ŷ

Jump to ratings and reviews
Rate this book

অক্ষয় মালবের�

Rate this book
আত্মজীবনী লিখত� গিয়� নিজে� জীবনকে কে� দেখে দূরবিন�, কে� দেখে অনুবীক্ষণের লেন্সে� তলায়। মণীন্দ্� গুপ্� দেখেছে� নিজে� তৈরি এক ক্যালিডােস্কোপে। আপাত-বাস্তবের নেপথ্য� যে� চিরকাল বইছে এক ঘনগহ� অন্য বাস্তবের স্রোত। তাঁর দেখা ছায়� গােধূল� মে� হাওয়া জল ফড়ি� সরীসৃ� পাখি গাছে� মধ্য� আস� মানুষী ব্যক্তিত্ব, আর মানুষে� মধ্য� দেখা দেয় গুনবতী প্রকৃতির অজ্ঞান সৌন্দর্য� জগৎপটে জীবনের এই সমস্� অকিঞ্চিৎকর ভাঙা টুকরাে বিন্যাসে বিন্যাসে অন্তহী� ছবির পর ছব� সাজায়� অক্ষয় মালবের� উপন্যা� নয�, প্রচলি� আত্মজীবনী� নয�, একজন দুঃখী-না সুখী-না মানুষে� চিহ্নপত্র। কাঁচ� কঞ্চির কলমে বনের সবুজ কালিতে হােগলা� পাতায় লেখা—উজ্জ্বল দুরন্ত দুঃখী ক্ষণমধুর অতী� যে� স্তব্ধতা থেকে এস� আবার স্তব্ধতায় ফিরে গেছে�

264 pages, Paperback

First published October 1, 2009

123 people are currently reading
977 people want to read

About the author

Manindra Gupta

16books31followers
মণীন্দ্� গুপ্তর জন্ম ১৯২৬ সালে অবিভক্� বাংলার বরিশালের গৈলা গ্রামে� কৈশো� কাটিয়েছে� অসমে� বরাক উপত্যকায় মামা� বাড়িতে। এক� সঙ্গ� কব�, প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক � চিত্রশিল্পী মণীন্দ্রবাব� দ্বিতী� বিশ্বযুদ্ধ� ব্রিটি� ভারতী� সেনাবাহিনীতে যো� দেন।
কবিত� লিখেছে� ১৯৪০-এর দশ� থেকে� প্রথ� কবিতার বই ‘নী� পাথরের আকাশ� প্রকাশিত হয় অনেক পর�, ১৯৬৯ সালে� লিখত� এসেই পাঠকের নজ� কাড়েন তিনি� বাংল� কবিতার তৎকালী� অভিমুখের সম্পূর্ণ বিপরীতে� অবস্থা� করছি� তাঁর রচনা� এর পর� প্রকাশিত হয় ‘মৌপোকাদের গ্রাম�, ‘লাল স্কুলবাড়ি�, ‘ছত্রপলা� চৈত্যে দিনশেষে�, ‘শরৎমে� � কাশফুলের বন্ধু� অত্যাদ� কাব্যগ্রন্থ। ১৯৯১-� বে� হয় তাঁর আলোড়ন তোলা প্রবন্� গ্রন্থ ‘চাঁদে� ওপিঠে’।
১৯৯১-� প্রকাশিত হয় আত্মজীবনী ‘অক্ষয় মালবেরি�-� প্রথ� খণ্ড� তি� খণ্ড� বিন্যস্ত এই লিখন বাংল� সাহিত্যে� এক উল্লেখযোগ্� সংযোজন�
সম্পাদনা করেছেন ‘পরমা� পত্রিকা। ১৯৭০-এর দশকে কব� রঞ্জিত সিংহের সঙ্গ� যৌ� ভাবে সম্পাদনা করেছেন ‘এ� বছরে� শ্রেষ্� কবিতা�-� মত� সংকলন। হাজা� বছরে� বাংল� কবিত� ঘেঁট� সংকল� করেছেন তি� খণ্ড� ‘আবহমা� বাংল� কবিতা’।
২০১০ সালে পেয়েছে� রবীন্দ্� পুরস্কার� ২০১১ সালে সাহিত্� আকাদেমি।

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
287 (66%)
4 stars
110 (25%)
3 stars
23 (5%)
2 stars
5 (1%)
1 star
4 (<1%)
Displaying 1 - 30 of 124 reviews
Profile Image for রিফাত সানজিদা.
174 reviews1,246 followers
September 6, 2018
� সুনী� লিখেছিলে� যৌবন পেরিয়� গেলে বাদামি সন্ধ্যেবেলাগুলিত� মানুষে� মন� হত� থাকে এই জীবন অন্য রক� হবার কথ� ছিল। উঠ� আস� হতাশ� এব� হাহুতাশে� ঢে�, ফেলে আস� গা�, চাপা অভিমান�
কুড়� কুড়� বছরে� পা� কেটে যাওয়া� পরের যে জীবন, তা� চবিতচর্ব�, কেবল বেদনাই বাড়ায�, নয�?

মধ্যবয়স� পৌঁছানোর ঢে� আগেই অকালপক্ক বিষন্নতা� কারণ� � জাতীয় বিষাদে ভুগেছি প্রথ� যৌবন�, কৈশোরে, এমনক� খানিকট� শৈশবেও� সেইজন্যে� কী এতোট� পছন্� হয়েছে অক্ষয় মালবের�, মণীন্দ্� গুপ্তে� খণ্ডিত আত্মজীবনী?
খণ্ডিত এই অর্থ� যে শে� হয়েছে কুল্লে ২২ বছ� বয়স� এসেই, ফৌজি প্রশিক্ষ� ছেড়� সদ্য বেকারত্ব বেছে নিয়�, যে জীবনের প্রারম্ভ�
কিন্তু গত বাইশ বছরকার উপাখ্যান?

অপার্থিব সুন্দর গদ্য, যদ� এক বাক্যে বলতে চা� কেমন লেগেছে পড়ত� গিয়ে। নেশাধরান� ঝি� ধর� বর্ণনা, ছবির মত� ভাসিয়� তুলেছে লেখকের শৈশব, মাতৃস্নে� বঞ্চিত যদিও�

দশ মা� বয়স� মা'কে হারিয়� মণীন্দ্� বড� হয়েছে� পিতৃ এব� মাতৃকূলে� আত্মীয়দে� কাছে, কখনো ঠাকুরদ�- ঠাকুমা এব� দিদিমা-দাদামশাই� ভিন্� সময়� প্রকাশিত তি� পর্ব� ভা� কর� লেখা � জীবন আলেখ্য ঠি� প্রচলি� ধারায় আত্মচরিত নয়। বরিশালের গণ্ডগ্রামে বিশা� পারিবারি� অন্দরমহল জুড়� যে আত্মীয়তা� জা�, তা� চরিত্রগুলোকে চেনা যেমন চিত্তাকর্ষ� তেমন� মুগ্ধক� তা� চারপাশের বিবরণ।
সজ� জল� ভাসা শাপল�, তেঁতুল আর নারিকে� গাছে� ফাঁকেফাঁকে চনচন� রোদ্দু�, আঙুল চেটে খাওয়া নবান্ন, বসন্তকালের রক্তিম পলাশ, থোপাথোপা বেতফ� আর জোনাকিমাখা ছায়াছায়া শান্� বনপথ� ভেজা মাটি� সোঁদাসোঁদা গন্ধ� টইটম্বুর ধূসর মন্থ� নিস্তরঙ্� গ্রামে� দিন।
সেসব দি� ছাপিয়� এক সময় গিয়� দাঁড়ানো আসাম�, মাতামহী� পরিবার� লালি� দলছু� স্নেহকাত� বালক জীবন, নিতান্� দায়সারাভাবে এসএসসি� বেড়� ডিঙিয়ে।

এরপরের গন্তব্� লাকসাম, কুলাউড়া, আখাউড়�.. আধঘুমন্ত সব স্টেশন পেরিয়� চাঁদপু�, পিতা� দ্বিতীয় পক্ষের সংসারে� গন্তব্যহী� দিনযাপ�, ফে� ভেসে পড়া, সেখা� থেকে সেনাবাহিনীতে ঢোকা, তা� ঝোঁক�, ক্ষণিকের সিদ্ধান্তবশে, ফৌজত্যাগ, তাও। যে� জীবনটা কাটিয়� যাওয়া� চেষ্টা যেনতেন ভাবে, স্রোতে গা ভাসিয়�, কিন্তু পালক না ভিজিয়ে।
এই ভেসে যাওয়া� সময়� এসেছ� দাঙ্গা, পঞ্চাশের মনন্তর, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়কা� উৎকট দিনে� টুকর� টুকর� ছায়া। যদিও খু� সবিস্তার� নয়।

সব ছায়াক� অস্বীকা� কর� জল� ম্যালেরিয়ায� পাঙা� রূ� নেয়� বাদা অঞ্চলে� অজগাঁয়ে বস� আত্মবিশ্বাসহী�, আত্মজনহী� সদ্য কৈশো� ডিঙানো সাড়� পাঁচ ফুটে� এক তরুণ নিজেকে ডুবিয়� রাখে বইতে... শিব্রা�, কোনা� ডয়ে�, হেমেন্দ্রকুমার, জু� ভার্� থেকে শুরু কর� মৌচা�, রবীন্দ্রনাথের , বসুমতী, বিচিত্রা, ভারতবর্ষ, বিশ্বভারতী, প্রবাসী, বনফুলসমগ্র থেকে বিভূতি� �
গোগ্রাসে গেলে পঠনযোগ্য সমস্� অপাঠ্য বই, যে বইকে সে ভেবে নিয়েছ� পালাবা� ইগলু, পালাবা� ইগ্লুর এক একটা রামধনু ঠিকরান� বর�-ইট�
এমনক� সৈন্যদলে� প্রশিক্ষ�, লাহো� বাসে� জীবনেও সদরবাজারের রাস্তায় মাটিতে পসরা সাজিয়� বস� এক শি� ফেরিওয়ালা� থল� হাতড়ে সে খুঁজ� নেয় যুগান্তর; ফেলে আস� কলকাতা আর শরতে� ঘ্রা� মাখা যে সংখ্যায় ছাপা হয়েছি� প্রেমে� মিত্তিরে� সে� বিখ্যা� গল্প, 'তেলেনাপোতা'�

বই তাকে আর� শেখায় দেখতে।
শুধু ছাপা� কাগজ� ছাপা ছব� নয�, নন্দলা� বা অব� ঠাকুরে� তুলি� সে� অমোঘ টানে� পেছনের গল্প�
অবনীন্দ্রনাথের ছবির রূপে� পৃথিবীতে জাগতিক কো� বাসন� তো নে�, অথ� যা আছ� তা বাসনার চেয়� মনকে অনেক বেশি ব্যথিত করে। মণীন্দ্� লিখেছে� এভাব�-
শরী� কি বস্ত�, সে� যৌবন� টে� পেয়েছিলাম, আর এখ� বার্ধক্য� টে� পা�- নদীকে মাঝিরা যেমন টে� পায় জোয়ার আর ভাটায়� পর� শ্মশান� বস� হয়ত� দেখব শরী� ফিরছ� তা� অঙ্গার�, জল�, ধাতুতে, লবণে� আর তা� সূক্ষ্� বিদে� আভ� চল� যাচ্ছে আকাশ�- অালো মে� আর শান্তি� দেশে� শরী� তো যা পেয়েছিলাম তা� ছি�, কিন্তু অস্তিত্বের � বিদে� আভ� আমিই দিনে দিনে তৈরি করেছিলাম বই পড়ে, ছব� দেখে, গা� শুনে�

মানুষী স্মৃতি� এই ক্ষণমধুর অতীতচার� বড্ড হতাশ কর� হঠাৎ কর� ফুরিয়� গিয়�, অপরিণামদর্শী যে বালকবেলা� গল্প পাঠে� আরামসু� আর অনিবর্চণীয় গভী� বিষাদে দু'ভা� হয়ে চিরে মন� করিয়ে দেয় ফেলে আস� এক দূরত� নক্ষত্রে� জীবন�



১০/�, সানন্দে।
Profile Image for Shuhan Rizwan.
Author7 books1,075 followers
July 7, 2021
অন্যসব স্মৃতিকথার মতোই, পেছনের কথ� বলতে গিয়� ‘অক্ষয� মালবেরি� স্বপ্নের মত� কিছুটা দূরত্ব রেখে চলেছে। কিন্তু তফাৎ যেখানে হয�, মণীন্দ্� গুপ্� যে� কোনো রুঢ় বা কঠোর শব্দের ব্যবহা� করতে� জানে� না� স্মৃতিকথ� পড়ত� গিয়� পাঠকের মন� হয� সে পড়ছ� কোনো দীর্� কবিতা। বিভূতিভূষণের মত� মায়� আর মাহমুদুল হকের মত� উপমা থিকথিক� জীবনী� যে লেখা যায়, ভারি আনন্� হয� সেটা আবিষ্কার করে।

মানু� আম� আগাগোড়া শহুরে। মনীন্দ্� গুপ্তে� গ্রামবাংলা� নির্জন দুপুরে� পুকু� নয�, আমার কাছে রহস্যে ঘেরা বর� শহরজীবন� কুমোরে� হাতে মূর্তি গড়া� দৃশ্যে� বদলে আম� পেয়েছ� ফাঁপান� ম্যানিকুইন, যৌ� পরিবার� থেকে এক ধরনে� অবাধ গ্রামে ঘোরা� স্বাধীনতার বদলে আমার ছিলো স্কুলব্যাগ পিঠে নীলক্ষেতের বইয়ের দোকানে ঘুরে বেড়ানো। তব�, ‘অক্ষয� মালবেরি� পড়ত� গিয়� অনুভ� কর�, আণবি� বিস্ফোরণ� গ্রামবাংলা ধ্বং� হয়ে গেলে� ঢেঁকিশাক, নৌকাবাইচ আর নির্জন মুনশিবাড়ি� চাতালক� আবার জীবি� কর� সম্ভ� মণীন্দ্রে� বর্ণময� বর্ণনায়� এম� নিখুঁত কর� তিনি রঙের উপমা দ্যা�, যে জিনিসটাক� আমাদের আর দূরে� বল� মন� হয� না� বিশে� কর� বইটা� প্রথ� পর্ব, যেখানে লেখক তা� পরিবারের লোকেদে� আর শৈশবের গ্রামে� বর্ণনা দিয়েছেন, সেখানে যে� রঙের এই ব্যবহা� সবচেয়� উজ্জ্বল। পরের পর্বগুলোয় সেটা ক্রমাগ� ক্ষয়ে আসে।

,
Profile Image for Daina Chakma.
430 reviews746 followers
December 25, 2019
যে কবির না� কিছুদি� আগেও না-জানা, না-শোনা ছি�, উথাল-পাথা� মন কেমন কর� দিনে যা� লেখা দু'লাইন কবিত� কখনো গুঞ্জরিত হয়ন�, যে লেখকের কা� কখনো চিরায়� কথাসাহিত্যের ছায়ায� স্থা� পায়নি, বাংলার বিখ্যা� রায় পরিবার কিংব� ঠাকু� পরিবারেও যা� জন্ম আর বেড়� উঠ� নয�, যে শত শর� মানুষে� হৃদয� স্পর্শ কর� আদর্� কোনো ব্যক্ত� নয� - এম� একজন ভীষণ সাদামাটা মানুষে� আটপৌরে নিস্তরঙ্� জীবনগাঁথ� অত তারিয়� তারিয়� পড়ব কোনোদি� ভাবিনি, ভাবত� পারিনি�

থোকা থোকা কালচ� রঙের ঠসঠস� মালবের� ফল কীভাবে অক্ষয় হয� তা ভাবত� ভাবত�, প্রতিদিন একটা-দুটো শব্দ নাড়িয়ে চারিয়� দেখত� দেখত� গোটা মা� দু� লাগিয়� পড়ে ফেললাম , -এর অখণ্� আত্মজীবনী� কিংব� বল� যায় মনের মধ্য� গেঁথ� নিলা� একটু একটু করে। কী অদ্ভুত সুন্দর গদ্য! খানিকট� ঘো� লাগা ধাঁধার মত� সাধারণ� কিছু দৃশ্� আর সময়ের অসাধার� বর্ণনা� পড়ত� পড়ত� ঝিমঝিম� নেশা ধর� যায়� গলার মধ্য� কেমন একটা চাপা অনুভূত� আটকে থাকে� মনটা অকার� বিষন্নতায় হুহু কর� উঠে।

"আম� তখ� থেকে� নিজেকে চিনি� আমার মত� মানুষক� দিয়� কোনো কীর্তি সম্ভবপ� নয়। যতটুকু না হল� নয� ততটুকু, যতটুকু না হল� নয� ততটুকু - এইভাবে খুদে খুদে হাতে একটু একটু নিয়�, একটু একটু দিয়�, পৃথিবীকে বিরক্ত না কর� এতদি� কাটল� ছব� আঁকা� সময় মিনিয়েচারের থেকে একটু বড� আঁকি� লিখবার সময় ছো� ছো� বই লিখি - একটি একটি শব্দ ভেবে সময় কাটাই। বে� লাগে� পৃথিবী� আলোবাতাসের সঙ্গ� শব্দগুলি কেমন দোয়েলের মত�, চড়ুয়ের মত�, কাঁচপোকা� মত� মেশে, দেখি� বে� লাগে�

আম� কি পাহাড়ের বাঁক� অজন্তা এলোর� বানাতে পারতাম? অসম্ভব� আম� উদয়গিরি� চেয়েও অনেক ছো� একটি গুহা বানিয়� ছেড়� দিতাম। সেখানে বস� মেঘে- বর্ষায� বৃষ্টি� রেখা, শীতে অস্তমা� সূর্যে� রেখা দেখতাম�"


অদ্ভুত সুন্দর সুর‍্যরিয়া� বাস্তবতা� কথ� পড়ত� পড়ত� নিজেকে আর� ক্ষুদ্� আর তুচ্� মন� হয়। আমিও বে� বুঝত� পারি- "আমার হব� না, আম� সত্য� মূর্�, আকাঠ!"

পরমুহুর্তে� রূপকথা রাজ্� সম্মুখ� ভেসে উঠ� -

"প্রত্যেক ফুলে� পাপড়ি� কেন্দ্রে একটা সূক্ষ্� ফুটো আছ�, সে� ফুটো গিয়� শে� হয়েছে বোঁটার প্রান্তে� � পথটুকু জাদুপথ� কে� যদ� সূক্ষ্� হয়ে ছূঁচের মত� � পথের এক মু� দিয়� ঢুকে অন্য মু� দিয়� বেরিয়� যেতে পারে তব� সে পৌঁছবে এক অন্য রাজ্যে� এক এক ফুলে� পথের শেষে এক এক রাজ্য। শিউলিফুলের ফুটো দিয়� বেরুলে পাওয়া যাবে সাদা মেঘে� দেশ। লা� সন্ধ্যামণি� ফুটো� ওপার� আছ� খু� সুন্দরী, আবছায়ায� চলাফের� কর� মেয়েদের দেশ। জ্যোৎস্ন� ফোটা হাসনুহান� ফুলে� সূক্ষ্� পথটুকু পেরুলে� ঝাড়লন্ঠ� নিবে আস� এক চাঁদিনী জলসা� দেশ। আর গ্রীষ্মে� তাপে শুকিয়� মুচমুচ� হয়ে যাওয়া স্বর্ণচাঁপার ফুটো দিয়� বেরুলে� মুনশিবাড়ি�"


কমলা বিকে� পেরিয়� সন্ধ্য� নামলেই আমার আয়তাকার বেলকনি হাসনাহেনার মাতা� ঘ্রাণে ভর� থাকে� অথ� এভাব� তো কোনোদি� ভাবিনি! এমনি চিত্তাকর্ষ� বর্ণনায় মণীন্দ্� গুপ্তে� মাতৃহী� শিশুকা�, শিশুবেলা� গন্ধমাখা সবুজ গ্রা�, স্নেহকাত� বালকের পাঠ্যবইয়ে� ভাঁজ� লুকানো অপাঠ্যবইয়ের প্রত� ভালোবাসা, দায়সারাভাবে শে� কর� ফেলা স্কুলজীবন, ঝোঁকের মাথায় সেনাজীবন অর্জ�-বর্জ�, অতঃপ� বেকারত্ব বর� - সবকিছু ছবির মত� উঠ� এসেছে। অক্ষ� ছুঁয়ে দিলে� ফেলে আস� অতীতক� অনুভ� করতে পারছি। পরক্ষণেই গভী� বিষাদে ডুবে যাচ্ছি, তলিয়ে যাচ্ছি!

