বিখ্যা� হর� লেখক এই�. পি. লভক্রাফট যে কসমি� হর� সাহিত্যে� সৃষ্টি করেছিলেন তা�-� লভক্রাফটিয়া� হর�! এর মূ� উপজীব্য—অজানা� ভয�, এক অন্তহী� ভয�! এখানকা� খারা� শক্তিগুল� এতটা� শক্তিমান যে তারা� এখান� মহাবিশ্বের নিয়ন্ত্রণকর্ত�! এত� আর� রয়েছে আদিম বীভৎসত�, ক্ষণ� ক্ষণ� হৃদপিণ্ডকে থমকে দেয়ার মতোন তা� সৃষ্� ওল্ড গড�, যোগসথথ, এজাথ�, শা� নিগুরা� জাতীয় দেবত� বা অপদেবত�! রয়েছে চোখে� আড়ালে থাকা অপশক্তির প্রক� হবার আশঙ্কা! এখান� মানবতা খুবই ক্ষুদ্� একটা জিনি�! প্রিয় পাঠক, লভক্রাফটের সে� অদ্ভুত আঁধা� ঘেরা দুনিয়ায� স্বাগত� জানাতে তিনজ� লেখক নিয়� এসেছেন ছয়ট� মৌলি� লভক্রাফটিয়া� হররে� সংকলন—অদ্ভু� আঁধা� এক�
চুম্মা—একই কায়দায় পনেরোট� খুন। তি� পেশা� � বয়সের তি� খুনি� খুনে� পেছন� প্রভাব� “চুম্মা� নামে� কোনো ড্রাগ। তদন্তে� ভা� আমার ওপ� পড়ল� নেমে পড়লাম রহস্যানুসন্ধানে। কিন্তু রহস্যে� কিনারা যে এভাব� হব� তা আম� কে� কেউই হয়ত� ভাবেনি�
আগমন—তানিয়া, অনিম�, ডা. রিচার্ডস আর �. ন্যান্সি� এই চারজনে� কেউই কাউক� চেনে না! কিন্তু তারপরে� অদ্ভুতভাবে একটি ঘটনাতে� জড়িয়� পড়ল� তারা! অবশেষে পৃথিবীতে আসার সময় হয়েছে সে� মহান সত্তার! পৃথিবী� অন্তিম দি� কি সন্নিকটে?
যোগসাজশ—কিছ� দুঃস্বপ্� দেখে ঘু� ভাঙা� পর মন� হয� ওট� স্বপ্ন নয� এক ভয়া� বাস্তব� এম� স্বপ্ন� দেখত� দেখত� ক্লান্� হয়ে রাহি� ভাবল� এক� ঘুরত� যাবে পাহাড়ে। গাইড মোর্শে�, মাঝি রোমে� চাকম�, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়� তিনজ� পর্যটক এব� বৌদ্� মন্দিরের পুরোহি� অং লা� মারম� এক অদ্ভুত যোগসাজশে জড়িয়� পড়লেন� কিন্তু কে�? রাহি� ধীরে ধীরে বুঝত� থাকে তা� দুঃস্বপ্নে� মানে!
অ্যাপোক্যালিপ্স—সম্পর্কের এক অদ্ভুত পর্যায়ে আছ� ফারহান আর ইশরাত। সংসারে কেমন একটা অস্বস্তি এস� গেছে ওদের� কিন্তু একদি� সকাল� সবকিছু বদলে গেলো! কো� অতিপ্রাকৃত জাহা� ভেসে উঠেছ� নদী� বুকে? নিজেদে� অজান্তেই ঘটনা� সাথে জড়িয়� পড়ল� ওরা।
আঁধা� আর ঈশ্বর—নজরকাড়� সুন্দরী জয়া, অনেক বিত্তবান ঘরের মেয়� সে� অনেক ছেলে� ওর প্রেমে পাগল, অনেক মেয়েই ওর মত� হত� চায়! কিন্তু নিজে� ভেতর� কো� রহস্যক� লুকিয়� রেখেছে �? হু� কর� রহস্যময় সে� লোকট� কে� কথ� বলছে ওর সাথে? সর্বশক্ত� এক সত্ত� নাকি আসছে�! জয়াকে উদ্ধার করতে!
খুম—জলদেবতা লিশ। যে ফিরিয়� দিতে পারে জীবন� কিন্তু এমনি এমনি কারো জীবন ভিক্ষা দেয় না� সে চায় সমান প্রতিদান� রাজি?
আসিফ রুডলফা� নামে লেখক আসিফ আব্দুল-এর আত্মপ্রকাশ� লেখকের জন্ম ঢাকা শহরে ১৯৮৯ সালে� ফেব্রুয়ারিতে� এই শহরে� তা� বেড়ে ওঠা। পড়াশোন� করেছেন নটরডেম কলেজের ব্যবসা� শিক্ষা অনুষ� থেকে� পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল� থেকে ফাইনান্স বিভাগে স্নাতক করেন� বর্তমানে একটি বেসরকারি ব্যাংক� কর্মরত আছেন� তিনি লেখালিখি শুরু করেন ব্লগিং এর মাধ্যমে। পরবর্তীতে বিভিন্� অনলাইন পত্রিকাতেও ফিচা� রাইটার হিসেবে কা� করেছেন� বর্তমানে তিনি লেখালিখি� পাশাপাশি শখের ইউটিউবিং এব� ওয়েব শো নির্মা� করছেন। “কথুলহু� তা� প্রকাশিত প্রথ� উপন্যাস।
এবার আস� সংকলনে� সেরা দুটো লেখায়� এই সংকলনে� সবচেয়� দৌলতমন্দ লেখা চুম্মা � খুম। দুটারই লেখক আসিফ রুডলফায। চুম্মা� কথ� আলাদাভাব� বলতে� হয়। গল্পটা� ন্যারেটি� প্রচন্� ডিপ্রেসি� কিন্তু অদ্ভুত সুন্দর� শেষে� টুইস্টটা প্রথ� থেকে� অনুমান করতে পারা যায় অবশ্য। চাইল� লেখক গল্পটা আর� বড� করতে পারতেন, সে� মা�-মশলা উনার কাছে ছিল।
খু� গল্পটা অবশ্� একদম ঠি� সময়� শে� কর� দেয়া। গল্প� ভ্রমণে� বিবর�, শেষে টুইস্টের প্রয়ো� টা যুতস� বল� মন� হয়েছে� গল্প আহামরি হয়ত� বল� যাবে না, কিন্তু ভালো� পড়ত� আরাম�
ওভার অল, ভালো� বইটা পড়া� আগেই এক তারা দিয়� দিয়েছিলাম স্রে� লাভক্র্যাফটিয়ান হর� সংকল� বলে। আশ� কর�, � ধরণে� গল্প সংকল� ভবিষ্যতে আর� পাবো�
চুম্মা� আসিফ রুডলফা� তেরোটা মার্ডা�, তিনজ� কালপ্রিট, বাকি দুইট� খুনে� তখনো সুরাহা হয়নি। কিন্তু খুনগুলার প্যাটার্� হুবহ� এক�! পনেরোট� বিভৎ� লা� যে� বলছে অন্য কথ� কিন্তু কী?
