Banalata Sen (Bengali: বনলত� সে�) is a volume of poems by Jibanananda Das. During Das's lifetime, it was published twice: first time in Poush 1349 Bengali calendar(December 1942 AD) with a cover by Sambhu Shaha including 12 poems, second time in Srabon 1359 Bengali calendar (1952 AD) an enlarged version with a cover by Satyajit Ray including 30 poems. Das named the volume after the poem: Banalata Sen, one of Das’s finest poems, certainly his most popular. The enlarged edition published by Signet Press was awarded in 1953 at the Nikhil Banga Rabindra Sahitya Sammelan (All Bengal Rabindra Literature Convention).The recurring themes in the poems of this volume are love, nature, time, temporariness of life and love and etc. Above all, a historical sense pervades everything. The names that frequent in many poems are Suchetana, Suranjana, Sudarshana and Syamali and these women are deemed above or beyond women in general. In these poems, the love Das talks about crosses the boundaries of time and place and sometimes seems impersonal too.
Jibanananda Das (bn: জীবনানন্� দা�) is probably the most popular Bengali poet. He is considered one of the precursors who introduced modernist poetry to Bengali Literature, at a period when it was influenced by Rabindranath Tagore's Romantic poetry. During the later half of the twentieth century, Jibanananda Das emerged as the most popular poet of modern Bengali literature. Popularity apart, Jibanananda Das had distinguished himself as an extraordinary poet presenting a paradigm hitherto unknown. It is a fact that his unfamiliar poetic diction, choice of words and thematic preferences took time to reach the heart of the readers. Towards the later half of the twentieth century the poetry of Jibanananda has become the defining essence of modernism in twentieth century Bengali poetry.
� আবার তাহারে কে� ডেকে আন�? কে হায় হৃদয� খুঁড়ে বেদন� জাগাতে ভালোবাসে! হায় চি�, সোনালি ডানা� চি�, এই ভিজে মেঘে� দুপুরে তুমি আর উড়ে-উড়ে কেঁদোনাক� ধানসিড়ি নদীটি� পাশে�
� অনেক কমলা রঙের রো� ছিলো, অনেক কমলা রঙের রো�; আর তুমি ছিলে; তোমা� মুখে� রূ� কত� শত শতাব্দী আম� দেখি না, খুঁজ� না�
� একবা� যখ� দে� থেকে বা� হয়ে যা� আবার কি ফিরে আস� না আম� পৃথিবীতে? আবার যে� ফিরে আস� কোনো এক শীতে� রাতে একটা হি� কমলালেবু� করুণ মাংস নিয়� কোনো এক পরিচিত মুমূর্ষু� বিছানা� কিনারে�
� প্রে� ধীরে মুছেযায়,নক্ষত্রেরও একদি� মরেযেত� হয�, হয� নাকি?�
� ধানসিড়ি নদী� কিনারে আম� শুয়েছিলাম� পউষে� রাতে� কোনোদি� আর জাগব� না জেনে কোনোদি� জাগব� না আমি� কোনোদি� জাগব� না আর� ~ একটা বিষন্ন দি� পা� করলাম। বিষণ্ণতা অনেক ছোঁয়াছে রোগ। 'বনলত� সে�' পড়ে আর� বিষন্ন হয়ে গেলাম। এই কবিতাগুল� এত� মেলানকোলিক সুন্দর কে�! এই বইটাকে আম� এত� ভালবাস�, একদম সত্যজি� রায় যে� বনলত� সেনে� মু�-� এঁকে দিয়েছেন প্রচ্ছদে� সিগনেট প্রেসে� এই ছো� বইগুলো যে� একেকটা ভালোবাসা� আম� বইগুলো পড়া� আগ� অনেকক্ষণ ধর� গন্ধ শুঁকতে থাকি� মন� হয� যে� কো� এক হি� কমলালেবু� করুণ মাংস নিয়� কোনো এক পরিচিত মুমূর্ষুের গায়ের গন্ধ পাচ্ছি�
বনলত� সে� কাব্যগ্রন্থে� বিশে� আকর্ষণ এর কালজয়ী প্রেমে� কবিতাগুলি। আমরা যারা প্রেমে� উত্থান-পত� অনুভ� কর�, কিন্তু উপযুক্� ভাষায় প্রকাশ করতে পারি না, সে� সমস্� বাঙালি প্রেমিকদের অবলম্ব� জীবনানন্� দাশে� সহজে বোধগম্�, অথ� চিত্তাকর্ষ� ভাষায় লিখি� কিছু কবিতা।
প্রেমে ঝুলে থাকা, অথবা প্রেমে ব্যর্থ হওয়�: এই দু� অবস্থা নিয়� রচিত প্রেমে� কবিত� সেরা� 'হায় চি�' কবিতাটার ক্ষেত্রে একথা হল� কর� বল� যায়, সদ্য ছ্যাকাপ্রাপ্� প্রেমিকে� জন্য এর থেকে উপাদেয� কবিত� আরেকটা নেই। পৃথিবী� রাঙা রাজকন্যাদে� মত� সে যে চল� গেছে রূ� নিয়� দূরে; আবার তাহারে কে� ডেকে আন�? কে হায় হৃদয� খুঁড়ে বেদন� জাগাতে ভালোবাসে! প্রায় এক যু� আগ�, আপনা� একুশ বছ� বয়সী প্রেমিকা যখ� সুপাত্� পেয়� বিয়ের পিঁড়িতে বসার সিদ্ধান্� আপনাকে জানিয়েছিল, সে� সময় যদ� এই কবিতাট� আপনি পড়ে থাকে�, আপনি জানে� বিরহ কত ভা� লাগে! জীবনানন্� আপনা� কতটা আপ�! রসিকতা করছি না, পাঠকের অনুভূতির সাথে একাত্ম হত� পারলেই তব� একটা কবিত� কালজয়ী হয়।
'কুড়� বছ� পর�' কবিতাট� বিচ্ছে� হয়ে যাওয়া প্রেমে� প্রত� পিছুটা� থেকে লেখা� যাদে� নতুন নতুন প্রে� ছুটে গেছে, কিন্তু রে� রয়ে গেছে ভালোবাসা�, তারা এই কবিত� পড়ব� চো� বুজে� অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যখ� প্রে� ছুটে যায়, তখ� কি যে কষ্ট লাগে! মন� হয� জীবন� আর কোনদিন প্রে� আসবে না� কুড়� বছ� পর আজকে� মত কো� কার্তিকে� বিকালে যদ� তা� সাথে দেখা হয়ে যায়, তখনও প্রে� আজকে� মত� অটুট থাকবে। জীবন গিয়েছ� চল� আমাদের কুড়� কুড়� বছরে� পা�... এই কবিতাট� সর্বজনী� হয়ে গেছে� যাদে� ক্ষেত্রে প্রেমে� ব্যাপা�-স্যাপা� নে�, তাদেরকেই এই পঙক্তি বেশি কর� ব্যবহা� করতে দেখা যায়� বিংশতম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে।
একটা প্রে� চল� গেলে যখ� আরেকটা প্রে� চল� আস�, আমরা সে� নতুনটাকে নিয়� ব্যস্ত হয়ে যাই। পুরাতন প্রেমে� আবেগ� মরচে ধর� যায়; ভৌ� নয�, একেবার� রাসায়নি� পরিবর্তন ঘট� যায়� প্রে� ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদি� মর� যেতে হয�, হয� নাকি? অভিজ্ঞ প্রেমিকদের জন্য জীবনানন্দে� উপহা� 'দুজন' কবিতা। পৃথিবী� পুরন� পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয�- পড়ে� প্রেমিকে� দল দার্শনিকের মত মাথা ঝাঁকায়। কুড়� বছ� টিকব� মন� হচ্ছিল যে আবেগ, সেটা কুড়� মা� টিকল� না?
