এই গ্রন্থটি শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ে� জীবন� নয়। ইত� গঙ্গোপাধ্যায�, যিনি সামাজি� পরিচয়� শ্যামলের স্ত্রী, তিনি তাঁক� যেভাবে পেয়েছেন বুঝেছে� তা� স্মৃতিচারণ প্রতিফলি� হয়েছে বইটিতে� সদ্য চাকর� পাওয়া, সামান্� কিছু লেখালিখি, বিশা� যৌ� পরিবারের প্রায়-বাতি� এক সদস্� শ্যামলকে বিবা� কর� থেকে শুরু কর� শহরে ফিরে ঘনঘন বাসা বদ�, চাকরির অনিশ্চয়তা, প্রব� অর্থসংকট এব� শ্যামলের লেখক-স্বীকৃতি� দোলাচলের ঘটনা� বর্ণনা নিয়েই এই বই�
"শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায� সব সময় বলতে� শিল্পে� প্রধান শর্ত হচ্ছ� সংশয়। সমর্পণ নয়। বিশ্বা� নয়। একটা প্রব� বিশ্বা� নিয়� সারাজীবন চলতে গেলে, জীবনের অনেক কিছু হারিয়� যায়� জীবনের অনেক রহস্� হা� থেকে ফস্ক� যায়�"
শ্যামলের অর্ধাঙ্গিনী শ্যামলের মতোই অকপট � সরল। নিজে� বিয়�, গৃহবিবাদ, শ্যামলের বারবার প্রেমে পড়া, লেখালেখিসহ বহ� বিষয়ে স্বল্প পরিসরে লিখেছে� ইত� গঙ্গোপাধ্যায়।লো� দেখানো� ব্যাপা� নে� একদম, শ্যামল বা নিজেকে বড� কিংব� ছো� কর� দেখানো� প্রয়া� নেই। নিজেরা যেমন, ঠি� তেমনটা� শুধু লিপিবদ্ধ করেছেন ইতি। এত� ছো� লেখা, মন� হচ্ছ� আর� অনেক কিছু জানা� ছিলো�
ইত� গঙ্গোপাধ্যায� সুন্দর সাবলী� বর্ণনা� মাধ্যম� তুলে ধরেছেন লেখক স্বামী শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়কে। তব� লেখকের স্ত্রীদে� লেখায় একটা ব্যাপা� খু� কম�... স্বামী হিসেবে লেখকের� খু� একটা সুবিধা� না� বেচারিরা সবার হিংসাতুর দৃষ্টি� মাঝে থাকে� (মানে ওই ভক্তদে� হিংস� হিংস� দৃষ্টিটা আর কী) আর নিজে� জ্বালায় জ্বলেন� শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায� যথেষ্ট ইন্টারেস্টিং চরিত্র� বে� কিছুদি� আগ� তা� অত� বিখ্যা� 'কুবেরে� বিষয� আষয়' পড়ত� যেয়� অর্ধেকের মত পড়ে রেখে দিয়েছিলাম� পর� আবার হাতে তুলে নে� 'ঈশ্বরীতলার রূপোকথ�'� এই বইটা অবশ্� অতোট� লাইমলাইটের তলায� আসেন� কিন্তু অসাধার� একটা বই� আমার শ্যামল পড়ত� যেয়� টে� পেলা� কিভাবে দুটো বইয়ের মাঝে� নিজেকে এঁকেছে� শ্যামল� এম� খামখেয়ালি চরিত্র যা�, তাঁর স্ত্রী� হ্যাপা পোয়াত� হব� না? তব� আফসো� লাগল� অনেক সময় পত্রিকার সম্পাদকদের খামখেয়ালি� (খামখেয়ালি নাকি অন্য কিছু? শব্দটা ঠি� মাথায় আসছে না) জন্য ভক্ত পাঠকের� কত� না সুন্দর সুন্দর ক্লাসি� বইয়ের ঠিকঠাক এন্ডিং পায়নি তা ভেবে!