শুরুটা যেমন ছিলো শেষে যেয়� তেমন জম� নায়� লাস্� টুইস্টটা প্রেডিক্টেবল� মোটামুটি ধাঁচের বল� যায়�
আগমন� লুৎফুল কায়সা� চারজ� অচেন� মানুষ। কিন্তু ভাগ্� তাদে� বেঁধেছ� এক সুতোয়� মহান সত্তার আগমনের কারণ হব� তারা!
খন্ড খন্ড ঘটনা প্রতিট� চরিত্রকে ঘিরে� সমাপ্তিট� ভালো লেগেছে� যদিও তেমন ভয়ে� কিছু নায় কিন্তু মৌলি� কসমি� হর� হিসেবে ভালোই।
যোগসাজশ� জাকিউল অন্ত� দুঃস্বপ্� যে পাহাড়� অঞ্চলে সত্য হয়ে দেখে দিবে কে জানত�! ক্ষতবিক্ষত দুটি লা� পাওয়া� পর রাহিকে� মন� হয� কিছু একটা ঠি� নেই। হঠাৎ শুরু হয� প্রকৃতির পরিবর্তন!
প্রকৃতির বর্ণনা সেরা অং� ছো� গল্পটার। প্রকৃত� যখ� নিজে� শাস্তি বা প্রতিশোধ নিতে জেগে ওঠ� তখ�? প্লট ভালো কিন্তু শেষে যেয়� হতাশ হয়েছি�
অ্যাপোক্যালিপ্স� লুৎফুল কায়সা� টি-বাঁধের কাছে পাওয়া গেছে একটি লা�! লাশে� উপ� অজ্ঞান হয়ে ছিলো ছো� একটি মেয়ে। তা� মত� তা� বাবা বিশা� বড়ো একটা জাহা� দেখে আত্মহত্য� করেছে। কিন্তু পদ্মাত� বড়ো জাহা� আসবে কী কর�?
নিজে� অতিপরিচি� জায়গা নিয়� যখ� গল্প লেখা হয� কেমন আগ�? আমার তো এক্সপেকটেশ� অনেক বেড়� যায়� কিন্তু পিচ্চি গল্পটা হতাশ করেছে। ফারহান হঠাৎ কেসট� নিয়� এত� মরিয়া হয়ে কে� উঠলো? যদিও বল� হয়েছে একটা কারণ আছ� কিন্তু কারণটা বল� হয়নি। জাহা� দেখে যদ� সবাই নিজেকে শে� কর� দেয় তো বাচ্চাটা কীভাবে বেঁচ� গে�? আর� একটু বড়ো কর� গুছিয়� লিখল� ভালো হতো।
আঁধা� আর ঈশ্বর� লুৎফুল কায়সা� ঈশ্বরক� ডেকে আনার ক্ষমতা সবার থাকে না� কিন্তু যদ� যায় তখ�?
"আগমন"- এর সাথে কনসেপ্� মিলে যায় জাস্� ঘটনা আলাদা। বা এমনও বল� যায় এক� গল্পের দুটো রূপ। এত� বেশি মি� থাকা� জন্য নতুনত্� অল্পই। ছব� নিয়� হক সাহেবে� অংশট� পড়ে ঘৃণায় ভিতরটা গুলিয়� গেছে�
খুম� আসিফ রুডলফা� একটা ট্যু� যে এত� বড়ো প্রতিদান নিবে কে জানত�! মি� যখ� সত্য হয়ে সামন� এস� দাঁড়াবে তখ�?
