ŷ

Jump to ratings and reviews
Rate this book

গোয়েন্দাপী� লালবাজার #1

গোয়েন্দাপী� লালবাজার: এক ডজ� খুনে� রুদ্ধশ্বাস নেপথ্যকথ�

Rate this book
A collection of true crimes incidents from the annals of Calcutta Police files, narrated by IPS Supratim Sarkar.

জয়ন্ত-মানি�, কিরীটি, ব্যোমকেশ কি ফেলুদা� মত� গল্পের গোয়েন্দ� নয�, এই গোয়েন্দার� বাস্তবের� চরিত্ররা� রক্তমাংসের, আর কাহিনি ‘গল্� হলেও সত্যি� শ্রেণিভুক্ত। গত শতকে� ত্রিশে� দশকে� পাকুড় হত্য� মামল� দিয়� শুরু, শে� মাত্� দশ বছ� আগের লুথর� হত্যাকাণ্ডে। নানা কারণ� এই এক ডজ� খুনে� রুদ্ধশ্বাস কাহিনি কলকাতা পুলিশে� গোয়েন্দ� বিভাগে� শতাব্দী-পেরোনো ইতিবৃত্ত� উজ্জ্ব� হয়ে আছে। গোয়েন্দাপী� লালবাজার (আনন্�) বইয়� ঝরঝর� ভাষায় সে� সব তদন্তপদ্ধতির বিবর� রচনা করেছেন বর্তমানে কলকাতা পুলিশে� অতিরিক্ত কমিশনা� সুপ্রতিম সরকার। ‘লেখাগুল� একবা� পড়ত� শুরু করলে শে� না কর� উপায� থাকে না�, ভূমিকায় নগরপাল রাজী� কুমারে� মন্তব্যট� যথার্থ� সঙ্গ� তারই প্রচ্ছদ।

174 pages, Hardcover

First published January 1, 2018

91 people are currently reading
818 people want to read

About the author

Supratim Sarkar

10books52followers
সুপ্রতিম সরকারে� জন্ম কলকাতা�, ৩০ মে ১৯৭১� আশৈশ� কৃতী ছাত্র। ছাত্রজীবন কেটেছে সেন্� লরেন্স হা� স্কুলে� প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে প্রথ� শ্রেণি� স্নাতক� আনন্দবাজার পত্রিকায় স্বল্প দিনে� সাংবাদিকতা� পর ১৯৯৭ সালে যো� দে� ইন্ডিয়ান পুলি� সার্ভিসে� কর্মজীবন� রাজ্যে� বিভিন্� জেলা� এব� কলকাতা� নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনি� দায়িত্� সামলেছেন� বর্তমানে কলকাতা পুলিশে অতিরিক্ত কমিশনা� পদ� কর্মরত� কর্মক্ষেত্রে প্রশংসনী� দক্ষতা� জন্য ২০১৫-� সম্মানিত হয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রদত্� ‘ইন্ডিয়া� পুলি� মেডেল�-�, ২০১৭-� ভূষি� হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রদত্� বিশে� সম্মানপদকে।পেশায় আই পি এস অফিসার, নেশা� আপাদমস্ত� ক্রিকেটানুরাগী� লেখকের প্রথ� প্রকাশিত বই ‘গোয়েন্দাপী� লালবাজার’।

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
245 (39%)
4 stars
267 (43%)
3 stars
86 (13%)
2 stars
15 (2%)
1 star
6 (<1%)
Displaying 1 - 30 of 108 reviews
Profile Image for Wasee.
Author44 books728 followers
May 18, 2018
বইটা নিয়� বে� সাড়� উঠেছিল� বাতিঘর� চোখে পড়ামাত্� কিনে ফেললাম� উচ্চপদস্� একজন পুলি� কর্মকর্তার লেখা বই, অথ� কী চমৎকার ঝরঝর� বর্ণনাভঙ্গি। বাস্তবজীবনের ভয়ঙ্ক� সব উপাখ্যান, দুর্দান্� থ্রিলা� ফিকশনে� হা� মানিয়� দেয় সদম্ভে! Truth is stranger than fiction - আক্ষরি� অর্থেই কথাট� মন� পড়ল বারবার�

লেখক বলেন�

"সত্যিট� স্বীকা� কর� যা�, গল্পের ফেলুদা-ব্যোমকেশ-এরকু� পোয়ার�-শার্লক হোমসের রহস্যভেদের রোমাঞ্� বা রোমান্� বাস্তবের তদন্তে থাকে কদাচিৎ� অধিকাং� ক্ষেত্রে� ঘটনাস্থল� আধপোড়� সিগারেটে� টুকর� থাকে না, থাকে না বাগানে� ঝোপঝাড়ে� কাদায় পায়ের ছা�, থাকে না হুমক� চিরকুট বা সমগোত্রীয় কিছু� কল্পনা� গোয়েন্দ� গল্প খুবই উপভোগ্�, গোগ্রাসে গেলা� মতো। বাস্তবের তদন্� কিন্তু ভিন্�, অন্ত� নব্ব� শতাং� ক্ষেত্রে� প্রত� পদ� উত্তেজনায় আচ পোহানো নে�, নির্মো� পরিশ্র� আছে। রুদ্ধশ্বাস রোমাঞ্� নে�, আপ্রাণ অধ্যবসায� আছে। আপ� মনের মাধুরী নে�, মরিয়া একাগ্রতা আছে। নির্মাণে� জগ� মূলত, সৃষ্টি� নয� ততটা�"

এক ডজ� সত্যিকারের তদন্তে� ঘটনা নিয়� সাজানো হয়েছে বইটি� কল্পনা� রঙ চড়ানো রোমাঞ্� নয�, যেখানে বাস্তবতা� ভয়া� রূ� দেখে শিউর� উঠতে হয� পাঠককে� লো�, প্রতিশোধ, আবেগ, ক্ষো� অথবা নিছক কো� তুচ্� ঘটনা থেকে জন্ম এস� অপরা� কর্মকান্ডে�; অথ� কতোই না ভয়াবহ তা� শে� পরিণতি!

উপমহাদেশ� 'বায়োলজিক্যা� উইপন' ব্যবহা� কর� খু�, লা� কেটে আলাদ� আলাদ� কাগজের মোড়কে পেচিয়� ছড়িয়� দেয়�, ট্রেনে� বগিত� বিদ্� ট্রাংকের ভেতর নয� বছরে� বালকের লা� উদ্ধার, সিমেন্টে� বেদী� ভেতর পুতে রাখা ভাইয়ে� লা�, কঠোর নিরাপত্ত� ঘেরা এম এল � হোস্টেলে� ভেতর রাতারাতি খু� - মাথা� ভেতরটা তোলপাড� কর� দেয়!

কেসে� সাথে প্রয়োজন অনুসার� সংযুক্� কর� হয়েছে খবরে� কাগজের হেডলাই�, ফরেনসি� রিপোর্�, লাশে� কিংব� ক্রাইমসিনে� ছবি। তদন্তে� প্রক্রিয়াকে� ব্যাখ্যা কর� হয়েছে অত্যন্� সাবলীলভাবে। লেখক পুলি�, আই পি এস অফিসার� পুঙ্খানুপুঙ্� বর্ণ্ন� আর সাহিত্যি� উপমা প্রয়ো� কর� এমনভাব� গল্পের ছল� লেখা হয়েছে যে� ঘটনাগুলো একদম চোখে� সামন� ঘট�!
Profile Image for Israt Zaman Disha.
193 reviews584 followers
May 17, 2018
পড়ে শে� করলা� ইদানিংকালে� সাড়াজাগান� বই গোয়েন্দাপী� লালবাজার� বইটি বাতিঘর থেকে কিনা� কিনা� ইচ্ছ� ছি� না আসলে� অন্য বই কিনত� গিয়েছিলাম কিন্তু পাইনি। শেষমেশ এট� কিনে ফেললাম� কিনে ঠকিন� অবশ্যই�
বাস্তব যে মাঝে মাঝে বইয়ের পাতা� থ্রিলারকেও হা� মানাতে পারে এই বই তা� জ্বলজ্বল� দৃষ্টান্ত। বইটি পড়ে যেমন মানুষে� লো�, লালস�, নির্মমতা� প্রত� জন্ম� তীব্� ঘৃণা, তেমন� বাস্তবের গোয়েন্দাদের জন্য মন� জাগে সম্মান আর বিস্ময়।
লেখকের লেখা� হা� অসাধারণ। উন� পেশাদা� পুলি� এব� লেখক নন এট� তো মেনে নিতে� কষ্ট হচ্ছে। পুলি� বলতে� মন� ভেসে উঠ� কাঠখোট্ট�, বেরসিক কেউ। এত সুন্দর কর� বই-টই লিখব� এম� ভাবন� তো কোনদিন মন� আস� না� লেখক মাল্টিট্যালেন্টেড। আবার তা� পড়াশুনা� অনেক মন� হল� প্রতিট� কাহিনি� শেষে বা শুরুতে আছ� অন্য কো� গল্পের বা কবিতার অং� যা লেখনীকে কর� তুলে আর� আকর্ষণীয়�
পরিশেষ� যারা থ্রিলা� ভালোবাসে� বা বাসে� না, সবাই পড়ত� পারেন। কারণ বইটি শুধু মানুষে� নির্মমতা� দৃষ্টান্� নয�, একইসাথ� কলকাতা� গোয়েন্দ� পুলিশে� বীরত্ব এব� অধ্যবসায়ে� কাহিনী� বটে।
Profile Image for Mahatab Rashid.
107 reviews108 followers
April 6, 2018
এই উপমহাদেশের প্রথ� বায়োলজিকা� ওয়েপন ইউজড মার্ডা� হয়েছিলো ১৯৩৪ সালে� ফেব্রুয়ারী মাসে, খো� কোলকাতায়। ভিক্টিমে� শরীরে রীতিমত� প্লেগে� ভাইরাস ইনজেক্� কর� হয়েছিলো হাওড়া ট্রে� স্টেশন�, হাজারো লোকে� হাঁসফাঁস কর� ভীড়ে। খুনি যে স্বয়ং নিহতের� সহোদ�, সে� চাঞ্চল্যকর রহস্যভেদ হয়েছিলো কলকাতা পুলিশে� হাতেই।
বর্তমানে� ফে� রিকগনিশন প্রোগ্রামে� হাতেকল� অ্যানালগ ভার্সন 'ফটোগ্রাফিক সুপারইম্পোজিশন'� প্রথমবারের মত� ব্যবহৃ� হয়েছিলো কলকাতা পুলিশে� গোয়েন্দাবিভাগেই, আদালতে বিকৃ� কঙ্কাল যে খু� হওয়� পঞ্চ� শুক্লা�, তা প্রমাণের জন্য� সে ঘটনা আজ থেকে প্রায় ছয� দশ� আগের, ১৯৬০ এর�
আবার ১৯৫৪ সালে যখ� কলকাতা� বিভিন্� জায়গায় পড়ে থাকত� দেখা যাচ্ছিলো খবরে� কাগজ� মোড়ান� মানুষে� কাটা মাথা, হা�, বু�, পা - সে রহস্যে� কিনারা হয়েছিলো কলকাতা পুলিশে� সে� গোয়েন্দাবিভাগেই, যাকে লালবাজার নামে একনামে চেনে সবাই�

রহস্যোপন্যাসের পাতা থেকে উঠ� আস� গল্প বল� ভ্রম হওয়ার মত� উপরে� ঘটনা� সবগুলো� সাক্ষ্� দেয় একসময় কলকাতা� লালবাজারকে যে লন্ডনে� স্কটল্যান্� ইয়ার্ডে� সাথে তুলন� কর� হত�, তা নিছক গালগল্� নয়। গল্পের ফেলুদা-ব্যোমকেশদে� সাথে রক্তমাংসের পুলি� আর গোয়েন্দার ফাঁরাক বিস্তর, বাস্তবের অপরা� রহস্� তদন্তে রোমাঞ্�-উত্তেজনা� চেয়� একাগ্রতা আর পরিশ্রমে� চিহ্� অনেক বেশি� কিছু তদন্তে অপরাধীকে চিহ্নি� করাত� রহস্যে� কিছু নে�, কিন্তু আদালতে তা� উপযুক্� শাস্তি� জন্য অপরা� প্রমাণ কর� নিয়েই সৃষ্টি হয়ে টানটান রুদ্ধশ্বাস ঘটনার। আবার মাঝে মাঝে কিছু কে� হা� মানিয়� যায় ফেলু মিত্তিরদেরও। গত এক�' বছরে কলকাতায় ঘট� যাওয়া ১২টি চাঞ্চল্যকর হত্যামামলা� আদ্যোপান্ত কাহিনী, নেপথ্যকথ�, আর খুঁটিনাট� নিয়েই লেখক সুপ্রতিম সরকারে� বই "গোয়েন্দাপী� লালবাজার"�

লেখক স্বয়ং পুলি� কর্মকর্ত�, আই পি এস অফিসার� অত্যন্� উপভোগ্� আর রসাল� লেখনী, রীতিমত� সুখপাঠ্য� বিভিন্� উপমা, কবিতাং�, নানা� গোয়েন্দ� গল্পের যুৎস� রেফারেন্সে� সাথে তা� স্বাদু লেখনী� পার্টনারশি� চমৎকার� মো� বারোটি শহ� কাঁপিয়ে বেড়ান� মামলার প্রথমট� ১৯৩৪ সালে�, আর শেষট� মাত্� দশ বছ� আগ�, ২০০৭ এর� সবগুলো মামলাই খুনে�, কয়েকটার বিচিত্রত� অন্যগুলোকে ছাড়িয়ে যায়� প্রত্যেকটা মামলার সাথে আছ� বিভিন্� দরকারি নথিপত্�, কে� ফাইলের ছব�, খু�, মৃতদেহ, খু� হওয়ার জায়গা� সাদাকালো ছবি। ৫০/৬০ বছ� আগের সে� সাদাকালো গ্রেইন ভর� ছিঁড়েফেটে যাওয়া ছবিগুল� বিষণ্ণতা আর নৃশংসতার সাক্ষ্যদেয�, দু� একটা ছব� রীতিমত� গা শিউড়ে ওঠায়। এছাড়া� প্রত্যেকটা মামলার কাহিনী� আগ্রহোদ্দীপক � বুদ্ধিমা� নামকরণের জন্যেও লেখকের একটা ধন্যবা� প্রাপ্� থাকবে।

সুপ্রতিম সরকা� এর 'গোয়েন্দাপী� লালবাজার - এক ডজ� খুনে� রুদ্ধশ্বাস নেপথ্যকথ�' চমৎকার বিন্যাসে লেখা একটি ননফিকশ�, যা তা� রোমাঞ্চক� ঘটনা আর ক্ষমতাধর লেখনী� জন্য পাঠকের কাছে বা� বা� ফিকশনে� রূ� ধর� ফাঁক� দিতে সক্ষম।

রেটি�: �/৫।
Profile Image for Aishu Rehman.
1,059 reviews1,012 followers
June 28, 2019
Uh, Ok !! This book is not a regular thriller book if you accept it to be. It brings out the reality of crimes and the minds behind them. This book is plain and simple with very few suspense in it. It’s sort of a documentary kind of book where the writer tells us about how the crimes happens and how in actual world it is solved and what are the difficulties faced by the police to get the criminals convicted in front of laws. Some brutal and disturbing stories awaits you in this book.
Profile Image for Riju Ganguly.
Author37 books1,757 followers
December 1, 2020
বাংলায� ট্রু ক্রাইম নিয়� তন্নিষ্ঠ বইপত্রের সংখ্যা বড়ো� কম� আজ� ডক্ট� পঞ্চান� ঘোষালে� লেখা বইগুলো পড়া� পরামর্� দে� বিদ্বজ্জনেরা� সাম্প্রতিককালে আন্তর্জালে উপলব্ধ নানা তথ্য � তত্ত্বকে কাজে লাগিয়� কিছু বিচ্ছিন্� বই বেরিয়েছ� বটে। কিন্তু আমাদের কাছে বড়ো প্রশ্ন হয়ে ওঠ� অন্য একটা বিষয়।
কলকাতা পুলি�, যাকে একসময় অত্যন্� সঙ্গ� কারণেই স্কটল্যান্� ইয়ার্ডে� সঙ্গ� তুলন� কর� হত, তো কত-কত কেসে� সমাধান করেছে। সেগুলো নিয়� জানত� হল� কি ন্যাশনাল লাইব্রেরিত� গিয়� পুরোনো কাগজ হাতড়ানো ছাড়� কোনো� উপায� নে�? সংবাদপত্রে� কিঞ্চি� হলদেটে চশমা� মধ্য দিয়� ছাড়� কি কোনোমতেই জানা যাবে না সে� সত্যিকারের তদন্তে� নানা কথ�?
তারপ� এল ফেসবুক� কলকাতা পুলি�-এর নিজস্ব পেজ। বেংগলুরু পুলি� তাদে� পেজে নানা মি� দেয়� মুম্বই পুলি� উপহা� দেয় শুষ্� পরিহাসের নানা নিদর্শন। কলকাতা পুলি� কিন্তু তাদে� ছাপিয়� গে� সাহিত্যগুণে। আর তা� জন্য দায়ী ছিলে� সুপ্রতিম সরকা�!
সে� পেজে বহুলপঠিত, চর্চিত, নির্মম সত্যের পরিবেশনে� জন্য সুকুমারমতি পাঠকদে� দ্বারা নিন্দি� এব� অন্য সবার দ্বারা নন্দিত হয়েছি� এক ডজ� খুনখারাপির বিবরণ। তারপ� এল কলকাতা বইমেলা� সহ�, অনাড়ম্ব�, তথ্যনিষ্� অথ� প্রকৃতপক্ষ� সাহিত্�-পদবাচ্� এই লেখারা বই হয়ে এল তখনই� তাদে� কথাই লিখি আগে।
সূচিপত্র থেকে আন্দাজ পাবে� যে এদের রচয়িতার সাহিত্যপাঠ কতটা বিস্তৃত~
�) এভাবেও মেরে ফেলা যায়! (পাকুড় হত্যা� অমরেন্দ্� পাণ্ডে)
�) মানু� বড়ো শস্ত�, কেটে, ছড়িয়� দিলে পারত (বেলারানি দত্ত-কে হত্য�)
�) অন্ধকারে� উৎ� হত� উৎসারি� আল� (পঞ্চ� শুক্লা-কে হত্য�)
�) বণিকবাড়ির অন্তরমহল� (দেবযানী বণিক-এর হত্য�)
�) লাশই নে�, খু� কীসে�? (অনুরাগ আগরওয়াল-কে অপহর� � হত্য�)
�) করুণাধারায� এস� (নওলাখা দম্পতি-কে লুণ্ঠন � হত্য�)
�) মু� ঢেকে যায় বিজ্ঞাপন� (বিশ্বনাথ দত্ত'� হত্য�)
�) কী বিচিত্� এই দ্বে�! (হারু� রশিদ-এর হত্য�)
�) মধ্যরাতে� কি� স্ট্রিটে (ফরওয়ার্� ব্লক বিধায়� রমজা� আল�'� হত্য�)
১০) বয়স হয়েছি� পঁয়ত্রি� (সার্জেন্� বাপি সে�-এর হত্য�)
১১) দ্� বিলিয়� ডলার কে� (তপ� দা�-এর হত্য�)
১২) অত� পুরাতন ভৃত্� (রবিন্দ� কাউর লুথর�-� হত্য�)
অত্যন্� যত্ন নিয়� বেছে নেওয়া হয়েছি� এই কেসগুলোকে। সমাজের প্রায় প্রতিট� স্তর তো বটেই, এমনক� রাজনীতি � অর্থনীতি� আল�-ছায়� যেভাবে প্রভাবিত কর� ক্রাইম � পানিশমেন্টকে, তারও যথায� প্রতিফলন যাতে ঘট� এই গোয়েন্দাপীঠে� আখ্যানমালায়, সে� চেষ্টা করেছিলেন লেখক�
কীভাবে অপরা� নজরে এল, তারপ� ধাপে-ধাপে এগোন� তদন্তে� পদ্ধতি এব� শেষে প্রসিকিউশনের বিবর� আমরা ফেসবুকেই পড়েছিলাম। এই বইয়� সংযোজি� হয়েছি� বিভিন্� মামলার নথি। যে লেখা ফেসবুক� পড়া যায় বিনামূল্যে, সে-জিনি� যে এম� মেগাহি� হবে� � বোধহয় কে� ভাবত� পারেনি� তব� এই বইয়ের আস� প্রভাব ছি� ফিকশনে� আঙিনায়।
মিডিয়� থেকে সাধারণ মানুষ� সবার গালাগালি খেয়�, পাদপ্রদীপে� আল� থেকে দূরে, অজস্� সীমাবদ্ধতা� মধ্য� যে মানুষগুল� অক্লান্ত শ্রম� অপরাধীকে আইনে� সামন� পে� করেন সে� পুলিশক� আমরা অনেকেই নতুন চোখে দেখত� শুরু করি। ফিকশনে ব্যোমকেশ বা ফেলুদা'� কথ� আলাদ�, তব� অন্য যে-সব গোয়েন্দার স্রষ্টার� পুলিশক� ভাঁড়ে� স্তর� নামিয়� আনেন, তাঁদের পালে� হাওয়া হু-হু কর� কম� যায় এই বই প্রকাশের পরেই� বর� এই বইয়ের পরিশিষ্ট� লিপিবদ্ধ সে� নীরব অফিসারদে� উদ্দেশ� আমাদের সবার স্যালু� জম� হয� মন�, যাঁর� এই রহস্যগুলোর সমাধান করেছিলেন�
লেখাগুলো অত্যন্� সুখপাঠ্য হলেও পড়ত� কষ্ট হব� কনটেন্টে� জন্য� ষড়রিপুর এই প্রদর্শনী সহজপাচ্য নয়। তব� বল�, কাল্পনিক গোয়েন্দ� গল্প তো অনেক পড়লেন� কলকাতা শহরে� ভেতরের এই সাড়াজাগান� বারোটি ট্রু ক্রাইমের খতিয়া� থেকে� বা নিজেকে বঞ্চিত করবে� কে�?
কলকাতা পুলিশক� নীরব নমস্কা� জানালা� এই সামান্� লেখা� মধ্য দিয়েই�
Profile Image for Shadin Pranto.
1,421 reviews478 followers
October 5, 2019
মানুষে� মনের ভেতরকা� রহস্� বোঝা শুধু কঠিন� নয�, অনেকাংশে অসম্ভবও। লালবাজারের বিচিত্রস� কেসগুল� নিয়� পড়ত� গিয়� খানিকট� হোঁচ� খেয়েছ� অস্বীকা� কর� না� এমএল� রহমত আল� খুনে� ঘটনা� টুইস্ট মাথা খারা� কর� দেওয়া� যোগাড় করেছিল, পুরাতন গৃহভৃত্যের কান্� আর নৃশংসভাব� খু� করেও ঠান্ডা মাথায় ছক কষ� রেহা� পাওয়া� ক্রিমিনা� মাইন্ডের তারি� না কর� পারা যায় না�

বইটা পড়ে একটা বিষয� বুঝেছি গল্প-উপন্যাসে� খুনীদে� চে' বাস্তবের খুনে� কিনারা কর� ঢে� শক্ত এব� বাস্তবের অপরা� এমনভাব� সংগঠিত হয� তেমনটি হয়ত� বাঘা বাঘা লিখিয়ের ভাবন� জগতে� দূরত� সীমানাতে� নেই।

