ভাদ্� মাসে� সন্ধা। আকাশ� মে� আছে। লালচ� রঙের মেঘ। যে মেঘে বৃষ্টি হয� না, তব� দেকায় অপূর্ব� এই গাঢ় লা�, এই হালক� হলুদ, আবার চোখে� নিমিষে লালে� সঙ্গ� খয়েরি মিশে সম্পূর্ণ অন্য রঙ� রঙের খেলা যিনি খেলছেন মন� হয� তিনি সিদ্ধান্তহীনতায� ভুগছেন।�
এভাবেই সূচন� ঘটেছ� হুমাযূ� আহমেদে� চা� দশকে� বর্ণময� লেখকজীবনের শে� উপন্যা� ‘দেয়াল�- এর� ২০১১ সালে� মাঝামাঝিতে ‘দেয়াল� রচনা শুরু করেছিলেন তিনি� সে-সময় উপন্যাসে� পাঁচটি পর্ব ধারাবাহিকভাব� ‘অন্যদিন�-এর প্রকাশিত হয়। এরপর বে� কিছুদি� বিরতির পর যুক্তরাষ্ট্র� তাঁর ক্যানসার চিকিৎস� চলাকাল� নতুন কর� ‘দেয়াল� রচনায় মনোনিবেশ করেন তিনি, যদিও শে� পর্যন্� উপন্যাসটির চূড়ান্ত রূ� দেয়ার সুযো� পা� নি�
সূচন�-অনুচ্ছেদ� আকাশের রঙবদলে� খেয়ায� যে সিদ্ধান্তহীনতার কথ� বল� হচ্ছ� তা বিশে� ইঙ্গিতবহ� যে সময়কে উপজীব্� কর� হয়েছে ‘দেয়াল�-�, তা একটি সদ্যস্বাধী� জাতি� ভাগ্যকাশের চর� অনিশ্চয়তা� কাল। উপন্যাসে� কিছু চরিত্র বাস্তব থেকে নেওয়া, না�-ধা� সব� বাস্তব, ঘটনা-পরস্পরাও বাস্তবের� অংশ। লেখক যেহেতু উপন্যা� লিখেছে�, তা� আছ� কিছু কাল্পনিক চরিত্র� গল্প আবর্তি� হয়েছে এদের ঘিরেও।
নানা ঘটনা� ঘনঘটায� ঢাকা পড়ে নি জীবনসৌন্দর্য আর জীবন-সত্যের সন্ধান� ইতিহাসের সত্য আর লেখকের সৃজনী ভাবন্য-দুইয়ে মিলে ‘দেয়াল� পরিণ� হয়েছে একটি হৃদয়গ্রাহী উপাখ্যানে।
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমে�; 13 November 1948 � 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters � Nova, Sheela, Bipasha and one son � Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons � Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
রুপবতী এক খেয়ালী তরুনী, আছে। বন্ধনহী� যুবক, আছে। বিকারগ্রস্� বৃদ্�, আছে। হুমায়ুনীয় মেটাফো� যেমন- ‘কিছ� বিদ্যা মানুষে� ভেতরেই থাকে, যা সে জানেনা।�, আছে। বল� যেতে পারে ‘দেয়াল� তা� হুমায়ূন আহমেদেরই উপন্যাস। যথার্থ� কেমন লেগেছে ??... ভালো নয়।
‘দেয়াল� এর শুরুটা� বিতর্কিত ছিলো� জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত উপন্যাসটির টিজারে তথ্যগত ভ্রান্তি ছিলো- মামল� পর্যন্� গড়ায় সে ভুল। প্রিয় গল্পকা� হুমায়ূনের শে� উপন্যা� নিয়� তা� আশ�-আশঙ্কা’র দোলাচল ছিলো মনে। অবশেষে পড়া হলো।
‘দেয়াল� রাজনৈতিক উপন্যাস। বল� ভালো, ঐতিহাসিক উপন্যাস। কিন্তু উপন্যাসে� কোথায় সে ইতিহাস ?? পাঠক সুহা� খুঁজেছে। পেয়েছ� বঙ্গবন্ধ� শে� মুজিবে� না�, পেয়েছ� কমিক চরিত্র খন্দকা� মোশতাককে, পেয়েছ� কর্ণেল তাহেরক�, পেয়েছ� খালে� মোশাররফকে। এসেছেন জিয়�, শাফায়াত জামিলেরা� তব� বিক্ষিপ্�- ছাড়� ছাড়া। জীবদ্দশা� শে� কয়েকবছর হুমায়ূনের অন্যান্য লেখা� মতোই- টেনেছে ভাষা� স্রোতে� টানে, বাঁধনে জড়ায় নি গাঁথায়।
যে অস্থির সময়কে ধরতে চেয়েছেন লেখক, সে� সময়ের মতোই রোলারকোস্টার� চড়া যে� কাহিনী� বুনোট। এই চরিত্র আসছে, � যাচ্ছে� কে� যাচ্ছে- বুঝি না� বে� কিছু চরিত্রের আবির্ভাবের উপযো� বুঝিনি, কুয়াশায� ঢাকা অনেকের পরিণতিও।
রাধানা� বাবু� সাথে ইউজি� বোস্টারে� সম্পর্কে� দূরত� ঈঙ্গিত’ও লেখায় নেই। নে� খন্দকা� মাকড়স� মোশতাকের ষড়যন্ত্রে� জাল। আছ� ঠি� তিরিশট� তথ্যসূত্রে� তালিকা, যদিও স্থানে স্থানে মাসকারেনহাসে� উল্লেখ/উদ্ধৃত� দিয়� লেখক তা� আশ্রয়ের মূলট� নির্দে� করেছেন� মাসকারেনহাসে� বইটি� গল্পের ছল� লেখা, যে� গল্প বলার শক্তিট� হুমায়ূনকে করেছ� অতুলনীয়�
ব্যক্ত� হুমায়ুন উপন্যাসে এসেছেন অনেক জায়গায়� সুতো কাটা কাটা হয়ে�, বোঝা গেছে রক্ষিবাহিনী� প্রত� তা� বিরা�, বোঝা গেছে কর্ণেল তাহেরে� প্রত� অনুরাগ- জিয়ার ব্যক্ত� জীবনের সততা� উল্লেখ� আছে। তব� জিয়ার সানগ্লাসের মত� অস্পষ্� থেকে গেছে ৭২-৭৫ এর ঢাকা বা বাংলাদেশ�
ঐতিহাসিক চরিত্রগুলো� মাঝে খালে� মোশাররফক� বাস্তবের সবচেয়� কাছাকাছি এঁকেছে� হুমায়ুন� তা� কাছাকাছি পাঠক যেতে পারে� কিন্তু দুর্যোগে� ছয়’ই নভেম্ব� রাতে অবন্তি� বাসায় তা� মা� চিবোনোটা জাদুবাস্তবতা� মতোই ঠেকে�
‘দেয়াল� নিয়� আমার প্রতিক্রিয়া তা� সরল। ভালো লাগেনি, একদমই। সাধারণ পাঠকতো (“এ� প্রজন্ম� শব্দদ্বয়ও- লিখত� পারে� অনেক�)) আর ইতিহাস পড়ে না, তা� দেয়াল� বা খারা� কি- এই যুক্তিতে� সে� অপছন্দ ঢাকা যায় না�
সমাপ্ত� টানব� আরেকটা কথ� বলেই� ১৫ আগস্টে� রা� বর্ণনায় নাপি� হরিদাসের প্রসঙ্� এসেছে। খুবই অল্প কথায� আঁকা সোবহানবাগে� এই নাপি� আঙ্গুল দিয়� দেখিয়� দেয়- হুমায়ূন পারতেন- চাইলেই পারতেন� কে� পারে� নি, ‘দেয়াল� সে প্রশ্নের দেয়ালটা চওড়� কর� আরো।
গু� বা� মায়েস্ত্র� হুমায়ূন� আপনাকে মন� রাখবো। মন� রাখব� সাদা গাড়ির অসুখী যুবক� বা নিশীথিনী� রানুতে� ‘দেয়াল� এর জন্য� নয়।
খু� অক্ষমত� এব� লজ্জার সঙ্গ� স্বীকা� কর� বাংলাদেশের স্বাধীনতাপূর্ব � পরবর্তী সময়ের ইতিহাস সম্পর্কে আম� ঠি� বেশি কিছু জানি না� শুনেছি, টুকটাক পড়েছি এখান�-ওখান�.. পত্রিক� কিংব� উপন্যাসে� আয়ত ভাঁজে। ঐটুকুই� সবিস্তার পড়াশোনা� ইচ্ছ� আছ�, সময় এব� সুযো� তৈরী হলে।
হুমায়ূনপ্রেমে� ঘো� কেটে গেছে বহ� আগে। তাঁর শে� রচিত উপন্যা� পড়লাম বে� দেরি করেই� না পড়লেও অবশ্� ক্ষত� ছি� না� অবশ্যপাঠ্য কো� উপন্যা� এট� নয়।
অস্থির রাজনৈতিক পটভূমি নিয়� রচিত এই অাখ্যানে এসেছেন অনেক বিখ্যা� � কুখ্যা� ঐতিহাসিক চরিত্র� কিছু তথ্য বে� চমকপ্র�, কিছু আগেই জানা� কো� চরিত্র� প্রস্ফুটিত নয� সম্পূর্ণ ভাবে� অ্যান্থন� মাসকারেনহাসে� না� এসেছ� বে� কয়েকবার তথ্যসুত্� হিসেবে� শ্বেতসর্� খন্দকা� মুশতাককে আঁকা হয়েছে ভাঁড� হিসেবে, তাজউদ্দী� আহমে� রয়ে গেছে� প্রায় অনুল্লেখিত-ই। লেখকের ব্যক্ত� জীবনের বেশকিছ� তথ্য আছ�, আছ� যুদ্ধবিধস্� দেশে একটি শহী� পরিবারের অসহায়ত্বে� কথ�,কর্ণেল তাহেরে� সঙ্গ� পারিবারিকভাব� লেখকের ঘনিষ্ঠতা� কথাও� আছেন খালে� মোশারর�, জেনারে� মঞ্জুর,শাফায়েত জামি� এব� জিয়াউ� রহমান। থাকত� পারত আর� নিপু� কলেবরে, আর� নানা কিছু�
বইয়ের ফ্ল্যাপে� একাংশে লেখা ''ইতিহাসের সত্য আর লেখকের সৃজনী ভাবন্য-দুইয়ে মিলে ‘দেয়াল� পরিণ� হয়েছে একটি হৃদয়গ্রাহী উপাখ্যান�'', খ্যা খ্যা.. হাসি চেপে রাখা গেলো না�
দুঃখিত হুমায়ুন আহমেদ। আমার হৃদয� আপনি ছুঁয়ে থাকবেন একসয়ে� অন্য আর� অসংখ্য রচনা� কারণ�, যখ� আপনি অন্যপ্রকাশ-শাওন-সময় প্রকাশনী� সুতোয় নাচা একুশ� বইমেলা� বাজারি লেখক ছিলে� না� এই সুবিধাবাদী রাজনৈতিক উপন্যাসট� কোনক্রমে� সেগুলো� অর্ন্তভুক্� হবার যোগ্যত� রাখেনি�
বইটা পড়েছিলা� বে� হওয়ার পরপরই। কোনো বই বে� হবার সাথে সাথে পড়ে ফেলাটা আমার জন্য বিরল� হুমায়ুন আহমেদে� মৃত্যু আর বইটা নিয়� আদালতে দৌড়াদৌড়ি� এত তাড়াতাড়ি পড়া� কারণ� তখ� আম� হুমায়ুন আহমেদে� অন্ধভক্ত না হলেও কাছাকাছি পর্যায়ে� কেউ। তা� এই অখাদ্য� খারা� লাগেনি� '৭১ পরবর্তী নানা ব্যাপা� সম্পর্কে জানা� অভাব (এখনও আছ�, তব� তখ� আর� অনেক বেশি ছি�) এর কারণ� ঐতিহাসিক ব্যাপারগুল� নিয়� প্রশ্ন জাগেনি মনে। বইয়ের পেছন� এত এত রেফারেন্� দেখে মন� হয়েছে, উপন্যা� না, ইতিহাস পড়ছি।
এরপর কয়ে� বছ� গেল। � ইতিহাস এখ� সুবিধাবাদী ইতিহাস� তা� ভেবেছিলা� আম� ছোটো মানু�, তা� বুঝত� পারিনি ঠিকঠাক, দোষট� লেখকের না, আমারই। তা� দিয়েছিলাম তিনতারা।
কা� ফেসবুক� জাফর ইকবা� স্যারে� পেজে� পোস্টে� নিচে কমেন্ট দেখলাম কারো, যে কীনা দেয়ালের রেফারেন্� টেনে বঙ্গবন্ধ� হত্যাকাণ্ড, জিয়ার ক্ষমতা দখ� আর আর� অসংখ্য কালো অধ্যায়ক� ইনিয়েবিনিয়� হালা� কর� নিচ্ছিল। ভাবলাম, সে� বুঝি ছোটো ছি�!
কিন্তু ছোটো সে এক� না, তা� কমেন্টের সাপোর্টে অসংখ্য লাইক, কমেন্ট দেখে বুঝলাম, হুমায়ুন আহমে� এই বই লিখে তাঁর আন্ধ� সাপোর্টারদের কতটা জ্ঞানী কর� গেছে�!