এম� মন কেমন কর� অপার্থিব সুন্দর লেখনী কতকা� পড়িনা!
Profile Image for Israt Zaman Disha.
193 reviews584 followers
August 13, 2019
খু� অসাধার� কিছু নিয়� আসলে বল� কঠিন� যা� বলতে চা� মন� হয� ঠিকম� বইয়ের প্রশংস� কর� হল না� এই বইটি� জন্য এক� কথ� প্রযোজ্য�

মণীন্দ্� গুপ্� না� কোনদিন শুনি নি� এই বইটি� খোঁজ পেলা� গুডরিডসে এব� অবশ্যই রিফা� আপুর রিভিউয়ে� কল্যাণে। এত ভালো রিভি� পড়ে ঠি� কর� ফেললাম পড়ে ফেলত� হবে। আমার ননফিকশনে� লিস্� আর� একটু লম্ব� করতে পড়ে� ফেললাম�

অত্যন্� সুখপাঠ্য বই� ঈদের দি� করার কিছু না পেয়� সারাদি� বস� পড়ে ফেললাম� যদিও আমার মন� হয়েছে বইটি আসলে একটানে না পড়ে আস্ত� ধীরে সময় নিয়� পড়ল� খু� ভালো হত� লেখক যেমন গাছে� নিচে শুয়� বই পড়তেন, এক প্যারা পড়ে চারপাশের প্রকৃত� উপভো� করতে� আর সে এক প্যারা নিয়� চিন্তা করতে�, তেমন� কর� যদ� মনোর� প্রকৃত� শোভা� মাঝে বস� এই বইটি নিয়� হারিয়� যাওয়া গেলে ভালো হত� কিছু উদাস, কিছু বিষন্ন ভাবে� মাঝে কাটানো যেত।

লেখক শুধু যে নিজে� কথাই লিখেছে� তা নয�, সে� সময়� গ্রামে� সামাজি� জীবনের চিত্� তুলে ধরেছেন� তুলে ধরেছেন কলকাতা� কথ�, বলেছেন তা� সৈনি� জীবনের কথ�, পঞ্চাশের মন্বন্তরের কথা। তব� সবচেয়� আকর্ষণীয় দি� বইটি� লেখনী� গদ্যের মত� যারা আমার মত ফিকশ� পড়ত� ভালোবাসে� তাদে� মন� হব� কো� উপন্যাসই পড়ছেন�

***সবার জন্য রিকমেন্ডেড�***
Profile Image for Shadin Pranto.
1,419 reviews477 followers
September 22, 2019
' শত শর� মানুষে� আয়ু� কিন্তু দুঃখী -সুখী - ভ্রষ্টাচারী ততদি� বাঁচ� না� মরণে� আগ� বোকাচোখে তাকিয়� দেখে: সমস্তই অসম্পূর্�, তা� রাকাশশী অসংলগ্� বালি হয়ে উড়ে যায়� তব� এইটুকু জীবনের মধ্য� কত কি যে ঘটেছিল - কত মুগ্ধত�, সন্তাপ, উল্লাস, দ্রব�! ভোলা যায় না� '

কব� মণীন্দ্� গুপ্তে� আত্মকথ� শে� কর� নিজে� নিজেকে সওয়াল করছি, সবকিছু কি ভোলা যায়? জওয়াব আপনাআপনি চল� এল� 'না'� দু� দশকে� কিছু বেশি অর্থহী� জীবন� আমার� তো সব ভুলে থাকবার জো নেই। হৃদয়পটে অমোচনীয় অক্ষরে শৈশব, কৈশো� আর নিত্যকার জীবনের কত স্মৃতি� তো হঠাৎ ঘাঁই দিয়� ওঠে।

সা� দশ� পেরিয়� আস� মণীন্দ্� গুপ্তও ভুলত� পারে� নি নিজে� বিগত হওয়� দিনগুলির কথা। অম্লানবদনে তা� লিখেছে� অমৃত-গর� যুগে� কথা।

অবিভক্� ভারতের খুলনার এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার� নিজে� বেড়� ওঠা। চারপাশের দুঃখী, সুখি মানুষগুলোক� ঘিরে নিজে� জীবনকে কোনক্রমে টেনেটুনে বয়ে নিয়� যাওয়া� মা মর� ছেলে� আসাম� নানা-নানি� গৃহে আশ্রয় জুটলো। খাওয়া,পড়া� নিশ্চিন্� বন্দোবস্ত। আসামের স্কু� পড়ুয়� কিশো� অমনোযোগী মণীন্দ্� গুপ্তে� কথকথ� তো ঢেউহী� নদী� জলের মত� নিশ্চল, স্থি� নয়৷ আচমক� জলের বা� ডাকে শান্তস্নিগ্ধ মণীন্দ্� গুপ্তে� জীবনে। আবার হঠাৎ� অসম্ভব ধীরতা।

থার্� ডিভিশন� পা� করলে� মাধ্যমিক� কলেজ� কে পড়াবে? পিতৃগৃহে ফিরলেন� আবিষ্কার করলে� পিতা� সামর্থ্য দিনমান� তে�,নু�,লকড়� আনতে� ফুরোয়�

নানাবাড়ির সকলে চল� এসেছ� কলকাতায়� দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের তোড় চারদিকে। ব্রিটিশসরকার সৃষ্� ভয়ংজর দুর্ভিক্� তখনও আঘাত হানেনি বাংলায়। চাউলের মজুত চলছে লুকিয়� ছাপিয়ে।দুর্ভিক্� খুশিতে দাঁত� শা� দিচ্ছে লোকক্ষয় করতে।বোমাতঙ্কে কলকাতা উজার� যুদ্ধে� বাজারে চাকরির রমরমা।

মাধ্যমিক পা� মণীন্দ্� ঢুকলেন কেরানি অফিসে। সে চাকর� বেশিদি� রই� না� কপাল বুঝি এত সু� সইতে পারছিল না� দেবী শীতল� মুখদর্শন করলে� মণীন্দ্রের। সপ্তাহতিনে� ভোগান্তি চলল। দেবীপক্ষ বিদায়ের সাথে সাথে চাকরিখানাও সঙ্গ� নিয়� গেলেন।

ঝাড়� হা�-পা মণীন্দ্� গুপ্ত। সিদ্ধান্� নিলে� ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভোকেশনাল ট্রেনি� নেবেন। ভর্তিও হলেন� কিন্তু মন বেচারা টিকত� চাইব� কে�? তা� এলেন পালিয়ে।

বাঙালি সন্তানদে� দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ এক সুযো� এন� দিয়েছিল� ইংরে� সরকা� নিজেদে� প্রয়োজনেই দলেদলে লো� ভর্ত� করছি� সেনাদলে। নানা প্রলোভনে অনেক� যোগও দিচ্ছিলেন। এই রিক্রু� তথ� রংরুটেদে� কথ� বরেন বসুর কালজয়ী উপন্যা� 'রংরুটে' অত্যন্� উজ্জ্বলত� ভঙিত� আছে। আমাদের মণীন্দ্� গুপ্তও রংরু� হিসেবে ইঞ্জিনিয়ারি� কোরে যুক্� হলেন�

এই বইয়ের সবচেয়� সুখপাঠ্য অং� হল� মণীন্দ্� গুপ্তে� সেনাবাহিনীতে অবস্থানে� বর্ণনা� কিছুদি� কলকাতায় পর লাহোরে সেনাজীবনের প্রস্তুতিপর্� খুবই ভালো ল��গেছে। কব� মণীন্দ্� গুপ্� তাঁর মুগ্ধত� সৃষ্টিকারী গদ্যের জাদুতে একেবার� মা� কর� দিয়েছেন� আমরা যারা ব্রাত্যজন। সেনাবাহিনী� কাঠখোট্ট� জীবন সম্পর্কে ভাসাভাসা জ্ঞানে ভাসি� তাদে� কথ� ভেবে� হয়ত� মণীন্দ্� গুপ্� এতটা সাবলীলভাব� লিখে গেছে� নিজে� কয়েকট� বছরে� সেনাজীবনের ভালো-মন্দের মিশেলে অভিজ্ঞতা� কথা।

কব� মণীন্দ্� গুপ্তে� শৈশব, কৈশো� এব� যৌবনের কিয়দাংশ� 'অক্ষ� মালবের�'� এত সহজবোধ্য লেখনী নিঃসন্দেহে পাঠককে হিপনোটাই� কর� রাখবে। পাঠক হয়ত� বুঝতেই পারবেন না, কখ� শে� হল� 'অক্ষয় মালবের� '�
Profile Image for Rifat.
481 reviews316 followers
January 23, 2021

আম� জীবনী কিংব� আত্নজীবনী যা�-� পড়ি না কে� তা রেখে দি� স্টোরি অফ লাইফ নামে� শেলফে। জীবনের� গল্প, তা� না? অক্ষয় মালবের� আত্নজীবনী হিসেবে কেমন?


ধর� নি�,
টেবিলে� উপরে একটা সুদৃশ্যমান বাটিতে পাউরুট� রাখা আছ� যা একজন মানুষে� জীবনকে রিপ্রেজেন্� করছে� আমরা সাধারণ দর্শ� মাত্�! টেবিলে� প্রান্� থেকে � বাটি� রুটিখানাকে কত� আর ভা� দেখা যায়! এর� মাঝে অন্য কে� এস� পাউরুটিট� ঘুরিয়� ফিরিয়� দেখান। কিন্তু এভাব� কি আর ভেতরের অং� দেখা যায়? বোঝা যায় কেমন সেটা!?

এরপর মালি� নিজে� আসেন� আহ� লোকগুলোর এত� আগ্র�! তা� হয়ত� রুটিখানাকে টুকর� কর� কা� থেকে দেখানো� চেষ্টা করেন� হয়ত� একটু পরেই রুটিখানাকে তিনি মাখন কিংব� অন্যকিছু দিয়� সাজিয়� মুখে পুরবেন; কিন্তু না�! সেটা আর আমরা দেখত� পেলা� কই!

আর শেষে যিনি আসেন তিনি � মালিকই কিন্তু একটু ভিন্� রকমের। তিনি অত� কিছু নিয়� ভাবে� না� নিজে যেভাবে মাখন কিংব� আর� খাদ্যোপাদা� দিয়� সাজিয়� পাউরুট� খানা টুকর� কর� খাবে� ঠি� সেভাবে� সবাইকে দেখান।



এই পাউরুট� গল্পের প্রথ� অং� টা হচ্ছ� মোটামুটি বেরসিক জীবনী� দ্বিতীয়টা হচ্ছ� আত্নজীবনী� আর তৃতীয় অংশটাই হচ্ছ� মণীন্দ্� গুপ্তে� অক্ষয় মালবেরি।
অক্ষয় মালবের�: গদ্যের আড়ালে বৃক্ষে� শাখা-প্রশাখার মত� বিস্তৃ� পদ্য💚
লেখক যেভাবে নিজে� জীবন নিয়� ভেবেছে� ঠি� সেভাবে� বলেছেন পাঠকদে�; শৈশবের কিংব� কৈশোরে� কথ� ভাবল� তা� সামন� যা ভেসে ওঠ� তা�-� পাঠকদে� দেখিয়েছেন�


"কলকাতায় ফিরে, ধোবা� পরেও, বোতলটাতে বহুদিন রামে� গন্ধ লেগে ছিল। ভালো লাগত� একটা দূরে রেখে আস� জীবনের কথ� মন� পড়ত�"
এই তো! প্রত� বছ� বসন্তে� ইষদুষ্� বাতা� আস�, বসন্তে� বিকালে একটি বাচ্চা মেয়� ডে-কেয়ার থেকে ঘর� ফেরা� সময়: কোকিলে� সাথে সমস্বর� কু� কু� করতে করতে হঠাৎ করেই মনের ভেতর� উদাস হয়ে যায়!

