Collection of short Supernatural Tales. The narrator of these tales is Taranath Tantrik, a mystic figure and practitioner of occult. He is an astrologer by profession and had many encounters with the weird in his extensive travels. He shares these experiences with a few friends in his Mott lane house over cups of tea and cigarettes.
Taradas Bandyopadhyay's father, the legendary literati Bibhutibhushan Bandyopadhyay created the character 'Taranath Tantrik', but he wrote only a couple of short stories featuring him. Those two tales are however not part of this collection.
Son of late legendary writer Bibhutibhusan Bandyopadhyay of 'Pather Panchali' fame, Taradas Bandyopadhyay had his schooling at the Ramakrishna Mission School, Rahara. Graduating from Maulana Azad College with Honours in English, he went on to do his post - graduation from the Calcutta University.He joined service with the West Bengal government and rose to the position of director in the Information and Cultural Affairs department, from where he took voluntary retirement. Despite his failing health, Bandyopadhyay found time to associate with cultural and social organisations and remained the honorary vice-president of the Indian Forum of Art and Culture. Taradas leaves behind a large number of short stories and two famous novels - তারানা� তান্ত্রি� and কাজল. 'কাজল' was a sequel to 'Aparajito' written by his father. Taradas is survived by his wife and two sons.
There are more things in heaven and earth, Horatio.
তারানা� তান্ত্রিকে� স্রষ্ট� বিভূতিভূষণ� তব� এক্ষেত্র� স্রষ্ট� তা� চরিত্রকে নিয়� মাত্� দু'টো গল্প শে� কর� গিয়েছেন� সুপুত্� তারাদা� বন্দোপধ্যায় বাবা� সৃষ্� চরিত্রের প্রত� শুধু সুবিচারই করেননি, নিয়� গিয়েছেন অনন্� উচ্চতায়� আমার মত� পৃথিবী� সবচেয়� কঠিন কা� হচ্ছ�, কাঁধ� এক্সপেক্টেশনের বোঝা নিয়� কিছু করা। জানা কথ�, অনেক জহুরী চো� প্রকাশিত হবার পরেই ঝাঁপিয়ে পড়ব� বিশ্লেষণের জন্যে। স্বাভাবিকভাবেই তুলন� আসবে, তা� কিংবদন্তিতূল্য পিতা� সাথে! এক্ষেত্র� আম� বলবো তারাদা� সাহে� লেটা� পেয়� পা� কর� গিয়েছেন� অন্ধভাবে নক� করতে যানন� বর্ণনাভঙ্গ�, বর� নিজস্ব স্বকীয়তায় আটপৌরে শব্দের ব্যবহারে ভৌতি� এব� অপার্থিব সব পরিস্থিতির অবতারণ� করেছেন�
তব� শুধু রোমাঞ্� বা গায়� কাটা দেয়ার মত গল্প� নয�, গ্রামী� সহ� সর� জীবনের এক নিপু� চরিত্র� অঙ্ক� করেছেন লেখক� এত� সাবলীলত� বেড়� গেছে বহুগুণে। পিরিয়� ফিকশ� লেখা কখনো� সহ� নয়। এক যুগে থেকে আরেক যুগে� বর্ণনা, অন্ত� আমার কাছে কঠিন মন� হয়। সে কাজটিও দারু� দক্ষতায় করেছেন তারাদা� বন্দোপধ্যায়�
ছোটগল্পে� সংকলনে এক� ধরণে গল্প হল�, একঘেয়� লাগে কিছুক্ষণ পড়েই। বৈচিত্র্� আবশ্যক� সেটারও দেখা মিলবে। শব সাধন�, হো�, তন্ত্র, প্রে�, প্রতিশোধ কিংব� খু�- সবকিছু� পেয়েছি। ভয়ে� গল্প স্বার্থক হয�, যদ� স্থা�-কা�-পাত্� নির্বেশেষে পাঠকের গায়� একটু হলেও কাঁপুন� ধরাত� পারে� একটা ব্যাপা� দৃষ্টিকট� লেগেছে, শেষে� চারট� বাদে কো� গল্পের� আলাদ� কর� না� লেখা নেই। বর� অদ্ভুত কিছু ছব� দিয়� আলাদ� করা। কাউক� পৃথক কো� গল্পের উল্লেখ করতে হল� বে� বিপদ� পড়ত� হবে।
যাইহোক, হাতে সময় থাকল� এব� অতিপ্রাকৃতের জগ� থেকে ঘুরে আসতে চাইল� কিশোরী সে�, গল্পকথকে� সাথে বস� যেতে পারে� তারানাথে� মজলিসী আড্ডায়।
আম� ব্যক্তিগ� ভাবে এইসব জিনি� ভিষন অপছন্দ করি। ঠি� তখনই হাতে পেলা� তারানা� তান্ত্রিক।অবশ্� এর আগ� দুইট� ভুতে� বই পড়েছি মাত্র। একটা হুমায়ুন আহমেদে� ছায়াসঙ্গি এব� আরেকটা রাসকিন বন্ডের হুইস্পার ইন দ্� ডার্ক। যাইহোক অল� সময় কাটানো� জন্য হাতে তুলে নিলা� বইটি� তারপ� তলিয়ে গেলা� তারানাথে� সাথে গহী� রহস্যে� আড়ালে�
তারানা� তান্ত্রি� আমাদের উপমহাদেশের� মানুষ। এই বাংলার মানু� তিনি� তা� জীবন কেটেছে গ্রামে� তা� তা� অভিজ্ঞতা সব� আমাদের আশপাশে� ঘটনা� তা� কথায� কোথা� অত্যুক্ত� নে�, নে� বিশ্বা� করান�, কিংব� জো� কর� ভয� দেখানো� অপচেষ্টা� তিনি তা� মত কর� শুধু বল� গেছে� অভিজ্ঞতা গুলি� আর আম� মুগ্� হয়ে শুনে গেছি� বই শে� করার পর শুধু মনের মধ্য� অন্যরক� অনুভূত� হানা দিয়েছে। মন� হয়েছে, ওই যে ঘরের বাইর� আলোকিত সকাল, নিস্তব্ধ দুপু�, তা� মধ্যেই কি কোথা� লুকিয়� আছ� অতীন্দ্রিয় কিছু, যা আমাদের ইন্দ্রিয়ে ধর� পড়ে না?
