মনুষ্যবর্জিত এক জায়গা হল� জিন্দারকের চর� সেখানে অজান� এক কারণ� বসবা� করছে� এক "পাগল� মাস্টা�"� মানুষে� অস্তিত্ব নিয়� কর� তা� গবেষণা� কারণ� হয়ত� হুমকির মুখে� পড়ত� চলেছ� গোটা মহাবিশ্ব�
ডক্ট� এলিসের কন্সপাইরেস� থিওরিট� নিয়� আমার� বে� ইন্টারেস্ট আছে। সেটা� সূত্� ধরেই দারু� একটা প্লট সাজানো হয়েছে� স্বল্প পরিসরে� কারণ� গল্পের ফ্লো কোথা� বাধা পায়নি� বিভিন্� ঘটনা বা জায়গা� বর্ণনাভঙ্গী বে� চমৎকার� গ্রামে� পটভূমিতে গল্প অনেক পড়েছি, তারপরে� এখান� কোনো অং� পড়ত� একঘেয়� লাগেনি� মোস্তফ� চাচা� বইয়ের দোকানে� ছো� অংশটাও বেশ। তব�, তুষা� আর শেফালীকে আরেকটু লিংক� ভেবেছিলাম। আর এক জায়গায় ইমোশনা� ব্ল্যাকমেই� কর� এক চরিত্রকে রাজি করিয়ে ফেলাটা একটু রাশড লেগেছে, অথ� শুরুতে তাদে� দু� মেরু� মানু� মন� হচ্ছিল� অবশ্� কৌতুহল সবার� থাকে, আর কৌতুহল� বিড়াল� মর�!
হররে ভয়ে� অ্যাটমস্ফেয়ার আনাট� খুবই জরুরি। কসমি� হররে� ক্ষেত্রে সেটা আনাট� বে� কঠিন, যেহেতু এট� আমাদের পরিচিত জগতে� সাথে মেলে না� কিন্তু সে� ভয়া� জগতক� কল্পনা থেকে বইয়ের পাতায় দারুণভাব� ফুটিয়� তোলা হয়েছে� লেখক � নিয়� ভাবত� ভাবত� দুঃস্বপ্� দেখেছে�, এস� নিয়� বেশি গভীরভাব� ভাবত� গেলে পাঠকের� দুঃস্বপ্� দেখা বিচিত্� নয়।
লেখকের কা� থেকে অন্যান্য জনরা� পাশাপাশি এই জনরায় আর� লেখা পাওয়া� আশ� করছি�
সখীপু� গ্রামে� জিন্দারক� চর� কে� যেতে চায় না� চর হলেও এখ� সেটাকে ছোটখাট� দ্বী� বল� চলে। কোনো এক রহস্যজনক কারণ� চর� একের পর এক মানুষে� লা� পাওয়া গেলে গ্রামবাসীরা নিষিদ্� ঘোষণ� করে। আর সে� নিষিদ্� জায়গায় কিনা বে� কয়েকদিন ধর� আছ� এক বৃদ্ধলোক, যে কিনা নিজেকে "শিক্ষক" হিসেবে দাবি করে। শহ� থেকে আস� সাংবাদিক "দোহা"- কে জিন্দারক� চরের খোঁজখব� নিতে দেখা যায়� এরমধ্য� একদি� হঠাৎ কেঁপ� ওঠ� সখীপুর। ভূমিকম্প নাকি প্রলয়? দোহা মরিয়া হয়ে ওঠে। শঙ্ক� কি তাহল� সত্য� হত� চলেছ�! রাতে বে� কয়েকজ� বিদঘুট� স্বপ্ন দেখে জেগে ওঠ� যে� কোনো মহাজাগতি� শক্ত� হানা দিয়েছ� পৃথিবী� বুকে...