স্মৃতিরা বড� অক্ষয় কিংব� বইয়ের শুরুতে কবিতায� উল্লেখিত মালবেরির ঝোপে� মত� Evergreen!

~২৩ জানুয়ার�, ২০২১


(যারা লেখিকা লীলা মজুমদারে� আত্নজীবনী পড়ে� নি, তারা পড়ে দেখত� পারে�)
Profile Image for Riju Ganguly.
Author37 books1,753 followers
September 18, 2019
যে সীমি� সংখ্যক বই পড়ে মন� হয়েছে যে হ্যা�, আম� অমৃতের স্বা� পেলা�, � তেমন একটি বই� অজস্� হাইপ, অজস্� মানুষে� ভালো-ভালো কথ� - �-সব শুনল� আমাদের স্বভাব� সিনি� মন বেঁক� বসতে চায়� আমিও বইটা কিনেছিলা� বহ� আগ�, কিন্তু কে� যে�, পড়িনি� তারপ� একদি� দেখলাম বইটা শেলফ� আর পাচ্ছি না� ভাবলাম, তব� কি বইয়ের� অভিমান হয�? স্রে� ওই ভাবনাটাই আমাক� প্রাণি� কর� বইটা আবার কিনত�, এব� এবার এক দফায� পড়ে ফেলতে।
বিশ্বা� করুন, যত ভালো কথাই শুনে থাকু� না কে� এই বইয়ের সম্বন্ধে, সেগুলো কম পড়ে যেতে পারে আপনা� নিজে� মনোভাব ব্যক্ত করতে গিয়ে।
কী নিয়� এই বই?
আমরা প্রায়� অতীতচার� প্রসঙ্গে একটি কথ� ব্যবহা� কর� - স্মৃতিচিত্রণ� এই বই হল যথার্থ স্মৃতিচিত্রণ� সবাই, এমনক� সব কব� এভাব� নিজে� কথ�, নিজে� ফেলে আস� দিনগুলোর কথ� বলতে পারে� না� লেখক পারলেন� সে� স্মৃতিচিত্রণ যে কত মধুর আর কতটা সতেজ - তা বোঝানো� মত� দক্ষতা আমার নেই।
বাঙালি নাকি নস্ট্যালজিয়� ভালোবাসে� কিন্তু এই বই নস্ট্যালজিয়ার চেয়� অনেক বেশি কিছু� এত� শুধু ফেলে আস� সময় বা মানুষেরা নে�, আছ� তা� বাইরেও অনেক-অনেক কিছু, যাদে� কথ� বইটি না পড়ল� আপনি কিছুতে� বুঝবেন না�
বইটা পড়ু� প্লিজ।
Profile Image for হাঁটুপানির জলদস্যু.
275 reviews230 followers
February 21, 2023
অক্ষয় মালবেরির নাতিপ্রশস্� পরিস� অনেকটা বান্দরবানে� পাহাড়সারি� মত�, একটি চূড়ার অদূর� আরেকটি চূড়ায� পৌঁছতে গেলে পা� হত� হয� গভী� খাদঘেঁষা পথ� বইটা� প্রথ� তেহা� পড়ে একটু পরপর নামিয়� রেখেছি, অনতিদূরে একেকটি চর�, একেকটা ছিন্� স্তব� কখনও তিরে� মত� এস� বিঁধেছ� বুকে, কখনও পাথর হয়ে চেপে বসেছে। লেখককে মন� হয়েছে নির্মম কোনো কাঠঠোকরা, নিজে� শৈশবস্মৃতিকে তিনি ঠুকর� চলেছেন অনিয়ত লয়ে, আর সে� স্মৃতিবৃক্� ক্রমাগ� ক্ষর� কর� চলেছ� অলঙ্ঘ্� বিষাদে� রজ�; পাঠক কিছুক্ষণ পরপর অনুভ� করবে�, সে রজনে তিনি আটকা পড়ে আছেন মধুমণি� ভেতর� প্রাচী� পতঙ্গে� মতো। প্রায় বছরতিনেক পর দ্বিতীয় তেহাইট� পড়ত� বস� দেখি, কৈশোরে� স্মৃতিচারণ� মণীন্দ্� গুপ্� আর� নিষ্ঠু� হয়েছে�, তাঁর তুলনারহি� টুকর� বর্ণনায় একেকটা চরিত্র আমাক� থমকে দিয়েছ� কিছুক্ষণ পরপর� তৃতীয় তেহাইট� অনেক খাপছাড়া, কিছুটা দায়সারা� মন� হয়েছে, প্রথ� দুটি� সান্দ্�-অথ�-রাজি� বিষা� সেখানে অনুপস্থিত।

মণীন্দ্� গুপ্তে� অতীতচার� অনেকটা মাইনপোঁত� সৈনিকে� মতো। প্রতিট� স্মৃতিকথাই এক চিরতরে হারানো দেশকাল ভ্রমণে� অদ্ভুত যা�, গুপ্তসাহেব পাঠককে সে যানে চাপিয়� নিয়� গেছে� এক বিষাদে� বোমাখেতে; সেখানে একটু পরপর অনুকম্পায়ী পাঠক বিদ্� হবেন অতর্কিতে ছিটক� আস� টুকর� শোকে� তারপরও, কুর্নিশ।
Profile Image for Sneha.
56 reviews91 followers
May 6, 2023
সারাজীবনের এত� এত� স্মৃতি শুধুমাত্� কাগজ� নিখুঁত ভাবে চিহ্� কর� রাখা যায়? যায়, মনীন্দ্� গুপ্� রেখে গেছে�, তা� হৃদয়ে� বিচিত্� ভা� অনুভূত� সব আগলে রেখেছে�, জীবনের এত� রক� বিচিত্� সব স্মৃতি কেমন কলমে ফুটিয়� তুলেছে�! এম� সহ� স্নিগ্� কর� নিজে� স্মৃতি কজ� আগলে রাখত� পারে! � লেখকের গু�, দুর্লভ গু�!
এইখানে কোথা� একটা ঘর নে�, বাড়� নে�, গা� নে�, পাখি নে�, ঘা� পাতা কিছু� নে�, অথ� চোখে� সামন� সব কেমন ছবির মত� রঙিন হয়ে ধর� দিলো, এমনক� বাতাসে� শব্দ পর্যন্� যে� শুনত� পেলা�! বিশে� কর� শৈশবের পর্বে। লেখক তা� আত্মজীবনীকে তিনট� পর্ব� তা� শৈশব, কৈশো� এব� যৌবনের আত্মকথ� বল� গেছেন। অসাধার� শব্দচয়নের এই তি� পর্ব পা� শে� কর� অন্যান্য পাঠকের মত� আমার মনেও এর পর� কি হল� জানা� এক তীব্� কৌতুহল বো� হচ্ছে।
Profile Image for Zohuruzzaman.
3 reviews9 followers
February 11, 2022
অপার্থিব সুন্দর একটা লেখা� পড়া� সময় মন� হচ্ছিল যে� এই বুঝি শে� হয়ে গে�! প্রত� পাতায় পাতায় যে� মাটি� সুঘ্রা�, গ্রামে� দিগন্ত বিস্তৃ� মাঠে� সুবাতা� পাচ্ছিলা�,প্রশান্তির পর� বুলিয়� যাচ্ছি� যে�!
Profile Image for Titu Acharjee.
256 reviews32 followers
March 14, 2021
অমৃত!


*এক শব্দের রিভিউ।
Profile Image for Anik Chowdhury.
167 reviews33 followers
April 5, 2022
''যেগুলো সর্বসাধারণের অভিজ্ঞতা, এগুল� যে হঠাৎ এক জায়গায় এস� বিশে� �'য়� ওঠ�, যে� তুলনাহী�, এইটে� শিল্পপ্রক্রিয়ার মূ� রহস্য। জীবনের অত� সাধারণ তথ্যের রূপান্তর ঘট� সেখানে; তারা অর্থ পায়, দ্যোতন� পায়, দূরস্পর্শী ইঙ্গিত� আলোকিত হয়ে ওঠে। আমরা যখ� সাহিত্� পড়ি তখ� আমাদের দৈনন্দিন অস্তিত্বের তথ্যগুলোকে� চিনত� পারি সেখানে কিন্তু ঠি� সেগুলোকে� নয়। সেইস� তথ্য, যা বাস্তব জীবন� অস্পষ্�, এলোমেল�, যোগসূত্রহী�, কিংব� অভ্যাস� পরিজীর্�, সেগুলোকে যেখানে সুসংবদ্ধরূপে দেখত� পা�, স্বচ্ছ এব� সম্পূর্ণ কর� উপলব্ধ� কর�, তাকে� আমরা বল� আর্ট, বল� শিল্পকর্ম। "

