শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় একজন ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক।
তিনি ব্রিটি� ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি� অন্তর্গত ময়মনসিংহে (বর্তমানে বাংলাদেশের অং�) জন্মগ্রহ� করেন—যেখান� তাঁর জীবনের প্রথ� এগার� বছ� কাটে� ভারত বিভাজনের সময় তাঁর পরিবার কলকাতা চল� আসে। এই সময় রেলওয়েত� চাকুরিরত পিতা� সঙ্গ� তিনি অস�, পশ্চিমবঙ্গ � বিহারে� বিভিন্� স্থানে তাঁর জীবন অতিবাহিত করেন� তিনি কোচবিহারের ভিক্টোরিয়� কলেজ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্� করেন� পর� কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায� স্নাতকোত্ত� ডিগ্রি লা� করেন� শীর্ষেন্দু একজন বিদ্যালয়ে� শিক্ষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন� বর্তমানে তিনি আনন্দবাজার পত্রিক� � দে� পত্রিকার সঙ্গ� জড়িত।
তাঁর প্রথ� গল্প জলতরȨ� শিরোনামে ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে দে� পত্রিকায� প্রকাশিত হয়। সা� বছ� পর� সে� এক� পত্রিকার পূজাবার্ষিকীতে তাঁর প্রথ� উপন্যা� ঘু� পোকা প্রকাশিত হয়। ছোটদের জন্য লেখা তাঁর প্রথ� উপন্যাসে� না� মনোজদে� অদ্ভুত বাড়��
প্লটটা ভালো ছি� কিন্তু গল্প বলার ধরনট� কেমন যে�, আর পুরো বইয়ের ৯৫% যতটুকু ভালো লেগেছে, এন্ডিংটা ঠি� মনমত� হলনা� এমনিতে একটানা পড়ে গেছি� পড়ত� খারা� লাগেনি� সবমিলিয়� �.৫★ হবে।
বন্ধুর চিলেকোঠায় দাওয়াত। পরিচিত-অপরিচি� অনেক মানুষে� আনাগোনা। বন্ধুর মন রক্ষ� করতে� আসা। বৃষ্টি� দিনে গর� চায়ের সাথে এট� সেটা কথ� বলতে বলতে হটাৎ চো� পড়ে শীর্ষেন্দু� এই বইটা� উপরে� হয়ত বইয়ের উপ� বেড়াল লেখা দেখে� বন্ধুর বেড়াল তুলতুল� চল� এল� বই দেখতে।
প্যারি�, রো�, কলকাতা ঘুরে ইন্টারপো� থেকে ভিকি� মব পর্যন্� এক গাদা মসলা মেশানো জটিল একটা প্লট� পুরো বই জুড়েই টানটান উত্তেজনা� পড়ত� পড়ত� খেয়াল� ছি� না যে আম� অন্য মানুষে� বাসায় আছ�! উপন্যাসে� ক্যারেক্টারদের মধ্য� সাদা বেড়াল আর কালো বেড়ালদে� খুঁজতে হয� শে� পৃষ্ঠা অবধি� শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের পার্থি�, মানবজমিন, দুরবীনে� বাইরেও যে একটা ভিন্� সত্ত্ব� রয়েছে, সেটা� খোঁজ পেয়েছিলাম বিকালে� মৃত্যু পড়ে� জীবিকা� তাগিদে এখ� কতকিছু লিখত� হয়। কিন্তু নিজে� জন্য কব� যে লিখব� কে জানে?
অনেকদি� থ্রিলা� পড়া হয়ন� বললে� চলে। জীবনের পরিচিত গণ্ডিত� অপরিচি� প্রেক্ষাপটের গল্প� রোজকার জীবন� চলতে চলতে কিছুক্ষণের জন্য সুধাকর দত্ত হত� পারল� নেহা� মন্দ হয� না� সবাইকে হ্যাপি রিডি�!
মানত� চা� আর না চা�, কীভাবে কীভাবে যে� আমার বড� ভাইক� আম� সব দি� থেকে� ফল� কর�, হো� তা গা�, লেখাপড়া, খাবা� দাবা�, সাইকেল চালানো কিংব� লেখক, তাঁর যা পছন্�, আমার� তা পছন্� হবে। আজ না হল� কা�, কা� না হল� পরশু, কিংব� মা�-বছ�-যু� পর� ভাইয়া শীর্ষেন্দু� তুমু� ভক্ত� কেমন ভক্ত সেটা বলি। একবা� জন্মদিনে বললা�, - ভাইয়া তুমি তো শীর্ষেন্দু� বই পছন্� কর� তোমাকে একটা বই গিফট কর�, বল কো� বইটা পড� নি এখনো? মু� থাকল� আমার ভাইয়ে� চেয়� রসিক মানু� এই দুনিয়াত� নাই। সে তখ� মুডে ছি�, - বিষয়ট� তো একটু কঠিন হয়ে গে� রে� তো� কি শীর্ষেন্দু� সাথে যোগাযো� আছ�? - উনার সাথে আমার যোগাযো� কীভাবে থাকে, আজ� তো! - তাইল� তো হব� না রে� উনার না পড়া কো� লেখা আমাক� দিতে হল� তো তাঁর সাথে যোগাযো� কর�, নতুন লেখিয়� আনতে হবে। কারণ শীর্ষেন্দু� না পড়া বই তো আমার একটা� না�!!
তা� আম� শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখা জিহ্বায় লালা ঝরাত� ঝরাত� পড়ব তা ছি� সময়ের ব্যাপা� মাত্�! “কাল� বেড়াল সাদা বেড়াল� কেমন বই, তা বলার মত যোগ্যত� আমার নেই। হ্যা�, আর� অনেকের মত শেষট� মনমত হয� নি তা আমিও মানি� তব� একজন লেখক তা� কাহিনী কোথায় গিয়� কিভাবে শে� করবে� তা সম্পূর্ণ� তা� ব্যক্তিগ� স্বাধীনতা। সবকিছু� পর এম� টানটান উত্তেজনাপূর্� একটা থ্রিলা�, সাবলী� বাংলায�, তা� শীর্ষেন্দু� লেখা, থাকত� পারে, তা আমার কল্পনা� বাইর� ছিল। এর রিভি� লেখা� আমার কম্ম নয়। বর� গুডরিড�-� বাপ্পি ভাইয়ে� এই রিভিউটাই সে কা� চমৎকারভাবে করেছে।!