আপনি হিস্ট্রি লিখত� পারে�, ফিকশ� লিখত� পারে�, আবার দুটোকে মিলিয়েও লিখত� পারেন। চাইল� ফিকশ� বা সুবিধাবাদী হিস্ট্রি লিখে তাকে রেফারেন্সে রেফারেন্সে হিস্ট্রি বানানো� চেষ্টা� করতে পারে�, সে� অধিকার 'লেখক' হিসাবে আপনা� আছে। এক তারা দাগিয়� আপনা� এই লেখা� প্রত� আমার বিরক্ত� প্রকাশের অধিকার� আমার আছ� নিশ্চয়ই�
হুমায়ুন আহমদের আন্ধ� সাপোর্টারর�, আসেন! গুণী লোকক� কীভাবে সম্মান করতে হয� শিখিয়� যা�, আমাক� উনার মানে� একটা বই লেখা� চ্যালেঞ্� দিয়� যান। বেশি মন খারা� হল� দুয়েকটা গালি� দিয়� যা�, কোনো সমস্যা নেই।
"রেজিমেন্টে ফিরে যাওয়া মানে সরাসরি কোর্� মার্শালে হাজি� হওয়া। খালে� মোশারর� হচ্ছ� ময়মনসিংহে� ছেলে� এঁদে� ঘাড়ের তিনট� রগ থাকে তেড়া। এই তেড়� রগের কারণ� আমাদের সে গুলি কর� মারবে।"
লেখক এব� পাঠক� ময়মনসিংহে� ছেলে� আমাদের ঘাড়ের তিনট� রগ তেড়া।
হুমায়ূন আহমেদে� লেখা আমার সবচেয়� প্রিয় বই "দেয়াল"�
অতীতে� স্মৃতিচারণের সাথে যখ� ইতিহাস� চল� আস� তখ� ব্যক্তিগ� দৃষ্টিকো� নিয়েও আলোচনা থাকে� ব্যক্তিগ� দৃষ্টিকো� ইতিহাস স্পষ্ট করার বদলে উল্ট� গোলকধাঁধাও সৃষ্টি করতে পারে� বই পড়া� সময় বে� কিছু জায়গায় এমনটাই মন� হয়েছে� শে� মুজিবু� রহমা� ভারতের সেনাবাহিনী দিয়� বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে দুর্বল করতে চেয়েছেন আবার মেজর জিয়াও বহ� সেনাসদস্যদের ফাঁস� দিয়েছেন, গোপন� বিচারও করেছেন বইয়� বল� হয়েছে� কিন্তু সেনাবাহিনী� অবস্থানক� ধোঁয়াশা� মধ্যেই রাখা হয়েছে� কিছু সেনাসদস্যে� কথ� আছ� কিন্তু সেখানে� অস্পষ্টতা। কিন্তু একটা বিষয� বুঝত� পেরেছি� ১৯৭১ � পরবর্তী সময় নিয়� আর� অনেক বই পড়া লাগবে।
ইতিহাস আশ্রয়ী গল্প-উপন্যা� লেখা বিষয়ে বিরূ� মন্তব্� করেছিলেন� পরোক্ষভাবে খোঁচ� দিয়েছিলেন খু� সম্ভবত আখতারুজ্জামা� ইলিয়া� বা শওকত আলীকে� অথ� পর� এক সময় অবজ্ঞা কর� পথ� নিজেরও হাঁটার খায়েশ হলো। লিখলেন কয়েকট� ইতিহাসভিত্তি� উপন্যাস। যেগুলো একেকটা হয়েছে বড� বড� ঘোড়ার ডিম। তাঁর শে� উপন্যা� ‘দেয়াল’ও ঘোড়ার ডিমগুলোর একটি� ভালো দি� এই যে পড়ত� সময় লাগেনি, অর্থাৎ সময় বেশি নষ্ট হয়নি। আর অনেকদি� পর এক সময়ের প্রিয় লেখকের বই পড়ত� বসার কারণেই হয়ত� প্রথ� অর্ধশত পৃষ্ঠা পর্যন্� পা� আনন্দদায়ক ছিল। দুইট� তারা এই দু� কারণে।
হুমায়ূন আহমে� কখনো� হতাশ করেন না আমাকে। দেয়াল তা� শে� উপন্যাস। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্� পরবর্তী ইতিহাস � এর পরের কয়েকট� সেনা অভ্যুত্থান� এই উপন্যাসে� উপজীব্য। তব� ইতিহাসের সাথে কল্পনা� ভালো রকমেরই মিশ্রণ ঘটিয়েছে� লেখক� কয়েকট� কাল্পনিক চরিত্র � দৃশ্যকল্� হাজি� করেছেন� বিশে� কর� খন্দকা� মোশতাককে অনেকটা কমিক রো� বানিয়েছেন� খারা� লাগেনি ব্যাপারটা। তব� বইটা খু� একটা পক্ষপাতদুষ্ট নয়। ঐতিহাসিক চরিত্রগুলো� প্রায় সবাইকে� একইসাথ� সমানভাবে ভালো � খারা� হিসেবে উপস্থাপন করেছেন� কোনো প্রোপাগণ্ড� বাস্তবায়নের ইচ্ছ� তা� ছি� বল� মন� হয� না� পঁচাত্তর পরবর্তী ইতিহাসের জন্য এট� ভালো রেফারেন্� বই না হলেও ক্রমাধার� � পরিস্থিত� সম্পর্কে একটা আইডিয়� তো পাওয়া� যায়�
শেষপর্যন্ত হুমায়ুন আহমেদে� শে� উপন্যা� দেয়াল পড়া হল� হুমায়ুনের একজন একনিষ্� পাঠক হিসেবে যে তাঁর গত দশবছরে� লেখনির ক্রমনিম্নগাম� কোয়ালিটিত� প্রতিনিয়ত মুগ্� হবার পরিবর্তে বিরক্ত-আশাহতই হয়েছে বারবার, বলতে পারি বইটা খারা� না, বে� ভালো�... যদিও মন� হয়েছে বইটা খু� বেশি ছো� � যে সুবিশা� প্রেক্ষাপট আর বাংলাদেশের অত্যন্� স্পর্শকাতর একটা সময়কে তুলে ধর� নিয়� লেখা সেটা� জন্য মাত্� ২০� পৃষ্ঠা আমার মত� একেবারেই অপ্রতু� � সুনী� গঙ্গোপাধ্যায়ে� 'পূর্�-পশ্চিম', 'সে� সময়' বা হুমায়ুনের নিজেরই 'মধ্যাহ্ন'-এর মত বড� বড� দু� খণ্ড প্রয়োজন ছি� আমার মত নতুন যুগে� যারা আমাদের ইতিহাসের এই অবিশ্বাস্য গুরুত্বপূর্ণ-কিন্তু একইসাথ� সবচেয়� কম বিবৃ� � সর্বাধিক পলিটিক্যাল� ম্যানিপুলেটে� ঘটনাবলী সম্পর্কে অনেকটা� অন্ধকারে (এব� আম� নিশ্চি� আমার মত আর� অসংখ্য পাঠক) তাদেরক� কমবেশি আলোকিত কর� গল্পকে লেখকের নিজস্ব স্টাইল� সাবলীলভাব� এগিয়ে ঠিকমতন জমিয়ে তুলত� � কারণ ঐতিহাসিক সব ঘটনাবর্ণনা� ক্ষেত্রে অনেক সময়� মন� হয়েছে যে� উইকিপিডিয়ার সারসংক্ষেপ পড়ছি। যা হো�, কী হত� পারত তা নিয়� আক্ষেপ কর� তো লা� নে�, আমরা যে হুমায়ুনের মৃত্যু� পর অবশেষে এই বহুল আলোচিত উপন্যাসট� মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ পেয়েছ� এটাই অনেক � তা� উপ� যত� সংক্ষিপ্� ইতিহাস হো� না কে�, আমার মত নিছক একজন ম্যাঙ্গো পাঠকের দৃষ্টিকো� থেকে বস-লেখক তাঁর শে� বইয়ের শে� পর্যন্� ঠিকই নিজে� নামে� মর্যাদ� রাখত� পেরেছে�, মাত্� ২০� পৃষ্ঠায় এহেন বিস্তৃ� ইতিহাস চলনসইভাব� সাইজ কর� পরিসমাপ্তিতে আনাও তো কম কথ� না !
উপন্যাসট� শে� কর� আমার The Dark Knight ফিল্মে� একটা অতিপ্রিয� লাইন মাথায় ঘুরছিল: 'You either die a hero, or live long enough to see yourself become the villain'. It is so terribly true in more ways than one in real life.
দেয়াল নিয়� বাঙালি বহুভাবেই দ্বিমত পোষণের সাথে দ্বিধায় থাকে� ফিকশনে� ফাঁকতালে কতটা সত্� আর কতটা কল্পনামিশ্রি� মধুর বাকে্� আশ্রিত তথ্য।
বিতর্কিত এই বইয়ের অতর্কি� সামন� আস� সব তথ্যে� সাথে হৃদয়ঙ্গ� হবার মত� পারঙ্গ� এখনো এই দুর্বল পাঠিকা ঠি� হয়ে পারেনি, সুতরাং পক্ষপাতদুষ্ট না সব� সত্যঘটনাপুষ্ট সে তর্কাতর্কি� তোড়� তুবড়ি ছোটানো� তালে তালগোল পাকানো আপাত� বা� দিয়� শে� করছি সারসংক্ষেপ�
মনটা অসম্ভব বিষন্ন হয়ে গেছে কর্নেল তাহেরে� জন্য,বে� খানিকট� সময় লাগব� এই সূর্যসন্তানে� নিঃশেষ� প্রা� করিয়া দানে� বিনিময়ে রঞ্জিত দেশে� দুঃস্বপ্নে� সে� দিনগুল� ভুলতে।
আমাদের দেশে� ইতিহাস� ১৯৭২ পরবর্তী সময়টা অন্যতম ক্রান্তিলগ্ন হিসেবে পরিচিত কিন্তু সে প্রেক্ষিতে এই সময়কা� নিয়� ব্যাপক নন-ফিকশ� বই থাকলেও ফিকশ� তেমন নেই। বইটা� শুরুটা ছিলো দমদার। কাহিনী সময়ের সাথে এগিয়ে যাচ্ছিলো ভালো� তব� শেষে কেমন যেনো অসম্পূর্� একটা অনুভূত� হচ্ছিলো। আসলে এত� ব্যাপক ঘটনাবহুল একটা টাইম লাইন দু� মলাট� আবদ্� করাও চার্ট্টিখানি কথ� না� সেরক� ব্যাপকতা পেলে পাঁচ তারক� এমনি� দিতাম।
আলোচিত জিনিসগুলোক� আম� সবসময় এড়িয়� যাই। মানু� যেটা নিয়� বেশি হৈ হুল্লোড় কর� তা দূ� থেকে� দেখত� ভালো লাগে� আকর্ষণটা থেকে যা�, কাছে নিলে� নষ্ট হয়ে যাবে� হুমায়ূন আহমেদে� শে� উপন্যাসটাও অনেকটা সেরকম।
কালক� সন্ধ্য� � টায় ধানমন্ডি থেকে পড়া শুরু কর�, বাসে� মধ্য� ঘন্টাখানেকের মধ্য� বই শে� হয� যায়� ২৫� টাকা� বই, এত দ্রু� শে�(?)� কিন্তু কথ� হল বইটা কেমন ছি�?
প্রথমে� লেখক ধন্যবা� পাওয়া যোগ্�, কারন সে এরকম স্পর্শকাতর একটা বিষয� নিয়� উপন্যা� লেখা� সাহস করেছে। ব্যস এতটুকু� জন্য ধন্যবা� দি� আম� তাকে� ৭১ এর পরের ঘটনাগুলোকে নিয়� নিজে� মত কর� উপন্যাসক� এগিয়ে নিয়েছে। কিন্তু দিনশেষ� আম� বল� লেখক ব্যর্থ হয়েছে� অনেকাংশে�, যদিও সে উপন্যা� শে� করতে পারেননি।
রক্ষীবাহিনী� প্রত� তা� রা�, বঙ্গবন্ধুক� বঙ্গবন্ধুর মত না দেখানো, কর্ণেল তাহে�, জাসদ নিয়� হালক� বাড়াবাড়ি, জিয়াক� তা� কালো সানগ্লাসের মত� অস্পষ্� রাখা, চাটুকারদের চিত্� ফুটিয়� তোলা, আর কা� থেকে খালে� মোশারফ পাঠকের সামন� তুলে আনা। তারপ� ছি� চালক নায়িক�, বোকা নায়� আর� অনেককিছু�
কিন্তু দিনশেষ� উপন্যাসট� অনেকটা� এলোমেল�, খাপছাড়া, লেখক অনেক কিছু বলতে গিয়েও এড়িয়� গিয়েছেন মন� হল� তি� চাইলেই বলতে পারতেন, কিন্তু কে� বলেননি, শুধু তিনি� জানেন। রাজনৈতিক ইতিহাসের উপন্যা� হলেও, আমার মন বুলাতে পারেনি� আবার ২৫� টাকা� জল� যায়নি� তব� হা� বইটি আপনাকে ইতিহাস ঘাঁটতে একটু হলেও অনুপ্রাণিত করবে�
মানু� সবসময় সঠিক কাজটিই করতে চায়� তব� কারো কাছে যা সঠিক তা আর কারো কাছে অত্যন্� বেঠিক। ফলস্রুতিতে মানুষে� মাঝে সৃষ্টি হয� দেয়ালের�
উপন্যাসে� সময়রেখা স্বাধীনত� যুদ্ধে� একটু আগ থেকে বাংলাদেশের সপ্ত� প্রেসিডেন্� জিয়াউ� রহমানে� হত্যাকান্ড পর্যন্ত।
'দেয়াল' এক বিতর্কিত উপন্যাস। হুমায়ূন আহমেদে� কো� নভেল নিয়� এদ্দুর কন্ট্রোভার্স� খু� সম্ভবত আগ� হয� নি� আদালতে� নির্দেশন� অনুযায়ী পরিমার্জিত রূপে লেখকের মৃত্যু পরবর্ত� সময়� প্রকাশিত হলেও কিছু বিতর্ক রয়ে� যায়�
নভেলের মূ� চরিত্র অবন্তি� লেখকের অনেক উপন্যাসে� মতোই অতিশয় রূপবতী, ক্ষ্যাপাটে, চপলমতি এব� প্রথাবিরোধী রূপে� অবন্তিকে পুরো আখ্যান� পাওয়া যায়� লেখক নিজে� আছেন দেয়ালে।
অবন্তিকে ঘিরে আছ� নানা চরিত্র, আবার তাদে� সাথে জড়িয়� আছ� আর� কিছু চরিত্র� ইতিহাসকে উপজীব্� কর� লিখা 'দেয়াল' � � সক� চরিত্রসমূহ ১৯৭১ সা� থেকে শুরু কর� জিয়াউ� রহমানে� মৃত্যু পর্যন্� তাদের অনেকের অল্পবিস্তর আস�-যাওয়া আছ� সে� সময়ের ঘটনাপ্রবাহের সাথে�
ঐতিহাসিক ফিকশ� একেবার� নিরে� সত্য বলবে এট� আশ� করাট� একটু বেশিই হয়ে যায়� তব� হুমায়ূন আহমেদে� স্বভাবসুলভ সুখপাঠ্য ভাষা� সমান্তরালে বিভিন্� রেফারেন্সে� উল্লেখ আছ� বইটি� শেষে�
সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডের বর্ণনা পড়ল� কিংব� জাতীয় চা� নেতা� সাথে যে মহাঅন্যায় ঘটেছিল� সেসবের বর্ণনা পড়ল� যেকো� মহ� আওয়ামী বিরোধীরও অন্ত� কিছু মুহূর্তে� জন্য মনটা বিষন্ন হয়ে উঠতে পারে�
কর্নেল তাহে� এব� খালে� মোশাররফে� শে� দিকে� তীব্� বৈরিতা� মাঝে� এক� অপরে� প্রত� শ্রদ্ধ� পোষণ করাটাও পাঠকের মন� সৃষ্টি করতে পারে বিস্ময়ের।
অবন্তিকে ঘিরে একটি� পর একটি ঘটনা, তা� গৃহশিক্ষ� শফিকের জীবনের রোলা� কোস্টারে� মত� উত্থান-পত�, চট্টগ্রামে� হালিশহরে� 'আন্ধ� পী�' এর প্রাসঙ্গিক আগমন ছাড়াও আর� কিছু চরিত্র এব� গল্পের অনেক জায়গায় কমিক রিলি� উপন্যাসটিক� অনেকের কাছে� সমাদৃ� করতে পারে�
অবশ্� কে� কে� হত� পারে� সংক্ষুব্�, কারো অনুভূতিত� লাগত� পারে আঘাত� হুমায়ূন আহমে� কাউক� যেমন দেবতার আসনে বসান নি ঠি� তেমন� যা� যা� যোগ্� সম্মানটুকু দেয়ার চেষ্টা করেছেন দেয়ালে।
অবশ্� উপন্যাসে� বে� কিছু বিষয� খাপছাড়া লাগত� পারে অনেকের কাছে� লা� দিয়�, অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয�-আশয় স্কি� কর� দেয়ালের এগিয়ে যাওয়াটা কী হুমায়ূন আহমেদে� ইচ্ছাকৃত ছিলো?
মানু� সত্যের চেয়� রাজনৈতিক সত্যকে� অধিকতর গুরুত্� দেয়, দিয়েছিল�, দিবে� তব� যা� যা� 'রাজনৈতিক সত্য' কে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়� নির্মানবিক কায়দায় বিদায় নিয়েছেন অনেক বী�, অনেক সূর্যসন্তা�, � জাতির। এস� বিদায় মনকে বিষাদে ভর্ত� কর� দেয়�
অবশ্� উপন্যাসে� কিছু অং� বে� রাশড� দেয়ালের শে� �'লাইন পড়ে রীতিমত� হতাশ হয়েছি� মঞ্জুরের সক� কর্মকান্ডে� দায় কীভাবে চাপিয়� দেয়� হল� তা� স্ত্রী� উপ�? "প্রলয়ংকারী স্ত্রী বুদ্ধি কা� কর� থাকত� পারে" টাইপ বাক্� দিয়� নভেলের এন্ডিং করানোট� ঠি� হুমায়ূনসুলভ নয়।
মানব� ইতিহাস� প্রায় সবসময়ই নিজেদে� মধ্য� দেয়াল ছিলো, আছ� থাকবে। অতীতে� দিকে তাকালে, পর্যালোচনা করতে পারল� বর্তমা� এব� কিছুটা ভবিষ্যতও আঁ� কর� যায়�
হুমায়ূন আহমেদে� শে� উপন্যা� পড়ে বুঝে উঠ� যায় বর্তমা� সময়েও মানুষে মানুষে অদৃশ্য এক দেয়াল বিদ্যমান, বরঞ্� বে� কিছুটা দৈর্ঘ্�, প্রস্থ � উচ্চতায় সে� 'দেয়াল' আর� বৃহৎ হয়েছে�
বই রিভি�
না� : দেয়াল লেখক : হুমায়ূন আহমে� প্রথ� প্রকাশ : একুশের বইমেলা, ফেব্রুয়ার� ২০১৩ প্রকাশনায় : অন্যপ্রকাশ প্রচ্ছ� : মাসু� রহমা� জনরা : ঐতিহাসিক ফিকশ� রিভিউয়া� : ওয়াসি� হাসা� মাহমুদ
হুমায়ুন আহমেদে� লেখা সবথেকে controversial বই কী এট� ?