বাংলায� 'জীবন রহস্�'� মত� আত্মজৈবনিক লেখা কে, কব� লিখেছে � বাঙালি পাঠকরা� এম� লেখা বাংলায� কব� পড়েছে�? আবার, 'ঈশ্বরীতলার রূপোকথ�' � 'শাহজাদ� দারাশুকো'� মত� উপন্যা� বিরল� তা� স্রষ্ট� শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়। আর, তাঁক� নিয়েই লিখেছে� লেখকের স্ত্রী ইত� গঙ্গোপাধ্যায� � স্মৃতিচারণ করেছেন লেখকের ভা�-বোনেরা� সে� নিয়েই 'আমার শ্যামল'�
লেখককে সব সময় তা� লেখা� মাধ্যমেই বিচা� কর� দরকার। নতুব� ব্যক্ত� লেখকের জীবনের শৃঙ্খল� � বিশৃঙ্খল� নিয়� ভাবত� বসলে 'ভক্ত�-শ্রদ্ধ�' চো� পায়� যেমন: বড়ো মেয়ের বিয়ের দি� পাত্রক� আনার বদলে শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায� মদ খেয়� মাতা� হয়ে গেলেন। এই ঘটনা পাঠকের জানা বিশে� দরকা� নেই। তাতে বাঙালি� মেকি সেন্টিমেন্� আঘাত পেতে পারে� লেখকের স্ত্রী ইত� গঙ্গোপাধ্যায়ে� লেখাটা� এই বইয়ের সম্বল। খোলাখুলি লিখেছে� তিনি� হয়ত� লুকাতে পারতেন� ততদিনে মৃ� স্বামীকে 'পূ�-পবিত্র' হিসেবে পাঠকের সামন� উপস্থাপন করতে পারতেন� তা তিনি করেননি� সততা দেখিয়েছেন� যা কাবিলে তারিফ।
কথাসাহিত্যিকদে� উপাদান সংগ্রহের মুখ্� ভাণ্ডা� তা� নিজে� অভিজ্ঞতা� শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায� যা লিখেছে� সবটা� স্বীয় অভিজ্ঞতা� ফল� 'শাহজাদ� দারাশুকো' লিখত� গিয়� বিস্তর পড়েছেন। তাঁর বাকি লেখাগুলো একান্ত� অভিজ্ঞতালব্ধ�
এক বিচিত্� জীবনকে যাপন করেছেন শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়। সে� বহুরূপী জীবনের বহিঃপ্রকাশ তা� লেখালিখি�
শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ে� যে কোনো লেখা যে পাঠক পড়েছে�, তা� কাছে 'আমার শ্যামল' অবশ্যই ভালো লাগবে।
শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায�,কি অসাধার� মানুষ। এই ভদ্রলোকে� কো� লেখা আমার পড়া নে�,ভাবত� খারা� লাগছে। লেখা পড়িনি,তব� বে� কয়েকট� বই সংগ্রহ কর� রেখেছি� এবার পড়ব�
আমার ফেসবুকের একজনের সুবাদে শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায� কে চেনা এব� আগ্র� তৈরি হওয়া। সে� আগ্র� থেকে� "আমার শ্যামল " বইটা পড়া� বই টা লিখেছে� লেখকের স্ত্রী ইত� গঙ্গোপাধ্যায়।
ছোট্� একটা স্মৃতি কথা। অথ� মন� একটা গভী� দা� কেটে যায়� দো�, গু� মিলে ব্যক্ত� শ্যামলকে তুলে ধরেছেন লেখিকা� এছাড়া � বইটি একটি সাক্ষাৎকার � আছ� লেখিকার। আর আছ� পরিচিত জনের কয়েকট� স্মৃতি কথা। সব পড়ল�,লেখক এব� ব্যক্ত� শ্যামল সম্পর্কে সুন্দর একটা ধারণ� পাওয়া যাবে� আম� পেয়েছি।