ডঃ এলিস সিলভারকে কি চেনে� আর তাঁর চাঞ্চল্যকর মতবা�? খোঁজ পেয়েছ� ❝নাড়িনক্ষত্র❞ থেকে তারপ� গুগল� সার্� দিলাম। মতবাদে� কথ� কে� বলছি? কারণ বইয়ের প্লট� এই মতবাদে� উপ� বেজড� সংক্ষেপে মতবা� নিয়� বলতে গেলে, ❝মানুষ পৃথিবী� জী� নয়❞- মানে মানু� স্বয়ং এলিয়ে�! বিশা� বড়ো একটা কনসেপ্টক� লেখক ছো� পরিসরে� একটা বইয়� আঁটানো চেষ্টা করেছেন� তা� কাহিনী যেমন দ্রু� গতিত� এগিয়ে গেছে তেমন� কিছু জায়গায় ডিটেলি� বা� পড়েছে�
বে� সহজভাবেই লাভক্রাফটে� সাথে মতবাদক� মার্� কর� হয়েছে� ভৌতি� বর্ণনাগুলো বে� ভালোভাবে� কর� হয়েছে� বিশে� কর� স্বপ্ন আর শেষে� অংশ। মূ� দুটি চরিত্র দোহা � মাস্টা� মশাই� ঘটনাগুলো তাদে� চারিপাশে� ঘুরত� থাকে� তব� কিছু জায়গায় কনফিউজিং লেগেছে� অতী� বর্ণনায় নেত্রামা� অশ্রুসাপ বানরকে নিজে� নিয়ন্ত্রণ� নিয়� নেয়� এটার সাথে মানবজাতি� সৃষ্টি আবার শেষে নেত্রামা� অশ্রুসাপের জন্য হঠাৎ পরিবর্তন মাথা� উপ� দিয়� গেছে! আর কেনইবা সুব্রামানিয়্যাম আত্মহত্য� করতে গেলে�? কী এম� দেখেছিলে�! নেত্রামা� পুরো কনসেপ্টও স্পষ্ট না� আর� খোলাসা করলে ভালো হতো। ওভারঅল মৌলি� লাভক্রাফ� হিসেবে মোটামুটি ভালো� হয়েছে বল� যায়� বইয়ের প্রচ্ছদট� সুন্দর� স্বপ্নের সাথে লাস্� সিনে� কথ� মন� করিয়ে দেয়�
এই কদিন আগেও আম� জনরা দেখে বই পড়তাম না, সত্য� বলতে বেছে পড়া� বিলাসিতাটা ঠি� ছিলো না, যা যখ� সামন� পেতা� সেটা� বুভুক্ষু� মত� গিলতাম আর ঠি� জানতাম� না এত� এত� জনরা� কথা।কসমি� হর� জনরা পড়া হলেও বুঝি নি ঐট� কসমি� হর� বা লাভক্র্যাফ্টিয়া� হর� ছিলো, মোটা দাগে হররে� মধ্যেই ফেলে দিয়েছিলাম�
তা� আমার মত মানুষদের জন্য কসমি� হর� জনরাটা সম্পর্কে আগ� একটু বল� নেই। এট� হর� এর� সা� জেনার। এক� লাভক্র্যাফ্টিয়া� হররও বল� হয়। সাধারণ� হর� বা ভৌতি� উপন্যা� � ভয� এর সূত্� পাতট� হয� আধিভৌতিক কোনো সত্ত্ব� থেকে, প্রধান ভয়ট� থাকে ব্যক্তিমৃত্যুর� কসমি� হর� এর ক্ষেত্রে পুরো মানবজাতি� বা তা� অংশবিশেষ এর অস্তিত্ব সংকট� দেখা যায় পৃথিবী� সীমানা� বাইরের কোনো মহাজাগতি� সত্ত� থেকে� আর সামগ্রিক অস্তিত্ব সংকট এর থেকে ভয়ে� আর কি� বা হত� পারে�
বইটা� কলেব� খুবই ছো�, মাত্� ৯৪ পৃষ্ঠায় � শেষ। কোনোপ্রকার বাহুল্� দোষে দুষ্� নয়। সবথেকে ভালো যেটা লেগেছে সেটা হল� চরিত্র গুলো� সংলাপে প্রমিত আর আঞ্চলি� ভাষা� স্বচ্ছন্� মিশেল। সাধারণ অবস্থায় আম� হর� বিশে� পড়ি না, বছরে হাতে গোণা দুতিনটে। আর এবার বইমেলা থেকে সংগ্রহ কর� উল্টেপাল্ট� দেখত� গিয়েই পড়া শেষ। পাঠকের আগ্র� জাগানো� মত করেই লিখা বইটা, শুরু করলে পর� কি হব� এই আগ্রহট� পুরো বইএই জারি ছিলো� আর হর� পড়ুয়� হল� বলবো বইটা পড়ত�, বাংল� ভাষায় ভালো মৌলি� কসমি� হর� খু� কম� আছে। পাঠক হিসেবে অতিরিক্ত খুঁতখুঁত� হওয়ায� � বোধহয় দুটা টাইপ� নজরে পর� গেছে আশ� করছি অনাকাঙ্ক্ষিত � ভু� পরবর্তী সংস্করণে সংশোধি� হবে। আরেকটা কথ� বইয়ের প্রচ্ছ� এত� সুন্দর� এমনক� ভূমিপ্রকাশের স্টলের বে� কিছু প্রচ্ছ� একদম নজ� কাড়া। কয়েকট� অনুবাদের তো ইংরেজী বই সংগ্রহ� থাকা সত্ত্বেও মন চাচ্ছিলো আবার কিনে ফেলি (দ্� মি� নাইট লাইব্রেরী আর দ্� মিরাকল� অব দ্� নামিয়� জেনারে� স্টো�) � অনেক কষ্ট� নিজেকে সংবর� কর� চল� আসছি� লেখকের আগের পলিটিক্যাল থ্রিলা� ধ্বংসতত্ত্� বা ইসরাফিলে� শিঙা � পড়ে ভালো লেগেছিলো�
কসমি� হর� জনরা� সঙ্গ� প্রথ�, দ্বিতীয় � তৃতী� পরিচয় এই� পি লাভক্রাফ� � তা� আদলে লেখা দুটো মৌলি� দিয়ে—কথুলুহু � একজোড়� চো� খোঁজ� আরেকজোড়� চোখকে। লাভক্রাফটে� দুনিয়ায� ডু� দিতে ভালো লাগলেও, কে� যে� পরিপূর্ণভাবে উপভো� করতে পারিনি� কারণ সম্ভবত ওই মিথো� সম্পর্কে অজ্ঞতা� যে জিনি� পড়ে লাভক্রাফ� ভেজে খাওয়া মানু� লাফিয়� বস� হাতে কি� মারব� ইস্টার এগ পাওয়া� আনন্দে, আমার কাছে সেটা নিছক কয়েকট� শব্দ বই আর কিছু নয়। শুরুটা� মন্দ দি� থেকে করতে হচ্ছ� বল� দুঃখিত, তব� নাড়ীনক্ষত্রও তেমন একটা অনুভূত� দিয়েছ� আমাকে। ওটার কোনো মিথো� নে� (কিংব� থাকলেও আমার জানা নে�)� তা� পুরোপুরি ডু� দিতে পারিনি গল্প��� আমার কাছে মন� হয়—একেবারে নতুন ধারণ� নিয়� কা� করলে তাতে আর� ডিটেলি� দিতে হয়৷ লাভক্রাফ� নাহয� নে� ঘেঁট� বুঝলাম� নেত্রামা বোঝা� সে� সুযো� আছ� কী? মন্দ দিকে� পালা� নাহয� আগ� শে� করি—ছোট্ট বই, কিন্তু পরিধ� বিশাল। স্বভাবতই, সূত্� জোড়� দিতে গিয়� একটু তাড়াহুড়ো আছ� মন� হয়েছে� এন্ডিংটা� ওপেন এন্ডেড, চাইল� সিক্যুয়েল