একাত্তরে পরিবার হারানো এক শিশু, একের পর এক উত্থান পতনে তা� বেড়� উঠা। কখনও আলবার্� পিন্টো, কখনও পিন্টু কিংব� গৌরহরি, জীবনের সব কিছু দেখত� দেখত�, স্রোতে� সাথে এব� বিপরীতে সাঁতার কাটত� কাটত� জীবন তাকে কোথা� স্থি� হত� দিতে চায় না� কিন্তু সে তো শেকড়ে� সন্ধান চায়, চায় স্থিরত�, বাকি সব সাধারণ মানুষে� মত� সাধারণ জীবন� যেখানে তাকে অভিনয় করতে হব� না� সে� জীবন কী শুধু� বাতাসে ভেসে বেড়ান� এক কল্পনা�
Shariful Hasan hails from Mymensingh, Bangladesh. He has spent his childhood by the banks of Brahmaputra river. He completed his Masters in Sociology from University of Dhaka and is currently working in a renowned private organization.
Shariful's first novel was published on 2012 titled Sambhala. With two other books, this captivating fantasy trilogy has received widespread acclimation both within and beyond the borders of Bangladesh. The Sambhala Trilogy was translated in English and published from India.
Although his inception consisted of fantasy and thriller, he has later worked on a variety of other genres. These works have been received fondly by the Bangladeshi reader community. Lot of his works have also been published from different publications in West Bengal.
Award- Kali O Kalam Puroshkar 2016 for 'অদ্ভুতুড়� বইঘর'
গল্পটা আলবার্� পিন্টো বা গৌরহরি সাহা বা আব� সালে� চৌধুরী পিন্টুর। সাথে গল্পটা বাংলাদেশের সত্ত�, আশ� বা নব্ব� দশকে� উত্তাল সময়ের; এই অস্থির জনপদ � এর অসহায় বাসিন্দাদের। মোটাদাগে থ্রিলা� ঘরানার হলেও "বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রা� " হয়ে উঠেছ� তা� চেয়� বেশিকিছু� প্রবহমান ইতিহাসকে কোনো বিখ্যা� ব্যক্ত� বা ঘটনা নয� ; বর� নিতান্তই সাধারণ মানুষদের যাপি� জীবন � অভিজ্ঞতা� মাধ্যম� তুলে ধরেছেন শরীফু� হাসান। ১৯৪১ সালে এদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানু� ছিলো মো� জনসংখ্যা� ২৮.�% আর ২০১১ তে এস� তা দাঁড়িয়েছ� �.�% �!* এর পেছনের রাজনীতি � ভয়ে� সংস্কৃতি� কিছু অং� উপন্যাসে বিশ্বস্ততা� সাথে চিত্রি� হয়েছে� দু� ভিন্� সময়রেখা� গল্প বে� দক্ষতা� সাথে শেষে একাকার কর� দিয়েছেন লেখক� পুরো কাহিনি� আব� � বিয়োগান্ত পরিণতি মন বিষণ্ণ কর� দ্যায়� পিন্টো হয়ত� খু� সাধারণ একটা জীবন চেয়েছিলো। সে এক দে� থেকে আরেক দেশে, স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায�, এক ঘা� থেকে অন্য ঘাটে তরী ভিড়িয়েছে সু� আর ভালোবাসা� খোঁজে। কিন্তু...
জীবনানন্� হয়ত� পিন্টোদে� জন্য� লিখে গিয়েছেন, "যেখানে� যা� চল�, হয� নাকো জীবনের কোনো রূপান্তর ; এক ক্ষুধা এক স্বপ্ন এক ব্যথ� বিচ্ছেদে� কাহিনী ধূসর ম্লা� চুলে দেখা দেবে যেখানে� বাঁধ� গিয়� আকাঙ্ক্ষার ঘর! বলিল অশ্বত্� সে� নড়ে চড়ে অন্ধকারে মাথা� উপর।"
ছায়াসময� পড়া� পর মন� হয়েছি� এরপর শরীফু� হাসা� ভাইয়া� নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে বে� কসরত করতে হবে। কিন্তু ভাবনাট� নিতান্তই অমূলক। বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রা� আবার� প্রমাণ করলো লেখক হিসেবে শরীফু� হাসা� ভা� কতটা শক্তিমান� নতুব� এরকম বিশা� ব্যপ্তির একটা এপিককে এভাব� সামলান�? সবার কম্ম নয়। আপনা� কাছে যে জঁরে� বই� ভালো লাগু� না কে�, বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রা� আপনা� মন� দা� কাটত� বাঁধত। পিন্টু/গৌরহরি, পূরবী, সুস্মিতা চরিত্রগুলো সাথে রয়ে যাবে বহুদিন�
হৃদয� ছুঁয়ে যাওয়া� মতোই একটি বই হচ্ছ� ❛বাতাস� বৃষ্টি� ঘ্রাণ❜� বাংলাদেশের স্বাধীনতার কিছু সময় পর থেকে নব্বইয়ে� দশ� পর্যন্� বাংলাদেশের নানা ঘটনা� পটভূমিতে লেখা এক অসাধার� পিরিওডিক্যাল উপন্যা� বল� যায় এটিকে। তা� সে� সময় নানা সামাজি� এব� রাজনৈতিক অবস্থা� এক অনন্� প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছ� বইটিতে�
❛বাতাস� বৃষ্টি� ঘ্রাণ❜ বইয়ের নানা নামধারী মূ� চরিত্রের কাহিনি� সাথে একেবার� মিশে গিয়েছিলাম বইটা পড়া� সময়� বইয়ের লেখনশৈলী কিংব� সংলা� গল্পের ধর� অনুসার� বে� ভালো লেগেছে� বইয়ের চমৎকার প্রচ্ছদটিও খা� খেয়� গিয়েছ� কাহিনি� সাথে�
এক কথায�, � বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রাণ❜ উপন্যাসট� আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে� তা� যারা � ধরনে� পিরিওডিক্যাল ফিকশ� পড়ত� পছন্� করেন তারা বইটা পড়ে দেখত� পারেন।
❝এ� উপন্যাসট� লেখা� সময় বারবার মন� হয়েছে, জীবনকে আম� কতটা কা� থেকে দেখেছি? কতটা উপলব্ধ� করেছ�? তা� কতটুকু আম� আমার লেখায় আনতে পারব�? সকাল� ঘু� থেকে উঠ� রাতে যাকে নিয়� কিছু লিখেছিলা�, তা� কথ� ভেবে আমার মধ্য� চাপা এক দুশ্চিন্তা ভর করে। উপন্যাসে� চরিত্রগুলো তাদে� সময় আর বাস্তবতা� সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছি� আর আম� নিজে একটু একটু কর� অসহায়বো� করছিলাম। অনেক লেখা� সময় আনন্দবোধ হয�, এই লেখা� সময় আনন্�, হতাশ�, বিষণ্ণতা, রা�-ক্ষো� সব মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছিল।❞ -- শরিফুল হাসা�
লেখকের ভূমিকা পড়লেই বোঝা যায় বই এর সাথে কতটা একাত্ম হয়ে গিয়েছিলেন� কি অসাধার� লেখনী, অসাধার� সব কিছুই। লেখক বা� বা� নিজেকে টপকে নিজে� গন্ডির বাইর� চল� যান। ছায়� সময়, যেখানে রোদেরা ঘুমায় যখ� যেটা পড়েছি তখ� পড়া� সময় মন� হয়েছে এই ঘরনায় এর থেকে বেটা� সম্ভ� না!