আম� বল� বইটা পড়লাম কীভাবে আর কোথা থেকে সে� গল্প� মজার বিষয� হল, গতকালকেই (২০ নভেম্ব� ২০১৯) এই বইটা শে� করলে� “কাল� বেড়াল সাদা বেড়াল� আসলে আমার পড়া নাহলেও বছ� দশেক আগ�! ভাইয়া� কা� থেকে� নিয়েছিলাম� এম� টানটান উত্তেজনা� থ্রিলা� বই, গোগ্রাসে গিলছ�, আর একটু, আর একটু! তারপরে� জট খুলবে� হঠাৎ আবিষ্কার করলা� বইয়ের শে� ফর্মাট� না�! থ্রিলারভক্� মাত্রই জানে�, একদম ভেতর� ঢুঁক� যাওয়া কো� থ্রিলারে� শে� ফর্ম� না থাকা� সাথে শুধু একটি বিষয়েরই তুলন� দেয়� যায়� কিছুটা প্রাপ্তবয়স্কদের হওয়ায� তা এড়িয়� যাওয়া� ভা� ;)
সপ্তাহ দুয়েক আগ� এই বইটা আম� কিনেছি ১৫ (কথায়ঃ পনের) টাকা দিয়ে। জ্বি হ্যা, ঠিকই পড়েছে�, পনের এব� টাকা (ডলার নয�!)� বিড়িখোর না হলেও জানা যায় ১৫ টাকা দিয়� আজ ভা� দুটো সিগারেটও পাওয়া যায় না� তব� কালো বেড়াল সাদা বেড়াল পেলা� কীভাবে? প্রযুক্ত�! “সেইবই� নামে অসাধার� একটা অ্যা� আছ� প্লে স্টোরে� সেখানে নামমাত্র মূল্যে বিভিন্� বই পাওয়া যায়� আমার ফেসবুক� সি-ফার্স্� দেয়� যে সামান্� দু-একটা পে�, সেইব� তা� মাঝে আছে। কালো বেড়াল সাদা বেড়াল সেখানে দেখা মাত্রই ১৫ টাকা খর� করতে আমার গায়� লাগেনি! এরপর ট্রেনে, বাসে, সিএনজিতে, খাটে, চেয়ার�, বাসায়, অফিস�, দিনে কিংব� রাতে� কোথা� পড়িনি! এই অ্যাপে অনেকটা� কিন্ডল ফ্লেভা� দেয়ার চেষ্টা কর� হয়েছে� পে� নাম্বা�, ব্রাইটনে� এগুল� তো থাকবেই, সাথে ফন্ট সাইজ চেঞ্� করার অপশন, নাইট কিংব� ডে ডিসপ্ল�, চ্যাপ্টা�, নো� - হাইলাই� যো� করার অপশন� গতানুগতি� পিডিএফের চেয়� অনেকটা� আলাদা। বাংল� পিডিএফ আসলে পাঠযোগ্য থাকে না কারণ অধিকাংশক্ষেত্রেই তা থাকে অত্যন্� নিম্নমানের কিছু ফটোস্ক্যান কর� পৃষ্ঠা� এম� টাইপ এব� কম্পোজ কর� হল� তা নিমিষে� পড়া যায়� তা� যারা বলেন “ও পিডিএফ� আমার ঠি� চল� না!� তাদে� জন্য সেইব� হত� পারে চমৎকার বিকল্প� আমার পক্ষ থেকে� সেইব� একটা ধন্যবা� পায়, ওত� না থাকল� ঠি� কব� পড়া হত এই রুদ্ধশ্বাস থ্রিলা�, জানা নেই।
সলিড ফুয়েল� এট� বিজ্ঞানে� এম� এক অসম্পূর্� আবিষ্কার, যা খুলে দিতে পারে এক অফুরন্� সম্ভাবনা� দ্বার। এই আবিষ্কার-কর্ম যিনি শে� করতে পারতেন; সাক্কি� স্পেশালিস্� আঁদ্রে; তাকে সূক্ষ্� বিষপ্রয়োগ� খু� কর� হয়। এরপর থেকে� ঘটনা জম� ওঠে। আঁদ্রে� সহযোগী গোপীনাথক� ধাওয়া কর� হয� প্যারি� থেকে কলকাতা পর্যন্ত। ধাওয়া-পার্টিতে থাকে ইন্টারন্যাশনাল মাফিয়াগোষ্ঠী � সাক্কি� ভাড়� কর� গুণ্ডা, সাথে ইন্টারপোলও! এদের মধ্য� কালো আর সাদা নির্ণয� কর� গোপীনাথে� জন্য কষ্টের হয়ে ওঠে–স� কাকে বিশ্বা� কর� কোথায় পালাবে!