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান�, আবৃত্ত� প্রতিযোগিতায�, অথবা স্কুলে� বার্ষি� অনুষ্ঠান� আবৃত্তির জন্য অনেকের� প্রিয় কবিত� ছি� 'বনলত� সে�'� এতবা� এই কবিতাট� পড়া এব� শোনা হয়েছি� যে, কে� যখ� গল� কাঁপিয়ে কাঁপিয়ে হাজা� বছ� ধর� আম� পথ হাঁটিতেছ�.. শুরু করতো, তখ� আমার রিঅ্যাকশ� ছি� � মিমটার মত: "ah shit, here we go again!" একসময় ক্লিশে হয়ে গেলে� পরবর্তীতে ভাষা� কারুকার্যখচি� এই অনন্� কবিতাটিক� আম� ভালবাসতে শিখেছি� নাটোরে� বনলত� সে� হয়েছে� আমার সেলিব্রিটি ক্রাশে� সমর্থক� অপ� করিম, রাইম� সে�, মনিক� বেলুচ্চি,... - সবাই আমার চোখে একেকজন বনলত� সেন। কান্তারে� পথ ছেড়� সন্ধ্যার আঁধারে সে কে এক নারী এস� ডাকি� আমার�, বলিল, তোমারে চা� শঙ্খমালা কবিতার শুরুটা পড়ে আশ� করেছিলাম শে� পর্যন্� একটা সহ� সর� মিষ্টি মধুর প্রেমে� কবিত� পড়ত� যাচ্ছি� কিন্তু তারপ� সে� রহস্যময়ী রমনী কেমন অধরা হয়ে গে�: ধূসর পেচা� মত� ডানা মেলে অঘ্রাণের অন্ধকারে ধানসিড়ি বেয়�-বেয়� সোনা� সিঁড়ি� মত� ধানে আর ধানে তোমারে খুঁজছি আম� নির্জন পেঁচার মত� প্রাণে�
কবিতার শেষার্ধে শীতল বিষণ্নতা আছ�, যে বিষা� স্পর্শ করার ক্ষমতা আমার নেই। কিন্তু যে উপমা গুলি কব� এখান� ব্যবহা� করলে�, যে ছবিগুল� তিনি আঁকলেন, তেমনটা আর হয়ন�! কবিতার শেষে সে� বাণী চিরন্ত�: � পৃথিবী একবা� পায় তারে, পায় নাকো আর�
জীবনানন্� দাশে� লেখা এই লাইনটা� সম্ভবত আমার সবচেয়� প্রিয়� এট� কো� কর� রিভি� শে� করাটাই আইন। কিন্তু এখ� ঘা� নিয়� কিঞ্চি� জীবনানন্দীয় অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করতে ইচ্ছ� হয়। ঘা�! মহিমান্বিত যে উদ্ভিদ কৃষিভিত্তি� সভ্যতা� সূচন� করেছিল� জীবনানন্� অবশ্� ধা�, গম, ভুট্টা� কথ� লেখেননি। তিনি দূর্বাঘাসই বুঝিয়েছেন� তাঁর লেখা� বহুবার ঘাসে� কথ� এসেছ� : "সবুজ ঘাসে� দে� যখ� সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপে� ভিতর","সুরঞ্জনা, তোমা� হৃদয� আজ ঘা�", "মহীনে� ঘোড়াগুল� ঘা� খায় কার্তিকে� জ্যোৎস্নার প্রান্তর�",...�হয়ত� চোখে� তৃপ্তি, আর বু� ভর� নিঃশ্বাস নেওয়া� সুযো� ��রে দেওয়া� জন্য তিনি কোমল দুর্বাচ্ছাদি� সবুজ মাঠে� প্রত� কৃতজ্ঞ� তা� ঘা� নিয়� তিনি রচনা করেছেন টিয়� পাখি� পাখনার মত কোমল একখানা কবিতা। আমার� ইচ্ছ� কর� এই ঘাসে� এই ঘ্রা� হরিৎ মদের মত� গেলাসে গেলাসে পা� কর�, এই ঘাসে� শরী� ছানি- চোখে ঘস�, ঘাসে� পাখনায� আমার পালক, ঘাসে� ভিতর ঘা� হয়ে জন্মাই কোনো এক নিবিড় ঘা�-মাতা� শরীরে� সুস্বাদু অন্ধকা� থেকে নেমে �
কার্তিকে� এক বিকালে এই লেখাটা শে� করছি� একটু পরেই সূর্যাস্ত। গ্রি� পুরাণে পড়েছিলা� সূর্যদেবতা অ্যাপোলো তা� ঘোড়ায� টানা রথ� সূর্যক� প্রতিদিন পূর্� থেকে পশ্চিম� টেনে নিয়� যায়� তারপ� সূর্যাস্� হয়। এরপর অলিম্পাস পাহাড়� বিশ্রা� করেন অ্যাপোলো� বিশ্রামে� সময়টা রাত। 'বেড়াল' কবিতায� সম্পূর্ণ ভিন্নরকম সূর্যাস্তে� মতবা� দিয়েছেন জীবনানন্�: হেমন্তের সন্ধ্যায� জাফরান-রঙের সূর্যে� নর� শরীরে শাদা থাবা বুলিয়� বুলিয়� খেলা করতে দেখলাম তাকে; তারপ� অন্ধকারক� ছো� ছো� বলের মত� থাবা দিয়� লুফে আন� সে সমন্� পৃথিবী� ভিতর ছড়িয়� দিল।
এভাবেই বেড়াল 'শিশিরে� শব্দের মত� সন্ধ্য�' নিয়� আস� পৃথিবীতে� তারপ� আস� রূপালী চাঁদ, ঝাঁক� ঝাঁক� নক্ষত্র। গাছে� কোটর থেকে বেরিয়� আস� পেঁচা। ঝিলমিল জোনাকিরা শুরু কর� হাজা� বছরে� পুরাতন খেলা�
যখ� সুনী� গঙ্গোপাধ্যায়ে� লেখা প্রেমে� উপন্যা� 'দময়ন্তী' পড়ে শে� কর� তখ� বিদর্ভ নগ�-কে আম� চিনত� পারি� রাজা নল এব� রাজকুমার দময়ন্তী� দেবতাদের পরীক্ষায় উত্তীর্� হয়ে; তারপ� আর� পরীক্ষা দিয়� তাদে� প্রেমক� প্রমাণ করতে হয� বিশ্বসংসারের কাছে� একবা� রাজ্� হারিয়� আবার রাজ্� জয� কর� তারা এক� অপরক� কাছে পেয়� সুখী হয়। তব� জানি না, জীবনানন্� দা� বিদর্ভ নগরী বলতে দময়ন্তী� নগরী কে বুঝিয়েছেন কিনা!
>"আম� ক্লান্� প্রা� এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন, আমার� দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিল� নাটোরে� বনলত� সেন।"
**প্রশ্ন হচ্ছ�; বনলত� সে� কে; একজন নারী? নাকি প্রশ্ন কর�; বনলত� সে� আসলে� "কে" নাকি "কি"? ** সাধারণ আম জনতা বলবে বলনত� সে� নাটোরে� একজন নারী� কিন্তু না, বনলত� সে� হল সমস্� পৃথিবী� শান্তি� প্রতীক। যে ক্ষুধার্�-তৃঞ্চার্�, কর্মমুখর, হতাশ�-বিষাদে পরিপূর্ণ মানুষক� দিনে� শেষে শান্তি-স্বস্ত� দেয়�
চুলে� সাথে বিদিশা� অন্ধকা� নগরে� তুলন�; মুখে� সাথে প্রাচী� শ্রাবস্তী নগরী� কারুকার্�** **অর্থাৎ ভাস্কর্য এর সাথে যে তুলন� বা উপমা তা কেবল জীবনানন্� দা� এর কবিতায� সম্ভব। তাছাড়� ক্লান্�-শ্রান্� নাবিকে� দি� হারা পথিকের মত ঘুরে বেড়ান� অর্থাৎ খুঁজ� বেড়ান� বনলত� সেনকে।
>"সবুজ ঘাসে� দে� যখ� সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপে� ভিতর, তেমন� দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছ� সে , ‘এতোদি� কোথায় ছিলে�?� পাখি� নীড়ের মত চো� তুলে নাটোরে� বনলত� সেন।"
পাখি� নীড়ের মত চো� তুলে তাকিয়� মানব সভ্যতাকে বনলত� সে� শান্তি দিয়েছে। সমস্� দুনিয়ার মানুষে� দুঃখ-কষ্ট মুহূর্তে যে� ভুলিয়� দিয়� পার্থি� শান্তি� আবেশ� আবেশিত করেছে।
>সমস্� দিনে� শেষে শিশিরে� শব্দের মত� সন্ধ্য� আস�; ডানা� রৌদ্রে� গন্ধ মুছে ফেলে চি�; পৃথিবী� সব রঙ নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি কর� আয়োজন তখ� গল্পের তর� জোনাকি� রঙ� ঝিলমিল; সব পাখি ঘর� আস� � সব নদী- ফুরায় �-জীবনের সব লেনদেন; থাকে শুধু অন্ধকা�, মুখোমুখি বসিবার বনলত� সেন।