লেখা� যায়� শে� জায়গা—কিছ� ব্যাকর� � বানানজনি� সমস্যা আছ� বটে৷ কিন্তু খু� বেশি না� এবার ভালো দিক—লেখ� খুবই স্মুথ৷ একবসায� পড়ে যাওয়া� মতো। নতুন লেখকদে� কিছু সমস্যা থাকে বাক্যগঠন� বা উপস্থাপনে। এখান� তা নেই। গল্পের আবহে গা ছমছম� ভাবট� ছি� বে�, বর্ণনা উপযোগী এব� সহজে আত্মস্� করার মতো। চরিত্রায়নের বেশি সুযো� ছি� না, তব� মূ� চরিত্রগুলো অন্ত� মিলে-মিশে এক হয়ে যায়নি� কনসেপ্টট� সলিড� আমার নজরে কোনো ছিদ্� ধর� পড়েনি� আশ� কর� নে� কোনো�
মানু� কি পৃথিবীতে এলিয়ে�? এই প্রশ্ন থেকে মজার একটা কসমি� হর�! ছোট্�, মজার আর ভয়ংকর একটা গল্প� এক বসাতেই পুরোটা পড়ে ফেলছি। শুধু শেষে কিছু প্রশ্ন আর খটকা রয়ে গেছে মাথা� ভিতর!
�. পরিণ� লেখনী� একটাবারে� জন্য লেখক নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন, এট� মন� হয� নাই। প্লট নামক পাগল� ঘোড়াক� পো� মানানো সহ� নয়। কাজট� ইফতি করতে পেরেছেন। লেখনী পরিণ�, মসৃণ, প্রাঞ্জল� একটানে পড়ে ফেলা� মতো। �. বইয়ের কনসেপ্টট� আমার খুবই পছন্দের। ইউনি� হয়ত� বল� যাবে না, কিন্তু উপস্থাপন� যুতসই। চমকপ্রদ। �. কাহিনি বেশী ছো� হয়ে গেছে মন� হলো। সাসপেন্সের� কমতি ছিল। এরপর কী হব� বা কী হত� যাচ্ছে, এই উত্তেজনাটা অনুপস্থিত। �. ডিটেইলিংয়� খামত� দেখলাম� আম� আশ� করেছিলাম ওয়ার্ল্ডবিল্ডিং টাইপ কিছু পাবো, মিথো� পাবো� এট� পাইনি।
শেষটুক� দেখে মন� হল� লেখক সিক্যুয়েলের সম্ভাবনা খোলা রেখেছেন। আশ� কর�, দ্বিতীয় বইটা দারু� কিছু� হবে।
লেখকের ছোটগল্� আগেও পড়া হয়েছে� তা� লেখা� সাথে পরিচিত� প্লটটা সুন্দর� আর� বড� কর� যে� চাইলেই� শেষে� দিকে একদম সাদামাটা হয়ে গিয়েছ� কিন্তু কসমি� হর� হিসেবে সুন্দর একটা বই বলাই যায়�
বইটি লিখেছে� ফাইয়া� ইফতি নামে এক তরুন লেখক� বইটি� জনরা কসমি� হরর। যারা কসমি� হর� কী তা জানে� না তাদে� বল� রাখি আম� নিজে� হররে� এই সা� জনরা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারন� রাখি না� তা� বইটি বিশুদ্� কসমি� হর� কি না বলতে পারছ� না� যেটুকু জানি তা হল� কসমি� হররে থাকে অজান� কোনো কিছু� প্রত� একটা ছমছম� ভয� যা আম� এত� পাইনি। এমনক� হর� এলিমেন্ট� কম।যদি� মোটামুটি রোমাঞ্চক� ছিল।
