পৃথু ঘো� চেয়েছিল, বড� বাঘে� মত� বাঁচবে� বড� বাঘে� যেমন হত� হয� না কারও উপ� নির্ভরশীল—ন� নারী, না সংসা�, না গৃ�, না সমাজ—সেভাবেই বাঁচবে সে, স্বরাট, স্বয়ম্ভ� হয়ে� তা� বন্ধ� ছি� তথাকথি� সভ্য সমাজের অপাঙক্তেয়রা� পৃথু ঘো� বিশ্বা� কর�, এই পৃথিবীতে এক নতুন ধর্মের দি� সমাসন্ন। সে-ধর্ম� সমান মা�-মৰ্য্যদা এব� সু�-স্বাধীনত� পাবে প্রতিট� নারী-পুরুষ। বিশ্বা� কর�, এই ছোট্� জীবন� বাঁচার মত� বাঁচতে হব� প্রতিট� মানুষকে। শুধু প্রশ্বাস নেওয়া আর নিশ্বা� ফেলা বাঁচার সমার্থ� নয়। কিন্তু সত্যিই কি এভাব� বাঁচতে পারব� পৃথু ঘো�? সে কি জানব� না, বড� বাঘে� মত� বাঁচতে পারে না কোনও নর� মানু�? জন্ম থেকে আমৃত্যুকাল অগণি� নারী-পুরু�-শিশু� হৃদয়ে�, শরীরে� দোরে-দোরে হা� পেতে ঘুরে-ঘুরে বেঁচ� থাকা� মানুষে� নিয়তি? এই পরিক্রমারই অন্য না� মাধুকর৶?
এক আলোড়ন-তোলা কাহিনী� মধ্য দিয়� জীবনের নতুন ভাষ্যেরই এক অসাধার� ভাষারূ� �-যুগে� অন্যতম জনপ্রিয় কথাকার বুদ্ধদেব গুহর এই বিশা�, বৰ্ণময�, বেগবান উপন্যাস। � শুধু ইঞ্জিনিয়া� পৃথু ঘোষে� বিচিত্� জীবনকাহিনী নয�, নয� “উওম্যান� লিব�-এর মূর্� প্রতী� তা� স্ত্রী রুষা� দ্বন্দ্বময� জীবনের গল্প, এমনক�, জঙ্গলমহলের অকৃত্রিম কিছু শিকড� খুঁজেফের� মানুষে� অজান� উপাখ্যান� নয়। �-সমস্� কিছু� মধ্য দিয়� তব� �-সমস্� কিছুকে ছাপিয়� 'মাধুকর৶' এই শতকে� মানুষে� জীবনের যাবতীয় অভিজ্ঞতা� ভিত্তিতে আগামী প্রজন্মে� মানুষে� সার্থকভাবে বেঁচ� থাকা� ঠিকানা � এই কারণেই বুঝি �-উপন্যা� উৎসর্গ কর� হয়েছে 'একবিংশ শতাব্দী� নারী � পুরুষদের' হাতে� সাধারণ পাঠকের মন � বুদ্ধিজীবী পাঠকের মনন—দ�-তন্ত্রীতে� একসঙ্গ� ঝঙ্কার তোলা� উপন্যা� 'মাধুকর৶'� এর কাহিনী, ভাষা, স্টাইল, জীবনদর্শ�, শ্লীলত�-অশ্লীলতার সীমারেখা—সবই নতুন� জীবনের প্রত� আসক্তি � আসক্তি� মধ্য� লুকিয়�-থাকা বিতৃষ্ণাকে যে-চমকপ্ৰ� ভঙ্গিত� ছড়িয়� দিয়েছেন বুদ্ধদেব গু�, যে-নৈপুণ্যে বর্ণনায় এনেছেন সূক্ষ্মত�, যে-কুশলতায় ছো�-বড� প্রতিট� চরিত্রকে দেখিয়েছেন চিরে-চিরে, যে-দক্ষতায় দেশি-বিদেশি অজস্� কবিতার ব্যবহার—স�-সব� এক ভিন্নত� অভিজ্ঞতা� মুখোমুখি দাঁড� করিয়ে দেয় পাঠককে � বাংল� সাহিত্যে ব্যতিক্রমী সংযোজন ‘মাধুকর৶�'�
Buddhadeb Guha (Bengali: বুদ্ধদেব গু�) is a popular Bengali fiction writer. He studied at the well-known St Xavier's College of the University of Calcutta.
His novels and short stories are characterized by their dreamy abstractness and romantic appeal. His essays reveal the soul of a true wanderer providing some of the most beautiful renditions of travel in Bengal. His love for forests and nature provide the background for many of his novels.
A highly successful chartered accountant by profession, and an accomplished musician, Guha is very urbane in his lifestyle. He was one of the first to create characters representing easy-going, upper middle-class modern Bengali families, whom readers could identify with, and that gave him instant popularity.
He is the recipient of many awards including Ananda Puraskar, 1976; Shiromani Puraskar; and Sharat Puraskar.
The Library of Congress has over fifty titles by him. His most famous novel, according to many, is Madhukori. It is considered a milestone in Bengali literature. He is also the creator of Rijuda, an imaginary character who moves about in jungles with his sidekick Rudra. The jungles that he wrote about were mainly in Eastern India.
শুধু যদ� জঙ্গলে� গল্প হত�, তব� একশোতে একশো দিতে পারা যেতো� কিন্তু গল্পটা যেহেতু শুধু জঙ্গলে� নয�, বর� জঙ্গলে� চেয়েও বেশি মানুষে� আর মানুষে� সম্পর্কে�, তা� স্যাটিসফায়ে� হওয়াট� কঠিন�
মূলত�, বাংল� সাহিত্যে বেশিরভাগ লেখাতে� আম� যে� জিনিসটির অভাববো� কর� সেটি হল দ্বন্দ্বের অভাব� একজনকে একতরফাভাবে ভালোত্বে পরিপূর্ণ কর� এব� আরেকজনকে একতরফাভাবে ভিলে� সাজিয়� লেখা গল্পগুলো কীভাবে� বা যু� যু� ধর� চল� আসছে, তা বুঝত� পারি না�
পৃথু আর রুষা� সম্পর্কটার যে টানাপোড়েন, সেখানে সব দো� শুধু রুষারই, পৃথু� যদ� দো� থাকে� সেটাকে মিনমিন কর� না বলার মত� বল�- আম� বল� � লেখকের পক্ষপাতদুষ্টতা না হলেও নারী� দৃষ্টিকো� থেকে বিষয়গুল� দেখত� পারা� অক্ষমতা। আর, পৃথু� মত মানু�, সবসময় "আম� আর দশজনের মত নই" ভাবত� থাকা মানুষদেরকে দূ� থেকে দেখত� হয়ত সুন্দর, পড়ত� ভা�, পরকীয়ায়ও হয়ত ভালই হবে। কিন্তু সাংসারিক মানু� হিসেবে এর� অচ� যে হয�, তা� দো� তা� স্ত্রীকে� পৌণপুনিকভাবে দিয়� যাওয়া হব�- এমনট� আম� আশ� করিনি।
মানু� জাতিগতভাবে পলিগ্যামাস, তব� কাঠামো� খাতিরে নিজেকে সে মনোগ্যামিত� বাঁধতে পারে বলেই সে মানুষ। লেখা পড়ে পড়ে সীওনী, মুক্কি, কানহার জঙ্গ� বা বানজার, হাঁল� নদী দেখা� যে শখ জাগল� সে� শখের জন্য� তি� তারা, বাকি দু'তারা কেটে রাখলাম গল্প মনপসন্� হয়ন� বলেই�
বইটা একটা সময়� গিয়� খু� অর্থহী� হয়ে পড়ে� আর এট� বে� দুঃখ জাগায়� মারদাঙ্গ� এক অংশে� পর কই জানি তলিয়ে যায় প্রায় পুরো কাহিনীটাই।
বুদ্ধদেব গু� নিঃসন্দেহে খু� শক্তিশালী একজন লেখক� কারন, একমাত্� তাঁর লেখা� গুনে� প্রচন্� এনটাইটেল্ড দু� প্রধান চরিত্রের প্রত� একেক সময়� তীব্� সমবেদন� জন্মায়। চরিত্রগুলো� বাস্তবতা নিয়� প্রশ্ন তোলা অবান্ত�, কারন, তারা সত্যিই মন� হচ্ছিল আশেপাশের চেনা অচেন� মানুষদের� প্রতিনিধিত্ব করে। খুবই ক্ষতিক� সব কা� কর� দুইজনই বে� উচ্চ পর্যায়ে� চিন্তা কর� নিজে যা� ক্ষত� করছে এব� যা� দ্বারা ক্ষতিগ্রস্� হচ্ছ� সবাইকে বে� মেনে নিয়� বড� সাজবার এক ভানসর্বস্ব প্রচেষ্টায� পুরো বই জুড়েই লিপ্� থেকেছে� বিরা� কলেবরে� বইটি পড়া যায় মূলত লেখনী � হাটচান্দ্র� নামক মধ্যপ্রদেশের এক কাল্পনিক এলাকার মায়াময় বর্ণনা� কল্যানে।
কিন্তু, শেষে এস� শারিরী� সম্পর্� নিয়� পৃথু� ভীষন বিরক্তিক� মনোল� মাথা ধরিয়ে দেয়� মন� হয�, বাংল� সাহিত্যে নায়কর� সব শেষমেশ এরকম হয়ে� কে� মহান সাজা� চেষ্টা কর�! নারীটিকে ছো� না কর� পর্যন্� মন� হয� জম� দখলে� সত্যিকারের আনন্� পাওয়া যায় না! পৃথু� শুরু� দিকে� উদাসী� ইমেজটা যত� মুগ্� কর�, শেষে সে� এক� উদাসীনত� এক ধরনে� অভিনয় বাদে কিছু� মন� হয� না�
তা�, বিশা� এই বই পড়ে সময় নষ্ট করেছ� মন� হয� না� কি জানি চুম্বকের মত� টেনে রাখে বইটা� প্রতি। শে� হল� হল দেখে খারাপও লাগায়� কিন্তু, কে� এরকম পাঠাভিজ্ঞত� পেতে হব� কো� বই থেকে? মিশ্� এই অনুভূতির জন্য� মন� হচ্ছ� হয়ত� শেষমেশ এই বই টিকব� না� ইতিমধ্যে� এই বইয়ের বেশিরভাগ ধ্যানধারনা খুবই হাস্যক� ঠেকে� মন� হয�, খু� সুক্ষভাব� লেখক চাইছেন মানু� তা� তুচ্ছত� � ঘৃন্� কাজে� জন্য� যে� খু� দারু� একটা দর্শনমেশান� অজুহাত খুঁজ� পাক। ব্যাপারট� বুঝত� পেরে মন� হয়েছে লেখা� এই অতুলনীয় দক্ষতা কতোভাব� মানু� নষ্ট কর�!