বইটা পাবলিশ হওয়ার আগেই, বইটা নিয়� রীতিমত� এক বিতর্ক দেখা দিয়েছিল যা কোর্টকাচার� অব্দ� গড়িয়েছিল� একটা আর্টিকেল� পড়েছিলা�, " বর্তমানে যে বইটা রয়েছে এট� অনেক কাটি� টু ফিটি� করার পরবর্তী ভার্সন� এর অরজিনা� কপ� এখ� বিলুপ্ত। কিছু মানু� ধারণ� কর�, এই বইটা সরকারে� পত� ঘটানোর ক্ষমতা রাখে "� হয়ত বুঝতেই পারছেন, বাইটার বিষয়বস্তু কতটা স্পর্শকাতর ছিল।
বইটিতে দে� স্বাধী� হওয়ার পরবর্তী সময় হত�, জিয়াউ� রহমানে� মৃত্যু অব্দ� সময়টা� দেশে� অবস্থা, রাজনৈতিক উথানপত�, সামরিক শাসন ছাড়াও আর� অনেক বিষয়বস্তু লেখক তুলে ধরেছেন� শুনত� অনেকটা নন ফিকশ� মন� হলেও বইটা একটি ইতিহাস আশ্রিত রাজনৈতিক উপন্যাস। এখান� ফিকশনে� পাশাপাশি তৎকালী� সময়ের দেশে� অবস্থা সম্পর্কে� পাঠক জানত� পারবে। এখান� বঙ্গবন্ধ� শে� মুজিবু� রহমা�, খালে� মোশারর�, খন্দকা� মোশতাক, কর্ণেল তাহে�, মেজর রশিদ, জিয়াউ� রহমা� এর মত� দেশে� নামকরা সব ব্যক্তিত্বদে� লেখক নিয়� এসেছেন� বইটা� কিছু প্লট আমাক� এতটা অবাক করছি� যে ইতিহাসের আসলে কতটুকু� বা জানি আম� এট� নিয়� নিজেকে প্রশ্ন করছিলাম। দেশে সেনা অভ্যুত্থান নিয়� আমার আর� পড়া� ইচ্ছ� আছে৷ আমার পরবর্তী টার্গে� রয়েছে, " শাহাদুজ্জামানে� লেখা, ক্র্যাচে� কর্নেল পড়া�, যেখানে, কর্ণেল তাহে� কে নিয়� লেখা হয়েছে"� ওহ একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্� মি� কর� গেছি, এই বইটা আমার প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদে� শে� উপন্যা� ছিল। বইটা আমার কাছে অসম্ভব রকমে� ভালো লেগেছে� ইতিহাস নিয়� আগ্রহীদে� আম� একশভাগ রিকমেন্ড কর� বইটা�
ফ্রেঞ্� ক্লাসে লিয়াক� স্যা� জিজ্ঞে� করেছিল, দেয়াল উপন্যা� কে কে পড়েছে� বে� কয়েকজ� হা� তোলায় স্যা� খু� প্রশংস� করলে� যে, ক্লাসে� পড়া, ফ্রেঞ্� শেখা� পরেও ছাত্রর� বই পড়ছ�, এট� বিরা� ব্যাপার। তখ� মন� হল, হা� তো খু� তুললাম, পড়েছি� নিশ্চি� কিন্তু কি পড়েছি তেমন কিছু� মন� না�, আবার পড়া উচিত� তা� আবার পড়লাম আজ�
হুমায়ুন আহমে� কে� আর� বেশি ঐতিহাসিক উপন্যা� লিখেনি সেজন্য আফসো� লাগে� এত সুন্দরভাবে গল্পের মধ্য� ইতিহাস লেখাতে আমার মত ফিকশনপ্রেমী� একটু আধটু ইতিহাস জানা হয়।
তব� সমস্যা হল, অনেক বইয়ের বেলাতে� আমার এম� হয�, কি পড়েছি মন� করতে পারি না� কিন্তু পুরাতন সব বই আবার রিভিশন দিতে বসলে নতুন বই পড়ব কখ�! বড়ই দিগদার�!
আমার জন্য একমাত্� অপছন্দের দি� ছি� আনিসুজ্জামানের ভূমিকা � আম� হুমায়ূন আহমেদে� অন্ধ ভক্তদে� একজন� তা� বইয়ের ভুমিকা দরকা� আছ� বল� আমার মন� হয� না ।এ� বই আম� � বা� পড়েছি , আবার� পড়ব � Is it only me or other people also got goosebumps while reading about those majors and colonels ? হুমায়ূন আহমেদে� লেখা যাদে� ভা� লাগেনা,আমার মন� হয� তাদেরও এই বইটি পড়া উচিত �
'দেয়াল' কে আসলে আলাদ� কর� রিভি� বা রেটি� দেয়ার কিছু নেই। হুমায়ূন আহমে� নন ফিকশনে� সাথে খানিকট� ফিকশ� মিশিয়� এট� উপস্থাপন� করেছেন বল� মন� হয়েছে� আর যুদ্� পরবর্তী অস্থির বাংলাদেশের বর্ণনা হুমায়ূন আহমে� বে� ভালো ভাবে দেবে� আশ� করলে� বইটি আমার কে� যে� খাপছাড়া মন� হয়েছে� মন� হয়েছে, এখান থেকে একটু ওখান থেকে একটু তথ্য জোড়� দিয়� জোড়াতাল� একটা কিছুতে দাঁড়িয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে� গৌরবময� ইতিহাস বলতে � ১৯৭১ সা� পর্যন্তই� এরপর? ‘৭� এর পর� স্বাধী� বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিত�, মোটকথা সার্বি� বাংলাদেশের অবস্থা কীরক� ছি� তা অনেকের� অজানা। মূলত সেসময়কা� দেশে� যে করুণ পরিস্থিত�, সেটা� হুমায়ূন আহমে� তুলে ধরেছেন; ইতিহাস আশ্রিত ঘটনা এব� কাল্পনিক কিছু চরিত্রে। হিমু, মিসি� আল� বা শুভ্� সিরিজে� জন্য লেখক অধিক জনপ্রিয় হলেও; ‘দেয়াল� এর মত� বইগুলো� জন্য� তিনি আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন�
অবন্তী, স্পে� বসবাসর� বাঙালি বাবা আর স্প্যানি� মা ইসাবেলার একমাত্� সন্তান� বাবা নিরুদ্দে�, মা বিবাহবিচ্ছেদের পর স্পেনে� থাকে� সুন্দরী, রূপবতী, চপ�, প্রথাবিরোধী অবন্তী থাকে তা� দাদা সরফরাজ খানে� সঙ্গ� ঢাকায়, এট� মুক্তিযুদ্� পরবর্তী সময়ের কাহিনী� যুদ্ধে� সময় তা� দাদা তাকে নিয়� চল� যায় গ্রামে, তাকে আশ্রয় নিতে হয� স্থানীয় মাজারে�
ঘটনাক্রম� তাকে জো� কর� বিয়� দিয়� দেওয়া হয� মাজারে� বড� হুজুরে� একমাত্� ছেলে হাফে� জাহাঙ্গীরে� সাথে� কিন্তু অবন্তী সেখা� থেকে পালিয়� চল� আসলে�, তাদে� মধ্য� পুরোপুরি বিবাহবিচ্ছেদ হয� না, চলতে থাকে এক অদ্ভুত সম্পর্ক। অন্যদিকে তা� রক্ষণশী� দাদা সরফরাজ খা� সবসময় তাকে আগলে রাখত� চান। এজন্� তিনি তাড়িয়ে দে� অবন্তী� গৃ� শিক্ষক শফিককেও।
