হাজা� বছ� ধর� :বাঙালি� হাজা� বছরে� জীবনধারা "হাজা� বছ� ধর�" উপন্যাসে তিনি তুলে ধরেছেন যু�-যুগান্তরের বিবর্তনহী� গ্রামী� জীবনের ছায়াচিত্র।ক্ষুদ্র একটি গ্রামে� একান্নবর্তী পরিবারের সংঘাতময় জীবনের কাহিনী তিনি বর্ণনা করেছেন এতে। পরিবারটি� কর্ত� বুড়� মকবুল।তা� এই পরিবার এবাড়িতে ৮ঘ� লোকে� বা�;সবাই নিম্নবিত্ত শ্রেণীর।জীবীকা� তাগিদে নারী-পুরু� সবাইকে কঠোর পরিশ্র� করতে হয়।হাজা� বছ� ধর� চল� আসছে গ্রা� বাংলার মানুষে� � জীবনযুদ্ধ।এযুদ্ধ� কখনও তারা জয়ী হয�;আবার কখনও হয� পরাজিত� জীবিকা� তাগিদে বাড়ির পুরুষদের কা� করতে হয� ঘর� বাইর� , দি� রা� যে� অক্লান্ত পরিশ্র� � বাড়ির নারী সদস্যরাও বা� যায়না � তারা চাটা� বোনা,অন্যের ধা� ভাঙা,শাপল� তোলা এরকম আর� অনেক কা� কর� যতটা পারা যায় তারা পরিবারের আয� উন্নতিতে সাহায্� কর� � তবুও তাদে� লড়ত� হয� কঠিনতম জীবন সংগ্রামে � এরপরেও আছ� নানারক� কুসংস্কা�,নানাবি� ধর্মীয় গোঁড়ামী আর বিধি নিষেধে� বেঁড়া জা� � তবুও সবকিছু ছাপিয়� উজ্জ্ব� হয়ে উঠেছ� তাদে� কঠিন সে� জীবন সংগ্রামে� গল্প � লেখক এই উপন্যাসে আবহমানকালে� গ্রা�-বাংলার প্রায় সব দিকই তুলে এনেছেন� এই উপন্যাসে বাল্� বিবাহে� প্রসঙ্� এসেছ�, বহ� বিবাহে� কথ� এসেছে। নারীদে� অসম্মা� করার ব্যাপা� উঠ� এসেছ�, এমনক� বউকে পিটিয়� মেরে ফেলা� যে তৎকালী� সময়� এম� অস্বাভাবিক কো� ব্যাপা� ছি� না সেটা� লেখক অসাধার� দক্ষতায় তুলে ধরেছেন� এই বইয়� সামাজি� কুসংস্কারে� কথ� উঠ� এসেছেন, পরকীয়� প্রেমে� কথাও বা� যায় নি.কেন্দ্রীয় চরিত্র টুনি আর মন্তুর মাধ্যম� লেখক তুলে ধরেছেন এই হাজা� বছ� বয়স্ক� বাংলার হাজারো যুবক যুবতী� হৃদয়ে� কথ�, হৃদয� ভাঙা� কথা। আর দশটা প্রেমে� উপন্যাসে� চেয়� হাজা� বছ� ধর�'
Zahir Raihan (Bangla: জহির রায়হান) was a Bangladeshi novelist, writer and filmmaker. He is perhaps best known for his documentary Stop Genocide made during the Bangladesh Liberation War.
He was an active worker of the Language Movement of 1952. The effect of Language Movement was so high on him that he made his legendary film Jibon Theke Neya based on it. In 1971 he joined in the Liberation War of Bangladesh and created documentary films on this great event.
He disappeared on January 30, 1972 while trying to locate his brother, the famous writer Shahidullah Kaiser, who was captured and killed by the Pakistan army. Evidences have been found that he was killed by some armed Bihari collaborators and disguised soldiers of Pakistan Army.