ইঁদু� দৌড়ের খেলা শেষে যখ� সন্ধ্য� নেমে আস�, পাখিরা নীড়� ফেরে, সব নদী সমুদ্র� মিশে তখ� অন্ধকারে বনলত� সে� আমাদের সকলে� মুখোমুখি বস� পর� শান্তি দেয়� যা� ফল� আমরা এই দুর্গন্ধময� পৃথিবীকে ভুলে সুখে থাকত� পারি�
**'বনলত� সে�**' কবিতার সাথে আমার জীবনের সবচেয়� অন্ধকা� সময়ের স্মৃতি জড়িয়� আছে। সে� অন্ধকা� সময়� � কবিত� আম� বুঝত� চেয়েছিলাম; এখনও ভালভাব� বুঝত� পারিনি� এস� কবিত� আমার মত মানুষে� বিশদ আলোচনা কর� অনুচিত� তবুও চেষ্টা করেছ� সীমি� জ্ঞা� � কল্পনাশক্ত� দিয়� যতটুকু বিশ্লেষণ কর� যায়�
বনলত� সে� নামক এই কাব্যগ্রন্থে কবিত� আছ� সর্বমো� ১২টি� তব� আর সব কবিতার মত বাকি এগারটি কবিতাও ঢাকা পড়ে গিয়েছ� বনলত� সে� নামে� কবিতাটির কাছে� বাংল� কবিত� যারা পড়ে� তাদে� মধ্য� হয়ত� এরকম খু� কম মানু� পাওয়া যাবে যারা বনলত� সে� এর না� শুনে� নি বা কবিতাট� পড়ে� নি� আর বনলত� সে� পড়া� সময় এম� কে� নে� যে রোমান্টি� হয়ে যা� নি� সম্ভবত বাংল� সাহিত্যে� সবচেয়� জনপ্রিয় রোমান্টি� কবিত� বনলত� সেন। আর বনলত� সে� হল� বাংল� সাহিত্যে� অপার শান্তি� সবচেয়� রহস্যময় নারী� জীবনানন্� দাসে� এই কবিত� (বিশে� ভাবে বলতে গেলে বনলত� সে� কে) নিয়� বিতর্কের শে� নেই। আমার কাছে বনলত� সে� একজন নারী� বনলত� সে� হাজা� বছরে� সক� প্রেমিকে� কাছে তা� প্রিয়তমার মুখ। কবিতায� একজনের জীবনের কথ�, নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আধার� এক নারী� কথ�, একটি স্বপ্ন উন্মোচনে� কথাই আন্তর্ভাষ্� হয়ে উঠ� এসেছে। এডগা� এলান পো এর টু হেলে� কবিত� থেকে অনুপ্রাণিত এই কবিতাট� আর� অনেক বিকশিত আর� অনেক সুগভীর। আমার পড়া অন্যতম শ্রেষ্� কবিতা। হয়তোব� কখনো কখনো সর্বশ্রেষ্ঠ।
কী অসহ্� সুন্দর! বনলত� সেনে� সৌন্দর্য� প্রায়শই ঢাকা পড়ে যায় বাকিগুলো� নেহা� অন্যায়। লেখা� যে এরকম মো� থাকত� পারে, তা জানা� জন্য� হলেও হাতে তুলে নিতে পারেন।
১৭� ফেব্রুয়ার� জীবনানন্দে� জন্মদি� উপলক্ষ� কাব্যগ্রন্থট� পড়ত� নিয়েছিলাম� কবিতাগুল� বিষণ্ণ, সেটা তো আর নতুন কিছু না� ৩০টি কবিতাই এম� বিরহ-বিষাদে মাখামাখি; মাথায় তুমু� আলোড়নের ঝড� বয়ে তোলে� কবিতার চেয়েও আর একটা জিনিসে বড� মন খারা� হলো। পত্রিকার এক সম্পাদকক� লেখা তিনখান� চিঠি এই বইটিতে দেওয��� হয়েছে� চিঠিগুলো এত করুণ, কী আর বলব–মৃত্যুর কয়েকমাস আগ� লেখা� একটা কবিত� পড়ে তাঁর বিতর্কিত প্রয়া� মন� পড়ে গেল�
“ক� এক ইশার� যে� মন� রেখে এক� এক� শহরে� পথ থেকে পথ� অনেক হেঁটেছ� আম�; অনেক দেখেছি আম� ট্রা�-বা� সব ঠি� চল�; তারপ� পথ ছেড়� শান্� হয়ে চল� যায় তাহাদে� ঘুমে� জগতে:”� তা� তিনি� বুঝি ট্রামপথে শান্তি খুঁজ� নিলে�?