বইয়ের সেরা গল্প এটাই� নিস্তব্ধ প্রকৃত�, ভয়াবহ একটা ঘটনা � চর� প্রতিদানের একটা আখ্যান� লাস্টে� টুইস্টটা দারুণ। সাথে অল্পস্বল্প হিউমার� আছে।
"অদ্ভুত আঁধা� এক এসেছ� �-পৃথিবীতে আজ, যারা অন্ধ সবচেয়� বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা; যাদে� হৃদয়ে কোনো প্রে� নে� - প্রীতি নে� - করুণার আলোড়ন নে� পৃথিবী অচ� আজ তাদে� সুপরামর্� ছাড়া।" -জীবনানন্� দা� - অদ্ভুত আঁধা� এক - বর্তমা� সময়� বাংলাদেশের হর� সাহিত্যে বে� আলোচিত এক সাবজনর� "লাভক্রফটিয়া� হর�"� হর� সাহিত্যে� � সা� জনরা� ছয়ট� ছোটগল্� নিয়েই এবারের বইমেলায় ভূমিপ্রকাশ থেকে বে� হয়েছে লাভক্রফটিয়া� মৌলি� হর� ছোটগল্� সংকল� "অদ্ভুত আঁধা� এক"� - চুম্মা (আসিফ রুডলফা�) - শহরে শুরু হয়েছে এক ভয়াবহ সিরিয়াল কিলিং। এক� ভয়াবহ কায়দায় মারা গেছে ১৫ জন মানুষ। এর সাথে তিনজ� আনরিলেটে� সাসপেক্ট আর এক ড্রাগে� ট্রেইল পা� এক পুলি� অফিসার� সে� ট্রেইল থেকে� অভাবনীয় এক বাঁক� মোড় দেয় গল্পটি�
নি� লাভক্রফটিয়া� হর� জনরা� ছোটগল্� হল� চুম্মা� ফার্স্� পার্সন ভিউত� বলা।শুরু� দিকে কম� প্লট, চমৎকার লেখনী, মানানস� ফিনিশিং। মোটামুটি ভালোই। - আহবা� (লুৎফুল কায়সা�)- পৃথিবী� চা� প্রান্তে� চা� জন মানু� বিভিন্নভাব� এক অতিপ্রাকৃত শক্তির সংকে� পান। এখ� এই সংকে� আর ফলাফ� নিয়েই এই ছোটগল্প।
খুবই প্রেডিক্টেবল স্টোরি� গল্পের প্রায় প্রত� প্যারায় আলাদ� কর� ওই অংশে� একটা না� দেয়� বিরক্তিক� লেগেছে� পড়া� সময় মন� হয়েছে গল্পের বদলে নাটিকা� স্ক্রিপ্� পড়ছি। গল্পের ভিতর� কারণ� অকারণে অযথা বিস্ময� সূচক যতিচিহ্নের ব্যবহা� দৃষ্টিকট� লেগেছে� - অ্যাপোক্যালিপ্� (লুৎফুল কায়সা�)- ফারহান এব� ইশরা�, ক্যারিয়ারের স্� স্� জায়গায় ভালো অবস্থানে থাকা এক দম্পতি� হঠাৎ তাদে� জীবন উল্টিয়ে দিলো এক অতিপ্রাকৃত জাহাজ।
মোটামুটি ভালো� লাগল� এই ছোটগল্পটি। বিশে� কর� "সিগারেটস আফটা� সেক্�" এর "অ্যাপোক্যালিপ্�" গানট� গল্পের সাথে গেঁথ� দেয়া। - আঁধা� আর ঈশ্ব� (লুৎফুল কায়সা�) - জয়া, বিত্তশালী এক মেয়ে। যা� রয়েছে অন্ধকা� এক অতী�, এট� ঘিরে� এই ছোটগল্প।
টিপিক্যা� গল্প আর লেখনী� লেখকের আগের দু� গল্পের মতোই এতেও ছি� বিস্ময� সূচক যতিচিহ্নের আধিক্য� ভালো লাগেনি একদম ই। - খু� (আসিফ রুডলফা�) - পাঁচ বন্ধুর ট্যু� নিয়� গল্পটি শুরু� কিন্তু এক ঘটনা� পড়ে ড্রামাটি� টার্� নেয় গল্পটি�
চমৎকার লাভক্রফটিয়া� ছোটগল্প। সাসপেন্স প্রথমদিক� কম থাকলেও শেষে� টুইস্ট চমকপ্রদ। মোটে� উপ� ভালো লেগেছে� - এবার� আস� সংকলনে পড়া সেরা গল্প জাকিউল অন্ত� এর লেখা "যোগসাজ�" এ। রাহি� নামে� এক ছেলে কিছুদি� সমাজ থেকে নিজেকে আইসোলে� করতে এক� পাহাড়� ট্যু� দিতে বেরিয়� পড়ে এক বিরা� যোগসাজশে� ভিতর� পর� যায় এব� কি সে� যোগসাজ� তা নিয়েই মুলত এই ছোটগল্� �
সাস্পেন্�, হর�, আর লাভক্রফটিয়া� মিথে� দারু� মিশ্রণ� রচিত � গল্পের শুরু থেকে শে� পর্যন্� বে� আকর্ষক� পাহাড় এব� প্রকৃতির বর্ণনা� বে� লেগেছে� মাঝে গল্প একটু স্লো হল� গেলে� ফিনিশি� দুর্দান্�, পারফেক্ট লাভক্রফটিয়া� হররে� ফি� পেয়েছ� এই গল্পটি পড়ে� লেখক � ধরণে� আর� কা� করবে�, এই আশ� করছি� - "অদ্ভুত আঁধা� এক" বইটি� প্রচ্ছ� একদম পারফেক্ট বইটি� কন্টেন্ট এর হিসেবে� বে� কিছু প্রিন্টি� মিস্টে� চোখে পড়েছে যা� ভিতর� কয়েকট� একদম� সিলি মিস্টেক। বইটি� বাঁধাই, কাগজের মা� দামে� তুলনায� চলনসই। যারা লাভক্রফটিয়া� থ্রিলা�/হর� টাইপ গল্প পড়ত� পছন্� করেন তাদে� ভালো লাগব� আশ� করছি�
'খু�' গল্পটা এই সংকলনে� সবচাইত� ভালো গল্প� এত ছোট্� পরিসরে� গল্পের শুরু, ক্ল্যাইমাক্স, এন্ডিং বে� গোছালো� তব� এই খু� এর চাইত� ভালো হত� পারত� লুৎফুল কায়সারে� 'অ্যাপোক্যালিপ্�' আর 'আঁধা� আর ঈশ্ব�'� তব� তিনি দারু� ভাবে লেখা গল্পগুলো� এন্ডিং সুন্দরভাবে দিতে পারেনন� বল� গল্পগুলো বেস্� হত� গিয়েও হয়নি। আর জাকিউল অন্তুর লেখা গল্পটা বে� দারুণভাব� বর্ণনা কর�, কিন্তু গল্পটাতে লাভক্রাফটিয়ান যে ছাপট� থাকা দরকা� ওট� মিসি� মন� হলো। তব� তা সত্ত্বেও তা� গল্পটা বে� ভালো� সবমিলিয়� 'অদ্ভূত আঁধা� এক' মাস্� রি� না হলেও পড়বার মত�
চুম্মা: এক� কায়দায় পনেরোট� খুন। তি� পেশা� � বয়সের তি� খুনি খুনে� পেছন� "চুম্মা" নামে� কোনো ড্রা� তদন্তে� ভা� আমার উপরে পড়ল� নেমে পড়লাম রহস্যানুসন্ধানে। কিন্তু রহস্যে� কিনারা যে এভাব� হব� তা আম� কে� কেউই হয়ত ভাবেনি�
উপরে গেলো সংকলনে� প্রথ� গল্পের কাহিনীসংক্ষেপ। একটু ধীরগতিতে এগিয়েছে গল্পটা মোটামুটি অর্ধেক যাবা� পর কাহিনী একটু গত� পায় তব� লাভক্রাফটিয়ান হররে� যেমন আব� সেটা সেভাবে পাওয়া না গেলে� শে� পর্যন্� ধর� রাখত� পেরেছে গল্পটা� আর একদম শেষে� টুইস্ট টা� মোটামুটি ছিলো তব� আমার কে� যে� গল্পের প্রেক্ষাপটের সাথে দেশে� প্রেক্ষাপট মেলাতে একটু অসুবিধ� হয়েছে�
রেটি�- �.৫০/�
আগমন: তানিয়�,অনিম�,�.রিচার্ডস আর �. ন্যান্সি� এই চারজনে� কেউই কাউক� চেনেনা! কিন্তু তারপরে� অদ্ভুতভাবে একটি ঘটনাতে� জড়িয়� পড়ল তারা! অবশেষে পৃথিবীতে আসার সময় হয়েছে সে� সত্তার! পৃথিবী� অন্তিম দি� কি সন্নিকটে?