উপন্যাসট� আম� ঠি� কতবা� পড়েছি তা� সঠিক কোনো হিসা� নেই। ক্লা� নাইন থেকে শুরু কর� এস.এস.সি পরীক্ষা দেবা� আগ পর্যন্� কম কর� হলেও ১৫ বা� তো পড়েছিই। নৈর্বত্তিক এর জন্য তো দা� দিয়েছিলাম প্রায় প্রতিট� শব্দের নিচে� উপন্যা� তো উপন্যা�, পাঠ্� বইয়� লেখা বিশ্লেষণটা� প্রায় সমান সংখ্যক বা� পড়েছি� খালি পড়ত� বা� ছি� এর মাধুর্�, ধরতে বা� ছি� এর মমত্ববোধ� আগাগোড়া নিজে� মমতা� আচ� দিয়� উপন্যাসটিক� বেঁধ� রাখা টুনি কই হারিয়� গিয়েছিল কারণ আমার তো প্রমাণ করতে হব� কেন্দ্রীয় চরিত্র বুড়� মকবু�, নায়িক� আম্বিয়া আর নায়� মন্তু। কেটে টুকর� করবা� অভিপ্রায� থাকল� মন� হয� মমত্ববোধ কা� কর� না� দৃষ্টি এড়িয়� যায় ছো� ছো� সৌন্দর্য � “ওরা আস� ধল পহরে� আগ�, যখ� পুবে� আকাশ� শুকতার� ওঠে�... হয়ে ওঠ� শুধু� সময়নির্দেশক...ধলপহরে� আগের শুকতারার মায়� আর পিছু নেয় না� যখ� আম� চেষ্টায় থাকি শুধু এব� শুধুমাত্� আবহমান গ্রা� বাংলাক� খুঁজ� বে� করায� তখ� আর প্রয়োজন পড়ে না “ইতিমধ্য� মন্তুর বুকে� মধ্য� সিঁধিয়ে গেছে সে� মন্ত� নিজে� জানে না কখ� টুনিকে একেবার� কাছে টেনে নিয়েছ� সে� লাইন দুটো উপলব্ধ� করার� হাজা� বছ� ধর� চল� আস� নারী নির্যাতন আর কুসংস্কা� আচ্ছন্� সমাজের সার্থক চিত্রায়� প্রমাণ� ব্যস্ত থাকায় “শান্তির হাঁটের সে� রাতে� পর টুনি তা� অন্ত� জুড়� বস� আছে�...সে� রা� আর হয়ে ওঠ� না হাজা� বছরে� মাঝে কোনো ব্যতিক্রমী রাত।
ক্লা� নাইন� পড়ুয়� একটা ছেলে টেবিলে বস� কাহিনী বল� যাওয়া� মত� শব্দ কর� পড়ে যাচ্ছে একটা বই� দু� ঘর ছাড়িয়ে রান্না ঘর পর্যন্� চল� গেছে তা� শব্দ� শুনত� পেয়� তা� নানি রান্না ঘর থেকে অল্প সময়ের নোটিশে হাতে� কা�-টা� সব গুছিয়� গুটিগুটি পায়� পানে� বাটা হাতে নিয়� এস� আয়ে� কর� বস� ছেলেটা� পড়া� টেবি� লাগোয়� খাটে� ছেলেটাকে দেখে যদিও মন� হচ্ছ� এক মন� সে শুধু বই-� পড়ে যাচ্ছে, তা� নানি� এই কার্যকলাপগুলোও কিন্তু তা� দৃষ্টি এড়িয়� যাচ্ছে না� কোনো একদি� হয়ত� ছেলেটা� রুটিনে সহপা� বইটা না�, সেদি� হয়ত� তা� নানি কাছে এস� জানত� চাইল, 'নানুরে, মকবু� বুইড়া� জ্ঞা� কি পর� আর ফিরছিন না?'
অগত্যা ছেলেটিকে জটিল রসায়ন বই ছেড়� আবার 'হাজা� বছ� ধর�' ঘট� চল� জীবনের রাস্তায় তা� নানিকে নিয়� হাঁটতে হয়। পরী� দীঘি� ইতিহাস তাঁক� ভাবায়� মকবুলে� বুড়োর মেয়� হীরনের বিয়ের গী� তাঁর মুখে শোনা যায়� মকবু� বুড়োর মৃত্যু তাঁর হৃদয়ক� মথিত করে। মন্ত�-টুনি� প্রেমে� পরিণতিতে তাঁক� যারপরনাই খুশি হত� দেখা যায়� হাজা� বছ� ধর� বাড়তে থাকা রাতে� অন্ধকা� তাঁক� ভী� কর� তোলে...
বাংলায� ভালো নম্ব� তোলা� থেকে নানুকে বুঝত� না দিয়� নানু� জন্য অনেকবারই পড়েছি বইটা� বছ� দু� হল� নানু নাই। নানুকে ছাড়� তাঁর প্রিয় বইটা� হয়ত� আর কখনো পড়া হব� না� যেখানে� থাকু� হাজা� বছ� ধর� ভালো থাকু� নানু, ভালো থাকু� তাঁর এককালে� মকবু� বুড়োরা।
কেমন ছি� ১১ বছ� আগ� পড়া বইটা পুনরায� পড়া� অভিজ্ঞতা!! তা� আগ� একটা কথ� বল� দরকার। একটা জিনি� খেয়াল করলা� যে বই/মুভিটা আমার মনের সাথে কথ� বল� বা প্রচন্� ভা� লাগে সেটা বছরে� পর বছ� পর� পড়ল� বা দেখলেও মন� থাকে� এই বইটা� ধরুন� প্রথ� পাতাটা পড়া� পর আগের কাহিনি গুলো সব এস� ধর� দিচ্ছিলো� একসময় ভাবলাম সব� যখ� মন� আছ� তখ� আর পড়বোন� এটা। অন্যটা পড়ি� তব� ছাড়তে পারলামনা�
এই হাজা� বছ� ধর� সে� কব� পড়া একটা বই� সে� ক্লা� � � থাকত� ১০ � পড়া এক ভা� দিছি� পড়তে। তবুও মাঝে মধ্যেই মন� পড়ত সে� সর� রাস্তাটা� কথা। সে� কলসি ভর্ত� সোনা দানা নিয়� ভেসে এস� জম� কিনে বাড়� করার কথ� টা� মন� পড়ত পরীরা দীঘি খন� করেছিল� এক রাতে সে সব কথা। আগেই বলেছ� জহির রায়হানে� বই পড়া আর সামন� বড� পর্দায� সিনেমা দেখা সমান কথা।
একটা গ্রাম্যজীবনের কী ছিলোনা এই গল্প�! কুসংস্কা�, বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহ, ঝগড়�, কানাকানি, কথ� লাগানো, বউ পিটানো, সবাইকে মিলে বড� পরিবার� সব কিছু� সুন্দর চিত্� ফুটে উঠেছ� এটাতে। কিছু কিছু গল্প একদম জিবনের সাথে কথ� বলে। ( যদ� জানা থাকে সে জিবন সমন্ধে )� ধরুন আপনি পড়লেন "তারা ঘা� মোছা� জন্য ঢেকি� সামন� রাখা বাঁশটা থেকে কাপড� নিয়� ঘা� মুছল" আপনি কখনো ঢেকি দেখেননি। দেখেনন� পা বরাবার উপরে আড়াআড়ি বাঁশ থাকে যেখানে হা� রেখে ঢেকিতে পা দিয়� ধা� ভাঙ্গে� তাহল� কিন্তু আপনি ওই লাইনটা মনের মধ্য� গেথে নিতে পারবেননা� এজন্যই গর্ব হয� মাঝে মধ্য� যে আম� এস� দেখেছি� অনুধাব� করতে সমস্যা হয়ন� তাই।
যাইহোক� এই উপন্যা� যে কতোট� বিখ্যা� সেটা বলার অপেক্ষ� রাখেনা� সবার� প্রিয়� উপন্যাসে উপভোগ্� হবেন� এম� কোনো লাইন নেই। আবুল, মকবু�, মন্ত�, টুনি, আম্বিয়া, ফকিরের মা সহ আর� সবাই যে� পুরো একটা দেশে� কথ� বলে। টুনি� জন্য মায়� হয়। শান্তি� হাটে� ওই রাতে� পর যে� মেয়েট� মন্তুর মন� জায়গা কর� নিছিলো,যে� মেয়েট� একসময় মোহে পড়ে স্বামী� মৃত্যু চাইত� সে কেমন / কে� হটাৎ অনেক বড� হয়ে গে�, কে� কে� গাছে ফাঁস লাগাতে গিয়� পারলোন�, কে� সুযো� থাকা� পর� মন্তুর হা� ধর� সেদি� টুনি চল� গেলোনা, এস� কিছু একটু একটু কর� গুছিয়� যে কতোট� সুন্দর কর� লিখেছে� লেখক কিছু বলার অবকা� রাখেনা�
১১ বছ� পর� পড়ে অনেক কিছু লিখব ভাবছিলাম� লিখত� এস� কিছু পাইনা। আসলে যা লিখব তা � কম পড়ে যায়� তখনো ঠি� যতোট� উপভো� করেছিলাম, আজ� ঠি� ততোটাই করেছি। ভালোবাসা� একটা বই� ❤️
বাংল� সাহিত্যে পরকীয়� শব্দটি পুরাতন� তব� ব্যবহৃ� অত্যাধিক� এব� অভিযোগ এইযে সাহিত্যে পরকীয়ার কারন� সভ্য সমাজ� অসভ্যর� এইসব অবৈধ প্রণয়� জড়ি��়ে পড়ছে। পরকীয়� প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে অনেকেই হাজা� বছ� ধর�, পদ্ম� নদী� মাঝি উপন্যা� হিসেবে টানেন। এই দুইটাক� টানা� একটা বড� কারণ দুইট� উপন্যা� ছাত্�-ছাত্রীদে� পাঠ্যে ছি� বা আছে।
তো সাহিত্� পড়ে আপনি পরকীয়াত� যদ� জড়িয়� পড়ে� সেটা সাহিত্যে� দো� নাকি আপনা� সেটা অন্য আলাপ� তো অনেককে� বলতে দেখি হাজা� বছ� ধর� উপন্যা� পড়ে পরকীয়াত� আসক্� হয়েছেন। উপন্যাসট� উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের খারা� করেছে। ইত্যাদি।
প্রতিট� উপন্যাসই আপনাকে ভাবাবে, তাড়িত করবে ভাবনার দিকে� কিংব� করবে প্রভাবিত� যদ� না কর� থাকে সেক্ষেত্রে আপনি উপন্যাসট� বুঝেনন� কিংব� উপন্যাসে বোঝা� মত� কিছু নেই।
প্রথমে যেটা জানা দরকা� তা হল� নামকরণ� একটা উপন্যাসে� না� হাজা� বছ� ধর� কে� হলো। অন্য নামই বা কে� দিলে� না লেখক� সেটা জরুরী� উপন্যাসে যদ� আপনি শুধু মন্ত� এব� টুনি� একটা সম্পর্ককেই অধিক গুরুত্� দিয়� থাকে� তাহল� আপনা� কা� সাহিত্� চর্চ� না� বর� এট� বলতে পারে� অনেক গুলো বিষয়ে� মধ্য� এট� একটা�
এইযে মকবু� বুড়� তা� স্ত্রীদে� দিয়� গরুর কা� করায়। গরুর বিকল্প হিসেবে ব্যবহা� করে। আবহমান কালে� বাংলাত� ঠি� এমনটায� ছি� স্ত্রী� মূল্য। হিরণকে বিয়� দি� হা� বল� জম� দেখে� সে� পিচ্চি হিরণ দুইদিন বাদে তালা� প্রাপ্তা হলো। আবুল পিটিয়� পিটিয়� বউদে� মেরে ফেলে কোনো বিচা� নেই। এইখানে নারী� যে হীনঅবস্থ�, নারী� যে পরাধীনত�, নারী� যে অসহায়াত্ব, এসবই বিষয়। এসবই একেকটা পরিচয় এই উপন্যাসের।
এইযে কথায� কথায� বউ তালাক। গ্রাম্� কুসংস্কার। ওলার আক্রমন� গ্রা� শূণ্য। গ্রাম্� জীবন� এক কষ্ট, হতাশা। ফসলে� চাষে� জন্য বৃষ্টি� অপেক্ষা। একজোড়� বল� জীবনের চেয়� যেখানে মূল্যবান�
তব� হ্যা� আকর্ষনীয় ব্যপারটা হল� মন্ত� এব� টুনি� একটা কিশোরি� মনের ভা�, মনের সংকল্প, মনের চঞ্চলত�, আবেগ, ভালোবাসা� যে বৃদ্ধে� কাছে শুয়� থাকল� মন পড়ে থাকে আরেকখানে� যে মন্তুক� পাবা� জন্য যেভাবে চক্রান্ত করে। যে ভবিষ্য� পরিকল্পনা। কিংব� বাপে� বাড়� মন্তুক� নিয়� রাতে খেজু� রসের সন্ধান� বে� হওয়া। এসবই নারী� আরেক রূপ। নারী স্বার্থে� জন্য যা কর� আবার আবেগ� তা পরিত্যাগ� করে।
উপন্যাসে মকবুলে� মৃত্যু� পর নদী� বুকে নৌকা ভাষানো অবস্থায় মন্ত� যখ� বিয়ের কথ� বলে। তখ� নারী� আরেক রূ� বে� হয়। � যে� কিশোরী থেকে প্রাপ্� বয়স্ক কোনো নারী� যে অসহায়ত্বে� করুণ মুখোচ্ছব� ফুটে উঠ�, বল� তা আর অয়ন� মিঞা তা আর অয়না। এইখানে পুরুষে� আরেক অসহায়ত্� প্রকাশ পায় মন্তুর হা� থেকে বৈঠা ছুটে গিয়ে।
এইযে এক� এক� চল� যাওয়া ওপারে। সে� একান্নবর্তী একটা সমাজের কর্ত� হয়ে উঠ� মন্তু। যে নন্ত� শে� সারাজীবন মানুষে� জন্য কব� খুঁড়েছে সে দায়ীত্� মন্তুর� যে মকবু� প্রতিনিধিত্ব করেছ� সে দায়ীত্� মন্তুর� দুজনকে পরামর্� দিবে সে দায়ীত্� মন্তুর� মানে এই যে একটা পরিবর্তন� এই শূণ্যত� পুরনের অভিযাত্রা। � একদিনে� নয়।
আবুল নে�, মকবু� নে�, সুরু� আলী নেই। কিন্তু রা� হয� দি� আসে। সূর্� উঠে। সুরু� আলী� জায়গাতে তা� ছেলে পুঁথ� পড়ে� রা� বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে� পশ্চিম আকাশ� চাঁদ হেলে পড়ে� রা� জাগা পাখি� ডাঁন� ঝাপটানোর আওয়াজ পাওয়া যায়� � হাজা� বছ� ধর� চলছে� হাজা� বছ� ধর� সে� পুরাতন চাঁদ, পুরাতন সময়, পুরাতন রাত।
কিছু কিছু বই পড়ল� ভেতরের বোবাকান্নাগুলো দল� পেকে বে� হয়ে আসতে চায়� বাক্যহার� হয়ে শূন্� দৃষ্টিতে চেয়� থাকা লাগে� � বই নিয়� কিছু বলার ভাষা আপাত� রপ্ত করতে পারছ� না কে� যেনো!
মন্ত�, টুনি, আম্বিয়া,সুরত আলী, মকবু�, ফকিরের মা, গন� মোল্লা এই চরিত্র গুলো� সাথে মন� হয� কত বছরে� সখ্যতা আমার! আর কত দিনে� হৃদ্যত�!
হাজা� বছ� ধর� এই বইয়ের কথ� মন� রাখত� চাই। একটা ঘো� আমাক� আষ্টেপৃষ্ঠ� জড়িয়� ধরেছে।
বে� কিছুদি� আগ� আমাক� একজন বলেছিল গ্রামী� জনপদ� পরিবর্তন সহজে আস� না� যারা পরিবর্তন আনতে পারে তারা চায় না বা শহরমুখী হয়ে যায়� তা� গ্রামে� মানুষদের চিন্তা � জীবনযাপন বছরে� পর বছ� অপরিবর্তিত থেকে যায়� বইটা পড়া� সময় কথাট� বারবার মন� পড়ছিল� হাজা� বছ� পর� কি তেমন কোনো পরিবর্তন চোখে পড়ে?