এই বই নিয়� বেশি কিছু বলার নেই। প্রত্যেকটা কবিত� একাধিকবা� কর� পড়া হয়ে গেছে এই �'দিনে� মধ্যেই� আর 'বনলত� সে�' যে কতবা� পড়েছি নিজে� জানিনা� সবগুলো কবিত� যে সমানভাবে ভালো লেগেছে তা নয�, কোনোটা কম, কোনোটা বেশি� কিন্তু মুগ্� হত� হয়েছে সবগুলো পড়েই।
বইটা পড়ে একটা ছো� চিঠি লিখত� ইচ্ছ� করছে� আমার প্রিয় মানু�, কুড়� বছ� পর আমাদের এই মনের দ্বন্দ্ব হয়ত� থাকব� না� এই মিথ্যে ব্যস্ততা থাকব� না তখ�, থাকব� না কোনো বাহানা � আমাদের আবার কথ� হবে। কি নিয়� কথ� বলবো তা এখনো জানি না শুধু এইটুকু� জানি কথ� বলবো� আমাদের যে দেখা হব� এই কথ� আম� এত বা� ভেবেছি যে সে� কল্পনা� সত্য� মন� হয়। যে জীবন আমাদের হয়ন� যাপি� তা নিয়� ভাবত� বাধ্� করেছ� এই বইটা� অনেক ইচ্ছ� আপনি এই বইয়ের একটা কবিত� আমাক� পড়ে শুনান। আমার কথ� গুলো� কব� অনেক আগেই বল� গেছেন। যে� শব্দ গুলোকে আম� বন্দী কর� রেখেছি তা এখান� মুক্ত। আজ কি সুন্দর রা�! জানালা� কাঁচ� কুয়াশার� জা� বুনেছে� কোনো নক্ষত্রে� দিকে উড়ে যেতে ইচ্ছ� করছে আমার� এইতো কদিন আগেও প্রে� ছিলো, আশ� ছিল। আমাদের এই কঠিন সামাজিকতাক� ছুড়� ফেলে দে� না কে� আমরা? সবকিছু কত সহ� হয়ে যে� তাহল�! ফিরে আসেন আবার�
“স্বপ্নে� ধ্বনির� এস� বল� যায়: স্থবিরতা সব চেয়� ভালো;
নিস্তব্ধ শীতে� রাতে দী� জ্বেলে
অথবা নিভায়� দী� বিছানায় শুয়�
স্থবিরের চোখে যে� জম� ওঠ� অন্য কো� বিকেলে� আলো।
সে� আল� চিরদিন হয়ে থাকে স্থি�,
সব ছেড়� একদি� আমিও স্থবির
হয়ে যা�; সেদি� শীতে� রাতে সোনালী জরির কা� ফেলে
প্রদী� নিভায়� রব� বিছানায় শুয়�:
অন্ধকারে ঠে� দিয়� জেগে রব�
বাদুড়ের আঁকাবাঁক� আকাশের মতো।
স্থবিরতা, কর� তুমি আসিব� বল� তো�
বনলত� সে� আমার অন্যতম পছন্দে� গ্রন্থ� বহুবার পড়েছি� তবুও আজকে কবির জন্মদি� উপলক্ষ� আরেকবা� আবৃত্ত� করতে করতে পুরোটা পড়ে ফেললাম� প্রতিবার� নতুন কর� আনন্� মেলে�
বনলত� সে� এককভাব� বাংল� সাহিত্যে� অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ এব� অনন্যসাধার� কাব্য। এখানেই রেখা, রঙ, চেতনার অভাবনীয় কিন্তু শৈল্পি� মিশে� ঘটেছ� একান্ত জীবনানন্দীয় আবহাওয়ায় যা আবহমান বাংলার চি� অবহেলি� মফস্বলের নিসর্গ উপাদানের অপূর্ব আয়োজন� অর্থপূর্ণভাব� প্রস্তুতকৃত। ইতিহাস এখান� উঠ� এসেছ� বাস্তবতায়, হাতে রেখেছে হা� সম্ভ� আর অসম্ভব, বিশ্বা� আর অবিশ্বাস্য, নতুন আর পুরাতন, কা� আর মহাকাল আবার পাশাপাশি মুক্তি ঘটেছ� কল্পনা� গ্রহসুলভ পরিক্রমার। এমনই কিছু চিত্রকল্�, যা আবার কখনো ঋদ্ধ দার্শনিকতায়� ১। ভারতসমুদ্রের তীরে/ কিংব� ভূমধ্যসাগরের কিনারে/ অথবা টায়ার সিন্ধু� পারে/ আজ নে�, কো� এক নগরী ছি� একদি�,/ কো� এক প্রাসা� ছি�;/ মূল্যবান আসবাবে ভর� এক প্রাসা�;/ পারস্য গালিচা, কাশ্মিরী শা�, বেরি� তরঙ্গে� নিটো� মুক্তা প্রবাল,/ আমার বিলুপ্� হৃদয�, আমার মৃ� চো�, আমার বিলী� স্বপ্ন আকাঙ্খ�,/ আর তুমি নারী-/ এই সব ছি� সে� জগতে একদিন। /[নগ্ন নির্জন হাত] ২। যে রূপসীদে� আম� এশিরিয়ায়, মিশর�, বিদিশায় মর� যেতে দেখেছি/ কা� তারা অতিদূর আকাশের সীমানায় কুয়াশায� কুয়াশায� দীর্� বর্শ� হাতে কর� কাতারে কাতারে দাঁড়িয়� গেছে যে�-/ মৃত্যুকে দলিত করবা� জন্য ?/ জীবনের গভী� জয� প্রকাশ করার জন্য ?/ প্রেমে� ভয়াবহ গম্ভী� স্তম্ভ তুলবার জন্য ?/[হাওয়া� রাত]
অসাধার� কিছু প্রেমে� কবিত� আছ� এখান�, যেখানে� মিলেনি সময় � বাস্তবতা� চিরচারিত হিসেবনিকেশ� ১। দেবদার� ছায়� ইতস্তত বিচূর্� থামে� মতোঃ দ্বারকার; / -দাঁড়ায়� রয়েছে মৃ�, ম্লান।/ শরীরে ঘুমে� ঘ্রা� আমাদের � ঘুচে গেছে জীবনের সব লেনদেন;/ মন� আছ� শুধা� সে-শুধালা� আম� শুধু ‘বনলতা সে� ?� [হাজা� বছ� শুধু খেলা করে] ২। সময়� অপার � তাকে প্রে� আশ� চেতনার কণ�/ ধর� আছ� বল� সে-� সনাত�; কিন্তু এই ব্যর্থ ধারণ�/ সরিয়ে মেয়েট� তা� আঁচলের চোরকাঁটা বেছে/ প্রান্তর নক্ষত্� নদী আকাশের থেকে সর� গেছে/ যে� স্পষ্ট নির্লিপ্তিতে � তা�-�-ঠি�; –ওখানে স্নিগ্� হয� সব!/ অপ্রেম� বা প্রেমে নয� � নিখিলে� বৃক্� নি� বিকাশে নীরব� [অঘ্রাণ প্রান্তরে]
কল্পনাপ্রব� এই কব� তারপরও পুরোপুরি আধুনিক, সমকালী� নিঃস্বতা নিয়� সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল যদিও নিরুপায়� ১। হে নর, হে নারী ,/ তোমাদে� পৃথিবীকে চিনিনি কোনোদি� ;/ আম� অন্য কো� নক্ষত্রে� জী� নই � / যেখানে স্পন্দ�, সংঘর্ষ, গী�, যেখানে উদ্য�, চিন্তা, কা�,/ সেখানে� সূর্� , পৃথিবী, বৃহস্প্রতি, কালপুরুষ, অনন্� আকাশগ্রন্থ�,/ শত শত শুকরী� প্রস� বেদনার আড়ম্ব� ;/ এইসব ভয়াবহ আরতী ! [অন্ধকার]
এই অত� শোভন, শীর্ণকায� বইটি আম� প্রথ� পড়ি সিভি� সার্ভি� পরীক্ষা� প্রস্তুত� নিতে গিয়�, কারণ বইটা সিলেবাসে ছি�! কিন্তু পড়া� পর আমার মত� বেরসি��� নালায়েকের চোখে� ধাঁধ� লেগে যায়, আজ� যে মোহাঞ্জন চো� থেকে মোছেনি, বোধহয় মুছবেও না� এই বইয়ের কবিতাদের নিয়� কিছু লেখা� ক্ষমতা আমার নেই। তা� সে� অপচেষ্টা কর� না� যদ� বাংল� পড়ত� পারে�, তাহল� বইটা পড়ু�, প্লিজ।