শফিক, একজন অন্যরক� যুবক� দরিদ্র, তব� তা� মানুষে� প্রত� কা� কর� অন্যরক� মায়া। পশুর প্রতিও কর�, এজন্� তা� সাথে জুড়� যায় বিশা� আকৃতির এক কুকু�, যা� না� সে দেয় কালাপাহাড়� মাঝে মাঝে সে ছোটখাট� কিছু কা� কর� দেয় 'আদর্শলিপ�' নামে এক প্রেসে� মালি� রাধানা� বাবুকে� সে� রাধানা� বাবু� কাছে হা� দেখাতে আস� সেনাবাহিনী� মেজর ফারুক। যে ভিতর� কর� রেখেছে এক ভয়ংকর দুরভিসন্ধি যা দেশে� ইতিহাসকে বদলে দেবে�
� গল্প যুদ্ধপরবর্তী ঘো� লাগা সময়েরও। যেখানে পাওয়া যাবে স্বাধীনতার পরের আওয়ামী লী� আর রক্ষীবাহিনী� লোকেদে� কর্তৃক সাধারণ মানুষে� উপ� অত্যাচারের দিকগুলো। আসতে থাকব� বঙ্গবন্ধ�, খালে� মোশারর�, জিয়াউ� রহমা�, খন্দকা� মোশতাক, কর্ণেল তাহেরে� মত� ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ কুশীলবেরাও� সেইসাথ� থাকব� সে� সময় নিয়� লেখকের স্মৃতিকথা। এইসব নিয়েই গড়ে উঠেছ� হুমায়ুন আহমেদে� 'দেয়াল' উপন্যাসটি।
'দেয়াল' হুমায়ুন আহমেদে� সর্বশে� প্রকাশিত বই� স্বাধীনত� পরবর্তী জটিল সময় নিয়� লেখা এই বইটি বে� বিতর্কিত� বট�, যা গড়িয়েছ� আদাল� পর্যন্ত। বইটা কিছুটা ননলিনিয়ার ধারা� রচিত� একটা অংশে আছ� সে� সময়কে নিয়� রচিত অবন্তী আর শফিকের কাল্পনিক কাহিনী� যা কিনা গতানুগতি� হুমায়ুন আহমেদে� আট দশটা গল্পের মতো।
অন্য অংশে আমরা হুমায়ুন আহমেদে� জবানিত� যুদ্ধপরবর্তী অবস্থা নিয়� তা� ব্যক্তিগ� স্মৃতিচারণ দেখত� পাই। এছাড়া ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোকে� কিছু অংশে বর্ণনা কর� হয়েছে� আবার ঘটনাগুলোকে দেখানো হয়েছে গল্পের ছলেও � হুমায়ুন আহমেদে� লেখনী বরাবরই একদম ধর� রাখা� মতো। তা� এত� ব্যস্ততা� মাঝে� একদিনে� পড়ে শে� করতে পেরেছি বইটা� তাছাড়� গল্প� হুমায়ুন আহমে� তা� স্বভাবসুলভ ধরণে এক অন্যরক� ঘো� আর মায়াজাল সৃষ্টি কর� রাখত� পেরেছেন।
কিন্তু সম্পূর্ণ উপন্যাসটাই কেমন জানি খাপছাড়া� ইতিহাস, গল্প, ব্যক্তিগ� স্মৃতিকথার সংমিশ্রণটা তেমন ভালো হয� নি� সেইসাথ� কিছু ঐতিহাসিক চরিত্রকে নিজে� স্টাইল� গঠ� করায� ভালো� হয়েছে (যেমন খালে� মোশাররফে� ক্ষেত্রে) কিছু চরিত্রের উপস্থাপন খু� বিদঘুট� হয়ে গিয়েছ� (খন্দকা� মোশতাক)� আর সেইসাথ� বইয��ে� মূ� ফিকশনা� গল্পটা� হুমায়ুন আহমেদে� বই হিসেবে দূর্বল লেগেছে� আর ঐতিহাসিক অংশটাও তেমন সুবিধা� না�
আর বইটা শেষও হয়ে গে� মন� হয� হু� করে। সাধারণ� হুমায়ুন আহমেদে� বইগুলো� সমাপ্ত� 'শে� হয়ে� হইলো না শে�' টাইপের হয�, তব� এটাক� একটু বেশী� অসম্পূর্� মন� হচ্ছে। হয়ত� লেখক পুরোটা লিখে যেতে পারে� নি� যাইহোক, বইটা পড়ে খু� একটা তৃপ্তি পেলা� না� হুমায়ুন আহমেদে� প্রাঞ্জল গদ্য� দ্রু� পড়ে যাওয়া যায়, এই যা�
রাজনীতি সম্পর্কে আমার জ্ঞা� 'না�' বললে� চলে। তব� কিছু ইতিহাস পড়ত� রাজনীতি বুঝত� হয়না। বাংলাদেশের রাজনীতি� কিছু কালো অধ্যায� নিয়� প্রিয় লেখকের সর্বশে� উপন্যা� 'দেয়াল'� লেখকের সর্বশে� পড়া বইগুলি� মধ্য� এট� বে� উপভোগ্� ছিল। কারণ, উপন্যাসে� গল্পটা আমার কাছে একদম � নতুন� নতুন গল্প সে� সাথে হুমায়ূন আহমেদে� লেখনী� স্বাদ। দুইয়ে মিলে অসাধার�!
বঙ্গবন্ধ� হত্য� বাংলাদেশের ইতিহাস� সবচে জঘন্� এব� কাপুরুষতার পরিচয় বহ� করে। একটা জাতি কতটা অসুস্থ হত� পারে তা� উজ্জ্ব� প্রমাণ স্বাধী� তা� স্থপতি খু� হওয়া। বঙ্গবন্ধ�, জিয়� সহ দেশে� কয়েকট� গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক হত্য� কাণ্ডে� ঘটনাকে উপজীব্� কর� হুমায়ূন আহমেদে� এই রচনা�
ইতিহাস খুউব সামান্� জানি� তা� এই বই নিয়� ঐতিহাসিক বিতর্ক থাকলেও আমার জন্য সেটা সমস্যা ছি� না� পড়ুয়� নাগরিক তো বটেই, দেশে� একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে� ইতিহাসের এইসব অধ্যায� জানা থাকা অতী� জরুরী�
"মানু� সবসময় সঠিক কাজটিই করতে চায়� তব� কারো কাছে যা সঠিক তা কারো কাছে বেঠিক। ফলশ্রুতিতে মানুষে� মাঝে সৃষ্টি হয� দেয়ালের�"
প্রথমে� লেখকের প্রত� শ্রদ্ধ� এরকম স্পর্শকাতর একটা বিষয� নিয়� উপন্যা� লেখা� সাহস দেখানো� জন্য� যদিও বে� কিছু ঘটনা বে� ঘোলাটে ভাবে উপস্থাপন কর� হয়েছে� কিছু জায়গায় তথ্যের কমতি অনুভ� কর� যায়� এট� খু� সম্ভবত লেখকের উপন্যাসট� সম্পূর্ণভাবে শে� করতে না পেরে যাওয়া� কারনে।