দারু� লেখা! আর� সুন্দর কোনো বিশেষণ ব্যবহা� কর� উচিত ছি�, কিন্তু মাথায় আসছে না� বিভূতিভূষণের চেয়েও তারাদাসে� লেখা অসাধার� একথা বলতে� হচ্ছ�; আমার ধারণ� ভু� হল� হোক।
এক প্রজন্মে� গড়ে যাওয়া একটি চরিত্রকে আরেকটি প্রজন্মে� সে� মোতাবে� ধর� রেখে লেখা সৃষ্টি কর�; এর চেয়� বড� চ্যালেঞ্জি� কা� বোধহয় আর নেই। তারাদা� সুপুত্র–আলংকারিকভাব� সে� কাজট� সম্পন্� করেছেন� তাঁর ডিটেইল আর� নিখুঁত, একেকটি গল্প শুরু� প্রারম্ভাগ নাটকীয় এব� কিশোরী সেনে� খুনসুট� আনন্� দেয়�
এত বিস্তারিতভাব� তন্ত্র-মন্ত্রের কোনো বই আগ� পড়িনি� কৈশোরে রেডিওত� 'কুয়াশ�' শুনতাম, শুধু এটুকুই� এই বয়সেও বইটা� আবেদ� দেখছ� আমার কাছে একটু� কম না� অনেক উপভো� করেছি।
ভূতে� গল্প, অতিপ্রাকৃত গল্প বা অশরীরীদে� গল্প যা� বল� হো� না কে� ভেতো বাঙ্গালী� এইদিকট� খু� বেশি দখ� ছি� বল� কখনো মন� হয়ন� আমার� হাতে গোনা দু� তি� জন বাদে একেবার� গা কাটা দেওয়া মৌলি� ভয়ে� গল্প বাঙালি লেখকদে� কল� থেকে কে� জানি বে� হয়নি। তারানা� তান্ত্রি� বইটা পড়ে আমার এই ভু� ভেঙে যেতে বাধ্য। একেবার� খাঁট� দেশি ভু� তাড়ানোর তন্ত্র মন্ত্র, হো�, অতী� বল� দেবা� ক্ষমতা, বাদল� দিনে ঘর অন্ধকা� কর� বস� তে� জবজব� মাখানো মুড়ির সাথে গর� চা আর মজলিশি তারানাথে� মুখে আটপৌরে শব্দ� অশরীরীদে� কাণ্ডকীর্তি শোনাটা নির্ভেজা� ভয়ে� সাথে সাথে যে আনন্দটুক� দেয় তা কোটি টাকা দিয়েও কিনত� পাওয়া যাবেনা।লেখ� এব� তা� প্রতিবেশ� কিশোরী সে� সামান্� এক প্যাকে� পাসি� শো নামে� সিগারে� উপহা� দিয়� তারানাথে� ঝুলি থেকে যে অনবদ্য ভয়ে� গল্প বে� কর� এনেছেন তা� জন্য বইটা পড়া শে� কর� কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলে নিজে� কাছে� লজ্জ� লাগে।তারানাথ তান্ত্রি� কে নিয়� প্রথ� গল্প লিখেছিলে� বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।কিন্তু দুটি গল্প লেখা� পর� তিনি দেহত্যাগ করায� তারাদা� বন্দ্যোপাধ্যায� নি� দায়িত্ত� তারানা� কে নিয়� লেখা শুরু করেন� প্রথ� দুটি গল্প এই বইয়� নে� বিধায় বিভুতিবাবু� লেখা� সাথে তারাদা� বাবু আদ� সঠিক বিচা� করেছেন কিনা বলতে পারছিন� কিন্তু রা� � টায় বা সন্ধার মুখে গল্প গুলো পড়ে একটি ভূতে� গল্পের বই পরবা� পর যেমন অনুভূত� হওয়ার কথ� তা� থেকে বর� আর� বেশি কিছু পেয়েছি।তারানা� তান্ত্রি� এর গল্পের ঝুলিটা আরেকটু বড� হল না , এই যা আফসোস।
তারানা� তান্ত্রি� সমগ্� থেকে পড়ছিলাম� প্রথমে বিভূতিভূষণের দুটি গল্প এরপর তারাদা� বন্দোপধ্যায়ের লেখা শুরু� সমগ্� তে আলাদ� কর� যদ� ভা� না থাকত তাহল� এই চেঞ্জট� ধর� মুশকিল হয়ে যেত। সত্য� বলতে ভৌতি� বা অলৌকিক গল্প হিসেবে আম� ভয� পায়নি� তব� গল্পগুলো খাসা� শে� দুটি গল্প একটু মিইয়ে গে� নাহল� � তারা� দিয়� দিতাম।
বিভূতিভ��ষ� তাঁর অনুপ� কলমে যে �'টি অসামান্য চরিত্র সৃষ্টি করেছিলেন, তাদেরই একজন: তারানা� তান্ত্রিক| দুঃখের বিষয�, তিনি এই চরিত্রটিকে কেন্দ্� কর� মাত্� দু'টি গল্প লিখেছিলেন| অলৌকিক গল্পের অনুরাগীদে� পক্ষ� সুসংবা�, বিভূতিভূষণ-এর পুত্� শ্রী তারাদা� বন্দোপাধ্যায� এই চরিত্রটিকে ফিরিয়� এনেছেন, এব� উপহা� দিয়েছেন আর� দশটি গল্প, যেগুলো সংকলিত হয়েছে এই শীর্ণকায� বইয়ে|