প্রথ� গল্প থেকে এই গল্পটা একটু ভালো লেগেছে তা� একমাত্� কারণ হল� লেখক খু� সুন্দরভাবে গল্পের মধ্য� পর্যায়ক্রমে চারজ� মানুষে� গল্প বলেছেন� খু� অল্প কর� আলাদাভাব� তাদে� সাথে পরিচয় করিয়েছে� এব� শেষে গিয়� তাদে� চারজনক� এক সুতোয় বাঁধার একটা চেষ্টা করেছেন� খু� সহজভাব� লেখা বল� সুন্দরভাবে শে� করতে পেরেছি তব� গল্পের শেষট� নিয়� এক্সপেকটেশ� আরেকটু বেশি ছিলো� ওভার� ভালো বল� যায়�
রেটি�- �.২৫/�
যোগসাজ�: কিছু স্বপ্ন দেখে ঘু� ভাঙা� পর মন� হয� ওট� স্বপ্ন নয� ভয়া� বাস্তব� এম� স্বপ্ন� দেখত� দেখত� ক্লান্� হয়ে রাহি� ভাবল� এক� ঘুরত� যাবে পাহাড়ে। গাইড মোর্শে�, মাঝি রোমে� চাকম�, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়� তিনজ� পর্যটক এব� বৌদ্� মন্দিরের পুরোহি� অং লা� মারম� এক অদ্ভুত যোগসাজশে জড়িয়� পড়লেন� কিন্তু কে�? রাহি� ধীরে ধীরে বুঝত� থাকে তা� দুঃস্বপ্নে� মানে!
এই গল্পটা� প্রথমদিক� পড়ে মন� হচ্ছিল� এট� কোনো ভ্রম� গল্প� পুরো গল্পেই এম� বর্ণনা রয়েছে তব� লেখক এই গল্পের মধ্যেই প্রবেশ করিয়েছে� হত্যার, পরিচয় করিয়েছে� যুগে� পর যু� মানু� কিভাবে পা� কর� চলেছ� নিজে� আনন্দে� তাগিদে আর তা� বলির পাঠা হচ্ছ� সাধারণ মানুষ। এই গল্পের শুরু� দু'একটা পেজে� লেখা একটু এলোমেল� লেগেছে পর� সেটা ঠি� হয়েছে� তো সবমিলিয়� কেমন লেগেছে আমার কাছে গল্পটা যদ� কে� প্রশ্ন করেন আম� বল� ভালো লেগেছে�
রেটি�-�/�
অ্যাপোক্যালিপ্�: সম্পর্কে� এক অদ্ভুত পর্যায়ে আছ� ফারহান আর ইশরাত। সংসারে কেমন একটা অস্বস্তি এস� গেছে ওদের� কিন্তু একদি� সকাল� সবকিছু বদলে গেলো! কো� অতিপ্রাকৃত জাহা� ভেসে উঠেছ� নদী� বুকে? নিজেদে� অজান্তেই ঘটনা� সাথে জড়িয়� পড়ল ওরা।
এই গল্পটা বে� ভালো লেগেছে তা� মূ� কারণ হচ্ছ� খু� সাধারণ একটা আত্মহত্য� থেকে কাহিনী অন্যদিকে মোড় নেয়ার ব্যাপারটা। প্রথ� দিকে বে� হাস্যরসাত্মক ভাবে কিছু জিনি� উপস্থাপন কর� হয়েছে সেজন্য আর� উপভো� করেছি। তব� এই গল্প পড়ে মন� হল� লেখক মোটামুটি মিউজিক সম্পর্কে বে� ভালো ধারণ� রাখেন। তব� শে� দিকে একজায়গায় ২৭ তারিখে� জায়গায় ২৪ তারি� দেয়� হয়েছে� সংকলনে বে� ভালো একটা গল্প ছি� এটা।
রেটি�- �.৭৫/�
আঁধা� আর ইশ্ব�: নজরকাড়া সুন্দরী জয়া, অনেক বিত্তবান ঘরের মেয়� সে� অনেক ছেলে� ওর প্রেমে পাগল, অনেক মেয়েই ওর মত হত� চায়! কিন্তু নিজে� ভেতর� কো� রহস্যক� লুকিয়� রেখেছে �? হু� কর� রহস্যময় সে� লোকট� কে� কথ� বলছে ওর সাথে? সর্বশক্ত� এক সত্ত� নাকি আসছে�! জয়াকে উদ্ধার করতে!
