A quarter century after the war that was meant to bring liberation to Bangladesh, Mukti, a researcher, comes into Mariam's life, calling up memories that continue to haunt her. She remembers the wetlands, with their mystery and darkness, across which her young brother Montuand she fled to escape the violence. She remembers the day her brother walked away, never to be seen again, lost to the war which claimed many ambitious, idealistic, patriotic young men, swallowing them up before they even knew the meaning of war.
Shaheen Akhtar's mesmerizing and moving novel is set against the backdrop of the Bangladesh war of liberation and in her skilful hands,the war becomes a way to explore the violence done to women,and their courage, their tenderness, their heartbreak and betrayal and their search for love. Akhtar's is one of the younger voices to explore this hitherto hidden dimension of the history of Bangladesh.
Talaash was awarded the Prothom Alo Literary Prize in 2004.
Shaheen Akhtar is the author of six short story collections and four novels. She has also edited the three-volume Soti O Swotontora: Bangla Shahitye Nari, about the portrayal of women in Bengali literature, and Women in Concert: An Anthology of Bengali Muslim Women's Writings 1904-1938.
Akhtar's second novel Talaash won the Best Book of the Year Award for 2004 from Prothom Alo, the largest-circulation daily newspaper in Bangladesh. The English translation of the novel was published by Zubaan Books, Delhi, India in 2011.
Novels:
1. Palabar Path nei (No Escape Route), Mowla Brothers, 2000
2. Talaash (The Search), Mowla Brothers, 2004
3. Shokhi Rongomala, Prothoma, 2010
4. Moyur Shinghashon (The Peacock Throne), Prothoma, 2014
এবছর যে �'জন অসাধার� লেখক/লেখিকা আবিষ্কার করেছ�, শাহী� আখতা� তাঁদের মধ্য� অন্যতম� 'তালা�' পড়ে আম� মুগ্�, অভিভূত� আপাত� পাঁচ তারা দিয়� রাখলাম (এর বেশি দেয়� গেলে তা-� দিতা�); পর� বিস্তারি� আলোচনা� ইচ্ছ� রাখি�
"তালা�" হচ্ছ� এম� একটা বই যেটা চোখে গুতা দিয়� কান্না করায� না, আবার "শো� হে মানু� ভা�" ধরনে� কিছু শেখাতে� চায় না - অথ� � দুটা� বইটা ভালো ভাবে করতে পারত� "তালা�" বর� ভয়াবহ নির্মোহভাব� এম� একটা অধ্যায়ে� বর্ণনা কর� পাঠক হিসাবে যেটা� trauma থেকে আমাদের আর বে� হয়ে আস� সম্ভ� হয� না�
হল� সিনেমা দেখত� যেয়� আবেগের আতিশয্যে কিশো� জসিম হা� চেপে ধর� কিশোরী মেরির। আল�-আঁধারী� সিনেমা হল� সামান্� হা� চেপে ধর� নিয়� গ্রামে ঢি ঢি পড়ে যায়� দুর্নামে� হা� থেকে বাঁচার জন্য বাবা মা মেরিকে পাঠিয়� দেয় ঢাকা শহরে� যে� দুর্না� থেকে বাঁচার জন্য এত� আয়োজন.. মেরি� পলায়ন.. বা� বাকি জীবন� মেরি কেবল পালিয়� পালিয়েই থেকেছে� দুর্ভাগ্� আর পিছু ছাড়েন� বেচারির।
মুক্তিযুদ্� (এব� তা� পরবর্তী) নিয়� এত� সুন্দর বই আম� খু� কম� পড়েছি� বীরাঙ্গনাদের মত� এত� স্পর্শকাতর বিষয� নিয়� এত� দারুণভাব� এব� এত� গভীরত� নিয়� লেখা যায়! ভাবা যায় না� গোটা মুক্তিযুদ্ধে এম� কো� বিষয� নে� যা এই বইয়� উঠ� আসেনি। আবার এম� অনেক ইস্য� এসেছ� যা অনেক� ভাবতেও পারেনি� কিন্তু সব কিছু ছাপিয়� গেছে বীরাঙ্গনাগণ। বল� হয� তারা� দেশে� শ্রেষ্� সন্তান� আসলে� কি তা�? যুদ্ধোত্তর সময়� ভা� কিংব� পুত্রে� রক্ত দেয়াট� ছি� গৌরবের আর নারী অর্থাৎ বো� কিংব� কন্যার সম্ভ্রমহান� ছি� কলঙ্কে� নামান্তর� বীরাঙ্গনাদের বারাঙ্গনায� পরিণ� করার জন্য সে সময়ের মানুষে� দায়ভা� কম নয়। মানু� যদ� একটু সহনশী� হত? মানু� যদ� একটু দয়ালু হত�? করুণ� নয�, মানু� যদ� একটু মায়ার হা� বাড়িয়ে দিতো তাদে� দিকে.. হয়ত এদের অনেকেই স্বাভাবি� জীবন পেতে পারতো। পুনর্বাস� আর প্রত্যাবর্তনের মাঝে ব্যাপক একটা পার্থক্য আছে। সে� সময়ের মাঝে দিয়� যে� ভুক্তভোগী নারীরা গেছে�, তাদে� সে� ব্যথার কথ� একমাত্� তারা� বলতে পারবেন� বইটা পড়ত� পড়ত� চো� ভিজে উঠছি� বা� বার। এই যে যুদ্� হল�, দে� স্বাধী� হল�.. ক্ষমতা� পালাবদলে� সুযোগে কত� সুযো� সন্ধানী নিজে� আখের গুছিয়� নি�, বীরাঙ্গনার� পে� কি? আরেকটা ব্যাপা� খু� স্পষ্ট� যুদ্�, সেটা পৃথিবী� যে প্রান্তে� হো� না কে�.. যে� জাতিগোষ্ঠী কিংব� যে কারণেই ঘটুক না কে�.. একটা যুদ্ধে সর্বাত্ম� ক্ষতির সম্মুখী� বোধহয় হয� নারীরাই।
সত্য� বলছি, বছরট� এত� সুন্দর একটা বইয়ের মাধ্যম� শে� হব�, ভাবিনি� হাইল� রেকমেন্ডেড�
শাহী� আক্তারের "তালা�" ইতিহাস খুঁড়ে বেদন�-লজ্জ� জাগানো� মতো। যে মুক্তি� জন্য, স্বাধীকারে� জন্য মানু� অবলীলায় নিজেকে দাঁড� করায� বুলে� -মর্টারের বিপরীতে, সে� কাঙ্খি� মুক্তি বা স্বাধীকারই কে� তুমু� প্রতার� রুপে আবির্ভুত হয� শেষমেশ? অর্জিত গৌরবের ডামাডোলে কে� তব� ফিকে হয়ে আস� যাবতীয় আত্মত্যা�? উপন্যাসি� শাহী� আক্তার তা� এই উপন্যাসে মরিয়ম, অনুরাধ�, টুকি, শোভা� মত� আর� বহ� হারিয়� যাওয়া মুখে� ভেতর দিয়� তালা� করেছেন এম� অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর।