বৃষ্টি আমার কাছে বড্ড প্রিয়� বিষা� গুলোকে যে� বৃষ্টি� ফোটায় অস্ত্বিত্বের মেলে� বৃষ্টি� ঘ্রা� যে� স্মৃতি� সাথে আত্মার একাত্বতা প্রকাশ করে।
পূরবী'� মত� আমার� দম বন্ধ হয়ে আসছিল। চোখে� কোণে জম� হচ্ছিল বিন্দু বিন্দু জলকনা।
গতবা� ' যেখানে রোদেরা ঘুমা� ' বইটি পড়া� পর খু� আশ� ছি� হয়ত� এরকম লেখা ভবিষ্যতে আর� পাবো লেখকের থেকে� তা� বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর আর বিন্দুমাত্� দেরি করিনি। সোজা সংগ্রহ আর পড়া দুটো কর্ম� সেরে ফেললাম� তব� প্রচন্� মন খারাপ। সেটা এই বইয়ের প্রত্যেকটা পাঠকের ক্ষেত্রে� প্রযোজ্য হব� বল� মন� করি।
আবার� মুগ্� হলাম ভীষণ মায়াবী লেখনশৈলী� জন্য� আর� একবা� মুগ্� করলে� লেখক� আর� একবা� লিখেছে� এম� এক বই, কন্টেম্পরারী/সমকালী� সাহিত্যে� বিচারে যা সর্বোচ্চ বললে অত্যুক্ত� হয� না� পড়া� সময় আম� পাতা� পর পাতা উল্ট� গেছি উপন্যাসের। উপন্যা� টা বা এর সে� সমস্� উপন্যাসে� মত�, যেখানে আমার মোটে� ইচ্ছ� কর� না পে� তাড়াতাড়ি উলটে দেখে আস� কি হয়েছে� বরঞ্� ইচ্ছ� কর� চলুক � উপন্যাস। উপন্যা� টা কিংব� সে� পটভূমি� বৃষ্টিস্না� সে� পরিবেশ টা আমার জন্য অনেক আবেগের� কারন আমার বন্ধ� ব্রহ্মপুত্রে� সাথে জন্মগত� আমার জন্ম ময়মনসিং� মেডিকে� হাসপাতালে।
� উপন্যাসে নিজে� যাপি� জীবনের অভিজ্ঞ্যতা� ঝুলি পাঠকের সামন� খুলে দিয়েছেন বল� আমার মন� হয়েছে� আবার� তা� একটা উপন্যাসে বাধা পড়েছে রাজনৈতিক চলমা� সংস্কৃতি, অন্যায� অবিচার, নেশা,মাদক, তৎকালী� সময়� যু� সমাজের অবস্থা � একটি খুন। এই উপন্যা� টা ঠি� এম� উপন্যা� যেটা কি হত� যাচ্ছে বুঝে গিয়েও আম� লেগে থেকেছি আঠার মত� কারন আম� অনুভ� করেছ�, মোটাদাগে� একটা রহস্যে� সমাধানের এক লাইন বলার জন্য এই উপন্যা� না� এই উপন্যা� টা মূলত এই দেশে� একটা সময়ের� একটা যু� বা একটা সময়কে উপন্যা� টা অভিজ্ঞ্যতা� দলিল হিসেবে ধারণ কর� বল� যেতে পারে� উপন্যাসে� আলাদ� নামে� আলাদ� বে� অনেক অধ্যায� আমাক� ভাবিয়েছ� অনেকটা সময়�
উপন্যাসে� প্লট মাথায় কশাঘাত দেওয়া� মতো। আমাদের চিন্তাচেতন�, লেখালেখি বা পড়াশুনায় যে সেন্সেটি� ফিচা� টা আস� সেটা হল� 'যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা'. কিন্তু যে ফিচা� টা নিয়� আমরা কথাবার্ত� কম বল� সেটা হইলো 'যোদ্ধাহত শিশু' বা যোদ্ধাহত কিশোর। এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র যোদ্ধাহত কিশো� যা শুরুতে� আমাক� আঠার মত� আটকে দিলো উপন্যা� টা� সাথে�
কালভেদ�, সময়ের স্রোতে সমাজের টানাপোড়েন পালটায� অল্প অল্প করে। এত� আমরা আসলে ঠি� কো� দিলে এগোই? সুশীলত� স্বশিক্ষার দিকে না শিক্ষি� অনৈতিকতা� দিকে? মূলত এক সময়� এদেশ� এসিড নিক্ষে�, চাদাবাজি, ইভটিজি� ফেনসিডিল জাতীয় নেশা দ্রব্য ইন্ট্রোডিউ� হয়েছে, সম্পর্� মেনে না নেওয়ায় পালিয়� বিয়� কর�, জোরপূর্ব� বিয়� দেওয়া, ভিন্� ধর্মের কারো সাথে জড়িয়� পড়া� পর� পরিবার থেকে মেনে না নেওয়া- উলটো হুমক� ধামক� মারামারি, সংখ্যালঘ� হিন্দুদে� উৎপা� � খেদানো� চেষ্টা এব� এস� নিয়� সমাজ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়� গেছে� সে সমস্� গল্প এই উপন্যাসে বল� হয়েছে এব� বলার ঢং মসৃণ চামড়া� মতো। উপন্যাসে কোনো একটা চরিত্র কোনো একটি কা� করেছে। পরবর্তীতে সে কা� জাস্টিফা� করতে থাকে সেটা বাহুল্� মন� হয়।
সবচেয়� বড� কথ�, বিষন্নতা� যে স্ফুলিঙ্� � উপন্যাসে তৈরি কর� হয়েছে, সেটা� ফল� উপন্যা� টা মনঃমুগ্ধকর� উপন্যাসে� প্রতিট� গল্প� সাহিত্যর� ব্যাপকভাবে আস্বাদ� করেছি।
লেখকের তীক্ষ্� অবজারভেশান পাওয়ারে� ছা� আছ� পেয়েছ� পুরো উপন্যাসেই। উৎকণ্ঠ� আছে। অনিশ্চয়তা আছে। শিরোনামগুল� অধ্যায়গুলোর সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ এব� মায়� মায়� ভা� আছ� অনেক গুলোতেই। অধ্যায়ে� শিরোনা� গুলো� মধ্য� 'বিসর্জ�' শিরোনা�, আর সে অধ্যায়ে� তা� শে� লাইন আমাক� সবচেয়� বেশি ছুয়� গেছে� মন� হয়েছে যা লেখক বলতে চাচ্ছিলে� এক্সাক্টলি সেটা� তিনি বলেছেন� বিচক্ষণতার সঙ্গ� উপন্যা� লিখেছে� যে, আমার মন� হয়েছে, বাংল� সাহিত্� অভিমুখ� কালোত্তীর্� কোনো যাত্রায় শরী� হয়ে গেছে� তিনি�
জীবন বড়ই অদ্ভুত� এই জীবন� মানুষে� সক� চাওয়া পাওয়া মিটেনা, হয়ত বা মানু� নিজে� অজান্ত� কাউক� চেয়� বস� কিন্বা এম� জীবন পায় যা সে কখনো চায়নি� জীবনের চাওয়া পাওয়া� মাঝে� গল্পগুলো খু� সহ� সর� সাধারণ� কিন্তু এই সাধারণের মাঝে� আবার কিছু মানু� অসাধারণ। জীবন বিষয়ক লেনদেন সমীকর� সমীক্ষা এসবে না গিয়� চলুন নতুন বই নিয়� আলোচনা করি।
বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রা�, সুলেখক শরীফু� হাসানে� এর নতুন বই, এসেছ� অন্যধারা প্রকাশনী� ব্যানারে� এই বইয়ের গল্প খুবই সহ� সর� সাধারণ কিন্তু লেখকের লেখা� কৌশল� আম� মুগ্ধ। গল্পের নায়� পিন্টো অথবা পিন্টু, যে একাত্তরে� হারিয়েছেন মা বাবা আর একমাত্� ভাইক�, তারপ� থেকে তা� আশ্রয় এক গির্জা� পাদ্রি� কাছে� কিন্তু পাদ্রি� মৃত্যু� পর সে আবার হারিয়� বস� নিজে� আপনজনকে। তারপ� পিন্টু রওনা হয� ঢাকা� উদ্দেশ্যে। ঘটনা ক্রম� পিন্টু হয়ে যায় গৌরহরী সাহা� ঢাকায় আসার জন্য পিন্টুকে সাহায্� কর� বিশ্বনাথ সরকা� নামে� এক ছেলে, আর ব্যা� পিন্টু মায়� সে� কাটাতে পারেনা� তাকে নিয়� আসেন নিজে� বাসায়� তারপ� পিন্টু ঠিকানা হয� এই সরকা� বাড়িতেই� বিশ্বনাথ সরকা� তা� বড� ভা� বিষ্ণুনা� সরকা� আর তাদে� মা রাঙ্গা মায়ের কাছে� পিন্টু বড� হয়। সরকা� বাড়িত� থেকে� পিন্টু� বড� হওয়� আর বেড়� উঠ�, সে� সাথে সরকারদের জুয়েলার� দোকা� দেখা শুনা করা৷
এগল্পে� দ্বিতীয় টাইমলাইন পিন্টু� বড� হওয়ার পর, পিন্টু কে� জানি অনেক দূ� ময়মনসিংহে চল� আসে৷ কিন্তু কে�, সরকা� বাড়িত� তো সে ভালো� ছিলো� ময়মনসিং� � এস� বে� ছিলো যতক্ষণ না পরিচয় হল� পূরবী� সাথে� পূরবী তখ� মেট্রি� পরীক্ষা দিবে, সে� সময় পূরবী� পিন্টু তথ� গৌরহরী সাহা কে পছন্� কর� ফেলে� কিন্তু পিন্টু� ভয়৷ ঘটনাচক্র� আর� অনেক কিছু ঘট� পিন্টু� জীবনে। সে� ঘটনায় জড়িয়� থাকে পূরবী�
আর গল্পের শুরুটা সামা� নামে� এক স্কু� মাস্টা� এর নদী� তীরে মা� ধরার মধ্য দিয়ে। সামা� দেখত� পায় নদী� ঢালে হেলা� দিয়� বস� আছ� একটা পোড়� মানুষ। হ্যা� আগুন� পোড়� মানুষ। থানায় খব� হল� ওস� আমিন উদ্দিন আসেন এব� লাশটার পকেট থেকে একটা চিরকুট পায় তাতে লেখা " আব� সালে� চৌধুরী পিন্টু "� তাহল� কে এই পোড়� মানু�?
বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রা� গল্পটি একটি সামাজি� উপন্যাস। গল্পের টাইমলাইন একটি ১৯৭৫ অন্যটি ১৯৯০� দু� টাইমলাইন� লেখক গল্পটি এগিয়েছে� এক� চরিত্র কে কেন্দ্� করে৷ আব� সালে� চৌধুরী পিন্টু অথবা অ্যালবাট পিন্টো কিনব� গৌরহরী সাহা� জীবনের প্রয়োজন� এই পিন্টু বারবার বদ� করতে হয়েছে তা� নাম৷
সুলেখক শরীফু� হাসানে� অন্যমত বেস্� একটি বই বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রাণ। বইটি আমার যথেষ্ট পরিমাণ ভালো লেগেছে� পিন্টু চরিত্রটি, পিন্টু চরিত্র এর উত্থান পত�, তা� নি� পরিচয়, তা� ভিতরের দুঃখ কষ্ট ইত্যাদ� বিষয়গুল� লেখক এত� সুনিপু� হাতে তৈরি করেছেন যে পাঠক হিসাবে যে কেউই পিন্টু� মায়ায� জড়িয়� যাবে� গল্পের অন্য চরিত্র গুলো� দারু� সুস্মিতা, পূরবী, বিশ্বনাথ, বিষ্ণুনা�, রাঙামা সহ সরকা� বাড়� কিনব� যগেশ্ব� বাড়ির সকলে� বে� দারুন। লেখকের গল্প বলার কৌশল অসাধার� ছিলো শুরুতে একটা রহস্� এর মাঝে পাঠক� হু� কর� দিয়� ডাবল টাইমলাইন� সুন্দর ভাবে এগিয়ে এগিয়ে চল� সত্য� প্রশংসার দাবিদার। আর সবচে বড� কথ� পুরো গল্প জুড়� এত� সুন্দর ভাবে বর্ননা আর কাহিনি� বিন্যা� সত্য� অসাধারণ।
আম� দীর্� প্রায় � মা� বই পড়া থেকে দূরে ছিলাম৷ এই বই হাতে নিয়� আমার রিডার্� ব্লক বল� আর ব্যস্ততা� কারন� পড়ত� না পড়া� বল� সব ফিকে হয়ে গেছে� নতুন কর� আবার বই পড়া� অনুপ্রেরণা দিয়েছ� এই বইটি� বইটি এতোট� টেনেছে যে রেখে উঠতে� ইচ্ছ� হচ্ছিল� না� কিন্� বড� বই শে� করতে সময় লাগব� এটাই স্বাভাবিক৷ সত্য� বলতে দারু� ছিলো� কিন্তু বইটি এখনো রকমারি বেস্� সেলা� এর তালিকায় নেই৷ জানি না পাঠক ইদানী� কি পড়ে� সত্য� বলতে শরীফু� হাসা� ভা� এর আম� যে কয়ট� সামাজি� বই পড়েছি প্রতিটাই সুন্দর� বিষয� কর� ছায়� সময়, যেখানে রোদেরা ঘুমায়, রাত্রি শেষে��� গা�, মে� বিষাদে� গল্প প্রতেকটি� সুন্দর ছিলো� তব� সবার উপরে আমার কাছে বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রাণ। লেখকের জন্য অবশ্যই শু� কামন� এম� বই আবার� পাঠক� উপহা� দিবেন।
অন্যধারা প্রকাশনী� বই এর বাইন্ডিং অসাধারণ। খুবই হেব্বি শক্ত� এব� কভার� বে� শক্ত, জ্যাকেটও বে� শক্ত� এছাড়া কাগজের মা� যথেষ্ট ভালো, অপসে� এর থেকে মোটা পে�, তব� পে� ক্রিমকালার হল� জো� হতো। এই বই এর সম্পাদনা প্রু� রিডি� বে� ভালো ভাবে� করেছ� প্রকাশনী, তবুও খু� থেকে� যায়, শে� কয়েকট� অধ্যায়ত� বানা� কিছু ভু� পেয়েছি। তানিয়� সুলতান� আপার কর� প্রচ্ছদটিও দারু� মাননসহ, তা� বে� কিছু আকাঁ চিত্� কর্ম আম� দেখেছি ফেসবুক� দারু� আঁকে� তিনি, এছাড়া� তা� কয়েকট� বই আম� পড়েছি, তা� জন্য� শু� কামনা৷ এছাড়া সব কিছু বে� ভালো�
তো সর্বোপরী বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রা� নিয়� আমার সময় দারু� কেটেছে, এই বই আমার ভিতর� একটি ঘো� সৃষ্টি কর� দিয়েছ�, সে� ছায়� সময় এর মত� এই গল্প এত� সহজে ভোলা� না� পাঠক আশাকরি আপনাদেরও মন্দ লাগব� না৷।
ফিরে দেখা , বইয়ের না� : বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রা� লেখক : শরীফু� হাসান। প্রচ্ছ� : তানিয়� সুলতানা। জনরা : সামাজি� উপন্যা� , প্রকাশনী : অন্যধারা� প্রকাশকা� : বইমেলা ২০২২ পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৪১� পেজ। মূদ্রি� মূল্� : ৬৪� টাকা।।
জীবন বড্ড অনিশ্চয়তা� গন্ডিত� বাঁধা। উত্থান আর পত� এই নিয়েই তো জীবন� সময়ের চাকা যখ� ঘুরত� থাকে জীবনের মোড় ক্ষণিক� ক্ষণিক� পাল্টাতে থাকে� সে� জীবনের গতিপথে তীব্� ঝড়ো হাওয়া� মত কখনো আস� প্রে�-ভালোবাসা আবার কালো ঘনঘটায� বাতাসে ভেসে বেড়ায� বৃষ্টি� ঘ্রাণ।
কাহিনী-সংক্ষেপঃ স্কুলে� শিক্ষক সামাদে� অভ্যাস ভো� বেলায় মা� ধরতে যাওয়া� এটাক� কিছুটা নেশা� বল� যায়� অন্য দিনে� মত ১৯৯৬ সালে� জুলা� এর কো� এক বৃষ্টিমুখর দিনে ছাতা নিয়� নদী� পাড়� মা� ধরতে যায়� অথ� অন্য দিনে� মত আজকে� দিনট� তা� ভালো কাটলোনা। হঠাৎ কর� তা� নজরে পড়ল� পুড়� কয়ল� হয়ে যাওয়া লাশে� দিকে� ভয়ে পড়িমড়ি কর� চল� যায় বাজারে� দিকে� বাজারে গিয়েই আগ� পুলি� কে খব� দিতে হবে। পোড়� প্লাস্টিকে� দলার মত এই লা� টা� খব� চাউর হত� বেশিক্ষন সময় লাগলোনা। ওস� আমিন উদ্দী� যখ� লাশট� পায় তখ� তা� হাতে থাকে একটি মাত্� সুত্র। একটি চিরকুট!!! "আব� সালে� চৌধুরী পিন্টু"
রিটায়ারের শে� দিকে ওস� আমিন উদ্দী� একটি চ্যালেঞ্� ছুড়� দেয় আব� জামশেদ কে� এই অমিংমাসি� কেসক� সল� করার� একটি চিরকুটের আশ্রয়� কিভাবে করবে এই কেসে� মিমাংস�??
সা� ১৯৭৫, আগস্ট। আলবার্� পিন্টো� বয়স আট কিংব� নয়। ১৯৭১ সালে� যুদ্ধে পিতা-মাতা উভয়কে� হারিয়� কলকাতা� এক ব্যাপিস্� চার্চে রেভারেন্� হেনরির কাছে আশ্রিত� যদিও সে ধর্ম� মুসলিম� কিন্তু রেভারেন্� হেনর� প্রচন্� চেষ্টা করছে� তাকে খ্রিষ্� ধর্ম� দীক্ষি� করতে� কিন্তু এক জায়গায় স্থায়ীভাবে থাকা যে� তা� কপাল� নেই। রেভারেন্� হেনরির আকস্মি� মৃত্যু আবার� পিন্টোকে ঘরছাড়� করে। তা� একটায় লক্ষ্য পৌছাতে হব� ওপারে। সাথে একটি মাত্� চিরকুট, যেখানে গুটি গুটি হরফে লেখা না� আর ঠিকানা� তাকে পৌছাতে� হবে। নিজে� পরিচয়, অস্তিত্ব খুজে বে� করতে� হবে।
জু�, ১৯৯০� পূরবী� বয়স মাত্� পনেরো। সাক্ষা� দেবী� মত দেখত� এই যুবতী পড়ালেখা অসম্ভব ভালো� স্বর্ণকা� যজ্ঞেসরে� দুইট� মেয়ে। তা� মধ্য� পূরবী বড়। প্রচন্� একরোখা এব� দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ এই মেয়ের জীবন� একটি মাত্রই লক্ষ্য বড� হয়ে সে ডাক্তা� হবে। ময়মনসিংহে� এই মেডিকে� কলেজেই সে পড়বে। অথ� প্রতিট� কিশোরী� মত তা� জীবনেও বৃষ্টি� মত নেমে আস� প্রেমে� অনূভূতি। গৌরহরি!!! ঢাকা থেকে আস� এই যুবক এসেছিল� তা� পিতা� কাছেই। শুনেছে হরেক রক� ডিজাইন নাকি জানে ছেলেটি� বে� ভদ্র�
ভিন্� সময়ের আব� জামশেদ, পিন্টু অথবা পিন্টো, পূরবী এব� গৌরহরি� জীবন কি একসূত্রে বাধা? কিভাবে� বা বাধা পড়ব�? কো� দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে তাদে� জীবন?
পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ এই বইয়ের পাঠপ্রতিক্রিয়� আসলে কিভাবে দিতে হব� সেটা আমার জানা নেই। লেখকের মত সিদ্ধহস্� হল� হয়ত লিখে প্রকাশ করতে পারতাম� পূরবী� জীবনের সাথে নিজেকে মিলিয়� নিতে সময় লাগেনি� ভালোবাসা� অনূভুত�, কস্ট, হাহাকা� সবকিছু� কেনো জানিনা নিজে� সাথে জড়িয়� গিয়েছিলো। পিন্টু� জীবনের উত্থান পত� এক মুহুর্তে� জন্য বিরক্তির কারন হয়ে দাড়ায়নি। বলতে গেলে এই বছরে� � পর্যন্� পড়া বই গুলো� মধ্য� এট� আমার পড়া শ্রেষ্� বই আমার কাছে�
গল্পবুনন এব� চরিত্রায়ন�
প্লট নিয়� বলতে গেলে অনেক কিছু বলার আছে। এই বই � একাধিক� সা� উল্লেখ আছে। প্রতিট� সময়ের সাথে অন্য সময়ের সংযো� একদম ঠিকঠাক� বই এর কো� একটি অধ্যায� বা� দিলে পরের টুকু বোঝা একদম অসম্ভব� অপ্রাসঙ্গি� কো� ঘটনা� ছিটেফোটা নেই।
এখ� আস� চরিত্রগুলো� দিকে� পিন্টু, পিন্টো, গৌরহরি, পূরবী, বিশ্বনাথ, সুস্মিতা কাকে� বা বা� দে�? প্রতিট� চরিত্র এত নিখু� এব� প্রয়োজনীয় যে তাদে� একজন কে ছাড়� এই বই অসমাপ্ত। লেখা দিয়� কারো� অনূভুত� কে ছোঁয়া যায়, এই বই একটি পারফেক্ট উদাহরন�
বানা� � বাক্যে� অসঙ্গতিঃ এই বই নিয়� আমার একটি মাত্� আফসোস। সেটি হচ্ছ� বে� কয়ে� জায়গায় প্রিন্টি� মিসটেক এব� বাক্যে� অসঙ্গতি। এত সুন্দর বই � এম� ভূ� মানা যায় না আসলে� প্রু� রিডি� এর দিকে আর একটু খেয়াল রাখা প্রয়োজন ছিলো�
প্রচ্ছ� � বাইন্ডিং�
প্রচ্ছ� নিয়� কথ� বলার কিছু� নাই। বই এর ছব� দেখলেই বোঝা যায় যে কি অসম্ভব সুন্দর এই বই এর প্রচ্ছদ। বাইন্ডিং� যথেষ্ট ভালো� এত মোটা একটা বই পড়ত� বিন্দুমাত্� অসুবিধ� হয়নি।
কতদি� পর এত ভালো একটা বই পড়লাম! এছাড়া এই রিভি� � আর কিছু� বলার না� আমার�
আমার পড়া� স্পী� মাশাআল্লাহ বে� ভালোই। চারশ পেইজের বই এক বসায� � পড়ে ফেলত� পারবো। কিন্তু এই বইটা আম� একমা� ধর� পড়লাম, আজকে শে� করলা� শেষমেশ� শুরুতে স্লো পড়ছিলাম কারণ সময় ছি� না একদমই। কিন্তু এখ� মন� হচ্ছ� এই বইটা সময় নিয়েই পড়া উচিত, ভাগ্যি� আম� একটানে শে� করার সময় পাইনি। অনেকদি� ধর� দেখত� থাকা পছন্দে� কোনো সিরিজে� শে� এপিসোডটা দেখা� পর আমার খু� খালি খালি লাগে কিছুদিন। বইটা শে� কর� ওরকম � ফাঁক� ফাঁক� লাগছে। পিন্টু বা পিন্টো বা গৌরহরি আর কী কোনদিন বৃষ্টি� ঘ্রা� পেয়েছিল বাতাসে?
শুরু থেকে শে� পর্যন্� এত� দারু� ছিলো যে একটা জায়গায়� বোরি� লাগে নাই। চুম্বকের মত� টেনে নিয়� গেছে� আর সবগুলা চরিত্রের চরিত্রায়ন এত� দারু�, তা বলার বাহিরে� পূরবী, পিন্টো, পিন্টু বা গৌরহরি, বিশ্বনাথ, সুস্মিতাকে বেশি ভালো লাগছে। লেখকের লেখনী খুবই ভালো� শে� পর্যন্� বইটা পড়ে পরিতৃপ্ত� নিয়� শে� হলেও মনের একটা অংশে কিছুটা বিষণ্নতা� ছায়� পড়েছে� আমার মত� অবশ্যই মাস্টরিড একটা বই�
আমাদের স্বাধীনত� যুদ্ধে� যে ইতিহাস তা� একটি বড� অং� হচ্ছ� একাত্তরে� যুদ্� শিশু।কিন্ত� যুদ্� শিশু নিয়� আমাদের দেশে গল্প উপন্যা� আমার মন� হয� খু� কম� লেখা হয়েছে,অন্ত� আমার চোখে পর� নি� একজন যুদ্� শিশু� জীবনের তিনট� পর্যায়ে� সাথে জড়িয়� পর� অনেক মানুষে� জীবনের গল্প নিয়েই শরীফু� হাসানে� এই উপন্যা� "বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রা�"� যুদ্� শিশু পিন্টু কালে� পরিক্রমায় কখনো হয়েছে পিন্টো,কখনো হয়েছে গৌরহরি।পিন্টুর গল্প বলতে গিয়� লেখক নিয়� এসেছেন আমাদের দেশে� রাজনীতি� আর� একটা সময়, যে সময় ছিলো স্বৈরশাসকে�, নব্ব� দশকে দেশে� রাজনীতিতে যে চর� অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছি� তা� খু� সুন্দর এক দৃশ্� ফুটে এসেছ� উপন্যা� টি তে� উঠ� এসেছ� অস� প্রে�, ভ্রাতৃত্ববোধ এর এক ছবি।একদিকে যেমন এসেছ� সংখ্যালঘুদের অনিশ্চয়তা, ভীতি আবার আরেকদিকে� এসেছ� এক� অপরে� পাশে থাকা� তাড়না।আ� � সব কিছু কীভাবে এক পিন্টো� জীবন দিয়েই লেখক বুঝিয়েছেন এটাই এই উপন্যাসে� সবচেয়� সুন্দর দিক। গল্পের প্রয়োজন� অনেক চরিত্র� এসেছ� কিন্তু কাউকেই অবাঞ্চিত লাগে নি।সবা� জীবন যে এক� সুতোয় গাঁথা।পিন্টু� জীবনের বিভিন্� পর্যায� গুলো� খু� সুন্দর ভাবে� বর্ণনা কর� হয়েছে,পড়ত� গিয়� হোঁচ� খা� নি।য� লেখা লেখক শুরু করেন পিন্টু� জীবনের গল্প নিয়� সে� লেখা� কীভাবে যে� রেভারেন্� হেনরী,রাঙা মা,বিষ্ণু,বিশ্বনাথ,সুস্মিতা,আযাদ,পূরবী,পপ�, লাবনী কিংব� সেলি� খা� সবার জীবনের গল্প বল� ফেলে� কিছু চরিত্রের পরিনতি কী হত� পারে বা গল্প কোনদিক� আগাচ্ছ� সেটা আঁ� কর� গেলে� এর জন্য শে� পর্যন্� পড়ত� দ্বিধা হয� না।শুধ� একটা� আক্ষেপ মন্টুর কী হল� জানা গেলো না।মায়া হয� পিন্টো� জন্য যা� জীবন� এত ভালোবাসা� মানু� থাকা সত্ত্বেও আসলে তা� কে� নেই।সারাজীবন একটা মানুষে� অভিনয় করেই কেটে গেলো নাকি আসলে অভিনয় না জীবনের প্রয়োজন� খা� খাইয়ে নেয়� হয়ত� একেই বলে।যা� কে� নে� তা� জন্য আছেন ঈশ্ব� উপন্যাসে� শেষটুক� হয়ত� সে� কথাই আরেকবা� মন� করিয়ে দেয়�
মস্ফ� শহ� এব� একান্নবর্তী পরিবারের সামাজি� জীবনের চিত্� এই উপন্যাস। কিন্তু সবচেয়� বেশি উজ্জ্ব� ছিলো পিন্টু ওরফে গৌরহরি সাহা চরিত্র টি� লেখক সর� ভাষায় একটা সাধারণ চরিত্রকে অন্য মাত্রায় নিয়� গেছেন। জীবন� সুখে� আশায� বস� থাকি আমরা কিন্তু আদ� কি আশ� পূরণ হয�? জীবন চলছে জীবনের নিয়মে� ৭১ এর পর বিভিন্� সময়� একটা চরিত্র আর তা� চারপাশের অস্থিতিশী� পরিবেশ নিয়� লেখক খু� সুন্দর কর� উপন্যাসট� রচনা করেছেন� এক বসায� শে� করেছ� তৃপ্তি ভরে।
অত্যন্� সাবলী� ভঙ্গিত� লেখা একটি বই� বড� আকারের সামাজি� উপন্যা� লেখা মোটে� সহ� কা� নয়। আর� সহ� নয� সম্পুর্ন বইয়� পাঠককে প্রতিট� পাতায় আকর্ষি� কর� রাখা� লেখক নিঁখুত ভাবে তা করতে পেরেছে� সব মিলিয়� প্রত্যাশার থেকে� ভালো ছি� বইটি� আশ� করছি লেখক আর� অনেক সুন্দর বই উপহা� দিবে ভবিষ্যতে�
গতরাতে বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রা� শে� করেছি। কেমন লেগেছে? জানিনা! কেমন যেনো মিশ্� অনুভূতি। বইটা� টাইমলাইন ইন্টারেস্টিং! লেখক এক সময় থেকে অন্য সময়� কোনো ঝামেলা ছাড়াই পৌঁছ� দিয়েছেন� বইয়� যুদ্�, � পরবর্তী রাজনৈতিক অবস্থা উঠ� এসেছে। নব্বইয়ে� দশকে� রাজনৈতিক ক্ষমতা� পালাবদ�, তখনে� অরাজকত� ইত্যাদ� তুলে ধরেছেন� লেখক নব্ব� দশকে� কাহিনী ভালো লেখে�,যেটা যেখানে রোদেরা ঘুমায় বইয়� দেখেছি�
কাহিনী শুরু হয� এক মৃত্যু� রহস্� দিয়ে।এর রে� নিয়� যায় আমাদের পিন্টু/পিন্টো� রহস্যে।ধীরেধীরে কাহিনী এগুত� থাকে আমরা পিন্টু,পিন্টো,গৌরহরি -এর সাথে জড়িয়� যেতে থাকি� এত� বড� উপন্যা� পড়লাম-ধরতে গেলে একবসাতেই(খেতে উঠেছিলাম),এক বারে� জন্য� মন� হয়ন� বাহুল্� কিছু আছে। ধর্ম আর সমাজ-কাউক� রেহা� দেয়না� সংখ্যালঘুদের যে অবস্থা উঠ� এসেছ� বইয়� তা শুধু� বাস্তবতা� জানা� দেয়।পূরবীকে নিয়� কীভাবে কথ� বলবো জানিনা।একজ� বুলি কতটা ভয়ংকর এব� মেয়েদের জীবন কতোটুক� দুর্বিষহ কর� তুলত� পারে তা ঠিকঠাক লিখে গেছেন। আমার মাথা সকাল থেকে� এলোমেল� হয়ে আছে। চিন্তাগুলো গোছাতে পারছিনা। তা� সকাল বেলাতে� আবোলতাবো� বল� শুরু করেছ� বইটা নিয়ে।
মুক্তিযুদ্ধে� সময় পরিবার হারায় পিন্টু� এরপর থেকে সে মানু� হয� এক ফাদারে� কাছে� তা� না� হয� আলবার্� পিন্টু� ফাদা� মারা যাওয়া� আগ� পিন্টুকে একটা চিরকুট দিয়� যায়� সে� চিরকুট� পিন্টু� আপ� জনদে� ঠিকানা ছিল। ফাদারে� মৃত্যু� পর পিন্টু নতুন কর� গৌরহরি সাহা নামে জীবন শুরু করে। প্রথমে তা� আশ্রয় হয� সরকা� বাড়িতে। সে সরকা� বাড়ির� একজন হয়ে ওঠে। এরপর সরকা� বাড়ির থেকে দূরে সর� গিয়� যঞ্জেশ্ব� শিল্পালয়ে কা� কর� শুরু করে। সে� বাড়ির বড� মেয়� পুরবী মেডিকেলে� জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল� তা� ওপ� বদ নজ� পড়ে পাড়ার দুর্ধর্ষ মাস্তা� সেলি� খানে� যে এই পর্যন্� আর� অনেক মেয়ের ক্ষত� করেছে। এর� টানাপোড়েন� পুরবীকে� প্রা� হারাতে হয়। তা� বে� কিছু দি� পর স্কু� শিক্ষক সামা� নদী� তীরে একটা অগ্ন� দগ্ধ লা� খুঁজ� পায়� ক্লো� হয়ে যাওয়া এই কেসগুল� অনেক বছ� পর চেলেন্� হিসেবে নিয়� আবার কা� শুরু করেন আব� জামশেদ� আর শেষে কী পরিনতি হয� গৌরহরী সাহা ছদ্মনামে থাকা পিন্টু�?
এক কথায� অসাধার� একটা বই� অনেক দি� পর এম� মনোমুগ্ধকর একটা বই হাতে পেলাম। লেখকের পড়া আমার প্রথ� বই এটা। লিখনশৈলী সাবলী� আর স্পষ্ট� উপন্যাসে� একদম শে� পর্যন্� কো� একঘেয়েম� ছাড়াই এগিয়ে নিয়� গেছে ।লেখকে� জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
"বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রা�" ���ামটির মত� বইটি� হৃদয� ছুঁয়ে যাবা� মত�-ই। "Art of Revenge" বিষয়ট� লেখক বে� ভালোমত�-� ফুটিয়� তুলেছে� উপন্যাসটিতে। বইটি এক� সাথে সুন্দর, প্রশান্তিময় আবার হতাশাপূর্ণ � বটে৷ অদ্ভুত এই জীবন� মানুষে� চাহিদা� শে� নেই। কাঙ্ক্ষি� জীবনের আশায� হয়ত� মানুষে� মিলে যায় আকাঙ্ক্ষার থেকে� বেশি কিছু� তব� জীবনের এই গল্পগুলো বে� সর� � সাধারণ� সাধারণ জীবনেও আমাদের দেখা মেলে অসাধার� কিছু মানুষে� সাথে� এই আব� সালে� চৌধুরী পিন্টু, কারো� জীবনের অ্যালবার্ট পিন্টো বা গৌরহরি সাহা এই ধাঁচের� একজন মানুষ। সু� আর ভালোবাসা� খোঁজ� মানুষট� পাড়� দিয়েছ� এদেশ থেকে ওদেশ� ভালোবাসা তাকে বারংবা� ছুঁয়ে গেলে�, পূর্ণত� পায়নি কখনোই। একাত্তরে� যুদ্ধে হারিয়� যাওয়া সংগ্রামী এই চরিত্রটি প্রতিট� পাঠকের মন� জায়গা কর� নেবা� মতন। গল্পটিতে অনেক জটিল সমীকরণে� সমন্বয� থাকলেও পড়ত� গিয়� হোঁচ� খাওয়া� মত� অবস্থা তৈরি হয়নি৷ অনেকগুলো চরিত্র থাকা সত্ত্বেও প্রত্যেকটা মানুষে� গল্প এব� পিন্টু� জীবনের প্রত্যেকটি পর্যায� বে� সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে� পিন্টু� জীবনকে বর্ণনা করতে গিয়� পূরবী, সুস্মিতা, রেভারেন্�, মাধবী, বিশ্বনাথ, পপ� সবার জীবন এক� সূত্রে গাঁথার চেষ্টায় লেখক সফ� বল� যায়� আর সত্য� বলতে প্রতিট� চরিত্র� মন� ধর� রাখা� মতন। বইটি নিঃসন্দেহে শরীফু� হাসানে� লেখা আমার পঠিত শ্রেষ্� বই� অনেকদি� মন� গেঁথ� থাকব� বইটি, অ্যালবার্ট পিন্টো এব� অন্যান্য চরিত্রগুলো।�
বিষাদমাখ�, বিষণ্ণ সুন্দর বইটি পড়া শে� করার পর আল্লাম� রুমি� একটি কথাই বা� বা� মন� হচ্ছ�, "Out beyond ideas of wrongdoing and rightdoing, there is a field. I'll meet you there."