এই গল্পটা� সাথে কে� যে� 'আগমন' গল্পের তানিয়ার একটু মি� আছ� বল� মন� হলো। এই গল্পটা মনেহয়না সবাই পড়ত� পারব� কেনন� এই গল্প� আমাদের সমাজ� বসবা� কর� খু� নোংর� মানসিকতা� এক লোকে� পরিচয় করান� হয়েছে যেটা পড়ে হয়ত অনেকের� গা ঘিনঘিন করতে পারে� তব� বাস্তবতা অনেক সময় আসলে এমনই� তব� লেখকের অন্যান্য গল্পের সাথে তুলন� করলে এই গল্পটা একটু পিছিয়� থাকবে।
রেটি�- �/�
খু�: জলদেবত� লিশ। যে ফিরিয়� দিতে পারে জীবন� কিন্তু এমনি এমনি কারো জীবন ভিক্ষা দেয়না� সে চায় সমান প্রতিদান� রাজি?
কথায� আছ� ওস্তাদের মাইর শে� রাতে� এই গল্পটা� অনেকটা তাই। শুরুটা হয়েছিলো সাডে� ট্যু� প্লা� কর� কয়ে� বন্ধুর মাধ্যমে। ট্যুরে যেমন নানা� চিন্তাধারা� সঙ্গী জোটে এখানেও তাই। সেভাবে� চলছি� গল্পটা কিন্তু হু� করেই একটা দূর্ঘটনা ঘট� বস� সেখানে আর সেখানে হাজি� হয� জলদেবত� লিশ। ভেবেছিলা� গল্পটা হয়ত শে� কিন্তু পর� দেখলাম শে� হবার পরেও আরেক দফ� শে� হওয়� বাকি আর সেখানে� সব রহস্যে� সমাধান� দুর্দান্� লেগেছে গল্পটা�
র���টি�- �.�/�
বই: অদ্ভুত আঁধা� এক লেখক: আসিফ রুডলফা�,লুৎফুল কায়সা�,জাকিউল অন্ত� প্রকাশনী: ভূমি প্রকাশ মুদ্রি� মূল্�: ২৪� টাকা
১৫ টা খুন। সব গুলো� এক� রকমভাবে। ভিক্টিমে� চো� জোড়� উপড়� নেয়� হয়। তারপ� লাশে� বু� থেকে নাভী পর্যন্� ধারালো কিছু দিয়� কাটা হয়। এরপর কাটা জায়গা� দুইপাশ খামচ� ধর� টেনে চামড়া ছিঁড়ে ফেলা হয়। দেখে মন� হয� বিরা� কোনো রক্তচক্ষু। এট� নিশ্চি�, খুনি কোনো সিরিয়াল কিলার। তারপরই তদন্তে নেমে পড়ে� পুলি� বিভাগে� চৌকস পুলি� অফিসারটি� আর নেমে� তাজ্জব বন� যান। খুনি তিনজন। একজন স্কু� ছাত্�, একজন মুদি� দোকানে� সেলসম্যা� , আর একজন ঘো� পাগল�!
তদন্তে� একপর্যায়ে পুলি� বাবুটি একধরনে� মাদকের সন্ধান পান। নতুন মাদক, না� ‘চুম্ম�'! এট� খাওয়া� পর� ভিক্টিমে� সাময়ি� হেলুসিনেশন হয়। তারপরই সে� শিকারী হয়ে যায়� আর তারপ�? ভিন্� রকমে� তি� অপরাধী� যোগসূত্র পাওয়ায় এক নোংর� আন্ডারেটেড নাইট ক্লাবে� সাথে� কী আছ� সেখানে?
★★ আগমন - লুৎফুল কায়সা�
“যেদিন চর� পাপাচারে� শিকা� কোনো সৃষ্টি নিজে� অস্তিত্ব বিসর্জ� দিয়� ঈশ্বরক� ডাকব�, সেদিনই তিনি আসবে�, আসবে� অন্ধকা� নিয়ে� আমাদের শে� কর� দেয়ার জন্য!" � দুনিয়� পাপে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে� এর ধ্বং� হবেই� আর যেদি� মহাজাগতি� স্বত্তার ঘু� ভেঙে যাবে সেদি� এই জগ� ধ্বং� হবে।
ঢাকায় এক পরিবারের কাজে� মেয়েট� প্রতিনিয়ত� তা� গৃহকর্তা কাছে লাঞ্ছি� হচ্ছে। � পা� মেয়েট� আর সইতে পারছ� না� সে এখ� মুক্তি চায়� একদি� হঠাৎ কর� এক লো� তাকে এস� বল� যায় ঈশ্বরক� ডাকা� জন্য� কারণ তা� ডাকে ঈশ্বরে� ঘু� ভাঙ্গবে।
রাজশাহীতে একটি মেয়� মাথা� ভেতর থেকে শব্দ শুনত� পায়� অনেকটা সুইচ অন অফ করলে যেরক� শব্দ হয� তেমন� এট� একসময় বাড়তে থাকে� সাথে দেখত� থাকে এক দুঃস্বপ্ন। সেখানে� এক লো� তাকে এস� বল� যায় পৃথিবী� ধ্বংসে� কথা। আর সে যেনো ঈশ্বরক� ডাকে�
ঠি� এভাবেই কানাডা� এক সিম্বোলজিষ্ট এব� যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে� এক মানষিক হাসপাতালের ডাক্তারে� কাছে� এরকম এক লো� যায়� কিন্তু কে�? সত্যিই কী পৃথিবীতে সে� মহাজাগতি� স্বত্ত� আসবে�?