এই প্রজন্মে� কাছে এই স্বাধীনত� অর্জনে� ছকটা একেবারেই সোজা-সাপ্টা: শোষণ-জাগর�-নেতৃত্ত্�- যুদ্�-স্বাধীনতা। প্রতিনিয়ত বদলে যাওয়া ইতিহাস� ক্রমেই আত্মত্যাগে� তুলনায� প্রমিনেন্ট হয়ে ওঠ� বীরত্বের আখ্যান� নেতৃত্বে� টানা-হেঁচড়�,বিশ্বাসঘাত� থেকে দেশপ্রেমিক বন� যাওয়া শুয়োরের বাচ্চাদে� উচ্চকি� চোঁটপা� সব মিলিয়� স্বাধীনতার অর্ধশত বছরে� জরাজীর্� কঙ্কালসা� স্বরুপের কাছে� বরাবরে� মত� আজ� উপেক্ষিত মরিয়মেরা।
রীতিমত চমকে উঠতে হয� যতোট� না একাত্তরে তাদে� উপ� কর� নির্যাতনের বর্ণনা শুনে তা� চেয়� বেশী যুদ্ধোত্তর দেশে তাদে� প্রত� পরিবার, সমাজ, সর্বোপরি দে� যেভাবে আচরণ করেছ� সেটা শুনে� পড়ত� পড়ত� এক একসময় মন� হয়েছে আমরা কখনো� কি সত্যিকার অর্থ� মানবিক ছিলা�? দুঃসময� আমাদেরকে যুথবদ্� করেছিল� ঠিকই, কিন্তু সহমর্মিত� ব্যাপারট� বরাবরই ছিলো নেহায়েত একটা ভা� এব� বানে� তোড়� ভেসে যেতে যেতে জীবন বাঁচাত� মরিয়া হয়ে আঁকড়ে ধর� খড়কুটোর মতো। জীবনের মোটামুটি নিরাপত্ত� নিশ্চি� হবার পর আমরা তা� ঠিকই ফিরে গিয়েছিলাম সে� এক� অকৃতজ্� মানু� ভরপু� খোঁয়াড়ে।
আত্মত্যাগে� পুরষ্কার হিসেবে অগনি� "বীরাঙ্গন�" কে বেশ্যাপল্লিত� পুনর্বাসিত হবার বৃত্তান্� জেনে কা� কেমন বো� হয� জানি না� আম� লজ্জিত হই, নিজেদে� প্রত� ঘৃণায় আত্মধিক্কারে� এত বছ� পরেও অর্জিত স্বাধীনতাক� প্রশ্নবিদ্� করতে দ্বিধা বো� কর� না�
উপন্যাসি� শাহী� আক্তারকে আমার আগ� কখনো পড়া হয়নি। মুক্তিযুদ্ধে� এই স্পর্শকাতর বিষয়বস্তুকে তিনি উপন্যাসে যেভাবে শুরু থেকে শে� পর্যন্� ডি� করেছেন তা রীতিমত তা� প্রত� প্রণতি জাগানিয়া। পাঠক হিসেবে আম� সত্যিই আনন্দি� যে এত� পর� হলেও তা� মত� এম� একজন শক্তিশালী উপন্যাসিকে� সন্ধ্যান পেয়েছি।
মুক্তিযুদ্ধে� ইতিহাসের সবচেয়� ভয়াবহ অধ্যায� সম্ভবত বীরাঙ্গনাদের ইতিবৃত্তান্ত� নীলিমা ইব্রাহীমে� ‘আমি বীরাঙ্গন� বলছি� ছি� আমার পড়া প্রথ� বই যাতে বিষয়ট� সম্পর্কে জানা� সাহস করতে পেরেছিলাম। এরপর যতোবার মুক্তিযুদ্ধে এই ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষদের কথ� পড়েছি, প্রতিবার নানারক� দু:স্বপ্ন দেখেছি, পড়ত� পড়ত� বই খামচ� ধরেছ� এব� চো� ভিজে উঠেছে। হ্যা, বই আমাদেরকে কঠিন বাস্তবতা থেকে একটু দূরে সরিয়ে খানিকট� স্বস্ত� এন� দেয়� কিন্তু, আর্টের সব ফর্মের মত� সাহিত্যেরও এই দায় নেই। ভাগ্যি�, নেই। কারন, কিছু বিষয� আসলে নিজেকে মোটামুটি কষ্ট দিয়� হলেও জানা দরকার। তা�, এস� পড়ে অত্যাচারিত� জায়গায় নিজেকে বসিয়ে উপলব্ধিটুকুই শুধু কর� যায় এখন। যা ঘটেছ�, সে� অকল্পনীয় নির্যাতনের ভেতর দিয়� যাওয়া� পর তাঁদের বেঁচ� থাকাটাকে আমরা স্বাধী� দেশে প্রহসন বানিয়� ফেলেছিলাম। আর সে� জোকে� punch line হল মানুষগুলোর বেশ্যালয়ে শে� ঠিকানা হওয়া। মরিয়ম সেখানে না গিয়েও সাধারন চাকর� টিকিয়� রাখত� বসের পুরুষাঙ্� লেহন করতে বাধ্� হতেন� আরেক অফিস� কা� করবা� সময়� মানুষজ� ‘বীরাঙ্গনা� নামক চিড়িয়া দেখত� আসতো� .... কি আজ� আমরা! এখনো কিন্তু আমরা একচুলও পাল্টা� নি�
‘তালাশ� পড়া শে� করেছ� গত সপ্তাহে। এখনো পর্যন্� মরিয়মের জীবন তাড়� করছে মন� মনে। রিভি� লিখব, লিখব কর� হচ্ছ� না� পারি না লিখতে। ‘তালাশ� নিয়� আর� পারছ� না� শুধু সবাইকে বলতে ইচ্ছ� করছে যে বইটা এইবেলা পড়ে ফেলেন। কারন, সময়� সময়� মাথায় ঘুরপাক খায় যে কে� আমাদের সাথে জগৎসংসার আনফেয়ার আচরণ করছে! তালা� পড়া� পর মন� হয�, বেঁচ� যে আছ� আমরা একটা জাতি হিসেবে এব� ইতিহাসের একটা বড� দায় না মিটিয়�, এর জন্য হয়ত� সাম্প্রতিক মহামারী� বিশা� কো� শাস্তি নয়। এর চেয়� খারা� কিছু আসলে একাত্তরে এই মানুষগুলোর সাথে হয়ে গেছে� সে� তুলনায�, রো�-শোকে মৃত্যু আসলে শুধু মৃত্যুই। এর বেশি কিছু না�
মরিয়ম নামক এক বীরাঙ্গনাক� নিয়� এক গল্প যেখানে উঠ� এসেছ� মরিয়ম তথ� মেরি� জীবন থেকে পালিয়� বেড়ানোর গল্প, দূর্ভাগ্� তা� পিছু না ছাড়ার গল্প� আর� উঠ� আস� সমাজ থেকে, সরকা� থেকে বারবার প্রতারিত, নিপিড়ী� হওয়ার গল্প� পড়ত� পড়ত� হৃদয়ে একটা প্রশ্ন শুধু প্রতিধ্বনি� হয� "বীরাঙ্গনাদের সম্মান এব� মর্যাদার সাথে বেঁচ� থাকা� বদলে এস� সম্মানহানি হওয়�, মানুষে� কাছে অবহেলি� হওয়�, এস� প্রাপ্� ছিলো? সরকা� তো কিছু করেই নি তাদে� জন্য, সমাজেও কি মারাত্মকভাবে তাদে� নিচুস্তরের কর� দেখা হত�"
বীরাঙ্গনাদের নিয়� এম� স্পর্শকাতর একটা বিষয়ে লেখিকা শাহী� আখতারে� এই উপন্যা� পড়ত� পড়ত� হয়ত� পাঠকের মন� হব� "লেখিকা এতোট� হৃদয়হী� কে�, এম� কঠোর কে�"� চরিত্রের জন্য যে� কোনো অনুভূত�, হা-হুতা� বা হাহাকা� যে� নেই৷ তব� এটাই উনার লেখা� মুনশিয়ানা, উনার লেখা যে� এখান� বাস্তবতা� স্তম্ভ হয়ে সগৌরবে দাড়িয়ে আছে। কিন্তু এম� বাস্তবতা পাঠককে ঘায়েল করবে এব� চরিত্রের জন্য বিষণ্ণতা� মে� বয়ে যাবে� নির্দয়ভাব� লিখেছে� ঠিকই, কিন্তু পাঠকের মন খারা� হব� ক্রমাগত।
আমাদের সময়ের শক্তিশালী লেখিকা শাহী� আখতা� লেখা� মা� বা শৈল্পি� মানে� দিকে কোনোরক� ছাড় দিতে চা� না যে�!বাক্যগঠন, লেখা� স্টাইল এম� যে, বীরাঙ্গন� বিষয়ে গল্প বল� ছাড়াও উনার আর্টিস্টিক লেখাতে যে� অন্য এক মাত্রা পেয়েছ� এই উপন্যাস। লেখাতে আছ� আলাদ� একটা নান্দনিকতা� লেখা� স্টাইল, গল্প বলার ধরণে� জন্য পাঠকের মধ্য� আলাদ� স্থা� কর� দিবে এই উপন্যা�, পাঠকের মধ্য� তৈরী হব� ভ্রম, আর বইটা শে� করার পর যে� এর বিষণ্ণতা� রে� থেকে যাবে, তাছাড়� মন� তৈরী হব� হরেকরকমে� প্রশ্ন� তব�, পড়ত� পড়ত� বইটা� লেখা কঠিন বা টা�-টু-রি� মন� হলেও পড়া� শেষে অসাধার� এক উপন্যা� পড়া� অনুভূত� হব� এব� আবেশ থেকে যাবে অনেকদি�.....