ইঁদু�-বেড়াল দৌড় ভালো� লেগেছে।� তব� শেষট� আশাব্যঞ্জক নয়। শীর্ষেন্দু কে� যে এম� অসাধার� প্লটকে হু� কর� মা� খাইয়ে দে�, কে বলবে! আগেও এরকমটা দেখেছি� আর একটা জিনিস–কোন� চরিত্রকে শুরু থেকে গম্ভী� ব্যক্তিত্বের চোখে দেখিয়� আবার অবৈধ-কামসর্বস্ব কিংব� হু� কর� কাছে এস� মিলন হয়ে যাওয়া, ডিভোর্� হয়ে গিয়েও ... বড� একঘেয়েম� এগুলো। তব� বাদবাক� সব ভালো ছিল।
এই বইটা বে� ভালো� শীর্ষেন্দু� লেখা থ্রিলা� ঘরনা� বেস্� বই� প্লট বে� বিস্তৃত। চরিত্রায়ন� অনেক ভালো� � গল্পের অন্যতম চরিত্র সুধাকর দত্তের সাথে শবরে� বে� মি� পেলাম। চরিত্রটা একটু অন্যরক� হল� আর� অনেক বেশী ভালো লাগত� গল্পের সা� সংক্ষে� কর� যাক। গোপীনা� বে� নামকরা বিজ্ঞানী� ইউরোপে� একটা বড� করপোরেশনের একটি গবেষনা প্রজেক্টের কর্নধার। গবেষনা� বিষয� হল সলিড ফুয়েল� এই প্রজেক্টের একজন বিজ্ঞানী কলকাতায় একটা কারখান� পরিদর্শনের সময় মারা যান। আপাত দৃষ্টিতে হার্� এটাক মন� হলেও পর� দেখা যায় স্লো পয়জনিং। এক প্রচন্� শক্তিশালী অর্গানাইজেশন লেগে যায় এই গবেষনা� পেছন�, যা� মূ� চাবিকাঠি আবার গোপীনাথে� হাতে� ভয়ানক বিপদ� থাকা গোপীনা� পেয়� যায় সুধাকরকে� কিন্তু কে এই সুধাকর? কি চায় সে? তা� ভূমিকা কি?এস� প্রশ্নের উত্ত� খুজেতে খুজত� বইটা পড়ে শে� করলাম।
বাংলায� এম� টা� টা� উত্তেজনাপূর্� মৌলি� থ্রিলা� রয়েছে, আন্তর্জাতি� মানে�, জানা ছি� না� শীর্ষেন্দুকে দেখেছি মনস্তাত্ত্বি� গল্প খু� ভা� ফুঁটিয়ে তুলত� পারে� কথোপকথ� অসম্ভব স্মার্� হয়ে ওঠ� তা� গল্পে। তা� লেখা দূরবী�, চক্র, পার্থি� ইত্যাদ� বইতে জীবনবো� নিয়� গভী� ফিলোসফ� দেখেছি� এম� একজন লেখক এম� একটা টানটান থ্রিলা� লিখত� পারে�, অনুমান কর� মুশকিল� এমনক� তা� সৃষ্� গোয়েন্দ� চরিত্র ‘শবর�-� এতটা টানটান থ্রি� দিতে পারেনি, যতটা দিয়েছ� � বই� এট� সম্ভবত বাংলায� লেখা খু� ভা� থ্রিলা� বইয়ের একটি এব� সবচেয়� আন্ডাররেটে� থ্রিলারও বট�!
গল্পের কাহিনী শুরু হয� সুধাকর দত্ত নামক এক ইন্টারপো� পরিচয়ধারী ব্যক্তির একটি আন্তর্জাতি� অপরা� চক্র নিয়� তদন্তে� খাতিরে কলকাতা পৌঁছান� থেকে� মনোজ � রোজমার� নামক এক বাঙালি-জার্মা� দম্পতি একটি শিল্� কারখান� দাড় করায� কলকাতায়� সে� কারখানায� তৈরি হয� এম� কিছু জিনি�, যা� ব্যবহা� আপাত দৃষ্টিতে সাধারণ হলেও, কেমিক্যা� রিয়াকশন কর� সেখা� থেকে তৈরি কর� যায় কিছু অত্যন্� দামী জিনিস। আর সে� জিনিসে� উপ� পড়ে আন্তর্জাতি� সব শিল্পপতী � মাফিয়� ডনদে� নজর। ওদিক� প্যারিসে থাকা বাঙালী বিজ্ঞানী গোপীনা� সে� কেমিক্যা� রিয়াকশন কর� জিনি� সম্পর্কে ধারণ� রাখত বল� তাকে নিয়� মাফিয়�, ভিকি� মব নামক এক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এব� আর� কিছু আন্তর্জাতি� গোষ্ঠী নিজেদে� দল� ভেড়াত� চায়� এরপর শুরু হয� ইঁদু� বিড়াল খেলা� প্যারি�, রো� হয়ে কলকাতায় এস� শে� হয� এই খেলা� শে� পৃষ্ঠা পর্যন্� টানটান উত্তেজনা ধর� রেখেছে� লেখক, সুনিপু� ভাবে!
থ্রিলা� বইতে আজকা� গল্পের নামে ইতিহাস, ব্যাকস্টোর�, প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে করতে পাঠকদে� সুন্দর কর� ঘু� পারিয়� দেওয়া� যে মহান ট্রেন্� চালু হয়েছে, এই বইটাতে তা নে� একদমই। বাঙালি থ্রিলা� এমনই হওয়� উচিত� পরিচিত গণ্ডিত� অপরিচি� প্রেক্ষাপট� এক ছটাক মে� নে� কোথাও। বর্ণনা যতটুকু দরকা� ততটুকু� কথোপকথ� যেমন বাস্তবধর্মী, তেমন স্মার্ট। নতুন থ্রিলা� লেখকরা ড্যা� ব্রাউনের ব্যর্থ অনুসরণ না কর� এই সব বই পড়ত� পারে�
মজার ব্যাপা� হচ্ছ�, সাদা বিড়াল দিয়� লেখক বোধহয় বুঝিয়েছেন আলোকিত জগ�, কালো বিড়াল দিয়� অন্ধকা� জগত। প্রচ্ছদে� ছবিত� ইন্টারপোলে� গোয়েন্দাক� সাদা � কালো বিড়াল, দু’ট� অংশে� মাঝামাঝিতে দেখা যায়� অর্থাৎ ইন্টারপো� এজেন্ট সুধাকর দত্ত পুরোপুরি ভা� বা মন্দ কো� দলেই পড়ে না, আবার উভয় দলেই পড়ে, এম� বোঝানো হয়েছে! যেটা গল্পের সাথে যায়ও।এক জায়গায় লেখা আছ�-বাঘে� মাসি� মত� ওত পেঁত� আছ�...বিড়াল শব্দটা সচেতনভাব� উপেক্ষ� কর� হয়েছে অনেক জায়গাতে�
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় জীবনমুখী বা সামাজি� উপন্যাসগুলোর জন্য� সকলে� কাছে পরিচিত, তব� অন্য জন্রায়ও যে তিনি কম যা� না সেটা "নীলু হাজরার হত্যারহস্য" পড়া� পর বুঝেছিলাম।
এই বইতে শীর্ষেন্দু� লেখা� ধর� সম্পূর্ণ অন্যরক�, যাতে প্রথ� দিকে অভ্যস্� হত� পারছিলাম না� চরিত্রগুলো� কাউকেই ভালো লাগছিল না� কিন্তু গল্প এগোনোর সাথে সাথে এই অন্য ধরণে� লেখা দারু� উপভো� করেছ� এব� শে� করবা� পর মুখে একটা হাসি রয়ে গেলো� অসম্ভব দারু� একটা বই, পড়া� পর বুঝলাম কে� সকলে বলতো এট� না পড়ল� চমৎকার একটা অভিজ্ঞতা মি�!
