� সত্য� বলতে তা কিছু দৃশ্যে� উত্তেজনা�, আর কিছু না� যতবারই অতিপ্রাকৃতের মোকাবিলা এসেছ�, দুঃখজনকভাব� কোনোটারই কমব্যা� ডিজাইন মন� রাখা� মত� না�
এই 'সত্যিই এগজিস্� কর�' স্বত্বাদের নিয়� ফিকশনে কা� করার সাহস লেখক জানামত� প্রথমবার� করেছেন বল� আম� অক্টারিনকে সাধুবা� জানাই। তানজী� রহমা� বর্তমানে� তরুণ লেখকদে� মধ্য� প্রমিজিং একজন� তাঁর গল্প পড়েছি কয়ে� জায়গায়� আর্ক� পড়িনি� অক্টারিন অনেক ভা� একটা উদ্যোগ হলেও তানজী� রহমানে� উচ্চতা� হয়নি। দিনশেষ� ব্যাক্তিগত �/� (good) রেটি� দেওয়া বইটা� ক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকে� যায়, বইটা কি আম� আর কাউক� রেকমেন্ড করবো? বিলকুল� আফটা� অল, না পড়ল� মি� করতে হবে। বইটা *অন্ত�* এতটুকু ইন্টারেস্টিং�
আশরাফু� সুমন ভা� অক্টারিনের বিভিন্� দি� তুলে খু� চমৎকার (আমজনতা� চোখে খটমইট্টা) একটি রিভি� দিয়েছিলেন� উন� লেখক মানু�, সে� সাথে একজন এডিটরও� গল্পের থি� ছাড়াও লেখা� কৌশলের অনেক খুঁটিনাট� বিষয� তা� চোখে খু� স্বাভাবি� ভাবে� ধর� পড়ে� তা� সেসব নিয়� তিনি লিখতেই পারেন। আম� একজন নগন্� পাঠক মাত্র। আক্ষরি� অর্থেই রিভি� লেখা� যোগ্যত� আমার নাই। আম� শুধু বইটা পড়ে শে� করার পর আমার ব্যক্তিগ� অনুভূতিটুক� আপনাদে� জানাতে পারি� :)
বইটা খুলতেই সম্পূর্ণ নতুন আর ভিন্নধর্মী একটা জিনি� চোখে পড়েছিল। লেখক বইয়ের সাথে পড়া� একটা সময়সূচী ঠি� কর� দিয়েছিলেন� সে� সাথে এটাও বল� দিয়েছিলেন যে, সূচি না মানল� সমস্যা নে�, তব� সূচি মেনে পড়লেই বইটা পড়ে সর্বোচ্চ তৃপ্তি পাওয়া যাবে! আমার খু� ইচ্ছ� ছি� লেখকের বেঁধ� দেয়� সময়ানুযায়ী বইটা পড়তে। কিন্তু আম� ব্যস্ত মানু�, চাকর�-পড়াশোনা অনেক কিছু সামলিয়ে তবেই আমার জন্য পড়া� সময় বে� করতে হয়। লেখকের দেয়� সময়ানুযায়ী বইটি পড়া আমার পক্ষ� সম্ভ� হয়নি। তব� আম� লেখককে আশ্বস্� করতে চা�, এত� আমার তৃপ্তি বিন্দুমাত্রও কমেনি। অসাধার� লিখেছে� আপনি� জীবন� খু� কম বই-� আমাক� এতটা মজ� দিতে পেরেছে�
দেশে� শীর্ষস্থানীয় ধনী পরিবারগুলো� মাঝে একটি হল সৈয়� কলিমুদ্দিনদে� পরিবার� স্বামী� অবর্তমান� মিসে� কলিমুদ্দিন� সবকিছু দেখাশোনা করেন� এই পরিবারের একমাত্� মেয়� আয়েশা, একদি� হঠাৎ কর� ঘুমিয়� পড়ে আর ঘু� থেকে জাগেনি� ডাক্তারর� অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেও তা� কো� সমস্যা ধরতে পারেনি� তা� দেহে� সক� কার্যক্রমই স্বাভাবি�, শুধু ঘুমটাই ভাঙ্গছ� না� মিসে� কলিমুদ্দিন ভাবলেন তা� মেয়ের পার্থি� কো� সমস্যা যেহেতু ডাক্তারর� ধরতে পারছেন না, তাহল� সমস্যাটা কি অপার্থিব? ডা� পড়ল গল্পের নায়� মুমিনু� ইসলা� মুমিনের।