শেষে এটাই বলতে চা� যে, শুধুমাত্� অসাধার� লেখনী যথেষ্ট না পাঠকের মন পুরোপুরি বশ করার জন্য� চা� সত্যিকারের গভী� এক চিন্তা� জগৎও, যা মাঝে মাঝে এই বইয়� উঁকি দিয়� মিলিয়� গেছে� লেখক বড� বেশি অকাজের ভ্যালিডেশন খুঁজতে গিয়� দারু� এক জায়গায় কাহিনীকে নিতে অস্বীকা� করেছেন� আর সু্ন্দ� কর� লিখলেই অর্থহী� � সস্ত� সব ধারণ� গভী� হয়ে যায় না� অন্ত� এখ� শারিরী� সম্পর্� নিয়� এস� ‘বন্দি হয়ে গেলাম� মার্কা ন্যারেটি� পড়ে কো� গভী� ভাবনায� ডুবে যাবা� অবকা� নে� কারোর।
একজন পাঠক হিসেবে কিছুটা প্রাপ্তমনস্কতা এস� গেলে এই ধরনে� দর্শনে আর মজ� যাওয়া যায় না আসলে� কৈশোরে পড়ল� হয়ত� অবাক হতাম, নতুন লাগত ভাবনাগুলো। কিন্তু এখ� প্রে�, ভালোবাসা, নারী-পুরুষে� মনস্তাত্ত্বি� সম্পর্� নিয়� নিজে� একটা স্বচ্ছ দর্শ� থাকায় বইটি এলেবেলেই লাগল� আর� একটা বা� খু� জনপ্রিয় কো� বই পড়ত� গিয়� ধোঁক� খেলাম৷ এই শে�! আর না� নিজে� ইচ্ছার বাইর� গিয়� কেবল অনেক বেশি ভালো রেটি� বা ক্লাসিকে� তকমা পেয়� যাওয়া কো� বই আর পড়া যাবে না� শীর্ষেন্দু-সমরেশে� কিছু বই বা এট� অনেকবারই হতাশ করল।
আবার পড়ত� ইচ্ছ� করে। কিন্তু সাহস পা� না আবার� এলোমেল� হয়ে যাব—এ� ভয়ে� তা ছাড়� এর পা� অনুভূত� আজ� টাটকা।
প্রচণ্� খারা� সময় পা� করছিলা� দু� বছ� আগ� যখ� বইটি হাতে নিই। এট� ছি� আমার জন্য জখমে লাগানো জ্বালাধরান� কিন্তু চমৎকার কার্যকরী দাওয়াই। আর তা� 'মাধুকর৶' এব� এর স্রষ্টার কাছে আম� চিরকৃতজ্� থাকব� 'মাধুকর৶' পড়া� আগ� � পর� পড়া বুদ্ধদেব গুহর কোনো বই-� তেমন একটা তৃপ্তিকর ছি� না� তা সত্ত্বেও এই এক 'মাধুকর৶'� কারণেই তিনি আমার পছন্দে� লেখকের তালিকায় থেকে যাবে� জীবনভর�
(চা� তারা দেওয়া ছিল। তা বদলে এখ� পাঁচ দিলাম। দু� বছ� পেরিয়� গেলে� যে বইয়ের নেশা কাটেনি, প্রভাব� হিসেবে কা� করছে আজ অবধি, সে বইকে পাঁচ� পাঁচ না দিলে অন্যায� হব� ভেবে এই সংশোধন!)
বুদ্ধদেব গুহর একমাত্� বই যাকে � তারা দেয়� গেল। অন্য সময় এর থেকে� কম দিয়েছ� বোধয়।
প্রথমে ভা� দিকগুল� বলি। তা� লেখা অন্য অনেক উপন্যাসে� মতোই এতেও আছ� বন, জঙ্গ�, পাহাড়ের নান্দনিক মুগ্ধক� বর্ণনা� সে বর্ণনা এই বিশা� কলেবরে� বইটিকে উপন্যাসে� বদলে কাব্যগ্রন্� বল� ভ্রম ধরাত� পারে� যে� পাহাড়ী বনভূমিতে চাঁদের আলোর মত চুয়� পড়ছিল শব্দগুলো� মানুষে� হৃদয়ে� মাঝে ঘটতে থাকা টানাপোড়েনগুলো নিজেরা নিজেরা যুদ্� কর� আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপা� ঘটাব� নাকি তলিয়ে যাবে সেটা ঠাহর করতে করতে শে� হয়ে যাবে বই� বিভূতিভূষণের লেখনী� ক্ষন� ক্ষন� মন� পড়ে যাবে� সে� সাথে বাড়তি ভালোলাগা এই যে নানা� কব� আর লেখকের নানারক� কবিত� আর বইয়ের উদ্ধৃত� রয়েছে�
এবার� আস� মন্দ দিকে� পুরো উপন্যা� ৬৩� পৃষ্ঠার। তাতে গল্প কতখানি আর অযাচিত প্যানপ্যানান� কতোখান� সে ন��য়ে তর্ক কর� যাবে� প্রথ� অর্ধেক না পড়ে মা� থেকে শুরু করলে� গল্পের শুরু বা শেষে তা� কোনো প্রভাব পড়ত� বল� মন� হয়না। গল্প এম� আহামরি কিছু ন���� তবুও সেটাকে এম� টেনেটুনে লম্ব� করায� মন� হচ্ছিল হিন্দি সিরিয়ালের সহস্� পর্ব� যাবা� মত ঘটনা� তা� মাঝে শেষে� দিকে গিয়� খে� হারিয়� গিয়েছিল কেমন� অযাচিত আর আরোপিত লেগেছে অনেকখানি� যে চরিত্রকে যেভাবে আঁকত� চেয়েছেন তা� উল্টোটাই মন� হয়েছে বেশি� আর কো� সময়কে ধর� যে লেখা হয়েছে তা আল্লাহ মালুম। এত বড� কলেবরে� উপন্যা� হওয়� সত্ত্বেও মূ� চরিত্রগুলো� শেষে কী হল তা জানা যাবেনা� সেটা উৎসা� তৈরি না কর� বিরক্তির উদ্রেক করেছ� বেশি�
শতাব্দী� পর শতাব্দী পেরিয়� এস� মানু� আজ পেয়েছ� অত� আধুনিক সভ্যতা, সু� � স্বাচ্ছন্দ্য� নিজেকে প্রতিষ্ঠ� করার অদম্� সাহস, বুদ্ধি � মেধাকে কাজে লাগিয়� প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সমাজে। লা� -লজ্জ� � সমাজের বাঁক� দৃষ্টি তুচ্� এই প্রতিষ্ঠার কাছে� ফল� ছিড়েছ� অনেক বন্ধ�, হারিয়� গেছে অনেক মধুর কিছু সম্পর্ক। তব� এই প্রজন্মে� মানুষে� কাছে সম্পর্কে� বন্ধ� তুচ্� আত্মতৃপ্তি � একান্ত নিজে� সুখে� কাছে�
পৃথু ঘো� বিদে� থেকে বড� ডিগ্রী নিয়� ইঞ্জিনিয়ারি� পা� কর� দেশে ফিরে বড� একটা চাকর� করেন� ছো� বেলা� পছন্� কর� কুর্চি কে রেখে পরিবারের মতামতে� বিয়� করেন অসম্ভব সুন্দরী � শিক্ষি� রুষাকে�
রুষা নিজে� চাকর� করেন তা� সে কো� ভাবে� পৃথু� উপ� নির্ভরশী� নয়। তব� দু� ছেলেমেয়� � পরিবারের সব খর� পৃথু�, যদিও সে টাকা� দেয়� সংসারে� কোথায় কি ব্যায় তা পৃথু� দৃষ্টি� আড়ালে� থাকে� � উদাসিনতা চি� দিনেরই� ভালো বাসলেও তা� প্রকাশের উপায� জানা না� পৃথুর।
বাবা� সাথে জঙ্গলে গিয়� বা� মারা� নেশা ছিলো পৃথুর। এখ� সে নেশাটা নাই। আইনে� আর না� বা� মারা� অধিকার� তব� এখনও জঙ্গলে ঘুরত� পৃথু বেশী পছন্� করে। মেলামেশা কর� সমাজের কিছু নিম্নবৃত্ত লোকে� সাথে, যা রুষা� কো� দিনও পছন্� নয়। তা� পৃথু নিজে� বাড়ীতে� একা। কো� মতামতা বা জো� � বাড়ীতে পৃথু� নাই।
এইভাবে হয়ত� সময়টা গড়িয়� যেতে পারতো। তব� পৃথু� না প্রকাশ কর� ভালোবাসাটা না খুজে রুষা ভিনোদে� ভালোবাসায় হারিয়� যায়� সমাজ কে�, পৃথু� নিজে� দিকে� না তাকিয়� রুষা ক্রমাগ� ঝুকত� থাকে ভিনোদে� দিকে� কিন্তু....