বইটা রোজমার� এব� মনোজের কম্পানিত� তৈরি কর� অ্যালয়ে� রহস্যভেদ নিয়ে। যেটা� রহস্যভেদের একদম শে� প্রান্তে আসার কারণ� আদ্রেঁ নামে একজনের মৃত্যু হয়। এব� তা� এই অসামপ্� কা� সমাপ্ত করতে পারে একমাত্� গোপীনা� বোস। তা� পৃথিবী� অনেক বড� বড� কুচক্রী মহ� এব� মাফিয়াদের নজরে পড়ে যায় এই গোপীনা� বোস। এতসব বড� বড� মাফিয়� গুন্ডাদে� কবলে পড়া� পর� গোপীনা� কিভাবে বেঁচ� যায় সেটা একটা রোমাঞ্চক� বিষয়। গল্পের প্রধান চরিত্র বলতে গেলে সুধাকর দত্ত� সুধাকর দত্ত চরিত্র টা একটা চমক। প্রতিট� পর্ব� তাকে নতুন কর� চিনেছি, মন� হয়েছে '� আসলে কে?' সেটা জানা� আগ্রহও টানত� টানত� একদম শে� পর্যন্� পৌঁছ� নিয়� গেছে� পড়ত� পড়ত� একটা সময় মন� হয� প্রতিট� চরিত্র� কেমন যে� রহস্যময়� রহস্যময় গল্পের সমাপ্ত� রোমাঞ্চক� না হল� কেমন একটা জম� ওঠ� না� তব� এইটা খারা� লাগে নি।ভাল� লেগেছে� একটা টা� টা� উ���্তেজনা নিয়� শে� হল� বইটা�
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় আমার অন্যতম প্রিয় একজন লেখক� তাঁর অদ্ভূত সব কাহিনী নিয়� লেখা কিশো� উপন্যা� অ��্ভুতুড়� সিরি� বা দীর্� কলেবরে লেখা পার্থি�, চক্র, মানবজমিন, দুরবী� প্রায় প্রতিট� বই� গোগ্রাসে গিলেছি� কিন্তু এই দু� ধারা� বাইর� লেখকের আর� একটা পরিচয় আছ� আর তাহল� তিনি অসাধার� রহস্� উপন্যাসও লেখে�, শব� নামে এক গোয়েন্দ� চরিত্র� সৃষ্টি হয়েছে তাঁর কল� থেকে� শব� এখনও পড়া হয� নি কিন্তু বিকেলে� মৃত্যু� পর আরেকটা রহস্� উপন্যা� হিসেবে কালো বিড়াল সাদা বিড়াল শুরু করতে� কোনো দ্বিধা কর� নি�
বে� জটিল একটা প্লট� প্যারি�, রো�, কলকাতা ঘুরে আন্তর্জাতি� পুলি� সংস্থা ইন্টারপো� থেকে আন্তর্জাতি� অপরা� সংস্থা ভিকি� মব পর্যন্� এক মলাট� তুলে এনেছেন লেখক� সংক্ষেপে বলতে গেলে মনোজ আর রোজমারির আপাত সাধারণ অ্যালয� তৈরি� কারখান� নিয়� উঠেপড়� লাগে দেশী-বিদেশী সংস্থা� একদিকে গোপীনাথে� অস্ত্র তৈরি� কারখান� সাক্কি যেমন চায় মনোজের কারখান� আবার অন্যদিকে ভিকি� মবের ইউরোপীয় প্রধান সুধাকর দত্ত বা দাতা� ফাঁদ পেতে� আছে। বাইর� এতকিছু হলেও অন্ধকারে� আছ� মনোজ-রোজমার� দম্পতি, ঘটনাপ্রবাহ যে� মাথা� উপরে দিয়� যাচ্ছে তাদের। এর� মধ্য� রোজমারিক� আর.আই.পি লেখা চিঠি পাঠানো বা কারখান� দেখত� আস� এক বিদেশী প্রতিনিধির হত্য� পরিস্থিত� আর� ঘোলাটে কর� তোলে� সাক্কি� গোপীনা� আর ভিকি� মবের সুধাকর � কো� দিকে যাচ্ছে কারখানার নিয়ন্ত্রণ?