বিভূতিভূষণের তারানাথে� তুলনায� তারাদাসে� তারানা� আর� সংবেদনশী�, মরমী, আর সোজাপথের পথিক| এই গল্পগুলো� শুধু তন্ত্র বা মন্ত্র নিয়� নয�, বর� গ্রামে� সর� জীবন, সহ� � সর� মানুষে� আচরণ, এব� ব্যাখ্যাতী� ঘটনা� ভিত্তিতে নির্মি� হয়েছে, যাদে� সংঘটনে বা পরিণতিতে তারানাথে� কো� নিয়ন্ত্রণ ছি� না|
এর মধ্য� এম� বে� কয়েকট� গল্প আছ� যারা ভয� পাওয়ায়, শীতে� রাতে কম্ব� দিয়� না� অবধি ঢেকে নিতে বাধ্� করে| কিন্তু এই বইয়ের সেরা গল্প বোধহয় সেগুলো�, যেখানে ভাগ্যে� হাতে অসহায় মানু� গ্রা� বাংলার সবুজ অঙ্গনে তা� ধুলোখেলা হঠাৎ� শে� কর� চল� যেতে বাধ্� হয়েছে অনেক দূরে, যেখানে কারও সহানুভূত� বা ক্রো� তাদে� নাগা� পাবে না|
গল্পগুলো দারু� উপভোগ্য। কিছু কিছু জায়গায় আমার গায়� কাঁট� দেবা� মত� হয়েছিলো� বিশে� কর� রাতে পড়া� কারণে। তব� লেখক ভূমিকাতে বলেছেন যে এগুল� সত্য� ঘটনা� এটাই ঠি� বিশ্বা� করতে পারছ� না� কিন্তু শেক্সপিয়া� হ্যামলেটের ভাষ্যে বলেছিলেন,
There are more things in heaven and earth, Horatio, Than are dreamt of in your philosophy. - Hamlet (1.5.167-8), Hamlet to Horatio
কাজে� আমিও বিশ্বা� কর� নিলা� যে অতিপ্রাকৃত নানা কিছু ঘটতে পারে এই পৃথিবীতে� যা� ব্যাখ্যা মানু� তা� পন্চন্দ্রিয় দ্বারা করতে সক্ষ� নয়।
তারাদা� বন্দোপাধ্যায়ে� গল্প বলার ঢং খু� সুন্দর� পাঠককে আটকে রাখত� পারেন। মন� হচ্ছিল� হুমায়ূন আহমেদে� কো� বই পড়ছি। একটা গল্পের পর আরেকটি গল্প পড়ে চলেছ�, কিন্তু একবারে� জন্য একঘেয়েম� চেপে বসেনি। এরকম বইয়ের জন্য � ব্যাপারট� খু� গুরুত্বপূর্ণ� এক� ধারা� গল্পের লেখককে সর্বদা লক্ষ্য রাখত� হয� পাঠককে যে� একঘেয়েম� পেয়� না বসে। আর তারাদা� বন্দোপাধ্যায� এদিক দিয়� পুরোপুরি সফল। প্রতিট� গল্প� অতিপ্রাকৃতের কো� না কো� দি� ইন্গিত করেছে। যদিও তন্ত্র-মন্ত্র নিয়� আমার খু� পড়াশুনা নে�, তবুও অতিপ্রাকৃত গল্প হিসেবে তারানা� তান্ত্রিকে� জীবনের বিভিন্� ঘটনা জানত� পারাটা খু� উপভোগ্� ছিলো� তা� একটানে শে� কর� ফেললাম�
তারানা� তান্ত্রি� শুরু করেছেন বিভূতিভূষণ কিন্তু তিনি শে� করতে পারেননি। উনার দুটি গল্প� ছিলো শ্রেষ্� আর এই শ্রেষ্� জিনিসক� শ্রেষ্ঠত্ব� নিয়� গেছে� তারাদা� বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভূতে� গল্প, অতিপ্রাকৃত গল্পের প্রত� আমার ঝো� না� বললে� চল� কিন্তু তারানা� সিরি� পড়ে প্রচন্� ভালো লাগা কা� করলো এব� আম� এখ� নির্ধিদ্বায় বলতে পারি এই জিনি� কালজয়ী মাস্টারপিস� যা� হো� প্রিয় লেখকের সুযোগ্� পুত্রে� বর্ণনা ভঙ্গী আমাক� দারু� মুগ্� করেছে।
তারানা� তান্ত্রি� এর এই তিনট� বই যতোট� না ভৌতি� তারও চেয়� অনেক বেশি আবেগিক � মানবিক� আর "গৃহত্যাগী জীবন" জিনিসটাই আমার কাছে অধরা আরাধ্য অনন্যসাধার� কিছু মন� হয়। সাথে আছ� বাংলার গ্রা� � প্রকৃত�- এব� এসবে� বিস্তারি� লেখবার বর্ণনা দেবা� যে বাস্তব জীবন্ত লেখনী- সবমিলে পুরো জম� ক্ষী�...
"তারানা� তান্ত্রি�" পুরো সিরিজট� - � যে� কোনো বই না, এট� একটা (পরাবাস্ত�) জার্নি - যে� জার্নিটা করার প্রতিট� মূহুর্� বে� উপভোগ্� এব� সে� জার্নিটা শে� হবার পরেও বে� কিছুদি� ফিরেফিরে� মন� হয�, "আহ�! জার্নিটা আর� খানিকট� বড়ো হল� কিইব� এম� ক্ষত� হত�! ইশ�!"...