‘বনলতা সেন� আমার কাছে জীবন� আমার জীবন আমার ঘুম। এই সমাজ� থেকে� না থাকা আমার কাছে ঘুম। শিরীষে� ডালপাল� ছুঁয়ে একটা কোমল বেড়ালের মত� শান্� পায়� সময়ের সাথে নিভৃতে হেঁট� চল� আমার কাছে জীবন� যেমনটা জীবনান্দের� জীবনানন্দে� মত� আমার� এক� আর্জ�, ‘‘স্থবিরত� কব� তুমি আসিব� বল� তো!�
জীবনানন্দে� লিখায় বে� একটা টা� আছে। কবিতাগুল� ভাবায়� এম� কোনো ভা�, যা হয়ত� সচরাচর আমরা ভাবি না�
কিন্তু কবিতার বই পড়ত� গিয়� বুঝলাম এখনো ম্যাচুরিটি হয়ন� আমার কবিত� পড়ার। বইয়� লেখক যখ� কবিতার উল্লেখ করেন, তখ� সেটা বে� টানে আমাকে। কিন্তু কবিতার বইয়� কবিত� পড়ত� গেলে অর্থ উপলব্ধ� করতে পারিনা� হয়ত� জীবনের অন্য কোনো অধ্যায়ে কবিতার বই আবার পড়ে দেখা হবে।
ঘুরঘুরান্ত�! দুনিয়� ঘুরছ� সাথে ঘুরছ� আমরাও। কিসে� নেশায় কা� পেছন� যে ছুটছ� সকলে!? "পৃথিবী� পুরন� পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয�, প্রে� ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদি� মর� যেতে হয�, হয� নাকি?"
কব� হয়ত� বনলত� সে� নামে শান্তি পেয়েছিলেন কিন্তু আর সবার শান্তি কিসে???
I wanted to write the review in Bangla. Then I realized that it should be in English, everyone should know how beautiful the writing of a Bengali writer. I loved this poems and I can read it anywhere anytime and any moment of my life.
ডিসেম্বর মাস। রা� ১ট� নাগা� হঠাৎ ঝুমঝুম বৃষ্টি� এক মগ চা আর বনলত� সে� নিয়� ছাদে� চিলেকোঠা� বিষন্ন রোমান্� আর অদ্ভুত শূন্যতার জালে জড়িয়� গেলা� কবিতাগুল� পড়ত� পড়তে। আহ�, বিষন্নতা কি এতটা� সুন্দর হত� পারে!
প্রিয় কিছু লাইন-
★সমস্ত দিনে� শেষে শিশিরে� শব্দের মত� সন্ধ্য� আস�; ডানা� রৌদ্রে� গন্ধ মুছে ফেলে চি�; পৃথিবী� সব রং নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি কর� আয়োজন তখ� গল্পের তর� জোনাকি� রঙ� ঝিলমিল! সব পাখি ঘর� আসে—স� নদী—ফুরায� �-জীবনের সব লেনদেন; থাকে শুধু অন্ধকা�, মুখোমুখি বসিবার বনলত� সে�
★একব���র যখ� দে� থেকে বা� হয়ে যা� আবার কি ফিরে আস� না আম� পৃথিবীতে? আবার যে� ফিরে আস� কোনো এক শীতে� রাতে একটা হি� কমলালেবু� করুণ মাংস নিয়� কোনো এক পরিচিত মুমূর্ষু� বিছানা� কিনারে
★আমাকে খোঁজ� না তুমি বহুদিন � কতদি� আমিও তোমাকে খুঁজ� নাকো; � এক নক্ষত্রে� নিচে তব� � এক� আল� পৃথিবী� পারে আমরা দুজন� আছ�; পৃথিবী� পুরন� পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয�, প্রে� ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদি� মর� যেতে হয�!