পরী দীঘিকে ঘিরে গড়ে উঠেছ� বে� কিছু গ্রাম। তব� এককালে এই দীঘি ছি� না� লোকমুখ� শোনা যায় পরীরা এই দীঘি বানিয়েছিল� দীঘিকে ঘিরে রুপকথা� গল্প প্রচলি� থাকলেও দীঘি কেন্দ্রি� মানুষগুলোর জীবন রুপকথা� গল্পের মত� নয� বর� বড়ো� কঠিন� ছো� গ্রামটার অতিপরিচি� ব্যক্ত� মকবু� শিকদার� শিকদার বাড়িত� মো� আট ঘর লোকে� বাস। আশ� বা নব্ব� বছ� আগ� বুড়� কাশে� শিকদার � বুড়� ছমির� বিবি বন্যাত� ভেসে এই গ্রামে এসেছিল� তারপ� গড়ে তোলে স্বপ্নের বাড়ি। কিন্তু বুড়ির কপাল� সু� বেশিদি� ছি� না� নিজে� দুনিয়� আরেকজনের হাতে গছিয়ে দিয়� চর� বেদন� নিয়� চল� যায় না ফেরা� দেশে�
শিকদার বাড়ির কর্ত� বুড়� মকবুলে� তি� বউ� বড� বিবি আমেনার ঘর� আছ� তা� একমাত্� কন্য� হীরন� মে� বউ ফাতেমা অসুস্থ থাকে প্রায়� ছো� বউ টুনি ছটফট� কিশোরী� বাড়ির অন্যান্য ঘর� থাকে ফকিরের মা, আবুল, রশিদ � মন্তু। মন্তুর সাথে টুনি মাছধরে, শাপল� তুলে আনে। দিনগুল� এভাবেই চল� যাচ্ছি� কিন্তু শান্তি� হাটে কাটানো কিছু মূহুর্� বদলে দিলো সব! ঘরবাঁধার কথ� ভেবেছি� যা� সাথে তা� বদলে এখ� যে হৃদয়ে অন্য কারো বা�! এক বিয়েত� শিকদার বাড়িত� আনন্দোৎস� শুরু হয়েছি� কিন্তু... আরেক বিয়ের কথ� উঠতে� ধ্বং� হয়ে গেলো সব!
অনেক অল্পসময়� নশ্ব� পৃথিবীতে ছিলে� জহির রায়হা� তবুও তিনি দিয়� গেছে� অসাধার� কিছু সাহিত্যকর্ম। "হাজা� বছ� ধর�" আমার পড়া জহির রায়হানে� চতুর্থ বই� কলেবরে লেখা� পরিস� ছো� হলেও মূলভাবের বিস্তৃতি ব্যাপক� এই বই� তা� প্রমাণ� সাধারণ একটা গল্প তুলে ধরেছেন গ্রামী� জনপদের কিন্তু কি জীবন্ত! বইয়ের প্রতিট� চরিত্র কাল্পনিক হলেও এম� চরিত্রের দেখা আমরা অহরহ পাই। চরিত্রগুলো� আছ� নিজস্ব কাহিনি, আর এই কাহিনিগুলো জুড়� গেছে একসাথে�
কী আছ� এই বইয়�?
বৃষ্টি� সংস্পর্শ� রুক্� জমিন আবার� যে� জীবন ফিরে পায়... মাটি� সাথে যুক্� মানুষগুলোও� তুমু� বর্ষনে তলিয়ে যায় চারিপাশে� সব... মানুষে� জীবন হয়ে যায় দুর্বিষহ� আছ� কঠোর সংগ্রা�, কুসংস্কা�, ধর্মীয় গোঁড়ামি, নারী নির্যাতন, যৌতু� প্রথ�, বাল্যবিহাহ, বহুবিবাহ, নিষিদ্� প্রে�, স্বপ্ন, কষ্ট, অপূর্ণতা তব�... সবকিছুকে ছাড়িয়ে যেটা চোখে পড়েছে সেটা হল� একতা� বুড়� মকবু�, রশিদ, আবুল, মন্তুর মধ্য� যত� বিরো� হোকন� কে� যখ� প্রশ্ন আছ� বংশে� তখ� সবাই আবার� এক হয়ে যায়� বইয়ের কোনো নির্দিষ্� চরিত্রকে আম� মূ� চরিত্র বলবো না� প��রতিটা চরিত্র� আমার কাছে কেন্দ্রীয় চরিত্র� আলোচনা কমবেশি আছ� কিন্তু গুরুত্� কারো কম মন� হয়নি।
সমাপ্ত� এভাব� হব� ভাবি না� কিন্তু বলতে বাধ্� হচ্ছ�, এমনট� নাহলেই বর� মানাতো না� অদ্ভুত সুন্দর একটা উপন্যাস। পড়ত� যেয়� এতটা� মজ� গেছিলা� যে চরিত্রগুলো� কাজে� জন্য আনন্দও হয়েছে তো আবার কখনও রাগ। আবুল যখ� এক� এক� তা� স্ত্রীদে� মেরে কবরে পাঠানো শুরু কর� রাগে ব্রহ্মতালু জ্বল� গেছিল। হালিমা যখ� আত্মহত্য� করার চেষ্টা কর�; কষ্ট হচ্ছিল� ফকিরের মা'� কান্ডকারখানা দেখে হাসি� পেয়েছে। হীরনের বিয়েত� যখ� পুরো গ্রা� আনন্দে ভেসেছে আমার� আনন্� লেগেছে� আবার টুনি যখ� বুড়� মকবুলক� আবার বিয়ের বুদ্ধি দেয় রাগে পড়া বন্ধ কর� দিয়েছিলাম� টুনিকে আচ্ছাম� সাজা� দিতে মন চাচ্ছিল। হু� কর� সব শে� হয়ে গে�! পুরো একটা পরিবার ভেঙে গে�! কিন্তু পর� টুনি� জন্য খারাপও লেগেছে� পছন্দে� মানুষক� পেয়েও যেতে দিয়েছে। বিবেকে� দংশন নাকি লোকলজ্জায়? জানি না� তব� সবচেয়� বেশি নাড়� দিয়েছ� "ছমির� বিবি"� হাসত� হাসত� নিজে� একমাত্� প্রিয় মানুষক� তা� সুখে� জন্য অন্য কারো হাতে দেওয়া এতোই সহ�? কিছু মানু� শুধু দিয়েই যায় কিন্তু প্রতিদান� কিছু� আশ� কর� না!