বিষাদময় জীবন লোকটার� কারো কাছে আলবার্� পিন্টো, কারো কাছে গৌরহরি সাহা আবার কারো কাছে আব� সালে� চৌধুরী নামে পরিচিত� সংগ্রামময় জীবন তার। ভালোবাসা তাকে বারবার ছুঁয়ে চল� গেছে� আঁকড়ে ধর� রাখা� চেষ্টা করেও পারেনি� তবুও বেঁচ� থেকেছে�
না� : বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রা� লেখক : শরীফু� হাসা� জনরা : উপন্যা� প্রকাশনা : অন্যধারা পৃষ্ঠা : ৪১� প্রথমে� বইয়ের প্রচ্ছ� যিনি করেছেন তানিয়� সুলতান� কে আমার ভালোবাসা জানাই। এত� সুন্দর প্রচ্ছ�, বইটা হাতে পাওয়া� পর শুধু তাকিয়েই ছিলাম।
আম� আমার চাকরিসুত্র� বাংলাদেশের বে� কিছু জেলায় যাওয়া� সুযো� হয়েছে� বইটা পড়া� সময় ময়মনসিং� শহ�, ব্রহ্মপুত্� নদী� পা�, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সার্কি� হাউজ পার্�, হালুয়� ঘা�, কতোয়ালী থানা� সব যেনো চোখে� সামন� দেখছিলাম� একজন পাঠকের জন্য ২০২২ � বস� ১৯৯৪,৯৫, ৯৮, সালে ভ্রম� কর� আস� � এক অন্য রক� অনুভূতি।লেখক কে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার খু� প্রিয় একটা শহ� ময়মনসিংহ। বইয়ের প্রতিট� পৃষ্ঠা যেনো বিষা� মাখা� আম� মাঝে মাঝে ভাবি সব ছেড়� ছুড়� দিয়� একদি� উধাও হয়ে যাবো, আসলে কি তা কোনো দি� পারবো। আলব্যার্� পিন্টো, আব� সালে� চৌধুরী পিন্টু, গৌরহরি সাহা যে� হো� না কেনো এই চরিত্রটাকে লেখক এত� সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন যে চরিত্রের কষ্ট গুলো যেনো অনুভ� কর� যাচ্ছিলো� আসলে জীবন� কোনো কিছু� থেমে থাকেনা� শুধু ইচ্ছ� শক্তির জোরে অনেক অনেক দূ� যাওয়া যায়� পিন্টু� মত� ছেলেরা যাদে� পিছুটা� নে� তবুও শুধু মাত্� ইচ্ছ� শক্তির জোড়েই বিভিন্� সময় বিভিন্� চরিত্র� বিভিন্� জায়গায় জীবন যাপন করতে হয়েছে� পূরবী, সুষ্মিতা, রাঙা মা, বিশ্বনাথ বাবু প্রতিট� চরিত্র � মমতা আর স্নে� দিয়� বানানো� পুলি� চরিত্র গুলোকে� অতিরঞ্জি� কর� হয� নি কোথাও। আইনে� চোখে সবাই সমান� কিন্তু এর পর � কিছু কথ� থেকে যায়� আর এস� কিছু জানত� হল� বইটি শে� পর্যন্� যেতে হবে। আপনা� কষ্ট করতে হব� না� বই প্রেমী মানু� গুলোকে এই বই নিজে� টেনে ধর� রাখবে। লেখককে ধন্যবা� এত� চমৎকার কিছু বই আমাদের দেওয়া� জন্য� কিছুদি� আগেই পড়েছিলা� "যেখানে রোদেরা ঘুমায় " সেখানে পাপে� যে পটভূমি দেখানো হয়েছে সেটা যেমন সত্য� এই বই � যেটা দেখানো হয়েছে সেটা� কি সত্য� না.....
সবশেষে আজ #nationalbookloversday পৃথিবী� সমস্� বই প্রেমীদে� জানা� ভালোবাসা� বই পড়ু�, সময়কে কাজে লাগান।
ছায়� সময়, যেখানে রোদেরা ঘুমায় খ্যা� কথ� সাহিত্যি� শরীফু� হাসা� ভাইয়ে� আরেকটা অনন্� সৃষ্টি বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রাণ।
বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রা� বইয়ের গল্পটা আসলে কা�? অ্যালবার্ট পিন্টো� নাকি গৌরহরি সাহা� নাকি আব� সালে চৌধুরী পিন্টুর। গল্পটা কিন্তু সুস্মিতা বা পূরবী� হত� পারে যেটা জানা� জন্য� কথ� সাহিত্যি� শরীফু� হাসা� ভাইয়ে� এই বছরে� বই বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রাণ। বইয়ের সময় বাংলাদেশের সব থেকে উত্তাল সময়ের� ১৯৭১ থেকে শুরু এর পর� এরশা� এর শাসন এর পর� ১৯৯১ এর বিএনপি� সময় এর পর� ১৯৯৬ এর আওয়ামী লীগের। রাজনীতি নিয়� লেখক কিছু সাহসী লাইন যুক্� করেছ� বইয়�, " সামরিক শাসন এরশাদে� সাথে কে� নির্বাচন করবে না বলেও শে� পর্যন্� আওয়ামী লী� নির্বাচন কর�" অসাধারণ।
বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রা� স্বাধীনত� যুদ্ধে� এক যুদ্� শিশু� আখ্যান যা� শুরু খুলন� থেকে এর পর� ভারত, বাংলাদেশ, ঢাকা, ময়মনসিং� এর পর� জীবনের শে� সময় ভারতে। বইটা একটা সামাজি� উপন্যা� কিন্তু শুরুতে আপনাকে ধাঁধাত� ফেলে দিয়� একটা আগুন� পোড়� লা�, এইটা আসলে সামাজি� উপন্যা� নাকি থ্রিলার। ১৯৯০ দিকে সময় আমাদের মত যারা সব কিছু বোঝা� বয়স� ছি� তাদে� কাছে বইটা পড়া� সময় সব কিছু চোখে ভাসব� কারন লেখক ঐসময� সব সত্য কাহিনী গুলো বইয়ের পাতাতে তুলে নিয়� আসছে�
আসলে এই বই নিয়� কিছু লেখা� সাহস আমার নাই। একটা আফসো� এই বছ� রকমারিতে বইমেলা� সময় যে বেস্টসালার তালিকা দেওয়া হয়েছে যেখানে এই বই নেই। আমাদের দেশে� পাঠকরা আসলে কি পড়ে সেটা নিয়� আম� চিন্তিত। এক লেখক বলেছিল� বাংলাদেশের পাঠক দে� নাকি মহামারী চলছে কথাট� ঠিক। যারা বই পড়ে তাদে� সবার এই পড়া উচিৎ�
কিছু গল্প শুরু হয� শূন্যত� দিয়� এব� এর সমাপ্তিও ঘট� অসী� এক শূন্যত� দিয়েই� 'বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রা�' যে� পূর্ণত� পেয়েছ� অসী� এক 'শূন্যত�' দ্বারাই।
'একটা যুদ্�' বদলে দেয় অনেক কিছু� বিসর্জনে� মাধ্যম� যে অর্জ� তা যুদ্ধই যে� আমাদের খু� সুন্দর ভাবে বুঝিয়� দেয়�
'স্বাধীনত� অর্জনে� চেয়� স্বাধীনত� রক্ষ� কর� কঠিন'-- গল্পটি পড়ত� পড়ত� এই প্রবাদটি বারবার মন� পড়ছিল� যুদ্� পরবর্তী সময়� যে অস্থিতিশীলত� বা অরাজকতার শুরু হয়েছি� তা আদ� কী শে� হয়েছে? শতশত প্রাণে� বিনিময়ে যে স্বাধীনত� অর্জিত হয়েছে, সে� স্বাধী� দে� কী বাস্তবিক পথশিশুদে� আশ্রয় দিতে পেরেছে? এমনই এক অসহায় পথশিশু� গল্প এটি।
যে শিশুটি কখনও সামাজি� পদমর্যাদ� দ্বারা পিষ্�, কখনও বা ধর্মের শেকল দ্বারা আবদ্ধ। সে কী মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টা�, না শুধু� একজন মানু�! গল্পের নানা� বাঁক� পিন্টু নামে� ছেলেটি� পরিচয় পা� ভিন্নধর্মী কয়েকট� না� দ্বারা� আলবার্� পিন্টো, গৌরহরি কখনওবা আব� সালে� চৌধুরী�
গল্পটি কয়েকট� সময়কালে দেখানো হয়েছে এব� পাঠক খু� সহজে� সে� সময়গুলো� সাথে রিলে� করতে পারবে। বইয়� উঠ� এসেছ� রাজনৈতিক এব� আর্থ-সামাজি� ব্যাপারগুল� যা দ্বারা তৎকালী� অস্থিরতা বা সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে পাওয়া যায়�
একজন পাঠক হিসাবে আমার কাছে বইয়ের অন্যতম আকর্ষণ চরিত্রায়ন� ব্যক্ত� জীবনেও আমার কৌতূহলের বস্ত� এই মনুষ্য সম্প্রদায়� তা� কোনো গল্পের চরিত্রের বৈচিত্র্যত� আমাক� অন্যরক� আনন্� দেয়� আর এই বইটি ভালো লাগা� অন্যতম কারণ চরিত্রায়ন� না এই গল্প� খু� আকর্ষণীয় কোনো চরিত্র নে�, কিন্তু আমাদের ঠি� আশেপাশের মানুষগুলোই যে� এই বইয়� উঠ� এসেছে। ক্ষমতাধর, ক্ষমতাসী�, লোভী-লম্প�, স্বার্থপ�, বিবেকবান অথবা সবকিছু� সংমিশ্রণ, কো� চরিত্রটি এই বইয়� নেই। চাঞ্চল্য� ভরপু� কিশোরী তথ� তরুণী� যেমন দেখা মেলে,ঠি� তেমন� শান্�, বুদ্ধিদীপ্� ব্যক্তিত্ববা� তরুণীকে� খুঁজ� পাওয়া যাবে এই গল্পে। রাঙা মা মমতাময়ী এক নারী - বারবার মন� হচ্ছিল গল্প� এই মহিলার আনাগোন� আরেকটু থাকল� বে� হতো। লোলু�, অর্থবা� হামি� খা� এব� সেলি� খা� এই চরিত্রগুলো যে� সমাজের কলঙ্� হিসাবে ফুটে উঠেছে। আবার এর উল্ট� চিত্� পাওয়া যায়� মানিকচন্দ্� বা হামি� খানে� মত� বিবেকবান চরিত্রের� দেখা মেলে� কিন্তু পাঠক হিসাবে আমার একান্ত নিজস্ব মতাম� এই বইয়ের সবচেয়� স্বার্থপ� চরিত্র বিশ্বনাথ সরকার। মানু� যেমন পয়স� দিয়� শিকারী কুকু� কিনে ঠি� সেরক� সে যে� এক অনাথ পথশিশুকে� কিনে নিয়েছিল� আপাতদৃষ্টিতে অথবা অনেক পাঠক হয়ত� � ব্যাপারে আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করবে� কিন্তু বিশ্বনাথ সরকারে� প্রতিট� পদক্ষেপে� মাধ্যম� লোকটিক� স্বার্থপ� ছাড়� কিছু� ভাবত� ইচ্ছ� করেনি।
গল্পের মূ� চরিত্র পিন্টু নামে� অসহায় এক পথশিশু� যে ছেলেটি ৭১'� যুদ্ধে বাবা-মা, ভাইক� হারিয়েছে। মৃত্যু মুখোমুখি সময়� তা� মা তাকে ছোট্� এক চিরকুট দেয়� সেখানে জ্বলজ্বল কর� লেখা আছ� তা� অস্তিত্বের শেকড়। সে কী খুঁজ� পাবে তা� শেকড়ক�? তারা কী তাকে সহ� ভাবে গ্রহ� করবে অথবা সে কী তাদে� সহ� ভাবে গ্রহ� করতে পারব�? নাকি রক্তের সম্পর্� থেকে বড� হয়ে যাবে আত্মার সম্পর্কগুল�?