বইটি� নামকরন ভালো লেগেছে� "নাড়িনক্ষত্র" নক্ষত্রে� সাথে নাড়ির যোগসূত্র� দারুন।
৯৬ পৃষ্ঠা� ছোট্� একটা বই� এক বসায� পড়ে ফেলেছি� লেখা খুবই ঝরঝর� এব� প্রাঞ্জল ছিল। কিছু কিছু লেখক থাকে� নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে� না� অযথা� কাহিনী প্যাঁচাত� থাকেন। কিন্তু ইফতি ভা� তা করেননি� একদম ক্লিয়ার কা� যতটা প্রয়োজন ততটা বলেছেন�
সহ� সর� প্লট� তব� তেমন চমকপ্র� নয�, কিছুটা পরিচিত� প্রতিট� চরিত্রের বিকা� আর বিস্তৃতি অনেক ভালো� লেখক চরিত্র নির্মাণে দক্ষ�
সুন্দর ছিমছাম একটা বই� প্রথ� ভালো লাগা বইয়ের গ্রামী� প্রেক্ষাপট� থ্রিলা�-হর� জনরায় গ্রামী� পরিবেশ আর গ্রামী� চরিত্র দুর্লভ জিনিস৷ আর দুর্লভ জিনি� কা� না ভালো লাগে..
লিখনশৈলী বে� ভালো লেগেছে� বাক্যগঠন আর শব্দচয়ন� দক্ষতা� ছা� স্পষ্ট� চরিত্রায়ন নভেল� হিসেবে চলনসই৷ ডিটেইলিং পর্যাপ্ত পরিমাণের�
বিজ্ঞানে� কয়েকট� থিওরির উপ� ভিত্তি কর� বইয়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্� দাঁড� করান� হয়েছে� যেইট� আমার মত� সঠিক ছি� না� ব্রেইনের কতোটুক� ইউ� করতে পারি আমরা কিংব� সব প্রাণি প্রতিকূল পরিবেশ� মানিয়� নিলে� আমরা কে� পারি না...আফ্রিকার সিংহ কখনো� মেরু অঞ্চলে� নিম্� তাপমাত্রায� টেকা� ক্ষমতা রাখে না� কিন্তু মানু� প্রায় সব পরিবেশেই মোটামুটি পর্যায়ে হলেও মানিয়� নিতে পারে� তাছাড়� ২০ শতাং� ব্রেইন ইউজে� ধারণাটাও বিজ্ঞানসম্মত নয়। বইয়ের ভিত্তি তৈরিতে � দুটো পয়েন্টে� বে� ভালো রকমে� গুরুত্� ছিল। বিষয়টাক� প্লট তৈরি� খাতিরে না হয� মেনে নিলাম।
কসমি� হর� জনরায় মানবমনের অসহায়ত্�, ভয�-ভীতি ফুটিয়� তোলা অবিচ্ছেদ্য একটা অংশ। বইয়ের � ভাগে� � ভাগে সে বিষয়ে খু� কম বর্ণনা� এসেছে। লেখক হয়ত� গল্পের আব� তৈরি করছিলেন। এদিক থেকে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হত� পারিনি�
বইয়ের এন্ডিংটা অসাধার� লেগেছে� একেবার� গায়� কাঁট� দেওয়া এন্ডিং� এন্ডিংটা কেমন হব� তা নিয়� দুশ্চিন্তা হচ্ছিল� কসমি� হররে পার্ফেক্� এন্ডিং দেওয়াটা কঠিন কাজই বটে। লেখক সেটা ভালোভাবে� করেছেন�
রেটিংঃ ★★★★(�.৭৫/�)
প্রচ্ছ� অসাধার� ছিল। প্রোডাকশ� ভালোই। হ্যাপি রিডিং।