চমৎকার একটা থ্রিলার। শীর্ষেন্দু এবার� বিন্তুমাত্� হতাশ করেন নি� পুরো বই জুড়েই কি হচ্ছ�, কে� হচ্ছ�, কিভাবে হচ্ছের দোলাচল� ভুগিয়েছেন লেখক, বিন্তুমাত্� কম ছি� না উত্তেজনাও।বইয়ের নামে� মতোই রহস্যময় চরিত্র সুধাকর দত্ত ভীষণ আকর্ষণ করেছ� পুরো বই জুড়�, সোনালী� মত� আমিও না পেরেছি ওক� এড়িয়� যেতে আর না পেরেছি কাছে টানত�! বইয়ের নামটাও ভীষণ মানানস�, পাত্�-পাত্রীদে� মধ্য থেকে সাদা আর কালোদে� খুঁজতে� যেতে হয� শে� পৃষ্ঠা অবধি� দুয়েক জায়গায় অতিরিক্ত সিনেম্যাটি� ব্যাপারস্যাপার ( গোপীনাথে� বিমানে� ব্যাপারট� বা সুধাকরের শে� দৃশ্যে� ব্যাপারট�), গোপীনা�-সোনালী� রিইউনিয়� বা স্বামী-প্রাক্তন স্বামী-প্রেমিকে� একত্রি� হওয়ার ব্যাপারট� আর শেষে� কয়ে� পৃষ্ঠা� অযথা কথাবার্ত� এগুল� বা� দিলে সুন্দর এক থ্রিলার।
"কালো বেড়াল সাদা বেড়াল" থ্রিলা� উপন্যা� হিসেবে চলনসই। তব� শে� টা মন� হল� খু� গতানুগতি� ভাবে হয়েছে�
শুরু থেকে সুধাকর দত্তের যে রহস্যময় ইমেজ দাঁড� করানোর চেষ্টা কর� হয়েছি�, বইয়ের শেষভাগ� আসার আগ পর্যন্� সে� রহস্যে� জা� পাঠককে শে� পর্যন্� আটকে রাখত� বাধ্য। তাছাড়� রোজমেরী, মনোজ, সোনালী, আর গোপীনাথক� ঘিরে তৈরি হওয়� একের পর এক রহস্যে� বেড়াজাল ভে� করার ইচ্ছ� জাগল� এই বই ছেড়� উঠ� মুসকিল� মোটামোটি দুর্দান্� একটি থ্রিলা� এক� বল� না গেলে� থ্রিলা� হিসেবে বে� উপভোগ্যই বল� যায়�
শীর্ষেন্দু� লেখা� সাথে আমার পরিচয় ঘট� ক্লা� থ্রি-তে থাকতে। খালামণ� জন্মদি� উপলক্ষ� শীর্ষেন্দু� 'কিশো� উপন্যা� সমগ্�-�' কিনে দিয়েছিলেন� পরের জন্মদিনে কিনে দিয়েছিলেন সমগ্�-৪। মাঝে� দুইট�? ওই দুইট� আমার খালাতো বোনক� দিয়েছিল 😛 আমরা যখ� কোনো বই কিনি, তখ� একজন আরেকজনকে আগ� থেকে� জানিয়� রাখি যাতে এক� বই দুইবার না কেনা হয়ে যায়! আগ� বইমেলা� সময় পেপারে� বিজ্ঞাপন দেখে বইয়ের না� টুকে রাখতাম� এরপর আলোচনা কর� ঠি� করতা� কে কোনট� কিনবে। এখ� অবশ্� পেপা� ঘেঁট� বইয়ের বিজ্ঞাপন দেখা হয� না, ফেসবুকেই একজন আরেকজনকে মেনশ� দিই। আচ্ছ�, পুরোনো কাসুন্দি ঘাঁট� বাদ্দিই। . . তো শীর্ষেন্দু আমার প্রিয় লেখকদে� মধ্য� অন্যতম� ছোটবেলায� উনার 'অদ্ভুতুড়ে' সিরি� গিলতাম, বড়বেলায� 'পার্থি�' আর 'দূরবী�' পড়ে চোখে� পানি ফেলতাম� উনার 'কালো বেড়াল, সাদা বেড়াল' বইয়ের রিভি� মাঝে মাঝে থ্রিলা� গ্রুপগুলোয� দেখতাম� একদি� চোখে� সামন� বইটা পড়ে যাওয়ায় কিনে ফেলি� . . কলকাতা� এক বড� কারখানার মালি� মনোজ সে� � তাঁর জার্মা� স্ত্রী রোজমারি। তাদে� কারখানায� এম� এক বিশে� ধরনে� অ্যালয� তৈরি হয�, যা� উপ� বিশ্বে� বড� বড� সব মাফিয়াদের চো� পড়ে� সে� কারখান� পরিদর্শন� আস� এক বিদেশি প্রতিনিধ� দল� কিন্তু তারা আসার আগেই নিজেকে ইন্টারপো� ইনভেসটিগেট� পরিচয় দিয়� সুধাকর দত্ত ওরফে দাতা প্যারি� থেকে মনোজদে� কারখানায� হাজি� হন� কে�? কারণ তা� কাছে খব� আস� যে ওই প্রতিনিধ� দল� একজন ইন্টারন্যাশনাল মোস্� ওয়ান্টে� ক্রিমিনা� আছে।
আরেকদিকে প্যারিসে থাকা বাঙালি বিজ্ঞানী গোপীনা� বসুক� হত্য� করতে উঠ� পড়ে লেগেছে ভিকি� মব � সাক্কি ইনকরপোরেটেড। কারণ তিনি� সে� অ্যালয� তৈরি কর� কেমিক্যা� রিয়্যাকশন নিয়� ধারন� রাখতেন� এরপর শুরু হয� আস� কাহিনি� গোপীনা� বস� জীবন বাঁচাত� প্যারি� থেকে চল� আসেন কলকাতায়� সেখানে এস� দেখে� সবাই কোনো না কোনোভাবে এক� অন্যের সাথে কোনো না কোনক সম্পর্কে জড়িত। কিভাবে? . . বইটা পড়া শেষে যখ� বন্ধ কর�, তখ� মাথা ঝিমঝিম করছিল। এক কথায� দুর্দান্�! বইয়ের প্রত� পৃষ্ঠাতে� আছ� টানটান উত্তেজনা আর টুইস্ট� শীর্ষেন্দু এম� উপন্যা� লিখত� পারে�, এইটা জানা� ছি� না� খু� চোস্� ভাষায় লেখা� শে� পৃষ্ঠা পর্যন্� লেখক সুনিপুণভাব� টানটান উত্তেজনা ধর� রেখেছেন। উপন্যাসে� না� কে� 'কালো বেড়াল, সাদা বেড়াল' তা বইটা পড়া শে� করেই বুঝত� পারবেন� থ্রিলারে� শেষদিক� একটু রোমান্টিকত� আছ�, কিন্তু সেটুকু একটু� খারা� লাগেনি� মন� মন� ওইরক� কিছু� চাচ্ছিলা� 😆 . . এবার একটু খারা� লাগা� মত� দিকগুল� নিয়� কথ� বলি। পড়া শে� করার সাথে সাথে খুবই ভালো লেগেছি�, এন্ডিং বাদে� এন্ডিংটা একটু দ্রু� টানা, আর একটু অগোছালো। প্লট যে খু� বেশি বাস্তব, তা না� মানে আপনি� বলেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাপট� ইন্টারপো� অফিসার, আবার একইসাথ� মাফিয়াদের হয়ে কা� করে। কিন্তু বইটা যেহেতু উপভো� করেছ�, তা� এতটুকু ছাড় তো দিতে� পারি� চরিত্রগুলো� দারু� ছিল। প্রত্যেককে� আমার ভালো লেগেছে� আমার পছন্দে� চরিত্র কিন্তু সুধাকর দত্ত�!