পিন্টু এই চরিত্রটি শূন্যতার অপ� না� যেন। কামা� যেমন লোহা পিটিয়� দা তৈরি কর�, ঠি� তেমন ভাবে পিন্টু নানারক� ঘা�-প্রতিঘাত� ছুরি� ফলার মত� ধারালো হয�, কখনও বা শোকে� ছায়ায� ডুবে যায়� ছেলেটি� জীবন� প্রেমও এসেছিল� কখনো উদ্দাম হী� ঝড়ে� মত� কখনওবা শান্� দীঘি� জলের মতো। যদিও বইটি উত্ত� পুরুষে লেখা নয� তারপরও লেখক এই চরিত্রটি� মাধ্যমেই গল্পের বেশি� ভা� অং� বল� গিয়েছেন� হয়ত� এই কারণ� বইটি পড়ত� পড়ত� গাঢ় বিষাদে মন অবসন্ন হয়ে পড়ে�
বইটি� ব্যাপারে আমার অভিযোগ খুবই সামান্য। কথোপকথনে আঞ্চলিকতার টা� থাকল� আর� ভালো লাগতো। যেমন পুরা� ঢাকা� ভাষা বা কলকাতা� পটভূমিতে ভাষাটা ওদের একসেন্টে হল� আর� ভালো লাগতো।
গল্পের প্রতিট� বা� চমৎকারভাবে সাজানো� পড়ত� একটু� ক্লান্� লাগব� না� শে� হওয়ার পর পূর্বে� কথাই বলতে হয�, মন ভারাক্রান্� হব� এব� অনুভ� করবে� অসী� শূণ্যতা।
সুলেখক শরীফু� হাসা� আমার তখ� থেকে� প্রিয় যখ� আম� 'সাম্ভালা' পড়েছি� বাংল� সাহিত্যে 'ফ্যান্টাসি' জনরা পাঠকপ্রিয়করনে তাঁর ভুমিকা অপরিসীম। আশ� কর� সামাজি� বা সমকালী� উপন্যাসে� উন� সমান ভাবে সাফল্য পাবেন।
জীবন� বাতা� আস�, বাতা� যায়, আস� বৃষ্টি-ঝড�-ঝঞ্ঝা। কিছু বৃষ্টি আপনে� জীবনের সাথে এমনভাব� আষ্টেপৃষ্ট� থাকব, অনেক অনেকদি� পর� যা� গন্ধ আপনে� মস্তিষ্ক মন� রাখব�
কিছু ঝড� আপনে� পারিপার্শ্বি� অবস্থায় সৃষ্�, যেইখান� প্রত্যক্� বা পরোক্ষভাবে আপনে� হা� আছে। আবার কিছু ঝড়ে আপনে কে� আপনে� বা�-দাদা-চৌদ্� গোষ্ঠী� কারও হা� না�!
কিন্তু কন তো, সবথাইক� বড়ো বড়ো ঝড়গুল� চল� কোনহান�?
—আপনের মস্তিষ্ক�, প্রতিনিয়ত�
এহ� এই মুহুর্তে যে অবস্থানে আপনে আছেন, সে� অবস্থা� থেইক� আপনে কিছু কিছু পরিবর্তন আনতে চাইতাছেন আপনে� জীবন�, যাতে জড়ি� থাকে� আপনে নিজে, আপনে� প্রিয় মানুষেরা� মন� মন� ভাবতাছেন, বিলি� করতাছে�, স্বপ্ন দেখতাছেন, প্লা� করতাছে� কিন্তু... কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু বাতা�-বৃষ্টি-ঝড� আইসা আপনা� সমস্� পরিকল্পনার� এলোমেল� কইরা দিয়� যাইতাছে।
এইডা� কি আমাগ� জীবন না?
বিষয়ট� এমুন না হইয়� এমুন� তো হইবা� পারত, সময়ডা কে� আমার হই� না—মুহুর্মুহ� আপনেরে চিন্তা� ভেলায় ভাসায়, কাগজ পোড়াইতে বাধ্� করে।
একাত্তরে� যুদ্ধে� পরিমণ্ডল� ছোটো শিশুগো পরবর্তীতে মানসিক বিকা� বা পারিবারি� গোলকধাঁধায� বাইড়া ওঠনে� একখানা সচিত্র তৈলচিত্র আঁকছেন লেখক পুরো বই জুইড়া�
চমৎকার টাইমলাইন—প্রোটাগনিস্� এর দারু� ক্যারেক্টা� ডেভেলপমেন্ট—অনেকগুল� দ্বন্দ্ব—নিজস্� ইনসাইটের সংমিশ্রণ � সব মিলায়� বে� আনন্� দিছে বইটা�
অ্যালবার্ট পিন্টো থাইক� গল্পটা কীভাবে সবার হয়ে গে�, আবার সবার হইতে হইতে কীভাবে শুধুমাত্� পিন্টু আর গৌরহরি� হই� � এই বিষয়ট� উপন্যাসে� সার্থকতা আইনা দিছে�
ভদ্রলোকে� ইনসাইট চমৎকার� আর� চমৎকার সহ� ভাষায় প্রকাশ করার ভঙ্গি। �-এন চত্বরে সবডি� পাশাপাশি লেখকের সাথে রাজনীতি-অর্থনীতি-ধর্ম-যুদ্�-কৃষ্টি-কালচার-পৃথিবী নিয়� খানি� গ্যাজাইত� পারল� কী আনন্দই না হই�!
ভাবি, ভাবত� ভালো লাগে� আপনি� তো ভাবে�, ভাবে� না?
লেখক কী সুন্দর কইরা� না কইলে�, "পৃথিবী খু� দ্রু� বদলাচ্ছে� আগ� মানুষে� হিংস্রতা ফুটে উঠ� যুদ্ধে� ময়দানে। এখ� প্রতিদিন� যুদ্� চলে। সভ্যতা� আড়ালে যুদ্�, সভ্যতা টিকিয়� রাখা� যুদ্ধ। বাজারে, সংসারে, চাকরিক্ষেত্র� সব জায়গাতে অঘোষিত যুদ্� চলছে� এই যুদ্ধে কে� জেতে না সাধারণত। তব� সবাই চেষ্টা কর� যায়�"
২১� পৃষ্ঠায় ছোটোখাটো বা� ব্যক্তিগতভাব� বিরক্তিক� লাগা একখানা ভু� আছে। আর আছ� কিছু টাইপো। পরবর্তী সংস্করণে হয়ত� আর� নির্ভু� হব� আশ� করতাছি�
সব মিলায়� বইটারে সুখপাঠ্য কও� যায় কি না?