সখীপুরে� জিন্দারকের চর� সখীপুরে� মানুষে� মত� � এম� জায়গা যেখানে নিজে� জীবনের প্রত� মায়� আছ� সে কখনও পা দিতে যাবে না এই রহস্যময় ভৌতি� জিন্দারকরে চরে। এমনি এক জায়গায় হু� কর� আশ্রয় নিলো এক অগোছাল� পাগলাট� আগন্তুক। যে আসার পরপর� সখীপুরে শুরু হল� একের পর এক ভূমিকম্প, সখীপুরে� মানু� দেখত� শুরু করলো অদ্ভুত এক স্বপ্ন� তাকে খুঁজতে সখীপুরে পা দিলো এক সাংবাদিক যুবক, একটা� উদ্দেশ্য তা� বাঁধ� দিতে হব� তাকে, না হল� পৃথিবী� অস্তিত্ব পড়ব� সংকটে।
অধ্যাপ� সুব্রামানিয়াম আন্দামান দ্বীপে গবেষণা� কাজে গিয়েই আবিষ্কার করলে� অদ্ভুত এক নাস্তি� নৃগোষ্ঠী� অথ� ফিরে এসেই করলে� আত্মহত্য�, এদিক� বিখ্যা� আরেক গবেষ� ডা. সিলভার হন্য হয়ে উঠেছ� তারই শে� গবেষণাপত্রের জন্য, যা তিনি লিখেছে� আন্দামান থেকে ফিরে এসেই � যেখানে এম� কিছু আছ� যা বদলে দিতে পারে পৃথিবী� মানবজাতি� সূচনালগ্নে� ইতিহাস� ডেকে আনতে পারে ধ্বং�, এব� কি কেড়� নিতে পারে জীবনও।
বইটা যখ� পড়ছিলাম তখ� বইয়ের গল্পটা ক��মিক হর� জনরা� হলেও গল্পের কিছু কিছু ক্ষেত্রে মন� হয়েছে সায়েন্স ফিকশনে� উপদানে� স্বা� পাচ্ছি� এছাড়া� প্রথ� থেকে শে� পর্যন্� লেখকের গল্প বর্ণনাটা ছিলো খুবই পরিপক্ব। অল্প চরিত্র� লেখক চমৎকার একটা গল্প তুলে এনেছেন� যেখানে দোহা, শমী� দাশগুপ্ত, মোস্তফ� চাচা এস� চরিত্রগুলো নিয়� লেখক যেভাবে অল্প চরিত্র� অল্প পৃষ্ঠাতে এত� পরিপূর্ণ গল্পকে তুলেছে� যে, পড়ে খু� ভালো লেগেছে� তব� শেষে� দিকে এস� মন� হয়েছে কিছু বিষয� নিয়� আর� ব্যাকস্টোর� থাকল� ভালো হতো। এই যেমন জিন্দারকের চর, এব� শেষটাত� আর� কিছু বর্ণনা থাকল� বিষয়ট� আর� উপভোগ্� হতো৷ তাছাড়� দোহা চরিত্রটাকে প্রথ� থেকে শেষপর্যন্ত যেভাবে উপস্থাপন কর� হয়েছে তাতে শেষটাত� এস� চরিত্রটা ম্লা� হয়ে গেছে বল� মন� হয়েছে�
সম্পূর্ণ গল্পটা দারুণ। বইটা যখ� নিয়েছিলাম এতোট� পরিপক্� লেখা পাবো আশ� করিনি। লেখকের বাক্যগঠন, লেখনশৈলী মুগ্� করার মতো। লেখা� এগিয়েছে একদম সাবলী� ভাবে, বর্ণনা মেদহীন। তাছাড়� বইটা� প্রচ্ছদটাও একেবার� প্রাসঙ্গিক, যেখানে গল্পের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা মুহূর্তক� দৃশ্যমান কর� হয়েছে� এব� তাতে প্রচ্ছদকার� সফ� বলতে হয়। আশাকরি বইটা যারা পড়বেন, তাদে� ভালো লাগবে।