রেটি� প্রথমে � দিতাম। কিন্তু শেষটুক� মনমত� না হওয়ায� �.২৫ কাটা�
মনোজ-রোজমার� দম্পতি� প্রতিষ্ঠিত কারখানায� তৈরি হয� এক অ্যালয�, যা� খু� কম সংখ্যক কারখানাই রয়েছে বিশ্বে� এশিয়ায় তারা� অ্যালয়টির একমাত্� উৎপাদক� এই অ্যালয়ক� ঘিরে� "কালো বেড়াল, সাদা বেড়াল"-এর জটিলতা� পাছে স্পয়লার হয়ে যায়, তা� কাহিনী নিয়� আর বেশি কিছু বল� না�
শুরু থেকে� বে� উপভোগ্� ছি� বইটি� 'ফ্যাটলেস' বর্ণনা� ঘটনা� ঘনঘটায� পাঠককে ভাববার সুযো� দে� নি লেখক, পাঠ��� ঘটনাপ্রবাহকে গোগ্রাসে গিলে যেতে বাধ্য। গল্পের শুরু থেকে শে� অবধি 'সুধাকর দত্ত' চরিত্রের নিজেকে রহস্যে� চাদর� আবৃত রাখা� ব্যাপারট� বে� লেগেছে আমার কাছে� তব�, এরকম টা� টা� উত্তেজনায় ভরপু� বইয়ের শেষট� একটু অন্যরক� হব� বল� আশ� করেছিলাম� অনেকসময় 'হ্যাপি এন্ডিং'-� মন� ধর� না, বল�!
#mehzabin_hridy
বই: সাদা বেড়াল, কালো বেড়াল� লেখক: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়�
লেখক নিজে� স্বীকা� করেছেন রহস্যকাহিন� লেখা তাঁর প্যাশন নয়। নিজে� কমফোর্� জোনে� বাইর� বেরিয়� তাঁর থ্রিলা� ঘরানায� প্রথ� সৃষ্টি ‘বিকেলের মৃত্যু’। বাংলায� শুরু� দিককার সে� টেকন� থ্রিলা� প্লটের অভিনবত্ব আর টানটান পরিবেশনা� জন্য নজ� কাড়ে। তব� লেখক তাঁর নায়কক� সুপা� ম্যা� রোগে� হা� থেকে বাঁচাত� পারেননি। বব� রায় তা� একাধার� ইলেকট্রনিকসে� জিনিয়াস , অসী� ক্ষমতা� অধিকারী,তুখড� মার্শা� আর্টিস্ট , প্রব� জীবনীশক্তির অধিকারী ইত্যাদ� ইত্যাদি। গল্প� মোচড� , গত�, নতুনত্� সেখানে� ছি� কিম্তু নায়কে� উপ� জন্মান� বিরক্ত�,অবিশ্বাস , বাকি চরিত্রদে� সাথে নায়কে� রূঢ় আচরণ গল্পের সাথে পাঠকের যোগসূত্র বারবার ছিঁড়ে দেয়� এরপর লেখক সৃষ্টি করলে� শব� দাশগুপ্তকে � বাংল� সাহিত্� পে� মন ছুয়� যাওয়া কিছু দারু� রহস্� গল্প� বব� রায়ের তুলনায� শব� অনেক বেশি সংবেদনশী� � মানবিক� ‘কাল� বেড়াল সাদা বেড়াল� � শব� নেই। ভাবে� দি� থেকে এট� ‘বিকেলের মৃত্যু� গল্পের� উত্তরসূরি।তব� গল্পের ট্রিটমেন্ট � মুনশিয়ানা� ছা� এবার স্পষ্ট�
আবার সে� বাঙালি একজন তুখোড় মেধাবী বিজ্ঞানী যাকে হন্য� হয়ে খুঁজছে কিছু আন্তর্জাতি� সংস্থা� কিন্তু এবার আর সে মার্শা� আর্টসে� গুরু নয়। প্রা� হাতে নিয়� পালাতে গিয়� একাই মাফিয়াদের খত� করার সাধ্� তা� নেই।বস্তুত অপরা� জগতে� সাথে তা� পরিচিতিও এই প্রথম। কাজে� বেঁচ� থাকা� এই সংগ্রামে বিশ্বা� অবিশ্বাসের ভেলায় ভাসত� ভাসত� তাকে নতুন নতুন মানুষদের স্মরণাপন্ন হত� হয� বারবার� তা� বারবার পাঠকরা নায়কে� সাথে কালো বেড়াল সাদা বেড়াল বুঝে নেওয়া� খেলায় মেতে উঠি। আন্তর্জাতি� ক্রিমিনা� সংস্থা� মোকাবিলা করার জন্য বব� রায় মার্কা ক্ষমতা দরকা� তব� এবার লেখক সে� ক্ষমতা নায়কক� না দিয়� বিভিন্� চরিত্রদে� মধ্য� ভা� কর� গল্প সাজিয়েছেন� নায়কে� অ্যাকশ� দৃশ্� এখানেও আছ� তব� এবার� উন্ন� পরিবেশনায় তা অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য� আগের গল্পগুলি� তুলনায� নারী চরিত্ররা� এখান� বেশি সাবলীল। তব� ‘বিকেলের মৃত্যু� হো� বা শব� সিরি� বা এই ধূসর বেড়াল নারী চরিত্র মানে� ডাকসাইটে সুন্দরী! আর স্বাধীনচেত� ডিভর্স� সে� সুন্দরীরা প্রাক্তনের জীবন হানি� আশংক� শুনল� ছুটে তো আসছে�, হাসিমুখে প্রাক্তনের আলিঙ্গনে ধর� দিয়� তাদে� ঘর � করতে শুরু কর� দিচ্ছে আগের সব অপমা� ভুলে গিয়�! � এক আলাদাই স্যাটিসফ্যাক্স�! এই ব্যপার� লেখক আরেকটু সংযম দেখালে খুশি� হতাম� বিশে� কর� লেখক যেখানে গল্পের শুরুতে� বলছে� নারী চরিত্রটি� আত্মমর্যাদ� বো� প্রবল। নিজে� গল্পের মধ্য� দিয়� ব্যক্তিগ� ফ্যান্টাসি পূরণের লো� অধিকাং� লেখক� সামলাত� পারে� না� সে যা� হো� গল্পের মূ� উপজীব্যও তা নয়। কিভাবে একজন মধ্যবিত্� বাঙালি সন্তান বিদেশে পড়াশোনা কর� প্রথিতযশ� বিজ্ঞানী হয়ে ওয়ান্টে� ক্রিমিনালদের হা� থেকে পালিয়� বেড়াচ্ছেন সে� কাহিনি অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য� নায়� এখান� ধূসর নয� তব� একমাত্রিকও নয়। ২৩� পাতা� দীর্� এই থ্রিলারে মাঝে� দিকে কিছু জায়গায় গল্পের খে� হারিয়েছে।