Sourav Saha's Reviews > মাধুকর৶
মাধুকর৶
by
by

মাধুকর৶- আমার পড়া অন্যতম সেরা বাংল� উপন্যাস। পৃথু � রুষা� জীবনের কাহিনী নিয়েই � উপন্যাস। কিন্তু � শুধু এক নিছক কাহিনী নয�,� এক জীবনবো�, � এক অন্যরক� দর্শ�, নতুন আঙ্গিক� জীবনকে দেখা�
গল্পের নায়� পৃথু ঘো� নামক এক মধ্যবয়সী পুরু�, এই সভ্য পৃথিবী� আধুনিকতা যাকে কখনই ছুতে পারে নি� আধুনিকতা,বিলাসী জীবন- � সব কিছু� থেকে� জঙ্গ� তাকে বেশি টানে� শুরু� দিকে তাকে আর দশটা দুঃখবিলাসী ছন্নছাড়� নায়� মন� হত� পারে� প্রথ� দিকে মন� করেছিলাম, সে হয়ত এক অল� ধরণে� সাধারণ মানু�,যা� বেশিরভাগ সময়� কেটে যায় স্বপ্নের জগতে, কবিতার জগতে� কিন্তু যত� উপন্যাসে� কাহিনী এগোত� থাকে,এই ভু� ভাঙত� থাকে� না,পৃথু ঘো� কোনো অসাধার� মানু� নয�,বর� এই উপন্যাসে সে� একমাত্� সাধারণ মানুষ। অন্যদে� মত সভ্যতা� মুখো� পর� জীবনটা কাটিয়� দেয় নি সে,বর� মানুষে� মত� বেচেছে�
উপন্যাসট� অনেক বাস্তবধর্মী� চরিত্রগুলো� চিন্তা ভাবন�,অত্যন্� সুন্দর ভাবে ফুটিয়� তুলেছে� লেখক� তব� অন্যদে� তুলনায� পৃথু� কাহিনী� বেশি এত�,তা� পড়ত� পড়ত� কখ� যে পৃথু� সাথে মিশে গেছি,নিজে� জানি না� তা� প্রতিট� চিন্তা,প্রতিট� জীবনদর্শনক� নিজে� বল� মন� হচ্ছিল� এমনক� তা� সু�-দুঃখগুলোও। এক পর্যায়ে গিয়� কান্না� এসেছিল,কিন্তু খু� আশ্চর্� হলাম, কিছুদূ� যাবা� পর� পৃথু� মত আমার কান্নাটা� হারিয়� গেল। পৃথু� মত আমিও ভাবছিলাম, দুঃখের তো কিছু হয� নি এখান�, আর সে� দুঃখের কথ� মন� কর� পর� নিজেরই হাসি পেয়েছে।
� উপন্যাসট� সব পাঠকের জন্য নয়। কারণ লেখকের অনেক জীবনদর্শনই অনেকের কাছে ভা� লাগব� না� জীবন অনেক কঠিন,সত্যগুলো বড়ই নির্মম� তা� এই সত্য কথাগুল� হজ� করতে অনেক কষ্ট হয়েছে�
পৃথু� মত�,একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীতে পারিবারি� সম্পর্কগুলোত� এক নতুন বিপ্লব ঘটবে� বদলে যাবে সম্পর্কগুলোর সংজ্ঞা,মানু� হয়ে উঠবে আত্মসচেতন। তব� সব বিপ্লবেই কিছু মূল্� দিতে হয়। তেমনিই, এই বিপ্লবের মূল্� হব� প্রকৃত�, আর মানুষক� তা� অনেক মানবীয় গুণাবল� বিকিয়� এই নতুন পৃথিবী অর্জ� করতে হব� হয়ত� আধুনিকতা নাকি প্রাচীনত্ব, কোনট� সঠিক? এই প্রশ্নের জবাব� খোজা হয়েছে গল্পে। পৃথু প্রাচীনপন্থি সমাজের প্রতিনিধ�,আর রুষা আধুনিকতার। এক পর্যায়ে পৃথু বলেছ�- রুষা আর কুর্চি� হল ভবিষ্য� পৃথিবী� মানুষ। আর সে নিজে প্রাচীনপন্থী।কিন্ত� পুরো উপন্যা� পড়ে এটাই বুঝেছি যে, কুর্চি বা রুষা,দুজনের থেকে� অনেক বেশি আধুনিকমনষ্� হচ্ছ� পৃথু নিজে� প্রকৃতপক্ষ�,তা� চিন্তাভাবনাই ভবিষ্য� পৃথিবী� পরিণতি নির্দে� করে। পৃথু � রুষা দুজন� আসলে ভবিষ্যতে� মানু�, তব� দুজন দু� ধারার।