মৃত্যু� অভাব� মানু� বেঁচ� থাকে এব� এভাব� বছরে� পর বছ� বাঁচ� যায়� - শাহী� আখতা�
'তালা�' উপন্যাসে শাহী� আখতা� মূলত মরিয়ম নামে এক যুবতী� গল্প বলেছেন� যুদ্ধে� আগ� যা� সম্পর্� হয� এক তরুণের সঙ্গে। যে রাজনীতি করার স্বপ্ন� বিভো�; যে উত্তাল সময়টাতে নিজে� গা ভাসিয়� দিতে ব্যস্ত; যে দেশটাক� স্বাধী� করার প্রত্যয়� মত্ত� কিন্তু মরিয়মের পেটে অনাগ� সন্তানের জন� হবার সময় নে� তা�; এমনক� নে� সংসা� বাঁধার সময়� তা� অনাহূত সন্তান বিসর্জ� দেয় মরিয়ম� আর সে� দুঃখ ভোলা� আগেই ঢাকা� বুকে রাতে� আঁধারে নেমে আস� শত শত বুট।
সে� বুটে� আওয়াজ তাড়� কর� ফিরে মরিয়মকে� চা� দেয়াল� বন্দ� হয়ে নয়ট� মা� কাটিয়� দেয় সে� যুদ্� শে� হয�; সবকিছু নতুন কর� শুরু হয়। কিন্তু নতুন জীবন ফিরে পায় না কেবল মরিয়ম� চা� দেয়ালের বন্দ� জীবনের ট্রম� বাস্তব� রূ� নেয়� 'বীরাঙ্গন�' উপাধ� মরিয়মকে খু� বেশীদি� সম্মানের আসনে বসিয়ে রাখত� পারে না� বীরাঙ্গন� পুনর্বাস� কেন্দ্� উচ্ছেদ হয়। বীরাঙ্গন� সম্মান� বিবাহি� জীবন ভেঙে যায়� সাধারণ নাগরিক হিসেবে বেঁচ� থাকাটা� দুরূ� হয়ে দাঁড়ায় মরিয়মের জন্য�
২০১১ সালে উপন্যাসট� দিল্লী� জুবা� পাবলিকেশন্� থেকে ইংরেজিতে অনূদিত হয়। ইংরেজিতে নামকরণ কর� হয� 'দ্� সার্�' নামে� বইটি� অনুবাদ করেন এল� দত্ত� পর� ২০১৮ সালে বইটি ইংরেজি ভাষা থেকে কোরিয়ান ভাষায় অনূদিত হয়। অনুবাদ করেন অধ্যাপ� সি� হি জন� এরপর ২০২০ সালে নভেম্ব� মাসে শাহী� আখতা� তালা� উপন্যাসে� জন্য এশিয়া লিটারেচা� ফেস্টিভ্যা� আয়োজি� এশিয়া লিটারেরি অ্যাওয়ার্� লা� করেন�
শাহী� আখতারে� লেখনশৈলীতে একধরনে� ঘোরলাগ� ভা� আছে। অতী�-বর্তমা� আর ভবিষ্যতে� প্রেক্ষাপট� লেখা সে� লেখনশৈলীতে পাঠককে যে� এক চক্রযানে আটকে ফেলে� তিনি� সেজন্য� গল্পের গভীরে ডুবে যেতে খু� একটা সমস্যা হয� না পাঠকের� তব� পাঠকভেদে এই চক্রযানে আটকাতে খানিকট� সময় লাগব�, এটাই স্বাভাবিক।
এই চক্রযানে� মূ� ইন্ধ� অর্থাৎ, লেখিকা� লেখনশৈলী অত্যন্� চমৎকার� সাবলীলত�, প্রাঞ্জলতা, শব্দচয়ন, বাক্যগঠন এব� উপমা� ব্যবহা� পাঠককে ভাবাতে বাধ্� করে। আবার, এখানেও পাঠকভেদে অনেক বর্ণনা� অনেকের কাছে বাহুল্� বলেও মন� হত� পারে� যদিও গল্প বলার ছল� লেখিকা কেবল তা� মনের ভাষা� ব্যক্ত কর� গেছেন।
মুক্তিযুদ্ধে� এক বীরাঙ্গনাক� কেন্দ্� কর� গল্প� বইয়ের পাতা� কালো অক্ষরক� অনুসরণ কর� ৭১ এর দিনগুল� দেখেছি� এই যুদ্� প্রকৃত যোদ্ধাকে ঘৃণা� পাত্� হিসেবে চিহ্ন���� করেছ�, আবার বহ� রাজাকারকেও বানিয়েছ� যোদ্ধা�
বইটা নিয়� লিখা� মত� যথায� শব্দ আমার ভান্ডারে নাই। আপনাকে পড়ে এর স্বা� নিতে হবে।
বিঃদ্র� ব্যক্তিগতভাব� বহ� জায়গায় আমার অম� আছে। তবুও বইটি সুন্দর�
This is probably one of the most honest books on our Liberation War. Brilliantly crafted storytelling by Shaheen mam. Brutal, gut-wrenching and thought provoking. A mere 5 star rating is not enough for this Masterpiece.
সময়টা ১৯৪২� কোরিয়ার প্রত্যন্� এক গ্রামে এক ১৬ বছরে� কিশোরী স্কুলে পড়ত� চেয়েছিল� তাকে প্রতিবেশী লোকট� ভালো শিক্ষকের কাছে নিয়� যাবে বল� ট্রেনে কর� আর� কয়েক‘শ নারী� সাথে পাঠানো হয� Seoul এ। কোরিয়ার রাজধানী তে� সেখা� থেকে তারা জাপা� সেনাবাহিনী� অন্তর্ভুক্� হয়ে চায়না� সাথে জাপানী� দে� যুদ্ধে অং� নেয়� চায়নায় অবস্থানকাল� তারা "কমফোর্� উইম্যা�" হিসাবে কা� করতো� পরবর্তী � বছ� সে� কিশোরীকে প্রতিদিন গড়ে ২০ জন জাপানী� সৈনিকক� সেক্সুয়াল� খুশি করতে হতো। এটাই তা� যুদ্�!
