ক্রাইমিয়া� যুদ্ধে ওয়াল্টা�, কলকাতায় বোমা পড়া� সময়কা� রসিক, নকশালে� সময়ের রেয়াং� বা এখনকার সিয়ােনা আর বিরা�, এর� সবাই কোথায় যে� এক� কোথায় যে� এক� অপরে� সঙ্গ� বিনি সুতোয় গাঁথা। গল্পের মধ্য� লুকিয়� থাকা এম� নানা� গল্পকে তুলে ধর� 'সেফটিপিন'� গল্প শুরু হয� একশা� চৌষট্ট� বছ� আগ� ক্রাইমিয়া� যুদ্ধক্ষেত্রে। এক বড� অফিসারকে প্রাণে বাঁচিয়েছি� ওয়াল্টা� আর তা� পুরস্কারস্বরূপ সে পেয়েছিল সােনার ওপ� দামি পাথর বসানাে এক সেফটিপিন� তারপ� দশ� শত� ধর� সে� সেফটিপিন ছুইঁয়� গিয়েছ� কখনও মেরি আর রসিককে, কখনও সাহিমা আর রেয়াংশকে। আবার তা কখনও দেখিয়েছ� হুলো, স্যা� টুকাইকে। আর সবশেষে তা আবার জেগে উঠেছ� সিয়ােনা-বিরাজে� গল্পে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কা� প্রাক্-স্বাধীনতার কলকাতা, নকশালে� কলকাতা থেকে এখনকার কলকাতায় ঘুরেছে গল্প� বলেছ� বিশ্বাসে� কথ�, বাবা মায়ের সঙ্গ� সন্তানের সম্পর্কে কথ� বলেছ�, রাজনীতি� আবহে টালমাটাল যুবক যুবতীদে� কথা। আর সর্বোপরি সে বলেছ� ভালবাসার কথা। মানুষে� সঙ্গ� অন্য মানুষে� মন গেঁথ� রাখা� কথা। এম� করেই বিরা� এক সময়কালক� ভালবাসায� বেদনায� গেথে রেখেছে 'সেফটিপিন'�
সমান্তরালে চলছে , তিনট� গল্প� যা� সমাপ্ত� ভিন্� এক� অপরে� থেকে� কোথা� ধর� পড়েছে এক পার্শ্� প্রেমে� বিলা� আবার কোথা� সমাজের খাতিরে হারিয়� যাওয়া প্রেমে� গল্প � মানুষে� শেষে� কথ� ভাবে , ভাবে না বর্তমানে� কথ� যা� জন্য কত কিছু হারিয়� যায় , কিন্তু কিছু ঘটনা আটকে থেকে যায় সেফিটিপিনে� মত� জামা� এক কোনাই। বাস্তব� চারট� গল্প রয়েছে এর মধ্য� �
একশো ছেষট্ট� বছ� আগের একটা ঘটনা , সেইসময� এর একটা ছোট্� উপহা� কিভাবে চা� জোড়� জীবনের গল্পকে এক� অপরে� সাথে জুড়� রেখেছে তা নিয়েই এই অসাধার� উপন্যাস।মন থেকে কাউক� ভালোবাসল� তা প্রকাশ করার প্রয়োজন হয়ন�, দূরে থেকে� অসম্ভব ভালোবাসা যায়, এই দুটো বিশ্বাসটাই কেমন যে� পুরো উপন্যাসে ছড়িয়� আছে। এক সেফটিপিন কীভাবে এক অদৃশ্য সুতোয় এক� অপরক� গেঁথ� রেখেছে তা এই উপন্যা� না পড়ল� উপলব্ধ� কর� যাবে না� কুটু, বিরা�, ওয়াল্টা� , পুটু, লক্ক�,হুলো , রসিক , মেরি, সাইম� , অপ� , রোয়াংসু� গল্প থেকে এখনও যে� বেরিয়� আসতে পারিনি � এক অদ্ভুত মায়ায� যে� বাঁধ� পড়েছি আম� � ঠি� যে মায়ায� সবার সাথে সবাইকে জুড়� রেখেছি� সোনা� সে� সেফটিপিন�
এই উপন্যাসে� হা� ধরেই স্মরণজিৎ চক্রবর্তী'� লেখা� সাথে পরিচয়� উচ্চমাধ্যমিকের পর প্রথমবার পড়েছিলা� এতোটাই ভালো লেগেছি� যে দু'সপ্তাহের মধ্য� বোতামঘ�, দোয়েল সাঁক� , ছাতি�, পাতাঝরার মরশুমে, কম্পাস, ফানু�, বৃত্�.. পড়ে ফেলেছিলাম। মনের মধ্য� একটা অন্যরক� জায়গা কর� নিয়েছেন স্মরণজিৎ চক্রবর্তী�
✍️ রোমান্টি� গল্প, উপন্যা� থেকে আম� সাধারণ� শতহস্ত দূরত্ব রেখে চল�, কিন্তু যা� এত না� শুনেছি সে� স্মরণজিতের একটা� বই না পড়ে যুগচ্যূত� হত� চায়নি� তা� বইমেলাতে বে� পাতল� মত� দেখে এই বইটি কিনে ফেলি� আমার ধারণ� কি বলার আগ� এর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে কিছু বল� নেওয়া ভালো� . ✍️ � তিনট� প্রজন্মে� ভালোবাসা না পাওয়া� দুঃখ ফুটে উঠেছ� এই উপন্যাসে� ক্রিমিয়ার যুদ্ধে ওয়াল্টা�, কলকাতায় বোমা পড়া� সময় রসিক, নকশালে� সময়কা� রেয়াং� বা এখনকার সিয়োন� আর বিরা�, এর� সবাই গ্রথিত হয়েছে এক� সুতোয়� গল্প শুরু হয� একশো চৌষট্ট� বছ� আগ� ক্রিমিয়ার যুদ্ধক্ষেত্র� � হিরে খচিত সেফটিপিন পায় ওয়াল্টা�, তা� উর্দ্ধতন অফিসারের প্রা� বাঁচানোর পুরস্কার হিসেবে� যা সে উপহা� দেয় তা� ভালোবাসা� মানু� ভার্জিনিয়াক� , কিন্তু সে দেরি কর� ফেলেছে অনেকটা� তা� পর� দশ� শত� ধর� সে� সেফটিপিন ছুঁয়ে গেছে কখনো মেরি আর রসিককে, কখনো সাহিমা আর রেয়াংশকে। আর সবশেষে তা আবার জেগে উঠেছ� সিয়োন� - বিরাজে� গল্পে। . ✍️ � দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কা� প্রাকস্বাধীনতার কলকাতা, নকশালে� কলকাতা থেকে এখনকার কলকাতায় ঘুরেছে গল্প, বলেছ� বিশ্বাসে� কথ�, বাবা মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্কে� কথ�, বলেছ� রাজনীতি� আবহে টালমাটাল যুবক-যুবতী� কথ�, আর সর্বোপরি সে বলেছ� ভালোবাসা� কথা। . ✍️ � গল্পের পরিবেশ বড়ই মনোর�, বসন্�-হেমন্ত, প্রে� - বিরহ এম� কর� এগিয়েছে প্রজন্মে� পর প্রজন্ম। ব্যাপারট� একটু আধটু অবাস্ত� লাগলেও গল্পের সাবলী� ভাষা আর ফুরফুর� মন ভালো কর� দেয়� কিছু লেখা তা ভুলিয়� দেবে� নব্বইয়ে� দশকে� বাংল� সিনেমায় যেমন গোটা পরিবার শেষে একত্� হয়ে হাসি-তামাশা� মাধ্যম� হ্যাপি এন্ডিং হয�, ' সমাপ্ত 'লেখাটা ছো� থেকে বড� হয়ে রং বদলাতে থাকে, একদম এমনই অনুভূত� হয� এই গল্প পড়ে� পড়ত� একেবারেই মন্দ লাগে না , কিন্তু অতিনাটকীয়তা আর ন্যাকামিতে ভরপু� � তা� এই বইটি� জন্য স্মরণজিতকে '�' বই কিছু দেয়� যায় না�
"........আমাদের� জীবন শুধু জীবৎকালে সীমি� থাকব� না।অনে� ভালোবাসায় আর বেদনায� আমাদের আয়ু অতিক্র� করেও অন্য অনেকের মধ্য� আমরা বেঁচ� থাকব� ঠিক।বেঁচ� থাকব� সমস্� যুদ্� � মহামারী পা� করে। মৃত্যু � বিচ্ছে� পা� করে।বেঁচ� থাকব� জীবনের এক আশ্চর্� আনন্দে�"