আম� সত্যিই দ্বিধান্বি� এই বইটি সম্পর্কে কিছু লিখতে। কিছু উপলদ্ধ� থাকে যেগুলো শব্দের আশ্রয়� প্রকাশ কর� যায় না, অনুভূতির আশ্রয়� প্রকাশ করতে হয়। তবুও আম� সে� অনুভূত� থেকে কিছু অভিব্যক্তি লেখা� চেষ্টা করবো�
সেখানে লেখক ভারতের গ্রামী� জীবন সম্পর্কে Sir Charles Matcalfe এর উক্তিট� তুলে ধরেছিলেন�
“They seem to last where nothing else last. Dyanasty after dynasty tumbless down. Revolution succeeds revolutions! Hindu, Pathan, Moghul, Maratha, Sikh, English are masters in turn, but the village community remains the same.�
আপাতদৃষ্টিতে এই কাহিনী� প্রেক্ষাপট বড্ড সাদামাটা� একটি দীঘিকে কেন্দ্� কর� কয়েকট� গ্রামে� পত্তন। না� পরির দীঘি� সে� দীঘিকে ঘিরে কিছু রূপকথা� গল্প� দীঘি� পাড়� একটি গ্রামে� বাড়ির ছো� ছো� খুপর� ঘর� আটটি পরিবারের খেঁট� খাওয়া মানুষে� বাস। সে� বাড়ির না� শিকদার বাড়� যেখানে কে� নিজে� স্ত্রীদে� দিয়� কায়িক শ্রম দিয়� উপার্জ� কর�, কে� অন্যের জমিত� চা� কর�, আবার কেউব� এত পরিশ্রমে� মাঝে� পুঁথ� পা� কর� অন্যদে� বেঁচ� থাকা� রস� জোগায়� অন্যদিকে তাঁদের পরিশ্রান্ত জীবনাচরণ যা� অনেকটা� কুসংস্কা� প্রভাবিত�
কিন্তু এই প্রত্যন্� অঞ্চলে� জীবনবোধে� গল্প একটু� সাদামাটা নয� বর� প্রজন্� পর প্রজন্মক� তাঁদের এই জীবনবো� নিয়� গভী� ভাবে চিন্তা করতে বাধ্� করেছে। আম� কাহিনীতে বিস্তারি� যাবো না� শুধু উপন্যাসে যেসব চরিত্র আমাক� প্রভাবিত করেছ� তাঁদের সম্পর্কে কিছু বলার চেষ্টা করবো�
এই উপন্যাসে� নায়� মন্তু। শিকদার বাড়ির একমাত্� অকৃতদা� পুরুষ। বাড়ী� প্রধান অভিভাব� মকবু� বুড়োর কনিষ্ঠ� স্ত্রী টুনি বয়সের কারণেই সম্ভবত মন্তুর মাঝে নিজে� বন্ধ� খুঁজ� নিয়েছিলো। সে� নিদ্রাহী� মা� ধরার রা� গুলো� বাপে� বাড়� থেকে ফিরে আসার নৌকাযাত্রায় মন্ত� টুনিকে এতটা কাছে পেয়েও নিজে� সীমা লঙ্ঘনে� চিন্তা মন� ঠা� দেয়নি� একজন অশিক্ষিত গ্রামে� খেঁট� খাওয়া যুবকের সহিষ্ণুতার মাঝে আমরা দেখত� পা� এদেশের লক্ষ মন্তুক� যাদে� কাঁধ� রেখে আজ নিঃশ্বাস ফেলে অর্জিত নব্য সভ্যতা� কিন্তু আজ তথাকথি� শিক্ষি� পুরুষেরা যখ� নারীদে� অসম্মা� কর� তখ� � হাজা� বছরে� পুরাতন মন্তুর কাছে তারা যে কিভাবে হেরে যায় তারা হয়ত� সে খব� রাখেনা�
পরপর দু� স্ত্রীকে হত্য� করার পর আবুলের তৃতীয় স্ত্রী হালিমা যখ� মৃত্যু� মুখে ঢল� পর� আমার খারা� লাগেনি� কারণ হালিমা� অতী� হয়ন� তারা আজ� বর্তমানক� দখ� কর� রেখেছে� হাজা� বছ� ধর� পশুর� পশুই রয়ে গেছে� তা� আজ� প্রতিদিন কো� না কো� হালিমা কো� না কো� আবুলের হাতে মৃত্যু� কোলে ঢল� পর� নিঃশব্দে�
বুড়� মকবুলে� মৃত্যু� পর যখ� মন্ত� টুনিকে যখ� শান্তি� হাঁট� নিয়� বিয়� করতে চাইলো। তখ� টুনি অতিচাপ� স্বর� ফিসফিস কর� বলেছিল, “ন� তা আর হয়ন� মিয়া। তা আর হয়না”। কে� টুনি তা� আরাধ্য প্রেমক� প্রত্যাখান করেছিল যা� জন্য সে প্রতিবেশী রশীদে� স্ত্রী সালেহাকে নির্মমভাবে প্রহার করতে� দ্বিধা করেনি। হয়ত� স্বামী বুড়� মকবুলে� মৃত্যু জন্য নিজে� দায়বদ্ধতা এড়াতে পারেনি� তা� বিবে� তাঁক� এক মূহুর্তে জন্য ভুলত� দেয়নি, সে আম্বিয়াকে বিয়� করার মন্ত্রনা দিয়� মকবু� বুড়োক� দিয়েছ� সেখা� থেকে উৎপন্ন বচসায় আবুলের আঘাতেই মকবু� বুড়োর মৃত্যু হয়। বিবেকে� দংশনের একজন স্বল্প বয়সী তরুণী তা� সমগ্� জীবন নিঃসঙ্গতার অন্ধকারে ডুবিয়� দেয়� এম� প্রায়শ্চিত্তে� যে জীবন দর্শ� যে নারীরা বুকে ধারন কর� গ্রা�, শহ�, অতী�, বর্তমা� দিয়� তাঁদের কি আসলে� বিচা� কর� যায়?