বই : নাড়িনক্ষত্র লেখক : ফাইয়া� ইফতি প্রকাশ� : ভূমিপ্রকাশ বইমেলা স্টল নং : ৩৭�
ঘটনা� শুরু সখীপু� নামে� ছোট্� একটা গ্রামে দোহা নামে� একজন সাংবাদিকের আগমনকে কেন্দ্� করে। সে এসেছ� শমী� দাশগুপ্ত বল� একজনের খোঁজে। যে মানুষট� জিন্দারকের চর� বস� মানুষে� অস্তিত্বের শুরু কোথায়, এই প্রশ্নটা� উত্ত� খোঁজার চেষ্টা করছেন। অথ� গ্রামে� কে� সে� চরের পথ মারানো� কথ� চিন্তা� করতে পারে� না� কি আছ� সে� চর�? শমী� দাশগুপ্তকে� বা খুঁজছে কে� দোহা? কিভাবে শমীকে� সাথে দোহা� পরিচয়? শমী� দাশগুপ্তের� বা আস� উদ্দেশ্য কি? সবগুলো প্রশ্নের উত্ত� পেতে আপনাকে পড়ত� হব� বইয়ের শে� পৃষ্ঠা পর্যন্ত। একটা সাধারণ গ্রামে� মানুষজনে� চিন্তাধারা, তাদে� ভয� এব� বিশ্বাসে� সুন্দর বর্ণনা আছ� বইটিতে� বইয়ের মাঝামাঝি লেখক এলিয়ে� সম্পর্কি� একটা তত্ত্ব উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন� সেটা পড়ল� অবশ্যই আপনা� ভালো লাগবে।পৃথিবী� সক� প্রাণীদে� সাথে মানুষে� এত� বৈসাদৃশ্�! তাহল� কি দাবি কর� যায় যে মানুষই এই পৃথিবীতে এলিয়ে�!?
কসমি� হর� জনরা� কনসেপ্� বাংলাদেশ� এখনো নতুন� নাড়িনক্ষত্র বইটা লেখকের দ্বিতীয় বই� কিন্তু পড়া� সময় আপনি সেটা বুঝতেই পারবেন না� পুরো বই পরিপক্� হাতে লেখা হয়েছে, যত্ন কর� বাক্� গুলো সাজানো হয়েছে� প্রথ� বইয়� (ধ্বংসতত্ত্�) সংলা� গঠনে� কিছুটা দুর্বলতা চোখে পড়েছিল। এই বইয়� তেমন কিছু চোখে পড়েনি� হর� বই লেখা� সময় প্রচুর কল্পনাশক্তির প্রয়োজন হয়। কথাগুল� এমনভাব� সাজাতে হয� যাতে পাঠকরা� লেখকের কল্পনা� জগতে ঢুকে পড়ত� পারেন। নাড়িনক্ষত্র এক্ষেত্র� সফ� একটা বই� আমার অনুরোধ, গভী� রাতে অল্প আলোয� কল্পনা কর� কর� বইটা পড়বেন, তাহল� অবশ্যই ভালো লাগবে। আম� আশ� করেছিলাম বইটা দেড়� পৃষ্ঠা� মত� হবে। শেফালী চরিত্রকে আর� কিছুক্ষণ গল্প� দেখল� মন� হয� আর� বেশি সুন্দর হতো।
আমাদের নাঁড়ি কোথায়? যে� এলিয়েনদের খোঁজ� আমরা, সে� এলিয়ে� কী পৃথিবীতে� আছ� এখ�? সে� সম্ভাবনা তো উড়িয়� দেয়� যায় না, তা� না? সর্ষের মধ্য� ভূ� হাহ্? তাওহী� দোহা� সাথে গিয়� সখীপুরে� জিন্দারকের চর� থাকা পাগল� লোকটাক� খুঁজ� আন� প্রয়োজন� এত� জায়গা থাকত� ভয়ঙ্ক� জিন্দারকেই কেনো আস� গেঁড়ে বসলো? সব প্রশ্নের উত্ত� পেতে, নাঁড়ি� খোঁজ পেতে, সহস্� বছরপূর্ব� মর� যাওয়া নক্ষত্রে� আলোর নিচে বস� অদ্ভূত প্রশ্নগুলো� উত্ত� খুঁজতে পড়ত� হব� এই এয়ারপোর্ট নভেলাটি।