★★ যোগসাজ� - জাকিউল অন্ত�
ছেলেটি অনেকদি� নিয়মমাফিক চলার পর হঠাৎ সিদ্ধান্� নেয় ঘুরত� যাওয়ার। সে� মাফি� চল� যায় বান্দরবানে� আর সে� পড়ে যায় এক অদ্ভুত পরিস্থিতিতে। হঠাৎ করেই গ্রামে পর পর দুইট� মেয়� খু� হন� আর তাদে� খুনিকে তা� যানে সে! ঘটনা� পরদি� সকাল� ঘু� থেকে উঠ� দেখে বাহিরে� সব দৃশ্� বিলকুল পরিবর্তন হয়ে গেছ। সবুজের সমারোহ, পাখি� কলতা�, ঝর্ণার জলের গর্জ�, কিছু� নেই। সবটা� যেনো মরুভূমিত� পরিণ� হয়েছে� কিন্তু কে�? কা� অভিশাপের দরুন আজ এঅবস্থ�? কিসে� সাথে এই যোগসাজ�?
★★★�!
এরকম আর� তিনট� গল্প আছ� “অদ্ভু� আঁধা� এক� বইটাতে� অন্যরক�, ভিন্� স্বাদে�, অন্যরক� অনুভূতির গল্প সব� বিদেশি হর� গল্প লেখক লভক্রফটে� হর� গল্পের থী� নিয়� মৌলি� গল্পগুলো রচনা করেছেন বাংলাদেশের তি� লেখক ‘‘আসি� রুডলফা�, লুৎফুল কায়সা, জাকিউল অন্তু’’। বইটি *ভূমি প্রকাশ�* থেকে�
হর� জনরা� এই শাখাটি বাংলাদেশের পাঠকদে� জন্য একদম নতুন� তা� বুঝত� কিছুটা সমস্যা হবে। মন মানত� চাইব� না� তা� সবাইকে বল� খু� সাবধান� এই বই গুলো পড়বেন নতুনরা� কারণ লাইন ধরতে না পারল� আপনি খে� হারিয়� ফেলত� পারেন।
লভক্রফ� মন� করতো বিভিন্� ধর্ম যেভাবে ঈশ্বরক� মহান কর� উপস্থাপন করেন, আদতে ঈশ্ব� তা নয়। তিনি ঘুমিয়� আছে। তা� সে� ঘুমে� জগতে� সৃষ্টি আমাদের এই পৃথিবী� মানে তা� স্বপ্নের মাঝে� সৃষ্টি হয� পৃথিবীর। আর তা� ঘু� ভাঙ্গলেই এই পৃথিবীরও সমাপ্ত� হবে। আদতে লভক্রফটে� ঈশ্ব� তা� সৃষ্টি� প্রত� উদাসিন� তিনি কোনো দা� দে� না এই জগতে� কোনো সৃষ্টিকে�
মানু� অন্ধকা� ভয� পায়, অজানাক� ভয� পায়� আর এই অজান� ভয� হল� লভক্রফটিয়ান হররে� সৃষ্টি�
সবশেষে বলবো, আমার ভালো লেগেছে� তা� বল� আপনা� ভালো লাগব� তা না� তা� সাবধান� পড়বেন� � বইতে পড়েছি “কিছ� জ্ঞা� অর্জ� না করাই বড� অর্জন�
***শহরে নতুন এক সিরিয়াল কিলি� শুরু হয়েছে� চো� উপড়� তুলে ফেলা হয়েছে ভিক্টিমের। যাদেরক� সন্দেহভাজন মন� কর� গ্রেফতার কর� হয়েছে তাদে� প্রত্যেকের কাছে পাওয়া গেছে জোড়ায� জোড়ায� চোখ। তাহল� কি কিলা� একের অধিক? কিন্তু হিসে� মেলে না� এদিক� [চুম্মা] নামে� নতুন এক ড্রাগে� কথ� শোনা যাচ্ছে� অদ্ভুত�
এই গল্পটা বইয়ের সেরা গল্প� সবচেয়� ভালো লেগেছে এক্সিকিউশন� শেষট� বে� নিখুঁত� লেখনী� ঝরঝরে।
***চারজ� ব্যক্ত� চা� দুনিয়ার বাসিন্দা, অর্থ্যাৎ কে� কাউক� চেনে না� তানিয়� জলিল সাহেবে� বাড়িত� কা� করে। অনিম� বে� অনেকদি� ধর� একধরণে� শব্দ শুনত� পাচ্ছে যা আর কে� শুনত� পায় না� ডা� রিচার্ডসের হসপিটালে� রোগীগুলো হঠাৎ আর্তনা� কর� উঠল। ডা� ন্যান্সী� কাছে কে যে� অনেক প্রাচী� একটা বই পাঠিয়েছ� যা� ভাষা খু� কম মানুষই জানে� আহবা�, ইঙ্গিত, বার্তা, সংকেত। এই চারট� ধা� সম্পূর্ণ হলেই ঘু� ভাঙব� তাঁর� আগমন গল্প� আসবে� তিনি�
এটাও বে� ভালো� অনেক গুছিয়� লেখা হয়েছে� তারসাথ� আনুষঙ্গি� তথ্যাদিও চমকপ্রদ। আম� নিজে� � ওয়েবসাই� ঘেটে বে� অবাক হলাম� আম� মাঝে মাঝে আজ� ধরণে� এক শব্দ শুনত� পাই। যদিও এদের সাথে মেলে না�
***বান্দরবা� বেড়াত� গে� রাহিক। কিন্তু প্রায়� দুঃস্বপ্� দেখছ� সে� প্রায়� একটা কথ� শুনছ� স্বপ্নে। যোগসাজশ। কি এই যোগসাজ�?
যোগসাজ� গল্পটা অনেক জমতে পারত� আর� সুন্দর হত� পারত� কিন্তু কিছু ঘটনা আমার কাছে একটু বেশি বেশি লেগেছে� শেষটাও ভালো লাগেনি� এই গল্পটাকে সবার শেষে রাখব আমএমই।***কিছু লো� অদ্ভুতভাবে আত্মহত্য� করছে� কিন্তু, কে�? তদন্তে বে� হল ফরহাদ। পদ্মার মাঝে এম� এক জিনি� দেখেছে বল� দাবি করছে এক শিশু যেটা ওখান� দেখা� কথাই না� এদিক�, পুরো পৃথিবীতে অনেকেই এই জিনি� নানা জায়গায় দেখেছে বল� দাবি করছে� তা কিভাবে সম্ভ�? এপোক্যালিপ্স গানে� সাথে এর কি সম্পর্�?