শিল্পকর্� কিংব� সাহিত্� সম্পর্কে এই বাক্যগুল� বল� গিয়েছেন আমাদের বিখ্যা� সাহিত্� সমালোচ� বুদ্ধদেব বসু। তা� বল� কথাগুলোর প্রতিট� লাইন আমার কাছে সত্য বল� প্রতীয়মা� হয়। অক্ষয় মালবের� নিয়� এই বাক্যগুল� আর� বেশি সত্য বল� মন� হয়।
অক্ষয় মালবের� লেখক মনীন্দ্� গুপ্তে� স্মৃতিকথ� কিংব� আত্মজীবনী বল� হয়। অসম্পূর্� একটা আত্মজীবনী� দীর্ঘায়� এই লেখকের বয়স এখ� প্রায় পঁচানব্ব� কিন্তু অক্ষয় মালবেরিত� লেখক তাঁর জীবনের প্রথ� বাইশ বছ� জীবনের কথ� লিখেছেন। লেখক বলেছেন যতদি� তিনি অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছিলে� ততদি� তিনি অসী� মুগ্ধত�, বিস্ময� এব� অপরিণামদর্শিতা নিয়� অনন্� ছিলে� তারপরে� জীবন বাকি সবার মতো। অন্য পাঁচ জনের মত� হয়ত� এক� স্রোতে চলেছ� তাঁর জীবন� কিন্তু অন্য পাঠকের মত� আমার� অক্ষয় মালবেরির পরের খন্ড পড়া� তীব্� তৃষ্ণা জন্মেছে। যা সৃষ্টি করেছেন লেখক তা� অসাধার� লেখনী� দ্বারা� অক্ষয় মালবের� প্রধান� তিনভাগ� বিভক্ত� যা� প্রথ� ভাগট� জন্মের পর থেকে শুরু কর� লেখকের কিশোরকাল শুরু আগের কথা। এই পর্বটি� মূলকেন্দ্র� ছিলো লেখকের জন্মভূমি পূর্ববঙ্গ। মূলত বরিশাল� কী অসাধার� ভাবে প্রকৃতিক� লেখক অবলোকন করেছেন তা� চো� দিয়� তা বল� অসম্ভব� তা� জীবনকে দেখা� সুক্ষ্� দর্শ�, ছোটবেলায� কাটানো প্রকৃতির অমোঘ স্মৃতি কত অদ্ভুত! আমার নিজে� ছো� বেলা� কথাই যে� লেখক বল� গিয়েছেন� খু� বেশি মি� পেয়েছ� আম� আমার শৈশবের সাথে� দূরন্ত শৈশব� তা� অফুরন্� ছোট্� প্রা� যে� বারবার ঘুরেফিরে তা� পূর্ণবয়স্� স্মৃতি� দরজায় কড়া নাড়ছিলো� যে ডা� মানু� নিজে� অন্তরাত্মা থেকে শোনে সে� ডা� কী উপেক্ষ� কর� যায়? সৃষ্টি হল� অক্ষয় মালবেরির মত� একটি বই� যা� প্রতিট� ছো� ছো� অধ্যায� আমাক� নিয়� গিয়েছ� আমার দূরন্ত শৈশবে। লেখকের সাথে মিশে গিয়� একাকার হয়ে গিয়েছ� আমার অন্তরাত্মা� মা হারা ছোট্� শিশুটি বড� হয়েছে� ঠাকুমা ঠাকুরদার হাতে�
আঁতুড়ঘর� নিজে� জন্ম সময় নিয়� বলেছেন, "আম� খু� পৌরাণি� আদরে� মধ্য� ভূমিষ্� হলাম� ডাক্তা� নে�, দা� নে�, ছুরি-কাঁচ� নেই। শুধু একদল পাড়াগেঁয়� অভিজ্ঞ বর্ষীয়সী যে� হুল্লোড় কর� হাতে হাতে নামিয়� নিলেন। ডাক্তারী ছুরি� বদলে আমাদের পশ্চিমপুকুরপারের নির্জন বাঁশঝাড় থেকে কেটে আন� কাঁচ� বাঁশের চোঁচ দিয়� আমার নাড়ী কাটা হয়েছিলো, একথা জেনে অন্যরক� লাগে� কাঁচ� বাঁশের চোঁচ ব্লেডে� চেয়েও ধারালো, তাতে টিনেসাসে� বী� না থাকলেও বনের সবুজ বি� ছিলো�"
দ্বিতীয় পর্বটি লেখকের মামা বাড়ির যাত্রা আর মামা� বাড়িত� লেখাপড়া নিয়� কেন্দ্� করে। আসাম� মামা� বাড়� ছিলো� বরাক উপত্যকায� নিজে� বড� হওয়াক� নিয়� লেখকের এই পর্বের সাথে আমার নিজে� খু� মিল। লেখকের মত� আমিও কিশোরে� শুরু� সময়� পারি দিয়েছিলাম মামা� বাড়ি। আর তাঁর মতোই সেখানে অবস্থা� করেছিলাম কিশোরে� শে� পর্যন্ত। কিছুকিছু জিনি� দেখে সত্য� অবাক লাগে� সে� আশ�-নব্ব� বছ� আগের লেখকের কৈশোরে� সাথে যেমন বিরা� গড়মিল তেমন� সুক্ষ্� মিলও দেখা যায়� আর আম� কোনো বইয়� নিজে� প্রতিচ্ছবি দেখত� ফেলল� সে� বইকে আপনা� ভেবে ভালোবেসে ফেলি� আমিও গিয়েছিলাম তাঁর মত� পাহাড়�, রাঙ্গামাটি শান্� পাহাড়ের কোলে� যা� হো� লেখকের সুখে� পাশাপাশি ক্ষুদ্� কষ্টের মুহুর্তগুলোও দেখিয়েছেন� যদিও তা সামান্যই� তিনি নিজে� স্মৃতিকে খু� ভালো ভাবে রোমন্থ� করেছেন বলেই জানি�
তৃতীয় পর্ব উনার চাকর� জীবনের শুরু কিছু বছ� আর সৈনি� জীবনের কাহিনী� এই পর্বটা অন্য দু� পর্বের চেয়� বেশি বাস্তবতা প্রখর। কারণ এখান� তা� জীবনের নতুন সুরে� সৃষ্টি হয়েছে� নিজে� ঘানি নিজে টানা� জন্য নেমেছে� পৃথিবী� কঠোর পিঠে� তব� তা� সৈনি� জীবনের স্মৃতিগুলো আমাদের সৈনি� জীবন সম্পর্কে অন্য ধারণ� দেয়� রুক্� তথাকথি� সৈনি� জীবন ছেড়� এখান� একটা বন্ধুত্বপূর্� সম্পর্� আর অন্যরক� জীবনের দেখা মেলে�

অক্ষয় মালবের� নিয়� যত� কথ� বল� কম হবে। একজন পাঠক কখনো� আমার রিভি� পড়ে অক্ষয় মালবের� সম্পর্কে ধারণ� করতে পারবেন না ততক্ষণ পর্যন্� যতক্ষণ না আপনি নিজে সে� রস আস্বাদনে� জন্য অক্ষয় মালবেরির দোরগোড়ায় যাচ্ছেন। অদ্ভুত এক মো� বইটাকে ঘিরে আবর্তি� হত� থাকে� যদিও কিছুটা ধীরলয়� লেখা এই বই� তবুও একঘেয়েম� আসবে না, কারণ লেখকের লেখা� টো� প্রথ� থেকে পাঠককে স্তব্ধ কর� দেয়� শান্� পুলকিত আবেশ� জড়িয়� রাখে� অক্ষয় মালবের� আর� অনেকজন� পড়ব�, ভালো-খারা� উভয়� লাগব� পাঠকের� কিন্তু আমার এই ভালোলাগা, ভালোবাসা কখনো� কমবে না� স্মৃতি� অতলে হারাবা� জন্য আম� হয়ত� আবার কখনো কখনো বইটি হাতে নিবো� উল্টেপাল্ট� পড়ব� পছন্দে� জায়গা গুলো� স্মৃতি� রোমন্থ� করবো� তবুও অক্ষয় মালবের� প্রথমবারের মত� পড়া� যে শান্� শীতল আবেশ, মুগ্ধত� তা� ক্ষয� হব� বল� মন� হয� না� কারণ অক্ষয় মালবের�, অক্ষয়�
Profile Image for Asma Akhi.
203 reviews459 followers
September 16, 2019
"শরী� কি বস্ত�, সে� যৌবন� টে� পেয়েছিলাম, আর এখ� বার্ধক্য� টে� পা�- নদীকে মাঝিরা যেমন টে� পায় জোয়ার আর ভাটায়� পর� শ্মশান� বস� হয়ত� দেখব শরী� ফিরছ� তা� অঙ্গার�, জল�, ধাতুতে, লবণে� আর তা� সূক্ষ্� বিদে� আভ� চল� যাচ্ছে আকাশ�- অালো মে� আর শান্তি� দেশে� শরী� তো যা পেয়েছিলাম তা� ছি�, কিন্তু অস্তিত্বের � বিদে� আভ� আমিই দিনে দিনে তৈরি করেছিলাম বই পড়ে, ছব� দেখে, গা� শুনে�"

কি মায়ামাখ� একটা বই! ননফিকশ� কিন্তু মনেহয় যে� ফিকশনই পড়তেসি।সংগ্রহ� রাখা� মত� অসাধার� একটা বই�
Profile Image for Maria Alam.
22 reviews85 followers
July 5, 2022
অক্ষয় মালবের�- মণীন্দ্� গুপ্�

কবিতার মত� স্নিগ্� অক্ষয় মালবের� মণীন্দ্� গুপ্তে� তি� পর্বের আত্মজীবনী� লেখকের জন্মের পর তা� ১৯ বছ� বয়সী মা মারা যান। তাঁর বেড়� ওঠ� ঠাকুমা আর দাদু� কাছে� বাবা অনেক জোরে ২য� বিয়� করেন� লেখকের মত� 'বাবা� সঙ্গ� আমার সম্পর্কে� মধ্য� জন্ম থেকে� কোনো গ্রহবৈগুণ্� ছি�'� ফিঙে পাখি� মত� কাকা, ছো� ভা�,ছোটম� তাঁদের সবাইকে নিয়� তাঁর বেড়� ওঠা। লেখক কত সুন্দর করেই না তা� গ্রাম্যজীবনের বাল্� কা� ফুটিয়� তুলেছেন। তাঁদের দুর্গাপুজো, নবান্ন, ঋতুত� ঋতুত� অ্যাডভেঞ্চার এস� পড়ে আমার শহরে জীবনের বাল্যকালের প্রকৃতির সাথে সখ্যতা� অভাব টে� পাচ্ছিলাম। তারপ� ঠাকুমা� মৃত্যু� পর লেখককে পাঠিয়� দেওয়া হয� তাঁর দিদিমা� বাড়ি। সেখানে স্কু� জীবনের অভিজ্ঞতা, নরসিংদী স্কু�, গভ� স্কু�, আর সাথে নানা সাধু সন্ন্যাসী� কাহিনী নিয়� কি বৈচিত্র্যময় একটা সময় লেখক পা� করেছেন! দি� শেষে মেট্রিকু���েশন পা� কর� শেকড়ে� কাছে আবার গমন। জীবনের ভা� পর� তারপ� লেখকের উপর। দুটো চাকর� ছেড়� শেষে আর্ম� জয়ে� করেন� সে� আর্ম� জীবনের বর্ণনা� সাথে বিভিন্� জটিল অভিজ্ঞতা� মিশ্রণ বে� সহ� কর� কাগজের পাতায় তুলে ধরেছেন� তাঁর বাইশ বছরে� জীবনকে খন্ড খন্ড কর� ২৫� পৃষ্ঠায় তুলে ধরেছেন� শেষে লেখকের মত� বল� অক্ষয় মালবের� উপন্যা� নয�,প্রচলি� আত্মজীবনী� নয�, একজন দুঃখী- না সুখী - না মানুষে� চিহ্নপত্র। কাচা� কঞ্চির কলমে বনের সবুজ কালিতে হোগলার পাতায় লেখা- উজ্জ্ব� দুরন্ত দুঃখী ক্ষণমধুর অতী� যে� স্তব্ধতা থেকে এস� আবার স্তব্ধতায় ফিরে গেছে�
Profile Image for Ummea Salma.
119 reviews113 followers
September 19, 2020
এই বইয়ের রিভি� লেখা� কে আম�!?!
এত বড� দুঃসাহ� দেখানো� মত সাহস এখনো হয়ন� আমার!
Profile Image for Akash.
430 reviews130 followers
December 21, 2024
অক্ষয় মালবের� শুধু আত্মজীবনী নয�; স্মৃতিচারণ কিংব� ইতিহাস গ্রন্থ বললে� ভু� হব� না� এম� সুরম্য গদ্য পড়া� অভিজ্ঞতা পূর্বে হয়নি। প্রতিট� শব্দ যে� মুগ্ধত� আর বিস্ময� জন্ম দিয়েছে। অক্ষয় মালবের� তা� পাঠকের হৃদয়ে আমরণ অক্ষয় হয়ে থাকবে।