বইটাতে পৃথু� বিচিত্� জীবন কাহিনী নয�, রুষা� দ্বন্দ্ব ময� জীবনের গল্প ফুটে তুলেছে� লেখক� এছাড়া� সব কিছুকে ছাপিয়� লেখক নতুন প্রজন্মে� মানুষে� জীবনের নানা সমস্যা, সীমাবদ্ধতা � জীবন চিত্রক� ফুটিয়� তুলেছেন। লেখকের� সে� সময়ের জীবনের অভিজ্ঞতা� ভিত্তিতে তিনি আগামী� জীবনকে উপলব্ধ� কর� সৃষ্টি করেছেন " মাধুকর৶"� তা� হয়ত� উৎসর্গ করেছেন "একবিংশ শতাব্দী� সক� নারী � পুরুষদের জন্য"�
৬৩� পৃষ্ঠা� এই বইটা পড়ে মন� হচ্ছ� লেখদের দৃষ্টিভঙ্গ� ঠি� এমনটাই� সে� সময়� না গিয়েও তিনি বইয়ের পাতায় আগ� থেকে� বন্দী করেছেন গোটা একটা শতাব্দী কে� হারিয়� যাওয়া কো� স্থা� বা কা� নয�, সামনের সময়কে তিনি আগেই দেখিয়� দিয়েছেন�
কিছু বই থাকে, যা� প্রতিট� লাইন লিখে রাখত� মন চায়, এই বইটা� তেমনই। তাছাড়� লেখক কিছু প্রিয় কব� মু�, � তাঁদের কবিত� অং� তুলে দিয়েছেন যা হয়ত� এই লেখকের সাথে সে� সব লেখদের� পাওয়া� বিখ্যা� কিছু স্থা� � জঙ্গলে� বর্ননা টা এম� ভাবে দেওয়া যে, এই বই হাতে কর� বেরিয়� পড়ল� সেখানে হয়ত� পৌঁছ� যাওয়া যাবে�
মাধুকর৶- আমার পড়া অন্যতম সেরা বাংল� উপন্যাস। পৃথু � রুষা� জীবনের কাহিনী নিয়েই � উপন্যাস। কিন্তু � শুধু এক নিছক কাহিনী নয�,� এক জীবনবো�, � এক অন্যরক� দর্শ�, নতুন আঙ্গিক� জীবনকে দেখা�
গল্পের নায়� পৃথু ঘো� নামক এক মধ্যবয়সী পুরু�, এই সভ্য পৃথিবী� আধুনিকতা যাকে কখনই ছুতে পারে নি� আধুনিকতা,বিলাসী জীবন- � সব কিছু� থেকে� জঙ্গ� তাকে বেশি টানে� শুরু� দিকে তাকে আর দশটা দুঃখবিলাসী ছন্নছাড়� নায়� মন� হত� পারে� প্রথ� দিকে মন� করেছিলাম, সে হয়ত এক অল� ধরণে� সাধারণ মানু�,যা� বেশিরভাগ সময়� কেটে যায় স্বপ্নের জগতে, কবিতার জগতে� কিন্তু যত� উপন্যাসে� কাহিনী এগোত� থাকে,এই ভু� ভাঙত� থাকে� না,পৃথু ঘো� কোনো অসাধার� মানু� নয�,বর� এই উপন্যাসে সে� একমাত্� সাধারণ মানুষ। অন্যদে� মত সভ্যতা� মুখো� পর� জীবনটা কাটিয়� দেয় নি সে,বর� মানুষে� মত� বেচেছে�
উপন্যাসট� অনেক বাস্তবধর্মী� চরিত্রগুলো� চিন্তা ভাবন�,অত্যন্� সুন্দর ভাবে ফুটিয়� তুলেছে� লেখক� তব� অন্যদে� তুলনায� পৃথু� কাহিনী� বেশি এত�,তা� পড়ত� পড়ত� কখ� যে পৃথু� সাথে মিশে গেছি,নিজে� জানি না� তা� প্রতিট� চিন্তা,প্রতিট� জীবনদর্শনক� নিজে� বল� মন� হচ্ছিল� এমনক� তা� সু�-দুঃখগুলোও। এক পর্যায়ে গিয়� কান্না� এসেছিল,কিন্তু খু� আশ্চর্� হলাম, কিছুদূ� যাবা� পর� পৃথু� মত আমার কান্নাটা� হারিয়� গেল। পৃথু� মত আমিও ভাবছিলাম, দুঃখের তো কিছু হয� নি এখান�, আর সে� দুঃখের কথ� মন� কর� পর� নিজেরই হাসি পেয়েছে।
� উপন্যাসট� সব পাঠকের জন্য নয়। কারণ লেখকের অনেক জীবনদর্শনই অনেকের কাছে ভা� লাগব� না� জীবন অনেক কঠিন,সত্যগুলো বড়ই নির্মম� তা� এই সত্য কথাগুল� হজ� করতে অনেক কষ্ট হয়েছে�
পৃথু� মত�,একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীতে পারিবারি� সম্পর্কগুলোত� এক নতুন বিপ্লব ঘটবে� বদলে যাবে সম্পর্কগুলোর সংজ্ঞা,মানু� হয়ে উঠবে আত্মসচেতন। তব� সব বিপ্লবেই কিছু মূল্� দিতে হয়। তেমনিই, এই বিপ্লবের মূল্� হব� প্রকৃত�, আর মানুষক� তা� অনেক মানবীয় গুণাবল� বিকিয়� এই নতুন পৃথিবী অর্জ� করতে হব� হয়ত� আধুনিকতা নাকি প্রাচীনত্ব, কোনট� সঠিক? এই প্রশ্নের জবাব� খোজা হয়েছে গল্পে। পৃথু প্রাচীনপন্থি সমাজের প্রতিনিধ�,আর রুষা আধুনিকতার। এক পর্যায়ে পৃথু বলেছ�- রুষা আর কুর্চি� হল ভবিষ্য� পৃথিবী� মানুষ। আর সে নিজে প্রাচীনপন্থী।কিন্ত� পুরো উপন্যা� পড়ে এটাই বুঝেছি যে, কুর্চি বা রুষা,দুজনের থেকে� অনেক বেশি আধুনিকমনষ্� হচ্ছ� পৃথু নিজে� প্রকৃতপক্ষ�,তা� চিন্তাভাবনাই ভবিষ্য� পৃথিবী� পরিণতি নির্দে� করে। পৃথু � রুষা দুজন� আসলে ভবিষ্যতে� মানু�, তব� দুজন দু� ধারার।
রুষা চরিত্রটিকে ভা� লাগে নি,বর� করুণ� হয়েছে� নারীবাদিতাকে ভা� কাজে লাগালে সেটা মঙ্গ� বয়ে আনবে, কিন্তু রুষা� মত শুধু ব্যক্তিস্বার্থ� নারীবাদক� ব্যবহারে� পরিণতি খুবই খারা� হবে। পৃথু আর রুষা দুজনেই হয়ত এক� দোষে দোষী, কিন্তু তারপরে� বল�,পৃথু যাদে� ভালবেসেছ� ,সত্য� সত্যিই ভালবেসেছে। আর রুষা শুধু নিজে� স্বার্থই মিটিয়েছ�, তা� মধ্য� কখনই ভালবাস� ছি� না� তব� নির্মম সত্যটা হচ্ছ�, ভবিষ্য� পৃথিবী� মানুষেরা হয়ত রুষাদে� মত� বস্তুবাদী স্বার্থপ� হব�, ইতিমধ্যে� তা� পূর্বাভা� দেখা যাচ্ছে�
উপন্যাসে� বর্ণনা,বাচনভঙ্গী খুবই সুন্দর ছিল। অনেকগুলো সুন্দর কবিত� আর গা� আছ�, এছাড়া� অসংখ্য বিখ্যা� সাহিত্যি� আর দার্শনিকদে� সুন্দর সুন্দর উক্ত� আছে। একটা জিনিসই খারা� লেগেছে, অনেক জায়গাতে� বাংল� হরফে ইংরেজি বাক্� লেখা হয়েছে , এগুল� পড়ত� খুবই সমস্যা হয়েছে� আরেকটা সমস্যা হল,প্রচুর পরিমাণ� হিন্দী সংলাপ। হিন্দী জানা না থাকায় সেগুলো� বেশিরভাগ� বুঝি নি,এত� অনেক ঘটনা� বুঝত� কষ্ট হয়েছে� হয়ত মধ্যপ্রদেশ� এই উপন্যাসে� পটভূমি বলেই লেখক বাংল� ব্যবহা� করেন নি�
মাধুকর৶ অর্থ ভিক্ষাবৃত্তি� জীবনের বিভিন্� পর্যায়ে,বিভিন্� মানুষে� সঙ্গেই দেখা হয� আমাদের� তাদে� প্রত্যেকের কা� থেকে� কিছু শিখি আমরা, আর এই ভিক্ষা কর� পাওয়া শিক্ষা নিয়েই গড়ে উঠ� আমাদের মননশীলত�,আমাদের জ্ঞান। পৃথু এই পর� সত্যকে উপলব্ধ� করেই, সব রকমে� মানুষে� কা� থেকে কিছু শেখা� চেষ্টা করেছে। আর এজন্যই উপন্যাসে� না� মাধুকর৶- জীবনের পদ� পদ� পৃথু� মাধুকর৶�
পড়া শে� কর� মন� হচ্ছ� যে� একটা জার্নি শে� হল� আমার দৃষ্টিতে অসাধার� একটা বই� "আরণ্যক" এর পর আরেকটা বই পড়লাম যেখানে অত সুন্দর কর� প্রকৃতির বর্ণনা ছিল। মধ্যপ্রদেশের পাহাড় বন-জঙ্গ� যে� চোখে� সামন� ছি� আর আম� সীওনী অথবা মুক্কি� কো� লজ থেকে দেখছিলাম� বইয়ের আস� বিষয� যদিও প্রকৃত� না, কয়েকট� মানুষে� (পৃথু, রুষা আর কুর্চি) দৃষ্টিতে জীবন অথবা সম্পর্�! এই শতাব্দী� মানু� সম্ভবত ওভাবেই চিন্তা কর�, রুষা বা কুর্চি� মত� অনেকেই বোধয� পৃথু� মত� নিজে� জীবনেই বেঁচ� থাকত� চায়� তব� সমস্যা হচ্ছ� অধিকাং� মানুষই বোধয� অপরে� বেলায় ব্যাপারগুল� মেনে নিতে পারে না� তবুও লেখকের কথাই সত্য, বইটা এই শতাব্দী� নর-নারী� জন্যেই� কখনো কখনো মন� হয়েছে যে, নারীদে� খু� বাজেভাবে উপস্থাপন কর� হচ্ছে। অবশ্� সেইস� সম্ভবত কো� কো� চরিত্রের চিন্তাভাবনা। তাতে আমাদের সমাজের বাস্তবতা� প্রকাশ পেয়েছে। একটা বিরক্তিক� দি� অবশ্� ছিলই� লেখক বড্ড বেশি "সেক্�" ব্যাপারট� নিয়� এসেছেন� যেকেউই বিরক্ত হত� পারে�
"মাধুকর৶" অর্থাৎ মধুকরে� ন্যায় বৃত্তি বা সহ� ভাবে বললে বহ� স্থা� হত� অল্প অল্প কর� সংগ্ৰহ� ঠি� এক� ভাবে দেখা যায় উপন্যাসে� নায়� বা নায়িকাও এক� অন্যের প্রত� বিশ্বস্ত না থেকে নানা স্থা� হত� অল্প অল্প কর� ভালোবাসা সংগ্ৰহের চেষ্টা করে। নায়� পৃথু একাডেমিক পড়াশোনা জানা এক নির্বো� যা� সাংসারিক কোনো জ্ঞা� নেই। স্ত্রী অন্য পুরুষে� সঙ্গ� পরকীয়ায� লিপ্� ; ফলস্বরূপ অবসা� � একাকীত্বে� শিকা� পৃথু শান্তি� সন্ধান� কখনো প্রাক্তন প্রেমিকা� কাছে আবার কখনো বাঈজী� কাছে উপস্থি� হয়েছে� উপন্যা� জুড়� শুধু� পরকীয়� � বিবা� বহির্ভূত সম্পর্ক। ৬৩� পৃষ্ঠা� উপন্যা� তাতে গল্প কতখানি � কতখানি অযাচিত বর্ণনা সে� নিয়� তর্ক কর� যায়�
There is a line quoted by Ernest Hemingway's character in Woody Allen's movie 'midnight in Paris' which goes like this: "It was a good book, because it was an honest book". The quote firmly applies to "Madhukari" :)
মাধুকর৶ এত সুন্দর একটা বই, এত এত সুন্দর একটা বই, এই বই নিয়� রিভি� লেখা� দুঃসাহ� আম� করিনা। তবুও মন� হয� গত বারো দিনে� এত সুন্দর অভিজ্ঞতা কোথা� লিখে না রাখল� হারিয়� যাবে� তা� যা যা মাথায় আস� তা লেখা�
মাধুকর৶ কো� জীবনমুখী উপন্যা� নয়। মাঝে মাঝে� এক� আমার নিখা� প্রেমে� উপন্যা� মন� হয়েছে, মাঝে মাঝে� মনস্তাত্ত্বি� উপন্যা� বল� মন� হয়েছে� জীবন� চলার পথ� একজন মানুষে� অসংখ্য নারী, পুরু�, শিশু� মনের � শরীরে� দোরে দোরে ঘুরে ভালবাস�, বন্ধুত্ব, প্রে�, শ্রদ্ধ�, ভক্ত�, ঘৃণা নিয়� নিয়� বেচে থাকা� গল্প� মাধুকর৶�
উপন্যাসে� মূ� চরিত্র পৃথু ঘোষ। তা� আশেপাশের মানু� � তা� জীবনকে ঘিরে� � উপন্যাস। সে একজন মেকানিকা� ইঞ্জিনিয়া� হওয়� সত্ত্বেও ভিতর� ভিতর� সে একজন কবি। তা� অন্য দশজন স্বাভাবি� মানু� যা সহজে� করতে পারে, সে তা করতে পারেনা� নিজে� সংসা�, স্ত্রী, ছেলেমেয়ের প্রত� তা� ঔদাসীন্� মাঝে মাঝে বড্ড বেশি� মন� হয়েছে� তা� স্বার্থপরতাও পাঠকের চো� এড়াবে না� পৃথু� মত কো� দায়িত্ব পালন না কর� ভালোবাসা� আশ� কর� অমূল�, এত� যে পাশাপাশি থেকে� দু'জন মানু� কখ� বহুদূর চল� যায় তা যে বুঝা মুশকিল�
আমাদের সকলে� মাঝে� পৃথু ঘো� আছে। আমরা অনেকেই তা লুকিয়� রেখে অন্য দশজন স্বাভাবি� মানুষে� মত ক্যারিয়ার, সংসা� এসবে মন বসানোর চেষ্টা করি। আমরা কেউই একজন মানু� নই� বর� যে� অনেকগুলো মানুষ। হয়ত আমরা সাপেরই মত, একেক জায়গায় একেক মানুষে� কাছে একেকরক� খোলস পর� নিজেদে� উপস্থাপন করি। আমরা সকলে� মাল্টি ডাইমেনশনাল� নিজে� মধ্য� অনেকগুলো আমিক� ধারণ করতে পারি� তারপ� যেখানে যেয়� কারও ওয়েভলেন্থের সাথে আমাদের ওয়েভলেন্থ মিলে যায় সেখানে� আমরা স্থিতু হই�
উপন্যাসে প্রকৃতির বর্ণনা উল্লেখ করার মত� খু� সুন্দর কর� মধ্যপ্রদেশের জঙ্গ�, নদী, পাখি, গা�, দি�-রাতে� বর্ণনা কর� হয়েছে� মানু� যে প্রকৃতির� সৃষ্টি, প্রকৃতিতেই মানুষে� মূ�, যা আমরা শহরে� মানু� কবেই ভুলে বসেছি। হয়ত শহরে থেকে� অনেক� পৃথু� মত� প্রকৃতিক� আঁকড়ে ধর� বেচে থাকে� তা� তো অন্য দশজন মানুষে� মত তথাকথি� সুন্দর জীবন তাদে� পাওয়া হয়ে ওঠেনা।
উপন্যাসে নারী স্বাধীনতার দিকট� উল্লেখ করার মত� পৃথু� স্ত্রী রুষা, প্রেমিকা কুর্চি আর বাইজ� বিজলী, প্রতিটিই মেয়েই দি� শেষে একদম স্বাধী� মানুষ। ভালবাসার জন্য কেউই জীবন� আটকে থাকেনা� শিক্ষি� হো� বা অশিক্ষিত, নিজে� জীবনটাকে, নিজে� স্বাধীনতাটাক� যেকো� পরিস্থিতিত� শক্ত হাতে ধর� রাখে এরা। যদিও তিনট� একদম� ভিন্নরকম, সমাজের ভিন্� স্তরের চরিত্র তবুও সমাজের মানুষে� কথ� কানে না নিয়� নিজে� মত কর� বাচা� সা� পূরণ করার সাহস এদের আছ� বলেই এদেরকে আমার এক� সুতোয় গাঁথ� মন� হয়েছে�
ভালবাসার পাশাপাশি অসাধার� ভাবে ফুটিয়� তোলা হয়েছে বন্ধুত্ব� সমাজের উচ্চ পর্যায়ে� মানুষে� তথাকথি� লো� দেখানো বন্ধুত্ব নয�, মনের সাথে মনের মি� আছ� এম� বন্ধুত্ব, যেখানে সামাজি� স্তর বা শিক্ষা কো� ভূমিকা� পালন করেনা। যে বন্ধ� তা� বন্ধুর জন্য জীবন দিতে পারব�, কিংব� কে জানে হয়ত দিয়� দিবে তা� একটি পা কিংব� তা� প্রিয় ভালবাসার রমণীকে� তবুও স্বার্� আর প্রে� এস� এই বন্ধুত্বতে� ফাটল ধরায়। তখনই মন� হয� জীবন� কোনকিছুই ফর গ্র্যান্টে� নয�, নেভা� এভার�
আম� একদম� কবিত� পড়া মেয়� না, তবুও নানা পরিস্থিতিত� কবিত� ব্যবহা� কর� চিন্তাকে ফুটিয়� তোলাটা আমার কাছে অসাধার� মন� হয়েছে� এখ� আমার প্রায়� মন� হয� কবিতার দু'টি লাইন অনেক কিছু� করতে পারে যা হয়ত সারাজীবন হাজা� হাজা� লাইন লিখে মানু� করতে পারেনা� কবিত� বড়ই শক্তিশালী� সেজন্য� হয়ত আম� কখনো নিজে� মাঝে কবিতাক� ধারণ করতে পারিনি, পারবোনা৷
পুরো উপন্যাসে নানাদিকে�, নানারঙের চরিত্র ফুটিয়� তোলা হয়েছে� আবার একজন মানুষে� চরিত্রের অনেকগুলো দিকও তুলে ধরতে ভু� করেননি লেখক� তব� এরচেয়� সুন্দর চরিত্র বিশ্লেষণ বোধহয় সম্ভ� ছি� না� দিনশেষ� আমরা নিজেরা� বা কতটুকু চিনি নিজেদের। মাঝে মাঝে নিজেকে� বড্ড পর মন� হয়।
� উপন্যা� জীবন� একবা� পড়া� উপন্যা� নয়। হয়ত আম� বছ� পাচে� পর আবার এই উপন্যা� পড়ব� হয়ত এর মধ্য দিয়� নতুন কর� আবার নিজে� জীবনকে খুঁজ� বেড়াব� কারণ জীবনের আরেক নামই তো মাধুকর৶�
In **"মাধুকর৶,"** Buddhadeb Guha explores existentialism through the protagonist Prithu's journey of self-discovery. Disillusioned with the superficiality of urban life, Prithu retreats to the forest, seeking deeper meaning and authenticity. His isolation reflects the existential themes of alienation and the search for identity. The novel delves into the absurdity of societal norms, the burden of individual freedom, and the confrontation with mortality. Prithu's quest embodies the struggle to find purpose and live authentically in a world that often seems indifferent to human existence.
দেখে� ভা�, আম� সুনীলে� "সে� সময়" "প্রথ� আল�", "পূর্�-পশ্চিম" পড়েছি� এস� বইগুলো আমাক� গল্পের মধ্য� টেনে রাখত� পেরেছিল৷ আম� মন� কর� কোনো সাহিত্� কর্ম বা সিনেমা যদ� আমাক� তা� গল্প দিয়� আমাক� ধর� রাখত� না পারে তাহল� তা worthless. ঠি� যেমন এই "মাধুকর৶"� প্রচুর জনপ্রিয় বই দেখে পড়া শুরু করেছিলাম� কিন্� লেখনিত� কোনো আকর্ষণ পা� নি� নায়� পৃথু এক একাডেমিক পড়াশোনা জানা নির্বো�, সাংসারিক জ্ঞা� নে� আর তা� বউ পরকীয়� করে। কিছু মনস্তাত্ত্বি� ব্যাপা�, দার্শনিক কথ� বার্তা আছ� তা এত গুরুত্বপূর্ণ না� এই প্লট� এতবড� উপন্যা� লেখা� কোনো দরকা� ছি� না� বাহুল্� বর্ণনা ভর্ত� - অনেকটা বাংল� সিরিয়ালের মত,শুধু টেনে টেনে লম্ব� কর� হয়েছে� শেষে আম� ধৈর্� হারিয়� ফেলেছি� বুদ্ধদেব গুহর এট� আমার পড়া প্রথ� উপন্যা� ছি�, ভাবলাম অন্য লেখাগুলো� পড়ব কিন্� এখ� আর আগ্র� পাচ্ছি না�
An amazing fictional narrative that dexterously weaves in the terrains of the human mind while the novel's main characters explore life's journey through ups and downs, jungles, mountains, and plateaux. Beneath it all, a pervading sense of 'not knowing' what life's various turns will bring, the self, and other human beings allows the reader a choice in making sense of it as she would, or not attempting to make sense of it and just accepting the fact that one will never know anything for sure. We reconcile ourselves as being forever incomplete, forever work-in-progress. Overall, a beautiful read.
জো� কর� নিজে� opinion কে justify কর� মন� হল�, তা� একটি তারা কম পড়লো। আর দ্বিতীয় তারা টি খস� পড়ল� কারণ শে� পাতায় হঠাৎ গল্প� শে� হল� এম� ভাবে যেনো মন� হল� লেখকের নিজে� ইচ্ছেটাই ফুরিয়� গিয়েছে। কিছু গল্প� ধোঁয়াশা রেখে শে� হয� যাতে পাঠকের মনেই তা� পরের পর্ব রচনা হয়। কিন্তু এই বই হঠাৎ খে� হারিয়� ফেলে ভাবে কোথায় যে� যাবো বল� বে� হয়েছিলা�! সত্য� বলতে লেখক উৎসর্গ আমাদের generation কে করেছেন ঠিকই এট� ভেবে যে একবিংশ শতাব্দী তে এরকম কিছু একটা ঘটবে�, কিন্তু পর� মন� হল� লেখক আসলে চেয়েছেন একবিংশ শতাব্দী� নর নারী এরকম হো�, যেমন অনেক বাবা মা নিজে� সন্তানের মধ্য� নিজে� অপূর্ণতা, ব্যার্থত� খুঁজ� নিতে চেষ্টা করেন� শুধু জঙ্গলে� বর্ণনা অসাধার�, যেতে মন চায় ভীষণ� লেখকের ঋজুদ� সমগ্� এর কথ� মন� করায�, যা আমার খু� প্রিয়�
"যাওয়া মানে� তো আস�, আর আস� মানে� যাওয়া� যেমন ভাবে যে দেখে�"
"সব আরম্ভই বোধহয় শেষে পৌঁছ� আবার আরম্ভে� ফিরে যায়� এব� আরম্ভে পৌঁছ� আবার� শেষে�"
"কাউক� সম্পূর্ণতায় পেতে চাওয়া� ভাবনাটাই হয়ত� ভূল। একান্ত কর� আজকা� মানু� কেউই কাউক� নিতে বা দিতে পারে না, নিজেদে� টুকর� কর� টুকর� টাকরাই ভেঙ্গে ভেঙ্গে বা�-চকলেটে� মত� তুলে দেয় বোধহয়, এক� অপরে� হাতে�"
"ভুলে যাওয়া� ভালো� ভুলে না যেতে পারল� কি মানু� বাঁচ�? এই অকৃতজ্ঞতার, কৃতঘ্নতা� পৃথিবীতে সব কিছু� মন� রাখত� গেলে মনের মধ্য� এক বিরা� ক্যানসারাস গ্ৰো� হয়ে উঠবে যে কুৎসিত, তারপ� সে� দল� পাকানো ভীতিজন� স্মৃতি নিঃশব্দে ফেটে যাবে একসময় মস্তিষ্ক খা� খা� কর� দিয়ে।"
"যা হারিয়� যাবা�, তাকে আগলে বস� থাকা সম্ভবও নয� বেশিদিন।"
"বেশিরভাগ স্বামী স্ত্রী� ভালবাসাট� এমনই� একটা অভ্যেস� ছেলেমেয়ের� এস� যাবা� পর স্বামী স্ত্রী� সম্পর্� টা একটা অন্য ডাইমেনশা� পায়� অন্যভাবে বললে বলতে হয�, আলগা হয়ে যায় হয়তো। আবার গভীরও হয�, ছেলে মেয়েদের জন্যই। মন� কর�, কী বল�, ধর� ছিঁড়ে যাওয়া বাথরুম স্লিপারে� মতো। ছিঁড়ে গেলে� ছেড়� যাওয়া, ফেলে দেওয়া বড়ই কঠিন�"