থ্রিলা� খুঁজছে�? "গোয়েন্দাপী� লালবাজার" থ্রিলারকেও হা� মানাবে�
Profile Image for Rakib Hasan.
415 reviews75 followers
January 18, 2021
২০১৮-১৯ এর বে� সাড়� জাগানো একটা বই� বাস্তব এব� গল্পের খুনে� রহস্যে� ফারা� এই বইটি পড়ল� বুঝা যায়� যাইহোক বে� ভা� একটা বই, যথেষ্ট উপভোগ্য।
২০১৮ তে কেনা হলেও দীর্ঘদিন পর পড়া� সুযো� হল, বাস্তব হলেও লেখক অনেক সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন যে কারন� পড়ত� ভা� লেগেছে� যা ননফিকশ� এব� বাস্তব ঘটনা� আদলে হলেও রহস্যে� রোমাঞ্চে� কো� কমতি ছিলনা।
Profile Image for Shaid Zaman.
286 reviews45 followers
March 5, 2020
সুপ্রতিম সরকা� এর একটা ইন্টারভি� দেখেছিলা� বছ� দুয়েক আগ� মন� হয� ইউটিউবে। পুলি� হিসেবে এত স্মার্� ভাবে কে� কথ� বলবে আশ� ছি� না� তা� একটু গুগল করতে� এই বইয়ের সন্ধান পেয়েছিলাম� তখ� থেকে বইটা পড়া� ইচ্ছ� ছিল। তা� কিছুদি� পরেই কলকাতা গিয়েছিলাম ভ্রমণে� জোড়াসাঁকো� ঠাকুরবাড়ি ঘুরত� গিয়� দেখি ছো� একটা বই মেলা হচ্ছে। মেলায় পেয়েও গেলা� বইটা� কিন্তু পাশে� তপ� রায় চৌধুরী� "বাঙালনাম�" দেখে এট� রেখে দিয়� বাঙালনাম� বগলদাব� কর� ফিরেছিলা� কারণ পকেটের অবস্থা খু� একটা ভালো ছি� না�

সেদি� হঠাৎ হাতে চল� আস� বইটা� এবার আর মি� করিনি। সুপ্রতিম বাবু আইপিএস অফিসার হওয়ার আগ� সাংবাদিক ছিলেন। সে� সাথে ভয়ংকর রকমে� সাহিত্যানুরাগী � ক্রিকেটপ্রেমী সেটা বোঝা যাচ্ছিলো বইয়ের পাতায় পাতায়� দারু� সাবলী� লেখনী�

আমরা যারা গোয়েন্দ� গল্প পড়ে পড়ে বড� হয়েছি তাদে� জন্য এই বইটা দারু� একটা অভিজ্ঞতা হিসেবে যো� হব� নিঃসন্দেহে� ফিকশ� আর নন ফিকশনে� মধ্য� একটা কল্পিত ঝুলন্ত সেতুতে ভারসাম্যহী� ভাবে ঝুলত� হব� বইটা পড়লে। ফেলু মিত্তি� বা ব্যোমকেশ বাবু� মত� সহ� না লা� বাজারে� গোয়েন্দাদের গোয়েন্দাগিরি। তাদে� মত� খালি অপরাধী খুঁজ� দিলে� হয� না এদের, সে� সাথে নিখুঁত ভাবে তৈরি করতে হয� চার্জশিট� নাহল� উকিলের মারপ্যাঁচে আদাল� থেকে ছাড়� পেয়� যাবে আসামি। সিআইডি� দয়া এক রা� থাপ্পড� দিলো আর আসাম� স্বীকা� কর� দিলো হ্যা স্যা� আমিই খু� করেছ� গল্প এখানেই শে� না� সেটা� ফুটে উঠেছ� এই বইয়ে।

হিংস�, লো�, লালস�, কামন� মানুষক� মুহূর্তে পশুত� পরিণ� কর� দেয়� এরকম নানা কাহিনী প্রতিনিয়ত দৈনি� পত্রিকার কাটত� বাড়ায�, টিভি চ্যানেলে� টিআরপি বাড়ায়। কিন্ত�� সেগুলো� আদ্যোপান্ত জানা হয়ন� সাধারণত। কলকাতা পুলিশে� এরকম কিছু কেসে� আদ্যোপান্ত তুলে ধরেছেন সুপ্রতিম সরকার। বেশি কিছু বল� ঠি� হব� না, স্পয়লার হয়ে যাবে� থ্রিলা� বা গোয়েন্দাকাহিনী যারা ভালোবাসে এই বইটা তাদে� জন্য অবশ্যপাঠ্য বল� আম� মন� করি।
Profile Image for Ësrât  Járïñ.
502 reviews82 followers
August 6, 2022
লালবাজার

নিপু� নিধনকান্ডে নরাধমদের নির্বিচারে নিঃশব্দে নিখোঁজ হবার আগেই যুক্তি তর্ক গা� গপ্পোর অসারতা� আখ্যান অক্লেশ� নিরল� অন্তর্ভেদী অনুসন্ধানে জনসমক্ষে এন� সুবিচারে� সৌষ্ঠব সুদূ� অতী� থেকে বর্তমানে� তুলে ধর� এক আস্থাভাজ� আশ্রয়ের না� আবালবৃদ্ধবনিতাদে� জন্য�

প্রযুক্তির প্রচার প্রসারের এই ব্যাপকতা� যুগে অপরাধীদে� প্রচলি� আইনে নিয়মকানুনের জালে জড়িয়� ফেলা বে� সহজসাধ্য � হয়ে গেছে, কিন্তু আজ থেকে আর� বছ� ত্রিশে� আগ� সদ্য ফরেন্সিকের বিস্তারে� সাথে নানাবি� প্রতিকূলতা সত্ত্বেও শুধু মাত্� নিষ্ঠা সততা সম্বলি� তীক্ষ্মধী সম্পন্� সেইস� সুপা� হিউম্যানরা ছিলে� বলেই পা� বাপক� ছাড়লে� পাপীকে ছাড়েন� মোটেও।

শ্বাসরুদ্ধকর সব কে� অবস্থা জালে ফেঁস� যে যায়নি তা মোটে� নয� কিন্তু ফিকশনে� চেয়� বাস্তবের অ্যাকশ� বড়ো বিচিত্র।বন্ধুর যে পথ� কল্পনা� ফেলুদা ব্যোমকেশ কিরীটি একেনবাবুরা সমাধানের অভাবনীয় পথ খুঁজ� পেলে� লালবাজারের হোমিসাইডের ডাকসাইটে গোয়েন্দাদের খাটত� হয়েছে প্রচুর�

ব্যক্তিগ� ভাবে এইসব নৃশং� হত্যাকান্ডের প্যাটার্� জ্ঞা� হলেও অজ্ঞাতসারে বু� চিরে বেরিয়� এসেছ� দীর্� শ্বা� বাইশ বছরে� ফুটফুট� গৃহবধূ দেবযানী আর সন্তানসম্ভবা বেলারানী অকাল বোধনে।কিশো� অনুরাগ আগরওয়াল কিংব� শিশু হারু� হত্যায� মন� পড়ে যায়;

মানু� বড� শস্ত�,কেটে, ছড়িয়� দিলে� পারত
অন্ধকারে� উৎ� হত� উৎসারি� আল�
অপরাধীদে� মুখখান� বিজ্ঞাপনের আগেই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলে� অনাচার সমাজ থেকে ছাড়ত।


সুপ্রতিম সরকারে� সত্যসন্ধান� এই অপ্রতী� চেষ্টা কাগজ� কলমে লিপিবদ্ধ করার জন্য রইলো শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।

রেটি�:⭐🌟✨🌠.৭৫
�/০৮/২২
Profile Image for Ismail.
Author60 books197 followers
July 4, 2019
সুখপাঠ্য� চমৎকার� দ্বিতীয় পর্বটা শীঘ্রি পড়ে ফেলত� হবে।
Profile Image for Tasnima Oishee.
140 reviews22 followers
April 22, 2024
"পথের কথ� পথ� জানে, মনের কথ� মত্ত-
মানু� বড� সস্ত�- কেটে ছড়িয়� দিলে� পারত�!"

আশেপাশ� একটা কথ� প্রায়� শোনা যায়, "পুলি� চাইল� যেকোনো অপরাধীকে� ধরতে পারে, শুধু হয়ত� সদিচ্ছার অভাব থাকে কোথা� না কোথা�!"
এই বইয়ের লেখক সুপ্রতিম সরকা�, একজন আইপিএস অফিসার� কোলকাত� পুলিশে� ফেসবুক পেইজ� প্রায়� হৈ চৈ ফেলে দেয়� কেইসগুলো লেখবার অনুরোধ আস�, সে� থেকে� এই বইটা� জন্ম�
মোটমাট বারোটি গল্প স্থা� পেয়েছ� এই বইটিতে� গল্প বলছি কে�, এত� সত্যি। কোলকাতার সাড়� জাগানো কতোগুল� কে�, যেখানে প্রথমট� ১৯৩৪ এর দিকে- যখ� সিসিটিভি ক্যামেরা নে�, নে� ডিএন� টেস্টে� সুবিধা, সেইরকম সময়� প্রথমবারের মতোন বায়োলজিকা� মার্ডা� উইপন- মানে রীতিমত� সুঁইয়� একবা� টিটেনা� আরেকবা� প্লেগে� ব্যাকটেরিয়া দিয়� ছোটো ভাইক� হত্যার চেষ্টা� আজ থেকে অলমোস্� এক�' বছ� আগ�, যখ� সায়েন্টিফিক্যাল� সব কিছু প্রমান কর� ছিলো যথেষ্ট কষ্টসাধ্� সেইসময� শুধুমাত্� পুলিশে� আন্তরি� চেষ্টায় আদালতে beyond any reasonable doubt এম� কঠিন একটা মামল� প্রমাণ কর� গিয়েছিলো।

বারোটি গল্প� বারোটি� খুনে� গল্প� ভিকটিম প্রা� দিয়েছ� কখনো মাদকাসক্� ছো� ভা� এর হাতে, কখনো আমুদ� বড� ভা� এর হাতে� কখনোবা স্ত্রী� পরকীয়� ধর� ফেলায় স্বামীকে মৃত্যু বর� করতে হয়েছে, কখনোবা স্বামী� অন্য স্ত্রী� কথ� প্রথ� স্ত্রী জানব�- এই ভয়ে প্রথ� স্ত্রী� শরী� টুকর� কর�, তি� ভাগে ভা� কর� কোলকাতার তি� জায়গায় ফেলে আস� হলো। ডেডবডি� পরিচয় যাতে জানা না যায় সেকারণ� মুখে� চামড়া তুলে ফেলা হল�- যাতে কর� লা� কে� শনাক্ত করতে না পারে� তাছাড়� ডিএন� টেস্� বলেও তখ� কিছু নেই। মোবাইল ফোনে� যু� না বল� যাকে অপরাধী বল� সন্দেহ তা� ট্রে� � পাওয়া যাচ্ছে না� দুইট� ছোট্� বাচ্চা� মৃত্যু� ঘটনা স্থা� পেয়েছ� এই বইতে� একটা খু� টাকা� জন্যে। আরেকটা খু� করেছিল� সে� বাচ্চাটি� সবচেয়� পছন্দে� এক লো�- যাকে তা� বাবা� কোনো একদি� চাকর� দিয়েছিলেন� সে� চাকর� তাদে� খামখেয়ালিতে� চল� গেলো- তবুও সে� দ্বেষে উপকারী� ছেলেকে একদম খু� কর� বাক্সে ভর� ট্রেনে তুলে অন্য রাজ্যে পাঠানো হলো। হত্যাকারীরা শে� অব্দ� শোকাভিভূ� বাবা� পাশে বন্ধুর মতোন বস� ছিলে�, ধর� খাওয়া� আগ পর্যন্ত। মামলার জট খুলত� সবচেয়� বড� ক্লু দিলো বাচ্চাটি� বন্ধু। বইতে ব্যবহৃ� একটা কথাই যো� কর� বরং।
All motives for murders are covered by four L's. Love, Lust, Lucre and Loathing.
- P.D. James, The Murder Room
এত� বিচিত্� কারণ� খু� গুলো হয়েছে... শুনল� বিশ্বা� হত� চায় না�

যা নিয়� কথ� বললে� না- সেটা হল�- লেখকের লেখনী� আজকালকার লেখকদে� মধ্য� সবচেয়� বড� সমস্যা যেটা মন� হয�, মন� হয� যে তারা পড়ে� না� এই লেখকের ক্ষেত্রে তা মন� হবার কারণ নেই। ভদ্রলোকে� খু� গল্প-উপন্যা� পড়াশোনা� ধা� আছ�, কাহিনি� ভাষা থেকে উপস্থাপন- সবটা� ঝরঝরে। চমৎকার� মাঝখান� মাঝখান� এত� সুন্দর উদ্ধৃতির ব্যবহা�, কথায� কথায�- ফেলুদা, ব্যোমকেশ কিংব� কাকাবাবু� কথ� উঠ� আসছিলো বারংবার। কাহিনিগুলো� না� � দেয়� হয়েছে চমৎকার�

পুলিশে� কা� শুধু অপরাধী ধর� তো না� অপরাধী পুলিশে� কাছে একবা� স্বীকা� কর� সে� অপরা� আর কোর্টে স্বীকা� কর� না� এদিক� beyond any reasonable doubt সেটা প্রমাণ করার জন্য এম� একটা চার্জশী� পুলিশক� সাজাতে হয�, যেখানে এক ফোটা ফা� ফোকর থাকা যাবে না� থাকলেই শেষ। অপরাধী বেরিয়� যাবে হনহন করে। খুনে� দুইমাস পর যদ� মৃতদেহ উদ্ধার, সেক্ষেত্রে দেহাবশেষ যে সে� ভিকটিমের� এই প্রমাণ করতে� এক�' বছ� আগ� কো� প্যারা� মধ্য� দিয়� যেতে হয়েছে তা� কিছুটা এই সংক্ষিপ্� লেখা� মধ্য� উঠ� এসেছে। শুধুমাত্� তদন্তকারী পুলিশে� অধ্যবসায়টুকুর জন্য� এও কেইসগুলো সল� কর� সম্ভ� হয়েছে�
বাংলাদেশ� এই ধরণে� কোনো বই লেখা হয়েছে কি না জানা নেই। গল্পগুলো পড়ত� আজকে বে� ভালো লাগল�, পাশে� দে� না হয়ে আমার দে� হল� ভালো লাগত� আরেকটু� এদেশেও নিশ্চয়ই সৎ পুলি� অফিসাররা আছেন, আম� নিজে� বিভিন্� সময় তাদে� আন্তরি� সহযোগিতা পেয়েছ� বা� দুয়েক� কিন্তু তা� সাথে� গত� একবছরে এক এসআই আমাদের ফ্যামিলিকে এত� হেনস্ত� করার চেষ্টা করেছ�, যে সেটা নিয়� লিখল� এই বইটা� মতোন একটা গল্প হয়ে যাবে, পুলিশে� বিরুদ্ধে জায়গামতোন কম্পলেইন দেয়ার আর সেটা নিজেরা হ্যান্ডে� করার ব্যবস্থা থাকল� ওই শয়তানটা� চাকর� চল� যাইত�, কত� মানুষে� পিছন� যে লাগতেস� এখ� আল্লাহ জানে� এত� শেইমলে� লোকে� গায়� ইউনিফর্ম ওঠ� ব্যাপারট� খুবই লজ্জাজনক�
অবশ্যি এই বইতে� চারজ� কন্সটেবলের হাতে একজনের খুনে� একটা কাহিনি ছিলো- বাকি এগারোট� কেসে যা হয়ন�, এই কেসটাত� তা� হয়েছিলো- ফরেনসি� রিপোর্� ফল� দেয়� হয়েছিলো� তা� মানুষে� মুখে মুখে যে এসআই দে� চক্করে পড়ে জীবন ত্যানা ত্যানা হওয়ার গল্প শোনা যায়, বা রাস্তা ঘাটে ট্রাফি� সার্জেন্টদেরকে অহরহ ঘু� নিতে দেখা� যে চেহারাটা দেখি, তা� বাহিরে গিয়� এম� একটা বই- খুবই অন্যরক� লাগল� পড়তে। আসলে- তদন্তকারীদে� সদিচ্ছ� থাকল� কত� কিছু� তো হয�!
সাগর রুনি হত্যাকান্ডের কথ�, ত্বকী হত্যাকান্ডের কথ� কিংব� তনুর হত্যাকান্ডের কথ� একের পর এক মাথায় ঘুরতেসিলো। তব� এগুল� অনেকাংশে� হয়ত� পলিটিক্যাল কেইস, পুলিশে� সদিচ্ছায়ও বেশি কিছু হতোন� হয়তো। এই বইতে একটা� পলিটিক্যাল কেইস ছিলো না� আমাদের দেশে তো আবরা� হত্যাকান্ডের বিচারটাও বে� দ্রুতই হয়েছিলো�

Robert Louis Stevenson এর একটা কথ� বইতে উঠ� এসেছ�- "I've seen wicked men and fool, a great many of both, I believe they both get paid in the end; but fools first."
Profile Image for Farhana Sultana.
91 reviews71 followers
July 5, 2020
মনটা ভা� ভা� হয়ে গেলো�

কাল্পনিক গোয়েন্দ� গল্প পড়ল� কখনো মনখারা� হয� না� কেবল একটা থ্রিলি� অনুভূত� হয়। অপরাধী কে আর অপরাধে� কারণ জানা� আগ্রহই বেশী থাকে� গোয়েন্দার সাথে সাথে রহস্যে� অলিগলিতে বিচর� করতে মন্দ লাগে না� কখনো কখনো নিজে� মাথা খাটানো� ব্যর্থ প্রচেষ্ট� করা। তারপ� রহস্যে� সমাধান হয়ে গেলে উত্তেজনা� শেষ। মন� হয� কত সহ� আর আম� ধরতে পারলাম না� কিন্তু সে� অপরাধে� যারা স্বীকা� হয� তাদে� নিয়� কখনো সেভাবে ফি� করিন�, অন্ত� গোয়েন্দ� গল্প পড়া� সময় তো কখনো� না� কারণ হয়ত এটাই যে অবচেতন মন� আম� জানি এগুল� কাল্পনিক� বিশ্বা� করার কারণ নেই।

তব� বাস্তবের অপরা� জগতে� গল্প যখ� মিডিয়ার কল্যাণ� কানে আস�, যখ� ফেসবুক� তোলপাড� হয� কোনো একটা বিশে� ঘটনা নিয়� তখ� স্বাভাবিকভাবেই ভিকটিমদে� জন্য খারা� লাগে� প্রায়� ভাবি, মানু� কে� অপরা� করে। কে� অন্যের ক্ষত� করে। এস� কর� কি কখনো সত্যিকার� কারো ভালো হয�?
অনেকদি� ধরেই বইটা পড়া� লিস্টে ছিল। পান্ডব গোয়েন্দার গাঁজাখুর� জোড়াতালিমার্ক� গল্প পড়ত� গিয়� মাথা যখ� বে� গর� তখ� তুলে নিলা� এই বইটা� শুরু� ঘটনাটা� ভীষণ পরিচিত আমার� ফেসবুকেই একবা� কোনো এক গ্রুপে এই কেসট� সম্পর্কে বিস্তারি� লেখা পড়েছিলাম।
তারপ� এক এক কর� বাকি ঘটনাগুলি� পড়ে ফেললাম� সত্যিই রুদ্ধশ্বাস বট�...
বিশে� কর� "বণিকবাড়ির অন্দরমহল�" আর "বয়স হয়েছি� পঁয়ত্রি�" এই দুইট� ঘটনা আমাক� একদম নাড়িয়ে দিয়েছ� ভিতর থেকে�
"বণিকবাড়ির অন্দরমহল�" পড়ে খানিকট� আশ্চর্� হয়েছি� না এই ভেবে নয� যে এম� অপরা� কি কর� করলো� এই ভেবে যে মেয়েদের অবস্থা� ওই আশির দশকে যা ছি� আজ� এক� আছ� এট� ভেবে� পড়ত� পড়ত� মন� হল� কিছুদি� আগ� ঘট� যাওয়া ফেসবুক� আলোড়ন তোলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী� ঘটনাটা� যে� পড়ছি। মিডিয়ার ভাষ্� অনুযায়ী যে কিনা শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের স্বীকা� এব� তাদে� হাতে� নিহত যা কিনা পরবর্তীতে আত্মহত্য� বল� চালানো হয়। এই অত্যাচারের কথ� মেয়ের বাবা� বাড়ির মানুষে� থেকে� জানা যায়� তা� মানে হল� অত্যাচারের কথ� জেনে� মেয়েটাক� কে� রক্ষ� করেন� সময় থাকতে। যেমনটা হয়েছি� বণিকবাড়ির বড� বউয়ের বেলায়� বণিকবাড়ির বড� বউ, না� দেবযানী বণিক - শিক্ষি� ছি� না� বিয়েও হয়েছি� কম বয়সে। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবাদের কথ� মেয়ের� তখ� ভাবত� না� মা বাবা� কথ� শুনে মানিয়� নেয়ার আপ্রাণ প্রচেষ্ট� চালিয়� যাওয়া� নিজে� কর্তব্� বল� ভাবতো। আর তখনকার সামাজি� অবস্থা বিবেচনায� মেয়ের মা বাবা� দ্বিধা� কারণ� ছি� স্পষ্ট� কিন্তু এই যুগে এই ২০২০ সালে এসেও কে� মা বাবারা দ্বিধা করেন? কে� একটা মেয়� শিক্ষি� হয়ে�, সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়াশোনা করেও সে� এক� অত্যাচার সয়ে যায়? কে� ফাইট ব্যা� করতে পারে না?
উত্তরে� কথ� ভাবল� একটা� কথ� মন� হয়৷ তা হল� এই সমাজ...মেয়েদের বেলায় সমাজের নিয়মকানুন কখনো বদলায় না� মা বাবারা� সমাজের কাছে নত� স্বীকা� করেন� বাধ্� করেন নিজে� মেয়েকেও মাথা নত কর� থাকতে। সে� মেয়� যাকে হয়ত তারা প্রিন্সে� বল� ডাকতেন� সে� মেয়� যাকে তারা ভীষণ আগলে রাখতেন� সে� মেয়� যা� কতশত আবদা� তারা হাসিমুখে পূরণ করতেন। তারপ� আদরে� মেয়েক� বিয়� দে�...বাপে� বাড়িক� বিদায় জানিয়� মেয়� শ্বশুরবাড়� যায়...আর এই বিদায় কখনো কখনো চিরবিদায� হয়ে দাঁড়ায়�
দেবযানী থেকে সুমাইয়া, ভিন্� না�, ভিন্� জায়গা, কিন্তু নিয়তি তাদে� একসূত্রে গাঁথ�...যু� যু� ধর� শুধু এই নামগুলোর� বদ� হয়। সময়ের বদ� হয়। জায়গা� বদ� হয়। বদ� হয� না শুধু সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির�
এই ঘটনাটা পড়ত� গিয়� আম� আসলে� ভীষণ শিউর� উঠেছি। কতখানি নির্মম হত� পারে মানু�?