ব্যক্তিগ� অভিমতঃ
শী� যায়, আস� বসন্ত। আস� নতুন যুগ। হাজা� বছরে� পরম্পরায� ভাঁট� দিয়� এসেছ� একাবিং� শতাব্দী� অন্ধকা� রাত্রি পেরিয়� এই শতাব্দী� নিজেকে আলোর স্বত্বাধিকারী দাবী করে। কিন্তু আল� মানে কি শুধু যন্ত্রের উৎকর্ষতা� মানে কি শুধু ভালো খাওয়া, ভালো পরা। নতুন শতাব্দী� আল� যদ� তরুণের মাঝে মন্তুর মত সহিষ্ণুত�, সম্মানবো� জাগ্রত করতে না পারে, টুনি� মত জীবনকে বিবেকে� দৃষ্টিতে না দেখত� না পারে, সুরত আলী� পুঁথ� পাঠে� মত স্বস্ত� না দিতে না পারে সে� আল� ব্যর্থ�
সুখে� সন্ধানের মানু� আজ স্বস্তির অর্থ ভুলে গেছে� আজ� মন্তুর � ছাউন� দেয়� ছোট্� নৌকাটায় টুনিকে নিয়� কখনো স্রোতে� অনুকূল আবার কখনো প্রতিকূল� ভেসে বেড়ান�, মাঝপথে মুঠো মুঠো শুকন� চিড়� নিঃশেষ করার মাঝে� সু� লুকিয়� বাঁক� হাসে� আর সবাই তাঁক� দা� দিয়� কেনা মানুষে� ভিড়� খুঁজ� মরে। �
কোনো ধরণে� প্রত্যাশ� ছাড়াই বই পড়লেই হয়ত সবচেয়� বেশি ভা� লাগে� "হাজা� বছ� ধর�" বইটা কোনো প্রত্যাশ� না নিয়েই শুরু করেছিলাম� সেকারণেই হয়ত এতটা চমকে দিল।
বইটা� গল্প খুবই সাধারণ� একটা গ্রামে� কিছু মানুষে� একদম সর� জীবনের গল্প� কিন্তু তা� মধ্য� রয়েছে আর� গভী� বিষয়। তাদে� মানসিক টানাপোড়েনের-নিজেদে� মধ্যের সম্পর্কে� গল্প� বইয়ের প্রত্যেকটি চরিত্র বিশে� কর�, মকবু�,আবুল,মন্ত�,টুনি,সুরত আলী,আম্বিয়া,আমেন�, ফাতেমা,হীরন এদের সাথে যে� একদম জড়িয়� গেছিলাম। হৃদয� ছুঁয়ে যাবা� মত ছি� একদম� আর বর্ণনা! কী সুন্দর গ্রামে� বর্ণনা দিয়েছেন জহির রায়হান। চোখে� সামনেই সব ভেসে ওঠ�,সব অনুভ� কর� যায়� আমার মত�, বাংল� সাহিত্যে� ক্লাসিকে� মর্যাদ� পাওয়া� যোগ্� এই বই� শেষে বইয়ের একটা জায়গা� উদ্ধৃত� দিচ্ছি- "বুড়� মকবু�,রশী�,আবুল,সুরত আলী� কে� নেই। জীবনের হাটে সক� বেচাকেনা শে� কর� দিয়� একদি� অকস্মা� কোথায় যে� হারিয়� গেছে ওরা।"
আমার স্পষ্ট মন� আছে। অষ্ট� শ্রেণীতে থাকত� আমার খালামণির কা� থেকে বইটা নিয়� এক বসায� পড়ে শে� করেছিলাম জহির রায়হা� এর অসাধার� এই সৃষ্টি� পরবর্তিত� আর� কয়েকবার পড়লেও বইটি এখনো আমার কাছে নতুন�
উপন্যা� টি বটগাছে ঘেরা একটি পথের কথ� বল� হয়েছে� কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রা� থেকে কুমিল্লা� আমার বাড়� কুমিল্লা শহ� থেকে কিছুটা দূরে� ১৭ টি বসন্� পা� করলে� কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রা� যাওয়া� সৌভাগ্� এখনো হয� নাই। তা� ওই বটগা� ঘেরা পথের কথ� � শুনি নাই।
উপন্যা� � আসি। এট� দীর্� একটা সময় ধর� ৯ম -১০� শ্রেণী� পাঠ্� ছিল। যে� কারন� বল� যায় এই উপন্যাসখান� বাংলাদেশের সবচেয়� বেশিবা� পঠিত উপন্যা� গুলো� একটি�
এই উপন্যাসে� গুরুত্� অন্য জায়গাতে� আছে। দারিদ্রে� বাস্তবতা করুণ ভাবে উঠ� এসেছ� এতে। কিছুটা উল্লেখ কর�,