"একটা� জীবন।� শুধুমাত্� একটা� অথ� এই আমাদের নিয়তি� এই কালে, � সমাজ� আমরা কে� বেঁচ� থাকি না, আমরা বাঁচতে জান� না� সংস্কা�, লোকভয় আর অভ্যাসের দাসত্ব� কর� শুধু আমরা� প্রেমক� খুন� কর� তা� রক্ত ছেনে অপত্যস্নেহের পুতুলদের নিয়� পুতুলে� ঘর করি। শুধু� প্রশ্বাস নি� আর নিঃশ্বাস ফেলি�"
"মানু� হয়ে যখন� জন্ম নিয়েছ� � সংসারে, তখ� সারা জীবন কত� অসংখ্য ঘুড়িই যে কেটে যাবে ওর চোখে� সামনে। কত সুন্দর স্বপ্নের সব ঘুড়�, সাধে� ঘুড়�, প্রেমে� ঘুড়�, হয়ত� সততা এব� বিশ্বস্ততা� ঘুড়িও� কোনো ঘুড়ির সুতো থাকব� তা� নিজে� হাতে, কোনটায� নিজে মাঞ্জা দেবে কিন্তু প্রায়� সবসময় অপরপক্ষে� ক্ষূরধার মাঞ্জা� ভা� এব� ধারে কচ� কর� কেটে যাবে তা� সব ঘুড়ি।"
"এক� এক� যেকোনও দৌড়েই যে প্রথ� হয�, সে একাই আগ� থাকে� তা� সামন� বা পাশে কেউই নয়।"
"জোরে ছুটে গেলে� অনেক সময় একপা� এগোন� যায় না� আবার এক জায়গায় অনড় হয়ে দাঁড়িয়� থেকে� ইচ্ছ� করলে অনেক দূরে চল� যাওয়া যায় হয়তো।"
"যে ভালবাস� ফ্রিজে ঢুকে যায়, তা আর গর� হয� না কখনও�"
"যে মরতে চায়, মৃত্যু তাকে ছোঁয� না� যে বাঁচতে চায়, মৃত্যু বাঘে� মত� তারই ঘাড়� এস� পড়ে�"
"ভালোবাসা তো ব্য���সা নয়। দেনা-পাওনার ব্যাপা� নয়। একজনের সঙ্গ� অন্যজনের হঠাৎ� হয়ে যায়�"
"শরীরে� ভালোবাসা� ভয� নে�, ভয� মনের ভালোবাসায়�"
"কেউই যে� কাউক� ভালো না বাসে� জীবনের সব প্রাপ্তিকে � যে অপ্রাপ্তিতেই গড়িয়� দেয়� যাকিছু� সে মানুষট� দীর্ঘদিনের চেষ্টা, পরিশ্র�, মননশীলত� দিয়� গড়ে তুলেছি�, যাকিছু ছি� তা� গর্ব�, পরিচয়ের, শ্লাঘা�, তা� সবকিছু� হঠাৎ মূল্যহী� হয়ে পড়ে� যাকে ভালোবাসে তাকে নইলে তা� আমিত্ব� অনস্তিত্বে পৌঁছোয়।"
"যা� বিবে� বেঁচ� থাকে, তা� সু� মর� যায়� সুখী হবার সহ� উপায� বিবেকহী� হওয়া। বিবে�, বিবশ হলেই বাঁচি।"
"ভালোবাসা বড়ই অপরাধের। যে বেসেছে, সে� জানে�... ভালোবাসা� মত� অসুখ কি আর আছ�?"
"পুরু� � নারী যখ� নীরব� থাকে তখনই তাদে� সবচেয়� সুন্দর দেখায়� মনের গন্ধ, ম্যাগনোলিয়া গ্ৰান্ডিফ্লোরা ফুলে� গন্ধের মত� ওড়ে শুধু তখনই�"
"জীবনটা বাঁচবা� জন্য, প্রত� মুহূর্� পস্তাবার জন্য নয়।"
"কে�-� বা কাকে চেনে বল�? এই ছোট্� জীবন�! চিনি চিনি বল� মন� হয�, সত্যিই কি চেনা যায়? আমরা নিজেরা� কি চিনি নিজেদে�?"
"আম� ওক� ভালোবাসতাম কিনা কখনও তো যাচা� কর� দেখা� অবকাশও হয়নি। মানে, আমার দি� থেকে� যখ� হল�, এই দুঃসময়ে তখ� মহ� দুশ্চিন্তাতে� পড়লাম� এখনও বুঝে উঠতে পারছিন� অভ্যেসটাকে� ভালোবাসা বল� ভু� করেছ� কি এতোদিন?"
"যাকে মানু� ভালোবাসে, তা� কা� থেকে কোনও সাহায্� নিলে সে ভালোবাসা নোংর� হয়ে যায়� বিচ্ছিরি দেনা পাওনার বিষয� হয�, সুন্দর আর থাকে না�"
"কে� বা কাকে বোঝে বল�? বোঝা কি অত� সোজা?... বোঝাটা হয়ত� বড়ো কথ� নয�, বোঝবার চেষ্টা চালিয়� যাওয়াটা� সবচেয়� জরুরি। বুঝত� চাইল� একদি� নিশ্চয়ই বুঝবে।"
"সব অভাব কেউই পূরণ করতে পারে না কারও� কিছু হয়ত� পারে, যেখানে ঘাটত� থাকে�"
"বাবা, মা, বং� পরিচয় এস� কিছু� নয়। প্রত্যেক মানুষক�, মানু� হয়ে উঠতে হল�, তা� পরিচয় তৈরি কর� নিতে হয়। তা� জন্য দা� যা লাগে লাগু�, বিনামূল্যে � জীবন� কি আর মেলে বল?"
"কা� ভালোবাসা� প্রকাশ যে কেমন, তা ভালোবাসা� প্রকাশের সময় না এল� বোঝা যায় না বোধহয়�"
"জীবন�, কট� কথাই বা রাখা যায়? মিথ্যা� বেসাতি� আর এক নামই তো জীবন� তব� আশ্চর্য। কথ� দিতে হয� কতজনকে� কতবার। আর কথ� দিলে� যদ� কে� খুশী হয�, তাহল� না দিয়েই বা কি কর� যায়? ভবিষ্যতে� দুঃখের কথ� ভেবে আজকে� খুশী নষ্ট করার তো মানে নে� কোনও�"
"দেখাশোনা তো দিনভরই চল�, জীবনভর, জন্ম থেকে মৃত্যু, কিন্তু সে� ভীড়ের মধ্য� মনের মানু� থাকে কজ�? চো� তো কত� দেখে� সকলকেই কি মন� ধর�? সারাজীবন� হয়তো একজন কি দুজনকে� তেমন কর� চায় মানুষ। আর যাকে বা যাদের� সে চোখে চাওয়া হয�, মনের চাওয়া চায়, তারা� তো হচ্ছ� মনের মানুষ।"
"এই পৃথিবীতে বড� বেশি অপ্রয়োজনীয় কথ� হয়। চিরদিন� হয়ে এসেছে। যে যতক্ষণ পারে চু� কর� থাকা� তো ভালো� মু� চু� করলে তো আর মস্তিষ্ক চু� কর� থাকে না� আগুন জ্বালায় শরীরক�, আর চিন্তা মনকে�"
"একজন স্বামী�, একজন বাবা�, তা� স্ত্রী � ছেলে মেয়� ছাড়� কোনও অস্তিত্ব নেই।সে যত তালেবর পুরুষই হো� না কে�?... ছেড়� যাওয়া যায়, যে কোনো সময়�, দম্ভ ভর�, কিন্তু সময়ের মধ্য� না ফিরলে ঘর আর ঘর থাকে না� সব পাওয়া� তখ� মিথ্যে হয়ে যায়�"
"সময় বড� সাংঘাতিক� সময়� সময় না রাখল�, সময় পায়ে� দল� চল� যায়�"
"এই ছোট্� জীবন� যদ� সুখী হত� চা� নিজে� চেনা জানা বন্ধুত্বের জগতে� ছো� কর� রেখো� যারা তোমা� কাছে� মানু� হব�, তাদে� সাথে সম্পর্� গভী� করো। পাঁচশো জন� পরিচিত মানুষে� চেয়� পাঁচ জন কাছে� মানু� অনেক� বেশী দামী�...একসটেনসি� রিলেশানশিপের চেয়� ইনটেনসিভ রিলেশানশিপ অনেক জরুরী�"
"মন� যখ� মন� থেকে সর� যায় তখ� আদালতে গিয়� সর� যাওয়া মনকে ফিরিয়� আনার দরবা� কর�, কি আইনে� চোখে অন্যকে শিক্ষা দেওয়াতে আম� বিশ্বা� কর� না�"
"যারা কাউকেই ঠকায� না কখনও, তারা� সবচেয়� বেশি ঠক� যায় এখানে। আশ্চর্� নিয়�, তা� না?"