রুষা চরিত্রটিকে ভা� লাগে নি,বর� করুণ� হয়েছে� নারীবাদিতাকে ভা� কাজে লাগালে সেটা মঙ্গ� বয়ে আনবে, কিন্তু রুষা� মত শুধু ব্যক্তিস্বার্থ� নারীবাদক� ব্যবহারে� পরিণতি খুবই খারা� হবে। পৃথু আর রুষা দুজনেই হয়ত এক� দোষে দোষী, কিন্তু তারপরে� বল�,পৃথু যাদে� ভালবেসেছ� ,সত্য� সত্যিই ভালবেসেছে। আর রুষা শুধু নিজে� স্বার্থই মিটিয়েছ�, তা� মধ্য� কখনই ভালবাস� ছি� না� তব� নির্মম সত্যটা হচ্ছ�, ভবিষ্য� পৃথিবী� মানুষেরা হয়ত রুষাদে� মত� বস্তুবাদী স্বার্থপ� হব�, ইতিমধ্যে� তা� পূর্বাভা� দেখা যাচ্ছে�
উপন্যাসে� বর্ণনা,বাচনভঙ্গী খুবই সুন্দর ছিল। অনেকগুলো সুন্দর কবিত� আর গা� আছ�, এছাড়া� অসংখ্য বিখ্যা� সাহিত্যি� আর দার্শনিকদে� সুন্দর সুন্দর উক্ত� আছে। একটা জিনিসই খারা� লেগেছে, অনেক জায়গাতে� বাংল� হরফে ইংরেজি বাক্� লেখা হয়েছে , এগুল� পড়ত� খুবই সমস্যা হয়েছে� আরেকটা সমস্যা হল,প্রচুর পরিমাণ� হিন্দী সংলাপ। হিন্দী জানা না থাকায় সেগুলো� বেশিরভাগ� বুঝি নি,এত� অনেক ঘটনা� বুঝত� কষ্ট হয়েছে� হয়ত মধ্যপ্রদেশ� এই উপন্যাসে� পটভূমি বলেই লেখক বাংল� ব্যবহা� করেন নি�
মাধুকর৶ অর্থ ভিক্ষাবৃত্তি� জীবনের বিভিন্� পর্যায়ে,বিভিন্� মানুষে� সঙ্গেই দেখা হয� আমাদের� তাদে� প্রত্যেকের কা� থেকে� কিছু শিখি আমরা, আর এই ভিক্ষা কর� পাওয়া শিক্ষা নিয়েই গড়ে উঠ� আমাদের মননশীলত�,আমাদের জ্ঞান। পৃথু এই পর� সত্যকে উপলব্ধ� করেই, সব রকমে� মানুষে� কা� থেকে কিছু শেখা� চেষ্টা করেছে। আর এজন্যই উপন্যাসে� না� মাধুকর৶- জীবনের পদ� পদ� পৃথু� মাধুকর৶�
গল্পের নায়� পৃথু ঘো� নামক এক মধ্যবয়সী পুরু�, এই সভ্য পৃথিবী� আধুনিকতা যাকে কখনই ছুতে পারে নি� আধুনিকতা,বিলাসী জীবন- � সব কিছু� থেকে� জঙ্গ� তাকে বেশি টানে� শুরু� দিকে তাকে আর দশটা দুঃখবিলাসী ছন্নছাড়� নায়� মন� হত� পারে� প্রথ� দিকে মন� করেছিলাম, সে হয়ত এক অল� ধরণে� সাধারণ মানু�,যা� বেশিরভাগ সময়� কেটে যায় স্বপ্নের জগতে, কবিতার জগতে� কিন্তু যত� উপন্যাসে� কাহিনী এগোত� থাকে,এই ভু� ভাঙত� থাকে� না,পৃথু ঘো� কোনো অসাধার� মানু� নয�,বর� এই উপন্যাসে সে� একমাত্� সাধারণ মানুষ। অন্যদে� মত সভ্যতা� মুখো� পর� জীবনটা কাটিয়� দেয় নি সে,বর� মানুষে� মত� বেচেছে�
উপন্যাসট� অনেক বাস্তবধর্মী� চরিত্রগুলো� চিন্তা ভাবন�,অত্যন্� সুন্দর ভাবে ফুটিয়� তুলেছে� লেখক� তব� অন্যদে� তুলনায� পৃথু� কাহিনী� বেশি এত�,তা� পড়ত� পড়ত� কখ� যে পৃথু� সাথে মিশে গেছি,নিজে� জানি না� তা� প্রতিট� চিন্তা,প্রতিট� জীবনদর্শনক� নিজে� বল� মন� হচ্ছিল� এমনক� তা� সু�-দুঃখগুলোও। এক পর্যায়ে গিয়� কান্না� এসেছিল,কিন্তু খু� আশ্চর্� হলাম, কিছুদূ� যাবা� পর� পৃথু� মত আমার কান্নাটা� হারিয়� গেল। পৃথু� মত আমিও ভাবছিলাম, দুঃখের তো কিছু হয� নি এখান�, আর সে� দুঃখের কথ� মন� কর� পর� নিজেরই হাসি পেয়েছে।
� উপন্যাসট� সব পাঠকের জন্য নয়। কারণ লেখকের অনেক জীবনদর্শনই অনেকের কাছে ভা� লাগব� না� জীবন অনেক কঠিন,সত্যগুলো বড়ই নির্মম� তা� এই সত্য কথাগুল� হজ� করতে অনেক কষ্ট হয়েছে�
পৃথু� মত�,একবিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীতে পারিবারি� সম্পর্কগুলোত� এক নতুন বিপ্লব ঘটবে� বদলে যাবে সম্পর্কগুলোর সংজ্ঞা,মানু� হয়ে উঠবে আত্মসচেতন। তব� সব বিপ্লবেই কিছু মূল্� দিতে হয়। তেমনিই, এই বিপ্লবের মূল্� হব� প্রকৃত�, আর মানুষক� তা� অনেক মানবীয় গুণাবল� বিকিয়� এই নতুন পৃথিবী অর্জ� করতে হব� হয়ত� আধুনিকতা নাকি প্রাচীনত্ব, কোনট� সঠিক? এই প্রশ্নের জবাব� খোজা হয়েছে গল্পে। পৃথু প্রাচীনপন্থি সমাজের প্রতিনিধ�,আর রুষা আধুনিকতার। এক পর্যায়ে পৃথু বলেছ�- রুষা আর কুর্চি� হল ভবিষ্য� পৃথিবী� মানুষ। আর সে নিজে প্রাচীনপন্থী।কিন্ত� পুরো উপন্যা� পড়ে এটাই বুঝেছি যে, কুর্চি বা রুষা,দুজনের থেকে� অনেক বেশি আধুনিকমনষ্� হচ্ছ� পৃথু নিজে� প্রকৃতপক্ষ�,তা� চিন্তাভাবনাই ভবিষ্য� পৃথিবী� পরিণতি নির্দে� করে। পৃথু � রুষা দুজন� আসলে ভবিষ্যতে� মানু�, তব� দুজন দু� ধারার।
রুষা চরিত্রটিকে ভা� লাগে নি,বর� করুণ� হয়েছে� নারীবাদিতাকে ভা� কাজে লাগালে সেটা মঙ্গ� বয়ে আনবে, কিন্তু রুষা� মত শুধু ব্যক্তিস্বার্থ� নারীবাদক� ব্যবহারে� পরিণতি খুবই খারা� হবে। পৃথু আর রুষা দুজনেই হয়ত এক� দোষে দোষী, কিন্তু তারপরে� বল�,পৃথু যাদে� ভালবেসেছ� ,সত্য� সত্যিই ভালবেসেছে। আর রুষা শুধু নিজে� স্বার্থই মিটিয়েছ�, তা� মধ্য� কখনই ভালবাস� ছি� না� তব� নির্মম সত্যটা হচ্ছ�, ভবিষ্য� পৃথিবী� মানুষেরা হয়ত রুষাদে� মত� বস্তুবাদী স্বার্থপ� হব�, ইতিমধ্যে� তা� পূর্বাভা� দেখা যাচ্ছে�
উপন্যাসে� বর্ণনা,বাচনভঙ্গী খুবই সুন্দর ছিল। অনেকগুলো সুন্দর কবিত� আর গা� আছ�, এছাড়া� অসংখ্য বিখ্যা� সাহিত্যি� আর দার্শনিকদে� সুন্দর সুন্দর উক্ত� আছে। একটা জিনিসই খারা� লেগেছে, অনেক জায়গাতে� বাংল� হরফে ইংরেজি বাক্� লেখা হয়েছে , এগুল� পড়ত� খুবই সমস্যা হয়েছে� আরেকটা সমস্যা হল,প্রচুর পরিমাণ� হিন্দী সংলাপ। হিন্দী জানা না থাকায় সেগুলো� বেশিরভাগ� বুঝি নি,এত� অনেক ঘটনা� বুঝত� কষ্ট হয়েছে� হয়ত মধ্যপ্রদেশ� এই উপন্যাসে� পটভূমি বলেই লেখক বাংল� ব্যবহা� করেন নি�
মাধুকর৶ অর্থ ভিক্ষাবৃত্তি� জীবনের বিভিন্� পর্যায়ে,বিভিন্� মানুষে� সঙ্গেই দেখা হয� আমাদের� তাদে� প্রত্যেকের কা� থেকে� কিছু শিখি আমরা, আর এই ভিক্ষা কর� পাওয়া শিক্ষা নিয়েই গড়ে উঠ� আমাদের মননশীলত�,আমাদের জ্ঞান। পৃথু এই পর� সত্যকে উপলব্ধ� করেই, সব রকমে� মানুষে� কা� থেকে কিছু শেখা� চেষ্টা করেছে। আর এজন্যই উপন্যাসে� না� মাধুকর৶- জীবনের পদ� পদ� পৃথু� মাধুকর৶�
Sign into ŷ to see if any of your friends have read
মাধুকর৶.
Sign In »
Reading Progress
May 20, 2020
–
Started Reading
May 20, 2020
– Shelved
May 24, 2020
–
Finished Reading