তারানা� তান্ত্রিকে� গল্প-উপন্যা� এর কথ� অনেক বছ� আগ� থেকে� শুনে আসছি� কিন্তু আম� হর� গল্প পড়ত� খু� ভয� পা� আসলে! তা� এতদি� পড়া হয়নি। শেষমেশ ভাবলাম, এত পাঠকপ্রিয় একটা বই আমার না পড়ে থাকা উচিত হব� না� সে� ভেবে� কেনা� কিনে যে কতটা ঠি� করেছ� তা পড়ামাত্রই বুঝত� পেরেছি� গল্পগুলো তন্ত্রসাধনাক� উপজীব্� কর� নানা� আধিভৌতিক অভিজ্ঞতা� সমষ্টি হলেও বিকে� বা দুপুরবেল� পড়েছি বলেই হয়ত� ভয� আমার একটু� লাগেনি� বর� পাতা� পর পাতা পড়ে যাওয়া� অদম্� আগ্র� প্রায় প্রতিট� গল্পেই জিইয়ে ছিল। বইটি পড়ত� শুরু করেছিলাম এম� এক সময়� যখ� আমার দুর্দমনীয় মানসিক চা� ছি�, তা� খু� অল্প অল্প করেই আমাক� পড়ত� হয়েছে� তবুও দিনে� সে� ১৫-২০ মিনি� সময়ের জন্য� আম� মুখিয়� থেকেছি� তন্ত্র সাধনার উপ� ভিত্তি কর� আগেও কিছু বই আমার পড়া হয়েছে� কিন্তু এই বইটা� ক্ষেত্রে ভালো লাগা� আর� কয়েকট� বিষয� রয়েছে� প্রথমত, মজলিশি গল্পের একটা আলাদ� সু� আছে। কয়েকজ� মিলে বস� আড্ড� দিচ্ছে, আর তারই মধ্য� একজন দুঁদ� গল্প বলিয়ে তা� অদ্ভুত অভিজ্ঞতা� ঝুলি খুলে দিয়েছ� বৃষ্টিমুখর কো� দিনে, সাথে গর� চা আর তেলেভাজা, এম� দৃশ্যকল্� কল্পনা করতে কা� না ভালো লাগে! তারানা� তান্ত্রিকে� অনেক গল্পেই দৃশ্যপটগুল� ঠি� তেমনই। একদম কল্পনাতে ভাসিয়� ওই আড্ডায� নিয়� পৌঁছ� দেয়� দ্বিতীয়�, তারানা� তান্ত্রি� এর আকর্ষণীয় ভবঘুরে জীবন আর তারই সাথে মিলেমিশে গিয়েছ� সব দুর্দান্� অলৌকিক-লৌকি� অভিজ্ঞতা� গল্পের ফাঁক� কোলরিজের কবিতার কথ� লেখক নিজে� বলেছেন� মানে তারানা� এর গল্প বলার ধর� এমনই, যে অবিশ্বা��্� ব্যাপা� � বিশ্বা� করতে ইচ্ছ� করে। তৃতীয়�, সম্পূর্ণ গল্প� ঢুকে থাকা� বিষয়টা। মধুসুন্দরী দেবী� আশীর্বা� � তারানাথে� সাংসারিক টানাটানি তেমন থাকে না� চারি মানে তারানাথে� মেয়ের� ভালো বিয়� হয়। কিশোরী কিংব� গল্পকথ� নিজেরা� ঝাড়� হা� পা� কাজে� অন্য কো� টেনশ� গল্প উপভোগে� মুডটুকুক� নষ্ট করতে পারে নি� কেবল� গল্পের মধ্য� ডুবে যাওয়া ছিল। চতুর্থ�, অসম্ভব সুখপাঠ্য লেখনশৈলী� জোরে অত্যাশ্চর্� সব কাহিনী ফাঁদার সাথে সাথে একটুখানি বৈজ্ঞানি� ব্যাখ্যা দেয়ার প্রচেষ্টাও ছি� লেখকের� আবার ছি� মাঝে মাঝে কিছু কথায� চিরন্ত� কিছু সত্যকে তুলে ধরার প্রবণতা। সব মিলিয়� বইটি অনায়াসে পেয়েছ� বাংল� সাহিত্যে ক্লাসিকে� মর্যাদা।
গল্পের কাহিনী নিয়� তেমন কিছু বলতে চা� না� � রস তাড়িয়ে তাড়িয়ে পাঠক আপনি� অনুভ� করবেন। আর আমার ধারণ� সিংহভা� পাঠকের� বইটি ইতোমধ্যে পড়া হয়ে গিয়েছে। হয়ত� গুটিকয়ে� বাকি, তব� এই বইটি দ্বিতীয়বা� পড়তেও আপত্তি নেই। এছাড়া� পাহাড়সম মানসিক চাপে� ( বাংলাদেশ সিভি� সার্ভি� পরীক্ষা) সময়গুলোতে যেভাবে এই গল্পগুলো আমাক� একটু নিঃশ্বাস ফেলা� সুযো� দিয়েছ�, তাতে সবসময় এর জন্য� গল্পগুলো আমার একান্ত আপনে� খাতায় যুক্� হয়ে গেল।
কিছু করার খুঁজ� পাচ্ছিলা� না, একটানা থ্রিলা� পড়ত� পড়ত� বিরক্ত� হয়ে গেছিলা� কিছুটা, তা� নিতান্তই অবহেলা ভর� হাতে তুলে নিয়েছিলাম তারানা� তান্ত্রিক। আর তারপরে� ঘটনা অত� সাধারণ - মানে অসাধার� - পরের দি� সূর্যোদয়ে� আগেই অফিসের উদ্দেশ্য� বেরুতে হব� জেনে� গভী� রা� পর্যন্� একটানা পড়ে শে� কর� ফেললাম বইটা� আর তারপরে, লাইট নিভিয়� বিছানায় যাবা� সময়� গা যে একটু ছমছম করছি� না, বুকে হা� দিয়� একথা বলতে পারব না�
এক্কেবার� "দিশী" ভাষায় খাঁট� দেশী ভৌতি� গল্পের সমাহার� তারানা� তান্ত্রিকে� সাথে কিছুটা তারিণীখুড়োর মি� রয়েছে� দুজনেই গল্প বলেন জমিয়ে, আর সেগুলো গল্প তো নয�, নিজে� জীবনের� ঘটনা� পার্থক্য হল� তারানা� তান্ত্রিকে� গল্পগুলো গা শিউরান� ভয়ের। একেকটা গল্পের একেক রক� স্বাদ। কাপালি�, শব-সাধন�, মারণ-উচাট�, বেতা�, এমনক� জাতিস্মর আর খুনে� গল্প� আছে। প্রত্যেকটি গল্প� আপনাকে শে� পর্যন্� পড়িয়� ছাড়বে, এমপ্নই টা� আর লেখনী� গুন। হর� প্রিয় সব পাঠকের অবশ্� পাঠ্য।
আম� হর� ধাঁচের বই পড়ি না একেবারেই� সে� ছো� বেলায় অশুভ সংকে� আর ড্রাকুলা পড়েছিলা�, ব্যস! তব� এই বইটা নিয়� বে� আলোচনা দেখে পিডিএফ যোগাড় করেছিলাম� বাদল� দি� আর ছুটি, একেবার� সোনায় সোহাগা� পড়ে ফেললাম� এত� সাবলী� ভাষায় অত� প্রাকৃ� কিছু পড়ব� ভাবত� পারিনি� সব যে� চোখে� সামন� দেখত� পাচ্ছিলাম। প্রিয় লেখকের সুযোগ্� পুত্রে� বর্ণনা ভঙ্গী আমাক� মুগ্� করেছে।
তারানা� তান্ত্রিক। মধ্য কলকাতা� মট লেনে� বাসিন্দা এই ভদ্রলো� জ্যোতি� চর্চ� কর� দি� গুজরান করেন� আর্থিক অবস্থা ভা� নয়। কিন্তু তারানাথে� কাছে সে� অর্থাভাব খু� গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপা� নয়। সে বুঁদ হয়ে থাকে তা� দীর্� তন্ত্রসাধনালব্� অভিজ্ঞতায়� সে� অভিজ্ঞতা� স্বা� পেতে তা� সঙ্গ� আড্ড� দিতে আস� গল্পের কথ� আর কিশোরী নামে� এক তরুণ� তারানা� তাদে� সামন� খুলে দেয় তা� গল্পের ঝুলি� নিঃসৃত হত� থাকে একের পর� এক গল্প।তারানাথের জন্ম হয� একান্নবর্তী ব্রাহ্মণ পরিবারে। যৌবনে� পা- দিতে� সাধু ও� সন্ন্যাসী জীবনের� প্রত� অগ্র� বো� করেন� তা� সাধারন জীবন- যাপন ত্যা� কর� বেরিয়� পর� সন্ন্যাসী জীবনের অভিজ্ঞতা লাভে� জন্য� আর একের পর এক সাক্ষী হন অপ্রাকৃতিক ঘটনার।
যদিও পরর্বতী জীবন� সংসারী হন, কিন্তু অর্থের প্রত� মো� না থাকায় বেশি অর্থ লা� করতে পারে নি।কলকাতার মট লেন� হা� দেখে এব� কড়ি বিক্রি কর� কো� রক� দি� পা� কর� দেয়� আর অবসর সময়� তা� যৌবনের রোমাঞ্চক� অপ্রাকৃতিক ঘটনা বল� দু� শ্রোতা কথ� আর কিশো� এর সাথে� যদ� � কিশো� সব ঘটনা সত্য বল� মেনে নিতে পারেনা� এত� তারানা� কিঞ্চি� মনঃক্ষুণ্ণ হলেও গল্পের আড্ড� চালিয়� যায়�
বছরে� শে� বই সম্ভবত � এই বছ� টার্গে� করেছিল� ২৫ টা বই পড়ব � সমস্� হিসে� নিকে� উলটে , গুডস রিডস এর কল্যান� , তা� হিসে� � হিসেবে� বাইর� ৫৩ টি বই পড়েছি � গত বছ� ১৬ টা পড়েছিলা� � সে দি� থেকে বল� যায় ব্যপ� উন্নতি � এই উন্নতি� পেছনের কারন আমার এক্সিডেন্ট � অন্য মানুষক� বিরক্ত করার থেকে বইয়� মু� গুজে থাকায় উত্ত� � কা� ছাড়� আমার পক্ষ� এক মিনি� থাকা সম্ভ� না � বই পড়াকে আম� ঠি� সে� পর্যায়ে নিয়� গেছি , মাঝখান� একটু গ্যা� গেলে� এখ� বই না পড়ল� ঘু� আসতে চা� না � ২০১৬ সালে আমার জীবনের সব চেয়� বাজে বছ� এব� সে� সাথে স্মরনীয় বট� ।আগামী বছ� � এক� ভাবে বই পড়ত� চা� � মানুষে� সাথে বেশি কথ� বল� ক্যালর� নষ্ট না কর� বই পড়া� উত্ত� বল� মন� করি।
যা� হো� বই নিয়� দু কথ� না বললে� নয� "আলতাচক্র" পড়া� পর বুঝলাম এই বইটা� পড়ত� হব� � তারানা� কে আর� জানত� � ফ্যাসিনেশা� বড� অদ্ভুত জিনি� , আমাক� কে� ফ্যাসিনে� করেছ� বলেছ� মন� পড়ে না � আম� লজিক্যাল মানু� তারপ� লেখকের লেখনী� এক অদ্ভুত মায়াজাল সৃ��্ট� করতে সক্ষ� হয়েছে।মাঝ� মাঝে মন� হয়েছে আম� তারানাথে� সাথে খাওয়া দাওয়া করছি � আগের কা� দিনে� মানু� চোয়� ডেকু� না তুলে কিভাবে একটি আস্ত পাঠা� মাংস খায় তা ভাবা� বিষয� � দেড়সে� দু� জ্বালিয়� আধসে� কর� প্রত্যাহ সকালের জলখাবা� খাওয়া , ভরপে� খাওয়া� পর কুড়িট� ল্যাংড়া আম খাওয়া এস� শুনলেই শুধু অবাক � হত� হয� না রীতিমর মু� হা হয়ে যায় � আজকে� যুগে সেসব আশ� কর� সত্য� বৃথা � তাছাড��া মাঝরাত� আপনি কো� রমনীকে পাবে� না যিনি ভালবসে আপনা� জন্য� সেগুলা রান্না করবে � বইটি যদ� কে� কখ� পড়ে� তব� এক� এক� , শান্� পরিবেশ� মনযো� দিয়� পড়বেন�
ভৌতি� বা প্যারানরমা� গল্প শোনা� বা পড়া� বিষয়ে আগ্র� ছো� বেলা থেকেই। ভয� ভয� করবে, গায়ের মাঝে ঠাণ্ডা শিহর� জাগব� তাহলেই না গল্পের সার্থকতা� সে হিসেবে এই বইটা মোটামুটি সার্থক� তব� বইটা� সার্থকতা আমার কাছে অন্য জায়গায় লেগেছে, বর্ণনাশৈলীতে� ভৌতি� গল্পের লেখকরা সাধারন� দেখেছি ভূতে� বেশি গুরুত্� দেয়, কিন্তু বিভুতিবাবু� ছেলে শুধু ভৌতি� পরিবেশ সৃষ্টিতে না, চরিত্র নির্মা�, গ্রামী� প্রকৃত�, আচার সবকিছুকে� সমান গুরুত্� প্রদান করেছেন� একদম� চেপে ধর� ভয� দেখানো� চেষ্টা নে� বইজুরে�
একটা দুটো গল্প একটু দুর্বল লেগেছে, বাকিগুলো অসাধারন।
একটা ভূতে� গল্পের স্বার্থকতা কোথায়? শহুর� পরিবেশ� আরামদায়� বিছানায় শুয়� কি ভয� জাগ্রত হওয়ার কথ�? হো� না সেটা বর্ষণমুখ� রাত। যদ� কে� অমবস্যার রাতে নির্জন বট গাছে� তলায� শুধুমাত্� নাইট ভিশন গগলস পর� ভূতে� গল্প পড়ে তাহল� কি তা� মধ্য� ভয� জাগ্রত হব�? যদ� তা� হয�, তাহল� কৃতিত্বট� কা�? পুরোপুরি নিশ্চয� লেখকের নয়। ভয� পাওয়াটা আবার বয়স নির্ভরও। একটা বাচ্চা যত সহজে ভয� পেয়� যাবে তত সহজে কিন্তু একজন পূর্ণবয়স্� মানু� ভয� পাবে না� আসলে ভয়ট� আস� কোথা হত�?
এই গল্প সংকলনট� কিন্তু বে� ভালো� পুরোপুরি গ্রাম্� সেইস� রীতিনীতি, পরিবেশ, বিশ্বাসে� বর্ণনায় চমৎকার কিছু গল্প লিখেছে� লেখক� ভয� পায়নি কে�, এটাই আমার দুঃখ�
এই বইয়ের কো� খুঁত ধর� যায় কি না? হু, গল্পের কো� টাইটেল নেই। তা� বদলে আছ� ছব� টাইপের কিছুমিছু� এই যেমন গা�, শি�, ঘন্ট�, কঙ্কাল ইত্যাদি। কাউক� বলতে হল� বলতে হব� � যে ঐরকম একটা সাইন দিয়� যে গল্পটা আছ� না, ওইটা!
ভূতে� গল্পগুলো ভয� পাওয়া� বাসন� পূরণ করায� যতটা ভালো লাগে তা� থেকে বেশি ভা� লাগে গল্পগুলো� রহস্যময়তা� জন্য যে রহস্যময়তা� জন্ম বাস্তব� নয�; কল্পনায়�
পিতা বা মাতা বিখ্যা� হল� সন্তানের জীবন� যে অবধারি� বিড়ম্বনাট� জোটে তা হচ্ছ� সন্তান পিতা/মাতা� চর্চিত � বিশে� ক্ষেত্রটিত� নি� স্বাক্ষর রাখত� পারলেন কিনা সেটা নিয়� পাবলিকের কৌতুহল� সে� স্বাক্ষর যদ� পিতা/মাতা� মাপে� না হয� তাহল� তা� ললাট� কিছু বাড়তি গঞ্জনা বরাদ্দ থাকে� সবচে� অপমানে� বিষয� হচ্ছ�, তিনি যদ� স্বমহিমায় পিতা/মাতাকে অতিক্র� কর� যেতে না পারে� তাহল� নিজে যতটুকু, যা-� হন না কে� তা� পরিচয় শুরু হব� ‘অমুকে� পুত্�/কন্য� তমুক� বলে। এই বক্তব্যটির একটা করুণ উদাহরণ হচ্ছেন তারাদা� বন্দ্যোপাধ্যায� � যা� পরিচয় শুরু হয� ‘প্রখ্যা� সাহিত্যি� বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ে� একমাত্� পুত্� তারাদা� বন্দ্যোপাধ্যায়� বলে। এই বিষয়ট� আমাক� বিরক্ত করেছিল ততদি� পর্যন্� যতদি� না আম� তারাদা� বন্দ্যোপাধ্যায়ে� লেখা পড়েছি� কিন্তু তা� কিছু লেখা যখ� পড়া� এব� অন্যগুলো সম্পর্কে জানা� সুযো� হয� তখ� থেকে আমার প্রতিবেদকদের এম� ক্লিশে বর্ণনা� ওপ� থেকে বিরক্ত� চল� যায়� লেখক তারাদা� বন্দ্যোপাধ্যায� তা� লেখালেখি� বড� অংশজুড়ে কেবল তা� পিতা� নির্মি� জনপ্রিয় চরিত্রগুলোকে নিয়� ঘাঁটাঘাঁটা কর� সেগুলো� আদ্যশ্রাদ্� কর� ছেড়েছেন�
তারাদা� বন্দ্যোপাধ্যায়ে� একটি ওভাররেটে� বই হচ্ছ� ‘তারানাথ তান্ত্রিক’। যারা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ে� ‘তারানাথ তান্ত্রিকে� গল্প� আর ‘মধুসুন্দরী দেবী� আবির্ভাব� গল্পদুটো পড়েছে� তারা তারানা� তান্ত্রিকক� যেমন চেনে� তেমন অতিপ্রাকৃত গল্প লেখায় বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ে� সক্ষমত� সম্পর্কে জানেন। যারা � গল্পদুটো পড়েনন� তারা� বাংল� গদ্য সাহিত্যক� পালট� দেয়� তি� বাঁড়ুজ্জ্যে’র একজন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ে� অতিপ্রাকৃত গল্প লেখা� সক্ষমত� সম্পর্কে ধারণ� করতে পারেন। (বাকী দু� বাঁড়ুজ্জ্যে হচ্ছেন � মানি� আর তারাশঙ্ক�)� সুতরাং বিভূতিভূষণের সৃষ্� চরিত্র নিয়� খেলত� যাওয়া এক বিশা� ঝুঁকির বিষয়। তারাদা� বন্দ্যোপাধ্যায� এই ঝুঁকিট� বা� বা� নিয়েছেন এব� ক্রমাগ� ধর� খেয়েছেন�
শিরোনামবিহী� ১০টি গল্পের এই সংকলনে� গল্পগুলোকে কো� ক্যাটেগরিত� ফেলা যাবে সেটা নিয়� পাঠক দ্বিধায় পড়ে যাবেন। কারণ, এই গল্পগুলোতে কিছু অতিপ্রাকৃতিক ব্যাপারস্যাপার আছ� বট� কিন্তু সেগুলোকে অতিপ্রাকৃতিক বা ভূতে� গল্প বলার উপায� নেই। ‘হরর� নামক সাহিত্যে� বিশা� বৃক্ষে� অসংখ্য ডালপালার কোনটাত� এগুল� ঝুলানো একটু কঠিন বৈকি� এই গল্পগুলো� উদ্দেশ্য কী? পাঠককে ভয়ে শিহরিত কর�? সে� বিচারে এগুল� ব্যর্থ� পাঠককে রোমাঞ্চি� কর�? সে� বিচারে� এগুল� হালে পানি পায় না� যে মধুসুন্দরী দেবী� দোহা� এই গল্পগুলো� পদ� পদ� দেয়� হয়েছে সে মধুসুন্দরী দেবী� মূ� আখ্যানের ছিটেফোঁট� রস� এই গল্পগুলোতে মেলে না� গল্পগুলোতে কোথা� কোথা� ‘ক্যান্টারবেরি টেলস�-এর মত� ওয়া� নসিহ� করার চেষ্টা কর� হয়েছে; কোথা� ‘আ� আঁটি� ভেঁপু’র মত� বাংলার গ্রামী� সমাজচিত্� ফোটানো� চেষ্টা কর� হয়েছে; আবার কোথা� ‘আরণ্যক�-এর মত� নিসর্গের বর্ণনা দেবা� চেষ্টা কর� হয়েছে� ফলাফ� হয়েছে একটা থার্মোফ্লাস্কে একইসাথ� আইসক্রী� আর গর� কফ� রাখা� কৌতুকটার মতো।
শ্মশান, পোড়োবাড়ি, মড়া, কঙ্কাল, কাপালি�, তান্ত্রি�, সাধু, খু� ইত্যাদ� বহুলচর্চ্চিত উপাদানগুলো ছাড়াও অতিপ্রাকৃত, ভৌতি� ঘরাণাগুলোর গল্প হত� পারে� বাংল� সাহিত্যে� তা� যথেষ্ট উদাহরণ আছে। এর জন্য তারাদা� বন্দ্যোপাধ্যায়ে� শরণাপন্ন হবার দরকা� নেই।
দশটা অশরীরী গল্প� পড়ে একেবার� গায়� কাটা দিয়� উঠেছ� তা না, তব� ভিন্নস্বাদ পেয়েছি। তারানা� চরিত্রটি তন্ত্রসাধনার পথ� অনেকদি� কাটিয়� ব্যাপারটাক� সিরিয়াসলি না নিয়� ব্যর্থ হওয়� এক তান্ত্রিক। তব� তন্ত্রসাধনায� সাফল্য না আসলে� গল্প বলায� (বা ফাঁদায�) সে ওস্তাদ� আর পথ� পথ� ঘুরে ঝুলিতে গপ্পোও জমেছ� ঢের। জীবনের অনেক অস্বাভাবিক অভিজ্ঞতা সে লেখক আর কিশোরী� সাথে আড্ডায� বলে। সে� অভিজ্ঞতারই একটা সংগ্রহ তারানা� তান্ত্রি� বইটা�
বল� বাহুল্�, এই তারানা� তান্ত্রি� হবার কারণ� তা� মোটামুটি সব গল্প� তন্ত্রসাধন� নিয়েই� ফল� পটভূমিতে আমাদের নিখুঁত গ্রামবাংলা� চিত্রট� ফুটে উঠেছে। ট্যাবলেট� এই বইএর পিডিএফ পড়ে ভয়ট� জমান� কঠিন� তব� তারপরে� ক্ষণ� ক্ষণ� চমকে উঠতে হয়েছে� বিশে� কর� খাঁট� বাংলাদেশের ভুতে� গল্প� ওয়েরউলফ টা তো ছি� বড়সড় চমক।
বলতে শুরু করলে অনেক কথাই বল� হ��়� যাবে� বর� থামি� স্পয়লার দেওয়া� পাপে দুষ্� হওয়ার কো� বাসন� আমার নে�!