"ফুলে� গন্ধ� মতোই ভালো মানুষে� মনের গন্ধ� আপনি� ছড়িয়� যায় অন্য মানুষে� মনে।"
"যে কো� মানুষেরই বেঁচ� থাকা� জন্য সবচেয়� বেশি যা প্রয়োজন, তা তা� নিজেকে� নিজেকে নিজে একটু সময় না দিলে, ভালো না বাসল�, দিনান্তে আয়নার সামন� একবারও না দাঁড়িয়� ভালোবেসে নিজে� মুখে� দিকে না চাইল� তা� অন্য� বা অন্যদে� জন্য� প্রাণাতিপা� পরিশ্র� করার মানে হয়ন� কোনও� আসলে, প্রত্যেক মানুষে� জীবনেই বোধহয় সে নিজে� কেন্দ্রবিন্দু। সে আছ�, তাইই তা� চারধার� ঘিরে অন্যান্য সব সম্পর্� আছে।"
"সু� মন� করলে� সুখ। সুখক� তো আর হা� দিয়� ছোঁওয়� যায় না� মনের� একটা অবস্থামাত্� তা� মনকে সুখী সুখী ভা� করতে বললে� মন সুখী হয়।"
"সব হওয়ার� সময় থাকে, সময় পেরিয়� গেলে, হয� না আর কিছুই।"
"জীবন� যা কিছু� ঘট�, সব কিছু� পেছনেই মানে থাকে, তাৎপর্� থাকে� আমরা অন্ধ, তা� দেখত� পা� না�"
"পরিবর্তন, সবসময়েই যে বেশি সুখে� তা নয়। কিন্তু পরিবর্তনের একটি নিজস্ব মূল্� আছে। পুরনোক� সে নতুন কর� তোলে�"
"দুঃখ যা পাবা� তা আমরা নিজেরা� নিজেদে� দি�, অন্যকে দায়ী কর� মিছিমিছি, নিজেরা ভীরু � অস� বলে। ভণ্ড বলে।"
"চুরি কর� ভালো না বাসল� বোধহয় ভালোবাসাটা আর ভালোবাসা থাকে না� পরকীয়� প্রে� বা অনাঘ্রাত প্রে� হচ্ছ� চাঁদের আল�, আর বিবাহি� প্রে� বা খোলামেলা বাধাহী� শরীরী সম্পর্� বোধহয় সূর্যালোক। প্রখ� সূর্যতাপ�, ধূলোয়, আওয়াজ� ভালোবাসা� ফু� বোধহয় শুকিয়েই যায়�"
"যে ধর� রাখত� না জানে, তা� কিছুমাত্রই পাওয়া� অধিকার নে� � সংসারে�"
"মানুষে� জীবনের প্রকৃতিও হয়ত� হাওয়ারই মত�, জলের� মত� সীমানা মধ্যবর্তী কোনও এলাকায� শূণ্যতার সৃষ্টি হল� স্বাভাবি� নিয়মে পারিপার্শ্� থেকে সে� শূণ্যত� পূরণ করতে ছুটে আসে। আশেপাশের চেনাজানা মানুষও তেমন� আস� ছুটে�"
"একটা� জীবন� সকলেরই নিজে� নিজে� মত� কর� সুখী হবার অধিকার আছে। যে না হত� পারল, সে অভাগা।"
"সাংঘাতিক রাস্তা দিয়� একদম এক� একাই যেতে হয� সকলকে।...পথ না পেরোলে তো গন্তব্যে পৌঁছান� যায় না� জীবনের কোনো গন্তব্যেই।"
"মানুষে� পয়স� যে অনুপাত� বাড়তে থাকে ঠি� সে� অনুপাতেই তা� জীবনের মায়াও বাড়তে থাকে� যাদে� পয়স� কম তাদে� জীবনের মায়াও কম�"
"মানু� যারা ভা�, সৎ, তারা আন্যের চোখে চো� রেখে মিথ্যা বলতে পারে না�... ভালোমানুষদের বড়ই কষ্ট, এই খারা� মানুষে� ভর� পৃথিবীতে�"
"ইচ্ছ� পূরণের আনন্দে� তীব্রতার চেয়েও অনেক সময় অপূর্ণ ইচ্ছার নিবিড় আনন্� তীব্রত� হয়।"
"নিজে� সন্তানের গায়ের গন্ধ� মত� মিষ্টি গন্ধ পৃথিবী� কোনও মহার্ঘতম প���রফ্যুমেও নেই। শুধুমাত্� বাবা মায়েরাই সে গন্ধ� কথ� জানেন।"
"প্রত্যেক সাধারণ পুরু� � নারীকে জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি অগণি� নারী, পুরুষ� � শিশু� হৃদয়ে� এব� শরীরে� দোরে দোরে হা� পেতে, ঘুরে ঘুরে� বেঁচ� থাকত� হয়। প্রীতি, প্রে�, কা�, অপত্�, ভক্ত�, শ্রদ্ধ�, ঘৃণা, বৈরিতা, ক্রো�, সমবেদন� এব� এমনক� ঔদাসীন্যর� বোধগুলিক� দেওয়ালি� রাতে� অসংখ্য প্রদীপে� কম্পমা� শিখারই মত� অনুভূতির দ্বিধাগ্ৰস্ত আঙুল� ছুঁয়ে ছুঁয়ে জীবনকে পরিক্র� কর� যেতে হয়। এই পরিক্রমারই আরেক নামই কি মাধুকর৶?"
"বুদ্ধদেব গু�"-একজন ভারতীয় বাঙালী লেখক� তিনি মূলত বন, অরণ্� এব� প্রকৃত� বিষয়ক লেখা� জন্য পরিচিত� বহ� বিচিত্রতায� ভরপু� এব� অভিজ্ঞতাময� তা� জীবন� ইংল্যান্�, ইউরোপে� প্রায় সমস্� দে�, কানাডা, আমেরিক�, হাওয়া�, জাপা�, থাইল্যান্ড � পূর্বআফ্রিকা তা� দেখা� পূর্বভারতে� বন-জঙ্গ�, পশুপাখ� � বনের মানুষে� সঙ্গেও তা� সুদীর্ঘকালের নিবিড় � অন্তরং� পরিচয়� সাহিত্�-রচনায় মস্তিষ্কের তুলনায� হৃদয়ে� ভূমিকা বড�- এই মত� তিনি বিশ্বাসী� মাধুকর৶ উপন্যাসে কেন্দ্রীয় চরিত্র পৃথু ঘোষক� সবাই আড়ালে 'পাগল� ঘোষস�' বল� কারণ তিনি কি করেন কি করেন না কা� সাথে চলেন কা� সাথে চলেন না এস� কিছু� তা� ঠি� ছি� না , বিলে� ফেরত ইঞ্জিনিয়া� ভালোবাসত� কবিত� লিখত� আর জঙ্গলে ঘুরত�, পরিপূর্ণ পরিবার থাকা সত্ত্বেও তিনি ছুটতেন প্রাক্তন প্রেমিকে� কাছে একটু ভালবাস� পাওয়া� আশায� এব� বাঁচতে চেয়েছিল বড� বাঘে� মতো। কিন্তু ভাগ্যে� পরিহাস� অঙ্গ হারানো� পর তিনি বুঝত� পারলেন ভালবাস� এব� নিজে� সুখে� পিছন� ছুটত� ছুটত� তিনি কত� দূ� চল� গেছে� যেখা� থেকে ফিরে আস� সম্ভ� না এব� তা� স্ত্রী� এক� ভু� কর� তা� থেকে অনেক দূরে চল� গেছে� সুখে� পিছে ছুটে ঘরের সুখক� পা দিয়� পিষে ফেলেছে� এছারাও অন্যান চরিত্র কুর্চি, বিজলী, ভুচু, শামী�, সাবি�, দিগা পাড়�, ঠুঠা বাইগ�, গিরিসদ� তাদে� নিয়েও অনেক ছো�-বড� ঘটনা জড়িয়� রয়েছে উপন্যাসে� উপন্যাসট� পড়া� শুরু করার পর থেকে� ভা� লাগছিল কারণ প্রত্যেকটা চরিত্র খু� আকর্ষণীয়, তা� সাথে জঙ্গলে� বিভিন্� অভিজ্ঞতা� বর্ণনা, নানা� রক� পাখি - গা� - পশুর বর্ণনা, দল নিয়� লুকিয়� লুকিয়� শিকা� কর�, ডাকা� দলের সাথে লড়া� সব কিছু� যেনো চোখে� সামন� ভাসছিল� চরিত্র গুলো যেনো আমার চোখে� সামনেই কথ� বলছে, খাচ্ছে ,হাঁটছে, হাসছ� , অভিমান করছে এম� অনুভ� হচ্ছিল কারণ লেখক ততটুকু পরিশ্র� করেই লিখেছে� তা আপনারা বইটি পড়া� সময় বুঝবেন� আর একটা বিষয� হচ্ছ� এই উপন্যাসে অনেক লেখক-কবিদের নিয়� এব� বাংল� সাহিত্� নিয়� 'বুদ্ধদেব গু�' অনেক আলোচনা করেছেন� বইটি পড়ে প্রায় মাঝামাঝি আসার পর থেকে খারা� লাগছিল কারণ উত্থানের পর এম� নির্মম পত� মেনে নেয়� যায় না� পড়ত� পড়ত� চরিত্রের অনুভূত� গুলো অনুভ� করতে করতে ক্লান্� হয়ে যাচ্ছিলা� বুঝত� পারছিলাম কেনো অনেক� বলেছিল- তারা মাধুকর৶ পড়া শুরু করেছ� কিন্তু শে� করতে পারেনি� লেখক এই উপন্যাসে বোঝাতে চেয়েছেন- মানু� মাত্রই প্রকৃতির