এই এপোক্যালিপ্স গল্প থাকব� � নাম্বারে� সবকিছু ব্যলেন্সড। আর সমাপ্তিট� যথেষ্ট সুন্দর� এখান� টেন্টাকল� ওয়ালা কথুলহু না থাকলেও গল্পটা দারু� উপভো� করেছি।ই।
***জন্মের কয়ে� বছ� পর� জয়া� বাবা তাকে পৃথিবী� কলঙক ঘুচাবা� এক প্রাচী� � পবিত্র উদ্দেশ্য� একটা ডাস্টবিনের পাশে রেখে আসেন� জলিল নামে� এক লো� তাকে নিজে� বাচ্চা হিসেবে দত্ত� নেন। কিন্তু সুদর্শনা জয়া� জীবন� ঘো� এক আধাঁ� লুকিয়� আছে। সে� আঁধা� দূ� করতে ঈশ্ব� আসবেন।
এখান� দুইট� জায়গায় ধোঁয়াশা রয়ে গেছে আমার� শুরু আর শেষে� শুরুরট� না বলি। কিন্তু, শেষে ঈশ্বরে� যা করার কথ� ছি�, সমাপ্তিট� যেভাবে শে� হওয়ার কথ� ছি�, সেভাবে শে� হয়েছে কি?
***সজল। হতাশাগ্রস্� এক যুবক� বান্দরবা� বেড়াত� গিয়� সুইসাই� এটেম্প� কর� মাথা ফাটিয়� ফেলে� তাকে বাচাতে শরণাপন্ন হত� হল� জলদেবত� লিশে� কাছে� কিন্তু, বিনিময়ে কিছু চায় সে?
ছো� এব� ঘটনাবহুল গল্প� এই গল্প মন� হল বেশি বড� হল� ভালো লাগত না� খু� যে ভালো লেগেছে তা� না�
লভক্রফ� এম� একজন প্রতিভাবান লেখক যে, তাঁর নামে� একটা আলাদ� জনরা� সৃষ্টি হয়েছে� অজান�, অচেন� কোনকিছুক� তীব্রভাব� অনুভ� করার, ভয� পাওয়া� গল্পগুলো� লভক্রাফটিয়া� হর� নামে সবখানে পরিচিত� পেয়েছ� এব� পাচ্ছে� বাংলাদেশ� বর্তমানে লভক্রাফট নিয়� নতুন নতুন মৌলি� � অনুবাদ প্রজেক্ট হচ্ছে। এট� বে� আশার কথা। ছো� কর� বললে লভক্রাফটের সাথে মোটামুটি চেনা পরিচয় হল� ভালো লাগল� সামন� আর� লভক্রাফট পড়া� ইচ্ছ� আছে।
“It is a mistake to fancy that horror is associated inextricably with darkness, silence, and solitude.� - HP Lovecraft ভয� কি শুধু ঘুটঘুট� অন্ধকা� কিংব� কবরে� মত� নীরবতা� হয�? এই প্রশ্নের উত্তরে এক ধা� এগিয়ে ভেবেছে� লভক্রাফট� অজানার প্রত� ভয� � এই বিষয়টিক� উপজীব্� কর� নিজে� স্বকীয়তায় গড়ে তুলেছে� লভক্রাফটিয়া� হর� জনরা� হতাশ� আর নৈরাশ্যবাদের এক চমৎকার মেলবন্ধন এই জনরা� অদ্ভুত আঁধা� এক: 'অদ্ভুত আঁধা� এক' বইটি লভক্রাফটিয়া� মোলি� গল্পের সংকলন। বইটিতে রয়েছে তিনজ� লেখকের মো� ছয়ট� গল্প�
পা� পর্যালোচনা: প্রথমে� বল�, চমৎকার এক ভূমিকা লিখেছে� আসিফ রুডলফায। লভক্রাফটিয়া� হর� আর কসমি� হর� নিয়� আলোচনা করেছেন� এই জনরা� বৈশিষ্ট্� আলোকপা� করেছেন� লভক্রাফটিয়া� হর� জনরাকে বুঝত� বে� সাহায্� করবে লেখাটা� গল্প সংকলনে সাধারণ� ভিন্� ভিন্� স্বাদে� গল্পের দেখা পাওয়া যায়� এই সংকলনে সে� সুযো� নে�, তব� রয়েছে তিনজ� ভিন্� লেখকের লেখনশৈলী, শব্দচয়ন, ভিন্� গল্প বলার ধরন। ছয়ট� গল্পের মধ্য� আমার কাছে সবচেয়� ভালো লেগেছে জাকিউল অন্তুর যোগসাজ� গল্পটি� দারু� ভ্রমণে� বর্ণনা, রেমাক্রিকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন� মন� হচ্ছিল যে� রেমাক্রি ট্রে� করছি পড়া� সাথে সাথে� কিছুদি� আগ� পড়া অ্যালজারনন ব্ল্যাকউডে� দ্� উইলো� বইটি� প্রথ� দিককার কথ� মন� পড়ে যাচ্ছিল। যু� যু� ধর� কর� মানুষে� জ্ঞানপাপ, অপচয�, হত্য� � এস� উঠ� এসেছ� গল্পে।