অনেক আত্মজীবনী পড়া হয়েছে� কিন্তু কোনো লেখক তাঁর জীবনের সাথে সম্পৃক্ত বিচিত্� চরিত্রদে� নিয়� এম� বিশদভাবে লিখেননি। এম� সরলভাব� বিচিত্� অনুভূতিক� ব্যক্ত করতে� পারেননি। পুববাংলা� একটা নির্জন গ্রা� আর বাড়িক� এমনভাব� কে� অনুভ� করতে পারেননি। নিজে� শৈশব আর কিশোরকালকে এমনভাব� ভাষা দিতে পারেননি। ভণিত� বিহী� পেশাজীবনের এম� বর্ণনা পড়ে পাঠক� অনেককিছু জানত� আর শিখত� পারে�

কী ছি� মণীন্দ্� গুপ্তে� ঈপ্সিত জীবন?
ভোরে স্না� কর� সকালের খাবা� খেয়� শ্মশান� বস� দুপু� অবধি বই পড়া, দুপু� থেকে বিকে� পর্যন্� দিনে� আলোয� ছব� আঁকা, আর সন্ধ্যায� আকাশ দেখা� এই ছি� তাঁর কাঙ্ক্ষি� জীবন� কিন্তু তাঁক� জীবনের প্রয়োজন� একজন দুঃখী-না সুখী-না মানু� হত� হয়েছে� আমাদের সবার� হত� হয়।

এই বইটা যেকোনো পাঠকের জন্য অবশ্যপাঠ্য� বারবার পড়ত� হবে। বছরে� সমাপ্ত� অথবা আরম্� অক্ষয় মালবেরির সাথে হোক। অবভা� থেকে প্রকাশিত হয়েছে�
Profile Image for প্রিয়াক্ষী ঘোষ.
339 reviews31 followers
May 2, 2022
আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথ� সাধারণ� পুরো জীবনের আলোচনা� "অক্ষয় মালবের� " পুরো জীবনী নয়। তব� আমার মন� হয� এট� স্মৃতি কথ� বা আত্মজীবনী এর থেকে অনেক বেশি আত্মদহন।
জন্ম থেকে বেড়� ওঠা। একটু একটু কব� চারপাশের পরিবেশের পরিবর্তন সাথে সাথে পরিবর্তন ঘট� কাছে� মানুষের। মা ছাড়� একটি শিশু� শৈশব, কৈশো� এম� কি যৌবনের উদ্দেশ্য � বন্ধনহী� এক জীবনের কি নিদারু� অভিজ্ঞতা�

সু� স্মৃতি যেখানে হাতড়ে ফিরত� হয�, দুঃখের দহনে জীববের প্রত� পদক্ষেপে যা� অভিজ্ঞতা ঝুলি হয়েছে পূর্ণ। এই জীবন একটূ মানু� বহ� কর� চলেছ� যা এত� মাধুর্য্� দিয়� লেখে কিভাবে সম্ভ� তা বল� বোঝানো যাবে না� সাধারণ এক জীবনের অসাধার� এক বর্ণনা মণীন্দ্� গুপ্তে� "অক্ষয় মালবের� "�
Profile Image for Shojib Saha.
17 reviews3 followers
August 26, 2023
অক্ষয় মালবের� মণীন্দ্� গুপ্তে� আত্মজীবনী মূলক বই।এ� বইয়ের� কোনো একটি ঘটনা� বর্ণনা দিতে গিয়� তিনি বলেছেন "ভাসমান সস্ত� শব্দ� কী কর� বোঝানো যাবে অনির্বচনীয় গভীরক�!" একথা বললে� আমার মত� তিনি সে� অসম্ভব কাজে� অনেকটা� সম্ভ� কর� দেখিয়েছেন এই বইয়ে।

শৈশব� মাতৃহী� লেখকের জীবনের একাং� কেটেছে পিতামহ � পিতামহী� সান্নিধ্যে� সেসময়� পিতামহী � মাতামহী� মধ্য� লেখকের ভাসায় "প্যাক্�" হয� যে বড� বেয়ানের দেহরক্ষা� পর লেখক ছোটো বেয়ানের কাছে তিনি হস্তান্তরি� হবেন� সে� জে� ধরেই শৈশবের আরেক অং� � কৈশর কেটেছে মাতামহ � মাতামহী� সান্নিধ্যে�

মণীন্দ্� বাবু� প্রাকৃতি� নৈসর্গিক রুপে� বর্ণনায় প্রকৃতির অল� মর্ম� বহুমাত্রিক অসংখ্য চিত্� মানসপট� ভেসে উঠতে বাধ্য। সেইস� বর্ণনা পড়ত� পড়ত� যেমন আনমন� এক ভাবালুতা মনকে আঁকড়ে ধরেছে। তেমন� বিষন্নতা� দীর্ঘশ্বাস ফেলত� হয়েছে বইকি আমায�! শহুর� এই চোখে প্রাকৃতি� নৈসর্গকত� কতোটুকুই বা দেখেছি� আর এই অভিজ্ঞতাহী� মানসপট� লেখকের বর্ণনা� কতোটুকুই বা কল্পনা� তুলি দিয়� মানসপট� আঁকত� পেরেছি জানি না�

শুধু প্রাকৃতি� বর্ণনা� নয়। কত� সম্প্রদায়, জাতিগোষ্ঠী, সেকেলে গ্রা� বাংলার কত� উৎসব, আচার-অনুষ্ঠান যে উঠ� এসেছ� এই বইয়ে। পাশাপাশি কত� রকমে� কত� ধাঁচের স্বতন্ত্� চরিত্র যারা লেখকের মন� দা� কেটেছিলে� বিশে� কোনো ঘটনা� মাধ্যম� বা বিশে� কোনো মুহূর্তে� আর সেইস� চরিত্রগুলো� খন্ড খন্ড চিত্রায়� জুড়� দিয়� লেখকের জীবনের এই স্মৃতিচারণা।

এই বইয়ের বহুমাত্রিক দিকগুলোর সবগুলো� বর্ণনা সীমি� শব্দ� কর� সম্ভ� নয়। লেখক এম� পরিব্রাজকে� ভূমিকা পালন করেছেন যে পরিব্রাজ� তা� পরিভ্রমণকৃ� পথকে ভোলে নি� প্রকৃতির অপার ঐশ্বর্� দুচোখে দেখেছেন। পথ� সহসা কত� রকমে� পথিকের সাথে তিনি মুখোমুখি হয়েছেন। কতোরকমের ঘটনাবলী� মুখোমুখি হয়েছেন। সেসব ঘটনা যেমন বিষাদে মনকে ভারাক্রান্� করে। তেমন� অনেক ঘটনা মন� পুলক আর বিস্ময� জাগায় বইকি! লেখকের সৈনি� জীবনের গল্প সেখানকার অভিজ্ঞতা� সর� বর্ণনা পড়া� পর তা� রে� কাটেনি বেশকয়েকদিন। এই বইয়� তিনি তা� জীবনকাহিনী বাইশ বছ� বয়স অব্দ� সীমাবদ্ধ রেখেছেন। কতোরকমের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ তা� জীবনের অতটুকু অংশ। সেসব তিনি কিছু সময় কথকে� মত� কিছু সময় মজলিশি আমেজ� বর্ণনা করেছেন� আমার মত� গল্পখোরদের জন্য এই বইটি বে� সুপাঠ্� হব� আশ� করি।
Profile Image for Shotabdi.
746 reviews153 followers
October 31, 2020
দীর্ঘদিন ধরেই আম� বইটি খুঁজছিলাম। অনেক না� শুনেছি বইটি�, অনেক প্রশংসা। আর নামটাও একটু অন্যরক�, কেমন যে� মিষ্টি গন্ধমাখা� তা� খু� আগ্রহী হয়েছিলাম।
আম� আত্মজীবনী পড়ত� ভালোবাসি, এট� আমার পছন্দে� একটি জনরা� বে� কিছু ভালো আত্মজীবনী পড়া� সৌভাগ্� আমার হয়েছে� তবুও, অক্ষয় মালবের� আমার এখ� অব্দ� পড়া সেরা ৫ট� আত্মজীবনী� একটি নিঃসন্দেহে�
তি� খণ্ড� বইটি লেখা হয়েছে� শৈশব-কৈশো�-যৌবন, এই মোটাদাগে তি� ভাগ৷
প্রত� পাতায় পাতায় ছড়িয়� আছ� এক� সাথে প্রাচী� কিন্তু চিরন্ত� এক ধারণ�, শব্দগুলো যে� মধ� দিয়� মাখা� কেবল� দৃশ্যে� জন্ম দেয়-এম� সব বর্ণনা� পড়ত� পড়ত� আমিও হারিয়� যাচ্ছিলা�, আমিই যে� লেখক হয়ে উঠেছিলাম�
লেখকের পরিচিত সক� মানু� যে� আমার� কাছে� মানু�, তাঁর জীবন� বড� হয়ে উঠার পথ� নানা� অভিজ্ঞতা, গাঁয়ে� জীবন-শহুর� জীবন-সৈনি� জীবন, যে� অপার বিস্ময়ে� ডালি সাজিয়� অপেক্ষ� করছিলো আমার জন্য� আমার মত� অসংখ্য পাঠকের জন্য�
আম� মণীন্দ্� গুপ্তে� অনুবাদ ছাড়� আর কিছু পড়িনি, তাঁর আর কো� লেখা পড়িনি, তাঁর জীবনের বিচিত্� যাপন সম্পর্কে আমার কো� ধারণাই ছিলো না� আর এটাই যে� আর� বেশি মুগ্� করছিলো আমাকে। আম� পরতে পরতে আবিষ্কার করছিলা� একজন মানুষক�, যিনি জীবনকে দেখেছে� এক নিস্পৃ� চোখে�
অন্যান্য অনেক আত্মজীবনী� মত� বইটি কেবল লেখকের আমিত্ব� ভর� নয়। বর� প্রকৃত�-গাছপাল�-নদী-পুকু�-গাঁয়ে� সোঁদ� মাটি� ঘ্রা�-কলকাতা� ট্রামলাই�-সৈনিকে� ব্যারা� সব� হয়ে উঠেছ� এক একটি চরিত্র� লেখকের নির্লিপ্� অবলোকনটা� তা� হয়ে উঠেছ� বড্ড মিষ্টি, বড্ড দুঃখছোঁয়া সুখে� আকর।
সৈনিকর� যে কেবল কাঠখোট্টাই নন, নানা� ধরনে� নির্দো� আনন্দে ছেলেমানুষে� মত� মেতে থাকতেন তাঁর�, এর প্রত্যক্� অভিজ্ঞতা পড়ে পুলকিত হয়েছি�
সেখানে কো� বিভে� ছিলো না, ছিলো না ছোঁয়াছুঁয়ি� কয়ে� লাইন� কেমন সুন্দর ছুঁয়ে গেলে� আমাদের দেশভাগ� বল� গেলে� আসলে� যে আমরা এক, তা যত� সীমারেখা দিয়� ভা� কর� হো� না কেন। কত সাধারণ মানুষেরও যে বাংলার প্রত� কেমন টা�, তা একটি মিষ্টি ঘটনায় উঠ� এসেছে।
শেষে আনন্দবাজার পত্রিকার জবানেই বল�,