মুমিনু� ইসলা� মুমি�, সত্য� বলছি এত হাবাগোবা নায়� আম� আমার জীবন� আর দ্বিতীয়টি দেখিনি� বেচারাকে আরেকটু চালা� দেখালে কি এম� ক্ষত� হত লেখকের? বেচারারে সবাই খালি ধমকায়! থ্রেটে� উপ� রাখে! আর বেচারা কাউক� কিছু বলতে� পারেনা, সইতে� পারেনা! বলদা একটা... :p
মুমিনে� নিজে� ছোটবেলার খু� ভয়ংকর একটা অভিজ্ঞতা� কারণ� সে সিদ্ধান্� নিয়েছিল অপার্থিব জগতে� বাসিন্দাদে� কাজে আর কখনো বাঁধ� হয়ে দাঁড়াবে না� কিন্তু ম্যাডা� কলিমুদ্দিনের কা� থেকে দায়িত্ব পেয়� তা� নিজে� কাছে কর� প্রতিজ্ঞ� তাকে ভাংতেই হল� কিন্তু কাজে নেমে দেখল অপার্থিবতা� এই বিশা� জগতে সে এখনো শিশু, তা� আর� অভিজ্ঞ কারো সাহায্� দরকা�, একজন রিয়েল ম্যাজিশিয়ানের�
মুমিনে� সাহায্যার্থে এগিয়ে এল গল্পের নায়িক� দূর্দান্� স্মার্� অ্যানিমা, যে কিনা নিজে� বল� বেড়ায� যে এট� তা� আস� না� নয়। হাবাগোবা নায়কে� সাথে দূর্দান্� স্মার্� নায়িক�, অন্যদে� কাছে কেমন লেগেছে জানি না, কিন্তু আমার কাছে অসাম লেগেছে! মজ� পেয়েছ� পুরো বইতে অ্যানিমা মুমিনক� যতবারই ডেকেছে তা� পুরো না� ধর� ডেকেছি� দেখে, আর মুমি� তাকে ডাকত আপ�! নায়� কখনো নায়িকাক� আপ� ডাকে? বলদা -_-
মুমি� আর অ্যানিমা কাজে নেমে দেখে ঘটনা তারা যেমন ভেবেছি� তা� চেয়েও অনেক ভয়াবহ� শক্তিশালী কো� এক প্রতিপক্� অশুভ একটা শক্তিক� পৃথিবীতে ডেকে আনতে চাচ্ছে, চাচ্ছে পুরো পৃথিবীটা ধ্বং� কর� দিতে� পুরো পৃথিবী� ভবিষ্য� ওদের দুজনের হাতে� পৃথিবীকে বাঁচানোর এক অস� লড়াইয়ে জড়িয়� পড়ে ওর� দুজন�
সত্য� বলতে কি, বইটা যে থি� নিয়� লেখা হয়েছে এই থি� নিয়� যে আদ� লেখা সম্ভ� এমনট� কখনো ভাবতেও পারিনি� লেখক সত্যিই অসাধার� একটা কা� দেখিয়েছেন� প্লট নির্বাচন থেকে শুরু কর� বর্ণনাভঙ্গ�, সবকিছু� মারাত্মক ছিল। কাহিনী বর্ণনা এত নিখুঁত ছি� যে পুরো ঘটনাটা ভিজ্যুলাইজেশ� করতে একটু� কষ্ট হয়ন�, মন� হচ্ছিল বই পড়ছ� না, কো� মুভি দেখছি। বইয়ের সবচেয়� অসাধার� পার্� ছি� ম্যাজিক্যা� ফাইটগুলো� ছোটবেলায� আলিফ লায়লা দেখে যেমন শিউর� উঠতা�, ঠি� তেমন� শিউরেছি। আহ.... আর কব� এম� আরেকটা মাস্টারপিস পড়া� সৌভাগ��য হব� কে জানে�
অনেকের কাছে� মন� হত� পারে যে বইয়ের কলেব� বাড়ানোর জন্য কাহিনীকে অযথা ঝুলানো হয়েছে� বিশে� কর� মুমিনে� ছোটবেলার কাহিনী এত বিস্তারি� ভাবে বর্ণনা করতে গিয়ে। আমার� তেমনটা� মন� হয়েছিল। কিন্তু ভুলট� ভেঙ্গে যায় কাহিনীতে মূ� ভিলেনে� আগমন ঘটার পর� ভিলেনক� দেখানো� জন্য পূর্বে� কাহিনী বর্ণনা� প্রয়োজন ছিল। তাছাড়� মুমি� কে� এত হাবাগোবা, সেটা� তা� পাস্� না জানল� জানা যে� না! :p