মাধ্যমিক� পাঠ্যব� হিসেবে থাকা� সুবাদে এর আগ� বহুবার পড়া হয়েছে এই বই� অনেকদি� পর আবার� পড়লাম� এতদি� পর� এসেও বইটা� আবেদ� একবিন্দু� কম� যায়নি আমার কাছে� প্রতিবার� যখ� পড়ি, সে� এক� ভালোলাগা কা� কর� যা প্রথমবার পড়া� পর হয়েছিল। শেষে� পৃষ্ঠাগুলোতে এস� এক অদ্ভুত বিষণ্ণতায় চেপে ধর� মন� আমার সবসময়ের প্রিয় বইগুলো� মধ্য� এট� একটা�
�.�/� অনেক আগ� বইটি অবলম্বনে তৈরি সিনেমাটি দেখা হয়েছিল।মন্ত� চরিত্র� রিয়াজ আর টুনি চরিত্র� শশী অভিনয় করেছিলেন।পড়ার সময় সিনেমা� দৃশ্যগুল� চোখে� সামন� ভাসছিল�
আমার কাছে যেকোনো উপন্যাসে� বর্ণনাভঙ্গ� অনেক গুরুত্বপূর্ণ।শুধুমাত্র বর্ণনাভঙ্গির জন্য� একদম সাধারন কাহিনি� অসাধার� হয়ে উঠতে পারে।এ� উপন্নাসটির বর্ণনাভঙ্গিত� খু� একটা ���ৈচিত্র্� পাইনি।একদম সহ� সাবলীলভাবেই কাহিনি এগিয়েছে�
পড়া শুরু� পর শে� পৃষ্ঠা� আগ পর্যন্� একদম� সাধারণ মন� হয়েছি� উপন্নাসটিকে।সহ� সর� কাহিনি� ভেতরের মর্মস্পর্শী আবেদনটিক� যে তখনো ধরতে পারিনি।শেষ পৃষ্ঠায় এস� উপন্যাসটির প্রত� অনুকল্পি� ধারণাট� আমূল বদলে যায়।আমি অবাক হয়ে জহির সাহেবে� কালজয়ী এই সৃষ্টি� মর্ম ধরতে সক্ষ� হই।জহি� সাহে� তাঁর সাহিত্যি� প্রজ্ঞ� ব্যবহা� কর� কি নিপু� হাতে মাত্� ৬৪ পৃষ্ঠা� ছোট্� বইটিতে পুরো মানবজীবনের ইতিহাস টুকে ফেলেছে� ভাবত� গেলে অবাক না হয়ে পারা যায় না�
জন্ম-মৃত্যু, রো�-শো�, হিংস�, ভালোবাসা, যৌবনের ব্যর্থ প্রে�, পৃথিবীতে উত্তরসূরী রেখে যেতে চাওয়া� তীব্� আকুলতা, সর্বোপরি মানবজীবনের ধারাবাহিকত� সব� উপস্থি� এতে।টুনি চরিত্রের একটি বিষয� অসাধার� মন� হয়েছে।য� টুনি সবসময় বুড়� মকবুলে� মৃত্যু কামন� করতো, সে-� বুড়োর মৃত্যু� পর কেদে� বু� ভাসিয়েছে।মানু� আবেগ�, সময়� আবেগ�, অসময়ে আবেগি।মানুষে� আবেগের রূপায়নে� মাধ্যম� হাজা� বছরে� ইতিহাস এক� ফেলত� পারাতে� জহির রায়হানে� � উপন্যাসটির সার্থকতা�
'Hajar Bochor Dhorey' tells the tale that is a constant for thousand years. Must read for any Bangladeshi. I read it in school and still consider it as the most insightful novel that symbolize the lives of "Bangla Souls".
রা� বাড়ছে... হাজা� বছরে� পুরানো সে� রা�... কিছু উপন্যা� শুধু বইয়ের পাতায় নয� বর� মানুষে� জীবন� মিশে থাকে� উপন্যাসগুল� পড়ে মন� হয� মানুষে� জীবনের প্রতিফলন দেখা যায়� "হাজা� বছ� ধর�" এমনই একটি উপন্যা�
সাহিত্যি� মা� বিচারে অসাধার� হলেও , প্রত্যাশার পারদ নিয়� পড়ত� বসায� খু� বেশী ভালো লেগেছে তা বলবো না অন্যান্য বই এর তুলনায়। তব� অনেক সুন্দর ভাবে একটা সম্পূর্ণ গ্রা� তুলে ধর� তখনকার এক পল্লী গ্রা� এর সমাজের চিত্� খু� � নিপু� ভাবে ফুটিয়� তোলা হয়েছে �