অনেক বেশী আবেগী কথ� হয়ত লিখে ফেলেছি� কিন্তু আক্ষরি� অর্থেই এই বইটা আমাক� ভাবিয়েছে।

আর "বয়স হয়েছি� পঁয়ত্রি�" - এই ঘটনা� নির্মমতা নিয়েও কিছু বলার নেই। এই ঘটনা� মূলে� আছ� একটি নির্যাতিতা মেয়ে। কিন্তু অন্য রূপে, অন্য প্রভাব� হিসেবে� বইটা পড়লেই বুঝত� পারবেন�

এই লেখাটাকে বইয়ের রিভি� বল� যায় না� শুধু মনের অবস্থা বুঝাতে� এতগুলো কথ� লেখা�
বইটা পড়ত� পারেন। এই সমাজের অসংগতিগুলো নতুনভাবে উপলব্ধ� করতে পারবেন�
Profile Image for Rituparno Sen.
31 reviews3 followers
June 14, 2023
বাস্তবের অপরা� এর তদন্� ওয়া� ডে নয�, কুড়ির ক্রিকেটে� জগঝম্প তো নয়ই � হল আদ্যপান্� টেস্� ম্যাচ। যেখানে মাটি কামড়ে পড়ে থাকত� হয�, বারবার নিরল� ভাবে এক� প্রশ্ন কর� যেতে হয�, যেতে� হয়। তদন্� কোথা� এস� থমকে গেলে আবার শুরু শূন্� থেকে ।এ� কিছু� পর হয়ত� মস্তিষ্কের কোষে� ভেতর ক্ষণিকের স্ফুলিঙ্� বা নেহাতই কাকতালীয় ভাবে যদ� বা হাতে এস� যায় কো� যোগসূত্র বা সটান অপরাধী� সেখানে� বাস্তবের গোয়েন্দার কা� শে� হয� না� অপরাধী শনাক্ত কর� যে� ট্রেলা�, এই বই এর পাতায় যে কেসগুল� উঠ� এসেছ� তাতে মন� হব� আস� সাধন� শুরু হয়েছে চার্� শি� তৈরি করার সময়� বজ্র আঁটুনিতে এতটুকু ফোসক� গেরো থাকলেই যে গল� পা� পেয়� যাবে ধুরন্ধ� শয়তানরা � উন্ন� প্রযুক্তির বিলাসিতা ছিলো না অধিকাং� কেসগুলিত� তা� শুধু সার্কামস্ট্যানশিয়াল এভিডেন্সের নিশ্চিদ্� প্রাসা� তৈরিতে নিরল� সাধন� করতে হয়েছে তদন্তকারীকে।টানটা� এই এক ডজ� সত্য ঘটনা নিয়� বেশি কিছু বল� সমীচী� হব� না।লেখকে� লেখনী� গুণে ঘটনাগুলি যে বড্ড বেশি জীবন্ত।তাই রিভি� থেকে স্পয়লার না নিয়� সরাসরি পড়ে ফেলা� শ্রেয়� শুধু এইটুকু বলতে পারি এক� টাইপের কে� খু� একটা আসেন� এই বইতে সবগুলো কেসে� অভিনবত্ব আছ� তা সে অপরা� প্রক্রিয়াতে� হো� বা তদন্� প্রণালীতে�
লেখক ভালো করেই জানে� তাঁর বইয়ের অধিকাং� পাঠক/পাঠিকা� বাস্তবের তদন্তে� পদ্ধতি� সাথে ওয়াকিবহাল নন� তা� যেখানে� তদন্� সংক্রান্� বহুল ব্যবহৃ� কোনো টার্� এসেছ� সাথে সাথে� তা� সহ� ভাষায় ব্যাখা� এসেছে। আবার লেখকের লেখনী� গুণে মন� হয� না যে কোথা� সবজান্তা শেয়াল পণ্ডিত নির্বো� ভেড়ার দলকে জ্ঞা� দিচ্ছেন।পাঠকের বিচা� বুদ্ধি� উপ� ভরসা রেখে পরিমিত জ্ঞা� এই বইকে করেছ� আর� বেশি প্রাঞ্জল � পাঠকের আর� বেশি কাছের।
প্রচলি� ধারণ� হচ্ছ� পুলি� মাত্রে� বেরসিক � উচ্চপদস্� পুলিশকর্মী লেখক বো� হয� সচেনতন ভাবে এই ধারণ� ভাঙত� চেয়েছেন।অনে� জায়গাতে� তা� বেশি রসের ব্যবহা� একটু চোখে লাগে, লেখনী ঝরঝর� হলেও নির্মে� নয়। এত ভালো� মাঝে খচখচান� বলতে শুধু এটুকুই।আরেকট� পরিমিত নাটকীয়তা হল� হয়ত� আমার ব্যক্তিগ� রুচি আর� বেশি সম্মতি দিত। সরাসরি বীভৎ� লাশে� ছবির প্রয়োগও পাতা উল্টানোর সাথে সাথে হামল� পড়ে আক্রমণ করেছ� স্নায়ুত� � তা� লেখকের কাছে এই বিনী� অনুযোগ নিয়েই একটি তারা কম দিলাম। সত্যিকারের তদন্� কেমন হয�, বা পুলিশে� ভাষাতে� পুলিশে� কাছে জটিল কে� কোনগুল� মন� হয� সে নিয়� বিন্দুমাত্� আগ্র� থাকল� � বই অবশ্যপাঠ্য�
পুনশ্চ - কোথা� মন� হত� পারে যে বাস্তবের অপরাধে� তদন্তকারীদে� নিরল� অধ্যবসায� কে বাহব� দিতে লেখক একটু বেশি নিন্দা করেছেন আমাদের প্রিয় ফিকশ� গল্পের সখের গোয়েন্দ� বা সত্যান্বেষীদের। মন� রাখা ভালো যে অধিকাং� ক্ষেত্রে বাস্তবের অপরাধীদে� আধ খাওয়া সিগারে� যেমন পাওয়া যায় না অকুস্থলে তেমন এই সখের গোয়েন্দারাও কিন্তু মোতায়েন করতে পারে� না বিশা� পুলি� বাহিনী বা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ� সখের গোয়েন্দাদের কাছে থাকে না অপরাধে� অন্ধকা� গলিত� নিত্� যাতায়াকারী সোর্� নিযুক্� করার বিলাসিতা� তা� যে যা� শক্তিকাজ� লাগিয়� চেষ্টা কর� চলেন অপরাধে� মীমাংস� করার, পাঠক হিসেবে আমরা খুশি মস্তিষ্কের একটু খোরাকে� পর অপরাধী ধর� পড়লে। পরিশেষ� আবার কুর্নি� জানা� বাস্তবের সে� সক� রক্ত মাংসের গোয়েন্দাদের যারা সিস্টেমে� উপ� ভরসা আদায� করেছেন সাধারণ মানুষে� কা� থেকে�
Profile Image for Ჹˡ.
336 reviews16 followers
April 6, 2021
এট� পড়ত� যেমন উপভোগ্� ছি� তেমন� ছি� ভয়ে শিহর� উঠার মত� কেস। আমরা যেসব মার্ডা� কে� বইয়� গল্প� পড়ি এস� যে আসলে হয�, তা� আজ থেকে অনেক অনেক বছ� আগ� এসবে� সূত্রপাত তা ভাবতেই কেমন লাগে!
Profile Image for Sheikh Ahmmed Nazirul Bashir.
50 reviews10 followers
April 25, 2018
বইয়ের নামে� আগ্র� জন্মেছিল পড়ার। পশ্চিমবঙ্গের ১২টি পুলি� কে� তদন্তে� দুর্দান্� কাহিনী নিয়� লেখা� শুধু তদন্তই নয� সাথে অপরাধী� শাস্তি কি হয়েছি� সেটা� তুলে ধর� হয়েছে� প্রতিটাই কেসই ছি� বিষাদময় আর বেদনাদায়ক� তব� “বিলিয়ন ডলার নোট� কেসট� ছি� আদতে� বিষে বিষক্ষয়�

বিস্তারি� আর না বলি। যারা পড়েনন� দ্রু� সংগ্রহ কর� পড়ে ফেলুন।
Profile Image for Musharrat Zahin.
376 reviews470 followers
April 12, 2024
ফেলুদা কিংব� কিরীটি-ব্যোমকেশের মত� গোয়েন্দার� কেবল বইয়ের দু� মলাটের ভেতরেই নয�, বাইরেও থাকেন। মগজাস্ত্� ব্যবহা� কর� তারা� জটিল থেকে জটিলতর কে� ক্র‍্যা� করেন, দিনে� পর দি� কে� সল� না হওয়� পর্যন্তই সেটা নিয়� লেগে থাকেন। এই বইটা গত ১০� বছরে ঘট� যাওয়া এক ডজ� খুনে� রুদ্ধশ্বাস কাহিনি নিয়� লেখা� লিখেছে� কলকাতা পুলিশে� অতিরিক্ত কমিশনা� সুপ্রতিম সরকার। বইয়� কলকাতা পুলিশে� গোয়েন্দ� বিভাগে� গৌরব উজ্জ্ব� ইতিহাস চোখে পড়া� মতো। বইয়ের নামকরণের এম� কারণ হল� কলকাতা পুলিশে� হেডকোয়ার্টা� বা সদ� দফতরের গোয়েন্দ� বিভা� লালবাজার নামে� পরিচিত।�


কয়ে� দশ� আগেও কীসব তুচ্� কারণ� ঠাণ্ডা মাথায় মানু� খু� কর� হত� আর কিভাবে আজকালকার প্রযুক্তির ব্যবহা� ছাড়াই সেসব কে� সল� কর� হত� তা অবশ্যই প্রশংসনীয়� এই যেমন ১৯৩৪ সালে কী কর� ভিক্টিমে� গায়� প্লেগে� ভাইরাস ইনজেক্� কর� মারা হয�, কিভাবে বিকৃ� কঙ্কাল কা� তা কোনোধরনে� ফে� রিকগনিশন প্রোগ্রা� ছাড়াই বে� কর� হয়েছে বা কিভাবে ক্লা� ওয়ানে� বাচ্চাকে খু� কর� স্যুটকেস� ভর� ফেলে দেওয়া হয়েছে ইত্যাদি। সবগুলো খুনে� মামলাই একটা আরেকটাকে ছাড়িয়ে যায়� কিছু কিছু বর্ণনা পড়ল� তো গা শিউর� ওঠে৷


বইয়ের প্রত্যেকটা কেসে� সাথে প্রয়োজন অনুসার� খবরে� কাগজের হেডলাই�, ফরেনসি� রিপোর্�, লাশে� � ক্রাইমসিনে� ছব�, কোর্টে� আদেশের কাগজ অ্যাটা� কর� আছে। এছাড়া� কিভাবে তদন্� কর� হয়েছে সে� প্রক্রিয়া� পুঙ্খানুপুঙ্খভাব� এখান� বর্ণনা করা৷ একজন পুলি� অফিসার এত দারু� লিখত� পারে�, ভাবতেই অবাক লাগে! এট� কোনো অংশে� ক্রাইম থ্রিলা� ফিকশনগুলোর কম না�
Profile Image for Ashkin Ayub.
462 reviews224 followers
December 20, 2021
মহামারির আগ দিয়� প্রচলি� বইয়ের পাশাপাশি ননফিকশ� পড়া� একটা চল এসেছে। বিশেষত খাবারদাবার দিয়ে। আবার বিভিন্� বিষয়ে� ননফিকশনও আছে। গুডরিড� আর সোশ্যা� মিডিয়ার অনেক স্তুতিবাক্� দেখে চিরায়� স্বভাব অনুযায়ী একটু সন্দেহ হয়ন� যে তা না� আসলে� কি এত ভা�? জীবন� তো কম পুলিসে� কাহিনী শুনলাম না, � আর এম� কি হব� ভাব।

বাতিঘর� বসেই বইটা একটু পড়া শুরু করলাম। ঝরঝর� লেখা� কোথা� কো� মে� নেই। হালক� প্রতিষ্ঠান স্তুতি আছ� কিন্তু সেটা নিশ্চয়ই লেখকের চাকুরিসূত্রে� ভা� লাগা� মত এম� কি ঘটনা আছ� বইটাতে? মানুষে� জঘন্� রূপগুলোই প্রকাশ পেয়েছ� পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায়� মানু� আর অন্যান্য প্রাণী� মধ্য� মন� হয� ষড়রিপ� ছাড়� তেমন কো� পার্থক্য নেই। সৃষ্টি� সেরা জী� বল� এত অহ� কে� কর� মাথায় আস� না� বইটি প্রায় গত একশো বছরে কলকাতা� কিছু নশৃং� হত্যার আদ্যোপান্ত� মার্ডা�-মিস্ট্রি-থ্রিলা� ফিকশ� পড়া� আগ্র� থাকল� এটাও পড়ে দেখত� পারে�, খারা� লাগবেনা।