' প্রচলি� আত্মজীবনী নয�, উপন্যা� নয�, একজন দুঃখী-না সুখী-না মানুষে�� চিহ্নপত্র।'
Profile Image for Manzila.
164 reviews140 followers
January 9, 2024
�.�/�
এই বইয়ের এত� সুন্দর সুন্দর রিভি� আছ� গুডরীডস� যে আর না লিখলেও চলে। শুধু তা� না, word of mouth এও সবচেয়� বেশি রিকমেন্ডেশ� মেলা বইগুলো� মধ্য� এই বইটা থাকবে। তা� শে� পর্যন্� যখ� পড়ে� ফেললাম মণীন্দ্� গুপ্তে� আত্মজীবনী "অক্ষয় মালবের�", দুকল� না লিখল� কেমন হয�!

বইটা তিনভাগ� ভা� করা। একদম কাঁথায� শোয়ান� ছেলেবেলা থেকে কৈশোরে� শুরু� দি� পর্যন্� প্রথ� ভাগটা। মজার ব্যাপা� হল, যেমনটা মন� হয� যে� জীবন কাহিনী বলেই জীবনের গল্প ধ্যাড়ধ্যাড়� আবেগ� বল� যাবে কে�, এই বইটা একেবারেই সেরক� না� বেশি� ভা� পাতা� জুড়েই বন � প্রকৃত� আর গ্রামী� জীবনের কী যে সুন্দর সব বর্ণনা! পরের পর্ব� আছ� সিলেটে� দিকে লেখকের কিশো� থেকে প্রায় যুবক কালী� সময়ের গল্প� শেষভাগের আছ� কলকাতা, আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের "রঙরু�"দে� কথা। তা� বল� যায়, নানা� স্বাদে, নানা� আবেগ� জড়িয়� আছ� এই আত্নজীবিনী - এক না সুখী, দুঃখী মানুষে� উপখ্যান। তব� আত্নজীবনী� চেয়� "Coming of Age" ঘরানাত� এক� ফেলল� মন� হয� ভালো হবে।

অত্যন্� সুখপাঠ্য, বই ভালোবাসে এম� সব পড়ুয়ার জন্য অবশ্যপাঠ্য!
Profile Image for Jenia Juthi .
258 reviews59 followers
April 11, 2023
কোনো মানু� সংসারে এক� হয়ে যাওয়া� জন্য কোনো বয়স বা সময় কি আছ�? কোনোকিছু বুঝে উঠার আগেই যারা এক� হয়ে যায়, তারা সু�-দুঃখ বল� ব্যাপারট� হয়ত� বুঝত� পারে না! শুধু এতটুকু বুঝত� পারে, কোনো অজান� কারণ� তারা একা। নিজেকে� নিজে� ভা� এক� টেনে নিয়� যেতে হয�, সু�-দুঃখ বোঝা� সময় কোথায়??


অক্ষয় মালবের� উপন্যা� নয�, প্রচলি� আত্মজীবনী� নয�, একজন দুঃখী-না সুখী-না মানুষে� চিহ্নপত্র। কাঁচ� কঞ্চির কলমে বনের সবুজ কালিতে হোগলার পাতায় লেখা--উজ্জ্ব� দুরন্ত দুঃখী ক্ষণমধুর অতী� যে� স্তব্ধতা থেকে এস� আবার স্তব্ধতায় ফিরে গেছে�
Profile Image for Amlan Hossain.
Author1 book67 followers
December 7, 2018
কিছু কিছু বই চট কর� পড়ে ফেলা যায়� কিছু বই পড়ত� হয� তারিয়� তারিয়�, প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়া� আগ� একটু একটু কর� চেখে� অক্ষয় মালবের� নিয়� পাঠপ্রতিক্রিয়� লেখা� সাধ্� আমার নেই। আম� বর� আগ্রহী পাঠকদে� জন্য কিছু লাইন তুলে দে�

** মানুষী স্মৃতি� মানুষ। স্মৃতি� জটিলতা� মরণে� পর� আমাদের নির্বা� হয� না সে কেবল স্মৃতি আছ� বলেই না! পুনর্জন্� সবচেয়� বড� ম্যাজি�- ধুয়� মুছে সব পরিষ্কার কর� দেয়�
**সে� বয়স�, আম� এত� স্পষ্ট কর� বুঝি না, শুধু বোধে� গোধুলিতে দ্বিতীয়ার চাঁদের ধূসর সোনা� আবছামত� রেখায় কত লেখা পড়ে� মন সু� আর বিষাদে দুভা� হয়ে চি� হয়ে যায়� অনুভূতির চাপে আম� জলের মধ্য� মাছে� মত� স্থি� হয়ে ডুবত� থাকি, আবার কখনো আকুবাঁকু কর� উঠ�-মহামৎসের মত� ঘাঁই মারত� চা� অনন্তে�
** মৃত্যু� পর� শ্মশান� বস� হয়ত� দেখব শরী� ফিরছ� তা� অঙ্গার�, জল�, ধাতুতে, লবণে� আর তা� সুক্ষ্� বিদে� আভ� চল� যাচ্ছে আকাশ�- আল�, মে� আর শান্তি� দেশে
**সময় আমাদের নশ্বরদের জন্য তৈরি অদ্ভুত এক মায়�- দেখত� না দেখত�, স্বা� নিতে না নিতে ফুরিয়� যায়�
Profile Image for Anjuman  Layla Nawshin.
83 reviews134 followers
January 12, 2024
থাকে না, কো� বই পড়া� সময় খু� বেশী ভালোলাগা� লাইনগুলো আমরা আন্ডারলাইন কর� বা মার্� কর� রাখি� এই বইয়ের প্রতিট� লাইন� এম� মার্� কর� রাখা� মত�
Profile Image for Arifur Rahman Nayeem.
182 reviews80 followers
April 10, 2025
আর সব আত্মজীবনী� মত� নয়। বে� আলাদা। কী রক� আলাদ�, তা অবশ্� পুরোপুরি বুঝিয়� বল� শক্ত� তব� পড়লেই বোঝা যায়� সিলেটি অধ্যুষিত বরাক উপত্যকায� কাটানো লেখকের কিশোরকালের কথ� অর্থাৎ দ্বিতীয় পর্ব আমার বেশি ভালো লেগেছে, নিজে সিলেটি বলেই শুধু নয�, ধর্ম � রাজনীতি নিয়� এই পর্ব� বর্ণিত লেখকের ভাবনার সঙ্গ� নিজে� ভাবন� মিলে যাওয়া� অন্যতম কারণ� মাঝেমধ্য� এম� প্রশ্ন দেখা যায়, এতদিনে� জন্য কোথা� যাচ্ছে�, সঙ্গ� নিতে পারবেন একটি মাত্� বই, কো� বইটি হব� সে বই? এখ� থেকে এই প্রশ্ন� আমার তৎক্ষণাৎ উত্ত� হব�, ‘অক্ষয� মালবেরি’।
Profile Image for Monika Ghosh.
183 reviews34 followers
October 13, 2019
এত সুন্দর কর� লেখা বই অনেক দি� পড়িনি� লেখকের মনের সৌন্দর্য বইয়� ফুটে উঠেছে। লেখকের চোখে� উপলব্ধ� কর� মুগ্� হয়েছি এই বনবাদাড়� ঘুরে বুনো ফল খাওয়া আর বুনো ফুলে� গন্ধ নেয়�, সবুজের মাঝে সবুজ মন নিয়� বেড়� ওঠা। এত সুন্দর কর� গ্রামবাংলা� সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন প্রত� শব্দ�, প্রত� বাক্য। অসাধার�!
33 reviews3 followers
January 20, 2022
প্রকৃত� আর বই এর চেতনায� ডুবে গিয়�, বই পড়ত� পড়ত� মণীন্দ্� গুপ্� যেমন মাঝেমাঝে চো� তুলে তাকিয়� দেখতেন� জগৎ।
আমিও তেমন� এই বইটি� শে� পৃষ্ঠাটুকু বন্ধ কর� মু� তুলে চারপাশ� তাকিয়� হতাশ হয়ে দেখলাম� হায় হায়! জগ�!

জানিনা এট� কী পড়লাম, কবিত� নাকি গদ্য! শে� কর� অভিভূত হয়ে আছি। পড়া শুরু কর�, প্রথ� বাক্� থেকে� নেশাগ্রস্থ� মত আটকে গেছিলাম।

"শত-শর� মানুষে� আয়ু� কিন্তু দুঃখী-সুখী-ভ্রষ্টাচারী ততদি� বাঁচ� না� মরনে� আগ� বোকা চোখে তাকিয়� দেখে� সমস্তই অসম্পূর্�, তা� রাকাশশী অসংলগ্� বালি হয়ে উড়ে যায়"

আহ�! এই �'টা বাক্যই ঝরনা� মত কলকল কর� বয়ে গে� আমার ভেতর�! বহুদিন পর আবার ঝনঝন কর� উঠলো আমার ফেলে আস� শৈশব-কৈশোরে� স্মৃতিবেদন�!
"অক্ষয় মালবের�" পদ্যের মত এক আত্বজীবনী�

মানুষে� জীবনটা� বা কিসে� মত� আসলে? কবিতার মত� নাকি কবিতাই জীবনের মত�?
এই যে দো-পেয়� একটা প্রাণী� জীবন মানুষে�, এই জীবনটা এত বেশি অর্থপূর্� কে� মন� হয�? অনুভূতির কাটাছেড়ায� আর বুদ্ধি� দৌড়� অন্য দো-চা� পেয়� প্রাণী� চেয়� এগিয়ে থাকা বলেই তো?
তবুও আবার মাঝেমাঝে�, যখ� তেতু� পাতা� ফিনফিন� কাঁপনে� মাঝখান দিয়� নিশু� রাতে জোছন� বে� কর� দেয় তা� হলদেটে মু�, কিংব� মাথা� ওপ� নক্ষত্রপুঞ্জ, বিরা� ছায়াপ� জ্বলজ্বল কর� সর� হয়ে মিলিয়� যায় আর� আর� দূরে, বিশা� এক শূন্যতায�, তখ� সে� অসী� শূন্যতার মুখোমুখি হয়ে বুকে� ভেতর ওরকম বোকা বোকা, ওলটপাল� আর অর্থহীনই বা কে� লাগে? নিজেকে অত ক্ষুদ্� আর বিশা� কে� যে লাগে! দ্বৈ� অনুভূত� দু� পা� থেকে গল� চেপে কে� ধর�?
ঘর ছেড়� চল� যেতে সা� হয�, আবার শুধু ঘর� ফিরবার টানে� জীবন� দিয়� দিতে সংকল্প হয়।
আসলে জীবনটা তব� কী?