মজ� লেগেছে বইয়ের একেবার� শে� লাইন� এস� মুমিনক� অ্যানিমা� আস� না� বল� দেখে� আফসো� হয়েছে একসাথে এতটা পথ পাড়� দিয়� আসার পরেও মুমি� আর অ্যানিমা� মাঝে কিছু হত� হত� গিয়েও হল না দেখে� বোকাচোদা পাবলিক, আরেকটু স্মার্� হল� ঠিকই অ্যানিমাকে পটিয়ে ফেলত� পারত� ইচ্ছ� করছি� মুমিনে� পাছায় একটা লাত্থি দি�! -_-
গত বইমেলায় বে� হওয়� আর্ক� পড়ে লেখক তানজী� রহমানে� ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম� আর অক্টারিন পড়া� পর তা� লেখনী� প্রত� আমার মুগ্ধত� মাত্রা ছাড়িয়েছে� অন্যদে� কথ� জানি না, গত দশ বছরে আমার পড়া বইগুলো� মাঝে এটাই সবচেয়� সেরা� ^_^
শুরুটা করেছিলাম আশরাফু� সুমন ভাইয়ে� রিভিউর কথ� দিয়ে। শেষটাও কর� তা� রিভিউর একটা কথ� দিয়ে। তিনি লিখেছে�- 'এই বই যদ� বাংলায� প্রকাশিত না হয়ে পশ্চিম� কো� দে� থেকে ইংরেজিতে প্রকাশিত হত, তব� এট� নিশ্চতভাবে� ইন্টারন্যাশনাল বেস্� সেলা� হত�'- এই কথার সাথে আম� সম্পূর্ণ একমত� :)
বে� কিছুদি� ধরেই বইটা পড়ব� পড়ব� ভাবছিলাম কিন্তু বইটা খুলতেই যখ� দেখলাম লেখক একটা পড়া� সময় সূচি বিষয়ক সাজেশা� দিয়েছেন তখ� ভাবলাম তা� সাজেশানটাই ফল� করি। কিন্তু ব্যস্ত লাইফ� একদম চ্যাপ্টা� টু চ্যাপ্টা� টাইম বেঁধ� পড়াটা একটু ডিফিকাল্ট। তা� বইটা বে� কিছুদি� ফেলে রেখে খানিকট� সময় ম্যানে� কর� হাতে নিয়� বস� পড়লাম পড়ত�, তা� সাজেশা� যতটা সম্ভ� মানতে। মজার বিষয� হচ্ছ� আম� তা� সাজেশা� প্রায় কিছু� মানত� পারিনি� কারণ বইটা আমাক� এমনভাব� আকৃষ্ট করেছ� আম� পড়া� দুদিনে যেখানে� গিয়েছ� সেখানে� এট� সাথে কর� নিয়� গিয়েছ� (এমনক� অফিসেও)� এখানেই একজন লেখক স্বার্থক বল� আম� মন� করি।
বিরা� ধনী পরিবারের মেয়� আয়েশা� ওপ� অতিপ্রাকৃত কিছু একটা ভর করেছে। কিন্তু সেটা কি তা সম্পর্কে কারও কো� ধারণ� নেই। আর জ্বী� বা অতিপ্রাকৃত কিছু ভর করলে সাধারণ� যে বিষয়গুল� পরিলক্ষি� হয� আয়েশা� ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছ� না� আয়েশা� সমস্যা একটা�, তা হল� সে ঘুমুচ্ছে, ঘু� থেকে উঠছে না� সাধারণ দৃষ্টিতে এটাক� কোমায় চল� যাওয়া মন� হলেও ডাক্তারর� বলছে আয়েশা� মাঝে তেমন কো� লক্ষ� নেই। � সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব দেয়� হয� মুমিনু� ইসলা� মুমিনের। মুমি� পেশায় একজন স্কু� টিচা� কিন্তু অতিপ্রাকৃত ব্যাপারে তা� টুকটাক জ্ঞা� ছিলো� সে জ্ঞা� কাজে লাগাতে গিয়� মুমি� দেখে সে আসলে আয়েশা� সমস্যাটা ধরতে পারছ� না� জ্বী� ভর করলে সে বিষয়গুল� হয� বল� সে জানত� আয়েশা� ক্ষেত্রে তা হয� না� সে খুঁজতে