অং�, মানু� সামাজি� জী� তা� এক� বেঁচ� থাকা কখনো� সম্ভ� না, জী� জন্ত� পাখি তাদেরও অনুভূত� আছ�, মানু� হয়ে আমরা শুধু প্রকৃতির ক্ষতিই করছি, নিজে� সুখক� বড� কর� দেখল� বা নিজে� সু� খোঁজার জন্য দ্রু� বেগে ছুটে চললে জীবন� সব কিছু হারাতে হয�, পরিবার- সংসারে�-সন্তানের মধ্যেই আস� সু� লুকানো থাকে শুধু একটু সময় দিয়� খুঁজ� নিতে হয�, যা� হো� না কে�! স্বামী স্ত্রী� মাঝে সুন্দর সম্পর্� ধর� রাখা উচিৎ� এক কথায� বলতে গেলে - মাধুকর৶ হচ্ছ� সামাজি� মানুষে� জীবনধারা� অভিধান সরূপ� বইটা পড়া শুরু করার পর মন� হচ্ছিল খু� জমপে� একটা পর্যালোচনা লিখত� পারব� কিন্তু পড়া শে� অরতে করতে উপন্যাসে� অনুভূত� গুলো এম� ভাবে মন� দা� কেটেছে যে এখ� এত� গুলো ঘটনা মিলিয়� গুছিয়� পর্যালোচনা লিখত� পারছ� না, ভাষা পাচ্ছি না, তল পাচ্ছি না� আমার কথ� শুনে আপনাদে� মন� হত� পারে একটা বই সম্পর্কে বেশি বেশি বলছি তা� আবার� বলছি আপনারা একটু কষ্ট কর� 'বুদ্ধদেব গু�' এর লিখা "মাধুকর৶" উপন্যাসে� বই সংগ্রহ করুণ এব� দ্রু� পড়ে ফেলুন। শু� হো� আপনা� পাঠ্� কার্যক্র�
পৃথু ঘো� চেয়েছিল, বড� বাঘে� মত� বাঁচবে� বড� বাঘে� যেমন হত� হয� না কারো উপ� নির্ভরশীল—ন� নারী, না সংসা�, না গৃ�, না সমাজ—সেভাবেই বাঁচবে সে,স্বরাট,স্বয়ম্ভ� হয়ে� তা� বন্ধ� ছি� তথাকথি� সভ্য সমাজের অপাংক্তেয়রা� পৃথু ঘো� বিশ্বা� কর�, এই পৃথিবীতে এক নতুন ধর্মের দি� সমাসন্ন। সে-ধর্ম� সমান মা�-মর্যাদ� এব� সু� স্বাধীনত� পাবে পাবে প্রতিট� নারী-পুরুষ। বিশ্বা� কর�, এই ছো� জীবন� বাঁচার মত� বাঁচতে হব� প্রতিট� মানুষকে। শুধু প্রশ্বাস নেওয়া এব� নিশ্বা� ফেলা বাঁচার সমর্থক নয়। কিন্তু সত্যিই কি এভাব� বাঁচতে পারব� পৃথু ঘো�? সে কি জানব� না, বড� বাঘে� মত� বাঁচতে পারে না কোনও নর� মানু�? জন্ম থেকে আমৃত্যুকাল অগণি� নারী-পুরু�-শিশু� হৃদয়ে�, শরীরে� দোরে-দোরে হা� পেতে ঘুরে-ঘুরে বেঁচ� থাকা� মানুষে� নিয়তি? এই পরিক্রমারই অন্য না� মাধুকর৶? � শুধু ইন্জিনিয়া� পৃথু ঘোষে� জীবন কাহিনী হয�, নয়� 'উওম্যানস লি�'-এর মূর্� এক প্রতী� তা� স্ত্রী রুষা� দ্বন্দ্বময� জীবনের গল্প, এমনক�, জঙ্গলমহলের অকৃত্রিম কিছু শিকড� খুঁজেফের� অজান� মানুষে� অজান� উপাখ্যান� নয়। �-সমস্� কিছু� মধ্য দিয়� তব� �-সমস্� কিছুকে ছাপিয়� 'মাধুকর৶' এই শতকে� মানুষে� জীবনের যাবতীয় অভিজ্ঞতা� ভিত্তিতে আগামী প্রজন্মে� মানুষে� সার্থকভাবে বেঁচ� থাকা� ঠিকানা�
লেখকের অতুলনীয় বিস্তারি� মুগ্� করবে সেটা নির্দ্বিধায় বল� যায়� লেখক এই বইটি উৎসর্গ করেছেন "একবিংশ শতাব্দী� নারী � পুরুষদের"� যেখানে লেখক মূলত নারীদে� স্বাধীনত� দেখাতে চেয়েছে। পাশাপাশি পাশ্চাত্যে সংস্কৃতি� যে প্রভাব তারও� যেমন মানু� রুষা পাশ্চাত্� সঙ্গী� শুনে, রবীন্দ্রনাথের নামও শুনত� পারে� না� তা� পা� কর� বইগুলো� ইংরেজি� অপদিকে পৃথু ঘো� বাংল� সাহিত্যে� পোকা রবীন্দ্রনাথ সঙ্গী� নিধুবাবু� টপ্প� গানে� তা� মুগ্ধতা। সাহিত্যচর্চা� ক্ষেত্রে, সে দেশে� সাথে সাথে বিদেশি সাহিত্যও চর্চ� করেন� কাহিনী গড়ে তুলেছে� লেখক মধ্য� প্রদেশের হাটাচন্দ্র� নামক স্থানক� ঘিরে� যেখানে স্বল্পসংখ্যক বাঙালি মানুষস� গ্রা� ছাড়� আদিবাসী টুঠা বাইগ�, শামী� , সাবী� মি�, ভুচু, ইদুর ভিনোদকার এব� কুর্চিসহ আর� কিছু চরিত্রের দেখা পাই। লেখাটা অনেকটা ধী� গতির কিন্তু পুরোপুরি শে� করার পর একটা প্রশান্ত� এস� ভর করে। যা� জন্য মাধুকর৶ হয়েছে অনন্য।
"মাধুকর৶" শব্দের আভিধানিক অর্থ- মধুক� বা মৌমাছি যেমন ফুলে ফুলে মধ� সংগ্রহ কর� তেমন� দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা�
বুদ্ধদেব গুহর সুদীর্� এব� বিতর্কিত উপন্যাস। বইটি তিনি উৎসর্গ করেছেন একবিংশ শতাব্দী� নারী � পুরুষে� জন্য� বইটিতে দুইট� ভিন্� মননে� মধ্যকা� দ্বন্দ্ব দেখানো হয়েছে� এক শ্রেণী প্রতিনিধিত্ব করছে একবিংশ শতাব্দী� আধুনিক,বৈজ্ঞানি� শিক্ষায় শিক্ষি�, আত্মন���র্ভরশী� � আত্মমর্যাদ� সম্পন্� শ্রেণী অপরদিক� রয়েছে পুরন� মন মানসিকতায় রয়ে যাওয়া প্রকৃতীপ্রেমী সহ� সর� মনের শ্রেণী� একবিংশ শতাব্দী� এই যুগে এই দুয়ের মধ্যকা� পারস্পরি� সংঘর্ষ যে অনিবার্য এব� তা� ফলশ্রুতিতে সামাজি� জীবন� কিরূ� প্রভাব পড়ে তা ফুটে উঠেছ� রুষা-পৃথু� জীবনে। লেখক শিকারী হবার কারন� বইটিতে প্রায়সময়� মধ্যপ্রদেশের অরণ্�, পশুপাখির সুন্দর বর্ণনা প্রায় সময়� সুবিস্তারে প্রকাশ পেয়েছে।
বইটিতে খু� সুন্দর সুন্দর উপমা� ব্যবহা� কর� হয়েছে যা আমাক� যথেষ্ট� আনন্� দিয়েছে। বইটি� লেখনীতে এব� কাহিনী� বর্ণনা� প্রায়সে লেখক প্রায় প্রাপ্তবয়স্� সম্পর্কি� ভাষা� ব্যবহা� করেছেন যা কিনা অনেক পাঠকের রুচিতে আঘাত হানত� বাধ্য। তা� বল� যেতে পারে বইটি আসলে সবার জন্য নয়।
বইটিকে আম� 3 star দিচ্ছি বইটিতে উল্লেখিত কিছু অসাধার� উপমা এব� মাঝে মধ্য� হাজি� হওয়� কিছু Twist এর কারণে। এছাড়া বইটিতে আকর্ষণের মত কিছু� অন্ত� আমার চোখে পড়েনি�
Madhukori is perhaps the most extraordinary writing by Buddhadeb Guha. It's unique plot unveiling an exceptional and off-track person, the protagonist Prithu, his family, his so called lower-status friends, and his immense love for nature and jungle makes it what it is.
Buddhadeb Guha maintains a quality from the very beginning of the book, and has used poems from different countries, with an admirable expertise. In places, this book reveals another far more mystical jungle - the human mind, through philosophical explanations and lets you learn what is meaningful and meaningless in life.