মতাম�: প্রচ্ছদট� একদম খাপে খাপ। ভৌতি� ঘরানার পড়ুয়� না হওয়ায� হয়ত� লাইন ধর� ভালো খারা� বলতে পারব� না, তব� লেখকের লেখা অত্যন্� পরিণ� হয়েছে আগের বই থেকে� আগের বই "ধ্বংসতত্ত্� অথবা ইসরাফিলে� শিঙা"-তে আমার অপ্রাপ্ত� ছিলো লেখকের সংলা� গঠনে� এই বইয়� এত� উন্নতি সত্যিই অসাধার� ছিলো� অস্থির একটা প্লটের সাথে অসাধার� বর্ণনা নভেল� হিসেবে আঁটসাঁ� লেখায় পুরোটা� উপভোগ্� ছিলো� আগের বইতে যেমন পড়ত� পড়ত� বারবার মন� হচ্ছিল� কাঁচ� হাতে� লেখা, এই বইয়� এট� একদম� পাইনি।
তব� আম� আশ� করেছিলাম বইতে যে এলিয়ে� তত্ত্ব আন� হইসে সেটা� শেষদিক� আরেকটু স্পষ্টভাবে পাবো� এট� ছাড়� বইটা আমার মন� হয� আসলে� চিন্তা জাগায় এই তত্ত্বটা� ওপর।
নাড়িনক্ষত্র বইটি লভক্রাপটিয়া� হর� থ্রিলা� জনরা� বই� এই জনরা� আমার পড়া প্রথ� বই নাড়িনক্ষত্র� এই জনরা� বই আগ� যেহেতু পড়িনি, এক্সপেকটেশ� খু� একটা বেশি ছিলো না� আম� ধরেই নিয়েছ� বইটা খু� একটা ভালো হব� না যেহেতু এই জনরায় লেখকের এইটা� প্রথ� বই� এর আগেও লেখক আরেকটা থ্রিলা� বই লিখেছে� ❝ধ্বংসতত্ত্ব অথবা ঈসরাফিলে� শিঙা� নাড়িনক্ষত্র বইটা আম� যতটুকু আশ� নিয়� পড়েছিলা� তারচেয়ে বেশি� পেয়েছি। দোহা আর শমী� স্যারে� সাথে ঘট� যাওয়া ব্যাপারটার মধ্যেই লুকিয়� আছ� এই বইয়ের সক� রহস্য।
বে� সুন্দর একটা কসমি� হরর। বড়গল্� বা উপন্যাসিকা বল� যায়� লেখকের হা� বে� পাকা� কাহিনি বল� যাওয়া� বে� দক্ষতা আছে। কসমি� হররে� মূ� জায়গা আব� তৈরি করতে পারায়� বে� ভালোভাবে� সেটা তুলে ধর� হয়েছে� লাভক্রাফটিয়ান� যেটা দেখা যায় যে কাহিনী আগায� কিন্তু ইলিমেন্ট ইন্ট্রোডিউ� করতে করতে গোজামি� লেগে যায়� ফল� শেষে কাহিনি মেলাতে পারে� না লেখক� এক্ষেত্র� এট� হয়নি। গল্পটা কনক্লুসিভ।
এই বইটা কিনে যে কি ধর� খাইসি।অবশ্� এই বইটা পড়া� পর বুঝেছি যে কসমি� হর� জনরা পড়া� সাধ্� আমার নাই।লাস্টে� এন্ডিং টা পুরা� মাথা� উপ� দিয়� গেসে আমার।প্রথম� একটু ভালো লাগলেও শে� টা পুরা� ঘোলায় জগাখিচুড়ি হয়ে গেসে🙃