‶Ϧলবত।
দ্রষ্টব্�: লেখকের ফ্যাক্� উল্লেখ করার দৃষ্টিভঙ্গ� কে� কে� আওয়ামী পন্থী হিসেবে ধইরা নিলে অবাক হম� না�
রেকমেন্ড করমু কি না?
—হ �! তব� রেকমেন্ড করতাছি সবাথাইকা বেশি তাগো, যারা দিনে� পর দি� স্বপ্ন সাজায়, স্বপ্ন ভাঙত� দেখে, আবার স্বপ্ন সাজায়� চায় না সাজাতে, তবুও সাজায়� ফেলে যখ� অবচেতন মন সচেত� মনের চাইত� বেশি শক্তিশালী হইয়� দেখা দেয়�
ধন্যবা� সাধারণ� আম� সবাইরে� দে�, বোবা-কালা ভ্যানওয়াল� শহীদু� ভা� থেকে শুরু কর� একেবার� ছোট্টো � মাসে� সাদক� পর্যন্ত। শুধু ধন্যবা� দে� না একেবার� আপ�, কাছে� বড়ো ভাইগো। তা� তানজিম ভাইরেও ধন্যবা� দিলা� না�
বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রা� কয়েকজ� বিশা� হৃদয়ে� মানুষে� গল্প অথবা মানুষরুপী কিছু পশুর উপাখ্যান� পিন্টু অথবা পিন্টো অথবা গৌরহরি� অমোঘ নিয়তি� টানে ভেসে বেড়ানোর গল্প� পূরবী� ভেঙে যাওয়া স্বপ্নের গল্প� সুস্মিতা� আবেগের বাস্তবতা� কাছে হেরে যাওয়া� গল্প� জামশেদ সাহেবে� চ্যালেঞ্� নিয়� হা� না মানা� গল্প� এক মায়ের গল্প, সে� মা এর না� রাঙা মা� বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রা� সময়ের গল্প,২৩ বছরে� অস্থির সময়ের গল্প� যে গল্প চলেছ� তা� আপ� গতিত� পাহাড়� নদী� মত�, মে� আর কুয়াশার চাদর জড়িয়ে।
অদ্ভুত বিষন্নতা� একটা ঘো� লাগা অবস্থায় শে� করলা� বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রাণ। পিন্টু, যে কিনা বেচে থাকা� তাগিদে কখনো হয� পিন্টো, কখনো হয� গৌরহরি� প্রকৃত� শূন্যস্থান পছন্� করেন� বলেই হয়ত� তা� জীবন� আস� রেভারেন্� হেনরী সরকা� অথবা গোপাল। এরপর খু� সল্প সময়� মাতৃরুপী মাধুরী� মায়ার অপুর্নতা পুরন� চল� আস� রাঙা মা� বিষ্ণু আর বিশ্বনাথকে দিয়� পুরন হয়ে যায় ভাইয়ে� শুন্যতা। ভালোবাসা আর দ্বায়িত্ববোধে� কঠিন জালে� আটকে থাকেনা পিন্টু� নিয়তি..... এর চেয়� বেশি বললে সম্ভবত স্পয়লার দেওয়া হয়ে যাবে�
কিছু চরিত্র মন� দা� কেটে গেছে খু� গভীরভাবে। মানুষে� মনের একদম গভীরত� অনুভুত� গুলো নিয়� এরকম অসাধার� বিশ্লেষণ সত্যিই অনেকদি� পাইনি। মায়� নামক এক অদৃশ্য বাধন ছিলো একদম ৪১� পৃষ্ঠা জুড়েই� তিনট� ভিন্� সময়� বয়ে চল� গল্প পড়া� সময় মন� হচ্ছিল� চল� গেছি সে� সোনালী সময়ে। প্রতিট� অধ্যায়ে� না� আমাক� আমাক� মানসিকভাবে প্রস্তুত� নিতে সাহায্� করেছে। ভিন্� টাইমলাইন গুলো অসাধার� সুন্দরভাবে ম্যানে� কর� হয়েছে�
অনেক বছ� আগ� সুনীলে� পূর্�-পশ্চিম আর সে� সময় পড়ে যেরক� অনুভূত� হয়েছি�, বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রা� পড়ে� সে� এক � রক� অনুভূত� হচ্ছে। নিঃসন্দেহে এযাবৎকালের অন্যতম সেরা উপন্যাসে� খু� সংক্ষিপ্� তালিকা করতে গেলে� আম� সে� তালিকায় বাতাসে বৃষ্টি� ঘ্রা� কে রাখবো।
শুরুতে� বলেছিলাম মে� আর কুয়াশার চাদর� মোড়� এক যাত্রা এট�, নামকরন যে কতটুকু পার্ফেক্� সেটা বই শে� না কর� বুঝতেই পারবেন না� প্রডাকশন কোয়ালিট� একদম টপ নচ� এরকম কাভা� আর বাইন্ডিং খু� কম দেখা যায়� বানা� ভু� নে� বললে� চলে।
শরীফু� ভাইয়ে� লেখনী সম্পর্কে নতুন কর� বলার কিছু নেই। বাংল� ভাষায় এই মুহুর্তে উনার চেয়েও ভার্সেটাইল আর কে� কি আছ�? আমার জানা নেই। যেখানে অন্যান্য লেখকদে� একটা বড� অং� নিজে� কম্ফোর্ট জোনে� বাইর� যেতে চায়না, সেখানে এই ভদ্রলো� প্রতিট� লেখায় এক্সপেরিমেন্� করেই যাচ্ছে� ম্যাজিক্যা� লেখনী আর বৃত্তে� বাইর� যাওয়া� এই প্রবনতার জন্য উনাক� স্যাল্যুট। আর জীবনের নির্মম বাস্তবতা কে নির্দয়ভাব� তুলে এন� এভাব� এক অদ্ভুত বিষন্নতায় মনকে এভাব� আক্রান্ত করার ক্ষমতা খু� কম লেখক � দেখাতে পারে� এটার মত� জীবনঘনিষ্ঠ একটা লেখা অনেক বছ� পর পর � আসে।
এই বইটা� সবচেয়� প্রিয় লাইনটা লিখে শে� করছি,
"পৃথিবীতে ভালোবাসা যখ� দেখানো� তখনি দেখাতে হয়। না হল� সময় এত বদমা� যে, দ্বিতীয়বা� আর সুযো� দেয়না কখনো� "
সামন� চাকরির পরীক্ষা, পড়ত� বসলে� বইয়ের চরিত্র গুলো মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। আমার একবা� কোনো চরিত্র ভা� লাগল বইয়ের শেষে তারা যে� হ্যাপি থাকে তা চা�, বই শে� হয়ে গেলে� তো চরিত্র গুলো� শেষ। তা� চরিত্র গুলোকে হাসিমুখে বিদায় দিতে ইচ্ছ� হয়। আগ� অবশ্� এতটা আবেগী রিডা� ছিলা� না� যা� হো�; পিন্টু, পূরবী, রাঙা মা চরিত্রগুলো খু� ভা� লেগেছিল। এদের কি হব�, সুস্মিতা� কি হল� এস� ভাবত� ভাবত� চাকরির পড়া হচ্ছিল না�
বইটা� মাঝামাঝি এসেও মন� মন� একটা দারু� রিভি� দিবো বল� ঠি� কর� রেখেছিলাম। কিন্তু এখ� আর ইচ্ছ� করছে না� কয়েকট� চরিত্রের পরিণতি মানত� কষ্ট হয়েছে, আর আমাদের আস� পাশে� বে� কিছু মানুষেরও যে এম� পরিণতি হয়েছে টা ভাবলেও মানু� জাতি� উপ� ঘেন্না আসে।
বিভীষিকা � বিসর্জ� অধ্যায� দুটো পড়ত� খু� কষ্ট হয়েছে, মন খারা� হয়েছে� এরপর আর বইটা কন্টিনিউ করার ইচ্ছাও মর� গিয়েছিল� এই জন্যেই এক তারা কমিয়ে দিলাম। হয়ত কোনো এক সময় পাঁচ তারা কর� দিব।
মাত্� দেড়দিনে শে� করেছ� এই বইটা� এক বছ� ধর� বইটা সংগ্রহ করার চেষ্টা কর� অবশেষে হাতে পেয়� দেড় দিনে� পরিতৃপ্ত� নেওয়া হলো।পূরবী, পিন্টু এদের না� সবসময়� কানে বেজে যাবে অনবরত। এত� অসাধার� ভাবে চরিত্র গঠ� করেছেন যে মন� না ধর� উপায� নাই। চরিত্রের আনন্দে আনন্দি� হয়েছি, দুঃখ� দুঃখিত, ওদের ক্রোধও পাঠকের মাঝে মিশে যাবে� নন লিনিয়ার স্টোরি টেলি� আমার দারু� লাগে সবসময়� এটাও তেমনই।
এই বইটা আমার মন� একটা অন্যরক� ছা� ফেলে গেল। বহুদিন মন� থাকব� এটার কাহিনী� খুবই বিষণ্ণ একটা অনুভুতি। কালে� পরীক্ষায় টিকে যাবে এটি। বাঁচিয়ে রাখব� লেখককে আমার বিশ্বাস।