আমরা অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে� ইতিহাস বলতে শুধু ১৯৭১ এর যুদ্ধকেই বুঝি� কিন্তু ১৯৭১ এর পর� স্বাধী� বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিত� এব� বাংলাদেশের সার্বি� অবস্থা কিরক� হয়েছি� তা আমাদের অনেকের� অজানা। অথ� আমাদের ইতিহাসের এই অংশটাই সবচেয়� বেশি ধোঁয়াশাপূর্� কেনন� সময় � ক্ষমতা� পালাবদলে� সাথে সাবলীলভাব� পরিবর্তি� হয়েছে মুক্তিযুদ্� পরবর্তী এক যুগে� ইতিহাসও। 'দেয়াল' উপন্যাসে� সবচেয়� বড� মাহাত্ম্� এই যে, চিত্তাকর্ষ� কাহিনী দ্বারা আকর্ষি� করার পাশাপাশি ইতিহাসের এই অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশটির সত্য অনুসন্ধানে এট� পাঠকদে� মন� আগ্র� সৃষ্টি করেছে।
আম� এক নিমিষে� শে� করেছ� বইটি� বইটি পড়া� পর নিজেদে� অতী� ইতিহাস নতুন কর� পড়ে দেখত� ইচ্ছ� করতেছে� সবচেয়� টুইস্টিং লেগেছে হুমায়ূনের চরিত্র নিয়� খেলা� বিষয়টি। কিছু কিছু চরিত্রকে হুমায়ূন আহমে� মহিমান্বিত করেছেন, আবার কিছু চরিত্র তা� সহানুভূতিবঞ্চি� হয়েছে� খালে� মোশারর� বা কর্ণেল তাহে� এখান� যতটা মহিমান্বিত হয়েছে�, বাকশাল গঠ� � রক্ষীবাহিনী� অত্যাচার� গৃহহী� হওয়ার বেদনার ফলস্বরূপ বঙ্গবন্ধ� শে� মুজিবু� রহমা� ততটা মহিমান্বিত হননি� লেখক নিজে� যেহেতু এই সময়ের একটি অং�, কাজে� � সময়� লেখকের নিজে� ব্যক্তিগ� জীবনের ঘটনা� � উপন্যাসে বিবৃ� হয়েছে� লেখক বঙ্গবন্ধ� হত্য� পরিকল্পনার � অংশট� লেখা� সময় অ্যান্থনী মাসকারেনহাসে� বাংলাদেশ: � লিগ্যাসি অব ব্লা� গ্রন্থটি দ্বারা বিশেষভাব� প্রভাবিত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধ� হত্যাকাণ্ড থেকে খন্দকা� মোশতাকের ক্ষমতাগ্রহ�, খালে� মোশাররফে� ব্যর্থ অভ্যুত্থান, কারাগারে চা� নেতা� করুণ মৃত্যু, কর্নেল তাহেরে� সিপাহী-জনতা� বিপ্লব, জিয়াউ� রহমানে� ক্ষমতাগ্রহ� এব� কর্নেল তাহেরে� করুণ মৃত্যু- পর্যায়ক্রমে � উপন্যাসে স্থা� পেয়েছে। ১৯৮১ সালে জিয়াউ� রহমানে� মৃত্যুতে উপন্যাসটির সমাপ্ত� ঘটেছে।
উপন্যাসট� শে� কর� আমার একটা অতিপ্রিয� লাইন মাথায় ঘুরতেছিল�, When you play the game of thrones, you win or you die
ইতিহাস নিয়� সেনসিটিভ এব� হুমায়ুন হেটা� না হল� পড়ে দেখত� পারেন।
হুমায়ুন আহমে� এর শে� উপন্যা� দেয়াল� অসংখ্য ঐতিহাসিক চরিত্র� ঠাসা এই উপন্যা� রচিত হয়েছে যুদ্ধপরবর্তী সময়টিকে ঘিরে� বইটি� প্রথ� আখ্যান� অবন্তী আর শফিকের কাহিনী।শফি� আহমে� নামে� যুবকটি অবন্তী� গৃহশিক্ষক।অবন্তী একজন চঞ্চ�, হেয়াল� মেয়ে।অবন্তী� বাবা নিরুদ্দে� আর মা একজন স্প্যানিশ।তা� দাদা সরফরাজ খানে� উপ� তা� দায়িত্ব অর্পিত।অবন্তী অসম্ভব সুন্দর � মায়াবতী হওয়ায� দাদা তা� ব্যাপারে একটু বেশি� রক্ষনশীল।ঘটনাক্রম� অবন্তী� একজন পীরে� ছেলে� সাথে তা� বিনা মত� বিয়� হয়। *হুমায়ুন আহমে� 'লীলাবতী' লিখেছে� অবন্তী� রু� চোখে রেখে� অন্যদিকে দ্বিতীয় আখ্যান� রয়েছে রাজনীতি� ভয়ঙ্ক� রূপ।হত্যাকান্ড,ষড়যন্ত্�,ক্ষমতা লালস�,সততা,দেশপ্রেম� মেজর ফারুকে� বঙ্গবন্ধ� হত্যার পরিকল্পন� অনু্যায়ী বঙ্গবন্ধুক� সপরিবারে হত্য�,খন্দকা� মোশতাক ক্ষমতা গ্রহ�,কারাগারে চা� নেতা হত্য�,সিপাহী বিপ্লব,জিয়াউ� রহমানে� মুক্তিলা� � ক্ষমতাগ্রহ�,মোশারর� হত্য�,তাহেরে� ফাসি এব� শেষে জিয়� হত্যাকাণ্ড� কিন্তু ক্ষমতা� লোভে আসক্� মানুষর� পরস্পরের শত্র� হয়ে নিজেরা� নিজেদে� নিশ্চিহ্� করেছে। ___ 'Everybody is paid back by his own coin'.
শুরুটা স্বভাবসুলভ হুমায়ূন� ঢঙ�, যেটা অতোট� ভালো লাগেনি� চরিত্রের কথোপকথনে সংঘা� এব� রসবোধে হুমায়ূনের পরিচয় মেলে� তব� আমার ভালো লাগা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট যো� হবার পর� স্বাধীনত� পরবর্তী সময় নিয়� লেখা এই বইটি ইতিহাসগত দি� থেকে নির্ভু� ধর� নেওয়া যায়� লেখক� যথেষ্ঠ নিরপেক্ষ মনোভাব� লিখে গেছেন। তব� শেষদিক� বে� তাড়াহুড়া টে� পাওয়া যায়� ভেবেছিলা� পটভূমি আর� বে� খানিকট� সময় ধর� এগোবে। তা না হওয়ায� তাড়াতাড়ি শে� হয়েছে মন� হলো। এককথায� স্বভাবসিদ্� হুমায়ূনের সঙ্গ� এক� মোড়কে রাজনৈতিক উত্থান-পতনে� উপন্যা� এটি।
হুমায়ুন আহমেদে� লেখা যে কয়ট� ঐতিহাসিক উপন্যা� পড়েছি, সেগুলো� মধ্য� এটাতেই সবচেয়� বেশি ইতিহাস রয়েছে বল� যায়� অন্যান্য উপন্যাসগুলোত� লেখক ইতিহাসের চেয়� গল্পের দিকে বেশি জোড় দিলে� এখান� যে� ঠি� উল্টোট� মন� হয়েছে� অবশ্� হুমায়ুন আহমেদে� আর দশটা বইয়ের মত এই বইটি� পড়ত� ভালই লেগেছে� ৭১ পরবর্তী ঘটনাবলী সম্বন্ধে তেমন কিছু জানতাম না� এখান থেকে সে� সময়টা সম্বন্ধে কিছুটা হলেও জানত� পারলাম� সবমিলিয়� ভালই লেগেছে বইটা :)