There are more things in heaven and earth, Horatio, Than are dreamt of in your philosophy. - Hamlet
রিভি� : তারানা� তান্ত্রি� লেখক : বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায� / তারাদা� বন্দোপাধ্যায� জনরা :হর� /অকাল্ট থ্রিলা� ___________________________________________________________________ তারানা� তান্ত্রি� এর আবির্ভাব বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায� এর "তারানা� তান্ত্রি� এর গল্প" তে� তারপ� তিনি এই চরিত্র কে নিয়� আর� একটি গল্প লিখে যান। এরপর� তা� পুত্� তারাদা� এই চরিত্রকে নিয়� বে� কয়েকট� গল্প প্রকাশ করেন� প্রায় গল্পের শুরুতে দেখা যায়,গল্পের কথ� আর তা� বন্ধ� কিশোরী সে� বিভিন্� সময়েই কিছু উপহারে� বিনিময়ে তান্ত্রিকে� জীবনের বিভিন্� বিচিত্� অভিজ্ঞতা শুনত� যান।আর তারপরে� তারানা� শুরু করেন তা� বিভিন্� ধরনে� বিচিত্� অভিজ্ঞতা� কথ� ,যা পাঠককে নিয়� যায় এক অন্যভুবন� ! ___________________________________________________________________ রেটি� :�.� /১০(গ্রা� বাংলার পটভূমিতে লিখা এক অসামান্য ভৌতি� রচনা� এই গল্প পড়া� আদর্� সময় বৃষ্টি মুখর রা�...যা সত্য� সত্য� পাঠকের মনকে এক অন্যজগতে নিয়� যায় !)
বিভূতিভূষণ এর তারানা� থেকে তারাদাসে� তারানাথক� বেশী ভালো লেগেছে � তারাদাসে� গল্পগুলো� বিভূতিভূষণ থেকে বেশী ভালো হইছে � একবারে গ্রামী� পরিবেশ� এই রক� হর� গল্প পড়ে বে� মজ� পেয়েছ� � যদিও হর� আমার ফেভারি� জনরা না কিন্তু এই বইটি বেশী রক� ভালো লেগেছে � A must read horror for all .
ছো� ছো� গল্প� অসাধার� লেখা� ধরণে মন� হয� যে� স্বয়ং আম� নিজে উপস্থি� হয়ে সব দেখছি। ভূতে� গল্পের বই আমার বরাবরই প্রিয়� এইজন্য ভালো লেগেছে তা বল� না বর� ভালো না লাগলেও এই বইটা নির্ঘা� ভালো লাগত�
শে� কর� ফেললাম তারাদা� বন্দোপাধ্যায়ে� লিখা বই "তারানা� তান্ত্রি�"� তারানা� তান্ত্রি� সৃষ্টি করেছিলেন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু মাত্� দুইট� গল্প শে� করেছিলেন তিনি� সে� দুইট� গল্প ছিলো অসাধারণ। কি লেভেলে� অসাধার� সেটা যারা পড়েছে� তারা� জানেন। যাইহোক, বাবা বিভূতিভূষণ যেখানে শে� করেছিলেন সুপুত্� তারাদা� সেখা� থেকে� শুরু করেছেন� আর বলতে� হয� বাবা� লেগেসি একদম যথার্থ এগিয়ে নিয়� গেছে� তিনি�
বইয়ের জগতে এই "তারানা� তান্ত্রি�" নামট� এম� এক না� যে কে� না কে� কখনো না কখনো শুনেছেই। তারানা� তান্ত্রি� হচ্ছেন এম� এক ব্যর্থ তান্ত্রি� যা� তান্ত্রি� জগতে অত� উচ্চস্তর� যাবা� কথ� ছিলো� কিন্তু ভাগ্যে� ফেরে তিনি তা হত� পারেননি। এখ� তিনি হা� দেখে কিছু পয়স� কামান। আর চমৎকার গল্প বলতে পারেন। তারই জবানীতে বে� কিছু গল্প নিয়� লেখা হয়েছে এই বইটা� গল্পগুলা দারু� উপভোগ্য। ভয়ে� কথ� যদ� বলেন, তব� আম� বলবো খু� ভীতু শ্রেণী� না হল� অনেক বেশি ভয� পাবা� চান্� কম� তব� ভালো লাগব� এইটা শিওর� অতিপ্রাকৃত কিছু আছ� কি না সেটা নিয়� আম� তর্ক করতে যাবো না� এই বইটা পুরোটা� অতিপ্রাকৃত জিনিসে ভরপুর। তব�, আমাক� জিজ্ঞে� করলে আম� বলবো এই দুনিয়াত� এম� অনেক কিছু� আছ� যা যুক্তি দিয়� বিবেচন� কর� কঠিন� অতিপ্রাকৃত অনেক কিছু� ঘটতে পারে এই দুনিয়ায়।
সবমিলিয়� বলবো, যদ� আমাক� বাবা এব� ছেলে� মধ্য� তারানা� তান্ত্রিকে� গল্পগুলা� তুলন� করত� বলেন তব� সেক্ষেত্রে নি:সন্দেহ� বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায� এগিয়ে থাকবেন� তা� দুইট� গল্প অন্য লেভেলে� একদম� তব�, তা� ছেলে� কিন্তু কম যায়নি� সুন্দর প্লটের সাথে সহ� ভাষায় গল্প লিখেছে� একদম� খাপছাড়া লাগা� কোনো অবকা� নাই। পাঠককে রীতিমত� আটকে রাখত� পেরেছেন। একবা� এই বই ধরলে শে� না কর� ওঠ� বে� কষ্টসাধ্য। মনের মধ্য� দা� কাটা� মত� গল্পগুলা� বলতে� হয�, বে� উপভো� করেছি। পড়া না থাকল� পড়ে ফেলুন। সময় নষ্ট হবার কোনো চান্� নাই।