শুরু� দিকে� কিছু লু� এন্ড � মেলানো যায়নি।তবে গল্পের দ্রুতি সেসব দিকে মন দেওয়া� অবকা� � দেয় না� গল্পের শেষটাও আর� যথায� হত� পারত।একট� কার্টু� কার্টু� হয়ে গেলো শেষে এসে। goodreads রিভিউয়ারদের মত� এট� বাংল� সাহিত্যে� প্রথ� ইন্ডাস্ট্রিয়া� থ্রিলার। সেটা নাহলেও টানটান মোচড়পূর্ণ কাহিনি� গুণে� এই বই পড়া উচিত� ব্যক্তিগ� রেটি� �.� তারা� কিছু কম� পুনশ্চ - কিভাবে বাঙালি সুধাকর দত্ত প্যারিসে গিয়� দাতা হয়ে উঠ� সে� ব্যা� স্টোরি জানত� ইচ্ছ� করে। এট� নিয়� আলাদ� কর� একটা উপন্যা� হল� মন্দ হত� না� সুধাকরের মধ্য� শবরে� কিছু ছায়� আছ� আরেকটু স্বাতন্ত্র্য এল� ভালো লাগতো।
২৪.১০.২২ ঝড� বৃষ্টি� রাত। কারেন্� না�, ফোনে চার্� না�,চোখে ঘু� নাই। তো কি কর� বুঝত� না পারি একটা বই হাতে নিয়� নিলাম। মোমবাতির আলোয� পড়া শুরু করলাম। ঝড� বৃষ্টি� রাতে কেমন বই পড়া উচিৎ? রোমান্টি�, ভয়ংকর ভূতে�? যা� হো� বই পড়া শুরু কর� বুঝত� পারলাম বইটা থ্রিলা� জনরার।
শীর্ষেন্দু� মুখোপাধ্যায় এর সাথে পরিচয় ঘট� "পার্থি�" বই দ্বারা� এই দীর্� বইটায় আম� এম� ভাবে বো� হই ছিলাম। বইটা শে� কর� শীর্ষেন্দু� সাথে আরেকটু সময় কাটানো� জন্য "দূরবী�" নিয়� নিলাম। বে� শীর্ষেন্দু� লিখা� প্রেমে পর� গেলাম। তারপ� "মানব জমিন" বইটা লামুরে গিফর করলা� যাতে আম� � পড়ত� পারি।� "কালো বেড়াল সাদা বেড়াল" বইটা এইবা� জন্মদিনে উপহা� পাওয়া� ধন্যবা�,আপনাকে�
এবার আস� যা� বইয়ের কথায�, গল্পটা কলকাতা� এর ওয়ে� ইন্ডাস্ট্রিক� কেন্দ্� করে। রোজমেরী আর মোনজ সে� সে� ইন্ডাস্ট্রির ওনার� তাদে� ইন্ডাস্ট্রিত� এক বিশে� এক ওয়ে� তৈরী হয়। সে� ওয়েলে� উপ� নজ� পর� বড� বড� সক� মাফিয়াদের সাথে সাক্কি নামক এক গবেষণা কেন্দ্রের। এই ওয়ে� কারখানাক� পরির্দশন করতে আস� এক বিদেশি প্রতিনিধ� দল� কিন্তু তারা,আসার আগেই ইন্টারপো� ইনভেস্টিগেশন সুধা কর দত্ত, যা� অন্য পরিচয় দা��� প্যারি� থেকে ওয়ে� কারখানায� সে হাজি� হন� তা� কাছে খব� ছিলো এই প্রতিনিধ� দলের মধ্যেই একজন ক্রিমিনা� আছে। আশ্চর্� হলেও এই যে প্রতিনিধির� মা� পথেই ফিরে যা�, আদ্রেঁ নামক বিজ্ঞানী� আশংকিক মৃত্যুতে�
অন্য দিকে গোপীনা� বস�, একজন বাঙালি বিজ্ঞানী প্যারিসে� বসবাস। মূলত তিনি� � ওয়ে� তৈরী� ক্যামিকে� নিয়� গবেষণায় ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তাকে হত্য� করার জন্য এক দিকে মাফিয়ার দল অন্য দিকে ভিকি� মব � সাক্কি উঠ� পর� লাগে� নি� জীবন বাঁচাত� প্যারি� ছেড়� কলকাতায় আসার চেষ্টায় তাকে অনেক রিক্� নিতে হয়। দেখা তা� এই পথ যাত্রা� পিছন� ছিলে� দাতা� গোপী না� নিজে� বুঝে না এই কো� খেলায় মেতেছে� তিনি? কি হত� যাচ্ছে সামন�, শে� টা কি? সবচেয়� যেটা মজ� ব্যাপা� ছিলো এই বইয়ের চরিত্রগুলো অতী� কো� কো� ভাবে বর্তমানক� আঁকড়ে ধরেছে। তব� শে� টা খু� সাধারণ ভাবে� শে� হলো। বইটা উপভো� করার মত� শীর্ষেন্দু সামাজি� উপন্যাসে� পাশাপাশি থ্রিলা� � বে� লিখেছেন।