(ব্যক্তিজীবন� আমার বাবা একজন পুলিস। আর� স্পষ্ট কর� বললে গোয়েন্দ� পুলি� বলতে হয়। একটু বয়স বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে� বাবা� কাছে তা� চাকর� জীবনের কমবেশি কাহিনী শুনেছি� বাংলাদেশ পুলিসে� অনেক বাসরুদ্ধকর কাহিনী আছ�, দুঃখের বিষয� পুলি� বিভাগে সুপ্রতিম সরকা� লেখক নেই। আর থাকলেও লেখালেখি� পরিবেশ নেই।)
Profile Image for Madhurima Nayek.
361 reviews132 followers
June 25, 2019
� কোনো কল্পনা জগতে� ফেলুদা,ব্যোমকেশের রহস্যকাহিন� নয়।এই বইএর কাহিনি, চরিত্র, গোয়েন্দার� সব� বাস্তবের� শুরুতে� লেখক বলেছেন, "এই বই কোনও পূর্বপরিকল্পনা� পরিণতি নয়।কলকাতা পুলিশে� জনপ্রিয় ফেসবুক পেজে পাঠক পাঠিকাদে� অনেক অনুরোধ করেছিলেন,পুরন� কিছু মামল� নিয়� লিখত�,যা� কিনারায় সাফল্য পেয়েছিল পুলিশ।" - আর � কাহিনিগুলো যে সত্যিই বাস্তবের তা� প্রমাণস্বরূপ বইয়� নানা� তথ্য যেমন - মার্ডা� স্পটের ছব�,লাশে� ছব�,বিচা� সির্ধান্তে� অং� বিশে� এস� দেওয়া হয়েছে�

বইটিতে মো� ১২ টি গুরুত্বপূর্ণ কেসে� কথ� তুলে ধর� হয়েছে� সেগুলি হল� -
�) পাকুড় হত্যামামলা
�) বেলারানী হত্যামামলা
�)পঞ্চ� শুক্লা হত্যামামলা
�)দেবযানী বণিক হত্যামামলা
�)অনুরাগ আগরওয়াল হত্যামামলা
�) নওলাখা হত্যামামলা
�)বিশ্বনাথ দত্ত হত্যামামলা
�)হারু� হত্যামামলা
�)রমজা� আল� হত্যামামলা
১০) বাপি সে� হত্যামামলা
১১)হোটে� পেঙ্গুইন হত্যামামলা
১২) লুথর� হত্যামামলা
বেলারানী হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটা পড়ে তো শিউর� উঠেছিলাম।ভাবতে পারছিলাম না যে,এরকম নৃশং� ভাবে� খু� কর� যায়!! তা� আবার এককালে ভালোবেসে বিয়� কর� নিজে� স্ত্রীকে!!!

পড়া� সময় যেমন একটা উত্তেজনা অনুভ� করছিলা�,তেমন� কোথা� একটা খারাপও লাগছিল� ভাবছিলাম যাদে� পরিবারের সাথে ঘটেছ� তাদে� কি অবস্থা হয়েছে� এত� তুচ্� কারণ� মানু� মানুষক� কি কর� খু� করতে পারে !!
Profile Image for Himanshu.
36 reviews3 followers
March 24, 2019
Book is a Page turner. It chronicles 12 murder cases starting from 1933 to 2007 happened in the city Kolkata erstwhile Calcutta and solved by Calcutta police.

In the starting itself The author has categorically stated that its not a detective novel of whodunnit and lacks that adrenaline which comes while reading detective crime fiction. Rightly so the killer is told in the starting of every story and then most of the pages are dedicated to the investigation and the chargesheet filed after the killer is nabbed.

Some of the cases can be googled also specially the later ones. though after reading such cases and their high court judgements in kanoon.org, it seems that Mr Sarkar has taken some liberty in narrating the cases specially the Luthia's murder case just to entice more excitement in the viewers which in a way make it non-fictional opposite to what the writer has stated in the starting hence giving only 4 stars. Other than this shortcoming book is really unputdownable.
Shortly be starting his second book. Hope it will also be as good as this one.
Profile Image for Amlan Hossain.
Author1 book67 followers
June 27, 2022
ফুটপাত� পড়ে আছ� একটা লাশ। ছিন্নমূল এক নিম্নবিত্তের, ঘুমে� ঘোরে� হয়ত� বেঘোরে প্রা� হারিয়েছে। খুনে� অস্ত্র পড়ে আছ� পাশে�, ভারি একটা পাথর দিয়� চূর্ণবিচূর্ণ কর� দেওয়া হয়েছে মাথা� কদিন পরেই ঠি� একইভাব� পাওয়া গে� আরেকটা লা�, ঠি� একইরকমভাবে পাথর দিয়� কর� হয়েছে খুন। কিছুদি� বিরত� দিয়� আবার আরেকটি� ঘু� হারা� হয়ে গে� কলকাতা পুলিশে�, লালবাজার তোলপাড়। কে বা কারা খু� করছে এভাব�? অজ্ঞাত আততায়ী� না� হয়ে গে� স্টোনম্যান�

এরকম বাস্তব জীবনের লালবাজারের কিছু কে� হিস্ট্রি নিয়� সাজানো তি� খন্ডের এই বই� লেখক নিজে� একজন পুলি� কর্ত�, তা� টেকনিক্যাল বিষয়গুল� এসেছ� বিস্তারিত। অনেকগুলো কে� আছে। কিছু কিছু দারু�, আবার কিছু সাদামাটা� তব� লেখকের ভাষা রীতিমত� সুখপাঠ্য, সেজন্য� পড়া শুরু করলে ছাড়� যায়না� ক্রাইম থ্রিলা� যারা ভালোবাসে�, তাদে� জন্য বল� মাস্� রিড। ট্রু� ইজ স্ট্রেঞ্জা� দ্যা� ফিকশ�, কথাট� এই বই পড়ল� আরেকবা� উপলব্ধ� কর� যায়
Profile Image for Bidisha Chowdhury.
48 reviews25 followers
July 24, 2021
স্বভাব অনুযায়ী, ট্রেন্ডে� ঝড� একটু স্তিমি� হওয়ার পরেই বইটি পড়লাম� বল� ভালো, গোগ্রাসে গিললাম� গোয়েন্দ� গল্পের থেকে আলাদ� যে একেবারেই, তা বল� বাহুল্য। কারণ, � সত্য� ঘটনা� পুঙ্খানুপুঙ্� বিবরণ। তা�, রোমাঞ্চক� অনুভূতির থেকে প্রায় বিপরী� মেরু� ভাবাবে� আবিষ্ট করেছ� মনকে� ভয�-ভীতি, উদ্বেগ, শান্তি, শ্রদ্ধ� সব� মিলেমিশে একাকার�
ক্রাইম সিনে� গতিপ্রকৃতি বর্ণনায় কোনো খুঁত রাখেনন� লেখক� কল্পনা� জগতে� সাথে তা� যে কত বিস্তর ফারা�, তা ফুটে উঠেছ� অত� সহজেই। সঙ্গ� জুড়েছেন, বিভিন্� বহুল প্রচলি� গল্প-কবিতার নানা উদ্ধৃতি। যা পাঠকের একঘেয়েম� কাটাতে ভীষণ রক� ভাবে সাহায্� করেছে।
এছাড়া�, বারোটি গল্পের থুড়� সত্য ঘটনা� না�-কর� রীতিমত� প্রশংসনীয়�
সর্বোপরি, এরকম লোভনীয় সিরি� মি� করার কোনো মানে� হয়না।
Profile Image for Omar Faruk.
262 reviews14 followers
November 29, 2023
সত্য ঘটনা অবলম্বনে অথবা বল� যায় সত্য ঘটনা� সূত্� গুলো এক� এক� সাজিয়� লেখক যে লোমহর্ষক কাহিনী শুনিয়েছেন তা গোয়েন্দ� কাহিনী পড়ত� পছন্� কর� এম� পাঠকের কাছে রত্ন হয়ে থাকবে।

বি� শতকে� মাঝামাঝি থেকে শুরু কর� একুশ শতকে� শুরু পর্যন্� কোলকাত� জুড়� যেসব উল্লেখযোগ্� হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল� যা এক� সাথে লোমহর্ষক � হত্যাকাণ্ড� জড়িতদের বুদ্ধিদীপ্ততার পরিচয় বহ� করেছ� তেমন এক ডজ� কাহিনী নিয়� এই বই�

গোয়েন্দ� কাহিনী কম বেশি আমরা সবাই পড়েছি� যেখানে সম্ভ� অসম্ভব অনেক কিছু� ঘট� থাকে� যা পাঠককে যেমন রোমাঞ্চি� কর�, তেমনিভাব� পাঠকের মন� একটা সময় পর্যন্� উজ্জ্ব� স্মৃতি� মত� থেকে যায়� কথায� আছ� সত্য কল্পনা� চেয়েও নাটকীয়, ঘটনাবহুল� এই কথাটার চাক্ষু� প্রমাণ যে� এই বইয়ের প্রতিট� কাহিনীতে পেলাম। কোলকাত� জুড়� গত ৭০ বছ� ধর� ঘট� যাওয়া যেসব হত্যাকাণ্ড সমসাময়ী� পুরো কোলকাতাক� নাড়িয়ে দিয়েছিল� পুলি� বিভাগে�, গোয়েন্দ� বিভা� থেকে শুরু কর� জনমানুষে� মন� যেগুলো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছ� সেসব যে কতটা চমকে দেয়ার মত�, পাঠকের মন� কতটা গভী� রেখাপা� করার মত� ঘটনা� সেটা যদ� এই বইয়ের মত� গল্প আকার� সবার সামন� না আসতো তাহল� হয়ত� এস� কাহিনী আজীবন� লোকচক্ষু� অন্তরালে থেকে যেতো� বাস্তব জীবন� ঘট� যাওয়া কিছু কিছু হত্যাকাণ্ড গোয়েন্দ� কাহিনী� চেয়� কম না, বরঞ্� বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গোয়েন্দ� কাহিনী� কাল্পনিকতা� গণ্ডিকেও ছাড়িয়ে অনেকদূ� পর্যন্� যায়�

গোয়েন্দ� কাহিনী পড়ত� পছন্� করেন যারা� তারা সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত এই বইটা পড়ত� পারেন। যা� পরবর্তী আর� দুটো খণ্ড ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে এব� সমানভাবে পাঠকমহলে সমাদৃত �'য়� ইতিমধ্যে� পড়া� পর আম� উপলব্ধ� করলা�, এই বই পড়ে খারা� লাগা� চান্� নে� বললে� চলে।
Profile Image for Nazmus Sakib.
39 reviews2 followers
August 28, 2021
বইয়ের নামঃ গোয়েন্দাপী� লালবাজার-�

লেখক� সুপ্রতী� সরকা�

প্রকাশকালঃ ২০১৮

গুডরীডস রেটিংঃ �.১৫

ব্যক্তিগ� রেটিংঃ �.�

সংক্ষিপ্� কাহিনী� মার্� টোয়েনের একটা কথ� আছ�, "Truth is stranger than fiction"- বাস্তব কল্পনাকে� হা� মানায়� আমরা সবাই � কমবেশি ফেলুদা-ব্যোমকেশ-কাকাবাবু-মিতি� মাসী থেকে শুরু কর� এরকু� পোয়েঁরো-শার্লক হোমস বা মি� মার্পলের গোয়েন্দাকাহিনী গুলো পড়েছি� কিন্তু বাস্তবজীবন� কি আসলে� এম� ঘট�? ঘট�, বর� বল� যায় যা ঘট� তা আমাদের কল্পনাতীত। কলকাতা পুলিশে� অভিজ্ঞ অফিসার, বর্তমা� অতিরিক্ত কমিশনা� সুপ্রতী� সরকা� এমনই কিছু কাহিনীকে দু� মলাটের মধ্য� আবদ্� করেছেন, যেসব কেইসের সময়কা� ব্যপ্তী ১৯৩৩ থেকে ২০০৯ সাল। প্রতিট� কেইস � এত ইউনি�, প্রত্যেকটি� এত ভয়ংকর যে আপনাকে প্রতিবার� বইটি মন� করিয়ে দেবে- মানু� যখ� নীচে নামে, তখ� তা� অসাধ্য কিছু� নে�

ব্যক্তিগ� মতামতঃ আম� ছোটবেল� থেকে� থ্রিলা� ভক্ত� এম বি বি এস থার্� ইয়ারে ফরেন্সিক মেডিসি� পড়া� সময় বেশকিছ� কেইস স্টাডি আমাদের পড়ত� হতো। সেখা� থেকে� মূলত এইধরনে� কাহিনী� প্রত� আসক্তি� এরমধ্য� বারবার� এই বইয়� "The Jigsaw Puzzle Case" যা "Ruxton Murders" নামে পরিচিত� তা� কথ� উল্লেখ না করলে� নয়। বইটি আমার কাছে বে� উপভোগ্যই লেগেছে� যারা রিয়েল লাইফ মার্ডা� মিস্ট্রি বা পুলি� থ্রিলা� পছন্� করেন, তাদে� জন্য বইটা মাস্� রী�!

