ŷ

সারস্ব� 's Reviews > হাজা� বছ� ধর�

হাজার বছর ধরে by Zahir Raihan
Rate this book
Clear rating

by
49075931
's review

it was amazing


আম� সত্যিই দ্বিধান্বি� এই বইটি সম্পর্কে কিছু লিখতে। কিছু উপলদ্ধ� থাকে যেগুলো শব্দের আশ্রয়� প্রকাশ কর� যায় না, অনুভূতির আশ্রয়� প্রকাশ করতে হয়। তবুও আম� সে� অনুভূত� থেকে কিছু অভিব্যক্তি লেখা� চেষ্টা করবো�

বইটি� শে� উক্তিদ্বয় ছি�, “রাত বাড়ছে� হাজা� বছরে� পুরন� সে� রাত”। উক্তিট� পড়ত� যেয়� আমার তারাশঙ্ক� বন্দ্যোপাধ্যায়ে� বিখ্যা� উপন্যা� গনদেবতার একটি কোটেশন মন� পর� গিয়েছিলো।

সেখানে লেখক ভারতের গ্রামী� জীবন সম্পর্কে Sir Charles Matcalfe এর উক্তিট� তুলে ধরেছিলেন�

“They seem to last where nothing else last. Dyanasty after dynasty tumbless down. Revolution succeeds revolutions! Hindu, Pathan, Moghul, Maratha, Sikh, English are masters in turn, but the village community remains the same.�

হ্যা উপমহাদেশের সে� ভিলে� কমিউনিটি এক� রয়ে গেছে হাজা� বছ� ধরে। প্রজন্মে� পর প্রজন্� বেঁচ� থাকা� নিয়� পালন কর� গেছে অভিন্ন রীতিতে হাজা� বছ� ধরে। আর সে� হাজা� বছরে� অকৃত্রিম বেঁচ� থাকা� ইতিহাসের দলিল হল� জহির রায়হানে� হাজা� বছ� ধর� উপন্যাসটি।

উপন্যাসে� নামঃ হাজা� বছ� ধর�
লেখক� জহির রায়হা�
প্রকাশনী� অনুপ�
প্রকাশকালঃ অক্টোব�, ২০১২
পৃষ্ঠাসংখ্যা� ৬৪
জনরা� সামাজি�
পুরস্কার� আদমজী সাহিত্� পুরস্কার (১৯৬৪)
চলচিত্রঃ হাজা� বছ� ধর�/Symphony of Agony (২০০৫)

আপাতদৃষ্টিতে এই কাহিনী� প্রেক্ষাপট বড্ড সাদামাটা� একটি দীঘিকে কেন্দ্� কর� কয়েকট� গ্রামে� পত্তন। না� পরির দীঘি� সে� দীঘিকে ঘিরে কিছু রূপকথা� গল্প� দীঘি� পাড়� একটি গ্রামে� বাড়ির ছো� ছো� খুপর� ঘর� আটটি পরিবারের খেঁট� খাওয়া মানুষে� বাস। সে� বাড়ির না� শিকদার বাড়� যেখানে কে� নিজে� স্ত্রীদে� দিয়� কায়িক শ্রম দিয়� উপার্জ� কর�, কে� অন্যের জমিত� চা� কর�, আবার কেউব� এত পরিশ্রমে� মাঝে� পুঁথ� পা� কর� অন্যদে� বেঁচ� থাকা� রস� জোগায়� অন্যদিকে তাঁদের পরিশ্রান্ত জীবনাচরণ যা� অনেকটা� কুসংস্কা� প্রভাবিত�

কিন্তু এই প্রত্যন্� অঞ্চলে� জীবনবোধে� গল্প একটু� সাদামাটা নয� বর� প্রজন্� পর প্রজন্মক� তাঁদের এই জীবনবো� নিয়� গভী� ভাবে চিন্তা করতে বাধ্� করেছে। আম� কাহিনীতে বিস্তারি� যাবো না� শুধু উপন্যাসে যেসব চরিত্র আমাক� প্রভাবিত করেছ� তাঁদের সম্পর্কে কিছু বলার চেষ্টা করবো�

এই উপন্যাসে� নায়� মন্তু। শিকদার বাড়ির একমাত্� অকৃতদা� পুরুষ। বাড়ী� প্রধান অভিভাব� মকবু� বুড়োর কনিষ্ঠ� স্ত্রী টুনি বয়সের কারণেই সম্ভবত মন্তুর মাঝে নিজে� বন্ধ� খুঁজ� নিয়েছিলো। সে� নিদ্রাহী� মা� ধরার রা� গুলো� বাপে� বাড়� থেকে ফিরে আসার নৌকাযাত্রায় মন্ত� টুনিকে এতটা কাছে পেয়েও নিজে� সীমা লঙ্ঘনে� চিন্তা মন� ঠা� দেয়নি� একজন অশিক্ষিত গ্রামে� খেঁট� খাওয়া যুবকের সহিষ্ণুতার মাঝে আমরা দেখত� পা� এদেশের লক্ষ মন্তুক� যাদে� কাঁধ� রেখে আজ নিঃশ্বাস ফেলে অর্জিত নব্য সভ্যতা� কিন্তু আজ তথাকথি� শিক্ষি� পুরুষেরা যখ� নারীদে� অসম্মা� কর� তখ� � হাজা� বছরে� পুরাতন মন্তুর কাছে তারা যে কিভাবে হেরে যায় তারা হয়ত� সে খব� রাখেনা�

পরপর দু� স্ত্রীকে হত্য� করার পর আবুলের তৃতীয় স্ত্রী হালিমা যখ� মৃত্যু� মুখে ঢল� পর� আমার খারা� লাগেনি� কারণ হালিমা� অতী� হয়ন� তারা আজ� বর্তমানক� দখ� কর� রেখেছে� হাজা� বছ� ধর� পশুর� পশুই রয়ে গেছে� তা� আজ� প্রতিদিন কো� না কো� হালিমা কো� না কো� আবুলের হাতে মৃত্যু� কোলে ঢল� পর� নিঃশব্দে�

বুড়� মকবুলে� মৃত্যু� পর যখ� মন্ত� টুনিকে যখ� শান্তি� হাঁট� নিয়� বিয়� করতে চাইলো। তখ� টুনি অতিচাপ� স্বর� ফিসফিস কর� বলেছিল, “ন� তা আর হয়ন� মিয়া। তা আর হয়না”। কে� টুনি তা� আরাধ্য প্রেমক� প্রত্যাখান করেছিল যা� জন্য সে প্রতিবেশী রশীদে� স্ত্রী সালেহাকে নির্মমভাবে প্রহার করতে� দ্বিধা করেনি। হয়ত� স্বামী বুড়� মকবুলে� মৃত্যু জন্য নিজে� দায়বদ্ধতা এড়াতে পারেনি� তা� বিবে� তাঁক� এক মূহুর্তে জন্য ভুলত� দেয়নি, সে আম্বিয়াকে বিয়� করার মন্ত্রনা দিয়� মকবু� বুড়োক� দিয়েছ� সেখা� থেকে উৎপন্ন বচসায় আবুলের আঘাতেই মকবু� বুড়োর মৃত্যু হয়। বিবেকে� দংশনের একজন স্বল্প বয়সী তরুণী তা� সমগ্� জীবন নিঃসঙ্গতার অন্ধকারে ডুবিয়� দেয়� এম� প্রায়শ্চিত্তে� যে জীবন দর্শ� যে নারীরা বুকে ধারন কর� গ্রা�, শহ�, অতী�, বর্তমা� দিয়� তাঁদের কি আসলে� বিচা� কর� যায়?

ব্যক্তিগ� অভিমতঃ

শী� যায়, আস� বসন্ত। আস� নতুন যুগ। হাজা� বছরে� পরম্পরায� ভাঁট� দিয়� এসেছ� একাবিং� শতাব্দী� অন্ধকা� রাত্রি পেরিয়� এই শতাব্দী� নিজেকে আলোর স্বত্বাধিকারী দাবী করে। কিন্তু আল� মানে কি শুধু যন্ত্রের উৎকর্ষতা� মানে কি শুধু ভালো খাওয়া, ভালো পরা। নতুন শতাব্দী� আল� যদ� তরুণের মাঝে মন্তুর মত সহিষ্ণুত�, সম্মানবো� জাগ্রত করতে না পারে, টুনি� মত জীবনকে বিবেকে� দৃষ্টিতে না দেখত� না পারে, সুরত আলী� পুঁথ� পাঠে� মত স্বস্ত� না দিতে না পারে সে� আল� ব্যর্থ�

সুখে� সন্ধানের মানু� আজ স্বস্তির অর্থ ভুলে গেছে� আজ� মন্তুর � ছাউন� দেয়� ছোট্� নৌকাটায় টুনিকে নিয়� কখনো স্রোতে� অনুকূল আবার কখনো প্রতিকূল� ভেসে বেড়ান�, মাঝপথে মুঠো মুঠো শুকন� চিড়� নিঃশেষ করার মাঝে� সু� লুকিয়� বাঁক� হাসে� আর সবাই তাঁক� দা� দিয়� কেনা মানুষে� ভিড়� খুঁজ� মরে।



14 likes · flag

Sign into ŷ to see if any of your friends have read হাজা� বছ� ধর�.
Sign In »

Reading Progress

November 12, 2017 – Started Reading
November 12, 2017 – Shelved
November 13, 2017 – Finished Reading

No comments have been added yet.