১৯৯১ সালে প্রথ� কো� যুদ্ধবন্দী নারী তা� নির্যাতনের কাহিনী গণসম্মুখ� প্রকাশ কর� এর জন্� বিচা� চায়� এই কোরিয়ান নারী তা� এব� তা� সাথে থাকা সহস্� ইন্দোনেশিয়া�, ফিলিপি�, কোরিয়ান নারী� জন্� যুদ্� চলাকালী� জাপানী� সম্রাট হিরোহিতো� দিকে আঙ্গুল তুলে টোকিওত� বিচা� চায়� হিরোহিতো তখ� মৃ�! সে ২য� বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানী� সৈনিকদের উজ্জীবি� রাখত� এই অন্যায় কে প্রশ্রয় দিয়েছিলেন� ঠি� যেমন ইয়াহিয়� কিংব� ভুট্টো পাকবাহিনীকে প্রশ্রয় দিয়েছিল লক্ষাধিক বাঙ্গালী নারীকে ধর্ষ� করতে� বীরঙ্গনা সক� দেশে� একরকম। তাদে� যুদ্ধে থেঁতলানো দে� কিংব� কোরাবনী� মাংসের মত� ভাগে ভাগে বিতর� হওয়� জীবন যুদ্ধে� পর� স্বাধী� দে� কিংব� সমাজ সহজভাব� নেয় নি� সে� কিশোরী যেমন আদালতে বলেছিল - "আমার শরী� নোংরা। আমার যৌবন নে�, আমার কো� সু� নেই। আমার সংসা� হয়ন�, বাচ্চা� স্বপ্ন দেখত� দেয়� হয়নি।" বাংলাদেশের বীরঙ্গনাদে� অবস্থা� অনেকটা এরকম� পাকিস্তানীরা যতটা না অত্যাচা� � মাসে করেছ�, � মা� পর স্বাধী� দেশে তারচেয়ে বেশি পরিমাণ অত্যাচা� বীরঙ্গনাদে� উপ� করেছ� সমাজ, রাষ্ট্�, আত্মীয়, প্রতিবেশী কিংব� পুর্নবাসকেন্দ্� গুলো� বেশ্যাবৃত্তি� ছি� তাদে� একমাত্� বেঁচ� থাকা� ভরসা� মুক্তিযুদ্� নিয়� যত বই পড়েছি, শাহী� আখতারে� 'তালা�' সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী� এরকম চোখে আঙ্গুল দিয়� কখনো বীরঙ্গনাদে� ব্যাপারট� মানুষে� সামন� উপস্থাপন হয়ন� বোধহয়� চমৎকার লেখন�, সাথে গল্প বলার ধর� আপনাকে মুগ্� করবে বইটি� শেষাংশ� কি তালা� করেছেন লেখিকা তা জানা� জন্য।
� এক এম� আখ্যান আর ইতিহাস, যা পড়ত� গিয়� বারবার চো� ভিজে উঠতে গিয়েও সেখানে অবিশ্বাস আর ক্রো� জম� হয়। পাতায় পাতায় দম বন্ধ হয়ে আসে। আর� অসংখ্য অনুভূতির সম্মুখী� হত� হয� যা� কোনটাই প্রে� নয�, ভালোবাসা নয�, বন্ধুত্ব, বিশ্বা� বা দেশপ্রেম নয়। অকৃতজ্� এক জনপদ বা পৃথিবী� এই ইতিহাস সব কিছু� উর্দ্ধ� উঠ� পাঠককে নিশ্চল, স্তব্ধ, বোবা কর� দেয়� সমস্� আত্মত্যা� অর্থহী� মন� হয়।
আম� জানি না শাহী� আখতা� কি কর� পারলেন এত গভীরভাব� একজন বীরাঙ্গনার নির্লিপ্তত� এম� কর� নিজে� লেখায় উপস্থাপন করতে! কিন্তু আম� এইটুকু উপলব্ধ� করতে পারি, যতখানি নির্লিপ্� লেখনীতে এই উপন্যা� তিনি লিখেছে� তা� পেছন� ততোধিক মমতা আর দায়ভা� তিনি এক� নিজে� ভেতর� ধারণ করেছেন�
একটা ডিস্টার্বি� বই� মাথায় বাড়� মারব� নানা সময়, পাতায় পাতায়� অবশ্� নীলিমা ইব্রাহী� পড়া থাকল� আকতা পূর্� প্রস্তুতির মত� কা� কর� বিষয়টা। যা� হো�, বল� রাখি 'তালা�' মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যা� যেখানে মূ� চরিত্র নারী� একজন নারী এব� তা� আশেপাশের আর� অনেক নারী� তারা বীরাঙ্গনা। যুদ্� এব� যুদ্� পরবর্তী সময়� সে� নারীদে� জীবন নিয়� এই উপন্যাস। সুতরাং বোঝা� যায় মাথায় বাড়� কে� লাগবে। এর মধ্য� শাহী� আখতারে� ভাষা কঠিন সেটা মাথায় রাখা লাগব� এই বই পড়া� সময়� কেনন� তা� একটা বাক্� হয়ত বোঝা যায় কিন্তু একটা প্যারা পড়া� পর অনেক সময়� থামত� হয়। তালা� মূলত অনাকের জন্য অবশ্যপাঠ্য