আনন্দবাজার রবিবাসরীয় পত্রিকায� ২০০৫ থেকে শুরু কর� দু বছ� টানা প্রকাশিত হত� বিখ্যা� লেখকদে� ধারাবাহি� রহস্� উপন্যাস। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর লেখা কালো বেড়াল সাদা বেড়াল উপন্যাসট� � সে সময়� প্রকাশিত হয়। আমাদের এই নুতু� সিরিজটিত� আমরা সাজিয়� রাখব� এই সক� ধারাবাহি� রহস্� উপন্যাসগুলোর আলোচনা দিয়�, আজকে� আলোচনা একটি বিখ্যা� রহস্� উপন্যা� কালো বেড়াল সাদা বেড়াল� এই বইটি এক� উপন্যা� আকারেও আনন্� থেকে প্রকাশিত হয� তাছাড়াও উপন্যাসট� শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর রহস্� সমগ্� এর অন্তর্গত� বইটি� প্রচ্ছদটিও বে� ইন্টারেস্টিং এক নজ� দেখে� বে� আগ্র� জন্মায� মনে। আসলে লেখক সাদা বেড়াল বলতে আলোকিত জগ� � কালো বেড়াল বলতে অন্ধকা� জগ� কে বুঝিয়েছেন� প্রচ্ছদটিত� ইন্টারপো� এজেন্ট কে দেখানো হয়েছে সাদা � কালো� মাঝখানে। গল্পটি� সাথে এই প্রচ্ছ� এর অর্থ তা� মিলে যায়� বইটি রহস্� উপন্যা� হলেও গত� আর ঘটনা� জটিলতায় যেকোনো থ্রিলা� কে হা� মানত� পারে�
পটভূমি -
ইন্ডাস্ট্রিয়া� কমপোনেন্টস তৈরি� কাজে লাগে যে বিশে� ধরনে� অ্যালয�, তা তৈরি হয� মনোজ সে� � তাঁর জার্মা� স্ত্রী রোজমারির কারখানায়। সে� কারখান� পরিদর্শন� এসেছ� একটি বিদেশি প্রতিনিধ� দল� হঠাৎ ইন্টারপোলে� ইনভেসটিগেট� সুধাকর দত্ত ওরফে দাতা প্যারি� থেকে মনোজদে� কারখানায� হাজির। কেনন� ওই প্রতিনিধ� দল� নাকি একজন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনা� আছে। এদিক� সাক্কি ইনকরপোরেটে�-এর গোপীনা� বসুক� হত্য� করার জন্য� ভাড়াট� গুণ্ডাদে� প্রস্তুতি। সাক্কি� সঙ্গ� মনোজের ব্যবসায়িক সম্পর্� কী তা কে� জানত� চাইছ� সুধাকর? গোপীনা� কি শে� পর্যন্� খু� হয়ে যাবে? অথ� পোর্টেবল আই সি বি এম তৈরি কর� তা� জীবনের একমাত্� উদ্দেশ্য নয়। গোপীনাথক� হত্যার চক্রান্ত� জড়িয়� গেছে রোজমারির প্রেমি� লুলু এব� প্রাক্তন স্বামী জো ক্লাইন� কিন্তু কে�? সাক্কি� সঙ্গ� মনোজদে� ব্যবসায়িক কি ধরনে� সম্পর্� রয়েছে এট� জানত� চাইছ� সুধাকর� পোর্টেবল আই সি বি এম তৈরি� যে গুজব শোনা যাচ্ছে তা� সাথে কি এর কো� সম্পর্� আছ�? সাক্কি যে বিজ্ঞানী� পেছন� গুন্ডা লেলিয়� দিয়েছ� তাদে� লক্ষ্য কি? আই সি বি এম এর ফর্মুল� হাতানো নাকি অন্য কিছু?এজন্� বিজ্ঞানী� প্রাক্তন স্ত্রী� কা� থেকে তথ্য আদায� করতে চাইছ� সুধাকর� এই রহস্যঘ� উপন্যাসে� শে� জানত� হল� অবশ্যই পড়ত� হব� এই রহস্� উপন্যাস।
পা� প্রতিক্রিয়া -
এই বই একটি দুর্দান্� রোলারকোস্টার রাইড, প্রথমে� দিকে একটু স্লো স্টার্টা� হলেও প্রতিনিধ� দলের সদস্যে� খুনে� পর পর � উপন্যাসট� একটি গত� ধর�, আর আমরা পাঠকরা সে� গতিত� প্রায় ছিটক� যেতে বসি। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর লেখা শব� পড়েছিলা� আগ� এই বই যেনো তাকে� ছাপিয়� যায় নিজে� গত�, উন্মাদনা, আর ঘটনা� পরিপ্রেক্ষিতে। লেখক থ্রিলারে� তাদে� জাদু দেখাতে পেরেছে এই বইটা পড়ে মানতেই হলো। বইয়ের মধ্য� সম্পর্কে� জা� বুনেছে� অত্যন্� সাবধান� যেনো বেশি ড্রামাটি� না হয়ে যায়� একজন আটপৌরে মধ্যবয়সী লোকক� তিনি হু� কর� সিনেমা� হিরো বানিয়� দেননি। বর� ঠাণ্ডা মাথায় কিভাবে ঘোরত� বিপদেও টিকে থাকা যায় সেটি দেখিয়েছেন� ধারাবাহি� ভাবে প্রকাশিত হত� বলেই হয়ত বইটি� এম� গত�, বার্তালা� পড়ত� পড়তেই দেখা যায় অর্ধেক বই পড়া হয়ে গেছে� বইটি আমার বে� ভালো লেগেছে আপনারা অবশ্যই পড়ে দেখুন। আশ� কর� ভালই লাগবে। এতটা সুন্দর কর� কাহিনী রচনা, চরিত্রের সন্নিবেশ, তাদে� ভূমিকা, মানব মনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, ইত� টানা হয়েছে যে শে� হলেও মনের ভেতর একটা অনুভূত� রয়ে যায়�
বে� টানটান একটা রুদ্ধশ্বাস থ্রিলা� হওয়ার মত� মালমশল� থাকা সত্ত্বেও কে� জানিনা খু� জোলো হয়ে গেলো! অহেতুক কাহিনীটা বড� কর� হয়েছে� আর কিছু কিছু চরিত্রকে কে� যে এত� অতিমানবি� কর� হল� বুঝলামনা� অথ� শুরুটা বে� লাগছিলো।