পুনশ্চ� বাংলাদেশ প্রতিদিন নামে� কাগজ� বে� কয়ে� বছ� আগ� আমাদের দেশে� ঘট� যাওয়া বেশকিছ� চাঞ্চল্যকর মামলার বিবর� � তদন্তপ্রক্রিয়� সিরি� আকার� ছাপা হয়েছিল। আমার বে� আফসো� হয়েছি� বইটা পড়া� পর�, যদ� আমাদের দেশে� কেইসগুলোকে� এম� দু� মলাট� আবদ্� কর� যেতো!
Profile Image for শুভাগত দীপ.
230 reviews58 followers
October 27, 2018
|| রিভি� ||

বই� গোয়েন্দাপী� লালবাজার (এক ডজ� খুনে� রুদ্ধশ্বাস নেপথ্যকথ�)
লেখক� সুপ্রতিম সরকা�
প্রকাশকঃ আনন্� পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটে�, কলকাতা
প্রকাশকালঃ জানুয়ার�, ২০১৮
ঘরানাঃ ক্রাইম/মার্ডা� কে� স্টাডি�
প্রচ্ছদঃ কাকল� গু�
পৃষ্ঠা� ১৭�
মুদ্রি� মূল্যঃ ২৫� রুপি

কাহিনি সংক্ষেপঃ কলকাতা'� লালবাজারকে বল� হয� কলকাতা� গোয়েন্দাদের তীর্থস্থান� কলকাতা পুলিশে� অনেক কেসেরই সমাধান এসেছ� লালবাজারের গোয়েন্দ� পুলিশদের হা� ধরে। আবার অনেক কেসই রয়ে গেছে অমীমাংসিত� কলকাতা পুলিশে� হা� ধর� সমাধান হওয়� নানা সময়ের মো� বারোটা হত্য� রহস্� নিয়� সুপ্রতিম সরকা� লিখেছে� 'গোয়েন্দাপী� লালবাজার'� প্রত্যেকটা হত্য� মামলাই দারু� আলোচিত ছিলো� নিচে একটু ধারণ� দেয়ার চেষ্টা করলাম।

পাকুড় হত্য� মামলাঃ ১৯৩৪ সালে� তুমু� আলোচিত পাকুড় হত্য� মামলা। ছো� কুমা� অমরেন্দ্� পান্ডেকে বে� অভিন� উপায়ে হত্য� কর� হয� মানুষজনে ভর� স্টেশন চত্ত্বরে� অনে��� জলঘোলা হওয়ার পর শেষমেষ এই মামলার কিনারা হয়। সে� ১৯৩৪ সালে� দিকে� যে মানুষক� এভাব� হত্য� কর� যায়, তা এই উপাখ্যান না পড়ল� আসলে� বিশ্বা� হতোনা।

বেলা রানী দত্ত হত্য� মামলাঃ কলকাতা শহরে একের পর এক পাওয়া যাচ্ছে খবরে� কাগজ� মোড়ান� লাশে� খণ্ডাংশ। খণ্ডিত অংশগুল� সব এক লাশেরই� একজন মহিলা। ১৯৫৪ সালে� এই নৃশং� ঘটনা� সমাধান� আস� লালবাজারের গোয়েন্দাদের হা� ধরেই� সে� সাথে উন্মোচিত হয� এক ভয়াবহ অন্ধকা� ইতিহাস�

পঞ্চ� শুক্লা হত্য� মামলাঃ ১৯৬০ সালে নির্জন এক ঝিলে� মাঝে পুঁত� রাখা একটা কঙ্কাল আবিস্কার কর� পুলিশ। কঙ্কালটা খিদিরপুর ডকের সিকিউরিট� গার্� পঞ্চ� শুক্লার। ৫০� রুপি� (সে� সময়� ৫০� রুপি মানে অনেক) জন্য তাকে হত্য� কর� হয়েছিলো� এই কেসটার� সমাধান হয� দারু� রোমাঞ্চক� ভাবে� এই কেসে� সর্বপ্রথ� 'ফোটোগ্রাফি� সুপারইম্পোজিশন' সিস্টে� ব্যবহা� কর� লা� শনাক্ত কর� হয� যা ভারত� প্রথ� ছিলো�

দেবযানী বণিক হত্য� মামলাঃ গড়িয়াহাট থানায় দায়ের হওয়� গৃহবধূ দেবযানী বণিক হত্য� মামল� একইসাথ� যেমন চাঞ্চল্যকর, তেমন� হৃদয়বিদারক। ১৯৮৩ সালে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা নৃশংসভাব� বাড়ির বউ দেবযানীকে হত্য� কর� তা� লা� বাড়ির ভেতরেই লুকিয়� রাখে� পরবর্তীতে পুলিশি হস্তক্ষেপে পুরো ব্যাপারট� আলোর মু� দেখে�

অনুরাগ আগরওয়াল অপহর� � হত্য� মামলাঃ স্কুলছাত্র অনুরাগ আগরওয়ালের স্বপ্ন ছিলো টিভি সিরিয়াল� অভিনয় করার� আর সে� স্বপ্ন� তা� কা� হয়ে দাঁড়ালো� অপহর� কর� হত্য� কর� হল� তাকে� ১৯৮৮ সালে� এই হত্যার ঘটনাটা� যথেষ্ট হৃদয়বিদারক।

বিশ্বনাথ দত্ত হত্য� মামলাঃ অন্তর্মুখী � পড়ুয়� স্বভাবের নিপা� ভালো মানু� বিশ্বনাথ দত্তকে হত্য� কর� হল� সম্পত্তি দখলে� জন্য� শুধু তা� না, তা� লা� লুকিয়� ফেলা হল� অভাবনীয় এক স্থানে� ১৯৯৪ সালে� এই ঘটনা খো� কলকাতায় তো বটেই, সাড়� ফেলেছিলো সমগ্� ভারতে।

সার্জেন্� বাপি সে� হত্য� মামলাঃ থার্টি ফার্স্� নাইট� একদল মদ্য� যুবক এলোপাথাড়ি লাথি ঘুষি মেরে হত্য� করলো তরুণ সার্জেন্� বাপি সেনকে। হতভাগ্� বাপি'� দো� ছিলো অচেন� এক তরুণী� সম্ভ্র� বাঁচাত� চাওয়াটাই। নড়েচড়ে বসলো পুরো কলকাতা পুলি� ডিপার্টমেন্ট� ২০০৩ সালে সারা দেশে হইচই ফেলে দিয়েছিল� এই কেসটা।

এরকম আর� বে� কয়েকট� হত্য� মামল� স্থা� পেয়েছ� 'গোয়েন্দাপী� লালবাজার' বইয়ে। যেমন� হারু� রশিদ হত্য� মামল�, নওলাখা দম্পতি হত্য� মামল�, রবীন্দর কউ� লুথর� হত্য� মামল�, রমজা� আল� হত্য� মামল� � হোটে� পেঙ্গুইন হত্য� মামলা। প্রত্যেকটা কেসই কমবেশি চাঞ্চল্যকর � রহস্যে ভরপুর। এগুলোর মধ্য� একটা মি� খুবই লক্ষনীয়� আর তা হল� সবগুলো কেসেরই কিনারা করতে পেরেছিলে� লালবাজারের গোয়েন্দ� পুলিশেরা�

পা� প্রতিক্রিয়া� বর্তমানে কলকাতা পুলিশে� অতিরিক্ত কমিশনা� হিসেবে কর্মরত সুপ্রতিম সরকা� তাঁর 'গোয়েন্দাপী� লালবাজার' বইটা লিখত� গিয়� যে রীতিমত� নানারক� গবেষণা� মধ্য� দিয়� গেছে�, তা সহজে� বোঝা যায়� পুরোনো সব হত্য� মামলার রেকর্ড ঘেঁট� নানারক� অ্যানালাইজেশনে� পর তিনি বেছে নিয়েছেন লালবাজারের গোয়েন্দ� পুলিশে� সমাধান কর� বারোটা হত্য� রহস্য। দারু� উপভোগ্� এক গল্প বলার ঢঙ� সুপ্রতিম সরকা� তাঁর পাঠকদে� সামন� তুলে ধরেছেন এই বারোটা হত্য� মামলার নানা খুঁটিনাটি।

প্রয়োজন� তিনি মামলাগুলোর সাথে সম্পর্কি� নানা ছব�, ডকুমেন্ট � পেপারকাটিং সংযুক্� কর� দিতে� কো� কার্পণ্য করেননি� এই ব্যাপারট� আমার কাছে দারু� লেগেছে� একেবার� প্রামাণ্� ভাবে তিনি বর্ণনা করেছেন হত্য� রহস্যগুলোর সমাধানের পুঙ্খানুপুঙ্� পদ্ধতিও। সুপ্রতিম সরকারে� লেখনী� ছিলো যথেষ্ট সুখপাঠ্য� বাস্তব� ঘট� যাওয়া এস� নৃশং� হত্য� কাহিনি গুলো পড়ত� পড়ত� বারবার মন� হচ্ছিল� কো� বিখ্যা� লেখকের রহস্� কাহিনি পড়ছি। বাস্তবের গোয়েন্দার� কিভাবে রহস্যে� সমাধান করেন, সেটা সম্পর্কে একটা সম্য� ধারণ� দেয়ার জন্য 'গোয়েন্দাপী� লালবাজার' যথেষ্ট�

এই সত্য খুনে� উপাখ্যানটা পড়া শে� হয়েছে বে� দ্রুতগতিতে� ভালো লেগেছে প্রত্যেকটা মামলায� সুপ্রতিম সরকা� ব্যবহৃ� কাব্যি� শিরোনামগুলো। প্রচ্ছদটাও চমৎকার লেগেছে� সত্য অপরা� কাহিনি প্রেমীরা চাইল� পড়ে ফেলত� পারে� 'গোয়েন্দাপী� লালবাজার'� আশ� কর� হতাশ হবেননা�

ব্যক্তিগ� রেটিংঃ �.�/�
গুডরিড� রেটিংঃ �.১৭/�

© শুভাগত দী�

(২৭ অক্টোব�, ২০১৮)
Profile Image for Poulami Ghosh.
13 reviews2 followers
April 16, 2020
বই এর কথায� পর� আসছি� আচ্ছ�... আপনা� কখনো খু� করতে ইচ্ছ� করেছ�? মানে, এই ধরুন, গল� টিপে মেরে ফেলা বা বুকে ছুরি বসিয়ে দেওয়া� মত� কিছু? উত্তরট� যদ� হ্যা� হয� তাহল� ভয়ে� কিছু নে�, আমিও আপনা� দল� পড়ি! আসলে সব মানুষে� মধ্যেই কম বেশি অপরাধে� মানসিকতা লুকিয়� থাকে মস্তিষ্কের জটিল কো� গুলোতে� আর যে বা যারা এই অপরা� প্রবণত� কে প্রশ্রয় দিয়� শে� পর্যন্� ঘটিয়ে� ফেলে� ঘটনাটা তাদে� একাংশে� কথ� নিয়েই এই বই দুটি� সূত্রপাত� মানুষে� লো�, লালস�, নির্মমতা, ঘৃণা, প্রতিশোধ, আবেগ, ক্ষো� অথবা নিছক কো� তুচ্� ঘটনা থেকে জন্ম এস� অপরাধে�, কিন্তু এই সামান্� বী� থেকে অসামান্য � ভয়া� বাস্তবের শে� পরিণতি দেখে শিউর� উঠতে হয� বইএর প্রত� পাতায়�

এবার আস� আমাদের "স্কটল্যান্� ইয়ার্�" লালবাজারের কর্ম তৎপরতা � তা� কর্মী দে� ভূমিকায়� আজকা� মিডিয়ার দৌলত� একটা কথ� প্রায়� শোনা যায়, "পুলি� কি করছে?" "তদন্� কতদূ� এগোল�?" "অপরাধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছ� আর পুলি� হা� গুটিয়� বস� আছ� কিভাবে?" মশাই বল� কি গল্পের ফেলুদা-ব্যোমকেশদে� সাথে রক্তমাংসের পুলি� আর গোয়েন্দার ফারা� বিস্তর� অধিকাং� ক্ষেত্রে� ঘটনাস্থল� আধপোড়� সিগারেটে� টুকর� থাকে না, থাকে না বাগানে� ঝোপঝাড়ে� কাদায় পায়ের ছা�, থাকে না হুমক� চিরকুট বা সমগোত্রীয় কিছু� যে কোনো অপরাধে� তদন্তে� থাকে বে� কয়েকট� স্তর� অপরা� সংক্রান্� তথ্য সংগ্রহ, সংগৃহী� তথ্যের মধ্য� থেকে ছাঁটাই কর� প্রয়োজনীয় সমস্� কিছু ছেঁক� নেওয়া, সে� ইনফরমেশনের উপ� নির্ভর কর� অপরাধীদে� সনাক্তকর�, যথোপযুক্� সাক্ষ্� প্রমাণের ভিত্তিতে তাদে� ধরার জন্য ওঁ� পেতে অপেক্ষ� এব� পরিশেষ� এইসব দোষীদে� বিচা� � সঠিক আইনে� অধীনে শাস্তি নিশ্চি� করা। যারা ভাবে� পুলি� বা গোয়েন্দাদের কা� খালি আসামীকে ধরতে পারলেই শে� তাদে� বল�, এই তদন্� ব্যাপারট� অনেক টা রিসার্� ওয়ার্� এর মত; গবেষণা কর� ফল পেলে� হব� না সেটা পুরোটা থিসিসে ঢেলে দিতে হব� যাতে পেপা� রিজেক্� না হয়ে যায় কোনোভাবেই। সেরকমই অপরাধী ধরলে� হল� না, নিখুঁত ভাবে তৈরি করতে হয� চার্জশিট� নাহল� উকিলের মারপ্যাঁচে আদাল� থেকে ছাড়� পেয়� যাবে আসামী� সিআইডি� দয়া এক রা� থাপ্পড� দিলো আর আসামী স্বীকা� কর� দিলো হ্যা� স্যা� আমিই খু� করেছ� ওস� নাটকের স্ক্রিপ্টে � হয়। বাস্তব� এই পুরো প্রক্রিয়াতে নে� কোনো কল্পনা বা টিআরপি বাড়ান� রোমাঞ্� আছ� কেবল আপ্রাণ অধ্যবসায� আর কঠোর একাগ্রতা� সে� ছবিই তুলে ধরেছেন লেখক�

এবার যাঁর কথ� না উল্লেখ করলে অসম্মা� হয� তিনি স্বয়ং কলকাতা পুলিশে� অ্যাডিশনাল কমিশনা� এব� এই বই এর লেখক সুপ্রতিম সরকার। সুপ্রতিম বাবু� সাবলী� লেখনীতে বুঝে উঠতে পারছিলাম না কোনো � ক্লা� সাহিত্যিকে� লেখা পড়ছ� নাকি এক দুঁদ� আইপিএস অফিসারের বিবর�! কেসে� সাথে প্রয়োজন অনুসার� রয়েছে প্রয়োজনীয় খবরে� কাগজের হেডলাই�, ফরেনসি� রিপোর্�, লাশে� কিংব� ক্রাইমসিনে� ছবি। তদন্তে� প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা হো� বা কাব্যি� শিরোনা� লেখকের দক্ষতা ফুটে উঠেছ� লেখনশৈলি� পড়ত� পড়তে।

সবশেষে বল� এই মাস্� রি� থ্রিলা� পড়ত� পড়ত� একটা কথাই মন� হবে� Truth is stranger than fiction.
Profile Image for হাঁটুপানির জলদস্যু.
275 reviews230 followers
May 1, 2020
সুপ্রতিম সরকা� গুছিয়� লেখেন। লিখি� বাংল� ভাষা� ওপরও তাঁর দখ� ভালো� কয়ে� দশ� ধর� ব্রিটি� ভারত � স্বাধী� ভারত� কলকাতা নগ� পুলিশে� গোয়েন্দ� বিভাগে� হাতে এস� পড়া নানা খুনে� ঘটনা� রহস্যভেদের বিবর� তিনি � বইটিতে তুলে ধরেছেন� তাঁর কলমট� অনেকখানি সাংবাদিকের, কিন্তু তা� ভেতর� যা আছ�, তা যে� গোয়েন্দাকর্তা� চোখে� নিচে জম� হওয়� কালিটুকুই। খুনে� ঘটনাগুলো অস্বস্তিকর, মোলায়েম প্রলেপ ছাড়াই তিনি সেসব বর্ণেছেন� গল্পের গোয়েন্দ� থেকে বাস্তবের গোয়েন্দ� কতখানি ভিন্�, তা পাঠকের সামন� তুলে ধরার পাশাপাশি সময়ের সাথে কলকাতা মহানগর পুলিশে� গোয়েন্দ� বিভাগে� ব্যবহৃ� নানা কৌশল � পদ্ধতি� বিবর্তনে� ইতিহাস� তিনি আলগোছে মেলে ধরেছেন� তাঁর লেখা অন্য বইগুলো পড়া� আগ্র� পেয়েছি।

যে ব্যাপারট� ভালো লাগেনি, সেটা হচ্ছ� সাদা কাপড়ে চায়ের দাগে� মত� লেগে থাকা বইয়ের এখান�-সেখানে সায়েবভক্তির একটা ক্ষী� ছোপ। কলকাতা পুলিশে� গোয়েন্দ� বিভাগক� স্কটল্যান্� ইয়ার্ডে� সাথে তুলন� কর� হত� বা হয�, � নিয়� লেখক একাধিকবা� গর্ব প্রকাশ করেছেন� সায়েবদে� এক অব� কালা-আদমি সংস্কর� হিসেবে নিজেকে দেখত� পেয়� আত্মসম্মানজ্ঞানসম্পন্ন কোনো মানু� কি গর্বিত হত� পারে�?
Profile Image for Shampa Paul.
105 reviews35 followers
March 6, 2019
গল্প� উপন্যাসে পড়া কাল্পনিক খুনখারাপ� নয�, বইটিতে উঠ� এসেছ� বাস্তবের ১২ টি খুনে� আখ্যাননামা� পড়ত� পড়তেই গা শিউর� ওঠে। ফিকশানের চাইতেও যে বাস্তবের খুনিরা এত নৃশং� হয�, সামান্� তুচ্ছাতিতুচ্� কারণ� যে মানু� মানু� কে এভাব� ঠাণ্ডা মাথায় মেরে ফেলত� পারে, তা বইটি না পড়ল� হয়ত� ভালোভাবে জানা� হত� না� এক� ভাবে অজান� থেকে যে� পুলিশি কর্মকাণ্ডও� অপরাধীকে ধরার পর� তা� শাস্তিবিধানে� জন্য তাঁর� যে কঠোর পরিশ্র� করেন, তা� মূল্যও অপরিসীম। আইপিএস অফিসার সুপ্রতিম সরকা� অত্যন্� দক্ষতা� সঙ্গ� এব� তাঁর অপূর্ব লেখনীশৈলী� মাধ্যম�, লালবাজারের এক� বছরে� ইতিহাসের অগুনতি কেসে� মধ্য� থেকে বারোটি কেসে� বিবরণী সাজিয়েছেন� প্রতিট� কেসই কোনো না কোনভাব� গুরুত্বপূর্ণ� নিজেরা� পড়ে দেখু�, অবাক হওয়ার মত� অনেক বিষয়ই পাবেন। An absolutely must read for every thriller-lover.
Profile Image for Mahrufa Mery.
182 reviews111 followers
July 3, 2019
রিভি� ঠি� কি দৃষ্টিভংগি থেকে দে� বুঝত� পারছ� না� পশ্চিম বাংলার সত্যিকার হত্যারহস্য সমাধানের কাহিনীগুলো লেখা� গুনে অনবদ্য হয়ে উঠেছে। কাহিনীগুলো বাস্তব না হয়ে অবাস্ত� হল� ভা� হত� ঘটনা সত্য হওয়াত� পড়া শেষে মন খারা� হয়ে যায়� তব� লেখক বে� দক্ষ, এটুক� বল� যায়� আশ� কর� অদূর ভবিষ্যতে তা� কা� থেকে একেবার� ফিকশনধর্মী রহস্� গল্প বই আকার� পাব।
Profile Image for পটের দুধের কমরেড.
203 reviews26 followers
September 7, 2020
ব্যোমকেশের গল্প� গ্রামোফো� পি� বা শজারুর কাঁট� দিয়� খুনে� কথ� চিত্তাকর্ষ� কিন্তু বাস্তব� একশো বছ� আগ� বায়োকেমিক্যাল দিয়� খুনে� কথ� শিহর� জাগায় এব� অবশ্যই অকল্পনীয় কূটবুদ্ধির প্রমাণ রেখে যায়� দাম্পত্যকলহে� পরিণতি হয� কয়ে� টুকর� কর� খণ্ডবিখণ্ড শরী� অথবা রড দিয়� পিটিয়� হত্য� কর� আত্নহত্যার সাজানো নাটক� তেরো বছরে� ছেলেকে স্রে� কিছু টাকা� লো� এব� ধর� পড়া� ভয়ে প্রা� দিতে হয়৷

প্রতিদিনের দৈনি� খবরে অথবা টিভিতে এইসব হত্য� শুনে আফসো� করবে�, দেশে� কিচ্চু হব� না বলবে� এব� চ্যানে� পরিবর্তন কর� কেটে পড়বেন� কিন্তু ঘটনা� পেছনের ইতিহাস সত্য� চিন্তা� উদ্রেক ঘটাবে৷ ক্রাইম পেট্রো� হয়ত দেখে�, ট্রল করেন, কিন্তু সে� শিকারে� জায়গায় নিজেকে ভাবত� পারে�? ভাবতেই অবাক লাগে! হিংসা—দ্বেষ� লোভ� কামে� বশবর্তী হয়ে মানু� কত নির্মমভাবে আপ� মানুষক� খু� করতে পারে�

বইটি প্রায় গত একশো বছরে কলকাতা� কিছু নশৃং� হত্যার আদ্যোপান্ত� শত শত ক্রাইম-থ্রিলা� গলাধঃকৃত পাঠক� যখ� বইটি হাতে তুলে� নিবে�, বাস্তবতায় স্বাগত� আপনাকে�
Displaying 1 - 30 of 108 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.