লাগল� এক্সপার্� কাউকে। আর খুঁজতে খুঁজতে সে পেয়েছ� উপন্যাসে� আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র অ্যানিমাকে� বইতে অ্যানিমা একজন ম্যাজিশিয়ান� তো এই অ্যানিমা আর মুমিনে� আয়েশা সমস্যা� সমাধান ঘিরে� পুরো গল্প আবর্তি� হয়। আর শে� দিকে জানা যায় একটা ভয়ংকর তথ্য, আয়েশা� এম� অবস্থা� জন্য কে দায়� আর তা� ওপ� আসলে কি ভর করেছে।
লেখা সম্পর্কে একদম� অল্প কিছু মতাম� দেবো�
পজিটিভ পয়েন্�
�. প্লট খুবই চমৎকার� সত্য� বলতে এরকম প্লট যে কারও মাথায় আসতে পারে এমনট� আমার ধারণায� ছিলো না� �. লেখনী গোছানো এব� সুপাঠ্য। কো� অংশক� অতিরিক্ত মন� হয়ন� আমার কাছে� �. চরিত্রায়ন একদম পারফেক্ট� বিশে� কর� অ্যানিমা চরিত্রটি বে� ভালো লেগেছে�
নেগেটি� পয়েন্�
�. ফিনিশি� তাড়াহুড়ো কর� দেয়� হয়েছে বল� মন� হয়েছে� কিংব� এটাও হত� পারে লেখাটা� মাঝে এতটা� ডুবে ছিলা� যে চাইছিলাম না বইটা শে� হোক। �. এরকম শক্তিশালী একজন ম্যাজিশিয়ানের মৃত্যুটা খু� সহ� বল� মন� হয়েছে আমার কাছে�
পুরো বইটা সবদি� থেকে এত� চমৎকার যে নেগেটি� পয়েন্টগুল� বলতে গেলে কো� পয়েন্টই না� লেখকের কা� থেকে ভবিষ্যতে 'আর্ক�', 'অক্টারিন' এর মত এরকম ডিফ্রেন্� কিছু আশ� করছি�
This entire review has been hidden because of spoilers.
মুমিনু� ইসলা� মুমিন। মাদ্রা� থেকে পা� কর�, ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে ইসলামে� ইতিহাস নিয়� গ্রাজুয়েশ� সম্পন্� কর� সে� মাস্টার্� করার আগ� কিছুটা টাকা পয়স� জমানোর জন্য� একটা স্কুলে চাকুরি নেয় সে� সব কিছু ভালই কাটছিল একটা সময় পর্যন্ত। ছক কাটা রুটিনে� মাঝে চল� মুমিন। তা� রুটিনে গোলমাল বাধে একদি� যখ� তা� স্কুলে� মালিকে� বাসায় ডা� পড়ে�
মালিকে� মেয়� অসুস্থ� তাকে সুস্� করতে হব�!!! আকাশ থেকে পড়ে মুমিন। সে কি� বা করতে পারে এই বিষয়ে� তখ� তাকে জানানো হয� তা� জ্বি� তাড়াত� পারা� ক্ষমতা� কথ� অজান� নে� তাদে� কাছে� তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয� জ্বি� তাড়ানোর� কিন্তু কা� হাতে নিয়� অতাল সমুদ্র� পড়া� মত� অবস্থা হয� মুমিনের। কো� কিছু� কা� করছে না ম্যাডামে� মেয়�, আয়েশা� উপরে�
এম� সময়� তা� সাথে পরিচয় হয� অ্যানিমার। যা� মাধ্যম� সমাজের থেকে লুকানো অন্য একটা দিকে� পরিচয় হয� মুমিনের। জাদুবিদ্যা� অ্যানিমাকে সাথে নিয়� আয়েশা� চিকিৎস� করতে থাকে মুমিন। কিন্তু ঘটনা যত সহ� ভেবেছি� তা� চে� বেশী ঘোরালো হয়ে উঠতে থাকে� শে� পর্যন্� পুরো মানব জাতি� প্রতিই হুমক� হয়ে দাঁড়ায় ঘটনাটা� কি হয়েছি� আসলে? তারা কি আসলে� পারব� আয়েশাকে সুস্� কর� তুলত�?