রৌদ্রজ্জ্ব� দিনে পুকুরে� টলমল� জল� শরীরক� চি� কর�, চো� মুদে নির্ভা� ডুবে� ভেসে থাকা� অনুভূতির মত� প্রাঞ্জল লেখনী! পড়ত� পড়ত� আবেশ� বুজে আস� চো�!
উপমা� বাহারে রঙিন লাগে সক� শৈশবস্মৃতি�
নিজে� পরমায়ুর কথ� এত স্বচ্ছন্� গভীরতায� বল� যাওয়া যায়?
নিজে� প্রখ� অনুভূতিশক্তিকে কি সাবলীলভাব� শব্দবন্দী করেছেন তিনি!





"পরিত্যক্� থাকা� কষ্ট এব� অসহায় ক্রো�" এই দুটো বিষয়ক� নিজে� জীবনের সারসংকলন বলেছেন মণীন্দ্� গুপ্ত। অথ� সে� জীবনকে� কি চমৎকারভাবে অলংকৃত কর� ধরেও রেখেছে� পৃষ্ঠায়-কালিতে�
অক্ষয় মালবের� তা� শৈশব থেকে শুরু হয়ে মাত্� বাইশ বছরে� জীবনের আলেখ্য! অথ� যে� বটবৃক্ষে� শেকড়ে� মত অভিজ্ঞ � পক্ক� এত অলংকারময� শব্দ� অথ� সাদামাটা বর্ণনায় নিজে� জীবনপট� এত অনুপুঙ্খ ভাবে ফুটিয়� তোলা যায়, তা তো এই ২৫� পাতা� বইটি না পড়ল� আমার জানা� হত না! আত্বজীবনী� প্রত� আগ্র� নিয়� দৃষ্টিপাতও কর� হত� না!

এত ভালো একটা বই নিয়� এত কম হৈ-চৈ কে� আম� ঠি� জানিনা� গু� মা� সম্পন্� জিনি� কম লোকে চেনে বলেই হয়ত বা�
তি� পর্বের বইটিতে শৈশব, কৈশো� আর যৌবন (২২ বছ� অব্দ�) এর গল্প�
গতানুগতি� আত্বজীবনী থেকে ভীষন বেয়াড়া আর গভী� জলের মত ঠান্ডা এক আত্বজীবনী এটি। তা� শৈশব এব� যৌবনকালে� বর্ণনা আমাক� বেশি মুগ্� করেছে। বিশেষত, শৈশবকাল।




তিনি যেমন অবহেলায় আর অভিমান� একটু একটু কর� নীরবতা শিখেছে�, খু� কাঁচ� বয়সেই, আমিও নীরবতা শিখে গেছিলা�, বিষাদে� সাথে পরিচয় হয়েছি�, তা� আজ� সেসব নিয়� বড্ড বিপদ� পড়ে যা�!
তা� মত� আমিও কষ্ট এড়াতে অসাড� থাকা� অভ্যেস করতে করতে হয়ে গেছি মু� থুবড়ে জলাধারের পাশে পড়ে থাকা পাথরের মতন। সে� পাথর� রো�-জল-বায়� সব কিছু ছুঁয়ে যায় ঠিকই, কিন্তু হৃদয়ক� আর বিদ্� করতে পারে না সহজে�!
খেয়ালী পথিক এস� পাথর� বস� জুড়িয়ে� যায় দুদন্ড, কিন্তু পাথরকে সাথে নিয়� যাবা� মত শক্ত� পথিকের নেই।
তা� সু� দু� কিছু� অত আর যু� কর� উঠতে পারে না আমার সঙ্গে।

প্রকৃত�, বই আর ছবির ওপ� মণীন্দ্� বাবু� অবিচ্ছেদ্য ভালোবাসা আর আগ্রহে� সূত্রপাতের জায়গা গুলোতে আমার পড়া� গত� আর� বেড়� চলছিল। এই তি� জিনিসে যা� ভালোবাসা, তা� প্রত� আমার শ্রদ্ধ� হয়।

এস� কারনেই হয়ত মণীন্দ্� গুপ্তে� আত্বজীবনীটা এত ভালো লাগলো।
প্রকৃত�-বই-ছব� এই তিনট� না থাকল� আমিই বা আম� হয়ে উঠতা� কী কর�?


আধশুকন� তুলি� ডগায� একটুখানি রঙ নিয়� একেবেক� কয়ট� আঁচড়ে ফুটিয়� তুলেছে� নিজে� জীবনের চারপাশের গল্প, অভিজ্ঞতা� গল্প, জীবনের ঘূর্ণিপাকে আবর্তি� হয়েছে� যেসব মানুষে� সাথে, তাদে� সক্কলক� জ্যন্ত কর� তুলেছেন। দশ মা� বয়স� মা কে হারাবা� পর থেকে ফানুসে� মত ভেসে ভেসে চলেছ� তা� জীবন� নানা জায়গায় বাধা পেয়�, ভেসে গেছে� অন্যদিকে� যখ� যেদিকে প্রবাহ তাকে নিয়� গেছে, ভেসে গেছেন।
এদিক� সেদিকে ভাসত� ভাসত� ১৮ তে যো� দিয়েছেন ফৌজে�
পঞ্চাশের মন্বন্তর দেখলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কিছু কিছু ভয়াবহতা � নিষ্ঠুরত� দেখলেন�
ফৌজদারিত� তা� শিক্ষানবিশ সৈনি� জীবনের রোজকার ঘটনা, ট্রেনি�, চা� দি� থেকে আস� মানুষে� নানা� মিশেলে� বর্ণনায় মুখর ছি� তা� যৌবনকাল।
কত মানু� কত দি� থেকে এস� মিশে গেছে এক সাথে�
তুচ্� সাম্প্রদায়িকত� � সংকীর্ণত� যে একটি বড়সড় অসুখ মাত্� তা� মস্ত বড� উদাহরণ ভিন্� জাতি-ধর্ম� মিলমিশ হয়ে থাকা তা� শিক্ষানবিশ সৈনিকজীবন�

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তা� খেয়ালী আচরন� ফৌ� ছেড়� অনির্দিষ্ট জীবন� পাড়� দিলেন। আর, স্বপ্নের মত এই লেখাটুকু তখনই হঠাৎ শে� হয়ে গে�, তা� বাইশ বছরে এসেই� বে� হতাশ হয়ে বইটা বন্ধ করলে� একটা আবেশ� ঝি� ধর� বস� রইলা� বে� খানিকট� সময়�

তা� জীবনের আলেখ্য আমার জীবনের খন্ড খন্ড কালপ্রবাহে� ওপরও সূর্যরশ্মি� মত আলোকপা� ফেলে গেল। সে� আলোকরশ্নিত� নিজে� এই জীবনটাকে� নেড়�-চেড়� একবা� ভিন্� চোখে পর� কর� দেখা� চেষ্টা করি।
আমার ভেতরের পরিযায়ী স্বত্বার দুমদাম কড়া নাড়তে থাকা আবার� টে� পাই।
নিমজ্জিত হই তারই লিখে যাওয়া শব্দ�- "ভিতর� এক�, সুখী না, দুঃখী� না�"
Profile Image for Jannatul Firdous.
89 reviews166 followers
October 24, 2022
অক্ষয় মালবেরিক� বল� হয� আড়াইশ পাতা� একটা কবিতার ব‌ই� আদতে এট� আত্নজীবনী� এটিত� একজন লেখক তা� জন্ম,মা কে হারাবা� পর এক� এক� বেড়� ওঠ� সর্বোপরি তা� পুরো জীবনকে তুলে ধরেছেন কাব্যিকভাবে। লেখনী,বাচনভঙ্গ�,সাবলী� বর্ণনা, গল্প� গল্প� একটা আস্ত জীবনকে নিজে� অজান্তেই কখ� পড়ে ফেলেছি নিজে� জানি না�

আম� প্রচুর রিভি� লিখি� কিন্তু কিছু কিছু ব‌ই পড়া� পর এম� হয�, নিজেকে অযোগ্য লাগে� এই ব‌ইটা� তেমন� এর রিভি� লেখা,এর প্রত� আমার ভালোলাগা,এট� পড়া� প্রতিট� মুহূর্� আমার জন্য কতটা স্পেশা� ছিলো কিছুতে� আম� লিখে বোঝাতে পারব� না।�


বৃষ্টি� রাতে একাকী বস� অক্ষয় মালবের� পড়ুন। লেখকের জগতে হারিয়� যা�,তা� শব্দের মাধুর্যে মুগ্� হবেন� তাড়াহুড়ো করবে� না,আস্ত� ধীরে বুঝে বুঝে পড়ে চলুন লেখকের আড়াইশ পাতা� এই কবিতার ব‌ইটি�

˥️˥️
Profile Image for Mahrufa Mery.
182 reviews111 followers
February 1, 2020
অসম্ভব সুলিখি� একটি বই� লেখা পড়ত� পড়ত� একসময় মন� হয� ঘটনাবল� মানষচক্ষ� পরিষ্কার দেখত� পাচ্ছি� অসাধার� প্রকৃতির বর্ণনা�
এছাড়া�, দেশভাগের পূর্বে� দে�, তা� অবস্থা, সামাজিকত� কতকিছু� যে জানা গে�! বাড়তি পাওন� ততকালী� শিক্ষানবিশ সৈনি� জীবনের বে� খানিকট� বর্ণনা� সেইসাথ� দেশভাগের ইংরেজিয় ষড়যন্ত্রে� এক-দুইট� নমুনাস্বরূ� ঘটনা�
Displaying 1 - 30 of 124 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.