ইত� গঙ্গোপাধ্যায� শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ে� স্ত্রী� তিনি লেখালেখি করেন না, কো� একসময় লিখেছিলে� কিন্তু বই আকার� প্রকাশ পায়নি� "আমার শ্যামল" বইটি লিখেছে� একেবার� কাছে থেকে দেখা শ্যামলকে নিয়ে।
বইটা শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ক� নিয়� লেখা তব� ছো� থেকে বেড়� ওঠার সময়টা একটা না�, ঠি� যে মূহুর্� থেকে দেখা ইত� গঙ্গোপাধ্যায়ে� সাথে সেখা� থেকে শুরু� এর পর এক সাথে সংসা� জীবন� এর মাঝে খারপ সময় ভালো সময়, ভালো দি� খারা� দি� সব উঠ� এসেছে। লেখালেখি, শে�, কর্ম জীবন, বন্ধ�, পরিজ�, সু�-দুঃখ এস� যেমন আছ� তেমন� আছ� গল্প উপন্যাসে� পিছনের কাহিনি যেটা ইত� গঙ্গোপাধ্যায� খু� কাছে থেকে দেখেছে� বা শুনেছে� প্রথ� শ্রোতা হিসেবে� তব� কখনো� তিনি প্রু� রিডা� হয়ে লেখা� ভালো মন্দ দেখিয়� দে� না�, এক জন শ্রোতা হিসেবে� থেকেছেন।
ভালোমন্দ মিলায়েই মানু�, কাছে� মানু� গুলো ভালোটা নিয়� আহ্লাদ করলে� মন্দটা নিয়� খু� একটা টানা হেঁচড়� কর� না� বইটাতে ভালোমন্দ দুইট� দিকই আছ� তব� কোথা� বিচারকের আসনে বস� সে দিকগুল� টেনে বে� করেন নাই। বলতে হয� বা তথ্য দেওয়া� মত কর� জানিয়� যাওয়া মাত্র। একজন কাছে� মানু� কে কা� থেকে দেখে বল� যাওয়া মাত্র।
ইত� গঙ্গোপাধ্যায� কো� প্রতিষ্ঠিত লেখক নয� তা বইটা পড়ে মন� হয়নি। সুন্দর সাবলী� লেখা� চমৎকার একটা বই�
প্রথমে� আস� ইত� গঙ্গোপাধ্যায� প্রসঙ্গে� তিনি কো� অংশে� একজন পারদর্শী লেখক / লেখিকা� চেয়� কম যা� না� যে সাবলী� বর্ণনায় তিনি - এর সাথে নিজে� দাম্পত্য জীবনের সু�-দুঃখের গল্প এই বইটিতে ফুটিয়� তুলেছে�, পড়ত� গিয়� মন� হচ্ছিল� - কো� এক বি�-স্ক্রীণে হয়ত� আম� তাদে� জীবন-কাহিনী সিনেমা আকারেই উপভো� করছি� সত্য� অসাধার�!
এবার বই প্রসঙ্গে আস� যাক। আমার মত�, লেখক শ্যামল� আত্মজীবনী বইটিতে যে অপূর্ণতা রয়ে গিয়েছিল�.. এস� যে� সে� ষোলকলা পূর্� কর� দিয়েছেন এই বইটি লিখে� তাদে� প্রথ� দেখা, বিয়ের ঘটনা, গ্রামে তাদে� সংসা�-জীবনের সংগ্রা�, বন্ধ� � পরিবারের সাথে শ্যামলের কিছু ফটোগ্রাফ - সব কিছু� ছিলো বইটিতে�
সবচেয়� বড� কথ� হচ্ছ� - তিনি টেনে বইটিকে বেশি বড� করেন নি� যখনই মন� হয়েছিলো, থামা� প্রয়োজন, সেখানে� ইত� গঙ্গোপাধ্যায� তাঁর আত্মজীবনীতে ইত� টেনেছেন। মোটে� উপ� "শ্যামল-ইতি’র" যাপি� জীবনের এক সুন্দর উপস্থাপন