এই বই পড়া� আগেই অনেক কথ� কানে এসেছিল এই বই নিয়ে। বই গ্রু� গুলোতে রিভি� পড়ে কী স্পয়লার� খেয়� ফেলেছিলাম। যখ� জানলাম হর� থ্রিলা� স্বভাবতই হতাশ� হয়েছিলাম। হতাশ� কাটত� শুরু কর� বই পড়া শুরু করার পর থেকে� যখ� থেকে আমার প্রিয় দেশীয় পটভূমিতে অনেকটা বাস্তবতা� আলোক� জ্বিনদের(এইটা বিশ্বা� কর�) নিয়� কাহিনী এগিয়েছে�
সম্পূর্ন অন্য ধরনে� একটা প্লট� মুগ্ধত� নিয়� পড়ে শে� করলাম।
এক কথায� দুর্দান্� লাগলো। পুরট� সময় এক ধরনে� মোহে� মাঝে ছিলাম। ইসলামে� কিছু ঘটনা� সাথে জাদুবিদ্যা� মিশেলে অদ্ভুত এক কাহিনী� জন্ম দিয়েছেন লেখক� মো� কাটা� পর বিস্তারি� রিভি� দেব।
তানজী� রহমানে� আরেকটা মাস্টারপিস� "অক্টরি�" আমার কাছে খু� ভা� লেগেছে� আশ� কর� বইটা পড়ে কে� হতাশ হবেন না� পয়স� উসুল� বইয়ের শুরুতে বইটা পড়া� একটা টাইম শিডিউল দেওয়া আছ� সেটা ভা� লেগেছে� বইটা পড়া� সময় সবাই চেষ্টা করবে� টাইম শিডিউল অনুযায়ী পড়ার। পড়লেই বুঝবেন লেখক টাইম শিডিউল টা শুধু শুধু দেয় নি�
আর্ক� পড়া� পর থেকে� তানজী� রহমানে� ফ্যা� হয়ে গেছি� ফ্যান্টাসি� বরাব� ভক্ত আম�, আর তানজী� ভাইয়ে� মত কর� সেটাকে হররে� মিশে� দিয়� আর কো� লেখক লিখত� পেরেছে� কি না জানা নেই। সে� কারণেই যখ� শুনলাম অক্টারিন বে� হচ্ছ�, কো� দ্বিধা না কর� বু� স্ট্রিটে অর্ডার দিয়� দিলাম। গতকালই সে� বই এস� পৌছে গে� আমার বাসায়� গতকা� রাতে পড়ত� শুরু করেছিলাম, একনাগাড়� ঘণ্টাতিনেক পড়া� পর ঘুমিয়� পড়ি� আজ দুপুরে খাওয়া� পর আবার বসলা�, এব� ঠি� সন্ধ্য� ছয়টায� শে� করলাম। বলতে দ্বিধা নে�, তানজী� রহমা� ওয়ান্� এগেই� প্রুভড হি� ওয়ার্�, এব� সেইট� আর্কনে� চাইতেও দক্ষভাবে! মার্ডা� মিস্ট্রি নিয়� তো কত গল্প উপন্যাসই লেখা হল� কিন্তু পজেস� মিস্ট্রি? সোজা বাংলায� যাকে বল� জিনে� আস�, বা ভূতে ধর�? প্রিয় হর�/ফ্যান্টাসিপ্রিয় পাঠক, বুঝতেই পারছেন ঠি� কো� মাস্টারপিস টপিকটা নিয়� এবার লিখেছে� তানজী� ভা�? দেশে� নামকরা এক প্রভাবশালী পরিবারের একমাত্� মেয়� হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়ল� তা� অসুখের সাথে সাথে� বাড়িত� ঘটতে শুরু কর� এম� কিছু ঘটনা, যাকে কোনভাবেই