ক্রিমিয়ার যুদ্ধে� ওয়াল্টা�-ভার্জিনিয়�,দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কা� রসিক-মেরি,নকশালে� সময়কা� রেয়াং�-সাহিমা, এখনকার বিরা�-সিয়েন�......এম� একেকটা সময়ের এক একজন মানুষক�, একেকটা জীবনকে আরেকজন মানু�,আরেকটা জীবনের সাথে জুড়� রেখেছে "সেফটিপিন"
উনবিংশ শতাব্দির ইউরোপে� ক্রাইমিয়া� যুদ্ধে� ওয়াল্টা�, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ � ভারত� ব্রিটি� শাসনকালে� সময়ের রসিক, নকশা� আন্দোলনে� উত্তাল কলকাতা� রেয়াংশু � এই যুগে� সিয়োন�- সকলক� গেঁথ� রাখে হিরে বসান� সোনা� এক সেফটিপিন� এই গল্প� সোনা� সেফটিপিন ছাড়াও আরেকটি অভিন� জিনি� হচ্ছ� এই যে তিনট� যুদ্� বা আন্দোলনে� সময়� মানুষে� মনের ভয� ভীতি, উৎকণ্ঠ�, তাদে� লড়া� এস� কিছুটা হলেও ছুঁয়ে গেছে কাহিনী� চরিত্রদের। একটি ছো� উপন্যাসে আমরা মোটামুটি তিনট� সময়ের একটা ছব� দেখত� পারি�
স্মরণজিৎ বাবু� গল্প� কিছু চরিত্র থাকে যারা খু� বোকা বোকা কিছু কা� কর� ফেলে� এখানেই তেমন ছিল। কিন্তু এরকম কা� কর� যে কো� কাজে� কথ� নয� এটাও গল্প� অন্য চরিত্রদে� মুখে বল� হয়েছে�
তব� কিছু ব্যাপা� ইমম্যাচিওর� লাগলেও এই ‘গল্পে� ভেতর গল্প, তা� ভেতরেও গল্প� কন্সেপ্টটা দারুণ। আবার আরেকটা জিনি� খেয়াল করলা� যে এভাব� কয়েকট� প্রজন্� একসাথে দেখাতে গিয়েও গল্পটা পড়া� সময় কিন্তু কোথা� কো� কনফিউশ� হয়নি। পুরো গল্পটা খু� পরিষ্কার ভাবে লেখা হয়েছে�
প্রথমে� বল� রাখি আম� স্মরণজিৎ চক্রবর্তী লেখা� ভীষণ বড়ো ভক্ত, তা� আপনাদে� কারো� কারো� কাছে এই review অনেকটা� biased বল� মন� হত� পারে তা� সেরম মন� হল� আপনারা এড়িয়� যেতে পারেন।
গল্পের কথায� আশ� যা�, এত্ত সুন্দর চলিত অথ� কাব্যে� কথায� মনের ভাষা উন� যেভাবে প্রকাশ করতে পারে� খু� কম লেখক লেখিকা� মধ্য� সে� প্রতিভাট� দেখত� পাওয়া যায়� আর গল্পের প্রত্যেকটি চরিত্র যে� প্রচন্� রক� ভাবে জীবন্ত, আর তাদে� প্রে� আর কাহিনী জুগজুগান্ত� ধর�, ধর� রেখেছে একখানি সেফটিপিন� Teenage love story হিসেবে আপনাদে� এই বইটি পড়ত� ভালই লাগবে।
সময়ের গণ্ড� পেরিয়� কীভাবে বেঁচ� থাকে ভালবাস�, তা� আখ্যান বোনা� এক প্রচেষ্টা। লেখক কোথা� গিয়� বারেবারে গুরুত্� দিয়েছেন বহিরাঙ্গের সৌন্দর্যকে, যা কিনা অন্তরে� সৌন্দর্যকে� ছাপিয়� গেছে কখনোসখনো, যা দৃষ্টিকট� লাগত� পারে� উপভোগ্� ভাষায় লেখা, একটানা পড়ে ফেলা� পক্ষ� উপযুক্� বই