কাহিনী� ঘনঘট�, শেষে ছো� টুইস্ট, সমাপ্ত� সব মিলিয়� দারু� লেগেছে� অং লা� মারম�, রাহি� � চরিত্র গঠনে� ভালো নিপুণত� দেখিয়েছেন� তব� এটাও বলছি, এই গল্প� লভক্রাফটিয়া� ইলিমেন্ট বে� কম� গল্পটা ভালো লেগেছে আমার� আসিফ রুডলফাযে� দুটো গল্প� ভালো লেগেছে� গল্প বলার ধর� চমৎকার� খু� ভালো লেগেছে বেশি� এটাতেও ভ্রমণে� বর্ণনা আছ�, উঠ� এসেছ� জলদেবত� লিশে� কথা। পাশাপাশি শেষে� টুইস্টটা দারুণ। চুম্মা গল্পটা একটু অন্যরক� লেগেছে� শুরু� দিকে সাধারণ থ্রিলা� গল্পের মত� প্লট, ঠি� লভক্রাফটিয়া� ধাঁচের মন� হচ্ছিল না� তব� সময় যেতে যেতে গল্পের সবকিছু� বদলে গেছে� বর্ণনা সুন্দর, পড়ত� আরাম লাগা� মতো। আর শেষটাও ভালো লেগেছে� লুৎফুল কায়সারে� তিনট� গল্পের মধ্য� অ্যাপোক্যালিপ্� মোটামুটি ভালো লেগেছে� ফারহান আর ইশরাতে� সম্পর্কে� টানাপোড়েন, একটা খুনে� কে� � ধীরে ধীরে কাহিনী এগিয়েছে� সমাপ্ত� ভালো লেগেছে� তব� লেখকের অন্য দুইট� গল্প তেমন ভালো লাগেনি� অতটা চমৎকৃত হত� পারিনি� লভক্রাফটিয়া� ইলিমেন্ট ছি�, তব� এই দুটি গল্প সাদামাটা লেগেছে অন্য গল্পগুলো� তুলনায়। সাথে গড়পড়তা লেখনশৈলী�
এই সংকলনে� ব্যাপারে একটা� আপত্তি আছে। আগমন এব� আঁধা� আর ঈশ্ব� � গল্প দুইটার লেখা� ধর�, প্লট, থি�, সমাপ্ত� মোটামুটি এক� ধরনের। এক� রক� দুইট� গল্প এক� সংকলনে না আনলে ভালো হত� বল� মন� হয়েছে আমার� হয়ত� আরেকটা ভিন্� স্বাদে� গল্প পেতে পারতাম�
প্রচ্ছ�: প্রচ্ছ� নিয়েও আলাদ� ভাবে বলতে হয়। দারু� এই প্রচ্ছদট� করেছেন সজ� চৌধুরী� প্রশংসার দাবিদা� সে অবশ্যই�
লভক্রাফটিয়া� হর� যাদে� ভালো লাগে, তারা বইটি পড়ত� পারেন। মাস্টরিড না হলেও বে� ভালো� যারা এই জনরা� সাথে বিশে� পরিচিত নন, তারা� পড়ত� পারেন। ভালো যদ� না� লাগে, অন্ত� ভিন্� স্বা� পাবে� নিঃসন্দেহে�
এর মধ্য� নিঃসন্দেহে সবচেয়� সেরা হয়েছে আগমন আর যোগসাজশ। চমৎকার প্লট আর স্মু� রাইটিং এর কম্বিনেশ� � পুরোটা গল্প� ছিলো উপভোগ্য। লেখকের নিজস্ব একটা স্টাইল দাড় করান� দেখে ভালো লেগেছে�
আগমন পড়েছিলা� সবার শেষে� এর আগ পর্যন্� যোগসাজ� গল্পটাকে� সেরা মন� হচ্ছিল আমার� শুরুটা সাদামাটা মন� হলেও অর্ধেক পেরিয়� যেতে� ভালো লাগা শুরু হয� আর শে� কর� তো মু� দিয়� অনায়াশে� বেরিয়� আস� "ওয়া�"� ভ্রমণে� বর্ণনা গুলো সুন্দর ছিলো�
আসিফ রুডলফা� এর দুটো গল্পের মধ্য� খু� বেশি ভালো লেগেছে� বিশে� কর� শে� অংশটুক� গায়� কাটা দেয়ার মতো। সংকলনে� তৃতীয় সেরা গল্প আমার চোখে�
লুৎফুল কায়সারে� অন্য দুটি গল্পের মধ্য� অ্যাপোক্যালিপ্� ভালো লেগেছে� লভক্রফটিয়ান হর� এর এর ডার্� ইলেমেন্ট এর পাশাপাশি রোমান্টিসিজম, মানসিক টানাপোড়নে� কিছু ব্যাপা� আছে।
আঁধা� আর ঈশ্ব� গল্পটা খু� একটা ভালো লাগেনি� দুর্বল প্লট মন� হয়েছে� সংকলনে� অন্যান্য গল্পের তুলনায� একদম� ম্লা� ছিলো�
বানা� ভু� খু� একটা চোখে পড়েনি� ডা. আর �. এর কিছু টাইপিং ভু� ছিলো � প্রতিট� গল্পের সাথে অলংকরণ থাকল� বে� মানাতো� লভক্রফটিয়ান মৌলি� হর� হিসেবে বে� ভালো কা� হয়েছে এট� বলতে� হবে। আশ� কর� ভবিষ্যতে�
লভক্রাফটিযান হর� জনরা� ছয়ট� গল্পের সমন্বয়ে বই অদ্ভুত আঁধা� এক� এর মধ্য� তিনট� গল্প আমার কাছে খুবই সাধারণ মানে� লেগেছে� খু� একটা চমৎকৃত করতে পারেনি� বাকি তিনট� গল্পের বিষয়ে পর� আসছি তা� আগ� সম্পাদনা� ব্যাপারে কথ� বল� প্রয়োজন� দৃষ্টিকট� ভু� বানা� অনেকবারই মনোযোগ নষ্ট করেছে। এমনক� যোগসাজ� বাদে বাকি পাঁচটি গল্প� প্রচুর বাক্যগঠন দুর্বল, খুবই তাড়াহুড়া� ছাপ। যোগসাজ�, অ্যাপোক্যালিপ্� আর খু�, এই তিনট� গল্প দারু� লেগেছে� বিশেষত যোগসাজশে� লেখক জাকিউল অন্ত� নিজে� লেখা� ধর�, বর্ণনায় দারু� সাহিত্যজ্ঞানের পরিচয় দিয়েছেন� প্লটকে ঘিরে উপযুক্� আব� তৈরি করায� চমৎকার খে� দেখিয়েছেন এই লেখক� তাঁর জন্য শুভকামনা!