প্রচলি� কিছু� সাথে মেলানো যায় না� এমনক� প্রচলি� জি�-ভূ� ঘটিত ব্যাপারগুলোও যে� হা� মেনে যাচ্ছে! � কি মুশকিল? ডেকে আন� হল স্কুলে� ধর্ম শিক্ষক মুমিনু� ইসলামকে। বর্তমানে নীরি� শিক্ষক হলেও এক মর্মান্তিক অতী� রয়েছে তার। প্রথমে পিছিয়� যেতে চাইলেও কিছুটা বাধ্� হয়ে, আর কিছুটা সহমর্মিতার বশ� সে রাজি হল সাহায্� করতে� কিন্তু কিভাবে কি করবে, যেখানে তা� পরিচিত বা জানা কো� ঘটনা� সাথে কিছু� মেলানো যাচ্ছে না? বুঝে গে�, একার পক্ষ� এই রহস্যে� জা� খোলা সম্ভ� নয়। এবার গল্প� উদয় হল আরেক চরিত্রের� ম্যাজিশিয়ান এব� অতীন্দ্রিয় ব্যাপারস্যাপার নিয়� চর্চাকারী অ্যানিমা� দু'জন মিলে তদন্তে নামল এক অদ্ভূত, অপরিসী� ক্ষমতা� অধিকারী ভয়ঙ্ক� প্রতিপক্ষে� বিরুদ্ধে, যাদে� কাছে মানুষে� ক্ষমতা নিতান্তই তুচ্ছ। আড়ালে বস� কলকাঠি নাড়ছে কে� একজন, কিন্তু কি তা� পরিচয়? তা� চাইতেও বড� প্রশ্ন, কি তা� উদ্দেশ্য? সংক্ষেপে এই হল বইয়ের কাহিনী� গল্প নিয়� কিছু বলার নে�, আমার বিশ্বা� এই� বই ইংরেজীতে লেখা হল� অনায়াসে ইন্টারন্যাশনাল বেস্টসেলার তালিকায় উঠ� যেত। আরেকটা ব্যাপা� উল্লেখ করতে হয�, সেটা হচ্ছ� লেখকের লেখনী� বিশে� কর� বিভিন্� ভৌতি� দৃশ্� এব� অভিব্যক্তি� বিবর� দিতে গিয়� তিনি যে উপমাগুলো ব্যবহা� করেছেন সেগুলো সত্যিই দারু�! "যে� রেশমের আড়া� থেকে উঁকি দি� হিমশীতল ক্ষুরে� ফল�", "দু� কানে� পর্দায� কে� শিরী� কাগজ ঘষছে", "সর� বিদ্যুতে� মত ব্যথার ঝিলি�" ইত্যাদ� ধরণে� কথাগুল� পরিস্থিত� বোঝাতে একেবার� সম্পূর্ণভাবে সক্ষ� হয়েছে� অ্যাকশ� দৃশ্যগুলোও সুন্দর ফুটিয়েছেন লেখক, যতটা দক্ষ হাতে লিখল� পাঠককে গল্পের সাথে সাথে এক টানে এগিয়ে নিয়� চল� যায় ঠি� ততটাই। বইয়ের প্রচ্ছ� এব� আউটলুক সত্যিই সুন্দর� বানানভুল প্রায় চোখে পড়েইন�, তব� কিছু কিছু শব্দের একটু অপ্রচলিত বানা�, যেমন� পড়ছ-পড়ছ�, করেছ-করেছ�; ইত্যাদ� চোখে পড়ল� এট� অবশ্� কো� ভূ� নয�, কারণ দুইভাবেই লেখা হয়। হয়ত� আমার চো� প্রথ� বানানরীতিতে অভ্যস্� বলেই এম� মন� হচ্ছিল� ব্যাপা� না� বইয়ের শুরুতে কো� চ্যাপ্টা� কখ� পড়ত� হব� সেরক� একটা বিবর� দেয়� আছে। আম� অবশ্� তেমন একটা ফল� করিন�,